Author: user

  • Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    Bankura: “পুলিশ আধিকারিক আমার গলা টিপে ধরেছিলেন”, বিস্ফোরক অভিযোগ বিজেপি বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটির নিধিরামপুর গ্রামে ফের নতুন করে উত্তেজনা দেখা দিল। বুধবার স্থানীয় বিজেপি কর্মী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর বটগাছে ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় উত্তাল হয় ওই গ্রাম। বৃহস্পতিবার সকালে গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার, ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় ও শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। পুলিশের সঙ্গে কথা বলার সময় পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে তুমুল বচসায় জড়িয়ে পড়েন ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। এমনকী সত্যনারায়ণবাবুর গায়ে হাত তোলার অভিযোগ উঠল এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে। রীতিমতো বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত তুলে দাদাগিরি দেখানোর চেষ্টা করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। কর্মীদের বিক্ষোভে পুলিশ আধিকারিক কিছুটা চুপসে যান। যদিও পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিধায়কের গায়ে হাত তোলার বিষয়টি অস্বীকার করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bankura)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বাঁকুড়ার (Bankura) গঙ্গাজলঘাটি থানার নিধিরামপুর গ্রামে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় স্থানীয় বিজেপি কর্মী তথা গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের পঞ্চায়েত প্রার্থী শুভদীপ মিশ্র ওরফে দীপুর। বাড়ির অদূরে নিধিরামপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় চত্বরে বটগাছের ডালে তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই বিজেপি কর্মীকে খুন করা হয়েছে দাবি তুলে শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ির নেতৃত্বে প্রবল ক্ষোভে ফেটে পড়েন এলাকার মানুষ। পরে ঘটনার সিবি আই তদন্তের দাবিতে বিজেপি কর্মীরা ৬০ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান। বৃহস্পতিবার নিধিরামপুর গ্রামে যান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকার। সঙ্গে ছিলেন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি ও ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায়। গ্রামে হাজির থাকা উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের কাছে ঘটনার তদন্তের অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও বিধায়করা। এক পুলিশ আধিকারিক উত্তেজিত হয়ে বিজেপি বিধায়কের গায়ে হাত দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা করেন। কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সামনেই ওই পুলিশ আধিকারিক দাদাগিরি দেখাতে শুরু করেন। বিধায়কের সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন বলে কর্মীদের অভিযোগ। আর তাতেই ছাতনার ওই আক্রান্ত বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। শুরু হয় প্রবল বচসা। পরে, দুপক্ষের আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

    পুলিশের হাত তোলা নিয়ে কী বললেন বিজেপি বিধায়ক ও কেন্দ্রীয় মন্ত্রী?

    ছাতনার বিধায়ক সত্যনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ আধিকারিককে আমরা কিছু প্রশ্ন করি। ওই পুলিশ আধিকারিক ভয় দেখিয়ে আমার গলা টিপে ধরেছিলেন। তখনই আমি ক্ষোভ জানাই। ধমকে, চমকে আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার বলেন, পুলিশের তদন্ত নিয়ে গ্রামবাসীরা সন্দিহান। তাই, সিবিআই তদন্তের দাবি জানাচ্ছেন। পুলিশের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রকৃত তদন্ত করবে বলে তারা আশ্বাস দিয়েছে। আর বিধায়কের গায়ে পুলিশ আধিকারিকের হাত তোলা নিয়ে মন্ত্রী বলেন, বিধায়ককে আঙুল তুলে কথা বলতে পারেন না পুলিশ। সেখানে বিধায়কের গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ayodha Ram Mandir: দীপাবলিতে রামনগরী অযোধ্যা সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোকসজ্জায়

