Author: user

  • Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    Election Commission: ভোট প্রচারে বিশ্বকাপের ছবি! ইউসুফের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের ছবি ব্যবহার। আর তাতেই বিতর্কে জড়ালেন বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী ইউসুফ পাঠান। এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের ( Election Commission) কাছে প্রার্থীর বিরুদ্ধে নালিশ জানায় বিরোধীরা। এবার সেই ঘটনায় কড়া পদক্ষেপও নিতে দেখা গেল কমিশনকে। বিশ্বকাপের ছবি ভোটের প্রচারে ব্যবহার করা যাবে না, এ কথা সাফ জানিয়েছে কমিশন।

    সচিন তেন্ডুলকরের ছবি ব্যবহারেরও অভিযোগ

    উল্লেখ্য, অধীর-গড় বলেই পরিচিত বহরমপুর। সেখানে তৃণমূলের বাজি ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান। অন্যদিকে বিজেপিও নামিয়েছে জবরদস্ত প্রার্থী ডাক্তার নির্মলকুমার সাহাকে। বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, বিজেপি ৩১ শতাংশের বেশি ভোট পেয়ে জিততে চলেছে ওই কেন্দ্র। অন্যদিকে ৩১ শতাংশ ভোট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে তৃণমূল। বহরমপুরের রবিনহুড অধীরের তৃতীয় স্থানে নেমে আসার প্রবল সম্ভাবনা। এই আবহে বহরমপুরে প্রচারে ঝাঁপিয়ে পড়েছে সব দলই। সম্প্রতি, ইউসুফের নির্বাচনী প্রচারের একটি ফ্লেক্সে ২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত তুলে ধরা হয়। বিশ্বকাপ ( Election Commission) হাতে ইউসুফের ছবি দেখা যায়, সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে ইউসুফের ছবিও দেখা যায়।

    ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার!

    আর এই ফ্লেক্সকে নিয়েই তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল বিরোধীরা। অভিযোগ জানানো হয়েছিল নির্বাচন কমিশনের কাছে। বলা হয়, ব্যক্তিগত স্বার্থ পূরণের উদ্দেশেই বিশ্বকাপের ছবি ব্যবহার করছেন ইউসুফ পাঠান। সঙ্গে এটাও বলা হয়েছিল, ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের নাম ও ছবি ব্যবহার করে সাধারণ ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। সেই অভিযোগ পাওয়া মাত্রই সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপও করেছিল কমিশন ( Election Commission)। জেলাশাসকের থেকে রিপোর্ট তলব করা হয়েছিল। আর এবার কমিশনের থেকে জানিয়ে দেওয়া হল, কোনওভাবেই বিশ্বকাপের ওই ধরনের ছবি আর ব্যবহার করা যাবে না নির্বাচনী প্রচারে।

    ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ!

    তবে পাল্টা বিবৃতি দিয়েছেন ইউসুফ পাঠানও। তাঁরও বক্তব্য, বিশ্বকাপের সঙ্গে তাঁর ছবি রয়েছে কারণ তিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। তবে ওয়াকিবহাল মহল বলছে, ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে নিজের ইমেজ বাড়ানোর চেষ্টা করছেন ইউসুফ। কারণ বিশ্বকাপ জয় একার কৃতিত্ব নয়, তা দলগত প্রয়াস। ইউসুফকে এও বলতে শোনা গিয়েছে, তিনি নাকি পরিশ্রম করে এটা অর্জন করেছেন। প্রসঙ্গত নির্বাচন কমিশনে হাজার হাজার অভিযোগ জমা পড়লেও বহরমপুর কেন্দ্র নিয়ে এমন অভিযোগ প্রায় নতুনই। এমন অভিযোগ সাধারণত দেখা যায় না, এমনটাই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকেদের। খেলোয়াড়দের ছবি ব্যবহার নিয়ে এইরকম অভিযোগ আগে আসেনি কমিশনের কাছে। এটা নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ বলা যায় নাকি, সেই  বিষয়ে জানার জন্য দিল্লিতে রিপোর্ট পাঠায় সিইও দফতর। তারপরেই এমন নির্দেশ দেয় কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: “আজ না হয় কাল এই দলে আসতেই হবে”, রচনাকে কটাক্ষ বিজেপি প্রার্থী লকেটের

