Author: user

  • Alipurduar:  চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    Alipurduar: চা শ্রমিকদের নিয়ে উত্তরে ফের বাজিমাত করতে তৈরি হচ্ছে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) তৃণমূলের ছন্নছাড়া অবস্থা। আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার প্রকাশ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমা ফাটিয়ে দলত্যাগ করেছেন। প্রবীণ এই নেতার দলত্যাগের ফলে দলীয় কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দলীয় নেতৃত্ব চাপে রয়েছেন। এই অবস্থায় লোকসভা ভোটকে পাখির চোখ করে জোর প্রস্তুতি শুরু করেছে বঙ্গ বিজেপি। এবার আলিপুরদুয়ারের রণকৌশল ঠিক করতে গুরুত্বপূর্ণ মিটিং-এ করলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির সাত বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লার উপস্থিতিতে এই মিটিং অনুষ্ঠিত হয়।

    বৈঠকে কী আলোচনা হয়? (Alipurduar)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপির পক্ষ থেকে তিনটি ধাপে বৈঠক শুরু করা হয়েছে। ২০২৪ সালে আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) আসনটি বিজেপি দখল করতে পারে তার রুপরেখা তৈরি করা। বুথ ভিত্তিক দলের সার্বিক অবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য কর্মীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সংগঠনকে আরও মজবুত করতে কর্মীদের কী কী করা দরকার তা নিয়ে বৈঠকে বিস্তারিত আলোচনা হয়। নির্বাচনে জন্য রণকৌশল ঠিক করা হয়। চা বাগান,পুরসভা ও বস্তিকেন্দ্রিক এই তিনটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে। মূলত চা বাগানের শ্রমিকেরা এই এলাকায় মস্তবড় ভোট ব্যাঙ্ক। তাই, বঞ্চিত শ্রমিকদের পাশে থেকে তাঁদের দাবিদাওয়া নিয়ে কর্মীদের সোচ্চার হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  

    কী বললেন বিজেপির জেলা সভাপতি?

    বিজেপির আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলার সভাপতি মনোজ টিজ্ঞা বলেন, বাগানে অনেক ইস্যু রয়েছে। চা বাগানের জন্য রাজ্য সরকার কিছু করছে না। শ্রমিকদের পিএফ এর টাকা দিচ্ছে না। এফআইআর হলেও মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই বিষয় নিয়ে দলীয় কর্মীদের চা শ্রমিকদের পাশে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।  আলিপুরদুয়ারে বিশিষ্ট আইনজীবী তথা তৃণমূল নেতা জহর মজুমদার সম্প্রতি টিএমসি দলত্যাগ করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি বিজেপিতে এলে স্বাগত জানানো হবে। তাতে লাভ হবে আমাদের। আর আলিপুরদুয়ারে টিএমসি চালাচ্ছে বিজেপি। টিএমসি বিজেপি নেতাদের ধার করে নিয়ে দল চালাচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ICC World Cup 2023: আমেদাবাদে নীল সুনামি! টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাল অস্ট্রেলিয়া

    ICC World Cup 2023: আমেদাবাদে নীল সুনামি! টসে জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠাল অস্ট্রেলিয়া

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্যালারিতে নীল ঢেউ! তার মধ্যে ভারতের হয়ে টস করতে নামাটাই ভাগ্যের বিষয়, দৃপ্ত ঘোষণা রোহিত শর্মার। টানা ১০টি ম্যাচ জিতে ফাইনালে রোহিতরা। অন্য দিকে টানা আটটি ম্যাচ জিতে ট্রফির লড়াইয়ে প্যাট কামিন্সের দল। রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় খেলার ফল কী হবে, তা জানতে অপেক্ষা করতে হবে আরও কিছুক্ষণ। তবে, ম্যাচের শুরুতে টস ভাগ্য গেল অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে। টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিলেন কামিন্স। হেরেও ব্যাট করার সুযোগ পেলেন রোহিতরা। চূড়ান্ত লড়াইয়ে ভারতীয় একাদশও একই রাখা হয়েছে।

    স্পিনারদের সুবিধা

    আমদাবাদে খেলা হবে কালো মাটির পিচে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ খেলা হয়েছিল এই পিচে। পিচ শুকনো বলে জানা গিয়েছে। স্পিনারদের সুবিধা পাওয়ার কথা। চলতি বিশ্বকাপে প্রথমে ব্যাট করলে ভারত গড়ে ১৭৫ রানে জিতেছে ম্যাচ। আর রান তাড়া করলে গড়ে ৬৪.৪ বল বাকি থাকতে ম্যাচ জিতেছেন রোহিত শর্মারা। নিজেদের প্রথম ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে একপেশেভাবে হারিয়েছিল ভারত। 

