Author: user

  • Abhishek Banerjee: “অভিষেক এইট ফেল”, বিস্ফোরক দাবি ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী ববির

    Abhishek Banerjee: “অভিষেক এইট ফেল”, বিস্ফোরক দাবি ডায়মন্ড হারবারের বিজেপি প্রার্থী ববির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) অষ্টম শ্রেণীর গণ্ডি পেরোননি। হাতে প্রমাণ রয়েছে।” আমতলার বাগরাহাট এলাকায় একটি পথসভা থেকে বিষ্ফোরক অভিযোগ করলেন ডায়মণ্ড হারবার (Diamond Harbour) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস ওরফে ববি।

    ঠিক কী বললেন অভিজিৎ দাস (Abhishek Banerjee)?

    ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস (Abhjit Das Bobby) সহ ডায়মন্ডহারবার সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সহ-সভাপতি সুফল ঘাটু ও স্থানীয় নেতৃত্বরা এদিন উপস্থিত ছিলেন মঞ্চে। এদিনের এই সভা থেকে সমাজের সচেতন মানুষকে ভোট দেওয়ার আগে রাজ্যের পরিস্থিতি একবার ভাবার কথা বললেন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। অন্যদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ক্লাস এইটে ফেল করেছেন, এমন দাবি করলেন তিনি। তিনি আরও বলেন, “আমার কাছে সম্পূর্ণ তথ্য রয়েছে এই বিষয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস পুরোটাই দুষ্কৃতীবাহিনীর দ্বারা পরিচালিত হচ্ছ।” নাম করেই একাধিক জাহাঙ্গীর শামীম, শওকত মোল্লা থেকে শুরু করে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানান তিনি। তাঁর আরও দাবি, দু-বছরের মধ্যেই বিজেপি বাংলার ক্ষমতা দখল করবে। তাই দুষ্কৃতীদের শুধরে যেতে বলেন তিনি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল শাহজাহানের, মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

    অভিষেককে কেন অতিরিক্ত স্নেহ মমতার

    রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সখ্যতার সম্পর্ক নিয়েও প্রশ্ন তোলোন বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ দাস। তাঁর মতে আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়, আবেশ বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে শুধু অভিষেককে কোন যোগ্যতার বিচারে অতিরিক্ত স্নেহ করেন মমতা, প্রশ্ন তোলেন ববি। অন্যদিকে বজবজ দু’নম্বর ব্লকের বাওয়ালি দাসপাড়া এলাকায় জলের পাইপ লাইন নিয়ে পথচারী গোপাল মালিক নামে এক বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধর করা হয়। তিনি এদিনের সভা থেকে হুঁশিয়ারির সুরে বলেন, “তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা যতই আক্রমণ করুক না কেন, কোনভাবে কিছু ঘটবে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যদি এক বাপের বেটা হয়ে থাকে, তাহলে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেখাক। আপনার জামানত জব্দ যদি না হয়, আমি কথা দিলাম যে রাজনীতি আমি ছেড়ে দেব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল শাহজাহানের, মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

    Sheikh Shahjahan: সন্দেশখালিতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প ছিল শাহজাহানের, মনে করিয়ে দিলেন দিলীপ ঘোষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan) রোহিঙ্গাদের (Rohingya) নিয়ে এসে ক্যাম্প তৈরি করেছিলেন। সেই ক্যাম্পের খরচ দিত জেলা পরিষদ। বিষ্ফোরক অভিযোগ বিজেপির বর্ধমান দুর্গাপুরের প্রার্থী দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh)। শেষ দফায় ১ জুন বসিরহাটে (Basirhat) নির্বাচন হবে। দেশ জুড়ে নির্বাচন চলাকালীন সন্দেশখালি (Sheikh Shahjahan Sandeshkhali) থেকে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ফের জাতীয় রাজনীতির ইস্যু হয়ে গিয়েছে সন্দেশখালি। দেশি, বিদেশি পিস্তল উদ্ধার সহ একশোর বেশি রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত করেছে সিবিআই (CBI)। উদ্ধার হয়েছে বিষ্ফোরক। অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যজুড়ে। নামাতে হয়েছে এনএসজি (NSG) কমান্ডো। এই ঘটনায় আন্তর্জাতিক অস্ত্রপাচারের যোগের অভিযোগ করেছে বিজেপি।

    দিলীপ ঘোষের বক্তব্য (Seikh Shahjahan)

    দিলীপ ঘোষ বলেন, “সীমান্তবর্তী এলাকা যদি অস্ত্রের আড়তে পরিণত হয়, তাহলে দেশের সুরক্ষা কোথায়? যারা ইডির উপর হামলা চালিয়েছিল তারা প্রত্যেকে সন্ত্রাসবাদি। কেন্দ্রীয় সরকারের উচিত তল্লাশি চালিয়ে প্রত্যেককে জেলে ভরা। শেখ শাহজাহান (Seikh Shahjahan)  রোহিঙ্গাদের নিয়ে এসে ওখানে ক্যাম্প তৈরি করেছিল। সেই ক্যাম্পের খরচ চালাত ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের পাঠানো হত সারা ভারতের নানান প্রান্তে।”