    Ayodha Ram Mandir: দীপাবলিতে রামনগরী অযোধ্যা সেজে উঠবে চন্দননগরের আলোকসজ্জায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোকসজ্জায় বিখ্যাত চন্দননগর। দেশে-বিদেশে এই চন্দনগরের আলোকসজ্জা অত্যন্ত সুখ্যাতি অর্জন করেছে। জগদ্ধাত্রী পুজোতে চন্দননগর সেজে ওঠে এই আলোয়। বহু এলাকার মানুষ দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন এই আলোকসজ্জা দেখার টানে। এবার অযোধ্যার দীপ উৎসবে যাবে চন্দননগরের আলোকসজ্জা। জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ রাম মন্দিরের (Ayodha Ram Mandir) সামনে বেশ কয়েক কিলোমিটার রাস্তা সজ্জিত হবে এই আলোকসজ্জায়। এর জন্য চন্দননগরের এক সংস্থার কাছে বরাত এসেছে ৮০ লাখ টাকার।

    কী বললেন শিল্পীরা (Ayodha Ram Mandir)?

    চন্দননগরের আলোকসজ্জার কাজ করা ওই সংস্থার কর্ণধার শিল্পী মনোজ সাহা বলেন, “অয্যোধ্যার দীপাবলিতে এবার চন্দননগর থেকে আলোকসজ্জা পাঠানো হবে। এই আলো নির্মীয়মাণ প্রভু শ্রীরামচন্দ্রের রাম মন্দির যেতে (Ayodha Ram Mandir) রাস্তায় লাগানো হবে। শেষ মুহূর্তে এই কাজ জোর কদমে চলছে। সজ্জার ব্যস্ততা এখন তুঙ্গে। একপ্রকার আমাদের নাওয়া খাওয়া ছেড়ে এই কাজের প্রস্তুতি চলছে। রাতের অন্ধকারে আলোর মায়ায় রামনগরী উজ্জ্বল রূপে ফুটে উঠবে।”

    আলো যাচ্ছে চিত্রকূটে

    দীপাবলিতে চন্দননগরের আলোকসজ্জা শুধু অযোধ্যা যাচ্ছে না, যাচ্ছে রাজস্থানের চিত্রকূটে। শিল্পীরা জানিয়েছেন, আলোর খেলায় প্রভু শ্রীরামচন্দ্রকে তীর ধনুক নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার চিত্রে তুলে ধরা হবে। একই ভাবে আলোকসজ্জায় তৈরি করা হচ্ছে সীতা, লক্ষণ, বজরংবলীর মডেল। উল্লেখ্য ২০২৪ সালে জানুয়ারি মাসেই উদ্বোধন করা হবে রাম মন্দির। সেই সময় চন্দননগরের আলো দিয়ে সজ্জিত করা হবে মন্দির চত্বরকে।

    বরাত এসেছে ৮০ লাখ টাকা

    অযোধ্যায় আলোকসজ্জার জন্য চন্দননগরের শিল্পীরা বরাত পেয়েছেন মোটা টাকার। সূত্রে জানা গিয়েছে সাহা ওই সংস্থা অয্যোধ্যার নদীর ধার, রাস্তা, নির্মীয়মাণ রাম মন্দির (Ayodha Ram Mandir) এলাকা এই আলোকসজ্জার দ্বারা সজ্জিত করবে। কর্ণধার জানিয়েছেন, “দুর্গাপুজোর আগে থেকেই আমাদের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ৬০ জন কারিগর কাজ করছেন। বরাত এসেছে ৭০ থেকে ৮০ লাখ টাকা।”

       

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Jalpaiguri: জেল থেকে বেরিয়েই যুব তৃণমূল নেতার ৫০ লক্ষ টাকার কালীপুজো! উৎস নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণবঙ্গে বীরভূমের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের কালীপুজো এক সময় খবরের শিরোনামে থাকত। তিনি মাকে ৩০০ ভরি সোনার গয়না পরাতেন। এবার জেল ফেরত জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সৈকত চট্টোপাধ্যায়ের কালীপুজো ঘিরে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কেন তৃণমূল নেতার পুজো ঘিরে চর্চা? (Jalpaiguri)

