Author: user

  • Amit Shah: ভারসাম্য হারাল শাহের কপ্টার, তারপর…

    Amit Shah: ভারসাম্য হারাল শাহের কপ্টার, তারপর…

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে আর একটু হলে বিপদের মুখে পড়ছিলেন বিদায়ী কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি যখন কপ্টারের ভিতরে বসে ছিলেন, তখনই ভারসাম্য হারায় এই উড়ান। দ্রুত সেটি নিয়ন্ত্রণে চলে আসায় কোনও বিপদ ঘটেনি। অক্ষত রয়েছেন শাহও। বিশেষজ্ঞদের মতে, উড়ানের সময়ই এই বিপত্তি না হয়ে যদি মাঝ আকাশে হত, তাহলে বড় ধরনের কোনও বিপদ ঘটতে পারত।

    কপ্টার বিভ্রাট (Amit Shah)

    নির্বাচনী প্রচারে কার্যত চরকিপাক খাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই সেনাপতি (Amit Shah)। সোমবার তিনি গিয়েছিলেন বিহারের বেগুসরাইয়ে। সেখানেই ঘটে কপ্টার-বিভ্রাট। সোশ্যাল মিডিয়ার ভাইরাল হওয়া ভিডিওয় দেখা যাচ্ছে, উড়ানের সময়ই ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেছে শাহের কপ্টার। হঠাৎই সেটি ডানদিকে হেলে যায়, পরক্ষণেই আবার হেলে পড়ে বাঁদিকে। চালকের তৎপরতায় দ্রুত কপ্টারটি চলে আসে নিয়ন্ত্রণে।

    এটা কোনও ইস্যু নয়!

    সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, এটা কোনও ইস্যুই নয়। রিপোর্টে জানানো (Amit Shah) হয়েছে, জোরালো বাতাসের জেরে শাহের কপ্টারটি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়েছিল। বছর ঊনষাটের এই নেতা নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়েছিলেন। সরকারি সূত্রে বলা হয়েছে, শাহের কপ্টার যখন বেগুসরাইয়ে উড়ান শুরু করছিল, তখন ভারসাম্য হারিয়েছিল বলে কোনও কোনও চ্যানেল সম্প্রচার করছে। দয়া করে লিখে রাখুন, এমন কোনও ইস্যু নয় এটা।

    আরও পড়ুুন: “একজনকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসবে কেন?” সন্দেশখালিকাণ্ড বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট

    এদিকে, এদিনই এক জনসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, “তৃতীয়বারের জন্য নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী বানালে বিহারে কাস্টিজমের অবসান ঘটবে। মেধার ভিত্তিতে রাজনীতির যাত্রা শুরু হবে।” এদিনের সমাবেশে ইন্ডি জোটকেও আক্রমণ শানান শাহ। বলেন, “যদি ইন্ডি জোট জেতে, কে প্রধানমন্ত্রী হবেন? তারা কী লালু যাদবকে প্রধানমন্ত্রী করবে? স্ট্যালিন কিংবা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই দেশকে সঠিক পথে চালিত করতে পারবেন, রাহুল বাবা? আপনি কি কখনও এই বিষয়টি নিয়ে ভেবেছেন?”

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই দেশ, বিহার এবং মিথিলাঞ্চলকে আধুনিক যুগে নিয়ে যেতে চান। আর লালু যাদব নিয়ে যেতে চান লণ্ঠনের যুগে। একমাত্র নরেন্দ্র মোদিই পারেন আপনাকে লণ্ঠনের যুগ থেকে এলইডির যুগে নিয়ে যেতে (Amit Shah)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Durgapur: বন্ধ এইচএফসি কারখানা চালু করার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল

    Durgapur: বন্ধ এইচএফসি কারখানা চালু করার ইঙ্গিত দিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশের আইন ও বিচার বিভাগের ক্যাবিনেট মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল সোমবার দুর্গাপুরে (Durgapur) একটি কর্মসূচিতে এসে বন্ধ কারখানা খোলার ইঙ্গিত দিলেন। আত্মনির্ভর ভারতসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখেন তিনি।

    এইচএফসি কারখানা খোলার ইঙ্গিত (Durgapur)

