Author: user

  • Lok Sabha Elections 2024: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    Lok Sabha Elections 2024: “ওয়েনাড়ে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ওয়েনাড় কেন্দ্রে জিততে কংগ্রেস নিষিদ্ধ পিএফআইয়ের সাহায্য নিচ্ছে।” রবিবার কর্নাটকের বেলগাভির জনসভায় এমনই অভিযোগ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Lok Sabha Elections 2024)। কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর রাজা-মহারাজাদের নিয়ে সমালোচনারও জবাব দিয়েছেন তিনি। তুষ্টিকরণের রাজনীতির কারণে কংগ্রেস নবাব, নিজাম, সুলতান ও বাদশাহদের সম্পর্কে নীরব বলেও অভিযোগ প্রধানমন্ত্রীর।

    কংগ্রেসকে নিশানা মোদির (Lok Sabha Elections 2024)

    উত্তরাধিকার ট্যাক্স ইস্যুতেও কংগ্রেসকে একহাত নেন প্রধানমন্ত্রী। কর্নাটকে কংগ্রেস সরকার যে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থ, তাও জানান তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “দেশবাসীর যাতে সম্পদ বাড়ে, বিজেপি নিরন্তর সেই চেষ্টা করে চলেছে। আর কংগ্রেসের শাহজাদা (রাহুল গান্ধী) ও তাঁর বোন (প্রিয়ঙ্কা গান্ধী) দু’জনেই ঘোষণা করেছেন, তাঁরা যদি ক্ষমতায় আসেন তাহলে দেশের ওপর এক্স-রে করবেন।” প্রধানমন্ত্রী বলেন (Lok Sabha Elections 2024), “তাঁরা আপনার সম্পত্তি, ব্যাঙ্ক লকার, জমি, গাড়ি, স্ত্রীধন এবং মহিলাদের গয়না, সোনা মায় মঙ্গলসূত্রের ওপরও এক্স-রে করবেন। এই লোকগুলো প্রত্যেকের বাড়িতে হানা দেবে, আপনার সম্পত্তি কেড়ে নেবে। সম্পদ কেড়ে নিয়ে তারা একে পুনর্বন্টন করবে। তারা এটা বিলিয়ে দেবে তাদের, যারা তাদের প্রিয় ভোটব্যাঙ্ক। আপনারা কি আপনাদের সম্পদ এভাবে লুট হতে দেবেন?”

    ‘তুষ্টিকরণের রাজনীতি করছে কংগ্রেস’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি কংগ্রেসকে এই বলে সতর্ক করতে চাই যে, এসব ধান্ধা ছাড়ুন। যতদিন মোদি বেঁচে রয়েছে, আমি এটা হতে দেব না।” তিনি বলেন, “কংগ্রেস যে ইতিহাস লিখিয়েছে, স্বাধীনতা সংগ্রামের যে কাহিনি বর্ণনা করেছে, তা করা হয়েছে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করতে, ভোটব্যাঙ্কের স্বার্থে। এমনকী আজও কংগ্রেসের শাহজাদা সেই পাপ বয়ে বেড়াচ্ছেন। আপনারা বোধহয় কংগ্রেসের শাহজাদার সাম্প্রতিক বিবৃতি শুনে থাকবেন। তিনি বলেছেন, ভারতের রাজা-মহারাজারা দমন-পীড়ন করতেন।”

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তিনি(রাহুল গান্ধী) তাঁদের (রাজা-মহারাজাদের) বিরুদ্ধে দেশের গরিবদের জমি এবং সম্পদ কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ করেছেন। কংগ্রেসের শাহজাদা ছত্রপতি শিবাজি মহারাজ এবং কিত্তুর রানি ছান্নাম্মাদের মতো মহান ব্যক্তিত্বকে অপমান করেছেন। যাঁদের সুশাসন ও দেশপ্রেম আজও আমাদের প্রাণিত করে।” এর পরেই প্রধানমন্ত্রী বলেন, “কিন্তু শাহজাদা নবাব, নিজাম, সুলতান এবং বাদশাহদের দমন-পীড়ন নিয়ে একটি কথাও বলেননি। ঔরঙ্গজেবের দমন-পীড়নের কথা বোধহয় কংগ্রেসের মনে নেই। এই ঔরঙ্গজেবই হাজার হাজার হিন্দু মন্দির ধ্বংস করেছিলেন। যেসব রাজনৈতিক দল ঔরঙ্গজেবের প্রশংসা করে, কংগ্রেস তাদের সঙ্গেই মাখামাখি করে। তারা (কংগ্রেস) একবারও তাদের কথা বলে না, যারা আমাদের তীর্থক্ষেত্রগুলি ধ্বংস করেছিল, সেগুলিতে লুটপাট চালিয়েছিল, মানুষ খুন করেছিল (Lok Sabha Elections 2024), করেছিল গোহত্যাও।”

    আরও পড়ুুন: আজমল কাসভকে ফাঁসিতে লটকানোর নেপথ্য নায়ককেই প্রার্থী করল বিজেপি

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Seikh Sahajahan: আরও বিপাকে শেখ শাহজাহান! অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের ধারা যুক্ত হবে মামলায়

