Author: user

  • Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন জানেন?

    Lok Sabha Elections 2024: রাজ্যে আসছে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ এপ্রিল দেশে প্রথম দফার নির্বাচন (Lok Sabha Elections 2024)। দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রের সঙ্গে বাংলার তিন আসনেও ভোটগ্রহণ হবে এদিন। তার আগেই রাজ্যে আরও ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠাচ্ছে সরকার। সোমবার কেন্দ্রের তরফে এ খবর জানানো হয়েছে। রাজ্যে এখন রয়েছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী।

    কেন অতিরিক্ত বাহিনী? (Lok Sabha Elections 2024)

    কী কারণে সাত তাড়াতাড়ি ফের একশো কোম্পানি বাহিনী পাঠাচ্ছে কেন্দ্র? নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, রাজ্যের সমস্ত বুথকেই স্পর্শকাতর ধরেই প্রস্তুতি নিতে চাইছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তাদের দাবি, একশো শতাংশ বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করানোর চেষ্টা চলছে (Lok Sabha Elections 2024)। সেই কারণেই আগেভাগেই ফের পাঠানো হচ্ছে বাহিনী। প্রথম দফায় নির্বাচন হবে এ রাজ্যের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়িতে। এই তিন কেন্দ্রের সব বুথে প্রয়োজনীয় সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয়ে ছিল নির্বাচন কমিশনের একাংশ।

    আরও পড়ুুন: কংগ্রেসের ইস্তাহারে মিথ্যার বেসাতি, মার্গ দর্শন কোথায়?

    ২৭৭ কোম্পানি বাহিনী

    শেষমেশ চলে এসেছে ১৭৭ কোম্পানি বাহিনী। ফের আসছে ১০০ কোম্পানি। কমিশনের কর্তাদের মতে, প্রথম দফার নির্বাচনের পর আর কেন্দ্রীয় বাহিনী পেতে কোনও সমস্যা হবে না। কারণ এই দফায় অনেক কেন্দ্রে নির্বাচন হয়ে যাবে। সেই সব বাহিনীকে তুলে নিয়ে পাঠানো যাবে অন্যত্র। এবার নির্বাচন হবে সাত দফায়। দফা যত এগোবে, তত বাড়তি হবে বাহিনী। প্রসঙ্গত, সপ্তম দফায় নির্বাচন হবে কেবল পশ্চিমবঙ্গ, বিহার ও উত্তরপ্রদেশে। নির্বাচন বিঘ্নহীন করতে প্রয়োজনীয় সবরকম ব্যবস্থা করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। তবে ঠিক কত সংখ্যক বাহিনী মোতায়েন করা হবে, তা জানানো হয়নি। প্রথম দফার নির্বাচনের মুখে আরও ৭০ কোম্পানি বাহিনী আসতে পারে বলেও কমিশন সূত্রে খবর।

    এদিকে, প্রথম দফার নির্বাচনের আগে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট নেওয়ার যে প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে, তাতে ভোটকর্মীদের সঙ্গে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চার জওয়ান এবং রাজ্য পুলিশের দুই থেকে চারজন কর্মী থাকবেন। কমিশনের নির্দেশ, নির্বাচনী প্রচারের সময় যে নকল ব্যালট ব্যবহার করা হবে, সেটি কাঠ, প্লাস্টিক বা প্লাইউড দিয়ে তৈরি করতে হবে। আয়তন হতে হবে আসল ব্যালটের অর্ধেক। নকল ব্যালটের রং হতে পারে হলুদ, বাদামি কিংবা ধূসর (Lok Sabha Elections 2024)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • Loksabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটে বিশেষ চমক কী জানেন?

    Loksabha Election 2024: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ কেন্দ্রে ভোটে বিশেষ চমক কী জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে সব জায়গায় ভোট দেওয়ার সময় একটি মেশিন থাকলেও রায়গঞ্জে কেন্দ্রের বুথগুলিতে (Raiganj) দুটি মেশিন দেখতে পাবেন ভোটাররা। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের তুলনায় এই নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) উত্তর দিনাজপুরে অন্য চিত্র দেখতে পাবেন সাধারণ ভোটাররা। এবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে রায়গঞ্জে থাকছে দুটি করে মেশিন (Ballot Unit)। কিন্তু জানেন কী দুটি মেশিন থাকার কারণ?

    ভোট কেন্দ্রে কেন দুটি মেশিন?

