Author: user

  • India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    India Pakistan Relation: ভারতীয়র হৃদযন্ত্রে পাক তরুণীর প্রাণরক্ষা, তা নিয়ে হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য সেদেশের মৌলবীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত জানুয়ারি মাসে এক পাকিস্তানি তরুণীর দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়েছিল ভারতীয় ব্যক্তির হৃদযন্ত্র। চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে চিকিৎসকরা সফলভাবে ওই তরুণীর শরীরে হৃদযন্ত্র বসাতে সক্ষম হন। যার ফলে, নতুন জীবন লাভ করেন ওই পাক তরুণী। এমনকী, অস্ত্রোপচার খরচসাপেক্ষ হলেও, তা মকুব করে দেওয়া হয়। আর সেই নিয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বিদ্বেষমূলক ও হিন্দু-বিরোধী মন্তব্য করে বসলেন প্রতিবেশী দেশের এক মৌলবী (Pakistani Imam)।

    পাকিস্তানি ধর্মগুরুর ধর্মীয় সুড়সুড়ি…

    এমনিতেই ভারত-পাক দুই দেশের সম্পর্ক (India Pakistan Relation) তলানিতে। সেই পরিবেশের মধ্যেও এই ঘটনা যখন চারদিকে প্রশংসিত হচ্ছে, ঠিক তখনই এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিয়ে গিয়ে ধর্মীয় সুড়সুড়ি দেওয়ার কথা বললেন পাকিস্তানি ধর্মগুরু (Pakistani Imam)। ওই পাক ইমামের মতে, দাতা হিন্দু (ইমামের কথায় ‘বিধর্মী’) হওয়ায় কোনও পুণ্যলাভ হবে না ওই ব্যক্তির। তাঁর এই কাজ গৃহীত হবে না। কারণ, পাক ইমামের মতে, পুণ্য অর্জন করতে হলে নাকি মুসলিম হয়ে মরতে হয়। ইমামের ভাবখানা এমন যেন মেয়েটি হৃদযন্ত্র গ্রহণ করে দয়া করেছে। তাঁর মতে, মেয়েটি সাহসী। এর কারণ হিসেবে ইমাম জানান, এতদিন ওই হৃদপিণ্ড হিন্দু দেহে থাকায় ঈশ্বরের কাছে ঝুঁকত। এবার ওই মেয়েটির জন্য হিন্দু হৃদপিণ্ড আল্লার সামনে ঝুঁকবে।

    এগোচ্ছে ভারত, পিছোচ্ছে পাকিস্তান

    পাক ইমামের (Pakistani Imam) এই মন্তব্য সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও, সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম। তবে, নেটিজেনদের তোপের মুখে পড়েন ওই পাক ইমাম। ইমামের বক্তব্যের মধ্যেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এক শ্রেণি পাকিস্তানিদের ভারত-বিদ্বেষ (India Pakistan Relation)। ইমাম মোয়াজ্জেম কিংবা পাক জনগণের একটা বড় অংশ ভারত এবং ইসলাম ব্যতীত অন্য ধর্ম সম্পর্কে কী মত পোষণ করেন তা তাঁদের ভাষাতেই বহিঃপ্রকাশ পায়। আজ ভারত একদিকে যেখানে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে, সেখানে অন্ধ ভারত-বিরোধিতা ও ধর্মীয় গোঁড়ামির কারণে ক্রমশ পিছিয়ে যেতে যেতে কার্যত দেউলিয়া হয়ে গিয়েছে পাকিস্তান। 

    কী হয়েছিল পাক তরুণীর

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে প্রথম বার ভারতে এসেছিলেন পাক তরুণী আয়েশা রেশান। সেই সময় একবার হার্ট অ্যাটাক হয়েছিল তাঁর। পাঁচ বছর ধরে হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন ১৯ বছর বয়সি আয়েশা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসের ৩১ তারিখ চেন্নাইয়ের একটি হাসপাতালে তাঁর শরীরে ৬৯ বছর বয়সি এক ব্রেন ডেথ রোগীর হার্ট বসানো হয় (India Pakistan Relation)। ওই রোগীর দেহ দিল্লি থেকে উড়িয়ে চেন্নাই নিয়ে আসা হয়েছিল।

