Author: user

  • Balurghat: কলা গাছের ছালের সুতোয় তৈরি চট, গামছাসহ আস্ত জ্যাকেট, বালুরঘাটের শিল্পীর কামাল

    Balurghat: কলা গাছের ছালের সুতোয় তৈরি চট, গামছাসহ আস্ত জ্যাকেট, বালুরঘাটের শিল্পীর কামাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলাগাছের ছাল ছাড়িয়ে সুতো! আর সেই সুতোয় তৈরি হয় চট, গামছাসহ আস্ত জ্যাকেট। শুনতে খানিকটা অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। কলাগাছের ছাল ছাড়িয়ে সুতো তৈরির কারিগরের নাম খিরোদা রায়। একসময় সুনাম অর্জন করেছেন জেলা শিল্প দফতর থেকে শুরু করে শিলিগুড়ি, কলকাতা এমনকী দিল্লিতেও। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থানাধিকারী হয়েছেন একাধিকবার। কিন্তু, সেসব সার্টিফিকেট বর্তমানে ফাইলবন্দি। দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার কুশমুন্ডি ব্লকের কচরা গ্রামে এই বিরলতম শিল্পের শিল্পী খিরোদা রায়কে মনে রাখেনি কেউ। মেলা করলেও এখন জোটে না টাকা। তাই, সরকারের আর্থিক সাহায্যের আশায় বুক বেঁধেছেন তিনি।

     কলা গাছের ছালের সুতোয় তৈরি হয় চট, গামছাসহ আস্ত জ্যাকেট (Balurghat)

    কচরা (Balurghat) গ্রামে বাবার বাড়িতে সরু সুতো তৈরির কাজ শিখেছিলেন আগেই। হাটে ধোকরা বিক্রির অভিজ্ঞতাও রয়েছে তাঁর।  কিন্তু, কম খরচে নতুন কিছু করার ইচ্ছে ছিল ছোটবেলা থেকেই। বিয়ের পর ফতেপুর গ্রামে রাস্তার ধারে এক চিলতে ঘরে স্বামী সহ দুই ছেলেমেয়েকে বড় করতে করতে নাম লেখান জেলা শিল্প দফতরে। এরপর ১৯৯০ সালের শেষের দিকে কলাগাছের ছাল ছাড়িয়ে তৈরি করেন চিকন সুতো। সেই সুতোয় তৈরি করেন চট, গামছাসহ ছোট ছোট ব্যাগ এমনকী জ্যাকেট পর্যন্ত। এখনও মেলা করেন। তবে, মেলার সরকারি টাকা পেতে ঘাম ঝরে যায়। এখন স্বামী সন্তান নিয়ে ফতেপুর ছেড়ে ডেরা বেঁধেছেন বালাপুকুর গ্রামে। রুগ্ন শরীর নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে রান্না করে যৎসামান্য টাকায় দিনযাপন করেন। এখনও তিনি বিভিন্ন সরকারি মেলায় নিজের তৈরি সামগ্রী বিক্রি করেন।

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    সরকারি সাহায্যের আর্জি

    শিল্পী খিরোদা রায় বলেন, আমার আফসোস কলাগাছের ছাল ছাড়িয়ে সুতো তৈরির মর্যাদা দিতে পারল না কেউ। সরকারি দফতর সবই জানে। কিন্তু, নতুন প্রজন্মকে এই শিল্প শেখানোর কোনও ধারাবাহিক কর্মশালার আয়োজন করেনি। চরম অবহেলায় পড়ে রয়েছে এই শিল্প। সরকারি সাহায্য পেলে এই শিল্প বাঁচানো সম্ভব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    Chabahar Port Agreement: “চাবাহার বন্দর চুক্তিতে খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার”, বললেন জয়শঙ্কর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৩ মে, সোমবার ভারত স্বাক্ষর করেছে ঐতিহাসিক চাবাহার বন্দর চুক্তিতে (Chabahar Port Agreement)। ইরানে গিয়ে এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন ভারতের জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল। তার পরে পরেই ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর জানিয়েছেন, ইরানের সঙ্গে ভারতের এই চুক্তিতে মধ্য এশিয়ায় ভারতের জন্য খুলে গেল বিনিয়োগের বৃহত্তর দ্বার।

    কী বললেন জয়শঙ্কর (Chabahar Port Agreement)

