Author: user

  • Sandeshkhali:  ‘রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই’, সন্দেশখালি ঘুরে মত জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

    Sandeshkhali: ‘রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই’, সন্দেশখালি ঘুরে মত জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারে ক্ষোভে ফুঁসছে সন্দেশখালি (Sandeshkhali) । রাস্তায় বেরিয়ে গর্জে উঠেছেন নির্যাতিতা মহিলারা। সোমবার অসহায় সেই নির্যাতিতাদের সঙ্গে দেখা করতে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা সহ তিনজনের প্রতিনিধি দল সন্দেশখালি যান। নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। শাহজাহান বাহিনীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানির অভিযোগ জানিয়েছেন। আতঙ্কিত মহিলারা রেখা শর্মার কাছে রাষ্ট্রপতি শাসনের আর্জি জানিয়েছেন।

    নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বললেন রেখা শর্মা? (Sandeshkhali)

    বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারি, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে সন্দেশখালির আগেই আটকে দেওয়া হয়। সুকান্তর ওপর পুলিশি নির্যাতনের ঘটনা ঘটে। এর আগে তফসিলি কমিশনের চেয়ারম্যান অরুণ হালদার সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গিয়ে নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। সেখানে সন্দেশখালির মানুষের সঙ্গে কথা বলে রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষে তিনি সওয়াল করেন। এমনকী সন্দেশখালি থেকে ফিরে গিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির সুপারিশ করা হয়। সোমবার দুপুরে  জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা সোজা সন্দেশখালি পৌঁচ্ছে যান। সন্দেশখালির পাত্রপাড়া, দাসপাড়া, কান্ডার পাড়র মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেন। যারা দীর্ঘদিন অভিযোগ করছিলেন, সেখানে অত্যাচার হয়েছে তার রিপোর্ট নিয়ে সোজা সন্দেশখালি থানায় যান। এদিন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে সেই রাষ্ট্রপতি শাসনের পক্ষেই সওয়াল করলেন এলাকার মহিলারা।

     জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন কী বললেন?

    জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা বলেন, আমি নির্যাতিতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। ভয়াবহ অবস্থা। দুটি ধর্ষণের অভিযোগ পেয়েছি। শ্লীলতাহানির অভিযোগও অনেকে করেছে। কিন্তু, তাঁরা যা বলেছেন তা ভাবা যায় না। দিনের পর দিন মহিলাদের ওপর নির্যাতন হয়েছে। ১৮টি অভিযোগ পেয়েছি। যার সাহস করে মুখ খুলেছেন তাদেরকেও পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে। এই ধরনের অভিযোগও আমার সামনে এসেছে। আমাকে ধরে মহিলারা কাঁদছেন। আস্থা নেই পুলিশে। রাষ্ট্রপতি শাসন ছাড়া উপায় নেই।

    <

    p style=”text-align: justify;”> 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • I League 2023-24: গোলকিপারের মারা শট, বিপক্ষের গোলে জড়িয়ে গেল মাটি না ছুঁয়েই!

    I League 2023-24: গোলকিপারের মারা শট, বিপক্ষের গোলে জড়িয়ে গেল মাটি না ছুঁয়েই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গোলরক্ষকের শট মারলেন। বল বিপক্ষের (I League 2023-24) ফুটবলারের কাছে গেলেও কখনই তা মাটি ছুঁল না। তা জড়িয়ে গেল বিপক্ষের গোলপোস্টের জালে। আইলিগে এমন গোল দেখে ফুটবল ভক্তরা মুগ্ধ। রবিবারই ছিল রিয়াল কাশ্মীর বনাম চার্চিল ব্রাদার্সের ম্যাচ। এই ম্যাচে গোলটি করেন নোহিয়ার ক্রিজো। গতকাল গোয়ার তিলক ময়দান স্টেডিয়ামে হোম টিম চার্চিল ব্রাদার্স এফসি মুখোমুখি হয় রিয়াল কাশ্মীর এফসি-র।

    পরাস্ত চার্চিল ব্রাদার্স

    রবিবার রিয়াল কাশ্মীর ২-০ গোলে হারিয়ে দেয় চার্চিল ব্রাদার্সকে (I League 2023-24)। ম্যাচের ৬৬ মিনিটের মাথায় কাশ্মীরের হয়ে গোল করেন ইভোরি কোস্টের ক্রিজো। খ্যাতনামা ফুটবলার দিদিয়ার দ্রোগবার দেশের ফুটবলার ক্রিজো প্রায় মাঝ মাঠ থেকে ভলিতে বল জালে জড়িয়ে দেন। যে চার্চিলের রক্ষণ ভাঙতে একটা সময় বেশ বেগ পেতে হচ্ছিল কাশ্মীরকে। তাদের বিরুদ্ধেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় কাশ্মীর।