     জিতলে কত পুরস্কার মূল্য ভারতের

    দুই দলের জন্যই থাকছে মোটা আর্থিক পুরস্কার। বিশ্বকাপে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) মোট ১ কোটি ডলার আর্থিক পুরস্কার হিসাবে দিচ্ছে। যা ভারতীয় মূল্যে প্রায় ৮৩ কোটি টাকা। বিশ্বকাপে লিগ পর্বে একটি ম্যাচ জেতার জন্য ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল দিয়েছে ৪০ হাজার ডলার আর্থিক পুরস্কার। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৩ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। ভারত লিগ পর্বে ন’টি ম্যাচেই জয় পেয়েছে। তাই রোহিত, বিরাটেরা পাবেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি টাকা জেতা হয়ে গিয়েছে ভারতীয় দলের। সেমিফাইনালে জেতার জন্য অবশ্য আলাদা করে আর্থিক পুরস্কার পাননি রোহিতেরা। বিশ্বকাপ জয়ী দলকে আইসিসি পুরস্কার হিসাবে দেবে ৪০ লাখ ডলার বা প্রায় ৩৩ কোটি ৩২ লাখ টাকা। ভারতীয় দল চ্যাম্পিয়ন হতে পারলে পুরস্কার মূল্য হিসাবে আইসিসির কাছ থেকে পাবে মোট ৩৬ কোটি ৩২ লাখ টাকার মতো। রোহিতেরা রানার্স হলে পাবেন ২০ লাখ ডলার বা প্রায় ১৬ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ ভারতীয় দল রানার্স হলে পুরস্কার মূল্য হিসাবে পাবে প্রায় ১৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Antpur: স্বামী বিবেকানন্দ সন্ন্যাসের শপথ নিয়েছিলেন এখানেই, চলুন ঘুরে আসি হুগলির আঁটপুর

    Antpur: স্বামী বিবেকানন্দ সন্ন্যাসের শপথ নিয়েছিলেন এখানেই, চলুন ঘুরে আসি হুগলির আঁটপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় এই অঞ্চলের নাম ছিল “বিষখালি”। তৎকালীন বর্ধমান জেলার রেসিডেন্সির দেওয়ান আঁটর খাঁ-র নামে এই প্রাচীন জনপদের নতুন নামকরণ করা হয় “আঁটপুর” (Antpur)।বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরের মতোই টেরাকোটার শিল্পশৈলীতে গড়া মন্দিরের জন্য বিখ্যাত এই আঁটপুর। এই মন্দিরগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য হল রাধাগোবিন্দ জিউ-এর মন্দির। ১৭৮৬-১৭৮৭ সালে বর্ধমানের মহারাজের দেওয়ান কৃষ্ণরাম মিত্র এই মন্দিরটি নির্মাণ করেন। ১০০ ফুট উচ্চতার চারচালার ছাদ ও চারটি খিলানযুক্ত স্তম্ভের উপর দাঁড়িয়ে থাকা মন্দিরটির সর্বত্র টেরাকোটার অপূর্ব শিল্পকর্ম রয়েছে। গর্ভগৃহে রয়েছে কষ্টি পাথরের শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি। মন্দিরটির চারকোণা গম্বুজ আকৃতির। দোলমঞ্চটিও অসাধারণ শিল্পসমৃদ্ধ।

    বিবেকানন্দের স্মৃতিধন্য ধুনি মন্দির (Antpur)