    গত কয়েক বছর ধরে সৈকত ‘যুব ঐক্য’ নাম দিয়ে কালীপুজো এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করে আসছেন। জলপাইগুড়ির (Jalpaiguri) এক দম্পতিকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ায় অভিযুক্ত হয়ে গত ১৬ অক্টোবর থেকে সৈকত প্রথমে পুলিশ, তার পরে জেল হেফাজতে ছিলেন। এবার সৈকতের নির্দেশ ছিল, পুজো চালিয়ে যাওয়ার। তবে আড়ম্বর না করার কথা বলা হয়েছিল। ১ নভেম্বর সৈকত জামিন পেতেই পুরো সিদ্ধান্ত বদলে যায়। বড় অনুষ্ঠানেরই পরিকল্পনা হয়। প্রায় একশোটি বিমান টিকিট কাটা হয়েছে শিল্পীদের আসা-যাওয়ার জন্য। কলকাতা থেকে নামী শিল্পীদের আনা হচ্ছে। ত্রিপুরা থেকে আসবে মেয়েদের একটি গানের দল। শিল্পী এবং সঙ্গীদের কয়েক জন আসবেন বিমানে। শুধু বিমান ভাড়াতেই লাখ পাঁচেক টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। সঙ্গে রয়েছে শিল্পীদের বাকি সঙ্গীদের জন্য ট্রেন ভাড়া। আগামী ১৩ থেকে ১৫ নভেম্বর তিন দিন টানা সাত জন শিল্পীকে আনতেই প্রায় পঁচিশ লক্ষ টাকা খরচ হচ্ছে বলে দাবি। মণ্ডপ তৈরিতে পড়ছে প্রায় আট লক্ষ টাকা। চন্দননগর থেকে আসছে আলোকসজ্জা। মণ্ডপের ভিতরে এক রকম, বাইরে এক রকম এবং মঞ্চে আর এক রকম আলোর সাজসজ্জা থাকছে। জলপাইগুড়ি ফণীন্দ্রদেব স্কুলের মাঠে পুজো এবং সাংস্কৃতি অনুষ্ঠানে বাঁশের কাজ, আলো মিলিয়ে অন্তত পাঁচটি ডেকোরেটর সংস্থা এবং ইভেন্ট পরিচালনা সংস্থা কাজ করছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতা?

    জেল থেকে বেরিয়ে ৫০ লক্ষ টাকার পুজোর আয়োজন। এক তাড়াতাড়ি এতগুলো টাকা জোগাড় হল কী করে? অন্য পুজোর মতো রসিদ ছাপিয়ে বাড়ি-দোকান থেকে চাঁদা তোলা হয় না সৈকতের পুজোয়। টাকার উৎস নিয়ে তৃণমূল নেতা সৈকত বলেন, মানুষের ভালোবাসাতেই সব জোগাড় হচ্ছে। সদস্য চাঁদা রয়েছে। যাঁদের সঙ্গে মানুষ নেই, তাঁরা হিংসে থেকে অনেক কিছু বলতে পারেন। এটা নিয়ে বিতর্ক হওয়ার কিছু নেই।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, তৃণমূল নেতার পুজোর আয়োজন দেখলেই বোঝা যাচ্ছে, চাঁদা তুলে এই পুজো করা সম্ভব নয়। এর পিছনে অর্থের জোগান রয়েছে। তৃণমূল নেতাদের কারা এই বিপুল পরিমাণ অর্থের জোগান দিচ্ছেন তার তদন্ত করলেই সব কিছু বেরিয়ে আসবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Firecrackers: হৃদরোগ থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ, শব্দবাজি ডেকে আনে কোন পাঁচ বিপদ?

