Author: user

  • Jammu and Kashmir: মুসলিম শাসকরা ভেঙেছিলেন, ফের নির্মাণের পথে জম্মু-কাশ্মীরের মার্তন্ড সূর্য মন্দির

    Jammu and Kashmir: মুসলিম শাসকরা ভেঙেছিলেন, ফের নির্মাণের পথে জম্মু-কাশ্মীরের মার্তন্ড সূর্য মন্দির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিল জম্মু-কাশ্মীর সরকার (Jammu and Kashmir)। প্রাচীন মার্তন্ড সূর্য মন্দিরকে পুনরায় স্থাপন করার ঘোষণা করল উপত্যকার প্রশাসন। প্রসঙ্গত, ঐতিহাসিকদের মতে, এই সূর্য মন্দিরকে ধ্বংস করেছিলেন মুসলিম শাসক সিকন্দার বুটসিকান। মনে করা হয় এই মন্দির স্থাপন করেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরের রাজা ললিতাদিত্য। তাঁরও মূর্তি বসছে মন্দির প্রাঙ্গণে। গত ২৭ মার্চ এ সংক্রান্ত একটি আনুষ্ঠানিক বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জম্মু-কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) প্রশাসন। সেই বিজ্ঞপ্তিতে সই করেছেন নীরজ পান্ডে, জম্মু-কাশ্মীরের সরকারের সেক্রেটারি হিসেবে।

    সম্প্রতি মন্দির পরিদর্শন করেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল 

    প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধন হয়। তার আগেই সঙ্ঘ পরিবারের কর্মসূচি অনুযায়ী দেশের প্রতিটি প্রান্তেই পাঠানো হয় অক্ষত চালের কলস। সেই রকমই কলস পাঠানো হয়েছিল অনন্তনাগ জেলার সূর্য মন্দিরের প্রাজ্ঞণে। যেখানে স্থানীয় বাসিন্দারা ছাড়াও তাদের সঙ্গে হাজির ছিলেন উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ুর রামভক্তরা। গত মাসেই কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট জেনারেল মনোজ সিনহা পরিদর্শন করেন মার্তন্ড সূর্য মন্দির (Jammu and Kashmir) এবং সেখানে তাঁকে পুজো করতেও দেখা যায়। তাঁর ভাষণে উঠে আসে শান্তি, অগ্রগতি এবং সমৃদ্ধির কথাও।

    আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মন্দিরের ইতিহাস 

    মনে করা হয়, অষ্টম শতাব্দীতে এই মন্দিরটি তৈরি করা হয়েছিল। ১৩৮৯ থেকে ১৪১৩ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে বেশ কয়েকবার মন্দিরকে ধ্বংস করতে আক্রমণ চালায় মুসলিম শাসকরা (Jammu and Kashmir)। বিশ্বাস, হিন্দু শাসক ললিতাদিত্য এই মার্তন্ড সূর্য মন্দির তৈরি করেছিলেন। তিনি সূর্যের উপাসক ছিলেন। সূর্যবংশীয় রাজা ললিতাদিত্য। মন্দিরের নির্মাণশৈলী সম্পূর্ণভাবে বাস্তুশাস্ত্র মেনে তৈরি করা হয়েছে। সেটি এমন ভাবেই তৈরি করা হয়েছে যে সূর্য মূর্তিতে যেন সূর্যের আলো পড়তে পারে।

    আরও পড়ুন: সুকান্তের সমর্থনে মিছিলে হাঁটলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা, তুলে ধরলেন সন্ত্রাসের কথা

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • IISC: বালির বিকল্পের সন্ধান দিলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা, কী সেই বস্তু?

    IISC: বালির বিকল্পের সন্ধান দিলেন ভারতের বিজ্ঞানীরা, কী সেই বস্তু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বপ্নের ঘর কিংবা মাথা গোঁজার আশ্রয়স্থল। বাড়ি তৈরির অপরিহার্য উপাদান হল সিমেন্ট, লোহার রড, ইট এবং বালি। প্রাকৃতিক সম্পদের মতোই বালি সাধারণভাবে নদীর চরেই মেলে। প্রতিনিয়ত তা যেন অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদের মতোই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠছে। এর পাশাপাশি, বেআইনিভাবে বালি খননের ফলে ভারসাম্য হারাচ্ছে পরিবেশও। বালির বিকল্পের সন্ধানে অনেকদিন ধরেই লেগে ছিলেন বিজ্ঞানী মহল (IISC)। পাওয়া গেল বালির বিকল্প।

    কীভাবে মিলল বালির বিকল্প? 