    ঘটনার সূত্রপাত

    গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে ইডি আধিকারকদের উপর হামলার ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে শেখ শাহজাহানের (Seikh Shahjahan)  বাড়ির ৫০০ মিটার দূরের একটি বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র ভান্ডার বাজেয়াপ্ত করল সিবিআই। বিরোধীদের প্রশ্ন সিবিআই এখানে অস্ত্রের হদিশ পায়। অথচ পুলিশ কেন পায় না। পুলিশের বিরুদ্ধে আগেও উদাসীনতার অভিযোগ উঠেছে। শাহজাহান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করলে উল্টে তাদের কাছেই আলাপ আলোচনার জন্য নাকি পাঠিয়ে দিত পুলিশ। সেই অভিযোগে নতুন অধ্যায় জুড়ল সন্দেশখালি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার। এমনকি এই অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় ইন্টেলিজেন্স ফেলিওরের তত্ত্ব এনেছেন খোদ রাজ্যের তৃণমূল নেতা কুনাল ঘোষ। শেখ শাহজাহানের সাগরেদের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে অস্ত্রভাণ্ডার। বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতার আধার কার্ড, প্যান কার্ড, আগ্নেয়াস্ত্র কেনার লাইসেন্স ও কার্তুজ কেনার বিল সহ আরও বহু নথি।

    উঠছে আরও অনেক প্রশ্ন

    বিরোধী দলের নেতাদের প্রশ্ন সন্দেশখালিতে এত অস্ত্র এল কোথা থেকে? কারা আনল, কী কারণে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল ওই বাড়িতে? ওই অস্ত্র কী ভোটের সময় সন্ত্রাসের জন্য মজুত করা হয়েছিল? এই অস্ত্রের জোরেই কি ইডির উপর হামলা চালাতে সক্ষম হয়েছিল দুষ্কৃতীরা? একাধিক প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। সন্দেশখালির মাস্টার মাইন্ড শেখ শাহজাহানের (Seikh Shahjahan)  সঙ্গে এই অস্ত্রের যোগ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা।

    বিরোধী দলনেতার বক্তব্য

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Seikh Shahjahan) এক্ষেত্রে বলেছেন, “যদি মিনাখাঁতে যান আইয়ুব গাজীর বাড়ি থেকে অস্ত্র পাবেন। জীবনতলায় যান শওকত মোল্লার ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন। বাসন্তীতে গেলে রাজা গাজীর ডেরা থেকে অস্ত্র পাবেন।” যে কটি নাম বলেছেন বিরোধী দলনেতা সকলেই নিজ-নিজ এলাকায় শাসকদলের দোর্দণ্ডপ্রতাপ নেতা।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও কুনাল ঘোষ এর বক্তব্য এই অস্ত্র সিবিআই রেখে দিয়ে আই ওয়াশ করা তদন্ত করেছে। পুলিশের আগে থেকে সতর্ক হওয়া উচিত ছিল। পুলিশের ইন্টেলিজেন্স কি করছিল। কেউ অস্ত্র রেখে রাজ্যকে বদনাম করার চেষ্টা করছে কিনা সেটা পুলিশের নজরদারি রাখা উচিত ছিল। অস্ত্র পাওয়া গেলে পুলিশের ভূমিকা ওতো অবশ্যই প্রশ্নের মুখে পড়বে। রাজনৈতিক কারণে শুভ কুনাল ঘোষ যাই বলুন না কেন ইন্টেলিজেন্স ফেললিয়নের কথা তিনি ঘুরিয়ে স্বীকার করে নিয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • CBI: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    CBI: ফের সন্দেশখালিতে শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা, আবু তালেবের পর এবার কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের সন্দেশখালিতে হানা দিল সিবিআই (CBI) টিম। শুক্রবারের মতো শনিবারও তৃণমূল নেতা শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়ি ও দোকানে হানা দেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। শুক্রবার আবু তালেবের বাড়িতে হানা দিয়ে সিবিআই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করে। এদিন সিবিআই টিম শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তুফান মৃধার বাড়িতে হানা দেয়।

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে হানা (CBI)

    স্থানীয় ও সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে সন্দেশখালির সিবিআই (CBI) টিম রাজবাড়ি এলাকায় যায়। সঙ্গে রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তুফান মৃধার দোকানে প্রথমে হানা দেয়। তুফান শাহজাহান ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। কিন্তু, দোকান বন্ধ থাকায় সেখান থেকে তুফানের বাড়িতে যান তদন্তকারীরা। তাঁর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন সিবিআই আধিকারিকেরা। তুফান পরিবারের তরফে সিবিআই টিমকে জানানো হয়, সকালে কাজের সূত্রে বাইরে গিয়েছেন তিনি। তবে, এলাকার মানুষজন জানাচ্ছেন, গত তিন-চার দিন ওই দোকান বন্ধ রয়েছে। তুফানকেও এলাকায় দেখা যাচ্ছে না। তবে, তিনি কোথায় আছেন তা প্রতিবেশীরা কেউ কিছু জানাতে পারেননি।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    শাহজাহান ঘনিষ্ঠকে কলকাতায় জেরা

