Author: user

  • Lok Sabha Elections 2024: “চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি”, কেন কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী?

    Lok Sabha Elections 2024: “চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি”, কেন কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “চোখের জল ধরে রাখতে পারিনি।” বৃহস্পতিবার কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজস্থানের লেখাপড়া না জানা এক মহিলা ভোটার ভোট দিতে গিয়ে ইভিএমে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ছবি খুঁজেছিলেন। এই ঘটনায় বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন তিনি। তার প্রেক্ষিতেই কথাগুলি বললেন প্রধানমন্ত্রী।

    কী বললেন প্রধানমন্ত্রী? (Lok Sabha Elections 2024)

    এক্স হ্যান্ডেলে রাজস্থান বিজেপির মুখপাত্রের করা একটি পোস্টের প্রেক্ষিতে তাঁর চোখে যে জল চলে এসেছিল, সেকথা জানান প্রধানমন্ত্রী। জানা গিয়েছে, ওই মহিলা যখন জানতে পারেন, প্রধানমন্ত্রী নন, এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী অন্য একজন, তখনই ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন তিনি। এক্স হ্যান্ডেলে বিজেপি মুখপাত্রের ওই পোস্টের প্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, “মা-বোনেদের এত ভালোবাসা আমার চোখে জল এনে দিয়েছিল। তখনই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হই, তাঁদের এই ঋণ আমায় শোধ করতে হবে। কিন্তু লক্ষ্মীকান্তজি (রাজস্থান বিজেপির মুখপাত্র) এটা আমাদের দলীয় কর্মীদের দায়িত্ব এঁদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া। মানুষকে সচেতন করতে যেতে হবে দুয়ারে দুয়ারে।”

    রাত পোহালেই নির্বাচন

    রাজস্থানে নির্বাচন হচ্ছে দু’দফায়। এ রাজ্যে লোকসভার আসন রয়েছে ২৫টি। তার মধ্যে ১৩টিতে নির্বাচন হবে ২৬ এপ্রিল, শুক্রবার। ১৯ এপ্রিল, প্রথম দফায় নির্বাচন হয়েছে ১২টি আসনে। এই দ্বিতীয় দফায় ভাগ্য নির্ধারণ হবে ১৫২ জন প্রার্থীর। এঁদের মধ্যে রয়েছেন বিজেপির (Lok Sabha Elections 2024) দুই কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং দলের রাজ্য সভাপতি। বিজেপির এই রাজ্য সভাপতি আগে ছিলেন রাজস্থান বিধানসভার স্পিকার। প্রাক্তন দুই মুখ্যমন্ত্রীর দুই ছেলেও রয়েছেন এই দফায় লড়াইয়ের ময়দানে। এই দফায় ভোট গ্রহণ হবে ২৮ হাজার ৭৫৮টি বুথে। ভোট দেবেন প্রায় ২.৮০ কোটি ভোটার।

    আরও পড়ুুন: রোজভ্যালি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে সাধন-কন্যার নাম, আরও গাড্ডায় তৃণমূল

    নির্বাচন উপলক্ষে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, ওই ১৩টি আসনে। মোতায়েন করা হয়েছে ১.৭২ লাখ রক্ষী। এদিন নির্বাচন হবে টঙ্ক-সাওয়াই মাধোপুর, আজমির, পালি, যোধপুর, বারমের, জালোর, উদয়পুর, বাঁশওয়াড়া, চিতোরগড়, রাজসামন্দ, ভিলওয়াড়া, কোটা এবং ঝালাওয়ার-বারান লোকসভা কেন্দ্রে। প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় নির্বাচন হবে দেশের ১৩টি রাজ্যের ৮৯টি আসনে (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • India US Relation: ‘ভারতকে বোঝেইনি’, মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিল্লির

    India US Relation: ‘ভারতকে বোঝেইনি’, মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে মার্কিন রিপোর্ট সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া দিল্লির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মণিপুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের যে অভিযোগ মার্কিন রিপোর্টে করা হয়েছে, তাকে পক্ষপাতিত্বমূলক আখ্যা দিল ভারত (India US Relation)। শুধু তাই নয়, আমেরিকার এই অভিযোগ ভারত সম্পর্কে দুর্বল মূল্যায়ন বলেও জানিয়েছে নয়াদিল্লি। মণিপুরে হিংসার আগুন নেভার পর সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি রিপোর্টে।

