Author: user

  • Rahul Gandhi: “শীর্ষ পদে পৌঁছানোর আগে রায়বরেলিতে জিতুন”, রাহুলকে ‘পরামর্শ’ কাসপারভের

    Rahul Gandhi: “শীর্ষ পদে পৌঁছানোর আগে রায়বরেলিতে জিতুন”, রাহুলকে ‘পরামর্শ’ কাসপারভের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “শীর্ষ পদে পৌঁছানোর আগে রায়বরেলি কেন্দ্র থেকে জিতুন।” এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) এমনই ‘পরামর্শ’ দিয়েছেন কিংবদন্তী সুপার গ্রান্ডমাস্টার গ্যারি কাসপারভ। পরে অবশ্য এই দাবাড়ু জানান, নিছক মজার করার উদ্দেশেই এই মন্তব্য করেছেন তিনি। একে মজা হিসেবেই দেখা উচিত।

    কী বললেন কাসপারভ? (Rahul Gandhi)

    একেবারে শেষ মুহূর্তে উত্তরপ্রদেশের রায়বরেলি লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে রাহুলের নাম ঘোষণা করে কংগ্রেস। শুক্রবারই মনোনয়নপত্রও জমা দিয়েছেন তিনি। এদিনই রাহুলকে নিয়ে মন্তব্য করেছেন দাবাখেলার প্রাক্তন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। সম্প্রতি লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময় এক সাক্ষাৎকারে দাবা খেলার প্রতি আকর্ষণের কথা জানিয়ে কাসপারভকে প্রিয় দাবাড়ু বলে বর্ণনা করেছিলেন রাহুল (Rahul Gandhi)। দাবা ও রাজনীতির তুলনাও করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “প্রতিপক্ষের ওপর কাসপারভ যে চাপের কৌশল প্রয়োগ করেন, তা অত্যন্ত কার্যকরী।”

    রাহুলের দাবা-প্রেম!

    দাবায় বিশ্বজয় করতে পারলেও, রাজনীতির ময়দানে চূড়ান্ত ব্যর্থ কাসপারভ। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বিরোধিতায় আন্দোলনে নেমে গ্রেফতার হওয়ার পরে দেশ ছাড়তে হয়েছিল তাঁকে। সম্প্রতি তাঁকে জঙ্গি তকমাও দিয়েছে পুতিনের সরকার। সেই তিনিই রাহুলকে দিয়েছেন ‘পরামর্শ’! সম্প্রতি কংগ্রেসের তরফে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়। তাতে দেখা যায়, প্রচারের ফাঁকে মোবাইলে দাবা খেলছেন রাহুল। এখানে উল্লেখ করা হয় রাহুলের প্রিয় খেলা এবং প্রিয় দাবাড়ুর নাম। এই ভিডিওতে রাহুল নিজেকে রাজনীতিকদের মধ্যে সেরা দাবা খেলোয়াড় বলেও উল্লেখ করেন।

    আরও পড়ুুন: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    রাহুল দাবা ও রাজনীতিকে সমানভাবে দেখানোর চেষ্টা করেছিলেন। এ ব্যাপারে কাসপারভ বলেন, “গান্ধী বলেছিলেন দাবায় কেউ কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করছে, তা ধারণা করে নেওয়া যায়। কিন্তু যদি কেউ কেন্দ্রকে না বোঝে, তাহলে সে সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ করতে পারে না। একইভাবে রাজনীতিতে কেউই কী করতে চলেছে, সে সম্পর্কে যদি পরিষ্কার ধারণা না থাকে, তাহলে বলা যায় তিনি কেন্দ্রকে বুঝতে পারছেন না।” প্রসঙ্গত, বয়সের কারণে এবার রায়বরেলিতে প্রার্থী হচ্ছেন না সোনিয়া গান্ধী। তাঁর বদলে প্রার্থী হচ্ছেন রাহুল। এর পাশাপাশি রাহুল (Rahul Gandhi) প্রার্থী হয়েছেন কেরলের ওয়েনাড়েও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: এবার ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    Lok Sabha Election 2024: এবার ডায়মন্ড হারবার ও আনন্দপুর থানার ওসিকে সরিয়ে দিল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃতীয় দফা নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2024) আগেই ফের ২ পুলিশ আধিকারিকের বদলি। এবার নির্বাচন কমিশন ডায়মন্ড হারবার এবং আনন্দপুর থানার ওসিকে বদল করল। গতকাল শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে এক নির্দেশিকায় এই বদলির কথা জানানো হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই দুই ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে বিজেপি আগেই সরব হয়েছে। তবে এই প্রথম নয় ইতিপূর্বে মুর্শিদবাদে অশান্তির ঘটনায় পুলিশ আধিকারিকে বদল করছে নির্বাচন কমিশন। আগেও একাধিক জেলার জেলা শাসককেও বদলি করার নির্দেশ দিয়েছিল কমিশন।

    তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ ছিল (Lok Sabha Election 2024)!

