Author: user

  • DGP: যাকে খুশি ডিজি করা যাবে না, কমিশনের নয়া গাইডলাইনে রাজ্যের স্বেচ্ছাচারিতায় কোপ

    DGP: যাকে খুশি ডিজি করা যাবে না, কমিশনের নয়া গাইডলাইনে রাজ্যের স্বেচ্ছাচারিতায় কোপ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্য পুলিশের ডিজি (DGP) নিয়োগ নিয়ে নতুন গাইডলাইন প্রকাশ করল ইউনিয়ন পাবলিক সার্ভিস কমিশন। এই গাইডলাইন থেকে একটা বিষয় পরিষ্কার, রাজ্য সরকার চাইলেই যাকে খুশি আর ওই পদে বসাতে পারবে না। এতদিন তৃণমূল সরকার রাজ্য পুলিশের এই সর্বোচ্চ পদটিতে বেছে বেছে তাঁবেদারদেরই বসিয়ে এসেছে। সেই অর্থে পদটির কোনও গুরুত্বই রাখা হয়নি। যাঁদেরই এই পদে বসানো হয়েছে, তাঁরা কার্যত জো-হুজুরপনা করেই দায় এড়িয়েছেন। এবার এই পদের গুরুত্ব অনুযায়ী কড়া গাইডলাইন জারি করা হয়েছে গত ২৬ সেপ্টেম্বর। তা পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পাশাপাশি সমস্ত রাজ্যের মুখ্যসচিবদের। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই সংক্রান্ত ২০০৯ সালের যে গাইডলাইন ছিল, তা বাতিল হয়ে এটি এখন থেকেই কার্যকর করতে হবে।

    কী রয়েছে নয়া গাইডলাইনে? (DGP)

    প্রথমত, ডিজি নিয়োগে রাজ্য সরকারের একাধিপত্য খর্ব করতে একটি এমপ্যানেলমেন্ট কমিটি গঠন করার কথা বলে দেওয়া হয়েছে। তাতে থাকবেন ইউপিএসসি’র চেয়ারম্যান, কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্র সচিব, সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যসচিব, ডিজি প্রমুখ। এই সংক্রান্ত যে কোনও বৈঠক বা সিদ্ধান্ত গ্রহণের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে কমিশনের চেয়ারম্যানকে।

    গাইডলাইনে সাফ বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, স্রেফ পছন্দের ভিত্তিতে রাজ্য পুলিশের ওই রকম একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সর্বোচ্চ পদে (DGP) কাউকে বসিয়ে দেওয়া যাবে না। যাকে বসানে হচ্ছে, দেখে নিতে হবে, এমন একটি বাহিনীকে পরিচালনা করার মতো যোগ্যতা তাঁর আছে কি না। তাঁর কাজের রেকর্ডকেও গুরুত্ব দিয়ে পর্যালোচনা করতে হবে। অর্থাৎ, এই পদে কেউ নির্বাচিত হবেন মেরিটের ভিত্তিতে, তাঁবেদারি করে নয়।

    তিনমাস আগে পাঠাতে হবে প্রস্তাব (DGP)

    গাইডলাইনে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ডিজির পদ যেদিন ফাঁকা হওয়ার কথা, তার অন্তত তিন মাস আগে নয়া কমিটির মিটিং ডাকার জন্য কমিশনকে জানাতে হবে। তাতে প্যানেল হিসেবে রাজ্য কাকে কাকে চাইছে, তাদের নাম, ধাম, রেকর্ড, কর্মদক্ষতা, পড়াশোনা ইত্যাদি একগুচ্ছ তথ্যও দিতে হবে। এমনকী ওই অফিসারের বিরুদ্ধে কোনও শৃঙ্খলাভঙ্গ বা ফৌজদারি মামলা অমীমাংসিত থাকলে, জানাতে হবে সেটাও। কোনও সময় ওই অফিসার জরিমানার সম্মুখীন হলে সেটাও চেপে গেলে চলবে না। এতকিছু বিচার বিবেচনা করার পরই ওই কমিটি সংশ্লিষ্ট রাজ্যের জন্য ডিজি নিয়োগের প্যানেল তৈরি করে রাজ্যকে পাঠাবে। আরও একটি বিষয় ওই গাইডলাইনে জানানো হয়েছে। তা হল, প্যানেলে থাকা কোনও অফিসারের বিরুদ্ধে যদি ভিজিল্যান্স বা বিভাগীয় তদন্ত চলে, তবে তাঁকে ওই পদে নিয়োগ দেওয়া হবে না। কিন্তু প্যানেলে সর্বোচ্চ তিনজনের বেশি নাম দেওয়া যাবে না।
    কমিশনের ওই গাইডলাইন থেকে পরিষ্কার, রাজ্য পুলিশের সর্বোচ্চ পদে (DGP) নিয়োগে রাজ্যের স্বেচ্ছাচারিতার আর কোনও জায়গা থাকবে না। যোগ্যতা এবং কর্মদক্ষতা থাকলে তবেই কাউকে ওই রকম একটি পদে বসানো যাবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: ‘দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বেশি প্রেম’, মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এথিক্স কমিটি ইস্যুতে মহুয়ার পাশে দাঁড়িয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই মহুয়াকে টেনে অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। হাওড়ায় দলীয় অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার পরই তিনি মহুয়াকে তীব্র আক্রমণ করেন।

