Author: user

  • Trishul Utsav: পৌষ পূর্ণিমায় ত্রিশূল উৎসব হয়ে গেল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে, জানেন এর মাহাত্ম্য?

    Trishul Utsav: পৌষ পূর্ণিমায় ত্রিশূল উৎসব হয়ে গেল ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘে, জানেন এর মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মহাপুণ্যময় পৌষ পূর্ণিমা। ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রতিষ্ঠাতা আচার্য্য স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ মহাসংযমের মাধ্যমে বর্তমান বাংলাদেশের বাজিতপুর ধামে সিদ্ধ ত্রিশূল মাটিতে পুঁতে দীর্ঘ একমাসব্যাপী তপস্যা করেছিলেন। তারপর মাঘী পূর্ণিমা তিথিতে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেছিলেন। জগতের কল্যাণে বর্তমান সময়কে মহাজাগরণ, মহাসমন্বয়, মহামিলন ও মহামুক্তির যুগ বলে আখ্যায়িত করেছিলেন৷ সেই থেকেই পুণ্য পৌষ পূর্ণিমা তিথিতে অতি সংযমের সঙ্গে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সমস্ত সন্ন্যাসী, গুরু ভাই-বোন, ভক্ত, শিষ্যগণ ত্রিশূল পুজোর মাধ্যমে ত্রিশূল উৎসব (Trishul Utsav) পালন করেন।

    কীভাবে হয় এই পুজো? (Trishul Utsav)

    কলকাতার বালিগঞ্জে ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের প্রধান কার্যালয় সহ অন্যান্য শাখা কেন্দ্রে এবং সঙ্ঘের সেবা কেন্দ্র উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালী ব্লকের হাটগাছি অঞ্চলের কানমারী বাজারে মহাসাড়ম্বরে পালিত হল ত্রিশূল উৎসব ৷ কানমারী বিদ্যাধরী নদীতে ত্রিশূল স্নান করিয়ে (Trishul Utsav) ভক্ত ও বিশিষ্ট মানুষরা ত্রিশুল নিয়ে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করে মূল মন্দিরে উপস্থিত হন। সেখানেই অনুষ্ঠিত হয় ত্রিশূল পুজো ও আরতি।

    পরিবারের সুরক্ষা কবজ এই ত্রিশূল? (Trishul Utsav)

    সঙ্ঘের সন্নাসী ও ভক্তরা মনে করেন, জাগতিক বিশ্বাসী মানুষের অন্তরের আধিভৌতিক, আধিদৈবিক ও আধ্যাত্মিক ত্রিতাপ ত্রিশূল পুজোয় দূরীভূত হয়। সৃষ্টি-স্থিতি-প্রলয়ের দিব্য প্রকাশ, পজেটিভ শক্তির বিকাশ, কু-চক্র ও দৃষ্টির প্রভাব মুক্তির পথ এই ত্রিশূল (Trishul Utsav)। পরিবারের সুরক্ষা কবজ ও সমস্যা সমাধানের প্রতীক এবং সত্ব, রজ, তমোগুণের বহিঃপ্রকাশ ভগবান শিব সর্বশক্তিমানের হাতে থাকা মহাশক্তি এই ত্রিশূল। সঙ্ঘ ভক্তকুল মনে করেন, এই ত্রিশূল পুজোর মাধ্যমে ভগবৎ কৃপালাভের পথ নির্দেশিকা ও সংকল্প পালনের দিশা নিদিষ্ট হয়৷ সেই কারণে দেবাদিদেব মহাদেব অবতার রূপে আচার্য্য শ্রীমৎ স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজ লীলারত অবস্থায় বিশ্বের কল্যাণে ও যুগের প্রয়োজনে প্রবর্তন করেন সনাতন হিন্দুর সদাচারী বিধান হিসাবে এই ত্রিশূল পুজো। সূচনা করেন সঙ্ঘের সৎ সংকল্প ধারণ দিবসের ৷ এই দিনটি সঙ্ঘের প্রতিটি শাখায় পালিত হয় শুভ ত্রিশূল উৎসব এবং সংকল্প মাসের শুভসূচনা হিসেবে৷

