Author: user

  • Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    Howrah: “বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে”, হুমকি তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর হাওড়ার (Howrah) সালকিয়া অবাঙালি অধ্যুষিত বহুতল বাড়িগুলির বাসিন্দাদের মধ্যে বিজেপির প্রভাব রয়েছে। হাওড়া পুরসভা কিংবা বিধানসভা নির্বাচনের ভোটের ফলাফলেও সেটা প্রতিফলিত হয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনেও হাওড়া উত্তর বিধানসভা এলাকায় প্রায় পাঁচ হাজার ভোটে এগিয়েছিল বিজেপি। তাই এ বার ওই ভোটকে নিজেদের দিকে টানতে তৎপর তৃণমূল। উত্তর হাওড়ার তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর ভিডিও প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    বিজেপিকে ভোট দিলেই জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে (Howrah)

    দলীয় প্রার্থীর হয়ে গোলাবাড়ি (Howrah) থানার কাছে একটি আবাসনের কাছে তিনি ভোটের প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক গৌতম চৌধুরী। ওই আবাসনের ভোটার সংখ্যা প্রায় ন’শো। ছড়িয়ে পড়া ভিডিওয় (যার সত্যতা যাচাই করেনি মাধ্যম) এক জনকে উদ্দেশ্য করে বিধায়ক বলেন, ওই আবাসনের বাসিন্দারা যেন ভোটের দিন বাড়ি থেকে না বের হন। আর যদি বের হন, তা হলে আমি বুঝে যাব কাকে ভোট দিয়েছেন ভোটাররা। তারপর তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “যদি বিজেপিকে ভোট দেওয়া হয় তা হলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে।”

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির রাজ্য সম্পাদক উমেশ রাই বলেন, “যেখানে নির্বাচন কমিশন কোটি কোটি টাকা খরচ করছে নির্বাচনের জন্য, মানুষকে নির্ভয়ে ভোট দিতে আবেদন করছে। সেখানে এক জন জনপ্রতিনিধি কী ভাবে মানুষকে ভোট না দিতে বলেন? তিনি কী ভাবে বলতে পারেন যে, বিজেপিকে ভোট দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হবে?” আমরা এই বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করছি। আর তৃণমূল বিধায়ক (Howrah) গৌতম চৌধুরী বলেন, আমি ওই এলাকায় প্রচারে গিয়েছিলাম ঠিকই। তবে, এমন হুমকি আমি দিইনি। এরপরই তিনি বলেন, “পাঁচ বছর প্রত্যেক দিন, চব্বিশ ঘণ্টা আমি মানুষের পাশে থাকি। আমরা জল দিই, রাস্তা তৈরি করি। মানুষকে নিরাপত্তা দিই। তা হলে মানুষ কেন আমাদের ভোট দেবেন না?”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    Agnimitra Paul: বসিরহাটের কায়দায় এবার দাঁতনে অগ্নিমিত্রাকে প্রচারে বাধা তৃণমূলের!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রথমে রেখা পাত্র। তার পর অগ্নিমিত্রা পল (Agnimitra Paul)। বিজেপি প্রার্থীকে প্রচারে বাধা দেওয়া কি তৃণমূলের (TMC) রণকৌশল। উঠছে প্রশ্ন। দুটি প্রচারে বাধা দেওয়ার ধরণে মিল রয়েছে। তিনি বলেছেন, “চোরের দল বাধা দিয়েছে, মহিলাদের শিখিয়ে পড়িয়ে এগিয়ে দিয়ে পিছনে থাকছেন তৃণমূল নেতারা।”

    গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল কর্মীরা (Agnimitra Paul)

    ভোটের প্রচারে ফের বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল মেদিনীপুর লোকসভার বিজেপি (BJP) প্রার্থী অগ্নিমিত্র পল-কে। মঙ্গলবার দাঁতনে ভোটের প্রচারে এসেছিলেন অগ্নিমিত্রা (Agnimitra Paul)। স্থানীয় মানুষদের সঙ্গে জনসংযোগ করছিলেন তিনি। আচমকাই তাঁর গাড়ি ঘিরে ধরে তৃণমূল (TMC) কর্মী সমর্থকরা। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। ওঠে গো ব্যাক স্লোগান। এমনকি অপশব্দ বলতেও শোনা গেছে কয়েকজন তৃণমূল কর্মীকে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, “হুডখোলা গাড়িতে প্রচার করতে এসেছিলেন অগ্রিমিত্রা (Agnimitra Paul )। দাঁতনের কুসমি এলাকায় তাঁর গাড়ি পৌঁছতেই অগ্নিমিত্রাকে ঘিরে ধরে স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। মহিলাদের এগিয়ে দেওয়া হয় গাড়ির সামনে। তাঁকে কালো পতাকা দেখানো হয়। এবং কয়েকজন মহিলা স্লোগান দিতে শুরু করেন। দেওয়া হয় গো ব্যাক স্লোগানও। তাঁর গাড়ি আটকে রাখার চেষ্টা করে কার্যত বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে তৃণমূলীরা।

    আরও পড়ুনঃ “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    কী বললেন অগ্নিমিত্রা পল?

