Author: user

  • Actor Shreyas Talpade: শ্যুটিং থেকে ফিরে হৃদরোগে আক্রান্ত শ্রেয়স তলপড়ে, কেমন আছেন অভিনেতা?

    Actor Shreyas Talpade: শ্যুটিং থেকে ফিরে হৃদরোগে আক্রান্ত শ্রেয়স তলপড়ে, কেমন আছেন অভিনেতা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শ্যুটিং থেকে ফেরার পথে হৃদরোগে আক্রান্ত হন ৪৭ বছর বয়সী বলিউড অভিনেতা শ্রেয়স তলপড়ে (Actor Shreyas Talpade)। জানা গিয়েছে, এরপরেই অভিনেতাকে সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে মুম্বইয়ের অন্ধেরি এলাকার বেলভিউ হাসপাতালে এবং এখানেই তার অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি করা হয়েছে। শেষ খবর মিলেছে, অভিনেতা আগের থেকে সুস্থ রয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার শ্যুটিং সেটে বেশ তরতাজা ছিলেন শ্রেয়স

    সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার গোটা দিনই সুস্থ এবং তরতাজা ছিলেন শ্রেয়স (Actor Shreyas Talpade)। ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’-এর শ্যুটিং করছিলেন তিনি। বেশ চনমনে ভাবেই সেটে সবার সঙ্গেই তাঁকে হাসি ঠাট্টা মজা করতে দেখা যায়। শ্যুটিং শেষ করে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন এবং স্ত্রীকে জানান তাঁর অস্বস্তি বোধের কথা। এরপরেই তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জানা গিয়েছে, পথে অভিনেতার অবস্থা আরও খারাপ হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সন্ধ্যার কিছু পরেই অভিনেতা ভর্তি হন এবং তাঁর অপারেশন হয় রাত্রি দশটা নাগাদ। বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে।

    অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করেছেন শ্রেয়স

    অসংখ্য জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে এই অভিনেতাকে। মূলত হিন্দি এবং মারাঠি ছবিতেই তাঁকে বেশিরভাগ দেখা গিয়েছে। ২০০৫ সালে তাঁর অভিনীত ‘ইকবাল’ ছবি সুপার-টুপার হিট হয়। এই ছবিতে তাঁকে (Actor Shreyas Talpade) প্রত্যন্ত গ্রামের একজন মূক বোলারের ভূমিকায় দেখা যায়। প্রতিভাবান বোলার, কোচের (ভূমিকায় ছিলেন নাসিরুদ্দিন শাহ) প্রশিক্ষণে দেশের হয়ে খেলার সুযোগ পান। পরবর্তীকালে ২০০৭ সালের বক্স অফিসে রিলিজ হয় ‘ওম শান্তি ওম’। সেখানে শাহরুখ খানের সহ অভিনেতা হিসেবে নিজের অভিনয় প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন শ্রেয়স (Actor Shreyas Talpade)। ‘গোলমাল রিটার্ন’, ‘হাউসফুল-টু’ এ সমস্ত সিনেমাতেও তাঁকে দেখা গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gita: গীতা পাঠে আসছেন মোদি, শনিবার শুরু মঞ্চ বাঁধার কাজ, নজরুলগীতি দিয়ে সূচনা অনুষ্ঠানের

    Gita: গীতা পাঠে আসছেন মোদি, শনিবার শুরু মঞ্চ বাঁধার কাজ, নজরুলগীতি দিয়ে সূচনা অনুষ্ঠানের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২৪ ডিসেম্বর ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি। শনিবারই ব্রিগেডে ভূমি পূজন করে মঞ্চ বাঁধার কাজ শুরু হবে। জানা গিয়েছে, দুটি পৃথক মঞ্চ বাঁধা হবে। একটিতে হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, অন্যটি হবে অতিথিদের বসার জন্য। অতিথিদের মঞ্চে দেখা যাবে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দ্বারকা মঠের বর্তমান শংকরাচার্য স্বামী সদানন্দ সরস্বতী এবং রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে।  এর পাশাপাশি অনুষ্ঠান শুরুর আগে একটি শোভাযাত্রা হবে। শোভাযাত্রায় থাকবে কুরুক্ষেত্রর মাটি। মূল অনুষ্ঠান শুরু হচ্ছে নজরুলগীতির মাধ্যমে। সেসময় বেজে উঠবে ৬০ হাজার শঙ্খ।

    প্রধানমন্ত্রী কখন আসবেন?