    কী বলছে বিদেশমন্ত্রক? (India US Relation)

    এ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রকের তরফে মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, “রিপোর্টটি (মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের) দারুণভাবে পক্ষপাতিত্বমূলক। ওরা যে ভারতকে বোঝেনি, এই রিপোর্টেই তা স্পষ্ট। আমরা একে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছি না। আপনাদেরও (সাংবাদিকদের) বলছি, একে এত গুরুত্ব দেওয়ার কিছু নেই।” সম্প্রতি প্রকাশ পেয়েছে ‘২০২৩ কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিসেস: ইন্ডিয়া’ শীর্ষক রিপোর্ট। এই রিপোর্টেই মণিপুরের সাম্প্রতিক হিংসার উল্লেখ করা হয়েছে। সেখানে যে মেইতেই ও কুকি সম্প্রদায়ের মধ্যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল, ফলাও করে তাও বলা হয়েছে।

    মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ

    তার পরেই বলা হয়েছে, এর পরিণতিতে মণিপুরে তাৎপর্যপূর্ণভাবে লঙ্ঘিত হচ্ছে মানবাধিকার (India US Relation)। উল্লেখ্য যে, ঘটনাটিকে (মানবাধিকার লঙ্ঘনের) লজ্জাজনক আখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই ঘটনায় দ্রুত পদক্ষেপ করার নির্দেশও দিয়েছিলেন তিনি। ফেব্রুয়ারি মাসে যে রিপোর্ট স্টেট ডিপার্টমেন্টের তরফে প্রকাশ করা হয়েছিল, সেখানেও বলা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর এই নির্দেশের পরে পরেই দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল।

    আরও পড়ুুন: রোজভ্যালি মামলায় সিবিআই চার্জশিটে সাধন-কন্যার নাম, আরও গাড্ডায় তৃণমূল

    মার্কিন রিপোর্টে বিবিসির দিল্লি ও মুম্বইয়ের অফিসে ১৪ ফেব্রুয়ারি আয়কর দফতর যে খানাতল্লাশি চালিয়েছিল, তারও উল্লেখ করা হয়েছে। সাংবাদিকদের যেসব ইক্যুইপমেন্ট বাজেয়াপ্ত করা হয়েছিল, সেসবেরও উল্লেখ রয়েছে ওই রিপোর্টে। কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘মোদি’ পদবিকে অপমান করার যে অভিযোগ উঠেছিল তাও উঠে এসেছে মার্কিন রিপোর্টে। এই ঘটনার জেরে লোকসভার সাংসদ পদ খোয়াতে হয়েছিল রাহুলকে। পরে অবশ্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সেই পদ ফিরিয়ে দেওয়া হয় রাহুলকে। এ প্রসঙ্গেরও অবতারণা করা হয়েছে ওই রিপোর্টে (India US Relation)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

  • Mithun Chakraborty: গরম উপেক্ষা করে মুর্শিদাবাদে মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার

    Mithun Chakraborty: গরম উপেক্ষা করে মুর্শিদাবাদে মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: (Murshidabad) মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের জিয়াগঞ্জে বিজেপি (B.J.P.) প্রার্থী গৌরী শংকর ঘোষের সমর্থনে রোড শো করলেন তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty)।  জিয়াগঞ্জের বাগদহ মোড় থেকে এই বর্ণাঢ্য রোড শো শুরু হয়। রোড শোয়ে পা মেলান কয়েক হাজার বিজেপি নেতা, কর্মী ও সমর্থক। রোড শো চলাকালীন বিজেপি কর্মী সমর্থকদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা যায়। চড়া রোদ ও দাবদাহ উপেক্ষা করে হাজারো কর্মী সমর্থক কয়েক কিলোমিটার হাঁটলেন প্রার্থীর সমর্থনে। প্রচুর সাধারণ মানুষ বিজেপি প্রার্থী ও তারকা প্রচারক মিঠুন চক্রবর্তীকে দেখতে রাস্তার ধারে জড়ো হয়েছিলেন। তাঁদেরও অনেকে এদিন মিছিলে পা মেলান। প্রচারের একেবারে শেষ পর্বে ঝড় তুলে দিল বিজেপি। যা কর্মী সমর্থকদের মনোবল বাড়াতে অনেকটাই সুবিধা করবে। 