    এ বিষয়ে অগ্নিমিত্রা পাল (Agnimitra Paul ) বলেন, “ওদের দলের চুরি যাতে জনমানসে না বেরিয়ে যায় তাঁর জন্য একদিকে সুপ্রিম কোর্ট দৌড়াচ্ছেন অন্যদিকে আমাদের প্রচারে বাধা দিচ্ছেন। রাজ্যে সব জায়গায় দুষ্কৃতীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে। যারা এতদিন চুরি করেছে তাদের আজ অসুবিধা হচ্ছে বলে বিজেপি প্রার্থীকে কালো পতাকা দেখাচ্ছে। গ্রামের মানুষ কেউ বেরিয়ে আসেনি, জনাকয়েক চোর বেরিয়ে এসেছে।” প্রসঙ্গত অগ্রিমিত্রা স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার নাম উল্লেখ করে দাবি করেন, “দলের কয়েকজন কর্মী ছাড়া ওদের পাশে কেউ নেই। এই সমস্ত তৃণমূল নেতারা চুরির সঙ্গে যুক্ত। এরপর জনগণ ওদের কাছ থেকে চাকরির জন্য দেওয়া টাকা ফেরত চাইবে।” হুঁশিয়ারী দিয়েছেন মেদিনীপুরের বিজেপি প্রার্থী (Agnimitra Paul )। প্রসঙ্গত এদিন সকালেই বসিরহাটে (Basirhat) একই কায়দায় রেখা পাত্রকে (Rekha Patra) ঘিরে ধরে কয়েকজন মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক। রেখাকে আটকে ঘেরাও করা মহিলাদের পেছনে ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা। এদিন দাঁতনেও দেখা গেল একই ছবি। সামনে মহিলা তৃণমূল কর্মী সমর্থক পিছনে দাঁড়িয়ে পুরুষরা। প্রচারে বাঁধার জেরে দলীয় প্রার্থীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিজেপি (BJP) নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jammu and Kashmir weather: লাগাতার তুষারপাতে যেন ধ্বংসপুরী ভূ-স্বর্গ! বন্ধ হল স্কুল, জাতীয় সড়ক

    Jammu and Kashmir weather: লাগাতার তুষারপাতে যেন ধ্বংসপুরী ভূ-স্বর্গ! বন্ধ হল স্কুল, জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত সত্যিই বৈচিত্র্যময় দেশ। এদিকে যখন ৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় বাংলায় নাজেহাল পরিস্থিতি, ঠিক তখনই  দেশের উত্তরের চেহারাটা একদম বিপরীত। টানা বৃষ্টি চলছে জম্মু-কাশ্মীরে (Jammu and Kashmir weather)। সঙ্গে তুষারপাত। তার জেরে সোমবার কাশ্মীরের (kashmir) সোনমার্গে নেমেছে বরফধস। বরফে ঢেকে রয়েছে গুলমার্গও। অন্যদিকে ভারী বৃষ্টির (Heavy rainfall) কারণে জম্মু এবং কাশ্মীরের বিভিন্ন অংশে নেমেছে ধস। ধসের কারণে সোমবার বন্ধ হয়ে যায় জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়ক। জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকায় বিপাকে বহু মানুষ। এক কথায় ভূ-স্বর্গের চিত্র ধ্বংসপুরীর চেহারা নিয়েছে।

    সঙ্কটময় পরিস্থিতিতে বন্ধ স্কুল (Jammu and Kashmir weather)

    বেশ কিছু দিন ধরেই পাহাড়ি এলাকায় তুষারপাত হচ্ছে। কোথাও ভারী, কোথাও আবার হালকা তুষারপাত হচ্ছে। বেশ কিছু জায়গায় ধসও (landslides) নেমেছে। তুষারপাতের মধ্যেই আবার ভারী বৃষ্টি জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিকে আরও সঙ্কটময় করে তুলেছে। যার জেরে আগাম সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে কাশ্মীর উপত্যকা (Jammu and Kashmir weather) এবং রিয়াসি জেলায় সমস্ত স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