    এই মন্দিরের কাছেই বাণেশ্বর, জলেশ্বর, ফুলেশ্বর, রামেশ্বর মন্দির। সবকটিতেই রয়েছে অপূর্ব সুন্দর টেরাকোটার কাজ। এর কাছেই সারদা ভবন। আছে শ্রীরামকৃষ্ণ এবং মা সারদার স্মৃতি বিজড়িত এবং শ্রীরামকৃষ্ণর সাক্ষাৎ পার্ষদ স্বামী প্রেমানন্দ, অর্থাৎ বাবুরাম ঘোষেদের দুর্গাবাড়ি। স্বামী বিবেকানন্দের সঙ্গে তাঁর আট গুরুভাই এখানেই গৃহত্যাগ করে সন্ন্যাসের জন্য শপথ গ্রহণ করেন। সেই ঘটনাকে স্মরণ করে এখানে গড়ে উঠেছে ধুনি মন্দির। এক যাত্রাতেই দেখে নেওয়া যায় গৌড়ীয় বৈষ্ণব তীর্থ দ্বাদশ গোপালের অন্যতম পরমেশ্বর দাস ঠাকুরের শ্রীপাট আনরবাটি। মন্দিরে নিত্যানন্দ প্রভুর সেবিত খড়দহের আদি শ্রী শ্রী শ্যামসুন্দরের বিগ্রহ পূজিত হচ্ছেন। রাধাকৃষ্ণ ও বলরাম রূপে পূজিত হচ্ছেন শ্রী চৈতন্য এবং নিত্যানন্দ মহাপ্রভু। আছে প্রায় ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন একটি বকুল গাছ। হাতে সময় থাকলে দেখে নেওয়া যায় আঁটপুর (Antpur) থেকে ৬ কিমি দূরে রাজবলহাটে ১৭২৪  সালে নির্মিত আটচালা বিশিষ্ট রাধাকান্ত মন্দির, কবি হেমচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মভিটে প্রভৃতিও। এখানকার রাজবল্লভী মা তো খুবই জাগ্রত।

    কীভাবে যাবেন? (Antpur)

    আঁটপুর যাওয়ার জন্য হাওড়া স্টেশন থেকে তারকেশ্বর লোকাল ট্রেনে এসে নামতে হবে হরিপাল স্টেশনে। হরিপাল থেকে বাসে বা গাড়িতে মিনিট ৩০-৪০ এর পথ আঁটপুর। হাওড়া থেকে বাসে জাঙ্গিপাড়া এসে সেখান থেকে রিকশাতেও আসা যায় আঁটপুর (Antpur)। আর আঁটপুর থেকে বাসে বা গাড়িতে মিনিট পনেরোর পথ রাজবলহাট। কলকাতা থেকে সকালে বেরিয়ে সারাদিন আঁটপুর ঘুরে আবার সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায় ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: হাতে নয়, পেট দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মহম্মদ শামির ছবি এঁকে নজির গড়লেন নদিয়ার তুহিন

    Nadia: হাতে নয়, পেট দিয়ে বিশ্বকাপ ফাইনালে মহম্মদ শামির ছবি এঁকে নজির গড়লেন নদিয়ার তুহিন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে গোটা দেশে এখন উন্মাদনা তুঙ্গে। বিশ্বকাপে নিজের ক্যারিশ্মায় দেশবাসীর মন জয় করে নিয়েছেন ক্রিকেটার মহম্মদ শামি। ক্রিকেটার মহম্মদ শামির ছবি পেট দিয়ে এঁকে এক অনন্য নজির গড়লেন নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার অঙ্কন শিল্পী তুহিন মণ্ডল।

    পেট দিয়ে ছবি আঁকলেন শিল্পী

    আজ বহু অপেক্ষিত বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ। যেখানে ভারত বনাম অস্ট্রেলিয়া প্রতিদ্বন্দ্বিতাই মাঠে নামবে। যদিও গোটা ভারতবাসীর স্বপ্নের জালে শুধুই জয়। ঠিক তেমনি নদিয়ার (Nadia) চাপড়ার অঙ্কন শিল্পী তুহিনবাবু তার পেট দিয়ে এঁকে একে ফেললেন জয়ের গুরু দায়িত্ব সামলানোর মহম্মদ শামির ছবি। ভারতের ১৩৫ কোটি মানুষের স্বপ্নের জালে শুধুই বিশ্বকাপ জয়। যার নেপথ্যে অন্যতম নাম শামি। আর সেই  ছবি এঁকে সকলের মন জয় করলেন শিল্পী তুহিন। তবে, হাতে নয়, দুহাত ছাড়াও পেট দিয়ে ছবি এঁকেছেন এই শিল্পী ।

    কী বললেন অঙ্কন শিল্পী?

