Author: user

  • Dakshineswar: স্কুলে ঢুকে অভিভাবকদের দাদাগিরি! ব্লেড হাতে ছাত্রীদের শাসানি, কেন জানেন?

    Dakshineswar: স্কুলে ঢুকে অভিভাবকদের দাদাগিরি! ব্লেড হাতে ছাত্রীদের শাসানি, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণেশ্বর (Dakshineswar) সারদাদেবী বালিকা বিদ্যামন্দিরের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে রীতিমতো দাদাগিরি দেখানোর অভিযোগ উঠল অভিভাবকদের বিরুদ্ধে। এমনকী প্রধান শিক্ষিকার চেয়ারে বসে এক অভিভাবক তাঁকে উদ্দেশ্য করে রীতিমতো হুমকি দিতে থাকেন বলে অভিযোগ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    কেন বিক্ষোভ? (Dakshineswar)

    স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্লাসে অনুপস্থিত থাকার কারণে একাদশ শ্রেণির ৬ জন ছাত্রীকে টেস্ট পরীক্ষায় বসতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। আর সেই ঘটনা জেনে স্কুলে এসে সেই ছাত্রীর অভিভাবকেরা দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar) ওই স্কুলের ভিতর শিক্ষিকাদের হুমকি দিতে থাকেন। স্কুলের ভিতরে ছাত্রীরা ব্লেড নিয়ে আত্মহত্যারও হুমকি দেয়। স্কুলের প্রধান শিক্ষিকার ঘরে ঢুকে প্রধান শিক্ষিকাকে চেয়ার থেকে তুলে, সেই চেয়ারেই এক অভিভাবক বসে প্রধান শিক্ষিকা সহ অন্যান্য শিক্ষিকাদের হুমকি দিতে থাকেন। স্কুলের মধ্যেই অভিভাবকদের এই দাদাগিরি দেখে স্কুল কর্তৃপক্ষ থেকে অন্যান্য পড়ুয়ারা হতবাক হয়ে যান। যদিও প্রধান শিক্ষক জানিয়ে দেন, যা করেছেন নিয়ম মেনে করেছেন। স্কুলে অনিয়মিত আসার কারণেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। অভিভাবকরা এই বিষয়ে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চাননি।

    ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চর্চা

    এই ঘটনা নিয়ে শাসকদলের কোনও নেতার প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও দক্ষিণেশ্বরের (Dakshineswar) ওই শিক্ষাঙ্গনে অভিভাবকদের দাদাগিরির ঘটনায় সরব হয়েছে সিপিএম ও বিজেপি। সিপিএম নেতা প্রদীপ মজুমদার বলেন, তৃণমূলের আমলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা আরও একবার প্রমাণ করে দিল রাজ্যে শিক্ষায় তৃণমূলের অপসংস্কৃতি ও অপসাশন চলছে। শিক্ষা দফতর পুরোটাই জেলে। তাই শিক্ষাঙ্গনে এই ছবি ছাড়া আর কী ছবি দেখবে বাংলার মানুষ। পাশাপাশি বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষিকাদের ওপর অভিভাবকদের এই ধরনের ঘটনা খুবই লজ্জাজনক। অভিভাবকরা যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এই ধরনের ঘটনা ঘটান, তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা কী শিখবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: তৃণমূলের আদি-নব্য গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল কুলপি, চলল ব্যাপক বোমাবাজি

    South 24 Parganas: তৃণমূলের আদি-নব্য গোষ্ঠীর সংঘর্ষে উত্তাল কুলপি, চলল ব্যাপক বোমাবাজি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) কুলপিতে আইএসএফের জয়ী পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করায় আদি এবং নব্য তৃণমূল কংগ্রেসের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। এই সংঘর্ষের সময় এলাকায় প্রচুর বোমাবাজির ঘটনাও ঘটে। এর ফলে কুলপির দৌলতাবাদ এলাকায় তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। গতকাল সোমবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। বিজেপির অবশ্য বক্তব্য, এটি তৃণমূলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বেরই ফল। ভাগের মাল নিয়ে লড়াই চলছে।

    কীভাবে ঘটনার সূত্রপাত (South 24 Parganas)?

