Author: user

  • Ranaghat: রানাঘাট মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনে চালু হচ্ছে এসি কোচ! কী কী সুবিধা রয়েছে জানেন?

    Ranaghat: রানাঘাট মাতৃভূমি লোকাল ট্রেনে চালু হচ্ছে এসি কোচ! কী কী সুবিধা রয়েছে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনে আধুনিক পরিষেবা সংযোজিত হল। এবার থেকে এই ট্রেনে শীততাপ নিয়ন্ত্রিত দুটি কামরা থাকবে। গরমকালে এসি পরিষেবা পাবেন যাত্রীরা। তবে, বিশেষ এই কামরায় উঠতে যাত্রীদের সামান্য বেশি ভাড়া গুনতে হবে। আর মহিলা যাত্রীদের জন্য বরাদ্দ এই ট্রেনের কামরার সংখ্যাও বাড়ানো হল। রবিবার নতুন পরিষেবা যুক্ত মাতৃভূমি স্পেশাল ট্রেনের উদ্বোধন করেন সাংসদ জগন্নাথ সরকার। উপস্থিত ছিলেন শিয়ালদার  ডিভিশনাল রেলওয়ে ম্যানেজার দীপক নিগম। এই ট্রেনটিতে মিলবে একাধিক যাত্রী পরিষেবা। এদিন সকাল ১০:৪৫ মিনিট নাগাদ রানাঘাট (Ranaghat) পাঁচ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ট্রেনটি ছাড়়ে।

    মাতৃভূমি ট্রেনে কী কী সুবিধা রয়েছে? (Ranaghat)

    এই ট্রেনটিতে রয়েছে দুটি স্পেশাল কামরা। রয়েছে প্রথম শ্রেণি ও দ্বিতীয় শ্রেণি। এছাড়াও জনসাধারণের জন্য জেনারেল কামরা রয়েছে। প্রথম শ্রেণির কোচের আরামদায়ক বসার ব্যবস্থা সহ সিসিটিভি ক্যামেরা, নিরাপত্তা, মোবাইল চার্জিং ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়াও একাধিক সুবিধা রয়েছে। এর আগেও রানাঘাট (Ranaghat) থেকে শিয়ালদা মাতৃভূমি ট্রেন চলত। কিন্তু, সেই ট্রেনটিতে ছিল মূলত নয়টি কামরা। এবার ট্রেনের কামরা সংখ্যা বাড়িয়ে করা হল ১২টি। দুটি কামরা স্পেশাল করা হয়েছে। যেখানে রয়েছে উন্নত মানের বসার চেয়ার এবং নিরাপত্তার কারণে রাখা হয়েছে সিসি ক্যামেরা। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে ভবিষ্যতে আরও উন্নত করা হবে এই ট্রেনগুলিকে। এক মহিলা যাত্রী বলেন, আগে ৯ কামরা ছিল। এবার ১২টি কামরা করা হয়েছে। শুধু মহিলাদের জন্য আরও গুরুত্ব দিয়ে পরিষেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

    কী বললেন বিজেপি সাংসদ?

    ট্রেন উদ্বোধনের শেষে বিজেপি সংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, লোকাল ট্রেনে এসি কামরার সুবিধা পূর্ব ভারতে প্রথম। ইস্টার্ন রেলওয়ে এই প্রথম লোকাল ট্রেনে এই ধরনের পরিষেবা চালু করেছে। মুম্বইয়ের পর দ্বিতীয় এই ট্রেন। সপ্তাহে রবিবার বাদে প্রতিদিনই রানাঘাট (Ranaghat) স্টেশন থেকে ৭:৪৫ মিনিটে শিয়ালদাগামী এই ট্রেন ছাড়বে। আমি অত্যন্ত খুশি ইস্টার্ন রেলওয়ের এই উদ্যোগে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চাইলে মোদির কাছে আসতে হবে”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “যে কোনও সুস্থ মাথার মানুষ যাঁরা রাজনীতি এবং মানুষের সঙ্গে থেকে কাজ করতে চান, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এসে কাজ করতে হবে।” রবিবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের প্রসঙ্গ টেনে ইন্ডি জোটকে কড়া সমালোচনা করে মমতাকে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। রাজ্যের টেট এবং শিক্ষক দুর্নীতি প্রসঙ্গে একাধিক বিষয়ে সরকারকে নিশানা করলেন তিনি।

    কী বললেন শুভেন্দু (Suvendu Adhikari)?