    শিল্পীর এই শিল্পকলা চাক্ষুষ দেখার জন্য ভিড় করেছেন ক্রীড়া প্রেমীরা। নদিয়া (Nadia) জেলার চাপড়ার বড় অন্দুলিয়ার বাসিন্দা তুহিন মণ্ডল ছোট থেকে বাবার কাছে তার আঁকা শেখা। তবে সেভাবে কোনও শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আঁকা শেখেননি। নিজের চেষ্টায় তিনি শিল্পী হিসেবে পারদর্শী হওয়ার পর পেটকে নিয়ন্ত্রণ করেছেন রং তুলির মাধ্যমে। তবে এবার বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে একজন দেশবাসী হিসেবে সর্বোপরি একজন শিল্পী হিসাবে বিশ্বকাপের জয়ের প্রার্থনায় অপরূপ তাঁর এই প্রচেষ্টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে কত আবেগ রয়েছেন তুহিনবাবু। অঙ্কন শিল্পী তুহিনবাবু বলেন, ভবিষ্যতে যদি কখনও মহম্মদ শামির কাছে পৌঁছাতে পারি, তাহলে তাঁর হাতে এই ছবি তুলে দিয়ে নিজেকে ধন্য মনে করব। আমরা চাইব, মহম্মদ শামি আগামীদিনে ক্রিকেটার এক অনন্য নক্ষত্র হয়ে উঠুক। যার নাম ইতিহাসের পাতায় অক্ষরে অক্ষরে লেখা থাকবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    Malda: মামনির মৃত্যুতে টনক নড়ল প্রশাসনের, ২ কোটি টাকা খরচে হচ্ছে রাস্তা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বহুবার গ্রামবাসীরা দরবার করেছিলেন। কাজ হয়নি। প্রশাসন রাস্তা তৈরির বিষয়ে কোনও গা করেনি। কিন্তু, হতশ্রী রাস্তার জন্য যেভাবে একজনের প্রাণ গেল, তার দায় রাজ্য সরকারের। এলাকার মানুষ সেই সরকারের গাফিলতিকে তুলে ধরে শনিবার রাস্তা অবরোধে সামিল হয়েছিলেন। মালদার (Malda) বামানগোলায় মালডাঙিতে বেহাল রাস্তার জন্য মামনি রায় নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়। সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্যজুড়ে তোলপাড় শুরু হতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। অবশেষে বামানগোলায় মালডাঙিতে রাস্তা তৈরির আশ্বাস দিলেন বিডিও। সূত্রের খবর, বিডিও এবং বামোনগোলা থানার আইসি লিখিত প্রতিশ্রুতি দিয়ে জানিয়েছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যেই তৈরি হয়ে যাবে রাস্তা।

    রাস্তা তৈরির আশ্বাস নিয়ে অবরোধকারীরা কী বললেন? (Malda)

    মালদার (Malda) মালডাঙা গ্রাম থেকে গঙ্গাপ্রাসাদ কলোনি পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হবে। তার জন্য প্রায় ২ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়েছে। অবরোধকারীদের সামনে  লিখিত প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরেই ওঠে অবরোধ। অবরোধকারীদের বক্তব্য, পথশ্রী প্রকল্পে লক্ষ লক্ষ চাকা খরচ করে রাস্তা তৈরির কথা বলা হলেও এই রাস্তা তৈরিতে প্রশাসনের কোনও হেলদোল নেই। বার বার বলার পরও কোনও কাজ হয়নি। মর্মান্তিক মৃত্যুর পরই প্রশাসন নড়েচড়ে বসল। এলাকাবাসীর দাবি মেনে রাস্তা তৈরি হলে মামনির প্রাণ এভাবে যেত না।

    প্রসঙ্গত, বিগত কয়েকদিন ধরেই জ্বরে ভুগছিলেন মালডাঙা গ্রামের গৃহবধূ মামনি রায়। শুক্রবার তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় হাসপাতালে নিয়ে যেতে অ্যাম্বুল্যান্সের খোঁজ শুরু করেন বাড়ির লোকজন। অভিযোগ, রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে ওই এলাকায় ঢুকতে চায়নি কোনও অ্যাম্বুল্যান্সই। অনেকে বেশি টাকা দাবি করেন। অগত্যা খাটিয়া করেই মামনি দেবীকে হাসপাতালে নিয়ে যান গ্রামের লোকজন। কিন্তু, শেষরক্ষা হয়নি। বাঁচানো যায়নি ওই গৃহবধূকে। এই ছবি সামনে আসতেই জোর শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। যদি মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লাহ চৌধুরী আবার বলেছেন, রাস্তার জন্য নয়, ভাগ্যে ছিল তাই মৃত্যু হয়েছে ওই মহিলার। তাঁর মন্তব্যেও উঠেছে বিতর্কের ঝড়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Telangana News: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    Telangana News: ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা’’, ভোটের প্রচারে বললেন অমিত শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ৩০ নভেম্বর ভোট রয়েছে দক্ষিণী রাজ্য তেলেঙ্গানাতে (Telangana News)। ইতিমধ্যে বিজেপি সেখানে প্রচারে ঝড় তুলেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও সেখানে জনসভা করেছেন। গেরুয়া শিবিরের প্রকাশিত নির্বাচনী ইস্তাহারে দাবি করা হয়েছে যে ক্ষমতায় এলে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করা হবে যা বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতির সরকার এবং মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাওয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্ত করবে। শনিবারই নির্বাচনী প্রচারে তেলেঙ্গানাতে হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও এদিন দুর্নীতি ইস্যুতে তোপ দাগেন ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতির বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, ‘‘দুর্নীতির ঘাঁটিতে পরিণত হয়েছে তেলেঙ্গানা (Telangana News) এবং সরকারের নীতিহীনতার কারণে বেড়েই চলেছে ঋণের পরিমাণ।’’

