Author: user

  • Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    Hooghly: “সিঙ্গুরের লড়াইয়ে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না”, মমতার দাবিকে নস্যাৎ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বুধবার কলকাতায় বিজেপির মেগা ইভেন্ট। আসবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আর এই সভা সফল করে তোলার উদ্দেশে রাজ্যের বিভিন্ন কোণে কোণে ছুটছেন বিজেপি নেতারা। সোমবার রাতে ঠিক একই কারণে সিঙ্গুরে (Hooghly) যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উপচে পড়া জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে শুভেন্দু সিঙ্গুরের বর্তমান অবস্থার জন্য শাসক দলকে দায়ী করে বলেন, “বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের বোকামি এবং গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এ রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে।”

    কী বললেন শুভেন্দু (Hooghly)?

    হুগলির (Hooghly) সিঙ্গুরে বুড়াশান্তির মাঠে শুভেন্দুর সভা অনুষ্ঠিত হয়। এদিন চাকরি চুরি, রেশন চুরির ১০০ দিনের কাজ, বার্ধক্য, বিধবা ভাতা, আবাস যোজনা দুর্নীতির প্রতিবাদে সরব হন বিজেপি নেতারা। সেই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিঙ্গুর প্রসঙ্গে শুভেন্দু বলেন, “২০০৬ সালে সিঙ্গুরের যাঁরা জমির মালিক হিসাবে চেক নিয়ে নিয়েছিল, তাঁদের মধ্যে থেকে সামান্য কজন বর্গাদারকে নিয়ে সিঙ্গুরে শিল্প-কারখানার বিরোধিতা করতে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । সিঙ্গুর আর নন্দীগ্রামের দুটো লড়াই এক লড়াই নয়। সিঙ্গুরের লড়াইতে সাধারণ মানুষের সমর্থন ছিল না।” এই প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজকের এই সিঙ্গুরকে শ্মশানে পরিণত করেছেন। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের উদারতা এবং প্রাক্তন রাজ্যপাল গোপালকৃষ্ণ গান্ধীর মতো মহান ব্যক্তির ভদ্রতার সুযোগ নিয়ে এই রাজ্যের নেত্রী শিল্পকে ভাগিয়ে দিয়েছেন গুজরাটে। সিঙ্গুরকে ধ্বংস করেছেন তিনি।”

    তীব্র আক্রমণ বেচারাম মান্নাকে

    রাজ্যের কৃষি বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্নাকে এদিন আক্রমণ করে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, “সিঙ্গুর টাটার কারখানায় (Hooghly) চুনসুড়কি সাপ্লাই করতেন বেচারাম মান্না। আমি জানি তিনি একটা বিড়িকে নিভিয়ে নিভিয়ে কীভাবে খেতেন। আগে ফাটা পায়জামা পড়তেন। একটা পাঞ্জাবি পাঁচদিন পড়তেন, তারপর ধুতে দিতেন। তিনি এখন সারাদিনে তিনটে সিল্কের পাঞ্জাবি পরেন। পিছনে তুলো লাগানো লম্বা সিগারেট খান। অনেক কিছু করেছেন, কোথা থেকে হয়েছে জানি না। তবে আমাদের ভারতবর্ষে ইডি আছে। মাটির ভিতরে জিনিস থাকলেও খুঁজে বের করতে পারে ইডি। কেউ ভাবতে পেরেছিল দেড়শো কেজি ওজনের, পঁচাত্তর বছরের একটা বুড়োর নাম পার্থ চট্টোপাধ্যায়। যিনি মমতার একজন প্রিয় পার্থদা ছিলেন। অপার ঘরে ঢুকেই ৫১ কোটি মাল দুদিনে বেরিয়েছে। এই দুর্নীতির হিসাব নেবো আমারা।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Bomb Blast: দেগঙ্গার পর দত্তপুকুরে বোমা বিস্ফোরণ, জখম যুবক, পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের রাজ্যে বোমা বিস্ফোরণ। আর বিস্ফোরণের জেরে এক যুবক গুরুতর জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার কদম্বগাছিতে। আহত যুবকের নাম কবিরুল আলি। বছর তেইশের জখম যুবকের বাড়ি দেগঙ্গার গোসাইপুরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে বারাসত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনার দুদিন আগেই দেগঙ্গার কলসুর গ্রাম পঞ্চায়েতের শেখের মোড় এলাকায় তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ের পিছনে আচমকা বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে।  খেলতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয় এক নাবালক। এবার বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটল কদম্বগাছিতে।

