Author: user

  • Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    Ramnavami 2024: রামনবমীর সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে, হুঁশিয়ারি দিলীপের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রামনবমীর (Ramnavami 2024) সময় পুলিশ ঝামেলা পাকালে হিন্দু সমাজ জবাব দেবে হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ। পুলিশকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নির্দেশে ঝামেলা না পাকানোর হুঁশিয়ারি বিজেপির (BJP) প্রাক্তন রাজ্য সভাপতির।

    পুলিশ বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই বলে রেখেছেন বিজেপি রামনবমীর সময় ঝামেলা পাকাতে পারে। আগেও দেখা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের পরেই রামনবমী (Ramnavami 2024) ও বিসর্জনের শোভাযাত্রায় হামলা হয়েছে। হামলার সময় নির্বাক দর্শক হয়ে দাঁড়িয়ে থেকেছে পুলিশ। এমনকি পুলিশও বহু জায়গায় রামনবমীর শোভাযাত্রায় বাধা দিয়েছে।

    কী বললেন দিলীপ ঘোষ 

    বর্ধমান শহরের বড় নীলপুর এলাকায় চা-চক্রে দিলীপ ঘোষ রামনবমীর প্রসঙ্গ উঠতেই বলেন, “প্রশাসনকে বলতে চাইছি বিনা কারণে দিদিমনির মত কোন ঝামেলা পাকাবেন না। আজ হিন্দু সমাজ জেগে উঠেছে। রাম মন্দির হয়ে গিয়েছে। তাই চারখানা পুলিশ পাঠিয়ে দিয়ে আমাদের চমকাবেন না বা হিংসা করার জন্য পাঠাবেন না। তাহলে হিন্দু সমাজে জবাব দেবে।”

    ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা  

    এবছর চার দিন ধরে রাজ্য জুড়ে রামনবমী (Ramnavami 2024) পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গেরুয়া সমর্থকরা। ১৭ ও ১৮ এপ্রিল রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা হবে রাজ্যের সমস্ত জায়গায় তার আগে বর্ধমানের বড় নীলপুর বাজারে আয়োজিত পথসভা থেকে পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখেন হুঁশিয়ারি দিলেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষ।

    ২০২৩ সালের অশান্তি

    প্রসঙ্গত, শেষ বছর রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করা নিয়ে হাওড়া, হুগলি, রিষড়া সহ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিস্তর গোলমাল হয়। রামনবমীর শোভাযাত্রার উপরে পাথর হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে অশান্তির সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন জায়গায় ঝামেলার জেরে মামলা গড়ায় হাইকোর্টে। এবিষয়ে রাজ্যের ভূমিকা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আদালত। এ বছর যাতে সেই ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় তার জন্য আগেভাগেই পুলিশ প্রশাসনকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রাখলেন দিলীপবাবু।

    শাসক দলের মদত 

    বাংলায় বিভিন্ন সময় দেখা গেছে রামনবমীর শান্তিপূর্ণ শোভাযাত্রায় পাথর ছোঁড়া হয়েছে আশপাশের বাড়ির ছাদ থেকে। এমনকি কয়েকটি ধর্মীয়স্থল থেকে উস্কানিমূলক মাইক প্রচার করে হামলা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তা সত্ত্বেও সেই হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে রাজ্য। মহরম, ঈদ, হোলী, বৈশাখী, ক্রিসমাস, নিউইয়ার শান্তিপূর্ণভাবে পালন হলেও রামনবমীর অশান্তির পিছে পিছনে শাসকদলের ভোট ব্যাংকের রাজনীতি রয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    Balurghat: “আর বিজেপি করবি? বলেই হামলা চালাল তৃণমূলের লোকজন,” বললেন আক্রান্ত নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘লক্ষ্মীর ভান্ডার তো বাড়ির মহিলারা পান। তারপরেও কেন বিজেপি করবি?’ প্রশ্ন করেই বিজেপির বুথস্তরের এক নেতাকে বেধড়ক পেটানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। এই অভিযোগ ঘিরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভা এলাকার কুমারগঞ্জে। সুকান্ত মজুমদারের খাসতালুকে এই হামলার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Balurghat)

    বালুরঘাট (Balurghat) লোকসভার কুমারগঞ্জ ব্লকের দিওর পঞ্চায়েতের জল্পর গ্রামে বিজেপির বুথ সহসভাপতি সঞ্জয় রায় বাড়িতে খেতে বসেছিলেন। সেই সময় পাশের গ্রামের কয়েকজন তৃণমূলের দুষ্কৃতী বাঁশ-লাঠি নিয়ে বিজেপি নেতার বাড়িতে চড়াও হয়। তাঁকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ির বাইরে আসতে বলে। সঞ্জয়ের মা প্রথমে সামনে যান। খানিক বাদে সঞ্জয়ও সামনে আসেন। তখনই তাঁকে হামলাকারীরা বলেন, “লক্ষ্মীর ভান্ডার সুবিধা নিবি, আবার বিজেপি করবি।” এরপরই বেদম পেটাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। এনিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তবে, পুলিশ এই ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করেনি। আক্রান্ত বিজেপি নেতা সঞ্জয় রায় বলেন, ‘এর আগেও আমার ওপর আক্রমণ হয়েছে। বিজেপি করি বলে ভোট আসলেই আমার ওপর আক্রমণ নেমে আসে। এখনও অভিযোগপত্র থেকে নাম তুলে নিতে ফোনে হুমকি আসছে। আমাদের দাবি, দোষীদের শাস্তি দিতে হবে।’

