Author: user

  • Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের পুলিশকে লেঠেল বাহিনীতে পরিণত করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তাঁর ভাইপো অভিষেক। পুলিশের কাজ শুধু দড়ি দিয়ে মমতা এবং অভিষেককে পাহাড়া দেওয়া আর টাকা তোলা। শুক্রবার কল্যাণীতে আত্রান্ত বিজেপি কর্মীকে দেখতে এসে এই ভাষাতেই রাজ্য পুলিশ এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    বিজেপি কর্মীর উপর হামলা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুরে মিহির বিশ্বাস নামে এক বিজেপির সক্রিয় কর্মীকে কল্যাণী থানার উত্তর চাঁদমারি এলাকার একটি সেলুনের দোকানে ঢুকে আচমকা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারে ওই এলাকারই অভিযুক্ত দুই ভাই আরমান শেখ এবং আরবাজ শেখ। জানা যায়, আরমান এবং আরবাজ ওই এলাকার তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বে রয়েছেন। রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে বিজেপি কর্মীকে কল্যাণী জহরলাল নেহেরু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এখনও চিকিৎসা চলছে তার। এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দেশের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। এরপরই শুক্রবার রাতে ঘটনার কথা জানতে পেরে হাসপাতালে আক্রান্ত ওই বিজেপি কর্মীকে দেখতে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্য সরকার এবং পুলিশকে আক্রমণ করেন তিনি। তিনি বলেন, পুলিশকে কাজ না করতে দিলে যে ঘটনা ঘটার কথা সেটাই হয়েছে। পুলিশ এখন শুধুমাত্র দড়ি ধরে মমতা এবং অভিষেককে নিরাপত্তা দিতেই ব্যস্ত। গ্রাম পঞ্চায়েত, জেলা পরিষদ স্তরের নির্বাচন হলে ভোট লুট করে কীভাবে তৃণমূলকে জেতানো যাবে সেই কাজ করানো হয় পুলিশকে দিয়ে।

    মতুয়ারা তৃণমূলকে ভোট দেবেন না, তোপ শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari)

    মতুয়া প্রসঙ্গে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বাংলাদেশ থেকে জামাতদের কারণে মতুয়ারা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে এসে এসেছিলেন। আজ তাদেরই নিরাপত্তা দিতে ব্যস্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মতুয়াদের সম্পর্কে যে কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন, তাতে করে কোনও মতুয়া তৃণমূলকে ভোট দেবেন না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০২/১২/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শনিবার, ০২/১২/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য—কী বলছে ভাগ্যরেখা? কেমন কাটতে পারে দিন?

    মেষ

    ১) শত্রুভয় কাটিয়ে উঠতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায় লাভ-ক্ষতি নিয়ে চিন্তা থাকবে। 

    বৃষ

    ১) কাজের ক্ষেত্রে প্রচুর চিন্তা থাকবে।

    ২) ব্যবসার ব্যাপারে খুব সতর্ক থাকুন, বুদ্ধিভ্রম ঘটতে পারে। 

    মিথুন

    ১) বাড়িতে অশান্তির কারণে আপনার সম্মানহানি হতে পারে।

    ২) আপনার বক্তব্য সকলের মন জয় করতে সক্ষম হবে। 

    কর্কট

    ১) আর্থিক টানাপড়েন থাকতে পারে।

    ২) নম্র স্বভাবের জন্য কর্মস্থলে সুনাম বৃদ্ধি। 

    সিংহ

    ১) কোনও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ না করাই ভাল হবে। 

    ২) ভ্রমণে সমস্যা বাড়তে পারে, একটু সাবধান থাকুন।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত বিলাসিতার জন্য খরচ বাড়তে পারে।