    Seikh Sahajahan: আরও বিপাকে শেখ শাহজাহান! অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনের ধারা যুক্ত হবে মামলায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার আরও বিপদে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান (Seikh Sahajahan)। রেশন দুর্নীতি মামলায় ইডি তাঁর বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তাঁর বাহিনী আক্রমণ করে। এরপর থেকে পলাতক হয়ে যান তিনি। ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় এই পালতক নেতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের রায়ে তদন্তভার নেয় সিবিআই। এবার নতুন করে আরও একবার মামলা দায়ের করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

    সিবিআই সূত্রে খবর (Seikh Sahajahan)

    সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালিকাণ্ডে আগামীকাল সোমবার বসিরহাট আদালতে শাহজাহানের (Seikh Sahajahan) বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও বিস্ফোরক আইন যুক্ত করার আবেদন করবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একে আগেই ইডি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্ত করছিল, এরপর ইডির উপর আক্রমণের মামলা, এবার অস্ত্র আইনের মামলা যোগ করা হবে। ফলে এই নতুন মামলায় সন্দেশখালির এই শাহজাহানের বিরুদ্ধে যে আরও কড়া অবস্থান নিতে চলেছে সেই বিষয়ে সন্দেহ নেই।

    আবু তাহেরের বাড়িতে উদ্ধার অস্ত্র

    গতকাল শুক্রবার যখন একদিকে রাজ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন চলছে ঠিক সেই দিন সন্দেশ খালিতে তদন্তে নামে সিবিআই। গোপন সংবাদ পেয়ে শাহজাহানের (Seikh Sahajahan) ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে লুকিয়ে রাখা প্রচুর অস্ত্র উদ্ধার হয়। এরপর একই সঙ্গে নামে কমান্ডো। মাটি খনন করে উদ্ধার করা হয় বিপুল অস্ত্র। উদ্ধার করা হয় প্রচুর বিস্ফোরক। এরপর সেগুলিকে নিস্ক্রিয় করা হয়। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রের উৎস কী? শাহজাহানের সঙ্গে সম্পর্ক কী তাই নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক প্রশ্ন। তাই এবার অস্ত্র আইনের ধারায় মামলা গ্রহণ করা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

    আরও পড়ুন: “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

    রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়

    উল্লেখ্য সন্দেশখালিতে সন্ধান মিলেছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার এবং বিস্ফোরক। তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের (Seikh Sahajahan) ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রচুর বোমা, বন্দুক এবং বিস্ফোরক। ইতিমধ্যেও ঘটনাস্থলে নামানো হয়েছে এনএসজি কমান্ডো এবং রবোর্ট। ইতিমধ্যে এলাকার মানুষ জানিয়েছেন এলাকায় ভোটে আতঙ্ক তৈরি করতে আন্তর্জাতিক জঙ্গিদের প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে। তৃণমূলের নেতার গ্রামের মহিলাদের সাদা থান দেওয়ার নিদান দিচ্ছেন। ঘটনায় রাজ্য বিজেপি তীব্র তোপ দেগেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। পাল্টা মমতার বক্তব্য ছিল সব বিজেপির চক্রান্ত, এনএসজি ইচ্ছে করে বোমা বন্দুক বিস্ফোরক মজুত করেছে। ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়ে পড়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Dilip Ghosh: “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো”, তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Election) জোর প্রচার চলছে বর্ধমানে। আর প্রচারের মাঝেই ফের দিলীপ ঘোষের নিশানায় তৃণমূল। এবার মারের বদলে পাল্টা মারের হুঁশিয়ারি দিলেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। “হামলা হলে হামলা হবে, চোখ দেখালে চোখ দেখাবো, লাঠি দেখালে লাঠি দেখাবো, আমি দিলীপ ঘোষ।” এভাবেই রবিবাসরীয় সকালে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের (Burdwan Durgapur Lok Sabha constituency) বিজেপি প্রার্থী।

    রবিবাসরীয় প্রচারে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)

    এদিন বর্ধমানের সাধনপুর হাইস্কুল মাঠে প্রাতঃভ্রমণ ও জনসংযোগ সারেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। তারপর রোজকার মত চা চক্রের অনুষ্ঠানে হাজির হন। সেখানে তিনি বলেন, “আগামী ১৩ তারিখ পর্যন্ত যদি ভদ্রভাবে না থাকে, আমিতো পাঁচ বছর থাকবো তারপর হিসাব কেতাব বুঝে নেব। বিজেপি (BJP) এক ইঞ্চি জায়গা ছাড়বে না। ওদের প্রার্থীকে এখনই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। গরমে, রোদে কষ্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এলেন লোক হলো না। ওদের সমস্যা ওদের ব্যাপার। পার্টি অফিসের সামনে থেকে গো ব্যাক বলছে, দম থাকলে বেড়িয়ে আয় আমাদের মতন রোদে গরমে।”