    Hooghly: “আজ না হয় কাল এই দলে আসতেই হবে”, রচনাকে কটাক্ষ বিজেপি প্রার্থী লকেটের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলিতে (Hooghly) লোকসভার প্রচারে নেমে তৃণমূল প্রার্থী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া হুঁশিয়ারি দিলেন বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, ওড়িশার জনপ্রিয় অভিনেতা তথা রচনার প্রাক্তন স্বামী সিদ্ধান্ত মহাপাত্র বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরপর রচনা সম্পর্কে কড়া মন্তব্য করে লকেট বলেন, “আজ না হয় কাল এই দলে আসতেই হবে।” আবার সিদ্ধান্ত বলেছেন, “রচনা নয়, আগে শুভেচ্ছা জানাব লকেটকে।”

    কী বলেছেন লকেট (Hooghly)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লকেট এদিন ব্যান্ডেল (Hooghly) থেকে দলীয় সভায় বলেন, “সিদ্ধান্ত বুঝতে পেরেছেন দেশে দুর্নীতিমুক্ত সরকার একান্ত দরকার। এই জন্য নরেন্দ্র মোদির হাত ধরতে হবে। কিন্তু তিনি (রচনা) বুঝতে পারেননি। দিদি নম্বর ওয়ান থেকে ভুল করে চলে এসেছেন। পরে ওঁকে পস্তাতে হবে, আমি কোন দলে চলে এলাম। যদি আসতে হয় মোদিজির দলে আসতে হবে। আমি জানি আজ না হয় কাল তাঁকে এই দলে আসতেই হবে। সকলেই বিজেপির হাত ধরেছেন। নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দেশ এখন এগিয়ে চলেছে। সিদ্ধান্ত প্রতিবেশী রাজ্যের একজন বিখ্যাত অভিনেতা। তিনি সুপারস্টার। আমরা ওঁর সঙ্গে অনেক কাজ করছি। তিনি দারুণ কাজ করেছেন। সন্দেশখালি থেকে আমাদের বিজয় রথ শুরু হবে। বাংলার মহিলারা জেগে উঠবে।”

    রচনার বক্তব্য

    এদিন নিজের কেন্দ্রের পোলবার (Hooghly) সুগন্ধা গ্রাম পঞ্চায়েতে ভোট প্রচার চলাকালীন প্রতিক্রিয়া দিয়ে রচনা বলেন, “আমার অনেক অনেক শুভেচ্ছা রইল। আমি দিদির পাশে রয়েছি। পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নের জন্য আমার লড়াই চলছে। আমি হুগলিবাসীর কথা বলব। কে কী করছে আমি জানি না। আমার ভাবার মতো সময় নেই।”

    আরও পড়ুনঃ ভোটের মুখে ভাইরাল, মঞ্চে হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে অশ্লীল নাচ তৃণমূল নেতার!

    হুগলির প্রতিদ্বন্দ্বী দুই তারকা

    হুগলিতে (Hooghly) প্রচার ময়দানে রীতিমতো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন রচনা এবং লকেট। কেউ কাউকে জমি ছেড়ে দিতে নারাজ। এদিকে দুই তারকা প্রার্থী নির্বাচনী প্রচারে গরমকে উপেক্ষা করেই ময়দানে নেমে পড়েছেন। রচনা নিজের খাদ্য তালিকায় রেখেছেন ডাব, হালকা খাবার, ফল। অপর দিকে লকেটের খবারের তালিকায় রয়েছে পান্তাভাত, মুড়ি, বাতাসা। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: “জল নেই, রাস্তাঘাট নেই, ভোট চাইতে এসেছেন?” সোনারপুরে তোপের মুখে সায়নী

    South 24 Parganas: “জল নেই, রাস্তাঘাট নেই, ভোট চাইতে এসেছেন?” সোনারপুরে তোপের মুখে সায়নী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে ধাক্কা খেলেন তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ। রাস্তা, পানীয় জল, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিয়ে এলাকার মহিলাদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। মহিলারা সায়নীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “ভোটই দেব না, ভোট দিয়েও এলাকার উন্নয়নের জন্য লাভ হয় না।” একই ভাবে সমালোচনা করেছে বিজেপি। যুবনেত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভের ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    এলাকার মানুষের অভিযোগ (South 24 Parganas)

