Author: user

  • RSS: সঙ্ঘের শিবিরগুলিতে কী শেখানো হয়? গান্ধী থেকে অম্বেডকর কী ভাবতেন আরএসএস সম্পর্কে?

    RSS: সঙ্ঘের শিবিরগুলিতে কী শেখানো হয়? গান্ধী থেকে অম্বেডকর কী ভাবতেন আরএসএস সম্পর্কে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সারা বছর ধরেই নানা কার্যক্রমের আয়োজন করে থাকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS)। এর পাশাপাশি সংগঠনকে শক্তিশালী করতে এবং কর্মীদের শারীরিক এবং বৌদ্ধিক বিকাশের লক্ষ্যে সঙ্ঘের তরফে আয়োজন করা হয় প্রশিক্ষণ শিবিরেরও। এই প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ নামেই পরিচিত। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির রয়েছে তিনটি স্তরে। এই তিনটি স্তর হল, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-প্রথম বর্ষ, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-দ্বিতীয় বর্ষ, সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-তৃতীয় বর্ষ। প্রতিটি প্রশিক্ষণ শিবিরই চলে দুই থেকে চার সপ্তাহ পর্যন্ত।

    শিবিরগুলিতে নিত্য প্রয়োজন সামগ্রী সমেত স্বয়ংসেবকরা হাজির হন

    শিবিরগুলিতে নিত্য প্রয়োজন সামগ্রী সমেত স্বয়ংসেবকরা (RSS) হাজির হন। তবে প্রত্যেকেই যে এই শিবিরগুলিতে অংশগ্রহণ করতে পারেন, এমনটা নয়। সারা বছর ধরে শাখার মাধ্যমে বাছাই করা স্বয়ংসেবকদের প্রশিক্ষণ শিবিরে অংশগ্রহণ করানো হয়। প্রতিটি শিবিরে স্বয়ংসেবকদের ভোর চারটে নাগাদ উঠতে হয়। শিবির চলে রাত্রি দশটা পর্যন্ত। সকাল এবং সন্ধ্যা এই দুটি সময় রাখা হয় শারীরিক অনুশীলনের জন্য। এর পাশাপাশি বিকাল এবং সন্ধ্যার পরের সময়টিকে ব্যবহার করা হয় নানা রকমের বৌদ্ধিক আলোচনার জন্য। বৌদ্ধিক আলোচনায় দেশ-কাল-সমাজের বিভিন্ন ইস্যু, ইতিহাস যেমন থাকে তেমনই দেশ গঠনের স্বয়ংসেবকদের (RSS) ভূমিকা কী হতে পারে, সেটাও থাকে। এর পাশাপাশি দেশের সভ্যতা এবং সনাতন সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছেন এমন মহাপুরুষদের জীবনী বিষয়ক পাঠও দেওয়া হয় স্বয়ংসেবকদের। পাঠ দেওয়া হয় ভারতের সুমহান প্রাচীন ঐতিহ্য, দেশের প্রাচীন সংস্কৃতির বিষয়েও।

    স্বয়ংসেবকদের একটি দল থাকে ভোজন ব্যবস্থার দায়িত্বে

    সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গে স্বয়ংসেবকদের (RSS) ডায়েট মেনেই চলতে হয়। তাঁদেরকে নিরামিষ ভোজন পরিবেশন করা হয়। কম তেল-মশলাযুক্ত খাবার স্বয়ংসেবকদের পাতে দেওয়া হয়। এই খাবার রান্নার জন্য আলাদা করে কোনও রাঁধুনি থাকে না। বরং স্বয়ংসেবকদের মধ্যে থেকেই একটি দল ভোজন ব্যবস্থার দায়িত্বে থাকে। প্রতিদিন শিবিরগুলিতে কী কী হবে, তার দৈনন্দিন রুটিন শিবির চালুর আগে থেকেই স্বয়ংসেবকদের হাতে পৌঁছে যায়। স্বয়ংসেবকরা শিবির শেষে রাত্রিতে যখন ঘুমাতে যান তখন একটি হলঘরে একসঙ্গে তাঁদেরকে ঘুমাতে হয়। সাধারণভাবে যেকোনও প্রতিষ্ঠান ভাড়া করেই এমন শিবিরগুলির আয়োজন করে তাকে আরএসএস। সারি দিয়ে বিছানা তৈরি করা থাকে। বিছানার চাদর থেকে আরম্ভ করে শোবার সামগ্রী স্বয়ংসেবকদের আনতে হয়।

    কারা হতে পারেন প্রচারক

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পগুলি প্রাদেশিক এবং জেলা স্তরে অনুষ্ঠিত হয়। তবে তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্প একেবারে সঙ্ঘের সদর কার্যালয় নাগপুরেই অনুষ্ঠিত হয়। তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে কারা অংশগ্রহণ করবেন, তার বাছাই পর্ব চলে সারা দেশ জুড়ে। এই প্রশিক্ষণ পর্ব ৩০ দিনের হয়ে থাকে। সাধারণভাবে প্রতিবছর গ্রীষ্মকালের মে জুন মাসেই তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হয় নাগপুরে। প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্ব শেষ করেছেন এমন স্বয়ংসেবকরাই যোগ্য হন তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে অংশগ্রহণের বিষয়ে। সাধারণভাবে ১৬ বছরের উর্ধ্বে যে কোন যুবকই প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্বে অংশগ্রহণ করতে পারেন। কিন্তু তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ পর্বে অংশগ্রহণ করতে গেলে ন্যূনতম বয়স লাগে ১৮ বছর। তৃতীয় বর্ষ প্রশিক্ষণ পর্ব সমাপ্ত হওয়ার পরে যে সমস্ত স্বয়ংসেবক আজীবন ব্রহ্মচর্য ব্রত পালনে রাজি থাকেন এবং দেশের জন্য কাজ করব এই মানসিকতা স্থির করেন, পূর্ণ সময়ের জন্য তাঁরা প্রচারক হিসেবে হন।