    গত ৫ জানুয়ারি রেশন দুর্নীতি মামলায় শেখ শাহজাহানের বাড়িতে হানা দিতে গিয়ে ইডির আক্রান্ত হওয়ার মামলার প্রেক্ষিতে বার বার সন্দেশখালিতে সিবিআই হানা দেয়। শুক্রবার তালেবের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারের পর সিবিআই ডেকে পাঠায় এনএসজিকে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সন্দেশখালিতে চলে আসেন এনএসজি কম্যান্ডোরা। বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধারের পর এদিন শাহজাহানের অন্য এক ঘনিষ্ঠের বাড়িতে সিবিআই হানা দেয়। এর মধ্যে শনিবার শাহজাহান-ঘনিষ্ঠ এক জনকে কলকাতায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিবিআই। পাশাপাশি অভিযানও জারি রয়েছে। তবে, তুফানের বাড়িতে গিয়ে কী তথ্য জোগাড় করেছে তা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI) স্পষ্ট করে কিছু বলেনি। তবে, তালেবের বাড়িতে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনার সঙ্গে তুফান মৃধার কোনও সম্পর্ক রয়েছে কি না তা নিয়ে এলাকায় চর্চা শুরু হয়েছে। যদিও এই বিষয় নিয়ে তুফানের বাড়ির লোকজন কেউ প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: স্ত্রীর গয়নার ওপর অধিকার নেই স্বামীর, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: স্ত্রীর গয়নার ওপর অধিকার নেই স্বামীর, বড় নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর গহনার ওপর অধিকার নেই স্বামীর। প্রয়োজনে কাজে লাগিয়ে ফিরিয়ে দেওয়া অবশ্যিক। কেরলের (Kerala) বাসিন্দা দম্পতির একটি সম্পত্তিগত মামলায় এমনটাই রায় দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। মামলাকারী মহিলার স্বামীকে স্ত্রীর কাছ থেকে হাতিয়ে নেওয়া গহনার ক্ষতিপূরণ বাবদ ২৫ লক্ষ টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার কথাও বলেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত (S.C.)।

    কী বলল শীর্ষ আদালত (Supreme Court)?

    ডিভিশন বেঞ্চ (Supreme Court) স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছে স্ত্রীধনের (Stree Dhan) উপর শুধুমাত্র স্ত্রীর মালিকানা অধিকার রয়েছে। ওই গহনায় যৌথ অধিকারের কোন প্রশ্নই নেই। স্ত্রী চাইলে স্বামীকে গহনা রাখতে দিতে পারেন কিংবা ব্যবহার করতে দিতে পারেন। তবে ব্যবহার শেষে সেই গহনা ফিরিয়ে দিতে হবে স্বামীকে। কেরলের একটি দম্পতির মামলায় এমনটাই মন্তব্য করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত।

    মামলাকারির বক্তব্য

    সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) মামলাকারি মহিলা জানিয়েছেন বিয়ের সময় তাঁর পরিবার এবং আত্মীয়-স্বজন যে পরিমাণ গহনা উপহার হিসেবে তাঁকে দিয়েছিলেন বিয়ের রাতেই সেগুলি হাতিয়ে নেন তাঁর স্বামী। সেগুলি কিছুকাল গচ্ছিত রাখা ছিল শাশুড়ির কাছে। গহনা নিরাপদে থাকবে এই যুক্তি দেখিয়ে তাঁর কাছ থেকে সমস্ত গহনা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছিল, আদলতে একথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু কিছুদিন পরে তিনি জানতে পারেন গহনাগুলি পারিবারিক ঋণ শোধ করার কাজে লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে। ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে গহনার ব্যবহার হয়েছে তাঁকে অন্ধকারে রেখে। তিনি গহনাগুলি পুনরায় বানিয়ে দিতে বললে অস্বীকার করে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকেরা।

    এরপরেই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে গহনা ফেরত পাওয়ার জন্য স্থানীয় পারিবারিক আদালতে মামলা করেন ওই অভিযোগকারীনি। পারিবারিক আদালত তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়েছিল। স্বামীকে ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়। কিন্তু সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে কেরল হাইকোর্টে (Kerala High Court) চলে যান ওই মহিলার স্বামী। সেখানে মহিলার আবেদন প্রথমে নাকচ হয়ে যায়। এরপরে মামলা যায় সুপ্রিম কোর্টে।

    আরও পড়ুন: চাঁদিফাটা রোদে হিট স্ট্রোক এড়াতে কী কী করবেন? দেখে নিন এক নজরে

    ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ

    দেশের সর্বোচ্চ আদালতের (Supreme Court) বিচারপতি দীপঙ্কর দত্ত এবং সঞ্জীব খান্নার ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ কোন মহিলা বিবাহের আগে, বিবাহের সময় এবং বিবাহ পরবর্তী সময়ে যে গহনাগুলি উপহার হিসেবে পান সেগুলি আইনের ভাষায় “স্ত্রীধন”। বিয়ের পর কোনভাবেই তা যৌথ সম্পত্তি হয়ে যায় না। গহনার উপরে মালিকানা অধিকার শুধুমাত্র উপহার প্রাপক স্ত্রীর। স্বামী স্ত্রীর সম্মতিতে প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে সমান পরিমাণ গহনা ফিরিয়ে দিতে হবে স্বামীকে। এটা তাঁর নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। আদালত জানিয়েছে মহিলার যে পরিমাণ গহনা স্বামী নিয়েছিলেন ২০০৯ সালে। তার বাজার মূল্য ছিল ৯ লক্ষ আশি হাজার টাকা। ২ লক্ষ টাকার চেক দেওয়া হয়েছিল মহিলার স্বামীকে। বর্তমানে সেই ভিত্তিতে মূল্যবৃদ্ধির জেরে স্বামীকে ২৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ হিসেবে স্ত্রীর হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। তবে এই মামলা প্রথম নয় আগেও স্ত্রীধনে স্ত্রীর একক অধিকারের পক্ষের বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রায় দিয়েছে দেশের বিভিন্ন আদালত।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heatstroke: চাঁদিফাটা রোদে হিট স্ট্রোক এড়াতে কী কী করবেন? দেখে নিন এক নজরে