    ভারত রাষ্ট্র সমিতির নতুন নামকরণ অমিত শাহের 

    কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এদিন আরও বলেন, ‘‘আপনাদের একটি ভোট নির্ণয় করবে তেলেঙ্গানার আগামীর দিনের ভবিষ্যৎকে।’’ তেলেঙ্গানার বর্তমান সরকার যে তিন লাখ কোটি টাকার উপর ঋণ করে ফেলেছে সে বিষয়েও ভাষণে উল্লেখ করেন অমিত শাহ। ভারত রাষ্ট্র সমিতির নতুন নামকরণও করেন এদিনের জনসভা থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিআরএস-এর পূর্ণ নাম তিনি বলেন, ‘ভ্রষ্টাচারী রিসবতখোরি সমিতি’ অর্থাৎ কিনা দুর্নীতিগ্রস্ত ঘুষ নেওয়া সমিতি। নির্বাচনী ইশতেহারে বিজেপি সেখানে দাবি করেছে ক্ষমতায় এলে একটি কমিটি গঠন করা হবে যা ইউনিফর্ম সিভিল কোড-এর খসড়া তৈরি করবে। অন্যদিকে যা কিছু অসাংবিধানিক সংরক্ষণ প্রথা চালু রয়েছে সেগুলিকেও তুলে দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। এর পাশাপাশি ওবিসি সম্প্রদায়, তপশিলি সম্প্রদায় এবং তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের সংরক্ষণ আরও বাড়ানো হবে বলে জানানো হয়েছে ওই নির্বাচনী ইশতেহারে।

    ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণ চালু রয়েছে তেলেঙ্গানাতে

    এদিনের জনসভায় সংরক্ষণ ইস্যুতেও বর্তমান ক্ষমতাসীন ভারত রাষ্ট্র সমিতিকে তোপ থাকেন অমিত শাহ তিনি বলেন, ‘‘ধর্মের ভিত্তিতে সংরক্ষণের নিয়ম সম্পূর্ণভাবে তুলে দেওয়া হবে।’’ প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালেই অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হয় তেলেঙ্গানা (Telangana News) রাজ্য। বর্তমানে সে রাজ্যে মুসলিম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ১২.৭ শতাংশ। তবে সে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিমদের শিক্ষা এবং সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে ৪ শতাংশ সংরক্ষণ দিয়েছে সেখানকার সরকার। এনিয়ে অমিত শাহ বলেন, ‘‘কংগ্রেস এবং বিআরএস, দুই দলই পিছিয়ে পড়া গোষ্ঠীর মানুষের জন্য কোনও ভাবনাচিন্তা করে না। একমাত্র বিজেপি-ই তাঁদের উন্নতির লক্ষ্যে কাজ করবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Halal-Certified Products: যোগী রাজ্যে নিষিদ্ধ হল হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য

    Halal-Certified Products: যোগী রাজ্যে নিষিদ্ধ হল হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হালাল সার্টিফায়েড (Halal-Certified Products) পণ্যের বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকার। শনিবার সন্ধ্যায় যোগী সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। সেখানেই সাফ জানিয়ে দেওয়া হয় যে হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত যে কোনও রকমের পণ্যের উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিতরণ এবং বিক্রি নিষিদ্ধ করা হল। প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশে এই অভিযোগ বারবার উঠেছে যে জাল নথি দেখিয়ে হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে।

    জঙ্গি সংগঠনগুলিকে ফান্ডিং করা হত?

