Author: user

  • Murshidabad: ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    Murshidabad: ৬৩ শতাংশ মুসলিম ভোটে কেন মুসলিম সাংসদ নয়? হুঁশিয়ারি হুমায়ুনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহরমপুরের (Murshidabad) টানা ৫ বারের সাংসদ কংগ্রেসের প্রার্থী অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তাঁকে নির্বাচনে হারাতে তৃণমূল ময়দানে নামিয়েছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে। পাল্টা বিজেপি প্রার্থী করেছে নির্মল কুমার সাহাকে। তৃণমূলও নিজের ভোট ব্যাঙ্ককে লুফে নিতে বাংলার বাইরের মুসলমান প্রার্থীকে দিয়েছে এই কেন্দ্রে। যদিও ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর আগেই ৩০-৭০ শতাংশের কথা বলে জেলার হিন্দুদের বিরাট হুমকি দিয়েছিলেন। এবার আজ বলেছেন, “ইসুউফ পাঠান মুসলমান তাই তৃণমূল এজেন্টদের বসতে দেওয়া হচ্ছে না।” এই বক্তব্যে ফের এরকবার সাম্প্রিদায়িক উস্কানি দিলেন বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ।

    ঠিক কী বললেন হুমায়ুন (Murshidabad)

    আজ বহরমপুরে (Murshidabad) চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, “শক্তিপুর এলাকায় পুরো ভোটটা মেরুকরণ হয়েছে। কারণ যারা হিন্দু তারা বিজেপিতে ভোট দিয়েছেন। এই হিন্দুরা এতদিন অধীর চৌধুরীর শেল্টারে ছিলেন। তাঁর কাছ থেকে সুবিধা নিয়েছেন। লোকসভার ভোটে অধীরকেই ভোট দিতো সকলে। বাকি সময়ে সকলে বিজেপি করত, সিপিএম করত আবার তৃণমূলও করত।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “ইউসুফ পাঠান যেহেতু মুসলমান তাই তৃণমূলের কোনও এজেন্ট বসতে দেবে না। কিন্তু ইউসুফকে যিনি প্রার্থী করেছেন তিনি হিন্দু নেত্রী। ৬৩ শতাংশ মুসলমানদের ভোট নিয়ে কোনও মুসলমান কেন সাংসদ হতে পারবেন না? এটা ভারতের কোন সংবিধানে বসবাস করছি। যদি হিন্দুত্বকে হাতিয়ার করা হয় তাহলে আমরা মুসলমানের মুসলিমত্বকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করব। ৯০ শতাংশ ভোট দিয়ে ইউসুফকে আড়াই লক্ষ ভোটে বিজেপি এবং কংগ্রেসকে হারাব।”

    আরও পড়ুনঃ যে আদালতে ছিলেন ধর্মাবতার, এখন সেখানেই বিচারপ্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

    আগে কী বলেছিলেন?

    নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে কয়েক দিন আগে হুমায়ুন নিজে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সংখ্যালঘু হিন্দু ভোটারদের তীব্র হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি।” এরপর তাঁকে নির্বাচন কমিশন শোকজ করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baba Ramdev Case: সুপ্রিম কোর্টের পর এ বার হরিদ্বার আদালত! নতুন বিপাকে বাবা রামদেব!

    Baba Ramdev Case: সুপ্রিম কোর্টের পর এ বার হরিদ্বার আদালত! নতুন বিপাকে বাবা রামদেব!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বিপাকে যোগগুরু বাবা রামদেব। পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপন মামলায় (Baba Ramdev Case) সুপ্রিম কোর্টের পর এ বার বাবা রামদেব এবং তাঁর সহযোগী আচার্য বালকৃষ্ণকে সমন পাঠাল হরিদ্বারের একটি আদালত। পতঞ্জলির ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপন মামলা এখনও চলছে সুপ্রিম কোর্টে। সেখানে কোনওরকম স্বস্তি পাননি রামদেব এবং তাঁর সহযোগী বালকৃষ্ণ। এরই মধ্যে আরও চাপে পড়লেন তাঁরা। কারণ হরিদ্বারের আদালত (Haridwar Court) তাঁদের জোড়া সমন পাঠিয়েছে। 

    পতঞ্জলি মামলা (Baba Ramdev Case)