    মহুয়াকে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন অভিষেক?

    টাকার বিনিময়ে প্রশ্নকাণ্ডে মহুয়া মৈত্রের বিরুদ্ধে প্রথমবার মুখ খুলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার তিনি বলেছিলেন, ‘এথিক্স কমিটিতে অনেকগুলি অভিযোগ পড়ে রয়েছে। আপনারা দেখেছেন, নতুন সংসদ ভবনে বিজেপি সাংসদ রমেশ বিদুরি কুকথা বলে কী করে সংসদের গরিমা নষ্ট করেছেন। বিজেপির এমন বহু সাংসদ রয়েছেন, যাদের বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশের শুনানি বকেয়া রয়েছে। কিন্তু, যদি কেউ সরকারের বিরোধিতা করে, সরকারকে প্রশ্ন করতে চায়, আদানির অপকর্ম নিয়ে প্রশ্ন করতে চায়, তাহলে কী করে তাঁকে সাংসদ পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়’। তিনি আরও বলেছেন, ‘আমার মনে হয় মহুয়া নিজেই নিজের লড়াই লড়ার জন্য যথেষ্ট। আমাকেও এরা ৪ বছর ধরে ডাকছে। আলাদা আলাদা কেসে নাম জড়াচ্ছে। একটা কেসে কিছু পাওয়া না গেলে আরেকটায় জড়াচ্ছে। এটা প্রতিহিংসার রাজনীতি ছাড়া আর কিছু নয়।’

    অভিষেককে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    হাওড়ায় সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ‘বিষয়টার মধ্যে যখন দুবাই রয়েছে, তখন উনি (অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়) তো পাশে দাঁড়াবেনই। দুবাইয়ের প্রতি তাঁর বিশেষ প্রেম। চোখ দেখাতেও দুবাই যান, পেট দেখাতেও দুবাই যান। খেতেও দুবাই যান। আর কী কী করতে যান আমি জানি না’। মূলত এই প্রসঙ্গে টেনে অভিষেক মহুয়াকে নিয়ে যে কথা বলেছেন, তার যে কোনও গুরুত্ব নেই, তা বোঝাতে চেয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

    মহুয়া ইস্যুতে এনআইএ তদন্তের কেন দাবি জানালেন সুকান্ত?

    মহুয়াকে নিয়ে এথিক্স কমিটির সুপারিশ প্রসঙ্গে সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, আমরা যতদূর জানতে পেরেছি, তাতে শুধু খারিজ করার সুপারিশ করেনি কমিটি। তার সঙ্গে বলেছে যে প্রাতিষ্ঠানিক তদন্ত করানোর জন্য অর্থাৎ ইডি বা সিবিআইকে দিয়ে নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে তদন্ত করানোর জন্য বলেছে। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মহুয়া মৈত্র সাংসদ হিসেবে লোকসভার ওয়েবসাইটের যে লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড পেয়েছেন, তা তিনি দর্শন হিরানন্দানি নামে এক ব্যবসায়ীকে দেন বলে অভিযোগ। তারপর দুবাই থেকে সেই লগ-ইন আইডি ও পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে লোকসভার ওয়েবসাইট ব্যবহার করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। সুকান্ত বলেন, একজন সাংসদের লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে অন্য একজনের কাছে। তাও তাঁর পিএ-র কাছে গেলে বুঝতাম। কিন্তু, জানতে পেরেছি, সেই লগ ইন আইডি চলে যাচ্ছে দুবাইয়ে। তৃণমূল কংগ্রেস গ্যারান্টি দিতে পারবে যে এই লগ ইন আইডি দুবাইয়ের কোনও নাগরিক ব্যবহার করেননি বা দুবাইয়ের কোনও নাগরিকের উপস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়নি। দেশের আভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার সঙ্গে সমঝোতা করেছেন মহুয়া মৈত্র। এর এনআইএ তদন্ত হওয়া উচিত’।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    Madan Mitra: ‘লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত’, কেন বললেন মদন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে নাজেহাল অবস্থা তৃণমূল পরিচালিত কামারহাটি পুরসভার। ইডি-র ডাকে বার বার সিজিওতে ছুটতে হচ্ছে পুর চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে। এরই মধ্যে বিজয়া সম্মেলনীতে প্রকাশ্যে গোপালকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে প্রশ্নবাণে বিদ্ধ করেছেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। গোপালের পাশে দাঁড়িয়ে কার্যত বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের মতো দলের বিধায়ক তথা ‘কালারফুল বয়’ মদন মিত্র (Madan Mitra) বেলাগাম আক্রমণ করেছেন। সৌগতবাবুর মতো বর্ষীয়ান নেতাকে যে ভাবে আক্রমণ করা হয়েছে. বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতারাও সেই ঢঙে কথা বলেন না। সামনেই লোকসভা নির্বাচন। তার আগেই কি কামারহাটি কাণ্ড নিয়ে দমদম লোকসভায় তৃণমূলের চেহারা বেআব্রু হয়ে গেল। সাংসদের নাম করে বিধায়ক মদনের কড়া সমালোচনার ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল আরও একবার প্রকাশ্যে চলে এল।

