Author: user

  • Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    Election Commission: উস্কানিমূলক মন্তব্যে তৃণমূল বিধায়ককে শো-কজ করল নির্বাচন কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মধ্যে বিপাকে তৃণমূল বিধায়ক। এবার দ্বিতীয় দফা ভোটের আগেই হামিদুল রহমানকে শোকজ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। সম্প্রতি এক নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে বিরোধী ভোটারদের উদ্দেশ্যে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে এবার তাঁকে শোকজ করল কমিশন।

    ঠিক কী বলেছিলেন (Election Commission)?

    সম্প্রতি দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী গোপাল লামার সমর্থনে নির্বাচনী সভায় বক্তব্য রেখেছিলেন তৃণমূল বিধায়ক হামিদুল রহমান। চোপড়া (Chopra) ব্লকের মাঝিয়ালি গ্রাম পঞ্চায়েতের চুয়াগাড়ি চৌরঙ্গী মোড়ের সভায় বক্তব্যের মাঝে বিরোধীদের উদ্দেশ্যে হামিদুল রহমান (Hamidul Rahaman) বলেছিলেন, “যে বিরোধী ভোটাররা তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেবেন না তাঁদের মনে রাখতে হবে ২৬ এপ্রিল ভোটের পর কেন্দ্রীয় বাহিনী চলে যাবে। এলাকার বাহিনীর সঙ্গেই তখন থাকতে হবে। তখন কিছু হলে তাঁরা যেন বলতে না আসেন। তাই মূল্যবান ভোটগুলি নষ্ট করবেন না।” এই বক্তব্যের অভিযোগের ভিত্তিতে তৃণমূল বিধায়ককে শোকজ করেছে কমিশন (Election Commission)। ২৫ এপ্রিলের মধ্যে চোপড়ার বিধায়ককে জবাব দিহি করতে বলেছে কমিশন। যদিও এ ব্যাপারে চোপড়ার তৃণমূল বিধায়কের কোনও প্রতিক্রিয়া এখনও জানা যায়নি।

    বিজেপির বক্তব্য

    তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়কের এই বক্ত্যবের তীব্র নিন্দা করেছিল বিজেপি। চোপড়ার বিজেপি (BJP) নেতা বরুণ সিংহ পাল্টা সতর্ক করেছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ককে। অন্যদিকে উত্তর দিনাজপুরের চোপড়ার তৃণমূল বিধায়ক (TMC MLA) হামিদুল রহমানের এই বক্তব্যের পরেই কমিশনে (Election Commission) অভিযোগ জানিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি বিজেপির (BJP) জেলা সভাপতি বাসুদেব সরকার বলেন, “নিশ্চিত পরাজয় বুঝে গিয়েই তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা হুমকি দিতে শুরু করেছেন। পঞ্চাতের মত ভোটলুঠ এবার আমরা করতে দেব না।”

    আরও পড়ুনঃ প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক হিংসা হয়েছিল

    প্রসঙ্গত, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্যের অন্যতম উত্তেজনার কেন্দ্র ছিল চোপড়া। সিপিএম ও কংগ্রেস মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাওয়ার সময় তাদের উপর গুলি চালানো ও বোমাবাজির অভিযোগও উঠেছিল। গুলিবিদ্ধ হয়ে এক সিপিএম কর্মীর মৃত্যুও হয়। আরও বেশ কয়েকজন গুরুতরভাবে আহতও হয়েছিল। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি। বিরোধীদের উপর তৃণমূল কংগ্রেসের এই হামলার পর বিরোধীরা কেউ মনোনয়নপত্র দাখিল করতেই পারেনি। একপ্রকার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Election Commission) জয়লাভ করে তৃণমূল কংগ্রেস। তাই এবার লোকসভা ভোটে আর তৃণমূলকে (TMC) এক চুলও জমি ছাড়তে নারাজ বিজেপি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: রেলে এবার ২০ টাকা, ৫০ টাকায় ভরপেট খাবার, ট্রেনেই পাবেন পছন্দের মেনু

    Indian Railways: রেলে এবার ২০ টাকা, ৫০ টাকায় ভরপেট খাবার, ট্রেনেই পাবেন পছন্দের মেনু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জনসাধারণের জন্য স্বল্প মূল্যের খাবারের ব্যবস্থা করতে চলেছে রেল (Indian Railways)। নাম রাখা হয়েছে ইকোনমি মিল (economy meal)। মূলত অসংরক্ষিত কামরা ও দ্বিতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারতীয় রেলের (Indian Railways)। এই খাবার মিল এবং জল, স্টেশনের কামরাগুলির কাছে অবস্থিত কাউন্টারেই পাওয়া যাবে।

     ১০০টি স্টেশনে মোট ১৫১টি কাউন্টার (Indian Railways)