    ২) গুরুজনদের সদুপদেশে কর্মে উন্নতি।

    তুলা

    ১) ব্যবসায় দারুণ অর্থপ্রাপ্তির যোগ রয়েছে।

    ২) নিজের ভুল সংশোধন করার ফলে ব্যবসায় উন্নতি। 

    বৃশ্চিক

    ১) কাজের চাপ বাড়তে পারে। 

    ২) বন্ধুর সাহায্যে ব্যবসায় উন্নতি।

    ধনু

    ১) সহকর্মীরা নিজের ক্ষোভ প্রকাশ করায় মানসিক চাপ বাড়বে।

    ২) প্রেমে কষ্ট বাড়তে পারে। 

    মকর

    ১) সব কাজেই সুনাম পেতে পারেন।

    ২) ব্যবসায় সহকর্মীর দ্বারা ক্ষতির সম্ভাবনা। 

    কুম্ভ

    ১) স্ত্রীর কারণে মন চঞ্চল হতে পারে। 

    ২) কোনও ঝুঁকিপ্রবণ কাজ করতে হতে পরে।

    মীন

    ১) প্রিয়জনের সঙ্গে বিবাদ নিয়ে চিন্তা হতে পারে। 

    ২) গরিব মানুষের জন্য কিছু করার চেষ্টা করুন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel: “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন” সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে কেন বললেন মানিক?

    Uttarkashi Tunnel: “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন” সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে কেন বললেন মানিক?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সুড়ঙ্গ থেকে ফিরে শ্রমিক মানিক বললেন, “এখানে চাকরি নেই, দিদিকে বলব কাজ দিন”। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে (Uttarkashi Tunnel) ৪১ জন শ্রমিকদের মধ্যে ছিলেন কোচবিহারের বাসিন্দা মানিক তালুকদার। সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়ে ঋষিকেশ এইমসে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছিল তাঁকে। এরপর সেখান থেকে বিমানপথে বাগডোগরা বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “রাজ্যে কাজ কোথায়?” ফের একবার কর্মসংস্থান নিয়ে প্রশ্ন করলেন তিনিও। 

    রাজ্যে মমতার ১৩ বছরের শাসনে কর্মসংস্থান কোথায়? শিল্প, কল-কারখনার কোথায়? রাজ্যে সরকারি চাকরির নিয়োগ কোথায়? ঠিক এই প্রশ্নগুলি রাজ্যের বিরোধী দলনেতার মুখে প্রত্যেক দিন শোনা যায়। বিরোধী দলগুলি করোনার সময় এই রাজ্য থেকে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হরিয়ানাতে সবথেকে বেশি পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজ করতে যায় বলে উল্লেখ করেছিল। পরিযায়ী শ্রমিকদের মুখেও বার বার শোনা গিয়েছে, বাংলায় কাজের সুযোগ নেই, তাই অন্য রাজ্যে যেতে হয়। সম্প্রতি বালেশ্বর রেল দুর্ঘটনায় বাংলা থেকে দক্ষিণ ভারতের কাজ করতে যাওয়া অনেক পরিযায়ী শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। ফলে সুড়ঙ্গে আটকে থাকা কোচবিহারের শ্রমিক মানিকের কথায় ফের একই কথা শোনা গেল, রাজ্যে কাজ কোথায়?

    কী বললেন মানিক (Uttarkashi Tunnel)?

    সুড়ঙ্গ থেকে মুক্তি পেয়ে বাংলায় পা রেখে মানিক তালুকদার বলেন, “আমার ছেলে স্নাতক পাশ করে বসে রয়েছে। রাজ্যে কাজ কোথায়। আমাদের মতো দরিদ্র মানুষ কাজে না গেলে সংসার কীভাবে চলবে। কর্মসংস্থানের অভাবের জন্যই বাইরের রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হয়। কাজ দিলে বাংলাতেই থাকব। দিদিকে বলবো কাজ দিন। বাইরের রাজ্যে অনেক কোম্পানি রয়েছে। তাঁদের কাছে কাজ রয়েছে কিন্তু আমাদের রাজ্যে কাজ নেই।”

