Author: user

  • BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    BJP: ভোট ঘোষণা হতেই জেলায় জেলায় আক্রান্ত বিজেপি কর্মীরা, কাঠগড়ায় তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এরইমধ্যে জেলায় জেলায় বিজেপি নেতা কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠছে। ভোটের মুখে এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে তৃণমূল এসব করছে বলে বিজেপি (BJP) নেতৃত্বের অভিযোগ।

    বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন (BJP)

    পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরে বিজেপি কর্মীর দোকানে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। জানা গিয়েছে, শনিবার গভীর রাতে পাণ্ডবেশ্বরের ১৯ নম্বর বুথের জামাই পাড়ার এবিপিট এলাকায় পাণ্ডবেশ্বর মণ্ডল- ১ এর মহিলা মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রীনা ঠাকুরের দোকানে আগুন লাগানো হয়। রীনা দেবী বলেন, ছয় মাস আগে বিজেপি যোগদান করেছি। তারপর থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আমাকে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। বিজেপি (BJP) ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য জোর করা হচ্ছে। অন্যথায় বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া এবং প্রাণেও মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হত। তৃণমূলের সেই দাবি না মানায় আমার দোকানে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। অবিলম্বে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।

    ১০০দিনের কাটমানি নেওয়ার প্রতিবাদ করে আক্রান্ত বিজেপি নেতা

    ১০০ দিনের বকেয়া মেটানোর উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। সেই টাকা প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকলে সঙ্গে সঙ্গে কাটমানি চাওয়া হচ্ছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় তৃণমূল নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। মালদার চাঁচলে যে সব জবকার্ড প্রাপকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকতে শুরু করেছে, সেখানকার চাঁচলের রায়পাড়া বুথের তৃণমূলের সভাপতি তাপস নুনিয়া কাটমানি দাবি করতে থাকেন। স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যার স্বামী তথা বিজেপি (BJP) নেতা সন্তোষ রায় এই অন্যায়ের প্রতিবাদ জানান। এরপরই তৃণমূল নেতার অনুগামীরা তাঁর ওপর চড়াও হয়। এমনকী ধারালো অস্ত্রে মাথায় কোপ মারা হয়। আক্রান্ত বিজেপি নেতা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শেখ আফসার আলি বলেন, এই হামলার সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই। দলকে বদনাম করার জন্য এসব করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi News: লন্ডনে মোদির সমর্থনে গাড়ি মিছিল প্রবাসী ভারতীয়দের, হাজির ব্রিটিশ সাংসদও

    PM Modi News: লন্ডনে মোদির সমর্থনে গাড়ি মিছিল প্রবাসী ভারতীয়দের, হাজির ব্রিটিশ সাংসদও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সমর্থনে গাড়ি মিছিল দেখা গেল লন্ডনে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi News) সমর্থনে এই মিছিলের আয়োজন করেন প্রবাসী ভারতীয়দের সংগঠন ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’। প্রসঙ্গত ‘ওভারসিজ ফ্রেন্ডস অফ বিজেপি’ হল ব্রিটেনের প্রবাসী ভারতীয়দের একটি সংগঠন, যা সেখানকার ভারতীয় সমাজের মধ্যে কাজ করে। গাড়ি মিছিলে অন্যতম অতিথি হিসেবে হাজির ছিলেন ব্রিটিস সাংসদ বব ব্ল্যাকম্যান। লন্ডনের পাতিদার সমাজ কমপ্লেক্স থেকে এই মিছিল শুরু হয়। এবং শেষ হয় বিএপিএস স্বামীনারায়ণ মন্দির চত্বরে। চোখ বাঁধানো এই মিছিলে আয়োজন করা (PM Modi News) হয়েছিল নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও।