    নির্বাচন কমিশন (ECI) সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার উত্তর দিনাজপুরে তুলনামূলক বেশি সংখ্যক প্রার্থী নির্বাচনে লড়ছেন। সর্বোচ্চ ১৫ জন প্রার্থী ও নোটা মিলিয়ে তৈরি হয় একটি ব্যালট ইউনিট। যার মধ্যে ১৫ জন প্রার্থীকে জায়গা করে দেওয়া সম্ভব। কিন্তু রায়গঞ্জে এবার বিভিন্ন দলের পক্ষ থেকে মোট ২০ জন প্রার্থী নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) প্রতিদ্বন্দ্বী হয়েছেন। যার জন্য একটি ব্যালটে তাঁদের জায়গা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। ফলের দুটি করে ইউনিট থাকবে রায়গঞ্জের সমস্ত বুথে। নির্বাচন কমিশনের (Election Commission of India) নির্দেশেই এই কেন্দ্রের সমস্ত বুথে দুটি ব্যালট ইউনিট থাকবে। এই ব্যালট ইউনিট থেকেই পছন্দের প্রার্থী কিংবা নোটায় (Nota) ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন ভোটাররা। এই লোকসভা কেন্দ্রে তুলনামূলক বেশি প্রার্থী থাকায় প্রথম মেশিনে ১৬ জন প্রার্থী ও অপর মেশিনে চারজন প্রার্থী এবং নোটার বোতাম থাকবে। সেই সঙ্গে থাকবে আরও একটি ভিভিপ্যাট। রাজ্যের বিভিন্ন কেন্দ্রের তুলনায় রায়গঞ্জের বুথে এবার অন্য চিত্র দেখা যাবে।

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে তালা পড়ল হাওড়া জুট মিলে! বিপাকে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার শ্রমিক

    দুটি মেশিনের প্রার্থী চয়নে সুবিধা

    কমিশন সূত্রে জানা গেছে, দুটি মেশিন থাকায় ভোটারদের কোনও অসুবিধা হবে না, কারণ দুটি মেশিন পাশাপাশি থাকবে। ফলে পছন্দের প্রার্থী (Loksabha Election 2024) কিংবা নোটার বোতাম খুঁজে নিতে অসুবিধা হবে না ভোটারদের। এছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে আগেভাগেই ভোটারদের এবিষয়ে অবহিত করা হবে। আগেও ভারতের নানান প্রান্তে অতিরিক্ত সংখ্যায় প্রার্থী ভোটে দাঁড়ানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে এক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছিল ১৯৯৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে তামিলনাডুর মোদাকুরিচি কেন্দ্রে। সেবার ওই কেন্দ্র থেকে ১০৩৩ জন প্রার্থী হয়েছিলেন। তখন ইভিএমের বদলে কাগজের ব্যালট ব্যবহার করার চল ছিল। বইয়ের আকারে ব্যালট ছাপা হয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • NIA:  ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    NIA: ভূপতিনগরে হামলায় জখম এনআইএ আধিকারিকের স্বাস্থ্য রিপোর্ট চাইল পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে অভিযানে গিয়ে আক্রান্ত হয়েছিলেন এনআইএ-র আধিকারিক। ভাঙচুর করা হয় তাঁদের গাড়ি। হামলার ঘটনার জের থানা পর্যন্ত গড়িয়েছে। কিন্তু, এখনও পুলিশ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ওপর যারা হামলা করেছিলেন, সেই হামলাকারীদের কী ব্যবস্থা নিয়েছে তা জানা যায়নি। তবে, এনআইএ (NIA) আধিকারিক কতটা জখম হয়েছে তা নিয়ে স্বাস্থ্য সংক্রান্ত রিপোর্ট চাইল পুলিশ।

    পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন (NIA)

    এমনিতেই এই হামলার ঘটনা নিয়ে লোকসভার মুখে রাজ্য রাজনীতি তোলপাড়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি জলপাইগুড়ির সভায় এসে এই হামলার জন্য তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। এই ঘটনার সঙ্গে সন্দেশখালির ঘটনার তুলনা করে দোষীদের কড়া শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আর পাল্টা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার পর হামলাকারীদের পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। এনআইএ কেন গ্রামে তদন্ত করতে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন করেছেন তিনি। বিস্ফোরণ কাণ্ডে অভিযুক্তদের ভোটের মুখে কেন গ্রেফতার করা হল তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবে, রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তা যখন এনআইএ-র (NIA) গতিবিধি নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, হামলাকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিচ্ছেন। সেখানে পুলিশের নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করা অসম্ভব বলে গেরুয়া শিবিরের কর্তারা মনে করছেন। তাই, স্বাস্থ্য রিপোর্ট চেয়ে আদৌ হামলা হয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। এমনটাই মনে করছে বিরোধীরা।