    যাদবপুর লোকসভা (South 24 Parganas) কেন্দ্রের মানুষ অভিযোগ করে তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষকে বলেন, “এলাকায় পানীয় জলের ব্যবস্থা নেই, রাস্তাঘাট ভালো নেই, নিকাশি ব্যবস্থা নেই, ড্রেন ঠিকঠাক নেই। পুরসভাকে বারে বারে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। এখন ভোট চাইতে এসেছেন? কোনও দলকে ভোট দেব না।” সায়নী ঘোষের প্রচারের সময় তাঁর মুখের সামনে দাঁড়িয়ে সোনারপুর রাজপুর পৌরসভার ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের মহিলারা এমন ভাবেই আক্রমণ করলেন।

    সায়নীর বক্তব্য

    সোনারপুর এলাকার (South 24 Parganas) মহিলাদের ওই প্রতিবাদ এবং ক্ষোভের কথা শুনে প্রথমে কিছুক্ষণ চুপ করে ছিলেন। এরপর তৃণমূল প্রার্থী সায়নী ঘোষ (Sayoni Ghosh) বলেন, “জল প্রকল্পের কাজ শেষ হয়ে গিয়েছে, রাস্তা করা হচ্ছে, পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হবে। ড্রেন পরিষ্কার করে দেওয়া হবে। মানুষের পাশে তৃণমূল আছে থাকবে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ধরনের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তৃণমূল নিজেদের কথা নিজেরাই প্রকাশ করছে বলে মনে করছেন যাদবপুর লোকসভার বিজেপির প্রার্থী অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তিনি বলেন, “এলাকার মানুষের বক্তব্য যথার্থ, তিনি তা সমর্থন করেন। কারণ আগে যিনি সাংসদ ছিলেন, তিনি এলাকায় আসেননি, এলাকা ঘুরেও দেখেননি, এলাকার মানুষদের অভাব-অভিযোগ কখনও তিনি উপলব্ধি করেননি। তাই আজ চোখের সামনে সাধারণ মানুষের এই কথাগুলো শুনতে হচ্ছে। কিছু করার নেই, কাজ না করলে শুনতে তো হবেই। মানুষ তো আর চুপচাপ বসে থাকবে না।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bankura: ভোটের মুখে ভাইরাল, মঞ্চে হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে অশ্লীল নাচ তৃণমূল নেতার! 

    Bankura: ভোটের মুখে ভাইরাল, মঞ্চে হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে অশ্লীল নাচ তৃণমূল নেতার! 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার্যত টলমল করছে পা, মঞ্চে হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে নাচলেন তৃণমূল নেতা। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সামাজিক মাধ্যমে, বিজেপির পক্ষ থেকে যার তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে। এই ঘটনা ঘটেছে বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাসে। তবে রাজ্যের শাসক দলের নেতা এবং তাঁদের ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে সামজিক মাধ্যমে আগেও এই রকম অশ্লীল নাচের চিত্র এসেছে। শুধু তাই নয়, মালদা, নদিয়া, বীরভূম জেলার অনেক তৃণমূল নেতার ছেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগেও সরব হয়েছে বিজেপি।

    টলমলে পায়ে মঞ্চে উদ্দাম নাচ (Bankura)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এই তৃণমূল নেতার নাম মনোরঞ্জন নন্দী। তিনি বাঁকুড়ার (Bankura) ইন্দাস মঙ্গলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জুতবিহার বুথের সভাপতি। তিনি এলাকার দাপুটে নেতা। এলাকায় তৃণমূলের সূত্রে খবর, তাঁর হাত ধরে তৃণমূলের অনেক নেতা নিচু স্তর থেকে উপরে উঠেছেন। এলাকায় তাঁর ভূমিকা বিরাট। এবার একটি নাচের দৃশ্যে ব্যাপক ভাইরাল হয়েছেন তিনি। সেবাশ্রম মেলার একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে একটি চটুল নাচের আয়োজন করা হয়। ভিডিওতে দেখা গিয়েছে এক তরুণী মঞ্চে গান গাইছেন। সেই মঞ্চে নাচ করছেন এই তৃণমূল নেতা। হাঁটুর বয়সি তরুণীর কোমর ধরে নাচ করতে দেখা যায় তাঁকে। দেখা যায় তাঁর পা টলমল করছে। তিনি নেশাগ্রস্থ অবস্থায় মঞ্চে উদ্দাম নাচ করছেন। এই ঘটনায় সামজিক মাধ্যমে ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায়। ইতিমধ্যে নিন্দার ঝড় উঠেছে রাজনৈতিক মহলে।

