Author: user

  • Virat-Anushka: কন্যা ভামিকার পর পুত্র অকায়, অভিনয় থেকে কি নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন অনুষ্কা?

    Virat-Anushka: কন্যা ভামিকার পর পুত্র অকায়, অভিনয় থেকে কি নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছেন অনুষ্কা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিরাট পরিবারে আবার খুশির খবর। ইতিমধ্যে গোটা বিশ্ব জানে, ক্যারিয়ারের মাঝ পথেই বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন অনুষ্কা-বিরাট। আর কয়েক বছর পরেই কোল আলো করে আসে তাঁদের প্রথম কন্যাসন্তান ভামিকা। আবার কয়েক বছর পরেই অন্তঃসত্ত্বা হন অনুষ্কা। আর খুশির খবর এটাই যে গত ১৫ই ফেব্রুয়ারি আবার জন্ম দেন তাঁদের পুত্রসন্তান অকায়ের। বর্তমানে চারজনকে নিয়ে পরিপূর্ণ সংসার বিরাট-অনুষ্কার (Virat-Anushka)। আর এসবের মাঝে অনুষ্কা জানান, আর খুব বেশি ছবিতে অভিনয় করবেন না তিনি। তাহলে কি তিনি এবার সংসারের দিকেই বেশি মন দেবেন? আস্তে আস্তে কি তাহলে অভিনয় থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবেন তিনি?

    অভিনয় কি সত্যি কমিয়ে দেবেন অনুষ্কা? (Virat-Anushka)

    ব্যক্তিগত সংসারিক জীবন এবং কর্মজীবনকে একসাথে মানিয়ে চলা সহজ কাজ নয়। এটি সাধারণ মানুষের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অনুষ্কাও প্রথম মা হওয়ার পর থেকেই অভিনয় করা কমিয়ে দিয়েছেন। মা হওয়ার পর তাঁর প্রথম ছবি ছিল ‘চাকদহ এক্সপ্রেস’ যেখানে তাঁকে ঝুলন গোস্বামীর জীবন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে। যে ছবি ২০২৪ এই মুক্তি পাবে বলে ধরা হয়েছে। গত দু’বছর হল নিজেকে অভিনয় থেকে সরিয়ে নিয়েছেন অনুষ্কা (Virat-Anushka)। অভিনয় কমিয়ে দেওয়ার জন্য পরবর্তী ক্ষেত্রে তিনি আর বেশি সিনেমাতে অভিনয় করবেন কিনা, তা নিয়ে সবার মধ্যে সংশয় রয়েছে।

    এক সাক্ষাৎকারে তিনি কী বলেছিলেন? (Virat-Anushka)

    কয়েক বছর আগে একটি সাক্ষাৎকারে অনুষ্কা জানিয়েছিলেন, মা হওয়ার পর থেকে তিনি হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র ছবিতেই অভিনয় করবেন। মেয়ে ভামিকার পাশে থাকা অনুষ্কার কর্তব্য বলেও তিনি জানান। অনুষ্কার পাশাপাশি বাবা হিসেবে বিরাটের ভূমিকাও বিশাল বলে জানিয়েছিলেন অভিনেত্রী। তিনি আরও জানান, মেয়ের নাকি মাকে ছাড়া এক মুহূর্তও চলে না। সেই কারণেই অভিনয় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত অনুষ্কার। আর এখন তাঁদের নতুন পুত্রসন্তান অকায়ের (Virat-Anushka) দেখাশোনার  দায়িত্বও অনুষ্কার। তবে তিনি আবার অভিনয় জগতে ফিরবেন বলেই আশাবাদী সকলে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Aroop Biswas: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    Aroop Biswas: এবার মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস! অ্যালকেমিস্ট মামলায় তলব করল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অ্যালকেমিস্ট মামলায় এবার রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসকে (Aroop Biswas) তলব করল ইডি। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই মামলায় প্রায় ১৯০০ কোটি টাকা আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছিল। তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে তলব করা হয়েছে। সূত্রের খবর, ২০১৪ সালে তৃণমূলের নির্বাচনী খরচের উৎস জানতে তলব করা হয়েছে রাজ্যের বিদ্যুৎ মন্ত্রীকে। 
     