    মিছিলে ছিল ২৫০ গাড়ি

    মিছিলের উদ্যোক্তা সংগঠনের পক্ষ থেকে এক প্রেস বিবৃতিতে বলা হয়, ‘‘অত্যন্ত সুশৃংখলভাবে এই অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উৎসাহ ছিল চোখে পড়ার মতো।’’ জাঁকজমকপূর্ণভাবে আয়োজিত এই মিছিলে অংশগ্রহণ করে ২৫০টি গাড়ি। স্লোগানে-পোস্টারে, বিজেপি এবং প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির (PM Modi News) প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন জানান মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা। মিছিলে ভারতের জাতীয় পতাকা যেমন ছিল, তেমনই ছিল বিজেপিরও পতাকা। ব্রিটেনের সাংসদ তথা পদ্মশ্রী প্রাপক বব ব্ল্যাকম্যান মিছিল শেষে স্বামীনারায়ণ মন্দিরে প্রাঙ্গণে উপস্থিত সদস্যদের উদ্দেশে বক্তব্য রাখেন। গোটা মিছিলের তাৎপর্য, তথা দেশের ভবিষ্যত গঠনে প্রবাসী ভারতীয়দের ভূমিকার ওপরে তিনি ভাষণ দেন।

    ব্রিটিশ সাংসদের মুখেও শোনা গেল ‘আবকি বার-৪০০ পার’-এর কথা 

    প্রসঙ্গত, শনিবারই নির্বাচন কমিশন দেশে সাত দফায় ভোট ঘোষণা করেছে। এবং ওই দিনই এমন মিছিলের আয়োজন করেন প্রবাসী ভারতীয়রা। নিজের ভাষণে বব ব্ল্যাকম্যান বলেন, ‘‘ভারতের নির্বাচন একটি বড় নির্বাচন। এই নির্বাচনে আপনারা (বিজেপি) ৪০০-র অধিক আসনে (PM Modi News) জয়লাভ করবেন, এমনটাই ধারণা আমার। ভারত এবং ব্রিটেনের বন্ধুত্ব আগামী দিন আরও শক্তিশালী হবে।’’ প্রসঙ্গত, ভারতের অর্থনীতি বিশ্বে পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। ভারতের অর্থনীতির এই বৃদ্ধি প্রসঙ্গ উঠে আসে ব্রিটিশ সাংসদের বক্তব্যে। এবং তিনি বলেন, ‘‘গোটা ব্রিটেন ভারতকে একটি দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের চোখেই দেখে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের ভোজ খেয়ে ৪০ শিশু সহ অসুস্থ ৮৫, এলাকায় চাঞ্চল্য

    Birbhum: শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানের ভোজ খেয়ে ৪০ শিশু সহ অসুস্থ ৮৫, এলাকায় চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠানে গিয়ে মুড়ি, বোঁদে খেয়েছিলেন। তারপরই বাড়ি ফিরে প্রথমে দু-একজন, তারপর একের পর এক নিমন্ত্রিত ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন। সকলেরই উপসর্গ ছিল- বমি, পেট খারাপ। সবমিলিয়ে প্রায় ৮৫ জন অসুস্থ হয়েছেন। তাঁদের মধ্যে চল্লিশের বেশি শিশু। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া থানার সংড়া পঞ্চায়েতের পাগলাডাঙ্গা গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বীরভূমের (Birbhum) সাঁইথিয়া থানার সংড়া পঞ্চায়েতের পাগলাডাঙ্গা গ্রামে এলাকারই এক মহিলার শ্রাদ্ধের কাজে গিয়েছিলেন দাসপুর, কামারশাল ও পাগলাডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দারা। সেখানেই মুড়ি, বোঁদে খান তাঁরা। তারপর বাড়ি যেতেই একের পর এক অসুস্থ হয়ে পড়েন। আশপাশের গ্রাম থেকে অসুস্থ হওয়ার খবর আসতে থাকে। সন্ধ্যা থেকেই বমি, পায়খানার উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। অসুস্থ হয়ে পড়ে আশপাশের গ্রামের বহু শিশু। মোট ৮৫ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে, অসুস্থ লোকজনের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। অনেককেই ভর্তি করা হয়েছে সিউড়ি সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়।

    প্রশাসনের কর্তারা কী বললেন?