    জলমগ্ন বহু এলাকা

    সিলু কুপওয়ারায় পোহরু নালা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। এই নালা উপচে পড়ায় সিলু কুপওয়ারার (Jammu and Kashmir weather) বহু গ্রামে জল ঢুকেছে। ইতিমধ্যেই জলের তলায় চলে গিয়েছে কুপওয়ারা হাইওয়ের (kupwara national highway) একাংশ। প্রশাসন সূত্রে খবর জলস্তর বাড়তে থাকায় ৩৩৬টি পরিবারকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহত ২ মহিলা সহ ৭ মাওবাদী

    ত্রাণ শিবিরে ঠাঁই শয়ে শয়ে কাশ্মীরির

    কাশ্মীরি ভূমিধস, তুষারধসে ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। ফলে সর্বস্ব খুইয়ে সর্বশান্ত হয়েছেন শয়ে শয়ে মানুষ। ফলে বর্তমানে তাঁদের ঠাঁই হয়েছে ত্রাণ শিবিরে (Relife camp)। জানা যাচ্ছে, জম্মু কাশ্মীরের দোদা, রিয়াসি, কিশতওয়াড় এবং রামবান জেলায় সব চেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। হড়পা বানে (Harpa Ban) ভেসে গিয়ে ৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। যার মধ্যে এখনও পর্যন্ত ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। বিগত কয়েকদিনে উপত্যকার বিপর্যয় ১২ জন শিশু সহ মোট ২২ জনের প্রাণ কেড়েছে বলে খবর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    South 24 Parganas: সরকারি লঞ্চে চড়ে দলীয় মিটিংয়ে গেলেন তৃণমূলের দুই বিধায়ক, কমিশনে নালিশ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে ফের বিতর্কে জড়ালেন তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। জানা গিয়েছে, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার গোসাবা বিধানসভার তৃণমূল কংগ্রেসের ডাকে সাংগঠনিক বৈঠকের আয়োজন করা হয়। গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় সেই বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা মন্দিরবাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার এবং গোসাবা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্বরা।

    সরকারি লঞ্চে তৃণমূলের মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন দুই বিধায়ক (South 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গোসাবা (South 24 Parganas) বিডিও-র লঞ্চে করে দলীয় মিটিংয়ে যোগ দিতে আসেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা এবং মন্দির বাজারের বিধায়ক জয়দেব হালদার। আর এই ঘটনার সামনে আসতে সুর চরিয়েছে বিরোধীরা। স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের অভিযোগ , নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার পর কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের দলীয় মিটিংয়ে বিডিও লঞ্চ ব্যবহার করে দুই বিধায়ক তাদের দলীয় মিটিংয়ে আসে। নিজেদের প্রভাব খাটিয়ে তারা সরকারি লঞ্চ ব্যবহার করছে এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। তবে, এই ঘটনায় গোসাবা বিডিও বলেন, আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তবে,এ বিষয়ে নির্বাচন বিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলে নির্বাচন আধিকারিকের কাছে অভিযোগ দায়ের করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি নেতা বিকাশ সর্দার বলেন, এখন বিভিন্ন বিডিও অফিস, ডিএম অফিস, থানা থেকে ওপরে সমস্ত সরকারি দফতরগুলি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। তারা ভুলেই গেছে এখন নির্বাচন আচরণবিধি কার্যকরী হয়ে গিয়েছে। তারপরেও কীভাবে বিডিও অফিসের লঞ্চ নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে যেতে পারে?এই বিষয় নিয়ে আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ দায়ের করব। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে মন্দির বাজারের বিধায়ক তথা সুন্দরবন সংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জয়দেব হালদার বলেন, এমন কোনও ঘটনায় ঘটেনি। আমরা ব্যক্তিগতভাবে লঞ্চ ভাড়া করে নিয়ে প্রচার কর্মসূচিতে যাই। বিরোধী শিবির ও বিজেপির কোনও ইস্যু নেই, তাই এই ধরনের মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা সংবাদমাধ্যমে প্রচারে আসতে চাইছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura Weather: বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা হাফসেঞ্চুরির পথে, আবহাওয়া দফতর জারি করল হাই-অ্যালার্ট