    ১৯২৯ সালে নাগপুরে হয়েছিল প্রথম শিবির

    সঙ্ঘের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় যে তাদের প্রথম প্রশিক্ষণ পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছিল ১৯২৯ সালে নাগপুরে (RSS)। ৪০ দিনের এই প্রশিক্ষণ শিবির চলেছিল ১ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত। তখন এই শিবিরের নাম সঙ্ঘ প্রশিক্ষণ বর্গ ছিল না বরং তা গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্প নামেই পরিচিত ছিল। ১৯৫০ সালের পর থেকে সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ-এই শব্দ চালু হয়েছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে বিবর্তিত হয়েছে সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ পর্বের ধরনেরও। প্রথমদিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে বিভিন্ন সামরিক ধরনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো এবং প্রশিক্ষণের ভাষা হিসেবে ব্যবহার করা হত ইংরেজি।

    ক্যাম্পের নামকরণের ইতিহাস 

    বিএন বারাদপান্ডে ছিলেন নাগপুরের একজন আরএসএস কার্যকর্তা। তিনি একটি বই লিখেছিলেন ‘সঙ্ঘ কার্যপদ্ধতি কা বিকাশ’। ওই বইতে তিনি লিখছেন, ‘‘একটি বৈঠকে (RSS) আমরা আলোচনা করছিলাম যে কিভাবে আমরা গ্রীষ্মকালীন ক্যাম্পকে সম্বোধন করব। কেউ একজন প্রস্তাব দিয়েছিলেন এটার নাম হওয়া উচিত ‘ট্রেনিং ক্লাসেস’। অন্য একজন স্বয়ংসেবক বলেন, ক্যাম্প হল আরএসএস-এর শাখারই বিস্তৃত রূপ তাই আমাদের এটা বলা উচিত ‘সঙ্ঘ ট্রেনিং ক্লাস’। কিন্তু ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার বলেন,  এই ক্যাম্পগুলি চালানো হয় সেই সমস্ত কর্মীদের জন্য, যাঁরা সংগঠনকে সর্বোচ্চ সময় দেবেন। তাই এই ক্যাম্পের নাম হওয়া উচিত অফিসার্স ট্রেনিং ক্যাম্প বা ওটিসি।’’ প্রসঙ্গত, আজও ওটিসি সঙ্ঘের সংগঠনের মধ্যে খুবই জনপ্রিয় শব্দ হয়ে রয়েছে। যদিও এই নামে এখন আর কোনও ক্যাম্প নেই। গুরুজি গোলওয়ালকর এই ক্যাম্পের নামকরণ করেন সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ।

    প্রথম দিকের শিবিরগুলি কোথায় অনুষ্ঠিত হত

    জানা যায়, ১৯৩৭ সাল পর্যন্ত বেশ কিছু বিনোদনমূলক কার্যক্রমও রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) ক্যাম্পগুলিতে আয়োজিত হত। এগুলি হত শনিবার সন্ধ্যায় এবং রবিবারে। কিন্তু ১৯৩৮ সাল থেকেই তা পাল্টে যায় কারন সেই বছর থেকেই সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরের সময়সীমা ৪০ থেকে কমিয়ে ৩০ দিন করা হয়। ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবির অনুষ্ঠিত হতো নাগপুরে। অন্যদিকে, দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বর্ষের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলি পুনেতে শুরু হয় ১৯৩৫ সাল থেকে। ১৯৩৮ সাল থেকে প্রথম এবং দ্বিতীয় বর্ষের ক্যাম্পগুলি চালু করা হয় লাহোরে।

    জাতপাতহীন শিবির

    রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রশিক্ষণ শিবর গুলিতে জাতপাতহীন সমাজ ব্যবস্থার প্রতিফলন দেখা যায়। যাঁরা অংশগ্রহণ করেন শিবিরে, তাঁরা নিজেদেরকে সামাজিক দিক থেকে একই রকম ভাবেন। তাঁদের মধ্যে কোনও ভেদাভেদ কাজ করে না। সঙ্ঘের প্রশিক্ষণ শিবিরগুলিতে যাঁরা প্রশিক্ষণ দেন এবং যাঁরা প্রশিক্ষণ নেন, প্রত্যেকের মধ্যেই ভ্রাতৃত্ববোধ কাজ করে। তাঁরা একসঙ্গে খাওয়া দাওয়া করেন। একসঙ্গে চলাফেরা করেন।

    মহাত্মা গান্ধীর চোখে সঙ্ঘের শিবির

    ১৯৩৪ সালে মহাত্মা গান্ধী ওয়ার্ধাতে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেন এবং স্বয়ংসেবকদের উদ্দেশ্যে তিনি বক্তব্য রাখেন। পরবর্তীকালে শিবির পরিদর্শনের কথা মহত্মা গান্ধীর বলেন ১৯৪৭ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর দিল্লিতে। তিনি বলেন, ‘‘আমি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেছিলাম বেশ কয়েক বছর আগে। যখন ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার জীবিত ছিলেন। আমি খুবই আশ্চর্য হয়েছিলাম সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকদের এমন নিয়মানুবর্তিতা, শৃঙ্খলা পরায়ণতা এবং জাতপাতহীন সমাজ ব্যবস্থা দেখে। তারপর থেকে সঙ্ঘের অনেকটা বিকাশ হয়েছে। আমি নিশ্চিত যে সংগঠনে এমন মহান আদর্শ এবং আত্মত্যাগের মন্ত্র রয়েছে তারা শক্তিশালী হবেই।’’