    আরও পড়ুন: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সন্দেশখালির পর তিন মাসের মধ্যে প্রায় একই ঘটনা ঘটার অভিযোগ উঠেছে ভূপতিনগরে। এনআইএ (NIA) তাদের বিবৃতিতে দাবি করে, শনিবার অভিযানে গিয়ে তাদের এক আধিকারিক অল্প আহত হয়েছেন। গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। অভিযোগ,অভিযুক্তদের গ্রেফতারের জন্য যাতে থানায় যেতে তাঁরা না পারেন, তাই ওই হামলা হয়। এ নিয়ে এনআইএ একটি এফআইআর দায়ের করে ভূপতিনগর থানায়। শনিবারই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে ওই থানায় ফোন আসে। পুলিশ জানায়, তারা তদন্ত শুরু করেছে। এ নিয়ে এনআইএর তরফে কী প্রতিক্রিয়া এসেছে, তা জানা যায়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ আধিকারিক বলেন, “তদন্তের নিয়ম অনুসরণ করেই এই তথ্য চাওয়া হয়েছে। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু বলা যাবে না।”

    বিস্ফোরণের তদন্তে গ্রামে এনআইএ

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালে ভূপতিনগরের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের অভিযোগ ওঠে। তিন জনের মৃত্যু হয়। আদালতের নির্দেশে ২০২৩ সালে ওই ঘটনার তদন্তভার হাতে নেয় এনআইএ। ঘটনায় অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানাকে একাধিক বার নোটিস পাঠানো হয়েছিল। কিন্তু, বার বারই হাজিরা তাঁরা এড়িয়ে যান। তার পরই শনিবার অভিযান চালায় এনআইএ (NIA)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Dengue: তাপমাত্রার হেরফেরে‌ বাড়ছে ডেঙ্গির আশঙ্কা! রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

    Dengue: তাপমাত্রার হেরফেরে‌ বাড়ছে ডেঙ্গির আশঙ্কা! রাজ্য প্রশাসনের সক্রিয়তা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    গরমের আঁচে পুড়ছিল গোটা রাজ্য। কিন্তু দিন দুয়েকের মেঘলা আকাশ আর বৃষ্টি অনেকটাই স্বস্তি দিয়েছিল। তাপমাত্রার পারদও তাই ওঠানামা করছে। আর তার জেরেই রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া বেশ খামখেয়ালী। আর এই পরিস্থিতিতেই উদ্বেগ‌ বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির প্রকোপ রয়েছে। শীতকালে কিছুটা সংক্রমণ কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। গরম পড়তেই কলকাতার মতো বড় শহর থেকে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল, সর্বত্র মশার দাপট শুরু হয়েছে। তার সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডেঙ্গি। আর এই তাপমাত্রার রকমফের সেই বিপদ আরও বাড়াচ্ছে।

    কেন‌ এই আবহাওয়ায় ডেঙ্গির বিপদ‌ বাড়ছে? (Dengue)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শহর থেকে গ্রাম, সর্বত্র নিকাশি প্রক্রিয়া ভালো নয়। তার জেরে বৃষ্টি হলেই জল জমে যাচ্ছে। জমা জলে মশা বংশবিস্তার করে। আর গরমে মশার উপদ্রব আরও বাড়ে। আবহাওয়া দফতরের খবর অনুযায়ী, বৃষ্টি এই সময়ে লাগাতার হবে না।‌ কিন্তু দিন কয়েকের বৃষ্টির জেরে বিভিন্ন জায়গায় জমা জলের সমস্যা থাকবে। আর তার জেরেই বাড়বে‌ ডেঙ্গি। রাজ্য জুড়ে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি অব্যাহত। তাই এই পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক‌ হবে বলেই আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকেরা?