    Bankura Weather: বাঁকুড়ায় তাপমাত্রা হাফসেঞ্চুরির পথে, আবহাওয়া দফতর জারি করল হাই-অ্যালার্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরমের ঝোড়ো ব্যাটিং অব্যাহত। কলকাতার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে লাল মাটির দেশের অবস্থা আরও বেহাল। বাঁকুড়ার (Bankura Weather) তাপমাত্রা ৪৪ ডিগ্রি পার করেছে ইতিমধ্যেই। সকাল থেকেই হুহু করে বেড়েছে পারদ। বর্ষার কোনও খবর নেই আগামী সাতদিনে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই হাল থাকলে আগামী দিনে ঘরেও টেকা দায় হয়ে উঠবে। এমতাবস্থায় বাঁকুড়ার বিভিন্ন জায়গায় মাইক প্রচার চালাচ্ছে পুলিশ। তাঁদের তরফ থেকে রাস্তার বিভিন্ন মোড়ে খোলা হয়েছে জলছত্র।

    ১০টা থেকে ৪টে পর্যন্ত রাস্তায় না বের হওয়ার পরামর্শ (Bankura Weather)

    বাঁকুড়ায় (Bankura Weather) এমনিতেই গরমে নাজেহাল মানুষ। তার উপর এদিন সকাল থেকেই এতটাই রোদের তেজ যে বাইরে বের হলেই মুখ হাত পুড়ে যাওয়ার মতন অবস্থা। গরম হলকায় চোখ মুখ পুড়ে যাওয়ার মতন অবস্থা। বাইরে বেরোলেই নিঃশ্বাস নিতে অসুবিধা অনুভব করেছেন বহু মানুষ। বাইরে বেরিয়ে অসুস্থ বোধ করেছেন অনেকে। পুলিশের তরফ থেকে জেলা জুড়ে জারি করা হয়েছে হাই এলার্ট। মাইকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রাস্তায় মানুষকে না বের হতে অনুরোধ করা হচ্ছে। আরও জানা গেছে গরমে বাঁকুড়ার বিভিন্ন জঙ্গলে আগুন লাগার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। বসন্ত থেকে মনসুনের আগে পর্যন্ত বাঁকুড়ার জঙ্গলে গাছের পাতা পড়া অব্যাহত থাকতে। শুকনো পাতায় আগুন লেগেছে দেখলেই দ্রুত প্রশাসনকে জানাতে অনুরোধ করা হচ্ছে পুলিশের তরফ থেকে। জঙ্গলে গিয়ে বিড়ি সিগারেট খেতে নিষেধ করা হচ্ছে স্থানীয় মানুষকে। কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

    প্রশাসনের বক্তব্য

    বিষ্ণুপুরের (Bankura Weather) এসডিও সুপ্রকাশ দাস বলেছেন, “প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কেউ যেতে না বের হন তাঁর জন্য সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিভিন্ন থানার পক্ষ থেকে জলছত্র খুলতে বলা হয়েছে। যে সকল পুলিশ রাস্তায় ডিউটি করছেন তাঁদের ওআরএস ও জল সঙ্গে রাখতে বলা হয়েছে। ছাতা ব্যবহার করতে বলা হয়েছে। গরমের সময় জঙ্গলে আগুন লাগার সম্ভাবনা তৈরি হয়। এবারও কয়েকটি জায়গায় আগুন লক্ষ্য করা গেছে। সঙ্গে সঙ্গে নিভিয়ে ফেলা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ভোটপ্রচারে চুটিয়ে খেললেন হকি, দিলীপের নিশানায় মমতা

    Dilip Ghosh: ভোটপ্রচারে চুটিয়ে খেললেন হকি, দিলীপের নিশানায় মমতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লাঠি, ত্রিশূল, গদা, তলোয়ারের পর এবার দিলীপ ঘোষের হাতে হকি স্টিক। বর্ধমান শহরে একটি ক্লাবের মাঠে চুটিয়ে হকি খেললেন বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) হাতে হকি স্টিক ও বল তুলে দেন বিজেপির বহিষ্কৃত নেতা শ্যামল রায়। দিলীপ বাবুর যুক্তি এটা দলের প্রোগ্রাম নয় এবং উনি এই কেন্দ্রের ভোটার।

    চাকরি বিক্রি হয়েছে (Dilip Ghosh)!