    কী করে ঘটল বোমা বিস্ফোরণ? (Bomb Blast)

    এদিন সকালে কোদাল দিয়ে বাড়ির অদূরে জমিতে মাটি কাটচ্ছিলেন কবিরুল। মূলত সেখানে ঝোঁপ পরিষ্কার করার তিনি কাজ করছিলেন। মাটির মধ্যে বোমা পোঁতা ছিল। শাবল দিয়ে মাটি খোঁড়ার সময় বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটে। জানা গিয়েছে, আচমকাই বিকট শব্দে কেঁপে ওঠে গোটা এলাকা। শব্দ শুনতে পেয়ে ছুটে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা এসে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন কবিরুল। তাঁর শরীরের একটি অংশ ঝলসে গিয়েছে। বাঁ হাতের তালু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কীভাবে ওখানে বোমা এল তা খতিয়ে দেখছে দত্তপুকুর থানার পুলিশ।

    বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় আতঙ্কিত স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, পুলিশের নজরদারি অভাবের জন্যই বার বার বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) ঘটছে। মাটির নীচে এভাবে বোমা রাখা থাকলে সাধারণ মানুষ কী করে বুঝবে। এই ঘটনার পর রাস্তাঘাটে চলাচল করতে ভয় লাগছে। বোমা মজুতকারীদের খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা না করলে দেগঙ্গা, কদম্বগাছির মতো বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা বার বার ঘটবে।

    তৃণমূল নেতৃত্ব কী সাফাই দিলেন?

    যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভপতি সর্দার মেহবুব হাসান নয়ন  বলেন, আইএসএফ এই এলাকা সংগঠন তৈরি করতে পারছে না। তাই, এভাবে বোমা মজুত করে সন্ত্রাসের পরিবেশ করতে চাইছে তারা। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    Hooghly: সুড়ঙ্গে আটক হুগলির ২ শ্রমিক, সাহায্যের জন্য বিজেপি বিধায়ক চিঠি দিলেন মোদিকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে হুগলির ২ শ্রমিক। পরিবারকে সাহায্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে চিঠি লিখলেন হুগলির পুরশুড়ার (Hooghly) বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ। বিধায়ক বলেন, এই শ্রমিক পরিবারদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল নয়। অভাবের সংসার। তাই প্রশাসনের মাধ্যমে যদি কিছু সাহায্য করা যায়, তাহলে ভীষণ উপকার হবে। সেই সঙ্গে রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের বিষয়কে তুলে ধরে বিজেপির অভিযোগ, এই রাজ্যে কাজ নেই, তাই অন্য রাজ্যে গিয়ে পরিযায়ী শ্রমিকের কাজ করতে হয়।

    কী বললেন বিজেপি বিধায়ক (Hooghly)

    হুগলির (Hooghly) পুরশুড়ার বিজেপি বিধায়ক বিমান ঘোষ বলেন, “উত্তরকাশীতে রাস্তার সুড়ঙ্গে ৪১ জন শ্রমিক আটকে পড়েছেন। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ওই সুড়ঙ্গে রয়েছেন তাঁরা। পশ্চিমবঙ্গের মোট ৩ জন শ্রমিক সুড়ঙ্গে আটকে রয়েছেন। এই জেলারও রয়েছেন দুই জন শ্রমিক। তাঁদের একজন হলেন শৌভিক পাখিরা এবং অপরজন জয়দেব প্রামাণিক। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কাজ দিতে না পারায় অন্য রাজ্যে গিয়ে কাজ করতে হচ্ছিল এই শ্রমিকদের।” দুইজন শ্রমিকের পরিবারের আর্থিক অবস্থার কথা বলতে গিয়ে আরও বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর ৭ রেসকোর্সের ঠিকানায় চিঠি পাঠানো হয়েছে। এই শ্রমিকদের বাড়িতে একমাত্র উপার্জনকারী হলেন তাঁরাই। সুড়ঙ্গে আটকে থাকায় তাঁদের বাড়ির লোকজন খুব অসহায়বোধ করছেন। তাঁদের উভয়ের বাড়িতে অসুস্থ রোগী এবং বাচ্চাদের পড়াশুনার খরচ জোগাড় করতে রীতিমতো সমস্যার মধ্যে দিয়ে যেতে হচ্ছে। তাই এই অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী পরিবারের পাশে থেকে সাহায্য করলে খুব ভালো হয়। দ্রুত তাঁদের উদ্ধার করে বাড়িতে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করলে পরিবারের দুশ্চিন্তা কমবে।”