    ক্রিজোর গোলের শুরুর শট করেছিলেন কাশ্মীরের গোলরক্ষক শাবির খান 

    ক্রিজোর গোলের শুরুর শট করেছিলেন কাশ্মীরের গোলরক্ষক শাবির খান। কিক নিয়েছিলেন তিনি। সেই শটের (I League 2023-24) বল পৌঁছে যায় চার্চিলের এক ফুটবলারের কাছে। তা ফিরতি হেড করেন কাশ্মীরের এক ফুটবলার। সেই বলকে আর মাটিতে পড়তে দেননি ক্রিজো। গোলের দিকে পিছন করে থাকা অবস্থায় বল ধরে ঘুরে গিয়ে গোলে শট মারেন তিনি। চার্চিলের গোলরক্ষক লাফিয়েও বলের নাগাল পাননি। তখন উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠেন কাশ্মীরের খেলোয়াড়রা। এদিনের জয়ের ফলে আইলিগে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল রিয়াল কাশ্মীর। ১৪ ম্যাচে ২৬ পয়েন্ট তাদের। এই মুহূর্তে শীর্ষে রয়েছে মহমেডান। ১৫ ম্যাচে ৩৪ পয়েন্ট রয়েছে ক্লাবের।

    আরও পড়ুন: বিষ্ণুর দশম অবতার! কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Aadhaar Card: ‘‘রাতের মধ্যেই ফের সক্রিয় হবে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার’’, রাজ্যবাসীকে আশ্বাস সুকান্তর

    Aadhaar Card: ‘‘রাতের মধ্যেই ফের সক্রিয় হবে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার’’, রাজ্যবাসীকে আশ্বাস সুকান্তর

     

     

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ব্যক্তির আধার (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তি সমাধানে সক্রিয় গেরুয়া শিবির। সোমবার, রাজ্য বিজেপির তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে যে যাদের আধার নিষ্ক্রিয় হয়েছে, তা মঙ্গলবারের মধ্যেই পুনরায় সক্রিয় হয়ে উঠবে। বঙ্গ বিজেপি নেতাদের দাবি, পরিকল্পনামাফিক ষড়যন্ত্র করে ভোটের ঠিক আগে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এর নেপথ্যে কারা রয়েছে, তদন্ত করে তার বের করা প্রয়োজন বলেও মনে করছে বঙ্গ বিজেপি।

    গত কয়েকদিন ধরে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের বহু মানুষের কাছে আধার-নিষ্ক্রিয় (Aadhaar Card) হওয়ার চিঠি ও বার্তা আসতে শুরু করেছে। এই নিয়ে তীব্র আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ভোটের মুখে। সমস্যা যে গুরুতর হতে চলেছে, তা আগাম আঁচ করে তড়িঘড়ি আসরে নামেন বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। যোগাযোগ করা হয় কেন্দ্রের সঙ্গে। গোটা বিষয়টি বিস্তারিতভাবে পেশ করা হয়। এর পরই, কেন্দ্রের তরফে আশ্বাস পেয়ে রাজ্য বিজেপি সভাপতি এদিন রাজ্যবাসীকে অভয় দেন। 

    ‘‘২৪-ঘণ্টার মধ্যে সক্রিয় হবে কার্ড’’

    এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘‘আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিয়ে বেশ কিছু জেলায় বেশ কিছু সমস্যা হয়েছে। তাকে হাতিয়ার করে মুখ্যমন্ত্রী ও তাঁর সাঙ্গপাঙ্গরা সন্দেশখালি থেকে নজর ঘোরানোর চেষ্টা করছে, ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা করছে। আমি রাজ্য বিজেপি সভাপতি হিসাবে পশ্চিমবঙ্গবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই, আমি রেলমন্ত্রী, তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রী ও আধারের দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় সচিবের সঙ্গে কথা বলেছি। কারও বিন্দুমাত্র ভয় পাওয়ার কোনও কারণ নেই। আজ রাতের মধ্যে সমস্ত তথাকথিত ডিঅ্যাক্টিভেটেড আধার কার্ড আবার চালু হয়ে যাবে। কোনও আধার কার্ড বাতিল হবে না।’’

    ‘‘অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন নেই’’