    রোগী ও রোগীর পরিজনদের সঙ্গে দেখা করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ মোদক, মহকুমা শাসক সুপ্রতীক সিনহা, সাঁইথিয়া ব্লকের বিডিও, সাঁইথিয়া থানার ওসি, সিউড়ি থানার আইসি সহ অন্যান্যরা। অতিরিক্ত জেলাশাসক বিশ্বজিৎ মোদক মনে করছেন খাবারে বিষক্রিয়া থেকেই এমনটা হয়েছে। তিনি বলেন, শ্রাদ্ধ বাড়ি যে খাবার খেয়েছিলেন তাতে বিষক্রিয়া থেকেই এটা হয়ে থাকতে পারে বলে আমাদের মনে হচ্ছে। তবে, আসল কারণটা কী তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এর আগেও রাজনগরে এরকম ঘটনা ঘটেছে। তবে এতটা ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। রোগীদের জন্য স্যালাইন সহ যাবতীয় প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেকেই এখন স্থিতিশীল রয়েছেন। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজরদারি চালাচ্ছি। অসুস্থদের সকলের সুচিকিৎসা দেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার তা করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ভোট ঘোষণার পরই সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Sukanta Majumdar: ভোট ঘোষণার পরই সুকান্তর কেন্দ্রে রক্ত ঝরল, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গে আরও শক্তিবৃদ্ধি করল বিজেপি। শনিবারই বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) হাত ধরে মালদা, দক্ষিণ দিনাজপুর, উত্তর দিনাজপুর সহ পাঁচ জেলার মতুয়ারা বিজেপিতে যোগদান করেছেন। এরইমধ্যে শনিবার ভোট ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। আর শনিবার রাতেই বিজেপি করার অপরাধে এক ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর এলাকায়। আক্রান্ত বিজেপি কর্মীর নাম জয়দীপ দাস। তাঁর বাড়ি গঙ্গারামপুর ব্লকের ৩/২ বেলবাড়িতে পঞ্চায়েতের পাটন দাসপাড়া এলাকায়। বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝামেলার সূত্রপাত পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকেই। পাটন ১৮৫ নম্বর বুথে বিজেপির হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বিজেপি কর্মী জয়দীপ দাসের ভাইয়ের স্ত্রী মিতালি দাস। অভিযোগ তাতেই রাগে ফুঁসছিলেন এলাকার তৃণমূল কর্মী তরুণ পাল ও তাঁর দলবলেরা। পঞ্চায়েত ভোটের সময় থেকে প্রায়ই ঝামেলা হত বলে অভিযোগ। শনিবারও বিজেপি কর্মী জয়দীপদের উদ্দেশে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করার অভিযোগ ওঠে তরুণ পাল সহ তাঁর পরিবারের লোকজনের বিরুদ্ধে। প্রতিবাদ করতে গেলে জয়দীপকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। মাথায় গুরুতর চোট পান তিনি। গঙ্গারামপুর হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করা হয়। খবর পাওয়ার পরই রাতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar), স্থানীয় বিধায়ক সত্যেন্দ্রনাথ রায়। ছিলেন বিজেপির জেলা সভাপতি স্বরূপ চৌধুরী, জেলা সাধারণ সম্পাদক গৌতম রায় সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃত্বরা। হামলা প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি শঙ্কর সরকার বলেন, হামলার ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি কী বললেন? (Sukanta Majumdar)

    বিজেপি কর্মীর ওপর হামলা প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, অভিযুক্ত কারা জানা গেলেও কোনও ব্যবস্থা নেয়নি পুলিশ প্রশাসন। পুলিশ যদি দ্রুত পদক্ষেপ না করে তাহলে আমরা নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হব। প্রসঙ্গত, হামলার ঘটনা নিয়ে গঙ্গারামপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই’, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই’, অভিষেককে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে তৃণমূলের শক্ত জমি তত আলগা হচ্ছে। জেলায় জেলায় বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক শুরু হয়ে গিয়েছে। সংখ্যালঘুরা আস্থা রাখছে বিজেপি-র ওপর।  ইতিমধ্যেই বারাকপুরের দাপুটে নেতা অর্জুন সিং এবং বরানগরের বিধায়ক তাপস রায় তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। আর এতেই ঘুম ছুটেছে শাসক দলের শীর্ষ নেতৃত্বের। শনিবার মেদিনীপুরের সভায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপিকে কড়া আক্রমণ করেছেন। হুগলির সভা থেকে অভিষেকের আক্রমণের কড়া জবাব দিয়েছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?