    মিঠুনের রোড শোয়ে জনজোয়ার

    গত লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি এই আসনে সংখ্যাতত্ত্বের বিচারে অনেক সুবিধা জনক জায়গায় ছিল। যদিও জয়ী হন আবু তাহের খান। সংখ্যালঘু উদ্দেশ্য অধ্যুষিত এই অঞ্চলে হিন্দুদের ভোট অনেকটাই নিজেদের শিবিরে আনতে সক্ষম হয়েছিল বিজেপি। হয়েছিল হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। এমনকী গত লোকসভায় জিয়াগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বিজেপি এগিয়েছিল। এবার এই কেন্দ্রে জয় পেতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে বিজেপি। বিজেপি কর্মী রঘুনাথ হাজরা এদিন বলেন, “সকাল থেকেই মিঠুনের অপেক্ষায় আমরা জড়ো হয়েছিলাম। প্রার্থীকে এবার জেতাতে হবে। এই জোর আমাদের মনে আছে। আমরা জিয়াগঞ্জ সহ আরও বেশ কয়েকটা বিধানসভা থেকে লিড দেব। এবং আমাদের প্রার্থী মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে জয়ী হবে। তার জন্য প্রতিজ্ঞা নিয়ে দিনের রোড শোয়ে আমরা পা মিলিয়েছি। আমরা প্রচারে বেশ ভাল সাড়া পাচ্ছি। গতবার একটুর জন্য হাতছাড়া হয়েছিল এই লোকসভা কেন্দ্র। এবার আর সেটা হবে না আমরা এই কেন্দ্রেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার দিতে চাই”। এদিন জিয়াগঞ্জের বাগদহ মোড় থেকে নেতাজি মোড় পর্যন্ত রোড স করে বিজেপি। এদিন বেলা বারোটা নাগাদ জিয়াগঞ্জ বাগদহের মোড় থেকে গৌরীশংকর ঘোষ কে সঙ্গে নিয়ে রোড-শো শুরু হয়। জিয়াগঞ্জ ফুলতলা বাস স্ট্যান্ড হয়ে জিয়াগঞ্জ বাজারের রাজপথ ধরে নেতাজি মূর্তি পাদদেশে মিঠুন চক্রবর্তীর রোড শো শেষ হয়। রোড শোয়ে উপচে পড়়ে ভিড়।

    বিজেপি সোনার বাংলা উপহার দেবে

    এবার বিজেপি মিঠুনকে বাংলা এবং ত্রিপুরায় তারকা প্রচারকের তালিকায় রেখেছে। অন্যদিকে, মুর্শিদাবাদে জঙ্গিপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপির প্রার্থী ধনঞ্জয় ঘোষের হয়ে প্রচারে আসেন মিঠুন চক্রবর্তী। নবগ্রামের চাণক এলাকায় তিনি নামেন। তারপরেই তার প্রচার শুরু হয়। সেখানে তিনি একটি জনসভায় অংশগ্রহণ করেন, “বিজেপি কর্মী ও সমর্থকদের ভিড়ের পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজন মহাগুরুকে দেখার জন্য ভিড় করে। এদিনের সভায় মিঠুন বলেন, বিজেপি প্রার্থীকে জয়ী করুন। বিজেপি সোনার বাংলা উপহার দেবে। আর তৃণমূলের নাম করে বলেন, অন্যদলকে ভোট দিলে চাকরি দুর্নীতি, বালি চুরি, গরু চুরি, সন্দেশখালির মতো মেয়েদের ওপর অত্যাচার হবে। এদিন মিঠুন তাঁর সিনেমার কয়েকটি ডায়লগ একটু ঘুরিয়ে বলেন। কারণ, সিনেমার দায়লগে কয়েকটি শব্দ নাকি হিংসাশ্রয়ী। আদর্শ আচরণ বিধির জন্য মিঠুনের নতুন ডায়লগে প্রচুর হাততালি পড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bankura: “চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই”, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

    Bankura: “চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই”, বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আদালতের রায়ে ২৬ হাজার শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়ে গিয়েছে। রাজ্যজুড়ে এই ইস্যুতে তোলপাড় শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই যোগ্যরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেছেন। এই আবহের মধ্যেই শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে বাঁকুড়ার (Bankura) সভায় বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন সৌমিত্র খাঁ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