    সংবাদ মাধ্যমে এক সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, “চাবাহার বন্দর চুক্তি নিয়ে আজ আমার কথা হয়েছে সতীর্থ মন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের সঙ্গে। চুক্তি স্বাক্ষর করতে তিনি গিয়েছেন ইরানে। এটা আশা করা হচ্ছে যে ভারত ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘ মেয়াদি (দশ বছরের জন্য) এই চুক্তি আজই স্বাক্ষরিত হবে। অ্যাড হক অ্যারেঞ্জমেন্টসের ভিত্তিতে এই চুক্তি হচ্ছে। এতে ভারতের দিক থেকে কোনও সমস্যা নেই। যদিও ইরানের তরফে কিছু সমস্যা দেখা দিতে পারে (এর আগেই অবশ্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে গিয়েছে)।” তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, যখন (Chabahar Port Agreement) এই দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়ে যাবে, তখন এই বন্দরে বৃহত্তর বিনিয়োগের দ্বার খুলে যাবে। বন্দরটির এখনও সেভাবে নামডাক হয়নি। কারণ দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি না হলে বন্দরে মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করা খুব কঠিন। এখন যখন দীর্ঘ মেয়াদি চুক্তি হচ্ছে, তখন অবশ্যই ওই বন্দরে আমরা মোটা অঙ্কের টাকা লগ্নি করব।”

    ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর

    বিদেশমন্ত্রী এদিন ইন্ডিয়া-মিডল-ইস্ট ইউরোপ ইকনমিক করিডর চুক্তির প্রসঙ্গ তোলেন। গত বছর জি২০ সম্মেলনের আয়োজন করেছিল ভারত। সেখানেই এই চুক্তি হয়। জয়শঙ্কর জনান, চাবাহার বন্দর ভারতকে জুড়ে দেবে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের সঙ্গে। তিনি বলেন, “এই বন্দরের মাধ্যমে অনেকগুলি কানেকটিভিটি লিঙ্কেজ তৈরি হবে। আজ আমরা বিশ্বাস করি, এই অংশের কানেকটিভিটি একটা বড় ইস্যু। ইন্টারন্যাশনাল নর্থ-সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডর, যেটা করা হয়েছিল ইরান-রাশিয়ার সঙ্গে, এর সঙ্গে আমাদের যুক্ত করবে চাবাহার। মধ্য এশিয়াকেও যুক্ত করবে এই বন্দর।” বিদেশমন্ত্রী বলেন, “আমাদের একটা আলাদা করিডর আছে, আইএমইইসি করিডর সৌদি আরবের মধ্যে দিয়ে। তাই আমি মনে করি, চুক্তি (চাবাহার চুক্তি) নিয়ে নিশ্চিত হওয়া পর্যন্ত আমায় অপেক্ষা করতে হবে। আপনারা জানেন, না আঁচালে বিশ্বাস নেই।” প্রসঙ্গত, চাবাহার বন্দর চুক্তিতে স্বাক্ষর করতে এদিনই ইন্ডিয়ান এয়ারফোর্সের বিশেষ বিমানে ইরানে উড়ে গিয়েছিলেন জাহাজ ও জলপথমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

    চাবাহার বন্দর

    ইরানের এই চাবাহার বন্দর রয়েছে ওমান উপসাগরের মুখে। এর আগে প্রতি বছরের জন্য চুক্তি পুনর্নবীকরণ করা হলেও, এবার টানা দশ বছরের জন্য চুক্তি হয়েছে। অবস্থানগতভাবে ভারতের কাছে এই বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। পাকিস্তানের করাচির পাশাপাশি গদর বন্দরকে বাইপাশ করেই ইরানের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য এশিয়ায় বাণিজ্য করতে পারবে ভারত। ব্যবসায়িক যোগাযোগের একটি নয়া রাস্তাও খুলে দেবে এই বন্দর। সংবেদনশীল এবং ব্যস্ত পারস্য উপসাগর ও হরমুজ প্রণালীর বিকল্প ব্যবসায়িক রুট হিসেবেও কাজ করবে এই বন্দর (Chabahar Port Agreement)। বিভিন্ন বন্দরের রাশ হাতে নেওয়ার খেলায় মেতেছে চিন। এভাবে বিভিন্ন দেশে মাতব্বরি করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইছে না বেজিং। চিনকে টেক্কা দিতে কোমর কষে নেমে পড়েছে ভারতও। ইতিমধ্যেই মায়ানমারের সিট্টে বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছে ভারত। গত বছর মে মাসে মায়ানমারের ওই বন্দরের রাশ হাতে নিয়েছিল নয়াদিল্লি। সেই বন্দরের উদ্বোধনও করেছিলেন সোনোয়াল। এবার ভারত নিল চাবাহার বন্দরের রশিও।

    আরও পড়ুুন: শ্রীনগরে পড়ল রেকর্ড ভোট, কী প্রতিক্রিয়া প্রধানমন্ত্রীর?

    চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব

    ভারত ও ইরান দুই দেশের কাছেই চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব অপরিসীম। এই বন্দর-চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ায় ভারতের সঙ্গে ইরান, আফগানিস্তান এবং মধ্য এশিয়ার যোগাযোগের রুট হল সংক্ষিপ্ততর। চাবাহার বন্দরকে ট্রানজিট হাব বানাতে চাইছে ভারত। এর মাধ্যমে ইন্টারন্যাশনাল নর্থ সাউথ ট্রান্সপোর্ট করিডরের মাধ্যমে কমনওয়েল্থ অফ ইন্ডিপেনডেন্ট স্টেটসের দেশগুলিতে অনায়াসে পৌঁছতে পারবে ভারত। ভারতের সঙ্গে মধ্য এশিয়ার কার্গো যোগাযোগের জেরে মজবুত হবে ভারতের অর্থনীতির ভিত। সেক্ষেত্রে এই অঞ্চলে চাবাহার বন্দর পরিণত হবে এই অঞ্চলের কমার্সিয়াল ট্রানজিট সেন্টারে। আইএনএসটিসি একটি মাল্টি টান্সপোর্টেশন রুট। এটি কাস্পিয়ান সাগরের মধ্যে দিয়ে ভারত মহাসাগর ও পারস্য উপসাগরে সংযোগকারী পরিবহণ রুট হিসেবে কাজ করে। ইরান এবং ভায়া রাশিয়ার সেন্ট পিটার্সবার্গ হয়ে ইউরোপের উত্তরাংশের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগ করে সুগম। মুম্বই থেকে সমুদ্র পথে শাহিদ বেহেস্তি বন্দর-চাবাহার, চাবাহার থেকে স্থলপথে কাস্পিয়ান সাগরে থাকা ইরানের আর এক বন্দর বন্দের-ই-আনজালি এবং সেখান থেকে কাস্পিয়ান সাগর হয়ে রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে ভারতের যোগাযোগও অনায়াস হবে চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে (Chabahar Port Agreement)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Calcutta High Court: বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মামলা হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: বাড়ছে পড়ুয়াদের আত্মহত্যার প্রবণতা, রাজ্যের পদক্ষেপ জানতে চেয়ে মামলা হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে আত্মহত্যার প্রবণতা। এই প্রবণতা ঠেকাতে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানতে চেয়ে এবার কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা। প্রসঙ্গত, প্রতিনিয়ত বাড়ছে পড়াশোনার প্রতিযোগিতা। এর ফলে এই কম বয়সী পড়ুয়াদের ওপর পড়ছে ব্যাপক মানসিক চাপ। চাপ সামলাতে না পেরে অনেকেই আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন।

    সংসদে পেশ করা রিপোর্ট 

    গত বছরে দেশের সংসদে একটি রিপোর্ট পেশ করা হয়। ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই পাঁচ বছরে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলিতে অন্তত ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই রিপোর্টে। এর মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি। এর পাশাপাশি আইআইটি এনআইটি বা আইআইএম-এর মতো উচ্চ শিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলিও রয়েছে তালিকায়। মানসিক অবসাদের শিকার হয়ে আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন মেডিক্যাল পড়ুয়ারাও। ওই রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন এইমসে কমপক্ষে এমন ১৩ জন পড়ুয়া আত্মহত্যা করেছেন। এবার এ নিয়ে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দায়ের হল মামলা।

    কেন আত্মহত্যা

    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বদলাচ্ছে প্রতিযোগিতার ধরন। কঠিন হচ্ছে প্রতিযোগিতা। এই সময়ে যে সমস্ত পড়ুয়া নিজেদেরকে প্রতিযোগিতার যোগ্য করে তুলতে পারছেন না বলে মনে করছেন, তাঁরাই আত্মহত্যার পথকে বেছে নিচ্ছেন। বিশেষত দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়ার পরেই এমন আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। এ নিয়েই মঙ্গলবার হাইকোর্টে (Calcutta High Court) জনস্বার্থ মামলা দায়ের হল।

    মামলাকারীদের দাবি

    ওই জনস্বার্থ মামলাটি যাঁরা করেছেন, তাঁদের দাবি, আত্মহত্যার প্রবণতা ঠেকাতে ২০১৭ সালে একটি আইন তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার (Calcutta High Court)। মেন্টাল হেলথ কেয়ার নামের সেই আইনের ১০০ নম্বর ধারায় আত্মহত্যার প্রবণতা রুখতে একাধিক পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে আইন প্রণয়ন করার জন্য প্রতিটি জেলাকে ৮৩ লক্ষ লক্ষ টাকা করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই আইনে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: তৃণমূলের মদতেই নদীর চর বিক্রি করছে জমি মাফিয়ারা! রুখে দিলেন বিজেপি বিধায়ক