    বাবা সাহেব অম্বেডকরের চোখে সঙ্ঘের শিবির

    বাবা সাহেব অম্বেডকর সঙ্ঘের শিবির পরিদর্শন করেন ১৯৪৯ সালে পুনেতে। বাবাসাহেব অম্বেডকর ডাক্তার কেশব বলিরাম হেডগেওয়ারকে জিজ্ঞাসা করেন যে সঙ্ঘের শিবির গুলিতে অস্পৃশ্যতা সংক্রান্ত অসুবিধা রয়েছে নাকি! তখন আরএসএস প্রতিষ্ঠাতা তাঁকে উত্তর দেন, এখানে কোনও অস্পৃশ্যতা নেই। যাঁরা এখানে আসেন তাঁরা প্রত্যেকেই শুধু হিন্দু। প্রত্যুত্তরে অম্বেডকর বলেন, আমি এই শিবির পরিদর্শন করে আশ্চর্য হলাম। স্বয়ংসেবকরা অন্যদের জাতপাত না জেনেও তাঁদের সঙ্গে ভ্রাতৃত্ববোধ নিয়ে চলাফেরা করেন। বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী জয়প্রকাশ নারায়ণ যিনি সোসালিস্ট ছিলেন এবং সত্তরের দশকে ঐতিহাসিক আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী সরকারের বিরুদ্ধে, তিনিও ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর পাটনাতে আরএসএস-এর (RSS) ট্রেনিং ক্যাম্পে সম্মোধন করেন। ২০১৮ সালের জুন মাসে প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ও সঙ্ঘের তৃতীয় বর্ষের ট্রেনিং ক্যাম্পে সম্বোধন করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    Dilip Ghosh: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে”, মমতাকে উদ্দেশ্য করে তোপ দাগলেন দিলীপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে এই মন্তব্য করলেন বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। পাশাপাশি মমতার হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাবও দিলেন তিনি। একই সঙ্গে  দিলীপ তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় তৃণমূলকে ফের কড়া আক্রমণ করেন।

    জেলটাই মমতার বৃদ্ধাশ্রম হবে! (Dilip Ghosh)

    বুধবার দুর্গাপুরের ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের এবিএস অ্যাকাডেমির মাঠে প্রাতঃভ্রমণে যান বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী তথা বিদায়ী সাংসদ দিলীপ ঘোষ। ফের প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। কয়েকদিন আগে উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে জলপাইগুড়িতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁকে দেখে চোর চোর স্লোগান দিয়েছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মঙ্গলবার একটি সভা থেকে বলেছিলেন,”আমাকে উদ্দেশ্য করে চোর স্লোগান তোলা হয়। কিন্তু, আমি কারও পয়সায় চা-ও খাই না।” সুযোগ থাকলে জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার কথাও তিনি বলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রীর সেই হুঁশিয়ারির পাল্টা দিলীপ এদিন বলেন, “সেদিন আপনার চলে গিয়েছে। এবার মানুষ তৃণমূলের নেতাদের প্রকাশ্যে জুতো, ঝাঁটা, লাঠি দেখাচ্ছে। শেষ জীবনে এটাও সহ্য করতে হবে।” এখানেই শেষ নয়। মুখ্যমন্ত্রীর জেলযাত্রা মন্তব্য নিয়ে খোঁচা দিয়ে দিলীপ বললেন, “জেলটাই ওনার বৃদ্ধাশ্রম হবে।” তিনি আরও বলেন, “পাপীদের নিয়ে রাজনীতি করছেন। ৪০ বছর রাজনীতি করার পর কাউকে যদি চোর স্লোগান শুনতে হয়, তাঁর সন্ন্যাস নিয়ে নেওয়া উচিত।”

    আরও পড়ুন: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ বুলি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    টাকা নিয়ে ঘুরলেই গাড়িতে তল্লাশি হবে

    এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে একাধিক প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হয় দিলীপ ঘোষকে। রাম নবমী নিয়ে তিনি (Dilip Ghosh) বলেন,  “৫০০ বছর রামলালা প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তারপর এবার প্রথম রাম নবমী। তাই, সারা বিশ্বের হিন্দু সমাজ এই দিনটিকে বিজয় উৎসব হিসেবে পালন করছে। রাম মন্দিরকে কেন্দ্র করে আলাদা উন্মাদনা রয়েছে।” আর গাড়িতে তল্লাশি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “টাকা নিয়ে ঘুরলেই তাঁর গাড়িতে তল্লাশি হবে। এখন দিলীপ ঘোষের গাড়িতে তল্লাশি করেও কোনও লাভ নেই। কারণ, কিছুই পাবে না। তবে, যার গাড়িতে টাকা থাকবে তার গাড়িতে তল্লাশি চালানো হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “ভক্তিতে নয়, ভয়ে এসব করছে”, রাম নবমীর শোভাযাত্রা নিয়ে তৃণমূলকে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পবিত্র রাম নবমীর পুণ্যতিথি উপলক্ষে বাসন্তীতে শোভাযাত্রায় যোগ দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বুধবার সকাল এগারোটা নাগাদ তিনি এসে পৌঁছান বাসন্তী বাজার এলাকায়। সেখানে হরি মন্দিরে পুজো দিয়ে শোভাযাত্রায় যোগদান করেন। আর মিছিলে যোগ দিয়েই রাজ্যে রাম নবমীর ছুটির প্রসঙ্গে তোপ দাগেন তৃণমূলকে (TMC)।

    শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্য (Suvendu Adhikari)