    Heatstroke: চাঁদিফাটা রোদে হিট স্ট্রোক এড়াতে কী কী করবেন? দেখে নিন এক নজরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরম কমার কোন ইঙ্গিত নেই। নেই বৃষ্টির খবর (rain)। আপাতত অস্বস্তি থেকে রেহাইয়ের কোন ইঙ্গিত নেই। কলকাতা (Kolkata) ও সংলগ্ন অঞ্চলের তাপমাত্রা সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ থেকে ৪৩ ডিগ্রি (moderate heatwave warning) পর্যন্ত চলে যেতে পারে। দুপুরের দিকে চল্লিশের আশেপাশেই ঘোরাফেরা করবে তাপমাত্রা। কিন্তু এই দহন জ্বালা সত্বেও অনেকের বাড়ি বসে থাকার উপায় নেই। মাথাফাটা রোদে আর তীব্র গরমে (moderate heatwave warning)  পা রাখতেই হবে বাড়ির বাইরে। তা সত্ত্বেও যাতে অসুস্থ হয়ে না পড়েন তার জন্য সাবধানতা অবলম্বন করার নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। নিজেকে সুস্থ রাখতে, হিট স্ট্রোক (Heatstroke) এড়াতে কী কী করবেন আর কী এড়িয়ে চলবেন তা দেখে নিন এক নজরে।

    কী কী করবেন (Heatstroke)?

    ১) রাস্তায় বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মেখে নিন। এসপিএফ মাত্রাযুক্ত সানস্ক্রিন ত্বকের ক্ষতি কমাবে। সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে ত্বকের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সানস্ক্রিন না মাখলে চামড়া পুড়ে যাওয়ার ভয় থাকে।

    ২) দুপুরে বেরোতে হলে জামা কাপড়ের দিকে নজর দিতে হবে। সুতির ও পাতলা জামা কাপড় পড়া উচিত। মোটা কাপড় এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও বর্তমানে গ্রীষ্মকালে মানানসই বস্ত্র পরিধানের উপরে নজর দিন। এতে ঘাম কম হবে। সানস্ট্রোকের (Heatstroke) সম্ভাবনাও কমবে।

    ৩) বাড়ি থেকে রাস্তায় বের হলেই অনেকের মাথা ব্যথা করে। অতিরিক্ত আলোতে কষ্ট হয়। সানগ্লাস পড়লে অনেকটাই স্বস্তি আসবে। যাদের চোখে পাওয়ার রয়েছে তাঁরা পাওয়ার সানগ্লাস পড়তে পারেন।

    ৪) যাত্রাকালে কমপক্ষে এক লিটার জল সঙ্গে রাখুন। প্রয়োজনে গ্লুকোজ ও ওআরএস সঙ্গে রাখুন। মাথা ঘোরালে কিংবা অতিরিক্ত ঘাম হলে গ্লুকোজ কিংবা ওআরএস জলে মিশিয়ে পান করুন। তবে এক্ষেত্রে সুগার কিংবা রক্তচাপের সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।

    ৫) ছাতাকে সঙ্গী করতে ভুলবেন না। ছাতা সঙ্গী হলে কষ্ট অনেকটাই কমবে। সানবার্ন এবং স্ট্রোক থেকে রক্ষা করবে ছাতা।

    ৬) অসুস্থ বোধ হলে কিছুক্ষণ ছায়া জায়গায় বসে পড়ুন। আশেপাশে পাখা থাকলে তা ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। সঙ্গে হাতপাখা থাকলে খুবই ভাল। সাধ্য থাকলে ছোট সাইজের রিচার্জেবল পোর্টেবল ফ্যান ব্যবহার করতে পারেন।

    কী কী করবেন না

    ১) শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে এমন সিন্থেটিক কিংবা জর্জেট পোশাক এড়িয়ে চলুন। অতিরিক্ত গরমে জিনসের শার্ট কিংবা প্যান্ট অস্বস্তি বয়ে আনতে পারে। মোটা কাপড় এড়িয়ে চলুন। যে ধরনের কাপড়ে অস্বস্তি এবং অতিরিক্ত ঘাম হয় তা না পড়াই ভাল।

    ২) রাস্তার ধারের খাবার কাটা ফল এবং কারখানার বরফ দেওয়া পানীয় এড়িয়ে চলুন। এতে ফুড পয়জন, ডায়রিয়া কিংবা পেট খারাপের ঝুঁকি কম হবে।

