Author: user

  • Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Paschim Medinipur: ফের আত্মঘাতী হলেন এক কৃষক, পর পর তিনজন কৃষকের মৃত্যুতে সরকারি ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব বর্ধমান, হুগলির পর এবার পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur)। ফের আলু চাষির আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনা ঘটল। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত চাষির নাম বাপী ঘোষ। তাঁর বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায়। এই নিয়ে রাজ্যে তিনজন চাষির মৃত্যুর ঘটনা ঘটল। ঋণের বোঝা সামলাতে না পেরে ওই চাষি আত্মঘাতী হয়েছেন, উঠছে প্রশ্ন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল?(Paschim Medinipur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঋণ নিয়ে প্রায় চার বিঘা পোখরাজ ও অন্যান্য আলু চাষ করেছিলেন চন্দ্রকোণা লাহিরগঞ্জ এলাকার বাপি ঘোষ নামে এক কৃষক। তবে অকাল বৃষ্টিতে আলুর জমি ডুবে যায়। প্রচুর টাকা ঋণ নিয়ে চাষ করার পর ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কায় মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন ওই কৃষক। শুক্রবার গভীর রাতে বিষ খান ওই চাষি। এরপর দ্রুত তাঁকে উদ্ধার করে প্রথমে ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে শনিবার সকালে তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। শনিবার রাতে মৃত্যু হয় তাঁর।

    ঘাটালের মহকুমা শাসকের কী বক্তব্য?

    ঘাটালের মহকুমা শাসক সুমন বিশ্বাস জানিয়েছেন, তদন্ত চলছে। কী কারণে মৃত্যু হয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হবে। বিডিও সাহেব তাঁর বাড়িতে যাচ্ছেন। প্রশাসন সার্বিক ভাবে মৃতের পরিবারের পাশে থাকবে।

    পর পর তিনজন চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের ভূমিরা নিয়ে  উঠছে প্রশ্ন

    প্রসঙ্গত, শনিবার পূর্ব বর্ধমান জেলার পূর্বস্থলী দুই ব্লকের নিমদহ পঞ্চায়েতের ছাতনি উত্তরপাড়া এলাকায় নিমাই ঘোষ নামে এক আলু চাষির মৃত্যুর আত্মহত্যা করেন। পরিবারের সদস্যরা জানান,বাড়ির পাশেই আম গাছে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন তিনি। এই ঘটনার পর পরই বর্ধমান জেলায় খানাকুলে আরেক কৃষকের আত্মহত্যার খবর পাওয়া যায়। মৃত কৃষকের নাম তরুণ পালুই (৩৭)। ওই ব্যক্তি খানাকুলের ঘোষপুর অঞ্চলের পিলখাঁ এলাকার বাসিন্দা। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই ফের পশ্চিম মেদিনীপুর (Paschim Medinipur) জেলায় আরও এক চাষির আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। একের পর এক চাষির মৃত্যুতে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কোনও ব্যবস্থা গ্রহণের কোনও উদ্যোগ চোখো পড়ছে না। ফলে, রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    Sukanta Majumdar: দুবাইয়ে আটকে ১৩ শ্রমিক, বাড়ি ফেরাতে সুকান্তর দ্বারস্থ পরিবারের লোকজন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার ১৩ জন শ্রমিককে একটি ঘরের মধ্যে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছে দুবাইয়ের এক সংস্থার বিরুদ্ধে। রবিবার ওই শ্রমিকরা এক ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। আর ওই বার্তা পাওয়ার পরেই ওই পরিবারদের পক্ষ থেকে  বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের (Sukanta Majumdar) বাড়ি গিয়ে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। সুকান্ত বাবুও এ বিষয়ে বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন বলে  জানিয়েছেন।