    কামারহাটি নিয়ে সৌগত রায় ঠিক কী বলেছেন?

    কামারহাটিতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোনও পরিষেবা পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলার আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত। এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন তিনি।

    সৌগত রায়কে নিয়ে ঠিক কী বলেছেন মদন? (Madan Mitra)

    সৌগত রায়ের বক্তব্য সামনেই আসতেই মুখ খুলেছেন তৃণমূলের ‘কালারফুল বয়’ (Madan Mitra)। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয়, ওনার (সৌগত রায়) একটাই উদ্দেশ্য, যেই গোপালকে ইডি ডাকল, তখন উনি বলতে শুরু করলেন, ঠাকুর ঘরে কে? আমি তো কলা খাইনি’। ‘কী বোঝাতে চাইছেন? পুর দুর্নীতিতে আমি নেই! গোপালরা দুর্নীতি করেছে? যা বলার স্পষ্ট বলুন’। ‘আর ৯ বছরে এসব চোখে পড়ল না, এসব ভোটের আগে ঠিক মনে হল আপনার, কোথায় একটা গন্ধ আছে মনে হচ্ছে’। ‘দলের খাবেন আর সুযোগ পেলেই দলের পিছনে পিন বাজি? অথচ, আপনার বাংলোটা শ্রেষ্ঠ বাংলো, আপনি মন্ত্রী থাকাকালীন ম্যানেজ করে নিয়েছেন, আর এখন গোপাল ভূত, আর আপনি রাজা হয়ে গেলেন’। ‘কিছু বলার থাকলে পার্টির মধ্যে বলুন, তবে আপনার গুণ আছে, পিসি সরকারের ম্যাজিকের মত পাল্টি খাওয়া’।

    লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে যাচ্ছেন সৌগত, দাবি মদনের

    তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়কে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, ‘সৌগত রায় ১৫ বছরে ১০টা ছেলে দেখান, যারা আপনার কাছ থেকে সাহায্য পেয়েছে’। ‘বেশি কিছু বলবেন না, দিনকাল ভালো নয় তো’। ‘হঠাৎ আপনি মেরুকরণ করে গিরগিটির মতো পাল্টাচ্ছেন কেন? জেনে রেখে দেবেন, মদন মিত্র আছে’। ‘আপনার ডানদিকে বাঁদিকে যাঁরা ঘোরেন, ওরা তো সব চোর’ । কংগ্রেস আমলে পুরানো ইতিহাস মনে করিয়ে দিয়ে মদন বলেন,  ‘লোকে জানে আপনি শিক্ষিত, কিন্তু ৭৭ সালে এমন রিগিং করেছিলেন, যে এসডিপিওকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তারপর থেকে বারাকপুর হাতছাড়া হয়ে গেল’। এরপর এসব বলার জন্য দল ব্যবস্থা নেবে ধরে নিয়ে মদন মিত্র বলেন. ‘পার্টির কাছে ক্ষমা চাইছি, এইসব কথা বলার জন্য আমার শাস্তি হতে পারে, উত্তর চাইতে পারে, কিন্তু উত্তর আমি দেব’। ‘তবে এটাও বলে রাখি, স্পেসিফিক কিছু না পেলে মদন মিত্ৰ বলে না’। ‘ওনার (সৌগত রায়) বলার স্টাইলটা যেন মনে হচ্ছে, লেবুতলা পার্কের রাম মন্দিরের দিকে এগোচ্ছে। তবে, কিছু যায় আসে না, তুড়ি মারব, উড়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ram Mandir: অযোধ্যার রামমন্দিরের ‘অক্ষত চাল’ এল বাংলায়, ডিসেম্বরে পৌঁছাবে গ্রামে গ্রামে