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষ সক্রিয় না‌ হলে চলতি বছরে পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর হতে পারে। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত কয়েক বছরে ডেঙ্গি সংক্রমণ রাজ্যে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েছে। এই বছরে সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে। বিশেষত যাঁরা একবার আক্রান্ত হয়েছেন, ফের তাঁরা ভিন্ন প্রজাতির ডেঙ্গি (Dengue) ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারেন।‌ আর তার জেরে তাঁদের শারীরিক পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে। প্রথম থেকেই ডেঙ্গি নিয়ে প্রশাসন কড়া মনোভাব না দেখালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে না বলেই আশঙ্কা করছেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    বাসিন্দাদের একাংশের ক্ষোভ (Dengue)

    হাওড়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা, কলকাতা সহ একাধিক জেলার বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের ভূমিকা‌ একেবারেই চোখে পড়ে না। তাদের অভিযোগ, চলতি বছরের শুরু থেকেই প্রশাসনের ঢিলেঢালা মনোভাব। নর্দমা পরিষ্কার কিংবা মশানিধন কর্মসূচি, কিছুই চোখে পড়ে না। এমনকি সময় মতো এলাকা পরিষ্কার করে না পুরসভা। এমন অভিযোগ হাওড়া, উত্তর ও দক্ষিণ দমদম সহ একাধিক পুর এলাকার বাসিন্দাদের একাংশের। যার ফলে তাদের ডেঙ্গির ভোগান্তি লেগেই আছে বলে জানাচ্ছেন এই সব এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ।

    কী বলছেন প্রশাসনিক কর্তারা?

    রাজ্য প্রশাসন অবশ্য জানাচ্ছে, ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে প্রশাসন‌ যথেষ্ট সক্রিয়। বছরভর কর্মসূচি চলছে। বাড়ি-বাড়ি গিয়ে মানুষকে সচেতন করার কাজও চলছে। তবে ডেঙ্গি নির্মূল সম্ভব নয়। প্রশাসনের এক কর্তা বলেন, “প্রশাসন যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে। ডেঙ্গি রুখতে সব রকম কর্মসূচি চলছে। তারপরেও কোথাও কোনও অভিযোগ থাকলে সরাসরি পুরসভা কিংবা স্বাস্থ্য দফতরে জানানো যায়। অভিযোগ খতিয়ে দেখে, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। “

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    Prawns: জলের পোকা বলে শুধুই ‘বদনাম’! কোন‌ শারীরিক সমস্যার সহজে মোকাবিলা করে চিংড়ি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    খাদ্য রসিকদের অনেকেরই পছন্দের পদ! তবুও জলের পোকা বলে বদনাম তার আছেই! চিংড়ি (Prawns) নিয়ে তাই নানা লোকের নানা মত! অনেকেই মনে করেন, চিংড়ি খেলেই পেটের সমস্যা হতে পারে। কিন্তু সাম্প্রতিক এক গবেষণায় জানা গিয়েছে, চিংড়ির উপকার একাধিক। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, একাধিক শারীরিক সমস্যা চিংড়ি খেলে সহজেই মোকাবিলা করা যায়। অ্যালার্জির সমস্যা না থাকলে, চিংড়ির পুষ্টিগুণ শরীরের জন্য খুবই উপকারী। দেখা যাক, কোন ধরনের শারীরিক সমস্যার সমাধানে সাহায্য করে চিংড়ি?

    সহজে প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করে, তাই পেশির সমস্যা কমে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার। তাই চিংড়ি খেলে দেহের প্রোটিনের চাহিদা সহজেই‌ পূরণ হয়। দেহের ৪২ শতাংশ প্রোটিনের চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম চিংড়ি। দেহে প্রোটিনের চাহিদা ঠিকমতো সহজে পূরণ হলে একাধিক শারীরিক সমস্যার সমাধান পাওয়া যায়। বিশেষত পেশির সমস্যা সহজেই কমানো‌ যায়। প্রোটিনের ঘাটতি থেকেই পেশিতে ব্যথা ও দুর্বলতা তৈরি হয়। চিংড়ি (Prawns) প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ করায় সহজেই পেশির সমস্যা কমে।

    মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখে, স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়িতে (Prawns) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস এবং আয়োডিন। এই দুই উপাদান মস্তিষ্ক সক্রিয় রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। আয়োডিন স্মৃতিশক্তি বাড়ায়। তাই কম বয়সি থেকে বয়স্ক, অনেকেই এখন স্মৃতিশক্তি হ্রাসের সমস্যায় ভুগছেন। চিংড়ি খেলে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়বে। ফলে স্মৃতিশক্তি সংক্রান্ত সমস্যাও কমবে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    হাড়ের শক্তি বাড়াতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে ক্যালসিয়াম, ওমেগা থ্রি এবং ফ্যাটি অ্যাসিড প্রচুর পরিমাণে আছে। এই উপাদানগুলো হাড়ের জন্য বিশেষ উপকারী। দেশজুড়ে মহিলাদের হাড় ক্ষয়ের সমস্যা বাড়ছে। তাই চিংড়ি মাছ খেলে হাড় মজবুত হবে। হাড় ক্ষয়ের ঝুঁকি কমবে। এমনই মনে করছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ।

    রক্তাল্পতার সমস্যা কমাতে বিশেষ সাহায্য করে (Prawns)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, চিংড়ি মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন বি১২, মিনারেল। এই উপাদানগুলো শরীরে রক্তের ঘাটতি পূরণ করে। ফলে রক্তাল্পতার সমস্যা দূর হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Oldest Voter: লোকসভা ভোটে বিরল, জয়নগর কেন্দ্রে ১১৪ বছরের প্রবীণতম ভোটার

    Oldest Voter: লোকসভা ভোটে বিরল, জয়নগর কেন্দ্রে ১১৪ বছরের প্রবীণতম ভোটার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরল ইতিহাস গড়ল সুন্দরবন (sundarban)। এখানে এক প্রবীণতম ভোটারের বয়স ১১৪ বছর। আগামী ১ জুন অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) নিজের ভোটাধিকার নিজেই প্রয়োগ করবেন এই প্রবীণ বৃদ্ধা হাজারী সরদার। বর্তমানে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার (Oldest Voter ) তিনি। তাঁকে ঘিরে গণতান্ত্রিক উৎসবে ব্যাপক উচ্ছ্বাস।

    মোট ১৭ বার লোকসভা ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন (Oldest Voter)

    ১১৪ বছর বয়স্কা বৃদ্ধা হাজারীদেবীর (Oldest Voter ) কথা জানতে পেরেই তাঁর বিধানপল্লির বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন বাসন্তীর বিডিও (BDO) সঞ্জীব সরকার। তিনি বৃদ্ধাকে পুষ্পস্তবক দিয়ে শুভেচ্ছা জানান। দীর্ঘায়ুও কামনা করেন। বয়স শুনে বোঝাই যাচ্ছে হাজারীদেবী পুরাতন আমলের মানুষ। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন তিনি। তার আগে দেখেছেন দেশে ইংরেজদের রাজত্বও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাজারীদেবীর জীবন দশায় মোট ১০ বার পঞ্চায়েত নির্বাচন, ১৭ বার বিধানসভা নির্বাচন এবং ১৭ বার লোকসভা নির্বাচনে নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। এবার ১ জুন, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও ১৮ বারের জন্য নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন তিনি।

    হাজারীদেবীর জন্ম ১৯১০ সালে

    বাসন্তী ব্লকের ঝড়খালি কোস্টাল থানার বিধানপল্লীর বাসিন্দা শতায়ু এই বৃদ্ধার (Oldest Voter ) জন্ম ১৯১০ সালে পরাধীন ভারতে। স্বামী বল্লভ সরদার অনেক আগেই প্রয়াত হয়েছেন। বৃদ্ধার এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। বাসন্তী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রিয়াঙ্কা মণ্ডল বলেছেন, “হাজারীদেবী ইংরেজ শাসন দেখেছেন। দেশকে স্বাধীন হতে দেখেছেন। তিনি সমস্ত নির্বাচনে তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। যা এক বিরল ঘটনা।”

    আরও পড়ুনঃ নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    জয়নগর কেন্দ্রে মোট ভোটার ১৫ লক্ষ