    রেল (Indian Railways) এই নয়া ভাবনার খাবার আপাতত ৫১টি স্টেশনে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করেছিল। তাতে সাড়া মিলেছে ভালই। এখন বেড়ে ১০০টি স্টেশনে মোট ১৫১টি কাউন্টারে ইকোনমি মিল দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা স্বল্পমূল্যে সরাসরি এই কাউন্টার থেকে তাঁদের খাবার ও জল কিনতে পারবেন। তাঁদের আর হকারের মুখাপেক্ষী থাকতে হবে না। কুড়ি টাকার বিনিময়ে খাবার এবং তিন টাকার বিনিময়ে ২০০ মিলি জল কিনতে পাওয়া যাবে। বিভিন্ন জংশন স্টেশনের প্লাটফর্মে সস্তায় খাবারের স্টল বসানো হয়েছে। চলতি বছরের শেষেই দেড়শটি স্টেশনে এই খাবার কিনতে পাওয়া যাবে বলে রেল সূত্রে খবর।

    ইকোনোমি মিলে কী কী থাকবে?

    আইআরসিটিসি-র সহযোগিতায় এই পরিষেবা চালু করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। জানা গিয়েছে ইকোনোমি মিলে পাওয়া যাবে, লুচি তরকারি আর আচার। খিচুড়ি, ছোলা-ভাটুরা, ধোসার মত খাবারও পাওয়া যাবে ৫০ টাকায়। যে কোনও একটি খাবারের প্লেটের দাম মাত্র ৫০ টাকা । ভারতীয় রেল ৫০ টাকার প্লেটে রাজমা ও ভাত, মশলা কুলচা, মশলা ধোসার মত পদ যোগ করতে চলেছে। যে সমস্ত যাত্রীরা বাড়ি থেকে খাবার আনতে ভুলে যান কিংবা দীর্ঘ যাত্রাকালে যাঁদের খাবারের প্রয়োজন তাঁদের জন্য অত্যন্ত উপকারী এই নয়া ব্যবস্থা।

    আরও পড়ুনঃ “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    ৫ টাকায় শুরু হয়েছিল মিল

    প্রসঙ্গত রেলের (Indian Railways) সস্তায় খাবারের ভাবনা অনেক পুরোনো। লালু প্রসাদ যাদব রেলমন্ত্রী থাকাকালীন কয়েক দশক আগেই “জনতা আহার” চালু করেছিলেন। ৫ টাকা থেকে শুরু হওয়া ওই খাবারের দাম এখন ২০ টাকায় ঠেকেছে। কিন্তু ওই খাবারের মান নিয়ে চিরকাল প্রশ্ন ছিল। রেলযাত্রীদের অভিযোগ আজও আছে, ৪টে লুচি আর আলুর তরকারির খবার কিন্তু তাতে পেট ভরে না এবং জিভের স্বাদও মেটানো যায় না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Sukanta Majumdar: প্রচারের শেষ দিনে সুকান্তর হাত ধরে তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বালুরঘাট লোকসভায় ভোট। তার দুদিন আগেও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক চলছে। বুধবার তৃণমূল দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করল প্রায় শতাধিক পরিবার। এদিন বালুরঘাটে বিজেপির জেলা কার্যালয়ে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজেপিতে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি তথা বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এছাড়াও যোগদান কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্ব।

    তৃণমূল ছেড়ে শতাধিক কর্মী বিজেপিতে যোগদান করলেন (Sukanta Majumdar)

    এদিন মূলত তপন ব্লক একাধিক পরিবার তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করে। এই ব্লকের ৭০টি পরিবার যোগ দেয়। অন্যদিকে, বালুরঘাট শহরের একাধিক নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগদান করেছে। জানা গিয়েছে, এই এলাকায় ৪০ জন নতুন ভোটার বিজেপিতে যোগ দিয়েছে। তাঁদের পরিবারের সদস্যরা অন্যান্য দলের সমর্থক ছিলেন। এদিন লোকসভা নির্বাচনের শেষ প্রচার। প্রচারের শেষ দিন কুশমন্ডি ও হরিরামপুরের বেশ কয়েকটি এলাকায় হুড খোলা গাড়িতে নির্বাচনের শেষ প্রচার করলেন বিজেপির প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। প্রচার সেরে তিনি গঙ্গারামপুর মহকুমা আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে জনসংযোগ করেন। বিজেপিতে যোগদান করার পর এক যোগদানকারী বলেন,আমরা ১০ নম্বর মালঞ্চা গ্রামপঞ্চায়েত থেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। কারণ, তৃণমূলে থাকাকালীন শুধু দুর্নীতি দেখেছি। তাই, দুর্নীতি মুক্ত করতে আজ বিজেপিতে আসলাম।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    এই বিষয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নির্বাচনী প্রচারের শেষদিন। তাই, জেলার কুশমন্ডি, হরিরামপুরের বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করলাম। সাধারণ মানুষের ভালো সাড়া পাচ্ছি। এদিনও সকাল থেকে দিনভর বিভিন্ন এলাকায় চুটিয়ে প্রচার করলাম। আর বহুদিন ধরেই তৃণমূল ছেড়ে বহু পরিবার বিজেপিতে যোগদান করছে। প্রচারের শেষদিনেও যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। যোগদানকারীরা বুঝেছে যে রাজ্য বাঁচাতে হলে বিজেপি দরকার তাই আজ তারা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Akshaya Tritiya 2024: অক্ষয় তৃতীয়া কেন মঙ্গলদায়ক? পুরাণ মতে এই দিনটির গুরুত্ব কী জানুন