    রাজ্যের বাসিন্দাদের কারও আধার (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হলে যাতে তারা অভিযোগ জানাতে পারে, তার জন্য একটি পোর্টাল তৈরির ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। এই মর্মে তিনি মুখ্যসচিবকে নির্দেশ দেন। সেই প্রেক্ষিতে এদিন সুকান্ত (Sukanta Majumdar) জানিয়ে দেন, কোনও প্রয়োজন নেই কোথাও অভিযোগ করার। সোমবার রাতের মধ্যেই সব আধার সক্রিয় হয়ে যাবে। তিনি বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী একটা পোর্টাল খুলেছেন বলে শুনতে পাচ্ছি। কোনও পোর্টালে কোনও অভিযোগ জানানোর দরকার নেই। যদি আজ রাতের পরে কারও আধার কার্ড ডিঅ্যাক্টিভেটেড থাকে, বিজেপি পার্টি অফিসে যোগাযোগ করুন। আমরা দায়িত্ব নিচ্ছি, আমরা দায়িত্ব নিয়ে আপনাদের আধার কার্ড অ্যাক্টিভেট করে দেব। আমরা আঞ্চলিক আধার অফিসের সঙ্গে আপনাদের যোগাযোগ করিয়ে দেব। আজ রাতের মধ্যে সবার সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’’

    কেন্দ্রের অগোচরে এমন কাজ?

    এদিকে, আচমকা রাজ্যবাসীর আধার-কার্ড নিষ্ক্রিয় হওয়ার ঘটনার নেপথ্যে বৃহত্তর ষড়যন্ত্র হয়ে থাকতে পারে বলে ইঙ্গিত দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুভেন্দুর দাবি, সমস্যা তৈরি হয়েছে আধার কার্ডের রাঁচি আঞ্চলিক দফতর থেকে। এদিন এক্স হ্যান্ডলে শুভেন্দু লেখেন, ‘‘এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে কথা বলেছি। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নিষ্ক্রিয় হওয়া আধার কার্ড সক্রিয় হয়ে যাবে।’’ শুভেন্দু আরও বলেন, ‘‘রাঁচির আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে যে এরকমটা করা হয়েছে, তা উচ্চপর্যায়ের আধিকারিক এবং মন্ত্রকের কেউ জানতেন না।’’

    ভোটের আগে পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র?

    এই কাণ্ড ঘটিয়ে ভোটের আগে বিজেপিকে কালিমালিপ্ত করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে বলেও মনে করছেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। কারণ, যাঁদের আধার কার্ড (Aadhaar Card) নিষ্ক্রিয় হয়েছে, তাঁদের মধ্যে অনেকেই মতুয়া-সম্প্রদায়ভুক্ত। বিজেপির দাবি, ভোটের আগে সিএএ-এনআরসি জুজু দেখিয়ে মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে বিজেপি-বিরোধী করার একটা অপচেষ্টা করা হয়েছে। শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সত্যটা কী, তা জানতে একটা তদন্ত করা হবে এবং এটাও খতিয়ে দেখা হবে যে ভোটের আগে কোনও ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে কিনা।’’ এই প্রসঙ্গে শীর্ষস্তরে এই বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য শুভেন্দু জাহাজমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের পদক্ষেপের প্রশংসা করেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kalki Dham: বিষ্ণুর দশম অবতার! কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    Kalki Dham: বিষ্ণুর দশম অবতার! কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কল্কি ধাম (Kalki Dham) মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্থ স্থাপন করলেন সোমবার। এই মন্দির কল্কি অবতারের উদ্দেশে তৈরি করা হচ্ছে। রাম মন্দিরের পরে বর্তমানে কল্কি ধাম মন্দির নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। হিন্দু ধর্ম অনুযায়ী কল্কিকে ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার মানা হয়। মন্দিরটি তৈরি হচ্ছে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলায়। কল্কি ধাম মন্দিরের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের পরে তার ছবি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকেও দেখা যায় প্রধানমন্ত্রীর পাশে।

    ধর্মের গ্লানি ও পাপ বাড়লে আবির্ভাব ঘটে বিষ্ণুর অবতারের

    হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী যখন যখন ধর্মের গ্লানি এবং অধর্মে ভরে যায় পৃথিবী, তখনই ভগবান বিষ্ণু অবতার রূপে আবির্ভূত হন এবং অত্যাচারিত মানুষকে রক্ষা করেন। পুরাণ অনুযায়ী এটাও মানা হয় যে বর্তমানে কলি যুগ চলছে এবং এই কলি যুগে পৃথিবী পাপে ভরে যাবে। ভগবান নারায়ণ তখন মানুষকে উদ্ধার করতে কল্কি অবতার রূপে আবির্ভূত হবেন। পৌরাণিক বিভিন্ন আখ্যান অনুযায়ী কলিযুগ (Kalki Dham) শুরু হয়েছে ৩১০২ খ্রিস্টপূর্বাব্দ  থেকে বর্তমানে কলি যুগের প্রথম দশা চলছে। পুরাণ অনুযায়ী কলিযুগ চলবে ৪ লাখ ৩২ হাজার বছর।

    কল্কি অবতার কখন জন্ম নেবে?

