Author: user

  • National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    National Flag: পরাধীন ভারতেও বাংলায় উত্তোলিত হয়েছিল জাতীয় পতাকা! কোন জেলায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারতবর্ষের স্বাধীনতা সংগ্রামের এত রোমহর্ষক কাহিনী আছে যে, সেগুলির অধিকাংশই আমাদের অজানা। বলা বাহুল্য, ২০০ বছরের ব্রিটিশ শাসনের বাঁধন ছিন্ন করে স্বাধীনতা অর্জন করা মোটেই কয়েক দিনের সংগ্রাম ছিল না। এর সঙ্গে জড়িয়ে ছিল রক্ত-ঘাম মিশে থাকা বহুদিনের সংগ্রাম। এই প্রতিবেদন এমনই এক কাহিনী নিয়ে, যা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় অনেকটাই ছাপ ফেলেছিল। আর এর সঙ্গে জড়িয়ে বীরভূমের দুবরাজপুর অঞ্চল (National Flag)।

    কী সেই স্বাধীনতা সংগ্রামের কাহিনী?

    বীরভূমের ইতিহাস থেকে জানা যায়, স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় এই জেলার দুবরাজপুরের মাটিতে দুটি দিন স্মরণীয় হয়ে আছে। ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট এবং সেই একই বছরের ১ লা সেপ্টেম্বর। কথিত আছে, এই দুটি দিনে পরাধীন ভারতে দেশের জাতীয় পতাকা (National Flag) উত্তোলন করা হয়েছিল দুবরাজপুর আদালতে। সেই সময় এই দুবরাজপুর আদালত ছিল মুন্সেফ কোর্ট। ইতিহাসের পাতা ঘেঁটে জানা যায়, দুবরাজপুরের এই তৎকালীন মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা তোলা হয়েছিল ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ২৮ শে অগাস্ট। সেই সময় সৌরেন্দ্রনারায়ণ সেন এবং শ্রীপতি পাতর-এর নেতৃত্বে প্রায় ৫০০ জন মিছিল করে এই মুন্সেফ কোর্ট এবং ডাকঘরে উপস্থিত হন, শুরু হয় বিশাল আন্দোলন। আবার প্রচলিত কিছু কাহিনী থেকে জানা যায়, ওই একই বছরের ১ সেপ্টেম্বর মুন্সেফ কোর্টে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছিল। এ নিয়ে দ্বিমত থাকলেও এই দুটি দিনই স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এক আলাদা নজির স্থাপন করেছিল।

    কী ঘটেছিল সেদিন? (National Flag)

    প্রচলিত নানা তথ্য এবং বিশেষজ্ঞদের থেকে জানা যায়, দুপুর বারোটার সময় প্রায় ৫০০ জন স্বাধীনতা সংগ্রামী মিছিল করে দুবরাজপুর থানার সামনে বন্দেমাতারাম স্লোগান সহ জমায়েত করেন এবং শুরু হয় আন্দোলন। পরে তাঁরা পৌঁছে যান দুবরাজপুরের মুন্সেফ কোর্ট প্রাঙ্গনে। এখানে তাঁরা ভাঙচুর করেন এবং ভিতরে প্রবেশ করে আগুন লাগিয়ে দেন, কাগজপত্র, নানা নথি, চেয়ার, টেবিল পুকুরে ফেলে দেন। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়। ২৫ জনকে কড়া শাস্তি প্রদান করা হয়।

    সমগ্র ঘটনায় একজন স্বাধীনতা সংগ্রামীর নাম সব থেকে বেশি উঠে আসে, হারান খাঙ্গার। এই হারান খাঙ্গারেরও শাস্তি হয় এবং তাঁকে সেলুলার জেলে পাঠানো হয়। এখনও সেখানে তাঁর নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে। তিনি ছাড়াও আরও কয়েকজন স্বাধীনতা সংগ্রামী তৎকালীন বীরভূমে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের ভিতকে দুর্বল করে দিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম পতিত চ্যাটার্জি, শক্তিনাথ মুখোপাধ্যায়, শম্ভুনাথ কবিরাজ প্রমুখ। এই সবই বীরভূম জেলার স্বাধীনতা সংগ্রামের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বলেই জানা যায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sourav Ganguly Biopic: মহারাজের বায়োপিকে দেখা যাবে আয়ুষ্মান খুরানাকে? চলছে জল্পনা