    বেঙ্গালুরুর ‘ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব সায়েন্স’ বা আইআইএসসি-র (IISC) বিজ্ঞানীরা এমন এক উপাদান তৈরি করতে পেরেছেন, যা নির্মাণকাজে প্রাকৃতিক বালির প্রয়োজন দূর করতে পারে। আইআইএসসি-র ‘সেন্টার ফর সাসটেইনেবল টেকনোলজিস’ (CST)-এর বিজ্ঞানীরা খনন করা মাটি এবং নির্মাণ বর্জ্যে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফ্লু গ্যাস থেকে কার্বন ডাই অক্সাইড সঞ্চয় করার উপায় খুঁজছেন। এই উপাদানই প্রাকৃতিক বালিকে প্রতিস্থাপন করতে ব্যবহার করা যাবে। আইআইএসসি-র গবেষণা টিমটির কথায়, “নির্মাণ সামগ্রীর ফলে পরিবেশের যে ক্ষতি হয়, এতে সেই ক্ষতি অনেকাংশে কমবে। শুধু তাই নয়, কার্বন ডাই অক্সাইড সঞ্চয় করলে নির্মাণ বর্জ্যে এমন এক বৈশিষ্ট্য তৈরি হবে, যা নির্মাণকাজে এই বর্জ্যের ব্যবহার বাড়াতে পারে।”

    আরও খুঁটিনাটি তথ্য

    সিএসটি-র সহকারী অধ্যাপক সৌরদীপ গুপ্তর নেতৃত্বাধীন গবেষণারত টিমটি দেখিয়েছে যে বালির বদলে কার্বন পরিস্রুত নির্মাণ বর্জ্য ব্যবহার (IISC) করা যেতে পারে। এই ধরণের প্রযুক্তি যথেচ্ছ বালি খনন নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে এবং দেশের ডিকার্বনাইসেশনের লক্ষ্যমাত্রা পুরণেও সক্ষম হবে। এই প্রক্রিয়ায় নির্মাণ সামগ্রীর শক্তি ২০ থেকে ২২ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। তাছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণের জন্য, ভারত সরকার কার্বন নির্গমন কমানোর যে লক্ষ্য নিয়েছে, এই পদ্ধতি সেই উদ্যোগেরও সহায়ক। খননের ফলে যে এঁটেল মাটি উঠে আসে, তাতে কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস ইনজেকশনের প্রভাবও পরীক্ষা করেছে। তাঁরা দেখেছেন, এর ফলে সিমেন্ট এবং চুনের উপস্থিতিতে কাদামাটি আরও বেশি স্থিতিশীলতা পায়। কাদামাটির পৃষ্ঠের ক্ষেত্রফল, ছিদ্রের পরিমাণ এবং তাতে চুনের প্রতিক্রিয়াও (IISC) অনেকটা কমে যায়। এর ফলে, নির্মাণ সামগ্রী হিসেবে উপাদানটির কর্মক্ষমতা বাড়ে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dilip Ghosh: ‘দিলীপ কলিযুগের মহিষাসুর’, তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের মন্তব্যে নিন্দার ঝড়

    Dilip Ghosh: ‘দিলীপ কলিযুগের মহিষাসুর’, তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদের মন্তব্যে নিন্দার ঝড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষকে (Dilip Ghosh) কুমন্তব্য করলেন তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ। ‘দিলীপ কলিযুগের মহিষাসুর’ বললেন এই তৃণমূল প্রার্থী। এই মন্তব্যের জেরে তীব্র নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে। উল্লেখ্য ইতিপূর্বে দিলীপ এই তৃণমূল প্রার্থীকে আবার বাংলায় বহিরাগত বলেছিলেন। এই ঘটনার পর বর্ধমানে তৃণমূল-বিজেপির মধ্যে ব্যাপক তর্জা শুরু হয়েছে।

    কী বলেছেন দিলীপকে (Dilip Ghosh)?

