Author: user

  • South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    South 24 Parganas: বিজেপি জেতায় যেখানে দরকার রাস্তা হল না, হল তৃণমূল নেত্রীর বাড়ির সামনে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের শাসক দলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ। ঘটনাস্থল দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের দক্ষিণ গঙ্গাধরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাজনা মানিক দুয়ানি এলাক। দুর্নীতির বিষয়টি সামনে আসতেই এলাকার মানুষ এদিন বিক্ষোভ দেখান।

    তৃণমূলের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (South 24 Parganas)

    দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) ওই এলাকায় গত পঞ্চায়েতে তৃণমূলকে হারিয়ে ১৭ নম্বর বুথের বিজেপি প্রার্থী অতসী পণ্ডিত এবং ১৮ নম্বর বুথে সিপিআইএম প্রার্থী গীতা বৈরাগী জয়ী হন। সেই কারণে ভোগান্তির শিকার হতে  হচ্ছে এই এলাকার মানুষদের। এই এলাকার জন্য দেড় হাজার ফুট রাস্তা তৈরির অনুমোদন হয়। লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর থেকে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা তৈরির কথা ছিল। কিন্তু, এই দুটি এলাকায় বিরোধীরা জয়ী হয়েছে। তাই, এই রাস্তাটি বিরোধীদের এলাকায় না হয়ে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদারের বাড়ির সামনে তৈরি করা হয়েছে। আর দেড় হাজার ফুটের পরিবর্তে ৪০০ ফুট করা হয়েছে। সেখানে ফলক বসানো হয়েছে, যাতে লেখা রয়েছে, বর্তমান আর্থিক বর্ষে ৪ লক্ষ ২৩ হাজার ৬২৯ টাকা খরচা করে লক্ষণ পণ্ডিতের ঘর হইতে নিমাই পণ্ডিতের ঘর ভায়া দুখিরাম হালদার রাস্তা নির্মিত হইল। যার ফান্ড নম্বর ১৫ এফসি/২২/২৩। বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে লোকজন জানতে পেরে অবাক হয়ে যান। তাঁদের বক্তব্য, বিরোধী পঞ্চায়েত সদস্য জয়ী হয়েছে বলে এলাকার রাস্তা তৈরি করা হয়নি। আর দেড় হাজার ফুটের জায়গায় ৪০০ ফুট রাস্তা হয়েছে। আমরা এই দুর্নীতির তদন্ত দাবি করছি।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    তৃণমূলের পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য অসীমা হালদার বলেন, এই রাস্তাটি আগে অনুমোদন হয়েছিল। তাই, রাস্তাটি করা হচ্ছে। ভুলবশত ওই বোর্ড বসেছে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। যা হয়েছে নিয়ম মেনে হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Deepfake AI: গোটা পৃথিবীতে চলছে AI যুগ, ডিপফেক কত বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে?

    Deepfake AI: গোটা পৃথিবীতে চলছে AI যুগ, ডিপফেক কত বড় বিপদ ডেকে আনতে চলেছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বর্তমান প্রযুক্তি (Deepfake AI) আশীর্বাদ না অভিশাপ? এই প্রশ্ন এখন সবার মনে। গোটা পৃথিবীতে এখন AI যুগ চলছে বলা যেতেই পারে। কিন্তু এই প্রযুক্তিই যখন মানুষের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়, তখন সেটিকে আশীর্বাদ না বলে কি অভিশাপ বলাটাই শ্রেয়? এক অন্য বিশেষ কারণের জন্য তৈরি কোনও প্রযুক্তিকে যখন খারাপ কাজে ব্যবহার করা হয়, তখন তা হয়ে ওঠে অতি ভয়ানক। কিছুদিন আগের ঘটনা। ‘পুষ্পা’ সিনেমা খ্যাত অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি বিকৃত ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে তাঁর মুখকে অন্য কোনও অশ্লীল ভিডিও-র সাথে বসিয়ে একটি ফেক ভিডিও তৈরি করে ইন্টারনেটে ছেড়ে দেওয়া হয়। যেটি দেখে হুবহু অভিনেত্রীকে মনে হলেও কিন্তু তিনি নন। শুধু অভিনেত্রী নয়, অন্যান্য অনেক মহিলাকে নিয়ে এভাবে আপত্তিকর ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দিয়ে ব্লাকমেইলিং করা হয়। 

    কী এই ডিপফেক পদ্ধতি? (Deepfake AI)

    ডিপফেক পদ্ধতি এমন এক আধুনিক প্রযুক্তি, যেখানে AI কে কাজে লাগিয়ে যে কোনও অডিও বা ভিডিওতে কারচুপি করা সম্ভব। আরও সহজ ভাবে বলতে গেলে, এই ডিপফেক-এর সাহায্যে এমন ভুয়ো ভিডিও তৈরি করা যায়, যেটি দেখতে একদম আসলের মতো। এই ডিপফেক-এর সাহায্যে কোনও অশ্লীল ভিডিওতে উপস্থিত মানুষের চেহারা বদল করে মানুষকে ব্লাকমেইলিংয়ের  মতো ঘটনা বরাবর ঘটে চলেছে। 

    এই ডিপফেক কোথায় ব্যবহৃত হয়?