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘মন কি বাত’ অনুষ্ঠানের বক্তব্য শোনার পর নন্দীগ্রামে আজ বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, “ইন্ডি জোট হল ছন্নছাড়া দশা।” বিহাররের প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, “ দলের জাতীয় স্তরে দায়িত্বে যাঁরা রয়েছেন তাঁরাই এই বিষয়ে দেখছেন। তবে যতক্ষণ পর্যন্ত আনুষ্ঠানিক ভাবে কিছু ঘোষণা না করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত কিছু বলাটা ঠিক হবে না। সুস্থ রাজনীতি করতে গেলে মোদিজির সঙ্গে কাজ করতে পারেন। দেশকে যাঁরা ভালোবাসেন, পরিবারবাদ, দুর্নীতি এবং তোষণনীতিকে যাঁরা মান্যতা দেন না, তাঁদের নরেন্দ্র মোদির কাছেই এসে কাজ করতে হবে। এটাই একমাত্র ভবিতব্য।”

    তৃণমূলকে আক্রমণ করে কী বললেন?

    এদিন বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী মমতাকে আক্রমণ করে বলেন, “নবান্নে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তেজস্বী যাদব এবং নীতীশ কুমারের সাংবাদিক বৈঠকটা ছেড়ে দেবো। সব রেডি করা আছে। সুপ্রিম কোর্টে প্যানেল জমা পড়লেই তৎপরতা বাড়ে। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষায় কত জন চাকরি পেয়েছে? ১৫০ টাকার ফর্ম হয়েছে ৫০০ টাকা। বেকারদের কাছ থেকে এই তৃণমূল সরকার ২৭ কোটি টাকা তুলেছে। ২ কোটি টাকা খরচ করেছে পরীক্ষার জন্য। আর বাকি ২৫ কোটি টাকা সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীদের ফিস দিতে খরচ করা হচ্ছে। বেকারদের কাছ থেকে টাকা তুলেছে তৃণমূল। ২০২২ সালের টেট আবেদনকারী ছিলেন ১০ লাখ আর ২০২৩ সালে সেই টেট আবেদনকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ লাখ। চাকরি যে নেই সেটা বাংলার যুবক যুবতীরা ধরে ফেলেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোটের ফের দফারফা! উত্তরবঙ্গে টিম রাহুলের বাস আটকে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) পিন্ডি চটকে যাওয়ার মতো অবস্থা! এর আগে কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর জন্য সভামঞ্চ খুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল মমতার পুলিশের বিরুদ্ধে। মুর্শিদাবাদে রাহুলের কর্মসূচিতে আসা কংগ্রেস কর্মীদের থাকার জন্য বহরমপুর স্টেডিয়াম চাওয়া হয়েছিল। মমতার প্রশাসন তা নাকচ করে দিয়েছে। এর সঙ্গে এবার জুড়ল জলপাইগুড়ির নাম। রাহুলের ন্যায় যাত্রাকে কেন্দ্র করে রবিবার উত্তপ্ত হয়ে উঠল জলপাইগুড়ি। টিম রাহুলের বাস আটকে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে। আর এই অশান্তির মাঝেই শহরে পৌঁছলেন রাহুল গান্ধী। মমতার পুলিশের এহেন আচরণে চরম ক্ষুব্ধ প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্ব।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Indi Alliance)

    জলপাইগুড়িতে রাহুলের ন্যায় যাত্রা কর্মসূচি রয়েছে। আর এদিন রাজ্য পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর পদে পরীক্ষা রয়েছে। জলপাইগুড়িতে একাধিক পরীক্ষার সেন্টার করা হয়েছে। শহর জুড়ে প্রচুর পুলিশ কর্মী মোতায়েন রয়েছে। সাড়ে এগারোটায় বাগডোগরায় নেমেছেন রাহুল। এদিন সকালে জলপাইগুড়ির পাহাড়পুর মোড়ে ন্যায় যাত্রার বাস ঢুকতেই বাধা দেয় পুলিশ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন কংগ্রেস কর্মীরা। ফলে, কংগ্রেস কর্মীরা ন্যায় যাত্রায় যোগ দিতে বাধা পান বলে অভিযোগ। কংগ্রেস কর্মীদের বত্তব্য, পরিকল্পনামাফিক পুলিশ বাধা দিয়েছে। নানাভাবে হেনস্থা করা হচ্ছে। এর আগে শনিবার ধূপগুড়ির একাধিক এলাকায়  রাহুল গান্ধীর একাধিক পোস্টার ছেঁড়া অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। বার বার এই ঘটনায় ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) ভবিষ্যৎ কী হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। বাংলার মাটিতে কংগ্রেসকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে তৃণমূল রাজি নয়, তা আরও একবার পরিষ্কার হয়ে গেল বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ন্যায় যাত্রায় রাহুল