    Sourav Ganguly Biopic: মহারাজের বায়োপিকে দেখা যাবে আয়ুষ্মান খুরানাকে? চলছে জল্পনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বায়োপিক নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরেই (Sourav Ganguly Biopic)। দু’বছর ধরেই শোনা যাচ্ছে এটি নাকি নির্মাণ হতে চলেছে। তবে মহারাজের ভূমিকায় পর্দায় কাকে দেখা যাবে, তা নিয়েও হয়েছে বিভিন্ন সময়ে নানা জল্পনা! ইতিমধ্যে অনেক তারকার নামই উঠে এসেছিল। তবে তাঁরা প্রকাশ্যেই তা অস্বীকার করেছেন। অভিনেতাদের মধ্যে সব থেকে চর্চায় উঠে এসেছিল রণবীর কাপুরের নাম। এছাড়াও তালিকায় ছিলেন হৃত্বিক রোশনও। কিন্তু এর কোনওটাই আর শেষ পর্যন্ত হয়নি। ইতিমধ্যে একটি নাম নিয়ে ফের গুঞ্জন শুরু হয়েছে, তা হল আয়ুষ্মান খুরানা (Sourav Ganguly Biopic)।

    ভালো ক্রিকেট খেলেন আয়ুষ্মান

    জানা গিয়েছে, বলিউডের এই অভিনেতা এমনিতে বেশ ভালো ক্রিকেট খেলেন। মহারাজের ভূমিকায় অভিনয় করতে ক্রিকেট খেলাটাও একটা অন্যতম শর্ত। হৃত্বিকদের বাদ দিয়ে এবার আয়ুষ্মান খুরানার নামই শোনা যাচ্ছে মহারাজের ভূমিকায়। তবে এ নিয়ে কোনওরকম আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এখনও পর্যন্ত হয়নি। কিন্তু একটি ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে আয়ুষ্মান খুরানার তরফ থেকে। যেখানে অভিনেতা বলছেন, ‘‘বরাবরই অভিনয় জীবনে ক্রিকেটারের চরিত্রে অভিনয় করার ইচ্ছে ছিল। খুব শীঘ্রই সে ইচ্ছে পূরণ হতে চলেছে।’’ এতেই বেড়েছে জল্পনা। প্রসঙ্গত, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বাংলা টেলিভিশনে একটি জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘দাদাগিরি’ রিয়েলিটি শো-এর সঞ্চালক। এখানেও একাধিকবার ওঠে মহারাজের বায়োপিকের প্রসঙ্গ। সে নিয়ে মন্তব্যও করতে শোনা যায় মহারাজকে। আবার এই শো-তে অংশগ্রহণ করেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায়ও। তিনিও সৌরভের বায়োপিক (Sourav Ganguly Biopic) নিয়ে মুখ খোলেন।

    শোনা যাচ্ছে নেট প্রাকটিস করছেন আয়ুষ্মান

    অন্যদিকে, বলিউডের অন্দরের খবর, চলতি বছরের এক মাস বাকি। এখন থেকেই ব্যাটিং প্র্যাকটিস শুরু করে দিয়েছেন খুরানা। রাত-দিন তাঁর নেট প্রাকটিস চলছে। খুব শীঘ্রই মহারাজের (Sourav Ganguly Biopic) সঙ্গে দেখা করার কথাও রয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে। আপাতত অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দাদার ভক্তরা। কবে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে মহারাজের বায়োপিক তৈরির কাজ। মাঠের মহারাজের ব্যাটিং, পর্দায় কবে দেখা যাবে, সে নিয়েই চলছে জোর চর্চা। প্রসঙ্গত, শচীন তেন্ডুলকরের বায়োপিক ইতিমধ্যে মুক্তি পেয়েছে। মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিক সামনে আসে ২০১৬ সালেই। এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়ের বায়োপিক (Sourav Ganguly Biopic) দেখার জন্য উদগ্রীব জনতা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    Pancreatic Cancer: সকালের জলখাবার এড়িয়ে একেবারে লাঞ্চ? জানেন, কী বিপদ ডেকে আনছেন?  

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    পেটে মাঝেমধ্যে যন্ত্রণা। ওষুধ না খেলেও কমে যায়। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই মাঝেমধ্যে হতে থাকা যন্ত্রণা হঠাৎ ভোগান্তি বাড়ায়। অসহ্য যন্ত্রণা, বমি, রক্তপাতের মতো নানান উপসর্গ দেখা দেয়। কিন্তু চিকিৎসকের কাছে গিয়ে রোগ পরীক্ষা করে অধিকাংশ সময়েই জানা যায়, রোগ নির্ণয়ে অনেকটা দেরি হয়ে গিয়েছে। অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এমন ঘটনা ঘটছে বলে জানাচ্ছেন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা। 
    নভেম্বর মাস প্যানক্রিয়েটাইটিস ক্যান্সার সচেতনতা মাস। ক্যান্সার চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, ভারতে বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার (Pancreatic Cancer)। জীবন যাপনের একাধিক বদল এই রোগের ঝুঁকি বাড়াচ্ছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তবে, এই রোগের জটিলতা বাড়াচ্ছে অসচেতনতা। তাঁরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রোগী উপসর্গ অবহেলা করেন। ফলে, যখন চিকিৎসা শুরু হয়, তখন অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। তাই সতর্কতা আর সচেতনতা, এই দুই দাওয়াই রুখতে পারে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার।  