    এছাড়া এদিন প্রচারে বেড়িয়ে আরও একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ। কেতুগ্রামে বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রিয়া সাহার প্রচারে হামলার ঘটনায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “ওরা এসবই করবে। আরতো কিছু করার নেই ওদের।” একই সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে পাখা বিলি নিয়ে সিপিএমের অভিযোগের প্রেক্ষিতে দিলীপ ঘোষের পাল্টা দাবী, “ওদের তো হাওয়াও নেই। আমি পাখা বিলি করবো, ক্যালেণ্ডার বিলি করবো। আমি মনে করি এটা নির্বাচনের বিধিভঙ্গ নয় এটা নির্বাচনের অঙ্গ।” পাশাপাশি শনিবার জামালপুরে নির্বাচনী সভায় অভিষেক ব্যানার্জির মন্তব্য নিয়ে দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “উনি কি মনে করেন ডায়মণ্ড হারবার একমাত্র লোকসভা যে সব টাকা ওখানে খরচ হবে। আসলে উনি ডায়মণ্ড হারবার মডেল চালু করার চেষ্টা করছেন।”

    আরও পড়ুন: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    অভিষেককে নিশানা দিলীপের

    উল্লেখ্য, শনিবার জামালপুরের সেলিমাবাদের মাঠে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শর্মিলা সরকারের সমর্থনে নির্বাচনী সভায় অভিষেক ব্যানার্জি ঘোষণা করেন লোকসভা নির্বাচনে যে পঞ্চায়েত, যে এলাকায়, যে ব্লকে, যে বিধানসভায় তৃণমূল (TMC) জিতবে সেই এলাকায় প্রকৃত উপভোক্তাদের অ্যাকাউন্টে বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা ঢুকে যাবে। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিতর্ক তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। আর এবার সেই বিতর্কের মাঝেই অভিষেক ব্যানার্জিকে (Abhishekh banerjee) সরাসরি নিশানা করলেন দিলীপ ঘোষ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Vande Bharat Metro: বন্দে মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু জুলাইতে, জুড়বে ১২৪ শহরকে

    Vande Bharat Metro: বন্দে মেট্রোর ট্রায়াল রান শুরু জুলাইতে, জুড়বে ১২৪ শহরকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ভারতীয় রেল স্বল্প দূরত্বের বন্দে ভারত মেট্রো ট্রেনের (Vande Bharat Metro) ট্রায়াল রান শুরু করবে, এমনটাই জানা গিয়েছে। এছাড়াও রেল সূত্রের খবর, আগামী মাসেই অর্থাৎ ২০২৪ সালের মে মাস থেকেই বন্দে ভারতের স্লিপার ট্রেনেরও ট্রায়াল রান শুরু হবে। অর্থাৎ একযোগে ভারতীয় রেলের মুকুটে জুড়তে চলেছেন নয়া দুটি পালক। প্রসঙ্গত, রেলমন্ত্রী আগেই জানিয়েছিলেন, রেলের আধুনিকীকরণের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে ২০২২-২০২৩ বর্ষে। সেই সিদ্ধান্তের প্রতিফলনই ধরা পড়ল রেলের ঘোষণায়।

    জুড়বে ১২৪ শহরকে

    ভারতীয় রেলের তরফে জানানো হয়েছে, বন্দে ভারত মেট্রো (Vande Bharat Metro) ট্রেনগুলি ১০০ থেকে ২৫০ কিলোমিটারের রুটে চলবে। অন্যদিকে বন্দে ভারতের স্লিপার ট্রেনগুলি এক হাজার কিলোমিটারের বেশি রুটে ছুটবে। রেলের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলি ১২৪টি শহরকে যুক্ত করবে। এর মধ্যে রয়েছেন লক্ষ্ণৌ-কানপুর, আগ্রা-মথুরা, দিল্লি-রেওয়ারি ভুবনেশ্বর-বালাসোর এবং তিরুপতি-চেন্নাই প্রভৃতি।

    কেমন হবে বন্দে ভারত মেট্রো

    নতুন বন্দে ভারত মেট্রো ট্রেনগুলির (Vande Bharat Metro) ডিজাইনও ইতিমধ্যে জানা গিয়েছে। সমস্ত বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলিতে থাকবে এসি। চালু রেলপথেই এগুলি চলবে। তার জন্য আলাদা করে কোনও ট্রাক তৈরি হবে না। যেকোনও বড় শহরের আশেপাশের শহরগুলিকে যুক্ত করতে এই ট্রেনগুলি ছুটবে। এই সমস্ত ট্রেনে অনেক বেশি সংখ্যক যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন বলে জানা যাচ্ছে। বন্দে মেট্রোর গতিও হবে খুব বেশি। পাশাপাশি বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলির সমস্ত ছোট স্টেশনেই থামবে। প্রতিটি ট্রেনে বারোটি করে কামরা থাকবে। অন্যান্য মেট্রো ট্রেনগুলির মতোই বন্দে মেট্রোর দরজা হবে অটোমেটিক। জানা গিয়েছে পরবর্তীকালে এই বন্দে মেট্রো ট্রেনগুলিতে আরও চারটি করে বগি জোড়া হতে পারে। যার ফলে মোট কোচের সংখ্যা হবে ১৬। বন্দে মেট্রো (Vande Bharat Metro) ট্রেনগুলি পুরোটাই হবে অসংরক্ষিত কামড়ার। রেলের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের ১০০ দিনের মধ্যেই ট্রাকে ছুটবে বন্দে ভারত মেট্রো।