    চাকরীপ্রার্থী পিছু আট লক্ষ করে টাকা চেয়েছিলেন অভিষেকের ভাই (Bankura)

    বাঁকুড়ার (Bankura) রতনপুরে নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, তৃণমূলে থাকার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কিছু ছেলের চাকরির জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি তাঁর ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছিলেন। আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে গেলে তিনি প্রার্থী পিছ আট লক্ষ টাকা দাবি করেন। সৌমিত্রর কথায়, ” আমি ওনার ছোট ভাই আকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে বললাম অভিষেকদা বলল চাকরি করে দেবেন। তো কী করতে পারবেন? আমায় বললেন, দাদা তোমার কাছ থেকে বেশি নেব না। এক কাজ করো আট লক্ষ টাকা আর দু’লক্ষ টাকা তোমার জন্য। মোট ১০ লক্ষ টাকা করে ১০০টা ক্যান্ডিডেট এনে দিতে পারো।”  এরপরই সৌমিত্র খাঁ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে চোর দাবি করে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা আসতেন আমি তাঁর প্যান্ট জামা খুলে নিতাম।” শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ আদালত যে করছে তা বিজেপি প্রার্থীর বক্তব্যে আরও পরিষ্কার হয়ে গেল। এই নির্বাচনে দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের চরম বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    বড়জোড়ার (Bankura) তৃণমূল বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায় বলেন, “ওর হিম্মত রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের পোশাক খুলে নেওয়ার? ও তো তিনটে-চারটে লোক আর পয়সার থলি নিয়ে ঘুরছে। আর এই ভোটে পাবলিক ওকে যোগ্য জবাব দেবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Incident: পুলিশের পর সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই

    Sandeshkhali Incident: পুলিশের পর সন্দেশখালিকাণ্ডে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশের পর এবার সন্দেশখালিতে নারী নির্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। সন্দেশখালির ঘটনায় (Sandeshkhali Incident) আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে ই-মেল আইডি তৈরি করে স্থানীয়দের অভিযোগ গ্রহণ করে সিবিআই। সিবিআই সূত্রে খবর, মেল আইডি খুলে দিতেই সন্দেশখালি থেকে আসা লিখিত অভিযোগ উপচে পড়ে সিবিআইয়ের মেলবক্সে। এরপর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তে নেমে শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রথম ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করল।

    চাপে পড়ে পুলিশ ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছিল শিবু-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে

    সন্দেশখালিকাণ্ডে এর আগে শেখ শাহজাহানের (Sheikh Shahjahan) সহযোগী তৃণমূল নেতা শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে ধর্ষণের দুটি অভিযোগ দায়ের করেছিল পুলিশ। বসিরহাট মহকুমা আদালতে অভিযোগকারিণীর গোপন জবানবন্দির ভিত্তিতে শিবু হাজরার (Shibu Hazra) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল শিবু-সহ মোট তিন জনের বিরুদ্ধে। এ বার সন্দেশখালিকাণ্ডে নারী নি‌র্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই।
    ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের।

    ই-মেইলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এক নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে কথা বলে সিবিআই

    তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ই-মেইলে আসা অভিযোগের ভিত্তিতে এক নির্যাতিতার বাড়ি গিয়ে কথা বলেন তাঁরা (Sandeshkhali Incident)। অভিযোগকারিনী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বয়ান রেকর্ড করে সিবিআই (CBI)। সেই বয়ানের ভিত্তিতে দায়ের করা হয়েছে ধর্ষণের অভিযোগ। তবে ধর্ষণে অভিযুক্ত কে বা কারা তা জানা যায়নি।

    গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে (Sandeshkhali Incident) দেয় কলকাতা হাইকোর্টের