    এই অভিযোগের ভিত্তিতে যোগী রাজ্যের পুলিশ একাধিক সংস্থা এবং ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এফআইআরও দায়ের করে। আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে এসেছে যে হালাল সার্টিফায়েড (Halal-Certified Products) পণ্য বিক্রির মাধ্যমে টাকা সন্ত্রাসবাদীদের ফান্ডিং-এর কাজে ব্যবহার করা হত। দেশবিরোধী কার্যকলাপগুলির সঙ্গে এভাবেই জড়িয়ে পড়ছিলেন হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য বিক্রেতারা। জঙ্গিদের ফান্ডিং ও বেআইনি ব্যবসা বন্ধ করতেই এই পদক্ষেপ যোগী সরকার নিল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। উত্তরপ্রদেশের থানাগুলিতে একাধিক ব্যবসায়ীর নামে এফআইআর দায়ের করা হয় এই মর্মে।

    সাহসী সিদ্ধান্ত যোগী সরকারের 

    নিত্যপ্রয়োজনীয় যে কোনও ধরনের জিনিস তা সে দুগ্ধজাত সামগ্রী হোক অথবা মাংস কিংবা গায়ে মাখার সাবান, এই সবকিছুই হালাল সার্টিফিকেট (Halal-Certified Products) দিয়ে বিক্রি করা হতো। যোগী রাজ্যের পুলিশ জানিয়েছে, টুথপেস্ট, প্রসাধনিক সামগ্রী, তেল এগুলো এই তালিকার বাইরে ছিল না এবং এর সবটাই করা হচ্ছিল জাল নথি দেখিয়ে। হালাল বিষয়টি ধর্মের সঙ্গে সম্পর্কিত। তাই স্পর্শকাতর এই বিষয়টির উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে যোগী আদিত্যনাথ সরকার যথেষ্ট সাহসী সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। জানা গিয়েছে, উত্তরপ্রদেশ রাজ্যের বিজেপি যুব সংগঠন ভারতীয় যুব মোর্চার এক নেতা এ বিষয়ে অভিযোগ দায়ের করেন। ওই অভিযোগ অনুযায়ী, কিছু কোম্পানি হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত পণ্য বিক্রি করছে একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মধ্যে বিক্রি বাড়ানোর জন্য।

    হালাল আসলে কি?

    হালাল একটি আরবি শব্দ। এর অর্থ জানতে হলে আমাদের বুঝতে হবে হারাম কী? ইসলামে বহুল প্রচলিত শব্দ হল হারাম। যে কোনও নিষিদ্ধ বস্তুকে বোঝাতে হারাম শব্দ ব্যবহার করা হয় ইসলামে। এটিও একটি আরবি শব্দ। হারাম শব্দের বিপরীত শব্দ হল হালাল। অর্থাৎ যা কিনা গ্রহণ করা যায় ইসলাম সম্মতভাবে। মূলত যে পশুর মাংস খাওয়া হয় ইসলামের রীতি অনুযায়ী সেটিকেই হালাল বলা যায়। আড়াই পোচে জবাই করা পশুর মাংস হল হালাল। অন্যদিকে যে পশুকে এক কোপে জবাই করা হয় তা হারাম হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, হালাল বিধি অনুযায়ী কোনও ধারালো ছুরি দিয়ে পশুর গলার শিরা বা শ্বাসনালীকে কেটে দেওয়া হয়। তবে কোনওভাবেই যেন মেরুদণ্ডের হার না কাটে। জবাই করার সময় পশুর মুখ থাকতে হবে মক্কার দিকে। এই বিধি না মেনে যদি কোনও পশুকে জবাই করা হয়, তাহলে সেটি হারাম হয়ে যাবে। ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী সেই মাংস মুসলমানদের জন্য নিষিদ্ধ। পরবর্তীকালে হালাল শব্দটি ইসলামের ব্যবহারযোগ্য যে কোনও বস্তুর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হতে থাকে। হালাল সার্টিফায়েডযুক্ত (Halal-Certified Products) মানে তা ইসলামের নিয়ম রীতি মেনে তৈরি করা হয়েছে। খুব সরল কথায় বলতে গেলে ইসলামের আইন মেনে তৈরি করা হয়েছে যে কোনও জিনিসই হল হালাল। নিরামিষ খাবার, প্রসাধনিক ইত্যাদিও এখন হালাল সার্টিফিকেটযুক্ত হয়। ইসলামিক রীতি অনুযায়ী তা তৈরি হয়েছে কিনা, সেটা দেখার দায়িত্ব রয়েছে জমিয়ত-উলেমা-ই-মহারাষ্ট্র, জমিয়ত-উলেমায়ে-হিন্দ-হালাল ট্রাস্ট এই সমস্ত সংস্থাগুলির ওপর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ১৯/১১/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ১৯/১১/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ইচ্ছাপূরণ হওয়ায় আনন্দ লাভ।