    স্লিপার বন্দে ভারত ছুটবে ৫০টি

    জানা গিয়েছে, স্লিপার বন্দে ভারত ট্রেনগুলিতে থাকবে দুটি ৬০০০ হর্সপাওয়ারের লোকোমোটিভ ইঞ্জিন। একটি থাকবে সামনে এবং অপরটি পিছনে। অর্থাৎ দুদিকেই ছুটতে পারবে এই বন্দে ভারত ট্রেনগুলি। এই ট্রেনগুলি দীর্ঘ দূরত্বের যাত্রীদের অত্যন্ত সাশ্রয়ী মূল্যে ভ্রমণের সুবিধা দেবে। চলতি বছরে এমন ৫০টি নতুন ট্রেন ছুটবে বলে জানা গিয়েছে। অন্যদিকে আগামীদিনে এমন ট্রেনের সংখ্যা বেড়ে চারশোটি হবে বলে জানিয়েছে রেল মন্ত্রক। এই ট্রেনগুলির পুরো ডিজাইনটাই হবে বিদেশি ট্রেনের মত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Mahadev betting app case: ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’ মামলায় গ্রেফতার ‘স্টাইল’ খ্যাত অভিনেতা সাহিল খান

    Mahadev betting app case: ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’ মামলায় গ্রেফতার ‘স্টাইল’ খ্যাত অভিনেতা সাহিল খান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরে ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’-এর (Mahadev betting app case) কেলেঙ্কারি সামনে আসতেই নাম জড়িয়ে ছিল একাধিক বলিউড তারকার। এবার সেই মামলায় ছত্তিশগড় থেকে গ্রেফতার করা হল ‘স্টাইল’ সিনেমা খ্যাত অভিনেতা সাহিল খানকে। প্রসঙ্গত, এই মামলায় তিনি গ্রেফতার হতে পারেন তা আগেভাগেই বুঝতে পেরেছিলেন সাহিল খান। আগেই বোম্বে হাইকোর্টে অভিনেতা আগাম জামিনের আর্জিও জানান। তবে উচ্চ আদালত অভিনেতার সেই আর্জি খারিজ করে দেয়। এরপর থেকেই লুকিয়ে বেড়াচ্ছিলেন সাহিল খান। অবেশেষে ধরা পড়লেন পুলিশের জালে। প্রসঙ্গত ‘অনলাইন বেটিং অ্যাপ’-এ গড়াপেটার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গত বছরে মুম্বই পুলিশ সাহিল খানকে বেশ কয়েকবার জিজ্ঞাসাবাদও করে।

    ১৫ হাজার কোটির আর্থিক প্রতারণা 

    ‘স্টাইল’ সিনেমা ছাড়াও ‘এক্সকিউজ মি’ ছবিতে অভিনয় করে দর্শকদের মন কেড়েছিলেন তিনি (Mahadev betting app case)। তবে বলিউডে সেভাবে নিজের পা জমাতে পারেননি তিনি। জানা গিয়েছে, প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার আর্থিক প্রতারণার সঙ্গে নাম জড়িয়েছে সাহিল খানের। সূত্রের খবর ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’ গড়াপেটা (Mahadev betting app case) কাণ্ডে অভিযুক্তদের তালিকায় মোট ৩১ জনের নাম রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এঁরা প্রত্যেকেই পরিচিত ব্যক্তিত্ব। এর মধ্যে সাহিল খানের নাম ছিল ২৬ নম্বরে।

    কী বলেছিলেন সাহিল

    অভিযোগ, এই অ্যাপের (Mahadev betting app case) মাধ্যমেই বেআইনিভাবে বিপুল পরিমাণে আর্থিক লাভ করেছেন অভিনেতা। ঘটনায় সাহিল খানের নাম প্রকাশ্যে আসতেই তিনি সে সময় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, তারকা হিসেবে শুধুমাত্র ব্র্যান্ড প্রোমোটারের কাজ করেছিলেন তিনি। এছাড়া ‘মহাদেব বেটিং অ্যাপ’ সংক্রান্ত কেলেঙ্কারি সম্পর্কে তিনি নাকি কিছুই জানতেন না। তবে অভিনেতার এমন বিবৃতিকে গুরুত্ব দেয়নি আদালত।