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: কেন্দ্রের দেওয়া গোয়ালঘরের লক্ষ লক্ষ টাকা খেল তৃণমূল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    South 24 Parganas: কেন্দ্রের দেওয়া গোয়ালঘরের লক্ষ লক্ষ টাকা খেল তৃণমূল! জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু থাকার বাসস্থান গোয়ালঘর তৈরির জন্য কেন্দ্রীয় সরকার অর্থ বরাদ্দ করেছিল। সেই টাকাতেও থাবা বসিয়েছে তৃণমূল পরিচালিত সমবায় সমিতি। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা (South 24 Paraganas) জেলার মথুরাপুর ২নম্বর  ব্লকের ২৩ নম্বর লাট কৃষি সমবায় উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Paraganas)

    গোয়াল ঘর তৈরির জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছিল। এরমধ্যে উপভোক্তাদের ১ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা ছিল। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Paraganas) তৃণমূল পরিচালিত সমবায়ের মাধ্যমে উপভোক্তাদের সেই কাজ করে দেওয়ার কথা ছিল। প্রায় ৩০০ জন উপভোক্তার তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। তাঁরা সকলেই ১ হাজার জমা দিয়েছিলেন। কিন্তু, বাস্তবে ১০টি গোয়াল ঘর তৈরি হয়েছিল। সেটাও আবার ৬০ হাজার করে খরচ হয়েছিল। বাকি লক্ষ লক্ষ টাকার কোনও হিসাব নেই। আর গোয়াল ঘর তৈরি না হওয়ায় উপভোক্তারা সরব হয়েছে। তৃণমূল বোর্ডের দিতে আঙুল তুলেছেন। জানা গিয়েছে, সমবায়ের তৎকালীন সম্পাদক ছিলেন উৎপল তাঁতি। তাঁর হাত ধরেই লক্ষ লক্ষ টাকা দুর্নীতি হয়েছিল। সমবায়ের এই দুর্নীতির টাকায় নিজে বিশাল বাড়িও করেছেন বলে অভিযোগ। সমবায়ের পুরানো বোর্ডের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর নতুন বোর্ড হয়েছে। নতুন বোর্ড দুর্নীতির দায় নিতে চাইছে না। সমবায়ের প্রাক্তন ম্যানেজার রবীন্দ্রনাথ হালদার বলেন, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিলেও সেই টাকার কোনও হিসাব নেই। লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে সমবায়ের সম্পাদক। এর তদন্ত হওয়ার দরকার।

    সমবায়ের অভিযুক্ত প্রাক্তন সম্পাদক কী সাফাই দিলেন?

    অভিযুক্ত সমবায়ের প্রাক্তন সম্পাদক তথা তৃণমূল নেতা উৎপল তাঁতি বলেন, উপভোক্তার কাছে থেকে হাজার টাকা করে নিয়েছিলাম। ঠিকাদাররা গোয়াল ঘর তৈরি করা শুরু করেছিল। কিন্তু, কেন্দ্রীয় সরকার টাকা না দেওয়ায় সব ঘর করা যায়নি। কোনও দুর্নীতি হয়নি।

    দুর্নীতি নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা

    তৃণমূল বিধায়ক অলোক জলদাতা বলেন, সমবায়ের উপভোক্তাদের টাকা আত্মসাৎ করার কোনও ঘটনা ঘটেনি। তবে, যদি দুর্নীতি হয়ে থাকে তা সঠিক তদন্ত হবে। তবে এই বিষয় নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার বিজেপির কনভেনার অরুনাভ দাস বলেন, যেখানে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী,খাদ্যমন্ত্রী জেল খাটছেন, তাঁদের দলের নিচুতলার নেতারা এই ধরনের ঘটনা ঘটাবেন, এটাই তো স্বাভাবিক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ২৬/০১/২০২৪)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ২৬/০১/২০২৪)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কর্মক্ষেত্রে আঘাত লাগতে পারে।

    ২) সংসারে খুব সংযত থাকতে হবে। 

    বৃষ

    ১) ব্যবসায় ভাল লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিভা প্রকাশের সুযোগ পাবেন। 

    মিথুন

    ১) উচ্চপদস্থ কোনও ব্যক্তির অনুগত থাকলে লাভ হতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর ঝামেলায় বেশি কথা না বলাই শ্রেয়। 

    কর্কট

    ১) প্রতিযোগিতামূলক কাজে সাফল্যের যোগ।

    ২) কুসঙ্গে পড়ে নিজের ক্ষতি হতে পারে। 

    সিংহ

    ১) কোনও যন্ত্র খারাপ হওয়ায় প্রচুর খরচ হতে পারে।

    ২) কর্মে অন্যের সাহায্যের প্রয়োজন হতে পারে। 

    কন্যা

    ১) ভাল কোনও সুযোগ হাতছাড়া হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে পারে।