    কুলপির (South 24 Parganas) দৌলতাবাদে আদি তৃণমূল করেন ছেলে। তাঁর মা ফতেমা বলেন, “এলাকায় অনেক দিন ধরে টার্গেট করা হচ্ছিল আদি তৃণমূল যারা করে। বেশ কয়েকদিন ধরেই বাড়ির চারপাশে ঘোরাঘুরি করছিল দুষ্কৃতীরা। সেই সঙ্গে করা হয় ব্যাপক বাড়ি ভাঙচুর এবং বোমাবাজি। সকলে আমরা রীতিমতো ভয়ে রয়েছি।”

    ৪০ টি বোমাবাজির অভিযোগ

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুষ্কৃতীরা প্রায় ৪০ টি বোমা মারে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ৩০টি বাড়ি ভাঙচুর করা হয়। আরও অভিযোগ ওঠে, বাড়ি থেকে বাইরে গিয়ে জল আনতে দেওয়া হয় না, ছেলেমেয়েদের স্কুলে যেতে দেওয়া হয় না। নানাভাবে অত্যাচার করে নব্য তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। ভাঙা হয়েছে তৃণমূলের পার্টি অফিস এবং সেই সঙ্গে সংঘর্ষের জেরে আহত হয়েছেন ইতিমধ্যেই ৩ জন। আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    বিজেপির বক্তব্য

    স্থানীয় এক বিজেপি নেত্রী অন্মিয়া শেখ বলেন, “আগে ছিল বুড়িমার বোম। এখন পিসির রাজত্বে চলছে, পিসিমার বোমা। তৃণমূলের রাজত্বে কেউ সুরক্ষিত নয়। সারা রাজ্য জুড়ে আতঙ্কের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে।”

    পুলিশের ভূমিকা

    ঘটনার পর কুলপি থানা থেকে এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী। পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঘটনার জেরে বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত দুই পক্ষের পক্ষ থেকে থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    Malda: বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ নিদান দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লোকসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে, বিজেপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে বেশি আক্রমণাত্মক হচ্ছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। দুদিন আগেই কোচবিহারের দলীয় সভায় বিজেপি কর্মীদের বাড়ি থেকে বের করে মারার নিদান দিয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহ। এবার আরও এক ধাপ এগিয়ে বিজেপি সাংসদ, বিধায়কদের ‘জিভ টেনে ছিঁড়ে নেওয়ার’ হুমকি দিলেন মালদা (Malda) জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা মালতিপুরের বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সি। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি? (Malda)

    মালদার (Malda) বামনগোলায় পথসভা থেকে বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন আব্দুর রহিম বক্সি। তিনি বলেন, ‘বিজেপি সাংসদ খগেনবাবুরা ৩৫ কোটি টাকা পান, কত টাকা কমিশনে কাজ বিক্রি করেছেন ঠিকাদরদের কাছে। সেই ৩৫ কোটি টাকা কোথায় তার হিসেব দিতে হবে। এরপরেই তিনি বলেন, ‘বহু কথা বলেছেন,বড় বড় আওয়াজ তুলছেন, মানুষ কিন্তু এবার ছেড়ে কথা বলবে না। যে মুখ দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন, যে মুখ দিয়ে মিথ্যা কথা বলে মানুষদের বিভ্রান্ত করছেন, সেই মুখ থেকে জিভটা টেনে ছিঁড়ে বের করে মানুষ প্রমাণ করবে যে মানুষ আপনাদের সঙ্গে নেই।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই কলোনির হাটে যে রাস্তাগুলো হয়নি এখানে কেন্দ্রীয় সরকার যত বঞ্চনা করুক, খগেন মুর্মু যত বঞ্চনা করুক, জুয়েল মুর্মু যত বিরোধিতা করুক আর বিজেপি যত বিরোধিতা করুক, সমস্ত রাস্তা তৃণমূল কংগ্রেস করবে।’ মূলত বেহাল রাস্তার কারণে খাটিয়া নিয়ে রোগী নিয়ে যেতে রাস্তাতেই রোগীর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা থেকে বাঁচতে রাস্তা তৈরির সাফাই দিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিজেপি বিধায়ক কী বললেন?

    বিজেপি বিধায়ক জুয়েল মুর্মু বলেন, ‘আমরা কারও জিভ ছিঁড়তে রাজি নই। এই মন্তব্যের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। মালদায় (Malda) অ্যাম্বুল্যান্স না পাওয়ার জন্য এক মহিলার মৃত্যু দুঃখজনক। তবে এমজিএনআরজিএ-র কাজ হলে রাজ্য সরকার সেই কাজ করবে। সেটা বিধায়কের দেখার কথা নয়। স্থানীয় গ্রামের প্রশাসনের দেখা উচিত।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • NCERT: রামায়ণ-মহাভারত হতে চলেছে পাঠ্যসূচির অংশ? প্রস্তাব এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান কমিটির

