Author: user

  • Bhupatinagar Case: প্ররোচনা ছাড়াই সেদিন হামলা হয়েছিল ভূপতিনগরে, বিবৃতি দিয়ে জানাল এনআইএ

    Bhupatinagar Case: প্ররোচনা ছাড়াই সেদিন হামলা হয়েছিল ভূপতিনগরে, বিবৃতি দিয়ে জানাল এনআইএ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই সেদিন হামলা হয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের ওপর। রবিবার প্রেস (Bhupatinagar Case) রিলিজে একথা জানাল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা, সংক্ষেপে এনআইএ। ২০২২ সালের ডিসেম্বরের এক সকালে আচমকাই বিস্ফোরণ ঘটে পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে।

    এনআইএর ওপর হামলা (Bhupatinagar Case)

    বিস্ফোরণের অভিঘাতে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় চারজনের। এঁরা হলেন তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তাঁর ভাই দেবকুমার ও জনৈক বিশ্বজিৎ গায়েনের। আরও একজনের পরিচয় মেলেনি। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতার। এঁদের মধ্যে দুজনের খোঁজে শনিবার তল্লাশিতে যান এনআইএর আধিকারিকরা। অভিযোগ, এর পরেই সন্দেশখালির কায়দায় তাঁদের ওপর (Bhupatinagar Case) হামলা চালায় স্থানীয়দের একাংশ। যারা এলাকায় তৃণমূল কর্মী-সমর্থক হিসেবেই পরিচিত। হামলায় জখম হন এনআইএর তদন্তকারীরা। ভেঙে দেওয়া হয় তাঁদের গাড়ির কাচ।

    গ্রেফতার ২ তৃণমূল নেতা

    পরে এলাকার পাঁচ জায়গায় হানা দিয়ে গ্রেফতার করা হয় বলাই মাইতি ও মনোব্রত জানা নামে তৃণমূলের দুই অভিযুক্তকে। এনআইএর দাবি, বিস্ফোরণকাণ্ডের মূল চক্রী এঁরাই। এনআইএর তরফে জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, বোমা তৈরির ষড়যন্ত্র করেছিলেন বলাই ও মনোব্রত। এলাকায় আতঙ্ক ছড়াতেই ঘটানো হয়েছিল বিস্ফোরণ। তাঁদের ধরতে গিয়েই বিনা প্ররোচনায় হামলা চালানো হয় এনআইএর আধিকারিকদের ওপর। বাধা দেওয়া হয় কর্তব্য করতে। রাজ্যের আর পাঁচটা ঘটনার মতো ভূপতিনগরকাণ্ডেও বিজেপির হাত দেখতে পান তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তরবঙ্গে বসেই তিনি দাবি করেন, বিজেপির হয়ে কাজ করছে এনআইএ। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতাদের ধরতে সাত সকালে গিয়েছিল এনআইএ।

    আরও পড়ুুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    অথচ মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন করলেন, “কেন তাঁরা (এনআইএর আধিকারিকরা) মধ্যরাতে অভিযানে গিয়েছিল? তাঁদের কাছে কী পুলিশের অনুমতি ছিল? স্থানীয়রা ভেবেছেন বহিরাগত কেউ মধ্যরাতে এসেছে। তাই ওই রকম প্রতিক্রিয়া করেছেন। ঠিক নির্বাচনের আগে আগেই কেন তারা লোকজনকে গ্রেফতার করছে? বিজেপি কী মনে করে, তারা তৃণমূলের প্রত্যেক বুথ এজেন্টকে গ্রেফতার করবে? এনআইএর কী আধিকার আছে? তারা এসবই করছে বিজেপির মদতে। বিজেপির এই নোংরা রাজনীতির কথা আমরা গোটা বিশ্বকে জানাতে চাই।”মুখ্যমন্ত্রীর এহেন প্রতিক্রিয়ার প্রেক্ষিতেই এনআইএ জানিয়ে দিল, কোনওরকম প্ররোচনা ছাড়াই হামলা হয়েছে তাদের আধিকারিকদের ওপর (Bhupatinagar Case)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  WhatsappFacebookTwitterTelegram এবং Google News পেজ।

     

  • Narendra Modi: মোদিকে দেখতে জনজোয়ার, মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

    Narendra Modi: মোদিকে দেখতে জনজোয়ার, মহিলাদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আসলেন, দেখলেন, সকলের মন জয় করলেন  প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রবিবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির ময়নাতলিতে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা ছিল। তাঁর জনসভাকে কেন্দ্র করে জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল ময়নাতলির মাঠ। এদিন প্রধানমন্ত্রীকে দেখার জন্য সকাল থেকেই অপেক্ষা ছিলেন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

    মহিলাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো (Narendra Modi)