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    সঞ্জয়ের বাড়িতে যান বিজেপির জেলা (Balurghat) সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘নিশ্চিত হারার ভয়েই এভাবে আমাদের নেতা-কর্মীদের আক্রমণ করছে তৃণমূল। ভোটে ওদের হার নিশ্চিত। প্রশাসনকে সঠিক তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলব। তৃণমূল এই কাজে যুক্ত বলে মানতে নারাজ এলাকার বিধায়ক তোরাফ হোসেন মণ্ডল ও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল বসাক। উজ্জ্বলবাবু বলেন, ‘পঞ্চায়েতে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হয়েছে কুমারগঞ্জে। একটাও গণ্ডগোল হয়নি। এখন কেন হবে। সঞ্জয় রায় নামে বিজেপির কাউকে চিনি না। তবে, যদি তিনি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন, তবে আমরা অবশ্যই তাঁর নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করব। এই ঘটনার খোঁজ নিচ্ছি। দলের কেউ যুক্ত থাকলে অবশ্যই আমরা ব্যবস্থা নেব।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Arjun Singh: বারাকপুরে ফের তৃণমূলে ধস, অর্জুনের হাত ধরে কয়েকশো কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রার্থী হওয়ার পর থেকেই বারাকপুরে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) হাত ধরে একাধিক বিধানসভা এলাকায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানপর্ব লেগেই রয়েছে। এবার ভাটপাড়া পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলর জ্যোতি পান্ডের স্বামী তথা দাপুটে তৃণমূল নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে সহ কয়েকশো কর্মী-সমর্থক বিজেপিতে যোগদান করলেন। লোকসভা ভোটের আগে এই যোগদানপর্বে বিজেপি কর্মীরা অনেতটাই অক্সিজেন পেলেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি আরও শক্তিশালী হল বারাকপুরে (Arjun Singh)

    শুক্রবার সন্ধ্যায় নৈহাটিতে বিজেপির দলীয় কার্যালয় সিং ভবনে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন ভাটপাড়া এলাকার নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে। তিনি পরিবহণ দফতরের আরটিএ’রও সদস্য ছিলেন। এছাড়া আমডাঙা বিধানসভা কেন্দ্রের বেশ কয়েকজন সংখ্যালঘু বাম কর্মীও এদিন বিজেপিতে যোগ দিলেন। যোগদান পর্বে হাজির ছিলেন বারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং, দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় ও বারাকপুর জেলার সভাপতি মনোজ বন্দ্যোপাধ্যায়। অর্জুন সিং (Arjun Singh) বলেন, প্রিয়াঙ্গু বিজেপিতে যোগ দেওয়ায় শুধু ভাটপাড়া লেখা নয়, গোটা বারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিজেপি শক্তিশালী হল। সারা বছর ধরে তিনি নানা সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকেন। বহু মানুষ তার কাছ থেকে উপকৃত হয়। তিনি আসায় বারাকপুরে দল আরও মজবুত হল।

    আরও পড়ুন: রাজ্যের আপত্তি শুনল না হাইকোর্ট, রামনবমীতে শ্রীরামপুরে মিছিলের অনুমতি

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতার কী বক্তব্য?

    বিজেপিতে যোগদানকারী নেতা প্রিয়াঙ্গু পান্ডে বলেন, তৃণমূল দলটা করা যায় না। ওই দলে থেকে কাজ করার সেভাবে সুযোগ পাচ্ছিলাম না। বিজেপিতে যোগ দিলাম। যে দায়িত্বদল দেবে, আমি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করব। আমার স্ত্রী সহ বহু কর্মী-সমর্থক আগামীদিনে বিজেপিতে যোগদান করবে।

    তৃণমূল প্রার্থী কী সাফাই দিলেন?

    যোগদান পর্ব প্রসঙ্গে তৃণমূল প্রার্থী পার্থ ভৌমিক বলেন, ও তলে তলে অর্জুনের (Arjun Singh) সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। অতীতেও বিজেপির হয়ে কাজ করেছে। দলে থেকে বিশ্বাসঘাতকতার থেকে প্রতিপক্ষ দলে চলে যাওয়া ভালো। তৃণমূলের শক্তি মানুষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের জন্য যা কাজ করেছেন। মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে এবারের ভোটে উজার করে ভোট দেবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ১৩/০৪/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার ১৩/০৪/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কেরিয়ারের জন্য আজকের দিনটি খুব ভালো কাটবে। 

    ২) আটকে থাকা কাজ পুরো করতে চাইবেন আপনারা।

    ৩)  নতুন কাজও আনন্দের সঙ্গে করবেন।

    বৃষ

    ১) কোনও কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    ২) ভালোভাবে দায়িত্ব পূরণ করবেন।

    ৩) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠানের কারণে অতিথিদের আনাগোনা লেগে থাকবে।

    মিথুন

    ১)  আজকের দিনটি মান-সম্মান ও প্রতিষ্ঠা বৃদ্ধি করবে।

    ২) ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) ব্যক্তিগত বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।

    কর্কট

    ১)  আজকের দিনে স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেবে।

    ২) পরিজনদের সঙ্গে বিবাদ চলতে থাকলে তার সমাধান হবে।

    ৩) ভুল সিদ্ধান্ত নেবেন না।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি অন্যান্য দিনের তুলনায় ভালো থাকবে।

    ২) কাজের গতি বাড়বে।

    ৩) দাম্পত্য জীবনে বিবাদ দূর হবে, মাধুর্য বজায় থাকবে।

    কন্যা

    ১) জাতকদের আজকের কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) চাকরিতে ভালো প্রদর্শন করে আধিকারিকদের মন জয় করতে পারবেন।

    ৩) ব্যবসায়ীরা বড়সড় ঝুঁকি নেবেন না।

    তুলা

    ১) আজ ইতিবাচক পরিণাম পাবেন।

    ২) কোথাও ভ্রমণে বের হবেন।

    ৩) চাকরিজীবীদের পদোন্নতি হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) ভুল সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকুন।