    ২) কারও কাছ থেকে বড় কোনও উপকার পেতে পারেন।

    তুলা

    ১) ধর্মীয় স্থানে দান করায় শান্তিলাভ।

    ২) কাজের জন্য বাড়ির কেউ বাইরে যাওয়ায় মনঃকষ্ট। 

    বৃশ্চিক

    ১) সুন্দর কথা বলায় সুনাম বাড়তে পারে।

    ২) প্রেমের ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকতে হবে, প্রতারিত হওয়ার যোগ রয়েছে।

    ধনু

    ১) পড়াশোনার খুব ভাল সুযোগ আসতে পারে।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে।

    মকর

    ১) কোনও ভুল কাজ করার জন্য শান্তি পাবেন না।

    ২) সারা দিন ব্যবসা ভাল চললেও পরে জটিলতা আসতে পারে। 

    কুম্ভ

    ১) কর্মক্ষেত্রে দায়িত্ব পালন নিয়ে সমস্যা হতে পারে।

    ২) নিজের চিকিৎসায় বহু অর্থ ব্যয় হতে পারে। 

    মীন

    ১) কর্মক্ষেত্রে বৈরী মনোভাব ত্যাগ করাই ভাল।

    ২) মামলায় জড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    Indi Alliance: ইন্ডি জোট ‘ঘেঁটে ঘ’! কোচবিহারে রাহুল গান্ধীর মঞ্চও খুলে দিল মমতার পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) এ কী হাল! জোটের অন্যতম শরিক কংগ্রেসের হাইকমান্ড রাহুল গান্ধী বাংলা সফরে আসছেন। সেখানে জোটের আর এক শরিক তৃণমূল তাঁকে স্বাগত জানাবে, এমনটাই হওয়ার কথা ছিল। তাঁর জন্য নানা ব্যবস্থা করে সৌজন্য দেখাবে, এমনটাও ভেবেছিলেন অনেকে। কিন্তু, কোথায় কী! রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’-র আগেই হোঁচট। রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস কর্মীরা যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছিলেন, তাতে পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করার অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    পুলিশ দিয়ে হেনস্থা! (Indi Alliance)

    বুধবার বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুলের রাজ্য সফর প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “আমাকে কি বলে বাংলায় আসছে?” এভাবেই রাহুলের আসা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী উষ্মা প্রকাশ করেছিলেন। তারপরই পুলিশ দিয়ে হেনস্থার ঘটনায় রাজ্য রাজনীতিতে ইন্ডি জোটের (Indi Alliance) প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে অসম সীমানায় রাহুলকে স্বাগত জানাতে কংগ্রেস যে মঞ্চ তৈরি করেছিল, তা পুলিশের আপত্তিতে খুলে অন্যত্র সরাতে বাধ্য হয়েছেন কংগ্রেস কর্মীরা। পুলিশের দাবি, জাতীয় সড়কের উপরে অনুমতি না নিয়ে মঞ্চ তৈরি করায় আপত্তি জানায় তারা। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কোচবিহারের বক্সিরহাট দিয়ে রাহুলের রাজ্যে আসার কথা ছিল। ২৮ জানুয়ারি ছিল তাঁর জলপাইগুড়ি শহরে পৌঁছনোর কথা। সূচি অনুযায়ী ঠিক ছিল, সেখানে এবিপিসি এবিপিসি মাঠে মধ্যাহ্নভোজ করবেন তিনি। কিন্তু, সেদিন পুলিশের একটি পরীক্ষা রয়েছে। তাই জেলা পুলিশের তরফে অনুরোধ করা হয়, রাহুল যেন দুপুর দু’টোর পরে শহরে ঢোকেন। কংগ্রেস সূত্রে খবর, সেই মতো সূচি বদলানোর প্রস্তুতি তাঁরা নিয়েছিলেন। মধ্যাহ্নভোজের জায়গাও বদলানোর তোড়জোড় করছিলেন।

    কংগ্রেস নেতৃত্ব কী বললেন?

    কোচবিহার জেলা কংগ্রেসের প্রাক্তন সম্পাদক মীর মোশারফ হোসেন বলেন, আমরা রাহুলকে স্বাগত জানাব বলে সভা মঞ্চ করেছিলাম। পুলিশ সভামঞ্চ খুলে দেয়। পরে, রাস্তার ঠিক উল্টো দিকে এক ব্যক্তির জমিতে আমরা মঞ্চ তৈরি করি। পুলিশ দিয়ে আমাদের হেনস্থা করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।

     রাহুলের সভা নিয়ে তৃণমূল নেতারা চুপ!