    সভায় উপস্থিত মানুষের মধ্যে একটা বিরাট অংশ দখল করেছিলেন মহিলারা। কেউ মোদির (Narendra Modi) ছবি নিয়ে, তো কেউ আবার দলীয় প্রতীক নিয়ে এসেছিলেন। শুধু তাঁকে একবার দেখার জন্য তীব্র গরমকে উপেক্ষা করে প্রচুর মানুষ এদিন সকাল থেকেই সভাস্থলে ভিড় জমাতে থাকেন। বেলা যত বেড়েছে, ভিড় তত বেডেছে। একটা সময় সাধারণ মানুষের ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশকে। বেলা তিনটে নাগাদ নরেন্দ্র মোদি সভাস্থলে এসে পোঁছান। আর তিনি সভা মঞ্চে পৌঁছতেই সভায় উপস্থিত সকলেই “জয় শ্রীরাম” ধ্বনি এবং “মোদিজি জিন্দাবাদ” ধ্বনি দিয়ে তাকে স্বাগত জানান। মোদিও তাঁদের সকলকে প্রনাম জানিয়েছেন। প্রায় দুলক্ষ মানুষের ভিড়ে ঠাসা সভাস্থলে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রথমেই তিনি বার্ণিশের ঝড়ে মৃত পরিবারগুলির প্রতি শ্রদ্ধা ও সমবেদনা জানান। এরপর তিনি বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের বেশ কিছু দুর্নীতির কথা তুলে ধরেন। প্রথমেই সন্দেশখালির ঘটনা তুলে ধরে তিনি বলেন, এই ধরনের জঘন্য কাজ যারা ঘটিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও পড়ুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মোদির ভাষণ শুনতে জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন

    প্রধানমন্ত্রীকে (Narendra Modi) সামনে থেকে দেখার জন্য বক্তব্যের মাঝেই মাঠের বেরিকেড ভেঙ্গে প্রচুর মানুষ সভাস্থলে ঢুকে পড়েন। তাদের সামলাতে পুলিশকে বেশ নাকাল হতে হয়। মানুষের উচ্ছ্বাস এমন জায়গায় পৌঁছায় যে পুলিশ তাদের ঢোকার বিষয়টিতে হাল ছেড়ে দেয়। কাতারে কাতারে মানুষ সভাস্থলে প্রবেশ করে যা সামলানো পুলিশের পক্ষে সম্ভব হয়নি। একদিকে সভাস্থল অন্যদিকে সভাস্থলের পাশে জাতীয় সড়কে প্রচুর মানুষ দাঁড়িয়ে পড়েন মোদির ভাষণ শোনার জন্য। প্রায় আধ ঘণ্টা মোদি তাঁর বক্তব্য রাখেন। তার বক্তৃতা চলাকালীন  কিছু প্রশ্ন তিনি সভায় আসা মানুষদের দিকে ছুড়ে দেন। যেমন সন্দেশখালির অপরাধীদের শাস্তি হওয়া উচিৎ কিনা? তার প্রত্যুত্তরে সভায় উপস্থিত মহিলারা বলেন দোষীদের শাস্তি দেওয়া উচিৎ। দলের প্রার্থীদের ভোট দিয়ে জেতানোর আহ্বান জানালে সভায় উপস্থিত দলের নেতা কর্মী সকলে সমস্বরে সম্মতি জানান তাঁরা। প্রায় আধঘন্টা বক্তব্য জুড়েই ছিল রাজ্য সরকারের অসহযোগীতার কথা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    Bhupatinagar Blast: বিস্ফোরণকাণ্ডে তদন্তকারীদের আতস কাচের নীচে তৃণমূল নেতাদের কল রেকর্ড 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভূপতিনগর বিস্ফোরণকাণ্ডে (Bhupatinagar Blast) এবার নিহত তৃণমূল (TMC) নেতার কল ডিটেলস-এর দিকে নজর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ-র(NIA)। বিস্ফোরণে মৃত তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না সহ আরও দুজনের মোবাইল ফোনের কল রেকর্ড খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই তালিকায় রয়েছেন এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় আটক বলাই মাইতি এবং মনোব্রত জানা।

    ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল? (Bhupatinagar Blast)

    ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভূপতিনগরে (Bhupatinagar Blast) ভয়াবহ বিষ্ফোরণ হয়েছিল। বোমা বাঁধতে গিয়ে বিষ্ফোরণ হয় বলে জানা যায়। মৃত্যু হয়েছিল রাজকুমার ও তার ভাই দেবকুমার ও বিশ্বজিৎ গায়েনের। মৃত্যু হয়েছিল আরও একাধিক মানুষের। বিষ্ফোরণের ভয়াবহতায় বাড়ির ছাদ উড়ে যায়। ছিন্নভিন্ন দেহ ছিটকে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েক ফুট দূরের পুকুরে। বোমা বাঁধার আগে রাজকুমার মান্নার সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর কথা হয়েছিল, এমন একাধিক প্রমাণ (Bhupatinagar Blast) এসেছে তদন্তকারীদের হাতে। ২ ডিসেম্বর কী নিয়ে কথা হয়েছিল রাজকুমারের সঙ্গে বলাই ও মনোব্রতর, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। তা জানতেই কল ডিটেলস খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা। কল ডিটেলসের সঙ্গে তদন্তকারীরা অভিযুক্তদের বয়ান মিলিয়ে দেখতে চান। কার নির্দেশে রাজকুমার তৈরি করছিলেন, বোমা তৈরির কাঁচামাল কারা দিয়েছিল, কাদের কাছে বোমা পৌঁছে দেওয়ার বরাত ছিল, সেই সব বিষয় বিস্তারিত খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বলাই ও মনোব্রতকে দফায় দফায় জেরা করা হচ্ছে।

    পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল (Bhupatinagar Blast) 

    প্রসঙ্গত আদালতের নির্দেশে এই মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে এনআইএ। কিন্তু আদালতে নির্দেশে যে তদন্ত হচ্ছে, তাতেও রাজনৈতিক রঙ লাগানোর চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে কটাক্ষ করেছেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে গ্রামবাসীদের হামলার মুখে পড়েছেন তদন্তকারীরা। এনআই এ-র উপরে হামলা চালানো হয় সন্দেশখালির কায়দায়। মারধরের পর পুলিশে অভিযোগ জানান তদন্তকারীরা। তদন্তকারীদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে পুলিশ। শ্লীলতাহানি সহ একাধিক ধারায় এনআইএ’র আধিকারিকদের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তে বাধা দেওয়ার পাশাপাশি তাদের উপর পাল্টা চাপ সৃষ্টি করার কৌশল নিয়েছে রাজ্য প্রশাসন, এমনটাই অভিযোগ বিজেপির (Bhupatinagar Blast)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    Narendra Modi: নির্বাচনে প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন জানালেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:“এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া দরকার।” রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ির জনসভা থেকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। এদিন সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেন মোদি। সভায় উপস্থিত সাধারণ মানুষের কাছে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য আবেদন জানান তিনি। পাশাপাশি কিছুদিন আগেই উত্তরবঙ্গে মিনি টর্নেডো হয়ে গিয়েছে। একাধিক প্রাণহানির খবর এসেছে। এদিন বক্তব্যের শুরুতেই স্বজনহারাদের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দেন মোদি। তিনি বলেন, ‘ঝড়ে অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যাঁরা প্রিয়জনদের হারিয়েছেন, তাঁদের প্রতি আমার সমবেদনা জানাই। আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করি।’

    প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করার আবেদন (Narendra Modi)

    এদিন দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বলেন, “আমরা সাধারণ মানুষের কাছে সরাসরি টাকা পৌঁচ্ছে দিতে চাই। আর তৃণমূল বলছে, ওদের কাছে টাকা দিতে হবে। ওরা টাকা লুট করবে। আমরা এটা তো মেনে নেব না। এই রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি করেছে। রেশনে দুর্নীতি হয়েছে। দুর্নীতি মামলায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা বাজেয়াপ্ত করেছে ইডি। আমি পরামর্শ নিচ্ছি, কী ভাবে ওই টাকা বঞ্চিতদের ফেরত দেওয়া যায়। শিক্ষকের চাকরির জন্য গরিব মানুষেরা টাকা দিয়েছেন। আমি ওঁদের টাকা ফেরত দেব।” এরপর তিনি জনগনের উদ্দেশে তিনি বলেন, “এই ভোটে তৃণমূলকে শিক্ষা দেওয়া খুব জরুরি। প্রতিটি বুথে তৃণমূলের জামানত জব্দ করতে হবে। প্রতিটি বুথে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিন। কোনও ভয় পাবেন না।”

    আরও পড়ুন: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    চা শিল্প নিয়ে তৃণমূলকে তোপ মোদির