    Siliguri: তৃণমূলের মদতেই নদীর চর বিক্রি করছে জমি মাফিয়ারা! রুখে দিলেন বিজেপি বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদীর চর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করছে তৃণমূল আশ্রিত জমি মাফিয়ারা। প্রতিবাদে রুখে দাঁড়ালেন এলাকার বিজেপি বিধায়ক। শিলিগুড়ি (Siliguri) শহর লাগোয়া ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ি বিধানসভার অন্তর্গত হাতিয়াডাঙ্গার চন্দননগর এলাকায় সাহু নদীর চর দখলে যুক্ত তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই ধাক্কা খেয়েছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ।

    কী নির্দেশ ছিল মুখ্যমন্ত্রীর? (Siliguri)

    এই এলাকা থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে মিনি সচিবালয় উত্তরকন্যায় (Siliguri) বসে বছর তিনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী এখানে জমির মাফিয়া রাজ বন্ধ করতে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছিলেন। কিছুদিন পুলিশ দৌঁড়ঝাপ করে কয়েকজন জমিয়া মাফিয়াকে গ্রেফতার করেছিল। কিন্তু, তাতে জমি হাঙরদের শায়েস্তা করা যায়নি। খোদ মুখ্যমন্ত্রীর দলের নেতারাই জমি দখলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। সাহু নদীর চর দখলের ঘটনায় সেটাই প্রমাণ হল বলে মনে করেন ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায়।

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    কোথায় কীভাবে দখল হচ্ছে নদীর চর?

    ডাবগ্রাম- ফুলবাড়ির বিধানসভা এলাকার ডাবগ্রাম – ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের হাতিয়াডাঙার পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে সাহু নদী। এক সময় সারা বছর নদীতে ভালো জল থাকত। চর দখল হতে হতে সেই নদী নর্দমায় পরিণত হয়েছে। বদলে যাচ্ছে নদীর গতিপথ। হাতিয়া ডাঙার চন্দননগরে (Siliguri) প্রায় পাঁচ বিঘা নদীর চর হঠাৎ করে ঘেরা দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, পার্শ্ববর্তী গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য শাকালু রায়ের নেতৃত্বে এই চর দখল চলছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কয়েকজনকে মন্দির বানানোর কথা বলে দলে টানেন ওই তৃণমূল নেতা। একটি ছোট মন্দির তৈরির কাজও শুরু করেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন,  একটা ছোট মন্দির গড়ার জন্য বিঘার পর বিঘা নদীর চর ঘেরা হয়েছে কেন? অন্য এলাকার তৃণমূল পঞ্চায়েত কেন এখানে এসে মন্দির বানাবেন?

     রুখে দাঁড়ালেন বিজেপি বিধায়ক  

    বিজেপি বিধায়ক শিখা চট্টোপাধ্যায় বলেন, জমি গিলতে গিলতে তৃণমূলের জমি মাফিয়া নেতাদের পেট বড় হয়ে গিয়েছো। তাই নদীর চরও রেহাই পাচ্ছে না। গোটা এলাকায় নদীর চর দখল হয়ে গিয়েছে। এখানেও মন্দির বানানোর নাম করে তৃণমূলের জমি হাঙরররা নদীর চর দখল করে প্লট বানিয়ে বিক্রি করবে। গোটা বিষয়টি পুলিশ ও বিডিও’কে জানিয়েছি। কাজ বন্ধ হয়েছে। এই নদীর চর দখল হতে দেব না।

    কী বলছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য শাকালু রায় বলেন, মন্দির বানানো হচ্ছে। তাতে কেন বাঁধা দেওয়া হচ্ছ? অনেকদিন থেকেই এই নদীর চর দখল করে অনেক বাড়ি ঘর তৈরি হয়েছে। সেগুলি কেন ভাঙা হবে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

    Calcutta High Court: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তমলুক কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী তথা কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। 
    এর আগে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে একাধিক জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু হয়েছিল। সেই ইস্যুতে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এই মামলা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বিচারপতি। আপাতত মামলা চলে গেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। পরবর্তী বিচারপতি নির্ধারণ করবে সেই বেঞ্চ। ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিচারপতি, এমনটাই জানা গেছে।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Calcutta High Court) 