    কী জানালেন বিচারপতি

    বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি এসভি কোতোয়ালের সিঙ্গেল বেঞ্চ জানিয়েছে, ‘মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপের’ (Mahadev betting app case) সমস্ত কার্যকলাপই বেআইনি। বিপুল পরিমাণ অর্থ জড়িত রয়েছে এখানে। এর জন্য ভুয়ো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও তৈরি করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে ভুয়ো সিমকার্ড। জানা গিয়েছে, সাহিল খানের সম্পর্ক ছিল ‘দ্য লায়ন বুক অ্যাপ’- এর সঙ্গেও। এটি হল, ‘মহাদেব ব্যাটিং অ্যাপ’-এর একটি শাখা। এর পাশাপাশি তাঁর অংশীদারিত্ব ছিল ‘লোটাস বুক অ্যাপে’ও।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC recruitment Verdict: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    SSC recruitment Verdict: প্রায় ২৬ হাজার বাতিল চাকরির মামলা এবার সুপ্রিম কোর্টে, সোমেই শুনানি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় (SSC recruitment Verdict) দেবে দেশের শীর্ষ আদালত। মামলার শুনানির দিনক্ষণ জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট। সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্ট একসঙ্গে ২৫ হাজার ৭৫৩ জন শিক্ষক এবং অশিক্ষক কর্মীর নিয়োগ বাতিল করেছে। কলকাতা হাই কোর্টের (calcutta high court) চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে এরপর সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। সোমবারই সেই মামলারই শুনানি হতে পারে।

    প্রধান বিচারপতির বেঞ্চই শুনবে এই মামলা (SSC recruitment Verdict)

    শনিবার সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে জানানো হয়, আগামী সোমবার, ২৯ এপ্রিল এসএসসির প্রায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিল (SSC recruitment Verdict) মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির বেঞ্চ শুনবে এই মামলা। প্রধান বিচারপতির সঙ্গে থাকবেন বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্র। সূত্রের খবর, সোমবার বেলা ১২টা নাগাদ দেশের শীর্ষ আদালতে এই মামলার শুনানি শুরু হতে পারে।

    সুপ্রিম কোর্টে মামলা

    নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (SSC recruitment Verdict) বিচারপতি দেবাংশু বসাক ও বিচারপতি সব্বার রশিদির ডিভিশন বেঞ্চের ঐতিহাসিক রায়দানের পরই ২০১৬ সালের নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ এবং গ্রুপ সি ও ডি-এর সব নিয়োগ বাতিল করা হয়। পাশাপাশি অনিময় করে যারা চাকরি পান তাঁদের চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয়েছে। হাই কোর্টের (calcutta high court) চাকরি বাতিলের এই রায়ের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় রাজ্য সরকার। এরপর বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টে দায়ের করা হয়েছিল স্পেশাল লিভ পিটিশনও।

    আরও পড়ুন: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বাগুইআটিতে খুন তৃণমূল কর্মী! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আটক ১৩

    ৩ মে শুনানি

    যদিও আগে জানা গিয়েছিল আগামী ৩ মে এসএসসি মামলায় (SSC recruitment Verdict) শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে এদিন চূড়ান্ত দিন স্থির করল সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, সোমবার এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) মামলার রায়দান করতে গিয়ে হাইকোর্ট জানায়, বারংবার যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা কমিশনের কাছে চাওয়া হলেও তারা কোনো সহযোগিতা করেনি। বাধ্য হয়ে আদালতকে গোটা প্যানেল বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়ে হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Baguiati: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বাগুইআটিতে খুন তৃণমূল কর্মী! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আটক ১৩

    Baguiati: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বাগুইআটিতে খুন তৃণমূল কর্মী! পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ, আটক ১৩

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল দলেরই আরেক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। খাস কলকাতার বাগুইআটির (Baguiati) এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে গোটা এলাকায়। নিহত তৃণমূল কর্মীর নাম সঞ্জীব দাস। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জনকে আটক করেছে পুলিশ। বাগুইআটির অর্জুনপুর এলাকার পশ্চিম পাড়ায় শনিবার রাতে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ঝামেলা শুরু হয় বলে জানা গিয়েছে। ঝামেলার পরে দুপক্ষ একে অপরের দিকে ইট ছুড়তে থাকে। ঘটনাস্থলে আসে বাগুইআটি থানার পুলিশ। পরিস্থিতি সাময়িক নিয়ন্ত্রণে এলেও পুলিশ চলে যেতেই আবার গন্ডগোল শুরু হয় দু’পক্ষের মধ্যে।

    ঘটনার বিবরণ

    অভিযোগ, তৃণমূলেরই এক গোষ্ঠী (Baguiati), অন্য গোষ্ঠী এলাকায় বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন করে দেয়। দুপক্ষের ইট বর্ষণের জেরে মাথায় চোট পান সঞ্জীব দাস ওরফে পটলা। আঘাত পেয়ে তিনি রাস্তায় পড়ে যান। এই সময় তাঁর বাকি সঙ্গীরা পালিয়ে যায়। তখনই বিপক্ষ গোষ্ঠীর লোকজনেরা সঞ্জীবকে ঘিরে ধরে ফেলে। তারপরে তাঁকে আহত অবস্থাতে নর্দমায় ফেলে লাথি ঘুসি মারা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের অভিযোগ, সঞ্জীব দাসকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে তৃণমূলের অপরগোষ্ঠী। এরপরে রক্তাক্ত অবস্থায় রাস্তায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকেন সঞ্জীব। আহত অবস্থায় পরবর্তীকালে তাঁকে আরজিকর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার গভীর রাতেই হাসপাতালে মৃত্যু হয় তাঁর। সঞ্জীবের মৃত্যুর খবর এলাকায় পৌঁছতেই ফের উত্তেজনা ছড়ায়। এলাকার (Baguiati) বাসিন্দারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে শুরু হয় পথ অবরোধ।