    NCERT: রামায়ণ-মহাভারত হতে চলেছে পাঠ্যসূচির অংশ? প্রস্তাব এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান কমিটির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার পাঠ্য বইয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে রামায়ণ ও মহাভারত। ইতিহাসের বিষয়বস্তু হিসেবেই এই দুই ভারতীয় মহাকাব্যকে পড়ানো হবে। এনসিইআরটি-এর (NCERT) একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এনসিইআরটি-এর সমাজবিজ্ঞান বিভাগের যে কমিটি রয়েছে, সেই কমিটির প্রস্তাবেই ইতিহাসের পাঠ্য বইয়ে নানা বদল আসতে পারে বলে জানা গিয়েছে। ওই কমিটি আরও প্রস্তাব দিয়েছে বৈদিক সাহিত্য এবং আয়ুর্বেদের বিভিন্ন বিষয়কেও পাঠ্যসূচির অন্তর্ভুক্ত করার জন্য। তবে এখনও পর্যন্ত এনসিইআরটি-এর (NCERT) চূড়ান্ত সিলমোহর পায়নি এই প্রস্তাব।

    কী বলছেন এনসিআরটি-এর শীর্ষ আধিকারিক?

    এনসিইআরটি-এর (NCERT) প্যানেলের শীর্ষ আধিকারিক প্রফেসর সি আই ইসাকের মতে, ‘‘ইতিহাসকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করার জন্য প্যানেল প্রস্তাব দিয়েছে। যার মধ্যে থাকবে প্রাচীন ইতিহাস, মধ্যযুগীয় ইতিহাস, ব্রিটিশ যুগ এবং আধুনিক ভারত।’’ প্রসঙ্গত, এতদিন পর্যন্ত তিনটি বিভাগই পড়ানো হতো ইতিহাসে এবং তা হল প্রাচীন ইতিহাস, মধ্যযুগের ইতিহাস এবং আধুনিক ভারত। জানা গিয়েছে, প্রাচীন ইতিহাসের অন্তর্ভুক্ত হতে চলেছে ভারতের দুই বিখ্যাত মহাকাব্য রামায়ণ এবং মহাভারত। এনসিআরটির-এর ওই শীর্ষ আধিকারিক আরও জানিয়েছেন, তাঁদের প্রস্তাব হল রামচন্দ্রের বিষয়ে ছাত্রদের ধারণা তৈরি করা। রামচন্দ্র কে ছিলেন এবং তাঁর রাজত্ব কেমন ছিল, তিনি কখনও প্রজাদের মধ্যে ভেদাভেদ করেননি এই সমস্ত বিষয়ই ছাত্রদের জানাতে চায় এনসিইআরটি।

    শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে লেখা থাকবে সংবিধানের প্রস্তাবনা 

    এছাড়া ওই কমিটির তরফ থেকে আরও প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে, সংবিধানের প্রস্তাবনাকে শ্রেণিকক্ষের দেওয়ালে লেখার জন্য। বিভিন্ন আঞ্চলিক ভাষাতেই ওই প্রস্তাবনা লেখার সুপারিশ করা হয়েছে। এর পাশাপাশি জাতীয় বীর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বোস সম্পর্কে আরও বিস্তৃত ব্যাখার প্রয়োজন বইয়ে রয়েছে বলে মনে করছে এনসিআরটি-এর (NCERT) কমিটি। এ বিষয়ে এনসিইআরটি-এর আধিকারিক সি আই ইসাক বলেন, ‘‘আমাদের ছাত্রদের অবশ্যই জানা উচিত জাতীয় বীরদের সম্পর্কে এবং তাদের লড়াই সম্পর্কে। এর ফলে ছাত্রদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি পাবে।’’ প্রসঙ্গত এর আগেই এনসিইআরটির তরফ থেকে প্রস্তাব নেওয়া হয় যে পাঠ্য বইতে এবার থেকে ইন্ডিয়ার বদলে ভারত পড়ানো হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    Sikkim Tourism: পর্যটকদের জন্য সুখবর, নিরাপদ এখন সিকিম, খুলে দেওয়া হল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বড় দিনের আগেই পর্যটকদের জন্য সুখবর। চালু হয়ে গেল সিকিমের জাতীয় সড়ক। ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক মেরমতির পর এবার স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে সিকিম যেতে আর কোনও বাধা নেই। সিকিমের পর্যটন (Sikkim Tourism) ব্যবসায়ীরা এবার আশার আলো দেখছেন।

    সিকিম প্রশাসনের বক্তব্য (Sikkim Tourism)

    সিকিম রাজ্যের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞাপন জারি করে জানানা হয়েছে যে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক চালু করা হয়েছে। এবার খুব সহজেই সিকিমে যাওয়া যাবে। সেই সঙ্গে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে যুক্ত বাকি রাস্তাগুলিও সারাই করা হয়েছে। পর্যটক (Sikkim Tourism) এবং ব্যবসায়ীদের কথা মাথায় রেখে এই রাস্তা দ্রুত মেরামত করা হয়েছে। সিকিম এখন পুরোপুরি নিরাপদ। এই শীতে পর্যটনের জন্য  বেশ উপযুক্ত। 