    কেন তলব অরূপকে

    অ্যালকেমিস্ট মামলায় তদন্ত করছে ইডি। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর কেডি সিংকে জিজ্ঞাসাবাদ করে তদন্তকারী সংস্থা। সম্প্রতি মুকুল রায়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। কাঁচরাপাড়ায় মুকুলের বাড়িতেও যায় ইডি। সংস্থার এক কোষাধ্যক্ষ ও হিসাবরক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, তাঁদের বয়ানের ভিত্তিতেই ইডি মনে করছে, ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের শাসকদলের যে নির্বাচনী খরচ তা নজরে আনা দরকার। ইডি সূত্রে খবর, মন্ত্রী নয়, তৃণমূলের কোষাধ্যক্ষ হিসাবেই অরূপকে (Aroop Biswas) তলব করা হয়েছে। তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত তথ্য যাচাই করতেই এই তলব। ২০১৪ সালের ভোটের প্রচারে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিষয়ে অরূপের কাছে জানতে চাওয়া হতে পারে বলেই ওই সূত্রটির দাবি। অরূপ দক্ষিণ কলকাতার নেতা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আস্থাভাজন বলে পরিচিত। ববি হাকিমের মতই অরূপ বিশ্বাস দিদির ইনার সার্কেলে অন্যতম মুখ বলে শাসক দলের ভিতরে ও বাইরে ধারণা। অ্যালকেমিস্ট চিট ফান্ড মামলায় কয়েক কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগ নিয়ে এবার তাঁকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সমন পাঠাল ইডি।

    আরও পড়ুন: সন্দেশখালিতে ‘১৭৪ ধারা’! স্থানীয় অভিনেত্রী-সাংসদ নুসরতের মন্তব্যে বিতর্কের ঝড়

    ইডিকে চিঠি অরূপের

    অ্যালকেমিস্ট মামলায় আগেই গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন রাজ্যসভা সাংসদ কেডি সিংকে। ইডি সূত্রে খবর, তাঁরই সংস্থা ছিল ‘অ্যালকেমিস্ট ইনফ্রা রিয়্যালটি’। সেই সংস্থার বিরুদ্ধে লগ্নিকারীদের কাছ থেকে বেআইনি ভাবে টাকা তোলার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়। এই নিয়েই এবার অরূপকে (Aroop Biswas) ডেকে পাঠানো হয়। যদিও সমন পেয়েও তদন্তের মুখোমুখি মন্ত্রী হননি। পালটা সময় চেয়ে ইডিকে তিনি চিঠি দিয়েছেন বলেও খবর। সময় চাওয়ার পাশাপাশি সেই চিঠিতে তৃণমূলের বক্তব্যও তুলে ধরা হয়েছে। যদিও এই বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলতে নারাজ অরূপ বিশ্বাস। তাঁর আবেদন বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই ইডির একটি সূত্রের দাবি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Passenger Train: এক ধাক্কায় রেলের ভাড়া কমে অর্ধেক, কবে থেকে চালু জানেন?

    Passenger Train: এক ধাক্কায় রেলের ভাড়া কমে অর্ধেক, কবে থেকে চালু জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনের আগে সুখবর! এক ধাক্কায় রেলের ভাড়া কমে (Passenger Train) গেল ৪০-৫০ শতাংশ। করোনা অতিমারি পর্বে বেড়ে গিয়েছিল রেলের ভাড়া। কমল এখন। অবশ্য কমানো হয়েছে অসংরক্ষিত সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের টিকিটের দাম।

    কমল রেলের ভাড়া

    করোনা-পর্বে যাত্রী সংখ্যা কমাতে প্যাসেঞ্জার ট্রেনের দ্বিতীয় শ্রেণির অসংরক্ষিত সাধারণ কামরার টিকিটের দাম এক্সপ্রেসের ভাড়ার সমতুল করে দিয়েছিল রেল। করোনা-পর্ব শেষে দেশ ছন্দে ফিরলেও, কমানো হয়নি রেলের ভাড়া। সেই ভাড়াই কমানো হল এখন। করোনার সময় (Passenger Train) প্যাসেঞ্জার ট্রেনকে প্যাসেঞ্জার এক্সপ্রেস নাম দিয়ে ভাড়া বাড়ায় রেল। চালু করা হয়েছিল মেমু ও ডেমু এক্সপ্রেসও। সর্বনিম্ন টিকিটের দাম ১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে করা হয় ৩০ টাকা। ১ মার্চ থেকে সেই ভাড়া কমে ফের হচ্ছে ১০ টাকা। শূন্য দিয়ে শুরু সব মেমু ও ডেমু ট্রেনের টিকিটের সর্বনিম্ন ভাড়াও কমানো হয়েছে ৫০ শতাংশ।