    আগেই জানা গিয়েছিল, ফৌজদারি মামলা দায়ের হয়েছে যোগগুরু রামদেব (Ramdev) ও তাঁর সহকারী আচার্য বালকৃষ্ণর বিরুদ্ধে। অ্যালোপ্যাথি ওষুধের ‘বিভ্রান্তিকর’ বিজ্ঞাপন এবং ‘মিথ্যে’ প্রচারের অভিযোগে রামদেব, বালকৃষ্ণ এবং পতঞ্জলির বিরুদ্ধে মামলায় বিস্ফোরক অভিযোগ করেন হরিদ্বারের আয়ুর্বেদিক ও ইউনানি অফিসার। পতঞ্জলির বিজ্ঞাপনে দাবি করা হয়, জ্বর, টাইফয়েড থেকে শুরু করে যকৃতের অসুখ, ত্বকের সমস্যা-সহ নানা ধরনের অসুস্থতার চিকিৎসায় সাধারণত যে সব ওষুধ ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে ‘বিষাক্ত, সিন্থেটিক’। এই দাবির বিরুদ্ধে মামলা (Baba Ramdev Case) হয়েছে। ওই মামলার প্রাথমিক শুনানির পর হরিদ্বারের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাহুলকুমার শ্রীবাস্তব রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে ১০ মে আদালতে হাজিরা দিতে বলেছিলেন। যদিও সেই নির্দেশ মান্য করেননি যোগগুরু এবং তাঁর সহযোগী। সেই সূত্রে এবার দ্বিতীয়বার সমন পাঠাল আদালত। আগামী ৭ জুন মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আদালতে রামদেব ও তাঁর সহযোগীকে হাজির থাকতে বলা হয়েছে।  

    আইএমএ-র অভিযোগ 

    উল্লেখ্য এর আগেও ২০২০ সালে করোনিল কিট বাজারে আসার পর তার বিজ্ঞাপন নিয়ে আপত্তি জানিয়ে রামদেবের সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা (Baba Ramdev Case) করেছিল আইএমএ। আইএমএ-র অভিযোগ ছিল, পতঞ্জলির বেশ কয়েকটি বিজ্ঞাপনে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা এবং চিকিৎসককে অসম্মান করা হয়েছে। বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে সাধারণ জনগণকে বিভ্রান্ত করার অভিযোগও আনা হয়েছিল। অভিযোগ ছিল, কোভিড প্রতিরোধী না-হওয়া সত্ত্বেও শুধু করোনিল কিট বিক্রি করেই আড়াইশো কোটি টাকার বেশি মুনাফা করেছিল রামদেবের পতঞ্জলি। আর তার জন্য ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা’ বিজ্ঞাপনী প্রচার চালানো হয়েছিল বলে অভিযোগ ছিল আইএমএ-র। 

    আরও পড়ুন: পাকিস্তানে গম আমদানি দুর্নীতি! শুরু কৃষক বিদ্রোহ

    উল্লেখ্য পতঞ্জলির বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে যে মামলা (Baba Ramdev Case) চলছে তাতে রামদেব এবং বালকৃষ্ণকে বারবার ভর্ৎসনার শিকার হতে হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে ক্ষমা চেয়েও রেহাই পাননি তাঁরা। ‘বিভ্রান্তিকর এবং মিথ্যা বিজ্ঞাপন’ দেওয়ায় রামদেবদেরকে ক্ষমা চাইতে বলে সুপ্রিম কোর্ট। আর এবার সুপ্রিম কোর্টের পর হরিদ্বারের আদালত (Haridwar Court) তাঁদের জোড়া সমন পাঠাল।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    West Nile virus: কাদের বিপদ বাড়াচ্ছে ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? মৃত্যুর আশঙ্কা কতখানি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আতঙ্কের নতুন নাম ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস। এই ভাইরাসঘটিত (West Nile virus) জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে সাত থেকে সত্তর, সব বয়সের মানুষ। আফ্রিকার নীল নদের আশপাশের এলাকা থেকে এই জ্বরের উদ্ভব। কিন্তু সেই জ্বর এখন কেরলে প্রভাব বিস্তার করছে। তবে সংক্রমণের বিস্তার শুধু কেরলে নয়। এই সংক্রমণের আতঙ্ক ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। এর আগেও এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে এ দেশে। তাই বাড়তি সতর্কতা জারি করেছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। তাই সাধারণ মানুষকেও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।

    কীভাবে আটকানো‌ যাবে এই রোগ? (West Nile virus)

    বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মশাবাহিত রোগ। কিউলেক্স মশা থেকে এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেশি‌। তবে পাখির মাধ্যমে এই রোগ মশার শরীরে আসে‌। আর সেখান থেকেই এই রোগ মানুষের শরীরে ছড়ায়। তাই ডেঙ্গি কিংবা ম্যালেরিয়ার মতো সরাসরি ভাইরাস মশা থেকে মানুষের শরীরে আসে না। বরং মাধ্যম হিসাবে মশা মানুষের শরীরে এই রোগ আনে। কিউলেক্স মশা এনসেফেলাইটিসর মতো একাধিক রোগের জীবাণু বহন করে। ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস রুখতেও তাই জরুরি মশার দমন। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, মশাবাহিত রোগ (West Nile virus) রুখতে প্রয়োজনীয় পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা জরুরি। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলেই এই রোগের প্রকোপ আটকানো সম্ভব।

    কখন বিপদ বাড়ায় ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস? (West Nile virus)

    চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মস্তিষ্কে প্রকোপ ছড়ালে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হয়ে পড়ে। বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের আলাদা বিশেষ কোনও উপসর্গ নেই। সাধারণ জ্বর, সর্দি-কাশি এবং মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যাবে। তবে গোটা শরীরে র‍্যাশ দেখা দিলে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই ওয়েস্ট নাইল ভাইরাসের প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে‌। এর জেরে মেরুদণ্ডের কাজ করা বন্ধ হয়ে যায়‌। স্নায়ুতন্ত্র কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন প্রাণসংশয় দেখা দেয়। তবে এই রোগের নির্দিষ্ট ওষুধ এবং টিকা নেই। তাই এই রোগ (West Nile virus) মোকাবিলা কঠিন‌। এমনই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাই তাঁদের পরামর্শ, প্রথম থেকেই বাড়তি সতর্কতা জরুরি। রোগ আটকানোর জন্য যেমন মশার বংশবিস্তার রুখতে হবে, তেমনি জ্বর হলে বা দেহে কোনও লাল রঙের দাগ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। যাতে দেহের তাপমাত্রা না বাড়ে।

    কাদের জন্য এই রোগ বাড়তি বিপজ্জনক? (West Nile virus)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে এই রোগ বিপদ বাড়ায়। কারণ এই ধরনের সমস্যায় আক্রান্তদের হৃদরোগের ঝুঁকি থাকে। তাই ওয়েস্ট নাইল রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া ডায়াবেটিস আক্রান্তদের স্নায়ুর সমস্যা হতে পারে। এই ভাইরাসও স্নায়ুর কার্যকারিতা নষ্ট করে। তাই এই রোগ ডায়াবেটিস আক্রান্তদের জন্য বাড়তি সমস্যা তৈরি করে। তাছাড়া, রোগ প্রতিরোধ শক্তি যাদের কম, তাদের জন্য এই রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি। তাই তাদেরও বাড়তি সাবধানতা জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ (West Nile virus)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বহরমপুরের বুথে বিরোধী এজেন্ট দিতে দিল না তৃণমূল, একাধিক জায়গায় ছাপ্পার অভিযোগ

    Murshidabad: বহরমপুরের বুথে বিরোধী এজেন্ট দিতে দিল না তৃণমূল, একাধিক জায়গায় ছাপ্পার অভিযোগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত ৭ মে তারিখ তৃতীয় দফার ভোটে ভোটাররা দেখলেন নির্বাচন কমিশন কীভাবে বুথে বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী টহল দিয়েছিল। কোথাও কোনও বুথে সেরকম গন্ডগোল চোখে পড়েনি। মানুষ দুহাত তুলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এবং নির্বাচনী কমিশনকে বাহবা দিয়েছিলেন। কিন্তু আজ চতুর্থ দফার লোকসভা ভোটে এক অন্য চিত্র দেখল বহরমপুর (Murshidabad) বাসী। কিন্তু ভোট আরম্ভ হওয়ার পর থেকেই বহরমপুর লোকসভার বিভিন্ন বুথে শুরু হয়েছে নানা ধরনের ঝামেলা। নানা জায়গায় বুথ দখল এবং ছাপ্পার ঘটনার কথা উঠে আসে এদিন। আবার বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন অধীর চৌধুরী। তিনি জানালেন, বহরমপুর লোকসভার বড়মা কান্দিশালার কোনও জায়গায় কংগ্রেস এজেন্টদেরকে বসতে দেওয়া হয়নি।

    বড়ঞা বিধানসভায় ছাপ্পা (Murshidabad)

    বহরমপুর (Murshidabad) লোকসভার ৫১ ও ৫২ নম্বর বুথ বড়ঞা বিধানসভার অন্তর্গত হরিবাটি গ্ৰামে কংগ্রেস এজেন্টকে বের করে দেওয়া নিয়ে, তৃণমূল ও কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। বড়ঞা বিধানসভার ৪৮ এবং ৪৯ নম্বর বুথ বদুয়া গ্ৰামে ভোটারদের ভয় দেখানো, ছাপ্পা, এজেন্ট বের করে দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বহরমপুর লোকসভা সালার থানার খাড়েরা গ্রামের  ১২০নং ওয়ার্ডে ইভিন মেশিন খারাপের খবর উঠে এসেছে।

    বেলডাঙায় অবৈধ জমায়েত

    বহরমপুর (Murshidabad) মহারানী কাশীশ্বরী বালিকা বিদ্যালয় আদর্শ ভোট গ্রহণ কেন্দ্র  হিসেবে বুথ থেকে সুসজ্জিত করা হয়েছে। আবার বেলডাঙা ব্লকের মির্জাপুর খাগড়ুপাড়া ৮৫নং বুথের বাইরে অবৈধ জামায়াত হঠাতে তৎপর হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। এদিন বুথের বাইরে জমায়েত লক্ষ্য করে তাড়া করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। পুলিশ দেখে দেখে পালিয়ে যায় জমায়েতকারীরা। সকাল আটটা নাগাদ ভোট দিলেন বিজেপি প্রার্থী (Murshidabad) ডক্টর নির্মল সাহা পরিবার এবং দলীয় কর্মী সকলকে নিয়েই ভোট দিতে এসেছিলেন তিনি। যথেষ্ট আশাবাদী সে কথা জানালেন তিনি। সঙ্গে ছিলেন বহরমপুরের বিধায়ক সুব্রত মৈত্র। 

