Author: user

  • Sunlight: দিনেও অন্ধকারাচ্ছন্ন গোটা গ্রাম! কীভাবে প্রবেশ করানো হল সূর্যের আলো?

    Sunlight: দিনেও অন্ধকারাচ্ছন্ন গোটা গ্রাম! কীভাবে প্রবেশ করানো হল সূর্যের আলো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের কারিগরি প্রতিভা ও চিন্তাধারা কতটা উন্নতমানের হতে পারে, তা ইতালির ভিগানেলা গ্রামের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। পৃথিবীর মানচিত্রে এই গ্রামের নাম খুঁজে না পাওয়া গেলেও এর এক বিশেষত্ব বর্তমানে ইন্টারনেট জগতে খুবই চর্চিত হয়েছে। ইতালিতে অবস্থিত মিলান থেকে প্রায় ১৩০ কিমি উত্তরে গভীর উপত্যকায় অবস্থিত এই ভিগানেলা গ্রাম। এই গ্রামের নিকটবর্তী পাহাড়গুলি প্রায় ১৬০০ মিটার উঁচু হওয়ার কারণে গ্রামে ৬ মাস পর্যন্ত সূর্যালোকের (Sunlight) দেখা মেলে না। ফলে নানান রোগের প্রাদুর্ভাব সেখানে দেখা দিতে থাকে। প্রত্যেক বছরের ১১ ই নভেম্বর থেকে সূর্যালোক প্রায় অদৃশ্য হয়ে যায় বললেই চলে। ফলে গোটা গ্রাম সব সময় অন্ধকার হয়ে থাকে। এই গ্রামটিকে তাই সাইবেরিয়ার সঙ্গে অনেকে তুলনা করে থাকেন। দিনের বেলাতেও অন্ধকার হয়ে থাকে গোটা গ্রাম। এর ফলে যে শুধু রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়ে তা নয়, চাষ-আবাদের ক্ষেত্রেও বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হয় গ্রামবাসীরা। বিভিন্ন ধরনের বিকল্প পদ্ধতির মাধ্যমে সূর্যালোক প্রবেশ করানোর কথা ভাবলেও প্রত্যেক ক্ষেত্রেই সেই উদ্যোগ বিফলে যায়। পরবর্তীতে এমন এক পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়, যাতে গোটা গ্রামে বর্তমানে দিনের বেলার অন্ধকার সময়েও সূর্যালোক প্রবেশ করানো সম্ভব হয়েছে।

    কী এমন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়েছে সেখানে? (Sunlight)

    ২০০৬ সালে এই সমস্যার সমাধান করে গ্রামবাসীরা গোটা বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিল। এক কথায় বলতে গেলে গ্রামবাসীরা তাদের নিজস্ব সূর্য (Sunlight) তৈরি করে ফেলেছিল। আর এই ধারণাটি হল, সূর্যের আলোকে প্রতিবিম্বের মাধ্যমে গ্রামের মধ্যে ফেলা। আর এটি সফল করার জন্য একটি কম্পিউটার পরিচালিত আলোকে প্রতিবিম্বিত করে একটি আয়না স্থাপন করা হয় পাহাড়ের চূড়াতে। ২০০৬ সালে এটিকে বাস্তবায়িত করা হয়।

    কীভাবে আয়নাটি স্থাপন করা হয়? (Sunlight)

    ২০০৫ সালে ১০ লাখ ইউরো ব্যয় করে আয়নাটি তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন ভিগানেলারের মেয়র পিয়েরফ্র্যাঙ্কো মিডালি। আর ২০০৬ সালে এটি সম্পূর্ণ হয়। আয়নাটি ৪০ বর্গমিটার ও যার ওজন ১.১ টন। সূর্যের আলোকে সঠিকভাবে প্রতিবিম্বিত করে গ্রামে প্রবেশ করানোর জন্য সেটিকে পাহাড়ের ১১০০ মিটার উচ্চতায় স্থাপন করা হয়। আর আয়নাটি সম্পূর্ণরূপে কম্পিউটার পরিচালিত হওয়ায় এটি সূর্যের গতিপথ অনুসরণ করে সেই মতো সূর্যালোককে (Sunlight) প্রতিফলিত করে গ্রামের উপর ফেলে। প্রতিটি আয়না হিলিওস্ট্যাটস, কম্পিউটার চালিত মোটর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। তারা দিগন্ত জুড়ে সূর্যের গতিপথ ট্র্যাক করে। এই আয়নাটি দিনে অন্তত ছয় ঘণ্টা গ্রামের আড়াইশো বর্গমিটার অঞ্চল আলোকিত করে। গ্রামে রোগের প্রাদুর্ভাব কমতে থাকে এবং চাষ-আবাদের ক্ষেত্রেও বিশেষ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। মানসিক ও শারীরিক দিক থেকেও অনেক পরিবর্তন আসতে থাকে।