    একাধিক ইস্যুতে এদিন শাসকদলকে নিশানা করেন বিজেপি প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা বর্ধমান দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে তিনি বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন একদিকে তিনি চাকরি দিচ্ছেন। অন্যদিকে বিজেপি চাকরি খেয়ে নিচ্ছে। আসলে উনি চাকরি দিচ্ছেন না। উনি টাকা নিচ্ছেন। যেভাবে চাকরি বিক্রি করেছেন তা ইতিহাসে কখনও হয়নি।” এদিন সন্দেশখালি ইস্যুতেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) নিশানা করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “শাহজাহানকে বাঁচাতে মরিয়া মমতা। আদালত বলছে শাহজাহানকে (Seikh Shahjahan) নিয়ে এত তৎপরতা কেন। এটা আগেও হয়েছে। তাঁর যত প্রাণ ভোমরা শাহজাহানের মত লোকেরা যার উপর টিএমসি (TMC) বেঁচে আছে, সরকার দাঁড়িয়ে আছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মত যারা গুন্ডা পুলিশের রাজনীতি করে তাঁরা ভিখারির জায়গায় চলে যাবে। শাহজাহানের টাকা অনেক মন্ত্রীর কাছে গেছে। অনেক এমএলএ, এমপির কাছে গেছে, সরকারের কাছে গেছে, কালীঘাটে গেছে। টাকার কোন সীমা নেই। কতজনকে পাঠিয়েছে তার কোন তালিকা নেই। তদন্তে সব বের হবে। চিন্তা করবেন না।”

    আরও পড়ুনঃ কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে বিপদ! বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে কতটা?

    সংখ্যালঘুদের নিয়ে কী বললেন দিলীপ?

    এদিন সংখ্যালঘু ভোটের ইস্যুতে মুখ খোলেন দিলীপ। তিনি বলেন, “ওরা সংখ্যালঘুদের ভোট নিয়ে ভাবে। আমরা সংখ্যালঘুদের নিয়ে ভাবি। তাদের বাড়ি, শৌচালয় করে দিয়েছেন মোদি। জল দিয়েছেন, গ্যাস দিয়েছেন, রাস্তা দিয়েছেন, রেশনের চাল দিয়েছেন। তাঁদের ছেলে মেয়েদের পড়াশোনার জন্য বৃত্তি দিচ্ছেন। কংগ্রেস সিপিএম শুধু ব্যবহার করেছে। ক্রিমিনাল তৈরি করেছে। এবার দিদির সঙ্গে একই ঘটনা ঘটবে। তাঁদের জন্য কেউ কিছু করেনি। শুধু ভোটার বানিয়ে রেখেছে। ওরা সেটা বুঝে গেছে। সেই জন্য ওরা বলছে, মোদি হ্যায় তো মুমকিন হয়। এবার তারা পদ্মফুলের সঙ্গেই আছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    Amit Shah: “বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব”, বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের বাংলায় ভোট প্রচারে এলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। মঙ্গলবার পূর্ব বর্ধমানের মেমারির রসুলপুরে সভামঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন তিনি। বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকারের সমর্থনে এই সভার আয়োজন করা হয়েছে। মঞ্চে উঠেই তিনি বলেন, ‘অসীম সরকারকে যত ভোট দেবেন, ততই ভোট যাবে নরেন্দ্র মোদির কাছে।

     বিজেপি কর্মীর খুনিদের পাতাল থেকে বের করে শাস্তি দেব (Amit Shah)

    অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, বহু বিজেপি কর্মীকে বাংলায় খুন করা হয়েছে। আজ বলে যাচ্ছি, যারা এগুলো করেছে, আমাদের সরকার তৈরি হওয়ার পর পাতাল থেকে খুঁজে বের করে জেলে পাঠাবে বিজেপি। আমাদের দলের কর্মীদের বিরুদ্ধে ভুয়ো মামলা করা হয়, লজ্জা হওয়ার উচিত। আমাদের নেতারা বাংলায় এসে হোটেল পায় না, গাড়ি পায় না, যে হোটেল বুক হয়, সেটা তৃণমূলের গুণ্ডারা খালি করে দেয়।’ আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিকে ভয় পায় বলে এসব করে।

    আরও পড়ুন: “লোহার রড, শাবল দিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালালো তৃণমূল”, বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী

    সন্দেশখালি নিয়ে সুর চড়ালেন শাহ

    শাহ (Amit Shah) এদিন বলেন, সন্দেশখালিতে মা-বোনেদের যারা অত্যাচার করেছে, তাদের সকলকে জেলে পাঠানো হবে। তৃণমূল অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর চেষ্টা করছে না, কারণ তাদের ভোট ব্যাঙ্কে প্রভাব পড়বে। তিনি আরও বলেন, মোদি সরকারের সব যোজনা নিজের নাম লাগিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে মমতা দিদি। উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন,  ‘পিএম ফসল যোজনা হয়ে গেল বাংলা ফসল যোজনা, পিএম আবাস হয়ে গেল বাংলার আবাস, স্বচ্ছ ভারত বদলে গিয়েছে নির্মল বাংলা নামে, জল জীবন মিশন হয়ে গেল মমতার জলস্বপ্ন।’ মোদি বাংলার জন্য ১০ লক্ষ কোটি টাকা পাঠিয়েছে, সেই টাকা কোথায় গেল, সেই প্রশ্ন তুলেছে তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, বাংলায় বিনামূল্যে যে চাল আসে, সেটা দেন মোদি। ১২ কোটি মানুষের বাড়িতে শৌচালয় বানিয়ে দিয়েছেন মোদি। ৪ কোটি মানুষকে বাড়ি তৈরি করে দিয়েছেন মোদি। ১০ কোটি মানুষকে সিলিন্ডার দিয়েছেন, ১৪ কোটি মানুষের ঘরে পৌঁছে দিয়েছেন জল।