    রাহুল আসার আগে প্রস্তুতি দেখতে কোচবিহারে গিয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। কোচবিহার থেকে জলপাইগুড়ি, রাহুলের কর্মসূচিতে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা কী করবেন, তা নিয়ে চর্চা চলছিল। বেশিরভাগ তৃণমূলের জেলা নেতা এই নিয়ে অবশ্য চুপ ছিলেন। আলিপুরদুয়ারের সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছিল, তাঁরা যাত্রায় যোগ দেবেন। যদিও শেষ মুহূর্তে রাহুল গান্ধী এই কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে যাচ্ছেন বলে খবর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Zumba: তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে জুম্বায়! এই শরীরচর্চায় উপকার কতখানি? 

    Zumba: তরুণ প্রজন্মের আগ্রহ বাড়ছে জুম্বায়! এই শরীরচর্চায় উপকার কতখানি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    জিমে গিয়ে ভারী ওজন তোলা অনেকের কাছেই কিছুটা একঘেয়ে। যন্ত্রের উপরে একটানা হেঁটে চলাতেও আগ্রহ কমছে।‌ তবে ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে আর সুস্থ থাকতে শরীরচর্চা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের কাছে তাই আগ্রহের শরীরচর্চা হচ্ছে জুম্বা (Zumba)। তরুণ প্রজন্মের একাংশ তাই শরীরচর্চার অংশ হিসেবে জুম্বাকেই বেছে নিচ্ছেন।

    জুম্বা কী? (Zumba)

    জুম্বা এক ধরনের শরীরচর্চা। যদিও দক্ষিণ আমেরিকার এক ধরনের নাচের শৈলী হিসেবেই কয়েক দশক আগে জুম্বার পরিচিতি ছিল। কিন্তু বেশ কিছু রদবদল হয়ে এখন তা মূলত শরীরচর্চার এক ধরন হিসেবেই পরিচিতি পাচ্ছে। গানের তালে নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতিতে শরীরচর্চা করা হল জুম্বা (Zumba)।

    জিমের থেকে বাড়তি সুবিধা কী? (Zumba)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, জিমে একঘেয়েমি মনোভাব তৈরি হয়। কিন্তু জুম্বায় সেটা নেই। জুম্বায় মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। কারণ, গানের সঙ্গে এক সাথে অনেকে এই শরীরচর্চা করেন। ফলে, একঘেয়েমি থাকে না।‌ এর ফলে মানসিক চাপ অনেকটাই কমে। অবসাদ কমাতে বাড়তি সাহায্য করে জুম্বা। এই শরীরচর্চায় সৃজনশীলতা রয়েছে‌। তাই অবসাদ কমাতেও এই শরীরচর্চা উপকারী। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে মানসিক চাপ বাড়ছে। তাই নতুন প্রজন্মের কাছে এই শরীরচর্চা আগ্রহ বাড়াচ্ছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। 
    পাশপাশি জুম্বা রক্তচাপ কমাতে বিশেষ সাহায্য করে। নতুন প্রজন্মের মধ্যে হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ছে। উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা হৃদরোগের সমস্যাকে জটিল করে। জুম্বার শরীরচর্চার শৈলী রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ সাহায্য করে। তাই হৃদরোগের ঝুঁকি কমাতে এই শরীরচর্চা (Zumba) বিশেষ উপকারী। 
    ওজন কমাতে ও‌ শরীরে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই শরীরচর্চা বিশেষ উপকারী বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। জুম্বায় খুব দ্রুত ওজন কমে। নিয়মিত জুম্বা করলে অনেকটাই ক্যালোরি বার্ন হয়। পাশাপাশি দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখতেও বিশেষ সাহায্য করে। কারণ, এই শরীরচর্চায় ওজন কমে, মানসিক অবসাদ কমে এবং দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক হয়। তাই হরমোনের ভারসাম্য বজায় থাকে। তার জেরে একাধিক হরমোন ঘটিত সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ।

