Author: user

  • Barrackpore: অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীকেই খুনের হুমকি

    Barrackpore: অসামাজিক কাজের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীকেই খুনের হুমকি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকায় দিনের পর দিন দাপিয়ে বেড়াচ্ছে দুষ্কৃতীরা। বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের উত্তর বারাকপুর পুরসভার ইছাপুরের ২০ নম্বর রেলগেট এলাকার ঘটনা। প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েও কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এমনকী অসামাজিক কাজকর্মের প্রতিবাদ করায় তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামী সঞ্জয় দাসকে খুন করার পরিকল্পনা করেছিল ছিল দুষ্কৃতীরা। বিষয়টি জানার পরই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তৃণমূল কাউন্সিলর। ইতিমধ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

    কাউন্সিলরের স্বামীকে খুনের ছক! (Barrackpore)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে গোবিন্দ বাঁশফোঁড় সহ দুজনকে পুলিশ গ্রেফতার করে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ইছাপুরে তৃণমূল কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দাসের স্বামী সঞ্জয় দাসকে খুন করার ছক কষেছিল। টিটাগড়ের কয়েকজন যুবক জড়িত রয়েছে। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় মোট চারজনকে গ্রেফতার করেছে। তারমধ্যে একজন ইছাপুরের বাসিন্দা। বাকি তিনজনের বাড়ি টিটাগড় এলাকায়। কাউন্সিলরের স্বামী স্থানীয় তৃণমূল নেতা। ফলে, এলাকায় দুষ্কৃতীদের দাপট দেখাতেই তাঁকে খুন করার ছক কষা হয়েছিল বলে দলের একাংশ মনে করছে।

    কী বললেন তৃণমূল কাউন্সিলর?

    জানা গিয়েছে, বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলের উত্তর বারাকপুর পুরসভার ইছাপুর ২০ নম্বর রেলগেটে কালী মন্দিরের আছে অসামাজিক কাজকর্ম হয়। ওই এলাকা দখল করে দাপিয়ে বেড়ায় দুষ্কৃতীরা। বহিরাগতরা সেখানে এসে জড়ো হয়। ফলে চরম আতঙ্কে থাকেন এলাকাবাসী। স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলর সুপ্রিয়া দাস বলেন, এলাকাবাসী অভিযোগ জানানোর পরেই আমি বিষয়টি পুলিশ প্রশাসনের কাছে বলেছিলাম। কিন্তু, দুষ্কৃতদের দৌরাত্ম্য বন্ধ হয়নি। এলাকাটি ওরা দখল করে রয়েছে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছি বলে আমার পরিবারের দিকে টার্গেট করা হচ্ছে। আমার স্বামীকে খুন করার চক্রান্ত করা হয়েছে। এই ঘটনায় আমরা বেশ আতঙ্কে রয়েছি। আমাদের স্পষ্ট বক্তব্য, এইসব ঘটনার পিছনে কারা রয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে কাউকে খুন করার চেষ্টা হয়, তা মেনে নেওয়া যায় না। আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Siliguri: মমতাকেও ‘ডোন্ট কেয়ার’! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসের ওপর বন্ধ চা বাগান

    Siliguri: মমতাকেও ‘ডোন্ট কেয়ার’! তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসের ওপর বন্ধ চা বাগান

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শ্রমিক নেতার দাদাগিরিতে দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে ত্রিহানা চা-বাগান। খোদ চা বাগানের মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বিস্ফোরক এই অভিযোগ করেছেন। শিলিগুড়ি (Siliguri) মহকুমার এটি তরাইয়ের অন্যতম পুরানো ও বড় চা বাগান। মালিকের এই অভিযোগে ধাক্কা খাচ্ছে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক বন্ধ চা-বাগান খোলার দাবি।

     ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Siliguri)

    চা বাগান সূত্রে জানা গিয়েছে, সর্বসম্মতিক্রমে ১৮ শতাংশ পুজোর বোনাস দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু, আইএনটিটিইউসি দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে শিলিগুড়ির (Siliguri) ত্রিহানা চা-বাগানে ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিতে অনড় থেকে ফ্যাক্টরি থেকে চা পাতা বের করা বন্ধ করে দেন। কাঁচা পাতা, তৈরি চা পাতা চুরি করে বাইরে বিক্রি করেন। ১৯ শতাংশ বোনাসের দাবিকে অজুহাত করে আইএনটিটিইউসির দার্জিলিং জেলা সভাপতি নির্জল দে বাগানে চূড়ান্ত বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করেন বলে অভিযোগ। গত ৯ নভেম্বর আন্দোলনের নামে ম্যানেজারকে নিগ্রহ করে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার পরের দিন বাগান লক আউট করা হয়। তাই সুবিচারের জন্য বাগান মালিক উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।

     তৃণমূল নেতার দাদাগিরি নিয়ে কী বললেন বাগান মালিক?