    বিজেপির বক্তব্য

    এই ঘটনায় বিষ্ণুপুর লোকসভার (Bankura) বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ বলেন, “তৃণমূল কংগ্রেস সব কিছুতে শালীনতার সীমা ছাড়িয়ে গিয়েছে। বুথের তৃণমূল নেতা সকলের সামনে অশ্লীল নাচ করছেন। তৃণমূল মানেই পয়সার বিলাস, তাঁরা সব সময় মজে থাকেন ফূর্তিতে। অত্যন্ত লজ্জাজনক ঘটনা।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    অপর দিকে বিষ্ণুপুর (Bankura) লোকসভার তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল বলেন, “বিজপি প্রার্থীর মস্তিস্ক বিকৃত তো ছিলই, এখন আরও বৃদ্ধি হয়েছে। তাঁর চোখমুখের ভাব দেখেই বোঝা যাচ্ছে, সারাক্ষণ সুজাতা নামক একটা টেনশনে থাকছেন। কে কোথায় নাচবে এবং কে কোথায় গাইবে, আমার আলাদা করে বলার কিছু নেই। এই নিয়ে দলেরও কিছু বলার নেই।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলায় বাড়ির পাশ থেকেই ফোনে নির্দেশ দিচ্ছিলেন শাহজাহান, দাবি সিবিআই-এর

    Sandeshkhali: ইডির ওপর হামলায় বাড়ির পাশ থেকেই ফোনে নির্দেশ দিচ্ছিলেন শাহজাহান, দাবি সিবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডির ওপর হামলার সময় বাড়ির কাছ থেকেই নির্দেশ দিচ্ছিলেন শেখ শাহজাহান। ফোনে এভাবে নির্দেশ দিয়েই রেশন-দুর্নীতি মামলায় তদন্তকারী ইডি অফিসারদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটানো হয়। পরিকল্পিত এই ছকের পিছনে ছিলেন এই তৃণমূল নেতাই। ঠিক এমনটাই আদালতে দাবি করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজির করা হয়েছিল বসিরহাট মহকুমা আদালতে। আদালত চত্বরকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ঘিরে রাখা হয়েছিল।

    সিবিআই-এর বক্তব্য (Sandeshkhali)

    ছ’দিনের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হতেই আদালতে ফের তোলা হয় শাহজাহানকে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছেন, “সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) শেখ শাহজাহানের নির্দেশেই গত ৫ জানুয়ারি ইডি আধিকারিকদের ওপর হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি নিজেই বাড়ির পাশের লোকজনকে একত্রিত হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন।” একই সঙ্গে সুকমল সর্দার এবং মেহবুর মোল্লাকে এদিন হাজির করা হয়েছিল। তাঁদের ১২ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অপর দিকে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ অজিত মাইতিকে ৫ দিনের জন্য হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সন্দেশখালি থানার পুলিশ ৭৬ নম্বর মামলায় তাঁকে ৭ দিনের জন্য হেফাজত চেয়ে আবেদন করেছিল। উল্লেখ্য গত ২৫ ফেব্রুয়ারি অজিতকে দুর্নীতি এবং জমি দখলের অভিযোগে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাঁকে মারধর করতে উদ্যত হয় এলাকাবাসী। এরপর একটি বাড়িতে গিয়ে আশ্রয় নেন তিনি। টানা ছয় ঘণ্টা আটকে থাকার পর পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে গ্রেফতার করে।

    ৫ জানুয়ারি হামলা হয়েছিল

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) সরবেড়িয়ার বাড়িতে তল্লাশি করতে গেলে তিন ইডির অফিসার সহ কেন্দ্রীয় জওয়ানদের উপর আক্রমণ করা হয়। এরপর থেকেই তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান পলাতক। সেই সঙ্গে তাঁর অনুগামীদের অত্যাচারের ঘটনায় এলাকার মানুষ ব্যাপক আন্দোলন করেন। চাপে পড়ে শিবু-উত্তমের মতো ঘনিষ্ঠ নেতাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক তোলপাড় হয়। হামলার ঘটনার ৫৬ দিনের মাথায় শাহজাহানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপর হাইকোর্টের নির্দেশে সিবিআই-এর কাছে তদন্তভার যায়।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi-Bill Gates: ‘‘প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত গোটা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে’’, বললেন বিল গেটস