    এই ডিপফেক পদ্ধতি (Deepfake AI) তৈরি করা হয়েছিল সাধারণত বিনোদনের জন্য। যার উদ্দেশ্য ছিল মানুষের কাছে এমন কিছু তুলে ধরা, যা বাস্তবে ঘটেনি, কিন্তু সেটিকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে করে দেখানো। বর্তমানে চলচ্চিত্র শিল্পে এই পদ্ধতি অনেক জায়গায় ব্যাবহার করা হয়। মৃত ব্যক্তি বা পূর্বপুরুষদের জীবন্ত ভিডিও তৈরিতেও এই পদ্ধতি ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। কিন্তু ২০১৯ এর এক রিপোর্ট অনুযায়ী অনলাইনে পাওয়া ডিপফেক ভিডিওর ৯৭ শতাংশই অশ্লীল ভিডিও। বিশেষ করে পর্নোগ্রাফিতে এই ডিপফেক পদ্ধতি লক্ষ্য করা গিয়েছে। অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মুখমণ্ডল ও চেহারা পাল্টে অশ্লীল ভিডিও বানিয়ে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হয়েছে। শুধু এখানেই থেমে নেই, এই ডিপফেক এখন রাজনীতিতেও ব্যবহৃত হচ্ছে। কোনও বিরোধী পার্টিকে আক্রমণ করার জন্য সেই পার্টির কোনও ভিডিওকে এই পদ্ধতির মাধ্যমে বিকৃত করে ইন্টারনেটে পোস্ট করা হচ্ছে। এই ধরনের বহু ভিডিও আজ সোশ্যাল মিডিয়াতে পাওয়া যায়।

    ডিপফেক শনাক্ত করার উপায় কী?

    এই ডিপফেককে শনাক্ত করার জন্য বিশেষ কিছু দিকে নজর দিতে হয়। বেশিরভাগ ডিপফেক (Deepfake AI) পুরোপুরি কোনও বিষয়কে নকল করতে পারে না। যার মধ্যে কিছু জিনিস হল মানুষের চুল, নাক, কান। আবার কোনও সময় দেখা যায় অনেকক্ষণ পেরিয়ে যাওয়ার পরও চোখের পলক পড়ছে না। তাছাড়াও কনটেন্ট কালারিং বিষয়টি ভালোভাবে নজর করলে দেখা যায় সেটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আরও অনেক পদ্ধতি আছে যার সাহায্যে এই ডিপফেককে শনাক্ত করা যায়। বর্তমানে ডিপফেকের কিছু আপত্তিকর জিনিস থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন সাইবার সুরক্ষার সাহায্য নেওয়া হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rozgar Mela: আজ রোজগার মেলার মাধ্যমে ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    Rozgar Mela: আজ রোজগার মেলার মাধ্যমে ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ বৃহস্পতিবার ৫১ হাজার চাকরিপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদি। বছরের বিভিন্ন সময়ই কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে ‘রোজগার  মেলা’র (Rozgar Mela) আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানগুলির মাধ্যমে দেশের হাজার হাজার যোগ্য চাকরি প্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী। একদিকে বাংলায় শাসক দলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী চাকরি দুর্নীতিতে রয়েছেন জেলে। অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের এমন স্বচ্ছ নিয়োগ নীতিতে (Rozgar Mela) খুশি চাকরিপ্রার্থীরাও।

    দেশের ৩৭টি স্থানে আয়োজিত হবে রোজগার মেলা

    জানা গিয়েছে, যোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের কেন্দ্রীয় সরকার, কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল, বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন দফতরে নিয়োগ করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর এই নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠান হবে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে, এমনটাই জানানো হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। বৃহস্পতিবারের রোজগার মেলা (Rozgar Mela) দেশের ৩৭টি বিভিন্ন স্থান থেকে সম্প্রচারিত হবে। জানা গিয়েছে, রাজস্ব বিভাগ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, উচ্চ শিক্ষা দফতর, স্কুল শিক্ষা দফতর, অর্থ বিভাগ, প্রতিরক্ষা বিভাগ, স্বাস্থ্য ও পরিবার বিভাগ, শ্রম বিভাগ ইত্যাদি জায়গায় এই সমস্ত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়োগ করা হবে। প্রসঙ্গত, ক্ষমতায় আসার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দেশের যুবদের রোজগারকে অগ্রাধিকার দেন। দেশের যুব সমাজের জন্য রয়েছে স্কিল ডেভলপমেন্ট প্রোগ্রামও।

    ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ পোর্টাল’ কী?