    গ্রামে উদযাপিত হয় আলোর দিন (Sunlight)

    ২০০৬ সালের ১৭ ডিসেম্বর ভিগানেলায় এই বিশাল আকারের আয়নাটির প্রতিষ্ঠা করা হয় এবং এই দিনটিকে তারা “আলোর দিন” হিসাবে উদযাপন শুরু করে।  প্রাচীন মধ্যযুগীয় গ্রাম ভিগানেলা নিজস্ব সূর্যের দেশ হিসাবে পরিচিতি লাভ করে। নিজস্ব তৈরি সূর্যের (Sunlight) কারণে এই গ্রাম এখন অনেক ভ্রমণ পিপাসুদের আকর্ষণীয় স্থান হয়ে উঠেছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব! সরস্বতী পুজোর আগেই একের পর এক মূর্তি ভাঙায় কাদের হাত?

    North 24 Parganas: দুষ্কৃতীদের তাণ্ডব! সরস্বতী পুজোর আগেই একের পর এক মূর্তি ভাঙায় কাদের হাত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাকপুরের বিলকান্দা পঞ্চায়েতে। রাতের অন্ধকারে সরস্বতীর মূর্তি ভাঙার ঘটনা নিয়ে তীব্র উত্তেজনা দেখা দিয়েছে বিলকান্দা ব্লক ২ লেনিনগড় অঞ্চলে। ঘটনায় প্রায় ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে মৃৎশিল্পীদের। এই নিয়ে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রশাসনের কাছে নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন এলাকার মানুষ। ঘটনায় তদন্তে নেমেছে ঘোলা থানা।

    ভাঙা হয় প্রায় ৩৫ টিরও বেশি মূর্তি (North 24 Parganas)

    স্থানীয় (North 24 Parganas) সূত্রে জানা গিয়েছে, ৩৫ টির বেশি তৈরি করা সরস্বতীর মূর্তি ভেঙেছে দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় কারা কারা জড়িত এখনও পর্যন্ত তাদের নাম জানা যায়নি। তৈরি করা সরস্বতী মূর্তিগুলিকে এমনভাবে ভাঙা হয়েছে যে সেগুলি ফের নতুন করে তৈরি করতে অনেক সময় লাগবে। এই অবস্থায় সামনেই পুজো। তাই সঠিক সময়ে মূর্তির জোগান না দিতে পারলে ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবেন, এই ভেবে মৃৎশিল্পীরা দুশ্চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। স্থানীয় মৃৎশিল্পী শ্যামল পাল বলেন, “এলাকায় পুলিশ নিস্ক্রিয়। মানুষের সুরক্ষার জন্য কাজ করে না। পুলিশের কাছে দাবি জানিয়েছি যেন দ্রুত দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে।”

    মৃৎশিল্পীদের বক্তব্য

    এলাকার (North 24 Parganas) মৃৎশিল্পী বাপন পাল বলেন, “আমরা রাত জেগে কাজ করি। রাতে কাজের পর যখন চলে গিয়েছি, পরদিন এসে দেখি সরস্বতীর মূর্তিগুলির নাক, হাত, পা ভেঙে দিয়েছে। এমনকী অনেক মূর্তি পুরোটাই ভেঙে দিয়েছে। প্রায় ৪০-৫০ হাজার টাকার মূর্তি ভেঙে ক্ষতি করে দিয়েছে। কয়েকদিন পরেই পুজো। ৮-১০ জন পরিবারের জীবন চলে এই মাটির কাজ করে। এটা আমদের জন্য মারাত্মক ক্ষতি। পুলিশের কাছে দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানাই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    এলাকার (North 24 Parganas) তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য রিনি দে সাহা বলেন, “এলাকায় এই ধরনের মূর্তি ভাঙার খবর আগেও ঘটেছিল। দুর্গাপুজোর সময় বেশ কিছু মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। এবার সরস্বতী পুজোর সময়েও একই ঘটনা ঘটেছে। কোনও খারাপ উদ্দেশ্যে এই কাজ করা হচ্ছে। আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে তদন্তের কথা বলেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    Arabul Islam: আরাবুলের এ কী হাল! নিরাপত্তা চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ দাপুটে এই নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় তাঁর দাপটে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় এলাকায় কারও কথা বলার সাহস ছিল না। তৃণমূলের সেই দাপুটে নেতা আরাবুল ইসলাম (Arabul Islam) এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। পুলিশ-প্রশাসন ও জেলার দলীয় নেতৃত্বকে এ বিষয়ে জানিয়েও কোনও কাজ হয়নি বলে অভিযোগ। এবার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে নিরাপত্তার আবেদনও করেছেন বলে জানা গিয়েছে।