    উল্লেখ্য শাহজাহান পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর প্রথমে সিবিআই হেফাজত এবং তার পরে ইডি হেফাজতে ছিলেন। বর্তমানে জেলে রয়েছেন শেখ শাহজাহান। গ্রেফতার হয়েছেন শিবু-সহ শাহজাহানের শাগরেদরাও। গত ১০ এপ্রিল সন্দেশখালিকাণ্ডের তদন্তভার সিবিআইকে (Sandeshkhali Incident) দেয় কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ। একই সঙ্গে রাজ্য পুলিশকে সব রকম সাহায্য করার নির্দেশ দেয় আদালত। আর এর পরেই আদালতের নির্দেশে তদন্তে নেমে নারী নি‌র্যাতনের অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: “তৃণমূল নেতাদের কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিন”, চাকরিহারাদের বার্তা সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “লোকসভা ভোট শেষ হওয়ার পর তৃণমূল থাকবে না। যারা টাকা দিয়ে চাকরি পেয়েছেন তাদের বলব, ভোটের আগে তৃণমূল নেতাদের কাছে যান, কলার ধরে চাকরির টাকা ফেরত নিয়ে নিন।” বৃহস্পতিবার এমনই মন্তব্য করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, তৃণমূল আমলে যারা চাকরি পেয়েছেন, কার চাকরি থাকবে, কার চাকরি যাবে বলা অসম্ভব। তাঁদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তারা তো টাকা দিয়ে চাকরি পাননি। তাহলে তো আটা ও ভুষি এক হয়ে যাচ্ছে। যারা ঘুষ নিয়ে চাকরি পেয়েছেন, তাদের চাকরি যাচ্ছে আর যারা পড়াশুনা করে চাকরি পেয়েছেন, তাদেরও চাকরি চলে যাচ্ছে।

    দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

    এদিকে রাত পোহালেই দ্বিতীয় দফার লোকসভা নির্বাচন। তার আগে বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে দলীয় কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছেন বালুঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। মূলত, বুথের অবস্থা কি তার খোঁজ খবর নিচ্ছেন বিজেপি প্রার্থী। এদিন দুপুরে বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের চকরাম এলাকায় যান বিজেপি প্রার্থী। সেখানে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত। পাশাপাশি ওই এলাকায় কিছু তৃণমূলের লোকজন একটু হুমকি দিচ্ছে। তারা আবার দিনের বেলা বেরতে পারে না বলে জানান বিজেপি কর্মীরা । দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলেন সুকান্ত মজুমদার এবং তাদের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এদিন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার চিঙ্গিশপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আলিপুর, গোপালপুর ও হিলি ব্লকের তিওর সহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেরান।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কী বললেন সুকান্ত?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, বুধবার তো প্রচার শেষ হয়েছে। তাই, এদিন বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে কর্মীদের সঙ্গে কথা বলছি। তাঁদের কোনও অসুবিধা হচ্ছে কি না, কেউ ভয় দেখাচ্ছে কি না এইসব শুনছি। ছোট খাটো ধমকানো চমকানো চলছে। ভয় দেখানো হচ্ছে, বিভিন্ন ভাতা বন্ধ হবে এইসব চলছে। মুর্শিদাবাদের বড়ঞাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীর হাত উড়ে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বোমা বাধঁতে গিয়ে হাত উড়েছে। পশ্চিমবঙ্গ হল বোমা শিল্পর জন্য বিখ্যাত। মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনা এইসব জায়গায় বোমা ঘরে ঘরে কুটির শিল্প এখন। বোমা তৈরির মাধ্যমে কর্মসংস্থান হচ্ছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে কাঞ্চনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ

    Lok Sabha Election 2024: ভোট প্রচারে বেরিয়ে কাঞ্চনকে গাড়ি থেকে নামিয়ে দিলেন কল্যাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের (Lok Sabha Election 2024) মুখে আবার সামনে এল তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। ভোটের প্রচারে বেরিয়ে উত্তরপাড়ার বিধায়ক তথা অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিককে গাড়ি (campaign car) থেকে নামিয়ে দিলেন শ্রীরামপুরের তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরেই মনমরা হয়ে কাঞ্চন বেরিয়ে গেলেন কল্যাণের প্রচার (election campaign) ছেড়ে। এই ঘটনার জেরে শুরুতেই তাল কাটে কল্যাণের প্রচারের।

    ঠিক কী হয়েছিল? (Lok Sabha Election 2024) 