    বাগান মালিক ঘনশ্যাম কাঙ্কানি বলেন, আমার বাগানের পাশে বালাসন নদী থেকে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি অবৈধভাবে বোল্ডার উত্তোলন করত। এতে বাগানের উপর প্রভাব পড়ায় জেলাশাসককে অভিযোগ জানিয়েছিলাম। তিনি সেখান থেকে বালি, পাথর উত্তোলন বন্ধ করে দেন। সেই আক্রোশে নির্জল দে বাগানে অশান্তি শুরু করেন। এখন আমার বাগানকে রুগ্ন দেখিয়ে বড় বড় শিল্পপতির হাতে বাগান তুলে দেওয়ার চক্রান্ত দেখতে পাচ্ছি।

    চা বাগানের শ্রমিকরা কী বললেন?

    এই বাগানে ১২০০ চা শ্রমিক-কর্মচারী রয়েছেন। শ্রমিকরা তৃণমূলের দাদাগিরিতে তিতিবিরক্ত। তাঁরা বলেন, তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আমরা চরম সঙ্কটে পড়েছি। এই মালিকের আরও দুটি ডিভিশন রয়েছে। সেখানে কোনও সমস্যা নেই। আমরা কাজ করতে চাই। কিন্তু, তৃণমূল নেতার হুমকিতে করতে পারছি না।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূল শ্রমিক নেতা নির্জল দে বলেন, বাগান মালিক ২০০৬ সাল থেকে গ্র্যাচুইটি ও ২০১৪ সাল থেকেই প্রভিডেন্ট ফান্ডের টাকা দিচ্ছেন না। বোনাস দেওয়া নিয়ে টালবাহানা করেছেন। তবু, এতদিন শ্রমিকরা মুখ বুজে কাজ করেছেন। আসলে এই মালিক দীর্ঘদিন ধরে শ্রমিক বিরোধী কার্যকলাপ করে চলেছেন। বিষয়টি শ্রমমন্ত্রীকেও জানানো হয়েছে। প্রতিবাদ জানিয়েছি বলে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    Dhupguri: ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে মহকুমা হবে ধূপগুড়ি, কী হল অভিষেকের দেখানো স্বপ্নের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত বছর ২ সেপ্টেম্বর বিধানসভা উপ নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার ডেডলাইন উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক  অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। বলা ভালো স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। যে স্বপ্ন ফেরি করেই উপ নির্বাচনে তৃণমূল প্রার্থী জয়লাভ করেছিলেন, তা হল, ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন করা হবে। কিন্তু, কথা রাখেনি তৃণমূল। কারণ, নিয়ম মেনে ধূপগুড়িকে মহকুমা করতে সরকারি বিজ্ঞপ্তি এখনও জারি হয়নি। তাই, এবার মহকুমার দাবিতে বুধবার থেকে ধূপগুড়ির বিধায়কের বাড়ির সামনে মুখে কালো কাপড় বেঁধে ধর্নায় বসতে চলেছে ধূপগুড়ি মহকুমা নাগরিক মঞ্চ।

    নাগরিক মঞ্চের এক কর্মকর্তা কী বললেন? (Dhupguri)  

    ধূপগুড়ি (Dhupguri) মহকুমা নাগরিক মঞ্চের এক কর্তা অনিরুদ্ধ দাশগুপ্ত বলেন, মহকুমা গঠনের জন্য অনেক তৎপরতা দেখলাম। আমাদের এসব দেখে খুব ভালো লেগেছিল। কিন্তু, বাস্তবে এই ঘোষণা যদি শুধুমাত্র ভোটের জন্য হয়ে থাকে, তাহলে এটা ধূপগুড়ির মানুষকে অপমান করা। আমরা তো বিশ্বাস করেছিলাম। সেটা রাখা হল না। আমাদের স্বপ্নভঙ্গ হল। আমরা খুবই হতাশ। এভাবে তো মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করা হল। আমরা এর প্রতিবাদ করব। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

    মহকুমা গঠনের কথা মুখ্যমন্ত্রীও বলেছিলেন

    ১১ সেপ্টেম্বর নবান্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়িকে (Dhupguri) মহকুমা করার কথা ঘোষণা করেছিলেন। শুধু তাই নয়, ভোটের ফল প্রকাশের কয়েকদিনের মধ্যেই ধূপগুড়ি মহকুমা গঠনের প্রস্তাব পাশ হয়ে যায় মমতার মন্ত্রিসভায়। একাধিক ক্ষেত্রে সংস্কারের আশা দেখে অকাল হোলিতে মেতেছিলেন ধূপগুড়িবাসী। নতুন বছর শুরু হয়ে যাওয়ার পরও গঠন হল না মহকুমা। সেই দাবিতেই এবার খোদ বিধায়কের বাড়ির সামনে ধর্নার ডাক দিল নাগরিক মঞ্চ।

    তৃণমূল বিধায়ক কী বললেন?