    কেন বাড়ছে অগ্নাশয়ের ক্যান্সার? (Pancreatic Cancer) 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ার অন্যতম কারণ, অনিয়মিত খাদ্যাভ্যাস। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, খাবার খাওয়ার সময়ের ব্যবধান বাড়ছে। তরুণ প্রজন্মের অনেকেই সকালের জলখাবার এড়িয়ে যাচ্ছেন। ভারী খাবার খাচ্ছেন না। দুপুরে লাঞ্চ করছেন। আর অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সেই লাঞ্চের মেনুতে থাকছে কোনও রেস্তোরাঁর খাবার। দীর্ঘ ব্যবধানে এই খাবার অত্যন্ত অস্বাস্থ্যকর বলেই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই ধরনের দীর্ঘ ব্যবধানে খাওয়ার জেরে দেহে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। পাশপাশি হজমের লাগাতার গোলমাল হয়। এর জেরেই অন্ত্রে নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ে (Pancreatic Cancer)। 
    এর পাশপাশি, কী খাওয়া হচ্ছে, সে দিকে নজর না দিলে সমস্যা আরও বাড়বে। কারণ, অতিরিক্ত সময়ের ব্যবধানে তেলমশলা জাতীয় খাবার কিংবা প্রসেসড খাবার খেলে পাকস্থলী, অন্ত্রে আরও ক্ষত তৈরি করে। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, খালি পেটে বিরিয়ানি, মোগলাই, চাইনিজ খাবার অতিরিক্ত খেলে হজমের সমস্যা তৈরি করে। পাশপাশি বার্গার, হটডগ, পিৎজার মতো প্রসেসড খাবার খেলে অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কারণ, এই ধরনের খাবারে এমন কিছু রাসায়নিক দেওয়া থাকে, যা শরীরের জন্য ক্ষতিকর। 
    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যাচ্ছে, সব্জি, কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন খাবারের মধ্যে সমতা নেই। সবুজ সব্জিতে থাকে ফাইবার, ভিটামিন, পটাশিয়াম সহ একাধিক উপাদান। যেগুলো অগ্নাশয় সুস্থ রাখতে বিশেষ সাহায্য করে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণ ফল এবং সব্জি না খেলে সমস্যা বাড়তে পারে। পাশাপাশি অতিরিক্ত প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়া অগ্নাশয়ের জন্য ভালো নয় বলেও জানাচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। 
    পাশপাশি মদ্যপানের প্রবণতা বাড়ছে বলেও জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, অনেকেই নিয়মিত মদ্যপান করেন। অতিরিক্ত মাত্রায় নিয়মিত মদ্যপান অগ্নাশয়ের জন্য ক্ষতিকর। ক্যান্সারের ঝুঁকি কয়েকগুণ বাড়িয়ে দেয়। 

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা? (Pancreatic Cancer)