    শনিবার নির্বাচনী প্রচারে বেরিয়ে পূর্ব বর্ধমানের কামনাড়ার গৌরকালী বাড়িতে পুজো দিয়েছেন বিজেপির নেতা দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh)। এরপর পুজো দিয়ে মন্দিরের পুরোহিতকে বলেন, “মাকে বলুন যাতে বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সম্মান রাখতে পারি। বহিরাগতদের যেন জামানত বাজেয়াপ্ত হয়। জামা কাপড় যেন রেখে পালিয়ে যায়।” কিন্তু অপর দিকে এদিন মন্তেশ্বরে ভোটের প্রচারে এসে তৃণমূল প্রার্থী কীর্তি আজাদ, দিলীপকে একেবারে অসুরের সঙ্গে তুলনা করে বসেন। তিনি কুমন্তব্য করে বলেন, “এমন মহিষাসুরকে বিজেপির লোক হাসপাতালে পাঠাক। না পাঠালে আমারা চাঁদা তুলে ওঁকে হাসপাতালে পাঠিয়ে চিকিৎসা করাবো। মমতাদিদির তৃণমূল টিম ঐ মহিষাসুরকে ভোটে হারিয়ে বধ করবে।”

    তবুও দিলীপ আত্ম বিশ্বাসী

    এদিন কীর্তি আজাদ দিলীপকে (Dilip Ghosh) উদ্দেশ্য করে আক্রমণ করে আরও বলেন, “দিলীপ ঘোষ এমন ব্যক্তি, যাঁর সমাজে কোনও জায়গা নেই। তিনি মা দুর্গা এবং মমতাদিদিকে অপমান করেছেন। মহিলাদের উনি অপমান করেন। দিলীপ ঘোষ এবং আরএসএস মহিলাদের সম্মান করতে জানেন না।” আগামী ৩১ মে বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভায় ভোটের দিন। ১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেট দলের খেলোয়াড় কীর্তি। তিনি তৃণমূলের হয়ে এই প্রথম এই কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন। অপর দিকে ২০১৯ সালে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছিলেন দিলীপ। এইবার সেই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অগ্নিমিত্রা পল। তবে দিলীপ তাঁর নতুন লড়াইয়ের ময়দানে নিজের জয় নিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী বলে জানা গিয়েছে।

    আরও পড়ুনঃ লোকসভা নির্বাচনের আগে হওড়া স্টেশন থেকে ফের উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল টাকা!

    বিজেপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে জেলার বিজেপি নেতা মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র পাল্টা তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, “তৃণমূল নেতারা বাংলার নারীদের অসম্মান করেন। এই এলাকার মানুষ চিনিয়ে দেবে কে আসল মহিষাসুর। বাংলায় নারী নির্যাতনে তৃণমূল সব সীমাকে ছাপিয়ে গিয়েছে।” আবার তৃণমূল নেতা তথা তৃণমূল মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, “দিলীপ (Dilip Ghosh) খারাপ কথা বলে বাংলার মানুষকে অপমান করে চলেছেন।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: সুকান্তের সমর্থনে মিছিলে হাঁটলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা, তুলে ধরলেন সন্ত্রাসের কথা

    Sukanta Majumdar: সুকান্তের সমর্থনে মিছিলে হাঁটলেন সন্দেশখালির নির্যাতিতারা, তুলে ধরলেন সন্ত্রাসের কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের অপশাসন থেকে মুক্তি চেয়ে সন্দেশখালির নির্যাতিতা মহিলারা বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) সমর্থনে গঙ্গারামপুরে মিছিলে হাঁটলেন। সভায় অংশগ্রহণ করলেন। সমাজের বিশিষ্টজনেদের সামনে তুলে ধরলেন সেখানকার সন্ত্রাসের কথা। শনিবার প্রায় কয়েকশো মানুষকে নিয়ে সেই সভা করলেন বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী। এদিন সুকান্ত মজুমদার সন্দেশখালিকে আফগানিস্তানের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, সেখানকার মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার ছিল না। কিন্তু, সেখানে নতুন সূর্যোদয় হবেই।

    তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী-সমর্থক যোগ দিলেন বিজেপিতে (Sukanta Majumdar)

    এদিনের সভা থেকে তৃণমূলের সহ বিভিন্ন দল থেকে ৪০ জন মানুষ বিজেপিতে যোগদান করেন। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিনের সভা থেকে তৃণমূলের উদ্দেশে সুকান্ত বলেন, ভোটের পর যদি কোনও কর্মীর বাড়িঘর ভাঙচুর বা তাঁদের ওপর অত্যাচার করা হয় তাহলে আপনারাও বুজবেন। আপনারা তো কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করেছেন, আপনাদেরকেও শুধু বাড়ি, জেল,কোর্ট করে দিন কাটাতে হবে। তাই ধমকেচমকে নয়, মানুষ যাকে ভোট দিতে চায় সেখানেই ভোট দিতে দিন। এছাড়া শুক্রবার পতাকা লাগানো কেন্দ্র করে তৃণমূলের হামলায় যে ৩ জন বিজেপি কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, তাদেরকে হাসপাতালে দেখতে যান তিনি।