    কেন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন আরাবুল? (Arabul Islam)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরাবুলের (Arabul Islam) দাপট কমছে। এর আগে পঞ্চায়েতে বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল। দুদিন আগে ফের নিজের খাসতালুকে বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২৮ ডিসেম্বর ভাঙড়-২ নম্বর ব্লকে একটি সভা ছিল। সেখানে আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বক্তব্য রাখতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূল নেতা আরাবুল। তার জেরে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয় তাঁকে। দীর্ঘক্ষণ বিডিও অফিসে আটকে রাখা হয়। এই ঘটনা ভাঙড়ে প্রথম নয়। পঞ্চায়েতে ভোটপর্বেও বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন আরাবুল। ফলে, নিজের খাসতালুকে জমি হারাতে শুরু করেছেন আরাবুল। তা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে। এবার আইএসএফের কর্মীদের বিক্ষোভের মুখে পরার পর  থেকেই নিরাপত্তাহীনতা ভুগতে শুরু করেছেন তিনি।

    কী বললেন আরাবুল?

    আরাবুল বলেন, আমরা বারবার প্রশাসনকে জানাচ্ছি। প্রশাসন কতটা নিরাপত্তা আমাদের দিতে পারে সেটা প্রশাসন জানে। সেটা নিয়ে আর কিছু বলব না। আমি রাজ্য নেতৃত্ব থেকে শুরু করে আমাদের জেলা নেতৃত্বকে বারবার বলেছি। আমাদের যে কোনও সময় প্রাণহানির আশঙ্কা আছে। আচমকা আমার তিনজন সিকিউরিটিকে তুলে নেওয়া হল। কোনও কারণ নেই। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার আবেদন, আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখুন।

    বিজেপির রাজ্য সভাপতি কী বলেছেন?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজমুদার বলেন, আরাবুলের (Arabul Islam) ভয়ে এলাকায় মানুষ কথা বলতে পারতেন না। তিনি এখন ভয় পাচ্ছেন। এটা ভাবতেও অবাক লাগছে। তৃণমূলের জমি যে আলগা হচ্ছে এটাই তার জ্বলন্ত প্রমাণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    Heart Attack: কাজের চাপে পরিবারকে সময় দিতে পারছেন না? কী বিপদ ডেকে আনছেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্তের সংখ্যা বিশ্বজুড়ে বাড়ছে। আর তার সঙ্গে উর্ধ্বমুখী উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা। ব্যতিক্রম নয় ভারত। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতেও এই সমস্যা বাড়ছে। প্রতি বছর যতজন এ দেশে মারা যান, সেই মৃত্যুর সবচেয়ে বড় কারণ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া। যার নেপথ্যে থাকে উচ্চ রক্তচাপ। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে। বিশেষত পুরুষদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বাড়ছে। সাম্প্রতিক তথ্যে জানা গিয়েছে, জীবনের অতিরিক্ত ব্যস্ততা আর ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই এই রোগের প্রকোপ বাড়ছে।

    কী বলছে তথ্য? (Heart Attack)

    স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে ১৯ কোটি মানুষ উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন। ১৫ বছরের উর্ধ্বে ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি দেখা দিচ্ছে। ন্যাশনাল ফ্যামিলি হেলথ সার্ভের রিপোর্ট অনুযায়ী, ১৫ বছর বয়সের উর্ধ্বে ২৪ শতাংশ ছেলেদের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি (Heart Attack) দেখা দিচ্ছে। তুলনায় মহিলাদের ঝুঁকি কম। 
    তবে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তার চেয়েও দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে অধিকাংশ আক্রান্ত জানেন না, তাঁদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা রয়েছে। অর্থাৎ, আক্রান্ত যে আসলে কতজন, সেই হিসাব পাওয়া কঠিন। এক আন্তর্জাতিক সমীক্ষা অনুযায়ী, ৩৩ শতাংশ ভারতীয় রক্তচাপ পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন না।‌ যা যথেষ্ট উদ্বেগজনক।

    কেন ভারতীয় পুরুষদের উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা বাড়ছে? 