    সিকিমের পর্যটন দফতরের সচিব বন্দনা ছেত্রি বলেন, “সোমবার থেকেই পর্যটনের জন্য সিমিক প্রবেশের জন্য সড়ক পথ খুলে দেওয়া হয়েছে। সিকিমে বেড়াতে এলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে উত্তর সিকিমের বেশ কিছু জায়গায় যেতে নিষেধ আজ্ঞা রয়েছে।”

    ভ্রমণ নিরাপদ

    সিকিম সরকারের পক্ষ থেকে উত্তর সিকিমের কিছু কিছু এলাকা এখনও বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু ওই অংশ ছাড়া বাকি অংশগুলিতে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত নিরাপদ। ফলে শীতের আগেই পর্যটকদের (Sikkim Tourism) টানতে এই বিপর্যয়কে অতিক্রম করতে সিকিম সরকার বিশেষ উদ্যোগী হয়েছেন। গ্যাংটক, নামচি, সোরেং, গেজিং, পাকিয়ং ইত্যাদি এলাকা এখন সম্পূর্ণ ভাবে নিরাপদ। তাই শীতের মরসুমে বেড়াতে যাওয়াতে কোনও অসুবিধা নেই বলে জানা গিয়েছে।

    হড়পা বানে বিপর্যস্ত ছিল সিকিম

    দুর্গাপুজোর আগে অক্টোবর মাসের প্রথমের দিকে মেঘভাঙা বৃষ্টির কারণে উত্তর সিকিমের লোনাক হ্রদ ভেঙে গিয়েছিল। তিস্তার জলের স্রোতে ভেঙে পড়েছিল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। বাড়িঘর, গাছপালা লণ্ডভণ্ড হয়ে গিয়েছিল। উত্তরবঙ্গের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। এর প্রভাব পড়েছিল তিস্তা নদীর পাড় সংলগ্ন জলপাইগুড়ির এলাকায়। বিপর্যয় মোকাবেলায় উদ্ধার কাজে তৎপর হয়েছিল সুরক্ষা বাহিনী। আটকে পড়েছিলেন প্রচুর পর্যটক (Sikkim Tourism)। কেন্দ্রের তরফ থেকে ঘোষণা করা হয়েছিল বিশেষ অনুদান।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jagadhatri Puja 2023: একটি গ্রামেই ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো! ভোররাত পর্যন্ত চলে বিসর্জন

    Jagadhatri Puja 2023: একটি গ্রামেই ২৭টি জগদ্ধাত্রী পুজো! ভোররাত পর্যন্ত চলে বিসর্জন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জগদ্ধাত্রী পুজোর কথা শুনলেই আমাদের সবার মনে আসে কৃষ্ণনগর এবং চন্দননগরের নাম। কিন্তু জানেন কি, মুর্শিদাবাদ জেলার কাগ্রামে অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব এই জগদ্ধাত্রী পুজো (Jagadhatri Puja 2023)? কাগ্রাম কান্দি মহকুমার সালার থানায় অন্তর্ভুক্ত একটি প্রাচীন গ্রাম। এই গ্রামে বসবাস করেন ব্রাহ্মণ, শাক্ত এবং বৈষ্ণব পরিবার। শোনা যায়, গ্রাম্য দেবী কংকচণ্ডীর নাম অনুসারে এই গ্রামের নাম কাগ্রাম। এই গ্রামে দুর্গাপুজো এবং কালীপুজো হলেও শ্রেষ্ঠ উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। ২২ টি পাড়ায় এই পুজো হচ্ছে। গত বছর পুজোর সংখ্যা ছিল ২৬ টি। এবার একটি বেড়ে হয়েছে ২৭ টি। তার মধ্যে নটি পারিবারিক পুজো এবং ১৮টি সর্বজনীন। মঙ্গলবার সূর্যোদয়ের সঙ্গে শুরু হয় পুজো। পুজোর ভোগে থাকে বৈচিত্র। সপ্তমীতে ভাত, শাক ভাজা, মাছ, তরকারি, চাটনি। অষ্টমীতে খিচুড়ি, পোলাও, ভাজা, তরকারি। আর নবমীতে লুচি ও সুজি। আগে পশু বলি হলেও এখন চালকুমড়ো বলি হয় বলে জানান উদ্যোক্তারা।

    পারিবারিক থেকে সর্বজনীন (Jagadhatri Puja 2023)