    PM Modi-Bill Gates: ‘‘প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত গোটা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে’’, বললেন বিল গেটস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘প্রযুক্তির ক্ষেত্রে ভারত গোটা বিশ্বে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’’ শুক্রবারই প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের পরে এমনই মন্তব্য করলেন বিল গেটস (PM Modi-Bill Gates)। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে অনুষ্ঠিত হয় এই বৈঠক। বিল গেটসের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আলোচনায় উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা থেকে শুরু করে ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার এবং জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিভিন্ন বিষয়ও।

    ডিজিটাল সরকার

    ডিজিটাল বিপ্লব সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, “ইন্দোনেশিয়ায় জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের সময়, সারা বিশ্বের প্রতিনিধিরা আমাদের দেশের ডিজিটাল বিপ্লব সম্পর্কে তাদের কৌতূহল প্রকাশ করেছিলেন। আমি তাদের বলেছিলাম, আমরা প্রযুক্তিকে গণতান্ত্রিক করেছি। প্রযুক্তিকে জনগণের দ্বারা এবং জনগণের জন্য চালনা করেছি।” একথা শুনে মোদি সরকারকে এদিন “ডিজিটাল সরকার” আখ্যা দেন বিল গেটস (PM Modi-Bill Gates)।

    মোদি-গেটস কথোপথন

    ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে নয়া দিল্লিতে জি২০ গোষ্ঠীর শীর্ষ সম্মেলন বসেছিল। সেই সম্মেলনও উঠে আসে দুই ক্ষেত্রের দুই নেতার আলোচনায়।

    প্রধানমন্ত্রী মোদি: “জি২০ শীর্ষ সম্মেলনের আগে আমাদের বহু আলোচনা হয়েছিল। আপনি হয়তো দেখেছেন, আমরা দায়িত্ব নেওয়ার আগে, জি২০ কার্যক্রমগুলি এদিক-ওদিক, এদিক-ওদিক করছিল। আমরা এখন জি২০-র মূল উদ্দেশ্যগুলিকে মূলধারায় নিয়ে এসেছি। আশা করি আপনার নিজের অভিজ্ঞতাও একই কথা বলে।” 

    বিল গেটস: “জি২০ অনেক বেশি অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়েছে। ভারতকে এই সম্মেলনের আয়োজনের সময় ডিজিটাল উদ্ভাবনের মতো অনেক নতুন বিষয় তুলে এনেছে। কীভাবে উত্তরের সঙ্গে আলাপ-আলোচনার বদলে দক্ষিণে-দক্ষিণে সহযোগিতা অনেক বেশি কার্যকর হতে পারে তা দেখিয়ে দিয়েছে। আপনি ভারতে অতীতে যে সাফল্য অর্জন করেছেন, তা নিয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠান এতটাই উত্তেজিত যে, আমরা এই সাফল্য অন্য অনেক দেশে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় অংশীদার হতে চাই।”

    নমো ড্রোন দিদি

    বিল গেটসকে (PM Modi-Bill Gates) এদিন প্রধানমন্ত্রী ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্পের বিষয়েও বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বে প্রযুক্তির ব্যবহারে বিভাজনের কথা যখন শুনতাম, তখনই আমি ঠিক করেছিলাম, আমার দেশে এমন কিছু ঘটতে দেব না। ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বিষয়। বিশেষ করে মহিলাদের জন্য। ভারত নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের জন্য প্রস্তুত। আমি ‘নমো ড্রোন দিদি’ প্রকল্প শুরু করেছি। অত্যন্ত সাফল্যের সঙ্গে চলছে এই প্রকল্প। আমি তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা বলেছে, যে তারা সাইকেলও চড়তে জানত না। কিন্তু এখন তারা প্রত্যেকে পাইলট এবং ড্রোন ওড়াতে পারে। মানসিকতাই বদলে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ২৯/০৩/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ২৯/০৩/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে কর্মরত, তাঁরা আজ কোনও সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ২) ভালো পদ লাভ করতে পারেন।

    ৩) ভাইদের সঙ্গে চলতে থাকা কথা কাটাকাটি সমাপ্ত হবে।

    বৃষ

    ১) আজকের দিনটি আনন্দে ভরপুর থাকবে।

    ২) ব্যাঙ্কিং ক্ষেত্রে কর্মরত জাতকরা সতর্ক থাকুন, প্রতারণার শিকার হতে পারেন।

    ৩)  আপনার দ্বারা আকৃষ্ট হয়ে সকলে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন।