    এদিন দুর্গাপুরের (Durgapur) একটি বেসরকারি হোটেলে সাংবাদিক বৈঠক করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন,  ইউপিএ সরকারের আমলে বিএসএনএল একেবারে শেষ হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় তৎকালীয় কেন্দ্রীয় সরকার এই বিষয়ে কোনও ভাবনা চিন্তা করেনি। ফলে, দিনে দিনে এই সংস্থা শেষ হয়ে যেতে বসেছিল। তবে, আমরা ক্ষমতায় আসার পর এই বিষয়ে উদ্যোগী হয়েছি। আমাদের সরকারের প্রচেষ্টায় বিএসএনএল অনেক ভালো অবস্থায় ফিরেছে। এছাড়া দুর্গাপুরে বন্ধ হয়ে যাওয়া রাষ্ট্রীয় সার কারখানা হিন্দুস্তান ফার্টিলাইজার কর্পোরেশন (এইচএফসি) এর জমি এবং পরিতাঠামো যদি ঠিক থাকে তাহলে এই বন্ধ কারখানা চালু করা হবে। আমরা বিহারেও বন্ধ কারখানা চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অন্যান্য জায়গাতেও চালু করা হয়েছে। ফলে, এখানেও না হওয়ার কোনও কারণ নেই।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ করার উচিত নয় মমতার

    মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, তাঁর আইনের ওপর ভরসা রাখা উচিত। কোনও কোর্টের রায় যদি তার পছন্দ না হয় তিনি আরও উচ্চ আদালত বা বেঞ্চে যেতে পারেন। কিন্তু, কোর্টের নির্দেশকে বিশ্বাস করা উচিত, সম্মান করা উচিত। চ্যালেঞ্জ করা উচিত নয়। তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে ভারত বাইরে থেকে আর কোনও কিছুই আমদানি করবে না। আত্মনির্ভর ভারতের এটাই লক্ষ্য,তা সেটা ওষুধের জন্য কাঁচামাল হোক বা টেকনোলজি হোক বা অন্যান্য বিষয়। অপরিশোধিত তেলের দাম ক্রমশ বেড়ে চলায় ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার চালু করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। আরও অনেক নতুন কিছু চালু করা হবে আত্মনির্ভর ভারত গড়ে তোলার জন্য, বাইরের কোনও দেশের মুখাপেক্ষী হয়ে থাকতে হবে না দেশকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: “একজনকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসবে কেন?” সন্দেশখালিকাণ্ড বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট

    Sandeshkhali Case: “একজনকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসবে কেন?” সন্দেশখালিকাণ্ড বিস্মিত সুপ্রিম কোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “একজন বেসরকারি ব্যক্তিকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসবে কেন?” সন্দেশখালিকাণ্ড মামলায় (Sandeshkhali Case) এমনই মন্তব্য করল সুপ্রিম কোর্ট। পশ্চিমবঙ্গ সরকার কেন সন্দেশখালিকাণ্ডে একজন বেসরকারি ব্যক্তির স্বার্থ রক্ষায় আদালতে আবেদনকারী হিসেবে দাঁড়াবে, তা নিয়েও বিস্ময় প্রকাশ করে দেশের শীর্ষ আদালত।

    বিস্মিত আদালত (Sandeshkhali Case)

    সোমবার সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার বেঞ্চে শুনানি চলছিল এই মামলার। সেই সময়ই রাজ্য সরকারের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভির কাছে বিস্ময় প্রকাশ করে সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রশ্ন তোলে, “একজন বেসরকারি ব্যক্তিকে বাঁচাতে রাজ্য সরকার এগিয়ে আসবে কেন?”

    কী বলল রাজ্য?

    রাজ্যের কৌঁসুলি জানান, এর (Sandeshkhali Case) কারণ হল, ঘটনার পর থেকে হাইকোর্টের নির্দেশে এমন কিছু মন্তব্য ছিল, যাতে তার মক্কেলের মর্যাদাহানি হয়েছে। কৌঁসুলি জানান, রাজ্য সরকার যখন সক্রিয়ভাবে পদক্ষেপ করেছে, তখন তার বিরুদ্ধে বিরূপ মন্তব্য করা ঠিক নয়। রাজ্য সরকার জানিয়েছে, হাইকোর্টের নির্দেশে রাজ্যের পুলিশ-প্রশাসনকে হেয় প্রতিপন্ন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে করা আবেদনে বলা হয়েছে, “হাইকোর্ট একটি খুব সাধারণ আদেশে রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে যে কোনও নির্দেশিকা ছাড়াই সিবিআইকে প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান করতে হবে, যা সন্দেশখালি এলাকায় যে কোনও অপরাধ, জনস্বার্থ মামলাকারীদের অভিযোগের সঙ্গে তার সম্পর্ক যদি নাও থাকে, তার তদন্ত করার জন্য রাজ্য পুলিশের ক্ষমতা হরণ করার সমান।