    রাজ্যে কর্মসংস্থান নেই তাই পরিযায়ী

    সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে উদ্ধার হওয়ার পর মানিকের স্ত্রী সোমা তালুকদার বলেছিলেন, “ঝুঁকির কাজে আর ওঁকে পাঠাবো না”। কিন্তু বাড়িতে ফিরে মানিক বলেন রাজ্যে কাজ নেই, অভাবের সংসার। অন্য রাজ্যে কাজে যেতে হয়। পাশপাশি মাণিক আরও খুব স্পষ্ট করে বলেন, “উত্তরকাশীতে ৩৪ হাজার টাকা বেতন পান। কিন্তু এই রাজ্যে কাজ কে দেবে?” অপর দিকে হুগলির শ্রমিক জয়দেব প্রামাণিকের বাবা তাপস প্রামাণিক বলেছেন, “আমার চায়ের দোকান, তা দিয়ে সংসার চলে না। ঝুঁকিপূর্ণ কাজ না হলে ছেলেকে আবার বাইরের রাজ্যে কাজে পাঠাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    BJP: বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েতে জেতার মাশুল! তৃণমূলে যোগ দেওয়ার জন্য রোজ রাতে ‘বিশেষ অনুরোধ’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি ছাড়ার জন্য প্রতি রাতেই তৃণমূলের লোকজন বাড়িতে গিয়ে ‘বিশেষ অনুরোধ’ করছে। এর সুরাহার দাবিতে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন বিজেপির (BJP) পঞ্চায়েত সদস্যা। অভিযোগ, রাত হলেই ভয়ে থাকতে হচ্ছে বিজেপির প্রতীকে পঞ্চায়েত ভোটে জয়ী মহিলা সদস্যা বন্দনা টুডু ও তাঁর স্বামী মোহনলাল টুডুকে। এ নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের বিজেপি নেতৃত্ব এবং তাঁদের ওই পঞ্চায়েত সদস্যা প্রশাসনের কাছে অভিযোগে যা জানিয়েছেন, সেটাও যথেষ্ট চমকে দেওয়ারই মতো। বিজেপি সদস্যা ও তাঁর স্বামীকে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য ’ভীতি প্রদর্শন’ করতে রাত হলেই নাকি পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতর উপ-প্রধান সহ শাসকদলের লোকজন তাঁদের বাড়িতে হানা দিচ্ছে। আর এই ঘটনা নিয়েই এখন আলোচনায় জামালপুরের পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা। যদিও এই অভিযোগ মানতে চাননি শাসকদলের নেতৃত্ব।

    অভিযোগে কী জানিয়েছেন বিজেপি সদস্যা? (BJP)

    এবারের পঞ্চায়েত ভোটে পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত পর্বতপুর গ্রামের ১২৮ নম্বর বুথে বিজেপি (BJP) প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন বন্দনা টুডু। তিনি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানিয়েছেন, ভোট দিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে জয়ী করে পঞ্চায়েতে পাঠান। যদিও সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিচারে তৃণমূল পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে। কিন্তু তার পরেও একেবারে বিরোধীমুক্ত পঞ্চায়েত গড়ার সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এলাকার শাসক দলের লোকজন এবং পঞ্চায়েতের উপ-প্রধান উত্তম হাজারী। তাঁর কথায়, ‘বেশ কিছুদিন ধরে রাত হলেই উত্তম হাজারী তাঁর দলবল নিয়ে আমার বাড়িতে চলে আসছে। তৃণমূল কংগ্রেস দলে আমি যাতে যোগদান করি, তার জন্য তারা আমাকে ও আমার স্বামী মোহনলাল টুডুকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। এমনকি ব্লক তৃণমূলের পার্টি অফিসে আমাদের নিয়ে গিয়ে তৃণমূলে যোগদান করানোর জন্য প্রায় প্রতিদিনই চাপ সৃষ্টি করছে।’ প্রশাসনের কাছে এই ঘটনার বিহিত চেয়েছেন পাড়াতল ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি সদস্যা বন্দনা টুডু।

    বিজেপির অভিযোগে কী জবাব তৃণমূলের?