    ২) কোনও কাজে তাড়াহুড়ো করবেন না।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হওয়ায় আনন্দিত হবেন।

    ধনু

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত জাতকদের জন্য আজকের দিনটি ভালো।

    ২) ধর্মীয় কাজে রুচি বাড়বে।

    ৩) আটকে থাকা কাজ পূরণে ব্যস্ত থাকবেন।

    মকর

    ১) বন্ধুর কাছ থেকে লগ্নি সংক্রান্ত পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে পারেন।

    ২) পরিবারে বন্ধুর আগমনের ফলে আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) অর্থ ব্যয় বাড়তে পারে।

    কুম্ভ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে কাটবে।

    ২) সৃজনশীল কাজে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন।

    ৩) প্রিয় ও মূল্যবান বস্তু পেতে পারেন।

    মীন

    ১)  চাকরির সন্ধানে থাকলে ভালো চাকরি পেতে পারেন।

    ২) ভালো চিন্তাভাবনার সাহায্যে কাউকে আপন করে নিতে পারেন। ব্যবসায়ে মনোনিবেশ করুন।

    ৩) ভেবেচিন্তে লগ্নি করবেন, তা না-হলে সমস্যা হতে পারে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jallianwala Bagh: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    Jallianwala Bagh: আজ জালিয়ানওয়ালাবাগের হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি, জানুন সেই ইতিহাস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ অর্থাৎ ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০৫ বছর পূর্তি। ১৯১৯ সালের আজকের দিনেই পা়ঞ্জাবের অমৃতসরের জালিয়ানওয়ালাবাগ প্রাজ্ঞণে বর্বোরিত গণহত্যার সাক্ষী থেকেছিল গোটা বিশ্ব। ঘটনার প্রতিবাদে ‘নাইটহুড’ উপাধি ত্যাগ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। রাওলাট আইনের প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল হয়েছিল গোটা দেশ। এগিয়ে এসেছিল পাঞ্জাবও। সেখানকার জালিয়ানওয়ালাবাগে (Jallianwala Bagh) জনসমাবেশের ডাক দেওয়া হয়েছিল। সমাবেশ চলাকালীন চারদিক ঘিরে ব্রিটিশ পুলিশের নির্বিচার গুলিবর্ষণে প্রাণ হারিয়েছিলেন হাজারের বেশি মানুষ। জখম হন ১ হাজার ২০০ জন।

    ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে জড়ো হয়েছিল আবালবৃদ্ধবনিতা 

    ১৯১৯ সালে ব্রিটিশ সরকার কর্তৃক রাওলাট আইন (Jallianwala Bagh) পাশ করা হয়েছিল। আইনে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে বিনা বিচারে যে কাউকে কারারুদ্ধ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়। আইনটি পাশ হতেই, ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন দেশের হাজার হাজার স্বাধীনতা সংগ্রামী। আইনের প্রতিবাদে ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল জালিয়ানওয়ালাবাগে জড়ো হয়েছিল আবালবৃদ্ধবনিতা। বিক্ষোভ সমাবেশ চলাকালীন জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে ব্রিটিশ পুলিশবাহিনী সমাবেশ স্থলের চারদিক ঘিরে ফেলে। কোনও বিক্ষোভকারী যাতে পালাতে না পারেন, তারজন্য সমস্ত প্রস্থানের পথ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। চলে নির্বিচারে গুলি। শত শত লোক নিহত হন।

    কুয়ো থেকেই ২ শতাধিকের বেশি লাশ উদ্ধার করা হয় 

    জখম হন আরও বেশি। জানা যায় রাউলাট আইন প্রবর্তনের পরেই সভা-সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ব্রিটিশ সরকার। নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বিক্ষোভকারীরা সচেতন ছিল না। সভাস্থলের মধ্যে একটি কুয়ো ছিল। যখন চারদিক ঘিরে ব্রিটিশ বাহিনী তাণ্ডব চালাচ্ছে, তখন অনেক বিক্ষোভকারীর প্রাণ বাঁচাতে পালানোর সময় কুয়োতে পড়ে মৃত্যু হয়। অনেকে আবার ইনকিলাব জিন্দাবাদ ধ্বনি দিয়ে কুয়োর (Jallianwala Bagh) মধ্যে পড়ে আত্মহননের পথ বেছে নিয়েছিল। কুয়ো থেকেই ২ শতাধিকের বেশি লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার প্রতিবাদে উত্তাল হয় সারা দেশ।

    মাথায় রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় ডায়ারের 

    এরপরেই পরিস্থিতি সামাল দিতে তদন্তের জন্য হান্টার কমিশন গঠন করে ব্রিটিশ সরকার। সরিয়ে দেওয়া হয় জেনারেল ডায়ারকে। ১৯২৭ সালে ২৩ জুলাই মাথায় রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় ডায়ারের। কিন্তু মৃত্যুশয্যায় জালিয়ানওয়ালাবাগের (Jallianwala Bagh) ঘটনা পিছু তাড়া করেছিল তাঁকে।

    বিপ্লবী উধম সিংয়ের গুলিতে প্রাণ হারান ও’ডায়ার 

    ইতিহাসবিদদের একাংশের মতে, জেনারেল ডায়ার ঘটনাস্থলে থাকলেও, তিনি কিন্তু গুলি চালানোর নির্দেশ দেননি। পঞ্জাবের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মাইকেল ফ্রান্সিস ও’ডায়ারই গুলি চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। পরে এর ফলই ভুগতে হয়েছিল তাঁকে। ১৯৪০ সালে ১৩ মার্চ লন্ডনের ক্যাক্সটন হলে বিপ্লবী উধম সিংয়ের (Jallianwala Bagh) গুলিতে প্রাণ হারান ও’ডায়ার।