    দুবাইয়ে কেন আটকে রাখা হয়েছে শ্রমিকদের?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বেশ কয়েকজন শ্রমিক সম্প্রতি দুবাইয়ে কাজের খোঁজে যায়। তাদের জেলারই এক এজেন্ট এর মাধ্যমে ওই কাজে নিয়ে যাওয়া হয়। গত মাস থেকেই  শ্রমিকরা যেতে শুরু করেছিলেন। সম্প্রতি, গত ৫ তারিখেও বিমানে চেপে জেলার আরও কয়েকজন শ্রমিক শারজাতে কাজে পৌঁছায়। পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, প্রচুর বেতনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে কম্পিউটারের কাজ করতে নিয়ে গিয়ে, নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হচ্ছে। ওই শ্রমিকদের কম্পিউটারে কাজের বদলে তাদের নির্মাণ শ্রমিকের কাজে লাগানো হয়। প্রায় ১০-১২ ঘণ্টা করে কাজ করানো হচ্ছে। কাজের দু একদিন কাজ করতে এই শ্রমিকরা বিদ্রোহ করে বসে। এরপরে তাদের শারজা থেকে আবুধাবির একটি ঘরের মধ্যে নিয়ে গিয়ে আটকে রাখা হয় বলে অভিযোগ। জেলার মোট ১৩ জন শ্রমিকের ওই ঘরের মধ্যে আটকে রাখার শুধু নয় তাদের খাওয়া-দাওয়া বা অন্যান্য খরচও দেওয়া হচ্ছে না। পাশাপাশি ওই শ্রমিকরা বাড়ি ফিরে আসতে চাইলে তাদের কাছে ক্ষতিপুরন হিসেবে মাথা পিছু এক লক্ষ টাকা চাইছে আরবের এক নির্মান সংস্থা। এমন অবস্থায় প্রবল অসহায় পড়া ওই শ্রমিকরা এবারে ভিডিও বার্তার মধ্য দিয়ে তাদের পরিবারের কাছে তাদের দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা করার আর্জি জানায়।

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা কী আর্জি জানিয়েছেন?

    ভিডিও বার্তায় শ্রমিকরা বলেন,  একটি ছোট্ট ঘরের মধ্যে ১৩ জন শ্রমিককে আটকে রাখা হয়েছে। সেখানে আমাদের খাবার, ওষুধ বা অন্যান্য খরচ দিতে অস্বীকার করছে আরবের ওই সংস্থা। দুদিন ধরে ওই ঘরে আটকে রাখার পর থেকে আরব বা দক্ষিণ দিনাজপুরে কোনও এজেন্টই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে করছে না। খুব অসহায় ভাবে দিন কাটছে আমাদের। দ্রুত দেশে না ফেরানো হলে আমাদের মৃত্যু ছাড়া কোনও উপায় নেই।

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা কী বললেন?

    শ্রমিকদের পরিবারের সদস্যরা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের সঙ্গে তাঁর বাড়িতে গিয়ে দেখা করে ওই শ্রমিকদের দেশে ফেরানোর আর্জি জানান। সাগরিকা কর্মকার নামে এক শ্রমিক পরিবারের সদস্য বলেন, আমার ভাই ও  ভাগ্নে গিয়েছে দুবাইয়ে। ওরা গত পাঁচ তারিখেই প্লেনে করে রওনা হয়েছিল। কিন্তু মাত্র দুদিন সেখানে কাজ করার পরই,  তাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করা হচ্ছে তাতে ওরা  দেশে ফিরে আসতে চাইছে। কিন্তু তাদের আটকে রাখা হয়েছে। ওনাদের সকলকে দ্রুত দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নিতে কাছে আমরা সাংসদের (Sukanta Majumdar) কাছে আবেদন জানিয়েছি।

    শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর আশ্বাস সুকান্তর (Sukanta Majumdar)  

    সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, শ্রমিক পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা হয়েছে। এই  বিষয়টি নিয়ে আমি বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলে, ওই শ্রমিকদের সকলকে দেশে ফেরানোর উদ্যোগ নেব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘মমতার পুলিশ কাপুরুষ,’ মারিশদার পর গোঘাট থানায় দাঁড়িয়ে তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। পুলিশকে থানায় ঢুকে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। মারিশদার পর এবার হুগলির গোঘাট থানা। থানার ভিতরে ঢুকে রনং দেহি মূর্তি ধারণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

    কেন গোঘাট থানায় বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান কেনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে গোঘাটের ভিকদাস ধান্য ক্রয় কেন্দ্রের সামনে। কৃষকরা অভিযোগ তোলে, প্রয়োজনের তুলনায় ধান্য ক্রয় কেন্দ্রে ধান বেশি বাদ দেওয়া হচ্ছে। তার প্রতিবাদেই রাজ্য সড়ক অবরোধ করে কৃষকরা। সেই অবরোধ তুলতে গিয়ে সম্প্রতি কৃষকদের উদ্যেশে গালিগালাজের অভিযোগ হুগলির আরামবাগ মহকুমার গোঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিকের অরূপ মন্ডলে বিরুদ্ধে । সেই ভিডিও ভাইরাল হতেই আগেই সরব হয়েছিলেন রাজ্যের বিরোধী দল নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  শনিবার পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা থানার শ্রীনগরে দলীয় কর্মসূচিতে একটি জনসভা ছিল। সেই সভা শেষ করে সেখান থেকে সোজা আরামবাগের গোঘাট থানাতে এসে হাজির হন শুভেন্দু। কৃষকদের হয়ে প্রতিবাদ জানাতে । এদিন সন্ধ্যায় গোঘাট থানর গেটে বিরোধী দল নেতার কোন এসে পৌঁছাতেই বিজেপি দলের কর্মী সমর্থকেরা উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়েন। 