    Ram Mandir: অযোধ্যার রামমন্দিরের ‘অক্ষত চাল’ এল বাংলায়, ডিসেম্বরে পৌঁছাবে গ্রামে গ্রামে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir) থেকে তিনটি কলসিতে ‘অক্ষত চাল’ এল বাংলায়। গত রবিবার অযোধ্যায় রামজন্মভূমিতে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। এরপরেই দেশের সমস্ত রাজ্যে সেই অক্ষত চাল পাঠানোর কাজ শুরু হয়। সাংগঠনিকভাবে সারা দেশে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ৪৫টি প্রদেশ রয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে তিনটি উত্তরবঙ্গ, মধ্যবঙ্গ এবং দক্ষিণবঙ্গ। উত্তরবঙ্গের জন্য অক্ষত চালের কলসি শিলিগুড়িতে পৌঁছে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা। অন্যদিকে মধ্য এবং দক্ষিণবঙ্গের অক্ষত চাল আনা হয়েছে জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসের মাধ্যমে।

    ডিসেম্বরের মাঝামাঝি অক্ষত চাল যাবে বাংলার গ্রামে গ্রামে

    জানা গিয়েছে, এই অক্ষত চাল আপাতত সংরক্ষিত থাকবে সঙ্ঘ পরিবারের কাছেই। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি সময় থেকে তা গ্রামে গ্রামে নিয়ে যাওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ৫ থেকে ৭ নভেম্বর গুজরাটের ভুজে বসেছিল আরএসএসের সর্বভারতীয় কার্যকারিণী বৈঠক। সেখানেও মূল অ্যাজেন্ডা ছিল রামমন্দির। বৈঠকের শেষ দিনে আরএসএসের সরকার্যবাহ দত্তাত্রেয় হোসাবলে সাংবাদিকদের বলেন, ‘‘১ থেকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে রামমন্দিরের (Ram Mandir) ছবি নিয়ে ভারতবর্ষের ৫ লাখ গ্রামে যাবেন স্বয়ংসেবকরা।’’ অর্থাৎ একদিকে অক্ষত চাল যেমন পৌঁছাবে গ্রামে গ্রামে, তেমনই পরবর্তীকালে নির্মিত রামমন্দিরের ছবি নিয়েও জনসংযোগ করবেন স্বয়ংসেবকরা।

    অক্ষত চালকে শুভ মানা হয়

    আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরের (Ram Mandir) প্রাণ প্রতিষ্ঠা করবেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইতিমধ্যে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পৌঁছে গিয়েছে আমন্ত্রণপত্র। সেদিন প্রধানমন্ত্রী রামলালাকে কোলে নিয়ে ৫০০ মিটার পথও অতিক্রম করবেন। দেশের সব প্রান্ত থেকে মানুষ সেদিন অযোধ্যায় সমবেত হবেন। আমন্ত্রণের চিঠিতে অক্ষত চাল দেওয়ার রীতি রয়েছে হিন্দু সমাজে। হলুদ এবং ঘি মাখিয়ে তৈরি করা হয় এই অক্ষত। কোনও শুভ অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে যা মঙ্গলজনক বলেই মনে করা হয়। ১০০ কুইন্টাল চাল এনে গত রবিবারই অক্ষত পুজো সম্পন্ন হয় অযোধ্যায়। এই অক্ষত চাল রামলালার সামনে রেখে পুজো করা হয়। পরের দিন থেকেই তা পাঠিয়ে দেওয়া হয় দেশের প্রতিটি প্রান্তে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Indian Railways: মোদি জমানায় গত ৯ বছরে নিয়োগ ৫ লক্ষ! পরিসংখ্যান পেশ ভারতীয় রেলের