    চারধামের সরল পথ এই সুড়ঙ্গ

    উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গ পথে সড়কের কাজ চলাকালীন উপর থেকে ধসের কারণে পাথর ভেঙে রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। আটকে পড়েন ৪১ জন শ্রমিক। রয়েছেন হুগলির (Hooghly) দুই শ্রমিক। এই সুড়ঙ্গের মাধ্যমে উত্তরাখণ্ডের গঙ্গোত্রী, যমুনোত্রী, কেদারনাথ এবং বদ্রীনাথ এই চারধামের যাত্রা পথকে আরও সরল সহজ করতে রাস্তা নির্মাণের কাজ চলছিল। আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধার করতে খননের কাজ খুব জোর কদমে চলছে। ৪১ টি অ্যাম্বুল্যান্স রাখা হয়েছে সুড়ঙ্গের বাইরে। স্থানীয় হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্য দফতরকে সতর্ক রাখা হয়েছে। মনে করা হয়েছে আজ বিকেলের মধ্যেই উদ্ধার করা সম্ভব হবে।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    Rash Yatra 2023: রাস উৎসবে নবদ্বীপে হাজার হাজার দর্শনার্থী, হয়ে গেল কুমারী পুজোও!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাড়ম্বরে পালিত হচ্ছে চৈতন্যভূমি নবদ্বীপের রাসযাত্রা উৎসব (Rash Yatra 2023)। এখানকার ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকে প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরও করা হল কুমারী পুজো। শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলাকে কেন্দ্র করে পালন করা হলেও মন্দিরনগরী নবদ্বীপে এই রাসযাত্রা উৎসব উপলক্ষ্যে করা হয় একাধিক দেবতার পুজো। তবে শুধু দেব-দেবতাই নয়, দুর্গাপুজোয় বেলুড় মঠ এবং অন্যান্য কিছু জায়গায় যেমন কুমারীকে দেবী সাজিয়ে পুজো করা হয়, ঠিক তেমনি নবদ্বীপের বুড়োশিবতলা রোডের অন্তর্গত ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা মাতা পুজো কমিটির পক্ষ থেকেও করা হয় কুমারী পুজো। প্রত্যেক বছরই এই কুমারী পুজো করা হয় বলে পুজো কমিটি সূত্রে জানা যায়।

    ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ (Rash Yatra 2023)

    কমিটির কর্মকর্তারা জানান, এই পুজোটি এ বছর ১২৭ তম বর্ষে পদার্পণ করল। ষষ্ঠীতলা অন্নপূর্ণা বারোয়ারি অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে এত বছর ধরে পুজো (Rash Yatra 2023) করে আসছে। এখানকার বিশেষ বৈশিষ্ট্যই হল কুমারী পুজো। পুজোর অঞ্জলি দেওয়ার পরে করা হয় এই কুমারী পুজো। এটি চলে আসছে বহু কাল ধরে। সেই কারণে এখনকার প্রজন্মও সেই পরম্পরাকে বজায় রাখার চেষ্টা করে চলেছেন। কুমারী পুজো এই কারণেই করা হয়, অন্নপূর্ণা যেমন অন্নের মা, ঠিক সেই রকম নারী জাতিকে মা রূপে পুজো করার লক্ষ্যেই এই কুমারী পুজো এবং সব থেকে বড় বৈশিষ্ট্য এটাই বলে মনে করেন কমিটির কর্মকর্তারা।

    হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে (Rash Yatra 2023)

    উল্লেখ্য সোমবার থেকে সারা নবদ্বীপ জুড়ে শুরু হয়ে গিয়েছে রাস উৎসব। দেশ এবং বিদেশ মিলিয়ে হাজার হাজার দর্শনার্থী নবদ্বীপে এসে মিলিত হয়েছেন রাস (Rash Yatra 2023) উৎসবে শামিল হওয়ার জন্য। প্রশাসনের ভূমিকাও অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সিসিটিভি থেকে শুরু করে শহরের অলিতে গলিতে পুলিশ কর্মীদের কড়া নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রয়েছে গোটা নবদ্বীপ শহর। কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য সতর্ক রয়েছেন তাঁরা সর্বত্রই। রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় খোলা হয়েছে মেডিক্যাল ক্যাম্প। সুতরাং বলাই বাহুল্য, রাস উৎসবে শামিল হতে আগত দর্শনার্থীরা সুন্দর ও সাবলীলভাবেই উপভোগ করতে পারছেন এই দিনগুলি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    South 24 Parganas: তৃণমূলে যোগদানকারীদের অস্বীকার বিধায়কের, শাসক দলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নজরুল মঞ্চে তৃণমূলের দলীয় সভা থেকে যেখানে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দল থেকে আসা সমস্ত কর্মীদের গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলছেন, সেখানেই বেসুরো দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। বিরোধী দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়া পঞ্চায়েত সদস্যদের মানতে রাজি নন তৃণমূল বিধায়ক। তাঁর অবস্থানের জন্য দলের অঞ্চল নেতৃত্বের কাছে সমালোচিত হয়েছেন বিধায়ক। আর এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    বিধায়কের বক্তব্যে সরব যোগদানকারীরা (South 24 Parganas)