    Akshaya Tritiya 2024: অক্ষয় তৃতীয়া কেন মঙ্গলদায়ক? পুরাণ মতে এই দিনটির গুরুত্ব কী জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিন্দু ক্যালেন্ডার অনুসারে, বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি জাঁকজমক ভাবে পালিত হয়। সনাতন ধর্মে এই দিন (Hindu religion) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দিন বলে বিবেচিত হয়। অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) দিন থেকে নানা শুভ কাজ শুরু হয়। এছাড়াও অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে কেনাকাটা করা বা সোনার গহনা কেনা খুবই মঙ্গল বলে মনে করা হয়। অনেকের বিশ্বাস, অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে শুরু করা কাজ শুভ ফল দায়ক হয়। এই কারণেই মানুষ নতুন ব্যবসা শুরু করে এই তিথিতে। পয়লা বৈশাখের মতো এদিনও হালখাতা হয় দোকানে দোকানে। সেই উপলক্ষ্যে লক্ষ্মী-গণেশের পুজো করতে এদিন বিভিন্ন মন্দিরে ভিড় করেন ব্যবসায়ীরা। স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের কাছেও সমৃদ্ধির বার্তাবাহক অক্ষয় তৃতীয়ার এই তিথি।

    সোনা-রূপো কেনার রীতি (Akshaya Tritiya 2024)

    অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya 2024) সবাই যার যার সামর্থ্য অনুযায়ী সোনা ও রূপো কিনে থাকে। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে সোনা কিনলে ঘরে ধন-সম্পদ, সুখ-সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে সোনা কিনলে ঘরে অর্থের অভাব হয় না বলেও বিশ্বাস রয়েছে। ব্যক্তি এবং পরিবারের যশ ও খ্যাতি বৃদ্ধি পায়। চলতি বছর ২০২৪ সালের ১০ মে পালিত হবে এই বছরের অক্ষয় তৃতীয়া। কথিত আছে যে অক্ষয় তৃতীয়ার দিনে ধন সম্পদের দেবতা কুবেরকে দেবলোকের অধিপতি নির্বাচন করা হয়। তাই এই দিনে মা লক্ষ্মীর সঙ্গে কুবেরেরও পুজো করা হয়। মনে করা হয় যে অক্ষয় তৃতীয়ায় কুবের দেবের পুজো করলে সংসারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। এই দিনে দান করলেও তার শুভ প্রভাবে সম্পদ লাভ করা সম্ভব হয়। অক্ষয় তৃতীয়ায় যব দান করা স্বর্ণদানের সমতুল্য বলে বিবেচিত হয়।

    অক্ষয় তৃতীয়ার গুরুত্ব

    অক্ষয় তৃতীয়ার দিনটি (Akshaya Tritiya 2024) যে কোনও ধরনের শুভ কাজ করার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। বিয়ে, বাগদান, গৃহপ্রবেশ এবং উপনয়নের মতো যে কোনও শুভ কাজ অক্ষয় তৃতীয়ার যে কোনও সময় করা যায়। এই দিনটি এতই শুভ যে এই দিনে কোনও শুভ কাজ করার জন্য পঞ্জিকাতে শুভ সময় দেখার দরকার পড়ে না। এই দিনে যে কোনও সময় যে কোনও শুভ কাজ করা যেতে পারে।

    পুরাণে অক্ষয় তৃতীয়ার বর্ণনা

    পুরাণ অনুসারে অক্ষয় তৃতীয়ায় (Akshaya Tritiya) অক্ষয় পাত্র লাভ করে ছিলেন যুধিষ্ঠির। এই কারণে অক্ষয় তৃতীয়া থেকেই ক্ষেতে বীজ রোপণ করা শুরু করেন কৃষকরা। অন্যদিকে আরেকটি পৌরণিক আরেকটি সূত্রে অনুসারে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুর নবম অবতার কৃষ্ণ দ্বাপর যুগে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর সুদামা নামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বন্ধু ছিলেন। সুদামা একদিন ভুলবশত কৃষ্ণের সব খাবার খেয়ে ফেলেছিলেন। এরপর তিনি শ্রীকৃষ্ণকে খাবার দিতে একমুঠো চাল নিয়ে তাঁর ঘরে আসেন। বন্ধু সুদামার এই আচরণ মুগ্ধ করেছিল শ্রীকৃষ্ণকে। এরপর শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে সুদামার সমস্ত দারিদ্র্য ঘুচে যায়। মনে করা হয় যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল, সেদিন ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। তাই দিনটি বিশেষ শুভ।

    আরও পড়ুনঃ একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    খুলে যায় বদ্রীনাথধাম