    বিধায়ক নির্মল রায় বলেন, ‘মহকুমা যে হচ্ছে, এটা জোর দিয়ে বলাই যায়। আইনি প্রক্রিয়ায় জটিলতা রয়েছে, সেই কারণেই সময় লাগছে। তবে, চিন্তার কোনও কারণ নেই। ধূপগুড়ির (Dhupguri) মানুষকে আমি আশ্বস্ত করছি, খুব শীঘ্রই সরকারি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হবে।’ কিন্তু, তাঁর এই আশ্বাসে নাগরিক মঞ্চ খুশি নয়। তাই, তাঁরা মহকুমার দাবি আদায়ে আন্দোলনের পথকে বেছে নিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sound Pollution: বছরের শেষ থেকে শুরু, উৎসব উদযাপনে শব্দের দাপটে নাজেহাল আমজনতা

    Sound Pollution: বছরের শেষ থেকে শুরু, উৎসব উদযাপনে শব্দের দাপটে নাজেহাল আমজনতা

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বছরের শেষ দিন হোক, কিংবা নতুন বছরের শুরুর দিন, উৎসব উদযাপনে শব্দের দাপটে (Sound Pollution) নাজেহাল সাধারণ মানুষ। অনেক জায়গায় অভিযোগ, সাধারণ মানুষ বারবার জানানোর পরেও স্থানীয় প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। ফলে, ভোগান্তি বেড়েছে।

    কী সমস্যার অভিযোগ উঠছে? (Sound Pollution)

    ইংরেজি বর্ষবরণ উপলক্ষে কলকাতা থেকে জেলা, সর্বত্র উৎসবের আমেজ। আর উদযাপনের তীব্রতায় ভোগান্তি বাড়ছে সাধারণ মানুষের।‌ অভিযোগ, একাধিক এলাকায় রাত বারোটার পরেও তীব্র জোরে চলেছে ডিজে বক্স। তার সঙ্গে বর্ষবরণ উপলক্ষে লাগাতার বাজির আওয়াজ। শব্দ আর আলোর বাজির দাপটে জেরবার শহর থেকে শহরতলি।‌ শিশু ও বয়স্কদের সমস্যা বেড়েছে। সল্টলেক, দমদম, এয়ারপোর্ট থেকে শুরু করে খোদ কলকাতার শোভাবাজার থেকে টালিগঞ্জ, যাদবপুর সর্বত্র রাতভর শব্দের দাপটের অভিযোগ। বাদ যায়নি জেলাও। একাধিক জেলার বাসিন্দাদের অভিযোগ, রাত বাড়ার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে আওয়াজের দাপট (Sound Pollution)। রাত বারোটার পরে লাগাতার শব্দবাজির দাপটে নাজেহাল। তার সঙ্গে জোরে মাইক বাজিয়ে অনুষ্ঠান চলেছে। ফলে, পরিস্থিতি অস্বাস্থ্যকর হয়ে উঠেছে। অভিযোগ, স্থানীয় প্রশাসনকে বারবার জানিয়েও কোনও ফল‌ পাওয়া যায়নি। স্থানীয় থানার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বেশ কিছু জায়গায় সেটাও সম্ভব হয়নি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের একাংশের।

    শব্দের এই দাপট কতখানি ক্ষতিকর? (Sound Pollution)

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দের এই দাপট স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক। শিশুদের শ্রবণশক্তির জন্য বিপদ তৈরি করতে পারে এই শব্দের দাপট। নাক-কান-গলার (ইএনটি) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শব্দবাজির হঠাৎ তীব্র আওয়াজ কানের পর্দায় ক্ষত তৈরি করে। শিশুদের এই ক্ষত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। পাশপাশি লাগাতার ডিজের মতো তীব্র আওয়াজ কানে শুনলে শ্রবণ ক্ষমতা কমতে পারে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। পাশপাশি শিশুদের মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে এই শব্দের দাপট। রাতে লাগাতার এই তীব্র আওয়াজের শিশুদের মস্তিষ্কে একাধিক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। তার জেরেই তাদের মানসিক অস্থিরতা দেখা দেয়। 
    শিশুদের পাশপাশি প্রৌঢ়দের জন্য এই শব্দের দাপট সমস্যা তৈরি করে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাদের হৃদরোগ আছে, শব্দের তীব্রতা তাদের জন্য বাড়তি বিপজ্জনক। হঠাৎ তীব্র আওয়াজ হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দেয়। আবার একটানা তীব্র আওয়াজ (Sound Pollution) রক্তচাপ বাড়িয়ে দেয়। এই দুটোই হৃদরোগের জন্য বিপজ্জনক। তাই এই পরিস্থিতি সব বয়সীদের জন্য ক্ষতিকর।

    কী বলছে রাজ্য প্রশাসন?