    কী বলছেন মৃতের মেয়ে

    মৃতের মেয়ে বলেন, “এর আগে অনেকবার আমার বাবার উপর আক্রমণ করা হয়েছে। একাধিকবার কেস করা হয়েছে। দেবরাজ চক্রবর্তীর কাছে গিয়েছিলাম। তবে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু কেউ সাহায্য করেনি। পুলিশ এল তখন, যখন আমার বাবাটা মরে গেল। পুলিশ অভিযুক্তদের তুলে নিয়ে আসুক। ওদের কঠোর শাস্তি চাই।”  স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, এলাকায় (Baguiati) তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ দীর্ঘদিনের। স্থানীয় কাউন্সিলর দেবরাজ চক্রবর্তীকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কোনও ব্যবস্থা নেননি তিনি। স্থানীয়দের দাবি, শনিবার রাতেও একাধিকবার দেবরাজ চক্রবর্তীকে ফোন করা হলেও তিনি কোনও উত্তর দেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর কোপে মাথা ফাটল মহিলা বিজেপি কর্মীর! থানায় বিক্ষোভ দেবশ্রীর

    Loksabha Election 2024: তৃণমূল দুষ্কৃতীর কোপে মাথা ফাটল মহিলা বিজেপি কর্মীর! থানায় বিক্ষোভ দেবশ্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) মধ্যেই মাথা ফাটল বিজেপি কর্মীর। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কসবা থানার গেটের সামনে অবস্থান বিক্ষোভে বসলেন বিজেপি প্রার্থী দেবশ্রী চৌধুরি। ঘটনায় অভিযুক্ত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এই ঘটনায় ভোটের আবহে ব্যাপক চাঞ্চাল্য তৈরি হয়েছে দক্ষিণ কলকাতা লোকসভা কেন্দ্রে।

    ঘটনা কী ঘটেছে (Loksabha Election 2024)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতায় বিজেপির সাংগঠনিক জেলার কসবা মণ্ডল সভাপতি সরস্বতী সরকারকে চপার দিয়ে কোপ মারার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিবাদে আনন্দপুর থানার সামনে বিজেপি ব্যাপক ভাবে বিক্ষোভ দেখায়। এদিন এই ঘটনায় জন্য বিক্ষোভের নেতৃত্বে দেখা যায় এই দক্ষিণ কলকাতার বিজেপি প্রার্থী (Loksabha Election 2024) দেবশ্রীকে। তিনি নিজে বিজেপি কর্মী সরস্বতীদেবীর বাড়িতে যান। এরপর তাঁকে সঙ্গে করে আনন্দপুর থানায় নিয়ে আসেন। এরপর থানার ওসির সঙ্গে দেখা করতে চান। কিন্তু থানায় ওসি না থাকায় কথা হয়নি। উল্লেখ্য তৃণমূলের তরফ থেকে এই হামলার কথা অস্বীকার করেছে। বিজেপির জেলা সভাপতি অনুপম ভট্টাচার্য বলেন, “১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা ১০ নম্বর বোরোর চেয়ারম্যান সুশান্ত ঘোষের নির্দেশে আমাদের এই মহিলা মণ্ডল সভাপতি আক্রান্ত হয়েছেন। এলাকার প্রভাবশালী নেতা হলেন সুশান্ত ঘোষ। সেই জন্য কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছে না আনন্দপুর থানার পুলিশ।”

    কী বললেন দেবশ্রী?

    বিজেপির মহিলা কর্মীকে আক্রমণ এবং কোপ মারার ঘটনায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তির দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে বিজেপি। রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে একাধিক বিষয়ে মমতার বিরুদ্ধে তোপ দাগেন বিজেপি নেত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। তিনি বলেন, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কি এই ভাবেই শাসন চালাবেন। তাঁর প্রার্থী (Loksabha Election 2024) মালা রায় এই ভাবে মহিলাদের মারধর করবার জন্য ভোট চাইছেন? বিজেপির এক মহিলাকে কোপ দিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে।” একই ভাবে থানায় ওসিকে না পেয়ে তোপ দেগে দেবশ্রী আরও বলেন, “থানায় তো নেই, স্নান করতে গিয়েছেন। স্নান করে মাংসভাত খাবেন। তারপর সুখটান দেবেন। এরপর তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষকে ফোন করে সিদ্ধান্ত নেবেন। যতক্ষণ ওসি আসবেন না ততক্ষণ এখানে আমরা বসে থাকব। দেখি তাঁর হজম হতে কত সময় লাগে। তারপর ওষুধ নিয়ে আসব।”