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে বৃহস্পতিবার সকালে কোন্নগর নবগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ভোট (Lok Sabha Election 2024) প্রচার ও জনসংযোগে বের হন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (kalyan bandhopadhyay)। এই প্রচারে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক এবং অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক (kanchan mallick)। কিন্তু প্রচার শুরু হতেই ঘটে বিপত্তি। গাড়ি থেকে নেমে যেতে বলা হয় বিধায়ককে। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য, কাঞ্চনকে দেখলেই গ্রামের মহিলারা ‘ভীষণ রিয়্যাক্ট’ করছেন। তাই তিনি কাঞ্চনকে তাঁর সঙ্গে গ্রামে প্রচারে যেতে মানা করেছেন। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,”আমি ওঁকে আগেই বলে দিয়েছিলাম, গ্রামে এসো না। আমি ব্যক্তি বিশেষের জন্য নই, আমি সমষ্টিগত মানুষের সুখের জন্য। একজনের সুখের জন্য আমি সমষ্টিগত মানুষকে কষ্ট দিতে পারব না।”এরপর কাঞ্চন এক দলীয় কর্মীর বাইকের পিছনে বসে সেখান থেকে বেরিয়ে যান। কাঞ্চনের অনুগামীদের সূত্রে খবর, ঘটনার পর তিনি কলকাতায় ফিরে গেছেন।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কাঞ্চনের বিয়ে নিয়েই শোরগোল টলিপাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায়

    প্রসঙ্গত, কাঞ্চন টলিউডের (tollywood actor) একজন জনপ্রিয় অভিনেত। কিন্তু, বর্তমানে ব্যক্তিগত কারণে শিরোনামে  আছেন তিনি। প্রথম ও দ্বিতীয় স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর খুব সম্প্রতি আবারো বিয়ে করেছেন অভিনেতা-বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক। আর কাঞ্চনের এই বিয়ে নিয়েই শোরগোল টলিপাড়া থেকে সোশ্যাল মিডিয়া সর্বত্র। আর এদিনের প্রচারে কাঞ্চনকে দেখে সেই নিয়ে এলাকার মানুষের মধ্যে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে দাবি কল্যাণের। যদিও কল্যাণ স্পষ্ট করেননি, গ্রামের মহিলারা ঠিক কোনও কারণে কাঞ্চনকে নিয়ে আপত্তি করছেন। অন্যদিকে গোটা ঘটনায় কাঞ্চন মল্লিকের কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: “চোরেদের দল তৃণমূলে আর থাকব না”, অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কাউন্সিলর

    Arjun Singh: “চোরেদের দল তৃণমূলে আর থাকব না”, অর্জুনের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়ে বললেন কাউন্সিলর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) গড় ভাটপাড়ায় ফের তৃণমূলে ভাঙন। ভাটপাড়া পুরসভার ১০  নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর দলবল বিজেপিতে যোগদান করলেন। ভোটের আগে এই ধস নামার ঘটনায় ব্যাকফুটে শাসক দল। পাশাপাশি, ভাটপাড়ায় আরও শক্তি বাড়ালো বিজেপি। ভোটের আগে এই যোগদানে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা চাঙা হয়ে উঠেছেন।

    চোরদের দল তৃণমূলে আর থাকব না, বললেন দলত্যাগী কাউন্সিলর

    মঙ্গলবার রাতে ভাটপাড়া পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল পার্টি অফিসে হামলার চালানোর অভিযোগ উঠল দলেরই অন্য গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। হামলায় আক্রান্ত হলেন তৃণমূলের কাউন্সিলর সত্যেন রায় এবং তাঁর ছেলে শানু রায়। সত্যেনবাবু বলেন, পার্টি অফিসে একটি বিষয়ে আলোচনা চলছিল। পরে, সেটা নিয়ে তর্কাতর্কি হয়। সে সময় তৃণমূল নেতা দেবরাজ ঘোষ দলবল নিয়ে এসে আমাকে প্রথম মারধর করে। আমার ছেলে আমাকে বাঁচাতে এলে তাকে বেধড়ক পেটানো হয়। কিছুদিন আগে তার কিডনির অপারেশন হয়েছে। তাকেও রেয়াত করেনি। আমি প্রথম দিন থেকে তৃণমূল করি, আজ এটাই ফল পেলাম। পরে ছেলেকে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হামলার ঘটনার পর তৃণমূল নেতারা কেউ পাশে আসেনি। অর্জুন সিং (Arjun Singh) আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। যে দল আমাকে কোনও সম্মান দেয়নি, সেই দলের সঙ্গে আমি কোনও মতেই থাকতে পারবো না। তাই আমি বিজেপিতে যোগদান করলাম। চোরদের দলে আমি থাকবো না। আর বারাকপুরে পার্থ ভৌমিক হেরে বসে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    কী বললেন অর্জুন সিং? (Arjun Singh)

    বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, তৃণমূলের কাউন্সিলর ছিল। তাঁকে অপমান করা হচ্ছিল। মারধর করা হচ্ছিল। আমরা তো তৃণমূল কাউন্সিলরকে নিরাপত্তা দিতে পারি না। বিজেপি আসলে সন্মান পাবেন বুঝতে পেরেই তিনি দলে যোগ দিয়েছেন। আমার দলের কর্মীদের হামলা করলে তৃণমূল বুঝতে পারবে কী হবে। মানুষ তার যোগ্য জবাব এবার ভোটে দিয়ে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল তৃণমূল কর্মীর, শোরগোল

    Murshidabad: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল তৃণমূল কর্মীর, শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে বোমা বাঁধতে গিয়ে বিস্ফোরণে হাতের একাংশ উড়ল এক যুবকের। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার মোনাইকান্দারা গ্রামে। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। বিরোধীদের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই রাতের অন্ধকারে বোমা বাঁধার কাজ করছিল। সেই বোমা ফেটেই এই বিপত্তি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানা এলাকার মোনাইকান্দারা গ্রামের বেশ কয়েকজন যুবক স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় পিছনের জঙ্গলে সকেট বোমা বাঁধার কাজ করছিল। তাদের সঙ্গে ছিল বাইরে থেকে আসা ২ বোমা কারিগর। অতিরিক্ত গরম ও তীব্রতা বাড়াতে নির্দিষ্ট মাত্রার থেকেও বেশি পরিমাণ বারুদ ব্যবহার করাতে ব্যাপক শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে, দাবি পুলিশ সূত্রের। বিস্ফোরণের জেরে দুজন জখম হন। এরমধ্যে একজনের হাতের একাংশ উড়ে যায়। গুরুতর জখম হলেন আরও এক জন। সকালে স্থানীয়রা হাতের কয়েকটি আঙুল ছিন্নভিন্ন অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে। মোনাই কান্দারা গ্রামের বাসিন্দা জিন্নাত আলি শেখ নামক ১৯ বছর বয়সী এক যুবকের হাতের বেশ কয়েকটি আঙুল উড়ে গেছে বলে স্থানীয়দের দাবি। এই জিন্নাত কলেজ পড়ুয়া। বিস্ফোরণের শব্দে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। ঘিরে রাখা হয় গোটা এলাকা। সংবাদ মাধ্যমের কর্মীদের ঘটনাস্থলে যেতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। স্থানীয়দের দাবি বিস্ফোরণের পরেই আহতদের নিয়ে এলাকা থেকে গা ঢাকা দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। শাসক দলের মদতেই চলছিল এই কারবার। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে গ্রামে যায় পুলিশ। বোমার খোঁজে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানো হয়।

    আরও পড়ুন: “মিটিং সেরে ফেরার পথে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল দলেরই কর্মীরা”, গুরুতর আহত তৃণমূল কর্মী

    জখম যুবকের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    আহত জিন্নাত আলির এক আত্মীয় বলেন ‘ খাওয়া দাওয়া করে জিন্নাত বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তার কিছুক্ষণ পরে প্রচন্ড শব্দ হয়। খবর পাই বোমা বিস্ফোরণে অনেকে আহত হয়েছে। জিন্নাতের হাত উড়ে গেছে। আমরা গিয়ে কাউকে দেখতে পাইনি। কোথায় আছে, কারা নিয়ে গেছে কিচ্ছু জানি না। কলেজে পড়া একটা ছেলেকে প্রলোভন দিয়ে এরকম খারাপ কাজে যারা যুক্ত করেছে তাদেরকে গ্রেফতার করুক পুলিশ”।