    উত্তরবঙ্গে চা শিল্প নষ্ট হওয়ার জন্য তৃণমূলকে কাঠগড়ায় দাঁড়় করান প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi)। তিনি বলেন, উত্তরবঙ্গে ছোট-বড় তৃণমূল নেতারা বাংলোয় থাকেন। আর চা শ্রমিকদের কোনও সুবিধা নেই। এই তৃণমূলের জমানায় একের পর এক চা কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এরপর তিনি বলেন,সবাইকে সঙ্গে নিয়ে, সবার বিশ্বাস জিতে, সবার উন্নয়ন করাই বিজেপির লক্ষ্য। এটাই তো বিকশিত ভারতের সংকল্প। এই সংকল্পের জন্য আজ প্রত্যেক ভারতীয় সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। বিকশিত ভারতের স্বপ্নপূরণের জন্য আমার প্রতি মুহূর্ত দেশের জন্য সঁপে দিয়েছি। সেই জন্য আমি সর্বক্ষণ ২০৪৭ সালের কথা মাথায় রেখে কাজ করছি।’ তিনি বলেন, বিজেপি সরকার জি-২০-র বৈঠকের জন্য উত্তরবঙ্গকে এই কারণেই বেছে নিয়েছিল, যাতে এই এলাকাকে আন্তর্জাতিক পর্যটন মানচিত্রে জায়গা পেয়ে যায়। কেন্দ্রীয় সরকার এখানে চওড়া রাস্তা বানাচ্ছে, রেল যোগাযোগ উন্নত করছে। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনকে আধুনিক রূপ দেওয়ার জন্যও জোরকদমে কাজ চলছে। এই সব উদ্যোগের মধ্য দিয়েই নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    Bhupatinagar Incident: ভূপতিনগরকাণ্ডে রিপোর্ট চাইলেন রাজ্যপাল, ৩ তৃণমূল নেতাকে তলব এনআইএ-র

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এনআইএ-র ওপর হামলার ঘটনায় ক্ষুব্ধ রাজ্যপাল। তিনি এই ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট তলব করলেন। শনিবার রাতে এনআইএ-র শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস ( C.V. Anand Bose)। সেদিন সকালে ঘটনাস্থলে এনআইএ-র (NIA) আধিকারিকদের সঙ্গে ঠিক কী ঘটেছিল, কীভাবে হামলা হল, হামলার সময় কতজন মানুষ ওখানে ছিল, তার বিস্তারিত বর্ণনা শোনেন তিনি। কেন আধিকারিকরা সেখানে গিয়েছিলেন, সেই সম্পর্কেও জানতে চান রাজ্যপাল। রাজভবন (Governer’s House) সূত্রে খবর, পুরো বিষয় জানার পর রাজ্যপাল সম্পূর্ণ রিপোর্ট তলব করেছেন।

    সেদিন কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত ভূপতিনগর (Vupatinagar Blast) বিস্ফোরণকাণ্ডে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করতে গিয়ে শনিবার সকালে হামলার মুখে পড়েন এনআইএ আধিকারিকরা। তাঁদের গাড়ির কাচ ভেঙে দেওয়া হয়। এক এনআইএ আধিকারিকের উপর লাঠি নিয়ে হামলা করা হয়। সেই আধিকারিক এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বলে জানা যায়। ২০২২ সালের ২ ডিসেম্বর ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের ভূপতিনগরে প্রচণ্ড জোরে বিস্ফোরণ হয়। সেই বিস্ফোরণের ভয়াবহতায় কেঁপে উঠেছিল আশপাশের এলাকা। এই ঘটনায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্না, তার ভাই দেবকুমার মান্না ও বিশ্বজিৎ গায়েনের মৃত্যু হয়। মৃত্যু হয়েছিল আরও একজনের। ছিন্নভিন্ন, ঝলসে যাওয়া দেহ উদ্ধার হয়েছিল বাড়ির ছাদ ও কয়েক মিটার দূরের পুকুর থেকে। সেই ঘটনায় মামলা রুজু করেছিল পুলিশ। পরে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্তভার যায় এনআইএ’র কাঁধে।

    ৩ তৃণমূল নেতাকে নোটিশ

    এই ঘটনায় তৃণমূলের জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মানবকুমার পড়েয়া, সুবীর মাইতি ও নবকুমার পান্ডাকে ফের নোটিশ দিল এনআইএ। শনিবার তিনজনের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন এনআইএ আধিকারিকরা। তাদের সোমবার সকালে নিউটাউনের এনআইএ দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আগেও তলব করা হয়েছিল। কিন্তু একবারও তাঁরা হাজিরা দেননি।

    মানহানির মামলার হুমকি জিতেন্দ্রর

    এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এনআইএর কর্মকাণ্ড নিয়ে রাজনৈতিক রঙ দিতে তৎপর। হেমতাবাদের সভা থেকে তিনি বলেন, “হামলা মেয়েরা করেনি, করেছে এনআইএ। গদ্দারটা জানে হারবে। তাই লোকের বাড়িতে লোক পাঠাচ্ছে। তুমি লোকের বাড়িতে ঢুকে যাবে রাতে। তৃণমূলের সব সভাপতিকে এমএলএকে গ্রেফতার করবে। সবাই শাঁখা-পলা পড়ে বসে থাকবে?” প্রসঙ্গত জিতেন্দ্র তিওয়ারির বিরুদ্ধে এক এনআইএ আধিকারিকের বাড়ি গিয়ে নামের তালিকা তুলে দেওয়ার অভিযোগ এনেছিল শাসক দল। দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ তুলেছিলেন, ২৬ মার্চ জিতেন্দ্র তিওয়ারি N.I.A.’র এসপি ধরাম সিং-এর কলকাতার বাড়িতে গিয়ে একটি খাম তুলে দিয়ে এসেছিলেন। জিতেন্দ্র তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “মানহানিকর বক্তব্য রাখা হয়েছে। সাত দিন সময় দিলাম। নিজের বক্তব্য ফেরত না নিলে মানহানিকর মামলা করব।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    Narendra Modi: “আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল”, তোপ মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “দেশের আইন এবং সংবিধানকে তছনছ করছে তৃণমূল।”রবিবার জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়িতে  বিজেপি প্রার্থী জয়ন্ত রায়ের সমর্থনে জনসভা ছিল। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) একথা বলেন। একইসঙ্গে সন্দেশখালিকাণ্ড থেকে পূর্ব মেদিনীপুরে ভূপতিনগরে এনআইএ-এর ওপর হামলর ঘটনা নিয়ে রাজ্যের শাসকদলকে নিশানা করলেন প্রধানমন্ত্রী। কেন কেন বার বার কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর তৃণমূল এভাবে হামলা চালাচ্ছে তা তিনি ব্যাখ্যা দিলেন।