    এই নিয়ে বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভাপতি প্রধানচন্দ্র পাল বলেন ,“তৃণমূল কংগ্রেস দলে যোগদান করানোর জন্য আমাদের দলের পঞ্চায়েত সদস্যা ও তার স্বামীকে ভীতি প্রদর্শন করছে শাসক দলের উপ-প্রধান ও তার দলবল । এই বিষয়টি লিখিতভাবে ব্লকের বিডিও ও থানায় জানিয়েছি। প্রশাসন যদি এসব বন্ধে যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে বিজেপি বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে“। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস জানান; ‘মানুষ বিজেপি ,সিপিএম দুই দলকেই প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্লকের কোনও পঞ্চায়েতেই বিরোধীরা বোর্ড গঠন করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের আগে ’মাইলেজ’ পেতে বিজেপি নেতারা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে তৃণমূলের নামে মিথ্যা অভিযোগ করছে। অন্য দল থেকে লোক টেনে আনার মতো অবস্থা তৃণমূল কংগ্রেসের হয়নি।’
     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    Kali Puja 2023: বোল্লা রক্ষাকালীর পুজো চলবে সারা রাত, ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সজ্জিত মা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার অন্যতম ঐতিহ্যবাহী বোল্লা কালীপুজো (Kali Puja 2023)। রাস পূর্ণিমা তিথির পরের শুক্রবার এই রক্ষাকালী পুজো হয়। দক্ষিণ দিনাজপুরের সবথেকে বড় কালীপুজো বলে পরিচিত বোল্লা কালী। এছাড়া বলিদান প্রথাও রয়েছে। শুধু উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নয়, দক্ষিণবঙ্গ, এমনকি রাজ্যের বাইরে বিভিন্ন রাজ্য থেকেও পুণ্যার্থীরা আসেন অংশগ্রহণ করার জন্য। শুক্রবার শুরু হয় এই পুজো, শেষ হয় রবিবার। উদ্যোক্তা থেকে শুরু করে স্থানীয় প্রশাসন, সকলেই মনে করছেন, এবার রেকর্ড সংখ্যক দর্শনার্থীর উপস্থিতি ঘটবে। পুজোকে কেন্দ্র করে কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য বিশাল পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বোল্লা মন্দির চত্বরে। পাশাপাশি সিসিটিভি লাগানো রয়েছে পুজো প্রাঙ্গণ জুড়ে।

    কোথায় এই মন্দির?

    বালুরঘাট-মালদা ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের বোল্লা বাস স্ট্যান্ড থেকে প্রায় ২ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত বোল্লা কালীমন্দির (Kali Puja 2023)৷ রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবারে এই মন্দিরের পুজোকে কেন্দ্র করে চারদিন ব্যাপী বিরাট মেলার আয়োজন হয়ে থাকে৷ মেলায় হিন্দুরা ছাড়াও অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও অংশ নেন। মেলা প্রাঙ্গণের ঠিক সামনেই মুসলিমদের কবরস্থান থাকলেও তা নিয়ে কখনও কোনও তরফ থেকে আপত্তি বা অভিযোগ ওঠেনি। হিন্দু-মুসলিম-দুই ধর্মের পবিত্র দুটি স্থান পাশাপাশি অবস্থানের এই নজিরকে সম্মান দিয়ে কবরস্থানের নাম রাখা হয়েছে “সম্প্রীতি”৷

    বয়স তিনশো বছরেরও বেশি

    জেলায় জনশ্রুতি রয়েছে যে আগে এই এলাকার জমিদার ছিলেন বল্লভ মুখোপাধ্যায়৷ তাঁর নাম অনুসারেই জায়গাটির নাম হয়েছে বোল্লা। আজ থেকে কয়েকশো বছর আগে এলাকারই এক মহিলা স্বপ্নাদেশে কালো একটি পাথরখণ্ড কুড়িয়ে পেয়ে সেটিকে প্রথম মাতৃরূপে পুজো শুরু করেছিলেন। বিভিন্ন নথিপত্রে ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির আমলেও এই বোল্লা কালীর পুজোর উল্লেখ পাওয়া যায়। যা থেকে খুব সহজেই এই মেলার বয়স তিনশো বছরেরও বেশি বলে জানা যায়। পুজো সম্পর্কে নানান যে জনশ্রুতি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম মুরারিমোহন চৌধুরী নামের জমিদার৷ তিনি ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সঙ্গে মামলায় জড়িয়ে গিয়েছিলেন। বোল্লা কালীর কাছে মানত করে ওই মামলায় তিনি জয়লাভ করলে সেই বছর থেকে রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার তিনি ঘটা করে এই পুজো (Kali Puja 2023) শুরু করেন বলে জানা যায়। সুতরাং ইস্ট-ইন্ডিয়া কোম্পানির সময়কালের কথা উঠতেই মেলার বয়স যে সাড়ে তিনশো বছরেরও বেশি, তা স্পষ্ট হয়ে যায়৷

    সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা

    এবছর শতাব্দীপ্রাচীন বোল্লা মেলার মূল আকর্ষণ সাড়ে সাত হাতের রক্ষাকালী প্রতিমা (Kali Puja 2023)। সোনা ও রুপোর অলঙ্কারে সেজে উঠেছেন মা। সেই তালিকায় রয়েছে প্রায় দু’ কেজির বেশি ওজনের গলার হার, কারুকার্যময় অপর একটি গলার মালা, দেড় কেজি ওজনের হাতের খড়্গ। মায়ের হাতের গোটা খড়্গ সোনার। দুই হাতে চুর, চিক, কানপাশা, মাথার টিকলি, বাজুবন্ধ। রুপোর অলঙ্কারের মধ্যে থাকছে কোমরের বিছা, পায়ের নূপুর সহ আরও বিবিধ। সব মিলিয়ে প্রায় ২৩ কেজি সোনা ও রুপোর অলঙ্কার। এবার নতুন অলঙ্কার হিসেবে থাকছে ভক্তের দেওয়া হিরের আংটি।

    সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো

    এই বিষয়ে বোল্লা মন্দিরের মুখ্য পুরোহিত অরূপ চক্রবর্তী বলেন, আমাদের এই বোল্লা পুজো (Kali Puja 2023) খুবই জাগ্রত। রাস পূর্ণিমার পরের শুক্রবার বোল্লা মায়ের পুজো হয়। পুজোর দিন ভোরে মঙ্গল আরতির মধ্যে দিয়ে মাকে জাগানো হয়। সকাল ৬ টার পর থেকে পুণ্যার্থীদের ভোগ দেওয়া শুরু হয়, যা সারাদিন চলে। রাত ১০ টায় মায়ের ঘট ভরানো হয়। রাত ১১ টা থেকে পুজো শুরু হবে। সারারাত ব্যাপী চলবে দেবীর পুজো। তার মাঝে চণ্ডী পাঠ হয়। তবে গত বছর প্রবেশের ক্ষেত্রে জিগজাগ পদ্ধতি করা হয়েছিল। সে ক্ষেত্রে ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়েছিল ভক্তদের। যে দিকটি এবারে বিশেষ লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    South 24 Parganas: আইনশৃঙ্খলার ভয়াবহ অবনতি! অবৈধ সম্পর্কের জেরে গুলি চালিয়ে দিলেন তৃণমূল কর্মী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গভীর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ক্যানিংয়ে চলল গুলি! বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক মহিলাকে গুলি চালানোর অভিযোগ এলাকারই এক তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। ওই তৃণমূল কর্মীর নাম ভোলা প্রসাদ। ইতিমধ্যেই তাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা (South 24 Parganas)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে এই মহিলার সাথে অবৈধ সম্পর্ক ছিল ওই তৃণমূল কর্মীর। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তাদের মধ্যে কোনও এক বিষয় নিয়ে বচসা হয়। আর তারপর সেই বচসা জেরেই ওই তৃণমূল কর্মী নিজের কাছে আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে মহিলাকে গুলি করে বলে অভিযোগ ওঠে। গুলিতে আহত হয় ওই মহিলা। রক্তাক্ত অবস্থায় প্রথমে নিয়ে আসা হয় ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে। সেখানে চিকিৎসকরা রেফার করেন কলকাতা মেডিক্যাল হাসপাতালে। সূত্রে জানা গিয়েছে, তার পেটে গুলি লেগেছে। ইতিমধ্যে এই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে ক্যানিং থানার পুলিশ।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    স্থানীয় (South 24 Parganas) এক তৃণমূল নেতা গুলি চালানোর ঘটনা প্রসঙ্গে বলেন, “ঠিক কোন জায়গায় এই গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে সেই কথা আমি জানি না। তবে একজন মহিলার সঙ্গে ভোলার একটা সম্পর্ক ছিল। শুনেছি মহিলার টাকাপয়সার চাহিদা ছিল প্রচুর পরিমাণে। অনেক জায়গায় ঘুরতে যেতে চাইত, হোটেলে যেতে চাইত। হয়তো আরও বেশি বেশি টাকার দাবি করেছিল। তবে ভোলা প্রসাদের সঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। পাড়ার ছেলে হিসাবে তৃণমূল করত ভোলা। কিন্তু এর থেকে বেশি আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক নেই।”