    Indian Railways: মোদি জমানায় গত ৯ বছরে নিয়োগ ৫ লক্ষ! পরিসংখ্যান পেশ ভারতীয় রেলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোদি জমানায় বেড়েছে কর্মসংস্থান। গত ৯ বছরে ৫ লাখ নিয়োগ করেছে ভারতীয় রেল (Indian Railways)। শুক্রবারই প্রেস বিবৃতি দিয়ে একথা জানিয়েছে পূর্ব রেল। ওই প্রেস বিবৃতিতে পূর্বতন ইউপিএ সরকারের সঙ্গে তুলনাও টানা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে ২০০৪ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মনমোহন সরকার ১০ বছরে নিয়োগ করতে পেরেছিল ৪ লাখ ১১ হাজার প্রার্থীকে। অর্থাৎ কংগ্রেস জমানায় প্রতি বছর গড়ে নিয়োগ হয়েছিল ৪১ হাজার। অন্যদিকে মোদি জমানায় প্রতি বছর গড়ে নিয়োগ হয়েছে ৫২ হাজার।

    গত ১ বছরে রেলে নিয়োগ দেড় লাখ

    এর মধ্যে করোনার সময়কালে দেশে সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ ছিল। তাই ২ বছর বাদ দিলে প্রতি বছর নিয়োগের গড় দাঁড়াচ্ছে ৬২ হাজার। যা মনমোহন জমানার থেকে অনেকটাই বেশি। শুক্রবার রেলের (Indian Railways) তরফ থেকে প্রকাশিত ওই প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এও বলা হয়েছে, গত বছরে রেল রেকর্ড সংখ্যক নিয়োগ করতে পেরেছে। এই সংখ্যা দেড় লাখ। ৯ নভেম্বর প্রকাশিত ওই প্রেস বিবৃতিতে রেল জানিয়েছে, ৫ লাখ নিয়োগই হয়েছে স্বচ্ছভাবে। কোথাও কোনও দুর্নীতি হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের একাধিক নিয়োগ দুর্নীতি যখন সামনে আসছে, সেই আবহে রেলের স্বচ্ছ নিয়োগ কেন্দ্র সরকারের প্রতি চাকরি প্রার্থীদের আস্থা আরও দৃঢ় করল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট।

    নতুন ৫,৬০০ কিমি রেলপথ সম্প্রসারণ ১ বছরে

    রেলে এই বিপুল কর্মসংস্থান মোদি সরকারকে অ্যাডভান্টেজ দেবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রেলের তরফে বলা হয়েছে, করোনাকালে বিশ্বের সর্বত্র আর্থিক মন্দা চললেও রেলের (Indian Railways) নিয়োগের গড় প্রতি বছর ৫০ হাজারের নিচে নামেনি। এছাড়াও  গত ১ বছরে ৫,৬০০ কিমি নতুন রেলপথ সম্প্রসারণের কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছে রেল। এর ফলে পরোক্ষভাবে ১০ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: এবার গবেষণার বিষয় ‘নরেন্দ্র মোদি’! বারাণসীর মুসলিম ছাত্রী জমা দিলেন থিসিস

    Narendra Modi: এবার গবেষণার বিষয় ‘নরেন্দ্র মোদি’! বারাণসীর মুসলিম ছাত্রী জমা দিলেন থিসিস

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) এই মুহূর্তে বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় নেতা। বিদেশের রাষ্ট্রপ্রধানরাও ভূয়সী প্রশংসায় ভরিয়ে দেন তাঁকে। বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এবার রিসার্চ করলেন বারাণসীর এক গবেষক। জানা গিয়েছে, নাজমা পারভিন নামে ওই ছাত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) তাঁর পিএইচডির বিষয় হিসেবে বেছেছেন। ইতিমধ্যে শেষও হয়েছে নাজমার পিএইচডি। নরেন্দ্র মোদির উত্থান, তাঁর রাজনৈতিক জীবন এবং সংঘর্ষ এই কাহিনীই লিপিবদ্ধ রয়েছে নাজমার পিএইচডি থিসিসে। কেন নাজমা নরেন্দ্র মোদিকে পিএইচডির বিষয় হিসেবে বাছলেন? এর উত্তর গবেষক দিয়েছেন যে, নরেন্দ্র মোদির সংগ্রামী জীবন তাঁকে আকৃষ্ট করেছে।

    আরও পড়ুন: বিশ্বভারতী ক্যাম্পাসে তৃণমূলের অকাল হোলিতে বিতর্ক, শিক্ষাঙ্গনে এ কেমন রাজনীতি?