    স্মৃতিসৌধ নির্মাণ

    দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৫১ সালে ভারত সরকার জালিয়ানওয়ালাবাগে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে একটি স্মৃতিসৌধ নির্মাণ করে। প্রতি বছর আজকের দিনটিকে নিয়মিতভাবে মৃতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে আসা হচ্ছে।

    রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রতিবাদ

    প্রসঙ্গত, গীতাঞ্জলি কাব্য লেখার জন্য ১৯১৩ সালে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। এরপরেই ১৯১৫ সালে ৩ জুন সাহিত্য প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ইংরেজরা নাইটহুড উপাধি সম্মানে ভূষিত করেন। কিন্তু ১৯১৯ সালের ৩১ মে তিনি ত্যাগ করেন সেই উপাধি। কারণ জালিওনাবাগের হত্যাকাণ্ড মেনে নিতে পারেননি কবিগুরু। ঘটনার প্রতিবাদ হিসেবে তিনি উপাধি ত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নেন। হত্যাকাণ্ডের ঘটনা শোনার পরে কবিগুরু মনে করেছিলেন ব্রিটিশদের এই বর্বরোচিত আচরণ বিশ্বের মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত। এরপরই তিনি এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। গান্ধীজিকে তাঁর এই প্রস্তাবের কথা তিনি চিঠি লিখে জানান। চিঠিতে লেখেন, ‘‘আই ডু নট ওয়ান্ট টু এম্বারাস দ্য গভর্মেন্ট নাও’’। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘নাইটহুড’ ত্যাগের চিঠি, ব্রিটিশ সরকারের কাছে পাঠানো আজ এক ঐতিহাসিক দলিল হয়ে রয়েছে।

     

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

     

     

  • Maidaan: অজয়ের চোখের যাদুতে গোলে বল! ফুটবল প্রেমীদের মন ভরাল ‘ময়দান’

    Maidaan: অজয়ের চোখের যাদুতে গোলে বল! ফুটবল প্রেমীদের মন ভরাল ‘ময়দান’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সব খেলার সেরা বাঙালির ফুটবল! ফুটবল মানেই আবেগ, ফুটবল মানেই দাঁতে দাঁত চেপে লড়াই। ফুটবল মানেই ময়দান (Maidaan) জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো। ফুটবল মানেই মন জয়। ফুটবলকে ভিত্তি করে সদ্য মুক্তি পাওয়া সিনেমা ‘ময়দান’ও তার ব্যাতিক্রম নয়। তবে শুধুই ফুটবল নয়, ‘ময়দান’ জুড়ে দাপট অজয় দেবগণের। ‘ওমকারা’, ‘গঙ্গাজল’, ‘লেজেন্ড অফ ভগত সিং’, ‘সিংহম’ প্রতিটা ছবিতে অজয়কে ক্রমশ পরিণত লেগেছে। ২০-এর যুবক অজয় থেকে মধ্য চল্লিশের অজয় যেন চোখ দিয়ে কথা বলেন। ‘ময়দানেও’ কথা বলেছে সেই চোখের ভাষা।

    কী নিয়ে ছবি

    প্রখ্যাত ফুটবল কোচ সৈয়দ আব্দুল রহিমের জীবনী অবলম্বনে ‘ময়দান’ ছবিটি বানানো হয়েছে। ১৯৫২ থেকে ১৯৬২-এর সময়কালে আব্দুল রহিমের অক্লান্ত প্রচেষ্টা ভারতীয় ফুটবলকে বিশ্বের মানচিত্রে কোথায় নিয়ে গিয়েছিল, সেটা এই ৩ ঘণ্টার সিনেমা দেখলেই বোঝা যাবে। ‘ময়দান’ (Maidaan) ছবিটা পিকে, চুনি, অরুণ ঘোষের উদ্দেশে শ্রেষ্ঠ সম্মান। এই ছবির গল্প, ১৯৫২ থেকে ১৯৬২ সাল সময়কালে ভারতীয় ফুটবল দলের কোচ সৈয়দ আব্দুল রহিমের, যিনি নিজের গোটা জীবনই ফুটবলকে উৎসর্গ করেছিলেন। তাঁর চেষ্টাতেই ভারতীয় ফুটবল টিম ‘ব্রাজিল অফ এশিয়া’ খেতাব পায়, ভারতীয় দল এশিয়াল গেমসে সোনা যেতে। কীভাবে তিনি ক্যান্সার ও ফুটবল ফেডারেশনের রাজনীতির সঙ্গে লড়াই করে ভারতীয় দলের সাফল্যের নয়া কাহিনি লিখলেন, সেই গল্পই বলবে এই ছবি।

    অজয়ের করিশমা

    পুরো সিনেমাজুড়ে অজয় দেবগণ (Ajay Devgn) দাপিয়ে বেরিয়েছেন। এই ছবি তাঁর দুর্দান্ত কাজগুলির অন্যতম। এই চরিত্রের প্রতি সুবিচার করেছেন অজয়। রহিম সাহেবের আবেগকে পর্দায় খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। ফিল্মে অজয়ের শরীরী ভাষা কখনও কখনও কোচ রহিমকে ছাপিয়ে গিয়েছে, এবং কিছু দৃশ্যে অজয় কেবল তাঁর চোখ দিয়ে অভিনয় করেছেন যা এক কথায় অনবদ্য। টিমের প্রত্যেক অভিনেতার কাজই খুব ভাল। ক্রীড়া সাংবাদিকের চরিত্রে গজরাজ রাও দুর্দান্ত। অজয়ের স্ত্রীর চরিত্রে প্রিয়মণি দারুণ। চরিত্রায়নের সাফল্যের পিছনে একটি বড় কারণ, এই ছবির বেশিরভাগ অভিনেতা, যাঁদের খেলোয়াড় হিসেবে নেওয়া হয়েছে, তাঁদের ছবিতে বা অন্য কোনও মাধ্যমে খুব একটা দেখা যায় না।

    আরও পড়ুন: মহাকাশে প্রথম ভারতীয় ‘পর্যটক’ গোপীচাঁদ, জানেন ইনি কে?