    কলকাতা থেকে জেলা, একাধিক জায়গায় বর্ষবরণ উপলক্ষে শব্দের দাপট প্রসঙ্গে নবান্ন অবশ্য অভিযোগ (Sound Pollution) মানতে নারাজ। নবান্নের এক শীর্ষ কর্তা জানান, প্রত্যেকটি রাস্তায় পুলিশ পাহারা দিয়েছে। কোথাও আইন ভাঙা হয়নি। এলাকায় এলাকায় পুলিশ টহল দিয়েছে। এরপরেও কোনও অভিযোগ থাকলে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বর্ষবরণের রাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ছিল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    Ram Mandir: রাম মন্দিরের স্বপ্ন সফল হচ্ছে, ৭৫ বছর বয়সেও নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন চম্পত রাই

    রামনগরী অযোধ্যা-এক

    শুভ্র চট্টোপাধ্যায়, অযোধ্যা থেকে ফিরে: রাম রাজ্যের ধারণা ছোট থেকেই শুনে আসছি। ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অযোধ্যায় পা রাখতেই স্বচক্ষে দেখলাম রামের রাজত্ব। রামনগরীর প্রতিটি ইট থেকে সরযূ নদীর জল, সবটাই রামচন্দ্রময়। লঙ্কাজয়ের পর রামচন্দ্রের ঘরে ফেরার সময় অযোধ্যানগরী কেমন সেজে উঠেছিল, তা জানার উপায় নেই। তবে ২২ জানুয়ারি রামের মন্দিরে (Ram Mandir) ফেরার আগে উত্তেজনার পারদে যে ফুটছে অযোধ্যা, তা বোঝাই গেল। সব থেকে কর্মব্যস্ততা রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। নাওয়া-খাওয়া ভুলেছেন কর্তারা। মন্দির কমিটির তত্ত্বাবধানে গড়ে উঠেছে ‘তীর্থ ক্ষেত্র ভবন’। রাম মন্দির (Ram Mandir) থেকে ঢিল ছোড়া দূরত্বে। সেখান থেকেই শুরু হয়ে যাচ্ছে কড়া নিরাপত্তার বলয়।

    ৭৫ বছরের বৃদ্ধ চম্পত রাই। যুবক বয়স থেকেই যুক্ত রাম মন্দির আন্দোলনের সঙ্গে। বর্তমানে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের সর্বভারতীয় সহ-সভাপতির দায়িত্বে তিনি। পাশাপাশি গুরুদায়িত্ব রয়েছে ‘রাম জন্মভূমি তীর্থ ক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর। তিনি ট্রাস্টের সম্পাদক। সব কিছুই সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার ভার তাঁর ওপরেই। সাদা ধুতি, খাদির পাঞ্জাবির ওপর শীত আটকাতে জ্যাকেট। কপালে তিলক আঁকা বৃদ্ধ হাতে মাইক নিয়ে শুরু করলে সাংবাদিক বৈঠক। পিছনে রামমন্দিরের ৭০ একর জায়গার ম্যাপ। চেয়ারে বসে ম্যাপ দেখাতে অসুবিধা হচ্ছিল, তাই উঠে দাঁড়ালেন সত্তরোর্দ্ধ বৃদ্ধ। চম্পত রাইয়ের নিঁখুত বর্ণনায় উঠে এল সামগ্রিক রাম মন্দির (Ram Mandir)। জানা গেল মন্দির তৈরি হচ্ছে জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনায়। কী সেই ভাবনা?

    জগদ্গুরু আদি শঙ্করাচার্যের ভাবনা

    হিন্দু ধর্মের পুনরুত্থানে বড় ভূমিকা পালন করেছিলেন আদতে কেরলে জন্মগ্রহণ করা আদিগুরু শঙ্করাচার্য। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ রচনা থেকে দেবদেবীর স্তোত্রের সংকলন, সবটাই করেছিলেন তিনি। গীতার ভাষ্য তিনিই রচনা করেছেন। পূজা পদ্ধতি, আচার অনুষ্ঠানের বিধি ও নিয়মও লিখে গিয়েছিলেন তিনি। জগদ্গুরু শঙ্করাচার্যের ‘পঞ্চায়তন’ ভাবনার ওপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠছে রাম মন্দির। ‘পঞ্চায়তন’ কথার আক্ষরিক মানে হল পাঁচ দেবদেবীর পুজো। হিন্দু ধর্ম অনুসারে, প্রতিটি ধর্মস্থানে বা মন্দিরে পাঁচ দেবদেবীর পুজোর বিধান দিয়ে গিয়েছিলেন জগদ্গুরু শঙ্করাচার্য। কোন পাঁচ দেবদেবী? এঁরা হলেন সূর্য, শঙ্কর, গণপতি, ভগবতী ও বিষ্ণু। ভক্তদের বিশ্বাস, এই পাঁচদেব দেবীর আরাধনা করলেই সম্পন্ন করা যায় সম্পূর্ণ পুজো। রাম মন্দিরেরও থাকবেন এই পাঁচ দেবদেবী। ভক্তদের বিশ্বাস মতে, রামচন্দ্র হলেন বিষ্ণুর অবতার। তাই রাম মন্দিরে আলাদাভাবে কোনও বিষ্ণু মূর্তি থাকবে না বলেই সাংবাদিক বৈঠকে জানিয়েছেন চম্পত রাই। হিন্দু ধর্মের পবিত্র তীর্থস্থল ইতিমধ্যেই হয়ে উঠেছে অযোধ্যা।