    সর্বনিম্ন ভাড়া কমে হল ১০ টাকা

    কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, অসংরক্ষিত সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনের ন্যূনতম ভাড়া কমানো হয়েছে ২০ টাকা। সর্বনিম্ন ভাড়া কমিয়ে ফের ১০ টাকা করা হয়েছে। সেন্ট্রাল রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার অ্যাডভাইসরি কমিটির সদস্য শিবনাথ বিয়ানি বলেন, “বিভিন্ন গন্তব্যে পৌঁছতে আগে টিকিটের দাম যা ছিল, তা কমিয়ে অর্ধেক করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এই নয়া ভাড়া কার্যকর হবে।”

    আরও পড়ুুন: ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম ৭ মাওবাদী

    উনিশে এ দেশের থাবা বসায় করোনা। তামাম বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ভারতেও বাড়তে থাকে করোনা সংক্রমিতের হার। সংক্রমণ এড়াতে ভিড় কমানোর ওপর জোর দেয় সরকার। সেই মতো ট্রেনেও যাতে বেশি যাত্রী যাতায়াত না করেন, তাই একলপ্তে ট্রেনের ভাড়া বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল অনেকখানি। অতিমারি পর্বের সেই পরিস্থিতি এখন অবশ্য নেই। তবে রয়ে গিয়েছে বাড়তি ভাড়া। কোনও কারণ ছাড়াই যা দিতে হচ্ছিল যাত্রীদের। সেই ভাড়া কমে যাওয়ায় খুশি যাত্রীরা। বিরোধীদের মতে, লোকসভা নির্বাচনে ভোট টানতেই রেলের ভাড়া কমিয়ে জনমত গেরুয়া ঝুলিতে ফেলতে চাইছে বিজেপি সরকার। বিরোধীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার (Passenger Train)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Dieting: রোগা থাকার জন্য ভাত-আলু একেবারেই বাদ? কোন বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    Dieting: রোগা থাকার জন্য ভাত-আলু একেবারেই বাদ? কোন বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ওজন থাকুক নিয়ন্ত্রণে! কিন্তু অনেকেই আবার নিয়ন্ত্রণ বলতে একেবারেই রোগা থাকতে চাইছেন। জিরো সাইজে পৌঁছনোর জন্য নিজেই ঠিক করছেন কী খাবেন, কখন‌ খাবেন। অনেক ক্ষেত্রেই সেই রোগা হওয়ার চাহিদায় বাদ দিচ্ছেন খাবার। দীর্ঘ সময়ের ব্যবধানে সামান্য খাবার খাওয়ার (Dieting) জেরে হচ্ছে একাধিক শারীরিক সমস্যাও। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, নিয়ম মেনে শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ীই হোক ডায়েট। চলতি সপ্তাহ ইটিং ডিস‌অর্ডার উইক। খাওয়া নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে নানান কর্মশালার আয়োজন করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, সচেতন ও সতর্কভাবে খাবারের অভ্যাস না থাকার জেরেই আধুনিক জীবনে নানা রোগের ভোগান্তি বাড়ছে।

    কী ধরনের সমস্যা হতে পারে? (Dieting)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অতিরিক্ত ওজন কমানোর ইচ্ছের জেরে অনেকেই খুব কম পরিমাণে খাবার খাচ্ছেন। এর ফলে শরীর দূর্বল হয়ে পড়ছে। সব সময়েই ক্লান্তি ভাব দেখা দিচ্ছে। শরীরে মারাত্মক এনার্জি ঘাটতি দেখা দিচ্ছে। এর জেরে ভুক্তভোগীরা কোনও কাজ ঠিক মতো করতে পারছেন না। অধিকাংশ সময়েই ভাত, আলু, রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট খাবার মেনু থেকে বাদ পড়ছে। এর জেরে শরীরে এনার্জির জোগান পাওয়া যাচ্ছে না। 
    পাশপাশি এর জেরে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমছে। এনার্জির ঘাটতি হলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে। তাই ভুক্তভোগীরা যে কোনও রোগে সহজেই কাবু হয়ে পড়ছেন। আবহাওয়ার পরিবর্তনে সাধারণ ভাইরাসঘটিত অসুখ কিংবা কোনও সংক্রামক রোগ, যে কোনও সময়েই তাদের ভোগান্তি বাড়ছে। 
    দীর্ঘ সময়ের খাবারের ব্যবধান ও অতিরিক্ত কম পরিমাণ খাওয়ার জেরে হজমের সমস্যা দেখা দিচ্ছে। অন্ত্রের একাধিক রোগ দেখা দেওয়ার ঝুঁকিও বাড়ছে। 
    অনেকেই প্রোটিন খাবারের তালিকা থেকে বাদ দিচ্ছেন। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শরীরের প্রয়োজন অনুযায়ী প্রোটিন না খেলে (Dieting) পেশি মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পেশি দুর্বল হয়ে পড়ে। কিন্তু ওজন কমাতে অনেকেই একেবারেই প্রোটিন খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে। ফলে শরীরে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    তবে শরীরের পাশপাশি মানসিক স্বাস্থ্যেও এর প্রভাব পড়ে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, একেবারেই কম খাবার খাওয়ার জেরে এবং অতিরিক্ত ওজন কমানোর তাগিদ এক ধরনের অবসাদ তৈরি করে। মানসিক চাপ তৈরি হয়। এর ফলে মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। সামাজিক সম্পর্কেও সমস্যা তৈরি হয়। তাছাড়া, যে কোনও কাজে মনঃসংযোগ করা যায় না। এর ফলে একাধিক সমস্যা দেখা দেয়।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? (Dieting)