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্বাস্থ্যকর জীবন যাপন কমাতে পারে ক্যান্সারের ঝুঁকি। তাই মদ্যপান এড়িয়ে চলতে হবে। কারণ, অ্যালকোহল অগ্নাশয়ের ক্যান্সারের বাড়তি ঝুঁকি তৈরি করে। 
    পাশপাশি চিকিৎসকদের পরামর্শ, খাবারের মাঝে সময়ের ব্যবধান কমাতে হবে। নিয়মিত নির্দিষ্ট সময়ে খেতে হবে। এতে হজমের সমস্যা কমবে। পাকস্থলী, অন্ত্র এবং অগ্নাশয় সুস্থ থাকবে। ফলে, যে কোনো রকম রোগ (Pancreatic Cancer) মোকাবিলা সহজ হবে। তাই পুষ্টিবিদদের পরামর্শ, সকালের জলখাবার কোনও ভাবেই এড়ানো যাবে না। নিয়মিত সকালে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া দরকার, ডিম, দুধ, রুটি, সব্জি, খিচুড়ি, কর্নফ্লেক্সের মতো খাবার জলখাবারের মেনুতে রাখতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অন্তর খাওয়া অনিয়মিত হলে সঙ্গে রাখতে হবে ফল, ড্রাই ফ্রুটস। যাতে পেট ভর্তি থাকে। খেজুর, কিসমিস, পেস্তা, আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন পুষ্টিবিদদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, যাদের কাজের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে সবসময় খাওয়া সম্ভব হয় না, তাঁরা সঙ্গে এই জাতীয় ফল ও ড্রাই ফ্রুটস রাখতে পারেন। 
    পাশপাশি বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। অতিরিক্ত তেলমশলা জাতীয় প্রসেসড খাবার নানান রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তাই বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, ক্যান্সারের মতো রোগের ঝুঁকি কমাতে এই ধরনের খাবার এড়ানো দরকার। নিয়মিত বাড়ির তৈরি কম তেলমশলার খাবার মেনুতে রাখতে হবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    CBI: তৃণমূল বিধায়কের বাড়ির পিছনে দুটি ব্যাগ পেল সিবিআই, কী রয়েছে তাতে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহার বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি চালানোর সময় পিছনের পুকুরে দুটি মোবাইল ফেলে দিয়েছিলেন স্বয়ং বিধায়ক। মেশিন লাগিয়ে পুকুরের জল মেরে মোবাইল বাজেয়াপ্ত করেছিল সিবিআই (CBI)। এর সাক্ষী ছিলেন রাজ্যবাসী। সেই ঘটনার কয়েক মাসের মধ্যেই আবার সেই মুর্শিদাবাদ জেলায় হানা দিল সিবিআই। এবার প্রাইমারি স্কুলে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য ঘনিষ্ঠ তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে হানা দিল সিবিআই। এবার তৃণমূল বিধায়কের বাড়ি থেকে মিলল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

    বাড়়ির পিছনে মিলল নথি বোঝাই দুটি ব্যাগ! (CBI)

    ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়ির পিছনে মিলল নথিবোঝাই দু’টি ব্যাগ। কী রয়েছে নথিতে, এখন তা-ই পরীক্ষা করে দেখছেন সিবিআইয়ের (CBI) তিন তদন্তকারী আধিকারিক। জানা গিয়েছে, এদিন সকালে প্রথমে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে বিধায়কের বাড়ি ঘিরে ফেলা হয়। সিবিআইয়ের চারজন আধিকারিক বাড়ির ভিতরে ঢুকে পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের বয়ান রেকর্ডও করা হয় বলে স্থানীয় সূত্রে দাবি। কিছুক্ষণ পর দেখা যায়, সিবিআইয়ের তিন আধিকারিক বিধায়কের বাড়ির গ্যারাজের পিছন দিকে যাচ্ছেন। সেখানে দু’টি ব্যাগ উদ্ধার করেন তাঁরা। সূত্রের খবর, ব্যাগে ভরা রয়েছে নথি। ওই নথি কিসের, তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছেন সিবিআই আধিকারিকরা। সে জন্য প্রতিটি নথি আলাদা আলাদা করে খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদের অন্তত চার জায়গায় সিবিআই তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। কেন, কোন মামলায় কেন্দ্রীয় এজেন্সির সাতসকালে অভিযান, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    বড়ঞায় সিবিআই হানা নিয়ে কী বললেন এলাকাবাসী?

    স্থানীয় সূত্রের খবর, এদিন সকাল সাড়ে ছ’টা নাগাদ কেন্দ্রীয় এজেন্সির একটি দল কেন্দ্রীয় বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে পৌঁছে যায় বড়ঞার কুলিতে এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসায়ী সুজল আনসারি ওরফে ঝন্টু শেখের বাড়িতে। সূত্রের খবর, ঝন্টু নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া কুন্তল ঘোষের ঘনিষ্ঠ। এ ছাড়াও তাপস মণ্ডল, জীবনকৃষ্ণ সাহা এবং মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গেও ঝন্টুর যোগাযোগ রয়েছে বলে খবর। স্থানীয় বাসিন্দারা এলাকায় ভিড় করেন। গাফ্ফর সেখ বলেন, ঝন্টু খুব খারাপ ছেলে। অনেক স্কুল করেছে। সিবিআই (CBI) হানা দেখতে এসেছি। আমরা চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    Recruitment Scam: জামিন পেয়েও ফের জেলে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন কর্তা কল্যাণময়, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়। বুধবারই শর্তসাপেক্ষে গ্রুপ-সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় (Recruitment Scam) কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে জামিন দেয়। তবে গ্রুপ সি মামলায় জামিন হলেও নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তাঁকে গ্রেফতারের আবেদন করেছিল সিবিআই। সেই আবেদন মঞ্জুর করে আলিপুর সিবিআই-এর বিশেষ আদালত। তাই জামিন পেয়েও বের হওয়া হল না কল্যাণময়ের। এদিন তাঁকে ফের জেলে যেতে হল।

    ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত জেলেই থাকছেন কল্যাণময়

    নবম-দশম নিয়োগ দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ৬ ডিসেম্বর রয়েছে। ততদিন পর্যন্ত জেল হেফাজতেই থাকতে হচ্ছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন প্রেসিডেন্টকে। এর পাশাপাশি তাঁর সঙ্গে জেলেই থাকবেন অশোক সাহা, সুব্রত সামন্তরাও। প্রসঙ্গত, নিজাম প্যালেসের (Recruitment Scam) সিবিআই এর দফতরে ২০২২ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয় নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রথমে তাঁকে তলব করে সিবিআই। দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদের পর তাঁর একাধিক বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। এরপরেই কল্যাণময়কে গ্রেফতার করে সিবিআই। অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগপত্রে সই করে তা শান্তিময়প্রসাদ সেনের কাছে কল্যাণময় পাঠাতেন বলে অভিযোগ। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এই অভিযোগেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের জুলাই মাসে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় গ্রেফতার হতেই, নিয়োগ দুর্নীতি মামলা প্রকাশ্যে আসে।

    কী কী শর্ত চাপানো হল কল্যাণময়ের ওপর? 

    এদিন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী এবং বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে জামিন দিলেও, তাঁকে তদন্তে সাহায্য (Recruitment Scam) করার নির্দেশও দিয়েছেন। তবে বেশ কিছু শর্ত চাপিয়েই কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়কে এদিন জামিন দেওয়া হয়। এগুলি হল, তাঁকে কলকাতা পুরসভার এলাকাতেই থাকতে হবে। বিধাননগর কমিশনারেট ও পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকায় কল্যাণময় প্রবেশ করতে পারবেন না। তাঁর যদি কোনও পাসপোর্ট থাকে তবে তা নিম্ন আদালতে জমা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    CBI: মুর্শিদাবাদে তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে সিবিআই, হানা কোচবিহারেও

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর সিবিআই। কলকাতার পাশাপাশি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে মুর্শিদাবাদ ও কোচবিহার জেলায় অভিযান চালাল সিবিআই (CBI)। ডোমকলের তৃণমূল বিধায়ক জাফিকুল ইসলামের বাড়িতে এদিন সিবিআই হানা দেয়। দীর্ঘদিন ধরেই জল্পনা ছিল, এই বিধায়কের বাড়ি সিবিআই হানা দিতে পারে। পাশাপাশি বড়ঞাতেও ঝন্টু শেখের বাড়িতে সিবিআই হানা দিয়েছে।

    মানিক ঘনিষ্ঠ বিধায়ক (CBI)

    সিবিআইয়ের (CBI) চারজন আধিকারিক তৃণমূল বিধায়কের বাড়িতে রয়েছেন। বাইরে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রয়েছে। আধিকারিকরা পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলছেন। বেশ কিছু নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ ছিলেন এই বিধায়ক। তিনি ডোমকল পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তাঁর একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে সিবিআই হানা দিতে পারে। প্রসঙ্গত, গরুপাচার মামলায় আগে জাফিকুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই।

    বড়ঞায় সিবিআই

    বৃহস্পতিবার সাত সকালে বড়ঞার কুলি চৌরাস্তার মোড়ে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত কুন্তল ঘোষ ‘ঘনিষ্ঠ’ ঝনটু শেখের বাড়িতে হানা দিয়েছেন সিবিআই (CBI) আধিকারিকরা। সেখানেই তাঁর বাড়ি। তিনি একটি বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক বলে জানা গিয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত বিষয়ে ঝন্টুর কী ভূমিকা রয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর কাছে বেশি নথি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কুন্তলের কাছে তথ্য পেয়ে তা যাচাই করতে কেন্দ্রীয় টিম এসেছে কি না, তা নিয়ে চর্চা চলছে।