    শ্রীমৎ ভাগবত এর দ্বাদশ স্কন্দে চব্বিশ তম শ্লোক অনুযায়ী যখন বৃহস্পতি সূর্য এবং চন্দ্র পুষা নক্ষত্রে আসবে, তখনই আবির্ভাব হবে কল্কি অবতারের। কল্কি অবতার জন্মগ্রহণ করবেন শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চম দিনে। এই বিশ্বাসেই প্রতিবছর কল্কি জয়ন্তী পালন করা হয় শ্রাবণ মাসের শুক্লা পঞ্চমীতে। ভগবান বিষ্ণুর দশম অবতার হিসেবে উত্তরপ্রদেশের সম্বল জেলাতে জন্মগ্রহণ করবেন কল্কি দেবতা। তাই সেখানেই নির্মিত হচ্ছে কল্কি ধাম (Kalki Dham)। অগ্নি পুরাণের ১৬ তম অধ্যায় অনুযায়ী, কল্কি অবতার ঘোড়ায় চড়ে আসবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা, ম্যাটাডোর ভাঙচুর করে আগুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Asansol: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা, ম্যাটাডোর ভাঙচুর করে আগুন, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার রুখলেন গ্রামবাসীরা। গরু বোঝাই ম্যাটাডোর ঘিরে ধরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকাবাসী। গরু নামিয়ে ম্যাটাডোরে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেন উত্তেজিত জনতা। সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের (Asansol) দক্ষিণ থানার ডাঙ মহিশীলায় গ্রামে। গরু চোর সন্দেহে দুজনকে গণপিটুনি দেন বলে অভিযোগ। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Asansol)

    আসানসোলের (Asansol) ডাঙ মহিশীলা গ্রামে গত কয়েকদিন ধরেই গরু চুরির ঘটনা ঘটে। বাড়ি থেকেও উধাও হয়ে যাচ্ছিল গরু। কিন্তু, চোরের হদিশ পাচ্ছিলেন না গ্রামবাসীরা। এমনকী মাঠ থেকে চুরি হয়ে যাচ্ছিল গরু। তবে, কে বা কারা এই গরু চুরি করছিল তার হদিশ পাননি এলাকাবাসী। পুলিশের কাছে এনিয়ে একাধিক গ্রামবাসী লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে, গ্রামবাসীরা ক্ষোভে ফুঁসছিলেন। সোমবার দুপুরে দুটি ম্যাটাডোরে গরু বোঝাই করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। বিষয়টি গ্রামবাসীদের নজরে পড়তেই দুটি ম্যাটাডোর আটকান তাঁরা। গাড়ির চালকরা কেউ সদুত্তর দিতে পারেননি। এরপরই গ্রামবাসীরা জড়ো হয়ে ম্যাটাডোর থেকে গরু নামিয়ে চালকদের ওপর চড়াও হন। তাঁদের বেধড়ক মারধর করা হয়। গাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরে, পুলিশ এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। দমকলের গাড়ি এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এই এলাকায় গরু পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। দিনের পর দিন এলাকা থেকে গরু পাচার হয়ে গেলেও চোর ধরা পড়ছিল না। পুলিশের কাছে আমরা একাধিকবার অভিযোগ জানিয়েছি। তাতে কোনও কাজ হয়নি। এদিন দুটি ম্যাটাডোর করে অনেক গরু পাচার করা হচ্ছিল। আমরা হাতেনাতে তা ধরে ফেলেছি। অবিলম্বে এই গরু পাচারের সঙ্গে যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা আর্জি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    Petrol Pump: বকেয়া মেটায়নি রাজ্য! উত্তরবঙ্গে পাম্প ধর্মঘট, রমরমিয়ে চলছে কালোবাজারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বার বার আবেদন জানিয়েও পঞ্চায়েত ভোটে  কেন্দ্রীয় বাহিনীর গাড়ির জ্বালানির তেলের  টাকা দেয়নি রাজ্য। আর তাতে তৈরি হয়েছে সমস্যা। কোটি কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে। আর বকেয়া টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিতেই পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) ধর্মঘট করলেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার থেকে শুরু করে গোটা উত্তরবঙ্গের পাম্প মালিকেরা। সেই সুযোগে কোচবিহারে চলল তেলের কালোবাজারি। এক লিটার তেল বিক্রি হল ১৫০ টাকায়। কোথাও আরও বেশি টাকা দিয়ে তেল কিনলেন গ্রাহকেরা।