    উল্লেখ্য অক্ষয় তৃতীয়া (Akshaya Tritiya 2024) থেকেই খুলে যায় চারধামের অন্যতম বদ্রীনাথধাম মন্দিরের দরজা। তার সঙ্গে এদিনই মথুরায় বাঁকে বিহারীর দর্শন পাওয়া যায়। সারা বছর পোশাকের আড়ালে ঢাকা থাকেন বাঁকে বিহারী। এই একদিনই তাঁর চরণ দর্শন করা সম্ভব হয়। এছাড়াও অক্ষয় তৃতীয়ার (Akshaya Tritiya) দিন সূর্যোদয়ের আগে উঠে সমুদ্র, গঙ্গা বা যে কোনও পবিত্র নদীতে বা বাড়িতে স্নান করার পর শান্ত চিত্তে ভগবান বিষ্ণু ও মা লক্ষ্মীর পুজো করার বিধান রয়েছে। সুখ, সৌভাগ্য এবং সমৃদ্ধির জন্য লক্ষ্মীনারায়ণের পাশাপাশি এই দিনে ভগবান শিব এবং মা পার্বতীরও পুজো করা হয়।

    স্কন্দপুরাণ অনুসারে দিনের গুরুত্ব

    শাস্ত্র অনুসারে, এই অক্ষয় তৃতীয়ার মাসে (Akshaya Tritiya 2024) জলের কলস, ছায়াযুক্ত বৃক্ষ রক্ষা ও রোপণ, পশু-পাখিদের খাবারের ব্যবস্থা করা, পথচারীকে জল দেওয়া প্রভৃতি ভালো কাজগুলি মানুষের জীবনকে সমৃদ্ধির পথে নিয়ে যায়। অন্যদিকে স্কন্দপুরাণ অনুসারে এই মাসে জল দান করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, অর্থাৎ বহু তীর্থযাত্রা করে যে ফল পাওয়া যায় তা বৈশাখ মাসে জল দান করলেই পাওয়া যায়। এছাড়া যাঁরা ছায়া চান, তাঁদের ছাতা দান এবং যাঁরা পাখা চান, তাঁদের একটি পাখা দান করলে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও শিব এই তিন দেবতার আশীর্বাদ পাওয়া যায়। যিনি পাদুকা দান করেন, তিনি যমদূতদের তুচ্ছ করে বিষ্ণুলোকে যান। এমন কথাও বর্ণিত রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    SSC Recruitment Scam: “রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে”, বিস্ফোরক চাকরি হারা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) মামলায় হাইকোর্টের রায়ে রাজ্যে প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি চলে গিয়েছে। সেই তালিকায় নাম রয়েছে উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মনের। চাকরি বাতিল হওয়ার ঘটনা জানাজানি হতেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে। তবে, চাকরি হারানোর পর জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন। তাঁর এই মন্তব্যে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

     চাকরি বাতিল হয়েছে জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতির (SSC Recruitment Scam)

    দলীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৮-২৩ সাল পর্যন্ত তৃণমূল পরিচালিত উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি ছিলেন কবিতা বর্মন। তাঁর স্বামী প্রফুল্ল বর্মন উত্তর দিনাজপুর জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ এবং হেমতাবাদের ব্লক তৃণমূলের সভাপতি পদে ছিলেন। সেই সময় তিনি স্কুল শিক্ষকের চাকরি পেয়েছিলেন। কবিতা বর্মনের বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। জানা গিয়েছে, তিনি উত্তর দিনাজপুর জেলার ইটাহার ব্লকের বালিজোল উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা বিষয়ের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। আদালতের রায়ে তাঁর চাকরি চলে যায়। তবে, দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে তা অকপটে স্বীকার করেন কবিতা দেবী।

    আরও পড়ুন: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে

    জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাধিপতি কবিতা বর্মন বলেন, “হাইকোর্টের অর্ডার তো এখন মানতেই হবে। দুর্নীতি (SSC Recruitment Scam) হয়েছে। তবে, আমার বিরুদ্ধে সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পাওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন। সাদা খাতা জমা দিয়ে তো কারও চাকরি হয় না। গোটা প্যানেলটাই বাতিল হয়েছে, সেটা সবাইকে মেনে নিতে হবে।” পাশাপাশি এই দুর্নীতির জন্য রাজ্য সরকারকেই দায়ী করেছেন তিনি। তিনি বলেন,  “এরজন্য আমরা দায়ী নই। রাজ্য সরকার শিক্ষা ব্যবস্থাকে দুর্নীতির পথে নিয়ে যাচ্ছে। যা করেছে রাজ্য সরকার। সরকার শিক্ষা ব্যবস্থায় দুর্নীতি করেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Heatwave: প্রবল গরমেও ত্বক শুষ্ক, ফাটছে ঠোঁট! কীভাবে যত্ন নেবেন? 