    উল্লেখ্য গত ৪ মে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) মনোনয়ন জমা দেন। তমলুকের রাজবাড়ি ময়দান থেকে বর্ণাঢ্য পদযাত্রা বের হয়। নেতৃত্বে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তবে ওইদিন হাসপাতাল মোড়ে মিছিল পৌঁছতেই ধুন্ধুমার কাণ্ড ঘটে। কারণ সেখানেই চাকরিহারাদের নিয়ে তৃণমূল শিক্ষক সংগঠনের অবস্থান বিক্ষোভ করছিল। অভিযোগ, অনশনরত শিক্ষক–শিক্ষিকাদের উপর হামলা করা হয়। অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Abhijit Gangopadhyay) ও শুভেন্দু অধিকারীর মদতেই বিজেপির দুষ্কৃতীরা হামলা করে বলে অভিযোগ।
    অন্যদিকে আবার গত ৫ মে তমলুকে অভিজিতের বিরুদ্ধে খুনের চেষ্টা, হামলা ও ভাঙচুর-সহ একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের হয়। অস্ত্র আইনেও মামলা হয় তাঁর বিরুদ্ধে। ঘটনাচক্রে, প্রাক্তন বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন এসএসসি মামলার রায়ে চাকরিহারা শিক্ষকদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Abhijit Gangopadhyay) বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। সেই ইস্যুতে পাল্টা কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছিলেন তিনি। 

    আরও পড়ুন: নির্দিষ্ট সময়ের আগেই আসছে বর্ষা! সুখবর জানাল আবহাওয়া দফতর

    হাইকোর্টের দ্বারস্থ অভিজিৎ 

    নির্বাচনী প্রচারে সমস্যা হচ্ছে। এই যুক্তি দিয়ে হাই কোর্টে (Calcutta High Court) তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া এফআইআর খারিজ করার আর্জি জানান অভিজিৎ। মঙ্গলবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তর এজলাসে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শুনানির আগেই এই মামলা থেকে সরে দাঁড়ালেন বিচারপতি। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে লাঠি-ঝাঁটা হাতে রাত জেগে গ্রাম পাহারা মহিলাদের, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিতে লাঠি-ঝাঁটা হাতে রাত জেগে গ্রাম পাহারা মহিলাদের, তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সোমবার সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) সন্ধ্যা পর্যন্ত আন্দোলনের পর মঙ্গলবার কাঠপোল এলাকা থমথমে হয়ে রয়েছে। দোকানপাট বন্ধ। পুলিশি টহল চলছে। কাঠপোল বাজার অঘোষিত বন্ধের চেহারা নিয়েছে, রাস্তাঘাট শুনশান। জনশূন্য গ্রাম এক প্রকার বলা যেতে পারে। তবে, এরই মধ্যে মঙ্গলবারও মহিলারা রাস্তায় নেমে তৃণমূল ও পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ দেখান।

    বিক্ষোভকারী মহিলার বক্তব্য? (Sandeshkhali)

    বিক্ষোভকারী (Sandeshkhali) এক মহিলা বলেন, হাফিজুর নামে এক তৃণমূল কর্মী শুভেন্দুর পোস্টার ছিঁড়ে দেয়। আমি তাঁর প্রতিবাদে করি। তখনই ও আমার নাইটি ছিঁড়ে দেয়। আমার স্বামীকে বাঁচাতে আসলে আমাকে মারধর করে। পরে, এলাকার কয়েকজন মহিলার শ্লীলতাহানি করে তৃণমূলের লোকজন। পুলিশের কাছে অভিযোগ জানাতে গেলে উলটে পুলিশই আমাদের আমাদের ছেলেদের গ্রেফতার করে। আর আমরা অবস্থান বিক্ষোভ করলে পুলিশ আমাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। ঘরের ভিতরে ঢুকে পুলিশ অত্যাচার করে। এসবের প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই। অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি পুলিশ কর্মীদের শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    আরও পড়ুন: কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    লাঠি-ঝাঁটা হাতে রাত জেগে গ্রাম পাহারা মহিলাদের