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ওজন কতখানি ঠিক, এই মাপকাঠি সম্পর্কে সচেতন থাকা সবচেয়ে বেশি জরুরি। নিজের উচ্চতা, বয়স সবকিছুর বিচারে ঠিক ওজন নির্ধারিত হয়। প্রত্যেকের জন্য ‘পারফেক্ট’ ওজনের মাপকাঠি আলাদা। তাই ওজন কমানোর প্রয়োজন আছে কিনা, তা নিজে নয়, বরং চিকিৎসকের পরামর্শ মতো সিদ্ধান্ত নেওয়া দরকার। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া দরকার। তবে পরিমাণ মতো খাওয়া জরুরি। ভাত, রুটি, আলুর মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার একেবারে এড়িয়ে চলা অস্বাস্থ্যকর ডায়েট। নিয়মিত এই ধরনের কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাওয়া জরুরি। কারণ কার্বোহাইড্রেট শরীরে এনার্জি জোগান দেয়। শরীরের প্রয়োজন মতো প্রোটিনও জরুরি।‌ কারণ, প্রোটিন পেশিকে শক্তিশালী করে। হাড় মজবুত করে। তাছাড়া নানা রকমের ফল, বাদাম, খেজুর কিসমিসের মতো ড্রাই ফ্রুটস নিয়মিত খাওয়া দরকার। এতে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে। আবার শরীরে খনিজ পদার্থ, আয়রন, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ একাধিক চাহিদা পূরণ করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ প্রিজারভেটিভ খাবার এবং অতিরিক্ত তেল খাওয়া এড়িয়ে চলতে হবে। তবে ডায়েট তৈরি করার জন্য দরকার পুষ্টিবিদদের পরামর্শ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, অনভিজ্ঞ ডায়েট মেনে চললে (Dieting) উপকারের পরিবর্তে বিপদ বাড়বে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    Birbhum: অসুস্থতার অজুহাতে কি কেষ্ট-ঘনিষ্ঠ প্রাক্তন বিধায়ককে পদ থেকে সরাল তৃণমূল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কেষ্ট-ঘনিষ্ঠকে পদ থেকে সারল তৃণমূল। অবশ্য অপসৃত প্রাক্তন বিধায়কের দাবি “আমি সুস্থ”। গরুপাচার মামলায় জেলবন্দী বীরভূমের (Birbhum) নেতা অনুব্রত মণ্ডলের হাত ধরেই তৃণমূলে এসেছিলেন নরেশ বাউড়ি। তাঁর বিধায়ক হওয়ার পিছনেও কেষ্ট মণ্ডলের হাত ছিল বিরাট। তাঁকে পদ থেকে অপসারণের ফলে দলের মধ্যেই উঠছে প্রশ্ন। তাঁকে কি গ্রেফতার করতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা? এই ভয়েই কি অপসারণ? নাকি দলের গোষ্ঠী কোন্দল? উঠছে নানা প্রশ্ন। 

    কেষ্ট-কাজল দ্বন্দ্ব (Birbhum)

    বীরভূমের (Birbhum) রাজনীতিতে তৃণমূলের মধ্যে অনুব্রত মণ্ডল এবং কাজল শেখের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এখন ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। গ্রেফতারের পর থেকে ক্রমশ দলের মধ্যে অনুব্রতের গুরুত্ব কমে গিয়েছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহল মহল। অপর দিকে অনুব্রতের অনুপস্থিতিতে কাজল শেখের গুরুত্ব অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে। অবশ্য তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলার সভাপতির পদ থেকে কেষ্টকে এখনও আনুষ্ঠানিক অব্যাহতি দেননি। এই পরিস্থিতির মধ্যে দুবরাজপুরের প্রাক্তন বিধায়ক নরেশকে বোলপুর টাউন সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই জায়গায় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাজল শেখ এবং মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহের ঘনিষ্ঠ কাউন্সিলর সুকান্ত হাজরাকে। ফেলে অনেকের অনুমান, দলের মধ্যে কোন্দল স্পষ্ট। 