    নির্বাচন কমিশন রাজ্য প্রশাসনের কর্তব্য বিষয়ে যথেষ্ট তৎপর। এই দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে পক্ষপাত দোষের অভিযোগ রয়েছে। নির্বাচন কমিশন (Lok Sabha Election 2024)  সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দুই পুলিশ অফিসারকে নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত নয় এমন পদে বদলি করা হবে। তাঁদের পরিবর্তে ৩ জন পুলিশ আধিকারিকের নাম রাজ্যের কাছ থেকে জানতে চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। এই ডায়মন্ড হারবার থানার ওসির নাম হল শুভাশিস ঘোষ এবং আনন্দপুর থানার ওসির নাম হল সুমন কুমার দে। বিজেপি অবশ্য আগেই তাঁদের বিরুদ্ধে কমিশনের কাছে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ জানিয়েছিল।

    আরও পড়ুনঃ প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ

    উল্লেখ্য এই সপ্তাহেই আনন্দপুর থানা এলাকায় বিজেপির মহিলা বুথ সভাপতিকে ব্যাপক মারধর করেছিল তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। এলাকায় বিজেপির পতাকা লাগানোকে ঘিরে তৃণমূলের বেশ কিছু গুন্ডা ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে ওঁই মহিলাকে। এরপর মহিলা কর্মীর মাথা ফেটে প্রচুর রক্তাক্ত হয়। প্রতিবাদে দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরী, আক্রান্ত মহিলাকে সঙ্গে নিয়ে আনন্দপুর থানায় অবস্থান বিক্ষোভ করেন। ওসির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি প্রার্থী। এরপর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ঘটনার জল গড়ায় নির্বাচন কমিশনে (Lok Sabha Election 2024)। অপর দিকে তৃণমূল নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র হল ডায়মন্ড হারবার। সেখানেও পুলিশ আধিকারিক নিরপেক্ষ নয় বলে বিজেপি অভিযোগ জানিয়েছে আগেই। কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ছিল দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। এই দুই কেন্দ্রের ভোট গ্রহণ আগামী ১ জুন।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    Murshidabad: প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” মন্তব্য হুমায়ুনের, শক্তিপুর থানায় এফআইআর বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী জনসভায় প্রকাশ্যে “হিন্দু বিরোধী” বক্তব্য রেখেছিলেন মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর। সেই ভিডিও রাজ্যজুড়ে ভাইরাল হয়ে যায়। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। খোদ প্রধানমন্ত্রী বঙ্গ সফরে এসে তৃণমূল বিধায়কের ওই বক্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন। এবার “হিন্দু বিদ্বেষমূলক” মন্তব্য করার অভিযোগে হুমায়ুনের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল বিজেপি।

    ঠিক কী বলেছিলেন হুমায়ুন?

    পয়লা মে সন্ধ্যায় শক্তিপুরের তৃণমূলের নির্বাচী সভায় হুমায়ুন কবীরকে বলতে শোনা যায়, ‘২ ঘণ্টার মধ্যে যদি তোমাদের ভাগীরথীতে না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো, ৩০ শতাংশ লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ। এখানে কামনগরে তোমরা বেশি আছো বলে কাজিপাড়ার মসজিদ ভাঙবে? আর বাকি এলাকায় মুসলিম ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনও দিন হবে না, বিজেপিকে আমি বলছি’।

    বাংলায় হিন্দুদের দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক করে রেখেছে তৃণমূল

    গত ১ মে সন্ধ্যার ওই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে শুক্রবার ভোটপ্রচারে রাজ্যে এসে তৃণমূলকে আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, ‘আমি কাল টিভিতে দেখলাম, এখানে বাংলায় তৃণমূলের এক বিধায়ক প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছে। তিনি বলছিলেন, হিন্দুদের ২ ঘণ্টায় ভাগীরথিতে ভাসিয়ে দেব। এটা কী ধরণের ভাষা? কী ধরণের রাজনৈতিক সংস্কৃতি? হিন্দুদের ভাসিয়ে দেবে? সত্যিই, কী হাল হয়েছে! বাংলায় হিন্দুদের সঙ্গে কী হচ্ছে? মনে হচ্ছে বাংলায় হিন্দুদের তৃণমূলের সরকার দ্বিতীয় স্তরের নাগরিক করে রেখেছে’।

    হুমায়ুনের ভিডিও শেয়ার করে ট্যুইট করেছেন অমিত মালব্য

    হুমায়ুন কবীরের ভিডিও শেয়ার করে বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য লেখেন, “শক্তিপুরে বুথ ওয়ার্কার সম্মেলনে ভরতপুরের তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘দু’ঘণ্টার মধ্যে আমি যদি বিজেপিকে ভাগীরথী নদীতে না ফেলতে পারি, তাহলে আমি রাজনীতি ছেড়ে দেব। আমি তোমাদের শক্তিপুর এলাকায় থাকতে দেব না (এই এলাকার বেশিরভাগ হিন্দুরাই উদ্বাস্তু। ধর্মীয় উৎপীড়ন থেকে বাঁচতে বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে এসেছিলেন। মুর্শিদাবাদে হিন্দুরা হলেন সংখ্যালঘিষ্ঠ। মাত্র ২৮%। আর তাঁদের এসব কথা বলা হচ্ছে। তাহলে ভাবুন যদি গোটা বাংলায় তাঁরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হয়ে যান, তাহলে তাঁদের সঙ্গে কী হবে। পশ্চিমবঙ্গে তোষণের রাজনীতি এখন আরও নীচে নেমে গিয়েছে। সৌজন্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিকদের থেকেও খারাপ দশা বাংলার হিন্দুদের। এই বিধায়ককে দল থেকে বের করে দেওয়ার সাহস কি উনি দেখাবেন? যে সকল বুদ্ধিজীবীরা নিয়মিত হিন্দুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগড়ান, তাঁরা কি এবার একটাও শব্দ বলবেন?”