    প্রধামন্ত্রীর রোজগার মেলার আয়োজন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে বিবৃতিও দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে যে এই রোজগার মেলায় (Rozgar Mela) যাঁদেরকে নিয়োগ করা হবে, তাঁরা দেশের শিল্পক্ষেত্র, অর্থনৈতিক ক্ষেত্র এবং সামাজিক উন্নয়নের দিক থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। যাঁদেরকে রোজগার মেলার মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে, তাঁদের কাছে সুযোগ রয়েছে ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ পোর্টাল’এর মাধ্যমে প্রশিক্ষণ নেওয়ার। ‘কর্মযোগী প্রারম্ভ পোর্টাল’ হল একটি অনলাইন মডিউল। যেখানে ৮০০-রও বেশি অনলাইন কোর্সের বিষয়ে রয়েছে।

     

    আরও পড়ুন: স্বামীর আধার তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না স্ত্রী, পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    Fraud: ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার ছক! কীভাবে ফাঁদ পাতা হত জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রম মন্ত্রকের ই-শ্রমকার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পাতা হয়েছিল। বেশ কয়েকদিন ধরে দুষ্কৃতীরা বাঁকুড়া জেলার ছাতনা এলাকায় কাজ চালাচ্ছিল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে মঙ্গলবার গভীর রাতে ছাতনা থানার পুলিশ ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকার একটি বেসরকারি লজে হানা দিয়ে এই চক্রের মোট ১০ জনকে গ্রেফতার করে।

    যাবতীয় নথি হাতিয়ে নিচ্ছিল প্রতারকরা (Fraud)

    ছাতনা থানার পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ছাতনার ঝাঁটিপাহাড়ির ব্যাঙ্ক মোড় সংলগ্ন একটি বেসরকারি লজ ভাড়া নিয়ে সেখানেই প্রতারণার (Fraud) ফাঁদ পেতেছিল চক্রটি। কেন্দ্রীয় সরকারের ই=শ্রম কার্ড করিয়ে দেওয়ার নামে এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে প্রতারকেরা আধারকার্ড, প্যানকার্ড, ভোটারকার্ড, এমনকী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের যাবতীয় নথিপত্র জমা নিচ্ছিল। গত তিনদিন ধরে এখানে ঘাঁটি গেড়েছিল চক্রটি। স্থানীয় কয়েকজনের বিষয়টি সন্দেহজনক লাগে। পুলিশে খবর দেওয়া হয়। এরপর প্রতারকদের ধরতে উদ্যোগী হয় পুলিশ। মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই লজে অভিযান চালায়। এই চক্রের জনা দশেক লোক তখন ঘুমোচ্ছিল। ঘুম থেকে উঠিয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চালায় পুলিশ। তাদের কাছে ই-শ্রমকার্ড করার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতিপত্র দেখতে চাইলে পুলিশকে তারা তা দেখাতে পারেনি। এরপর তাদের কথাবার্তাতেও অসংলগ্নতা ধরা পড়ায় পুলিশ ওই ১০ জনকে গ্রেফতার করে এবং ধৃতদের কাছ  থেকে ২ টি ল্যাপটপ, পাঁচটি রেজিস্টার খাতা এবং প্রচুর ফর্ম বাজেয়াপ্ত করেছে ছাতনা থানার পুলিশ। গত দুই থেকে তিন দিন ধরে তারা ওই এলাকায় এই কার্যকলাপ চালাচ্ছিল। এর আগে জেলার আর কোথায় কোথায় এরা এমন কাজ চালিয়েছে তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। এছাড়া এই চক্রের সঙ্গে আন্তরাজ্য কোনও চক্রের যোগ আছে কিনা তার খোঁজখবরও নিচ্ছে পুলিশ।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক কী বললেন?