    জানা গিয়েছে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রধানমন্ত্রী মঞ্চে আসবেন বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ। পুরুষদের জন্য নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে ধুতি পোশাক, মহিলারা পরবেন শাড়ি। গীতা পাঠের (Gita) কর্মসূচিতে আমন্ত্রিত রয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ও। বৃহস্পতিবার এবিষয়ে অন্যতম উদ্যোক্তা নির্গুণানন্দ ব্রহ্মচারী বলেন, ‘‘আমাদের কর্মসূচির সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই। প্রধানমন্ত্রী নিজে থেকেই অনুষ্ঠানে আসতে চেয়েছিলেন। সকলের সঙ্গে গীতাপাঠ (Gita) করতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। মুখ্যমন্ত্রী রাজি হলে তাঁকেও যথাযথ সম্মানে স্বাগত জানানো হবে।’’

    নজরুল গীতি দিয়ে শুরু হচ্ছে অনুষ্ঠান

    ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’ (Gita) কর্মসূচি শুরু হবে কাজী নজরুল ইসলামের লেখা, ‘‘হে পার্থসারথি! বাজাও বাজাও পাঞ্চজন্য শঙ্খ, চিত্তের অবসাদ দূর কর কর দূর….’’ গানের মাধ্যমে। হঠাৎ এধরনের নজরুল গীতি দিয়ে ‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ’-এর আয়োজন কি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা দিতেই? এমন প্রশ্ন শুনে আয়োজক কমিটির সভাপতি স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ গত রবিবার ‘মাধ্যম’-কে বলেন, ‘‘লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠ কর্মসূচি কখনও নির্দিষ্ট ধর্ম বা বর্ণের মধ্যে বেঁধে দেওয়া হয়নি। নেই কোনও রাজনৈতিক বাছবিচারও। ‘গীতা’ জীবন বোধ, তা যেমন মানুষের কী খাওয়া উচিত সেটাও বলে, তেমনি সুশৃঙ্খল জীবন গঠনের উপায়ও শেখায়। নজরুল ইসলামের এই গান আমাদের কাছে বর্তমানে সময়োপযোগী বলে মনে হয়েছে, তাই রাখা। এই গানের প্রতিটি কথা গীতাকে সরল ও সুন্দরভাবে ব্যাখা করেছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    Parliament Security Breach: দিল্লি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ ললিতের, আজ তোলা হবে কোর্টে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে হানার অন্যতম মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা’কে গ্রেফতার করতে সমর্থ হল দিল্লি পুলিশ। আজ শুক্রবার তাকে পেশ করা হবে পাতিয়ালা কোর্টে। বৃহস্পতিবার রাতেই দিল্লির কর্তব্যপথ থানায় আত্মসমর্পণ করে ললিত। বুধবার সংসদের (Parliament Security Breach) ভিতরে রঙ বোমা (স্মোক গ্রেনেড) নিয়ে হানা দেয় ২ যুবক এবং বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে স্লোগান দিতে থাকে অন্য দুই যুবক-যুবতী। তাদেরকে ধরে ফেলে পুলিশ। জেরা করে সেই সূত্রে জানা যায় ললিতের কথা। জানা যায়, ললিত ওই ঘটনার ভিডিও করতে সংসদের বাইরে উপস্থিত ছিল। এই ঘটনায় উঠে আসে কলকাতা যোগও। সেই ভিডিও কলকাতার এক কলেজ পড়ুয়াকেও পাঠায় ললিত। এরপর থেকে গা ঢাকা দিয়েছিল সে।

    ঘটনার পরে রাজস্থানে যায় সে

    বুধবার ১৩ ডিসেম্বরের এই ঘটনার পরেই ললিতকে খুঁজতে থাকে পুলিশ। তার মোবাইল নেটওয়ার্ক ধরে তার অবস্থান জানার চেষ্টা করছিল পুলিশ যে সে কোথায় কোথায় গিয়েছে, সেই সব তথ্য জোগাড় করছিল (Parliament Security Breach)। সদা সক্রিয় ছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশ, বিহার পুলিশ সমেত অন্যান্য সমস্ত রাজ্যের পুলিশ। ললিতের সন্ধান দিতে মাঠে নেমেছিল হরিয়ানা ও রাজস্থান পুলিশও কারণ হরিয়ানা যোগও ইতিমধ্যে উঠে এসেছে এবং গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয়েছে পঞ্চম অভিযুক্ত বিশাল শর্মা। এদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার পর বাসে চেপে রাজস্থান চলে যায় ললিত। সেখানে দুই বন্ধুর সঙ্গে দেখা করে এবং রাতে একটি হোটেলে কাটায়।