    </


    >

    হুমায়ুনের নামে শক্তিপুর থানায় অভিযোগ বিজেপির

    বিজেপির তরফে অভিযোগ দায়ের করেছেন শক্তিপুরে বিজেপির মণ্ডল সভাপতি গোকুল বিহারী ঘোষ। অভিযোগপত্রে তিনি জানিয়েছেন, “গত ১ মে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬টা নাগাদ শক্তিপুর সবজি মার্কেটে এক সভায় ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবীর যে বক্তব্য রেখেছেন, তাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বিঘ্ন ঘটতে পারে। তিনি ২ ঘণ্টার মধ্যে হিন্দুদের ভাগীরথীতে ফেলে দেবেন বলে হুমকি দিয়েছেন। তাই অবিলম্বে তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হোক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Hamida Banu: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    Hamida Banu: হামিদা বানুর লড়াইকে কুর্নিশ গুগল ডুডুলের, চেনেন এই মহিয়সীকে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হামিদা বানুকে (Hamida Banu) মনে আছে? মনে না থাকলেও অবশ্য ক্ষতি নেই। ভারতীয় এই মহিয়সীকে মনে করিয়ে দিচ্ছে গুগলের ডুডুল (Google Doodle)। পুরুষ-দাপিত মল্লযুদ্ধের যুগে তিনিই প্রথম ভারতীয় মহিলা, যিনি দাপিয়ে বেড়িয়েছেন চার-পাঁচের দশক। তিনি ভারতের প্রথম প্রফেশনাল মহিলা মল্লযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত। চার-পাঁচের দশকে ভারতের মতো পুরুষ-শাসিত সমাজে বেড়া ভাঙার কাজটা সহজ ছিল না। এই কঠিন কাজটাই করে দেখিয়েছেন হামিদা।

    হামিদার চ্যালেঞ্জ (Hamida Banu)

    ১৯৫৪ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বছর তিরিশের হামিদা (Hamida Banu) জানিয়েছিলেন, যে পুরুষ মল্লযুদ্ধে হারাতে পারবেন তাঁকে, তাঁরই গলায় বরমাল্য দেবেন তিনি। কেবল বলাই নয়, তিনি যে পুরুষের কাছেও অপরাজেয়, কাজেও তা করিয়ে দেখিয়েছিলেন হামিদা। দুই পুরুষ পদকজয়ীকে আক্ষরিক অর্থেই ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা। এঁদের মধ্যে একজন পাতিয়ালা থেকে, অন্যজন খাস কলকাতার। সেই বছরই ভাদোদরায় তৃতীয় ম্যাচে হামিদা লড়েছিলেন বাবা পালোয়ানের সঙ্গে। মাত্র ১ মিনিট ৩৪ সেকেন্ডে তাঁকেও ধরাশায়ী করেছিলেন হামিদা।

    হামিদার দৈনিক খাদ্য তালিকা (Hamida Banu)

    অন্য এক প্রতিদ্বন্দ্বী তো আবার মহিলা বলে হামিদার (Hamida Banu) সঙ্গে লড়াই করতেই চাননি! প্রায় এক দশক ধরে অপরাজেয়ই ছিলেন হামিদা। খবরের কাগজগুলো তাঁকে ‘আমাজন অফ আলিগড়’ অভিধায় ভূষিত করেছিল। ১৯৫৪ সালে হামিদা (Hamida Banu) হারিয়েছিলেন ভেরা চিস্তিলিনকে। তাঁকে বলা হত রাশিয়ার ‘মহিলা ভালুক’। সেই ভালুককেই হামিদা মাত দিয়েছিলেন এক মিনিটেরও কম সময়ে। হামিদার জয়ের কাহিনি বারংবার হেডলাইন হয়েছে খবরের কাগজগুলোতে। তাঁর উচ্চতা ৫ ফুট ৩ ইঞ্চি, ওজন ১০৮ কেজি। শক্তি ধরে রাখতে প্রতিদিন ৫.৬ লিটার দুধ খেতেন তিনি। ফলের রস খেতেন ১.৮ লিটার। স্যুপ খেতেন ২.৮ লিটার।

    আরও পড়ুুন: প্রার্থী হতে পারলেও, ভোট দিতে পারবেন না বন্দিরা, কেন জানেন?