    এদিন বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে রাহুল সোজা যান জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাহাড়পুরে। সেখানে জাতীয় সড়কের ধারে এক ধাবায় মধ্যাহ্নভোজন করেন কংগ্রেস সাংসদ। সেখান থেকে চলে যান জলপাইগুড়ি শহরের পিডব্লুডি মোড়ে। পিডব্লুডি মোড় থেকে পদযাত্রা শুরু করেন রাহুল। পোস্ট অফিস, থানা মোড় হয়ে কদমতলা মোড় পর্যন্ত পদযাত্রা করেন। এই কর্মসূচি শেষ করে সেখান থেকে অসম মোড়, ফাটাপুকুর, ফুলবাড়ি হয়ে রাহুল গান্ধী পৌঁছে যাবেন শিলিগুড়ি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: চার দশকেরও বেশি সময় রাজনীতিতে রয়েছেন নীতীশ, কীভাবে হল উত্থান?

    Nitish Kumar: চার দশকেরও বেশি সময় রাজনীতিতে রয়েছেন নীতীশ, কীভাবে হল উত্থান?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে বিহারের ক্ষমতায় রয়েছেন জনতা দল (ইউনাইটেড)-এর সভাপতি নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। এমন একজন মুখ্যমন্ত্রী, যাঁর দল কখনও একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি বিহারে। অথচ বিভিন্ন দলের সমর্থন নিয়েই তিনি বরাবর মুখ্যমন্ত্রী থেকেছেন। ৭২ বছর বয়সী এই নেতা রাজনীতিতে রয়েছেন বিগত চার দশক ধরে।

    ১৯৫১ সালে জন্ম নীতীশের, প্রথমবার বিধায়ক হন ১৯৮৫ সালে

    ১৯৫১ সালের ১ মার্চ পাটনার উপকণ্ঠে বখতিয়ারপুর নামক স্থানে জন্মগ্রহণ করেন নীতীশ কুমার (Nitish Kumar)। তাঁর পিতা ছিলেন আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক, পাশাপাশি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীও। নীতীশ কুমার নিজে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতিতে তাঁর হাতেখড়ি। বিহার ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ, যা কিনা বর্তমানে পরিচিত ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি পাটনা নামে, সেখানেই পড়তেন নীতীশ। এই সময় থেকেই তিনি জড়িয়ে পড়েন জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে। সে সময়ে জয়প্রকাশ নারায়ণের আন্দোলনে তাঁর অন্যতম সহকর্মী ছিলেন লালুপ্রসাদ যাদব এবং বর্তমানে বিজেপি নেতা সুশীলকুমার মোদি। নীতীশ কুমার প্রথমবার বিধায়ক নির্বাচিত হন ১৯৮৫ সালে। সে সময়ে কংগ্রেস বিহারে ব্যাপক ফল করলেও লোকদলের প্রতীকে হারনৌথ আসনটি ধরে রাখতে সমর্থ হন নীতীশ। ঠিক পাঁচ বছর পরেই তিনি সাংসদ হয়ে দিল্লিতে যান। পরবর্তীকালে তিনি জর্জ ফার্নান্ডেজের সঙ্গে সমতা পার্টিতে যোগদান করেন এবং মণ্ডল আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। পরবর্তীকালে অটলবিহারী বাজপেয়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রীত্বে তিনি কেন্দ্রে জোট শরিক হিসেবেও কাজ করেন। সমতা পার্টি পরবর্তীকালে জনতা জলের সঙ্গে মিশে যায়।