    পুলিশের বক্তব্য

    ক্যানিং পুলিশ (South 24 Parganas) সূত্রে খবর, রাত ১২ টার সময় গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছিল। গুলি করছে ভোলা প্রসাদ নামক ৪৩ বছরের এক ব্যক্তি। সেই সঙ্গে গুলিতে আক্রান্ত হয়েছে ২৩ বছরের মাহিলা। তবে তাদের মধ্যে কী সম্পর্ক, তা নিয়ে তদন্ত শুরু করছে পুলিশ। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে একটাই গুলি লেগেছে ময়নার পেটে, অবস্থা বেশ আশঙ্কা জনক। পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভোলা প্রসাদ সম্পর্কে আগেও অপরাধের অভিযোগ জমা পড়েছিল থানায়। ফলে এই বিষয় নিয়ে এখন আরও বিস্তৃত তদন্ত চলছে। ভোলা এখন পুলিশের হেফাজতে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ABVP: দিল্লিতে এবিভিপির জাতীয় সম্মেলন, ৩ যুব আইকন পাবেন ‘যশবন্তরাও কেলকর পুরস্কার’

    ABVP: দিল্লিতে এবিভিপির জাতীয় সম্মেলন, ৩ যুব আইকন পাবেন ‘যশবন্তরাও কেলকর পুরস্কার’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ছাত্র সংগঠন অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (ABVP) ৬৯তম সর্বভারতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে চলতি বছরে দিল্লিতে। জানা গিয়েছে, ৭ ডিসেম্বর থেকে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে, চলবে ১০ ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রতিবছরই এবিভিপি তাদের সর্বভারতীয় সম্মেলনে প্রফেসর ‘যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার’ প্রদান করে। প্রসঙ্গত, যশবন্তরাও কেলকর ছিলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক এবং অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের অন্যতম স্থপতি। তাঁর সম্মানে সমাজ ও দেশের কাজে অবদান রাখা যুবদের এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। চলতি বছরের ‘যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে হাজির থাকবেন সাংবাদিক রজত শর্মা। ২০২৩ সালে পুরস্কার প্রাপকদের জন্য এবিভিপি (ABVP) নেতৃত্বের তরফে বাছা হয়েছে তিনজনকে। তাঁরা হলেন শ্রী শরদ বিবেক সাগর, সুশ্রী লাহারি বাঈ পডিয়া এবং বৈভব ভান্ডারি। প্রত্যেকের হাতেই তুলে দেওয়া হবে ১ লক্ষ টাকা নগদ পুরস্কার, শংসাপত্র এবং স্মারক। ১৯৯১ সাল থেকে দেওয়া হয় ‘যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার’।

    বিহারের শরদ বিবেক সাগর

    বিহারের ছোট্ট গ্রাম জিরাদেই-এর বাসিন্দা শরদ বিবেক সাগর। ছোট থেকেই রামকৃষ্ণ-বিবেকানন্দ ভাবধারায় অনুপ্রাণিত শরদ সমাজের জন্য কিছু কাজ করার কথা চিন্তা করেন। এর পরেই তিনি প্রতিষ্ঠা করেন Dexterity Global. তাঁর এই সংস্থার মাধ্যমে তিনি নিম্নবিত্ত পরিবারের ছাত্রদের কোচিং করান এবং প্রশিক্ষণ দেন। বর্তমানে কাজের পরিধিতে প্রায় ৭০ লাখ যুব নাগরিকের কাছে পৌঁছাতে পেরেছে তাঁর এই সংস্থা। দেশ বিদেশের প্রায় ৫০০-এর বেশি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাঁর ছাত্র-ছাত্রীরা স্কলারশিপও পেয়েছেন। চলতি বছরে তিনি ‘যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার’ (ABVP) পাচ্ছেন। 