    শনিবার ভোটের দিন ঘোষণা হয়। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় ভোট করা হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। ইতিমধ্যেই একে ওপরের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে শুরু করেছে রাজনৈতিক দলগুলো। শনিবার বিজেপির প্রার্থী নিয়ে কটাক্ষ করতে শোনা যায় তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তৃণমূলের ‘দলের আবর্জনাদের’ প্রার্থী করা হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে বিজেপির প্রার্থী নিয়েও কটাক্ষ করেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বিজেপি বসে আছে তৃণমূল থেকে উচ্ছিষ্টরা কখন বের হবে তাদের মাথায় নিয়ে প্রার্থী করবে।”

    অভিষেককে জবাব দিলেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)

    রাজ্যে সাত দফায় ভোট প্রসঙ্গে হুগলির ভদ্রেশ্বরে জনসভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন,পশ্চিমবঙ্গে একাধিক জায়গা সন্ত্রাস কবলিত বলেই কমিশন সাত দফায় ভোট করাচ্ছে। অভিষেকের বক্তব্য প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে হুগলির সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “ওঁকে আমি জিজ্ঞাসা করব, আপনার দলে যাদের প্রার্থী করেছেন সেই বিধায়করা কোন দলের। আপনার প্রার্থী তালিকায় বিজেপি থেকে লোককে নিয়ে গিয়ে প্রার্থী করতে হয়েছে, কৃষ্ণ কল্যাণী, বিশ্বজিৎ দাস, মুকুটমণি অধিকারী কোন দলের এমএলএ? কাচের ঘরে বসে ঢিল মারার দরকার নেই। আপনার এই ঠকবাজি বিদ্যা সবাই জেনে গিয়েছে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে নবমবার তলব করল ইডি

    Arvind Kejriwal: আবগারি মামলায় কেজরিওয়ালকে নবমবার তলব করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবগারি দুর্নীতি মামলায় দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে নবমবার তলব করল ইডি। আগামী ২১ মার্চ তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দফতরে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে। এর আগে কোনও বারই হাজিরা দেননি অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তাই উঠছে প্রশ্ন। এই তলবেও কি সাড়া দেবেন তিনি? অন্যদিকে, আবগারি দুর্নীতি মামলায় শনিবার সকালে দিল্লির আদালতে সশরীরে হাজিরা দেন আম আদমি পার্টির প্রধান। ইডি তাঁকে ৮ বার সমন পাঠালেও প্রতিবারই এড়িয়ে গিয়েছেন তিনি। তাই এনিয়ে ইডির তরফে অভিযোগ জানানো হয় দিল্লির রাউস অ্যাভিনিউ আদালতে। আদালতে ইডি জানায়,  সরকারি অনুষ্ঠানে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল, দলের হয়ে ভোটের প্রচারও করছেন। অথচ ইডি দফতরে হাজিরা দিতে পারছেন না। ইডির পূর্বের এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে শনিবার তাঁকে কোর্টে হাজিরা দিতে বলা হয় এবং সবকিছু মেনে তিনি হাজির হন।

    ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন কেজরিওয়াল

    তবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও একই অভিযোগ তুলে কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর (Arvind Kejriwal) বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি আবেদন জানানো হয় কোর্টে। ৭ ফেব্রুয়ারিতে সেই মামলার শুনানিতে দিল্লির আদালত নির্দেশ দেয়, আদালতে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে হবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। গত মাসের ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালতের শুনানিতে ভার্চুয়ালি অংশগ্রহণ করেন কেজরিওয়াল। সশরীরে হাজির না থাকার কারণ হিসেবে কেজরিওয়াল তখন জানিয়েছিলেন, দিল্লি বিধানসভায় তাঁকে আস্থা ভোটে হাজির থাকতে হবে। তাই সশরীরে তিনি উপস্থিত থাকতে পারছেন না।

    ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ হয় না

    এর আগে কেজরিওয়ালের (Arvind Kejriwal) দল আম আপনি পার্টির তরফে জানানো হয়, ১২ মার্চের পরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ইডি দফতরে হাজিরা দেবেন কেজরিওয়াল। কিন্তু ইডির তরফে সাফ জানানো হয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জিজ্ঞাসাবাদ হয় না। কেজরিওয়াল কেন বার বার হাজির এড়িয়ে যাচ্ছেন এনিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিভিন্ন মহলে। আবগারি দফতরে বিপুল দুর্নীতি সামনে আসতেই ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন দিল্লির উপ মুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়া। বর্তমানে জেলে রয়েছেন তিনি। গ্রেফতারির ভয়েই কি হাজিরা এড়িয়ে যাচ্ছেন কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)? এনিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Lok Sabha Elections 2024: লক্ষ্য স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন, ভোটারদের জন্য ২৭ অ্যাপ ও পোর্টাল চালু কমিশনের

    Lok Sabha Elections 2024: লক্ষ্য স্বচ্ছ ও অবাধ নির্বাচন, ভোটারদের জন্য ২৭ অ্যাপ ও পোর্টাল চালু কমিশনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) ভরপুর প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। শনিবার ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন কথাই জানিয়েছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার। আগামী লোকসভা নির্বাচনে মোট ২৭টি বিভিন্ন অ্যাপ ও পোর্টাল ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছে কমিশন। এবং এই অ্যাপ এবং পোর্টালগুলি নির্বাচন প্রক্রিয়াকে স্বচ্ছ ও অবাধ করে তুলবে বলে মত কমিশনের। আদর্শ আচরণ বিধি কোথাও লঙ্ঘন হচ্ছে কিনা সমেত একাধিক বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে এই পোর্টাল এবং অ্যাপগুলি।

    ভোটারদের সুবিধায় চালু অ্যাপ

    আগামী লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha Elections 2024) দেশের ভোটার সংখ্যা ৯৬.৮ কোটি। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে কমিশন। এবং এই বিপুলসংখ্যক ভোটারদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে কমিশন চালু করেছে ‘ভোটার হেল্প’ অ্যাপ। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোটাররা অনলাইন ফর্মে আবেদন করে তাঁদের নাম ভোটার লিস্টে দেখতে পাবেন। বিশদে জেনে যাবেন তাঁদের বুথ সম্পর্কে। এবং এর পাশাপাশি এই অ্যাপের মাধ্যমেই বিএলও-দের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন ভোটাররা। এর পাশাপাশি কমিশন চালু করেছে cVigil অ্যাপও। আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন হলে সে বিষয়ে রিপোর্ট জমা করা যাবে এই অ্যাপের মাধ্যমে। কমিশন জানিয়েছে, অভিযোগ পাওয়ার ১০০ মিনিটের মধ্যেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযোগকারীর নাম সম্পূর্ণভাবে গোপন রাখা হবে।