    ৩) রাস্তার ধারের রঙিন পানীয় বা অচেনা যে কোনও ধরনের রাসায়নিক মিশ্রিত পানীয় পান করা অস্বাস্থ্যকর। প্রয়োজন হলে ডাবের জল কিংবা আখের রস খেতে পারেন। 

    ৪) হাত পা খোলা কাপড় পড়বেন না। এতে সানবার্ন হবে। চামড়া পুড়ে যাবে।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    ৫) বাইরের হোক কিংবা ঘরের, তেল মশলা আছে এমন খাবার এড়িয়ে চলুন। এতে গ্যাস অম্বল হওয়া সম্ভাবনা বাড়ে এবং অসুস্থতা ডেকে আনে। এতে অতিরিক্ত গরমে বমি হতে পারে।

    তবে সব শেষে

    বলে রাখা ভাল। যত সম্ভব রোদ (Heatstroke) এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। কাজগুলিকে সম্ভব হলে সকাল কিংবা বিকেলের পর করার চেষ্টা করুন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার, কে এই আবু তালেব?

    Sandeshkhali: শাহজাহান ঘনিষ্ঠের বাড়িতে মিলল বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভান্ডার, কে এই আবু তালেব?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালি (Sandeshkhali) লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ আবু তালেবের বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হল। উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় শাসক দলের যোগ আরও সুস্পষ্ট হয়েছে। তবে, কে এই আবু তালেব। শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক রয়েছে, তা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    কে এই আবু তালেব? (Sandeshkhali)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আবু তালেবের বাড়ি ন্যাজাট থানার বাউনিয়া গ্রামে। তাঁর বয়স ৩০ বছর। সন্দেশখালির (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের সঙ্গে পরিচয় হওয়ার পর অল্পদিনের মধ্যে তিনি তাঁর ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। সেই সূত্রে সন্দেশখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়ার বাসিন্দা তাসমিনা বিবির সঙ্গে আবু তালেবের বিয়ে হয়। বিয়ের পর গত পাঁচ বছর ধরে মল্লিক পাড়ায় তিনি থাকতে শুরু করেন। এলাকায় তিনি টোটো চালাতেন। শাহজাহানের ভেড়ি দেখতেন। শাহজাহানের সঙ্গে তাঁর একাধিক ছবিও রয়েছে। অনেকে তাঁকে শাহজাহানের ডান হাত বলতেন। শাহজাহান গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে বেপাত্তা হয়ে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: শাহজাহানগড়ে অস্ত্রভান্ডারে মিলল পুলিশের রিভলভার, শোরগোল

    তালেবের বাড়ি থেকে অস্ত্রভান্ডার উদ্ধার হতেই হতবাক এলাকাবাসী

    সরবেড়িয়া (Sandeshkhali) আগারহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের মল্লিক পাড়ায় একদা শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আবু তালেব মোল্লার বাড়িতে সিবিআই টিম সাতসকালে সিআরপিএফ জওয়ান নিয়ে হানা দেয়। বাড়িতে আবু তালেবের স্ত্রী তাসমিনা বিবিসহ আরও একজন সদস্য ছিলেন। ঘরে তল্লাশি চালাতেই কিছু বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র ও বোমা উদ্ধার হয়। তদন্তকারীরা দ্রুত এনএসজি-কে খবর দেয়। তারপর অত্যাধুনিক রোবটকে কাজে বোমার বিস্ফোরক উদ্ধার করা হয়। ইতিমধ্যে আবু তালেবের স্ত্রীকে আটক করে সিবিআই। সাধারণ টোটো চালক ও ভেরির ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত থাকা ব্যক্তির কাছে থেকে কীভাবে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র পাওয়া গেল তা সিবিআই খতিয়ে দেখছে।  স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, তালেব খুব ভালো ছেলে। তাঁর বাড়িতে বাইরে থেকে কাউকে আসতে কেউ দেখেনি। তবে, তাঁর বাড়ি থেকে এত বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার হল তা জেনে হতবাক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sri Ramakrishna Kathamrita: “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

    Sri Ramakrishna Kathamrita: “ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন! পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব”

     

    এটি রাসমণির দেবালয়

    সিধুর সঙ্গে ঘরের বাহিরে আসিতে না আসিতে আরতির মধুর শব্দ হইতে লাগিল। এককালে কাঁসর, ঘণ্টা, খোল, করতালি বাজিয়ে উঠল। বাগানের দক্ষিণসীমান্ত হইতে নহবতের মধুর শব্দ আসিতে লাগিল। সেই শব্দ ভাগীরথীবক্ষে যেন ভ্রমণ করিতে করিতে অতিদূরে গিয়া কোথায় মিশিয়া যাইতে লাগিল। মন্দ মন্দ কুসুমগন্ধবাহী বসন্তানিল! সবে জ্যোৎস্না উঠিতেছে। ঠাকুরদের আরতির যেন চতুর্দিকে আয়োজন হইতেছে! মাস্টার দ্বাদশ শিবমন্দিরে, শ্রীশ্রী রাধাকান্তের মন্দিরে ও শ্রীশ্রীভবতারিণীর মন্দিরে আরতি দর্শন করিয়া পরম প্রীতিলাভ করিলেন। সিধু বলিলেন, “এটি রাসমণির দেবালয়। এখানে নিত্যসেবা। অনেক অতিথি, কাঙাল আসে।”