    সম্প্রতি কলকাতায় কার্ডিওলজিক্যাল সোসাইটি অব ইন্ডিয়ার এক সম্মেলনে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানালেন, জীবনে ঠিকমতো ভারসাম্য রাখতে না পারার জেরেই বিপদ বাড়ছে। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যায়, কাজের সময়ের পাশাপাশি পরিবারকে পর্যাপ্ত সময় দিতে পারছেন না। এ নিয়ে নানান পারিবারিক সমস্যা বাড়ছে। আর তার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা দেখা দিচ্ছে।‌ তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় কাটাচ্ছেন।‌ কাজের নির্দিষ্ট সময় থাকছে না। এর জেরে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন না। কিংবা পরিবারের সঙ্গে অবসর যাপনের সুযোগ কম হয়। আর এর ফলে তৈরি হয় নানান জটিলতা। ফলে, মানসিক চাপ ও অবসাদ দেখা দেয়। যার জেরেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা (Heart Attack) তৈরি হয়‌। তাই হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই ভারসাম্য তৈরি করতে না পারলে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা নিয়ন্ত্রণ কঠিন‌ হবে।

    কেন দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে উচ্চ রক্তচাপ? 

    হৃদরোগ বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে হৃদরোগের ঝুঁকি কয়েক গুণ বেড়ে যায়। কারণ, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে না থাকলে, তার সরাসরি প্রভাব হৃদপিণ্ডের উপরে পড়ে। বিশেষজ্ঞ মহল‌ জানাচ্ছেন, আধুনিক ব্যস্ত জীবনে চটজলদি খাবার খাওয়ার প্রবণতা বাড়ছে। তাই স্থূলতার সমস্যা বাড়ছে। তার সঙ্গে বাড়ছে কোলেস্টেরল, ডায়বেটিসের সমস্যা। এগুলো সব হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তার উপরে উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে বিপদ (Heart Attack) আরও বাড়বে। তাই তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা দুশ্চিন্তা বাড়াচ্ছে। 

    কীভাবে মোকাবিলা হবে‌ এই সমস্যার? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে হবে। তবেই উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যার মোকাবিলা করা যাবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, বয়স তিরিশের চৌকাঠ পেরলেই নিয়মিত রক্তচাপ পরীক্ষা করা জরুরি।‌ রক্তচাপ ওঠানামা করছে কিনা, তা জানা প্রয়োজন। রোগ নির্ণয় হলে তবেই মোকাবিলা সহজ‌ হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, ঠিকমতো রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে ২০৪০ সালের মধ্যে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা (Heart Attack) অর্ধেক কমে যাবে। তাই নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা জরুরি।

    যে কোনও সৃজনশীল কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকতে হবে। বই পড়া, গান‌ শোনা, ছবি আঁকার মতো যে কোনও কাজ নিয়মিত করতে হবে। তাহলে মানসিক চাপ সহজেই কমবে। 

    পাশপাশি, খাদ্যাভ্যাস এবং শারীরিক কসরতের দিকে নজর দিতে হবে।‌ কারণ সহজপাচ্য হালকা খাবার নিয়মিত খেলে একাধিক রোগ এড়ানো‌ যাবে। নিয়মিত হাঁটা এবং যোগাভ্যাস রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohan Bhagwat: শহরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, কোন কোন বিশিষ্টজনের বাড়িতে গেলেন?

    Mohan Bhagwat: শহরে আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত, কোন কোন বিশিষ্টজনের বাড়িতে গেলেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতায় দু’দিনের জন্য এসেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘ চালক ডক্টর মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। তিনি গতকাল শনিবার দেখা করলেন সর্ব ভারতীয় ফুটবল সংস্থার সভাপতি কল্যাণ চৌবের সঙ্গে। সঙ্ঘচালক অবশ্য নিজে থেকেই গিয়েছেন বলে খবর। তবে জানা গিয়েছে, কোনও রাজনৈতিক আলোচনা হয়নি। এরপর তিনি যান প্রাক্তন সিবিআই কর্তা উপেন বিশ্বাসের বাড়িতে। পাশপাশি আজ রবিবার তিনি যান অভিনেতা ভিক্টর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়িতে। এরপর যান বিখ্যাত তবলা বাদক বিক্রম ঘোষের বাড়িতেও। লোকসভা ভোটের আগে সরসঙ্ঘ চালকের এই সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

    কী বললেন কল্যাণ চৌবে (Mohan Bhagwat)?