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ হল সোমবার। রাতে পুলিশি অভিযান আটকাতে ‘রাত্রি জাগো’ গ্রাম পাহারা কর্মসূচি মহিলাদের। লাঠি-ঝাঁটা হাতে রাত জেগে গ্রাম পাহারা দেওয়ার শপথ নিলেন মহিলা আন্দোলনকারীরা। রবিবার বিজেপির সন্দেশখালি থানা ঘেরাও কর্মসূচি থেকে তুলকালাম কাণ্ড হয়। গত কয়েকদিনে একের পর এক ভাইরাল ভিডিও সামনে এসেছে। বিজেপির দাবি, সন্দেশখালির আন্দোলনকে কালিমালিপ্ত করার জন্য তৃণমূল এসব করছে। রবিবার ঘটনাকে কেন্দ্র করে থানার সামনে মহিলাদের জমায়েত থেকে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তির পরিস্থিতি হয়। থানার সামনের জমায়েত থেকে বিজেপির সমর্থক মহিলারা তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতো, পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ দিলীপ মল্লিককে ধাওয়া করলে ঘটনা অন্য দিকে মোড় নেয়। এই ঘটনার পর থেকে সন্দেশখালিতে নতুন করে ফের আন্দোলন শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার ১৫/০৫/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার ১৫/০৫/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) প্রিয়জনের কুকর্মের জন্য বাড়িতে বিবাদ।

    ২) ব্যবসায় ক্ষতি হতে পারে।

    বৃষ

    ১) সংসারে ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) গরিব মানুষকে সাহায্য করতে পেরে আনন্দ লাভ।

    মিথুন

    ১) প্রিয়জনের কাছ থেকে ভালবাসা পাবেন।

    ২) গাড়িচালকদের জন্য দিনটি শুভ।

    কর্কট

    ১) প্রেমের বিবাদ মিটে যেতে পারে।

    ২) কোমরের নীচে যন্ত্রণা নিয়ে চিন্তা।

    সিংহ

    ১) খুব কাছের কোনও মানুষের জন্য পারিবারিক অশান্তি হতে পারে।

    ২) দামি কিছু প্রাপ্তি হতে পারে।

    কন্যা

    ১) সন্তানদের নিয়ে সংসারে কলহ হতে পারে।

    ২) আইনি সমস্যা থেকে মুক্তিলাভ।

    তুলা

    ১) ধর্মালোচনায় আপনার সুনাম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) প্রেমে মাত্রাছাড়া আবেগ ক্ষতি ডেকে আনতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) উপার্জন নিয়ে মনে প্রচুর ক্ষোভ থাকবে।

    ২) ভ্রাতৃস্থানীয় কারও সঙ্গে বিবাদ হতে পারে।

    ধনু

    ১) কর্মক্ষেত্রে মিশ্রফল।

    ২) নিজের ভাগের সম্পত্তি থেকে কিছু অংশ ছাড়তে হতে পারে।

    মকর

    ১) কর্মচারীদের জন্য ব্যবসায় বিবাদ হতে পারে।

    ২) ভ্রমণের পক্ষে  দিনটি শুভ নয়।

    কুম্ভ

    ১) প্রেমের ক্ষেত্রে সাফল্য লাভ।

    ২) কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের অগ্রগতি হতে পারে।

    মীন

    ১) কোনও উচ্চপদস্থ ব্যক্তির সঙ্গে বিবাদ।

    ২) স্বামীর সঙ্গে তর্ক না করাই ভাল হবে।

     DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cattle Smuggling Case: জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে ঝাঁঝরা এক পাচারকারী

    Cattle Smuggling Case: জলপাইগুড়ি সীমান্তে বিএসএফ-এর গুলিতে ঝাঁঝরা এক পাচারকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফ-এরগুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন এক গরু পাচারকারী। জানা গিয়েছে, এই গরু পাচারকারী (Cattle Smuggling Case) একই কাজে সিদ্ধহস্ত ছিলেন। জলপাইগুড়ির সীমান্তবর্তী এলাকায় গরুপাচারের সঙ্গে অনেক দিন যুক্ত ছিলেন। ঘটনায় রাজ্যে গরু পাচারে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী কতটা তৎপর তা আরও একবার প্রমাণিত হল। উল্লেখ্য স্থানীয় শাসকদল তৃণমূলের নেতারা এই রকম পাচার কাজকে প্রত্যক্ষ মদত দিয়ে থাকে বলে বিজেপি বার বার অভিযোগ করে এসেছে। লোকসভার ভোটের আবহে ফের একবার গরু পাচারকাণ্ডে চাঞ্চাল্য ফেলে দিয়েছে রাজ্যে।