    বকেয়া নিয়ে সরব পেট্রল মালিকরা (Petrol Pump)

    পঞ্চায়েত ভোটের সময়ে রাজ্যে এসেছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই সময়ে প্রায় সাড়ে ১৯ কোটি টাকার জ্বালানি তেল ব্যবহার হয়েছিল। যে টাকা এখনও বকেয়া থাকার অভিযোগ তুলে সূত্রের খবর, পেট্রল পাম্পগুলি (Petrol Pump) তাদের বকেয়া টাকা চেয়েছে রাজ্যের কাছ থেকে। এ দিকে রাজ্যের তরফে জানানো হয়েছে, বিষয়টি নিয়ে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে। ফলে, বকেয়া টাকা কে মেটাবে তা নিয়ে চলছে টানাপডেন। ‘উত্তরবঙ্গ পেট্রল মালিক সমিতি’র কোচবিহার জোনের দায়িত্বে রয়েছেন দীপঙ্কর বণিক। তিনি বলেন, “পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময়ে শুধু কোচবিহারেই ৯০ লক্ষ টাকার তেল দেওয়া হয় কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। সে বকেয়া কেউ মেটাচ্ছে না। এ ছাড়া, একাধিক ব্লক অফিসের লক্ষ-লক্ষ টাকা বকেয়া পড়ে রয়েছে। এমন হলে পেট্রল পাম্প চালানো কঠিন। তাই বাধ্য হয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে।”

    পাম্প ধর্মঘটে শুরু হয়েছে কালোবাজারি

    আলিপুরদুয়ারেও ধর্মঘটের জেরে বন্ধ পেট্রল পাম্প বন্ধ ছিল গোটা দিন। আলিপুরদুয়ার শহর-সহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় পাম্পের সামনেই পেট্রলের কালোবাজারি চলে বলে অভিযোগ। অভিযোগ, কোথাও লিটার প্রতি পেট্রল কিনতে গ্রাহকদের গুণতে হল বাড়তি কুড়ি টাকা, তো কোথাও আবার তিরিশ থেকে চল্লিশ টাকা। কোচবিহার স্টেশন মোড়ে একটি পেট্রল পাম্প (Petrol Pump) রয়েছে। সে পাম্প এ দিন বন্ধ ছিল। পেট্রল পাম্পের পাশেই রাস্তার ধারে ছোট-ছোট পাত্রে জ্বালানি তেল নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কয়েক জন যুবক। লিটার প্রতি কেউ তিরিশ টাকা কেউ চল্লিশ টাকা বেশি নিয়ে পেট্রল বিক্রি করছিলেন। খোলা জায়গায় প্রায় সর্বত্র পেট্রল বিক্রির অভিযোগ রয়েছেই। এ দিন তা বেড়ে যায় কয়েক গুণ। দিনহাটা-মাথাভাঙা প্রধান সড়কের ধারে বোতলে পেট্রল ভরে তা বিক্রি করা হয়।

    জেলা প্রশাসনের আধিকারিক কী বললেন?

    কালোবাজারির বিরুদ্ধে কোনও আইনি ব্যবস্থা নিতেও দেখা যায়নি প্রশাসন বা পুলিশকে। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, কালোবাজারির কোনও অভিযোগই আমাদের কাছে কেউ করেননি। জেলা পুলিশের এক কর্তাও বলেন, আমাদের কাছে তেমন অভিযোগ যায়নি। তবে, সাধারণ মানুষের স্বার্থে কর্তৃপক্ষকে রাজি করিয়ে জেলায় দুটি পেট্রল পাম্প সকালের দিকে খুলে রাখা হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    Uttarakhand: দাঙ্গাকারীদের কড়া বার্তা, সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার কাজ শুরু উত্তরাখণ্ড পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) পুলিশ হলদোয়ানির  বনভুলাপুরায় দাঙ্গাকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা রাস্তায় হাঁটল। প্রসঙ্গত, দাঙ্গায় সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগে ইতিমধ্যে ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পুরসভার তরফে সেই নোটিস ইতিমধ্যে পৌঁছে গিয়েছে মাস্টার মাইন্ড আব্দুল মালিকের কাছে।

    কী বলছে জেলা প্রশাসন?