    রাম মন্দিরে জগদ্গুরুর ছোঁয়া

    ২২ জানুয়ারি মন্দির উদ্বোধনের পর সেখানে প্রতিদিন গড়ে ৩ লাখ তীর্থযাত্রীর পা পড়বে বলে অনুমান মন্দির কমিটির। তাই সব দিক থেকেই নিঁখুতভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে রাম মন্দিরকে (Ram Mandir)। প্রাচীন ভারতের ধর্মগুরু শঙ্করাচার্যের ভাবনাই প্রতিফলিত হচ্ছে রাম মন্দিরে। হিন্দু ধর্মের প্রতিটি রীতিই পালন করা হচ্ছে মন্দির নির্মাণে। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের মন্দিরের গঠন প্রণালীরও মেলবন্ধন দেখা যাবে রাম মন্দিরে। দেশের চার কোনায় চারটি মঠ স্থাপন করে গিয়েছিলেন শঙ্করাচার্য। চারধাম যাত্রায় প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ পুণার্থী রওনা হন। তাঁদের সঙ্গে পরিচয় হয় শঙ্করাচার্যের ভাবনা ও ধারণার। এবার রাম মন্দিরেও মিলবে জগদ্গুরুর ছোঁয়া।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মার, বাড়ি ভাঙচুর, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীদের বেধড়ক মারধর করার পাশাপাশি বাড়িও ভাঙচুর করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। সোমবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের আশুতি-১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের চক চট্টা এলাকায়। বিজেপি কর্মীদের পাশাপাশি সিপিএম কর্মীদের উপরও হামলা চালানো হয়। ইতিমধ্যেই থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ঠাকুরপুকুর মহেশতলা ব্লকের এই এলাকা উত্তপ্ত হয়েছিল। এর আগেও বিরোধীদের মারধরের জেরে মৃত্যু হয়েছিল এক বিজেপি কর্মীর। ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন সভায় বারে বারে দাবি করেছেন, বিরোধীরা যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজনীতি করতে পারে তার জন্য তিনি সহযোগিতা করবেন। আর তাঁরই লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যে এমন ঘটনা আরও একবার প্রশ্নচিহ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছে। এটাই কি তাহলে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডায়মন্ড হারবার মডেল! বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে চড়াও হয়। ইট দিয়ে জানলার কাচ ভেঙে দেয়। এছাড়াও একটি বাইক পুড়িয়ে দেওয়া হয়। বিজেপি ও সিপিআইএমের দুজন কর্মীকে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ইতিমধ্যেই কালীতলা আশুতি থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিজেপি নেতা দ্বিজেন নস্কর বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের পর থেকেই ওরা আমাদের নানাভাবে হুমকি দিয়ে আসছিল। সোমবার সামান্য একটি বিষয় নিয়ে ঝামেলা হয়। এরপরই তৃণমূলের লোকজন দল বেঁধে আমাদের কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। কর্মীদের মারধর করে। প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়।

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    এই বিষয় নিয়ে আশুতি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান পার্থ কয়াল বলেন, হামলার কোনও ঘটনা ঘটেনি। পিকনিক করা নিয়ে দুটো পাড়ার মধ্যে ঝামেলার জেরে এই মারপিট বা ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবে যুক্ত নয়। বিরোধীরা আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bengal Tiger: ফের বক্সায় দেখা মিলল বাঘমামার! নতুন বছরে ভিড় বাড়ল পর্যটকদের

    Bengal Tiger: ফের বক্সায় দেখা মিলল বাঘমামার! নতুন বছরে ভিড় বাড়ল পর্যটকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সপ্তাহের মধ্যে বক্সার জঙ্গলে বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় দুবার ধরা পড়ল রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের (Bengal Tiger) ছবি। গত ২৮ ডিসেম্বরের পর বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় ফের ধরা পড়েছে ৪ বছর বয়সী একটি বাঘের ছবি। বার বার বাঘ দেখতে পাওয়ার কারণে বক্সায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের মধ্যেও একটা উৎসাহ-উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে।