    কোচবিহারেও হানা দিল সিবিআই

    নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই (CBI) হানা দিল কোচবিহারে দু’নম্বর ব্লকের রাজারহাটের টেঙর মারির বিএলএডুকেশনের টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। সকাল সকাল সিবিআই এর ৪টি গাড়ি নিয়ে বিশাল টিম তদন্ত করতে কোচবিহারের রাজারহাটের টেংর মারির ওই বিএড কলেজে হানা দেয়। জানা যায়, এই কলেজের মালিক রয়েছেন শ্যামল কর। তিনি প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে একাধিকবার অভিযোগ উঠেছিল। এছাড়াও এই কলেজের মালিক রয়েছেন সজল কর এবং শ্যামল কর সহ আরও দুই ভাই। পার্থ গ্রেফতার হওয়ার পর পরই শ্যামল গাঢাকা দিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gram Panchayat: প্রধান-উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Gram Panchayat: প্রধান-উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব দলেরই পঞ্চায়েত সদস্যরা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) গঠন হয়েছে এক বছরও হয়নি। এরই মধ্যে দলের প্রধান, উপ প্রধানের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমান জেলার গলসি-১ ব্লকের মানকর পঞ্চায়েতে। আর প্রকাশ্যে প্রধান, উপ-প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?(Gram Panchayat)

    প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, মানকর পঞ্চায়েতের আসন সংখ্যা ১৯। গত পঞ্চায়েত (Gram Panchayat) নির্বাচনে ১৮টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল। প্রধান ও উপ প্রধান হন যথাক্রমে তৃণমূলের ডালিয়া লাহা ও তন্ময় ঘোষ। দলের কয়েকজন পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের অভিযোগ, বোর্ড গঠন হওয়ার পর থেকেই তাঁদের কোনও কথার গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না। প্রধান ও উপ প্রধান নিজেদের মতো করে পঞ্চায়েত চালাচ্ছেন। পরিষেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন তাঁরা। পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য বাপ্পাদিত্য রায়, কল্যাণী পাত্র রায়দের অভিযোগ, মানুষজনকে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছে না। পঞ্চায়েতের সদস্য নিলু মালিক মণ্ডল, মাম রায়, মাম্পি মেটেদের বক্তব্য, পঞ্চায়েতের অনলাইন টেন্ডারের ক্ষেত্রেও স্বজনপোষণ করা হচ্ছে। নিজেদের পছন্দ মতো লোককে দরপত্র পাইয়ে দিতে অন্য ঠিকাদারদের হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ত্রিপল বিলিতেও রয়েছে নানা অনিয়ম। পঞ্চায়েত কার্যালয়ের পরিবর্তে উপ প্রধানের বাড়িতে রাখা হচ্ছে ত্রিপল। নিজের ইচ্ছে মতো মানুষকে সেই সব ত্রিপল বিলি করা হচ্ছে। প্রতিবাদ করতে গেলেই আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হচ্ছে। বিডিও-র কাছে অভিযোগও জানানো হয়েছে। গলসি-১ ব্লকের বিডিও জয়প্রকাশ মণ্ডল জানান, বিষয়টি তিনি খোঁজ নিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।

    প্রধান-উপ প্রধান কী সাফাই দিলেন?

    পঞ্চায়েতের (Gram Panchayat) প্রধান ডালিয়া লাহা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন। আসলে কয়েকজন সদস্য পঞ্চায়েতের কাজ ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। সব কাজ প্রত্যেক পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে আলোচনা করেই করা হয়। উপপ্রধান তন্ময় ঘোষও বলেন, দরপত্র নিয়ে কাউকে বাধা দেওয়া হয় না। যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও, একজন ঠিকাদার দরপত্র জমা দিয়েছিলেন। সেই কারণে ওই ঠিকাদারকে বাতিল করা হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Tunnel: প্রত্যেক শ্রমিক পাবেন ১ লাখ টাকা, ঘোষণা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    Uttarakhand Tunnel: প্রত্যেক শ্রমিক পাবেন ১ লাখ টাকা, ঘোষণা উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামি মঙ্গলবার উদ্ধারকাজের পর ঘোষণা করেন যে ৪১ জন শ্রমিককেই ১ লাখ টাকা করে আর্থিক পুরস্কার দেবে তাঁর সরকার (Uttarakhand Tunnel)। এর পাশাপাশি যে অস্থায়ী মন্দির সুড়ঙ্গের বাইরে স্থাপন করা হয়েছিল, যেখানে বসে পুজো করতে দেখা গিয়েছিল অস্ট্রেলীয় সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ আর্নল্ড ডিক্সকে, সেই মন্দিরটি পাকাপাকিভাবে এবার তৈরি করার কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, টানা ১৭ দিন সুড়ঙ্গে আটকে থাকার পর মঙ্গলবারই উদ্ধার করা হয় ৪১ জন শ্রমিককে।

    মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট বার্তা

    উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand Tunnel) মুখ্যমন্ত্রী এর জন্য উদ্ধারকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘‘আমি সেই সমস্ত ব্যক্তিকে ধন্যবাদ জানাতে চাই, যাঁরা এই উদ্ধার কাজে সামিল হয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদিও নিরবিচ্ছিন্নভাবে যোগাযোগ রেখেছিলেন আমাদের সঙ্গে। তিনি আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিলেন, সমস্ত শ্রমিকদের নিরাপদভাবে উদ্ধার করার। মোদিজির এই সমর্থন ছাড়া এ কাজ হয়তো সম্ভব ছিল না। বর্তমানে তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন যে শ্রমিকদের ভালো করে যেন চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়। তাদের যেন সমস্ত রকমের সুবিধার বন্দোবস্ত করে সরকার, সেই নির্দেশও দিয়েছে প্রধানমন্ত্রী।

    অস্থায়ী মন্দির পুনর্গঠন

    মঙ্গলবার সুড়ঙ্গের (Uttarakhand Tunnel) বাইরে একটি অস্থায়ী মন্দিরে পুজো করতে দেখা গিয়েছিল আর্নল্ড ডিক্সকে। সেখানে বসে শ্রমিকদের জন্য মঙ্গল কামনা করেন অস্ট্রেলিয়ার এই সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ। ওই অস্থায়ী মন্দিরে এর আগে প্রার্থনা করতে দেখা গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামিকেও। ক্রমশই আটকে পড়া শ্রমিকদের পরিবার, উদ্ধারকারী দল এবং প্রশাসনের কাছে ওই মন্দির আস্থা ও ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠে। উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হওয়ার পরে ওই মন্দিরকে সরিয়ে ফেলতে চায়নি উত্তরাখণ্ড প্রশাসন (Uttarakhand Tunnel)। মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেছেন যে ওই মন্দিরকে পুনর্গঠন করা হবে। প্রসঙ্গত গত সপ্তাহের শুক্রবার ভেঙে পড়ে অগার মেশিন। এর পরে বিকল যন্ত্রাংশ বের করা হয় সোমবার সকালে। তারপরেই ম্যানুয়াল ড্রিলিং অর্থাৎ হাতে করে শাবল, গাঁইতি নিয়ে গর্ত শুরু করতে শুরু করেন উদ্ধারকারীরা। এতেই মেলে সাফল্য।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Cyclone Michaung: শক্তিশালী সাইক্লোনের রূপ নেবে ‘মিগজাউম’! শনি-রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

    Cyclone Michaung: শক্তিশালী সাইক্লোনের রূপ নেবে ‘মিগজাউম’! শনি-রবিবার বৃষ্টির সম্ভাবনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে তৈরি হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় মিগজাউম (Cyclone Michaung)। আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই আমূল বদলে যাবে আবহাওয়া, পূর্বাভাস মৌসম ভবনের। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গভীর নিম্নচাপটি আগামী শুক্রবারের মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। হাওয়া অফিসের তরফে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের জেরে বৃহস্পতিবার থেকেই আন্দামান ও নিকোবর দ্বীপপুঞ্জের অধিকাংশ অঞ্চলে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ শুরু হবে। যদিও ঘূর্ণিঝড়ের পরিস্থিতি তৈরি হলে এ রাজ্যে তার প্রভাব কতটা পড়বে বা কতটা ঝড়বৃষ্টি হবে, সে ব্যাপারে এখনই নিশ্চিত নন আবহবিদেরা। তবে নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী কয়েক দিন দক্ষিণবঙ্গের আকাশ মেঘলা থাকবে।

    ঘূর্ণিঝড়ের গতিপথ

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Michaung) রুট এবং সর্বোচ্চ গতি নিয়ে আবহাওয়াবিদদের মধ্যেই মতপার্থক্য রয়েছে। একদল বিজ্ঞানীদের অনুমান, তামিলনাড়ু উপকূলের দিকে অগ্রসর হবে এই ঘূর্ণিঝড়টি।  ৫ ডিসেম্বর সম্ভাব্য ল্যান্ডফল হবে উত্তর অন্ধ্রপ্রদেশ এবং দক্ষিণ ওডিশার মধ্যবর্তী উপকূলে। অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আছড়ে পড়তে পারে মিগজাউম। এমনটাই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আবার, অপর একটি আবহাওয়া বিজ্ঞানীদের মডেল অনুযায়ী, এই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফল হতে পারে আগামী ৬ ডিসেম্বর। ঘূর্ণিঝড় মিগজাউমের ল্যান্ডফলের সময় হাওয়ার গতিবেগ থাকতে পারে সর্বোচ্চ ৬৫ থেকে ৭০ কিলোমিটার। 