    ২০০৫ সাল থেকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন নীতীশ 

    ২০০৫ সাল থেকে তিনি বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। তাঁর প্রথম পাঁচ বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ লালপ্রসাদ জমানায় বিহারের আইন-শৃঙ্খলার অবনতি সারা দেশে চর্চার বিষয় হয়েছিল। ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদিকে বিজেপি প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করলে তিনি এনডিএ ছাড়েন। কংগ্রেস এবং বামপন্থীদের বাইরে থেকে সমর্থন নিয়ে ২০১৪ সালের নির্বাচন লড়ে নীতীশের (Nitish Kumar) দল। ব্যাপক ভরাডুবি হয় লোকসভাতে জেডি(ইউ)-এর। হারের দায় নিয়ে সেই বছরেই নিজের মুখ্যমন্ত্রীত্বের পদ ছেড়ে দেন তিনি এবং জিতিন রাম মাঝিকে মুখ্যমন্ত্রী করেন। কংগ্রেস এবং আরজেডির সঙ্গেজোট করে পুনরায় ক্ষমতায় আসেন নীতীশ ২০১৫ সালে। ২০১৭ সালে নীতীশ ফের এনডিএ-তে যোগদান করেন। পরবর্তীকালে ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে ফের মহাজোটে সামিল হন তিনি। আগামী বছরের বিহারে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে । তার আগে পুনরায় আবার মহাজোট ছেড়ে এনডিএ-তে এলেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly-Bankura: রেলপথ সম্প্রসারণে চাষিরা পাবেন জমির ন্যায্য দাম, ঘোষণা পশ্চিম অমরপুরে

    Hooghly-Bankura: রেলপথ সম্প্রসারণে চাষিরা পাবেন জমির ন্যায্য দাম, ঘোষণা পশ্চিম অমরপুরে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তারকেশ্বর থেকে বিষ্ণুপুর (Hooghly-Bankura) পর্যন্ত রেলপথ সম্প্রসারণে গোঘাটের ভাবাদিঘির সমস্যা না মিটলেও পশ্চিম অমরপুরে জমির দাম সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানসূত্র মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। ভূমি দফতর কাঠা পিছু ৯২ হাজার করে টাকা দেওয়ার কথা জানিয়ে নোটিশ ইস্যু করেছে চাষিদের উদ্দেশ্যে। অপর দিকে পশ্চিম অমরপুর থেকে ৭ কিমি পূর্বে গোঘাট ১ ব্লকের ভাবাদিঘিতে গ্রামবাসীরা আন্দোলন করেছেন। দিঘি বাঁচিয়ে যাতে রেলপথ নির্মাণ করা হয়, এই দাবিতে দীর্ঘ দিন জমিজটে আটকে রয়েছে এই প্রকল্প।

    আন্দোলনরত চাষিদের বক্তব্য (Hooghly-Bankura)

    রেলপথের সম্প্রসারণে জমির প্রয়োজন। আর তাই এলাকার (Hooghly-Bankura) চাষিরা ‘রেল চালাও, গ্রাম বাঁচাও’ নামে একটি মঞ্চ করে জমির সঠিক দাম নিয়ে আন্দোলন করছিলেন। কমিটির তরফ থেকে আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা সরকারের কাছে কৃতজ্ঞ। জমির মূল্য নিয়ে আমাদের কোনও বিবাদ নেই। এখন কেবল নিকাশি, আন্ডারপাসের দাবি মেনে নেবে বলে আশা প্রকাশ করছি।” আবার অমরপুরের আন্দোলন কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সাল থেকে জমির ন্যায্য মূল্য, নিকাশি ব্যবস্থার দাবিতে আন্দোলন চলছে। ওই সময় জমির মূল্য ধার্য হয়েছিল ১৪ হাজার ৬৫০ টাকা। কিন্তু কমিটির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছিল কাঠা পিছু ৭৫ হাজার টাকা। বর্তমানে জানা গিয়েছে, জমির মূল্য পাওয়া যাবে ৯২ হাজার টাকা প্রতি কাঠা।

    রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিকের বক্তব্য

    পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র জানিয়েছেন, “নিকাশি সমস্যা মেটানো এবং আন্ডারপাস তৈরিটি বিষয়টি কতটা জরুরি, প্রশাসন সরেজমিনে খতিয়ে দেখার পর সমাধানের কথা দ্রুত ভাবা হবে। শীঘ্রই বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসা হবে।” আবার মহকুমা শাসক (Hooghly-Bankura) সুভাষিণী ই বলেন, “পশ্চিম অমরপুরে জমির দামের সমস্যা মিটেছে। চাষিদের দাবির মান্যতা দেওয়া হয়েছে। বাকি বিষয়গুলিও দেখা হচ্ছে এখন।”