    ব্লক সভাপতির হাত ধরে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপির গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে যোগ দিয়েছিলেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। আর ব্লক নেতৃত্বের উদ্যোগে এই যোগদানকারীদের অস্বীকার করেন কুলপির বিধায়ক যোগরঞ্জন হালদার। তিনি বলেন, শুধুমাত্র পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের জন্য প্রধানের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী মোট পাঁচজন সদস্য। কিন্তু, তাঁরা দলে যোগদান করেননি।

    অন্যদিকে বিধায়কের বক্তব্য নিয়ে সরব হয়েছেন সদ্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানকারী আইএসএফ ও কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্যরা। তাঁরা বলেন, গত ১১ ই নভেম্বর সুন্দরবন জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী পূর্ণিমা হাজারিকা ও কুলপি ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুপ্রিয় হালদারের হাত ধরে গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের আমরা দুজন আইএএফ এবং তিনজন কংগ্রেসের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করি। আমরা তৃণমূলে যোগদান করার পরই গাজিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস। এখন বিধায়ক না মানলে হব? জেলা নেতৃত্ব তো আমাদের দলে নিয়েছে।

    কী বললেন দলের অঞ্চল সভাপতি?

    এই ঘটনায় তৃণমূলের দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) গাজিপুর অঞ্চল সভাপতি আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, ব্লক সভাপতি ও জেলা মহিলা সভানেত্রী উপস্থিতিতে বিরোধীদের পাঁচজন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। কিন্তু, কীভাবে বিধায়ক এই কথা বলতে পারেন তা তিনিই জানেন। যোগদানকারীরা তৃণমূলে রয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Rash Yatra 2023: বেলজিয়াম কাচের ফানুসে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোকিত শান্তিপুরের রাসমণ্ডপ

    Rash Yatra 2023: বেলজিয়াম কাচের ফানুসে মোমবাতি জ্বালিয়ে আলোকিত শান্তিপুরের রাসমণ্ডপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শহরের মঠবাড়ি হোক কিংবা দীনদয়াল ঠাকুরবাড়ি। প্রায় প্রতিটি বিগ্রহ বাড়িতে ব্যবহৃত বেলজিয়াম কাচের ফানুসগুলির একেকটির বয়স প্রায় ২০০ থেকে ৩৫০ বছর।উচ্চতা প্রায় দু’ ফুটের মতো। ঢেউ খেলানো বিভিন্ন আকৃতির রংবাহারি কাচের উপর আঁকা থাকে বিভিন্ন নকশা। বেলজিয়াম কাচের ফানুসের প্রতিটির দাম ৮ হাজার টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। কেন এত দাম? কারণ অবশ্যই তার সূক্ষ্ম কাজের কেরামতির জন্য। সারা বছর বাড়ির অন্দরমহলে সযত্নে রক্ষিত থাকে সেগুলি। রাস উৎসবের (Rash Yatra 2023) সন্ধ্যায় এই বেলজিয়াম ফানুস দিয়ে সাজানো হয় প্রতিটি বাড়ির মূল প্রাঙ্গণ। ভিতরে টিমটিম করে জ্বলতে থাকে মোমবাতির আলো। বাজারের সাধারণ মোম নয়, ফানুসের ভিতর বসানো হয় প্যারাসিন দিয়ে তৈরি সলতে পাকানো বিশেষ ধরনের মোম।

    উপচে পড়ে ভিড় (Rash Yatra 2023)