    আরও পড়ুনঃ বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    মোট কত বাহিনী

    এই চতুর্থ দফার ভোটের জন্য আটটি লোকসভা কেন্দ্রে ৫৭৮ কোম্পানি বাহিনী প্রস্তুত আছে বলে জানা যায়। বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে মোট বুথ ১৮৭৯টি, এর মধ্যে ৫৫৮টি বুথ স্পর্শকাতর। বহরমপুরের (Murshidabad) জন্য ৭৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আছে। কিউআরটি সংখ্যা ২৩, জিপিএস এর মাধ্যমে ট্রাক করা হবে কিউআরটির গতিবিধি। বেলডাঙা গোবিন্দসুন্দরী বিদ্যাপীঠে চলছিল ভোট গ্রহণ পর্ব ২৫৫ নং বুথে। সেই সময় মহিলা ভোটকর্মীদের বথে প্রবেশ করেন তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠানকে। তাঁকে দেখে মহিলারা প্রিসাইডিং অফিসার ও অন্যান্য ভোটকর্মীরা ছবি তুলতে শুরু করেন। কিন্তু বুথের ভিতরে যে ফোন নেওয়া যায় না তা কার্যত লক্ষ্য করা গেল। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    Lok Sabha Election 2024: দুর্গাপুরে বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ, আসানসোলে শাসক দলের দাপাদাপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের সামনেই বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। সোমবার ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথের সামনে থেকে তৃণমূলের বাহিনী বিজেপি বিধায়ককে তুমুল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে। জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ২৭৭ এসি ৮২ নম্বর বুথে বিজেপি পোলিং এজেন্ট রাহুল সাহানি’কে বুথে ঢুকতে বাঁধা দেয় তৃণমূল। বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর পশ্চিম বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই যান। তৃণমূল নেতা কর্মীরা ধাক্কা দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন।  পুলিশের সামনে বিধায়কের সঙ্গে অভব্য আচরণ করেন তৃণমূলের লোকজন। বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ চন্দ্র ঘোরুই বলেন, পুলিশের সামনে তৃণমূলের লোকজন আমার গায়ে হাত দিয়েছে। এসব চলতে পারে না। আমরা সমস্ত স্তরে অভিযোগ জানাব।

    বিজেপি কর্মীদের গাড়ি ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ

    দুর্গাপুর ১২ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও গাড়ি ভাঙচুর  করার অভিযোগ ওঠলো তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত কর্মীদের বক্তব্য, আমরা বুথের বাইরে দাঁড়িয়েছিলাম। আচমকা ১৫০ জন তৃণমূল কর্মী আমাদের ওপর চড়াও হয়। দুটি বাইক ভাঙচুর করে। ক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মী ও এলাকাবাসী রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে। ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিস বাহিনী। ব্যাপক উত্তেজনা।

    বুথে তৃণমূল নেতার দাপাদাপি! (Lok Sabha Election 2024)

     এদিন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) দিন আসানসোল জামুরিয়া এলাকায় বহু বুথে বহিরাগতরা দাপিয়ে বেড়ায় বলে বিজেপির অভিযোগ। আসানসোল পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কুলটির লালবাজার এলাকায় ৫৮ / ৫৯ নম্বর বুথে উত্তেজনা। বিজেপির অভিযোগ, কুলটি ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি বিমান দত্ত দলবল নিয়ে বুথে ঢোকার চেষ্টা করে। ওই ওয়ার্ডের ভোটার না হওয়া সত্ত্বেও কী করে বিমান দলবল নিয়ে সেখানে আসে? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপি প্রতিবাদ করলে দু পক্ষের তুমুল বাকবিতন্ডা শুরু হয়। পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে ।

    বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে বাধা

    পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভারি বিলপাহাড়ি গ্রামে বিজেপির পোলিং এজেন্ট  শুভজিৎ দেওয়াসীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ। বিজেপির অভিযোগ সকাল থেকে বিজেপি কর্মীর বাড়ি ঘেরাও করে রেখেছে তৃণমূল কর্মীরা। শুভজিৎ বলেন, আমাকে তৃণমূলের লোকজন বুথে বসতে দেয়নি। ওরা এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ঢুকতে বাধা দেয় পুলিশ। তিনি ওই এলাকার ভোটার নয় বলেই পুলিশ হরিপুরের গাইঘাটা মোড়ে তাঁর গাড়ি আটকে দেয। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। তিন ঘণ্টা রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকার পর অবশেষে পুলিশের চাপে আসানসোল ফিরে গেলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি বলেন, পুলিশ এবং প্রশাসন তৃণমূলের হয়ে কাজ করছে। পাণ্ডবেশ্বর জুড়ে তৃণমূল সন্ত্রাস করে বেড়াচ্ছে। আমাদের এজেন্ট বসতে দিচ্ছে না। আর পুলিশ প্রশাসন আমাকে বাধা দিচ্ছে।  ম্যাজিস্ট্রেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য কমিশনে অভিযোগ জানাবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Nadia: নদিয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি তৃণমূ্লের দুষ্কৃতীদের!