    সংসদের নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কী কী বদল

    এদিকে ঘটনার পরপরেই সংসদ সচিবালয়ের তরফে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সংসদ ভবনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটসাঁট করতে দেওয়া হয়েছে গুচ্ছ প্রস্তাব। এর মধ্যে রয়েছে লোকসভায় যাঁরা ঢুকবেন, বিমানবন্দরের ধাঁচে তাঁদের শরীর পরীক্ষা করতে বডি স্ক্যানার বসানো, সাংসদ, সংসদ কর্মী, সাংবাদিক এবং দর্শকদের জন্য আলাদা প্রবেশপথ নির্দিষ্ট করার প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে। 

    বুধবার হানাদারেরা লাফ দিয়েছিল (Parliament Security Breach) দর্শক গ্যালারি থেকে। তাই মূল অধিবেশন কক্ষ ও দর্শক আসনের মধ্যে বসানো হবে কাচের দেওয়াল। দর্শকরা যাতে বেপরোয়া আচরণ করতে না পারেন, তাই অধিবেশন চলাকালীন বাড়ানো হচ্ছে নিরাপত্তারক্ষীর সংখ্যা। সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সাংসদদের নিরাপত্তায় এসব ব্যবস্থা যতক্ষণ না বাস্তবায়িত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত দর্শকদের পাশ দেওয়া হবে না। দর্শকদের যখন ফের নতুন করে পাস দেওয়া হবে, তখন তাঁদের ঢুকতে হবে সংসদের চতুর্থ গেট দিয়ে। সাংসদদের প্রবেশের জন্য স্মার্ট কার্ড চালুর প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে সচিবালয়ের তরফে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: দুয়ারে রেশন চলাকালীন সামগ্রীর পাচার আটকে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়কই

    Hooghly: দুয়ারে রেশন চলাকালীন সামগ্রীর পাচার আটকে বিস্ফোরক তৃণমূল বিধায়কই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে বিস্ফোরক হলেন তৃণমূলেরই বিধায়ক। মাঠের মধ্যে দুয়ারে রেশন দিচ্ছিলেন ডিলার বাচ্চু মুখোপাধ্যায়। কিন্তু রেশনের সামগ্রী পাচারের অভিযোগ তুলে রেশন সামগ্রী আটক করলেন হুগলির (Hooghly) বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। উল্লেখ্য বিধায়ক আগেও শাসক দলের বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনে টাকা নিয়ে টিকিট দেওয়ার কথা বলে দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন। ফের এবার রেশন দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়ে তৃণমূল সরকারের দুয়ারে রেশন প্রকল্পের বাস্তব সত্যতাকে তুলে ধরলেন। উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন। শাসক দল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে আরও চাপের মুখে। 

    বলাগড়ের কোথায় ঘটেছে ঘটনা (Hooghly)?

    বলাগড়ের (Hooghly) বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ডুমুরদহ নিত্যান্দপুর ২ পঞ্চায়েত কুন্তিঘাট শেরপুর স্কুল মাঠে ঘটনা ঘটেছে। রেশন সামগ্রী পাচারের অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌঁছে সামগ্রী আটক করেছে। এরপর থেকে এলাকায় তীব্র উতেজনা শুরু হয়েছে। 

    বিধায়কের বক্তব্য

    বলাগড়ের (Hooghly) তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী বলেন, “দলের কাছে আগেও জানিয়েছি এখানে রেশন বিলির সময় রেশনের সামগ্রী পাচার করা হচ্ছে। আজ খবর পেয়ে হাতেনাতে ধরলাম। রেশনের সামগ্রী সাধারণ মানুষের জন্য। তাকে এই ভাবে পাচার করা যায়না। প্রশানকে আরও শক্ত হতে হবে।” খুব স্পষ্ট যে তাঁর এই বক্তব্যে দলের কাছে জানালেও কোনও লাভ হচ্ছিলনা। অবশেষে নিজেই রেশন পাচার ধরলেন। এমনটাই অভিযোগ করছে বিজেপি। 

    উপভোক্তাদের বক্তব্য

    এলাকার (Hooghly) রেশন উপভোক্তাদের বক্তব্য, “রেশনে দেওয়া চাল এবং আটার মান অত্যন্ত খারাপ। বেশিরভাগ রেশন সামগ্রীর মধ্যেই পোকা থাকে। আমরা এই সামগ্রী খাবারের কাজে ব্যবহার করতে পারিনা। সরকারের ভালো জিনিস অন্যত্র পাচার করে আমাদের খারাপ জিনিস দেওয়া হচ্ছে।”