    এখনও বংশ-পরম্পরায় এই মোম তৈরি করেন শান্তিপুরের কয়েক ঘর মোমশিল্পী। ভাঙা রাসের দিন নগর পরিক্রমা দেখতে শহরের রাজপথে যে ভিড় উপচে পড়ে, আলো আঁধারির খেলা দেখতে বিগ্রহ বাড়ির রাস উৎসবে সেই ভিড়ের অন্তত তিনগুণ দর্শনার্থী থাকেন। নামে বেলজিয়াম ফানুস হলেও এগুলি এক সময় নিয়ে আসা হয়েছিল ফ্রান্স এবং ভেনিস থেকে। এখনও সেখানে এই ফানুস তৈরি হয়। বিগ্রহবাড়ির সদস্যদের কথায়, এখন আর ইউরোপ থেকে বেলজিয়াম ফানুস নিয়ে আসা হয় না। পরিবর্তে জায়গা নিয়েছে শহর কলকাতায় তৈরি কাচের অন্যান্য ফানুস। দামে কম হলেও আভিজাত্যে ধারেকাছেও যায় না।

    তিনদিন সন্ধ্যার পর বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন (Rash Yatra 2023)

    রাসের তিনদিন সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন করে রাখা হয় শহরের মঠবাড়ি ও দীনদয়াল বাড়িকে। রাসের সময় অন্তত শতাধিক বেলজিয়াম কাচের ফানুসে আলোয় আলো হয়ে ওঠে এই বাড়ি। পরিবারের সদস্য সুশান্ত মঠ বলেন, দেখতে অতীব সুন্দর। কিন্তু ফানুসের ভিতর মোমবাতি বসানোর ধরন একেবারেই সহজ নয়। অসাবধানতা কিংবা ভিতরের জ্বলন্ত মোমবাতি প্রায় এক ইঞ্চি ছোট হয়ে এলেই তাপের কারণে ভেঙে যেতে পারে সেগুলি। এভাবেই ৩০০ বছরের বহু পুরনো ফানুস ভেঙে গিয়েছে এই বাড়িতে। এক সময় মঠবাড়িতে রাসের প্রাঙ্গণে নাকি অন্তত দেড়শোখানা বেলজিয়াম কাচের ফানুস ঝোলানো হত। আজ শুধুই যত্নের ওপর টিকে রয়েছে এই প্রথা (Rash Yatra 2023)।

    জ্বালানো-নেভানোর কায়দা

    জানা গিয়েছে, ফানুসগুলিতে মোমবাতি জ্বালানোর ধরন যেমন আলাদা, তেমনিই মোমবাতি নেভানোর কায়দা। সরু আকৃতির একটি লাঠির মাথায় ন্যাকড়া বেঁধে স্পিরিটে চোবানো হয়। এরপর তাতে আগুন ধরিয়ে ঝুলন্ত ফানুসের ভিতরে থাকা মোমবাতি জ্বালানো হয়। স্থানীয় ভাষায় একে বলে ‘হুঁশ’। ঠিক একইভাবে লাঠির মাথায় ধাতব পাত্র ঝুলিয়ে কাচের ফানুসের উপরে আলতো চেপে ধরলে নিভে যায় মোমবাতি। এই পদ্ধতিকে স্থানীয়রা বলেন ফোঁস। শান্তিপুরের বাসিন্দারা বলছেন, এই শহরে রাসের (Rash Yatra 2023) মাহাত্ম্যের সঙ্গে যেন ওতপ্রোত সম্পৃক্ত হয়ে রয়েছে অভিজাত আলোকধারা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    North 24 Parganas: বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার! রত্নার বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় তৃণমূল, মঞ্চে ঠাঁই হল না নেত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতের জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস তাঁর বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য দলেই কার্যত কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন। এমনিতেই লোকসভা ভোটের আগে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম তোলা নিয়ে তিনি যে বক্তব্য রেখেছিলেন, তা নিয়ে বিজেপি সরব হয়েছে। এমনকী নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে গেরুয়া বাহিনী। কমিশনের তরফেও এ বিষয়ে জেলা প্রশাসনের কাছে রিপোর্ট তলব করা হয়েছে। সব মিলিয়ে জেলা তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় শাসক দল। রত্না বিশ্বাসও দলের অন্দরেই সমালোচিত হয়েছেন। এরই মধ্যে দলীয় সভায় জেলা নেত্রীকে মঞ্চে উঠতে দেওয়া হল না। রত্না যে অন্যায় করেছেন, তা তৃণমূল নেতৃত্বের আচরণে স্পষ্ট বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (North 24 Parganas)

    উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বারাসতে ২৬ নভেম্বর সংসদীয় জেলা তৃণমূলের বর্ধিত সভা হয়। সেই সভায় উপস্থিত ছিলেন বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারা। উপস্থিত ছিলেন বিতর্কিত বক্তব্য রাখা জেলা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস নিজেও। কিন্তু ওই সভায় মঞ্চে দেখা যায়নি রত্নাকে। এমনকী সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নেরও জবাব দেননি তিনি। তবে, রত্নার মন্তব্য যে ভুল, তা এদিন স্বীকার করেছেন কাকলি। এর পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমে কথা বলার বিষয়ে সতর্ক থাকার পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। রত্নার বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ‘ও ভুল করেছে। বোঝারও ভুল হয়েছে। বলারও একটু ভুল হয়েছে। ১৯৭১ অবধি যাঁরা এসেছেন, তাঁদের একই পরিবারের কারও নাম থাকলেও অনেকের নেই। ও সেটাই বলতে চেয়েছে। ঠিক মতো বোঝাতে পারেনি।’ তবে, সাংসদ তাঁর মন্তব্য নিয়ে কথা বললেও রত্না বিশ্বাস একটি কথাও বলেননি। দলের মধ্যেই তিনি যে বেশ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তার জ্বলন্ত প্রমাণ এই ঘটনাই।

    দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ করে দিয়েছেন জেলা তৃণমূল নেত্রী, সরব বিজেপি

    এই বিষয় নিয়ে শাসকদলকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি বিজেপি। বিজেপি নেতা তাপস মিত্র বলেন, রত্নার বক্তব্যের পরই পরিষ্কার হয়েছে কীভাবে রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রেখেছে তৃণমূল। দলের গোপন অ্যাজেন্ডা প্রকাশ্যে বলার কারণেই মঞ্চে ঠাঁই হয়নি সংসদীয় জেলার চেয়ারপার্সনের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Electric Vehicles: ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারে জোর! যোগী রাজ্যে বসছে ২ হাজার ‘পাবলিক চার্জিং স্টেশন’

    Electric Vehicles: ইলেকট্রিক যানবাহন ব্যবহারে জোর! যোগী রাজ্যে বসছে ২ হাজার ‘পাবলিক চার্জিং স্টেশন’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পরিবেশবান্ধব পর্যটন শিল্পকে জনপ্রিয় করতে এবং পর্যটকদের সুবিধার জন্য যোগী সরকার ২ হাজার ‘পাবলিক চার্জিং স্টেশন’ বসাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে। এই স্টেশনগুলির মাধ্যমে যে কোনও ধরনের ইলেকট্রিক যানবাহন (Electric Vehicles) চার্জ দেওয়া যাবে। আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি উদ্বোধন হবে রাম মন্দিরের। সেই রামনগরীতেও বসছে চার্জিং স্টেশন। এর পাশাপাশি তাজমহল এবং ব্যস্ততম সড়কগুলির পাশেও একাধিক জায়গায় বসছে ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন (Electric Vehicles)। যেভাবে পেট্রোল পাম্পগুলিকে দেখা যেত, সেভাবেই এখন ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন দেখা যাবে যোগী রাজ্যে। প্রসঙ্গত, পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক যান চলাচলে উৎসাহ দিচ্ছে কেন্দ্রও। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রী নিতিন গড়করি আগেই জানিয়েছিলেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যে বিকল্প শক্তির মাধ্যমে যান চলাচল দেখা যাবে দেশে। কমবে পেট্রোল-ডিজেলের ব্যবহার।

    কত ইলেকট্রিক যানবাহন রয়েছে যোগী রাজ্যে? 

    আনুষ্ঠানিকভাবে এই প্রজেক্টের কাজ করছে ‘উত্তরপ্রদেশ এক্সপ্রেসওয়েস ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’। তাদের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক যানবাহনগুলিকে (Electric Vehicles) আরও বেশি জনপ্রিয় করতেই এই প্রচেষ্টা। এর পাশাপাশি পেট্রোল এবং ডিজেলের ব্যবহার কমানোও লক্ষ্য। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে যোগী রাজ্যে ৪,১৪,৯৭৮টি ইলেকট্রিক যানবাহন (Electric Vehicles) চলাচল করে। উত্তরপ্রদেশের পরে সব থেকে বেশি ইলেকট্রিক যানবাহন চলাচল করে দিল্লিতে ১,৮৩,৮৭০। মহারাষ্ট্রে ইলেকট্রিক যানবাহনের সংখ্যা প্রায় ১,৭৯,০০০।