    মধ্যপ্রদেশের সুশ্রী লাহারি বাঈ পডিয়া

    মধ্যপ্রদেশের দিন্দোই জেলা থেকে সুশ্রী লাহারি বাঈ পডিয়া চলতি বছরের ‘যশবন্তরাও কেলকর যুবা পুরস্কার’ (ABVP) পাচ্ছেন।  তাঁর কাজ মূলত বাজরা জাতীয় শস্যের ওপর। তাঁকে ‘মিলেট অ্যাম্বাসাডর’ বলেও অভিহিত করা হয়। স্বাস্থ্যের উপর কাজ করা এই সমাজকর্মী দিকে দিকে বার্তা ছড়িয়ে দেন পরিবেশ রক্ষার, সুস্বাস্থ্য এবং নিত্যদিনের ডায়েটের বিষয়ে। চলতি বছরের ১২ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাঁর কাজের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে মিলেছে পুরস্কারও। ‘মিলেট কুইন’ নামেও পরিচিত তিনি। ১৫০-এরও বেশি বাজরার বীজ ব্যাঙ্কের মালিক তিনি।

    রাজস্থানের বৈভব ভান্ডারী 

    অন্যদিকে রাজস্থানের পালির বাসিন্দা বৈভব ভান্ডারী আইনের রিসার্চ স্কলার। দিব্যাঙ্গদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানোর উপর কাজ করেন তিনি। এর পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাতে তাঁর কাজের জন্য ২০০৭ সালে রাজস্থান সরকারের কাছ থেকে মিলেছে পুরস্কার। রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর হাত থেকেও জাতীয় স্তরের পুরস্কার নিয়েছেন তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: ‘‘বিএসএফের কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন’’, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন অমিত শাহ

    BSF: ‘‘বিএসএফের কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন’’, প্রতিষ্ঠা দিবসে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের ৫৯তম প্রতিষ্ঠা দিবসে শুক্রবার ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগে একটি অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। সেখানে তিনি বলেন, ‘‘বিএসএফের (BSF) কারণেই দেশবাসী শান্তিতে ঘুমোতে পারেন।’’  তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘ আমাদের দেশবাসী কখনও উদ্বিগ্ন হয় না কারণ তারা জানে সীমান্তকে সুরক্ষিত রাখে বিএসএফ। পাকিস্তান বর্ডার হোক অথবা বাংলাদেশ বর্ডার। সবটাই বিএসএফের আওতায় আসে। যখনই শত্রুপক্ষ অনুপ্রবেশ করতে চায় তখনই সীমান্তে একটা টেনশনের পরিবেশ তৈরি হয়। কিন্তু বিএসএফের (BSF) জওয়ানরা জানিয়ে দেন যে আপনারা শান্তিতে ঘুমোন আমরা আছি।’’

    যতক্ষণ পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই

    অমিত শাহ আরও বলেন, ‘‘যতক্ষণ পর্যন্ত সীমান্তে নিরাপত্তারক্ষীরা রয়েছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত কারও উদ্বিগ্ন হওয়ার প্রয়োজন নেই। আমি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আপনাদের (বিএসএফ) কাজে গর্বিত। আমি আপনাদের বলতে চাই যে সারা দেশে আমাকে ভ্রমণ করতে হয়। সারা দেশেই আপনাদেরকে নিয়ে গর্বিত এবং আমাদের সাহসী জওয়ানদের দেশবাসী স্যালুট জানায়।’’ এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ভাষণে উঠে আসে জি২০ প্রসঙ্গ এবং চন্দ্রযান-৩ মিশনও। তিনি জানান এগুলি সাফল্যের সঙ্গে সম্পন্ন হতে পেরেছে, কারণ আমাদের সীমান্ত সুরক্ষিত রয়েছে বিএসএফের (BSF) হাতে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতে, ‘‘একটি দেশ কখনই উন্নত হতে পারে না এবং সমৃদ্ধ হতে পারে না যতক্ষণ তার বর্ডার অসুরক্ষিত থাকে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিজীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলেছে প্রতিটি ক্ষেত্রে। এক্ষেত্রে বলা যায় যে বিএসএফই হল ভারতবর্ষের উন্নয়নের ভিত্তি। কারণ তারা সীমান্তকে সুরক্ষিত রেখেছে।’’