    বিজেপির বক্তব্য

    ঘটনায় (Hooghly) স্থানীয় বিজেপি নেতা মণ্ডল সম্পাদক নেপাল দাস বলেন, “সরকারের প্রত্যক্ষ মদতে রেশন পাচার চলছে। তৃণমূল বিধায়ক লোকসভার ভোটের আগে শিরোনামে আসতে দুর্নীতি নিয়ে একাংশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছেন। কিন্তু দলের বিরুদ্ধে সার্বিক অভিযোগ তুলছেন না। তৃণমূলের সবাই চোর।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Burdwan: দোতলা বাড়িতে থেকেও তৃণমূল নেতা ১০০ দিনের শ্রমিক, পেলেন ‘অভিষেকের টাকা’!

    Burdwan: দোতলা বাড়িতে থেকেও তৃণমূল নেতা ১০০ দিনের শ্রমিক, পেলেন ‘অভিষেকের টাকা’!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে এলাকায় পড়ল পোস্টার। আর সেটাকে ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম বর্ধমানের (Burdwan) কাঁকসা মলানদিঘি এলাকায়। যে তৃণমূল নেতার নামে পোস্টার পড়েছে তাঁর নাম সুকুমার সাহা। তাঁর স্ত্রী প্রিয়াঙ্কা কাঁকসা পঞ্চায়েত সমিতির দু’বারের সদস্য। এক সময় পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষও ছিলেন তিনি।

    পোস্টারে কী লেখা রয়েছে? (Burdwan)

    তৃণমূল নেতার নামে দেওয়া পোস্টারে লেখা রয়েছে, ‘৮ লক্ষ টাকার গাড়ির মালিক জব কার্ডধারী, ভাঁওতাবাজ তৃণমূল নেতা সুকুমার সাহা গরিব মানুষের টাকা আত্মসাৎকারী।’ আবার কোনও পোস্টারে ব্লক সভাপতি যে টাকা দিচ্ছেন সুকুমারকে, সেই ছবিও রয়েছে। এ রকম পোস্টার পশ্চিম বর্ধমানের (Burdwan) কাঁকসার মলানদিঘি হাটতলা, পেট্রল পাম্পের সামনে-সহ বিভিন্ন জায়গায় সাঁটানো রয়েছে। আর এই পোস্টার সামনে আসতেই এলাকায় চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে।

    কেন পোস্টার?

    সুকুমারের দোতলা পাকা বাড়ি রয়েছে। হাটতলা এলাকায় প্রসাধনী সামগ্রীর একটি দোকানও রয়েছে। তিনি আবার ১০০ দিনের প্রকল্পের শ্রমিক। কয়েক মাস আগে একশো দিনের বকেয়া টাকা চেয়ে তৃণমূলের দিল্লির কর্মসূচিতেও যোগ দিয়েছিলেন সুকুমার। কিছুদিন আগে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, কেন্দ্র টাকা না দিলে, দলের তরফেই একশো দিনের বকেয়া টাকা সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের দেওয়া হবে। সেই মতো তাঁকেই সম্প্রতি অর্থ সাহায্য করা হয়েছে। তৃণমূল নেতা সুকুমার সাহাকে টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছেন দলের ব্লক সভাপতি ভবানী ভট্টাচার্য। বিষয়টি জানাজানি হতেই এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন। এলাকার (Burdwan) মানুষের বক্তব্য, তৃণমূল নেতা লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক। ১০০ দিনের প্রকল্পে যে দুর্নীতি হয়েছে তা জ্বলন্ত হল এই ঘটনা।

    কী সাফাই দিলেন তৃণমূল নেতা?

    সুকুমারবাবু বলেন, ২০১০ থেকে আমার ‘জব কার্ড’ রয়েছে। তখন থেকে একশো দিনের শ্রমিক হিসাবে কাজ করি আমি। মাটির বাড়িতে বাস করি আমি। যে দোতলা বাড়ির কথা বলা হচ্ছে, সেটি আমার মামাদের। আমার বাবা দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টে (Burdwan) কাজ করতেন। বর্তমানে আমার দাদা ডিএসপিতে কাজ করেন। আমি শ্রমিক।

    বিজেপি নেতৃত্ব কী বললেন?

    পোস্টার প্রসঙ্গে বিজেপির কাঁকসা ৪ নম্বর মণ্ডলের সহ- সভাপতি সপ্তম দাস বলেন, আসলে তৃণমূলের চুরির জন্য যাঁরা একশো দিনের টাকা পাচ্ছেন না, তাঁরা ক্ষোভে এই কাজ করেছেন। এটা ওদের গোষ্ঠী কোন্দল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: পেটের দায়ে কাজের খোঁজে কলকাতায় যাচ্ছিলেন বিট্টু, স্টেশনেই বিপত্তি!