    কথা কহিতে কহিতে ভবতারিণীর মন্দির হইতে বৃহৎ পাকা উঠানের মধ্য দিয়া পাদচারণ করিতে করিতে দুইজনে আবার ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণের ঘরের সম্মুখে আসিয়া পড়িলেন। এবার দেখিলেন, ঘরের দ্বার দেওয়া (Sri Ramakrishna Kathamrita)। 

    এইমাত্র ধুনা দেওয়া হইয়াছে। মাস্টার ইংরেজী পড়িয়াছেন, ঘরে হঠাৎ প্রবেশ করিতে পারিলেন না। দ্বারদেশে বৃন্দে (ঝি) দাঁড়াইয়াছিল। জিজ্ঞাসা করিলেন, “হ্যাঁ গা, সাধুটি কি এখন এর ভিতর আছেন?”

    বৃন্দে– হ্যাঁ এই ঘরের ভিতর আছেন।

    মাস্টার– ইনি এখানে কত দিন আছেন –

    মাস্টার—আচ্চা, ইনি এখানে কতদিন আছেন?

    বৃন্দে—তা অনেকদিন আছেন –

    মাস্টার—আচ্ছা, ইনি কি খুব বই-টই পড়েন?

    বৃন্দে– আর বাবা বই-টই পড়েন?

    বৃন্দে—আর বাবা বই-টই! সব ওঁর মুখে!

    মাস্টার সবে পড়াশুনা করে এসেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বই পড়েন না শুনে আর অবাক্‌ হলেন।

    মাস্টার—সবে পড়াশুনা করে এসেছেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বই পড়েন না শুনে আরও অবাক্‌ হলেন।

    মাস্টার—আচ্ছা, ইনি বুঝি এখন সন্ধ্যা করবেন?—আমরা কি এ-ঘরের ভিতর যেতে পারি?—তুমি একবার খবর কিবে?

    বৃন্দে—তোমার যাও না বাবা। গিয়ে ঘরে বস।

    তখন তাঁহার ঘরে প্রবেশ করিয়া দেখেন, ঘরে আর অন্য কেহ নাই। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ ঘরে একাকী তক্তপোশের উপর বসিয়া আছেন। ঘরে ধুনা দেওয়া হইয়াছে ও সমস্ত দরজা বন্ধ। মাস্টার প্রবেশ করিয়াই বদ্ধাঞ্জলি হইয়া প্রণাম করিলেন। ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ বসিতে অনুজ্ঞা করিলেন তিনি ও সিধু মেঝেতে বসিলেন। ঠাকুর জিজ্ঞাসা করিলেন, “কোথায় থাক, কি কর, বরাহনগরে কি করতে এসেছ” ইত্যাদি। মাস্টার সমস্ত পরিচয় দিলেন। কিন্তু দেখিতে লাগিলেন যে, ঠাকুর মাঝে মাঝে যেন অন্যমনস্ক হইতেছেন (Sri Ramakrishna Kathamrita)। পরে শুনিলেন, এরই নাম ভাব। যেমন কেহ ছিপ হাতে করিয়া মাছ ধরিয়া মাছ ধরিতে বসিয়াছে। মাছ আসিয়া টোপ খাইতে থাকিলে ফাতনা যখন নড়ে, সে ব্যক্তি যেমন শশব্যস্ত হইয়া ছিপ হাতে করিয়া ফাতনার দিকে একদৃষ্টে একমনে চাহিয়া থাকে, কাহারও সহিত কথা কয় না; এ- ঠিক সেইরূপ ভাব। পরে শুনিলেন ও দেখিলেন, ঠাকুর সন্ধ্যারপর এই রূপ ভাবান্তর হয়, কখন কখন তিনি একেবারে বাহ্যশূন্য হন!

    মাস্টার – আপনি এখন সন্ধ্যা করবেন, তবে এখন আমরা আসি।

    শ্রীরামকৃষ্ণ (ভাবস্থ)– না – সন্ধ্যা — তা এমন কিছু নয়।

    আর কিছু কথাবার্তার পর মাস্টার প্রণাম করিয়া বিদয় গ্রহণ করিলেন। ঠাকুর বলিলেন, “আবার এস”।

    মাস্টার ফিরিবার সময় ভাবিতে লাগিলেন, “এ সৌম্য কে? যাঁহার কাছে ফিরিয়া যাইতে ইচ্ছা করিতেছে। বই না পড়িলে কি মানুষ মহৎ হয়?—কি আশ্চর্য, আবার আসিতে ইচ্ছা হইতেছে। ইনি বলিয়াছেন, “আবার এস! কাল কি পরশু সকালে আসিব (Sri Ramakrishna Kathamrita)।”  

     

    তথ্যসূত্রঃ শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণকথামৃত, ২য় পরিচ্ছেদ, প্রথম দর্শন