    আরও পড়ুন: সাইকেল চালিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    সন্দেশখালির সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরা হবে

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar) তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘ গঙ্গারামপুরে সন্দেশখালির মহিলাদের নিয়ে বড় র‍্যালি ও সভা করলাম। সন্দেশখালির মহিলারা পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্টজন ও সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করে তাঁদের অবর্ণনীয় যন্ত্রণা ও অত্যাচারের কথা ব্যাখ্যা তুলে ধরলো। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের নাম করে মহিলাদের ইজ্জত কিনতে চায় তৃণমূল নেতারা। এটা আমরা হতে দেব না। আমরা আটকাব।’ এছাড়া তৃণমূল সহ বিভিন্ন দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছেন। শুক্রবার আমাদের যে কর্মীরা আহত হন তাদেরকে আমি দেখতে গিয়েছিলাম। তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিলাম। এই বিষয়ে সন্দেশখালি মহিলা পদ্মা মণ্ডল বলেন, গোটা রাজ্য সন্দেশখালি হয়ে রয়েছে। আমরা গোটা রাজ্যে বিজেপির প্রার্থীদের হয়ে প্রচারে যাব। সন্দেশখালির সন্ত্রাসের কথা তুলে ধরবো।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: “আত্মোৎসর্গ থেকেই শক্তি পাই”, গেটসের কাছে ‘রহস্য’ ফাঁস করলেন মোদি

    PM Modi: “আত্মোৎসর্গ থেকেই শক্তি পাই”, গেটসের কাছে ‘রহস্য’ ফাঁস করলেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “অল্প বিশ্রামেই চাঙা হয়ে যাই। আমার শরীর তৈরি এভাবেই।” হাসতে হাসতে জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। যাঁকে জবাবটা দিলেন, তিনিও বিশ্বখ্যাত ব্যক্তিত্ব, মাইক্রেসফটের সহ প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস।

    ফিট থাকার কৌশল (PM Modi)

    বিশ্বের সব চেয়ে পরিশ্রমী নেতাদের একজন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিল গেটসের সঙ্গে সাক্ষাৎকার পর্বে প্রধানমন্ত্রীর ফিট থাকার কৌশল জানতে চান মাইক্রেসফট কর্তা। এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমি অটোপাইলট মোডে বিশ্রাম নিয়ে নিই। শারীরিক শক্তি থেকে এই এনার্জি আসে না। আত্মোৎসর্গ ও আবেগ থেকে আসে এই এনার্জি। আমার কাজই আমাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। আমার শরীর সেই ভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছে। গভীর রাত পর্যন্ত পড়াশোনা করি। তারপর ভোরে উঠে পড়ি। বিশ্রামের জন্য আলাদা করে আর সময় বের করতে হয় না।” এর পরেই তিনি (PM Modi) বলেন, “অটোপাইলট মোডেই বিশ্রাম হয়ে যায়।”

    প্রধানমন্ত্রীর ডেইলি রুটিন

    শরীরের ফিটনেস প্রসঙ্গে তাঁর হিমালয়ে কাটানো দিনগুলির কথা স্মরণ করিয়ে দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “হিমালয়ে কাটানোর সময় ব্রাহ্ম মুহূর্তে স্নান করতাম আমি। এখনও সেই অভ্যাসই রয়ে গিয়েছে আমার। ভোর ৩টে ২০ থেকে ৩টে ৪০ মিনিটের মধ্যে স্নান করে সারাদিনের জন্য তৈরি হয়ে যাই। এই নিয়মানুবর্তিতাই আমার শরীরকে মজবুত করেছে।” প্রধানমন্ত্রীর কথায় উঠে এসেছে মিলেট প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, “মিলেট স্বাস্থ্যগুণে ভরপুর। আন্তর্জাতিক মানের সংস্থাও এই ধরনের শস্য দিয়ে তৈরি খাবার বিক্রি করছে। মিলেট জাতীয় শস্য শুষ্ক মাটিতেও চাষ করা যায়। এজন্য সার লাগে না। ফলে চাষের দিক থেকেও সুবিধাজনক মিলেট।”

    আরও পড়ুুন: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, প্রতিপক্ষ হিসাবে কাউকে ভাবছি না”, বললেন অমৃতা রায়