    মিথুন

    ১) আজকের দিনটি অনুকূল পরিণাম নিয়ে আসবে।

    ২) সুযোগ পেলে অসহায় ব্যক্তির সাহায্য করুন।

    ৩) কোনও নতুন কাজে অগ্রসর হতে পারেন।

    কর্কট

    ১)  লোকদেখানোর স্বভাব ত্যাগ করুন, অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করবেন না।

    ২) কারও কাছ থেকে টাকা ধার নিয়ে থাকলে তা শোধ করতে পারবেন।

    ৩) আয় বৃদ্ধি হবে।

    সিংহ

    ১) আজকের দিনটি গুরুত্বপূর্ণ থাকবে।

    ২) বন্ধুদের পূর্ণ সহযোগিতা লাভ করবেন।

    ৩) ব্যবসায় ভালো লাভ করবেন।

    কন্যা

    ১)  ব্যবসায়ীদের জন্য আজকের দিনটি প্রতিকূল।

    ২) দিনের শেষে সুখ-সমৃদ্ধি বৃদ্ধি হওয়ায় আনন্দিত থাকবেন।

    ৩) কেরিয়ারে উন্নতির চেষ্টা করলে তার গতি বাড়বে।

    তুলা

    ১) ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনায় আগত সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

    ২) একাধিক উৎস থেকে আয় হবে।

    ৩) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) যে কোনও কাজে নিয়মনীতি মেনে চলতে হবে।

    ২) ব্যবসায়ীদের সহযোগিতা পাবেন।

    ৩) অংশীদারীর কাজে ভালো প্রদর্শন করবেন।

    ধনু

    ১) জাতকদের মান-সম্মান বৃদ্ধি পাবে।

    ২)  কর্মক্ষেত্রে কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ পেলে সকলকে সঙ্গে নিয়ে সেই কাজ করে তা সময়ের মধ্যে পূর্ণ করবেন।

    ৩) সম্পত্তি লাভের সম্ভাবনা রয়েছে।

    মকর

    ১) জাতকদের আশপাশের পরিবেশ আনন্দে পরিপূর্ণ থাকবে।

    ২) কিছু ব্যক্তিদের থেকে সতর্ক থাকুন।

    ৩) নিজের টাকা অন্য কাজে ব্যয় করবেন না।

    কুম্ভ

    ১)  ত্যাগ ও সহযোগিতার অনুভূতি থাকবে। 

    ২) আধুনিক বিষয়ে রুচি থাকবে।

    ৩) ছাত্রছাত্রীরা বন্ধুর সঙ্গে শিক্ষায় আগত বাধা সম্পর্কে আলোচনা করবে।

    মীন

    ১) জাতকদের তাড়াহুড়োয় ও আবেগতাড়িত হয়ে কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন না।

    ২) ভাইদের পরামর্শ নিয়ে ব্যবসায়িক সিদ্ধান্ত নিন।

    ৩) ব্যক্তিগত বিষয়ে ধার্মিকতা পালন করে চলুন।

     

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Central Force: রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে সব বুথে নাও থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, খবর কমিশন সূত্রে

    Central Force: রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে সব বুথে নাও থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী, খবর কমিশন সূত্রে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের প্রথম দফার ভোটে (Central Force) সব বুথে নাও থাকতে পারে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কমিশন সূত্রের খবর, প্রথম দফার রাজ্যের তিনটি আসনে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করাতে প্রায় ৩৫০ কোম্পানি আধাসেনা প্রয়োজন, যা পাওয়া সম্ভব নয় বলে মনে করছে কমিশন। প্রসঙ্গত, প্রথম দফার ভোটে উত্তরবঙ্গের কোন জেলায় কত বাহিনী থাকবে তাও জানা গিয়েছে কমিশনের তরফে। কমিশন জানিয়েছে, কোচবিহারে থাকবে ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। ৬ কোম্পানি বাহিনী থাকবে আলিপুরদুয়ারে। জলপাইগুড়িতে মোতায়েন থাকবে ৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী।