    তরুণীর পরিবার কী বলছে

    আয়েশার মা সনোবর রেশান তাঁর মেয়েকে কার্যত জীবনদান দেওয়ার জন্য ভারতীয় চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “নিজের মেয়েকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যেতে দেখতে বড় কষ্ট হচ্ছিল। খুব কষ্ট পাচ্ছিল ও। ওর এই অবস্থা আমরা খুব কষ্ট পাচ্ছিলাম। আমরা ভারতীয় চিকিৎসকদের দ্বারস্থ হই। আমার মেয়ে এখন সুস্থ। আমাদের বিল মেটাবার খুব বেশি সক্ষমতা ছিল না। তবুও চিকিৎসকরা আমাদের ভারতে আসতে বলেন এবং তারা চিকিৎসা করে আমার মেয়েকে বাঁচিয়ে তুলেছেন।” জানা গিয়েছে, এখন অনেকটাই সুস্থ রয়েছেন পাকিস্তানের (India Pakistan Relation) সিন্ধু প্রদেশের বাসিন্দা ওই তরুণী। ভালোভাবে দৈনন্দিন কাজকর্ম করতে পারছেন ওই ছাত্রী। বর্তমানে করাচিতে পড়াশোনা চালাচ্ছেন ওই তরুণী। ভবিষ্যতে আয়েশা একজন ফ্যাশন ডিজাইনার হতে চান। 

    উদার মনের পরিচয় ভারতীয় চিকিৎসকদের

    অঙ্গদানের ক্ষেত্রে ভারতে অনেক নিয়ম কানুন আছে। কিন্তু পাকিস্তানি তরুণীর ভারতীয় চিকিৎসকরা অনেক উদার মনের পরিচয় দিয়েছেন। সম্পূর্ণ বিনামূল্যে অঙ্গদানের প্রক্রিয়া সহ ওই পরিবারের চিকিৎসার খরচ মকুব করে দেওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, হার্ট ট্রান্সপ্লান্টের (Heart Transplant Cost) ক্ষেত্রে ৩৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ হয়ে থাকে। চিকিৎসার আয়েশার চিকিৎসার বিপুল খরচ বহন করেছিল ভারতীয় (India Pakistan Relation) একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা চেন্নাইয়ের চিকিৎসক এবং রোগীরা মিলে তৈরি করেছেন। 

    ভারত ও পাকিস্তানের তফাত কোথায়

    অথচ, ইমাম (Pakistani Imam) যে বক্তব্য রাখলেন তাতে পরবর্তীতে কোন পাকিস্তানি রোগী ভারতে (India vs Pakistan) সাহায্যপ্রার্থী হলে চিকিৎসকরা সে বিষয়ে নতুন করে ভাববেন। যদিও ভারত “বসুধৈব কুটুম্বকম” তত্ত্বে বিশ্বাসী। যে কারণে, শত বৈরিতা সত্ত্বেও, পাক তরুণীর জন্য হৃদয় উজাড় করে দিয়েছে ভারত। সেখানে, শুধু ঘৃণা আর বিদ্বেষ নিয়েই বেঁচে রয়েছে প্রতিবেশী। আর এখানেই তফাত ভারত ও পাকিস্তানের (India Pakistan Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    Lok Sabha Election 2024: ভোটবঙ্গে ফের শহরে প্রধান নরেন্দ্র মোদি! রাত্রিবাস রাজভবনে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃতীয় দফার লোকসভা ভোটের (Lok Sabha Election 2024) আগে ফের শহরে এলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এদিন সন্ধ্যায় কলকাতা বিমানবন্দরে অবতরণ করে তাঁর বিশেষ বিমান। তারপরে তাঁর কনভয় সোজা চলে যায় রাজভবনের উদ্দেশে। বৃহস্পতিবার রাত্রিবাস তিনি রাজভবনেই করবেন। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব এদিন তাঁকে বিমান বন্দরে স্বাগত জানান। প্রধানমন্ত্রীর আসার কারণে শহরে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ট্র্যাফিক পুলিশ। শুক্রবার কৃষ্ণনগরের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের সমর্থনে শুক্রবার নদিয়ার তেহট্টে সভা করবেন তিনি। বর্ধমান ও বীরভূমের আমোদপুরেও সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাতে যান নিয়ন্ত্রণ

    বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকেই যান নিয়ন্ত্রণ শুরু হয় চলবে রাত ১১টা পর্যন্ত। উল্টোডাঙা উড়ালপুল, ইএম বাইপাস, মা উড়ালপুল, এজেসি বোস উড়ালপুল, হসপিটাল রোড, লভার্স লেন, খিদিরপুর রোড, জেনসন অ্যান্ড নিকলসন আইল্যান্ড, রেড রোড, আরআর অ্যাভিনিউ এবং রাজভবন (দক্ষিণ) গেট-এ যান নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।

    শুক্রবারও যান নিয়ন্ত্রণ

    এছাড়া বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৪০ মিনিট থেকে রাত ১১টা এবং শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বিভিন্ন ভারী যান নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। বেঁধে দেওয়া সময় ছাড়াও প্রয়োজনে আরও কিছু ক্ষণ যান নিয়ন্ত্রণ করা হতে পারে বলে খবর কলকাতা পুলিশ সূত্রে। শুধু যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ নয়, কয়েকটি রাস্তায় পার্কিংও নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা পুলিশ। পাশাপাশি, ট্রাম পরিষেবাও বন্ধ থাকবে।

    আরও পড়ুন: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    ‘অ্যান্টি ড্রোন ডিটাচমেন্ট’