    সঙ্ঘ মানুষ তৈরির কাজ করে। কল্যাণ চৌবে সঙ্ঘচালক সম্পর্কে বলেন, “সরসঙ্ঘ চালকজি প্রতি বছর রাজ্যে দু’বার করে আসেন। সমাজের মানুষের সঙ্গে বার্তালাপ করেন। আমাদের বাড়িতে সঙ্ঘের কাজ নিয়েই আলোচনা হয়। ২০১৭ সালে প্রণব মুখোপাধ্যায় যখন নাগপুরে গিয়েছিলেন, তখন থেকেই সঙ্ঘের কাজ সম্পর্কে অনুভব করতে পেরেছিলাম। সঙ্ঘ সমাজে শৃঙ্খলাবদ্ধ হতে শেখায়। সমাজ, ধর্ম, রুচি, সংস্কৃতি নিয়ে বিস্তৃত আলোচনা হয়েছে। খেলোয়াড়দের চরিত্র গঠন নিয়েও অনেক আলোচনা হয়েছে। সঙ্ঘের স্বয়ংসেবকরা সামজিক কাজের জন্য নিজেদের নিবেদন করে থাকেন। তবে কোনও রাজনৈতিক আলোচনা করা হয়নি।”

    কী বলেন দিলীপ ঘোষ?

    বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষ বলেন, “মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) বছরে বেশ কয়েকবার বঙ্গে আসেন। সামাজিক কাজের সঙ্গে যুক্ত করার জন্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করা এবং বাড়িতে যাওয়া আরএসএস-এর একটি বিশেষ কাজের পদ্ধতি। এটা খবর হয়, তাই সবাই জানতে পারেন।”

    দু’দিনের সফর

    শনিবার দুপুরে এসেছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রধান (Mohan Bhagwat)। আজ রবিবার কলকাতা থেকে ফেরার কথা। এর মধ্যে বেশ কিছু সাংগঠনিক বৈঠক করবেন। একই সঙ্গে আরএসএস-এর সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসবলেও রাজ্যে এসেছেন। তিনি অবশ্য রয়েছেন দুর্গাপুরে। তবে সঙ্ঘের এই উচ্চপদস্থ কর্তাদের সাংগঠনিক বৈঠক থাকলেও লোকসভার আগে বাংলার লোকসভার আসনকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে অনেকে মনে করছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: এসএসকেএম-এ কথা মমতা ও বালুর? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: এসএসকেএম-এ কথা মমতা ও বালুর? চাঞ্চল্যকর অভিযোগ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এবার বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। শুক্রবারই মুখ্যমন্ত্রী যান এসএসকেএম হাসপাতালে। শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) দাবি সেখানে সুপারের ঘরে বৈঠক করেছেন মাননীয়া এবং ইন্টারকমের মাধ্যমে কথাও বলেছেন গ্রেফতার হওয়া মন্ত্রী বালুর সঙ্গে। প্রসঙ্গত, বর্তমানে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অভিষেককে স্যার বলে সম্বোধন করা কালীঘাটের কাকু দুজনেই রয়েছেন এসএসকেএম হাসপাতালে। পুজোর পরেই রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রথমে ইডি হেফাজতের পরে তাঁকে জেলে পাঠায় আদালত। সেসময়ই জেলে তিনি নিজেকে অসুস্থ বলে দাবি করেন। তাঁর হৃদরোগ না থাকলেও সেসময় তাঁকে কার্ডিওলজি বিভাগে ভর্তি করে নেয় এসএসকেএম হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এবার বালুর সঙ্গে মমতার কথা বলা বিষয়ে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ সামনে এল।

    কী বললেন শুভেন্দু

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘গতকাল ২.৪৫ মিনিটে মুখ্যমন্ত্রী এসএসকেএমের সুপারের ঘরে বসেছিলেন। সন্ধ্যে ৭টা অবধি বৈঠক চলেছে। আমার কাছে নির্দিষ্ট খবর রয়েছে, সেখানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। সেখান থেকে হেফাজতে থাকা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের সঙ্গে ইন্টারকমে কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পরের বৈঠক হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে। অভিষেক ছিলেন। সেখানে নতুন ডিজি রাজীব কুমার ছিলেন। লোকসভা ভোটে কীভাবে ভোট লুট করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।’’

    বিস্ফোরক অভিযোগ

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই বিস্ফোরক অভিযোগ তুলতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই বিরোধীদের অভিযোগ রয়েছে জেলে যাওয়া নেতা-মন্ত্রীদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠেছে এসএসকেএম হাসপাতাল। বিজেপির রাজ্য সভাপতি তো এই হাসপাতালকে অভয়ারণ্য বলেও কটাক্ষ করেছেন আগেই। নেতা-মন্ত্রীদের বেড মিললেও শয্যার অভাবে সাধারণ রোগীদের মৃত্যুর অভিযোগও উঠেছে এসএসকেএম হাসপাতালে। দিন কয়েক আগেই কালীঘাটের কাকুকে আইসিইউতে ভর্তি করতে সরানো হয় সদ্য অপারেশন হওয়া এক রোগীকে। এবার সেই হাসপাতাল ঘিরেই শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) তুললেন নয়া চাঞ্চল্যকর অভিযোগ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodhya Airport: জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান, যাত্রীরা পড়লেন হনুমান চালিশা