    ২) অভিনেতারা খুব ভাল সুযোগ পেতে পারেন।

    বৃষ

    ১) বাড়িতে অশান্তির জন্য পাড়ার লোকের কাছে হাসির পাত্র হবেন। 

    ২) চাকরির স্থানে সুনাম বৃদ্ধি পেতে পারে।

    মিথুন

    ১) প্রেমের ব্যাপারে চিন্তার খবর আসতে পারে।

    ২) বাইরে থেকে অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করতে পারেন।

    কর্কট

    ১) কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়তে পারে।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।

    সিংহ 

    ১) মনঃকষ্ট বাড়তে পারে।  

    ২) পিতার সঙ্গে মতান্তর হতে পারে।

    কন্যা

    ১) অতিরিক্ত উদারতা দেখালে কাজের ক্ষতি হতে পারে।

    ২) হঠাৎ করে কোনও চাকরির যোগ আসতে পারে।

    তুলা 

    ১) শত্রুর কারণে সকালে মাথাগরম হতে পারে।

    ২) অস্ত্রোপচারের সম্ভাবনা রয়েছে।

    বৃশ্চিক

    ১) সকালবেলাতেই কিছু দান করার জন্য ইচ্ছা হতে পারে।

    ২) অভিভাবকদের পরামর্শ আপনার জন্য কার্যকর হবে।

    ধনু

    ১) অতিরিক্ত পরিশ্রমের জন্য কাজের প্রতি অনীহা দেখা দিতে পারে। 

    ২) উচ্চশিক্ষার যে কোনও কাজ সফল হবে।

    মকর

    ১) সকালে অহেতুক কোনও অশান্তিতে জড়িয়ে পড়তে পারেন।
     
    ২) প্রতিবেশীদের হিংসার কারণে কাজে বাধা আসতে পারে।

    কুম্ভ

    ১) কোনও প্রভাবশালী ব্যক্তির কাছ থেকে চাপ আসতে পারে।

    ২) কর্মস্থানে মনোমালিন্য সৃষ্টি হতে পারে।

    মীন

    ১) কিছু কেনার জন্য স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা হতে পারে।

    ২) শত্রুর সঙ্গে আপস করতে হতে পারে। 

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: ‘লোকসভা ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রী চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন’, তোপ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুখ্যমন্ত্রী এখন গেরুয়া খুঁজে বেড়াচ্ছেন। ভোগীদের চোখে গেরুয়া আগুন লাগবেই। কারণ, গেরুয়া হচ্ছে ত্যাগের প্রতীক। আর তিনি এখন ভোগী হয়ে গেছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ভোগী বলে কটাক্ষ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বিজেপির কাঁথি সাংগঠনিক জেলার এক বর্ধিত সাধারণ সভার শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার খেজুরিতে এই কথা বলেন তিনি।  

    ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়া নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    পাশাপাশি ভোট পরবর্তী হিংসায় চাকরি দেওয়ার ঘটনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেওয়ার সময় নন্দীগ্রামের বিধায়ক (Suvendu Adhikari) বলেন, ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের তালিকা আগে প্রকাশ করুক সরকার। তৃণমূলের হয়ে বোম মারতে গিয়ে যারা মারা গেছেন তাদেরকে সুবিধা দিতে সরকার এমন উদ্যোগ নিয়েছে। বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা, যারা গণতন্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে নিজেদের আত্ম বলিদান দিয়েছেন তাদের নাম হয়তো এই তালিকায় থাকবে না। এমনই আশঙ্কা করেন তিনি। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা দাবি করেন, আদালতে ভোট পরবর্তী হিংসায় মৃতদের যে তালিকা আছে তার ভিত্তিতেই সরকারি সুবিধা বা চাকরি দেওয়া হোক। এছাড়াও তিনি বলেন, এই সামান্য বেতনের অস্থায়ী হোম গার্ডের চাকরি না দিয়ে রাজ্য সরকার ভোট পরবর্তী হিংসায় শুধু পঞ্চায়েত ভোট নয় ২০২১ সালের বিধানসভা ভোটের পরেও যারা মারা গেছেন তাদের পরিবারের একজনকে স্থায়ী সরকারি চাকরি দিক। লোকসভা ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাকরি দেওয়ার নামে গিমিক করছেন। এমনই অভিযোগ করেন তিনি।

    আইনমন্ত্রী প্রসঙ্গে কী বললেন শুভেন্দু?