    এ নিয়ে নৈনিতালের পুলিশ আধিকারিক প্রহ্লাদ নারায়ন মিনা সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল মালিক এবং তাঁর ছেলে সহ আরও সাত অভিযুক্ত এখনও পুলিশের খাতায় পলাতক রয়েছে। আদালত তাদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আদেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য আদালতের আদেশের পরেই জেলা প্রশাসন দাঙ্গাকারীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত (Uttarakhand) করার রাস্তায় হাঁটতে শুরু করেছে। এদিন প্রচুর সংখ্যায় পুলিশ এবং পাশাপাশি আধার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছে যান আব্দুল মালিকের প্রাসাদোপম বাড়িতে। এবং সেখানে এই মাস্টারমাইন্ডের প্রচুর জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।

    বাজেয়াপ্ত হওয়া জিনিসের তালিকা

    পুলিশ এদিন বাজেয়াপ্ত করেছে ৩০ জোড়া চপ্পল এবং জুতা, জিমের সরঞ্জাম, বিপুল পরিমাণ টাকা। বাংলাদেশ, নেপাল সৌদি আরব এবং অন্যান্য দেশের মুদ্রাও সেখানে মিলেছে। তবে মোট টাকার পরিমান পুলিশ জানাতে পারেনি। এছাড়া বহু মূল্যের ঘড়ি এবং পারফিউমও সেখান (Uttarakhand) থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই নিয়ে পুলিশ জানিয়েছে যে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসগুলির একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে যা আদালতে দাখিল করা হবে। দেখা যাচ্ছে বাজেয়াপ্ত করা জিনিসগুলির মধ্যে রয়েছে সোফা সেট ডাইনিং সেট, ফ্রিজ, আলমারি, এসি, কম্পিউটার, প্রিন্টার, গহনা ইত্যাদি।

    সম্প্রতি অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে উত্তরাখণ্ডের হলদোয়ানি

    সম্প্রতি হলদোয়ানিতে একটি মাদ্রাসা ভাঙাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় পৌর প্রশাসন এবং প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপরে হামলার ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে কার্ফু জারি করতে হয় উত্তরাখণ্ডের বিজেপি সরকারকে। দশ হাজার মানুষের বাস রয়েছে ওই স্থানে এবং তা পুরোটাই মুসলিম অধ্যুষিত। সরকার বেআইনি মাদ্রাসা ভাঙতে যাওয়া মাত্রই ওখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসনিক আধিকারিকদের উপর পাথর ছুড়তে থাকে। এই ঘটনায় অসংখ্য পুলিশ কর্মী, সাংবাদিক এবং সাধারণ নাগরিক গুরুতরভাবে জখম হন। প্রশাসনের অসংখ্য গাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ হাজার ব্যক্তির নামে পুলিশ এফআইআর দায়ের করে (Uttarakhand)। যাদের মধ্যে ৩০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: ‘সেরার’ তকমা পাওয়া জেলা হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ক্ষুব্ধ রোগীরা

    Dakshin Dinajpur: ‘সেরার’ তকমা পাওয়া জেলা হাসপাতালে নেই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, ক্ষুব্ধ রোগীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা হাসপাতাল পেয়েছে রাজ্যের সেরা হাসপাতালের তকমা। অথচ ‘সেরা’ হাসপাতালে একাধিক রোগের বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। কলকাতা থেকে ডাক্তারবাবুরা এসে সামাল দেন। তারা যে নিয়মিত আসেন, তাও নয়। সমস্যায় রোগী এবং তাঁর বাড়ির লোকেরা।

    ডাক্তার অভাবে ধুঁকছে হাসপাতাল! (Dakshin Dinajpur)