    এ আর রহমানের সুর

    দেশাত্মবোধক ছবিতে এ আর রহমানের কম্পোজিশনের কোনও জুড়ি মেলা ভার। ‘ময়দানেও’ (Maidaan) সেই একই সুর শোনা গিয়েছে। ছবির আবহ এবং গান দর্শককে বেঁধে রাখে। ছবিটির পরিচালনা করেছেন অমিত রবীন্দ্রনাথ শর্মা। গত ১০ এপ্রিল মুক্তি পেয়েছে এই ছবিটি। এই ছবির একটি সমস্যা হল, এর দৈর্ঘ্য। অনায়াসে ছবিটিকে ৪০ মিনিট কম করা যেত। প্রথম ভাগ বড় বেশি মন্থর। তবে যাই হোক ফুটবল অনুরাগীদের কাছে এই ছবি বেঞ্চমার্ক।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, ভাইরাল ভিডিও

    Russia Ukraine War: ইউক্রেনের বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, ভাইরাল ভিডিও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইউক্রেনের সব থেকে বড় বিদ্যুৎ উৎপাদন (Power Plant) কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সিএনএন সূত্রে জানা গিয়েছে, ড্রোন (Drone) ও ৮২টি মিসাইল সহযোগে ধ্বংস করা হয়েছে এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র। এই হামলায় ব্যবহার করা হয়েছে হাইপারসনিক (Hypersonic) মিসাইলও। পাল্টা ইউক্রেনের তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে, এই হামলার ফলে রাজধানী কিভে (kyiv) এখনও বিদ্যুৎ ঘাটতি হয়নি।

    তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস

    সিএনএন সংবাদ সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, ইউক্রেনের কিভের খুব কাছে ট্রিপিলস্কায় অবস্থিত এই তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে সাম্প্রতিক হামলায়। সামাজিক মাধ্যমে এই হামলা সংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে সোভিয়েত যুগের ওই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র দাউ দাউ করে জ্বলছে। কালো ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়েছে শহরের আকাশে।

    ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্য

    এই ঘটনার জন্য ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জ়েলেনস্কি প্রতিবেশী রাষ্ট্র ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নকে তাঁদের জরুরি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম না দেওয়াকে দায়ী করেছেন। তিনি এই হামলাকে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বলে আখ্যা দিয়েছেন। প্রসঙ্গত পশ্চিমী দেশগুলোর কাছে ইউক্রেন জরুরি বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সরবরাহের আবেদন করেছিল। ইতিমধ্যেই রাশিয়া ইউক্রেনের তাপ ও জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ জ্বালানির ঠিকানাগুলিকে নিশানা করা শুরু করেছে। হামলা ব্যাপক তীব্র হয়েছে। ইউক্রেনের শক্তি ব্যবস্থা ধ্বংস দিতে চাইছে রাশিয়া এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছেন জ়েলেনস্কি । রাশিয়ার যে হামলা চালিয়েছিল তার মধ্যে ১৮ টি ক্ষেপণাস্ত্র ও ৩৯ ড্রোনকে আটকানো সম্ভব হয়েছে। কিন্তু বাদ বাকি মিসাইল ও হাইপারসনিক মিসাইল সফলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানে দাবি ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর এক আধিকারিকের। তাঁদের তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত কিভ, চেরকাসি ও ঝাইটেমির অঞ্চলের জন্য এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ছিল খুবই জরুরী।

    সেন্টারেনারগর সংস্থার বক্তব্য

    এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র পরিচালনা করতো সেন্টারেনারগর নামে একটি সংস্থা। ওই সংস্থার তত্ত্বাবধায়ক বোর্ডের প্রধান এন্দ্রে গোটা বলেন, “সবকিছু ধ্বংস হয়ে গেছে। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে আর বিদ্যুৎ উৎপাদন সম্ভব নয়। এই বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংসের ফলে আশপাশের বেশ কয়েকটি অঞ্চলের সাবস্টেশন ও বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রে সমস্যা দেখা দেবে। প্রসঙ্গত ইউক্রেনের বৃহত্তম বেসরকারি বিদ্যুৎ কোম্পানির ডিটেক সাম্প্রতিক হামলায় যথেষ্ট ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। দুটি পাওয়ার স্টেশন রাশিয়ান আক্রমণের জেরে মারাত্মকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।”

    আরও পড়ুনঃ পাক-মাটিতে খতম হয়েছে ২০জনেরও বেশি জঙ্গি নেতা, নেপথ্যে কারা?