    থাকছে ‘অ্যান্টি ড্রোন ডিটাচমেন্ট’। সর্বভারতীয় এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর (Lok Sabha Election 2024) কনভয়ের সুরক্ষা এবং রাজভবনে ড্রোন হামলা ঠেকাতে এই সিস্টেম এনএসজি’র কাছ থেকে চেয়েছে লালবাজার। সেই মতো এই ব্যবস্থা থাকবে বলেই খবর। যদিও কোনও থ্রেট নেই। কিন্তু হামলা তো হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • UTS: থাকতে হবে না ২০ মিটার দূরে, এবার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েও ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারবেন

    UTS: থাকতে হবে না ২০ মিটার দূরে, এবার প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়েও ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট বুক করতে পারবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাইন দিয়ে টিকিট কাটা এক বড় ঝক্কির বিষয়! তারপর আবার তাড়াহুড়োর মাথায় ট্রেন মিস হওয়ার ভয়ও থাকে। এসব কিছু থেকে বাঁচতে রেলওয়ে নিয়ে এসেছিল অনেক আগেই ইউটিএস অ্যাপ (UTS)। এবার সেই ইউটিএস অ্যাপেই বিরাট বদল আনল ভারতীয় রেল। প্রসঙ্গত, ভারতবর্ষে প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে সফর করেন এমন যাত্রী সংখ্যা হয়তো কোটিতে পৌঁছে যাবে। এই যাত্রীদের সুবিধার্থেই ইউটিএস অ্যাপের পরিষেবাতে পরিবর্তন আনল রেল। এতদিন পর্যন্ত ইউটিএস অ্যাপের টিকিট কাটার নিয়ম ছিল যে স্টেশন থেকে আপনাকে কুড়ি মিটার দূরে থাকতে হবে এবং এভাবেই টিকিট কাটতে পারতেন যে কোনও যাত্রী। কিন্তু কিন্তু এইবারে শূন্য মিটার দূরত্ব থেকেও টিকিট কাটা যাবে। লোকাল ট্রেনের পাশাপাশি এক্সপ্রেস ট্রেনের টিকিটও কাটা যাবে এবার থেকে।

    ২০ মিটার দূরত্বে থাকতে হবে না

    অর্থাৎ দূরত্ব আর কোনও বাধা থাকছে না। কুড়ি মিটার দূরে থাকতে হবে না প্লাটফর্ম থেকে টিকিট কাটতে। প্লাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকলেও ইউটিএস অ্যাপের (UTS) মাধ্যমে টিকিট কাটা যাবে। সাধারণভাবে সাধারণভাবে এই নিয়ম চালু করা হয়েছিল যে, যদি কোনও যাত্রী টিকিট ছাড়া ট্রেনে উঠে পড়েন তাহলে তিনি যেন টিটিকে দেখে টিকিট কেটে নিতে না পারেন। তবে সেই দূরত্বে এবার শূন্য হয়ে গেল। এক্ষেত্রে পূর্ব রেলে জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, বর্তমানে ইউটিএস অ্যাপ এর ক্ষেত্রে জিও ফেন্সিং তুলে নেওয়া হয়েছে।

    ইউটিএস অ্যাপ (UTS)

    আপনাদের মধ্যে যাদের এখন ইউটিএস অ্যাপ (UTS) নেই, তাঁরা অ্যাপটি ইন্সটল করে নিতে পারেন নিজেদের মোবাইলে। তারপরে সাইন আপ করে লগ-ইন করে রাখতে হবে। এখানে দু ধরনের টিকিট কাটতে পারেন। পেপারলেস টিকিট এবং পেপারবিহীন টিকিট। আপনার যাত্রা শুরুর স্টেশন এবং গন্তব্য স্টেশন ইউটিএস অ্যাপের মাধ্যমে দিতে হবে এবং এর পরেই টিকিট বুকিং করতে হবে। তারপরে আর ওয়ালেট অথবা যেকোনও ধরনের ইউপিআই-এর মাধ্যমে আপনার ফোন থেকে টিকিটের টাকা কেটে নেবে ভারতীয় রেল।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Amit Shah: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    Amit Shah: “মোদি সরকারের আমলে আকাশ ছুঁয়েছে শেয়ার মার্কেট”, বললেন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) আমলে ভারতের অর্থনীতিতে এক আমুল পরিবর্তণ এসেছে। শেয়ার বাজার আকাশ ছুঁয়েছে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এমনি জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। 

    স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্য (Amit Shah)

    এদিন অমিত শাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী যখন ক্ষমতায় এসেছিলেন তখন ভারতের অর্থনীতি প্রায় ভেঙ্গে পড়েছিল। কর্মক্ষেত্রে উৎপাদন কমে গেছিল, ফলে রপ্তানীর পরিমাণও কমে গেছিল। সে সময় মুদ্রাস্ফীতি ছিল আকাশ ছোঁয়া। তবে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পর থেকে ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়েছে ভারতের অর্থনীতি। 

    আরও পড়ুন: চিনের তৈরি হাম্বানটোটা বিমানবন্দরের রাশ ভারত-রুশ সংস্থার হাতে, বোধোদয় শ্রীলঙ্কার!