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ই-শ্রমকার্ডের নামে যাবতীয় নথি নিয়ে এই চক্রটি আর্থিক প্রতারণা (Fraud) বা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খুলে জালিয়াতির কারবার চালাবার ফন্দি এঁটেছিল কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আজ ধৃত ১০ জনকে বাঁকুড়া জেলা আদালতে তোলা হয়। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের কিংপিনকে ধরার চেষ্টা চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    China Dam: ব্রহ্মপুত্রে বাঁধ, নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা চিনের?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ব্রহ্মপুত্রে চিনের বাঁধ (China Dam) বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষির বিপর্যয় ডেকে আনবে। এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু কেন তাঁরা বলছেন এমন কথা? এটা বুঝতে হলে আমাদের যেতে হবে ব্রহ্মপুত্রের উৎস-সন্ধানে। জানতে হবে রুট। অনেকেই জানেন, ব্রহ্মপুত্র একটি আন্তঃসীমান্ত নদ, অর্থাৎ একাধিক দেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত এর ধারা। চিন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে ব্রহ্মপুত্র। শুধু এশিয়া নয়, বিশ্বের নদীগুলির সঙ্গে তুলনাতেও ব্রহ্মপুত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ দৈর্ঘ্যে বিশ্বের ১৫ তম নদটি জল বহনে বিশ্বের নবম। হিমালয়ের উত্তরাংশে কৈলাস পর্বতের কাছে মানস সরোবরে উৎস ব্রহ্মপুত্রের। এরপর এটি ইয়ার-লুং জাংবো নামে প্রবাহিত হচ্ছে চিন-তিব্বতের পূর্বাঞ্চল দিয়ে। এরপর ভারতের অরুণাচল প্রদেশে শিয়াং নামে এটি বহমান। সেখান থেকে অসমে যখন ঢুকছে, সেখানে তার নাম দিহাং। এই অসমেই সে পাচ্ছে নতুন জলের স্রোত। দিবং ও লোহিত-দুটি বড় নদী এসে মিশছে সেই ধারায়। আর ব্রহ্মপুত্র নামে নেমে আসছে সমতলে। অসম অববাহিকাকে অতিক্রম করে ব্রহ্মপুত্র যখন বাংলাদেশে ঢুকছে, তখন পুরানো নামে কিছুটা প্রবাহিত হওয়ার পর সে নাম নিচ্ছে যমুনা। এই যমুনা মিশছে বঙ্গোপসাগরে। এই গোটা পথ আসতে ব্রহ্মপুত্রকে পার হতে হয়েছে ২ হাজার ৮৫০ কিলোমিটার পথ।

    ব্রহ্মপুত্র নদের গুরুত্ব

    বাংলাদেশ একটি নদীমাতৃক দেশ। সব মিলিয়ে মোট ৩১০টি নদী রয়েছে। এর মধ্যে আন্তঃসীমান্ত বা আন্তর্জাতিক নদীর সংখ্যা ৫৭টি। যার ৫৪টি ভারতের সঙ্গে সংযুক্ত। বাংলাদেশের পরিবেশ, প্রকৃতি ও কৃষিপ্রধান অর্থনীতি-সব দিক দিয়ে আন্তর্জাতিক নদীগুলির ওপর অনেক বেশি নির্ভরশীল। এর মধ্যে ব্রহ্মপুত্র নদ তথা যমুনা নদীর গুরুত্ব সবচেয়ে বেশি।

    এটাই প্রথম নয়

    বিশ্বব্যপী জ্বালানি সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য এখন প্রায় সব দেশই বিকল্প জ্বালানি, বিশেষ করে জলবিদ্যুতের দিকে ঝুঁকছে। একই পথে এগোচ্ছে এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী দেশ চিন। ব্রহ্মপুত্র নদের নিজেদের অংশে ইয়ার-লুং জাংবোর ওপর আড়াআড়ি বাঁধ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে চিন (China Dam)। তবে এটাই প্রথম নয়, এর আগে বেজিং অন্তত আটটি বাঁধ দিয়ে বেঁধে ফেলেছে ইয়ার-লুং জাংবোকে। যার মধ্যে কয়েকটি এরই মধ্যে চালু হয়ে গেছে। বাকিগুলির কাজ চলছে। বেজিং-এর পরিকল্পনা, ইয়ার-লুং জাংবোর ওপরে বিশ্বের বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তুলবে। যা ৭০ গিগাবাইট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সক্ষম এবং ওই দেশের বর্তমান তিনটি বৃহত্তম জলবিদ্যুৎ প্রকল্পেরও তিনগুণ বড়। প্রশ্ন হল, তাহলে কি নেপাল-ভারত-বাংলাদেশের বিরুদ্ধে জল-যুদ্ধ ঘোষণা করল চিন?

    জলে চিনের আধিপত্য অর্জনের লক্ষ্য (China Dam)