    রাম নবমীর দিনে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “রাজ্য সরকারের সুমতি হয়েছে, তাই এই প্রথম রাম নবমীতে ছুটি দিয়েছে। ওরা বাধ্য হয়ে এসব করছে। এসব ভক্তিতে নয়, ভয়ে। ভালো লাগছে, জাগরণ হয়েছে।” প্রসঙ্গত, এবছর প্রথম রাম নবমীতে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার (State Government)। রাজ্য সরকারের তরফে ছুটির তালিকা দেওয়া ক্যালেন্ডার প্রকাশ করা হয়েছে ইতিমধ্যেই। লোকসভা নির্বাচনের আগে যেহেতু রাম নবমীর দিন ছুটি দেওয়া হল, তাই অনেকেই মনে করছেন, এই ঘটনা রাজনৈতিক ভাবে তাৎপর্যপূর্ণ।

    ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত বাসন্তী

    উল্লেখ্য বাসন্তীর (Basanti) মিছিলে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) যোগ দিতেই ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনিতে মুখরিত হয় গোটা বাসন্তী বাজার চত্বর। শত শত মানুষ যোগ দেন সেই মিছিলে। আর মিছিল পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন রাজ্য পুলিশ সহ কেন্দ্রিয় বাহিনীর (CRPF) জওয়ানরাও। তবে শুধু বাসন্তীতেই নয়, বুধবার সকাল থেকেই চলছে শুভেন্দুর রাম নবমী উদযাপন। সকালেই বিরোধী দলনেতার দেখা মিলেছিল ইকো পার্কে (Eco Park)। রামের কপালে ফোঁটা দিয়ে পুজো সেরেছেন বিরোধী দলনেতা। পুজোর পর শুরু হয় শোভাযাত্রা। সেই শোভাযাত্রায় পা মিলিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী-সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। আর রাম নবমীর (Ram Navami) এই মিছিল দেখতে রাস্তায় উপচে পড়েছিল সাধারণের ভিড়।

    আরও পড়ুনঃ অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট

    প্রসঙ্গত, আগামী ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট (Lok sabha vote 2024)। আর তার ঠিক আগে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে রাম নবমী (Ram Navami)। সকাল থেকে দিকে দিকে ভক্তরা মেতে উঠেছেন রাম নবমী উদযাপনে। সোমবারই কলকাতা হাইকোর্ট, বিশ্ব হিন্দু পরিষদকে হাওড়ায় রাম নবমীর মিছিল করার অনুমতি দিয়েছিল। সেই অনুমতি পেয়েই দিকে দিকে শুরু হয়েছে রাম নবমীর মিছিল। আর এবার সেই মিছিল থেকেই তৃণমূলকে নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    Cooch Behar: “গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন!”, গতিবিধি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য কমিশনে দাবি নিশীথের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল শুক্রবার রাজ্যে প্রথম দফার নির্বাচন। আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar), জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) সঙ্গে প্রথম দফায় কোচবিহারেও (Cooch Behar) ভোটগ্রহণ হবে। শুক্রবার নির্বাচনের আগে বুধবার ছিল শেষ প্রচার। এর মাঝেই উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহকে (Udayan Guha) যাতে তাঁর বুথের বাইরে না যেতে দেওয়া হয়, সেই দাবি জানালেন কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik)। নির্বাচন কমিশনারের দ্বারস্থ হয়েছেন তিনি। নিশীথের অভিযোগ, “উদয়ন গুহ আমার ওপর দুবার হামলা করেছেন। গুন্ডামির মূল মাথা উদয়ন বলে কমিশনে চিঠি দিলাম।”

    ভোটের দিনে অশান্তি আটকাতেই চিঠি (Cooch Behar)

    প্রসঙ্গত কোচবিহারে (Cooch Behar) নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন বেশ কয়েকবার উদয়ন গুহ ও নিশীথ প্রামাণিক মুখোমুখি হয়েছেন। দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়েছে। দুই দলের কর্মীরা একে অপরের উপরে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। প্রচার চলাকালীন এই পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় তার জন্যই নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠিয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিশীথ। তাঁর মতে ভোটের দিন অশান্তি পাকাতে পারেন উদয়ন গুহ। ইতিমধ্যেই তিনি পরিকল্পনা শুরু করেছেন। ভোটের দিন অশান্তি আটকাতেই আগেভাগে কমিশনকে জানিয়ে রেখেছেন তিনি। প্রসঙ্গত বুধবার সকালে বিজেপি বিধায়ক মিহির গোস্বামী নিজের বাসভবনে বিজেপি নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।

    হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী উদয়ন (Cooch Behar)

    মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক, পর্যবেক্ষক ও রিটার্নিং অফিসারের কাছেও উদয়ন গুহর গতিবিধি নিয়ন্ত্রণের দাবি জানিয়েছেন নিশীথ। সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তাঁর আবেদনে উল্লেখ করেছেন, “উদয়নের (Cooch Behar) বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। এমনকী ৩০২ ধারায় খুনের মামলাও রয়েছে।” ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পরবর্তীকালে তিনি বিজেপি কর্মীদের যে দুর্গতি করেছিলেন, সেই কথাও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। ভোট পরবর্তী সময়ে উদয়ন এলাকায় হিংসা ছড়ানোর কান্ডারী ছিলেন। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন যে রিপোর্ট পেশ করেছিল সেখানেও উদয়ন গুহর নাম রয়েছে বলে চিঠিতে অভিযোগ করেছেন নিশীথ।

    আরও পড়ুনঃ আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    উদয়নের বক্তব্য