    আরও পড়ুুন: সম্পদের পুনর্বণ্টন, সম্পত্তি কর, কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রসঙ্গত, এদিনই সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালি মামলার শুনানি। এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে গ্রীষ্মাবকাশের পর, জুলাই মাসে। সন্দেশখালিকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মামলাই আপাতত মুলতুবি রইল। হাইকোর্টের রায়েও হস্তক্ষেপ করেনি শীর্ষ আদালত। বিচারপতি বিআর গাভাই ও বিচারপতি সন্দীপ মেহতার ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য, এই মামলায় মহিলাদের ওপর নির্যাতন, জমি কেড়ে নেওয়ার মতো গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগ রয়েছে। তার পরেই জুলাই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এই মামলার শুনানি মুলতুবি রাখার কথা জানায় সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত  এও জানিয়েছে, মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন রয়েছে বলে তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত করা যাবে না। তা যেমন চলছিল, চলবে। হাইকোর্টে চলা মামলায় কোনও বাধা দেওয়া যাবে না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছে (Sandeshkhali Case) সুপ্রিম কোর্ট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Weather Update: তাপপ্রবাহের কবলে বাংলা, নয়া রেকর্ড গড়ল কলকাতা

    Weather Update: তাপপ্রবাহের কবলে বাংলা, নয়া রেকর্ড গড়ল কলকাতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপপ্রবাহের (Weather Update) কবলে বাংলা। গত কয়েকদিনের দাবদাহে জ্বলছে গোটা দক্ষিণবঙ্গ। ছয়ের দশকের রেকর্ড ভেঙে সোমবার নয়া রেকর্ড গড়ল কলকাতা। বেলা ১১টায়ই তিলোত্তমার তাপমাত্রা পৌঁছল ৪১.৭ ডিগ্রিতে। দহনজ্বালা জুড়োতে প্রয়োজন ঘণ্টাখানেকের ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। তবে এখনই এ সম্ভাবনা নেই। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, এই সপ্তাহের শেষের দিকে মিলতে পারে সাময়িক স্বস্তি। বৃষ্টি হতে পারে রাজ্যের একাধিক জেলায়।

    নয়া রেকর্ড (Weather Update)

    গত কয়েক দিন ধরেই (Weather Update) পুড়ছে দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলা। কোথাও কোথাও তাপমাত্রা ছুঁয়েছে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ঘর। এদিন সকাল ১১টায়ই কলকাতার তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছিল ৩৯ ডিগ্রির চৌকাঠ। দুপুর আড়াইটেয় সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ পারদ ছোঁয় ৪২ ডিগ্রির ঘর। ৬৪ বছরের রেকর্ড ভেঙে তৈরি হয় নয়া রেকর্ড।

    দহনজ্বালা চলবে

    হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস, আগামী কয়েকদিনও দহনজ্বালায় পুড়তে হবে বাংলার একটা বড় অংশকে। দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলায় রেড অ্যালার্ট জারি করেছে হাওয়া অফিস। কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায়ই আরও পাঁচদিন সতর্কতা জারি থাকবে তাপপ্রবাহের। এই তালিকায় রয়েছে দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, দুই বর্ধমান, বীরভূম ও বাঁকুড়া জেলা। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এই জেলাগুলিতে লু (গরম হাওয়া) বইতে পারে বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। নিতান্তই প্রয়োজন না হলে সকাল ১১টার পর বাড়ির বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

    আরও পড়ুুন: সম্পদের পুনর্বণ্টন, সম্পত্তি কর, কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    আলিপুর হাওয়া অফিসের অধিকর্তা সোমনাথ দত্ত বলেন, “আরও পাঁচদিন তাপপ্রবাহ চলবে দক্ষিণবঙ্গে। ছিটেফোঁটা বৃষ্টির সম্ভাবনাও নেই। রবিবারের আগে বৃষ্টি হবে না। এই ক’টা দিন বঙ্গবাসীকে সইতে হবে দহনজ্বালা। কোনও কোনও জেলায় অতি তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে।” প্রসঙ্গত, আগে ১৯৮০ সালের ২৫ এপ্রিল কলকাতার তাপমাত্রা ছিল ৪১.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস (Weather Update)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • CAA: “সিএএ-তে ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছেন”, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    CAA: “সিএএ-তে ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছেন”, বললেন শান্তনু ঠাকুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেশজুড়ে লাগু হয়েছে সিএএ (CAA)। লাগু হওয়ার পর থেকেই রাজনৈতিক মহলে ক্রমশই বাড়ছে তরজা। একদিকে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের প্রত্যেকটা সভা থেকে মন্তব্য করছেন সিএএ তে আবেদন করলে নাগরিকত্ব চলে যাবে। যদিও মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে মতুয়ারা পাত্তা দিচ্ছে না। বরং, হাজার হাজার মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ সিএএ-তে আবেদন করছেন। এমনই দাবি বনগাঁর বিজেপি প্রার্থী শান্তনু ঠাকুরের। ভোটের আগে বিজেপির কাছে এটা বাড়তি অক্সিজেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ১০ হাজার মতুয়া আবেদন করেছে (CAA)

    এমনিতেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ রাজ্য সফরে এসে সিএএ (CAA) নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেছেন, সিএএ নাগরিক দেওয়ার আইন। নাগরিক কেড়ে নেওয়ার আইন নয়। তৃণমূল মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছে।  এবার সিএএ নিয়ে বিজেপি প্রার্থী নতুন তথ্য দিলেন। সোমবার সকালে দলীয় কর্মী সমর্থকদের নিয়ে গাইঘাটা বাজারে প্রচারে বেরিয়েছিলেন শান্তনু ঠাকুর। প্রচার শেষে তিনি বলেন, “সিএএ মানুষের অধিকার। যারা বাংলাদেশ থেকে ভারতে এসেছেন তাঁরা বাংলাদেশের নাগরিক। তারা ভারতবর্ষে নাগরিক নয় তাদের অবশ্যই নাগরিকত্ব নিতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল সরকার কি বলছে না বলছে তাতে কোনও যায় আসে না। আমরা মতুয়া মহা সংঘের কার্ড করিয়ে দিচ্ছিলাম, যাতে এই মানুষগুলোর কোনও অসুবিধা না হয়। এই মুহূর্তে আমাদের ৫ লক্ষ সদস্য আছে যারা কার্ড হোল্ডার। এদের আমরা সিএএ জন্য আবেদন করাচ্ছি। ইতিমধ্যেই দশ হাজার জন আবেদন করেছেন। এরপর যারা নতুন করে আসবে, তাদের জন্য আমরা শিবিরের আয়োজন করব। ফলে, মুখ্যমন্ত্রীর কথা যে কেউ বিশ্বাস করছে তা বোঝাই যাচ্ছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    বিজেপি প্রার্থী শান্তনুর মন্তব্য নিয়ে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল প্রার্থী বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “শান্তুনু শুধু মিথ্যা কথা বলে। এই পাঁচ বছরে এই একটাই কাজ শিখেছে মিথ্যে কথা বলা। একজন মতুয়াও সিএএ -তে (CAA) আবেদন করেননি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ব্যাগভর্তি অস্ত্র নিয়ে আদালতে পেশ করল সিবিআই, দাবি জানালো এনআইএ তদন্তের

    Sandeshkhali: ব্যাগভর্তি অস্ত্র নিয়ে আদালতে পেশ করল সিবিআই, দাবি জানালো এনআইএ তদন্তের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনএসজি কমান্ডো নামিয়ে সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই। সোমবার সেই বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র তোলা হয় বসিরহাট আদালতে। সিবিআই সূত্রে খবর, শাহজাহানের সঙ্গে অস্ত্রের কারবারের যোগ পাওয়া গিয়েছে। শুধু জমি কেনাবেচা বা জমির চরিত্র বদল করে টাকা নয়ছয় নয়, সেই টাকা বিদেশি অস্ত্র কারবারে ব্যবহার করেছেন শাহাজাহান। তাই তাঁর বিরুদ্ধে মামলায় অস্ত্র আইন যোগ করা হতে পারে।

    এনআইএ তদন্তের দাবি জানালো সিবিআই (Sandeshkhali)

    আবু তালেবের সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বাড়ি থেকে পরিচয়পত্র উদ্ধার করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেখান থেকে শাহজাহানের পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছিল। এমনকী, কলকাতার দোকান থেকে শাহজাহানের নামে কেনা কার্তুজের রসিদও পেয়েছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা। সিবিআই সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্রের মধ্যে একটি তাঁর ভাই আলমগিরের কেনা। এ ছাড়া, শাহজাহানের নামে অস্ত্রের লাইসেন্সও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। সিবিআই মনে করছে, সন্দেশখালিতে শাহজাহান এবং তাঁর অনুগামীদের মজুত করা আরও অস্ত্র থাকতে পারে। আন্তর্জাতিক অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে শাহজাহান। কারণ, যে সব বিদেশি অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে তা নিলামে কেনা হয়েছিল। তাঁর ডেরা থেকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে পুলিশের রিভলভারও ছিল। শাহজাহান শেখের বিরুদ্ধে মামলায় এ বার অস্ত্র আইন যোগ করার কথা ভাবছে তারা। বাজেয়াপ্ত করা অস্ত্র নিয়ে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয় কেন্দ্রীয় সংস্থা। সেই সঙ্গে ওই অস্ত্র তদন্তের স্বার্থে নিজেদের হেফাজতে রাখার আবেদনও জানায়। পাশাপাশি বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হওয়ায় ব্যাগ ভর্তি আগ্নেয়াস্ত্র এদিন বসিরহাট মহকুমা আদালতে সিবিআই আধিকারিকরা আনেন। বসিরহাট মহকুমা আদালতের বিচারকের কাছে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র নথিপত্র সবকিছু তাঁরা দেখান। সিবিআই আধিকারিকের আইনজীবী বোঝান, বিদেশি অস্ত্র রাখার অপরাধে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এনআইএ তদন্তের প্রয়োজন রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার

    ২৬ শে এপ্রিল সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল সিবিআই। সেখান থেকে পাওয়া যায় বেশ কিছু অস্ত্র। সেই সূত্রেই এনএসজি-কে ডেকে পাঠানো হয়। উদ্ধার করা হয় বেশ কিছু বোমা। ‘ক্যালিবার’ যন্ত্র দিয়ে সন্দেশখালিতে আরও বোমার খোঁজে তল্লাশি চলে দিনভর। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    Sheikh Shahjahan: শাহজাহানের জমি দখলের টাকা নিয়েছেন রাজ্যের আরও ২ মন্ত্রীও, বিস্ফোরক দাবি ইডির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুধু জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকই নয়, শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুর্নীতির টাকা রাজ্যের আরও দুই মন্ত্রীর কাছে গিয়েছে। আদালতে এমন অভিযোগই করল ইডি। কেন্দ্রীয় ওই তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, উপরমহল পর্যন্ত এই জমি দখলের টাকা পৌঁছেছে। কলকাতার নগর দায়রা আদালতে সোমবার শাহজাহানের মামলার শুনানি ছিল। সেখানেই ইডির আইনজীবী নতুন অভিযোগ তোলেন। এদিন ১৩ মে পর্যন্ত ফের শেখ শাহজাহানের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে আবার জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে আলমগির, শিবু হাজরা ও দিদার বক্স মোল্লাকেও।

    কী বলল ইডি

    সোমবার আদালতে ইডি দাবি করে, শেখ শাহজাহান (Sheikh Shahjahan) এবং তাঁর অনুগামীরা সন্দেশখালিতে যত জমি দখল করেছিলেন, তার টাকা পেয়েছেন রাজ্যের একাধিক মন্ত্রীও। ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী আদালতে জানান, সন্দেশখালির জমি দখলের টাকার সঙ্গে উপরমহলেরও যোগ রয়েছে। সেই টাকা পেয়েছেন রাজ্যের দু’-তিন জন মন্ত্রীও। ইডির আইনজীবী আদালতে জানান, সরকারি টেন্ডার নিয়ে বেনিয়ম করেছেন শাহজাহান। প্রভাব খাটিয়ে নিজের অনুগামীদের ওই টেন্ডার তিনি পাইয়ে দিয়েছেন। ২০১৬ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সময়ে পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে ফেরি পারাপার, বিভিন্ন সরকারি টেন্ডার ঘুরপথে শাহজাহান এবং তাঁর সঙ্গীদের পাইয়ে দেওয়া হয়েছে। এতে তাঁরা লাভবান হয়েছেন। সূত্রের খবর, শাহজাহানের স্ত্রী এবং আত্মীয়েরা জেরার মুখে এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন।

    আরও পড়ুন: ‘‘রাজনীতির জন্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে কলকাতা’’, বাংলা নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ মোদির

    অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত

    শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) দুর্নীতির টাকা অস্ত্র ব্যবসাতে খাটানো হত বলেও ইডি সূত্রে খবর। কালো টাকা ঘুরিয়ে অস্ত্র ব্যবসা করা হতো বলেও অভিযোগ করা হয়েছে বিশেষ ইডি আদালতে। কিছুদিন আগেই সন্দেশখালি থেকে যে বিপুল পরিমাণে অস্ত্র পাওয়া গিয়েছে, এদিন ইডির আইনজীবী আদালতে সে বিষয়েও বলেন। তিনি বলেন, তদন্তে আগেই তাঁরা জানতে পারেন, অস্ত্র ব্যবসাতেও টাকা খাটানো হয়েছে। এবার সন্দেশখালির গ্রাম থেকে অস্ত্র উদ্ধার বিষয়টি আরও জোরাল করল। এদিনই বসিরহাট আদালতে আসে সিবিআইয়ের একটি দল। বিশাল ব্যাগ, তথ্য নিয়ে ভিতরে ঢোকে তারা। সূত্রের খবর, দু’দিন আগে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার হওয়া আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বসিরহাট কোর্টে হাজির হয় সিবিআই। ইডির বক্তব্য শুনে শুনে শাহজাহানদের আগামী ১৩ মে পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIT student: এনআইটিতে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বিক্ষোভ! দায় নিয়ে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

    NIT student: এনআইটিতে ছাত্রের অস্বাভাবিক মৃত্যুতে বিক্ষোভ! দায় নিয়ে পদত্যাগ ডিরেক্টরের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুরে এনআইটি (National Institute of Technology Durgapur) দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রের (NIT student) রহস্য মৃত্যুকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে চাঞ্চল্য। ছাত্রমৃত্যুর জেরে ডিরেক্টরকে ঘিরে প্রবল বিক্ষোভ শুরু হয় ক্যাম্পাসে। অভিযোগ, রবিবার ডিরেক্টরকে কার্যত ধাক্কা মেরে ক্যাম্পাসের বাইরে বের করে দেন পড়ুয়াদের একাংশ। এরপর ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন ডিরেক্টর।

    ঠিক কী ঘটেছিল (NIT student)?