    Firecrackers: হৃদরোগ থেকে ফুসফুসের সংক্রমণ, শব্দবাজি ডেকে আনে কোন পাঁচ বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    আলোর উৎসবে সেজে উঠছে শহর থেকে গ্রাম। কিন্তু বছরের এই সময় শুধু আলো নয়, সঙ্গী হয় বাজি। নানা রকমের বাজি পুড়িয়ে উদযাপন হয় দীপাবলি। আর সেই তালিকায় থাকে শব্দবাজিও (Firecrackers)। শব্দবাজির প্রকোপ নিয়ে প্রত্যেক বছর একাধিক অভিযোগ উঠলেও, প্রশাসনিক তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। কিন্তু চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, প্রশাসনের এই ঢিলেঢালা আচরণের খেসারত দিতে হয় শিশু থেকে বয়স্ক সকলকেই। শব্দবাজির তীব্রতার জেরে গুরুতর স্বাস্থ্যসঙ্কট দেখা দিতে পারে, এমনই আশঙ্কার কথা জানাচ্ছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কোন পাঁচ বিপদের আশঙ্কা বেশি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, প্রচণ্ড জোরে শব্দবাজি (Firecrackers) ফাটলে শরীরে একাধিক ক্ষতির আশঙ্কা তৈরি হয়। ইএনটি চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সবচেয়ে বেশি ক্ষতির আশঙ্কা থাকে কানের। শব্দবাজির তীব্রতার জেরে শ্রবণশক্তি চিরতরে হারিয়ে যেতে পারে। হঠাৎ খুব জোর আওয়াজে কানের পর্দায় চাপ পড়ে। লাগাতার সেই চাপ পড়লে শ্রবণশক্তি হারানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে এই আশঙ্কা আরও বেশি।
    শব্দবাজির প্রভাবে হৃদরোগের ঝুঁকি বেড়ে যায় বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, হঠাৎ তীব্র আওয়াজে হৃদস্পন্দন অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। হৃদযন্ত্রের কার্যশক্তি হঠাৎ কমে যায়। আর এর জেরেই হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়তে থাকে। 
    রক্তচাপের ক্ষেত্রেও মারাত্মক খারাপ প্রভাব ফেলে শব্দবাজি (Firecrackers)। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হঠাৎ তীব্র আওয়াজের জেরে রক্তচাপ ওঠা-নামা করে। কারণ, হৃদপিণ্ড ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। শরীরের সর্বত্র রক্তসঞ্চালন ঠিকমতো হয় না। এর জেরেই রক্তচাপের সমস্যা তৈরি হতে পারে। 
    মস্তিষ্কেও মারাত্মক ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে শব্দবাজি। স্নায়ুর কার্যক্ষমতা কমতে পারে শব্দবাজির জেরে। তাই মস্তিষ্কের রক্ত সঞ্চালনে এবং স্নায়ুর কার্যকারিতায় সমস্যা হয়। 
    মানসিক অস্থিরতা তৈরি করে শব্দবাজি। শব্দবাজির জেরে একাগ্রতা নষ্ট হয়। ফলে, যে কোনও কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হয় বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য শব্দ খুবই ক্ষতিকারক।

    শব্দবাজিতে কাদের ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শিশুদের জন্য সবচেয়ে ক্ষতিকারক শব্দবাজি। এর ফলে, শিশুদের শারীরিক ও মানসিক একাধিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই তাদের বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। 
    বয়স্কদের জন্যও শব্দবাজি বাড়তি বিপদ তৈরি করে। কারণ, শ্রবণশক্তি হ্রাস সহ একাধিক সমস্যা তৈরি করে শব্দবাজি। 
    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা থাকলে বাড়তি বিপদ শব্দবাজি (Firecrackers)। কারণ, শব্দবাজির জেরে হৃদরোগ, রক্তচাপের ঝুঁকি বাড়ে। তাই যাদের এই ধরনের সমস্যা রয়েছে, তাদের জন্য বাড়তি বিপদ তৈরি করে শব্দবাজি। 
    মানুষের পাশপাশি পোষ্যদের জন্যও শব্দবাজি সমস্যা তৈরি করে। পোষ্যদের অস্থির করে তোলে শব্দবাজির দাপট।

    কীভাবে মোকাবিলা সম্ভব? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই সময় কানে ইয়ার প্যাড পরে থাকা জরুরি। বিশেষত বয়স্ক ও শিশুদের কানে ইয়ার প্যাড অবশ্যই পরানো দরকার। পাশপাশি হৃদরোগের গুরুতর সমস্যা থাকলেও ইয়ার প্যাড পরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এতে শব্দের (Firecrackers) তীব্রতা কিছুটা কম অনুভব হবে। 
    তবে, বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ জানাচ্ছেন, একাংশের উদযাপনের জন্য অধিকাংশের ‘কানে তুলো’ গুঁজে থাকতে হয়, তা প্রশাসনের লজ্জা নয় কি?! এত বছরেও কেন শব্দবাজি নিয়ে সচেতনতা তৈরি হল না? কেন পুলিশের নজরদারি এড়িয়ে শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র শব্দবাজি প্রত্যেক বছর দাপট দেখায়, সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে!