    যুদ্ধ এখনও থামার লক্ষণ নেই

    প্রথমদিকে আমেরিকা ইউক্রেনকে যুদ্ধাস্ত্র দিয়ে সাহায্য করলেও পরবর্তীকালে ইউক্রেনের দাবি মতো যুদ্ধাস্ত্র আর দেয়নি আমেরিকা এমনটাই অভিযোগ জ়েলেনস্কি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন ও জার্মানি যে যুদ্ধাস্ত্র দিচ্ছে তাও দীর্ঘদিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে যথেষ্ট নয় বলেই দাবি প্রশাসনের। একদিকে যুদ্ধাস্ত্রের অভাব অন্যদিকে রাশিয়ার আক্রমণে ব্যাপক বৃদ্ধি। সবমিলিয়ে বেশ বেকায়দায় পড়েছে ইউক্রেন। আরব দুনিয়ায় হামাসের সঙ্গে ইজরায়েলের যুদ্ধ বিরতির দিকে এগোলেও দুই বছর পার হলেও রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধ এখনও থামার কোনো লক্ষণ নেই। প্রথমদিকে রাশিয়াকে অনেকটা প্রতিহত করতে সক্ষম হলেও এখন দেশের একটা বড় অংশ হাতছাড়া হয়ে গেছে ইউক্রেনের। তাঁরা যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অপারগ হলেও রাশিয়া যুদ্ধ থামানোর কোন ইঙ্গিত দিচ্ছে না। প্রথম দিকের বেগতিক অবস্থা কাটিয়ে এখন যুদ্ধের ময়দানে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে পুতিনের বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Automobile Sales: আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভারতে রেকর্ড ছুঁল গাড়ির বিক্রি, বিক্রিবাট্টা পৌঁছাল ডাবল ডিজিটে

    Automobile Sales: আশঙ্কা উড়িয়ে দিয়ে ভারতে রেকর্ড ছুঁল গাড়ির বিক্রি, বিক্রিবাট্টা পৌঁছাল ডাবল ডিজিটে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে সর্বত্র তেলের দামের উঠানামা চলতেই থাকে। তার প্রভাব পড়েনি অটোমোবাইল শিল্পে। শেষ আর্থিকবর্ষে দেশজুড়ে সামগ্রিকভাবে অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির (Automobile Sales) বিপণন বেড়েছে ১২.৫%। বিক্রিবাট্টা ডাবল ডিজিটে পৌঁছালে খুশির হাওয়া অটোমোবাইল ইন্ডাস্ট্রির বিভিন্ন সংস্থায়। চলতে আর্থিক বর্ষে ঘরোয়া বিক্রি ২.১২ মিলিয়ন ইউনিট থেকে বেড়ে ২.৩৮ মিলিয়ন ইউনিট হয়েছে। এই তথ্য জানিয়েছে সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারারস (SIAM)।

    গাড়ি বিক্রির পরিমাণ কত?

    অটোমোবাইল শিল্পে বিভাগ অনুযায়ী পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যাত্রীবাহী গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৮.৪ %। তিনচাকা গাড়ির বিক্রি বেড়েছে সবচেয়ে বেশি ৪১.৫%। দুচাকা গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ১৩.৩%। শুধুমাত্র বাণিজ্যিক যানবাহনের বিক্রি (Automobile Sales) বেড়েছে সবচেয়ে কম 0.6%। এই বিভাগে প্রায় পাঁচ মিলিয়ন ইউনিট যার মধ্যে ৪.২ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে ঘরোয়া ভাবে এবং বহির্বিশ্বে বিক্রি হয়েছে শূন্য দশমিক ৭ মিলিয়ন ইউনিট। মধ্যবিত্তের পছন্দের দুই চাকা যানবাহনের বিক্রি ১৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে, যা খুবই ভাল দিক বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। প্রায় ১৮ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে বিভিন্ন কোম্পানির দুই চাকা যানবাহন। তবে ২০১৮-১৯ সালে ২১ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছিল যা দুই চাকা যানবাহনের বিক্রির সবচেয়ে সুসময় ছিল। অন্যদিকে ঘরোয়া ক্ষেত্রে বাণিজ্যিক যানবাহন এবছর ৯.৭ মিলিয়ন ইউনিট বিক্রি হয়েছে। এই বৃদ্ধি খুব একটা খারাপ নয়। শুধু বিক্রি কমেছে সিএনজি যানবাহনের। বিক্রি বেড়েছে ব্যাটারি চালিত গাড়ির।

    দুই চাকা যানবাহনের রপ্তানি অনেকটাই বেড়েছে

    ব্যাটারি চালিত গাড়ির বিক্রি শুরু হওয়ার পরেও ধাক্কা খায়নি ডিজেল ও পেট্রলের বাণিজ্যিক গাড়ির বিক্রি। তিন চাকা বাহন বাণিজ্যিক ক্ষেত্রেই বেশি প্রয়োজন হয়। ২০১৮-১৯ সাল সবচেয়ে সুসময় ছিল এই সেগমেন্টে। চলতি বছরও তার অনেকটাই ধারে কাছেই রয়েছে তিন চাকা গাড়ির বিক্রি। ঘরোয়া বাজারে বাণিজ্যিক সহ বিভিন্ন গাড়ির বিক্রি (Automobile Sales) ভাল হলেও রপ্তানির ক্ষেত্রে খুব একটা ভালো সময় এখনও আসেনি। রপ্তানির ক্ষেত্রে শেষ তিন মাসে বিক্রিবাট্টা অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে দুই চাকা যানবাহনের রপ্তানি অনেকটাই বেড়েছে এমনটাই জানা যাচ্ছে। অনেকে মনে করছিলেন নির্বাচনের মরসুমে গাড়ির বিক্রিবাট্টা উপরে প্রভাব পড়বে। কিন্তু সে সবকিছুই হয়নি উল্টে গাড়ির বিক্রি ভালই বেড়েছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন পেট্রলে ইথানলের মেশানোর পরিমাণ বৃদ্ধির পরেই ব্যাটারি চালিত দুই চাকা ও যাত্রীবাহী যানবাহনের বিক্রি বাট্টা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে।

    আরও পড়ুনঃঝাড়খণ্ডে ভোটের আগে মাও দমনে বিরাট সাফল্য, গ্রেফতার এক, আত্মসমর্পণ ১৫

    ভবিষ্যতেও আশাবাদী

    সোসাইটি অফ ইন্ডিয়ান অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্সের সভাপতি বিনোদ আগরওয়াল বলেন, “অটোমোবাইল শিল্পে ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে আরও উন্নতি চাই। যে উন্নতি হচ্ছে তাতে আমরা আগামী দিনে আরও ভাল করার ব্যাপারে আশাবাদী। আমাদের ক্ষেত্রে যে সঠিক দিশায় রয়েছে তা বেশ কয়েক বছরের রিপোর্ট বলে দিচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • India’s Most Wanted: পাক-মাটিতে খতম হয়েছে ২০জনেরও বেশি জঙ্গি নেতা, নেপথ্যে কারা?