    এর আগে, চিন মেকং নদীর উপর এগারোটি মেগা-ড্যাম নির্মাণ করেছে। যার ফলে মিয়ানমার, লাওস, থাইল্যান্ড, কম্বোডিয়া এবং ভিয়েতনামে কোনও পূর্ব সংকেত ছাড়াই জলের স্তর ব্যাপক ভাবে ওঠানামা করছে। একেবারে নিম্নভাটির অঞ্চল বাংলাদেশের অবস্থাও সঙ্কটে। কৃষিনির্ভর দেশ বাংলাদেশের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এর প্রভাব পড়তে চলেছে। খুবই রক্ষণশীল একটা হিসেব জানাচ্ছে, হিমালয়ের হিমবাহগুলিতে, যেগুলি আসলে হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলির জলের উৎস, সেখানে কম বেশি ১০০টি বাঁধ ও জলবিদ্যুত প্রকল্প গড়ে তোলার পরিকল্পনা করেছে চিন। সিন্ধু, ব্রহ্মপুত্র এবং মেকং নদীর প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করতে চিন প্রচুর সংখ্যক বাঁধ (China Dam) এবং ডাইক নির্মাণ করেছে। তিব্বত দখল করে, চীন ১৮টি দেশে প্রবাহিত নদীগুলির সূচনা পয়েন্টগুলি দখল করেছে। চিন কয়েক হাজার বাঁধ তৈরি করেছে, যা হঠাৎ করে জল ছেড়ে দিয়ে বন্যার সৃষ্টি করতে পারে বা কল বন্ধ করে খরা সৃষ্টি করতে পারে। এইভাবে নদীর বাস্তুতন্ত্রকে ধ্বংস করে এবং স্বাভাবিক মানবজীবনকে ব্যাহত করে চিন ব্রহ্মপুত্র নদে আরও চারটি বাঁধ তৈরি করার পরিকল্পনা করেছে, যা নদীর প্রবাহকে প্রভাবিত করবে। চিন্তা শুধু বাংলাদেশ-নেপাল বা ভারত, এই তিন দেশের নয়। পুরো দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভূগোলটাকেই বদলে দিতে পারে চিনের এই পরিকল্পনা আর জলে আধিপত্য কায়েমের চেষ্টা।

    কী হতে চলেছে ফলাফল? (China Dam)

    প্রথমত, এর সামাজিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব হতে পারে মারাত্মক, যার ফলে মধ্য ও নিম্ন অববাহিকায় বন্যা-খরা ঘটিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা হাতে পেয়ে যেতে পারে চিন। দ্বিতীয়ত, রাজনৈতিক ও সামরিক প্রভাবও কম নয়। এটি একাধারে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয় দেশগুলির ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়ার নীতি। তৃতীয়ত, বাণিজ্যিক প্রভাব কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। দক্ষিণ পূর্ব এশিয় দেশগুলির বাজারগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করা এতে অনেকটাই সহজ হবে চিনের পক্ষে । চতুর্থত, ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক প্রভাব, যা দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার নিজস্ব ভূগোল-প্রকৃতি-আবহাওয়া-জলবায়ুর বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Landmark Judgement: স্বামীর আধার তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না স্ত্রী, পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    Landmark Judgement: স্বামীর আধার তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না স্ত্রী, পর্যবেক্ষণ কর্নাটক হাইকোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্ত্রীর আধার কার্ডের তথ্যের নাগাল পেতে পারেন না সাত পাকে বাঁধা পড়া স্ত্রীও। তাৎপর্যপূর্ণ এই রায় দিল কর্নাটক হাইকোর্ট (Landmark Judgement)। সে রাজ্যের একটি মামলায় বিবাহ-বিচ্ছিন্ন স্বামীর আধারের নম্বর এবং ফোন নম্বর সমেত অন্যান্য ডিটেইলস চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাক্তন স্ত্রী। তথ্য জানার অধিকার আইনে (২০০৫) স্বামীর আধার নম্বর চান তিনি। কারণ হিসেবে স্ত্রী জানান যে আধার তথ্য ছাড়া নিম্ন কোর্টে তাঁর (স্বামীর) বিরুদ্ধে ভরণপোষণের মামলা (Landmark Judgement) লড়তে অসুবিধা হচ্ছে।

    ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখার অধিকার, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার

    প্রাক্তন স্ত্রীর করা এই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে কর্নাটক হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত ভারতীয় সংবিধানের ২১ নম্বর ধারায় উল্লেখ রয়েছে ‘রাইট টু প্রাইভেসি’-এর। ব্যক্তিগত তথ্য গোপন রাখা, ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে। আবার তথ্য জানার অধিকার আইনেও (২০০৫) ব্যক্তিগত তথ্য দেওয়া যায় না। আরটিআই অ্যাক্ট-এর ৮ নম্বর ধারায় তা উল্লেখ রয়েছে। কর্নাটকের উচ্চ আদালতের (Landmark Judgement) স্পষ্ট বক্তব্য যে বৈবাহিক অধিকারের ভিত্তিতেই কোনও স্ত্রী তাঁর স্বামীর আধার তথ্য পেতে পারেন না।