    কাদের জন্য জুম্বা বিশেষ উপকারী? (Zumba)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে কোনও বয়সের মানুষ এই শরীরচর্চায় অংশ নিতে পারেন। তবে কম বয়সীদের জন্যই এই অভ্যাস বেশি কার্যকর বলে মনে করেন‌ বিশেষজ্ঞদের একাংশ। কারণ, এই শরীরচর্চা অনেকটাই পরিশ্রমের। একটানা ঘণ্টাখানেকের বেশি সময় গানের ছন্দে ক্রমাগত শরীরচর্চা চালিয়ে যেতে হয়। নির্দিষ্ট সময়ের আগে থেমে গেলেই ঠিকমতো শরীরে প্রভাব পড়বে না। তাই কিছু ক্ষেত্রে প্রবীণদের পক্ষে অসুবিধার হতে পারে। 
    তবে কম বয়সীদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে জুম্বা (Zumba) অত্যন্ত উপকারী শরীরচর্চা বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ভোট দিন’’, নতুন ভোটারদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    PM Modi: ‘‘ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ভোট দিন’’, নতুন ভোটারদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘নমো নব মতদাতা সম্মেলন’-এ প্রথমবার ভোটার হয়েছেন যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতায় অংশগ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। জাতীয় ভোটার দিবসের দিনেই নিজের ভার্চুয়াল ভাষণে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘‘অন্ধকারাচ্ছন্ন ভারতবর্ষকে ১০-১২ বছর আগেই আমার সরকার টেনে তুলতে পেরেছে।’’ নতুন ভোটারদের কাছে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান, ‘‘ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনারা ভোট দিন।’’

    দেশগঠনে যুবসমাজের ভূমিকা

    বৃহস্পতিবারের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) জানান যে, যুবকদের ভূমিকা রয়েছে নতুন ভারত গঠন করার জন্য। তিনি বলেন, ‘‘আপনারা এখন ভারতবর্ষের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। আগামী ২৫ বছর আপনারা নির্ণয় করবেন ভারত এবং নিজেদের ভবিষ্যৎ।’’ প্রসঙ্গত, নতুন ভোটারদের এই সম্মেলন সারা দেশব্যাপী আয়োজন করে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চা।

    নতুন ভোটারদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রীর (PM Modi) বার্তা-এক নজরে

    ১) দেশে যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ একটি সরকার তৈরি হয় তখন সেই সরকারের নীতি প্রণয়নে সুবিধা হয়।

    ২) বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে যখন আমি আলাপচারিতা করি, তখন আমি মনে করি, আমি একা নই আমার সঙ্গে ১৪০ কোটি ভারতীয় রয়েছেন।

    ৩) বর্তমান বিশ্বে ভারতের পাসপোর্ট গর্বের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। মানুষজন এখন কথা বলছে দেশের সাফল্যগাথার এবং দুর্নীতিমুক্ত ভারতের।

    ৪) বর্তমান বিশ্বে ভারত পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনে ভারত পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি হতে চলেছে।

    ৫) নতুন ভোটারদের সেই শক্তি রয়েছে, যার দ্বারা তাঁরা পরিবারতন্ত্রকে পরাস্ত করতে পারেন।

    ৬) এই সময়টা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। ভারতবর্ষ এখন স্বর্ণযুগের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আপনারা এমন সময় ভোটার হয়েছেন যে আগামী ২৬ জানুয়ারি ভারত তার ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস পালন করবে।

    ৭) ভারতের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য ভোট দিন। আপনার একটা ভোট ভারতকে আগামী দিনে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতিতে পরিণত করতে পারে। একটি স্থায়ী সরকার আপনারা তৈরি করতে পারেন।

    ৮) দেশের এত নতুন ভোটদাদাদের সঙ্গে আমার (PM Modi) এই আলাপচারিতা প্রথম। বিশ্বের যে কোনও রাজনৈতিক নেতার ক্ষেত্রে এমন সুযোগ প্রথম।

    ৯) নতুন ভোটাররা ভারতের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Picnic: শীতের দুপুরে পিকনিক, কোন পাঁচটি বিষয়ে নজর না দিলে হতে পারে বিপদ?