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: “তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করতে হবে”, বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোটের আবহের মধ্যেই সন্দেশখালিতে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রভাণ্ডার উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় তাজ্জব রাজ্যবাসী। রাজ্যজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। আর তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের বাড়িতে উদ্ধার হওয়ার ঘটনায় শাসক দলের যোগ আরও সুস্পষ্ট হয়েছে। এবার সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় বিপুল অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারির পাশাপাশি বিস্ফোরক দাবি করলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    তৃণমূলকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণার দাবি (Suvendu Adhikari)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় মেদিনীপুরে দলীয় প্রার্থী অগ্নিমিত্রা পলের সমর্থনে জনসভা শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি দাবি করছি। মমতা ৫৪ দিন ধরে শাহজাহানকে রেখেছিলেন। বসিরহাটের পুলিশ সুপার মেহেদি হাসান, এডিজি সুপ্রতীম সরকার এবং এসডিপিও-র গ্রেফতারি দাবি করছি। এই দেশবিরোধী শক্তির সমস্ত অস্ত্র বিদেশি। আরডিএক্সের মতো বিস্ফোরক, যেটা ভয়ঙ্কর কাজে ব্যবহৃত হয়, হিজবুল মুজাহিদিন ও  আইএসআই- এর মতো জঙ্গিরা ব্যবহার করে। তৃণমূল কংগ্রেসকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে জঙ্গি সংগঠন বলে ঘোষণার দাবি করছি। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সিমি বা পিএফআইয়ের কোনও তফাৎ নেই। আজকে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। এই রাজ্য জতুগৃহ। দত্তপুকুর, এগরার খাদিকুলে বিস্ফোরণে ট্রেলর দেখেছিলেন, আজ সন্দেশখালিতে গোটা সিনেমাটা দেখা গেল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর জন্য একা দায়ী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে জঙ্গি সংগঠন ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুন: ভোট মিটতেই রক্তাক্ত মণিপুর! পুলিশ ফাঁড়িতে কুকি জঙ্গিদের হানা, হত দুই জওয়ান

    পুলিশ গাড়়ি গিয়ে তৃণমূল অস্ত্র পাচার করছে!

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন বলেন, পুলিশ সামনে পিছনে গাড়ি দিয়ে তৃণমূলের অস্ত্র, তৃণমূলের টাকা পাচার করে। বৃহস্পতিবারই পুরুলিয়ার পুলিশ সুপারের কাছে ২ কোটি টাকা এসেছে জঙ্গলমহলে খরচ করার জন্য। পুলিশ আর তৃণমূলের মধ্যে কোনও ফারাক নেই। প্রসঙ্গত, শুক্রবার সরবেড়িয়ায় শাহজাহান ঘনিষ্ঠ তৃণমূল নেতা আবু তায়েব মোল্লার বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ১২টি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: দ্বিতীয় দফায় দেশে ভোটদান ৬০.৭ শতাংশ, বাংলায় ৭১.৮৪

    Loksabha Election 2024: দ্বিতীয় দফায় দেশে ভোটদান ৬০.৭ শতাংশ, বাংলায় ৭১.৮৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফায় দেশে ৮৮ আসনে ভোটদানের হার ৬০.৭ শতাংশ (Loksabha Election 2024), অন্যদিকে বাংলার ক্ষেত্রে এই ভোটদানের হার ৭১.৮৪ শতাংশ। বাংলার ক্ষেত্রে তৃণমূলের সন্ত্রাসের চেনা ছবি দেখা গিয়েছে বালুরঘাট আসনে। সেখানে বিজেপি ভোটারদের বাধা, প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে বুথে ঢুকতে না দেওয়া, বিরোধী এজেন্টদের মারধরের ঘটনা সামনে এসেছে। সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় ভোট গ্রহণ। এই দফায় যেমন কেরলের ২০টি, কর্নাটকের ১৪টি আসন, রাজস্থানের ১৩ আসন, উত্তর প্রদেশ ও মহারাষ্ট্রের ৮টি করে আসনে ভোট গ্রহণ হয়। পাশাপাশি মধ্য প্রদেশের ৭টি আসন, অসম ও বিহারের ৫টি করে আসন, বাংলা ও ছত্তিশগড়ের ৩টি করে আসনে ভোট হয়। জম্মু-কাশ্মীর, মণিপুর ও ত্রিপুরাতেও ১টি করে আসনে ভোট হয় আজ। 

    দ্বিতীয় দফায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলার কোন আসনে কত ভোট

    দ্বিতীয় দফায় বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাংলায় (Loksabha Election 2024) ভোটদানের হার ৭১.৮৪ শতাংশ। শুক্রবার দার্জিলিঙে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়ল ৭১.৪১ শতাংশ। বালুরঘাটে ভোট পড়ল ৭২.৩০ শতাংশ, রায়গঞ্জে ভোট পড়ল ৭১.৮০।

    অন্যান্য রাজ্যের চিত্র, এগিয়ে মণিপুর ও ত্রিপুরা

    বিকাল ৫টা পর্যন্ত ত্রিপুরা, মণিপুরে সর্বোচ্চ ৭৬% এবং উত্তরপ্রদেশে সর্বনিম্ন ৫২% ভোট পড়েছে। জেনে নিন অন্যান্য রাজ্যের অবস্থা।
    দেশের ১৩টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ৮৮টি লোকসভা আসনে আজ দ্বিতীয় দফার ভোট (Loksabha Election 2024)। প্রথম দফায় ১৯ এপ্রিল ১০২টি লোকসভা আসনে ভোট হয়। আগামী ১ জুন সপ্তম ও শেষ ধাপে ভোট হওয়ার কথা। লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা ৪ জুন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত অসমে ৭০.৬৬%, বিহারে ৫৩.০৩%, ছত্তিশগড়ে ৭২.১৩%, জম্মু ও কাশ্মীরে ৬৭.২২%, কর্ণাটকে ৬৩.৯০%, কেরলে ৬৩.৯৭%, মধ্যপ্রদেশে ৫৪.৪২%, মহারাষ্ট্রে ৫৩.৫৬%, ৫৩%। মণিপুরে ৭৬ %, রাজস্থানে ৫৯.১৯%, ত্রিপুরায় ৭৬.২৩%, উত্তর প্রদেশে ৫২.৬৪% এবং বাংলায় ৭১.৮৪% ভোট পড়েছে।