    ফ্যামিলি কোর্টে চলছে ডিভোর্সের মামলা

    জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০০৫ সালে। বিবাহ বিচ্ছিন্ন দম্পতির একটি মেয়েও রয়েছে। সংসারে বনিবনা না হওয়াতেই স্ত্রী বিচ্ছেদের মামলা করেন। ফ্যামিলি কোর্টে বর্তমানে মামলা চলছে। বিবাহ বিচ্ছেদের পর স্ত্রী ভরণপোষণের জন্য দশ হাজার টাকা দাবি করেন এবং কন্যাসন্তানের জন্য আরও পাঁচ হাজার টাকা। মোট পনেরো হাজার টাকা ভরণপোষণ বাবদ চাওয়া হয়। কিন্তু স্বামী কী করছেন বর্তমানে? কোথায় রয়েছেন? এসব কিছু জানতে না পারার জন্য ফ্যামিলি কোর্টের (Landmark Judgement) নাকি নির্দেশ দিতে অসুবিধা হচ্ছে! এরপরেই স্বামীর আধার নম্বর পেতে ‘আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অফ ইন্ডিয়া’র দ্বারস্থ হন ওই মহিলা। তবে সেই আবেদন খারিজ করে ইউআইডিএআই। এরপরই মামলা গড়ায় হাইকোর্টে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    BJP Rally: শাহি সভায় হাজির হতে সকাল থেকেই কর্মীদের ভিড়ে উপচে পড়ল ট্রেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় শাহি সভায় (BJP Rally) যোগ দিতে মঙ্গলবার থেকে উত্তরবঙ্গের নেতা-কর্মীরা ট্রেনে আসতে শুরু করেন। বুধবার সকাল থেকে হাওড়া, শিয়ালদা স্টেশনে বিজেপি রাজ্য নেতৃত্ব ক্যাম্প করে দলীয় কর্মীদের সুষ্ঠুভাবে সভায় পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। পাশাপাশি এদিন সকাল থেকে বর্ধমান, আসানসোল, দুর্গাপুর, কৃষ্ণনগর সহ দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে সভায় হাজির হয়েছেন।

    আসানসোল, দুর্গাপুর থেকে সকালের ট্রেনেই কর্মীদের ভিড় (BJP Rally)

    এদিন সকালে আসানসোল স্টেশনে আসানসোলের সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে কয়েকশো কর্মী-সমর্থক ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। আসানসোল শিল্পাঞ্চল ও দুর্গাপুর শিল্পাঞ্চল থেকে সকালের ট্রেনগুলিতে কয়েক হাজার কর্মী, সমর্থক কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় বলেন, দলীয় কর্মীরা মিছিল করে স্টেশনে জমায়েত হন। ভোর থেকে কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। বেলা যত গড়িয়েছে সভায় (BJP Rally) যাওয়ার জন্য ট্রেনে কর্মীদের ভিড় বেড়়েছে।

    বর্ধমানে তৃণমূলীদের বাধার মুখে বিজেপি কর্মীরা

    এদিন সকাল থেকেই বর্ধমান শহরে দলে দলে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা সভার উদ্দেশে (BJP Rally) যেতে শুরু করেছেন। পূর্ব বর্ধমান জেলা সহ বর্ধমান শহর থেকে ট্রেন ও বাসে করে যাচ্ছেন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। বিজেপির দলীয় পতাকা নিয়ে দফায় দফায় বিজেপি কর্মীদের ট্রেনে চাপতে দেখা গিয়েছে বর্ধমান স্টেশনে। জেলা বিজেপির নেতা মনোজ মাহাত বলেন, এদিন সকাল ৬.১৫ মিনিট নাগাদ কর্মীরা ট্রেনে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দেন। ট্রেনপথে কোনও বাধা আমাদের আসেনি। তবে, বাসপথে দলীয় কর্মীদের বহু জায়গায় তৃণমূল বাধা দিচ্ছে। তবে, অনেক জায়গায় তৃণমূলের শত বাধা পেরিয়ে কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বেলা সাড়ে দশটার ট্রেনেও হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক সভার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন।

    ট্রেনে আসা কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জনপ্লাবন

    বারাকপুর, বারাসত, বনগাঁ, চুঁচুড়া, কৃষ্ণনগর, গেদে, বহরমপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর সহ আশপাশের এলাকা থেকে এদিন সকালের ট্রেনগুলিতে কর্মীদের ভি়ড় উপচে পড়ে। অধিকাংশ ট্রেনেই হাজার হাজার কর্মীদের ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে। সকাল থেকেই হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশন কর্মীদের ভিড়ে কলকাতার রাজপথ জন প্লাবনের আকার নেয়। পাশাপাশি বাস, প্রাইভেট গাড়়ি করেও হাজার হাজার কর্মীরা সভার উদ্দেশে রওনা হয়ে গিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    Uttarkashi Tunnel Rescue: ৪১ জন শ্রমিক বের হতেই জয়দেবের গ্রামে বেজে উঠল শঙ্খ, হল মিষ্টি বিতরণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ ফিরবেন, কাল ফিরবেন করে সতেরো দিন হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ঘরে ফেরেননি উত্তরকাশীর (Uttarkashi Tunnel Rescue) সুড়ঙ্গে আটকে থাকা হুগলির পুরশুড়ার দুই ছেলে সৌভিক পাখিরা এবং জয়দেব প্রামাণিক। ছেলেদের ঘরে ফেরা নিয়ে আশঙ্কা আর উদ্বেগে দিন কাটছিল পরিবারের লোকজনের। মঙ্গলবার সকাল থেকে উদ্বেগে ছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু, বিকেলের পর আশার আলো দেখতে শুরু করেন জয়দেবের পরিবারের লোকজন। একে একে ৪১ জনের মধ্যে জয়দেবও বেরিয়ে এলেন।