    খাসির মাংস আর আমন্ড খেতেন প্রায় এক কিলো করে। একটা করে মুরগিও খেতেন, আর খেতেন দুটো করে পাঁউরুটি। তাঁর দৈনিক খাদ্য তালিকায় ছিল ৫০০ গ্রাম বাটার, ৬টি ডিম এবং দু’প্লেট বিরিয়ানি। প্রতিদিন ঘুমোতেন ৯ ঘণ্টা করে। অনুশীলন করতেন ৬ ঘণ্টা ধরে। এই অনুশীলনই তাঁকে পৌঁছে দিয়েছিল সাফল্যের শিখরে। যে সাফল্য এবং লড়াইকে কুর্নিশ করল গুগল, ডুডুলে ছবি দিয়ে (Google Doodle)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ০৪/০৫/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ০৪/০৫/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) আজকের দিনটি খুবই ভালো।

    ২) কর্মক্ষেত্রে ভাবমূর্তি উন্নত হবে।

    ৩) নিজের কাজের চেয়ে বেশি অন্যের কাজে মনোনিবেশ করবেন।

    বৃষ

    ১) স্বাস্থ্য কিছুটা খারাপ থাকবে।

    ২) অপ্রত্যাশিত লাভ অর্জন করায় আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যদের পরামর্শ মতো কাজ করে সুনাম অর্জন করবেন।

    মিথুন

    ১) সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে বড়সড় অভিজ্ঞতার ফলে মন প্রসন্ন হবে।

    ৩) ব্যবসায়ীরা বড় মুনাফা লাভের চেষ্টায় ছোটখাটো লাভের সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

    কর্কট

    ১) আজ কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২)  চাকরিজীবীরা ভালো প্রদর্শন করে মন দয় করতে সফল হবেন।

    ৩) বাণী ও ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অন্যান্য দিনের তুলনায় ভালো থাকবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সাবধান ও সতর্ক থাকুন।

    ৩) জুনিয়রদের হাতে কোনও কাজ ছাড়লে তাঁরা তাতে বড়সড় ভুল করতে পারে।

    কন্যা

    ১) বরিষ্ঠ সদস্য আপনার কাছে কোনও জিজ্ঞাসাবাদ করলে তার উত্তর দেবেন।

    ২) আপনার পুরনো ভুল সকলের সামনে আসতে পারে।

    ৩)  ছাত্রছাত্রীরা কাজের কারণে চিন্তিত থাকলে স্বস্তি পাবেন।

    তুলা

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল।

    ২) সাহস ও পরাক্রম বৃদ্ধি পাবে।

    ৩) পদোন্নতি সম্ভব।

    বৃশ্চিক

    ১) আজকের দিনটি উন্নতিদায়ক।

    ২) পরিজনদের পরামর্শে লাভবান হবেন।

    ৩) পরিবারের সদস্যের কোনও কথা খারাপ লাগতে পারে।

    ধনু

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২)  নতুন সম্পর্কের দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ৩) রক্তের সম্পর্ক মবুত হবে।

    মকর

    ১) আজ সময়ের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করবেন।

    ২)  ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে। 

    ৩) তাড়াহুড়োয় কোনও কাজ করবেন না।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি ভালো।

    ২) কোনও বড় অভিজ্ঞতা অর্জন করায় মন প্রসন্ন থাকবে।

    ৩) আয়ের নতুন উৎস পাবেন।

    মীন

    ১) আজকের দিনটি ইতিবাচক পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২)  ব্যবসাতে মন্দার কারণে চিন্তিত থাকলে ভালো মুনাফা অর্জন করতে পারেন।

    ৩) পৈতৃক সম্পত্তি সংক্রান্ত মামলা চললে তাতে জয় লাভ করবেন।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Rohith Vemula: দলিত ছিলেন না রোহিত ভেমুলা, পরিচয় ফাঁসের ভয়েই আত্মহত্যা, আদালতে রিপোর্ট জমা পুলিশের

    Rohith Vemula: দলিত ছিলেন না রোহিত ভেমুলা, পরিচয় ফাঁসের ভয়েই আত্মহত্যা, আদালতে রিপোর্ট জমা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রোহিত ভেমুলা (Rohith Vemula) দলিত ছিলেন না। প্রকৃত পরিচয় ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়েই আত্মহত্যা করেছিলেন। কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য তেলঙ্গনার পুলিশ এমনই রিপোর্ট জমা করল আদালতে। এর পাশাপাশি পুলিশ রিপোর্ট মোতাবেক, জালিয়াতি করেই সার্টিফিকেট বের করেছিল রোহিতের পরিবার। ভেমুলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্তের ফাইল ‘ক্লোজ’ করে শুক্রবারই তেলঙ্গানা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশের তরফে যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে, সেখানেই সেই দাবি করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেকেন্দ্রবাদের তৎকালীন সাংসদ বান্দারু দত্তাত্রেয়, হায়দরাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আপ্পা রাও, তৎকালীন কেন্দ্রীয় নারী ও শিশুকল্যাণ মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) নেতাদেরও ক্লিনচিট দেওয়া হয়েছে।