    মৃত ছাত্রের নাম অর্পণ ঘোষ (NIT student)। সে মেকানিক্যাল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কলেজ সূত্রে খবর,এদিন তাঁর একটি পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছিল। অভিযোগ, পরীক্ষাহলে নিজের আইডি কার্ড (ID Card) নিয়ে যেতে ভুলে যান অর্পণ। তাই তাঁকে পরীক্ষায় বসতেই দেওয়া হয়নি। এরপরই ঘরে ফিরে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ।

    ঘটনার তদন্তে পুলিশ

    ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্তে নেমেছে দুর্গাপুর (Durgapur) থানার পুলিশ। পরীক্ষা বাতিলের কারণেই কি অবসাদ না ছাত্র (NIT student) মৃত্যুর পেছনে আছে অন্য কোনও কারণ? তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের (Police) পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ময়নাতদন্তের পরই মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।

    কলেজের পড়ুয়াদের দাবি

    এ ঘটনায় কলেজের পড়ুয়াদের (NIT student) দাবি, অর্পণকে যখন তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়, তখনও তাঁর হৃদযন্ত্র সচল ছিল। অ্যাম্বুল্যান্স আনা হলেও তারা বলে রিপোর্ট লেখাতে হবে, আইডি কার্ড দেখাতে হবে। অভিযোগ, অর্পণকে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করার পর অনেকক্ষণ বেঁচে ছিলেন। কিন্তু এনআইটির নিজস্ব হাসপাতালে অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধপত্র না থাকা এবং দীর্ঘ ২০ মিনিট অর্পণকে ফেলে রাখার কারণেই তাঁর মৃত্যু হয়।

    আরও পড়ুনঃ মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গেলেন দেবাশিস ধর

    ডিরেক্টরের পদত্যাগের দাবি 

    এদিকে ঘটনার পরেই উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে কলেজ ক্যাম্পাসে। ছাত্ররা (NIT student) ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তারা ডিরেক্টরের পদত্যাগের দাবি জানাতে থাকেন। তাঁদের অভিযোগ, পড়াশুনার পাশাপাশি চাকরি নিয়ে অত্যধিক মানসিক চাপ (Mental pressure) তৈরি হচ্ছে তাদের মধ্যে। কলেজে নেই মেডিকেলের কোনও সুবিধা। এছাড়া এই ছাত্রের উপর মানসিক চাপ ছিল। পরীক্ষা বাতিল হওয়ার কারণেই তাঁর মানসিক চাপ তৈরি হয় বলে মনে করছেন সহপাঠীরা। এমন অবস্থায় বিক্ষোভের মুখে পড়ে ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিরেক্টর।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Debashis Dhar: মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গেলেন দেবাশিস ধর

    Debashis Dhar: মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সর্বোচ্চ আদালতে গেলেন দেবাশিস ধর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারের তরফে নো ডিউ সার্টিফিকেট না মেলায় তাঁর মনোনয়ন বাতিল করেছেন রিটার্নিং অফিসার। সরকারের বৈমাতৃসুলভ আচরণের প্রতিবাদে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হলেন প্রাক্তন আইপিএস দেবাশিস ধর (Debashis Dhar)। রাজ্য প্রশাসনের অঙ্গুলিহেলনে পুলিশের দীর্ঘদিন কোনঠাসা ছিলেন। পুলিশের চাকরি ছেড়ে রাজনীতির ময়দানে পা রেখেছিলেন তিনি। অভিযোগ ছিল শীতলখুচিকান্ডের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশেই তাঁকে পুলিশে কোণঠাসা করে রাখা হয়।

    একাধিক মামলায় ফাঁসানোর অভিযোগ (Debashis Dhar)