    মোদিজির আমলের দশ বছর স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে

    এদিন সাক্ষাৎকারে তিনি  আরও বলেন, ১৩০ কোটির দেশ ভারতবর্ষ (India) বর্তমানে ধীরে ধীরে উন্নতির পথে এগিয়ে চলেছে। উচ্চশিক্ষা হোক কিংবা অর্থনৈতিক দিক। ৩৭০ ধারার অবসান হোক কিংবা তিন তালাক। রামের জন্মভূমি থেকে দেশের ফৌজদারি আইনে মৌলিক পরিবর্তন। মোদিজির আমলের এই দশ বছর প্রতিটি ক্ষেত্রেই স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। একই সঙ্গে অমিত শাহ (Amit Shah) এদিন জানিয়েছেন যদি এবার তৃতীয়বারের মতো মোদিজি ক্ষমতায় আসেন তাহলে এক থেকে দুই বছরের মধ্যেই ভারত থেকে নকশালবাদ বিলুপ্ত হবে।

    ভোট প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ শাহের 

    পাশাপাশি এদিন ভোট প্রসঙ্গেও মত প্রকাশ করেন তিনি। ৩৭০-এর লক্ষ্যে বিজেপি কি সঠিক পথে হাঁটছে? এই প্রশ্নের জবাবে অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, “একদম সঠিক ট্র্যাকে রয়েছে। গণনার দিন দুপুর সাড়ে ১২টার মধ্যে এনডিএ ৪০০ পেরিয়ে যাবে। মোদিজি আবার প্রধানমন্ত্রী হবেন”। সঙ্গে তিনি আরও বলেন, “আমার দলের একটা টিম এবং আমি বিশদ বিশ্লেষণ করেছি। প্রথম দুই দফার ভোটে ১০০ আসন নিয়ে আমরা তৃতীয় দফার দিকে এগোচ্ছি। ৪০০-র লক্ষ্য অতিক্রম করতে কোনও সমস্যা হবে বলে মনে হচ্ছে না”।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita11: “আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?”

    Sri Ramakrishna Kathamrita11: “আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    প্রায় এক বৎসর পরে ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) সেইপথে আবার এলো। এসেই সাপের সন্ধান করলে। রাখালেরা বললে, সে সাপটা মরে গেছে। ব্রহ্মচারীর কিন্তু ও-কথা বিশ্বাস হল না! সে জানে, যে মন্ত্র ও নিয়েছে তা সাধন না হলে দেহত্যাগ হবে না। খুঁজে খুঁজে সেই দিকে তার নাম ধরে ডাকতে লাগল। সে গুরুদেবের আওয়াজ শুনে গর্ত থেকে বেড়িয়ে এল ও খুব ভক্তিভাবে প্রণাম করলে। ব্রহ্মচারী জিজ্ঞাসা করলে, তুই কেমন আছিস? সে বললে, আজ্ঞে ভালো আছি। ব্রহ্মচারী বললে, তবে তুই এত রোগা হয়ে গিছিস কেন? সাপ বললে, ঠাকুর আপনি আদেশ করেছেন—কারও হিংসা করো না, তাই পাতাটা ফলটা খাই বলে বোধ হয় রোগা হয়ে গিছি! ওর সত্ত্বগুণ হয়েছে কি না, তাই কারু উপর ক্রোধ নাই। সে ভুলেই গিয়েছিল যে, রাখালেরা মেরে ফেলবার যোগাড় করেছিল। ব্রহ্মচারী বলেন, শুধু না খাওয়ার দরুন এরূপ অবস্থা হয় না। অবশ্য আরও কারণ আছে ভাবে দেখে। সাপটার মনে পড়ল যে, রাখালেরা আছাড় মেরেছিল। তখন সে বললে, ঠাকুর মনে পড়েছে বটে, রাখালেরা একদিন আছাড় মেরেছিল। তখন সে বললে, ঠাকুর মনে পড়েছে বটে, রাখালেরা একদিন আছাড় মেরেছিল। তারা অজ্ঞান, জানে না যে আমার মনের কি অবস্থা; আমি যে কাহাকেও কামড়াব না বা কোনরূপ অনিষ্ট করব না, কেমন করে জানবে? ব্রহ্মচারী (Sri Ramakrishna Kathamrita) বললে, ছি! তুই এত বোকা, আপনাকে রক্ষা করতে জানিস না; আমি কামড়াতে বারণ করেছি, ফোঁস করে তাঁদের ভয় দেখাস নাই কেন?