    জাল শংসাপত্র

    পুলিশের রিপোর্টে জানানো হয়েছে যে রোহিতের পরিবারের যে জাতিগত শংসাপত্র ছিল, সেটা জালিয়াতি করা হয়েছিল। উপযুক্ত প্রমাণের (Rohith Vemula) অভাবে সেই মামলার তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে। অর্থাৎ তদন্তের ফাইল ‘ক্লোজ’ করে দেওয়া হচ্ছে বলে তেলঙ্গানা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে। 

    রোহিত ভেমুলার আত্মহত্যার ঘটনা

    ২০১৬ সালে আত্মহত্যা করেছিলেন রোহিত ভেমুলা (Rohith Vemula)। সেসময় বামপন্থী- অতি বামপন্থীরা একযোগে মোদি সরকারের বিরুদ্ধে দলিত বঞ্চনার অভিযোগ তুলে রাস্তায় নামে। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে দলিতদের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছিল। পরবর্তীতে সেই মামলার জল অনেকদূর বিস্তৃত গড়িয়েছে। আর শেষপর্যন্ত রোহিতের মৃত্যুর আট বছর পরে তদন্তের ফাইল ‘ক্লোজ’ করে দেওয়ার পথে হাঁটল তেলঙ্গানা পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে এল প্রকৃত সত্য।

    কংগ্রেসও প্রতিবাদ করেছিল

    তদন্ত যে রাজনৈতিক প্রাভাবিত, এমন অভিযোগও তুলতে পারবেন না, রোহিতের পরিবার, কারণ তেলঙ্গনায় বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। সেই সময় প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও ঘটনার প্রতিবাদ করেছিলেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারও দাবি করেছিলেন। রাহুল প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। সেই সময় কংগ্রেসের তরফে ‘জাস্টিস ফর ভেমুলা ক্যাম্পেইন’ সমর্থন করেছলেন রাহুল। 

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Shaksgam Valley: শাক্‌সগাম ভারতের অংশ, চিনা নির্মাণ প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক

    Shaksgam Valley: শাক্‌সগাম ভারতের অংশ, চিনা নির্মাণ প্রকাশ্যে আসতেই বিবৃতি দিল বিদেশ মন্ত্রক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাদাখে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বদিকে অবস্থিত শাক্‌সগাম উপত্যকা (Shaksgam Valley)। সেখানেই চিনা পিপল্‌স লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)-র সড়ক এবং সুড়ঙ্গ নির্মাণের খবর প্রকাশ্যে এসেছিল সপ্তাহ খানেক আগেই। মিলেছিল বিদেশি কয়েকটি সংস্থার তোলা উপগ্রহচিত্রও। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিবৃতিতে বলা হল, ‘‘শাক্‌সগাম উপত্যকা ভারতের অংশ।’’

    ১৯৬৩ সালে  শাক্‌সগাম (Shaksgam Valley) এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ

    পাক অধিকৃত ভারতীয় ভূখণ্ডে শাক্‌সগাম (Shaksgam Valley) এলাকায় সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের চিন সেনার কর্মকাণ্ড নিয়ে এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে প্রকাশিত হয়েছিল নতুন উপগ্রহচিত্র। তাতে দেখা গিয়েছে, সেখানে স্থায়ী নির্মাণ চালাচ্ছে চিনা ফৌজ। তৈরি হচ্ছে সড়ক এবং সুড়ঙ্গপথ! প্রসঙ্গত, ১৯৪৮ সালেই অবিভক্ত জম্মু ও কাশ্মীরের ওই এলাকা দখল করেছিল পাক সেনা। ১৯৬৩ সালে সিয়াচেন হিমবাহের পূর্বপ্রান্তের শাক্‌সগাম এলাকা চিনের হাতে তুলে দিয়েছিল ইসলামাবাদ।

    ১৩০০ কিলোমিটার‘বাই লেন’ মহাসড়ক

    বছর কয়েক আগে প্যাংগং হ্রদের উত্তর এবং দক্ষিণ তীর জুড়ে চিনা ফৌজকে সেতু নির্মাণ করতে দেখা গিয়েছিল উপগ্রহচিত্রে। এর পরেই দেখা গিয়েছিল আকসাই চিন এলাকায় চিন সেনা স্থায়ী বাঙ্কার এবং বড় সুড়ঙ্গ তৈরি করছে। ভবিষ্যতে সংঘাতের পরিস্থিতির মোকাবিলার লক্ষ্যে শি জিনপিংয়ের সেনার এই পদক্ষেপ বলে ধারণা ভারতের। পশ্চিম চিনের শিনজিয়াং প্রদেশের কাশগড় থেকে দক্ষিণ পাকিস্তান পর্যস্ত বিস্তৃত কারাকোরাম হাইওয়ে গিয়েছে শাক্‌সগাম উপত্যকার অদূর থেকেই। ১৩০০ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ‘বাই লেন’ মহাসড়ক।