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    কংগ্রেস নেতা আজাদ মল্লিক বলেন, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালানোর জন্য বোমা তৈরি করছিল। এরপরই বিস্ফোরণ হয়েছে। আমরা দোষীদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি। আর তৃণমূলের যে নেতার নির্দেশে বোমা বাঁধার কাজ হচ্ছিল, তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে, বিজেপি নেত্রী অনামিকা ঘোষ বলেন, ভোটে গন্ডগোল করার জন্য বোমা তৈরি করা হচ্ছিল। আমরা দোষীদের শাস্তি দাবি করছি। তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য, এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কেউ জড়িত নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    Abhishek Banerjee: শ্রীরূপার বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অভিষেকের বিরুদ্ধে কমিশনে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মালদহ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থীর শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরীর জন্য অভিষেকের (Abhishek Banerjee) অশ্লীল মন্তব্য করার প্রতিবাদে এবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হল বিজেপি (BJP)। বিজেপি নেতা শিশির বাজোরিয়া এই ঘটনায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে (ECI) অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগ পত্রে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার উপযুক্ত শাস্তি দাবি করেছেন তিনি। ইতিমধ্যেই অভিষেকের এই মন্তব্যের জেরে তাঁর বিরুদ্ধে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে রাজ্য তা জানতে চেয়ে ডিজিকে চিঠি পাঠিয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন (NCW)। চার দিনের মধ্যে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে তা জানাতে বলা হয়েছে মহিলা কমিশনকে। 

    ঠিক কী বলেছেন অভিষেক? (Abhishek Banerjee) 

    মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী নিজেকে নির্ভয়া দিদি হিসেবেই পরিচয় দিতে ভালোবাসেন। তাঁর ভোট প্রচারের গাড়িতেও নির্ভয়া দিদি লিখে তিনি প্রচার চালাচ্ছেন। মঙ্গলবার মালদা দক্ষিণে দলের প্রার্থীর হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে নাম না উল্লেখ করে বিজেপি প্রার্থীকে ‘বেহায়া’ বলে মন্তব্য করেন। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বিজেপি প্রার্থী নিজেকে নির্ভয়া বলে দাবি করছেন। আপনি নির্ভয়া নন আপনি নির্মম, আপনি বেহায়া।” এরপরেই জাতীয় মহিলা কমিশন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পোস্ট করে অভিষেকের বিরুদ্ধে একজন মহিলা প্রার্থীকে অসম্মান করার অভিযোগ আনে। মহিলা কমিশন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে ,একজন মহিলা প্রার্থী যিনি নির্ভয়া নামে পরিচিত তাঁকে নিয়ে এমন মন্তব্য করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নারীর অধিকারকে অসম্মান করেছেন। এই ঘটনার পরেই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয় বিজেপি। নির্বাচন কমিশনের কাছে বিজেপির দাবি, “ডায়মন্ড হারবারের প্রার্থীর বিরুদ্ধে আইন মোতাবেক পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং কঠোর সাজা দিতে হবে।”

    আরও পড়ুন: “মিটিং সেরে ফেরার পথে অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাল দলেরই কর্মীরা”, গুরুতর আহত তৃণমূল কর্মী

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    শিশির বাজোরিয়া এদিন বলেন, “অভিষেকের মন্তব্য নারীবিদ্বেষী। যিনি মহিলাদের জন্য কাজ করেন। যিনি সমাজের জন্য কাজ করেন। তাঁকে সহ্য করতে পারছেন না অভিষেক। তার দলের নেত্রী মহিলা অথচ অন্য দলের নেত্রীকে তিনি অকথ্য, নোংরা ভাষায় অপমান করেছেন। তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করেছেন। তৃণমূলের অনেক নেতাই নারীবিদ্বেষী। চলতি লোকসভা নির্বাচনে যাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় অন্য কোন কেন্দ্রে প্রচার না চালাতে পারেন সে বিষয়ে তৃণমূল প্রার্থীকে প্রচার থেকে সাসপেন্ড করার দাবি জানানো হয়েছে। উনি কম কথা বললে মহিলাদের কম অসম্মান হবে।” স্বাভাবিকভাবেই একদিকে দুর্নীতির অভিযোগ অন্যদিকে কথা বলে বেজায় অস্বস্তিতে পড়েছেন ডায়মন্ড হারবার এর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী।

    রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিল জাতীয় মহিলা কমিশন

    জাতীয় মহিলা কমিনের পক্ষ থেকে অভিষেককে নিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজির কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে। অভিষেকের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা মহিলা কমিশনের পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share