    কোচবিহারের (Cooch Behar) তৃণমূল নেতা উদয়ন গুহ পাল্টা বলেন, “ওর মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে। পায়ের তলা থেকে মাটি সরে গিয়েছে। ভোটে জিততে পারবে না। সেটা বুঝতে পেরে নির্বাচন কমিশনের কাছে আবদার করেছে। খড়কুটো আঁকড়ে বাঁচবার চেষ্টা করছে। সে কারণেই বলছি আমাকে ঘরবন্দি করে রাখা হোক। নির্বাচন কমিশন আমাকে ঘরবন্দি করে রাখলেও তৃণমূল এখানে জয়ী হবে।”

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    Ram Navami 2024: অন্ধকার গর্ভগৃহে রামলালার ললাটে তিলক আঁকল সূর্যরশ্মি, বিজ্ঞানের আশ্চর্য প্রয়োগ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন ঠিক বিজ্ঞান ও ধর্মের অভূতপূর্ব মেলবন্ধন। অযোধ্যার রাম মন্দিরের আশ্চর্য রীতির সাক্ষী থাকল গোটা দুনিয়া। রামলালার কপালে সূর্য রশ্মি এঁকে দিল তিলক। রামলালার ললাটের সূর্য তিলকের ছবি দেখল গোটা দুনিয়া। খবর মিলেছে, প্রতি রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দুপুরেই সূর্যরশির এমন তিলক আঁকা হবে রামলালার কপালে। তবে প্রতি বছর যেহেতু রাম নবমী আলাদা আলাদা দিনে পড়ে তাই সে ক্ষেত্রে সূর্যের অবস্থান জানতে চলবে গণনা। সেই অনুযায়ী বসানো হবে আয়নাকে। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, সূর্য রশ্মিকে রামলালার কপালে প্রতিফলিত করার যে পদ্ধতি, তা খুব সহজ ছিল না। দীর্ঘদিন ধরে গবেষণা করেছেন বিজ্ঞানীরা। প্রসঙ্গত, এই দিনই ছিল অযোধ্যার রাম মন্দিরে প্রথম রাম নবমী (Ram Navami 2024) উদযাপন। উদ্বোধনের পর থেকে আজকের এই বিশেষ দিনে অযোধ্যায় নজর ছিল গোটা বিশ্ববাসীর। আর সেদিনই এমন সূর্য তিলক অনুষ্ঠান দেখা গেল।

    দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়

    রামলালার কপালে ঠিক দুপুর ১২:০১ মিনিটে সূর্য অভিষেক শুরু হয়। পাঁচ মিনিট ধরে চলে এই অনুষ্ঠান। আইআইটি রুরকির বিজ্ঞানীরা সূর্য তিলকের জন্য একটি বিশেষ অপটো-মেকানিক্যাল সিস্টেম তৈরি করেছেন। তারই মাধ্যমে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় (Ram Navami 2024)। এজন্য মন্দিরের ওপরের তলায় স্থাপন করা হয়েছে যন্ত্রটি। প্রথমে সূর্য রশ্মি আয়নায় পড়ে, পরবর্তীতে তা ঠিক ৯০ ডিগ্রি কোণে প্রতিফলিত হয়ে একটি পাইপের মাধ্যমে রামলালার কপালে এসে পড়ে। রামলালার কপালে যে সূর্যরশ্মির তিলক আঁকা হয় তার দৈর্ঘ্য ৭৫ মিলিমিটার।

    একশোর ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়

    এমনিতেই রাম নবমীকে (Ram Navami 2024) কেন্দ্র করে সারা অযোধ্যায় আজকে জনজোয়ার। তারপরে সূর্য তিলকের মাহাত্ম্য দেখতে দূর দূরান্ত থেকেও প্রচুর ভক্ত ভিড় করেন। একশোর  ওপর এলইডি স্ক্রিন লাগানো হয় অযোধ্যায়। সেখানে অনেক ভক্ত জড়ো হয়ে এই অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। প্রসঙ্গত ভগবান রামচন্দ্র সূর্যবংশের জন্ম নেন বলে বিশ্বাস রয়েছে হিন্দুদের। শঙ্খের আওয়াজ, বৈদিক মন্ত্র উচ্চারণ, আরতির মাধ্যমে সূর্য তিলকের অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন হয়। 

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    Ram Navami 2024: সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীতে তৃণমূল নেতাদের মুখে ‘জয় শ্রীরাম’ ধ্বনি, হতবাক বালুরঘাটবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ যেন উলটপুরাণ। জয় শ্রীরাম বলার জন্য কনভয় থামিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেদিনীপুরে এক যুবকের দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন। এবার সেই তৃণমূল দলের নেতাদের গলায় জয় শ্রীরাম ধ্বনি। সুকান্তর খাসতালুকে রাম নবমীর (Ram Navami 2024) দিন তৃণমূলের নেতাদের রাম নাম জপতে দেখে বালুরঘাটবাসী হাসাহাসি করছেন।

    তৃণমূল নেতাদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, জয় শ্রীরাম স্লোগান (Ram Navami 2024)

    বুধবার সকাল সকাল গলায় গেরুয়া উত্তরীয়, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিয়ে বালুরঘাট পুরসভার তৃণমূলের চেয়ারম্যান অশোক মিত্র, এমসিআইসি বিপুল ঘোষ এবং টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি প্রীতম রাম মণ্ডল রাম নবমীর (Ram Navami 2024)  মিছিলে হাঁটেন। শহরের মানুষ সকালে এই দৃশ্য দেখে কিছুটা চমকে ওঠেন। অনেককে বলতে শোনা যায়, ভেবেছিলাম তৃণমূল নেতারা দল বদল করল না তো। পরে, দেখি তৃণমূলে থেকেই রাম নাম জপছেন। কারণ, গলায় গেরুয়া উত্তরীয় পরে, মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি সাধারণত বিজেপি  কর্মী সমর্থকদের দেখা যায়। আজ রাম নবমী উপলক্ষে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তৃণমূল কংগ্রেসের বালুরঘাট শহরের শীর্ষস্থানীয় নেতানেত্রীদের গলায় গেরুয়া উত্তরীয় এবং মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দেখে অবাক বালুরঘাটের সাধারণ মানুষ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    ভূতের মুখে রাম নাম, কটাক্ষ সুকান্তর