    জানা যায়, এখানকার রায়পাড়ার জগদ্ধাত্রী পুজো প্রাচীন পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। এটা পারিবারিক পুজো হলেও পরবর্তীতে কিছু ঘটনা ঘটায় তা সর্বজনীন হয়ে ওঠে। এই পুজোকে কেন্দ্র করে এক কাহিনী শোনা যায়। এখানকার পুজো শুরু করেন শম্ভুনাথ রায়। সেই পরিবারের এক সদস্য বলেন, রায়বাড়িতে আগে দুর্গাপুজো, কালীপুজোর সঙ্গে জগদ্ধাত্রী পুজো শুরু হয়। কিন্তু এই পুজো শুরু হওয়ার পর থেকে প্রতি বছর কোনও না কোনও দুর্ঘটনা ঘটত। সেই সময় পুজোর উদ্যোক্তারা নবদ্বীপের পণ্ডিত সমাজের কাছে গিয়ে এই ব্যাপার নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁরা বলেন, একই বাড়িতে তিনটে শক্তির পুজো করা উচিত নয়। যদি করতে হয়, তাহলে চাঁদা তুলে করতে হবে। সেই থেকে এই পুজো সর্বজনীন (Jagadhatri Puja 2023) হয়ে থাকে।

    ভোররাত পর্যন্ত বিসর্জন (Jagadhatri Puja 2023)

    এই পুজোর সংকল্প হয় মহিলাদের নামে। প্রহর ভাগ করে সকালেই ষষ্ঠী পুজো করা হয় এবং সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী ও দশমী- এই চারটি তিথিতে ভাগ করে পুজো করা হয় বলে জানান উদ্যোক্তারা। আজ বুধবার গ্রামের সমস্ত প্রতিমা ভোররাত পর্যন্ত বিসর্জন চলবে বলে জানা যায়। এখানকার সমস্ত প্রতিমা সাবেকি। পুজোর প্রধান আকর্ষণ হল বিভিন্ন ধরনের বাজনা। পুজোমণ্ডপে ঢাকের বাদ্যি বাজলেও অনেকে ব্যান্ডের দল, সানাই সহ বহু ধরনের বাজনার আয়োজন করে। বেশ কিছু পুজো কমিটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করে। এর সঙ্গে বাউল গানও থাকে বলে জানান পুজো কমিটির উদ্যোক্তারা (Jagadhatri Puja 2023)। পুজোর দিন প্রচুর দর্শনার্থী আসেন। সেই জন্য পুজো কমিটি দর্শনার্থীদের বিশ্রাম নেওয়ারও ব্যবস্থা করেন। কিছু পুজো কমিটি আহারেরও ব্যবস্থা রাখেন। এই পুজোকে কেন্দ্র করে গ্রামে বসেছে বিরাট মেলা। সেখানে নাগরদোলা থেকে আরম্ভ করে নানা ধরনের জিনিস এবং খাবারের দোকান বসেছে। এছাড়া গ্রামে পুলিশ ও একাধিক মেডিকেল ক্যাম্প বসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Liquor factory: হুগলির মদের কারখানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে আয়কর দফতরের হানা

    Liquor factory: হুগলির মদের কারখানায় কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ঘিরে আয়কর দফতরের হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলির মদের কারখানায় (Liquor factory) চলছে আয়কর হানা। চারদিক ঘিরে রেখেছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। কড়া নিরপত্তায় চলছে তল্লাশি অভিযান। মঙ্গলবার ভোরবেলা থেকেই চলছে এই অভিযান। এলাকায় এই নিয়ে তীব্র শোরগোল পড়েছে।

    উল্লেখ্য, দুর্গাপুজোর সময়ে রাজ্যে মদের বিক্রি প্রচুর পরিমাণে হয়েছে। এই বছর ঝাড়গ্রামে পুজোর পাঁচ দিনে মোট ৪ কোটি ১৮ লাখ টাকার মদ বিক্রি হয়েছিল বলে জানা গিয়েছে। এটা বাকি জেলার তুলনায় সবথেকে বেশি। এই বছর আবগারি দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গত বছরের তুলনায় এক কোটির বেশি টাকার মদ বিক্রি হয়েছে রাজ্যে। ফলে রাজ্যে এত টাকার মদ বিক্রি সাধারণ মানুষের কাছে অত্যন্ত চিন্তার বিষয়। ইতিমধ্যে মদের কারখানায় আয়কর দফতরের হানায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