    Nadia: নদিয়ায় বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা, আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দাপাদাপি তৃণমূ্লের দুষ্কৃতীদের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফা ভোটে নদিয়ার (Nadia) শান্তিপুর, কৃষ্ণনগরে কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বহু বুথে বিজেপি সহ বিজেপি এজেন্টদের বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা করার অভিযোগও উঠেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। সবমিলিয়ে ভোটগ্রহণকে কেন্দ্র করে নদিয়া জেলায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপি কর্মীদের মার (Nadia)

    বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে,কৃষ্ণনগর (Nadia) লোকসভার অন্তর্গত কৃষ্ণনগর পুরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের ঘূর্ণিতে দুজন বিজেপি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল তৃনমূলের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পুলিশ এসে এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এরপরই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়। পরবর্তীকালে তিনি কৃষ্ণনগর কোতোয়ালি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তিনি বলেন, তৃণমূল আমাদের কর্মীর ওপর হামলা চালিয়েছে। পুলিশ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে।

    আরও পড়ুন: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে

    চাপড়া (Nadia) বিধানসভার ২০০, ২০১ নম্বর বুথ বাঙালঝি, স্বামী বিবেকানন্দ হাইস্কুলে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা মুখে গামছা বেঁধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বিরোধী ভোটাররা যেন বুথ মুখী না হয়, তারজন্য আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখাচ্ছে বলে অভিযোগ। চাপড়া বিধানসভার সোনপুকুর দাস পাড়ায় বিরোধী ভোটারদের ভোট দিতে বাধা। ঘটনাটি ঘটেছে ৯ নম্বর ও ১০ নম্বর বুথে। এই ঘটনায় তৃণমূলে বিরুদ্ধে  অভিযোগ একাবাসী। এমনকী বিরোধীদের ভোটারদের মারধর করার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়। চাপড়া ব্লকের সোনপুকুর এলাকায় সিপিএম কর্মী সমর্থকদের ভোট দিতে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠে। পরবর্তীতে খবর পেতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যান কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্রের সিপিআইএম প্রার্থী এস এম সাদি, তারপর সিপিএম কর্মী -সমর্থকদের সঙ্গে নিয়ে ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে ভোট দেওয়ার জন্য নিজেই নিয়ে যান প্রার্থী। চাপড়া থানার হাতিশালা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১০ নম্বর বুথে ভোট দিতে গেলে সিপিএম ভোটারদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল শাসকদলের বিরুদ্ধে।

    বিরোধী কর্মীদের মাথা ফাটানোর অভিযোগ

    কালীগঞ্জ (Nadia) থানার পালিতবেঘিয়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় সিপিএম প্রধানের আত্মীয়র মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। আক্রান্ত ব্যক্তির নাম হাসমুত শেখ। অভিযোগ, চেয়ার টেবিল নিয়ে বসতে দিচ্ছে না শাসক দলের নেতা কর্মীরা। বসতে গেলে মারধর করছে। তৃণমূল ভোট লুটেরার দল, আমাদের এজেন্টের বসতে দিচ্ছে না। সোমবার চতুর্থ দফা লোকসভা নির্বাচনে রানাঘাট কেন্দ্রের অন্তর্গত নবদ্বীপ বিধানসভার দুটি বুথে শুরু থেকে ইভিএম খারাপ থাকায় দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকে ভোট গ্রহণ। তেহট্ট বিধানসভার নারায়ণপুর এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৭ এবং ১৯ নম্বর বুথে বিরোধী দলের এজেন্টকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।

     ভোট দিতে এসে সেলফি তোলার ধুম!

    ভোট দিতে এসে সেলফি তোলার ধুম! এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের মনের ইচ্ছার কথা ভেবেই হয়তো জেলা প্রশাসনের মডেল বুথে করা হয়েছে সেলফি জোন। যদিও মডেল বুথ হিসাবে রয়েছে শিশুদের জন্য লজেন্স সর্বসাধারণের জন্য চা পানীয় জল অসুস্থদের জন্য ওয়ারেস এবং অন্যান্য প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা।  মহিলা ও শিশুদের বৃদ্ধদের বিশেষভাবে সক্ষমদের বসার জন্য রয়েছে অতিথি আসন। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে হুইল চেয়ার। এভাবেই সুসজ্জিত করা হয়েছে নদীয়ার (Nadia) শান্তিপুর শহরের মিউনিসিপাল উচ্চ বিদ্যালয়ের ১২৫ নম্বর  বুথ।  যদিও পার্শ্ববর্তী ১২৪ এবং ১২৬ নম্বর বুথে একই পরিষেবা বজায় আছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramakrishna 15: দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    Ramakrishna 15: দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে”