    রাম নবমী উপলক্ষে রাম নবমী উদযাপন কমিটির মিছিলে অংশগ্রহণ করলেন তৃণমূল নেতৃত্ব। সেই মিছিল থেকে উঠল জয় শ্রীরাম ধ্বনি। তৃণমূলের এ হেন আচরণকে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা আসনের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, বেড়াল ঠেলায় না পড়লে গাছে ওঠে না। আগে রাম নবমীতে ছুটি ছিল না। এখন তৃণমূল নেত্রী রাম নবমীতে ছুটি ঘোষণা করেছেন। এই বালুরঘাট পুরসভা এলাকায় মাদার টেরেসার মূর্তি বসিয়ে এলাকার নাম পরিবর্তন করতে চেয়েছিল। আজ তারাই রাম নাম বলছে। এটা কিছুটা ভূতের মুখে রাম নামের মতো শুনতে লাগলেও লক্ষণ ভালো।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি সুভাষ চাকি বলেন, এটা তৃণমূলের কোনও শোভাযাত্রা না। এই শোভাযাত্রাটা সাধারণ মানুষ করেছিল, সেখানে তৃণমূলের কিছু নেতা হেঁটেছেন। জয় শ্রীরাম তাঁরা বলেননি। তৃণমূল এর সঙ্গে যুক্ত নয়। মানুষ এর উত্তর ভোটের ব্যালট বক্সে দেবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    Arabul Islam: ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই লোকসভা ভোট (Lok Sabha Vote 2024), তার আগেই এবার দল থেকে ভাঙড়ের (Bhangar) দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলামকে সরিয়ে দিল তৃণমূল। ফলে এবার লোকসভা নির্বাচনে তাঁকে (Arabul Islam) ছাড়াই ময়দানে নামার সিদ্ধান্ত নিল দল। ভাঙড় ২ ব্লক তৃণমূলের আহ্বায়ক বা কনভেনর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল তাঁকে। দাপুটে এই তৃণমূল নেতা যে ব্লক তৃণমূলের কোনও পদে আর নেই, সে কথা স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দিল ঘাসফুল শিবির। বর্তমানে জেলবন্দি তিনি। আরাবুল জেল বন্দি থাকায় তাঁর অনুপস্থিতিতে এখন ভাঙড়ের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দলের পর্যবেক্ষক শওকত মোল্লা।

    শওকত মোল্লার বক্তব্য

    এই প্রসঙ্গে ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা (Saokat Molla) বলেছেন, “আরাবুল ইসলামকে দলের কনভেনার করেছিলাম। এখন তিনি জেলে, তাই দলের দায়িত্ব আমার কাঁধে নিয়ে ও ভাঙড়ের যাঁরা তৃণমূলের (TMC) নেতা-কর্মীরা রয়েছেন তাঁদের দায়িত্ব দিয়েই আমরা এই নির্বাচনে লড়াই করব। এখন আরাবুলের দলের কোনও পদ নেই। তবে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রয়েছেন। আমি আশা করি তিনি ভবিষ্যতে দলের অনুগত সদস্য হয়েই কাজ করবেন। আর যদি তা না করেন পরবর্তী পদক্ষেপ দল থেকে নেওয়া হবে।”

    বর্তমানে জেলে আরাবুল

    আইএসএফ কর্মী মহিউদ্দিন মোল্লার খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুল ইসলামকে (Arabul Islam) গ্রেফতার করে কাশীপুর (উত্তর) থানার পুলিশ। পরবর্তীতে ভাঙড়, পোলেরহাট থানা এলাকায় অশান্তিতেও জড়িত থাকার অভিযোগ ওঠে আরাবুলের বিরুদ্ধে। দিনের পর দিন তোলাবাজি ও হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে ভাঙড়ের এই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে।

    আরও পড়ুনঃ “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    জেল থেকে নির্বাচনে লড়ে ছিলেন

    উল্লেখ্য, তৃণমূলের শুরু থেকেই দলের সঙ্গে রয়েছেন আরাবুল। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকেটে ভাঙড়ের (Bhangar) বিধায়ক হয়েছিলেন তিনি। তারপরেই তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বা সহ-সভাপতি থেকেছেন। ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরাবুল। সেই সময়ে জেল থেকে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি। সেবারের নির্বাচনে জয়ীও হয়েছিলেন তিনি। তারপর তিনি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হন। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, দলের নিয়ন্ত্রণ না থাকলে পরবর্তী সময় তাঁকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হতে পারে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    Asansol: “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”, ভোটের আগেই নিখোঁজ শত্রুঘ্ন সিনহা? বিজেপির পোস্টারে চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আর মাত্র হাতে গোনা কয়েকটা দিন। তার পরেই এই কেন্দ্রে লোকসভা ভোট (Loksabha Election 2024। ভোটের প্রাক্কালে অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগে জমজমাট আসানসোলের (Asansol) রাজনৈতিক মঞ্চ। এরই মাঝে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিদায়ী সাংসদ তথা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহার (Satrughna Sinha) বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার। পোস্টারে লেখা “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই”। প্রার্থী নাকি নিখোঁজ! তাঁকে দেখা কিংবা খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে নির্বাচনী প্রচারে।

    পোস্টারে ঠিক কী লেখা রয়েছে (Asansol)?