    ঘটনা কীভাবে ঘটল (Cattle Smuggling Case)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে জলপাইগুড়ি জেলার রাজগঞ্জ ব্লকের খাল পাড়া সীমান্ত দিয়ে গরু পাচারের (Cattle Smuggling Case) ঘটনা ঘটছিল। এই বিষয় নজরে আসতেই ১৯৫ নং ব্যাটালিয়ানের বিএসএফ বাহিনী। এরপর পাচার রুখতে সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী এবং পাচারকারীদের মধ্যে শুরু হয় গুলির লড়াই। এই লড়াইতে মৃত্যু হয় পাচারকারীর। পাচারকারীর নাম হল কাজিরুল মহম্মদ। তাঁর বাড়ি হল জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জ ব্লকের ভাঙামালি গ্রামে। এলাকায় অনেক বছর ধরে পাচার কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তিনি। এলাকায় কুখ্যত ছিলেন। অপরদিকে ঘটনায় গুলির ঘায়ে কয়েক জন সীমান্ত বাহিনী আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    বিএসএফের বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিএসএফের পক্ষ থেকে বলা হয়, “নিজেদের আত্ম রক্ষার জন্য এই গুলি চালাতে হয়েছিল। তবে দুই পক্ষের লড়াইতে কয়েকজন পাচরকারী (Cattle Smuggling Case) পালিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ঘটনা স্থলে পড়েছিলেন কাজিরুল।” বিএসএফ আধিকারিকরা তাঁকে উদ্ধার করে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখানেই ডাক্তাররা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়েছে।

    উল্লেখ্য এই রাজ্যে গরু পাচারকাণ্ডে (Cattle Smuggling Case) তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তৃণমূলের প্রথম সারির নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়েছে ইতি মধ্যে। একই ভাবে তৃণমূল নেতা দেবকে বেশ কয়েকবার তলব করা হয়েছে। একই সঙ্গে তৃণমূলের সেকেন্ড ইন কামান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নোটিশ করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আগেও রাজ্যের বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী নানা সময়ে তৃণমূলকে রাজ্যের গরুপাচারকাণ্ড নিয়ে নিশানা করেছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দেব-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে

    Calcutta High Court: আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে দেব-ঘনিষ্ঠের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল হাইকোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Calcutta High Court) ভোট চালাকালীন ফের দুর্নীতিকাণ্ডে বিতর্কে জড়ালেন ঘাটালের তৃণমূল প্রার্থী দেবের প্রতিনিধি রামপদ মান্না। এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে আর্থিক দুর্নীতির কথা অভিযোগ উঠেছে। আদালত সূত্রে খবর, মৌসুমি সাঁতরা নামে একমহিলা ২০২২ সালে আশাকর্মীর পরীক্ষা দিয়ে মে মাসে ইন্টারভিউয়ের ডাক পান। এরপর ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের এক কর্মীর মাধ্যমে রমাপদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তাঁর। কিন্তু টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। এরপর পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করা হয়। কিন্তু ঘটনায় তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। এই তৃণমূল নেতা টাকা নেওয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন, এই অভিযোগে একটি অডিও ভাইরাল হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এবার এই বিষয়ে মামলা দায়ের হল কলকাতা হাইকোর্টে। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে। 

    হাইকোর্টে দ্বারস্থ হন অভিযোগকারী (Calcutta High Court)

    জানা গিয়েছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া হয়েছে ওঁই মহিলার কাছ থেকে। এরপর পুলিশের কাছে গেলে এফআইআর দায়ের করতে চায়নি। এরপর হাইকোর্টে (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ওঁই মহিলা। এই মামলা বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের এজলাসে এই সপ্তাহেই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছে। সবটাই বিরোধীদের ষড়যন্ত্র। সবটাই বিরোধীদের চক্রান্ত বলে জানানো হয়েছে। তবে লোকসভার (Lok Sabha Election 2024) নির্বাচনে এই ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    আরও পড়ুনঃ কয়লাকাণ্ডে ১০ লক্ষ টাকার ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পেলেন অনুপ মাঝি

    ভাইরাল অডিও-ক্লিপ

    স্থানীয় বাসিন্দারা এমন অভিযোগ নতুন নয়। আগেও ঘাটালে চাকরি দেওয়ার নাম করে একাধিক ব্যক্তির কাছে টাকা নিয়েছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে ইতিমধ্যে একটি অডিও-ক্লিপ ‘ভাইরাল’ হয়েছে। এই অডিও-ক্লিপে রামপদের নাম শোনা গিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে হাইকোর্টে (Calcutta High Court) এই মামলা দায়ের হওয়ায়, এই অভিযোগে তৃণমূলের উপর চাপ বাড়ল বলে মনে করেছে রাজনীতির এক অংশের মানুষ।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: বঙ্গে পঞ্চম দফায় ৭৬২, ষষ্ঠ দফাতে ১০২০ কোম্পানি বাহিনী!