    বিধানসভা কেন্দ্রগুলিতে গড়ে প্রয়োজন ১৬ কোম্পানি বাহিনী

    প্রসঙ্গত, ১৯ এপ্রিল রাজ্যে প্রথম দফার ভোট। ওই দিন উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি আসনে ভোট রয়েছে। কমিশনের হিসাব বলছে, একটি বিধানসভা কেন্দ্রে  সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) দিতে হলে গড়ে কমপক্ষে ১৬ কোম্পানি বাহিনী প্রয়োজন। এর ফলে একটি লোকসভা কেন্দ্রের জন্য দরকার পড়বে ১১২ কোম্পানি বাহিনী। ওই হিসাব অনুযায়ী, ৩৩৬ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর প্রয়োজন পড়বে তিনটি আসনের জন্য।

    ২০১৯ সালেও প্রথম দফার ভোটে সব বুথে ছিল না বাহিনী 

    প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রথম দফার দু’টি আসনে সব বুথে কেন্দ্রীয় দিতে পারেনি নির্বাচন কমিশন। কমিশনের একটি সূত্র আবার এও জানিয়েছে, রাজ্যের প্রথম এবং দ্বিতীয় দফার ভোটেও সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েন করা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। কারণ, ওই দুই দফায় দেশের বাকি অংশ জুড়ে বিপুল সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োজন। কারণ প্রথম দফায় ২১ রাজ্যের ১০২ আসনে ভোট রয়েছে।

    এপ্রিলের শুরুতে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী

    ইতিমধ্যেই দু’দফায় মোট ১৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী রাজ্যে এসেছে। প্রথম দফায়, ১ মার্চ ১০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসে। ৭ মার্চ দ্বিতীয় দফায় এসেছিল আরও ৫০ বাহিনী (Central Force)। জেলায় জেলায় বাহিনী রুটমার্চও করছে। সন্ত্রাসমুক্ত পরিবেশ নির্মাণ ও সাধারণ মানুষের মনোবল বৃদ্ধি করতেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর এমন রুটমার্চ বলে জানা গিয়েছে। প্রশাসনের দাবি, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর টহল শুরু হয়েছে। এপ্রিলের শুরুতে আসছে আরও ২৭ কোম্পানি বাহিনী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে  শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: ভোটপ্রচারে শাহজাহানের শাগরেদদেরও অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি তুললেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “সন্দেশখালির সমস্যা এখনও মেটেনি। শেখ শাহজাহান গ্রেফতার হলেও ওর সাগরেদরা এখনও গ্রেফতার  হয়নি। সাগরেদগুলোকে অবিলম্বে গ্রেফতার করতে হবে।” বৃহস্পতিবার ভোট প্রচারে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এমনটাই বললেন বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। উত্তর দিনাজপুরের জেলার ইটাহার ব্লকে নির্বাচনী প্রচারে আসেন বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। দলীয় কার্যালয় উদ্বোধন সহ ইটাহার ব্লকের একাধিক জায়গায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে যোগ দেন সুকান্ত বাবু। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “অভূতপূর্ব সাড়া পাচ্ছি। ভেবেছিলাম আগের মতো ইটাহার এলাকায় পিছিয়ে আছি।  কিন্তু, এবার আমরা ইটাহারে লিড পাব।”

    ইউসুফ পাঠান নিয়ে মুখ খুললেন সুকান্ত (Sukanta Majumdar)

     ইউসুফ পাঠান প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, “ইউসুফ পাঠান বাংলা জানেন না বোঝেন না। গুজরাট থেকে এসেছেন। রাজনীতির ‘র’ জানেন না। ভেবেছেন এখানে ভালো পয়সা কড়ি কামাই হবে। তাই চলে এসেছেন এখানে। তিনি নির্বাচনী বিধি ভঙ্গ করবে এটাই তো স্বাভাবিক। জানেনই তো না যে নির্বাচনী বিধি কি! ভোট কীভাবে হয় সেটাও জানেন কিনা সন্দেহ আছে।” অপরদিকে গার্ডেনরিচে পুরসভার পক্ষ থেকে বাড়ি ভাঙ্গা প্রসঙ্গে সুকান্ত বাবু বলেন, ” বাড়ি ভেঙে কি হবে? বাড়ি ভাঙতে পারবে নাকি গার্ডেনরিচে? ওখানে বাড়ি ভাঙতে গেলে পুরসভার টিমকে ভেঙে বাড়ি পাঠিয়ে দেবে। ওখানে সব বাড়িই তো অবৈধ। সব তো পুরসভার কাউন্সিলরকে টাকা দিয়ে হয়েছে। কটা বাড়ি ভাঙবে?