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলা হাসপাতাল চত্বরে তৈরি করা হয়েছে সুপারস্পেশালিটি হাসপাতাল। ভবন ১০ তলার। চিকিৎসা পরিষেবার জন্য হাসপাতালে উন্নতমানের চিকিৎসা সরঞ্জাম আনা হলেও বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের অভাবে খুঁকছে স্বাস্থ্য পরিষেবা। মেডিসিন, প্রসূতি, অর্থোপেডিক এবং আরও কয়েকটি বিভাগে ডাক্তার রয়েছেন। ডাক্তারের অভাব রয়েছে ইউরোলজিস্ট বা নিউরোলজিস্ট, নেফ্রোলজিস্ট, গ্যাস্ট্রো বিভাগের। এমনকী কার্ডিওলজি বিভাগও ডাক্তারহীন। সামান্য প্রস্টেটের সমস্যার জন্য হাসপাতাল থেকে পাওয়া যাচ্ছে না পরিষেবা। প্রাথমিক চিকিৎসা করে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বাইরে থেকে দেখিয়ে নেওয়ার। বালুরঘাট পুরসভার আওতায় পুর হাসপাতাল ‘মাতৃসদন’। এর নীচে একটি বেসরকারি সংস্থার ল্যাব রয়েছে। সেখানে বাইরে থেকে ডাক্তাররা রোগী দেখতে আসেন। কিন্তু তাও মাসে একবার। একই অবস্থা গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতাল ও সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালের।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    কুমারগঞ্জের বাসিন্দা কমল বিশ্বাস বলেন, ‘তিনদিন আগে বাবার প্রস্টেটজনিত সমস্যায় জেলা হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলাম। শুক্রবার বাবাকে ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। ইউরোলজিস্ট না থাকায় সেখানে বাবার চিকিৎসা সম্ভব হয়নি। কলকাতা থেকে একদিনের জন্য আসা ডাক্তারবাবুই ভরসা। অবিলম্বে হাসপাতালে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের নিয়ে আসা উচিত।’

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    এই বিষয়ে বিজেপির জেলা সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, সেরা তকমা তো দিদিমণির হাতে। তিনি চেয়েছেন তাই সেরা তকমা পেয়েছে বালুরঘাট হাসপাতাল। হাসপাতাল সেরা তকমা পেলেও হাসপাতালে কোনও ভালো চিকিৎসার ব্যাবস্থা নেই। রোগীদেরকে চিকিৎসা করাতে জেলার বাইরে নিয়ে যেতে হয়। সবটাই লোক দেখানো।

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ সুদীপ দাস বলেন, ‘এই মুহূর্তে জেলায় বিশেষজ্ঞ ডাক্তার নেই। তবে স্বাস্থ্য দফতরে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের জন্য আবেদন জানিয়েছি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব স্পেশালিস্ট ডাক্তারদের যাতে পোস্টিং করানো যায়, তা নিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    Sandeshkhali: মিষ্টি-মাংসের দোকানে শিবু-উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার টাকা বাকি, শিবিরে শুনলেন আধিকারিকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতির তদন্তে ইডি আধিকারিকরা তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি করতে গিয়ে আক্রান্ত হন। তারপর থেকে বিভিন্ন ঘটনায় গত দেড় মাস ধরে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। অগ্নিগর্ভ সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। পরিস্থিতি সামাল দিতে নড়েচড়ে বসেছে প্রশাসন। সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য রবিবার থেকে সন্দেশখালির বিভিন্ন প্রান্তে সরকারি ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছে। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত খোলা থাকছে সেই ক্যাম্প। সরকারি আধিকারিকরা সেখানে থাকছেন। সংগ্রহ করা হচ্ছে অভিযোগ। সকাল সাধারণ মানুষের বক্তব্য সেই অভিযোগের খাতায় নথিভুক্ত করা হচ্ছে।

    কী অভিযোগ জানালেন বাসিন্দারা? (Sandeshkhali)

    গত কয়েক দিনের গণআন্দোলনে গোটা দেশ সন্দেশখালির (Sandeshkhali) তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের দৌরাত্ম্যের কথা জেনে গিয়েছে। শাহজাহানের শাগরেদ শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, মিষ্টি জলের পুকুরে তাঁরা নোনাজল ঢুকিয়ে দিয়েছেন, জমি কেড়ে নিয়েছেন, লিজের টাকা দেননি, ভেড়িতে কাজ করার টাকা দেননি। কেউ বলছেন, আমি ৪০ হাজার টাকা পাই, কেউ বলছেন ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা পাই। টাকার কথা বললে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হত। সরকারি অফিসাররাও এমন সব অভিযোগ শুনে চমকে যাচ্ছেন। বিনিময়ে চাকরির দুর্নীতি হয়েছে। দেশবাসী নিশ্চয়ই এগুলি ভুলে যাননি।’ অভিযোগ শুনে হতবাক হয়ে যান অফিসাররা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সন্দেশখালির এক বাসিন্দা এদিন ওই ক্যাম্পে হাজির ছিলেন। তিনি বলেন, ‘আমার কাছ থেকে উত্তম সর্দার ৬০ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। উত্তম বলেছিলেন, একমাস পরে আমাকে ফেরত দিয়ে দেবেন। তারপর আর আমি সেই টাকা পাইনি।’ ওই ব্যক্তির আরও অভিযোগ, জবকার্ডের জন্য তাঁর অ্যাকাউন্টে ২৪ হাজার টাকা ঢুকেছিল। তার মধ্যে ২২ হাজার টাকাই উত্তমকে দিয়ে দিতে হয়েছিল।

    সরকারি আধিকারিক কী বললেন?