    ভুয়ো খবর ছড়ালে ব্যবস্থা নেবে কমিশন

    এর পাশাপাশি কমিশন একটি কেওয়াইসি পোর্টাল ও অ্যাপ চালু করেছে। এই অ্যাপের মাধ্যমে ভোটাররা (Lok Sabha Elections 2024) প্রার্থীদের সম্পর্কে বিশদে জানতে পারবেন। দেখতে পারবেন প্রার্থীদের হলফনামা, প্রার্থীর কোনও অপরাধের রেকর্ড থাকলে তাও জেনে যাবেন ভোটাররা। নির্বাচনের সময় ভুয়ো খবরকে রুখতে বেশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে কমিশন। এ বিষয়ে রাজীব কুমার জানিয়েছেন, ডিজিটাল যুগে ভুল তথ্যকে রুখে দেওয়া খুব কঠিন কাজ। তবে তার জন্য কমিশন বেশ কিছু ব্যবস্থা নিচ্ছে। যারা এ ধরনের ফেক নিউজ ছড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহানের ভাই আলমগীরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    Sandeshkhali: সন্দেশখালিকাণ্ডে শাহজাহানের ভাই আলমগীরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করল সিবিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সন্দেশখালিতে (Sandeshkhali) ইডি-র ওপর হামলার ঘটনায় ক্রমশ চাপ বাড়াচ্ছে সিবিআই। আগেই শেখ শাহজাহানকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। পরে, সন্দেশখালিতে একাধিকবার হানা দেন সিবিআই আধিকারিকরা। শাহজাহানের আত্মীয় ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের নোটিশ ধরিয়েছিল সিবিআই। নোটিশ পেয়ে শনিবার সিবিআই দফতরে হাজিরা দেন শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীর ও তাঁর দুই ঘনিষ্ঠ সহ ১৫ জন বাসিন্দা। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর আলমগীর সহ শাহজাহানের আরও দুই ঘনিষ্ঠকে গ্রেফতার করা হয়।

    ৯ ঘণ্টা জেরার পরই গ্রেফতার শেখ আলমগীর (Sandeshkhali)

    গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা ছিলেন শেখ শাহজাহান। শাহজাহানকে বিভিন্ন জায়গায় গা ঢাকা দিয়ে থাকার ক্ষেত্রে সাহায্য করেছিলেন তাঁর ভাই শেখ আলমগীর। এমনই আশঙ্কা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে সিবিআই কর্তারা গত বৃহস্পতিবার অফিসে হাজিরার জন্য আলমগীরের বাড়িতে নোটিশ দিয়েছিলেন। কিন্তু, তিনি হাজিরা দেননি। এরপর শুক্রবার ফের নোটিশ পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। শনিবার বেলা ১১টার সময় হাজিরার জন্য বলা হয়েছিল। সেই মতো শনিবার সকালে সিবিআই অফিসে পৌঁছান আলমগীর। শুরু হয় জিজ্ঞাসাবাদের পর্ব। দীর্ঘ ৯ ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর শাহজাহানের ভাই শেখ আলমগীরকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ইডির তদন্তকারী দলের ওপর হামলার ঘটনার তদন্তে এদিন মোট ১৫ জনকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সিবিআই-এর অফিসে। সেই তালিকায় ছিলেন সন্দেশখালি ব্লকের তৃণমূল ছাত্র পরিষেদের প্রেসিডেন্ট মাফুজার মোল্লা ও অপর এক তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লাও।

    ইডি হামলায় যোগ মিলল শাহজাহান ঘনিষ্ঠের

    গত ৫ জানুয়ারি ইডির ওপর হামলার সময় উন্মত্ত জনতাকে সংঘবদ্ধ করার ক্ষেত্রে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) ব্লক তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রেসিডেন্ট মাফুজার মোল্লা ও অপর এক তৃণমূল নেতা সিরাজুল মোল্লার ভূমিকা ছিল বলে সন্দেহ সিবিআই কর্তাদের। সূত্রের খবর, এই মাফুজার মোল্লা ও সিরাজুল মোল্লা উভয়েই শেখ শাহজাহানের যথেষ্ট ঘনিষ্ঠ ছিল। হামলার ঘটনায় তাঁদের যোগ সূত্র ধরেই তাঁদের ডাকা হয়েছিল সিবিআই অফিসে। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার অফিসাররা তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করেন। কিন্তু, উত্তর সন্তোষজনক না হওয়ায় এই দুজনকেও গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Evm Hack: ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত’’, বললেন রাজীব কুমার