    Picnic: শীতের দুপুরে পিকনিক, কোন পাঁচটি বিষয়ে নজর না দিলে হতে পারে বিপদ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাপমাত্রার পারদ নীচের দিকে। তার সঙ্গে রয়েছে একাধিক ছুটি! তাই সপ্তাহান্তে বা ছুটির দিনে বন্ধু আর পরিবারের সঙ্গে হৈ হৈ করে চলছে পিকনিক (Picnic)।‌ শীতের মরশুমে উৎসবের তালিকায় আরেক উৎসব হল এই পিকনিক। কিন্তু চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, কয়েকটি বিষয়ে নজর না রাখলেই ঘটতে পারে বিপদ। মারাত্মক স্বাস্থ্যসঙ্কটও তৈরি হতে পারে। তাই পিকনিকের মরশুমে কয়েকটি বিষয়ে বাড়তি নজরদারির পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    কোন দিকে নজরদারি জরুরি? (Picnic) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বনভোজনে খাওয়ার আগে স্বাস্থ্যবিধিতে বিশেষ নজরদারি জরুরি। বিশেষত হাত পরিষ্কারে বিশেষ নজরদারি জরুরি।‌ অনেক ক্ষেত্রেই খোলা জায়গায় খাওয়া হয়। তাই যে থালায় খাওয়া হচ্ছে, তা আগে ঠিকমতো পরিষ্কার করা হচ্ছে কিনা, সেটা খেয়াল‌ রাখা দরকার। পাশপাশি, হাত পরিষ্কার করার ক্ষেত্রে নজরদারি জরুরি।‌ কারণ, এই ধরনের বিষয়গুলো এড়িয়ে গেলে একাধিক রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। বিশেষত পেটের সমস্যা, ডায়রিয়ার মতো বিপদ‌ বাড়তে পারে। তাই হাত পরিষ্কারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি (Picnic)। 
    জলের ব্যবহারের দিকে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, জলবাহিত রোগ বিপদ বাড়ায়। তাই বনভোজনের রান্নায় পরিশ্রুত জল ব্যবহার হচ্ছে কিনা, সেদিকে নজরদারি জরুরি। খাওয়ার জল পরিশ্রুত কিনা, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে। কারণ, জল থেকে জন্ডিস সহ একাধিক রোগের ঝুঁকি তৈরি হয়। 
    বনভোজনের জায়গায় শৌচালয় রয়েছে কিনা, তা পরিচ্ছন্ন কিনা, সেগুলোতে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অনেক বনভোজনের জায়গায় এই দিকটি একেবারেই গুরুত্ব দেওয়া হয় না। শৌচাগারে পর্যাপ্ত জল থাকে না। আর এর জেরেই ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফেকশনের মতো রোগের ঝুঁকি বাড়ে। তাই এগুলোর দিকে নজরদারি জরুরি।

    অতিরিক্ত মদ্যপান? (Picnic)

    শীতের পিকনিকে অনেকের কাছেই মদ্যপান উদযাপনের অংশ। কিন্তু অতিরিক্ত মদ্যপান স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত ক্ষতিকারক।‌ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ কিংবা ডায়াবেটিস আক্রান্তদের এ বিষয়ে সতর্ক থাকা জরুরি। মদ্যপান যে কোনও বড় বিপদ তৈরি করতে পারে। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।‌
    পাশপাশি খাওয়ার ক্ষেত্রেও সতর্ক হতে হবে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, পিকনিকের মরশুমে অনেকেই অতিরিক্ত মাংস কিংবা তেলেভাজা খান। এর ফলে একাধিক সমস্যা তৈরি হতে পারে। হজমের অসুবিধা ছাড়াও হৃদরোগ বা উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে অতিরিক্ত পরিমাণ মাংসের পদ কিংবা তেলমশলা জাতীয় খাবার খেলে স্বাস্থ্যের একাধিক সমস্যা হতে পারে। তাই কতখানি খাবার খাবেন, সে সম্পর্ক সতর্ক থাকা জরুরি। তবেই সুস্থভাবে উদযাপন সম্ভব (Picnic)।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arjun Singh: ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’, অর্জুনকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের

    Arjun Singh: ‘গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল’, অর্জুনকে তীব্র কটাক্ষ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গঙ্গার ঘাট সংস্কার নিয়ে বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং (Arjun Singh) এবং বীজপুরের বিধায়ক সুবোধ অধিকারীর কোন্দল প্রকাশে চলে এল। ঘাট সংস্কার করার ব্যাপারে সাংসদের উদ্যোগ নিয়ে বীজপুরের বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন। এমনকী বীজপুর এলাকায় এসে উন্নয়ন করার আশ্বাস দেওয়ার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তিনি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঘাট সংস্কারের আশ্বাস দিলেন অর্জুন (Arjun Singh)