    তোলাবাজদের বাঁচাচ্ছে তৃণমূল (Narendra Modi)

    দলীয় সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এদিন বলেন, রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সিন্ডিকেট রাজ চলছে। এই তোলাবাজদের বাঁচাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানো হচ্ছে। তৃণমূল চায় ওদের গুন্ডাদের সন্ত্রাস করার লাইসেন্স মিলুক। তদন্তকারীরা তদন্ত করতে গেলে ওদের ওপর হামলা করে। অন্যদের দিয়ে হামলা করায়। আইন এবং সংবিধানকে নষ্ট করার দল হচ্ছে তৃণমূল। সন্দেশখালিতে আপনারা দেখেছেন, কী হয়েছে এখানে প্রত্যেক ঘটনায় আদালতকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। সন্দেশখালিতে মা, বোনেদের সঙ্গে যা হয়েছে তা সকলেই জানেন। আপনারাই বলুন, সন্দেশখালির অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি হওয়া প্রয়োজন। ধৃতদের সারা জীবন জেলে কাটানো উচিত নয়?

    আরও পড়ুন: লকেটের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    ভূপতিনগরে ঠিক কী ঘটেছিল?

    প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ভূপতিনগর বিস্ফোরণের মামলার তদন্তে শনিবার ওই এলাকায় যায় এনআইএ। স্থানীয় দুই তৃণমূল নেতাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গাড়িতে তোলার পরেই এনআইএর গাড়িতে হামলা হয় বলে অভিযোগ। শনিবারই ভূপতিনগর থানায় হামলার লিখিত অভিযোগ দায়ের করে এনআইএ। তবে সেই ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। এর আগে একইভাবে ইডি-র ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছিল। তিনজন আধিকারিক জখম হয়েছিলেন। ফলে, বার বার তৃণমূলের বাহিনীর হাতে কেন্দ্রীয় এজেন্সির ওপর হামলা চালানোর ঘটনা প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) ভালোভাবে নেননি তা এদিন তাঁর বক্তব্যে আরও স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। এদিন তাঁর বক্তব্যে বেশিরভাগ সময় তৃণমূলের দুর্নীতি, অপশাসনের বিষয়টি ফুটে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    Indian Railways: কয়েক সেকেন্ডেই পৌঁছে যাবেন এক স্টেশন থেকে অন্য স্টেশনে! জানেন কোথায়?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতীয় রেল বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক, যার মাধ্যমে দেশের প্রায় ৪ কোটি মানুষ প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকেন। এটি বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক চাকরি প্রদানকারী সরকারি সংস্থা। ভারতীয় রেলের (Indian Railways) সঙ্গে এমন অনেক মজার তথ্য রয়েছে, যা জানলে আপনি অবাক হবেন। আজ এমন একটি রেল স্টেশন সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক, যেখানে একটি স্টেশনের মধ্যে লুকিয়ে রয়েছে দুটি স্টেশনের নাম! আসুন, জেনে নেওয়া যাক কোথায় নির্মিত হয়েছে এই অনন্য রেল স্টেশন!

    অন্য রকমের চিত্র (Indian Railways)

    স্টেশন কিন্তু একটাই। কিন্তু স্টেশনের নাম রয়েছে আলাদা আলাদা। ইয়ার্কি বা কল্পনা বলে মনে হচ্ছে তো? না, এই আজব স্টেশনটির নাম বীরভূমের সাঁইথিয়া স্টেশন। খাতায় কলমে বীরভূম জেলায় রয়েছে স্টেশনটি। আর এই স্টেশনে এলেই আপনি দেখতে পাবেন একদম অন্য রকমের চিত্র, যা কিছুটা হলেও আপনাকে বিভ্রান্ত করতে পারে।