    Evm Hack: ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত’’, বললেন রাজীব কুমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি জিতলেই বিরোধীদের ‘ইভিএম হ্যাক’ ইস্যু সামনে আসে। তবে কোনও রাজ্যে যদি বিরোধীরা জেতে তখন আবার ইভিএম (Evm Hack) ঠিক কাজ করতে থাকে। যেমন গত বছরের শেষের দিকে অনুষ্ঠিত হওয়া কর্নাটক নির্বাচনে কংগ্রেস জিতলে ইভিএম নিয়ে কোনও অভিযোগই সামনে আসেনি। কিন্তু বিজেপি জিতলেই যেন ইভিএম হ্যাক হয়ে যায়। শনিবারই নির্বাচন ঘোষণা করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার পাশাপাশি ভোটিং প্রক্রিয়া নিয়েও বক্তব্য রাখেন। ইভিএম ইস্যুতে তাঁর মত হল, ‘‘আমি আপনাদের আশ্বস্ত করে বলছি, ইভিএম ১০০ শতাংশ সুরক্ষিত।’’

    সুপ্রিম কোর্ট ৪০ বার ইভিএম নিয়ে মামলা দেখেছে

    সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টে ইভিএম নিয়ে বিভিন্ন সময়ের মামলার কথাও বলেন তিনি। তাঁর নিজের ভাষায়, ‘‘হাইকোর্ট, সুপ্রিম কোর্ট ৪০ বার ইভিএম নিয়ে মামলা দেখেছে। ইভিএম (Evm Hack) নিয়ে কখনও বলা হয়েছে রিগিং হয় না, কখনও বলা হয়েছে একটির বদলে ৫টি ভিভিপ্যাড গণনা করুন। আমরা সব করেছি। এখন জরিমানাও করা হচ্ছে। দিল্লি কোর্ট ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে। সুপ্রিম কোর্ট ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।’’

    ইভিএম কখনও হ্যাক হওয়া সম্ভব নয়

    তিনি আরও  বলেন, ‘‘ইভিএম কখনও হ্যাক (Evm Hack) হওয়া সম্ভব নয়। বারবার এটা প্রমাণ হয়েছে। যে কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ইভিএম নিয়ে বসে যায়, এদের অনেকে তো এক্সপার্টও হয়ে গিয়েছেন। কীসের এক্সপার্ট জানি না। ওনারা একটা বাক্স নিয়ে বসেন, একটা বোতাম টিপলে নাকি অন্য স্লিপ বের হচ্ছে। আপনারা যতবার প্রশ্ন করবেন, আমরা উত্তর দেব। ইভিএমের কারণেই অনেক রাজনৈতিক দল অস্তিত্ব লাভ করেছে। সব ইভিএমের তিনবার মক পোল হয়। প্রার্থীদের সামনেই মক পোল হয়। আমাদের ওয়েবসাইটে ইভিএম নিয়ে ঘনঘন করা প্রশ্ন ও তার উত্তর রয়েছে। দয়া করে সেটা অন্তত করুন।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Model Code of Conduct: চালু হল আদর্শ আচরণবিধি, কী কী নিয়ম মানতে হবে?

    Model Code of Conduct: চালু হল আদর্শ আচরণবিধি, কী কী নিয়ম মানতে হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শনিবারই ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশ করেছে কমিশন। ৭ দফায় ভোট হবে দেশে। ১৯ এপ্রিল প্রথম দফা। শেষ দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১ জুন। ভোটের ফল বের হবে ৪ জুন। কমিশনের ভোট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে লাগু হয়েছে আদর্শ আচরণবিধি (Model Code of Conduct)। নির্দেশিকা জারির পর থেকে সব দলের প্রার্থী, রাজনৈতিক দলগুলিকে মানতে হবে এই বিধি। ফলঘোষণা পর্যন্ত এই বিধি জারি থাকবে। প্রার্থী এবং রাজনৈতিক দলগুলি এই বিধি না মানলে পদক্ষেপ করে কমিশন। ১৯৬০ সালে কেরলে বিধানসভা নির্বাচনে প্রথম বার এই নির্বাচনী আচরণ বিধি জারি করা হয়েছিল। ১৯৬২ সালে লোকসভা নির্বাচন থেকে গোটা দেশে এই বিধি জারি করে নির্বাচন কমিশন।

    আদর্শ আচরণবিধিতে কী কী নিষিদ্ধ?