    Ayodhya Airport: জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান, যাত্রীরা পড়লেন হনুমান চালিশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিমান টেক-অফের আগে পাইলটের মুখে জয় শ্রীরাম ধ্বনি। হনুমান চালিশা পাঠের মাধ্যমে উড়ল অযোধ্যা-দিল্লি বিমান (Ayodhya Airport)। শনিবার ৩০ ডিসেম্বর অযোধ্যায় মহর্ষি বাল্মীকি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিমানের ক্যাপ্টেন আশুতোষ শেখর সকল যাত্রীকে স্বাগত জানান। এরপর বিমানে ওঠা সকল যাত্রী জয় শ্রীরাম নাম জপ করে প্রভু রামকে স্মরণ করলেন। জানা গিয়েছে, অযোধ্যা থেকে কলকাতা-বেঙ্গালুরু বিমান পরিষেবা চালু হবে খুব দ্রুত।

    বিমান পরিষেবার সময়সূচি (Ayodhya Airport)

    এয়ার ইন্ডিয়া জানিয়েছে, দিল্লি, কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু থেকে এবার সরাসরি অযোধ্যার রাম মন্দিরে আকাশপথে দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে। ৩০ ডিসেম্বর অয্যোধ্যা বিমান বন্দর (Ayodhya Airport) থেকে দিল্লি সরাসরি বিমান পরিষেবা চালু হল। একই ভাবে কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু থেকে এই বিমান চালু হবে আগামী ১৭ জানুয়ায়রি। ১৭ তারিখে বেঙ্গালুরু থেকে অযোধ্যার উদ্দেশে সকাল ৮ টার সময় বিমান পরিষেবা চালু হবে। এই বিমান সকাল ১০ টা ৩৫ মিনিটে অয্যোধ্যায় পৌঁছাবে এবং এরপর একই বিমান বিকেল ৩ তে ৪০ মিনিটে ছাড়বে, যা সন্ধ্যা ৬ টা ১০ মিনিটে বেঙ্গালুরুতে পৌঁছাবে। বেঙ্গালুরু থেকে অযোধ্যা যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘণ্টা। কলকাতা থেকে যে বিমান অযোধ্যা যাবে, তা ছাড়া হবে ১ টা ২৫ মিনিটে। এই বিমান পৌঁছাবে ৩ টে ১০ মিনিট সময়ে। অযোধ্যা থেকে বিমান কলকাতায় যাবে সকাল ১১ টা ৫ মিনিটে। এই বিমান পৌঁছাবে দুপুর ১২  টা ৫০ মিনিটে।

    এয়ার ইন্ডিয়ার বক্তব্য

    এয়ার ইন্ডিয়ার মুখ্য বাণিজ্যিক আধিকারিক ডা অঙ্কুর গর্গ বলেছেন, “রাজধানী দিল্লি ছাড়াও পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের তীর্থযাত্রীদের অযোধ্যায় পৌঁছানোর সুবিধা দিতে বেঙ্গালুরু, কলকাতায় বিমান বন্দর (Ayodhya Airport) থেকে একবার বিরতি দিয়ে বিমান পরিষেবা চালু করা হবে। অযোধ্যার জন্য কলকাতা এবং বেঙ্গালুরু যাথক্রমে পূর্ব ভারত এবং দক্ষিণ ভারতের প্রবেশ দ্বার হিসাবে কাজ করবে। এই দুই শহর থেকে অযোধ্যায় যাওয়ার বিমান পরিষেবা সপ্তাহে ৩ দিন করা হয়েছে।”

    আগামী ২২ জানুয়ারি অযোধ্যার রাম মন্দিরে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে। এর মধ্যেই উদ্বোধন হল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর। সেই সঙ্গে রেলের বিষয় হিসাবে অমৃত ভারতের বিশেষ ট্রেনের শুভ সূচনা হয়েছে। অযোধ্যায় মোট ১৫ হাজার ৭০০ কোটি টাকার প্রকল্পের শিলান্যাস করেছেন মোদি। আগামী লোকসভা ভোটের আগেই এই মন্দির উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনৈতিক উত্তেজনা যে তীব্র হচ্ছে, রামনগরীর বাসিন্দারা বুঝতেই পারছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Panihati: বেহাল রাস্তার দাবিতে অবরোধ, মহিলাকে হেনস্থা করে দাপট দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