    ৩০ টি আসনে মোদিকে জেতান, বাংলা হবে দেশের এক নম্বর রাজ্য

    এদিন অমিত শাহ (Amit Shah) বলেন, দেশের মানুষ ও রামভক্তরা চাইতেন রাম মন্দির তৈরি হোক। যখন মন্দির তৈরি হল, তখন মমতা দিদিকে রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠায় আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, ওঁরা গেলেন না। কেন গেলেন না জানেন? কারণ ওঁরা অনুপ্রবেশকারীদের ভয় পায়। এরপর সাধার মানুষের উদ্দেশে বলেন, আপনারা ১৮ টি আসন দিয়েছিলেন, তারপরই তৈরি হল রাম মন্দির। ৩০ টি আসনে মোদিকে জেতান, আমরা বাংলাকে দেশের এক নম্বর রাজ্য হিসেবে গড়ে দেব। সোনার বাংলার স্বপ্নও পূরণ করবেন মোদি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মা-মাটি-মানুষের কথা বলেছিলেন। আসল মা-মাটি-মানুষের সরকার ফিরিয়ে আনতে পারেন মোদি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Covishield: কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে বিপদ! বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে কতটা?

    Covishield: কোভিড টিকা কোভিশিল্ডে বিপদ! বিরল রোগের সম্ভাবনা রয়েছে কতটা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০২০-২১ এর মহামারীর সেই দিনগুলোর স্মৃতি এখনও দগদগে। করোনা ভাইরাসের হাত থেকে তখন কোভ্যাকসিন-কোভিশিল্ডের (Covishield) মতো টিকাগুলোই হাজার হাজার মানুষের প্রাণ রক্ষা করেছিল। কিন্তু এবার সেই করোনার টিকা কোভিশিল্ড নিয়ে বড়সড় তথ্য ফাঁস হল। আদালতে পেশ করা নথি বলছে বিরল ঘটনা হলেও কোভিশিল্ড টিকার (covishield vaccine) পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় টিটিএস বা ‘থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোম’ -এর মতো বিরল রোগ। কোভিশিল্ডের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় (Covishield) কি হতে পারে মৃত্যু? এই নিয়ে প্রশ্নের দানা বেঁধেছে।

    আইনি মামলা দায়ের (Covishield)

    বিরল এই রোগে শারীরিক ক্ষতির পাশাপাশি মৃত্যু হয়েছে বলে সম্প্রতি একটি আইনি মামলা করা হয়েছে কোভিশিল্ড টিকা (Covishield Side Effect) প্রস্তুতকারীদের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি পরিবার আদালতে অভিযোগ করেছে যে, কোভিশিল্ড টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া (Side Effect) মারাত্মক ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলেছে।

    গত ফেব্রুয়ারি মাসে আদালতে জমা দেওয়া একটি নথিতে অ্যাস্ট্রাজেনেকা সংস্থা জানায়, তাদের তৈরি করা প্রতিষেধকের কারণে বিরল রোগ থ্রম্বোসিস উইথ থ্রম্বোসাইটোপেনিয়া সিনড্রোমে (TTS)-এ আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। এই রোগে আক্রান্ত হলে রক্তে অণুচক্রিকার পরিমাণ কমে যায় এবং রক্ত জমাট বাঁধতে শুরু করে।

    আরও পড়ুনঃ প্রয়াত হলেন সারদা মঠ ও রামকৃষ্ণ-সারদা মিশনের অধ্যক্ষা আনন্দপ্রাণা মাতাজি

    রোগের লক্ষণ

    এই বিরল রোগে শরীরের নানা জায়গায় রক্ত জমাট বেঁধে (Blood Clots) কমে যেতে পারে রক্তে প্লেটলেটসের মাত্রা। রক্তে প্লেটলেটসের মাত্রা কমে এলে তা শরীরের পক্ষে বিপজ্জনক হতে পারে। ফলে  মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা, পেটে যন্ত্রণা, পা ফুলে যাওয়া, শ্বাসকষ্ট,  জ্ঞান হারানোর মত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