    বেসুরো নরেশ বাউড়ি

    ঘটনায় দলের সুরে সুর না মিলিয়ে বীরভূমের (Birbhum) অনুব্রতপন্থী নরেশ বাউড়ি বলেন, “শরীরিক ভাবে আমি যথেষ্ট সক্ষম। আমি অসুস্থ নই। দলের যা সিদ্ধান্ত তা মেনে চলবো।” তবে তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, তাই দলের পদ থেকে সরানো হয়েছে, এমনটা অনেকেই মনে করছেন। বস্তুত লোকসভার আগে এই দলের পরিবর্তনে তৃণমূলের অন্দরে ব্যাপক শোরগোল পড়েছে।

    তৃণমূল মন্ত্রী বক্তব্য

    মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ অবশ্য দলের দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, “নরেশ বাবু শারীরিক ভাবে অসুস্থ। তিনি নিজেই সরে যাবার আবেদন করেছিলেন। তাঁকে পদ থেকে সরানো হয়নি। তাঁকে জেলায় (Birbhum) অন্য পদের দায়িত্ব দেওয়া হবে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    Sandeshkhali: শাহজাহান ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে নতুন করে হল অভিযোগ দায়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় শাহজাহান ও তাঁর বাহিনীর বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস ছিল না সন্দেশখালিবাসীর। কেউ সাহস করে থানায় অভিযোগ করতে গেলে তাঁকে ফিরিয়ে দেওয়া হত বলে অভিযোগ। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) জুড়ে ঘুরলেই এই কথা শোনা যায়। আর ইডি-র ওপর হামলার পর দেড় মাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। এখনও অধরা শেখ শাহজাহান। এদিকে, তাঁর গ্রেফতারির দাবিতে উত্তাল সন্দেশখালি। পথে নেমেছেন গ্রামের মহিলাদের একাংশ। শুধু শাহজাহান নয়, এর পাশাপাশি তাঁর ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও জমি দখল, বাড়িঘর ভাঙচুরের মতো একাধিক অত্যাচারের অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে। এবার নতুন করে শেখ শাহজাহানের ও তাঁর ভাইয়ের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল।

    শাহজাহানের নামে আগেও অভিযোগ জমা করা হয়

    সন্দেশখালির (Sandeshkhali) বেড়মজুর গ্রামের মহিলারা ঝাঁটা হাতে রাস্তায় বেরিয়েছিলেন। তৃণমূল নেতা অজিত মাইতির ওপর হামলা হয়। তাঁর বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে, পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। তার আগে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ উত্তম সর্দার এবং শিবু হাজরার ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। তাদের দুজনকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তবে, সন্দেশখালির মূল কাণ্ডারি শাহজাহানকে ধরার বিষয়ে পুলিশের কোনও হেলদোল নেই। এমনকী আদালত নির্দেশ দিলেও পুলিশ তাঁতে ধরার বিষয়ে গা করছে না। এমনই অভিযোগ সন্দেশখালিবাসীর। তবে, এখন সন্দেশখালির পরিস্থিতি আলাদা। উত্তাল সন্দেশখালিকে শান্ত করার জন্য জায়গায় জায়গায় ক্যাম্প বসিয়েছে পুলিশ। সেখানে গিয়ে অভিযোগ জমা দিচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি ও ২৫ ফেব্রুয়ারি দুই মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছিল। এবার ফের দাপুটে তৃণমূল নেতা শাহজাহানের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়েছে। শুধু তাই নয়, শাহজাহানের ভাই শেখ সিরাজউদ্দিনের বিরুদ্ধেও এফআইআর করা হয়েছে। এর আগে সিরাজউদ্দিনের ওপর জনরোষ আছড়ে পড়েছিল। এবার তাঁর নামে অভিযোগ জমা পড়ল। প্রতিদিন নতুন করে অভিযোগ জমা পড়ছে। সেগুলো খতিয়ে দেখে নতুন করে কিছু এফআইআর হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    Lok Sabha Polls: ফের ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে, বিজেপিতে যোগ বিহারের তিন বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আবারও ভাঙন ‘ইন্ডি’ জোটে। মঙ্গলবার কংগ্রেসের দুই ও আরজেডির এক বিধায়ক ঘোষণা করলেন বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা (Lok Sabha Polls)। মহাগটবন্ধনের মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দিয়ে বিজেপি শিবিরে ফিরেছেন নীতীশ কুমার। তার পর থেকে বিহারে ভাঙছে ‘ইন্ডি’ জোট। এদিন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরীর উপস্থিতিতে তাঁরা যোগ দেন বিজেপিতে।

    কারা যোগ দিলেন বিজেপিতে?