    হুগলির কোন মদের কারখানায় হানা (Liquor factory)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হুগলির অ্যালপাইন ডিস্‌টিলারিস প্রাইভেট লিমিটেড কারখানায় (Liquor factory) চলছে তল্লাশি। মোট পাঁচটি গাড়িতে করে আয়কর দফতরের অফিসাররা কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে হানা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এই কারখানা পোলবা থানার অন্তর্গত মহানাদ গ্রামে অবস্থিত। এই কারখানার মূল মালিক দিল্লির একটি সংস্থা। এখানকার ডিরেক্টরের নাম দেবরাজ মুখোপাধ্যায়। সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এখানে বিশেষ ব্র্যান্ডের ‘রাম’ ওল্ড মঙ্ক বোতলজাতের কাজ করা হয়। এছাড়াও এখানে প্রচুর ইথানল উৎপাদন করা হয়। মদ উৎপাদনের জন্য এই কাঁচামাল ইথানল একটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয় উপাদান।

    কারখানার কর্মীর বক্তব্য

    স্থানীয় সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এই মদের কারখানায় (Liquor factory) পুরুষের তুলনায় মহিলারা বেশি কাজ করেন। কারখানায় মোট শ্রমিক কাজ করেন ৩০০ জন। আয়কর দফতর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে ৪ টা থেকেই হানা দেওয়ায় এখনও পর্যন্ত কাজ বন্ধ রয়েছে। কাজে গেলে শ্রমিকদের কাজ করতে বাধা দেন নিরাপত্তা রক্ষীরা। কারখানার কর্মী মঞ্জু বাউল দাস বলেন, “সকাল ৮ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত আমাদের কাজ করতে হয়। সকালে কাজে এলে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। একবার ভিতরে গেলে আর বাইরে যাওয়া যাবে না বলে জনিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই আর ঢুকিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Uttarakhand Tunnel Collapse: সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের ভিডিও প্রকাশ্যে এল, কী করছেন ওঁরা?

    Uttarakhand Tunnel Collapse: সুড়ঙ্গে আটক শ্রমিকদের ভিডিও প্রকাশ্যে এল, কী করছেন ওঁরা?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তরকাশীর সুড়ঙ্গে আটকে থাকা (Uttarakhand Tunnel Collapse) শ্রমিকদের প্রথম ছবি ও ভিডিও প্রকাশ্যে এল মঙ্গলবার। ওই ছবিতে দেখা যাচ্ছে প্রত্যেক শ্রমিকই সুস্থ-স্বাভাবিক আছেন এবং তাঁরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে একে অপরের সঙ্গে কথা বলছেন। প্রত্যেকের মাথায় হলুদ রঙের হেলমেটও দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবারই ৬ ইঞ্চি পাইপ লাইনের মাধ্যমে সুড়ঙ্গে এন্ডোস্কপি ক্যামেরা ঢোকানো হয়। এরপরেই প্রকাশ্যে আসে ছবি এবং ভিডিও। প্রসঙ্গত, গত ১২ নভেম্বর থেকে আটকে পড়া শ্রমিকদের (Uttarakhand Tunnel Collapse) প্রথমবার গরম খাবার সোমবারই দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও পাইপলাইনের মাধ্যমে তাঁদের কাছে শুকনো ফল, জল ইত্যাদি সরবরাহ করা হচ্ছে।

    কী বলছেন শ্রমিকরা?

    প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক সুড়ঙ্গের ভিতরে শ্রমিকরা কেমন রয়েছেন, সেই অবস্থা বোঝার জন্য পাইপ লাইনের ভিতর দিয়ে ক্যামেরা ঢোকানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে নিয়ে আসা হয় ক্যামেরা এবং পাইপ লাইনের মাধ্যমে তা সুড়ঙ্গে প্রবেশ করানো হয়। জানা গিয়েছে, এর আগে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের অবস্থা জানার জন্য ভিতরের ড্রোন পাঠানোরও চেষ্টা করা হয়েছিল। তবে সে চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। ধ্বংসাবশেষের মধ্যে দিয়ে খুব বেশি দূর এগোতে পারেনি ড্রোন। একটি ড্রোন খারাপই হয়ে গিয়েছিল। তবে এবার সফল হল এন্ডোস্কপি ক্যামেরার কাজ। ধরা পড়ল আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি। ক্যামেরার দিকে তাকিয়ে শ্রমিকরা হাতও নাড়েন। ওয়াকি টকিতে শ্রমিকদের (Uttarakhand Tunnel Collapse) সঙ্গে কথা বলেন উদ্ধারকারী দলের শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রত্যেকেই জানান, কঠিন পরিস্থিতি রয়েছে, কিন্তু তবুও তাঁরা সুস্থ রয়েছেন।

    উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর ট্যুইট

    এ নিয়ে ট্যুইট করেছেন উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুস্কর সিং ধামী। তিনি লিখছেন, ‘‘এই প্রথমবারের জন্য, উত্তরকাশীর সিলকিয়ারাতে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গের মধ্যে আটকে পড়া শ্রমিকদের ছবি সামনে এসেছে (Uttarakhand Tunnel Collapse)। সমস্ত শ্রমিকরা সম্পূর্ণ সুরক্ষিত আছেন। তাঁদেরকে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সুস্থ অবস্থায় বাইরে বের করে আনার জন্য আমরা আমাদের সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা করছি।’’

    প্রসঙ্গত জোর কদমে চলছে শ্রমিকদের উদ্ধারের কাজ। উপর থেকে ড্রিল করে সুড়ঙ্গে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারের চেষ্টা করার কাজ শুরু হবে আজ থেকেই। মোট ৪১ জন শ্রমিকের মধ্যে বাংলার তিনজন শ্রমিক রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে কোচবিহারে তুফানগঞ্জের মানিক তালুকদার, হুগলির পুড়শুড়ার জয়দেব প্রামাণিক এবং হরিণাখালির সৌভিক পাখিরা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুনে অধরা মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ

    North 24 Parganas: গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান খুনে অধরা মূল অভিযুক্ত, তৃণমূল বিধায়ককে ঘিরে বিক্ষোভ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার পঞ্চায়েত প্রধান খুনের পর পাঁচদিন কেটে গেলেও এক অভিযুক্ত ছাড়া কাউকেই পুলিশ ধরতে পারেনি। ঘটনার মূল চক্রী আবু তোয়েব হোসেন মণ্ডলকে আটক করার পরেও ছেড়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ পরিবারের। এই অভিযোগ তুলে আমডাঙার তৃণমূল বিধায়ক রফিকুর রহমানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখালেন নিহত শাসক দলের প্রধানের পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা। বিক্ষোভের মুখে পড়ে ঘটনাস্থল থেকে আমডাঙা থানার আইসিকে বিধায়ক ফোন করে খুনে জড়িতদের ধরার কথা বলেন। দ্রুত ব্যবস্থা না-নেওয়া হলে সর্বোচ্চ স্তরে বিষয়টি জানানো হবে বলে তিনি মৃতের পরিজনদের আশ্বাস দিয়েছেন।

    সোমবার ছিল রূপচাঁদের পারলৌকিক কাজ (North 24 Parganas)

    গত ১৬ নভেম্বর উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার কামদেবপুরহাট সংলগ্ন রাস্তার ধারে দুষ্কৃতীদের বোমায় নিহত হন পঞ্চায়েত প্রধান রূপচাঁদ মণ্ডল। পরের দিন মৃতের পরিজনদের সঙ্গে দেখা করে তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দেন। দোষীদের গ্রেফতারের আশ্বাস দিয়েছিলেন মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক, সাংসদ অর্জুন সিং। সোমবার ছিল রূপচাঁদের পারলৌকিক কাজ। তাঁর বাড়িতে প্রথমে গিয়েছিলেন বারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিং। পরে পৌঁছান আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর রহমান। বাড়িতে বিধায়ক আসতেই তাঁকে ঘিরে তুমুল বিক্ষোভ দেখান মৃতের পরিবারের লোকজন ও তৃণমূল কর্মীদের একাংশ। বিধায়ক রফিকুর রহমানের কাছে জবাব চান মৃতের আত্মীয়া।

    নিহত তৃণমূল প্রধানের স্ত্রী কী বললেন?

    মৃত রূপচাঁদের স্ত্রী সুরূফা বিবির অভিযোগ, ‘চার দিন কেটে গেলেও এখনও স্বামীর খুনিদের পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। মূল অভিযুক্ত তোয়েবকে আটক করেছিল পুলিশ। কিন্তু, তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এখনও সে অধরা। আমি চাই, দোষীদের কঠোর শাস্তি হোক।’ মৃতের পরিজনদের আরও অভিযোগ, ‘সঠিকভাবে তদন্ত করলে এফআইআরে নাম থাকা তোয়েব-সহ চার জনকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারত।’ তাঁরা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিও জানান।

    আমডাঙার বিধায়কের কী বক্তব্য?

    আমডাঙার বিধায়ক রফিকুর বলেন, ‘এলাকার মানুষ ব্যাপক ক্ষুব্ধ হয়ে রয়েছেন। তাদের ক্ষোভ থাকাটা স্বাভাবিকই। চার দিন পরেও কেন বাকি অভিযুক্তরা ধরা পড়ল না, সেই দাবি করেছেন নিহতের পরিবার ও প্রতিবেশীরা। আমি আইসির সঙ্গে কথা বলেছি। পাশাপাশি ওনারা তোয়েবকে আটক করার পর ছেড়ে দেওয়ার যে অভিযোগ করছেন, সেটা নিয়েও কথা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Krishnanagar: মা জগদ্ধাত্রীর পুজোয় ছেলেরাই শাড়ি আর কপালে টিপ পরে যান জল ভরতে!