    বাঘ দেখতে বক্সায় ভিড় বাড়ছে পর্যটকদের! (Bengal Tiger)

    নতুন বছরের শুরুতে এমনিতেই জয়ন্তী, বক্সা পাহাড় সর্বত্র পর্যটকদের ভিড় থাকে। দীর্ঘ বছর পর ২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে একটি পূর্ণবয়স্ক পুরুষ বাঘের ছবি বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল। এবছর বন দফতরের পাতা ক্যামেরায় বাঘের একাধিক ছবি ধরা পড়ায় এ নিয়ে পর্যটকদের মধ্যে উৎসাহ অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। অনেকেই বক্সার জঙ্গলে ভ্রমণে এসে বাঘের (Bengal Tiger) দর্শন মিলতে পারে বলে আশায় রয়েছেন। পরিবহণ দফতরের পক্ষ থেকে পর্যটকদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাতে পর্যটকদের ভিড়ও বাড়ছে। যদিও বাঘের গতিবিধি নজরে আসতেই অনেক বেশি সতর্কতা অবলম্বন করেছেন বন দফতরের আধিকারিকরা। যত্রতত্র জঙ্গলের ভেতরে পর্যটকদের না দাঁড়ানোর পরামর্শ দেওয়া, বাইক নিয়ে জঙ্গলে প্রবেশ না করা, স্থানীয় বনবস্তির বাসিন্দাদের গবাদি পশু নিয়ে জঙ্গলে না যাওয়ার পরামর্শও তাঁরা দিচ্ছেন।

    পর্যটকদের কী বক্তব্য?

    বাঘে-মানুষের সংঘাত এড়াতে বন দফতরের সতর্কতা তো থাকবেই, তাই বলে পর্যটকরা জঙ্গল ঘুরতে এসে বাঘ না দেখে ফিরে যাবেন, সেটাও তাঁরা মানতে পারছেন না। তাই, চার চাকা, নিজস্ব গাড়িতে চেপে হোক আর সাফারি করেই হোক, জঙ্গলের ভেতরে বাঘের (Bengal Tiger) বিচরণের উপরেই তীক্ষ্ণ নজর থাকছে পর্যটকদের। পর্যটকদের বক্তব্য, ‘জানালার কাচের ভেতর থেকে দূরের জঙ্গলে এক ঝলক বাঘের মুখ দর্শন করার জন্য চোখের পাতা নামাতে পারছি না।’ বাঘ দর্শনের আশায় পর্যটকরা ভিড় করলেও সেই আশা মঙ্গলবার পর্যন্ত অধরাই রয়েছে। বাঘমামার দেখা কবে মিলবে সেই আশায় রয়েছেন পর্যটকরা।

    বন দফতরের কর্তা কী বললেন?

    বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার (Bengal Tiger) যে অবাধে বিচরণ করছে, এ ব্যাপারে নিশ্চিত বন দফতরের কর্তারাও। রাজ্য বন দফতরের পিসিসিএফ (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় বলেন, দিনের আলোয় একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি বক্সার পাওয়া গিয়েছে। কদিন আগেও যে বাঘের ছবিটি ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল, দুটি ছবিই একই বাঘের হতে পারে। নতুন বছরের শুরুতে পর্যটকদের কাছে খুশির খবর। তাই, বাঘ দেখতে ভিড়ও বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Toy Train: নতুন বছরের প্রথম দিনেই লাইনচ্যুত টয় ট্রেন! আতঙ্কে পর্যটকরা

    Toy Train: নতুন বছরের প্রথম দিনেই লাইনচ্যুত টয় ট্রেন! আতঙ্কে পর্যটকরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নতুন বছরের প্রথম দিনে ফের দার্জিলিংয়ে লাইনচ্যুত হল টয় ট্রেন (Toy Train)। সোমবার বিকেলে ম্যারি ভিলার কাছে লাইনচ্যুত হয়ে যায় টয় ট্রেনটি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন পর্যটকরা। এর আগে গত বছরের ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং সেপ্টেম্বর মাসের প্রথম দিকে পর পর তিনবার টয় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিল। নতুন বছরের প্রথম দিনে ফের টয় ট্রেন দুর্ঘটনার কবলে পড়ায় পর্যটকদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    ঠিক কী করে দুর্ঘটনা ঘটল?  (Toy Train)