    এদিন যাঁরা বিজেপিতে যোগ দিলেন, তাঁরা হলেন কংগ্রেসের মুরারী গৌতম ও সিদ্ধার্থ সৌরভ। আরজেডির বিধায়ক সঙ্গীতা দেবীও হাতে তুলে নিয়েছেন গেরুয়া ঝান্ডা। মহাগটবন্ধন সরকারে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন নীতীশ। সেই সরকারের মন্ত্রী ছিলেন মুরারী। আর পাটনা জেলার বিক্রম বিধানসভা কেন্দ্রের দু বারের বিধায়ক সিদ্ধার্থ। মোহানিয়া কেন্দ্রের সঙ্গীতা আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের ঘনিষ্ঠ অনুগামী হিসেবে পরিচিত ছিলেন (Lok Sabha Polls)।

    ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা ব্যর্থ

    চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে বিজেপি শিবিরে ভিড়েছিলেন নীতীশ। তখনই জল্পনা ছড়িয়েছিল, কংগ্রেসের ১৯ জন বিধায়কের মধ্যে অন্তত ১০ জন হাত-সঙ্গ ছাড়তে চলেছেন। ভাঙন ঠেকাতে তড়িঘড়ি কংগ্রেস শাসিত তেলঙ্গনার একটি রিসর্টে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল বিধায়কদের। তার পরেও অবশ্য এড়ানো গেল না ভাঙন। লোকসভা নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ভাঙন তত বাড়বে বই কমবে না বলেই ধারণা রাজনৈতিক মহলের। বিহার বিধানসভার আসন সংখ্যা ২৪৩ জন। এর মধ্যে বিজেপি, জেডি(ইউ) এবং পূর্বতন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির দল এইচএএমের জোটের দখলে রয়েছে ১২৮টি আসন।

    আরও পড়ুুন: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    লোকসভা নির্বাচনে বিজেপিকে পরাস্ত করতে জোট বেঁছেছিল বিজেপি বিরোধী ২৬টি রাজনৈতিক দল। জোটের নাম হয়েছিল ইন্ডি। জন্মলগ্ন থেকেই অশান্তির চোরা স্রোত বইছে ইন্ডির অন্দরে। কখনও প্রধানমন্ত্রী মুখ কে হবেন তা নিয়ে, কখনও আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে জোটের কোনও এক নেতার মঞ্চ শেয়ার করা নিয়ে অশান্তি লেগেই রয়েছে। এরই মাঝে পদ্মার ভাঙনের মতো নিত্য ভাঙছে জোট। রাজনৈতিক মহলের মতে, নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসবে, ততই বাড়তে থাকবে ভাঙন। তাই বিজেপিকে মাত দিতে গিয়ে জন্ম হয়েছিল যে জোটের, নির্বাচনের আগে সেই জোট আদৌ টেকে কিনা, তা নিয়েই উঠছে প্রশ্ন (Lok Sabha Polls)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bastar: ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম ৭ মাওবাদী

    Bastar: ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তাবাহিনীর এনকাউন্টারে খতম ৭ মাওবাদী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত রবিবার থেকে ছত্তিশগড়ের বস্তারে (Bastar) নিরাপত্তা বাহিনীর এনকাউন্টারে খতম সাত মাওবাদী। রবিবার নিহত হন ৩ মাওবাদী নেতা, মঙ্গলবারের রাতের অভিযানে মারা যান ৪ মাওবাদী। বিজাপুরের জঙ্গলে গতকাল মঙ্গলবার রাতে এই অভিযান চালায় সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স, বস্তার ফাইটারস্ এবং জেলা পুলিশের একটি টিম।