    দু সেকেন্ডের মধ্যে এক স্টেশন থেকে অন্যতে

    বীরভূমের এই স্টেশনে এসে দাঁড়িয়ে এক নম্বর প্ল্যাটফর্মে আপনি থাকবেন আহমদপুর জংশন, আবার দু’নম্বর প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে থাকলেই আপনি পৌঁছে যাবেন সোজা সাঁইথিয়া। তবে এই দুটি স্টেশনের দূরত্ব মাত্র দু সেকেন্ডের। তবে একটাই রেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে (Indian Railways) ভিন্ন কেন নাম, এই বিষয়ে যদিও কারও কিছু জানা নেই। তবে বীরভূমের সাঁইথিয়া রেল স্টেশনের এই দুই ভিন্ন নাম কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জনপ্রিয়।

    চর্চা সোশ্যাল মিডিয়ায় (Indian Railways)

    ভারতের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন স্টেশনগুলির মধ্যে একটি এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার সাঁইথিয়া শহরকে রেল-পরিষেবা প্রদান করে। পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া বিভাগের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে রয়েছে স্টেশনটি। এই স্টেশনে প্রতিদিন প্রায় ৬০ টি ট্রেনের আগমন রয়েছে। সাঁইথিয়া জংশন বীরভূম জেলার তৃতীয় ব্যস্ততম রেলওয়ে স্টেশন। তবে এই স্টেশনের দুই ভিন্ন নাম বিভ্রান্ত করছে রেল যাত্রীদের। ওই এলাকার এক স্থানীয় বাসিন্দা চরণ মণ্ডল জানান, তাঁরা প্রত্যেকদিন আসেন এই স্টেশন ঘুরতে। তবে তাঁদের নজরে আসেনি এই বিষয়টি। রেল কর্তৃপক্ষের কোনও এক ভুলের কারণে হয়তো এমন ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছেন সকলেই। তবে বিষয় যাই হোক, বীরভূমের এই স্টেশনকে (Indian Railways) নিয়ে রীতিমতো চর্চা চলছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    Lok Sabha Elections 2024: “ভারত নয়, পাকিস্তানে ভোটের জন্য ইস্তাহার বানিয়েছে কংগ্রেস”, তোপ হিমন্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “ভারত নয়, পাকিস্তানে নির্বাচনের জন্য ইস্তাহার তৈরি করেছে কংগ্রেস।” শনিবার গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টিকে এই ভাষায়ই কটাক্ষ করলেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি (Lok Sabha Elections 2024) নেতা হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। হিমন্তকে পাল্টা দিয়েছে কংগ্রেসও। তাদের বক্তব্য, ধর্মনিরপেক্ষতা নীতি বোঝার ক্ষমতা নেই হিমন্তর। এদিন কংগ্রেসের ইস্তাহার প্রসঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “এটা তোষণের রাজনীতি। এই ইস্তাহার দেখে মনে হচ্ছে, এটা ভারতের জন্য নয়, পাকিস্তানের নির্বাচনের জন্য করা হয়েছে।”

    কী বললেন হিমন্ত? (Lok Sabha Elections 2024)

    তিনি বলেন, “দেশে কোনও ব্যক্তি তিনি হিন্দুই হোন বা মুসলমান, কেউই তিন তালাক ফিরিয়ে আনতে চান না। বাল্যবিবাহ বা বহুগামিতাও সমর্থন করেন না। কিন্তু কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে এরা সমাজকে বিভক্ত করে দেবে।” হিমন্তর আগে এদিন (Lok Sabha Elections 2024) কংগ্রেসের ইস্তাহারকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। তিনি বলেছিলেন, “ইস্তাহারে গুচ্ছ গুচ্ছ মিথ্যা কথা বলে কংগ্রেস নিজেদের মুখোশ খুলে দিয়েছে। প্রতিটি পাতায় ভারতকে বিচ্ছিন্ন করার কথা বলা হয়েছে। স্বাধীনতার আগে মুসলিম লিগের ভাবনার প্রতিফলন রয়েছে এই ইস্তাহারে। এখানে কমিউনিস্ট ও বামপন্থীদের চিন্তাধারার প্রতিফলনও ঘটেছে।”

    ‘অসমের সব আসনেই জয়ী হবে বিজেপি’

    অসমে লোকসভার আসন রয়েছে ১৪টি। সব ক’টিতেই বিজেপি জয়ী হবে বলেও আশাবাদী হিমন্ত। তিনি বলেন, “বিজেপি একটি আন্দোলনের রূপ ধারণ করেছে, যা দেশকে বিশ্বগুরু করে তুলবে।” অসমের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আজ আমাদের দলের প্রতিষ্ঠা দিবস। বিজেপি দেশের জন্য কাজ করেছে। দেশ আমাদের ধর্ম। আমি দলের প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।”

    আরও পড়ুুন: “কংগ্রেসকে শেষ না করা পর্যন্ত থামবেন না রাহুল”, মধ্যপ্রদেশে কটাক্ষ-বাণ রাজনাথের