    নবম পরিচ্ছেদ

    চতুর্থ দর্শন

    যং লবধ্বা চাপরং লাভং মান্যতে নাধিকং ততঃ।

    যস্মিন্‌ স্থিতো ন দুঃখেন গরুণাপি বিচাল্যতে।। গীতা-৬/২২/

    তাহার পরদিনও ছুটি ছিল। বেলা তিনটার সময় মাস্টার আবার উপস্থিত। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ (Ramakrishna) সেই পূর্বপরিচিত ঘরে বসিয়া আছেন। মেঝেতে মাদুর পাতা। সেখানে নরেন্দ্র, ভবনাথ আরও দুই–একজন বসিয়া আছেন। কয়টিই ছোকরা, উনিশ-কুড়ি বৎসর বয়স। ঠাকুর সহাস্যবদন, ছোট তক্তপোশের উপর বসিয়া আছেন, আর ছোকরাদের সহিত আনন্দে কথাবার্তা কহিতেছেন।

    মাস্টার ঘরে প্রবেশ করিতেছেন দেখিয়াই ঠাকুর উচ্চহাস্য করিয়া ছোকরাদের বলিয়া উঠিলেন, “ওই রে আবার এসেছে।–বলিয়াই হাস্য। সকলে হাসিতে লাগিল। মাস্টার আসিয়া ভূমিষ্ট হইয়া প্রণাম করিয়া বসিলেন।–আগে হাতজড়ো করিয়া দাঁড়াইয়া প্রণাম করিতেন—ইংরেজি পড়া লোকেরা যেমন করে। কিন্তু আজ তিনি ভূমিষ্ঠ হইয়া প্রণাম করিতে শিখিয়াছেন। তিনি আসন গ্রহণ করিলে, শ্রীরামকৃষ্ণ কেন হাসিতেছিলেন, তাহাই নরেন্দ্রাদি ভক্তদের বুঝাইয়া দিতেছেন।

    দেখ, একটা ময়ূরকে বেলা চারটার সময় আফিম খাইয়ে দিচ্ছিল। তার পরদিন ঠিক চারটার সময় ময়ূরটা উপস্থিত—আফিমের মৌতাত ধরেছিল—ঠিক সময়ে আফিম খেতে এসেছে! (সকলের হাস্য)

    মাস্টার মনে মনে ভাবিতেছেন, ইনি ঠিক কথাই বলিতেছেন। বাড়িতে যাই কিন্তু দিবানিশি ইহার দিকে মন পড়িয়া থাকে–কখন দেখিব, কখন দেখিব। এখানে কে যেন টেনে আনলে! মনে করলে অন্য জায়গায় যাবার জো নাই, এখানে আসতেই হবে! এইরূপ ভাবিতেছেন, ঠাকুর (Ramakrishna) এদিকে ছোকরাগুলির সহিত অনেক ফষ্টিনষ্টি করতে লাগিলেন যেন তারা সমবয়স্ক। হাসির লহরী উঠিতে লাগিল। যেন আনন্দের হাট বসিয়াছে।

    মাস্টার অবাক হইয়া এই অদ্ভুত চরিত্র দেখিতেছেন। ভাবিতেছেন, ইহারই কি পূর্বদিনে সমাধি ও অদৃষ্টপূর্ব প্রেমানন্দ দেখিয়াছিলাম? সেই ব্যক্তি কি আজ প্রাকৃত লোকের ন্যায় ব্যবহার করিতেছেন? ইনিই কি আমায় প্রথম দিনে উপদেশ দিবার সময় তিরস্কার করিয়াছিলেন? ইনিই কি আমায় তুমি কি জ্ঞানী বলেছিলেন? ইনিই কি সাকার-নিরাকার দুই সত্য বলেছিলেন? ইনিই কি আমায় বলেছিলেন যে ঈশ্বরই (Ramakrishna) সত্য আর সংসারের সমস্তই অনিত্য? ইনিই কি আমায় সংসারে দাসীর মতো থাকতে বলেছিলেন।

    আরও পড়ুনঃ “জিজ্ঞাসা করাতে একজন ভক্ত বলিলেন, এর নাম সমাধি! মাস্টার এরূপ কখনও দেখেন নাই”