    তারকেশ্বর-বিষ্ণুপুরের ৮২.৮৭ কিমি রেলপথের মধ্যে তারকেশ্বর থেকে আরামবাগ হয়ে গোঘাট পর্যন্ত ৩৩.৯৪ কিমির কাজ সম্পূর্ণ হয়ে চলেছে ট্রেন। অপর দিকে বিষ্ণুপুর থেকে ময়নাপুর পর্যন্ত ২২.৪৮ কিমির কাজ শেষ হয়েছে। গোঘাট থেকে ভাবাদিঘির ৯৫০ মিটার বাদ দিলে কামারপুকুর পর্যন্ত ৫.৫০ কিমির কাজ সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে। ফলে ভাবাদিঘির সমস্যা মিটবে বলেই আশা করছেন দুই জেলাবাসী (Hooghly-Bankura)।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: ইস্তফা দিয়েই ইন্ডি জোটকে নিশানা নীতীশের, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

    Nitish Kumar: ইস্তফা দিয়েই ইন্ডি জোটকে নিশানা নীতীশের, কথা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দেখে রবিবার সকালেই ইস্তফা দিয়েছেন নীতিশ কুমার (Nitish Kumar)। বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা রটেছিল যে তিনি ফের এনডিএ জোটে ফিরতে চলেছেন, অবশেষে তা সত্যি হল। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেন নীতীশ। এরপরেই তিনি সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন। তোপ দাগেন  ইন্ডি জোটের বিপক্ষেও। নীতীশ বলেন, ‘‘আমি নিজে উদ্যোগ নিয়ে ইন্ডিয়া জোট তৈরি করেছিলাম। কিন্তু, দেখলেন তো কী হল। সবারই কোনও না কোনও সমস্যা রয়েছে ওখানে। আমি অনেকদিন ধরে চুপ ছিলাম। এত সমস্যা নিয়ে থাকা যায় না। তাই ইন্ডিয়া জোট আমি ছেড়ে দিলাম।’’

    প্রধানমন্ত্রী ফোন করলেন নীতীশকে

    সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নীতীশ কুমারকে ফোন করে শুভেচ্ছাও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সমীক্ষাতে ইতিমধ্যে সামনে এসেছে তৃতীয়বারের জন্য মোদি সরকারের ক্ষমতায় আসা সময়ের অপেক্ষা মাত্র। এরই মধ্যে নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ শিবিরে ফিরে যাওয়া যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ তা একদিকে যেমন এনডিএ জোটের জয়কে ত্বরান্বিত করল, অন্যদিকে বড়সড় ভাঙনের মুখে ফেলে দিল ইন্ডি জোটকে। তার কারণ নীতীশই মূল কারিগর ছিলেন ইন্ডি জোটের। গত বছরে কলকাতায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকও করেছিলেন নীতীশ।

    কী বলছে বিহার বিজেপি?

    নীতীশের (Nitish Kumar) এনডিএ জোটে ফিরে যাওয়ার পরেই বিবৃতি সামনে এসেছে বিহারের রাজ্য বিজেপিরও। বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি রাজ্যের সঞ্জয় জয়সওয়াল বলেন, ‘‘বিহারের অবস্থান পশ্চিমবঙ্গের মতো হয়ে যেত। প্রধানমন্ত্রী বিহারের মানুষের উন্নয়নের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বিহারে জঙ্গলরাজ ছিল। সেই অবস্থা যেন ফেরত না আসে তাই দলের তরফে এই পদক্ষেপ।’’ বিভিন্ন সূত্র মারফত শোনা যাচ্ছে রবিবারই বিকাল চারটে নাগাদ বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ফের শপথ নিতে পারেন নীতীশ কুমার। তাঁর ডেপুটি পদে বসতে চলেছেন সম্রাট চৌধুরী এবং বিজয় সিনহা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: কেষ্টর জামিনের জন্য হরিনাম সংকীর্তন, রাম নামেই মজেছে তৃণমূলের যুব সংগঠন

    Birbhum: কেষ্টর জামিনের জন্য হরিনাম সংকীর্তন, রাম নামেই মজেছে তৃণমূলের যুব সংগঠন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচারকাণ্ডে গ্রেফতার হয়ে তিহার জেলে বন্দি বীরভূমের (Birbhum) তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। তাঁর জেলজীবন থেকে মুক্তির আশায় তৃণমূলের যুব সংগঠন সাঁইথিয়ায় হরিনাম সংকীর্তনের আয়োজন করেছে। আর এর ফলে জেলায় ব্যাপক শোরগোল পড়েছে। কেষ্টর জামিনের জন্য কি এখন রাম নামেই ভরসা? গত ২২ শে জানুয়ারি রাম মন্দিরের উদ্বোধনের পর থেকেই দেশ জুড়ে রাম নামের প্রভাব সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে। মন্দিরে রোজ উপচে পড়ছে ভিড়। এর মাঝেই তৃণমূল কর্মীরা নিজেদের দলের দুর্নীতিতে  অভিযুক্ত জেলবন্দি নেতার মুক্তির জন্য রামনামের শরণ নিয়েছেন।

    দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার কেষ্ট (Birbhum)

    গরু পাচারকাণ্ডে অনেক দিন আগেই গ্রেফতার হয়েছেন অনুব্রত। কয়লা পাচার কাণ্ডেও অভিযুক্ত তিনি। নিজের নামে অথবা অনামে-বেনামে প্রচুর চালকল সম্পর্কে তথ্য পেয়ে অভিযান চালিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অপর দিকে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির তালিকায় অনুব্রতর মেয়ের নাম উঠেছে। স্কুলে না গিয়ে বেতন নিতেন বলে অভিযোগ রয়েছে। বাবার সঙ্গে এখন মেয়েও জেলে বন্দি। বীরভূমের (Birbhum) এই প্রতাপশালী এবং প্রভাবশালী নেতা বার বার কোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। কিন্তু জামিন মঞ্জুর হয়নি। অভিযোগ গুরুতর বুঝেই হয়তো আইনের কৌশলের পাশপাশি রামনামের শরণ নিতে হয়েছে বীরভূমের জেলা তৃণমূলকে।

    বিজেপির বক্তব্য

    বীরভূমের (Birbhum) জেলা সহ-সভাপতি দীপক দাস বলেছেন, “তৃণমূল শেষ পর্যন্ত রাম নাম করছে, এটা ভালো খবর। কিন্তু অনুব্রত মণ্ডল জামিন পাবে না।” আবার তৃণমূলের জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় এই সবে পাত্তা দিতে নারাজ। তৃণমূলের রামনামে ভুল কিছু নেই বলে মত প্রকাশ করেন তিনি।

    তৃণমূলের বক্তব্য  

    জেলা (Birbhum) কোর কমিটির আহ্বায়ক বিকাশ রায় আরও বলেছেন, “অনুব্রত মণ্ডলকে অনেক মানুষ ভালোবাসেন। সকলেই চাইছেন তিনি যেন জেল থেকে মুক্তি পান। আর এই জন্যই কেউ রাম নাম আবার কেউ হরিনাম করছেন।” রাজনীতির বিশেষজ্ঞরা অবশ্য বলছেন, জেলার সভাপতি পদে এখনও বহাল রয়েছেন কেষ্ট। তাঁর অনুগামীরা বাড়তি অক্সিজেন দিতে এই সমস্ত করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ল যুবকের

    Bomb Blast: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর বোমা বিস্ফোরণ! হাত উড়ল যুবকের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে পর পর তিনটে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast)। আর তাতেই হাত উড়ল এক যুবকের। জখম হয়েছেন দুজন। রবিবার দুপুরে মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে কাঁচরাপাড়ার সুবোধ রায় সরণির মণ্ডলবাজার এলাকায়। জখম দুজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মধু রায় নামে এক ব্যক্তির টিন-লোহা ভাঙার ব্যবসা রয়েছে। বাড়ির পাশেই গোডাউন। সেই গোডাউনে টিন, লোহা ভাঙা মজুত থাকে। দোকানের শ্রমিকরা সাইকেল করে ফেরি করে টিন-লোহা ভাঙা গোডাউনে মজুত করে। এদিন দুপুরে দুজন শ্রমিক ফেরি করে গোডাউনে টিন ভাঙা মজুত করছিলেন। সেই সময় টিনের জিনিসপত্র সরাতে গিয়ে প্রথম বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হয়। তার কিছুক্ষণ পরই আবারও পর পর দুটি বোমা বিস্ফোরণ ঘটে। এক শ্রমিকের পাঞ্জা থেকে হাত উড়ে যায়। আর অন্যজন হাতে জখম হন। আর দিনের বেলার পর পর বোমা বিস্ফোরণে এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। গোডাউনের মালিক বলেন, কীভাবে বোমা বিস্ফোরণ ঘটল তা বুঝতে পারছি না। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। দুজন শ্রমিক জখম হয়েছেন। তাঁদের কল্যাণী জেএনএম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, গোডাউনের পাশে বাচ্চাদের স্কুল রয়েছে। পাড়াতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা খেলা ধূলা করে। এদিন রবিবার থাকা স্কুল বন্ধ ছিল। না হলে আরও বড় বিপদ হতে পারত। আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। এই ঘটনায় যে বা যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী বললেন?