    মলয় ঘটককে ইডি-র তলব নিয়ে দিল্লি হাইকোর্টের রায় প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, কয়লাকাণ্ডের ডায়েরিতে এমজি বলে একটি নাম লেখা ছিল। তাঁকে ৫০ লক্ষ টাকা মাসে দিতে হত। এই এম জি কে তা সবাই জানেন। মলয় ঘটকের পিএ-র স্ত্রী নিউ টাউন, আসানসোলে কত সম্পত্তি রয়েছে তা সকলেই জানেন। আমরা রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে খুব শীঘ্রই আমরা অনুব্রত মণ্ডলের পাশে দেখতে চাই। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    Hooghly: হুগলিতে সারের ব্যাপক দুর্নীতি! বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে, মাথায় হাত কৃষকদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে তৃণমূলের শাসনে দুর্নীতির শেষ নেই। শিক্ষক নিয়োগ, রেশন বণ্টন, পুরসভা নিয়োগ, কয়লা, বালি, পাথর, মাটি, টিকিট বিক্রি এমনকী মৃতদেহের মতো এবার কৃষকের সার নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। সার বিক্রি হচ্ছে দ্বিগুণ দামে। কার্যত চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। আলুচাষের মরসুমে সারের কালবাজারির খোঁজ মিলতেই এবার হানাদিল হুগলি জেলা পুলিশ। হুগলির (Hooghly) গ্রামীণ এলাকায় ডিএসপি নিমাই চৌধরির নেতৃত্বে সিঙ্গুরে বেশ কিছু সারের দোকানে অভিযান চালানো হয় বলে জানা গিয়েছে। এলাকায় বেশ কিছুসময় ধরে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কারবারে কালবাজারি শুরু করেছে বলে খবর ছিল। জেলার ব্লকগুলির মধ্যে এই সময় একটা বিরাট চক্র চলছিল। আর তাই পুলিশের তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। বিরোধীরা অবশ্য অভিযোগ করছেন সব দুর্নীতির মধ্যে তৃণমূল নেতাদের ভাগ রয়েছে।

    চাষিদের মূল অভিযোগ কী?

    শীতের শুরুতেই আলু চাষের পাশাপাশি সর্ষে, গম, ভুট্টা এবং সবজি ফলনের একটা সময় পর্ব চলে। সিঙ্গুরের চাষিরা জানিয়েছেন, “এই সময় চাষের জমিকে প্রস্তুত করতে চাষিরা ফসলের জমিতে সার দিতে হয়। ফলে সারের চাহিদা বাজারে বেশি থাকে। আর এই চাহিদায় সঙ্কট তৈরি করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সারের কালোবাজারি করে। নির্ধারিত মূল্যের থেকে দ্বিগুণ মূল্যে সার বিক্রি করা চলছে এলাকায়। বারবার প্রশাসনকে জানিয়েও আশানুরূপ ফল পাওয়া যাচ্ছে না।” চাষিদের আরও অভিযোগ যে গোডাউনে সার মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম চাহিদার আবহ তৈরি করে চলছিল রমরমা সারের ব্যবসা। প্রশাসনের বিরুদ্ধে তাই সারের দাম নিয়ে কালোবাজারি বন্ধের অভিযোগ জানায় কৃষকরা। আর তাই অভিযোগ উঠতেই পুলিশ প্রশাসন, সিঙ্গুরে (Hooghly) একেবারে সক্রিয় হয়ে হানাদেয় বলে জানা যায়।

    পুলিশের বক্তব্য

    হুগলি (Hooghly) জেলার ডিএসপি পুলিশ আধিকারিক নিমাই চৌধরি বলেন, “আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। বেশ কিছু দোকানে সারের দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে। তাই আমরা এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে দোকানে দোকানে দাম যাচাই করছি। সারের বিক্রিতে দামে গরমিল পেলে আইন অনুয়ায়ি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এরপর সারা জেলাজুড়ে এই তাল্লাশি চলবে।” তবে কালোবাজারি রুখতে পুলিশ অতিরিক্ত সার মজুত আছে কিনা সেই বিষয়ে নজর রাখছেন। মজুত করা থাকলে সারের হিসাবের বিষয়টিকেও দোকানে দোকানে মিলিয়ে দেখেছেন পুলিশ আধিকারিক। দোকানে সারের মূল্যের তালিকা রয়েছে কিনা, সেই দিকগুলিও খতিয়ে দেখা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সকল দোকানের মালিককে বলা হয়েছে সারের মূল্যের তালিকা দোকানে ঝুলিয়ে রাখতে হবে।    

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share