    Heatwave: প্রবল গরমেও ত্বক শুষ্ক, ফাটছে ঠোঁট! কীভাবে যত্ন নেবেন? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    তাপমাত্রার পারদ প্রতিদিন বাড়ছে‌। রাজ্যের একাধিক জায়গায় তাপপ্রবাহের সতর্কতাও জারি করেছেন আবহাওয়া দফতরের কর্তারা। এই তীব্র গরমে একাধিক শারীরিক সমস্যার মধ্যে দেখা দিয়েছে ত্বকের সমস্যাও। এই গরমে (Heatwave) ত্বকের শুষ্কতা আরও বেড়েছে। ত্বক বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সাধারণত এ দেশের আবহাওয়ায় ত্বকের শুষ্কতা শীতকালে বেশি দেখা যায়। গরমে অতিরিক্ত ঘামে ত্বকে র‍্যাশ জাতীয় সমস্যা কিংবা সান বার্নের মতো অসুবিধায় ভোগেন অধিকাংশ রোগী। কিন্তু এবছরে গরমে বাড়তি সমস্যা তৈরি করছে ত্বকের শুষ্কতা। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, গরমে ত্বকের বাড়তি যত্ন জরুরি। পাশপাশি কয়েকটি জিনিস এড়িয়ে চললেই শুষ্কতা কমানো যাবে। তবেই এই গরমেও এড়ানো যাবে ত্বকের সমস্যা।

    কোন দিক এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Heatwave) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, গরম থেকে বাঁচতে, আরামের জন্য অধিকাংশই এসির মধ্যে থাকছেন। আর এই অতিরিক্ত এসিতে থাকাই বিপত্তি বাড়াচ্ছে। কারণ, অতিরিক্ত সময় এসিতে থাকলে ত্বকের স্বাভাবিক আর্দ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। ফলে শুষ্কতা বাড়ে। তাছাড়াও অনেকেই এই সময়ে ছুটির দিনে সুইমিং পুলে সময় কাটান। অতিরিক্ত সময় সুইমিং পুলে থাকলে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। কারণ, সুইমিং পুলের জলে পিএইচ মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি থাকে। তাই ত্বকের শুষ্কতা বাড়ে। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, শরীরে জলের ঘাটতিতে শুষ্কতার সমস্যা বাড়ছে। গরমে (Heatwave) অনেক সময়েই প্রয়োজন‌ মাফিক জল খাওয়া হয় না। যতখানি ঘাম হয়, শরীর থেকে জল বের হয়, ততটা জল খাওয়া হয় না। এর ফলেই ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। তাই এই তিনটি বিষয়ে নজর দিলে শুষ্কতার সমস্যা কিছুটা কমানো যাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ঘরোয়া পদ্ধতিতেই কি এই সমস্যার সমাধান রয়েছে? বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস এই গরমেও ত্বকের শুষ্কতা কমিয়ে, ত্বক ভালো রাখতে বিশেষ‌ভাবে‌ সাহায্য করবে।

    তরমুজ, লেবু, ডাবের জল নিয়মিত খাওয়া জরুরি

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই গরমে (Heatwave) শরীর সুস্থ রাখতে কিছু ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। তাঁদের পরামর্শ, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়ার পাশপাশি তরমুজ, লেবুর মতো রসালো ফল নিয়মিত খেতে হবে। এগুলো শরীর ও ত্বক শুষ্ক হতে দেয় না। এছাড়া, লেবুতে রয়েছে ভিটামিন সি। তাই লেবুর রস খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে। এছাড়াও এই গরম মোকাবিলা করতে নিয়মিত ডাবের জল খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, ডাবের জলে রয়েছে একাধিক খনিজ পদার্থ। তাই শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। ত্বক ভালো থাকে।

    সপ্তাহে অন্তত একবার মধু মাখলে কমবে সমস্যা (Heatwave)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশের পরামর্শ, ত্বকের শুষ্কতা কমাতে সপ্তাহে অন্তত একবার মুখে মধু মাখলে উপকার পাওয়া যাবে। মধু ত্বকের শুষ্কতা দূর করে। ত্বক‌ মসৃণ করে।

    নিয়মিত টক দই দেবে বাড়তি উপকার

    ত্ব‌ক ভালো রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, নিয়মিত টক দই লিভার ভালো রাখে। লিভার সুস্থ থাকলে ত্বকের একাধিক সমস্যা কমে। তাই এই গরমে (Heatwave) ত্বক ভালো রাখতে নিয়মিত টক দই খাওয়া দরকার।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ramkrishna Math: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ

    Ramkrishna Math: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের (Ramkrishna Math) নতুন অধ্যক্ষ হলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। এতদিন পর্যন্ত তিনি মঠের সহ-অধ্যক্ষের দায়িত্বে ছিলেন। বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন অধ্যক্ষের নাম ঘোষণা করেন মিশনের সাধারণ সম্পাদক স্বামী সুবীরানন্দ মহারাজ। প্রসঙ্গত, স্বামী স্মরণানন্দজি মহারাজের মৃত্যুর পরেই অন্তর্বর্তীকালীন অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrishna Math) তরফ থেকে জানানো হয়েছে, সম্পূর্ণ গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হয় এই আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান। এর অধ্যক্ষের পদ কখনও শূন্য থাকে না।