    আবার বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “আমার বিধানসভা এলাকায় ১১৪ বছর বয়স্কা এক বৃদ্ধা ভোটার (Oldest Voter ) রয়েছেন। এটা আমার গর্ব। এবার লোকসভা নির্বাচনেও তিনি তাঁর ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে চলেছেন।” উল্লেখ্য গোসাবা, বাসন্তী, কুলতলি, ক্যানিং পূর্ব, ক্যানিং পশ্চিম, জয়নগর ও মগরাহাট পূর্ব বিধানসভা নিয়ে জয়নগর লোকসভা কেন্দ্র। এই কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা প্রায় ১৫ লক্ষ। এর মধ্যে বাসন্তী বিধানসভা এলাকায় মোট ভোটার সংখ্যা তিন লক্ষের বেশি। তার মধ্যেই জয়নগর লোকসভা কেন্দ্রের বয়স্কতম ভোটার হলেন (voter) হাজারী সর্দার। তিনি একই ভাবে পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে প্রবীণতম ভোটার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Cooch Behar: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    Cooch Behar: নিশীথের সভামঞ্চ ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দিল তৃণমূল, সরব বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই কোচবিহারে (Cooch Behar) এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝড় তুলে দিয়েছেন। এই জেলায় তৃণমূল ছে়ড়ে বিজেপিতে যোগদান পর্ব লেগেই রয়েছে। প্রচারেও অনেকটাই এগিয়ে দলীয় প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিক। এমনই দাবি গেরুয়া শিবিরের। এই আবহের মধ্যে এবার কোচবিহারের বিজেপি প্রার্থী তথা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের সভার আগে মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ভোটের আগে এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Cooch Behar)

    সোমবার কোচবিহারের (Cooch Behar) দিনহাটা-২ ব্লকের কিসামঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের খেরবাড়ি হাট এলাকায় বিজেপি প্রার্থী নিশীথের সভার প্রস্তুতি চলছিল। এলাকার উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে ওই সভামঞ্চ তৈরি করা হয়। সোমবার বিকালে সেখানে সভা করার কথা ছিল। মিটিং শুরু হওয়ার আগেই মঞ্চে ভাঙচুর চালিয়েছে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরে, সেখানে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে, বিজেপি নেতৃত্ব সভাস্থলে এসে বিষয়টি জানতে পারেন। পরে, থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। পরে, নতুন করে মঞ্চ করে বিজেপি নেতৃত্ব সেখানে সভাও করে।

    আরও পড়ুন: ভোটে মূল প্রতিপক্ষ পুলিশ! নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, পুলিশ পর্যবেক্ষকের দ্বারস্থ বিজেপি

    শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক অজয় রায় বলেন,  “আমাদের এলাকায় বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগদান করেছে। তাতেই ভয় পেয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা রাতের অন্ধকারে মঞ্চ ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয়। এসব করে কোনও লাভ হবে না। মানুষ বিজেপি-র পক্ষে রয়েছে।” তৃণমূলের দিনহাটা-২ ব্লকের ব্লক সভাপতি দীপককুমার ভট্টাচার্য বলেন, “বিজেপির সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আসলে বিজেপি প্রার্থী বুঝে গিয়েছেন যে, এই নির্বাচনে তিনি হেরে যাচ্ছেন। তাই নিজেদের অনুষ্ঠানের মঞ্চে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়ে তৃণমূলের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছেন ওঁরা। এ ভাবে মানুষের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে, মানুষ সবই জানে। এ সব মিথ্যা অভিযোগ করে কোনও লাভ হবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    Murshidabad: ভোটের মুখে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ, প্রকাশ্যে চলল গুলি, গুলিবিদ্ধ ৪

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভোটের মুখে জমি নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ। আর তার জেরেই গ্রামের মধ্যে প্রকাশ্যেই চলল গুলি। ধারালো অস্ত্র নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ঘটে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রামে সাদল গ্রামে। সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন সমিরুল শেখ এবং মন্তাজ শেখ সহ নামে মোট চারজন। মারামারি করে আহত হলেন আরও সাত জন। জেলা পুলিশ সুপার সূর্যপ্রতাপ যাদব বলেন, জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরেই ওই ঘটনা। ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একটি জমির দখলদারিকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) খড়গ্রাম থানার সাদল গ্রামে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদ চলছিল। সোমবার বিকেলে নদীর চরে মাটি কাটাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে বচসা শুরু হয়। সেখানে লাটু শেখ, আবুল শেখ, সারুল শেখ এবং কবীর শেখ আগ্নেয়াস্ত্র বার করে শূন্যে গুলি চালাতে শুরু করেন বলে অভিযোগ। এরপরই পাল্টা হামলার চেষ্টা করে তৃণমূলের অন্য পক্ষ। তখন ওই পক্ষের দিকে গুলি ছোড়া হয়। তাতে চার জন জখম হন। পাশাপাশি অস্ত্র নিয়ে একে অপরকে আক্রমণ করা হলে দুই পক্ষের আরও কয়েক জন জখম হন। তাঁদের আরও দাবি, গোলাগুলি থেকে নিজেদের বাঁচাতে দু’জন স্থানীয় মসজিদে আশ্রয় নেন। সেখানেও তাঁদের উপরের আক্রমণ চালানো হয়। পুলিশ পৌঁছে মসজিদের ভিতর থেকে তাঁদের উদ্ধার করেছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের বক্তব্য, জমি সংক্রান্ত বিবাদে এই অশান্তি হয়েছে।। সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ইতিমধ্যে এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