    মঙ্গলরাতে মাওবাদীদের সঙ্গে জঙ্গলে গুলির লড়াই

    নিরাপত্তা বাহিনী গোপন সূত্রে খবর পায়, ৪০ থেকে ৫০ জনের একটি মাওবাদীদের দল বিজাপুরের জঙ্গলে রয়েছে। সেই মতো হানা দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। জানা গিয়েছে জঙ্গলা পুলিশ স্টেশনের আওতায় থাকা ওই অঞ্চলে নিরাপত্তা বাহিনী পৌঁছাতেই শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। নিরাপত্তা বাহিনীর কাছে এও খবর ছিল, ওই অঞ্চলে (Bastar) গা ঢাকা দিয়ে রয়েছেন যতনা সরকার নামের শীর্ষ মাওবাদী নেতা। জানা গিয়েছে, কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে ওই গুলির লড়াই। যখন গুলির লড়াই শেষ হয় তখন চারজন মাওবাদী নেতার দেহ উদ্ধার হয়। মাওবাদী নেতাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্রশস্ত্র এবং বিস্ফোরক। দেশীয় পিস্তল, মাওবাদীদের প্রচার পুস্তিকা, ওয়াকি টকি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে।

    রবিবার নিরাপত্তা বাহিনীর অভিযানে খতম ৩ মাওবাদী

    প্রসঙ্গত এর আগে গত রবিবার ২৫ ফেব্রুয়ারি নিরাপত্তা বাহিনী অপারেশন চালায় কোয়ালিবেড়াতে (Bastar)। সেখানেও তিনজন মাওবাদী নিহত হয় এনকাউন্টারে। জানা গিয়েছে টেকালগুডা নামক জায়গাতে চলতি বছরের শুরুতেই হামলা চালায় মাওবাদীরা। তারপরেই পাল্টা প্রত্যাঘাতে নামে নিরাপত্তা বাহিনী। টেকালগুডাতে অবস্থিত নিরাপত্তা বাহিনীর ক্যাম্পেও হামলা চালায় মাওবাদীরা। এবং সেখানে বেশ কয়েকজন রক্ষী নিহত হন। এরপরেই সুকমা জেলায় স্থানীয় পুবেরতি গ্রামে একটি ক্যাম্প তৈরি করে জওয়ানরা। এখান থেকেই যাবতীয় অপারেশন চালাতে থাকে নিরাপত্তা বাহিনী। সুকমাতে যে জায়গায় নিরাপত্তারক্ষীরা ক্যাম্প তৈরি করেছে সেটি কুখ্যাত মাওবাদী নেতা মাধবী হিদমার বাসস্থান বলে পরিচিত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Paschim Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি

    Paschim Medinipur: শিলদার ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলায় ১৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বুধবার পশ্চিম মেদিনীপুরের (Paschim Medinipur) শিলদায় ইএফআর শিবিরে মাওবাদী হামলায় ২৩ জন দোষীদের মধ্যে ১৩ জন দোষীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দিয়েছে আদালত। মেদিনীপুর অতিরিক্ত এবং দায়রা জেলা আদালতের বিচারপতি সেলিম শাহী এই মামলায় গতকাল মঙ্গলবার ২৩ জনকে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। আজ ১৩ জনের সাজার নির্দেশ দেন বিচারপতি, আর বাকি দোষীদের সাজা ঘোষণা হবে আগামীকাল বৃহস্পতিবার। উল্লেখ্য ঝাড়গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছিল ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি।

    কী বললেন বিচারপতি (Paschim Medinipur)?

    আদলাতে দোষীদের প্রথমে বক্তব্য শুনতে চান বিচারপতি (Paschim Medinipur) সেলিম শাহী। এরপর দোষীদের উদ্দেশ্যে বিচারপতি বলেন, “আদালত দোষী সাব্যস্ত করেছে আপনাদের। কী বলার আছে বলতে পারেন। নিজেদের নির্দোষ বলে লাভ নেই। রায়ের কপি পেয়ে যাবেন। এরপর আপনারা হাইকোর্টে আবেদন করতে পারবেন।”

    প্রথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে হামলা হয়েছিল

    ২০১০ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারিতে শিলদা (Paschim Medinipur) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র চত্বরে থাকা ইএফআর ক্যাম্পে মাওবাদী হামলার ঘটনা ঘটেছিল। এই হামলায় ২৪ জন ইএফআর সেনার মৃত্যু হয়েছিল। এরপর ক্যাম্প তুলে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য এই ক্যাম্পের কাছেই ছিল পুলিশের স্ট্রোক ক্যাম্প। হামলায় জওয়ানদের গুলি করে খুন করা হয়। এরপর ক্যাম্পে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে চালানো হয় অস্ত্র ভাণ্ডারে লুটপাট।