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Hooghly: স্কুলে দিদিমণি নেই, দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে

    Hooghly: স্কুলে দিদিমণি নেই, দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিতে হচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্কুলে দিদিমণি নেই, দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রীদের ক্লাস নিচ্ছে চতুর্থ শ্রেণির এক ছাত্রী। রাজ্য জুড়ে শিক্ষা ব্যবস্থার যে কতটা কঙ্কালসার অবস্থা, তার চিত্র আরও একবার নজরে উঠে এসেছে এই ঘটনায়। স্কুলের খারাপ মিড ডে মিল, ভাঙা ঘর, শৌচালয়ের বেহাল অবস্থা সম্পর্কে নানা খবর আগেও জানা গিয়েছিল। এবার শিক্ষকের অভাবে ক্লাস নিচ্ছে স্কুলেরই ছাত্রী। এমন ঘটনা ঘটেছে হুগলির (Hooghly) গোঘাট ২ নম্বর বিডিও অফিসের কাছে মান্দারণ দাসপাড়া শিশু শিক্ষা নিকেতনে। এরপর খবর জানতেই তীব্র উত্তেজনা শুরু হয়েছে।

    রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ব্যাপক উত্তেজনা চলছে। নিজেদের চাকরির দাবিতে চাকরিপ্রার্থীরা ধর্নামঞ্চে বসে আন্দোলন করছেন। অথচ রাজ্যে শিক্ষকের অভাবে ক্লাস নিচ্ছে স্কুলের পড়ুয়ারাই।

    কীভাবে চলছে স্কুল (Hooghly)?

    স্থানীয় (Hooghly) সূত্রে জানা গিয়েছে, সরকারি হিসাবে স্কুলের মোট পড়ুয়া হল ১০৫। শিক্ষিকা রয়েছেন মাত্র ২ জন। কিন্তু  ক্লাস নেন একজনই। তবে স্কুলে যিনি ক্লাস নেন তাকে নানান কাজে বাইরে থাকতে হয়। তিন মাসে মাত্র একদিন তিনি স্কুলে আসেন বলে জানা গিয়েছে। স্কুল পড়ুয়ার অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে মিড ডে মিলে পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হয় না বললেই চলে। কোনও দিন পাতে ডিম দিলেও আবার অধিকাংশ দিনে দেওয়া হয় না বলেই অভিযোগ উঠেছে।

    চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী ক্লাস নেন

    হুগলির (Hooghly) এই স্কুল সূত্রে জানা গিয়েছে, স্কুলে বেশিরভাগ দিনে শিক্ষিকা না থাকায় ক্লাস নিতে হয় চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে। এই চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রী পারভিন খাতুন বলে, “আমাদের স্কুলে দিদিমণি বেশি নেই। তাই আমি দ্বিতীয় শ্রেণির ক্লাস নিয়ে থাকি। আমি মূলত বাংলার ক্লাস নিয়ে থাকি।”

    স্কুল শিক্ষিকার বক্তব্য

    স্কুলের (Hooghly) সহকারী শিক্ষিকা শ্যামলী রায় বলেন, “আমরা মাত্র দু’জন স্টাফ। সেই সঙ্গে স্কুলের রান্নার ব্যবস্থা করতে হয়। আমি একা তাই ক্লাস নিতে অসুবিধা হলে বলি চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ক্লাস নিতে।” এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করলে গোঘাট ২ ব্লকের বিডিও কুন্তলকুমার মণ্ডল বলেন, “বিষয়টি সম্পর্কে এখনও কিছু জানা নেই। তবে প্রধান শিক্ষিকাকে মিড ডে মিলের কাজের জন্য বাইরে যেতে হয়।”

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সন্তানের রক্তের জন্য সবার হাতে-পায়ে ধরছেন দিশাহারা বাবা!