    ২০১৪ সালে শুরু গবেষণা

    বেনারস হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সঞ্জয় শ্রীবাস্তবের অধীনে এই পিএইচডি শুরু করেন নাজমা। সেটা ছিল ২০১৪ সাল। ৯ বছর ধরে নাজমা গবেষণা চালিয়েছেন নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জীবনের ওপর। ২০২৩ সালের নভেম্বরে শেষ হল তাঁর গবেষণা। সংবাদমাধ্যমকে নাজমা জানিয়েছেন, তাঁর গবেষণার বিষয় হল ‘নরেন্দ্র মোদির রাজনৈতিক নেতৃত্ব-একটি বিশ্লেষণাত্মক পাঠ’। জানা গিয়েছে, রাষ্ট্রবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করেছেন নাজমা।

    নাজমার থিসিসে ৫টি অধ্যায়

    নাজমার পাঁচটি অধ্যায় রয়েছে থিসিসে। পাঁচটি অধ্যায় হল- পরাধীন ভারতে কংগ্রেসের ক্ষমতা, ভারতের স্বাধীনতালাভ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) রাজনৈতিক জীবন, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তাঁর কাজ, বিরোধীদের অভিযোগ এবং সমালোচনার সময়কাল ও জনসমর্থন। নাজমার থিসিসে উঠে এসেছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের প্রচারক থাকাকালীন মুসলিম সমাজের প্রতি নরেন্দ্র মোদির মনোভাবও। নাজমার দাবি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির জীবন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং তা যে কোনও ব্যক্তিকে আকর্ষণ করতে পারে। তাই পিএইচডির থিসিসে তাঁকে বেছেছেন তিনি।

    আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা পাচার কাণ্ডে ১০ রাজ্যে এনআইএ অভিযান! গ্রেফতার ৪৪, বাংলা থেকে ধৃত ৩

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১০/১১/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১০/১১/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) দূর দেশে ভ্রমণের পরিকল্পনা সফল হতে পারে।

    ২) বিদ্যার্থীদের জন্য নতুন কোনও পথ খুলতে পারে।  

    বৃষ

    ১) বাড়িতে সবাই খুব সতর্ক থাকুন, চুরির ভয় আছে।

    ২) আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। 

    মিথুন

    ১) জমি বা সম্পত্তি ক্রয়-বিক্রয় করার শুভ দিন।

    ২) শেয়ারে বাড়তি লগ্নি চিন্তাবৃদ্ধি ঘটাতে পারে।  

    কর্কট

    ১) বন্ধুদের বিরোধিতা থেকে সাবধান থাকুন।

    ২) সংসারের দায়িত্ব দ্বিগুণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে। 
      
    সিংহ 

    ১) পেটের সমস্যা বাড়তে পারে।

    ২) ব্যবসায় আমূল পরিবর্তন লক্ষ করতে পারবেন।  

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় বাড়তি বিনিয়োগ না করাই শ্রেয়।

    ২) মাথাগরম করার ফলে হাতে আসা কাজ ভেস্তে যাবে।  

    তুলা 

    ১) ভাই-বোনের কাছ থেকে ভাল সাহায্য পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য সম্পর্কে উন্নতির যোগ।