    আরও পড়ুন: বিজেপি কর্মী আসলে কেউটে সাপ মনে করে লাঠি দিয়ে পেটানোর নিদান দিলেন তৃণমূল বিধায়ক

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনার দায় অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা সুশান্ত ঘোষ বলেন, “ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তবে নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) সময়ে এই ধরনের ঘটনা না ঘটলেই ভালো হতো। ঘটনায় যুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত শাস্তি চাই।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Delhi Congress: দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা লাভলির, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    Delhi Congress: দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা লাভলির, গাড্ডায় সোনিয়ার দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও গাড্ডায় কংগ্রেস (Delhi Congress)। দিল্লি কংগ্রেস সভাপতি পদে ইস্তফা দিলেন অরবিন্দর সিং লাভলি। নির্বাচনের মুখে পদ ছাড়ার কারণও ব্যাখ্যা করেছেন অরবিন্দর। বলেন, “দুর্নীতির অভিযোগে জেলে রয়েছেন আম আদমি পার্টির কয়েকজন মন্ত্রী। তা সত্ত্বেও কেজরিওয়ালের দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে কংগ্রেস। লোকসভা নির্বাচনের জন্যই এটা করছে। দলের নিচুতলার কর্মীরা এতে অসন্তুষ্ট।” কংগ্রেসের প্রধান মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে লেখা চিঠিতে তিনি লিখেছেন, “যেহেতু তিনি দিল্লির কংগ্রেস কর্মীদের স্বার্থ রক্ষা করতে পারেননি, তাই পার্টির শহর ইউনিটের প্রধান থাকার আর কোনও কারণ তিনি খুঁজে পাচ্ছেন না।”

    কী বললেন অরবিন্দর? (Delhi Congress)

    অরবিন্দর জানান (Delhi Congress), দিল্লি কংগ্রেস ইউনিট এমন একটা পার্টির সঙ্গে মাখামাখি করতে চায়নি, যারা দুর্নীতিতে ভরপুর, মিথ্যার বেসাতি করে, কংগ্রেসের দিকে কেলেঙ্কারির অভিযোগ তোলে। তা সত্ত্বেও দল দিল্লিতে আপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। তাঁর আরও অভিযোগ, পার্টি লোকসভা নির্বাচনের টিকিট দিয়েছেন এমন কয়েকজনকে, যাঁরা কংগ্রেসের দিল্লি ইউনিটে আগন্তুক। এ প্রসঙ্গে তিনি উত্তর-পশ্চিম দিল্লির প্রার্থী উদিত রাজ এবং উত্তর-পূর্ব দিল্লির প্রার্থী কানাহাইয়া কুমারের প্রসঙ্গের উল্লেখ করেন। সূত্রের খবর, উদিত ও কানহাইয়াকে প্রার্থী করায় ক্ষোভে ফুঁসছেন দিল্লি কংগ্রেসের নিচুতলার কর্মীরা। পরিস্থিতি এমনই পর্যায়ে গিয়েছে যে, দিল্লির অনেক নেতাই হয় বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা করছেন, নয়ত নয়া দল গঠন করতে চাইছেন। রাজনৈতিক মহলের মতে, যদি তা হয়, তাহলে নির্বাচনের আগেই দুরমুশ হয়ে যাবে দিল্লি কংগ্রেসের মেরুদণ্ড।

    আরও পড়ুুন: আজমল কাসভকে ফাঁসিতে লটকানোর নেপথ্য নায়ককেই প্রার্থী করল বিজেপি

    ওগরালেন এক রাশ ক্ষোভ

    দিন কয়েক আগে আপ সুপ্রিমো তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের প্রশংসা করেছিলেন কানহাইয়া কুমার। এদিন তাঁকেও নিশানা করেন অরবিন্দর। বলেন, “এই জাতীয় নিচুমনের চিন্তাভাবনা এবং তথ্যগতভাবে ভুল বিবৃতি কংগ্রেসের দিল্লি ইউনিট মেনে নেবে না। কারণ দলের স্থানীয় কর্মীরা আপের সঙ্গে জোট মেনে নিতে পারছেন না। দিল্লির উন্নয়ন নিয়ে আপ যে মিথ্যা প্রচার করছে, তাও বিশ্বাস করেন না তাঁরা।” কংগ্রেসের অন্তর্দ্বন্দ্বেও যে তিনি বিরক্ত, এদিন তাও জানিয়েছেন অরবিন্দর।  তিনি বলেন, “ডিপিসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে আমায় নিয়োগ করা হলেও, এআইসিসির সাধারণ সম্পাদক (দিল্লি ইনচার্জ) আমায় কোনও সিনিয়র নেতাকে নিয়োগ করতে দেননি। আমায় প্রতিবন্ধী করে রাখা হয়েছিল।” প্রসঙ্গত, গত অগাস্ট থেকে দিল্লি কংগ্রেসের প্রেসিডেন্ট ছিলেন অরবিন্দর (Delhi Congress)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Electricity Crisis: এপ্রিলেই ভাঙল গত বছরের জুনের রেকর্ড! রাজ্য কি বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে?