    মায়ের সঙ্গে কী কথা বললেন জয়দেব? (Uttarkashi Tunnel Rescue)

    জয়দেবের মা তপতী দেবী ছেলে আটকে থাকার পর থেকে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। মঙ্গলবারও কান্নাকাটি করেছেন। অবশেষে ছেলে বেরোলেন। একগাল হাসি ফুটল মায়ের মুখে। ভিডিয়ো কলে কথাও হল। মা ছেলেকে জিজ্ঞেস করলেন, “কেমন আছিস?” কয়েক সেকেন্ডের স্তব্ধতা। তার পর জবাব এল- ‘ভালো… ভালো।” মায়ের পরের প্রশ্ন, “বাড়ি কখন আসবি?” এবার জবাব এল, “এখন আর ফিরব না। কাজ আছে।” শুনেই হেসে ফেললেন মা। হাসছেন পরিবারের সবাই।

    গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ

    উত্তরকাশী (Uttarkashi Tunnel Rescue) জেলার ব্রহ্মতাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালহগাঁওের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে কাজ করতে গিয়েছিলেন হুগলির পুরশুড়ার বাসিন্দা জয়দেব প্রামাণিক। গত ১২ নভেম্বর হঠাৎই সেই সুড়ঙ্গের একাংশে ধস নামে। জয়দেবের পরিবারের সঙ্গে গোটা গ্রামের মানুষ গত কয়েকদিনে মুষড়ে পড়েছিলেন। ৪১ জন শ্রমিক উদ্ধার হওয়ার দিন গুনতেন। মঙ্গলবার উদ্ধার হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই গ্রামবাসীর এসে জয়দেবের বাড়িতে ভিড় করতে শুরু করেন। টিভির পর্দায় নজর রাখেন সকলেই। একে একে সকলে উদ্ধার হতেই জয়দেবের দিকে নজর ছিল সকলের। জয়দেব উদ্ধার হতেই গ্রামজুড়ে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস। জয়দেবের উদ্ধারের খবর পেতেই শঙ্খধ্বনি শুরু হয় গ্রামে। মিষ্টিমুখ করলেন পাড়া-প্রতিবেশীরা। গোটা গ্রামজুড়ে উৎসবের আমেজ।

    উদ্ধারকারী দলকে ধন্যবাদ জানালেন জয়দেবের বাবা

    জয়দেবের বাবা তাপস প্রামাণিক ধন্যবাদ দিলেন উদ্ধারকারী দলকে। তিনি বলেন, ঈশ্বরকে বললাম, তোমরা আছো। ছেলের সঙ্গে কথা হয়েছে। ও ভালো আছে। ছেলেদের সাহস দেখে তো আমরাও বল পেয়েছি। ভেবেছি, ওরা যদি ওভাবে আটকে থেকে এরকম থাকতে পারে, আমরা কেন সাহস নিয়ে থাকতে পারব না? গত কয়েক দিন দোকান খুলতে ইচ্ছে করেনি। আজ আমি খুশি। যে ভাবে আমার প্রতিবেশীরা আমার পাশে দাঁড়িয়েছে, তাতে আমি ধন্য।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    BJP: আজ বিজেপির সভায় প্রথম বক্তা তফশিলি মুখ চন্দনা বাউড়ি, শেষে ভাষণ দেবেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ধর্মতলায় আজ বিজেপির ‘শাহি সভা’। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি দেখতে গত কাল রাতেই মঞ্চে হাজির হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, কিছু পরে সেখানে হাজির হন বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীও। বুধবার ঠিক দুপুর দুটোর সময় বিজেপির সভাতে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের।

    তফশিলি সমাজের প্রতিনিধি চন্দনা বাউড়ি

    বিজেপি (BJP) সূত্রে খবর, মঞ্চে প্রথম বক্তা হিসেবে দেখা যাবে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরিকে। সাধারণ নিম্নবিত্ত পরিবারের চন্দনাকে গত বিধানসভা নির্বাচনে শালতোড়ার টিকিট দেয় বিজেপি। তিনি জিতেও আসেন। গত বিধানসভা নির্বাচনে একাধিকবার রাজ্যে প্রচারে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সে সময় প্রধানমন্ত্রীকেও বলতে শোনা যায় চন্দনার কথা। তফশিলি সমাজের এই মুখকে রাজ্য বিজেপি প্রথম বক্তা হিসেবে রেখেছে।

    বক্তব্য রাখার সময়সীমা

    জানা গিয়েছে, একেবারে শেষে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। মাঝখানে প্রত্যেক বিজেপি (BJP) নেতা, সাংসদ এবং বিধায়কদের বক্তব্য রাখতে দেখা যাবে। তবে প্রত্যেকেরই বক্তব্য রাখার সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। বক্তাদের তালিকায় নাম রয়েছে প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষেরও। উত্তরবঙ্গের কর্মীদের ট্রেনে চাপার ভিডিও ট্যুইট করেছেন বিজেপি নেতা অমিতাভ চক্রবর্তী।