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা কী মনে করছেন

    প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের (Shaksgam Valley) একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দ্রুত সেনা এবং সামরিক সরঞ্জাম পরিবহণের জন্যই শাক্‌সগাম থেকে সিপিইসি সংযোগকারী রাস্তা বানাচ্ছে চিনা ফৌজ। যা ভারতের পক্ষে উদ্বেগজনক। এখানেই শেষ নয়, পাশাপাশি নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গগুলিতে সম্ভাব্য যুদ্ধ পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সেনার পাশাপাশি ভারী অস্ত্রশস্ত্র এবং বিপুল পরিমাণ রসদ মজুত রাখার ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে বলেও তাঁদের অনুমান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    Narendra Modi: “রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল,” বীরভূমে ভোট প্রচারে বিস্ফোরক মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এই রাজ্যে দুর্নীতির দোকান খুলে বসেছে তৃণমূল। তৃণমূল নেতারা দুর্নীতিতে রেকর্ড করেছে। শুক্রবার বোলপুরে বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহা ও বীরভূমের বিজেপি প্রার্থী দেবতনু ভট্টাচার্যের সমর্থনে বক্তব্য রাখতে এসে রাজ্যের শাসক দলকে এভাবেই তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সন্দেশখালির ঘটনা নিয়েও তৃণমূলকে কড়া আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, সন্দেশখালি যে ঘটনা ঘটেছে তা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতারা সবকিছু জানত।

    ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    মোদি (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূলের তোলাবাজি চলতে দেব না। এটা মোদীর গ্যারান্টি। সমস্ত লুঠ, সমস্ত দুর্নীতির তদন্ত হবেই। বাংলার বিকাশের জন্য সব বুথে বিজেপিকে জেতাতে হবে। প্রিয়া সাহা, দেবতনু ভট্টাচার্যকে জেতাতে হবে। তাঁরা যে ভোট পাবেন তাতে মোদির শক্তি বাড়বে। প্রতিটা ভোট মোদির খাতায় যাবে। তিনি বলেন, শিক্ষকরা ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ তৈরি করে। তৃণমূল তাতেও দুর্নীতি করেছে। শিক্ষকদের চাকরি তো গিয়েছে, সঙ্গে সঙ্গে ছোটদের ভবিষ্যৎ নষ্ট করে দিয়েছে তৃণমূল সরকার।

    আরও পড়ুন: “নামটা শাহজাহান বলেই কি বাঁচানোর চেষ্টা!,” সংখ্যালঘু ইস্যুতে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    দেশে তৃণমূল ১৫টি আসন, কংগ্রেস ৫০টি আসন পাবে!

    এদিন নদিয়ার তেহট্টের শ্যামনগরে কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী রানিমা অমৃতা রায় ও রানাঘাটের দলীয় প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে জনসভা করেন প্রধানমন্ত্রী। মঞ্চে উঠে প্রায় ২৫ মিনিট বক্তব্য রাখেন মোদি। বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি (Narendra Modi) বলেন, গোটা দেশজুড়ে তৃণমূল ১৫টির বেশি আসন পাবে না। আর কংগ্রেসকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, কংগ্রেসের যা অবস্থা তাতে হাফ সেঞ্চুরি পার করতে পারবে না কংগ্রেস। সেই কারণে এ বছর একমাত্র সরকার গড়তে পারে বিজেপির এনডিএ সরকার। পাশাপাশি বাম মোর্চার লাল ঝান্ডা বিলীন হয়ে গিয়েছে বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, এবারের লোকসভা নির্বাচনে এনডিএ সরকার এলে দেশে আরও উন্নয়ন হবে। তৃণমূল যেভাবে তোলাবাজি করেছে আর মহিলাদের ওপর অত্যাচার করেছে, তাতে এবার সাধারণ মানুষ তৃণমূলকে সাজা দিতে চায়। গ্রাম কিংবা শহর সবাই একই কথা বলছে, এইবার মোদি সরকার। তিনি বলেন, কৃষ্ণনগর এবং রানাঘাটের সাধারণ মানুষকে গ্যারান্টি দিচ্ছি, যেখানে যেখানে তৃণমূল তোলাবাজি করেছে সেই টাকার হিসাব নেওয়া হবে। সেই টাকা সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে। সিএএ নিয়েও তৃণমূলকে আক্রমণ করেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, তৃণমূল যতই চেষ্টা করুক সিএএ লাগু হওয়া থেকে আটকাতে পারবে না। সাধারণ মানুষ তাদের প্রাপ্য অধিকার পাবে। তিনি বলেন, তৃণমূল কখনও সাংবিধান মেনে কাজ করে না।

    হুমায়ুন কবীরের সমালোচনা করলেন মোদি

    দুদিন আগে মুর্শিদাবাদের শক্তিপুরে দলীয় সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেছিলেন, মুর্শিদাবাদ জেলায় আমরা ৭০ শতাংশ রয়েছি। আর তোমরা ৩০ শতাংশ রয়েছ। মনে করলে দুঘণ্টার মধ্যে ভাগীরথীর জলে ফেলে দিতে পারি। নাম না করে হিন্দুদের হুঁশিয়ারি দেওয়ার এই ভিডিও ভাইরাল হয়ে যায়। এদিন প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, তৃণমূল বিধায়ক প্রকাশ্যে হিন্দুদের জলে ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে। এই রাজ্যে হিন্দুদের কী অবস্থা। এটা একজন বিধায়কের মুখে ভাষা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Smriti Irani: গান্ধী পরিবার মুক্ত আমেঠি, মানুষের জয় বললেন স্মৃতি ইরানি