    এমনিতেই শীতের সময় দার্জিলিংয়ে পর্যটকদের ভিড় অনেক বাড়ে। বিশেষ করে বিদেশি পর্যটকরা এখন এখানে ভিড় করে। পর্যটকদের বড় অংশই শিলিগুড়ি থেকে দার্জিলিং পর্যন্ত টয় ট্রেনের (Toy Train) দীর্ঘ সময়ের যাত্রা থেকে বিরত থাকেন। তবে, হেরিটেজ টয় ট্রেনে চড়ার আনন্দ উপভোগ করতে তাঁদের অনেকে জয় রাইডে যান। এখন প্রতি দিন এক ডজন করে জয় রাইড চলছে দার্জিলিংয়ে। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে আরও চারটি জয় রাইড বাড়িয়েছে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে। সোমবার বিকেলে টয় ট্রেনটি দার্জিলিং স্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করেছিল। প্রায় ৬০ জন যাত্রী ছিলেন ট্রেনে। ঘুম স্টেশন হয়ে সোনাদা ঘুরে আবার দার্জিলিং স্টেশনের দিকে যেতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ঘুম স্টেশন থেকে তিন কিলোমিটার দূরে ম্যারি ভিলাতে লাইনচ্যুত হয় টয় ট্রেনটি। ফলে, পর্যটকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে ঘুম স্টেশন পর্যন্ত ঠিকঠাকভাবে চললেও স্টেশন থেকে ট্রেনটি ছাড়তেই ইঞ্জিনটি খুলে গিয়ে লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে। হুড়মুড় করে থেমে যায় টয় ট্রেনটি। যদিও দুর্ঘটনায় পর্যটকদের জখম হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

     রেল আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    উত্তর-পূর্ব রেলের জনসংযোগ আধিকারিক সব্যসাচী দে বলেন, ঘুম এবং দার্জিলিং স্টেশনের মাঝে একটি জয় রাইডের স্টিম ইঞ্জিন লাইনচ্যুত হয়েছে। দুর্ঘটনার সময় দুটি কামরায় পর্যটকেরা ছিলেন। তবে, দুর্ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি। ওই পর্যটকদের পরে সড়কপথে দার্জিলিং পাঠানো হয়েছে। টয় ট্রেনটি (Toy Train) উদ্ধার করা হয়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: রামলালার কোন মূর্তি মন্দিরের গর্ভগৃহে বসবে হয়ে গেল চূড়ান্ত, শিল্পী কে জানেন?

    Ram Mandir: রামলালার কোন মূর্তি মন্দিরের গর্ভগৃহে বসবে হয়ে গেল চূড়ান্ত, শিল্পী কে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কার তৈরি রামলালা অযোধ্যার রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে স্থান পাবে, তা নিয়ে তিন শিল্পীর তৈরি তিন মূর্তি নিয়ে চলছিল জোর প্রতিযোগিতা। মূর্তি বাছাইয়ে হয়েছে ভোটাভুটিও। অবশেষে সেই ভোটাভুটির ফল প্রকাশ্যে এল। মঙ্গলবার এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলে সেই সুখবর দেন বিজেপি নেতা প্রহ্লাদ জোশী। তিনি জানান, কর্নাটকের শিল্পী অরুণ যোগীরাজের তৈরি মূর্তিই সর্বসম্মতিক্রমে চূড়ান্ত করা হয়েছে। 

    কর্নাটকে এমবিএ করা অরুণ যোগীরাজ ২০০৮ সালে চাকরি ছেড়ে ভাস্কর্যকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তাঁর উপরেই দায়িত্ব ছিল রামলালার মূর্তি তৈরির (Ram Mandir)। রামলালার একটি মূর্তি তৈরি হয়নি, তিনটি মূর্তি তৈরি হয়েছিল। রামলালার মূর্তি তৈরির জন্য ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ তিনজনের উপর দায়িত্বভার অর্পণ করেছিল, তাঁদের মধ্যে অরুণ যোগীরাজ ছাড়াও বাকি দুজন হলেন রাজস্থানের সত্যনারায়ণ পান্ডে এবং বেঙ্গালুরুর জিএল ভাট। সেখান থেকে অরুণ যোগীরাজের মূর্তি বেছে নেওয়া হল। 

    অরুণ যোগীরাজের তৈরি করা মূর্তিটি কেমন?

    সূত্রের খবর, অরুণ যোগীরাজের তৈরি করা রামলালার মূর্তিটি ৮ ফুটেরও বেশি লম্বা। চওড়ায় প্রায় সাড়ে তিন ফুট। প্রায় ছয় মাস ধরে নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে রামলালার মূর্তি তৈরি করেছেন তিনি। রামলালার মূর্তিটি তৈরির আগেও অরুণ যোগীরাজ কেদারনাথে স্থাপিত বর্তমানে আদি শঙ্করাচার্যের মূর্তিটিও (Ram Mandir) তৈরি করেছেন। দিল্লির ইন্ডিয়া গেটের সামনে বর্তমানে যে নেতাজি মূর্তিটি দেখতে পাওয়া যায়, সেটিও তাঁর হাতেই তৈরি। এই দুটি মূর্তিরই উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। অরুণ যোগীরাজের তৈরি রামলালার মূর্তিটি বাছা হল, অর্থাৎ সেক্ষেত্রে তাঁর তৈরি করা তৃতীয় মূর্তির উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২২ জানুয়ারি রয়েছে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন।