    থানায় গিয়ে কী করলেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) গোঘাট থানার  সামনে গাড়ি থেকে নামতেই দলীয় নেতা কর্মীরা গেটের সামনেই ফুলমালা দিয়ে সংবর্ধনা জানান। তারপর তিনি ওই এলাকার কয়েকজন কৃষক ও পুরশুড়ার বিধায়ক তথা আরামবাগ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ ও গোঘাটের বিধায়ক বিশ্বনাথ কারককে সঙ্গে নিয়ে থানার ভিতরে ঢোকেন। এরপর থানায় ডিউটি অফিসারের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। জিজ্ঞাসা করেন থানার ওসি অরূপ মণ্ডল কোথায়?  তার সঙ্গেই কথা বলবো। যদিও ডিউটি অফিসার জানান, তিনি বিশেষ কাজে বাইরে আছেন। তবে এই কথা শোনার পর শুভেন্দু অধিকারী পুলিশ কর্মীদের ধমক চমক  দিতে থাকেন।

    মমতার পুলিশ কাপুরুষ

    থানায় দাঁড়িয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, এই অকথ্য ভাষায় কৃষকদের গালিগালাজ কখনো মেনে নেওয়া যায় না। আমিও একজন কৃষক পরিবারের ছেলে, আর এই এলাকায় মানুষ কৃষির উপরে নির্ভরশীল, তাই একজন কৃষককে গালিগালাজ করবে মমতা পুলিশ এট মানা যায় না। সতর্ক করে গেলাম। এই ধরনের কোনওরকম ব্যবহার কোনও মানুষের সঙ্গে যেন আর দ্বিতীয়বার করা না হয়। আমি ভেবেছিলাম, তিনি হয়তো নিজে আমার মাধ্যমে কৃষকদের জন্য ভুল স্বীকার করবেন। কিন্তু আমার আসার কথা শুনেই তিনি পালিয়ে গেছেন।  বেশ খানিকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তিনি বাইরে বেরিয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, মমতার পুলিশ কাপুরুষ। আমি আসবো বলে ভয়ে পালিয়ে গিয়েছে। আমি আবার আসবো, রেহাই কাউকে দেওয়া হবে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    Malda: পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দিলেন তৃণমূল নেতা, জেলাজুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুলিশ শাসক দলের হয়ে কাজ করে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে বার বার এই অভিযোগ করা হয়। তাই, বিরোধীদের আক্রমণের নিশানায় থাকে পুলিশ। এবার শাসক দলের দুই নেতা পুলিশকে তীব্র আক্রমণ করলেন। এর আগে পুলিশকে মেরে তার হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন একসময়ের বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার মামলায় তিনি এখন জেলে রয়েছেন। এবার পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে অশালীন ইঙ্গিত করে প্রকাশ্য মঞ্চে বেলাগাম করলেন মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং তৃণমূলের জেলা সহ সভাপতি।

    পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দুই তৃণমূল নেতার (Malda)

    মালদার (Malda) হরিশচন্দ্রপুর এক নম্বর ব্লকের হরিশ্চন্দ্রপুর সদরের শহিদ মোড়ে আইএনটিটিইউসির প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষে সভা চলছিল। সেই সভাতেই মঞ্চ থেকে অন্যান্য জেলা ও ব্লক নেতৃত্বদের সামনেই পুলিশকে বেলাগাম আক্রমণ করলেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য স্বপন আলি এবং জেলা তৃণমূলের সহ-সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেতা বিকাশবাবু বলেন, যে সব পুলিশ অফিসার মানুষের জন্য কাজ করছে না তাঁদের বিছুটি পাতা ঘষে দিতে হবে। পুলিশের একাংশ বিরোধীদের হয়ে দালালি করছে। পঞ্চায়েত ভোটের সময় তৃণমূল কর্মীদের মিথ্যা মামলা দিয়েছে। তৃণমূলের জেলার সহ সভাপতি বিকাশ বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করে স্বপন আলিও পুলিশের পিছনে বিছুটি পাতা ঘষে দেওয়ার নিদান দেন। আর এই দুই শাসক নেতার মন্তব্য নিয়েই শোরগোল শুরু হয়েছে এলাকায়। এতদিন বিরোধীরা একরাশ অভিযোগ করতেন পুলিশের বিরুদ্ধে। এবার শাসকেরই রোশের মুখে পুলিশ। পরবর্তীতেও এই দুই নেতা সংবাদমাধ্যমের সামনে তাদের বক্তব্য অনড় থেকেছেন। তবে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি তাঁদের বক্তব্যকে তাদের ব্যক্তিগত বক্তব্য বলে দায় এড়িয়ে গিয়েছেন।

    তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে, সরব বিজেপি

    তৃণমূলের এই বক্তব্য নিয়ে মালদার (Malda) বিজেপি নেতা কিষাণ কেডিয়ার কটাক্ষ, তৃণমূল এই সংস্কৃতিতে অভ্যস্ত। আসলে রাজ্যজুড়ে ইডির হানা চলছে। হয়ত এরপর হরিশ্চন্দ্রপুরেও আসতে পারে। তাই, তৃণমূলের দুর্নীতিগ্রস্ত নেতাদের মাথা খারাপ হয়ে গিয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Update: দার্জিলিঙে তুষারপাত! চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বাড়বে শীতের আমেজ, জানাল হাওয়া অফিস

    Winter Update: দার্জিলিঙে তুষারপাত! চলতি সপ্তাহেই রাজ্যে বাড়বে শীতের আমেজ, জানাল হাওয়া অফিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কনকনে ঠান্ডা আপাতত বেশ উপভোগ করছে বাঙালি। দুদিন আগে নিম্নচাপের বৃষ্টির পরে পারদ যেন আরও খানিকটা নেমে গিয়েছে। চলতি সপ্তাহে শীতের আমেজ (Winter Update) আরও বাড়বে, এমনটাই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতকাল মানে বাঙালির খাওয়া-দাওয়া, ঘুরে বেড়ানো। ভ্রমণ পিপাসু বাঙালির গন্তব্যস্থল দার্জিলিঙ। শীতের মরসুমে প্রথম তুষারপাতও হয়েছে দার্জিলিঙে। সেখানেও ইতিমধ্যে বেশ বড় সংখ্যার পর্যটকদের ভিড় জমতে শুরু করেছে। হোটেলগুলিও ভিড়ে ঠাসা। আলিপুর আবহাওয়া দফতর বলছে যে কলকাতার পারদ নেমে (Winter Update) গিয়েছে ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস এর নিচে। আগামীকাল অর্থাৎ সোমবার থেকে পারদ আরও নামতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আপাতত নতুন করে কোথাও কোনও রকম বৃষ্টির সম্ভাবনা পশ্চিমবঙ্গে নেই বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।

    শীতের আমেজ বাড়বে কলকাতায়

    শনিবারই তিলোত্তমার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৪.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি কম বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা (Winter Update) ছিল ১৮.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি। রবি ও সোমবার পারদে পতনের আরও হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তবে হাওয়া অফিস এও জানিয়েছে, গতবারের মতো জাঁকিয়ে শীত পড়ার সম্ভাবনা বেশ কম। শীত মানেই কলকাতাতে চিড়িয়াখানা সমেত অন্যান্য জায়গাগুলিতে ঘুরতে আসেন প্রচুর মানুষ। এখন থেকেই লক্ষ্য করা যাচ্ছে সেই ভিড়।

    দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গেও কমবে পারদ

    দক্ষিণবঙ্গের আবহাওয়ার ক্ষেত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে বুধবারের মধ্যে শীতের আমেজ আরও বাড়বে অর্থাৎ কমবে তাপমাত্রা। এমনিতেই আসানসোল-দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল, পুরুলিয়া, বীরভূমে এখনই অনুভূত হচ্ছে প্রবল ঠান্ডা। দক্ষিণবঙ্গের বাকি জেলাগুলোতেও ঠান্ডা আরও বাড়বে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। শীতের আমেজ (Winter Update) পড়তেই শুরু হয়েছে পিকনিকও। উত্তরবঙ্গের তাপমাত্রা নিচের দিকে নামছে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। এর মধ্যে দার্জিলিং জেলাতে বৃষ্টিপাতের কিছুটা সম্ভাবনা থাকলেও উত্তরবঙ্গের অন্যান্য জেলাতে বৃষ্টির কোনও পূর্বাভাস দেয়নি হাওয়া অফিস। দার্জিলিঙের মতো ভিড় দেখা যাচ্ছে ডুয়ার্সেও।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    Suvendu Adhikari: শিলিগুড়িতে শুভেন্দুর সভার ভবন অমিল, মিলল না পুলিশি অনুমতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিলিগুড়িতে রাজনৈতিক পারদ চড়তে শুরু করেছে। আগামী মঙ্গলবার কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক সভা। আর সেদিনই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী শিলিগুড়িতে পালটা সভা করবেন। কিন্তু, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার জন্য ভবন দিতে চাইছে না কেউ। এমনটাই অভিযোগ শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের। পুলিশি অনুমতিও নেই। এদিকে কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামের সামনে – মুখ্যমন্ত্রীর সভার দিন ধরনা কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন শংকর ঘোষ। পুলিশ সেই কর্মসূচির অনুমতিও দেয়নি।

    শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি পাওয়া নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক?