    প্রতিষ্ঠা দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী মোদি

    বর্তমানে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগ দিতে দুবাইয়ে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। নরেন্দ্র মোদি এদিন বিএসএফের (BSF) প্রতিষ্ঠা দিবসে ট্যুইট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    Purba Bardhaman: জলে আর্সেনিক, ট্যাপে জল আসে না, তৃণমূলের রাজত্বে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের শাসনে পানীয় জলে আর্সেনিকের সমস্যায় কঠিন অবস্থার মধ্যে রয়েছে এলাকার মানুষ। পূর্ব বর্ধমান (Purba Bardhaman) পূর্বস্থলীর মাদ্রাস গ্রামে টাকা খরচ করে পাম্প বসিয়েও সেই জল খেতে পারছেনা এলাকার মানুষ। বাধ্য হয়েই গত কয়েক বছর ধরে ভরসা কেনা জল। আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অভাবী পরিবার দূর থেকে পানীয় জল এনে কাজ চালাচ্ছে বাসিন্দারা। আর্সেনিক প্রবণ গ্রামে এই ভাবেই পানীয় জলের সমস্যায় বছরের পর বছর কাটাচ্ছে কয়েকশো গ্রামবাসী।

    এলাকাবাসীর বক্তব্য (Purba Bardhaman)

    পানীয় জলের সমস্যার কথা জানিয়ে স্থানীয় (Purba Bardhaman)  বাসিন্দা আনন্দ রায় বলেন, “মাটির নিচের পাইপ থেকে জল সংগ্রহ করে সেই জল পান করতাম আমরা। এরপর বাড়ির সকলেই আর্সেনিক আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। আর্সেনিকের বিষের ছোবলে প্রাণ হারিয়েছেন আমার পরিবারের 8 জন। গত পাঁচ বছর ধরে আমাদের কলে জল পড়ে না। এলাকার মানুষের জলের সমস্যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হচ্ছে না।”

    ২০০৩ সালে ট্যাপ দিলেও জল পড়ে না

    পূর্বস্থলীর (Purba Bardhaman) দোগাছিয়া পঞ্চায়েতের আর্সেনিক প্রবণ মাদ্রাগ্রামে স্থানীয় পঞ্চায়েত ও পিএইচই দপ্তর থেকে বাড়ি বাড়ি আর্সেনিক মুক্ত পরিশ্রুত জলের ট্যাপ কল দেওয়া হয়েছিল ২০০৩ সালে। এলাকার মানুষের অভিযোগ, পাঁচ বছর আগে থেকেই সেই ট্যাপ কলে জল পড়ছে না। পঞ্চায়েত ও প্রশাসনকে বহুবার জানানো হলেও মিলেছে কোনও রকম সমাধান সূত্র। শুধু প্রতিশ্রুতিই সার। সমস্যার সমাধানে প্রশাসন একেবারেই নিষ্ক্রিয়।। তাই দিন দিন পানীয় জলের দাবিতে ক্ষোভ বাড়ছে আর্সেনিক প্রবণ এই মাদ্রা গ্রামের গ্রামবাসীদের।

    তৃণমূলের বক্তব্য

    যদিও এলাকার (Purba Bardhaman) পঞ্চায়েতের উপপ্রধান পানীয় জল সমস্যার কথা স্বীকার করে বলেন, “জলের পয়েন্ট বেড়ে যাওয়ায় বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছাচ্ছে না। তবে দ্রুত সমস্যার কথা সমাধান করার চেষ্টা করবো।”

    বিজেপির বক্তব্য

    পূর্ব বর্ধমান জেলার (Purba Bardhaman) বিজেপি সভাপতি গোপাল চট্টোপাধ্যায় বলেন, “তৃণমূলকের কাজ হল পাম্প বসিয়ে টাকা খরচের হিসাব দেখিয়ে কাটমানি খাওয়া। এবার নলে জল আসুক আর না আসুক দেখতে যায় না তৃণমূল। রাজ্যে চোরেদের শাসন চলছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share