    বৃশ্চিক

    ১) কোনও নিয়ম লঙ্ঘন করার জন্য আপনাকে বিপদে পড়তে হতে পারে।

    ২) উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে শুভ যোগ।  

    ধনু

    ১) কোনও ভুল কাজের জন্য অনুতাপ হতে পারে।

    ২) অতিরিক্ত দৌড়ঝাঁপ করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন।

    মকর

    ১) কারও কুপ্রভাবে সংসারে অশান্তি হতে পারে।

    ২) সামাজিক সুনাম বা প্রতিপত্তি বিস্তারের যোগ।  

    কুম্ভ

    ১) সাংসারিক কারণে মানসিক যন্ত্রণা বাড়তে পারে।

    ২) অবাক করে দেওয়া কোনও সুখবর পেতে পারেন।  

    মীন

    ১) ব্যয় বাড়তে পারে।

    ২) সম্পত্তি নিয়ে সমস্যা মিটে যেতে পারে। 

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    Malda: আজব কাণ্ড! দুয়ারে রেশনে মিলছে টাকা! কীভাবে জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী রেশন বন্টন দুর্নীতির অভিযোগে ইডি হেফাজতে রয়েছেন। একের পর এক দুর্নীতিগ্রস্ত রাইস মিমল মালিক, রেশন ডিলারের বাড়িতে তল্লাশি শুরু করেছে। এসব ঘটনা নিয়ে যখন রাজ্য রাজনীতি উত্তাল, তখন দুয়ারে রেশনে আজব ছবি দেখা গেল মালদার (Malda) পাকুয়ায়। খাদ্য সামগ্রীর বদলে গ্রাহকরা টাকা পাচ্ছেন। সেই টাকা গুনে গুনে দিচ্ছেন খোদ ডিলার নিজেই। দুয়ারে রেশনের এমনই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় জেলার প্রশাসনিক মহলে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    গ্রাহকদের সুবিধার্ধে দুয়ারে রেশন চালু করেছে রাজ্য সরকার। এক বছর ধরে মালদাতেও (Malda) সে প্রকল্প চলছে। তবে পাকুয়ায় কামাতিপাড়ায় দুয়ারে রেশনের কোনও চিহ্ন নেই। নেই ফ্লেক্স, ফেস্টুন কিংবা খাদ্য সামগ্রী। রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় কর্মীর পাশে দাঁড়িয়ে গ্রাহকদের হাতে হাতে দিচ্ছেন নগদ টাকা। এমনই অভিযোগ গ্রাহকদের। তাঁদের দাবি, রেশনের খাদ্য সামগ্রী আটা,চালের মান খুবই নিম্নমানের। তাই, চাল, আটা খোলা বাজারে বিক্রি করতে দিতে হয়। তবে রেশন ডিলার নিজেই রেশন দোকানে বসে আটা, চালের মূল্য ধরে টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। প্রত্যেককে টোকেন দেওয়া রয়েছে। সেই টোকেন নিয়ে ডিলারের কাছে গেলেই মিলছে টাকা। গ্রাহকদের বক্তব্য, আসলে রেশনে যে সামগ্রী দেওয়া হয় তা অত্যন্ত নিম্নমানের। রেশন ডিলার নিজেই তা কিনে নিতে চান। তাই, নিজের সামগ্রী সেখানে বিক্রি করে মূল্য পেয়ে যায়। রেশনে গুণগত মান ভাল দিলে আর আমরা বিক্রি করব না। 

    কী বললেন রেশন ডিলার?

    রেশন ডিলার বিভা রায়ের ছেলে ঝঙ্কারেশ রায় বলেন, নিয়ম মেনেই গ্রাহকদের রেশন সামগ্রী দেওয়া হয়। গ্রাহকদের কাছ থেকে রেশন কেনা কিংবা তাদের টাকা দেওয়ার অভিযোগ ঠিক নয়। প্রশাসনর পক্ষ থেকে তদন্ত করা হোক। 

    কী বললেন খাদ্য দফতরের আধিকারিক?                                     

    মালদার (Malda) পাকুয়ার কামাতিপাড়ায় ডিলারের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়ে পুলিশের পাশাপাশি ঘটনাস্থলে যান বামনগোলার ফুড ইন্সপেক্টর মহম্মদ আলমেবাশেরুল। রেশন ডিলারের দোকান এবং গোডাউনেও যান তিনি। তিনি বলেন, রেশনে খাদ্য সামগ্রীর বদলে টাকা দেওয়ার কোনও নিয়ম নেই। গ্রাহকদের সঙ্গে কথা বলেছি। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  বলে জানিয়েছেন খাদ্য সরবরাহ দফতরের কর্তারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                     

  • Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    Kamarhati: ‘কামারহাটি পুরসভায় কাজ হচ্ছে না’, চেয়ারম্যানকে ধমক দিয়ে বললেন সাংসদ সৌগত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে তোলপাড় কামারহাটি (Kamarhati) পৌরসভা। পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে মাঝেমধ্যেই সিজিও তো ডাকছে ই়ডি। তার বাড়িতেও তল্লাশি চালিয়েছে ইডি। ইডির তদন্তের মধ্যেই কামারহাটির অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তকে সাসপেন্ড করল পুর কর্তৃপক্ষ। এই তমালবাবুর বিরুদ্ধে বিপুল সম্পত্তি তৈরির অভিযোগ ওঠে। তমালবাবুকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। কিছু নথি ও পাওয়া গিয়েছিল তার কাছ থেকে। এরপরেই তাকে সাসপেন্ড করে দেওয়ার ঘটনায় নিয়োগ দুর্নীতির কোনও ইস্যু রয়েছে কিনা তা নিয়েও গোটা পুরসভা জুড়ে গুঞ্জন শুরু হয়েছে। এই সব ঘটনা নিয়ে যখন কামারহাটি জুড়ে তোলপাড় চলছে, তখন বিস্ফোরক অভিযোগ করলে দমদমের সাংসদ সৌগত রায়। তাঁর কথায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।  প্রকাশ্যে তৃণমূল সাংসদদের বক্তব্যে চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে কামারহাটি পুর কর্তৃপক্ষ।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল সাংসদ? (Kamarhati)