    কৃত্রিম বুদ্ধমত্তা (এআই) নিয়েও কথা হয় মোদি ও গেটসের মধ্যে। এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জি২০ সম্মেলনে তাঁর বক্তৃতাকে বিভিন্ন ভাষায় অনুবাদ করায় সুবিধা হয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এআইয়ের সাহায্যে ডিপফেক ছবি তৈরি করা হচ্ছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী। এই প্রযুক্তির অপব্যবহারের মোকাবিলায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানও জানান তিনি। বিশ্বে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য কিছু নিয়ম নির্ধারণ করা উচিত বলেও মনে করেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     

       

  • Malda: মানিকচকের হাটে অভিনব প্রচারে বিজেপি প্রার্থী, সবজি বিক্রি করে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    Malda: মানিকচকের হাটে অভিনব প্রচারে বিজেপি প্রার্থী, সবজি বিক্রি করে নজর কাড়লেন শ্রীরূপা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ মালদা (Malda) লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী শনিবার দুপুরে মানিকচক ব্লকের মথুরাপুর হাটে এক অভিনব নির্বাচনী ভোট প্রচারে অংশ গ্রহণ করলেন। হাটে তিনি নিজের হাতে সবজি বিক্রি ও মাটির সামগ্রিক বিক্রি করেন। শুধু তাই নয় দলীয় কর্মী নেতৃত্বদের নিয়ে চায়ের দোকানে নিজের হাতে চা বানিয়ে চায়ে পে চর্চা করতেও দেখা যায়। আসন্ন লোকসভার ভোটে এই অভিনব প্রচারে এলাকার ভোটারদের নজর কাড়লেন তিনি। এলাকায় ব্যাপক সাড়া বলে দাবি বিজেপির।

    হাটে এসে কী বললেন শ্রীরূপা?

    শনিবার দুপুরের মানিকচকের মথরাপুর হাটে এক অভিনব প্রচারে ভোটারদের কাছে গেলেন বিজেপি প্রার্থী। তিনি প্রচারে অংশ নিয়ে বলেন, “গ্রামের হাট হল গ্রামীণ বাংলার আসল চিত্র। কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ এই কথা বলেছেন। এই হাট, গ্রাম বাংলার সচেতনতাকে উপস্থাপন করে। হাটে এলে সমগ্র পৃথিবীকে দেখতে পাই। মানুষ নিজের মনের কথা বলতে পারেন হাটে এসে। মানুষের সুবিধা-অসুবিধাকে প্রকাশ করে থাকেন এই বাজারে। হাটে বেচাকেনা মূল উদ্দেশ্যে নয় মানুষের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তিকে তুলে ধরে মানুষ। আমি আজ এই নির্বাচনী প্রচারের মধ্যে দিয়ে হাট-বাজারের মানুষের মনকে বুঝতে পরেছি। তাঁদের পছন্দ অপছন্দের ভাবকে বুঝতে এসেছি এই হাটে।”

    আরও পড়ুনঃ সরকারি ভবনে তৃণমূলের নির্বাচনী সভা! কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির

    সজনে ডাঁটা বিক্রি করলেন

    এদিন মাণিকচকের (Malda) হাটের সবজির দোকানে শাক-সবজি বিক্রি করতে দেখা যায় মালদা দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্রকে। নিজের হাতে পাল্লা-বাটখারা নিয়ে সজনে ডাঁটা বিক্রি করতে দেখা যায় তাঁকে। নিজেই ক্রেতাদের কাছে সবজি বিক্রি করে হিসেবও করলেন। দোকানে সবজি হিসাবে ছিল ঢেরস, পটল, উচ্ছে, কাঁচা লঙ্কা, শাকপাতা ইত্যাদি। অপর দিকে নিজেই চায়ের দোকানে চা বানিয়ে কর্মীদের চা পান করালেন। একই সঙ্গে চায়ে পে চর্চায় মানুষের সঙ্গে জন সংযোগ করলেন।