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী ১২ডিসেম্বর শিলিগুড়িতে শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) সভার আয়োজনের মূল দায়িত্ব শংকর ঘোষেরই। শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, অন্তত ১০টি ভবনে যোগাযোগ করা হলে তাঁদের মালিকেরা বলছেন, আপনাদের ভবন দিতে পারব না। নিষেধ রয়েছে। চোখ রাঙানো হচ্ছে। কেউ অন্য যুক্তি দিচ্ছেন। তৃণমূল রয়েছে এ সবের পিছনে।’ শংকর দাবি করেন, ‘বাড়ির মালিকেরা আমাদের বলছেন, তাঁদের সমস্যা বুঝতে চেষ্টা করার। কাউকে বিব্রত করতে চাই না। ‘ এদিন শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক ধরনা কর্মসূচির অনুমতি না পাওয়ায় ক্ষোভপ্রকাশ করে বলেন, ‘সভার নামে স্টেডিয়ামকে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। যেখানে রাজ্য সরকার ও পুরনিগমের তরফে অনেকদিন ধরেই বহুবার বলা হয়েছে স্টেডিয়ামের মাঠে কোনও অনুষ্ঠান করা যাবে না, সেই মাঠেই মুখ্যমন্ত্রীর সভা কী করে হয়, মেনে নেওয়া যায় না।’ শুধুমাত্র ১৪৪ ধারা বিরোধী দল বা সাধারণ মানুষদের জন্য, শাসকদলের জন্য কেন হয় না, তারও প্রশ্ন তোলেন বিধায়ক। করছে

    এর আগেও শুভেন্দুর একাধিক সভায় পুলিশ অনুমতি দেয়নি

    প্রসঙ্গত, বিজেপির সভার অনুমতি নিয়ে সবসময় সমস্যা তৈরি  করছে প্রশাসন। সম্প্রতি ধর্মতলায় একুশের সভাস্থলে অমিত শাহের জন সভার জন্য প্রথমে বিজেপি পুলিশি অনুমতি পায়নি। শেষ পর্যন্ত কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে বিজেপি সভা করার অনুমতি পায়। এর ক’দিন আগে পূর্ব মেদিনীপুরের তাঁর খেজুরিতে স্থানীয় প্রশাসন দিন শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) সভার অনুমতি না দেওয়ায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়ে অনুমতি পায় বিজেপি। বাঁকুড়ার কোতুলপুরেও দু’দফায় বাধা পাওয়ার পরে আদালতের অনুমতি নিয়েই মিছিল ও পথসভা করেন শুভেন্দু। শেষ পর্যন্ত শিলিগুড়িতে কী হয় হয়, সেদিকেই নজর রাজনৈতিক মহলের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • SSKM: সুজয়কৃষ্ণকে ভর্তি করাতে আইসিইউ থেকে নামানো হল অসুস্থ সন্ধ্যাকে, ১৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মৃত্যু আখলিমার

    SSKM: সুজয়কৃষ্ণকে ভর্তি করাতে আইসিইউ থেকে নামানো হল অসুস্থ সন্ধ্যাকে, ১৮ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে মৃত্যু আখলিমার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত অগাস্ট মাস থেকেই এসএসকেএম-এ ভর্তি হয়ে আছেন কালীঘাটের কাকু। বাইপাস সার্জারির পরে তিনি ভর্তি হন এখানে। বর্তমানে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের অসুখ হিসেবে জানা গিয়েছে, মানসিক স্ট্রেস। বিরোধীরা বলছে, সিবিআই-ইডির হাত থেকে বাঁচতেই এসএসকেএম-কে (SSKM) ব্যবহার করে থাকেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরা। তিন মাস যাবৎ বেড দখল করেছেন সুজয়কৃষ্ণ। অথচ ১৮ ঘণ্টা ধরে বেড না পাওয়ার কারণে মৃত্যু হল আখলিমা বেগমের। আবার কোলাঘাটের অসুস্থ সন্ধ্যা পোড়েলকে মাঝরাতে আইসিইউ থেকে স্থানান্তর করা হল জেনারেল বেডে। কারণ কাকু ভর্তি হবেন।