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৯ম পরিচ্ছেদ

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    BJP: বিকেল ৫টায় খুন করা হবে বিজেপির কর্মীদের, তৃণমূল বিধায়কের হুমকির পাল্টা হুঁশিয়ারি দিলীপেরও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চতুর্থ দফায় রাজ্যে লোকসভার ভোট গ্রহণ শুরু হতে দিকে দিকে অশান্তির খবর উঠে আসছে। লাগাতার বহরমপুর এবং বীরভূমে উত্তপ্ত হওয়ার খবর আসছে। এবার বর্ধমানের কাঞ্চনপুর এলাকায় বিজেপি (BJP) কর্মীদেরকে খুনের হুমকি দিয়েছে তৃণমূল বিধায়ক। বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিকেল পাঁচটার পরে বিজেপির লোকজনকে খুন করা হবে। বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভার বিধায়ক খোকন দাস এবং তাঁর দলবল এই হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পাল্টা তৃণমূলকে এই হুমকির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    আবার চতুর্থদফা নির্বাচনের দিনেই দুর্গাপুরের তুল্লাবাজার এলাকায় তৃণমূল দুষ্কৃতীদের আক্রমণে গাড়ির কাচ ভাঙল। বিক্ষোভের মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের। বুথে ঝামেলার কথা জানতে পেরে ছুটে যান তিনি। এরপর তাঁর গাড়িকে লক্ষ্য করে চলে ইটবৃষ্টি। আধলা ইট মেরে ভেঙে দেওয়া হয় সংবাদ মধ্যমের গাড়ি। একই ভাবে দিলীপ ঘোষকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া হয় গো-ব্যাক স্লোগান।

    কী বললেন দিলীপ (BJP)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন সকালেই বেলেপুকুর প্রাইমারি স্কুলে আসেন দিলীপ ঘোষ। কর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন আর সেখানেই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তিনি। তিনি বলেন, “বর্ধমান দুর্গাপুরে এই খুনোখুনি হতে দেবো না। সেই কারণেই আমি এলাকা ঘুরছি। বিজেপি (BJP) কর্মীদের পাশে আমি সবসময় রয়েছি। এই খোকন দাস একজন ছিঁছকে মস্তান। কাউন্সিলরের মতো ব্যবহার করছেন। এলাকায় কাটমানি তোলে, এলাকায় মানুষকে ভয় দেখায়। খুনের হুমকি দিয়ে বেড়ায়।” তাঁকে ঘিরে তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে তিনি বলেন,“রাজ্যের দুষ্কৃতীরা ভোট নিয়ন্ত্রণ করছে। বিজেপি কর্মীদের মেরে বার করে দেওয়া হয়েছে। এলাকার মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। পুলিশ দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে সবটাই দেখছে।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগের রাতেই খুন তৃণমূল কর্মী! পরিবারের দাবি দলের গোষ্ঠীকোন্দল

    ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব

    একই ভাবে তৃণমূল নেতা খোকন দাসের হুমকির উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলার বিজেপি (BJP) নেতা অভিলাস দাস বলেন, “এখানে এসে এই তৃণমূল নেতা হুমকি দিয়ে গিয়েছেন। ওঁর গুন্ডারা বলেছে বিজেপির ছেলেদের কেটে ফেলবে। সবাইকে মাটির নিচে পুঁতে দেবে। এলাকার মহিলাদের হুমকি দেওয়া হয়েছে। ওঁর ড্রাইভার বাজারে দাঁড়িয়ে মহিলাদের হুমকি দিয়েছে। ওঁদের এত বড় ক্ষমতা, কত বড় হনু হয়েছে আমরাও দেখব? একই ভাবে আমার বউকে হুমকি দিয়েছে। আমরাও ৫ টা পর্যন্ত এখানেই থাকব দেখি কী করে এই তৃণমূল নেতা।” চতুর্থ দফায় আজ এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    Lok Sabha Election 2024: বসিরহাট নিয়ে বাড়তি সতর্কতা কমিশনের! ভোটে রেকর্ড সংখ্যক বাহিনী থাকার সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আবহ। ইতিমধ্যেই প্রথম তিন দফার ভোট শেষ হয়েছে। আজ অর্থাৎ সোমবার রয়েছে চতুর্থ দফার ভোট। প্রথম তিন দফার ভোটে সেরকম কোনো অশান্তির ছবি সামনে আসেনি। কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ছাড়া ভোটকে কেন্দ্র করে কোন বড় ঘটনা ঘটেনি। অর্থাৎ যথাযথভাবে নির্বাচন কমিশন তার দায়িত্ব পালন করেছে। উল্লেখ্য এবছর লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে হাইভোল্টেজ এলাকা ছিল সন্দেশখালি। বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এই সন্দেশখালি তে ভোট রয়েছে সপ্তম দফায়। তাই এখন থেকেই আঁটো সাঁটো  নিরাপত্তার প্রস্তুতি নিচ্ছে নির্বাচন কমিশন।

    রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন 

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, সপ্তম দফায় শুধুমাত্র বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রেই রেকর্ড সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন থাকবে। সঙ্গে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রের একাধিক যে দ্বীপ এলাকাগুলিতে ভোট (Lok Sabha Election 2024) রয়েছে, সেই এলাকাগুলিতে আগে থেকেই কিউআরটি মোতায়েন করা হবে।