    মিশনের সাংবাদিক বৈঠক

    এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানানো হয়েছে, অছি পরিষদের সবথেকে প্রবীণ সহ অধ্যক্ষ ছিলেন স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ। তাঁকেই বেছে নেওয়া হল পরবর্তী অধ্যক্ষ হিসেবে। প্রসঙ্গত গত ২৭ মার্চ স্মরণানন্দজি মহারাজের অন্ত্যোষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হয়। ঘটনাক্রমে সেই দিনেই মিশনের সাধারণ সম্পাদক সুবীরানন্দ মহারাজ জানিয়েছিলেন, নতুন অধ্যক্ষ নির্বাচিত হতে এক মাস মত সময় লাগবে। ২৪ এপ্রিল নাম ঘোষণা হল নতুন মহারাজের। ২৭ মার্চ সুবীরানন্দ মহারাজ বলেছিলেন, ‘‘আমাদের সংঘ গণতান্ত্রিক সংঘ। অছি পরিষদ ও পরিচালন সমিতি পরবর্তী অধ্যক্ষ কে হবেন তা ঠিক করবেন। সেই সিদ্ধান্তে অনুমোদন দেবেন দীর্ঘ ২০-৩০ বছর ধরে মঠ ও মিশনের (Ramkrishna Math) কার্যভার সামলাচ্ছেন যে সন্ন্যাসীরা।’’

    স্বামী গৌতমানন্দ মহারাজ মিশনে যোগ দেন ১৯৫১ সালে 

    মিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, স্বামী গৌতমানন্দ রামকৃষ্ণ মিশনে যোগদান করেন ১৯৫১ সালে। পরবর্তীকালে ১৯৬৬ সালে মঠের দশম অধ্যক্ষ স্বামী বিরেশ্বরানন্দজি মহারাজ তাঁকে সন্ন্যাস ধর্মে দীক্ষিত করেন। গৌতমানন্দ মহারাজ অরুণাচল প্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশের গ্রামীণ আদিবাসী জনসাধারণের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের কাজ করেছেন বলে জানা যায়। এর পাশাপাশি সেন্ট্রাল বোর্ড অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন এবং ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশন- এই দুটি গুরুত্বপূর্ণ বোর্ডেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯০ সালের রামকৃষ্ণ মিশন-এর (Ramkrishna Math) ট্রাস্টি হিসেবে নির্বাচিত করা হয় গৌতমানন্দজি মহারাজকে। পরবর্তীকালে ১৯৯৫ সালে রামকৃষ্ণ মিশনের চেন্নাই মঠের দায়িত্বভার পান তিনি।

    মিশনের বিবৃতি

    রামকৃষ্ণ মিশনের (Ramkrishna Math) তরফে যে বিবৃতি দেওয়া হয়েছে সেখানে বলা হয়েছে, ‘‘দেশ ও বিদেশে বহু জায়গায় তাঁর বক্তৃতা ভারতের আধ্যাত্মিকতা ও বেদান্ত দর্শনের বিষয়ে আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। এমন এক জন প্রাজ্ঞ ও সংস্কৃতিমনস্ক প্রবীণ সন্ন্যাসী রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পদে অন্তর্বর্তিকালীন কার্যভার গ্রহণ করায় খুশি ভক্ত ও অনুরাগীরা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • IMA vs Patanjali: পতঞ্জলির পর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    IMA vs Patanjali: পতঞ্জলির পর ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনকে তীব্র ভর্ৎসনা সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পতঞ্জলি বনাম ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ) মামলায় এবার মুখ পুড়ল চিকিৎসকদের এই সংস্থার। অপ্রয়োজনীয় এবং দামি ঔষধ লেখার জন্য সর্বোচ্চ আদালত (Supreme Court) চিকিৎসকদের সংস্থাকে ভর্ৎসনা করল। প্রশ্ন উঠল আইএমএ-র (IMA vs Patanjali) সদিচ্ছা নিয়েও।

    সুপ্রিম কোর্টের আপত্তি (IMA vs Patanjali)

    মঙ্গলবার মামলার শুনানি চলাকালীন সুপ্রিম কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ, ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনে (IMA) নথিভূক্ত চিকিৎসকদের অবাঞ্ছিত কাজকর্ম নিয়ে প্রবল আপত্তি জানিয়েছে। বিশেষ করে এই সংগঠনের  সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের কমদামি এবং কার্যকরী বিকল্প থাকা প্রেসক্রিপশনে দামি ওষুধ লেখার বদভ্যাসকে ভর্ৎসনা করেছে সুপ্রিম কোর্ট (S.C.)। এই এই স্বাস্থ্য সংগঠনকে (IMA vs Patanjali) তাঁদের কাজকর্মে সুব্যবস্থা আনার পরামর্শ দিয়েছেন বিচারকেরা।

    আইএমএকে ভর্ৎসনা!