    Purba Bardhaman: পেটের দায়ে কাজের খোঁজে কলকাতায় যাচ্ছিলেন বিট্টু, স্টেশনেই বিপত্তি!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্ল্যাটফর্মে উপর হাঁটতে এখনও বুক কাঁপছে। বর্ধমান স্টেশনে (Purba Bardhaman) দাঁড়ানো যাত্রীদের আতঙ্ক এখনও কাটছেনা। বুধবার জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়ায় আজ স্টেশন চত্বর প্ল্যাটফর্মে থমথমে ভাব রয়েছে। সকল ব্যস্ততার মধ্যে যাত্রীরা অত্যন্ত সাবধান। কেউ কেউ এদিক ওদিক তাকিয়ে ভাবছেন আবার বিপত্তি নেমে আসবে না তো?

    অপর দিকে পেটের দায়ে কাজের খোঁজে কলকাতায় যাচ্ছিলেন বছর চল্লিশের বিট্টু দাস। কিন্তু জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। পেশায় তিনি একজন রাজমিস্ত্রী, বাড়ি বিহারের কাটারিয়া গ্রামে। তাঁর বাড়িতে দুই সন্তান এবং স্ত্রী। সংসারের পুরো দায়িত্ব তাঁর উপরেই। বর্তমানে বর্ধমান মেডিক্যাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। স্ত্রী মালতী এখন কঠিন উৎকণ্ঠার মধ্যে দিনপাত করছেন। কীভাবে চলবে সংসার এটাই এখন বড় প্রশ্ন?

    আতঙ্ক এখনও কাটেনি (Purba Bardhaman)!

    গতকাল বুধবার থেকে আজ বৃহস্পতিবার ২৪ ঘণ্টা কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত আতঙ্ক কাটছে না বর্ধমান স্টেশনের (Purba Bardhaman) প্ল্যাটফর্মের যাত্রীদের। এক যাত্রী বলেন, “আমি আজ দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মে দিয়ে যাওয়ার সময় গায়ে শিহরণ হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল আরেকবার কিছু একটা বিপত্তি ঘটবে না তো! ভাবতেই অবাক লাগছে সুস্থ সবল মানুষ নিজেদের গন্তব্যে যেতে চেয়েছিলেন, কিন্তু গন্তব্য পৌঁছানোর আগেই সময় তাঁদের জীবন কেড়ে নিল জলের ট্যাঙ্ক।”

    হাকারদের বক্তব্য

    সূত্রে জানা গিয়েছে, স্টেশনের (Purba Bardhaman) হকারদের বক্তব্য, অনেক দিন ধরে জলের ট্যাঙ্ক নিয়ে একটা আশঙ্কা ছিল। কিন্তু আচমকা ভেঙে পড়বে কেউ ভেবে উঠতে পারেনি। অপর দিকে দুর্ঘটনায় মৃত মাফিজা খাতুনের স্বামী মেমারির বাসিন্দা আব্দুল মফিজ শেখ বলেন, “রেলের বিরুদ্ধে এফআইআর করবো। রেলের কর্তব্যে গাফিলতি ছিল।”

    রেলের তরফ থেকে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা

    গতকাল জলের ট্যাঙ্ক ভেঙে পড়লে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তিন জনের। সেইও সঙ্গে মোট চল্লিশ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। রেলের তরফ থেকে মৃতদের পাঁচ লাখ এবং আহতদের ৫০ হাজার করে টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। ঘটনার পর অনেক সময় স্টেশনে ট্রেন চলাচলে ব্যঘাত ঘটেছিল। সাময়িক ভাবে স্টেশনে ব্যাপক ভিড় জমায়েত হয়ে গিয়েছিল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mohammed Shami: “আমি গর্বিত ভারতীয়”! সজদা-বিতর্কে পাকিস্তানি ট্রোলারদের কড়া জবাব শামির