    অপরাধীদের নাম

    সূত্রে জানা গিয়েছে, এই মামলা প্রথমে ঝাড়গ্রামে শুরু হয়েছিল। এরপর মামলা মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এই মামলায় দোষীদের নাম হল, লোচন সিংহ সর্দার, চুনারাম বাস্কে, রমসাই হাঁসদা, আশিস মাহাত, ধৃতিরঞ্জন মাহাত, অর্ণব দাম, বিষ্ণু সারেন, বুদ্ধেশ্বর মাহাত এবং প্রশান্ত পাত্র। এরা প্রত্যকে জামিনে মুক্ত ছিল। অপরদিকে জেল হেফাজতে ছিলেন শ্যামচরণ হাঁসদা, রাজেশ হাঁসদা, শুকলাল সরেন, রাজেশ মুন্ডা, মানস মাহাত, কানাই হাঁসদা, কল্পনা মাইতি, সনাতন সরেন, মনসারাম হেমব্রম, ঠাকুরমনি হেমব্রম, ইন্দ্রজিৎ কর্মকার, কাজল মাহাত, রঞ্জন মুন্ডা এবং মঙ্গল সরেন। মানবাধিকার কর্মীরা অবশ্য এই সাজা ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali Case: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    Sandeshkhali Case: “মমতা ভোটের রাজনীতি করছেন”, সন্দেশখালিকাণ্ডে তোপ ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভোটের রাজনীতি করছেন। রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার সঙ্গে বিষয়গুলি দেখা উচিত।” সন্দেশখালিকাণ্ডে (Sandeshkhali Case) বাংলার মুখ্যমন্ত্রীকে এমনই ‘জ্ঞান’ দিলেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী বিষ্ণুদেও সাই। এক্স হ্যান্ডেলে চিঠিটি শেয়ার করেছেন সাই। সন্দেশখালির বিক্ষোভের কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন তিনি।

    কী লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী?

    লিখেছেন, “এই অপরাধে জড়িত অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আমি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি চিঠি পাঠাচ্ছি। আশা করি, মমতাজি এই চিঠির বিষয়টি গুরুত্ব দেবেন এবং পশ্চিমবঙ্গের ক্ষতিগ্রস্তদের প্রতি ন্যায় বিচার করবেন।” চিঠিতে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “পশ্চিমবঙ্গে মহিলাদের প্রতি অবিচারের সাম্প্রতিক ঘটনাগুলি হৃদয় বিদারক এবং গভীরভাবে বিরক্তিকর। উপজাতি সম্প্রদায়ের ৫০ জনেরও বেশি মহিলার ওপর নৃশংসতা, হাজার হাজার আদিবাসীদের জমি দখল, পাশাপাশি আপনার রাজ্যের সন্দেশখালি এলাকায় এমজিএনআরইজিএ মজুরির জন্য নির্ধারিত তহবিলের অপব্যবহারের মতো মমলাগুলি আমাদের মানবতার বোধকে কলঙ্কিত করেছে। জাতীয় তফশিলি উপজাতি কমিশনের দেওয়া প্রতিবেদনগুলি ভয়াবহ ও ভয়ঙ্কর।”

    ‘সভ্য সমাজের পক্ষে অসহনীয়’

    তিনি লিখেছেন, “স্বামী বিবেকানন্দ, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং ডঃ শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের মতো সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের আশীর্বাদপ্রাপ্ত বাংলা, যাঁর উত্তরাধিকার বিশ্বকে সমৃদ্ধ করেছে। এই ধরনের সচেতন রাজ্যে সমাজের প্রান্তিক অংশের ওপর যে অত্যাচার করা হচ্ছে, তা সভ্য সমাজের পক্ষে অসহনীয়। আপনার নেতৃত্বে এই ধরনের পরিস্থিতি অত্যন্ত নিন্দনীয়। তোষণ ও ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতির জন্য আদিবাসীদের জীবনকে শোষণ করা, তাঁদের মর্যাদার সঙ্গে আপোস করা ও তাঁদের জীবন ও সম্পত্তি বিপন্ন করা মেনে নেওয়া যায় না।”

    আরও পড়ুুন: প্রধানমন্ত্রীর বঙ্গ সফরের কর্মসূচি প্রকাশ কেন্দ্রের, রাত্রিবাস রাজভবনে, করবেন জোড়া সভা

    চিঠিতে লেখা হয়েছে, “পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ায় এটা আশা করা যায় যে আপনি পরিস্থিতি সামলাতে দৃঢ়ভাবে হস্তক্ষেপ করবেন ও অবিলম্বে শাহজাহান ও সিরাজউদ্দিনের মতো দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেবেন, কঠোর শাস্তি দেবেন। দোষীদের রাজনৈতিক রক্ষকরাও অপরাধী, আশা করব, তাঁদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া আপনি এখন রাজনৈতিক বিবেচনার ঊর্ধ্বে উঠে মানবতার স্বার্থ সম্পর্কিত এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     
     
LinkedIn
Share