    মূলত যাঁরা ভ্যাক্সজেভরিয়া বা অ্যাস্ট্রেজেনেকার কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন বা জনসন অ্যান্ড জনসন/জ্যানসেন-এর কোভিড টিকা নিয়েছেন, তাঁদেরই এই ধরনের রোগের ঝুঁকি আছে। তাই উপরিউক্ত কোনোরকম সমস্যা হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

    প্রসঙ্গত, করোনা পর্বের ভারতে কোভিশিল্ড সর্বাধিক জনপ্রিয় হয়েছিল। ঘরে ঘরে মানুষ এই টিকার দুটি আবার কেউ কেউ তো তিনটি অর্থাৎ বুস্টার ডোজও (Booster dose) গ্রহণ করেছেন। সে ক্ষেত্রে এতদিন পর কোভিশিল্ড টিকা (Covishield) সম্পর্কিত এই ভয়ংকর তথ্য প্রকাশ্যে আসতে আতঙ্কিত হচ্ছেন সকলেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court Judgement: “নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম সুবিধাভোগী মমতা”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    Supreme Court Judgement: “নিয়োগ দুর্নীতির প্রথম সুবিধাভোগী মমতা”, তোপ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High court) ডিভিশন বেঞ্চের প্যানেল বাতিলের রায়কে সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Judgement) চ্যালেঞ্জ করে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য সরকার এবং স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC)। সুপ্রিম কোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়নি বরং শুনানি পিছিয়ে দিয়েছে জুন মাস পর্যন্ত। এরই মাঝে মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করলেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি এবং বর্তমানে তমলুক লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

    কী বললেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Supreme Court Judgement)?

    রাজ্য সরকারের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court Judgement) যাওয়া এবং কোর্টের রাজ্য সরকারকে কোনও বাড়তি সুবিধে না দেওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “কেন অযোগ্যদের চাকরি হল। এর উত্তর আগে দিক ওরা। কেন ওএমআরের তথ্য নষ্ট করে দেওয়া হল এর উত্তর পাওয়া যায়নি। অতিরিক্ত প্যানেল সৃষ্টি করে যাদের বাড়তি নেওয়া হল তাঁরা কেন চাকরি করবেন। নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে কারা সুবিধাভোগী তা পুনরায় খুঁজে দেখার বিষয় উঠছে। এ বিষয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের জবাব, “প্রথম সুবিধাভোগীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো। তাঁদের এখনই সিবিআইইয়ের জিজ্ঞাসাবাদ করা উচিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদত্যাগ দাবি করে তমলুকের বিজেপি প্রার্থী বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী থাকার কোন অধিকার নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।”

    আর কী বললেন অভিজিৎ?

    হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে চাকরি বাতিলের নির্দেশের পর ক্রুদ্ধ মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে বিচারব্যবস্থা কাউকে রেয়াত করেননি। যারা দুর্নীতি করে চাকরি পেয়েছে তাদেরও আশ্বস্ত করেছিলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “যারা এত গরীব। যারা যোগ্য। কেউ এমএ পাস করেছে, কেউ বিএড করেছে তাঁদের সিস্টেম অনুযায়ী চাকরি দেওয়া হয়েছে। এক দুটো ভুল হয়ে থাকলে আমরা শুধরে নেব। তাই বলে তুমি চাকরি খেয়ে নেবে। আমরা ২ লক্ষ চাকরির রেডি রাখছি। লজ্জা করে না। তোর ভাই বোনের যদি চাকরি চলে যেত তুই তাহলে কি করতিস। তোর টাকা আছে। নিজের টাকা বাঁচাতে ভাজপা মেশিনে গেছিস।”সেদিন বিচারব্যবস্থা থেকে শুরু করে বিরোধী দলকে আক্রমণ করার সময় শালীনতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। পাল্টা অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় আরও বলেন, “ওনারা তো বলেছিলেন হাইকোর্ট নাকি বিজেপির কোর্ট। তাহলে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court Judgement) কী বলবেন। সুপ্রিম কোর্ট ও কি বিজেপির কোর্ট। যে প্রশ্নগুলি তুলেছে আদালত তাঁর উত্তর কোথায়।”

    আরও পড়ুনঃ “উল্টে ঝুলিয়ে এমন শাস্তি দিতাম, দাঙ্গার কথা ভাবতে পারত না”, কড়া বার্তা যোগীর