    Mohammed Shami: “আমি গর্বিত ভারতীয়”! সজদা-বিতর্কে পাকিস্তানি ট্রোলারদের কড়া জবাব শামির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতে নিজ নিজ ধর্ম পালন করতে গেলে কারুর অনুমতি নিতে হয় না। সজদা বিতর্কে পাকিস্তানকে কড়া জবাব  দিলেন মহম্মদ শামি। বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023) শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৫ উইকেট নেওয়ার পর চর্চায় উঠে এসেছিল তাঁর সেলিব্রেশন। খেলার মাঠে সজদা করতে গিয়েও থেমে যেতে হয়েছে মহম্মদ শামিকে, এমনটাই মনে করেছিল পাকিস্তানি নেট দুনিয়া। অবশেষে সেই বিতর্কে মুখ খুললেন শামি (Mohammed Shami)। সাফ জানিয়ে দিলেন, মাঠের মধ্যে সজদা করতে চাইলে তিনি অবশ্যই করতেন, কেউ তাঁকে বাধা দিত না।

    ভারতে নিজ ধর্মাচরণে বাধা নেই

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ভারতের তারকা পেসারকে  জিজ্ঞাসা করা হয়, সদ্য শেষ হওয়া বিশ্বকাপে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট নেওয়ার পরেই পাকিস্তানিদের একাংশ দাবি করেন যে ভারতীয় মুসলিম বলেই খেলার মাঠে সজদা করতে পারেননি শামি। কারণ ভারতে থেকে প্রকাশ্যে সজদা করতে ভয় পেয়েছিলেন তিনি। এর উত্তরে শামি বলেন, “সজদা করতে চাইলে তো কেউ বাধা দিতে পারে না। আমার ধর্ম পালনে কেউ বাধা দেবে না। আমিও কারোওর ধর্ম পালনে বাধা দেব না। যদি সজদা করতে ইচ্ছা হয় তাহলে অবশ্যই করব। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমি ভারতীয় মুসলিম। আগেও তো পাঁচ উইকেট নিয়েছি, কখনও কি সজদা করতে দেখেছেন? যদি মনে হয় তাহলে আমি যেখানে খুশি সজদা করতে পারি।”

    আরও পড়ুন: আইপিএলে নাইটদের ব্যাটন শ্রেয়সের হাতেই! সহকারী হলেন কে?

    অযথা বিতর্ক তৈরির প্রয়াস

    পাকিস্তানে থাকা একদল মানুষের কাজই  অযথা বিতর্ক সৃষ্টি করা। এসব থেকে দূরে থাকা প্রয়োজন। অযথা বিতর্ক বন্ধ করা দরকার। শামির কথায়, “সজদা করার জন্য় অনুমতি নিতে হলে আমি ভারতে থাকতাম না। আসলে এরা সবসময় বিতর্ক তৈরি করে সেখান থেকে খবর বের করতে চায়। এরা কাউকেই ভালোবাসে না। আসলে ওইদিন আমি নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে বোলিং করছিলাম। তাই ক্লান্ত হয়ে মাঠে বসে পড়েছিলাম।” 

    বল বিকৃত করার অভিযোগ

    পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার হাসান রাজা বিশ্বকাপে ভারতীয় বোলারদের বিশেষ বল দেওয়ার অভিযোগ করেছিলেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভারতীয় বোলারেরা বলে অতিরিক্ত সুইং পাচ্ছেন, তাঁদের বলে বিশেষ যন্ত্র লাগিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এর  জবাবে শামি বলেন, ‘‘বলে কি কোনও যন্ত্র লাগানো যায়? আমি যখন এই কথা শুনেছিলাম তখন অবাক হয়েছিলাম। ভেবেছিলাম, কেউ কী ভাবে এ কথা বলতে পারে। আমি হাসি চেপে রাখতে পারিনি। আমি ভেবেছিলাম একটা ভিডিয়ো করব। সেখানে বল ফাটিয়ে দেখাব যে ভিতরে কিছু রাখা যায় না। কিন্তু তেমন করলে প্রচণ্ড বিতর্ক হত। সেই কারণে করিনি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ১৫/১২/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার ১৫/১২/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) কাজে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    ২) শত্রু থেকে সাবধান।

    বৃষ

    ১) প্রেমে নৈরাশ্য থেকে মানসিক চাপ বৃদ্ধি পেতে পারে।

    ২) প্রতিবেশীর অশান্তির দায় আপনার কাঁধে চাপতে পারে। 

    মিথুন

    ১) সকালের দিকে বন্ধুদের দ্বারা বিব্রত হতে পারেন।

    ২) শরীরে ব্যথা-বেদনা বৃদ্ধি পাবে। কর্মস্থানে সমস্যা দেখা দিতে পারে। 

    কর্কট

    ১) ভ্রমণে গিয়ে শরীর খারাপ হওয়ার আশঙ্কা।

    ২) প্রেমের প্রতি ঘৃণাবোধ দেখা দিতে পারে। 

    সিংহ

    ১) প্রেমের ব্যাপারে অতিরিক্ত আবেগ থেকে সংযত থাকুন।

    ২) শরীরে ক্ষয় বৃদ্ধি। 

    কন্যা

    ১) খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বৈরী মনোভাবের জন্য ব্যবসায় শত্রু বৃদ্ধি পাবে।