    হাজারেরও বেশি মূর্তি তৈরি করেছেন অরুণ

    সম্প্রতি, দিল্লির জয়সলমির হাউসের সামনে আম্বেদকরের একটি মূর্তি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেই মূর্তি গড়ার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়েছে অরুণ যোগীরাজের উপর। চলতি বছরের ১৪ এপ্রিল আম্বেদকরের জন্মদিনে ওই মূর্তির উদ্বোধন হওয়ার কথা। উদ্বোধন করবেন অমিত শাহ। ৪০ বছর বয়সী অরুণ যোগীরাজ মাইসুরুর বাসিন্দা। তাঁর পূর্বপুরুষরাও মূর্তি তৈরির পেশায় যুক্ত ছিলেন বলে জানা যায়। অরুণের পরিবারের ৫ প্রজন্মই প্রতিমা তৈরির কাজ করেন। অরুণ নিজের হাতে এখনও পর্যন্ত তৈরি করেছেন হাজারেরও বেশি মূর্তি (Ram Mandir)। ছেলের সাফল্যে গর্বিত অরুণ যোগীরাজের মা সরস্বতী। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের জন্য সবচেয়ে খুশির মুহূর্ত। আমি চেয়েছিলাম অরুণ রামলালার মূর্তি গড়ছে তা আমি নিজে চোখে দেখে আসি। কিন্তু, ও আমায় বলল অযোধ্যায় নিয়ে যাবে। প্রাণ প্রতিষ্ঠার দিন আমি অযোধ্যায় যাব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pannun: এবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ওড়ানোর হুমকি খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের মুখে

    Pannun: এবার বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ওড়ানোর হুমকি খালিস্তানি জঙ্গি পান্নুনের মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: খালিস্তানপন্থী জঙ্গি নেতা পান্নুনের (Pannun) মূল কাজই হল ভিডিওবার্তার মাধ্যমে হুমকি দেওয়া। কখনও গুজরাটে বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ফাইনাল ম্যাচ বন্ধ করার হুমকি দেয় সে, কখনও বা সংসদ ভবন ওড়ানোর হুমকি। এবার নয়া ভিডিও এল পান্নুনের। সেখানে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়ার কথা। তার হুঁশিয়ারি, ‘‘ভারতে এবার অর্থনৈতিক ধ্বংসলীলা চালাবো।’’ ‘শিখ ফর জাস্টিস’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা পান্নুনের বিরুদ্ধে একাধিক দেশদ্রোহিতার মামলা রয়েছে। এই জঙ্গি নেতার দাবি, ‘‘ভারতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার লক্ষ্য নিয়েই বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা চালানো হবে। পাশাপাশি ব্যাঙ্ক, কর্পোরেট সেক্টরও বিস্ফোরণে উড়িয়ে দেওয়া হবে।’’

    বাক-স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে পান্নুনকে গার্ড করছে বিদেশি সংস্থাগুলি 

    কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা বিভাগ সূত্রে খবর, পৃথক রাজ্য খালিস্তান তৈরির সমস্ত রকমের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, তাই এবার অন্য উপায়েই এই খালিস্তানি জঙ্গি এমন প্রচার করছে। শুধুমাত্র পান্নুন (Pannun) নয়, এর পাশাপাশি আরও অনেক খালিস্তানপন্থী জঙ্গিই খালিস্তানি প্রচার চালাচ্ছে আমেরিকায় বসে এবং বিদেশি সংস্থাগুলি তাদের আগলে রেখেছে শুধুমাত্র বাক স্বাধীনতার দোহাই দিয়ে। সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছিল পান্নুন (Pannun) এবং সেখানে সে প্রশ্ন তোলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ঠিক কোন স্তরের নিরাপত্তা পান! প্রসঙ্গত ২০২০ সালের জুলাই মাসেই পান্নুনকে সন্ত্রাসবাদী ঘোষণা করা হয় ইউএপিএ আইন অনুযায়ী।

    ১২ মার্চ মুম্বই বিস্ফোরণের বর্ষপূর্তিতে হামলার হুমকি

    প্রসঙ্গত, বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ ওড়ানোর হুমকি পান্নুন দিয়েছে ১২ মার্চ। ১৯৯৩ সালের ওই দিনেই ভয়াবহ ধারাবাহিক বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল বাণিজ্যনগরী। সেই দিনই ফের বম্বেতে বিস্ফোরণের হুমকি দিতে শোনা গেল পান্নুনকে। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর সংসদ হামলার বর্ষপূর্তিতেও পার্লামেন্ট ওড়ানোর হুমকি দিয়েছিল সে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share