    Dakshin Dinajpur: থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত সন্তানের রক্তের জন্য সবার হাতে-পায়ে ধরছেন দিশাহারা বাবা!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উৎসবের মরশুমে তীব্র রক্তসংকট দেখা দিয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাট ব্লাড ব্যাংকে। এই মুহূর্তে জেলার সদর বালুরঘাট ও গঙ্গারামপুর ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্তের ভাঁড়ার প্রায় শূন্য। আগের তুলনায় রক্তদান শিবির না হওয়া এবং দিন দিন রক্তের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় এই সংকট। পরিস্থিতি মোকাবিলায় রক্তদান করতে ব্লাড সেন্টারে যোগাযোগ করার আর্জি জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।

    বালুরঘাট ব্লাড ব্যাঙ্কে প্রতিদিন গড়়ে ৪০-৫০ ইউনিট রক্তের চাহিদা রয়েছে

    দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) জেলায় দুটি ব্লাড সেন্টার রয়েছে। যার মধ্যে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারে রক্তের চাহিদা সব সময় বেশি থাকে। বর্তমানে বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারে প্রতিদিন গড়ে ৪০ থেকে ৫০ ইউনিট রক্তের প্রয়োজন হয়। যার মধ্যে ২০-২৫ ইউনিট থ্যালাসিমিয়া রোগীদের রক্ত দেওয়া হয়। এছাড়াও দুর্ঘটনাগ্রস্ত ও মুমূর্ষু রোগীদের বাকি রক্ত দেওয়া হয়। মাসে ১২০০-১৫০০ ইউনিট রক্তের চাহিদা থাকে বালুরঘাটে। এদিকে চাহিদা থাকলেও বর্তমানে ব্লাড ব্যাঙ্কে জোগান নেই বললেই চলে। বেশির ভাগ গ্রুপের নেগেটিভ ও পজেটিভ রক্তের কোনও ইউনিট নেই বললেই চলে। কারও রক্তের প্রয়োজন হলে দূরদূরান্ত থেকে নিয়ে যেতে হচ্ছে ডোনার। ডোনার না নিয়ে গেলে মিলছে না রক্ত। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যদের বক্তব্য, পুজো পার হওয়ার পর রক্তদান শিবির জেলায় শুরু হয়েছে। তবে রক্তদান শিবির হলেও আগে যে সংখ্যক মানুষ রক্তদান শিবিরে রক্তদান করতেন, তা এখন অনেক কম। যার ফলে রক্তদান শিবির হলেও সেখানে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হচ্ছে না।

    রোগীর পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) বালুরঘাটের চকভৃগুর ব্লাড সেন্টারে রক্ত নিতে এসেছিলেন এক ব্যক্তি। তিনি বলেন, “আমার ছোট্ট ছেলে থ্যালাসিমিয়ায় আক্রান্ত। আজ রক্ত দেওয়ার তারিখ। বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করার পরও মিলছে না রক্ত। সকলের হাতে-পায়ে ধরছি কেউ যাতে রক্তদান করে। কিন্তু রক্ত পাইনি। এদিকে সেম গ্রুপের ডোনার ছাড়া রক্ত পাওয়া যাবে না বলে জানানো হয়েছে। কী করব কিছুই বুঝতে পারছি না।’ যশাহারের রমাজিৎ পালেরও একই অভিজ্ঞতা। তিনি বলেন, আমার বোন থ্যালাসিমিয়া আক্রান্ত। বালুরঘাট হাসপাতালে এসেও রক্ত পাইনি। অবশেষে আমার এক বন্ধুকে এনে বোনের জন্য রক্ত পেলাম। আগে থ্যালাসিমিয়া আক্রান্তদের সঙ্গে সঙ্গে রক্ত দেওয়া হত। কিন্তু এখন রক্ত ডোনার না আনলে পাওয়া যাচ্ছে না।’ এক কথায় বালুরঘাটে এখন রক্তের জন্য কার্যত হাহাকার। মানিকোরের বাসিন্দা শংকরী উড়াও এসেছিলেন দিদির জন্য রক্ত নিতে। তাঁর দিদি রক্তাল্পতায় ভগছে। রক্তের প্রয়োজন। ব্লাড সেন্টারে এসেও তিনি রক্ত পাননি। পরে ডোনার দিয়ে রক্ত পান।

    দক্ষিণ দিনাজপুর ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক কী বললেন?