    হাইভোল্টেজ সন্দেশখালি (Lok Sabha Election 2024)

     ১ জুন অর্থাৎ শেষ দফায় ভোট রয়েছে বসিরহাট কেন্দ্রে। সন্দেশখালির ঘটনার পর থেকে বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে এই কেন্দ্রের নিরাপত্তার বিষয়ে। অন্যদিকে ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মরশুমে রবিবার সকালেও নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সন্দেশখালি এলাকা। এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনায় উদ্বিগ্ন মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। ইতিমধ্যেই এই ঘটনার অ্যাকশন টেকেন রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে সংশ্লিষ্ট জেলা শাসক তথা জেলার নির্বাচনী আধিকারিক থেকে। এই রিপোর্ট আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দফতরে পাঠাতে হবে জেলাশাসককে। 

    আরও পড়ুন: ‘‘আসুন, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করি’’, চতুর্থ দফায় ভোট দানের আর্জি প্রধানমন্ত্রী মোদির

    অন্যদিকে আবার দ্বিতীয় দফার ভোট (Lok Sabha Election 2024) চলাকালীন সিবিআই-এর তল্লাশি অভিযান এবং এনএসজি কমান্ডোদের রোবট নামিয়ে অস্ত্র এবং বোমা উদ্ধারের ঘটনায় প্রথম থেকেই চিন্তায় মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দফতর। শুধুমাত্র দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলাকালীনই নয় তারপর একাধিক ঘটনা ঘটেছে সন্দেশখালিতে। একদিকে যেমন অস্ত্র উদ্ধার অন্যদিকে, একাধিক ভিডিয়ো সামনে এসেছে। যা নিয়ে উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। 
    এই পরিস্থিতিতে কী ভাবে বসিরহাট (Basirhat) লোকসভা কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন (Lok Sabha Election 2024) হবে সেটাই পাখির চোখ নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকদের কাছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    Birbhum: বীরভূমে ভোট কিনতে শাড়ি, টাকা বিলি! এলাকার মানুষের তাড়া খেলে ছুটে পালালেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেষ্ট গড়ে তৃণমূলের শক্ত জমি আলগা হয়ে গিয়েছে। এমনই দাবি বিরোধীদের। শাসক দলের নেতাদের একাংশ সেটা জানেন। আর তাই ভোটের আগের দিন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে গ্রামে টাকা, কাপড় বিলির অভিযোগ। আর তা ঘিরেই তুমুল হইচই বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের তাড়া খেয়ে চটি ফেলে মোটর সাইকেল নিয়ে কোনক্রমে পালিয়ে বাঁচলেন মহম্মদবাজার পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সোমনাথ ঘোষ। তৃণমূল নেতার ছুটে পালানো দেখে এলাকার লোকজনও নিজেদের মধ্যে হাসাহাসি করেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) মহম্মদবাজার বসন্তপুর এলাকায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে রয়েছে অধিকাংশ মানুষ। দলের পক্ষে ভোট করাতে উদ্যোগী হন তৃণমূল নেতা তথা পুরাতন গ্রামপঞ্চায়েতের তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা সোমনাথ ঘোষ। অভিযোগ, রবিবার বসন্তপুর গ্রামে ভোটারদের প্রলোভন দেখিয়ে ভোটব্যাঙ্ক নিশ্চিত করার কাজ করছিলেন তিনি। টাকা ও শাড়ি বিলি করছিলেন বলেও দাবি করে বিজেপি। এরপরই এলাকার লোকজন তাঁকে ঘিরে ধরেন। তিনি সেখান থেকে ছুটে পালান তৃণমূল নেতা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সোমনাথ। তিনি বলেন, জমিতে ধান কাটার লোকজনের জন্য আমি গিয়েছিলাম। সেই সময় বিজেপির কিছু ছেলে দল বেঁধে এসে আমার ওপর আক্রমণ করে। অভিযোগ করে আমি টাকা বিলি আর কাপড় বিলি করছে। যদি কাপড় বা টাকা বিলি করার একটা প্রমাণও দেখাতে পারে যা অভিযোগ করবে মেনে নেব। কিন্তু এর কোনও প্রমাণ নেই। বিজেপির ছেলেরা আগে থেকেই টার্গেট করে রেখেছিল আমাকে হেনস্থা করার। তাই হেনস্থা করেছে। আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    মহম্মদবাজারের (Birbhum) মণ্ডল-৩-এর বিজেপি নেতা নেতা উত্তম দাস বলেন,  “তৃণমূলের সোমনাথ ঘোষ তেঁতুলবেড়িয়া থেকে এসে কাপড়, টাকা বিলি করছিলেন। গ্রামবাসী আমাকে খবর দেয়। গ্রামের লোকেরা একেবারে ঘিরে নেন ওনাকে। এরপরই তিনি ছুটে একজনের  বাড়িতে ঢুকে পড়েন। পরে পুলিশ এসে বের করে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share