    দুষ্টু লোকের কাছে ফোঁস করতে হয়, ভয় দেখাতে হয়, পাছে অনিষ্ঠ করে। তাদের গায়ে বিষ ঢালতে নাই, অনিষ্ট করতে নাই। 

    ঈশ্বরের (Sri Ramakrishna Kathamrita) সৃষ্টিতে নানারকম জীবন্ত, গাছপালা আছে। জানোয়ারের মধ্যে ভাল আছে মন্দ আছে। বাঘের মতো হিংস্র জন্তু আছে। গাছের মধ্যে অমৃত ন্যায় ফল হয় এমন আছে; আবার বিষফলও আছে। তেমনি মানুষের মধ্যে ভাল আছে, মন্দও আছে; অসাধুও আছে; সংসারী জীব আছে আবার ভক্ত আছে।

    আরও পড়ুনঃ “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    আরও পড়ুনঃ “ভালো লোকের সঙ্গে মাখামাখি চলে, মন্দ লোকের কাছ থেকে তফাত থাকতে হয়”

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita 9: “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    Sri Ramakrishna Kathamrita 9: “দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না”

    ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ

    ভিন্ন প্রকৃতি–Are all men equal?)

    ঈশ্বরের সৃষ্টিতে নানারকম জীবজন্তু, গাছপালা আছে। জানোয়ারের মধ্যে ভাল আছে মন্দ আছে। বাঘের মতো হিংস্র জন্তু আছে। গাছের মধ্যে অমৃতের ন্যায় ফল হয়, এমন আছে; আবার বিষফলও আছে। তেমনি মানুষের মধ্যে ভাল আছে, মন্দও আছে, সাধু আছে, অসাধুও আছে, সংসারী জীব আছে আবার ভক্ত আছে।

    জীব চারপ্রকারঃ বদ্ধজীব, মুমুক্ষজীব, মুক্তজীব ও নিত্যজীব

    নিত্যজীবঃ যেমন নারদাদি। এরা সংসারে থাকে জীবের মঙ্গলের জন্য – জীবদিগকে শিক্ষা দিবার জন্য।

    বদ্ধজীবঃ বিষয়ে আসক্ত হয়ে থাকে, আর ভগবানকে ভুলে থাকে – ভুলেও ভগবানের চিন্তা করে না।

    মুমুক্ষজীবঃ যারা মুক্ত হবার ইচ্ছা করে। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ মুক্ত হতে পারে, কেউ বা পারে না।

    মুক্তজীবঃ যারা সংসার কামিনী-কাঞ্চন আবদ্ধ নয় – যেমন সাধু মহাত্মারা, যাদের মনে বিষয়বুদ্ধি নাই, আর যারা সর্বদা হরিপাদপদ্ম (Sri Ramakrishna Kathamrita) চিন্তা করে।

    “যেমন জাল ফেলা হয়েছে পুকুরে। দু-চারটা মাছ এমন সেয়ানা যে, কখনও জালে পড়ে না – এরা নিত্যজীবের উপমাস্থল। কিন্তু সব মাছই জালে পড়ে। এদের মধ্যে কতকগুলি পালাবার চেষ্টা করে। এরা মুমুক্ষজীবের উপমাস্থল। কিন্তু সব মাছ পালাতে পারে না। দু-চারটে ধপাঙ ধপাঙ করে জাল থেকে পালিয়ে যায়, তখন জেলে বলে, ওই একটা মস্ত মাছ পালিয়ে গেল! কিন্তু যারা জালে পড়েছে, অধিকাংশই পালাতে পারে না; আর পালাবার চেষ্টাও করে না। বরং জাল মুখে করে, পুকুরের পাঁকের ভিতরে গিয়ে চুপ করে মুখ গুঁজরে শুয়ে থাকে – মনে করে, আর কোন ভয় নাই, আমরা বেশ আছি। কিন্তু জানে না যে জেলে হড় হড় করে টেনে আড়ায় তুলবে। এরাই বদ্ধজীবের উপমাস্থল।”

    সংসারী লোক – বদ্ধজীব (Sri Ramakrishna Kathamrita)

    বদ্ধজীবেরা সংসারে কামিনী-কাঞ্চনে বদ্ধ হয়েছে, হাত-পা বাঁধা। আবার মনে করে যে, সংসারের ওই কামিনী ও কাঞ্চনেতেই সুখ হবে, আর নির্ভয়ে থাকবে। জানে না যে ওতেই মৃত্যু হবে। বদ্ধজীব যখন মরে, তার পরিবার বলে, তুমি তো চললে, আমার কি করে গেলে? আবার এমনি মায়া যে, প্রদীপটাতে বেশি সলতে জ্বললে বদ্ধজীব বলে, তেল পুড়ে যাবে সলতে কমিয়ে দাও। এদিকে মৃত্যুশয্যায় শুয়ে রয়েছে!