    Panihati: বেহাল রাস্তার দাবিতে অবরোধ, মহিলাকে হেনস্থা করে দাপট দেখালেন তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ার কারণে বেহাল হয়ে গিয়েছে রাস্তা। প্রশাসনিক মহলে একাধিকবার দরবার করেও কোনও লাভ হয়নি। তাই স্থানীয় ব্যবসায়ী ও বাসিন্দারা মিলেই রাস্তা অবরোধে নেমেছিলেন। কিন্তু, রাস্তা সারানোর প্রতিশ্রুতি তো দূরে থাক, উল্টে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের দাদাগিরি দেখলেন অবরোধকারীরা। এক মহিলার হাত ধরে টেনে তাঁকে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পানিহাটি (Panihati) পুর এলাকার রাসমণি মোড় সংলগ্ন আর এন এভিনিউতে।

    পুলিশের সামনেই এক মহিলাকে হেনস্থা করেন এক তৃণমূল কর্মী! (Panihati)  

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, পানিহাটি (Panihati) পুরসভা এলাকার এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খারাপ। খানাখন্দে ভরে রয়েছে। সকাল থেকে রাত ধূলোয় ঢাকছে এলাকা। রাস্তার বেহাল দশার কারণে প্রায় প্রতিদিনই ছোটবড় দুর্ঘটনা যেমন ঘটছে, তেমনি অত্যধিক ধূলোর কারণে রাস্তা সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা বিশেষ করে প্রবীণ ও শিশুরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। স্থানীয় পুরসভা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে অভিযোগ জানালেও কোনও লাভ হয়নি। প্রশাসনিক উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ওই এলাকার বাসিন্দা থেকে ব্যবসায়ীরা একজোট হয়ে আর এন এভিনিউয়ের রাস্তায় বাঁশ ফেলে অবরোধে সামিল হন। ঘটনায় উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে খড়দা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। বেশকিছুক্ষণ ধরে চলে অবরোধ। অভিযোগ, অবরোধ চলাকালীন আচমকা অবরোধ তোলার জন্য তৃণমূলের কয়েকজন কর্মী ঘটনাস্থলে হাজির হন। তৃণমূল নেতা রাজেশ দে-র নেতৃত্বে প্রথমে তাঁরা অবরোধ তোলার জন্য বলেন। কিন্তু, অবরোধকারীরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের কথা না শোনায় তাঁদের হুমকি দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এরপরই তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন অবরোধকারীরা। তাদের আরও অভিযোগ, পুলিশের সামনেই এক মহিলা অবরোধকারীকে হাত ধরে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে সরিয়ে দেয় তৃণমূলেরই এক কর্মী। বাধা দিতে গেলে অবরোধীকারীদের উপর চ়ড়াও হয়। উত্তেজনা তৈরি হয় এলাকায়। বেগতিক বুঝে পুলিশ অবরোধকারীদের হটিয়ে দেয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    খুব শীঘ্রই রাস্তা সংস্কার করা হবে, আশ্বাস চেয়ারম্যানের

    পানিহাটি (Panihati) পুরসভার চেয়ারম্যান মলয় রায় বলেন, ‘প্রথমত রাস্তাটি পুরসভার নয়, পূর্ত দফতরের রাস্তা। কাচকলের দিক থেকে ইতিমধ্যে সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। খুব শীঘ্রই তা শেষ হবে। কিন্তু, তার মধ্যেও এদিন যাঁরা অবরোধ করলেন বিষয়টি উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বোঝাই যাচ্ছে। এসব করে কোনও লাভ হবে না। সাধারণ মানুষ সব কিছুই দেখতে পাচ্ছেন।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    PM Modi: বন্ধু মোদিকে নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রুশ প্রেসিডেন্ট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বন্ধু মোদিকে (PM Modi) নতুন বছরের আগাম শুভেচ্ছা জানালেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এর পাশাপাশি দেশের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছেও রাশিয়া থেকে এসেছে শুভেচ্ছাবার্তা। এক বিশেষ বার্তায় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘বিশ্বব্যাপী একাধিক চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যেও ভারত এবং রাশিয়ার সম্পর্ক অটুট। এমনকী এই সম্পর্ক আরও নতুনভাবে মজবুত হয়েছে। গত কয়েক বছরে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বেড়েছে।’’ এর পাশাপাশি ওই শুভেচ্ছা বার্তায় উল্লেখ রয়েছে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যৌথ প্রকল্পেরও। এছাড়াও দুই দেশের মধ্যে আগামী দিনের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে বলে উল্লেখ করা হয়েছে ওই শুভেচ্ছা বার্তায়। প্রসঙ্গত চলতি বছরে জি২০ শীর্ষ সম্মেলন বসে দিল্লিতে। এই শীর্ষ সম্মেলনেরও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে এবং এর জন্য ভারতের নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট।