    রাজ্য সরকার মোটেও স্বস্তিতে নেই

    অতিরিক্ত পদ তৈরি সিদ্ধান্ত যারা নিয়েছিলেন তাঁদের উপর সিবিআইয়ের কড়া পদক্ষেপের বিষয়ে আপাতত স্থগিতাদেশ দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত । এ প্রসঙ্গে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের যুক্তি, “সেক্ষেত্রে পুরো মন্ত্রিসভা সিবিআই হেফাজতে চলে যেত। এই ডিভিশন বেঞ্চ পরিষ্কার করে দিয়েছিল যারা অতিরিক্ত পদ সৃষ্টি করেছিল তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court Judgement) যে পর্যবেক্ষণ দিয়েছে তাতে রাজ্য সরকার মোটেও স্বস্তির জায়গাতে নেই। এমনকি প্যানেলে না থাকা চাকরি প্রাপকদের নিয়ে তাঁদের পর্যবক্ষণে প্রশ্ন তুলেছে সুপ্রিম কোর্ট।” নিয়োগ দুর্নীতিকে ভয়ংকর দুর্নীতি আখ্যা দিয়েছেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Pakistan Leader: ‘‘ভারত সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, আমরা ভিক্ষা করছি’’! উষ্মা পাক বিরোধী নেতার

    Pakistan Leader: ‘‘ভারত সুপারপাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে, আমরা ভিক্ষা করছি’’! উষ্মা পাক বিরোধী নেতার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাকিস্তানের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে রাজনৈতিক তর্কাতর্কির মাঝে ফের একবার উঠে এল মোদি জমানার বিকশিত ভারতের উদাহরণ (Pakistan leader)। সে দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে দাঁড়িয়ে সম্প্রতি বেশ খানিকক্ষণ বক্তব্য রাখেন জমিয়তে-উলেমা-ই-ফজল এর প্রধান মওলানা ফজলুর রহমান (Pakistan leader)। পাকিস্তানের রাজনীতিতে কট্টরপন্থী বলে পরিচিত এই নেতা শাহবাজ সরকারকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, “ভারতের সঙ্গে আমাদের তুলনা করে দেখুন। আজ ওরা (ভারত) সুপার পাওয়ার (বড় শক্তি) হওয়ার স্বপ্ন দেখছে। আর আমরা দেউলিয়া হওয়া থেকে বাঁচতে ভিক্ষা করছি।”

    অর্থনৈতিক সংকট পাকিস্তানে

    প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন ধরেই অর্থনৈতিক সংকট দেখা যাচ্ছে পাকিস্তানে। সম্প্রতি সে দেশের এই নেতার (Pakistan leader) বক্তব্য পাকিস্তানের দেউলিয়া অবস্থাকে ফের একবার বিশ্বের সামনে তুলে ধরল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। ওই নেতার বক্তব্যেই পরিষ্কার ভারতকে সুপার পাওয়ার মানছে পাকিস্তান। তাৎপর্যপূর্ণভাবে, পাকিস্তানের রাজনীতিতে ফজলুরের বিরোধী বলেই পরিচিত ইমরান খানের পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ বা পিটিআই দলকে অকুণ্ঠ ভাষায় সমর্থনও করেন ওই নেতা। প্রসঙ্গত ইমরান খান যখন প্রধানমন্ত্রীত্ব হারান তখন তিনি যে সমস্ত ব্যক্তিদের তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার কথা বলেছিলেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন ফজলুরও।

    ইমরানের প্রশংসা একদা তাঁরই বিরোধী নেতার গলায়

    ফজলুরের ভাষণে সে দেশের নির্বাচনে ব্যাপক কারচুপির অভিযোগও উঠে এসেছে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে জেল বন্দি রয়েছেন ইমরান খান এবং তাঁর দলকে সভা সমাবেশ করার অনুমতিও (Pakistan leader) দেয়নি পাকিস্তানের সরকার। এ নিয়েও সে দেশের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ফজলুর। নির্বাচনের কারচুপি নিয়ে তাঁর প্রশ্ন, ‘‘২০১৮ নির্বাচন নিয়ে যদি প্রশ্ন ওঠে তবে ২০২৪ সালে নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন উঠবে না কেন!’’ গণতন্ত্রের কথা বলতে গিয়ে ফজলুর পাকিস্তানের শাসক জোটকে উদ্দেশ্যে করে বলেন, “ক্ষমতা ছেড়ে দিন। বিরোধী বেঞ্চে এসে বসুন। যদি পিটিআই একক সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হয়, তবে তাদের সরকার গড়তে দিন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

LinkedIn
Share