    Smriti Irani: গান্ধী পরিবার মুক্ত আমেঠি, মানুষের জয় বললেন স্মৃতি ইরানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ওয়ানাড়ের (Wayanad) পর রাহুল গান্ধির এবারের ঠিকানা রায়বরেলি (Raybareli)। এই কেন্দ্র থেকে রাহুল গান্ধীর নাম (Rahul Gandhi) ঘোষণা হওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে আক্রমণ শানালেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির আমেঠি কেন্দ্র থেকে প্রার্থী স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani)। কংগ্রেসের যুবরাজের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “ভোট গ্রহণের আগেই রাহুল তাঁর নির্ধারিত পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। যার জন্যই কংগ্রেস এখানে একজন প্রক্সি ক্যান্ডিডেট দিয়েছেন।”

    আমেঠিতে অতিথিদের স্বাগত

    তিনি আরও বলেন, “আমি আমেঠিতে (Amethi) অতিথিদের স্বাগত করব। এখানে এই কেন্দ্রে গান্ধী পরিবার আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। ভোট গ্রহণে এখনও দেরি আছে। কিন্তু আগেই পরাজয় স্বীকার করে নিয়েছে। সেই কারণে গান্ধী পরিবারের কোনও প্রতিনিধি আমেঠি থেকে দাঁড়াল না। প্রসঙ্গত আমেঠি থেকে কংগ্রেস পরিবারের বহু সদস্য আগে সাংসদ হয়েছেন। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) বলেন, “রায়বেরেলি থেকে রাহুল গান্ধীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সিদ্ধান্ত আমেঠির মানুষের বড় জয়। অনেকেই ইতিমধ্যেই বলতে শুরু করে দিয়েছেন ভারত কংগ্রেসমুক্ত হোক না হোক, আমেঠি গান্ধী পরিবার মুক্ত হয়ে গেছে।”

    আমেঠি কেন্দ্রে উন্নয়ন হয়েছে

    স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) দাবি করেছেন, “আমেঠি কেন্দ্রে প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু মাঝের ২ বছর করোনার জন্য এখানকার মানুষ যে পরিমাণ উন্নয়ন আশা করেছিলেন তা করতে দেরি হয়েছে। আগামী দিনে এই কেন্দ্রে মানুষের জীবনের মানোন্নয়ন ও পরিকাঠামগত উন্নয়নের দিকে নজর দেব”। তাঁর প্রশ্ন, “আমেঠি কেন্দ্র জয়ী হয়েছেন গান্ধী পরিবারের বহু সদস্য। প্রতিদান স্বরূপ তাঁরা এই কেন্দ্রের জন্য কী করেছেন? স্মৃতি ইরানির দাবি, “মোদি সরকার কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার পরেই আমেঠির জন্য একাধিক পরিকল্পনা নিয়েছে।”

    আরও পড়ুন: সৎ চাকরিহারাদের জন্য সুকান্তকে লিগ্যাল ও সোশ্যাল মিডিয়া সেল খোলার নির্দেশ দিলেন মোদি

    সুরক্ষিত আসনের খোঁজে রাহুল

    এদিন স্মৃতি ইরানি (Smriti Irani) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সেই কথার পুনরাবৃত্তি করেন যেখানে তিনি বলেছিলেন, “কংগ্রেস এবার কেরালাতেই সীমাবদ্ধ হয়ে যাবে। রাহুল গান্ধী সেই কারণেই একটি তুলনামূলক সুরক্ষিত আসন খুঁজছেন”। প্রসঙ্গত এবার মায়ের ছেড়ে যাওয়া আসন রায়বরেলি থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কংগ্রেসের যুবরাজ। আমেঠি থেকে গান্ধীর পরিবারের যোগাযোগ সেই আশির দশক থেকে। এই কেন্দ্র থেকে ১৯৮০ সালে জয়ী হয়েছিলেন সঞ্জয় গান্ধী। এরপর ১৯৯১ সাল পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন রাহুল গান্ধীর পিতা রাজীব গান্ধী। ১৯৯৯ সাল থেকে ২০০৪ পর্যন্ত এ কেন্দ্র থেকে সাংসদদের দায়িত্ব সামলেছেন প্রয়াত রাজীব গান্ধীর স্ত্রী এবং রাহুল গান্ধীর মা সোনিয়া গান্ধী। রাহুল গান্ধী নিজেও ২০০৪ সাল থেকে ২০১৪ পর্যন্ত এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ ছিলেন। ২০১৯ সালে রাহুল দুই জায়গা থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। আমেঠির ও ওয়ানাড়। আমেঠি থেকে হেরে গেলেও রাহুলের মান রক্ষা হয় ওয়ানাড়ে। চলতি বছর আর রাহুল গান্ধী এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সাহস দেখাতে পারলেন না। তিনি মায়ের ছেড়ে যাওয়া রায়বরেলি আসন থেকেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চলেছেন। যদিও রাহুলকে হারিয়ে ২০১৯ সালে জয়ী হওয়া স্মৃতি জুবিন ইরানি (Smriti Irani) এবারও এই কেন্দ্র থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন এবং জয়ের ব্যাপারে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী তিনি।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • NEET 2024: প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    NEET 2024: প্রকাশিত হল মেডিক্যালে প্রবেশিকা পরীক্ষার নির্দেশিকা, পরীক্ষা হলে ঢোকার আগে কী কী মাথায় রাখতে হবে ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মেডিক্যালে প্রবেশিকার জন্য ‘ন্যাশনাল এলিজিবিলিটি কাম এন্ট্রান্স’ (NEET 2024) পরীক্ষায় নয়া নির্দেশিকা। এবছরের নিট পরীক্ষা হতে চলেছে ৫ মে। ২৪ লাখেরও বেশি ছেলে মেয়ে মেডিকেল পরীক্ষার  জন্য প্রস্তুতি নিয়েছে। ভারতের বিভিন্ন সেন্টার থেকে তাদের পরীক্ষা হবে দুপুর ২টো থেকে ৫টা ২০ মিনিট পর্যন্ত। আর পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশিত হবে ১৪ জুন ২০২৪। তবে পরীক্ষার হলে ঢোকার আগে মানতে হবে কিছু নির্দেশিকা।

    ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি (NTA) দ্বারা প্রকাশিত নির্দেশিকা গুলি হল-(NEET 2024)

    ১) পরীক্ষার দিন হলে ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের সঙ্গে কোনো রকম স্টেশনারি আইটেম, ফোন, আনুষঙ্গিক দ্রব্য, খাদ্য সামগ্রী এবং অলংকার সঙ্গে নিয়ে ঢুকতে পারবে না। 
    ২) পরীক্ষা হলে নিজের জায়গায় অন্য কাউকে ছদ্মবেশে প্রবেশ করালে বাতিল হবে পরীক্ষা। 
    ৩) কোন রকম অসৎ উপায় ব্যবহার করে পরীক্ষার (NEET 2024) উত্তর লেখা বা এই কাজে কাউকে সাহায্য করলে বাতিল হবে পরীক্ষা।
    ৪) পরীক্ষার সময় পরীক্ষকের দেওয়া উত্তরপত্র ছাড়া অন্য কোন উত্তরপত্র গৃহীত হবেনা। 
    ৫) পরীক্ষার সময় পরীক্ষা কর্মী ব্যতীত অন্য কোনো বাইরের ব্যক্তির সঙ্গে যোগাযোগ করলে বা যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তৎক্ষণাৎ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
    ৬) পরীক্ষা শেষে পরীক্ষা হল থেকে উত্তরপত্র বা ওএমআর শিট বাইরে আনা যাবে না। 
    ৭) উত্তরপত্র ফাঁস করার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
    8) পরীক্ষা চলাকালীন পরীক্ষক বা পরীক্ষার (NEET 2024) সঙ্গে যুক্ত কোনো কর্মী বা কোনো ছাত্র-ছাত্রীকে হুমকি দেওয়া যাবে না।  
    ৯) পরীক্ষার আগে বা পরীক্ষা শেষে জোর করে পরীক্ষা হলে প্রবেশ বা হল থেকে প্রস্থান করা যাবে না। 
    ১০) ওএমআর শিটে ব্যবহার করা রাফ, বা কোনরকম তথ্য মুছে ফেলা যাবে না।  
    ১১) উত্তরপত্রে কোনরকম ওভার রাইটিং করা যাবে না। 
    ১২) উত্তরপত্রে কোনোরকম ভুল তথ্য দিলে সেই ছাত্র বা ছাত্রীর পরীক্ষা বাতিল হবে। 

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে বিজেপি নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অভিযুক্ত তৃণমূল

    পরীক্ষার নিয়মাবলী 

    প্রসঙ্গত, এবারের নিট ইউজি ২০২৪ মূলত পেন-পেপার ফর্ম্যাটেই আয়োজিত হবে। দেশের মোট ৫৭১টি শহরে সিট পড়েছে নিটের। এমনকী দেশের বাইরেও ১৪টি জায়গায় এই পরীক্ষার (NEET 2024) সিট পড়েছে। ইংরাজি, তামিল, মালয়ালম, উর্দু, বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড়, পঞ্জাবি, হিন্দি, অসমীয়া এবং মারাঠি ও তেলুগু ভাষায় আয়োজিত হবে এই পরীক্ষা। এই পরীক্ষায় (NEET 2024) মোট ২০০টি প্রশ্ন থাকবে, যার মধ্যে ১৮০ টির উত্তর করতে হবে, যার মোট নম্বর ৭২০।  

    আর পরীক্ষা হলে ঢোকার সময় নিজের অ্যাডমিট কার্ড, একটা পাসপোর্ট মাপের ছবি, অরিজিনাল আইডি প্রুফ, বিশেষভাবে সক্ষম হলে তাঁর অরিজিনাল সার্টিফিকেট ইত্যাদি অবশ্যই সঙ্গে নিয়ে যেতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share