    বদ্ধজীবেরা ঈশ্বরচিন্তা (Sri Ramakrishna Kathamrita) করে না। যদি অবসর হয় তাহলে হয় আবোল-তাবোল ফালতু গল্প করে, নয় মিছে কাজ করে। জিজ্ঞাসা করলে বলে, আমি চুপ করে থাকতে পারিনা, তাই বেড়া বাঁধছি। হয়তো সময় কাটে না দেশে, তাস খেলতে আরম্ভ করে।” (সকলে স্তব্ধ)

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ৬ষ্ঠ পরিচ্ছেদ, তৃতীয় দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    Humayun kabir: এবার সরাসরি বিজেপিকে হুঁশিয়ারি! শক্তিপুরে উস্কানিমূলক ভাষণের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে এখন ভোটের আবহ। আর এরই মধ্যে নির্বাচনী জনসভা থেকে উস্কানিমূলক ভাষণ দেওয়ার অভিযোগ উঠল মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হুমায়ুন কবীরের বিরুদ্ধে। কয়েকদিন আগেই মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) সফরে এসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বহরমপুরে নেমেই বিধায়ক হুমায়ুন কবিরকে কাছে ডেকে বহরমপুর লোকসভা নির্বাচনে ইউসুফ পাঠান যাতে জয়লাভ করে সে বিষয়ে হুমায়ুন কবিরকে (Humayun kabir) নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর সেই কথা মেনেই বুধবার জনসভা করছিলেন হুমায়ুন কবির। 

    হুমায়ুন কবিরের মন্তব্য (Humayun kabir)

    এদিন তিনি রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কাদের কে বলেছে? কোন ধর্মস্থান ভাঙার কথা? যারা একথা বলে সম্প্রীতি নষ্ট করছে তাদের ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশন কেন কোন রকম পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না? ভোট আগামী ৭ তারিখ, তারপর সবাইকে এই শহরে থাকতে হবে। সেখানে কি করে রাজনীতির নেতৃত্বরা এরকম ভাবে হুমকি দেয়? তাদের ক্ষেত্রে কেন কোন পদক্ষেপ হবে না? কতদিন আর উভয় সম্প্রদায়ের মানুষ এই হুমকি শুনবে। ভোটের জন্য উস্কানি মূলক ভাষণ দেবেন নেতারা। আর তার ফল ভোগ করতে হবে সাধারণ মানুষকে। এ কতদিন ধরে চলবে? মানুষ কবে সজাগ হবে? প্রশ্ন উঠেছে আজ।” 
    একই সঙ্গে এদিন বিজেপি কে সরাসরি হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেন,”কত ধানে কত চাল হয়, দুঘণ্টার মধ্যে তোমাদের কেটে যদি ভাগীরথীর গঙ্গায় না ফেলতে পারি রাজনীতি থেকে সরে যাব। শক্তিপুর এলাকায় বসবাস করা বন্ধ করে দেব। এখানে তোমরা হাতির পাঁচ পা দেখেছো? কিন্তু যদি ভেবে থাকো ৩০% লোক মুর্শিদাবাদ জেলায় আর আমরা ৭০%। এখানে কামনগরে তোমরা বেঁচে আছ বলে কাজীপাড়ায় মসজিদ ভাঙবে আর বাকি এলাকার মুসলমান ভাইয়েরা হাত গুটিয়ে বসে থাকবে এটা কোনদিন হবে না। বিজেপিকে আমি হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলছি কোনও দিন হবে না।”   
    অর্থাৎ যেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার কথা মুখে বলছে সব দলই আর কাজে করছেন অন্য, সেরকমই একটি চিত্র এবার ধরা পরল হুমায়ুন কবিরের (Humayun kabir) সভায়। আর হুমায়ুন কবিরের মন্তব্যের জেরে ফের উত্তাপ ছড়াতে শুরু করেছে শক্তিপুরে।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিকাণ্ডে হাইকোর্টে রিপোর্ট দিল সিবিআই, কী বলল তদন্তকারী সংস্থা?  

    রামনবমীর দিনও উত্তেজনা 

    প্রসঙ্গত শক্তিপুরে এর আগে রামনবমীর দিনও মিছিল ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। এর জেরে একাধিক পুলিশকর্মী, দুই নাবালক সহ মোট ১৮ জন জখম হয়েছিলেন। শক্তিপুর হাই স্কুল মোড়ের কাছে রামনবমীর শোভাযাত্রায় দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ উঠেছিল। রামনবমীর মিছিলটি যখন একটি মসজিদের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল, তখনই নাকি হামলা চালানো হয়েছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে যান মুর্শিদাবাদের ডিআইজি সৈয়দ ওয়াকার রাজা। এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তারই সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীও মোতায়েন করা হয় শক্তিপুরে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: জমি হাতিয়েছিলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর! সন্দেশখালি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআই

    Sandeshkhali: জমি হাতিয়েছিলেন শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর! সন্দেশখালি গিয়ে খোঁজ নিল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) একের পর এক বাসিন্দাদের জমি হাতিয়েছিল শাহজাহান বাহিনী। জমিহারাদের তালিকায় নাম রয়েছে, সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের সরবেড়িয়া আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের ডুগরিপাড়ার কাবিল মোল্লা ,আনসার মোল্লা, ফজের আলি মোল্লা, সুজয় লস্কর, রাজু লস্কর সহ একাধিক গ্রামবাসীদের। তাঁদের কাছ থেকে জমির চরিত্র বদল করে সরকারি তথ্য নষ্ট করে বেনামে জমি দখল করে বেনামে বিক্রি করার অভিযোগ ওঠে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ  তৃণমূল নেতা মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে।

    জমিহারাদের কী বক্তব্য? (Sandeshkhali)

    ইতিমধ্যে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তদন্তভার নিয়েছে সিবিআই। আর সেই সিবিআই প্রতিনিধি দল বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির রাজবাড়ি, ডুগড়ি পাড়া এলাকায় গিয়ে জমি হারাদের অভিযোগের সত্যতা তথ্য যাচাই করেন। গ্রামবাসীদের বয়ান রেকর্ড করেন সিবিআই আধিকারিকরা। কাবিল মোল্লার অভিযোগ,আমরা দীর্ঘদিন এই জমি চাষবাস করে জীবিকা নির্বাহ করি। এই গ্রামের বেশ কয়েকজন গ্রামবাসীর কাছে থেকে জোরপূর্বক শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর ক্ষমতা বলে আমাদের জমি জোর করে দখল করে নিয়েছে। আমরা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়ে কোনও সুরাহা পাইনি। সিবিআই ওয়েবসাইটে আমরা অভিযোগ জানিয়েছি। এরপর তদন্ত শুরু হয়েছে। আশা করবো, সিবিআইয়ের তদন্তের পর আমাদের জমি আমরা ফেরত পাব। সেই আশায় প্রহর গুনছি।

    আরও পড়ুন: ‘এক ফোনে দিদিভাই’ কর্মসূচি চালু করলেন অগ্নিমিত্রা, ট্রেনে জনসংযোগ বিজেপি প্রার্থীর

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতার কী বক্তব্য?

    শেখ শাহজাহান ঘনিষ্ঠ মিজানুর রহমান বলেন, এই অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সিপিএমের আমলে জমির পাট্টা দেওয়া ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দফতর থেকে এই জমির বিষয় দেখছে। এই জমির সঙ্গে আমার কোনও যোগসূত্র নেই। পাশাপাশি সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু জমির পাট্টা আছে, রেকর্ড নেই। আবার জমির রেকর্ড আছে, পাট্টা নেই। সেই জমির প্রকৃত কাগজপত্র নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সমস্ত কিছু যাচাই করতে এদিন সন্দেশখালি যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Tamluk: জেলাশাসকের দফতরে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুকে বাধা

    Tamluk: জেলাশাসকের দফতরে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দুকে বাধা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তমলুকে (Tamluk) জেলাশাসকের অফিসে মনোনয়ন জমা দিতে গিয়ে বাধার মুখে পড়লেন বিজেপি প্রার্থী (BJP Candidate) সৌমেন্দু অধিকারী (Soumendu Adhikary) । নিজেদের খাস তালুকেই বাধাপ্রাপ্ত হওয়ায় শোরগোল এলাকায়। বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল জেলা শাসকের অফিসে কর্মরত পুলিশের বিরুদ্ধে।  এদিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পূর্ব মেদিনীপুরের (Purba Medinipore) কাঁথিতে বিজেপি প্রার্থী সৌমেন্দু অধিকারীর মনোনয়ন জমাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সৃষ্টি হয়। মনোনয়ন চলাকালীন শিশির অধিকারীকেও (Sisir Adhikary) বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের বসচা শুরু হয়।