    সুজয়কৃষ্ণরা চাইলেই বেড পায়, ১৮ ঘণ্টা বেড না পেয়ে মৃত্যু আখলিমা বেগমের

    জানা গিয়েছে, ৭০ বছর বয়সী আখলিমা বেগমকে হাওড়ার জগৎবল্লভপুর থেকে শনিবারে নিয়ই আসা হয়েছিল এসএসকেএম-এ (SSKM)। বুকে ব্যথা হওয়ায় বৃদ্ধার পরিবার চেয়েছিল যে কার্ডিয়লজি বিভাগে চিকিৎসা হোক তাঁর। কিন্তু খোলা আকাশের নিচেই তাঁকে কাটাতে হল ১৮ ঘণ্টা। শনিবার দুপুরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। যে কার্ডিওলজি বিভাগের (SSKM) বেড পেলেন না আখলিমা সেখানেই হার্টের কোনও অসুখ না থাকা সত্ত্বেও ভর্তি করা হয়েছিল রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে। এবং সেই কার্ডিওলজি বিভাগেই বর্তমানে ভর্তি হয়ে রয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। আখলিমা বেগমের পরিবার শুধুমাত্র একটি বেডের জন্য ছোটাছুটি করতে থাকেন। কখনও এসএসকেএম-এর জরুরি বিভাগে কারও সঙ্গে কথা বলেন। কখনও কার্ডিওলজি বিভাগে গিয়ে কথা বলেন। তাঁদেরকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজে। কোনওরকম রেফার গাইডলাইন না মেনে এসএসকেএম এই সিদ্ধান্ত নেয় বলে অভিযোগ। ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ থেকে আবার তাঁদেরকে ফিরতে হয় এসএসকেএম-এ। অবশেষে খোলা আকাশের নিচে হাসপাতাল চত্বরেই আখলিমা বেগমের জীবন শেষ হয়ে যায়।

    মাঝরাতে সরানো হল সন্ধ্যা পোড়েলকে, বেডে এলেন কাকু

    অন্যদিকে শুক্রবারই কাকুর কণ্ঠস্বর পরীক্ষা করানোর কথা বলেছিল ইডি, ঠিক তার আগের দিন বৃহস্পতিবার রাত থেকেই বুকে ব্যাথা শুরু হয় কাকুর। এই সময় কার্ডিওলজি বিভাগে (SSKM) ভর্তি ছিলেন কোলাঘাটের বাসিন্দা সন্ধ্যা পোড়েল। আইসিইউ-এর ১৮ নম্বর বেডে ছিলেন সন্ধ্যা দেবী। বুধবারই তাঁর বুকে অস্ত্রোপচার হয়। বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ঘোরে আচ্ছন্ন ছিলেন সন্ধ্যা দেবী, এমনটাই জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। কিন্তু কাকু আসছেন বলে বৃহস্পতিবার মাঝরাতেই তাঁকে জেনারেল বেডে স্থানান্তর করে দেয় এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। এই ঘটনায় উঠছে প্রশ্ন। ইডির তদন্তের হাত থেকে বাঁচতে একজন আইসিউতে ভর্তি হবেন! সে কারণে সরানো হবে অসুস্থ রোগীকে!

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Income Tax Raid: টপকে গেল পার্থ-অর্পিতাকেও! কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে উদ্ধার ৩০০ কোটি

    Income Tax Raid: টপকে গেল পার্থ-অর্পিতাকেও! কংগ্রেস সাংসদের বাড়িতে উদ্ধার ৩০০ কোটি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের টাকার পাহাড়! ভাঙল পার্থ-অপার রেকর্ডও। ২০২২ সালের জুলাই মাসে পার্থ-অর্পিতার ফ্ল্যাটে টাকা উদ্ধারের ঘটনায় রাজ্যজুড়ে ছড়িয়েছিল চাঞ্চল্য। এবার টাকার পাহাড় দেখা গেল ওড়িশার কংগ্রেস সাংসদ ধীরজ শাহুর বাড়িতে (Income Tax Raid)। সূত্রের খবর, কংগ্রেস নেতার বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ৩০০ কোটি ছুঁয়েছে। গত চারদিন ধরেই চলছে তল্লাশি। কংগ্রেস নেতার বাড়িতে বিপুল টাকা উদ্ধার নিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদিও।

    একশোরও বেশি কেন্দ্রীয় আধিকারিক এই অপারেশন চালাচ্ছেন

    প্রসঙ্গত গত বুধবার থেকেই চলছে এই আয়কর হানা (Income Tax Raid)। কেন্দ্রীয় সংস্থার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কোনও একক অভিযানে সর্বোচ্চ পরিমাণ কালো টাকা উদ্ধার হল এক্ষেত্রে। সাধারণভাবে, ‘বৌধ ডিস্টিলারি প্রাইভেট লিমিটেড’ এর বিভিন্ন ব্রাঞ্চে হানা দিয়েই এই বিপুল টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা (Income Tax Raid) আরও জানিয়েছে যে টাকা রাখার কাজে ব্যবহার করা হতো ২০০টি মতো বড় এবং ছোট ব্যাগ। এই বিপুল পরিমাণ টাকা গুনতে ৪০টি ছোট বড় মেশিন নিয়ে আসা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার টাকা গোনার সময়  মেশিনও বিগড়ে যায় একসময়। একশোরও বেশি কেন্দ্রীয় আধিকারিক এই অপারেশন চালাচ্ছেন বলে সূত্রের খবর। তল্লাশির সময় উদ্ধার হওয়া কালো টাকার মধ্যে ৫০০ টাকার নোটের সংখ্যাই সব থেকে বেশি।