    উল্লেখ্য, প্রথম থেকেই নির্বাচনী প্রচারে তিনি দৃষ্টি কেড়েছেন। সীমান্ত এলাকায় ভারত-বাংলাদেশের কাঁটা তারের ওপারে থাকা ভারতীয় পরিবারগুলির জীবন উন্নয়নের বিষয়ে প্রশ্ন তোলেন। পানীয় জল, রেশনের সুবিধা থেকে বঞ্চনার অভিযোগে একাধিক বিষয়ে রাজ্যের শাসক দল এবং কংগ্রেসের সাংসদদের আক্রমণ করেন। তাঁর প্রচার অভিযানে মালদায় বিজেপির প্রচার এখন ব্যাপক জমজমাট।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Santipur: সাইকেল চালিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    Santipur: সাইকেল চালিয়ে চুটিয়ে জনসংযোগ সারলেন বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশকে দূষণমুক্ত করতে হবে। এবার এই বার্তাকে সামনে রেখে সাইকেল চালিয়ে শনিবার ভোট প্রচারে নামলেন রানাঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি-র প্রাক্তন সাংসদ তথা বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এদিন তিনি শান্তিপুর (Santipur) বিধানসভা এলাকায় চুটিয়ে জনসংযোগ সারেন। সঙ্গে ছিলেন কয়েকশো কর্মী-সমর্থক।

    বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে (Santipur)

    এই রানাঘাট কেন্দ্র থেকে গত ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সবথেকে বেশি ব্যবধানে জয়ী হন বিজেপি প্রার্থী। এবারে তার প্রধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল প্রার্থী মুকুটমণি অধিকারী। তিনি গত বিধানসভায় বিজেপির প্রার্থী হয়ে জয়লাভ করেছিলেন। কিন্তু, বিজেপির তরফে তাঁকে লোকসভার টিকিট না দেওয়ার কারণেই তৃণমূলে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে এই মুকুটমণি অধিকারীকে রানাঘাট কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে। যে কারণে গত বারের নির্বাচন থেকে এ বছরের রানাঘাট কেন্দ্রে নির্বাচন অনেকটাই কঠিন হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। তবে, এই বিষয়ে পাত্তা দিতে নারাজ বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। গতবারের মতো এবারও বিজেপি প্রার্থীকে নিয়ে কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষের উন্মাদনা রয়েছে তুঙ্গে।

    আরও পড়ুন: ভোটের আগেই উত্তপ্ত ক্যানিং, বিজেপির কর্মীদের ব্যাপক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    এদিন ভোট প্রচারের মধ্যে দিয়ে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকার বলেন, আমি গ্রামের ছেলে। মাঠে যেমন লাঙল চালাতে পারি, চাষও করতে পারি। আবার সঠিক সময়ে কলমও চালাতে পারি। আজ দীর্ঘদিনের পুরনো অভ্যাসকে একটু শান দেওয়ার জন্য সাইকেল চালিয়ে প্রচার করলাম। এতে করে একদিকে যেমন দূষণ মুক্ত হচ্ছে পরিবেশ, অন্যদিকে স্বাস্থ্য ভালো থাকার এক অন্য উপায়। তবে, ধীরে ধীরে সাইকেল চালিয়ে বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা অতিক্রম করে ভোট প্রচার করেন প্রার্থী জগন্নাথ সরকার। এরপর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে শান্তিপুর (Santipur) বিধানসভা এলাকায় একটি দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন করেন তিনি। সেখানেই লোকসভা নির্বাচনের নিরিখে কর্মী সমর্থকদের মনোবল চাঙ্গা করতে বেশ খানিকটা সময় বক্তব্য রাখেন রানাঘাটের বিজেপি প্রার্থী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: সরকারি ভবনে তৃণমূলের নির্বাচনী সভা! কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির

    Malda: সরকারি ভবনে তৃণমূলের নির্বাচনী সভা! কমিশনের কাছে বিধিভঙ্গের অভিযোগ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সরকারি ভবনে তৃণমূল দলীয় বৈঠক করার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করল বিজেপি। ঘটনা ঘটেছে মালদায় (Malda)। লোকসভার নির্বাচনী বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে বৈঠক করার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মূলত তৃণমূল দলের দলীয় নির্বাচনী বৈঠকের কথা জানা গিয়েছে।

    কীভাবে হল বৈঠক (Malda)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের লোকসভা নির্বাচনের আদর্শ আচরণ বিধি লাগু হওয়ার পরেও শাসক দল নিজেদের নির্বাচনী কাজের জন্য সরকারি গেস্ট হাউসকে ব্যবহার করছে শাসক দল। রাজ্য সরকারের সরকারি দফতর, আধিকারিক এবং প্রশাসনকে তৃণমূলের হয়ে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও তৃণমূলের বক্তব্য সরকারি গেস্ট হাউস এক প্রকার ভাড়া নিয়ে বৈঠক করা হয়েছে। কিন্তু বিজেপির অভিযোগ মালদায় (Malda) তৃণমূল হারার ভয়ে ভোট চুরির কৌশল করছে। তাই বিজেপির জেলা নেতৃত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ করেছে।