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ভোটের বাংলায় সন্দেশখালিতে বেনজির ছবি, অস্ত্র উদ্ধারের সব তথ্য কমিশনে জানাবে সিবিআই

    Sandeshkhali: ভোটের বাংলায় সন্দেশখালিতে বেনজির ছবি, অস্ত্র উদ্ধারের সব তথ্য কমিশনে জানাবে সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দ্বিতীয় দফার ভোট পর্বের মধ্যেই ফের সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) অভিযান সিবিআইয়ের। শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খায়ের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার তালাবন্ধ বাড়ি থেকে এদিন বিপুল অস্ত্রের খোঁজ পায় সিবিআই। উদ্ধার হয়েছে বিদেশি আগ্নেয়াস্ত্র। ভোটের বাংলায় বেনজির ছবি। সন্দেশখালির সরবেড়িয়া গ্রামে এনএসজি টিম। এলাকা খালি করছেন কমান্ডোরা। ভেড়ির আলপথে বেয়ে ঘুরছে রোবোটিক ডিভাইস। শুক্রবার এ গ্রামেরই এক বাড়িতে অস্ত্রসম্ভারের খোঁজ মেলে। এরপর কার্যত যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে তল্লাশি।

    জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে চলেছে সিবিআই (Sandeshkhali)

    সূত্রের খবর, এদিনের অভিযানে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) থেকে কেন্দ্রীয় এজেন্সির হাতে এসেছে বিদেশে তৈরি পিস্তল ও রাইফেল। দেশি-বিদেশি মিলিয়ে অন্তত ১৫টি আগ্নেয়াস্ত্র এখনও পর্যন্ত সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। এর মধ্যে রয়েছে বিদেশি নাইন এম এম, দেশি সেভেন এমএম পিস্তল। বোমা ও কার্তুজও পাওয়া গিয়েছে। বিভিন্ন জায়গ জুড়ে চলছে তল্লাশি অভিযান। মাটি খুঁড়ে চলছে তল্লাশি। সন্দেশখালিতে শুক্রবারের অভিযান প্রসঙ্গে এবার জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে রিপোর্ট দিতে চলেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে এমনই জানা যাচ্ছে। আদর্শ আচারণবিধি জারি থাকাকালীন অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে সেখান, সেই কারণেই জাতীয় নির্বাচন কমিশনকে তা জানাতে চলেছে কেন্দ্রীয় এজেন্সি।

    আরও পড়ুন: আগ্নেয়াস্ত্র, বিষ্ফোরক উদ্ধারে নামানো হল রোবট, এনএসজি কমান্ডো, আরও চাপে শাহজাহান

    আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ!

    এনএসজির মূলত তিনটি শাখা রয়েছে। তার মধে একটি হচ্ছে বম্ব ডিসপোজাল এবং ডিটেকশন স্কোয়াড। সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) এনএসজির এই বম্ব ডিসপোজাল এবং ডিটেকশনস স্কোয়াডকে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এই বিপুল পরিমাণ অস্ত্র কোথা থেকে কেনা হয়েছিল? এই অস্ত্রপাচার চক্রের সঙ্গে কি আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের যোগ রয়েছে? শাহজাহানই বা কীভাবে জড়িত, কীভাবে হয়েছে অস্ত্র পাচার? শাহজাহানের বাংলাদেশের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যাওয়ার সঙ্গে কী এর যোগ আছে? তাহলে কী রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ এবং আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে শাহজাহান সরাসরি যুক্ত? উঠছে প্রশ্ন।

    রোবট-গাড়ির সাহায্যে উদ্ধার হল সাদা ব্যাগ

    শেখ শাহজাহানের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খায়ের আত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ির দিকে পাঠানো হয় ওই রোবট-গাড়ি। যা ‘বখ ডিসপোজাল রোবট’ হিসাবে পরিচিত। দেখতে ছোটখাটো ট্যাঙ্কের মতো। রহস্যজনক ব্যাগ নিয়ে আবু তালেবের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে রোবোটিক ডিভাইস। আবারও আলপথ অর্ডন্যান্স ডিসপোজাল পর্যবেক্ষক এই রোবট। কী রয়েছে এই সাদা ব্যাগে, উঠছে প্রশ্ন। সরবেড়িয়ার (Sandeshkhali) ঘিরে ফেলেছে এনএসজি। তার দিয়ে ঘেরা হচ্ছে নিাপত একটি জায়গা। সেখানে একের পর এক বালির বস্তা ফেলা হয়েছে। এলাকার সমস্ত বাড়ি খালি করার নির্দেশ দিয়েছে এনএসজি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share