    আরও পড়ুন: ভোটের মুখে দলীয় কর্মীদের ওপর হামলা, বাড়ি ভাঙচুর, থানা ঘেরাও করল বিজেপি

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব নিয়ে কী বললেন সুকান্ত?

    মহুয়া মৈত্রকে ইডির তলব প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, ” ইডি ডাকলে পরে, ইডির বাঁশি হচ্ছে কৃষ্ণের বাঁশির মতো। শুনলে পরে অথবা কানে প্রবেশ করলে আজ না হয় কাল দৌড়ে যেতেই হবে। রাধা যেমন দৌড়ে যেত। এই রাধাও দৌড়োবে চিন্তা নেই। কৃষ্ণ সবে বাঁশি বাজাতে শুরু করেছে।” এদিকে বিজেপি প্রার্থীর রেখা পাত্রের সরকারি সাহায্য নেওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ” সরকারি সাহায্য নেওয়া অপরাধ নাকি? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ভারতবর্ষের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন? ভারতবর্ষে তো মোদির সরকার। আধার কার্ড দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড তৈরি করবে না? তৃণমূলের কোন নেতার আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: কেজরিওয়াল ইস্যুতে মার্কিন মন্তব্য, কড়া প্রতিক্রিয়া বিদেশ মন্ত্রকের

    Arvind Kejriwal: কেজরিওয়াল ইস্যুতে মার্কিন মন্তব্য, কড়া প্রতিক্রিয়া বিদেশ মন্ত্রকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি নিয়ে মার্কিন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে সে দেশের কূটনীতিকে ডেকে পাঠানোর ঠিক একদিন পরেই ফের বিবৃতি দিল ভারতের বিদেশ মন্ত্রক। বৃহস্পতিবারই বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানিয়েছেন যে ভারতের আইনি ব্যবস্থা এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার ক্ষেত্রে যে কোনও বিদেশি দাবিকে মানা হবে না। প্রসঙ্গত, গতকালই ভারত কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মার্কিন মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে কড়া অবস্থান নেয়। প্রসঙ্গত, কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) গ্রেফতারি এবং কংগ্রেসের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মার্কিন সরকারের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার। এনিয়ে তিনি বলেন, ‘‘আমরা চাইছি, আইনি প্রক্রিয়া যাতে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়। এছাড়া এই প্রক্রিয়ার ওপরে আমরা নজর রাখছি।’’

    কী বললেন বিদেশ দফতরের মুখপাত্র?

    এ নিয়ে ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘‘আমাদের দেশ গর্বিত রয়েছে তার স্বাধীন এবং শক্তিশালী গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমরা দায়বদ্ধ দেশের সার্বভৌমত্বকে বিদেশি শক্তি থেকে রক্ষা করার জন্য। ভারতবর্ষের আইনি প্রক্রিয়া সবসময় ‘রুল অফ ল’- এর ওপরে প্রতিষ্ঠিত রয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সবথেকে উল্লেখযোগ্য উপাদান হল পারস্পরিক শ্রদ্ধা।’’

    ঘটনার প্রেক্ষাপট

    আবগারি নীতি মামলায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। কেজরিওয়ালের গ্রেফতারি নিয়ে মন্তব্য করেছে আমেরিকা। তার জেরে বুধবারই ভারতের মার্কিন দূতাবাসের এক শীর্ষ কূটনীতিককে তলব করে ব্যাখ্যা চায় সাউথ ব্লক। ভারত সরকার বুধবার দেশে থাকা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত ডেপুটি চিফ অফ মিশনের সঙ্গে ৪০ মিনিট ধরে বৈঠকও করে। তার আগে তাঁকে সাউথ ব্লকে বিদেশ মন্ত্রকের অফিসে তলব করা হয়েছিল। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবারই বিবৃতি দিয়েছিল আমেরিকা। মার্কিন এক কূটনীতিক মন্তব্য করেছিলেন, তাঁরা পুরো ঘটনার ওপর নজর রাখছেন (Arvind Kejriwal)। এই ঘটনায় স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও দ্রুত আইনি পদক্ষেপও আশা করছেন তাঁরা। এর পরেই মার্কিন ওই কূটনীতিককে ডেকে পাঠায় নয়াদিল্লি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share