    অমিত শাহকে স্বাগত জানাবেন সুকান্ত-শুভেন্দু

    সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে প্রথম থেকেই মঞ্চে দেখা যাবে না। তার কারণ তাঁরা দুজনেই কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহকে স্বাগত জানাতে হাজির থাকবেন। কলকাতা বিমানবন্দরে অমিত শাহ নামবেন ঠিক বেলা ১টার সময়। জানা গিয়েছে, দিল্লি থেকে তাঁর বিশেষ বিমান রওনা দেবে ১১ টা ৫ মিনিটে। কলকাতা বিমানবন্দরে নামার পরে তিনি হেলিকপ্টারে আসবেন রেসকোর্সের মাঠে। সেখান থেকে সড়কপথে অমিত শাহের কনভয় ঠিক দুপুর দুটোর সময় যাবে সভার স্থলে। বিমানবন্দর থেকে সভাস্থল পর্যন্ত অমিত শাহের সঙ্গী হিসেবেই দেখা যাবে সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারীকে। বেলা দুটোর সময় অমিত শাহ মঞ্চে আসার পরে বক্তব্য রাখবেন সুকান্ত মজুমদার এবং শুভেন্দু অধিকারী। ঠিক দুপুর আড়াইটার সময় মঞ্চে বক্তব্য রাখবেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর জনসভা থেকে ফের রেসকোর্সের দিকে তিনি রওনা দেবেন বিকাল সওয়া তিনটে নাগাদ।

    সকাল ১০টা থেকে শুরু সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান 

    কেন্দ্রীয় প্রকল্পে বঞ্চিত উপভোক্তাদের নিয়ে বিজেপির সভা অবশ্য কাল ১০টা থেকেই শুরু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে দলের বিধায়ক তথা খ্যাতনামা কবিয়াল অসীম সরকার গান গাইবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিজেপির (BJP) কালচারাল সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত পদাধিকারী তথা অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ কবিতা আবৃত্তি করবেন। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষ হলে রাজ্য নেতারা (BJP) বক্তব্য রাখতে শুরু করবেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarkashi Tunnel: উদ্ধারকাজ সফল হতেই শ্রমিকদের কুর্নিশ জানিয়ে ট্যুইট রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    Uttarkashi Tunnel: উদ্ধারকাজ সফল হতেই শ্রমিকদের কুর্নিশ জানিয়ে ট্যুইট রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা ১৭ দিনের পর যুদ্ধ জয়। শ্রমিকরা বেরিয়ে আসতেই আবেগে ভেসেছে গোটা দেশ। উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সঙ্গে টেলিফোনে কথাও বলেন প্রধানমন্ত্রী। এর পাশাপাশি উদ্ধারকাজ (Uttarkashi Tunnel) সফল হতেই এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) ৪১ জন শ্রমিককে শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুকে। নিজের ট্যুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, উদ্ধার হওয়া শ্রমিকদের সাহস প্রত্যেকের কাছে অনুপ্রেরণা। অন্যদিকে, শ্রমিকদের সাহস ও ধৈর্যকে কুর্নিশ জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘অবশেষে সুড়ঙ্গ (Uttarkashi Tunnel) থেকে বেরোতে পেরেছেন সকলে। প্রত্যেকের সুস্থতা কামনা করি। এতদিন পর তাঁরা সবাই পরিবারের কাছে ফিরতে পারবেন। এই পরিবারগুলিও যে সাহস এবং ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছেন, তা প্রশংসনীয়। আর যাঁরা তাঁদের উদ্ধার করলেন, তাঁদের এই সাহসকে কুর্নিশ (Uttarkashi Tunnel)। আপনাদের সাহসিকতার জন্যই সব শ্রমিকরা শীঘ্রই বাড়ি ফিরবেন। আজকের এই দিন মানবতা আর পরিশ্রমের মেলবন্ধনের সাক্ষী হল।’’

    রাষ্ট্রপতির ট্যুইট

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে (সাবেক ট্যুইটার) রাষ্ট্রপতি লেখেন, ‘‘গত ১৭ দিন ধরে উদ্ধারকারী দলকে নানা ঝুঁকি, নানা প্রতিকূলতার (Uttarkashi Tunnel) মধ্যে দিয়ে এগোতে হয়েছে। কিন্তু এঁরা কেউ হাল ছাড়েননি। শ্রমিকদের উদ্ধার করার জন্য শেষ অবধি লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন সবাই। আজ আমি দারুণ খুশি। সকলকে অভিনন্দন। এই জয় আমায় আবেগপ্রবণ করে তুলেছে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share