    সরকারের মন্ত্রীরা সরকারি খরচে কোনও নির্বাচনী সমাবেশ (Model Code of Conduct) করতে পারবেন না। এই সময়ে মন্ত্রীরা তাঁদের বাসভবন থেকে অফিসে যাওয়ার জন্য শুধুমাত্র সরকারি যানবাহন ব্যবহার করতে পারেন। সরকারি গাড়ি নির্বাচনী সমাবেশ ও সফরে ব্যবহার করা যাবে না।

    সরকারি ঘোষণা, প্রকল্পের উদ্বোধন, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন ইত্যাদি সব ধরনের অনুষ্ঠান স্থগিত রাখতে হবে।

    মন্দির, মসজিদ, গির্জা, গুরুদ্বার বা কোনও ধর্মীয় স্থানকে নির্বাচনী প্রচারের কাজে ব্যবহার করা যাবে না।

    সরকার এই সময়ে কোনও কর্মীকে (Model Code of Conduct) বদলি বা পদচ্যুত করতে পারে না। বন্ধ থাকে নিয়োগও।

    সরকারি বা কারও ব্যক্তিগত জায়গায় সভা করার জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করার আগে স্থানীয় পুলিশের কাছ থেকে লিখিত অনুমতি নিতে হবে। রাত ১০টা থেকে সকাল ৬টার মধ্যে লাউডস্পিকার ব্যবহার করা যাবে না।

    নির্বাচনের দিনঘোষণা হলে প্রার্থীরা কোথাও কোনও আর্থিক অনুদান দিতে পারেন না।

    প্রচারের কাজে জন্য সরকারি পরিবহণ, যন্ত্র, নিরাপত্তারক্ষী ব্যবহার করা যাবে না।

    সকল প্রার্থী, রাজনীতিকদের জনসভার জন্য বিনামূল্যে সরকারি জায়গা ব্যবহার করতে দিতে হবে। পক্ষপাতিত্ব করা চলবে না।

    ভোটের কাজে কোনও সরকারি ডাকবাংলো, বিশ্রামাগার বা অন্য সরকারি সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না।

    সরকারি সংবাদমাধ্যম শাসকদলের হয়ে কোনও পক্ষপাতদুষ্ট খবর পরিবেশন করতে পারবে না।

    ভোটারদের প্রভাবিত করতে কোনও জাতি বা ধর্মের মানুষের আবেগকে ব্যবহার করা যাবে না। কারও আবেগে আঘাত করা যাবে না।

    রাজনৈতিক দলগুলির প্রচারে যাতে কোনও ভাবেই নারীদের সম্মান ও মর্যাদা নষ্ট না হয়, তা মাথায় রাখতে হবে সব দলকে।

    ভুয়ো বিজ্ঞাপন কোনওভাবেই সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না।

    সোশ্যাল মিডিয়াতে আপত্তিকর এবং রুচিহীন, এমন কিছু পোস্ট বা শেয়ার করা যাবে না।

    যে স্থানে ভোট হবে তার ৪৮ ঘণ্টা আগে থেকে সেখানে আর কোনও প্রচার করা যাবে না।

    আচরণবিধি (Model Code of Conduct) লঙ্ঘন হলে কী হবে?

    কোনও রাজনৈতিক দল বা প্রার্থী যদি আচরণবিধি লঙ্ঘন করে, তবে তাঁর প্রচারে নিষেধাজ্ঞা জারি করতে পারে কমিশন।

    আদর্শ আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে প্রার্থীর বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায়, এমনকী জেলে পাঠানোরও বিধান রয়েছে।

    মনে রাখতে হবে আচরণবিধি শুধু রাজনৈতিক দল বা প্রার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ কোনও ব্যক্তি যদি কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রচার করেন, তাঁকেও এই নিয়মগুলি মেনে চলতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share