    ৪০ জন তৃণমূল নেতা বৈঠক করেন

    গত বৃহস্পতিবার মালদা (Malda) জেলা পরিষদের গেস্ট হাউসে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক হয়েছিল। সেই সময় বৈঠকে হাজির ছিলেন জেলা সভাপতি আবদুল রহিম বক্সি, জেলার ২ প্রার্থী শাহনাওয়াজ আলি রায়হান এবং তৃণমূল প্রার্থী প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে জেলার ৪০ জন নেতা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। দলীয় কাজে প্রশাসনকে কাজে লাগানোর কথা বলে আবদুল রহিমের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলে অভিযোগ করেছে বিজেপি। একই ভাবে উত্তর মালদার বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মু কমিশনে অভিযোগ করেন।

    বিজপির বক্তব্য

    এই বিষয়ে মালদা (Malda) বিজেপি সভাপতি উজ্জ্বল দত্ত বলেন, “গত বৃহস্পতিবার বার্লো স্কুলের উল্টো দিকে জেলা পরিষদের অতিথি নিবাসে তৃণমূলের নির্বাচনী বৈঠক হয়। তৃণমূল সরকারি সম্পত্তিকে দলীয় সম্পত্তি হিসাবে ভাবতে শুরু করেছে। দলের জন্য সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করা ভীষণ অন্যায়।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ঘটনায় তৃণমূল নেতা আবদুল রহিম বক্সি বলেন, “জেলা (Malda) পরিষদের অতিথি নিবাস ভাড়া দেওয়া হয়েছিল আমাদের কাছে। আমরা ভাড়া নিয়ে কাজ করেছি। আমাদের কাছে রসিদ রয়েছে।” পাল্টা বিজেপির দাবি তৃণমূলের রসিদ ভুয়ো।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Krishnanagar: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, প্রতিপক্ষ হিসাবে কাউকে ভাবছি না”, বললেন অমৃতা রায়

    Krishnanagar: “দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই, প্রতিপক্ষ হিসাবে কাউকে ভাবছি না”, বললেন অমৃতা রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে এসেছি, তাই প্রতিপক্ষ হিসাবে কাউকে ভাবছি না। শনিবার প্রচারে নেমে তৃণমূলকে কটাক্ষ করলেন কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) রাজবধূ তথা বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায়ের। এদিন দলীয় কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে কৃষ্ণনগরের পাত্র বাজারে প্রচার করেন রানিমা।

    কৃষ্ণনগরের পাত্র বাজারে জনসংযোগ করলেন বিজেপি প্রার্থী (Krishnanagar)

    বিজেপির প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগেই তৃণমূল তাদের প্রার্থী হিসেবে মহুয়া মৈত্রের নাম ঘোষণা করে। সেই মতো কিছুদিন আগে থেকেই কৃষ্ণনগর (Krishnanagar) লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করছেন মহুয়া। তবে, এদিন বিজেপি প্রার্থীকে রাস্তায় নেমে প্রচার করতে দেখা গেল। কৃষ্ণনগরের পাত্র বাজারে বিভিন্ন দোকানদার এবং ক্রেতাদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বললেন তিনি। তার এই প্রচার অভিযান ঘিরে বিজেপি কর্মীদের উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রানিমা তথা কৃষ্ণনগর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অমৃতা রায় বলেন, মানুষের যা উৎসাহ, উদ্দীপনা দেখছি তাতে আমি খুবই সাহস পেয়েছি। সাধারণ মানুষ বলছেন এবং আমাকে আশীর্বাদ করছেন। আমি নিশ্চিত জয়লাভ করব। আমি এখানে প্রতিপক্ষ হিসেবে কাউকে ভাবছি না। তার কারণ আমি রাজ্যটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি তিনি বলেন, আমার দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং সাধারণ মানুষের পাশে থাকার লড়াই। এরজন্য আমি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে যাব। মানুষ আমার সঙ্গে রয়েছে।

    আরও পড়ুন: ভোটের আগেই উত্তপ্ত ক্যানিং, বিজেপির কর্মীদের ব্যাপক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    এলাকার উন্নয়ন নিয়ে কী বললেন বিজেপি প্রার্থী?