    কোথায় কোথায় বসছে চার্জিং স্টেশন

    জানা গিয়েছে, এই ২ হাজার চার্জিং স্টেশনের (Electric Vehicles) মধ্যে ১০০টি চার্জিং স্টেশন বসতে চলেছে রামমন্দির, তাজমহল, ফতেপুর সিক্রি, সারনাথ মন্দিরের আশপাশে। ২০০টি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে মথুরা, বৃন্দাবন, বারাণসী, অযোধ্যা, প্রয়াগরাজ এবং ঝাঁসির কাছে। ৪০০টি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে যমুনা এক্সপ্রেসওয়ে, আগ্রা এক্সপ্রেসওয়ে, বুন্দেলখ্ণড এক্সপ্রেসওয়ে, গোরক্ষপুর লিঙ্ক এক্সপ্রেসওয়ে, পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসওয়ের কাছে। বাকি ১,৩০০টি চার্জিং স্টেশন বসানো হবে আগ্রা, অযোধ্যা, বরেলি, ফিরোজাবাদ, গাজিয়াবাদ, গোরক্ষপুর, ঝাঁসি, কানপুর ইত্যাদি জায়গায়।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    Brucellosis: রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস! ফের মৃত্যু হল একজনের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনার রেশ সবে কেটেছে। চিনা নিউমোনিয়া নিয়ে বিশ্বজুড়ে তোলপাড় চলছে। এরই মধ্যে এই রাজ্যে চোখ রাঙাচ্ছে ব্রুসেলোসিস (Brucellosis)। এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুরও ঘটনা ঘটেছে। চলতি মাসেই এই রাজ্যে আরও একজনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম নিরঞ্জন রাহা। তাঁর বয়স ৫০ বছর। তাঁর বাড়ি নদিয়ার নাকাশিপাড়ার গোটেপাড়া এলাকায়।

    কীভাবে ছড়ায় এই রোগ? (Brucellosis)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, ব্রুসেলা জেনাসের অন্তর্ভুক্ত একদল ব্যাক্টেরিয়াই ব্রুসেলোসিসের (Brucellosis) কারণ। শুধু মানুষ নয়, সংক্রমিত করে পশুদেরও। আক্রান্ত পশুর ফ্লুইড থেকে সরাসরি মানুষের শরীরে ছড়িয়ে পড়তে পারে এই ভয়ঙ্কর ব্যাকটেরিয়া। কাঁচা অথবা আনপাস্তুরাইজড ডেয়ারি প্রোডাক্ট থেকেও ছড়িয়ে পড়ে ব্রুসেলোসিস। আরও নানাভাবে সংক্রামিত হতে পারে মানুষ। গত ৫ সেপ্টেম্বর, হুগলির পোলবার চৈতালী দেশি এই একই রোগে ভুগে বাঙুর হাসপাতালে মারা গিয়েছিলেন। এই মহিলা প্রাণীমিত্র ছিলেন। ফলে, কাজের সূত্রে পশুর নজরদারি করতে হত তাঁকে। সেখান থেকে তিনি সংক্রামিত হতে পারেন। তবে, তিনি প্রথম আক্রান্ত কি না সেই সংখ্যা নিয়ে দ্বিমত রয়েছে। এই প্রথম বা দ্বিতীয়, এটা সর্বকালীন না চলতি বছরের পরিসংখ্যান, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। কারণ, সংবাদমাধ্যমের একাংশের দাবি, গত বছর ডিসেম্বরে এই ব্রুসেলোসিসে আক্রান্ত হয়ে স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনে মারা গিয়েছিলেন পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের ৫১ বছরের বাসিন্দা শরবিন্দু ঘোষ। চলতি বছরে আরও দুজনের মৃত্যু হল।

    নদিয়ার ব্যক্তি কীভাবে আক্রান্ত হলেন?