    স্থানীয় কাউন্সিলর শর্মিষ্ঠা মজুমদার বলেন, শান্ত কাঁচরাপাড়াকে এভাবে অশান্ত করার চেষ্টা হচ্ছে। কী করে এরকম ঘটনা ঘটল তা বুঝতে পারছি না। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। পুলিশ প্রশাসন তদন্ত করে দেখছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    Alipurduar: মমতার জেলা সফরের আগে ধাক্কা! তৃণমূল ছেড়ে বহু কর্মী যোগ দিলেন বিজেপিতে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জেলা সফরে আসার আগেই আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলকে জোর ধাক্কা দিল বিজেপি। তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ পঞ্চায়েত সদস্য তথা প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধানের নেতৃত্বে বহু তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেন। দলের সুপ্রিমোর জেলা সফরের আগেই বহু কর্মীর দলবদলের ঘটনা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     বিজেপিতে যোগ দিয়ে কী বললেন? (Alipurduar)

    শনিবার বিকালে আলিপুরদুয়ার-১ (Alipurduar) ব্লকের বিবেকানন্দ-২ অঞ্চলের বাদলনগর স্কুলের মাঠে বিজেপি-র যোগদান কর্মসূচি ছিল। সেখানেই বিজেপির চার নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিশ্বজিৎ দত্তর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দেন ১২/১৪৫ পার্টের নির্দল পঞ্চায়েত সদস্য উমা দাস। তিনি এক সময় তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান ও উপপ্রধান ছিলেন। যোগ দেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য শম্পা কর, বিশু রায়-সহ ৫০ জন তৃণমূলের কর্মী সমর্থক। বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান উমা দাস বলেন, “তৃণমূল আমাকে টিকিট দেয়নি এবার। দল আমার ওপর ভরসা রাখতে পারেনি। তাই, আমি নির্দলে দাঁড়িয়েছিলাম। গ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিয়ে জিতিয়েছেন। কারমষ মানুষের সঙ্গে আমি প্রতারণা করিনি। মানুষের পাশে আমি সবসময় ছিলাম। মানুষ আমার ওপর আস্থা রেখেছে। তাই, তৃণমূল দল করার কথা আর কোনওদিন ভাবিনি। আমি ঠিক করেছিলাম,তৃণমূলে আর ফিরব না, ফিরিওনি। এবার বিজেপিতে যোগ দিলাম। প্রধানমন্ত্রীর নানা কর্মকাণ্ড দেশকে যেভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, মানবকল্যাণকর কর্মসূচি নিচ্ছেন তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই আমার এই যোগদান।  

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    এ ব্যাপারে তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “তৃণমূলের কোনও পদে আছেন এমন কেউ বিজেপিতে যাননি। যাঁরা গিয়েছেন, তাঁদের পঞ্চায়েতে টিকিট দেওয়া হয়নি। কয়েকজন নির্দল হয়ে জিতেছিলেন। তাঁরাই ওই দলে গিয়েছেন। আর কিছু কর্মী ভোট এলেই এদিক ওদিক করেন। তাতে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। ভোটের মুখে কোনও সমস্যা হবে না। বিজেপি এবার হারবে।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    Padma Shri: পদ্মশ্রী পাচ্ছেন ‘হিমালয়ের পাহারাদার’ বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হিমালয় ও হিমালয় পাদদেশের পরিবেশ, বাস্তুতন্ত্র, জীববৈচিত্র্য নিয়ে গবেষণার জন্য পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন শিলিগুড়ির বিজ্ঞানী একলব্য শর্মা। দীর্ঘ ৪০ বছরের গবেষণার মধ্য দিয়ে তিনি পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র রক্ষার অতন্দ্র প্রহরী হয়ে উঠেছেন। এই আনন্দের দিনেও পাহাড়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার ব্যাপারে উদ্বিগ্ন তিনি। তাঁর নাম পদ্মশ্রী (Padma Shri) সম্মানের জন্য ঘোষিত হওয়ার পর থেকেই দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষের শুভেচ্ছা আসার পাশাপাশি প্রতিবেশীরাও তাঁর বাড়িতে ভিড় করছেন তাঁকে অভিনন্দন জানাতে। আনন্দের এই আবহেও  তিনি বলেন, পাহাড় নিয়ে ছেলেখেলা করা ঠিক হচ্ছে না। সম্প্রতি সিকিমের যে ভয়াবহ বিপর্যয় ঘটে গিয়েছে তা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। কারণ, পাহাড় অত্যন্ত সংবেদনশীল অংশ। এর চরিত্রের বিরুদ্ধে যাওয়া মারাত্মক ভুল এবং বিপদ ডেকে আনতে পারে।