    ৫০ জন ব্যাঙ্ক কর্মী রয়েছেন নোট গুনতে

    ইতিমধ্যে ধীরজ শাহুর ঘনিষ্ঠ মদ ব্যবসায়ী বান্টি শাহুর বাড়ি থেকে ১৯টি টাকার ব্যাগ উদ্ধার করেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা (Income Tax Raid)। অন্যদিকে উদ্ধার হওয়ার টাকা গোনার দায়িত্ব রয়েছে বলাঙ্গীরের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ওপর। সেখানকার ম্যানেজার জানিয়েছেন, আগামী দুদিনের মধ্যে তাঁরা লক্ষ্য নিয়েছেন টাকা গোনার কাজ  শেষ করার। এই কাজে ৫০ জন ব্যাঙ্ক কর্মীকে লাগানো হয়েছে বলে খবর। তবে আরও বেশি কর্মীর প্রয়োজন রয়েছে সেখানে, এমনটাই জানিয়েছেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ রামমন্দিরের কাজ, চলছে ফিনিশিং টাচ, ছবি এল প্রকাশ্যে

    Ram Mandir: প্রায় সম্পূর্ণ রামমন্দিরের কাজ, চলছে ফিনিশিং টাচ, ছবি এল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রামমন্দিরের (Ram Mandir)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঐদিন প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন রামমূর্তিতে। সেদিন রামলালাকে কোলে নিয়ে প্রায় পাঁচশো মিটার পথ হেঁটে গর্ভগৃহে মূর্তি স্থাপন করবেন প্রধানমন্ত্রী। মন্দিরের উদ্বোধন ঘিরে দেশজুড়ে ভক্তদের মধ্যে প্রবল উন্মাদনা রয়েছে। চলছে ফিনিশিং টাচ। অযোধ্যা যে পৃথিবীর হিন্দুদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং পবিত্র তীর্থস্থান হয়ে উঠতে চলেছে তার প্রমাণ মিলেছে থাইল্যান্ডে সম্প্রতি হয়ে যাওয়া বিশ্ব হিন্দু সম্মেলনে। সেখানে ঘোষণা করা হয়েছে যে প্রতিটি দেশেই রামমন্দির (Ram Mandir) উদ্বোধনের সরাসরি সম্প্রচার করা হবে এবং দেশ-বিদেশের রাম ভক্তরা তারপরে ধাপে ধাপে আসতে থাকবেন রামমন্দির দর্শনে। রামমন্দিরের সিংহদুয়ারের কাছে যে মেঝে রয়েছে সেখানেও দেখা যাচ্ছে শিল্পীরা নকশাগুলি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। ‘রাম মন্দির তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’ জানিয়েছে, উৎসবের কারণেই ভাস্কর্যের কাজ বেশ কিছুটা মন্থরভাবে চলছে বর্তমানে। রামলালার তিনটি মূর্তি তৈরীর কাজ বর্তমানে চলছে এবং পাথর আনা হয়েছে কর্ণাটক ও রাজস্থান থেকে।  রামলালার মূর্তি তৈরীর কাজ করে চলেছেন গণেশ ভাট, অরুণ যোগীরাজ এবং সত্যনারায়ণ পান্ডে। জানা গিয়েছে, উপরের অংশের ৭০টি পিলারের ভাস্কর্যের কাজ এখনও বাকি রয়েছে। দক্ষিণ দিকের বেসমেন্টের কাজ বর্তমানে শেষ হয়েছে। জানা গিয়েছে, রামলালা অবস্থান করবেন গর্ভগৃহে। সেই গর্ভগৃহ নির্মাণের কাজও ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। আবার সমগ্র রাম মন্দির জুড়ে থাকবে আলোর মালা, সেই আলোকসজ্জার কাজও প্রায় শেষ হয়ে এসেছে।

    রামভক্তদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত বিমানবন্দরও

    দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে অযোধ্যাতে ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে চালু হয়ে যাচ্ছে বিমানবন্দর নির্মাণেরও কাজও। দাঁড়িয়ে থেকে তদারকি করছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ‘রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর পক্ষ থেকে জানা গিয়েছে যে মন্দিরের প্রথম তলে নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়ে গেছে এবং চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। ইতিমধ্যে, রামমন্দিরের ফিনিশিং টাচের ছবি ভাইরাল হয়েছে নেট মাধ্যমে। রামমন্দিরের (Ram Mandir) ফ্লোরে অপূর্ব নকশাও নজরে পড়ছে। রাম মন্দিরের পূর্ব দিকে চলছে দোতলার কাজ। জানা গিয়েছে এই কাজ একুশে ডিসেম্বরের মধ্যেই শেষ হয়ে যাবে।