    Loksabha Election 2024: বঙ্গে পঞ্চম দফায় ৭৬২, ষষ্ঠ দফাতে ১০২০ কোম্পানি বাহিনী!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফায় (Loksabha Election 2024) দক্ষিণবঙ্গে ভোট প্রবেশ করতেই বাড়ল অশান্তি। রক্তপাত, ভোটারদের আটকানো, এজেন্টকে মারধর সহ অতীতের ভোট রাজনীতির সমস্ত রকম বদ অভ্যাসের সাক্ষী হল বাংলা। প্রথম ৩ দফায় রক্তপাতহীন হলেও চতুর্থ দফা থেকে অশান্তি বৃদ্ধির আশঙ্কা করছে সব পক্ষ। এমতাবস্থায় পঞ্চম ও ষষ্ঠ দফায় বাহিনী বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিল নির্বাচন কমিশন। ষষ্ঠ দফায় তমলুক, কাঁথি, মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, ঘাটাল, পুরুলিয়া, বিষ্ণুপুর, বাঁকুড়ায় নির্বাচন হবে। জঙ্গলমহলের তিন কেন্দ্রেরই ভোট এই দফায়। ষষ্ঠ দফায় আট আসনে অশান্তি ঠেকাতে হাজার কোম্পানির বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে চলেছে কমিশন।

     ২৫ মে-এর আগেই রাজ্যে আসবে ১০২০ কোম্পানি বাহিনী

    কমিশন সূত্রে খবর ২৫ মে-এর আগেই রাজ্যে চলে আসবে ১০২০ কোম্পানি বাহিনী। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে এলাকা ছেয়ে ফেলে অশান্তি ঠেকাতে চায় কমিশন। শুরুর দফাগুলিতে কম আসনে ভোট হয়েছে। এবং যথেষ্ট শান্তিপূর্ণভাবে (Loksabha Election 2024) ভোট হয়েছে। বেশি আসনে শান্তিপূর্ণ ভোট করতে বেশি বাহিনীতেই ভরসা রাখছে কমিশন। উল্লেখ্য, ১ হাজার বাহিনী এলে দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে বাহিনী মোতায়েনে অনেক রাজ্যকেই পিছনে ফেলে দেবে এ রাজ্য।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী সাম্প্রতিক হিংসা প্রসঙ্গে বলেন, “বাহিনী এলেই সব সোজা হয়ে যাবে। পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম দফায় তৃণমূলের কী হয় দেখতে থাকুন। শুধু ঠাকুরকে ডাকুন যেন ৮০ শতাংশের উপর পোল হয়। হীরকরাণী বাই বাই হয়ে যাবে। ৪ তারিখের পরে দেখবেন অনেক কিছু হচ্ছে। একটাও ভোট ভালভাবে করতে চায় না। মানুষকে ভোট দিতে দেয় না। ।”

    আরও পড়ুন: অর্জুন গড়ে বিজেপি কর্মীকে রাস্তায় ফেলে পেটালেন তৃণমূল কাউন্সিলর

    ঝাড়গ্রামে প্রতি বুথে থাকবেন আট জন জওয়ান

    প্রসঙ্গত পঞ্চম দফা থেকেই রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যা বৃদ্ধি করছে নির্বাচন কমিশন। তেলেঙ্গানা অন্ধ্রপ্রদেশের (Loksabha Election 2024) ভোট মিটে যাওয়ায় বাহিনী মোতায়েনে সমস্যা হবে না কমিশনের। শেষ দু’দফায় কমিশনের প্রস্তাবিত বাহিনীর থেকেও অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হবে রাজ্যে। প্রাথমিক ভাবে কমিশনে রাজ্যের জন্য প্রস্তুতি নিয়েছিল মোট ৯২০ কোম্পানি বাহিনী ব্যবহার করা হবে। ষষ্ঠ দফা থেকে তা-ও ছাপিয়ে যাচ্ছে। সপ্তম দফায় আরও বৃদ্ধি করা হবে বাহিনী। ঝাড়গ্রামে থাকছে বিশেষ নজর। সেখানে প্রতি বুথে থাকবেন আট জন করে জওয়ান। ষষ্ঠ দফায় ১,০২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। সপ্তম দফায় সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পেতে চলেছে। এখনও পর্যন্ত ২০২১ সালের করোনা কালে বিধানসভা ভোটে রাজ্যে সব থেকে বেশি বাহিনী ব্যবহার করেছিল কমিশন। তখন আট দফায় ভোট হয়েছিল। মোট ১,০৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা হয়েছিল। সেই সংখ্যা এবার সপ্তম দফায় ছাড়িয়ে যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share