    দেবাশিস (Debashis Dhar) আগেই জানিয়েছেন শীতলখুচি (Sitalkuchi) কান্ডর পর বিভিন্ন মামলায় সাক্ষী করা হলেও আসামীর মত ব্যবহার করা হয় তাঁর সঙ্গে। একাধিক অনিয়মের মামলায় ফাঁসানো হয় তাঁকে। যদিও সাজানো মামলা ঠান্ডা ঘরে চলে গিয়েছে। চাকরি থেকে সাসপেন্ড ছিলেন দীর্ঘকাল। রাজনৈতিক জীবনেও তাঁর পথে কাঁটা বিছিয়ে রেখেছে রাজ্য। লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন দিয়েছিলেন দেবাশীষ ধর (Debashis Dhar)। পুলিশের চাকরি ছেড়ে দলে আসা দেবাশিসকে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী শতাব্দী রায়। ভয় না পেয়ে তিনি কার্যত জোর কদমে লড়াই শুরু করেছিলেন। গত সপ্তাহে তিনি মনোনয়ন জমা দেন। কিন্তু সরকারের তরফে নো ডিউ সার্টিফিকেট তাঁকে না দেওয়ায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। বিকল্প প্রার্থী হিসেবে দেবতনু ভট্টাচার্যকে (Debtanu Bhattacharya) এই কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন দিয়েছে গেরুয়া শিবির।

    আরও পড়ুনঃ “টানা ৬দিন পানীয় জল নেই,” সৌগত রায়কে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ মহিলাদের

    বিজেপির বক্তব্য

    প্রসঙ্গত বীরভূমের প্রার্থীর (Debashis Dhar) মনোনয়ন বাতিল হওয়ার পর বিজেপির (BJP) রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় (Jagannath Chattopadhyay) সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছিলেন রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তকে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court)) চ্যালেঞ্জ জানানো হবে। এরপরই সোমবার দেশের সর্বোচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন দেবাশীষ বাবু। বিজেপি নেতার আইনজীবী জানিয়েছেন, “লোকসভা নির্বাচন যেহেতু আসন্ন। তাই এই মামলার যাতে দ্রুত শুনানি হয় এবং আদালত যাতে মক্কেলকে রাজ্য সরকারকে দ্রুত নো ডিউ সার্টিফিকেট প্রদান করে সেই আবেদন করা হয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: সম্পদের পুনর্বণ্টন, সম্পত্তি কর, কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: সম্পদের পুনর্বণ্টন, সম্পত্তি কর, কংগ্রেসকে একেবারে ধুয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদির (PM Modi) নিশানায় ফের কংগ্রেস। সম্পদের পুনর্বণ্টণের যে প্রতিশ্রুতি কংগ্রেস দিয়েছে নির্বাচনী ইস্তাহারে (পোশাকি নাম ‘ন্যায়পত্র’), তাকে আরও একবার প্রধানমন্ত্রী বিদ্ধ করলেন সমালোচনার তিরে। প্রধানমন্ত্রীর ভাষায়, “(এগুলি) সমাধানের ছদ্মবেশে ভয়ঙ্কর সব সমস্যা।”

    সম্পদের পুনর্বণ্টন (PM Modi)

    সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আপনি যদি জানেন যে সম্পদের পুনর্বণ্টনের নামে সরকার আপনার কষ্টার্জিত অর্থ কেড়ে নেবে, তাহলে কি আপনি দিনরাত পরিশ্রম করবেন?” কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে ‘যুবরাজ’ সম্বোধন করে তিনি বলেন, “বিরোধীদের এই জাতীয় কার্যকলাপ পৃথিবী জ্বালাও নীতির উদাহরণ।” তাঁর মতে, সম্পদ করের এই আইডিয়া স্টার্টআপকে হত্যা করবে। এটি প্রকৃতপক্ষে বিরোধীদের ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার একটি পদ্ধতি। এই জাতীয় আইডিয়া সমাজে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করবে বলেও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি মনে করি না এগুলি কোনও সমাধান। কল্পনাপ্রসূতও কোনও সমাধান এগুলি নয়।” তার পরেই তিনি বলেন, “এগুলি হল সমাধানের ছদ্মবেশে ভয়ঙ্কর সব সমস্যা।”

    ‘বিকাশের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা যদি প্রকৃতই মানুষের শ্রীবৃদ্ধি কামনা করি, তাহলে আমাদের প্রথমেই সরাতে হবে বাধাগুলি, তাঁদের ক্ষমতায়ন করতে হবে। এটি তাঁদের উদ্যোগ-শক্তিকে প্রকাশ করে। যেমনটা আমরা দেখেছি দেশের টু কিংবা থ্রি-টায়ার শহরগুলিতে। একঝাঁক স্টার্টআপ ও স্পোর্টস স্টার বিকশিত হওয়ার সুযোগ পেয়েছে।” সম্পদ কর এবং সম্পদের পুনর্বণ্টন যে কখনওই সাফল্যের মুখ দেখেনি, সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তাও মনে করিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। কারণ হিসেবে তিনি বলেন, “এগুলি দারিদ্র দূর করতে পারে না। এগুলি বিলি করা হয়েছিল যাতে প্রত্যেকেই সমানভাবে গরিব থাকে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গরিবরা দারিদ্রের জ্বালায় জর্জরিত, সম্পদ তৈরি থেমে গিয়েছিল, দারিদ্র হয়ে উঠেছিল সর্বজনীন। এই নীতি অনৈক্যের বীজ বপন করেছিল, রুদ্ধ করে দিয়েছিল সাম্যের লক্ষ্যে পৌঁছানোর সমস্ত রাস্তা। দেশের মধ্যে তারা প্রোথিত করেছিল বিদ্বেষের বীজ, নড়বড়ে করে তুলেছিল অর্থনীতির ভিত।”