    India’s Most Wanted: পাক-মাটিতে খতম হয়েছে ২০জনেরও বেশি জঙ্গি নেতা, নেপথ্যে কারা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত দু’বছরে পাকিস্তান এবং কানাডায় অজ্ঞাত পরিচিত বন্দুকবাজদের হামলার কারণে নিহত হয়েছে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় থাকা ২০ জনেরও বেশি সন্ত্রাসবাদী (India’s Most Wanted)। এরা প্রত্যেকে লস্কর-ই-তৈবা, খালিস্তানপন্থী, হিজবুল মুজাহিদিন, জয়শ-ঈ-মহম্মদ প্রভৃতি জঙ্গি সংগঠনের সদস্য বলে জানা গিয়েছে। পাকিস্তান সরকার যতই দাবি করুক যে তাদের মাটি ব্যবহার করে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ চলে না, কিন্তু পাক ভূখণ্ডে রহস্যজনকভাবে সন্ত্রাসীদের এমন মৃত্যুই সিলমোহর দিচ্ছে পাকিস্তান সরকারের মদতে চলা জঙ্গি কার্যকলাপকে। অন্যদিকে একই কথা কানাডার ক্ষেত্রেও সত্য। খালিস্তানপন্থী জঙ্গিদের মুক্তাঞ্চল হয়ে উঠেছে কানাডা। আন্তর্জাতিকভাবে বিপুল জনপ্রিয় দৈনিক পত্রিকা ‘দ্য গার্ডিয়ান’ দাবি করেছে যে ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড সন্ত্রাসবাদীদের খতম করার জন্য ভারতের গুপ্তচররা নাকি এমন কাজ করছে। যদিও এর স্বপক্ষে প্রমাণ ওই সংবাদমাধ্যম দিতে পারেনি। ভারত সরকার ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এমন বিবৃতিকে নস্যাৎ করেছে এবং বিদেশ মন্ত্রকের তরফ থেকে জানানো হয়েছে যে এগুলোর পুরোটাই মিথ্যা এবং ভারত বিরোধী প্রচারের অংশ। প্রসঙ্গত ‘দ্য গার্ডিয়ান’ পত্রিকাতে (India’s Most Wanted) আরও দাবি করা হয়েছে, পাকিস্তানের মাটিতে রহস্যজনকভাবে সন্ত্রাসবাদীরা নিহত হচ্ছে, এই কারণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভাবমূর্তি নাকি ভারতের মধ্যে যথেষ্ট শক্তিশালী হচ্ছে।

    মোটর বাইকে চড়ে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা গুলি চালায়

    ২০২৩ সালের নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহতেই পাকিস্তানের তিনজন জঙ্গিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল (India’s Most Wanted)। প্রতিটি ক্ষেত্রেই মোটরসাইকেলে চড়ে অজ্ঞাত পরিচয় সশস্ত্র ব্যক্তিরা এই হামলা চালায়।

    জঙ্গি মিঞা মুজাহিদ: খাজা শহীদ ওরফে মিয়া মুজাহিদকে অপহরণ করে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখার কাছে শিরশ্ছেদ করা হয়। সে ছিল লস্করের সন্ত্রাসী এবং ২০১৮ সালের সুঞ্জুয়ানের একটি ভারতীয় সেনা ক্যাম্পে হামলার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড।

    জঙ্গি আক্রাম খান: অন্যদিকে, ৯ নভেম্বর ২০২৩ সালে লস্কর জঙ্গি আক্রাম খানকে গুলি করে হত্যা করা হয় পাখতুনখোয়াতে।

    জঙ্গি রহিম উল্লাহ তারিক: জয়েশ-ঈ-মহম্মদের জঙ্গি রহিম উল্লাহ তারিক যে ছিল মৌলানা মাসুদ আজহারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী, করাচিতে ১৩ নভেম্বর, ২০২৩ সালে অজ্ঞাত পরিচিত বন্দুকবাজরা তাকে গুলি করে হত্যা করে।

    জঙ্গি জহর মিস্ত্রি: ১৯৯৯ সালে কান্দাহারে ভারতের বিমান অপহরণে জড়িত জহর মিস্ত্রিকে হত্যা করা হয় ২০২২ সালে।

    জঙ্গি শহীদ লতিফ: আবার ২০২৩ সালে অক্টোবর মাসে শিয়ালকোটে হত্যা করা হয় জঙ্গি শহীদ লতিফকে। ২০১৬ সালের পাঠানকোট হামলার মূল ষড়যন্ত্রী ছিল শহীদ লতিফ।

    জঙ্গি মুফতি কাওসার ফারুক: ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসেই হত্যা করা হয় (India’s Most Wanted) মুফতি কাওসার ফারুককে। সে ছিল ২৬/১১-র মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সঈদের অন্যতম সহযোগী।

    জঙ্গি জিয়াউর রহমান: ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে হত্যা করা হয় জিয়াউর রহমানকে। জানা যায় সে ছিল লস্কর-ই-তৈবার একজন কমান্ডার। করাচিতে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা এসে তাকে সরাসরি গুলি করে।