    এদিকে, এদিনই মধ্যপ্রদেশের ভোপালে কংগ্রেসকে নিশানা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহও। তিনি বলেন, “কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই সব প্রতিশ্রুতির কিছুটাও যদি তারা পূরণ করতে পারত, তাহলে ভারত আজ আরও শক্তিশালী দেশ হত। আমাদের ইস্তাহারপত্র দেখুন। ১৯৮৪ সাল থেকে আমরা রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলে এসেছি। সেই সময় থেকে বিরোধীরা মন্দির তৈরির তারিখ নিয়ে কটাক্ষ ভরা প্রশ্ন করত। তবে এখন অযোধ্যার মন্দিরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন (Lok Sabha Elections 2024) রামলালা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের WhatsappTelegramFacebookTwitter এবং Google News পেজ।  

     

     

  • Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    Bandel Church: ব্যান্ডেল চার্চের জন্য ৭৭৭ বিঘা জমি দিয়েছিলেন শাহজাহান, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার খুব কাছেই হুগলি জেলার এক জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং পিকনিক স্পট ব্যান্ডেল।.এক সময় এখানে আধিপত্য ছিল পর্তুগিজদের। ১৫৩৭ সালে নবাবকে সাহায্য করার বিনিময়ে পর্তুগিজ অ্যাডমিরাল সাম্পাইরো এখানে পর্তুগিজ কলোনি গড়ে তোলার অনুমতি পান। ১৫৭১ সালে তাঁরা এখানে একটি বন্দর গড়ে তুলতে উদ্যোগী হন। ১৫৭৯ তে মুঘল সম্রাট আকবর এখানে পর্তুগিজদের নগর পত্তনের অধিকার দেন এবং ওই একই সময় পর্তুগিজরা এখানে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু করেন। এজন্য তাঁরা গোয়া থেকে অগাস্টিয়ান (Augustian) সন্ন্যাসীদের নিয়ে আসেন। ১৫৯৯ তে নির্মিত হয় এই ‘ব্যান্ডেল চার্চ’ (Bandel Church)। পর্তুগিজদের গড়া রোমান ক্যাথলিক এই চার্চই হল এখানকার প্রধান আকর্ষণ। এটিই হল বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন চার্চ।

    চার্চের জন্য অর্থবরাদ্দ (Bandel Church)

    মুঘলদের আক্রমণের ফলে এই চার্চটির একবার ক্ষতিও হয়। মুঘল সম্রাট শাহজাহানের আদেশে এই চার্চের ফাদার জোয়ান দ্য ক্রুজ (Joan Da Cruz) সহ বেশ কয়েকজন খ্রিষ্টানকে গ্রেফতার করে নিয়ে যাওয়া হয় আগ্রা ফোর্টে। শাহজাহানের আদেশে তাঁদের হাতির পায়ের তলায় পিষে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। কিন্তু বিস্ময়করভাবে ফাদার জোয়ানের জন্য নির্দিষ্ট হাতিটি ফাদারকে পদপিষ্ট না করে তাঁকে পিঠে বসিয়ে সম্রাটের কাছে নিয়ে যায়। সবাইকে অবাক করে দিয়ে হাতিটি এমন আচরণ করে যেন মনে হয় সে সম্রাটের কাছে ফাদারের প্রাণভিক্ষা করছে। হাতিটির হাঁটু মুড়ে ফাদারের এইভাবে প্রাণভিক্ষার চেষ্টা দেখে সম্রাটের হৃদয় উদ্বেলিত হয়ে ওঠে এবং তিনি ফাদারসহ বাকি বন্দিদেরও মুক্তি দেন। শুধু তাই নয়, তিনি চার্চটিকে সংস্কার করার জন্য বেশ কিছু অর্থ বরাদ্দ করেন এবং ৭৭৭ বিঘা জমি দেন চার্চের জন্য ১৬৩৩ সালে (Bandel Church)।