    তুলা

    ১) আপনার বিষয়ে সমালোচনা বৃদ্ধি পাবে।

    ২) সকালের দিকে একই খরচ বার বার হবে। 

    বৃশ্চিক

    ১) রক্তহীনতা বাড়তে পারে।

    ২) কোনও মহিলার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ।

    ধনু

    ১) বিলাসিতার কারণে খরচ বাড়তে পারে।

    ২) বাড়িতে বিবাদের জন্য মনঃকষ্ট।

    মকর

    ১) অতিরিক্ত কাজের চাপে ক্লান্তিবোধ।

    ২) সন্তানের জন্য সম্মান নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা। 

    কুম্ভ

    ১) ধর্ম সংক্রান্ত ব্যাপারে তর্কে জড়াতে পারেন।

    ২) মা-বাবার সঙ্গে সামান্য কারণে তর্ক হতে পারে। 

    মীন

    ১) কর্মস্থানে বন্ধুদের বিরোধিতা আপনাকে চিন্তায় ফেলবে।

    ২) বুদ্ধির ভুলের জন্য চাপ বৃদ্ধি। 

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ২০ ঘণ্টা ধরে আয়কর দফতরের তাল্লশি, উদ্ধার ব্যাঙ্কের নথি

    Asansol: প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে ২০ ঘণ্টা ধরে আয়কর দফতরের তাল্লশি, উদ্ধার ব্যাঙ্কের নথি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গতকাল বুধবার সারা রাত ধরে লোহা ব্যবসায়ী ইমতিয়াজের হিসাব রক্ষক পঙ্কজ আগরওয়ালের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছেন আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। অন্য দিকে ব্যবসায়ী মহেন্দ্র শর্মার বাড়িতেও ইনকাম ট্যাক্স আধিকারিকদের হানা চলেছিল। উল্লেখ্য প্রত্যেকেই আসানসোলের তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী ছিলেন।

    আবার বৃহস্পতিবার আসানসোলে (Asansol) বেশ কিছু জায়গায় সকাল থেকেই দ্বিতীয় দিনেও চলছে আয়কর দফতরের তল্লাশি। বার্নপুরের পুরানহাটে পঙ্কজ আগরওয়ালের বাড়িত প্রায় ২৪ ঘন্টা ধরে আয়কর দপ্তরের ম্যারাথন তল্লাশি চলছে। ধরমপুরের লোহা ব্যবসায়ী সৈয়দ ইমতিয়াজের বাড়িতে ২৪ ঘন্টা ধরে আয়কর দপ্তর অভিযান চালিয়েছে। তবে গতকাল বুধবার রাত থেকে রানীগঞ্জের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক সোহরাব আলির বাড়িতে আয়কর দফতরের ২০ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে তল্লাশি অভিযান চলেছিল। আর্থিক দুর্নীতি মামলায় আয়কর দফতর অত্যন্ত সক্রিয় বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের পাঁচ জায়গায় হানা

    আসানসোলে (Asansol) ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও আয়কর দফতরের ম্যারাথন অভিযান এখনও অব্যাহত। মোট ৫ জায়গায় অভিযান চলেছে। বর্তমানে ৩ তৃণমূল ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীদের বাড়িতে অভিযান এখনও চলছে। তবে তৃণমূল প্রাক্তন বিধায়ক তথা লোহা ব্যবসায়ী সোহারাব আলির বাড়িতে যে অভিযান চলছিল তা রাত ১২ টাতেই শেষ হয়ে যায়। ভোর ৫ টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত অর্থাৎ ১৯ ঘন্টা অভিযান চলেছিল বলে জানা গিয়েছে। সেই সঙ্গে ইমতিয়াজের ঘনিষ্ঠ সুজিত সিং-এর বাড়িতেও তল্লশি চলে। অবশেষে ভোর ৪ টে নাগাদ সুজিতের বাড়ি থেকে চলে যান আয়কর দফতরের অধিকারিকেরা।

    কী কী উদ্ধার হয়েছে?