    Krishnanagar: মা জগদ্ধাত্রীর পুজোয় ছেলেরাই শাড়ি আর কপালে টিপ পরে যান জল ভরতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পাড়ার ছেলেরাই শাড়ি আর কপালে টিপ পরে ঢাক-ঢোল সহকারে বাজনা বাজিয়ে যান জল ভরতে। মালোপাড়া বারোয়ারির জগদ্ধাত্রী পুজোয় এই বিশেষ নিয়ম চলে আসছে বহু যুগ ধরে। পুজোর আগের দিন মাঝ রাতে মেয়েরাই পাড়ার ছেলেদের পরিয়ে দেন শাড়ি। এরপর ঢাকের বাজনা সহযোগে সেই শাড়ি পরিহিত ছেলেরাই মা জলেশ্বরীর পুজোর জন্য যান জল ভরতে। জল ভরার সময় রাস্তায় তিন দেবতার মন্দিরে এসে তাঁরা আমন্ত্রণ জানিয়ে যান এবং সেই আমন্ত্রণের মধ্যে দিয়েই করা হয় জগদ্ধাত্রী (মা জলেশ্বরী) পুজোর সূচনা। এভাবেই বছরের পর বছর ধরে যাবতীয় নিয়ম মেনে নিষ্ঠার সঙ্গে হয়ে আসছে মা জলেশ্বরীর পুজো (Krishnanagar)।

    বিশেষ আকর্ষণ ধুনো পোড়ানো (Krishnanagar)

    রাজা কৃষ্ণচন্দ্রের রাজবাড়ির পুজোর পর কৃষ্ণনগরের (Krishnanagar) সব থেকে পুরনো পুজো হল এই মালোপাড়া বারোয়ারির মা জলেশ্বরীর পুজো। এই পুজোর বিশেষত্ব অনেক। রাজার থেকে অনুদান পেয়ে শুরু হয় এই পুজো এবং এখনও অনুদান আসে। মা জলেশ্বরী মালোপাড়ার দেবী। এখানে একটা বিশেষ আকর্ষণ হল, ধুনো পোড়ানো। একজন মানুষের মাথায় ও দুই হাতে ধুনো পোড়ানো হয়। লেলিহান শিখা ছুঁয়ে যায় মন্দিরের ছাদ। মালোপাড়ার মা জলেশ্বরীর বিসর্জন কৃষ্ণনগরের ঐতিহ্যশালী সাঙ-এর দ্বারা হয় না। অর্থাৎ, কাঁধে হয় না, গাড়িতে হয় এবং একমাত্র ওনার সামনে এখনও জ্বলে কার্বাইট গ্যাসের বাতি।

    ভক্তদের মনে পাকাপাকি জায়গা (Krishnanagar)

    উল্লেখ্য, বঙ্গের তখতে তখন নবাব আলিবর্দি খাঁ। তাঁর রাজত্বকালে নদীয়ার রাজার কাছ থেকে ১২ লক্ষ টাকা নজরানা দাবি করা হয়। কৃষ্ণচন্দ্র রায় তা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে বন্দি করে নিয়ে যাওয়া হয় মুর্শিদাবাদে। ছাড়া পেয়ে রাজা যখন নদীপথে কৃষ্ণনগরে (Krishnanagar) ফিরছেন, শুনতে পেলেন মা দুর্গার বিসর্জনের বাজনা। সেই বছর দুর্গাপুজো করতে না পারায় অত্যন্ত দুঃখ পান তিনি এবং তার পরেই দেবীর স্বপ্নাদেশ পেয়ে শুরু করেন জগদ্ধাত্রী পুজো। এই গল্প বহু প্রচলিত। কিন্তু তার মাঝে পুরনো পুজো হিসেবে অনেকের মনেই পাকাপাকি জায়গা করে নিয়েছে মা জলেশ্বরীর পুজো। কারণ, রাজবাড়ির প্রতিমা বিসর্জন করে আসছেন এই মালোপাড়ার লোকজন। তাই মহারাজা বিশেষ অনুদান দিয়ে এখানে পুজোটি চালু করেছিলেন। অনেকে আবার বলেন, মহারাজ নয়, আসলে এটি রানির পুজো। ফলে রাজ পরিবারের সঙ্গে এই পুজোর একটা যোগসূত্র রয়েইছে। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share