    জগদ্দলের বিধায়ক সোমনাথ শ্যামের সঙ্গে অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বিরোধ বহুদিন ধরে চলছে। ভিকি যাদব খুনে অর্জুনের ভাইপো পাপ্পু সিং গ্রেফতার হওয়ার পর দুজনের মধ্যে বিরোধ আরও বেশি করে মাথাচাড়া দেয়। এবার বীজপুরের বিধায়কের সঙ্গে সাংসদের বিরোধও সামনে চলে এল। জানা গিয়েছে, নৈহাটি বিধানসভার জুবিলি ব্রিজের কাছে রামঘাট এবং বীজপুর বিধানসভার চাঁদনী ঘাটের অবস্থা অত্যন্ত বেহাল। ঘাট সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করেনি স্থানীয় পুর কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের ক্ষোভ ছিল। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ সাংসদের কাছে বিষয়টি নিয়ে দরবার করেন। এরপরই বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং রামঘাট পরিদর্শনে যান। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, জুবলি ব্রিজের নীচে গঙ্গার ঘাটের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এখানে ছট পুজো সহ অনেক ধর্মীয় অনুষ্ঠান হয়। এলাকার মানুষ এই ঘাট নিয়মিত ব্যবহার করেন। সংস্কারের অভাবে ঘাটটি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে উঠেছে। তাই এই ঘাট সংস্কারের উদ্যোগ নেওয়া হলে খুবই ভালো হয়। অর্জুন সিং ঘাটের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে তা সংস্কার করার আশ্বাস দেন। একইসঙ্গে বীজপুরের চাঁদনী ঘাট সংস্কার করার কথা তিনি বলেন। অর্জুন সিং বলেন, রামঘাট এবং চাঁদনী ঘাটের অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। দুটি ঘাট সংস্কারের উদ্যোগ গ্রহণ করব। তবে, আগে কেন এই ঘাট সংস্কার হয়নি তা আমি বলতে পারব না। সামনে লোকসভা ভোট। তার আগে নৈহাটি এবং বীজপুর বিধানসভায় গঙ্গার ঘাট সংস্কারের মধ্য দিয়ে জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করলেন অর্জুন সিং। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল, অর্জুনকে কটাক্ষ করলেন সুবোধ

    যদিও সাংসদের (Arjun Singh) এই ঘাট সংস্কারকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন বীজপুরে তৃণমূল বিধায়ক সুবোধ অধিকারী। তিনি বলেন, গাঁয়ে মানে না আপনি মোড়ল। ঘাট সংস্কারের দায়িত্ব পুরসভার। পুরসভা ঠিকমতো কাজ করছে। আমি বিধায়ক হবার পর বীজপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচুর উন্নয়নমূলক কাজ করেছি। একাধিক ঘাট সংস্কার করেছি। আগামীদিনে আরও ঘাটে সংস্কার করা হবে। তাই পুরসভাকে না জানিয়ে এভাবে ঘাট পরিদর্শনে আসা নিয়ে বিধায়ক প্রশ্ন তোলেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Online Game: অনলাইনে গেমে আসক্ত! সতর্ক হোন, আর্জি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম বিভাগের

    Online Game: অনলাইনে গেমে আসক্ত! সতর্ক হোন, আর্জি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম বিভাগের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনলাইনে (Online Games) গেম খেললে সতর্ক হোন। অনলাইন গেমের আড়ালে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ নতুন বিষয় নয়। অনেকেই এই ফাঁদে পড়ে যান নিজের অজান্তেই। তাই অনলাইনে গেম খেলার নেশা থাকলে অবিলম্বে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন, বলে জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (Ministry of Home Affairs)।

    অচেনা লোকের সঙ্গে তথ্য শেয়ার নয়

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সাইবার ক্রাইম বিভাগের তরফে জানানো হয়েছে, অনলাইনে গেম খেলার সময় কোনও ব্যক্তিগত তথ্য গেমিং অ্যাপ বা মাধ্যমে শেয়ার করা উচিত নয়। ইউজাররা নিজের নামের পরিবর্তে অন্য নাম দিয়ে খেলুন। অন্যান্য কোনও ব্যক্তিগত তথ্যও অনলাইন গেমিং মাধ্যমে ফাঁস করা ঠিক নয়। এর ফলে বিভিন্ন ভাবে প্রতারণার শিকার হতে পারেন একজন গেমার। 

    প্রলোভনে পা দেবেন না

    অনলাইন গেম খেলতে গেলে গেমিং প্ল্যাটফর্মে অনেকের সঙ্গেই আপনার আলাপ হতে পারে যাঁরা আপনার পূর্বপরিচিত নন। ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে পরিচয় হওয়া এই গেমাররা আপনাকে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখাতে পারে। তারা একাধিক এমন স্কিমের কথা বলবে যার মাধ্যমে আপনি সহজে টাকা উপার্জ করতে পারবেন। এই ফাঁদে পা দিলে বিপদ অনিবার্য।