    জানা গিয়েছে, নিরঞ্জন রাহার বাড়িতে গবাদি পশু ছিল। একইসঙ্গে তিনি চাষাবাদও করতেন। প্রাথমিক অনুমান, গবাদি পশুর শরীর থেকে তাঁর শরীরে এই ব্যাকটেরিয়ার প্রবেশ ঘটে। চলতি মাসের শুরুতে তিনি অসুস্থ বোধ করায় স্থানীয় হাসপাতালে দেখান। কিন্তু, শারীরিক উন্নতি না হওয়ায় তাঁকে গত ১৩ নভেম্বর আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরই মাঝে ১৬ নভেম্বর ব্রুসেলা (Brucellosis) রিপোর্ট পজিটিভ আসে তাঁর। গত ২৪ নভেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। গত দুমাসে পর পর দুজন এই রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বেগে রয়েছেন চিকিৎসকরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jagdeep Dhankhar: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’, বললেন ধনখড়

    Jagdeep Dhankhar: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’, বললেন ধনখড়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘গত শতাব্দীর মহাপুরুষ গান্ধী, বর্তমান শতকের যুগপুরুষ মোদি’’। সোমবার ঠিক এ কথাই বলতে শোনা গেল উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়কে। উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড়ের (Jagdeep Dhankhar) মতে, ‘‘মহাত্মা গান্ধী ব্রিটিশদের দাসত্ব থেকে মাতৃভূমির স্বাধীনতা এনেছিলেন। সত্যাগ্রহ এবং অহিংসা নীতিকে সম্বল করে। অন্যদিকে ভারতের সফলতম প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আমাদেরকে সেই উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছেন, যেখানে আমরা সর্বদাই যেতে চেয়েছি।’’ প্রসঙ্গত জগদীপ ধনখড় সোমবার বক্তব্য রাখেন জৈন ধর্মের প্রচারক ও দার্শনিক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে।

    মোদি ও গান্ধীর জীবনে রয়েছে আধ্যাত্মিকতার প্রতিফলন

    উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar) এদিন শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির জীবন ও দর্শন নিয়েও আলোকপাত করেন তাঁর বক্তব্যে। প্রসঙ্গত, জৈন ধর্মের অন্যতম প্রচারক শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজি ১৮৬৭ জন্মগ্রহণ করেছিলেন গুজরাটে। ১৯০১ সালে তাঁর প্রয়াণ ঘটে। জৈন ধর্মের প্রচারক এবং মহাত্মা গান্ধীকে আধ্যাত্মিক দর্শনদানের জন্য তাঁর বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। মহাত্মা গান্ধী এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি দুজনেরই জীবনে যে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রাজির প্রভাব রয়েছে, সে কথাও নিজের বক্তব্যে উল্লেখ করেন উপরাষ্ট্রপতি। তিনি আরও জানান যে দুজনেরই জীবনে প্রতিফলিত হয়েছে শ্রীমাদ রাজচন্দ্রজির দর্শন।

    নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন উপরাষ্ট্রপতি

    নাম না করে এদিন বিরোধীদেরও নিশানা করেন উপরাষ্ট্রপতি (Jagdeep Dhankhar)। তিনি বলেন যে কিছু শক্তি ভারতের উন্নয়নে বাধা দিচ্ছে। তাদের সহ্য হচ্ছে না ভারতের এমন উন্নতি। উন্নয়নে বাধা দেওয়া এই শক্তিগুলি একত্রিত হয়েছে। যখনই দেশের ভাল কিছু হয় তখনই তারা বিরোধিতায় সামিল হয়। এটা হওয়া উচিত নয়। এর পাশাপাশি তিনি (Jagdeep Dhankhar) বলেন যে আশেপাশে আপনারা যে সকল দেশগুলিকে দেখছেন তাদের ইতিহাস রয়েছে ৩০০ বছরের ৫০০ বছরের কী খুব বেশি হলে ৭০০ বছরের। কিন্তু ভারতবর্ষের ইতিহাস রয়েছে ৫ হাজার বছরের।

    ‘শ্রীমাদ রাজচন্দ্র মিশন ধরমপুর’ হল একটি বিশ্বব্যাপী মিশন। আধ্যাত্মিকতার দ্বারা সমাজ পরিবর্তনের কাজ করে এই মিশন। মিশনের আন্তর্জাতিক সদর দফতর রয়েছে গুজরাটে। মিশনের বেশ কতগুলো সৎসঙ্গ সেন্টারও রয়েছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল শ্রীমদ রাজচন্দ্রা ইয়ুথ গ্রুপস এবং শ্রীমৎ রাজচন্দ্রা ডিভাইন টাচ সেন্টার। জানা যায়, শ্রীমদ রাজচন্দ্রাজি এবং মহাত্মা গান্ধীর প্রথম দেখা হয়েছিল মুম্বইতে ১৮৯১ সালে। সে সময়ে ইংল্যান্ড থেকে ব্যারিস্টার হয়ে দেশে ফিরেছিলেন গান্ধী।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share