    ভারতের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে পুতিনের সাক্ষাৎ

    বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সম্প্রতি তাঁর রাশিয়া সফরে দেখা করেন ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সেই সময়ই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন পুতিন এবং তাঁর পুরনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা না হওয়ায় আক্ষেপও করেন তিনি। জানা গিয়েছে, নতুন বছরে প্রধানমন্ত্রী (PM Modi) মোদিকে রাশিয়া যাওয়ার আমন্ত্রণও জানিয়েছেন পুতিন। প্রসঙ্গত, বছর ঘুরলেই রয়েছে ভারতের লোকসভা নির্বাচন। বুধবারই এনিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সাফল্য কামনা করেন ভ্লাদিমির পুতিন।

    রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে মধ্যস্থতাকারী ভারত

    রাশিয়া ইউক্রেনের সমস্যায় মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকায় দেখা গিয়েছে নরেন্দ্র মোদিকে। দুই দেশকেই আলোচনা করে সমঝোতার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এ প্রসঙ্গে পুতিন জয়শঙ্করের সফরের সময় বলেন, ‘‘আমি জানি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) শান্তিপূর্ণভাবে ইউক্রেন-রাশিয়া সংকট মেটাতে চান। ইউক্রেনে কী চলছে তা আমি ওঁকে বহুবার জানিয়েছি। এই নিয়ে আমরা একসঙ্গে আরও নিবিড়ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব। প্রয়োজনে অতিরিক্ত তথ্যও দেব।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anupam Roy: উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি! হুড়োহুড়িতে জখম পাঁচ, বাতিল হয়ে গেল অনুপমের-শো

    Anupam Roy: উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি! হুড়োহুড়িতে জখম পাঁচ, বাতিল হয়ে গেল অনুপমের-শো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গায়ক অনুপম রায়ের (Anupam Roy) অনুষ্ঠান দেখতে ভিড় হবে তা প্রত্যাশা করেছিলেন উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গা বইমেলা কমিটির সদস্যরা। তাই, প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছিল। মেলার ভিতরে তৈরি করা হয়েছিল ব্যারিকেড। কিন্তু, প্রত্যাশার বাইরে ভিড় আছড়ে পড়ে অনুষ্ঠানের মাঠে। আর তাতেই বিপত্তি বাধে। পাঁচজন জখম হন। তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গন্ডগোলের জেরে অনুপমের গানের শো  বাতিল করে দেওয়া হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Anupam Roy)

    বইমেলা কমিটি সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সন্ধ্যায় অনুপমের রায়ের (Anupam Roy) শো হওয়ার কথা ছিল। সেই মতো করে এলাকায় কিছুটা প্রচারও করা হয়েছিল। শনিবার বিকেল থেকেই দর্শকদের ভিড় হতে শুরু করে। সন্ধ্যার নামতেই দেগঙ্গা ও আশপাশের একাধিক ব্লক ও শহর এলাকা থেকে মানুষ এসেছিলেন। বইমেলার মাঠে প্রায় ৩০ হাজার মানুষের সমাগম হয়। মূল গেটে ব্যারিকেড করে দেওয়া হয়েছিল। সবাই কাছ থেকে অনুপমকে দেখতে হাজার হাজার মানুষ হুড়মুড়িয়ে বইমেলায় ঢুকতে গেলে বিপত্তি ঘটে। এই বিপুল ভিড়ের চাপে ব্যারিকেড ভেঙে গেলে পড়ে গিয়ে জখম হন অনেকে। পরে বইমেলা কমিটির তৎপরতায় এবং পুলিশের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এই ঘটনার জেরে টাকি রোড ঘণ্টাখানেক অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে। কয়েক বছর আগে নৈহাটি উৎসবে বলিউডের এক গায়িকার অনুষ্ঠানে দর্শকদের ভিড়ে উপচে পড়ে। হুড়োহুড়িতে বেশ কয়েকজন জখম হন। ফলে, কয়েকজন মাঝ পথে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছিলেন উদ্যোক্তারা।

    উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি!

    দেগঙ্গা বইমেলার মুখ্য আয়োজক তুষারকান্তি দাস বলেন, উপচে পড়া ভিড়ে বিপত্তি বাধে। অনুপম রায়ের (Anupam Roy) গান শুনতে এসে আবেগ ধরে রাখতে পারেননি শ্রোতারা। সেই কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটে। যাঁরা আহত হয়েছেন, তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তী অনুষ্ঠান কমিটি সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করে জানিয়ে দেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share