    ওড়িশায় সতর্কতা

    ঘূর্ণিঝড়ের (Cyclone Michaung) জেরে সম্ভাব্য দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে সাত জেলাকে সতর্ক করেছে ওড়িশা প্রশাসন। এই জেলাগুলি হল বালেশ্বর, ভদ্রক, কেন্দ্রাপাড়া, জগতসিংহপুর, পুরী, খুরদা এবং গঞ্জাম। রাজ্যের ত্রাণ এবং উদ্ধার সংক্রান্ত দফতরের বিশেষ কমিশনার সত্যব্রত সাহু ওই সাত জেলার জেলাশাসকদের সতর্ক করে জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিন সমুদ্র ভয়াল রূপ ধারণ করতে পারে। রাজ্যের বিস্তীর্ণ অংশে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টিপাত হতে পারে। এই সময় মৎসজীবীদেরও গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। 

    আরও পড়ুন: দু’বছরেই বুলেট ট্রেন চলবে দেশে! সময় ঘোষণা রেলমন্ত্রীর, কবে চালু?

    বাংলায় প্রভাব

    নিম্নচাপের জেরে আজ, ফের কলকাতায় কুড়ি ডিগ্রির ওপরে উঠল পারদ। আপাতত রাতের তাপমাত্রা বাড়বে, কমবে দিনের তাপমাত্রা। সপ্তাহান্তে হালকা বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উপকূলবর্তী জেলাতে। রাজ্যে পশ্চিমের জেলায় শীতের আমেজ একটু বেশি থাকবে। সাইক্লোনের (Cyclone Michaung) প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গেও বৃষ্টিপাত হবে। ৩০ থেকে ৫০ কিলোমিটার গতিবেগে বইবে ঝোড়ো হাওয়া।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Telangana: তেলঙ্গানায় চলছে ভোটগ্রহণ, ট্যুইট করে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে আহ্বান মোদির

    Telangana: তেলঙ্গানায় চলছে ভোটগ্রহণ, ট্যুইট করে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হতে আহ্বান মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকেই তেলঙ্গানার (Telangana) ১১৯টি বিধানসভা আসনে নির্বাচন শুরু হয়েছে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত উৎসবের মেজাজে ভোট হচ্ছে এই দক্ষিণী রাজ্যে। জানা গিয়েছে, ১০৬টি বিধানসভা আসনে বিকাল ৫টা পর্যন্ত ভোট হবে। ১৩টি বিধানসভা আসন মাওবাদী অধ্যুষিত হওয়ায় সেখানে ভোট বিকাল ৪টেতেই শেষ করা হবে বলে নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে। এদিন সকালেই ভোট দান করেছেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন এবং দক্ষিণী অভিনেতা আল্লু অর্জুন।

    তেলঙ্গানাবাসীকে অভিনন্দন জানিয়ে ট্যুইট করলেন মোদি

    প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সকালেই ট্যুইট করে তেলঙ্গানাবাসীকে (Telangana) অভিনন্দন জানিয়েছেন এবং গণতন্ত্রের উৎসবে শামিল হতে আহ্বান করেছেন।

    তেলঙ্গানা রাজ্যে মোট ভোটার ৩কোটি ২৬ লক্ষ

    তেলঙ্গানা রাজ্যে রয়েছে ৩ কোটি ২৬ লক্ষ ভোটার। এর মধ্যে ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ১৩ হাজার ২৬৮ জন রয়েছে পুরুষ ভোটার। অন্যদিকে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৬৩ লক্ষ ২ হাজার ২৬১ জন। ১১৯টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২,২৯০ জন প্রার্থী। এর মধ্যে তেলঙ্গানার বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও রয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পুত্র কে টি রামারাও, তিনিও প্রতিদ্বন্দিতা করছেন। বিজেপির লোকসভার সাংসদ সঞ্জয় কুমার এবং ডি অরবিন্দ এবং কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি এর রেভানাথ রেড্ডিও বিধানসভার প্রার্থী হয়েছেন। দক্ষিণী রাজ্যতে (Telangana) আদর্শ নির্বাচন বিধি নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে জারি করা হয় গত ৯ অক্টোবর। ভারত রাষ্ট্র সমিতি যা কিনা তেলঙ্গানার (Telangana) শাসক দল, তারা ১১৯ টি আসনেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। অন্যদিকে, বিজেপির সঙ্গে জোটে রয়েছে অভিনেতা পবন কল্যাণের জনসেনা। বিজেপি ১১১ টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে এবং  জনসেনা ৮টি আসনে ভোটে লড়ছে। অন্যদিকে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট রয়েছে সিপিআই-এর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share