    আরও পড়ুন: ভোটে মূল প্রতিপক্ষ পুলিশ! নিয়ন্ত্রণের আর্জি শুভেন্দুর, পুলিশ পর্যবেক্ষকের দ্বারস্থ বিজেপি

     ১৮ রাউন্ড গুলি চলে!

    গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী সামিরুল শেখ বলেন, “স্থানীয় নদী বাঁধে অবৈধ ভাবে মাটি কাটা শুরু করে এলাকার দুষ্কৃতীরা। গ্রামের সবাই মিলে প্রতিরোধ করতে গেলে আমাদের ঘিরে ধরে গুলি চালায়। বাঁশ, লোহার রড ও হাঁসুয়া দিয়ে আক্রমণ করা হয় আমাদের। প্রায় ১৮ রাউন্ড গুলি চালায়। মোট চারজন গুলিবিদ্ধ হয়েছি। বেশ কয়েক জন জখম হয়েছে। আমরা তৃণমূল দল করি, ওরাও তৃণমূলের কর্মী এবং সমর্থক।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    Lok Sabha Elections 2024: “কংগ্রেস গরিবদের উপোসে রেখে জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি”, তোপ যোগীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “কংগ্রেস গরিবদের উপোস করিয়ে রাখত, আর জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি।” লোকসভা নির্বাচনের (Lok Sabha Elections 2024) প্রচারে বেরিয়ে কংগ্রেসকে এই ভাষায়ই আক্রমণ শানালেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা যোগী আদিত্যনাথ।

    ‘জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত’ (Lok Sabha Elections 2024)

    দ্য গার্ডিয়ানের একটি রিপোর্টের কথা তুলে ধরে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “একদিকে গার্ডিয়ানের রিপোর্ট দেখুন, যেখানে বলা হচ্ছে, পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের বেছে বেছে নিকেশ করা হচ্ছে। অন্যদিকে কংগ্রেস তাদের সরকারের আমলে জঙ্গিদের বিরিয়ানি খাওয়াত।” তার পরেই তিনি বলেন, “কংগ্রেস গরিবদের উপোস করিয়ে রাখত, আর জঙ্গিদের খাওয়াত বিরিয়ানি।” প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমলে (Lok Sabha Elections 2024) যে ভারত আবার জগৎ সভায় শ্রেষ্ঠ আসন নিতে যাচ্ছে, এদিন তাও মনে করিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী।

    ‘ভারতের সম্মান বেড়েছে’

    তিনি বলেন, “মোদিজির নেতৃত্বে গোটা বিশ্বের কাছে ভারতের সম্মান বেড়েছে। এখন ভারতে কেউ সন্ত্রাসবাদ, নকশালবাদকে প্রশ্রয় দিতে পারবে না। অন্যদিকে কংগ্রেসের লোকজন চুপচাপ বসে থাকতেন, কিছুই করতে পারতেন না।” আদিত্যনাথ বলেন, “এটাই হল নয়া ভারত। আজকের দিনে যে কোনও ভারতীয় বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে গেলে যোগ্য সম্মান পান। দেশের সীমানা এখন সুরক্ষিত। নকশালবাদ, উগ্রবাদের দিন শেষ হয়েছে।” মোদি জমানায় গত চার বছর ধরে দেশের আশি কোটি মানুষকে যে নিখরচায় রেশন সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে, এদিন তারও উল্লেখ করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিষেবা আরও পাঁচ বছর মিলবে বলেও আশ্বাস দেন আদিত্যনাথ।

    আরও পড়ুুন: পদ্মকাননে মাধবীলতা! কে এই মহীয়সী, যাঁর প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ মোদি?

    কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে বিজেপির এই তারকা প্রচারক বলেন, “কংগ্রেস সরকারের আমলে কোনও নীতি ছিল না, নেতা ছিলেন না, সিদ্ধান্তও ছিল না। কিন্তু মোদি সরকারের আমলে দেশে গরিবদের জন্য প্রকল্পের কোনও অভাব নেই।” কংগ্রেসই যে দেশের ‘বড় সমস্যা’ সেকথা মনে করিয়ে দেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী। বলেন, “কংগ্রেসের ডিএনএতে রয়েছে কারফিউ জারি করা।” রাম মন্দিরের প্রসঙ্গ টেনে আদিত্যনাথ বলেন, “কংগ্রেস কোনও কালে অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ করতে পারত না। তারা বলত রামের কোনও অস্তিত্বই নেই। ভরতপুরের পর রয়েছে মথুরা, বৃন্দাবল, গোকুল, বর্ষণা, নন্দগাঁও এবং গোবর্ধন। তার পরেও কংগ্রেস বলছে ভগবান কৃষ্ণ বলে কেউ ছিলেন না। কংগ্রেস আমাদের ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে নিয়েই প্রশ্ন তুলেছে (Lok Sabha Elections 2024)।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ’’, ছত্তিশগড়ের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    PM Modi News: ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ’’, ছত্তিশগড়ের জনসভায় তোপ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাম মন্দির ইস্যুতে কংগ্রেসকে তীব্র আক্রমণ করলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News)। ছত্তিশগড়ের জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাম মন্দিরের নির্মাণে কংগ্রেস ক্রুদ্ধ।’’ প্রধানমন্ত্রী সোমবারই তাঁর ভাষণে বলেন, ‘‘রামনবমী খুব বেশি দূরে নয়। চলতি বছরের রামনবমী এমন সময় অনুষ্ঠিত হচ্ছে যখন রামলালা তাঁবুর বদলে মন্দিরে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। ৫০০ বছর পরে আমাদের এই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। তাই খুব স্বাভাবিকভাবেই ছত্তিশগড়ের ননীহালের (ননীহালকে রামচন্দ্রের মামা বাড়ি মানা হয়) সবথেকে বেশি খুশি হওয়ার কথা।’’ গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ শানিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আরও কটাক্ষ, ‘‘কংগ্রেসের র‌য়াল ফ্যামিলি রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণপত্র পর্যন্ত প্রত্যাখ্যান করেছে।’’

    বস্তারের জনসভা

    সোমবারে ছত্তিশগড়ের বস্তারে (PM Modi News) সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং সেখানে এই কথাগুলি তাঁকে বলতে শোনা যায়। প্রসঙ্গত, বস্তারে ভোট রয়েছে প্রথম দফাতেই। তা হল ১৯ এপ্রিল। প্রধানমন্ত্রী এদিন আরও দাবি করেন, রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বয়কট করাতে এটা প্রমাণিত হচ্ছে যে কংগ্রেস কোন পর্যায়ে তোষণ নীতিতে পৌঁছেছে। কংগ্রেস যে নির্বাচনী ইস্তাহার প্রকাশ করেছে তা বাস্তবিক পক্ষের মুসলিম লিগের ইস্তাহার।’’ প্রধানমন্ত্রী মোদি (PM Modi News) এদিন আরও দাবি করেন, ‘‘যাঁরা যাঁরা সেদিনকার রাম মন্দিরের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অংশগ্রহণ করেছেন, তাঁদের প্রত্যেককে কংগ্রেস পার্টি থেকে বহিষ্কার করেছে।’’

    দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হবে

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi News) এদিন কংগ্রেসকে আক্রমণের ঝাঁঝ বাড়িয়ে আরও বলেন, ‘‘কংগ্রেস মনে করত যে তাদের কাছে দেশবাসীকে লুট করা লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে মোদি সেই লাইসেন্সকে ক্যানসেল করে দিয়েছে। মোদি সেই ক্ষমতা পেয়েছে, তার কারণ মোদিকে সেই লাইসেন্স দিয়েছে দেশের জনগণ।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘মোদির জন্য ভারতই হল পরিবার। আমি সর্বদাই ব্যস্ত থাকি, আমার দেশকে রক্ষা করার জন্য। আমি যদি বলি যে দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে হবে, তারা তখন বলে যে দুর্নীতিকে বাঁচাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share