    “মাওবাদী চিন্তাভাবনা”

    গত সপ্তাহেই আমেরিকার ধাঁচে এদেশেও উত্তরাধিকার ট্যাক্স চালুর বিষয়ে ভাবনাচিন্তা করার কথা বলেছিলেন কংগ্রেসের ওভারসিজ নেতা শ্যাম পিত্রোদা। তিনি বলেছিলেন, “আমেরিকায় উত্তরাধিকার ট্যাক্স রয়েছে। কারও যদি ১০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের সম্পদ থাকে, তাহলে তাঁর মৃত্যুর পর ৫৫ শতাংশ সম্পদ নিয়ে নেবে সরকার, বাকি ৪৫ শতাংশ পাবেন মৃতের উত্তরাধিকারীরা।” এদিন তাঁকেও আক্রমণ শানান প্রধানমন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেসের প্রস্তাব এক্স-রে-র মতো অথবা সম্পদ পুনর্বণ্টনের জন্য আর্থ-সমাজিক সার্ভে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায়, “মাওবাদী চিন্তাভাবনা এবং দর্শনের পরিষ্কার উদাহরণ। এটা দেখে দুঃখ হচ্ছে যে কংগ্রেস এবং তার যুবরাজ এমন মাওবাদী দৃষ্টিভঙ্গি বহন করে চলেছেন, যা আদতে বিপর্যয় ডেকে আনবে। আপনারা হয়ত শুনেছেন, যুবরাজ বলছেন আমরা এক্স-রে করব। এই এক্স-রে কিছুই নয়, প্রত্যেকের বাড়িতে রেইড করবে। কৃষকের বাড়িতে রেইড করে তারা জানতে চাইবে, তাঁদের কত জমিজমা রয়েছে। সাধারণ মানুষের বাড়িতে রেইড করতে গিয়ে তারা দেখবে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে তাঁরা কত সম্পদ করেছেন। তারা আমাদের বাড়ির মা-বোনেদের গয়নাও রেইড করবে।” প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমাদের সংবিধান প্রতিটি সংখ্যালঘুর সম্পত্তি রক্ষা করে। এর অর্থ হল, কংগ্রেস যখন সম্পদের পুনর্বণ্টনের কথা বলে, তখন তা সংখ্যালঘুদের ক্ষেত্রে বর্তায় না, ওয়াকফ সম্পত্তি পুনর্বণ্টনের কথা তারা বলে না, তাদের শ্যেন দৃষ্টি কেবল অন্য সম্প্রদায়ের (পড়ুন সংখ্যাগুরুদের) সম্পত্তির ওপর। এভাবে তারা দেশে অনৈক্যে বীজ বপন করবে।”

    আরও পড়ুুন: ‘‘রাজনীতির জন্য নষ্ট হয়ে গিয়েছে কলকাতা’’, বাংলার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগপ্রকাশ মোদির

    ভারতের মর্যাদাহানি

    বিজেপি গণতন্ত্রের পক্ষে বিপজ্জনক বলে লাগাতার প্রচার করে চলেছেন বিরোধীরা। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিরোধীরা ক্ষমতায় আসতে পারছেন না। তাই বিশ্বমঞ্চে তারা ভারতের মর্যাদাহানি করতে শুরু করেছে।” তিনি বলেন, “তাঁরা (বিরোধীরা) আমাদের নাগরিকদের সম্পর্কে মিথ্যা কথা বলছেন, আমাদের গণতন্ত্র, আমাদের প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে মিথ্যা রটাচ্ছেন। ভারতে নির্বাচনী স্বৈরাচার কখনওই আসবে না, যদি না যুবরাজ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ক্ষমতায় চলে আসেন। এর কারণ তাঁকে নির্বাচনে লড়াই করতে হবে। আর তাঁর কথায় ভরসা করে ভারতবাসী নষ্ট হতে দেবেন না তাঁদের গণতন্ত্রকে।” পাবলিক সেক্টর, প্রাইভেট সেক্টর এবং এন্টারপ্রেনিয়রশিপ এই তিন ক্ষেত্রে ব্যাপক সুযোগ সৃষ্টি হওয়ায় দেশবাসী তাঁর দশ বছরের রাজত্বকালকে মনে রাখবেন বলেও আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী। তাঁর জমানায় যে ভারতের প্রতি বিশ্ব নেতাদের সম্ভ্রম বাড়ছে, তাও মনে করিয়ে দেন তিনি (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share