    আরও পড়ুন: ফোকাস নারী ক্ষমতায়ন, ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে ঘটবে অনেক ‘প্রথম’

    বাচ্চাদের বিষয়ে সতর্ক

    বর্তমান প্রযুক্তির যুগে অনলাইন গেম বাচ্চাদের মধ্যে খুব জনপ্রিয়। এই গেমগুলি খেলার সময় ছোট বাচ্চারা যে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়, সেগুলি সমাধান করতে পারলে তাদের খুবই আনন্দ লাগে। স্বাভাবিক ভাবেই শিশুরা তখন এধরণের আরো চ্যালেঞ্জ সফলভাবে মোকাবিলা করবার জন্য আরো উৎসাহী হয়ে পড়ে। এইভাবে তারা ক্রমশ অনলাইন গেমের প্রতি আসক্ত হয়ে পড়ে। বর্তমানে পার্সনাল কম্পিউটার, মোবাইল ফোন – সর্বত্র অনলাইন গেমের সন্ধান মেলে। এর ফলে শিশুরা সহজেই এই খেলাগুলির সন্ধান পায়। তার ফলে তাদের পড়াশোনা এবং সামাজিক জীবন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এক্ষেত্রে অভিভাবকদের সতর্ক হওয়ার কথা বলা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: লোকসভা পিছু ৬ হাজার রামভক্তকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাবে সঙ্ঘ পরিবার

    Ram Mandir: লোকসভা পিছু ৬ হাজার রামভক্তকে রাম মন্দিরে নিয়ে যাবে সঙ্ঘ পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গের রামভক্তদের অযোধ্যায় রাম মন্দিরে (Ram Mandir) নিয়ে যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ। ইতিমধ্যেই পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল এবং মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে ৬ হাজার করে মোট ১২ হাজার রামভক্তকে অযোধ্যায় নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

    যে কেউ রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারেন (Ram Mandir)  

    লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত এই উন্মাদনা জিইয়ে রাখতে তৎপর হয়েছে গেরুয়া শিবির। ইতিমধ্যে এলাকার সাধারণ কোনও মানুষ অযোধ্যায় যেতে চান কি না, তার খোঁজ নিতে হবে। রাম মন্দির (Ram Mandir) দর্শনের জন্য অযোধ্যার যোগাযোগ ব্যবস্থা কী কী থাকছে, কোন কোন পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করা হয়েছে, সে সব তাঁদের জানাতে হবে। ইচ্ছুকদের নাম নথিভুক্ত করতে হবে। জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক শুভজিৎ রায় বলেন, অযোধ্যায় যেতে আগ্রহী অনেকেই ট্রাস্টের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। তাঁদের রাম মন্দির দর্শনে নিয়ে যাওয়া হবে। এই কর্মসূচিতে যুক্ত হয়ে যে কেউ রাম মন্দির দর্শনে যেতে পারেন। তাঁকে বিজেপি করতে হবে, এমন কোনও মানে নেই।

    খরচ কত পড়বে?

    সামান্য অনুদানের মাধ্যমে এই সফরের শরিক হতে পারেন ইচ্ছুক রামভক্তরা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২৯ জানুয়ারি থেকেই অযোধ্যা-সফর শুরু হবে। চলবে ২৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এই সময়কালে দক্ষিণবঙ্গ থেকে দিনে একটি করে ট্রেন অযোধ্যা রওনা দেবে। প্রচারে জানানো হচ্ছে, যাত্রা শুরুর কমপক্ষে ১২ দিন আগে অবশ্যই অনুদান জমা করতে হবে। সঙ্গে জমা দিতে হবে আধার কার্ডের প্রতিলিপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি। এ দিয়ে নাম নথিভুক্ত করাতে হবে। এই সফরের জন্য জেলায় একাধিক যোগাযোগ প্রমুখও নিযুক্ত করা হয়েছে। তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, হাওড়া থেকে গেলে খরচ পড়বে ১,৬০০ টাকা। বর্ধমান থেকে ১,৪০০ টাকা। আসানসোল থেকে ১,২০০ টাকা পড়বে। এর মধ্যেই ট্রেনে যাতায়াত, রাত্রিবাস, আহারাদি-সব হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share