    বিচারপতি হেমা কোহলি এবং এহসানউদ্দিন আমানুল্লার ডিভিশন বেঞ্চে আইএমএ বনাম পতঞ্জলি (IMA vs Patanjali) মামলা চলছে। বেঞ্চ জানিয়েছে, দামি ঔষধ লেখা এবং অপ্রয়োজনীয় ঔষধ লেখার বিষয়ে আইএমএ-কে আরও সক্রিয় ভূমিকা নিয়ে এগুলি বন্ধ করা উচিত। এবিষয়ে সংগঠন নিজেদের দায়িত্ব এড়িয়ে যেতে পারে না। বিশেষ করে আইএমএ যখন পতঞ্জলির দিকে আঙ্গুল তুলছে তখন একটি আঙ্গুল তাঁদের দিকেও ওঠে। পতঞ্জলি আয়ুর্বেদের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছিল। এর বিরুদ্ধে আইএমএ সর্বোচ্চ আদালতে মামলা করে। এই মামলার শুনানি চলাকালীন আইএমএকে ভর্ৎসনা করা হয়েছে। একদিকে যেমন পতঞ্জলি আয়ুর্বেদকে এফিডেফিট জমা দিয়ে পুনরায় ক্ষমাপ্রার্থনা করে সংবাদমাধ্যমে বিজ্ঞাপন দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। অন্যদিকে আইএমএ-কেও চিকিৎসকদের অতিরিক্ত অর্থনৈতিক লাভের জন্য চালাকি ছাড়তে বলেছে ডিভিশন বেঞ্চ।

    আরও পড়ুনঃহনুমান জয়ন্তীর কীর্তনে হামলা দুষ্কৃতীদের! পুলিশের ভূমিকায় প্রশ্ন বিজেপির

    বিচারপতির বক্তব্য

    সুপ্রীম কোর্টের বিচারপতি স্পষ্ট ভাষায় আইএমএকে (IMA vs Patanjali) বলেন, “এলোপ্যাথিক ফিল্ডে আপনাদের চিকিৎসকরা বিকল্প আছে তা সত্ত্বেও রোগীর অর্থনৈতিক অবস্থার কথা না ভেবে দামি ঔষধ লিখে যাচ্ছেন। আগে নিজেদের ভুল সংশোধন করার চেষ্টা করুন।” আদালত এফএমসিজি কোম্পানিগুলির কাজকর্মেও ক্ষুব্ধ। অভিযোগ উঠছে নবজাতক শিশু এবং বাচ্চাদের কথা না ভেবেই বিভিন্ন ধরনের খাবার তৈরি করছে এফএমসিজি (FMCG) সংস্থাগুলি। এমনকী বৃদ্ধদের জন্যও যে সামগ্রী তৈরি করা হচ্ছে তা তাদের স্বাস্থ্যের কথা ভেবে হচ্ছে না। গুণমান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। আদালত কেন্দ্রের কাছে এই সংস্থাগুলির তিন বছরে বিভ্রান্তিকর বিজ্ঞাপন ঘিরে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    Murshidabad: একই স্কুলের ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি গেল, মাথায় হাত প্রধান শিক্ষকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে হারালেন ২৬ হাজার শিক্ষক। তার জেরে সমস্যার মুখে পড়েছে মুর্শিদাবাদের তিনটি স্কুল। পড়েছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুল। এই স্কুলে চাকরি বাতিল হল ৩৬ জন জন শিক্ষক ও শিক্ষিকার। পার্শ্বশিক্ষক ৭ জন। মোট ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা ১০ হাজার। বাতিল হওয়া শিক্ষকের সংখ্যা বাদ দিলে সমস্যার সম্মুখীন হয়েছে ফরাক্কা হাইস্কুলের পড়ুয়ারা।

    চাকরি হারিয়ে হতাশ (Murshidabad)

    সোমবার এসএসসি গ্রুপ-ডি, গ্রুপ-সি, নবম- দশম ও একাদশ-দ্বাদশে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করে কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরেই মাথায় হাত চাকরি বাতিল হওয়া মহম্মদ সাফিউল ইসলাম-সহ অন্যান্য শিক্ষকদের। বাতিল হওয়া শিক্ষক সাফিউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালে নিয়োগপত্র পাই।  ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে যোগদান করি। আলিপুরদুয়ারে যোগদান করলেও মিউচুয়াল ট্রান্সফার নিয়ে ফরাক্কার অর্জুনপুর হাইস্কুলে (Murshidabad) যোগদান করেছি। তবে যারা অপরাধ করেছে, তাদের বাতিল করা হোক। নবম-দশমে ভুল ত্রুটি হয়েছে, এটা ঠিক। তবে, সকলের চাকরি হাইকোর্ট কীভাবে বাতিল করল। আমরা খুব হতাশাগ্রস্ত।’