    দেখার আছে অনেক কিছুই

    চার্চটির সামনের অংশ গ্রিসের ডোরিক স্থাপত্যে নির্মিত। ভিতরে যিশুর জীবনের বিভিন্ন আখ্যান তুলে ধরা হয়েছে পেইন্টিংয়ে। এই অসাধারণ স্থাপত্য এবং শিল্পকর্ম উৎসর্গ করা হয়েছে নোসা সেনোরা ডি রোজারিওকে। কাঁচের পাত্রে রাখা আছে তাঁর মুর্তি। এর পাশেই মা মেরির আবির্ভাবস্থানে ১৮৫৮ সালে লুর্ভের রেপ্লিকার অনুকরণে গুহা তৈরি করা হয়েছে। ১৯৮৮ সালে এই চার্চকে ব্যাসিলিকা বা ঈশ্বরের প্রাসাদ (Bandel Church) হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। ১৯৪৯ সালের ২৮ অক্টোবর এই চার্চের ৩৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে গঙ্গার তীরে মা মেরির স্মরণে গড়ে তোলা হয়েছে ‘ক্রশ মেমোরিয়াল অল্টার’। এছাড়াও এখানে অন্যতম দ্রষ্টব্য প্রার্থনা গৃহ, সমাধি, একটি সুবিশাল জাহাজের হাল প্রভৃতি। আর আছে গঙ্গার অপরূপ মোহময়ী রূপ। ইচ্ছে হলে বা হাতে সময় থাকলে ঘুরে নিতে পারেন নিকটবর্তী ইমামবাড়া। ১৮৬১ সালে দানবীর হাজি মোহম্মদ মহসিন প্রায় ৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই মার্বেল পাথরের অপূর্ব সৌধটি নির্মাণ করেন। দেখে নিন সূর্য ঘড়ি এবং ৩৫ মিটার উঁচু ক্লক টাওয়ারটিও।

    যাবেন কীভাবে? (Bandel Church)

    যাতায়াত-হাওড়া স্টেশন থেকে ঘন্টায় ঘন্টায় ট্রেন যাচ্ছে ব্যান্ডেল। দূরত্ব প্রায় ৪০ কিমি। এখানে থাকার খুব একটা প্রয়োজন পড়ে না। কলকাতা থেকে সকালে এসে সারা দিন ঘুরে আবার সন্ধ্যায় ফিরে যাওয়া যায় কলকাতায়। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

  • Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    Balurghat: রক্তক্ষরণ অব্যাহত বামেদের, এসএফআইয়ের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিজেপিতে   

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘুরে দাঁড়ানো দূরের কথা, উঠে দাঁড়ানোই কষ্টকর হয়ে যাচ্ছে বামেদের পক্ষে। তাদের রক্তক্ষরণ অব্যাহত। ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখা অসম্ভব হয়ে দাঁড়াচ্ছে লাল পতাকাধারীদের। একদিকে জোট নিয়ে জটিলতা, অন্যদিকে কর্মীরা দল ছেড়ে অন্য দলে যোগ দিচ্ছেন। এবার এসএফআইয়ের (SFI) প্রাক্তন জেলা সভাপতি তথা সিপিআইএমের (CPIM) জেলা কমিটির সদস্য সুরজিৎ সরকার দলবল সহ যোগ দিলেন বিজেপিতে। বালুরঘাটের (Balurghat) বিজেপি (BJP) জেলা কার্যালয়ে এই যোগদান পর্ব আয়োজিত হয়।

    সুকান্তের উন্নয়নেই আকৃষ্ট হয়ে দলত্যাগ (Balurghat)

    দল ছাড়ার পর সিপিএমের তরফে দাবি করা হয়, সুরজিৎ সরকারকে বহিষ্কার করা হয়েছে। কেউ দল ছেড়ে অন্য দলে গেলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে বহিষ্কারের রেওয়াজ রয়েছে সিপিএমে। দলের তরফে যোগদানকারীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী। ছিলেন জেলার সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার সহ অন্যান্য বিজেপি নেতারাও। প্রসঙ্গত এই লোকসভা আসনে বালুরঘাট থেকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনিই এলাকার বর্তমান সাংসদ। যোগদানকারীদের দাবি, সুকান্ত মজুমদার যেভাবে বালুরঘাট জুড়ে উন্নয়ন করেছেন, তা দেখেই আকৃষ্ট হয়েছেন সুরজিৎ সরকার।

    বিজেপির সংগঠন মজবুত হল (Balurghat)

    সুরজিৎ যোগদানপর্ব শেষে বলেন, “সুকান্তবাবু বিরোধী দলে থেকেও নিজের এলাকার উন্নয়ন করতে সক্ষম হয়েছেন। উন্নয়নের ক্ষেত্রে রাজনীতির রং দেখেননি। রাজ্যের শাসকের শত বাধা সত্ত্বেও একের পর এক উন্নয়নমূলক কাজ করে তিনি অন্যদের কাছে উদাহরণ তুলে ধরেছেন। সবেচেয়ে বড় ব্যাপার তিনি সেরা সাংসদের পুরস্কার পেয়েছেন।” প্রসঙ্গত এদিনের যোগদানের ফলে এলাকায় বিজেপির সংগঠন মজবুত হল। অন্যদিকে আঞ্চলিক স্তরে তৃণমূল ও সিপিএমের সংগঠন অনেকটাই ধাক্কা খেল। সব মিলিয়ে ভোটের মুখে এই জেলার চিত্রটা যে অনেকটাই বিজেপির অনুকূলে চলে এল, তা বলাই যায়। যদিও বামেদের দাবি, এতে তাদের কোনও ক্ষতি হবে না। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের  Whatsapp, FacebookTwitter, Telegram এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share