    সন্দেশখালি (Sandeshkhali) বিডিও অফিসের এক আধিকারিক বলেন, ‘কলকাতা শহরের থেকে সামান্য দূরত্বে এই সন্দেশখালি। এলাকার মানুষের এত দুর্দশা! অথচ আমরা এতদিন তা জানতামই না। এবার সব বুঝতে পারছি। সকাল থেকে একের পর এক অভিযোগ এসেছে। ওই সব অভিযোগ শুনে আমরা অবাক হয়ে যাচ্ছি। সমস্ত অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বিভাগে জমা দেওয়া হবে।’

    মিষ্টি-মাংসের দোকানে বাকি শিবু-উত্তমের!

    শুধু তাই নয়, সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকার বিভিন্ন পোশাকের দোকান, মিষ্টি দোকান, মাংসের দোকানে কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে, সেসব দোকানে শিবু, উত্তম বাহিনীর হাজার হাজার  টাকা বাকি রয়েছে। টাকা চাইলেই হুমকি শুনতে হত। ওই দোকানদাররা সেই খাতা নিয়ে ক্যাম্প অফিসে চলে আসছেন। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ‘ক্যাম্প খোলা হয়েছে সাধারণ মানুষের অভিযোগ শোনার জন্য। অভিযোগ জানাতে অনেকেই আসছেন। কেউ বলছেন টাকা পাননি, কেউ বলছেন, টাকা চাইলেই হুমকি দেওয়া হচ্ছে। কথা বলতে বলতে অনেকেই কেঁদে ফেলছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: পরপর দু’বার সংসদ রত্ন পুরস্কার পেলেন সুকান্ত মজুমদার

    Sukanta Majumdar: পরপর দু’বার সংসদ রত্ন পুরস্কার পেলেন সুকান্ত মজুমদার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছরের পর ফের এই বছর। সংসদ রত্ন পুরস্কার পেলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে সংসদ রত্ন সম্মানে ভূষিত করা হয় তাঁকে। কিন্তু শারীরিক অসুস্থতার কারণে সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে পারেননি সুকান্ত। রবিবার তাঁর বাড়ি এসে সেই পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় বালুরঘাটের সাংসদের হাতে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রপতি ড: এপিজে আবদুল কালামের পরামর্শেই ‘সংসদ রত্ন’ সম্মান চালু করেছিল কেন্দ্রীয় সরকার। বর্তমান সময়ে কমিটির শীর্ষে রয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অর্জুন রাম মেঘওয়াল।

    কী বলছেন সুকান্ত মজুমদার?

    সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজেপির রাজ্যসভাপতি (Sukanta Majumdar) লিখেছেন, ‘‘২০২৪-এর সংসদ রত্ন সম্মানে ভূষিত হয়ে আমি অভিভূত। দিল্লিতে ১৭ তারিখ আয়োজিত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে আমি শারীরিক কারণে উপস্থিত না থাকতে পারায়, আজ আমার বাসভবনে প্রাইম পয়েন্ট ফাউন্ডেশন এই আয়োজন করেন। ওনাদের সকলকে আমার বিনীত ধন্যবাদ, আমাকে এই সম্মানে সম্মানিত করার জন্য।’’

    আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটের আগে বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি পদে মেয়াদ বাড়ল নাড্ডার

    সাংসদদের পারফরম্যান্সের ওপরে ভিত্তি করে দেওয়া হয় এই পুরস্কার দেওয়া হয়

    প্রসঙ্গত, লোকসভায় সাংসদদের উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্সের ওপরে ভিত্তি করে এই পুরস্কার দেওয়া হয়। জানা গিয়েছে, সংসদের অধিবেশনে প্রাইম পয়েন্ট ফাউন্ডেশন নামের একটি সংস্থা এই পারফরম্যান্স বিচার করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রসঙ্গত, গত ১৪ ফেব্রুয়ারি সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালির ঘটনার প্রতিবাদে এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি (Sukanta Majumdar)। কিন্তু মাঝপথে তাঁর সঙ্গে পুলিশের বচসা বাঁধে, সেই বচসা খণ্ডযুদ্ধে পরিণত হয়। এরপর বসিরহাট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় সুকান্তকে। সেখান থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় কলকাতার এক বেসরকারি হাসপাতালে। এই সময়ের মধ্যেই সংসদ রত্ন পুরস্কার প্রদানের অনুষ্ঠান ছিল। তাই তিনি যেতে পারেননি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share