    জঙ্গি পরমজিত সিং পাঞ্জুয়ার: অন্যদিকে, ২০২৩ সালের মে মাসে লাহোরে নিজের বাসভবনে এর সামনে গুলি করে হত্যা করা হয় পরমজিত সিং পাঞ্জুয়ারকে। জানা যায় সেও ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টেড জঙ্গি তালিকায়। সেখানে খালিস্তানি জঙ্গিদের নেতৃত্ব দিত সে।

    জঙ্গি বসির আহমেদ পীর ইমতিয়াজ আলম: ২০২৩ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি হিজবুল কমান্ডার বসির আহমেদ পীর ইমতিয়াজ আলমকে অজ্ঞাত পরিচয় বন্দুকবাজরা (India’s Most Wanted) হত্যা করে রাওয়ালপিন্ডিতে একটি দোকানের সামনে। ঘটনাক্রমে হিজবুল কমান্ডার বসির আহমেদ পীরের মৃত্যুর পরেই এনআইএ জম্মু কাশ্মীরে তার সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে।

    জঙ্গি সালেম রাহমানি: অন্যদিকে সালেম রাহমানি নামে অন্য আরও একজন সন্ত্রাসবাদিকে গুলি করে হত্যা করা হয় ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে। একইভাবে অজ্ঞাত পরিচিত বন্দুকবাজরা তাকে হত্যা করে। সেও ছিল ভারতের মোস্ট ওয়ান্টে জঙ্গি তালিকায়। জানা যায়, সে যখন নামাজ পড়তে আসে, তখনই তাকে অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিরা গুলি করে।

    জঙ্গি মুল্লা সরদার হোসেন: ২০২৩ সালের অগাস্ট মাসে মুল্লা সরদার হোসেনকে সিন্ধ জেলায় হত্যা করা হয় গুলি করে।

    খালিস্থানপন্থী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জর: অন্যদিকে গত বছরে ভারত কানাডা সম্পর্কেও চাপানউতোর শুরু হয় যখন খালিস্থানপন্থী নেতা হারদীপ সিং নিজ্জরকে হত্যা করা হয় কানাডার মাটিতেই।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে ভোটের আগে মাও দমনে বিরাট সাফল্য, গ্রেফতার এক, আত্মসমর্পণ ১৫

    Jharkhand: ঝাড়খণ্ডে ভোটের আগে মাও দমনে বিরাট সাফল্য, গ্রেফতার এক, আত্মসমর্পণ ১৫

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই ঝাড়খন্ডে লোকসভা ভোট। এবার তার আগে বৃহস্পতিবার ১৫ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করল। জানা গিয়েছে, এই ধৃত মাওবাদীরা সকলে মাওবাদী নেতা মিসির বেসরার সঙ্গে সম্পর্কিত। আবার এদিন আরও একটি সরকারি বিবৃতি জারি করে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ জানিয়েছে, ঝাড়খন্ড (Jharkhand) ও আসামে অভিযান চালিয়ে নকশাল গোষ্ঠীর পিপলস লিবারেশন ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার (PLFI) এক দুষ্কৃতীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভোটের আগে এটা নিরাপত্তা রক্ষীদের বিরাট সাফল্য।

    এনআইএ সূত্রে খবর

    এনআইএ বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, “বুধবার ঝাড়খন্ড ও আসামের দুটি স্থানে স্থানীয় পুলিশের সহায়তায় এনআইএ তল্লাশি অভিযান চালিয়েছিল। তার মধ্যে ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) খুন্তি জেলা থেকে বিনোদ মুন্ডা ওরফে সুখওয়া নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। একই সঙ্গে এনআইএ (NIA) তল্লাশির সময় পিএলএফআই (PLFI) সম্পর্কিত নথি সহ দুটি ওয়াকি টকি, পাঁচটি মোবাইল, সিম কার্ড এবং ১১ হাজার নগদ টাকা সহ অনেকগুলি অপরাধে ব্যবহার করা যায় এমন সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করেছে। এর আগে ৩ লাখ টাকা, অস্ত্র ও গোলাবারুদ সহ দুই অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছিল এই জেলা থেকেই।”

    তোলাবাজির মাধ্যমে টাকা আদায় চলত

    এখনও পর্যন্ত এনআইএ (NIA) যতদূর তল্লাশি করেছে তার ভিত্তিতে জানা গিয়েছে, পিএলএফআই (PLFI) সদস্য এবং ক্যাডাররা ঝাড়খণ্ড (Jharkhand), বিহার, ছত্তিশগড় এবং ওড়িশার বিভিন্ন কয়লা ব্যবসায়ী, পরিবহনকারী, রেল ঠিকাদার ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে তোলাবাজির মাধ্যমে নিজেদের তহবিল ভর্তির কাজে জড়িত ছিল। নিরাপত্তা রক্ষীরা অনেক দিন ধরেই সতর্ক ছিল।

    আরও পড়ুনঃ ইউক্রেনের বড় তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র গুঁড়িয়ে দিল রাশিয়া, ভাইরাল ভিডিও

    মাওবাদী দমননীতি অব্যাহত

    প্রসঙ্গত, ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) পশ্চিম সিংভূম জেলায় কয়েক দশক ধরে পিএলএফআই (PLFI) সদস্যরা নাশকতামূলক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছিল। মাও আশ্রিত কর্মকাণ্ডের কেন্দ্রস্থল ছিল এই জেলা। সেখানে বর্তমানেও সিপিআই মাওবাদীদের কিছু অবশিষ্ট গোপন আস্তানা রয়ে গেছে, যেখান থেকে দেশবিরোধী কাজ করা হয়। ফলে পিএলএফআই (PLFI) মামলা সম্পর্কিত বাকি তদন্ত এখনও অব্যাহত রেখেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share