    ইতিমধ্যেই ভোট প্রচারে ব্যস্ত সমস্ত রাজনৈতিক দল। আসানসোলের (Asansol) এই কেন্দ্রে বর্ষীয়ান নেতা এস এস আহলুওয়ালিয়াকে (S. S. Ahluwalia) প্রার্থী করেছে বিজেপি। তিনি এই কেন্দ্রেরই বাসিন্দা। অন্ডাল গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল পোস্টার এবং লিফলেট। তাতে লেখা, “সন্ধান চাই, সন্ধান চাই, মাননীয় শত্রুঘ্ন সিনহা মহাশয়কে দীর্ঘকাল যাবৎ আমরা খুঁজে পাচ্ছি না। যদি কোনও সহৃদয় ব্যক্তি তাঁকে খুঁজে পান আমাদের জানাবেন।”

    বিজেপির বক্তব্য

    কেন অন্ডাল এলাকায় এই ধরনের পোস্টার? এই বিষয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিজেপির কিষান মোর্চার সহ-সভাপতি রবীন্দ্রনাথ রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “বিজেপির আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় দল বদল করে তৃণমূলে যোগদান করেছেন, ২০২২ সালে সেই জায়গা পূরণ করার জন্য হয় উপনির্বাচন। উপনির্বাচনে ভয়ানক ভয়ভীতির পরিবেশে শত্রুঘ্ন সিনহা, শাসক দলের হয়ে আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু তারপর থেকেই তাঁকে দেখতে পাওয়া যায় না বলেই এই ধরনের পোস্টার দিয়েছেন মানুষ। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন, “এবারেও আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা, তাই হয়তো এবারও ভোট দিলে তাঁকে আর দেখতে পাওয়া যাবে না। মানুষের কাছে এই বার্তা দিতেই এই পোস্টার দিয়েছেন এলাকার মানুষ।”

    আরও পড়ুনঃ দেশবাসীকে রাম নবমীর শুভেচ্ছা মোদি-শাহ-যোগীর, কী বললেন প্রধানমন্ত্রী?

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অন্যদিকে অন্ডাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান সুধীন পান্ডে বলেন, “বিজেপি আসানসোলের প্রার্থী দেওয়ার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছিল না। বর্তমানে বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী হিসেবে যাঁর নাম ঘোষণা করেছে, তিনিই দুর্গাপুরে পাঁচ বছর ধরে নিখোঁজ ছিলেন। তাঁর নামেও পোস্টার পড়েছিল দুর্গাপুর শহর অঞ্চল জুড়ে। বিজেপির কিছু নেই বলেই এই ধরনের কুৎসা ছড়াচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: তৃণমূলের কথা শুনছে না পুলিশ! ওসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে কমিশনে যাচ্ছেন বিধায়ক

    Murshidabad: তৃণমূলের কথা শুনছে না পুলিশ! ওসি-র বিরুদ্ধে তোপ দেগে কমিশনে যাচ্ছেন বিধায়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদাধিকার বলে পুলিশ মন্ত্রীও। এবার সেই পুলিশের বিরুদ্ধে মুখ খুললেন মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। ভোটের মুখে পুলিশের বিরুদ্ধে শাসক দলের বিধায়কের সরব হওয়ার ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে। যদিও বিরোধীদের বক্তব্য, পুলিশ তৃণমূলের কথা না শুনলেই নেতারা মেনে নিতে পারছে না। আসলে মানুষ সরে গিয়েছে। এবার দলদাস পুলিশও তৃণমূল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে।

    তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করেছে পুলিশ (Murshidabad)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদ (Murshidabad) ও ঝাড়খণ্ডের সীমান্তবর্তী পাকুড় স্টেশন থেকে বাড়ি ফেরার পথে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে আটক করে পুলিশ। কয়েক জন শ্রমিককে ট্রেনে তুলে দিয়ে দোগাছি সাকারঘাট ডিবিএসের রাস্তা দিয়ে রাতে বাড়ি ফিরছিলেন দোগাছি গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্যার স্বামী ইউসুফ শেখ। ইউসুফ শ্রমিকদের বিভিন্ন জায়গায় কাজে পাঠানোর কাজ করেন। অর্থাৎ, লেবার কন্ট্রাক্টর। তাঁকে ওই দিন সামশেরগঞ্জ থানার এএসআই-এর নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ‘তুচ্ছ কারণে’ হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। এক পুলিশ আধিকারিক এবং থানার গাড়ির চালক এবং চার সিভিক ভলান্টিয়ার তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

    আরও পড়ুন: অযোধ্যায় জন-জোয়ার! রাম নবমী উপলক্ষে রামলালার মন্দিরে শুরু পূজা-অর্চনা

    পুলিশের বিরুদ্ধে কী বললেন বিধায়ক?

    এই ঘটনার পর পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বিধায়ক আমিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, দলীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামীকে পুলিশ বেধড়ক মারে। মারের চোটে ওই যুবকের চোখের পাশে এবং শরীরের নানা অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আসলে সরকারি বিরোধী কাজ করছেন ওসি প্রশান্ত ঘোষ। সমাজবিরোধীদের মদত দেওয়া হচ্ছে। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করব।

    পুলিশ-প্রশাসন কী সাফাই দিয়েছে?