    উন্নয়ন প্রসঙ্গে বিজেপি প্রার্থী বলেন, কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) বেশ কয়েকটি কাজ করার আমার সদিচ্ছা রয়েছে। তার মধ্যে প্রধান বেলেডাঙ্গার ওভারব্রিজ। সেখানে খুব ঘনঘন ট্রেন চলার কারণে সাধারণ মানুষের যাতায়াতের খুব অসুবিধা হয়।। অন্যদিকে তিনি বলেন অঞ্জনা এবং জলঙ্গি নদী দুটোই দিন দিন শেষের দিকে। সাধারণ মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি, এই নদী দুটোকে সংস্কার করার। আমি ক্ষমতায় এলে এই কাজগুলোই মূলত আমার প্রধান লক্ষ্য থাকবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: স্কুলেই রাজনৈতিক সভা! ভোটের প্রচারে আইন ভাঙলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক

    Birbhum: স্কুলেই রাজনৈতিক সভা! ভোটের প্রচারে আইন ভাঙলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ছুটির আগেই ছুটি হল স্কুলপড়ুয়াদের। এর কারণ হল স্কুলে হবে তৃণমূলের সভা। নির্বাচনী আইন ভঙ্গ করে বীরভূমে (Birbhum) রাজনৈতিক সভা করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক। স্কুলে এই সভা করার বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিজেপি। বীরভূমের নানুরে সময়ের আগেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে জনসভা করলেন রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক ৷ বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত মালের সমর্থনে জনসভায় আইনমন্ত্রী সহ উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি ও একাধিক বিধায়ক ৷ স্কুল পড়ুয়াদের স্কুল বাতিল করায় প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। রাজ্যের আইনমন্ত্রীই তাহলে কি আইন ভেঙে জনসভা করলেন? তবে মন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের কাছে মুখ খোলেননি। 

    স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য(Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) পাপুড়ি হাইমাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক ফকরুল আলম বলেন, “সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে ১৫ মিনিট পর্যন্ত আমাদের ক্লাস হয়। আমাদের ছুটি পরে যাচ্ছে রোজার জন্য। তাই আজ এক দুই পিয়ড করে ছুটি দিয়ে দিয়েছি।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের আগেই উত্তপ্ত ক্যানিং, বিজেপির কর্মীদের ব্যাপক মারধর, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    সভার জন্য স্কুল ছুটি?

    নুরের পাপুড়ি হাইমাদ্রাসায় (Birbhum) একটি জনসভা করে তৃণমূল-কংগ্রেস ৷ সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৪ টে পর্যন্ত মাদ্রাসার ক্লাস হয়ে থাকে সরকারি নিয়ম অনুযায়ী। কিন্তু, দেখা গেল এদিন বিকেল ৩ টে থেকে জনসভার ডাক দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ৩ টে বাজার অনেক আগেই ছুটি হয়ে গিয়েছে মাদ্রাসা। পুরো মাদ্রাসা তৃণমূলের দলীয় পতাকায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। বড় বড় মাইক, বক্স লাগিয়ে দুপুর থেকেই জনসভার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছিল তৃণমূলের নেতারা। এই জনসভার ডাক দিয়েছিলেন বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। উপস্থিত ছিলেন খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটক সহ নানুরের বিধায়ক বিধানচন্দ্র মাজি, লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ, সিউড়ির বিধায়ক বিকাশ রায়চৌধুরী, বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অসিত কুমার মাল, কেতগ্রামের বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ প্রমুখ ৷ সময়ের আগেই মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে জনসভা করা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ৷ খোদ রাজ্যের আইনমন্ত্রী কীভাবে এহেন কাজ করতে পারেন বলে প্রশ্ন তুলছেন বিরোধীরা।

    বিজেপির বক্তব্য

    বিজেপির বীরভূম (Birbhum) জেলা যুব মোর্চার সভাপতি সব্যসাচী রায় বলেন, “আইন ভাঙায় ওস্তাদ তৃণমূল মন্ত্রী। কীভাবে মাদ্রাসা ছুটি দিয়ে রাজ্যের আইনমন্ত্রী সভা করলেন। এই প্রশ্ন তুলে আমরা নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিচ্ছি আজই।” আবার বোলপুর লোকসভার বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহা বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে আইনের শাসন নয় শাসকের আইন চলছে। রাজনৈতিক প্রোগাম কীভাবে স্কুলে হল এই বিষয় নিয়ে আমরা কমিশনের কাছে অভিযোগ করব। এই আইনমন্ত্রীকে কয়লা পাচারকাণ্ডে একাধিকবার তলব করা হয়েছিল কিন্তু হাজিরা দেননি তিনি সিবিআই দফতরে। আইন মন্ত্রী আইন ভাঙেন শুধু।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share