    স্কুল চালানো মুশকিল,দাবি প্রধান শিক্ষকের

     ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মহম্মদ সৌরভ আলি বলেন, পড়ুয়াদের সংখ্যা ১০ হাজারের অধিক। গ্রামে একটি মাত্র স্কুল। আর এই স্কুলের ওপরেই ভরসা করে পড়ুয়ারা। আমাদের স্কুলে ৩৬ জন শিক্ষকের চাকরি বাতিল হয়েছে। প্রথম যোগদান করেন ২০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা। পরে ১৬ জন মিউচুয়াল ট্রান্সফার হিসাবেই যোগদান করেন। তবে, শিক্ষক না থাকলে স্কুলের ক্ষতি। ৩৬ শিক্ষক বাতিল হওয়ার কারণে আগামী দিনে স্কুলে চালানো মুশকিল।  একইভাবে হরিহরপাড়া (Murshidabad) থানার লালনগর হাইস্কুলের ৩০ জন শিক্ষকের মধ্যে ৮ জন শিক্ষক, ২ জন অশিক্ষক কর্মীর চাকরি বাতিল হয়েছে। বাম আমলেও এই লালনগর হাইস্কুলে ভুয়ো মার্কশিট ও সার্টিফিকেট দিয়ে শিক্ষকতা করার অভিযোগে তিন শিক্ষককে সাসপেন্ড করেছিল শিক্ষা দফতর। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সারওয়ার্দি বিশ্বাস বলেন, ‘এরকম হলে স্কুল চালানোই মুশকিল হবে। দেখা যাক, শেষ অবধি কী হয়?’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    Calcutta High Court: টেটের প্রশ্নপত্রে ভুল ছিল কি? বিশ্বভারতীকে কমিটি গড়তে বলল হাইকোর্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টেটের প্রশ্নপত্রে সত্যিই ভুল ছিল কিনা, তা জানতে বিশ্বভারতীকে বিশেষজ্ঞ কমিটি গড়তে বলল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ২০১৭ সালে প্রাইমারি স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষায় বাংলা, পরিবেশ বিজ্ঞান-সহ মোট তিনটি বিষয়ে ২১টি প্রশ্ন ভুল ছিল বলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন পরীক্ষার্থীরা। তাঁদের দাবি, প্রশ্ন ভুল থাকলে ওই একুশটি প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ নম্বর দিতে হবে তাঁদের।

    কী বলল হাইকোর্ট? (Calcutta High Court)

    আবেদনকারীদের সেই বক্তব্যের প্রেক্ষিতেই বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা কমিটি গঠন করতে বলেছেন বিশ্বভারতীকে। আদালতের নির্দেশ, উপাচার্য তাঁর পছন্দ মতো কমিটি গড়বেন। সেই কমিটি সব প্রশ্ন খতিয়ে দেখে আগে চিহ্নিত করবে সঠিক উত্তরগুলি (Calcutta High Court)। পরে খতিয়ে দেখা হবে পরীক্ষার্থীদের উত্তরও। তার ভিত্তিতে পরীক্ষার্থীদের কোন কোন উত্তর বেছে নেওয়া হবে, সেটা নির্ধারণ করবেন এই কমিটির বিশেষজ্ঞরা। এক মাসের মধ্যে রিপোর্ট তৈরি করে মতামত দিতে হবে কমিটিকে। এই মামলার পরবর্তী শুনানি ১১ জুন। সেদিন বিশ্বভারতীর কমিটির রিপোর্ট খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে আদালত।

    মামলাকারীদের দাবি

    ২০১৭ সালের টেটে প্রশ্ন ভুল ছিল এই অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন রিয়া বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের হয়ে আদালতে সওয়াল করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। তাঁর বক্তব্যের নির্যাস, ওই বছরের টেটের প্রশ্নপত্রে ২১টি প্রশ্নে ভুল ছিল। প্রশ্নে যদি ভুল থাকে, তাহলে সবাইকে নম্বর দেওয়া হোক। এই মামলার আগের শুনানিতে কিছুটা অসন্তোষের সুরেই বিচারপতি বলেছিলেন, “একটা প্রশ্নে এত ভুল থাকে কী করে? পরীক্ষার্থীরা কি আইনস্টাইন হয়ে ভুল প্রশ্ন খুঁজে বের করে সঠিক উত্তর দেবেন? বুধবার এই মামলারই শুনানিতে প্রশ্ন ভুলের অভিযোগের সত্যতা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি মান্থা। সেই ভুল খুঁজে বের করতেই বিশ্বভারতীকে কমিটি গঠনের কথা বলেছেন বিচারপতি।

    আরও পড়ুুন: শ্যাম পিত্রোদার ‘উত্তরাধিকার কর’ মন্তব্য ঘিরে উত্তাল রাজনীতি, কংগ্রেসকে তুলোধনা বিজেপির

    মাত্র আটচল্লিশ ঘণ্টা আগেই কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন ২৩ হাজার ৭৫৩ জন। এঁরা সবাই ২০১৬ সালের এসএসসি প্যানেলে ছিলেন। এই নিয়োগ প্রক্রিয়াটি বাতিল করে দেওয়ায় চাকরি হারিয়েছেন ওই হাজার চব্বিশেক মানুষ। সোমবারের সেই নজিরবিহীন রায়ের পর বুধবার ২০১৭-র টেটে ভুল প্রশ্ন নিয়ে কমিটি গড়ার নির্দেশ সেই কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court)।

    আবারও কি একবার মুখ পুড়বে এসএসসি কর্তৃপক্ষের?

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

LinkedIn
Share