    উদ্বোধনের দিন আমন্ত্রিত ৪ হাজার অতিথি

    এই মন্দির এমন ভাবে নির্মাণ করা হচ্ছে যাতে সেটি যুগ যুগ ধরে অক্ষত থাকে। মন্দির কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের চার হাজার সাধুকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এছাড়া ৫০টি দেশ থেকে এক একজন প্রতিনিধিকে আমন্ত্রণ পাঠানো হয়েছে। বলিউড থেকে ক্রীড়াজগত, শিল্পপতিদেরও থাকার কথা রয়েছে অনুষ্ঠানে। রামমন্দির (Ram Mandir) তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের চম্পত রাইয়ের মতে, ‘‘রাম জন্মভূমি মন্দিরে ভগবান রামের পাঁচ বছরের বালক রূপের চার ফুট তিন ইঞ্চির পাথরের মূর্তি বসবে। এই মূর্তি তৈরি হয়েছে অযোধ্যার তিনটি স্থানে। তিনজন কারিগর তিনটি আলাদা আলাদা পাথর দিয়ে মূর্তি তৈরি করেছেন। মূর্তির কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ হয়ে গিয়েছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: ‘‘নির্বাচনে জিততে হলে জনগণের হৃদয় জেতা খুব জরুরি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    PM Modi: ‘‘নির্বাচনে জিততে হলে জনগণের হৃদয় জেতা খুব জরুরি’’, বললেন প্রধানমন্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নির্বাচন কীভাবে জিততে হয়, তা তাঁর থেকে বেশি কেই বা জানেন! ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া। ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসেও অপ্রতিরোধ্য মোদি (PM Modi)। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২৪ সালেও মসনদ পাকা করে ফেলেছেন তিনি ইতিমধ্যেই। দীর্ঘ ২২ বছরের প্রশাসনিক অভিজ্ঞতা, একের পর এক নির্বাচন সামলাতে হয়েছে তাঁকে। ২২ বছর ধরেই জিতেছেন। কীভাবে জিততে হয় নির্বাচন? শনিবার এ নিয়েই প্রথম মুখ খুললেন নরেন্দ্র মোদি (PM Modi) এবং জানালেন, কীভাবে জিততে হয় নির্বাচন। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনে জিততে হলে জনগণের হৃদয় জেতা খুব জরুরি। নির্বাচনে জেতার জন্য মানুষের মধ্যে যাওয়া খুব জরুরি এবং কখনই মানুষের জ্ঞানকে হেয় করে দেখতে নেই। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মানুষের কাছে পৌঁছনোও সম্ভব নয়।’’

    সম্প্রতি ৩ রাজ্যেই বিপুল ভোটে জিতেছে বিজেপি

    শনিবারই ‘বিকশিত ভারত সংকল্প যাত্রা’র এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি যে মানুষ গ্রহণ করেনি, তাও এদিন নিজের ভাষণে জানান মোদি (PM Modi)। ২০২৩ সালে ৩ রাজ্যের নির্বাচন সমাপ্ত হয়েছে এবং সেখানে বিপুল ভোটে জিতেছে বিজেপি। এরপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে চালু হয়েছে নতুন ক্যাপশন ‘মোদির গ্যারান্টি’। এদিন এনিয়েও মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী এবং তিনি বলেন, ‘‘জনগণ এটা বিশ্বাস করেছে যে মোদির গ্যারান্টি মানে হল সমস্ত গ্যারান্টিকে পূরণ করা।’’

    আমার কাছে প্রত্যেক গরিব ভিআইপি

    প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘‘আমরা দেশের মানুষের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক তৈরি করেছি। কেন্দ্রীয় সরকার এবং দেশের জনগণের মধ্যে হৃদয়ের সম্পর্ক তৈরি হয়েছে। আমাদের সরকার ‘মা-বাপ’ নয়। কিন্তু বাবা-মায়েদের সেবা করে। একই ভাবে প্রধানমন্ত্রী আপনাদের সেবায় নিযুক্ত।’’ এর পরই তিনি বলেছেন, ‘‘মোদি (PM Modi) গরিবের খেয়াল রাখে। যার কেউ নেই তাঁর জন্য আমার দরজা সব সময় খোলা থাকে। আমার কাছে প্রত্যেক গরিব ভিআইপি। প্রত্যেক মা, বোন, মেয়ে ভিআইপি। প্রত্যেক যুব ভিআইপি।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share