    কীভাবে উত্তোরণ? (Padma Shri)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, নিজের কাকা কে সামনে রেখে একলব্য শর্মার পথ চলা শুরু। কাকা টিকারাম শর্মা ছিলেন খ্যাতনামা পরিবেশবিদ। পরিবেশ রক্ষায় তিনি গবেষণা করেছেন। কাজেই ছোটবেলা থেকে বাড়িতে বিখ্যাত ব্যক্তিদের সামনে থেকে দেখেছেন। এই আবহে কাকাকে আদর্শ করে দেশের জন্য কিছু করার ইচ্ছে নিয়ে জীবন শুরু করেছিলেন একলব্য শর্মা। বর্তমানে তিনি শিলিগুড়ি পুরনিগমের ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা। তবে, তাঁর জন্ম কার্শিয়াংয়ে। কার্শিয়াংয়ের সেন্ট আলফানসো স্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করে উচ্চশিক্ষার জন্য বেনারস হিন্দু ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হন। সেখান থেকে পিএইচডি করেন। তারপর নেপালের কাঠমান্ডুতে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল পদে ছিলেন। তারপর সিকিমের জিবি পন্থ ইনস্টিটিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের মুখ্য গবেষক পদে যোগ দেন। একলব্য শর্মা ইন্ডিয়ান সায়েন্স অ্যাকাদেমির একজন অন্যতম গবেষক। পরে তিনি দিল্লির টেরি ইউনিভার্সিটির উপাচার্য পদেও ছিলেন। বর্তমানে তিনি উত্তরাখন্ডের জিপি পন্থ ইউনিভার্সিটি অব ন্যাশনাল ইনিস্টিউট অব হিমালয়ান এনভায়রণমেন্টের চেয়ারম্যান এবং ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার ফর ইন্টিগ্রেটেড মাউন্টেন ডেভলপমেন্টের মুখ্য উপদেষ্টার পদে রয়েছেন।

     বিজেপি সাংসদ ও বিধায়কের অভিনন্দন

    একলব্য শর্মাকে (Padma Shri) তাঁর বাড়িতে গিয়ে অভিনন্দন জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা ও শিলিগুড়ির বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ। এই কৃতি বিজ্ঞানীর সঙ্গে দেখা করার পর বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ বলেন, “আমরা খুব খুশি। কারণ, উত্তরের এক বিজ্ঞানী তথা পরিবেশবিদ পদ্মশ্রী সম্মান পাচ্ছেন। হিমালয় তথা হিন্দুকুশ পর্বতের উপর তাঁর গবেষণা এক অনন্য নজির। আগামীতে এই অঞ্চলের আর্থ সামাজিক উন্নয়ন,পরিবেশ রক্ষায় তাঁর অবদান অনস্বীকার্য ভূমিকা থাকবে।

    কী বললেন একলব্য শর্মা?

    হিমালয়ের ওপর সামগ্রিক আঘাতের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতেই তাঁর গবেষণা। কোথাও প্রাকৃতিক কারণে হিমালয়ের ক্ষতি। কোথাও বা মানুষের দ্বারা ভূমি, বন, জীবজন্তুর ওপর আঘাত তিনি মেনে নিয়ে পারেননি। তিনি রুখে দাঁড়িয়েছেন। আর হিমালয়কে রক্ষা করার জন্যই তিনি নিরন্তর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন। তাঁকে সবাই “হিমালয়ের পাহারাদার” বলে ডাকেন। একলব্য শর্মা বলেন, দীর্ঘ ৪০ বছরের কর্মজীবনে আমার লক্ষ্য ছিল হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্র ও জীববৈচিত্র্যকে রক্ষা করা। পদ্মশ্রী সম্মান পাব ভেবে ভালো লাগছে। হিমালয়ের বাস্তুতন্ত্রকে রক্ষা করার জন্য সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share