    Electricity Crisis: এপ্রিলেই ভাঙল গত বছরের জুনের রেকর্ড! রাজ্য কি বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের মুখে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মরুশহরকে টেক্কা দিয়ে রেকর্ড গড়ছে কলকাতার গরম। পাশাপাশি বিদ্যুতের (Electricity Crisis) চাহিদা ব্যাপক আকার নিয়েছে। সিইএসসি এবং বণ্টন সংস্থার সর্বকালীন চাহিদা এখন শীর্ষে। শহর কলকাতার নাগরিকদের একটা বড় অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ভুগতে হচ্ছে। ঘণ্টার পর ঘণ্টা নেই বিদ্যুৎ। চরম গরমে নাকাল মানুষের জীবন। অথচ বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থার পক্ষ থেকে বিদ্যুৎ জোগানের ঘাটতি নেই বলে জানিয়েছে। কিন্তু মানুষের জীবন নাজেহাল।

    পথ অবরোধ বেলগাছিয়ায় (Electricity Crisis)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল শনিবার বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যার প্রতিবাদ জানিয়ে বেলগাছিয়া লাল ময়দান এলাকার মানুষ পথ অবরোধ করেছিলেন। সকাল সাড়ে ৮ টা নাগাদ তাঁরা বেলগাছিয়া সেতুর কাছে মূল রাস্তায় বসে প্রতিবাদ করেন। ফলে সাময়িক ভাবে রাস্তায় বেশ কিছু সময়ের জন্য যানজট হয়ে যায়। এমনকী আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যেতে প্রবল সমস্যার মধ্যে পড়তে হয় রোগীদের। অবশেষে সকাল ৯ টার সময় পুলিশ কোনও রকম বুঝিয়ে অবরোধ তুলতে সক্ষম হয়।

    এলাকাবাসীর অভিযোগ

    এলাকার এক বাসিন্দা মহম্মদ এতেশাম নামে এক অবরোধকারী বলেন, “গত তিন দিন ধরে পরিস্থিতি একদম খারাপ। বিদ্যুৎ (Electricity Crisis) এই থাকে এই নেই। সিইএসসি-কে বার বার ফোন করেও লাভ হচ্ছে না। গত বছর এই অবস্থার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থার তাতে কিছুই যায় আসে না। এই বছর অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না। তাই মানষ রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করেছেন।” আবার বেলগাছিয়ার মিল্ক কলোনির এক বাসিন্দা অভিযোগ করে বলেন, “আমার বয়স্ক মাকে দিনে চারবার নেবুলাইজার নিতে হয়। বেলা ১১ টায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে যায়। নেবুলাইজারে ওষুধ তখন অর্ধেক ব্যবহার করা গিয়েছিল। পরে যতক্ষণে বিদ্যুৎ এসেছিল ততক্ষণে সেই ওষুধ ব্যবহার করার সুযোগ হয়নি। তীব্র গরমে প্রশাসনের উচিত মানুষের অসুবিধাগুলিকে নজরে রাখা।”

    রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির বক্তব্য

    রাজ্য বিদ্যুৎ সংস্থাগুলির পক্ষ থেকে ডব্লউবিএসইডিসিএল জানিয়েছে, শুক্রবার রাত সাড়ে ১১ টায় বিদ্যুতের মোট চাহিদা পৌঁছেছিল ৯৯৩৫ মেগাওয়াট। যা ছিল সর্বকালীন রেকর্ড। আবার গত বছর সর্বোচ্চ চাহিদা পৌঁছেছিল ৯২০০ মেগাওয়াট। গতবারের ১৮ জুনের চাহিদা এবারে এপ্রিল মাসেই ছাপিয়ে গিয়েছে। আবার শুক্রবার ৩ টে ১৫ মিনিটে সিইএসসি সবথেকে বেশি চাহিদা ছিল ২৭২৮ মেগাওয়াট। যা এই বছরের সবথেকে বেশি চাহিদা। একই ভাবে গত বছর ১৬ জুন এই চাহিদার পরিমাণ ছিল ২৬০৬ মেগাওয়াট। তবে চাহিদা ভালো ভাবেই মেটানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে সংস্থা। তবে গরম বাড়লে বিদ্যুৎ চাহিদা বাড়বে এটাও স্বাভাবিক। ফলে গত বছরের চাহিদাকে মাথায় রেখে এই বছর কেন অতিরিক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না তাই মানুষের মনে বড় প্রশ্ন।

    আরও পড়ুন:চাঁদিফাটা রোদে হিট স্ট্রোক এড়াতে কী কী করবেন? দেখে নিন এক নজরে

    বিদ্যুৎ মন্ত্রীর বক্তব্য

    রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস জানিয়েছেন, “জোগানে (Electricity Crisis) কোনও খামতি নেই। কয়েকমাস আগে থকেই সেই দিকে আমরা নজরে রেখেছি। সিইএসসি সংস্থার সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। সমস্যা যাতে দ্রুত সমাধান হয় সেই দিকে আমরা নজর দেওয়ার চেষ্টা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share