    আরও পড়ুন: “বিজেপি মুসলিম বিরোধী নয়”, স্পষ্ট বার্তা মিঠুনের

    জেলাশাসকের অফিসে ১৪৪ ধারী ধারার জারি

    পুলিশের তরফ থেকে দাবি করা হয় জেলাশাসকের অফিসে ১৪৪ ধারী ধারার জারি রয়েছে। দফতরের ১০০ মিটারের মধ্যে প্রার্থী, এজেন্ট এবং প্রস্তাবক ছাড়া মোট চারজনের বেশি কেউ প্রবেশ করতে পারবে না এমনটাই নির্দেশ রয়েছে জেলা শাসকের। বিজেপি কর্মীরা নাকি সেই সময় জোটবদ্ধ হয়ে জেলা শাসকের দপ্তরের কাছাকাছি চলে আসেন। সেই সময় পুলিশ তাদের বাধা দেয়। তবে শিসির অধিকারী এলাকার সাংসদ। তাঁকে কেন বাধা দেওয়া হয় এনিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয় বিজেপি কর্মীদের মধ্যে। এর পরেই  গন্ডগোল আরও বাড়ে। স্লোগান দিতে শুরু করেন বিজেপি কর্মীরা।  প্রসঙ্গত অধিকারি পরিবারের খাসতালুক কাঁথি। ২০২৪-এর লোকসভা ভোটে বিজেপির প্রতীকে এখান থেকেই লড়াই করছেন সৌমেন্দু অধিকারী। ২০০৯ সাল থেকে এখানে জয়ী হয়ে আসছেন শিশির অধিকারী। বয়স জনিত কারণে এবার তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। তার বদলে প্রার্থী করা হয়েছে তাঁর পুত্রকে। দীর্ঘদিন ধরেই অধিকারি পরিবারের কেউই আর তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত নয়। শিশির অধিকারী, সৌমেন্দু ও দিব্যেন্দু এরা সকলেই তৃণমূলের সঙ্গে সঙ্গ ত্যাগ করেছেন বহুদিন আগেই।

    ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ শিশির অধিকারী 

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) বিজেপিতে যোগদান করার পরেই গোটা পরিবারের সঙ্গেই তৃণমূলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হতে শুরু করে। শিশির অধিকারী তৃণমূলের টিকিটের জয়ী হলেও তিনি সংবাদমাধ্যমে এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চে যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে তাঁর তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্ব প্রকাশ পেয়েছে।

  • Madhyamik Result 2024: ‘অযোগ্য’ পরীক্ষকরাও কি তাহলে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখলেন? রয়ে গেল প্রশ্ন

    Madhyamik Result 2024: ‘অযোগ্য’ পরীক্ষকরাও কি তাহলে মাধ্যমিকের উত্তরপত্র দেখলেন? রয়ে গেল প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাধ্যমিকের (Madhyamik Result 2024) ফল প্রকাশিত হল, কিন্তু রয়ে গেল সেই বিতর্ক। মাধ্যমিক পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নে শিক্ষকদের যোগ্যতার প্রশ্ন আরও একবার সামনে চলে এল। অনেকেরই মুখে মুখে ঘুরছে একটাই প্রশ্ন, তাহলে কি ‘অযোগ্য’ পরীক্ষকরাই উত্তরপত্র দেখলেন? জানা গিয়েছে ২০১৬ সালের ফলাফলের ভিত্তিতে এই শিক্ষকদের নিযুক্তি হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি হাইকোর্টের রায়ে সেই সময়ের সম্পূর্ণ প্যানেল বাতিল হয়ে যায়। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছিল না, সাড়ে পাঁচ হাজার নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। কিন্তু রাজ্য সরকার যোগ্য-আযোগ্যদের নিয়ে তথ্য জানাতে পারেনি। এবার তাই সম্পূর্ণ প্যানেলের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক পদ বাতিল করেছে হাইকোর্ট। 

    পর্ষদ সভাপতির বক্তব্য (Madhyamik Result 2024)

    মধ্যশিক্ষা (Madhyamik Result 2024) পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার ফল প্রকাশের পর বলেন, “আমাদের কাছে এমন কোনও তথ্য নেই যে যাঁরা খাতা দেখেছেন, তাঁরা কোন সালে চাকরি পেয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে আমরাও ভাবিত। সব কিছু পরিচালনা করা আমাদের মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরাও খুব চিন্তিত। আমরা ইতিমধ্যে আদালতে গিয়েছি।” মধ্যশিক্ষা পর্ষদের বক্তব্য, শিক্ষকের অভাবের কারণে মার্কশিট এবং শংসাপত্র বিতরণে সমস্যা হবে।

    আরও পড়ুনঃ ফের মেধা তালিকায় নরেন্দ্রপুর রামকৃষ্ণ মিশন, প্রথম দশে স্থান পেল ৬ পড়ুয়া

    বহু ‘অযোগ্য’ পরীক্ষক!

    এই বছর মাধ্যমিক পরীক্ষার (Madhyamik Result 2024) মোট পরীক্ষক ছিলেন ৫১ ৮৩৮ জন। তার মধ্যে আবার প্রধান পরীক্ষক ছিলেন ১ হাজার ৪৭৮ জন। এর মধ্যে বহু ‘অযোগ্য’ পরীক্ষক আছেন বলে জানা গিয়েছে। ২০১৬ সালে পরীক্ষা হয়েছিল। সেখান থেকেই ২০১৯ সালে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী প্যানেলভুক্ত হয়। কিন্তু সিবিআই-এর তদন্তে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির কথা উঠে আসে। এরপর হাইকোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির বিশেষ বেঞ্চ ২৫৭৫৩ জনের চাকরি বাতিল করার নির্দেশ দেন। অভিযোগ ছিল, যাঁরা মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছেন, তাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ সুদ সমেত বেতন ফেরানোর কথা জানিয়েছে আদালত। পাল্টা এই নির্দেশের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টে আবেদনও করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share