    কামারহাটিতে (Kamarhati) তৃণমূলের পক্ষ থেকে বিজয়া সম্মেলনীর আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানে হাজির ছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। মঞ্চে উপস্থিত গোপাল সাহার পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, কামারহাটি পুরসভায় ঠিকমতো কাজ হচ্ছে না। কোন অর্ডার পাস হচ্ছে না। মানুষ কোন পরিষেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন। পরিষেবা দেওয়াটা সবার আগে দরকার। এই পুরসভায় এত কাউন্সিলর আছে, নিজেদের মধ্যে অন্য গল্প না করে নাগরিক পরিষেবা যাতে আরও উন্নত করা যায় সেই বিষয়ে আলোচনা করা উচিত।  এমনকী পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহাকে নাগরিক পরিষেবা উন্নত করার জন্য ধমক দেন। সাসপেন্ড হওয়া অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্ত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি কি মহাপুরুষ। তিনি নেই বলে কাজ হবে না, এটা তো চলতে পারেনা।

    পুরসভার চেয়ারম্যান কী বললেন?

    কামারহাটি (Kamarhati) পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা বলেন, সৌগত দা আমাদের অভিভাবক। তিনি পুরসভা পরিচালনার ক্ষেত্রে আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন, কোনও ধমক দেননি। তার নির্দেশ মেনে আগামী দিনে পুরসভা পরিচালনা করা হবে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    বিজেপি নেতা কিশোর কর বলেন,, আমাদের মতো কোনও বিরোধী দল এই অভিযোগ করছে না। তৃণমূল দলের সাংসদ প্রকাশ্যেই বলছে কামারহাটি পুরসভা কোনও কাজ করছে না। এর থেকে লজ্জার আর কিছু হয় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    Murshidabad: কালীপুজোর দু’দিন আগেই শিবের মাথা ভেঙে পালালো দুষ্কৃতীরা, তদন্তে পুলিশ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) বড়ঞা থানার শ্রীহট্ট গ্রামে কালী মায়ের নিচে থাকা শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো দুষ্কৃতীরা! কালীপুজোর মাত্র দুই দিন আগেই এই ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পৌঁছে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গিয়েছে।

    উল্লেখ্য মুর্শিদাবাদে এই ভাবে শিব ঠাকুরের মাথা ভেঙে দেওয়ার ঘটনায় কালীভক্ত হিন্দু সমাজের মধ্যে তীব্র আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। উল্লেখ্য গত দুই বছর আগে বাংলাদেশে দুর্গাপুজোর ঠিক আগেই কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ঢাকায় হিন্দু ধর্মের দুর্গা প্রতিমার ব্যাপক ভাঙচুরের ঘটনায় সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। বাংলাদেশ এবং পাকিস্তান থেকেই হিন্দু মূর্তি ও মন্দির ভাঙার খবর আসে সবথেকে বেশি। ফলে মুর্শিদাবাদে কি বাংলাদেশের ছায়া? এই প্রশ্ন করছেন এলাকারই লোকজন।

    কীভাবে ঘটল ঘটনা

    ঠিক কালীপুজোর দুই দিন আগেই শ্রীহট্ট গ্রামের (Murshidabad) বুধবার রাত্রে দুইজন দুষ্কৃতী এসে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালালো। ঘটনার দৃশ্য স্পষ্ট দেখে গিয়েছে সিসিটিভি ফুটেজে। এরপর বৃহস্পতিবার সকাল নাগাদ স্থানীয় বাসিন্দারা মন্দিরের এসে দেখে যে শিবের মাথা নেই। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় গ্রামের সমস্ত লোকজনদের। গ্রামের সবাই ছুটে আসেন, এসে তাঁরা লক্ষ করেন মন্দিরের সামনে যেখানে কালীমূর্তি তৈরি হচ্ছে, সেখান থেকে শিবের মাথার অস্তিত্ব নেই। তবে কে বা কারা করেছে তাদের নাম এখনও স্পষ্ট  হয়নি। 

    তদন্তে পুলিশে

    এরপর মূর্তি ভাঙার খবর দেওয়া হয় বড়ঞা (Murshidabad) থানার পুলিশকে। পুলিশ এসে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে এবং এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। শ্রীহট্ট গ্রামের মন্দিরের পাশে কালীমূর্তি থেকে শিবের মাথা ভেঙে নিয়ে পালানোর ঘটনায় এলাকার মানুষ স্তম্ভিত। এলাকার (Murshidabad) বাসিন্দা অসীম কর্মকার বলেন, “এই পুজো আমরা বাপ ঠাকুরদার আগের থেকে হচ্ছে কিন্তু কোনও দিন এইরকম ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটেনি। আমরা শুনেছি বাংলাদেশে এমন ঘটনা ঘটে। আমরা চাই এই ঘটনায় দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি হোক।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share