    বিধায়ক আমিরুল এবং আক্রান্তের পরিবারের অভিযোগকে উড়িয়ে দিয়েছে শামসেরগঞ্জ থানার পুলিশ। তারা জানিয়েছে, ইউসুফ শেখ নামে ওই ব্যক্তি মত্ত অবস্থায় মোটর বাইক চালাচ্ছিলেন। পুলিশকে দেখে অযথা ‘পাসিং লাইট’ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশের গাড়ির চালককে গালাগাল করেন। পুলিশের উদ্দেশে কুরুচিকর মন্তব্য করেন। তার পরেই তাঁকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    Loksabha election 2024: আসন্ন প্রথম দু’দফা নির্বাচনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল কমিশন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভার (Loksabha election 2024) প্রথম দফায় নির্বাচন আগামী শুক্রবার ১৯ এপ্রিল। রাজ্যে তিনটি কেন্দ্রে ভোট হবে। এর জন্য বুধবার শেষ প্রচারের দিন। তার আগে রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ছ’টি আসনে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা প্রকাশ করল নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে উত্তরবঙ্গের ছটি আসনে যে স্পর্শকাতর বুথে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। তাতে মোট ১৮৬২টি বুথ স্পর্শকাতরের তালিকায় রয়েছে। ভোট ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনার গয়না সহ ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর (Loksabha election 2024)

    নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যে প্রথম দফায় যে তিনটি লোকসভা কেন্দ্রে নির্বাচন (Loksabha election 2024) হবে তার মধ্যে কোচবিহার (Coochbehar) কেন্দ্রের ২০৪৩টি নির্বাচন কেন্দ্রের মধ্যে ১৯৬টি, আলিপুরদুয়ার (Aliporeduar) লোকসভা কেন্দ্রের ১৮৬৭টির মধ্যে ১৫৯টি এবং জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) কেন্দ্রের ১৯০৪ টি নির্বাচনী বুথের মধ্যে ৩৯১টি স্পর্শকাতর বুথ তালিকায় রয়েছে। প্রথম দফার তিনটি কেন্দ্রের মধ্যে জলপাইগুড়িতে সর্বাধিক স্পর্শকাতর বুথের কথা জানিয়ে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় দফায় দার্জিলিং (Darjeeling), রায়গঞ্জ (Raiganj) ও বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা কেন্দ্রের নির্বাচন হবে। দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রে ১৯৯৯টি বুথের মধ্যে ৪০০টি, রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের ১৭৩০টি বুথের মধ্যে ৪০৮টি ও বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের ১৫৬৯টি বুথের মধ্যে ৩০৮টি বুথকে স্পর্শকাতর বলে ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। প্রসঙ্গত বালুরঘাট থেকে নির্বাচনে লড়ছেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দ্বিতীয় দফায় বাংলায় এই কেন্দ্রেই সবচেয়ে কম স্পর্শকাতর বুথ রয়েছে। দুই দফায় উত্তরবঙ্গের ছটি লোকসভা কেন্দ্রে মোট স্পর্শকাতর বুথের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৮৬২ টি।

    নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না উদ্ধার

    নির্বাচন কমিশনের তরফে এদিন আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, রাজ্যজুড়ে তল্লাশিতে নগদ টাকা, মাদক, নেশাজাত দ্রব্য ও সোনা গয়না সহ যা বাজেয়াপ্ত হয়েছে তার ভারতীয় মুদ্রায় মূল্য ২২৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। ভোটের আগে বাংলা থেকে এত পরিমাণ অর্থ সামগ্রীর একটা বড় অংশ নির্বাচনে (Loksabha election 2024) খরচ করার উদ্দেশ্য ছিল বলেই মনে করা হচ্ছে। তাই আগেভাগেই সতর্ক হয়েছে নির্বাচন কমিশন। কমিশনের ঘোষণা অনুযায়ী প্রত্যেক বুথেই সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে। দিনক্ষণ হিসেবে দক্ষিণবঙ্গে এখনও নির্বাচনে ঢের দেরি রয়েছে। কিন্তু ছোটখাটো গন্ডগোল শুরু হয়েছে বহু জায়গায়। প্রথম কয়েক দিন সশস্ত্র বাহিনীকে (Central Forces) এলাকা চেনানো হলেও তারপর বাহিনীকে বসিয়ে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এমনকী যে সমস্ত জায়গায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ হচ্ছে সেখানেও পুলিশ নিজে থেকেই আইন-শৃঙ্খলা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছে। বাহিনীকে সেই কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাহলে কী এবারও বাহিনীকে যথাসম্ভব নিষ্ক্রিয় রাখার ছক রয়েছে পুলিশের, উঠছে প্রশ্ন।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে আরাবুলকে কনভেনর পদ থেকে সরালো তৃণমূল, ভাঙড়ের দায়িত্বে শওকত

    অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের বক্তব্য

    রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচন কমিশনার অরিন্দম বাগচী জানিয়েছেন, “নির্বাচনে (Loksabha election 2024) তৃতীয় পর্যায়ের কাজ চলছে। ১৭ মে ভোট হবে জঙ্গিপুর, মুর্শিদাবাদ, মালদহ উত্তর ও মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রে। প্রচারের ফাঁকেই মনোনয়ন দাখিলের কাজ চলছে। মালদা উত্তরে ৬টি, মালদা দক্ষিণ ৩টি, জঙ্গিপুরে ৫টি, মুর্শিদাবাদে ৪টি, ভগবানগোলা উপনির্বাচনে এখন পর্যন্ত ১টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে। এই দফায় ১৯ এপ্রিল মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। নির্বাচন যাতে সুস্থভাবে করা যায় তার জন্য ৪১ হাজারের বেশি লাইসেন্স যুক্ত আগ্নেয়াস্ত্র জমা পড়েছে। ৬৪৯টি ফ্লাইয়িং স্কোয়াড ও নজরদারি দল কাজ করছে। এছাড়াও বহু জায়গায় বেআইনি বোমা, গুলি ও আগ্নেয়াস্ত্র বাজেয়াপ্ত হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন অভিযুক্ত অপরাধীদেরও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share