    সূত্রের খবর, বেশ কিছু ব্যবসা সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের কাগজপত্র, ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথি নিয়ে যান আয়কর দফতরের আধিকারিকেরা। তবে ব্যবসায়ী ইমতিয়াজ আহমেদ খান, হিসাবরক্ষক পঙ্কজ আগরওয়াল এবং শিল্পপতি মহেন্দ্র শর্মার বাড়িতে (Asansol) তল্লাশি এখনও চলছে।

    চলছে সিবিআই তল্লাশি

    আসানসোলের (Asansol) বার্নপুর থানার অন্তর্গত পুরানাহাট এলাকায় ইসিসিএলের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রাক্তন কর্মী শ্যামল সিং ও আরেক ব্যবসায়ী স্নেহাশিস তালুকদারের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালাচ্ছে। সকাল থেকেই সিবিআইয়ের দুটি টিম হিরাপুরের এই দুটি বাড়িতে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কয়লা পাচারকাণ্ড সংক্রান্ত ঘটনার তদন্তে সিবিআই-এর এই হানা বলে জানা গিয়েছে। সিবিআই স্নেহাশিস তালুকদারকে আটক করে নিয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সূত্রে খবর কয়লা পাচার কাণ্ডে অভিযুক্ত লালা ঘনিষ্ঠ স্নেহাশিস।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Parliament Security Breach: মিলল বাংলা-যোগ! সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ভাড়া থাকত কলকাতায়!

    Parliament Security Breach: মিলল বাংলা-যোগ! সংসদ হানার মাস্টারমাইন্ড ললিত ভাড়া থাকত কলকাতায়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সংসদে স্মোক গ্রেনেড নিয়ে তাণ্ডবের পরেই উঠে এল বাংলা-যোগ। এই ঘটনার অন্যতম সন্দেহভাজন ললিত ঝা। সূত্রের খবর, ললিত ভাড়া থাকত কলকাতার বড়বাজারে। টিভিতে সংসদে তাণ্ডবের খবর দেখে তাকে সনাক্ত করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। লোকসভায় রং বোমা বানিয়ে তাণ্ডব চালানোর অন্যতম মাস্টারমাইন্ড (Parliament Security Breach) ললিতের পরিবার বিহারে থাকতো বলে জানা গিয়েছে। সন্দেহভাজন ললিতকে এখনও খুঁজে চলেছেন তদন্তকারীরা।

    টিউশন পড়াত ললিত

    জানা গিয়েছে, ললিত ঝা ভাড়া থাকত কলকাতার ২১৮ রবীন্দ্র সরণিতে। এখানেই এক তলার একটি ঘরে সে ভাড়া থাকত। স্থানীয় কিছু বাচ্চাদের ললিত টিউশন পড়াত বলেও খবর। তারপর বছর দেড়েক আগে সে  হঠাৎই সেই ঘর ছেড়ে চলে যায় (Parliament Security Breach)। স্থানীয় এক বাসিন্দা এ বিষয়ে বলেন, ‘‘একটা কোণার ঘরের ললিত থাকতো। ওই ঘরে পড়াত ছেলেদের। বাচ্চারা দেখতাম বই নিয়ে জোরে জোরে পড়তো। শুনতে পেতাম।’’ তবে ললিত এখানে একা থাকত কিনা, তা নিয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে পারেননি ওই বাসিন্দা।

    বাড়ির মালিক বর্তমানে দিল্লিতে থাকে

    জানা গিয়েছে, যে বাড়িতে ভাড়া থাকত ললিত, তার মালিক এখন দিল্লিতে থাকেন। এখন ওই বাড়িতে যাঁরা ভাড়া থাকেন, তাঁরা অনলাইনে বাড়ির মালিককে টাকা পাঠান। কার মাধ্যমে ললিত ভাড়া পেয়েছিল, তা জানার চেষ্টা করছেল তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, কলকাতার বাসিন্দা এক কলেজ পড়ুয়া নীলাক্ষকে সংসদে স্মোকিং তাণ্ডবের (Parliament Security Breach) ভিডিও পাঠিয়েছিল ললিত। নীলাক্ষ এ বিষয়ে বলেন, ‘‘আমি তখন কলেজে ছিলাম। কলেজ থেকে বেরনোর পরে হোয়াটসঅ্যাপে দেখি একটি ভিডিও এসেছে। ললিত ঝা পাঠিয়েছিলেন। সংসদের বাইরে রাস্তায় যেটা হয়েছিল, স্মোক টর্চ নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন দু,জন। ওই ভিডিও পাঠিয়েছিলেন। আমি তখন পুরোটা দেখিনি। তখন জানতামও না সংসদে এমন ঘটে গিয়েছে। আমি জিজ্ঞেস করেছিলাম এটা কোথায় হয়েছে, তারপর থেকে কোনও উত্তর পাইনি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share