    রক্তের হাহাকারের কথা স্বীকার করে দক্ষিণ দিনাজপুর (Dakshin Dinajpur) ভলান্টারি ব্লাড ডোনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক দুলাল বর্মন বলেন, ‘পুজোর সময় থেকেই সংকট প্রকট হয়েছে জেলায়। রক্তদান শিবির না হওয়ায় এই পরিস্থিতি। আমরা সবরকমভাবে চেষ্টা করছি রক্তসংকট দূর করার। পাশাপাশি যারা স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রয়েছে তাদের কাছে আবেদন করছি যাতে বেশি করে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়।’

    বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারের চিকিৎসক কী বললেন?

    যদিও বালুরঘাট ব্লাড সেন্টারের চিকিৎসক দেবব্রত দে’র দাবি, ‘এখন প্রায় সারা বছরই রক্তসংকট থাকে। কিছু কিছু সময়ে রক্তসংকট বেড়ে যায়। তবে পুজোর পর রক্তদান শিবির শুরু হয়েছে। আশা করছি শিবির আগামীদিনে আরও বাড়বে। এছাড়াও সকলে যাতে রক্তদানে এগিয়ে আসেন। তার আবেদন করছি।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ব্রিগেডে একমঞ্চে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী! ডিসেম্বরে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে থাকবেন দুজনেই?

    Narendra Modi: ব্রিগেডে একমঞ্চে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী! ডিসেম্বরে লক্ষ কণ্ঠে গীতা পাঠে থাকবেন দুজনেই?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের ২৪ ডিসেম্বর ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে ‘লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ’-এর কর্মসূচি নিয়েছে বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। এই কর্মসূচির আয়োজন থেকে  পরিকল্পনা সমস্ত কিছুতেই সক্রিয় ভূমিকা রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের। কর্মসূচির উদ্যোক্তাদের তরফ থেকে আগেই জানানো হয়েছিল যে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডের এই কর্মসূচিতে হাজির থাকতে পারেন খোদ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। এবার জানা গেল ওই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকতে পারেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। যদিও প্রধানমন্ত্রী দফতর থেকে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো হয়নি। তবে আয়োজকদের দাবি, ডিসেম্বরের ওই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর হাজির থাকাটা এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে। দেশের প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) এবং রাষ্ট্রপতি ছাড়াও ওইদিনের কর্মসূচিতে দেখা যেতে পারে দুই শংকরাচার্যকেও।

    কী বলছেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি?

    ‘লক্ষ কন্ঠে গীতা পাঠ’ অনুষ্ঠানের আয়োজক সংগঠনের নাম ‘অখিল ভারতীয় সংস্কৃত পরিষদ’। এই সংগঠনের সভাপতি  স্বামী প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, ‘‘এই কর্মসূচি হবে সকলের জন্য। কোনও রাজনীতি নয়।মানবকল্যাণের লক্ষ্য নিয়েই এই অনুষ্ঠান। আমরা প্রথমে ঠিক করেছিলাম মাননীয় রাষ্ট্রপতি আসুন। পরে আমরা প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) কথা ভাবি। সব ঠিক থাকলে উনি ওই দিন অনুষ্ঠানে থাকছেন। সকলের সঙ্গে গীতাপাঠে অংশও নেবেন।’’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘‘আমরা কমপক্ষে এক লাখ মানুষের সমাবেশ করব। সমবেত কণ্ঠে তাঁরা গীতা পাঠ করবেন। এটা অতীতে বিশ্বের কোথাও কখনও হয়নি।’’

    আমন্ত্রিত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রীও

    প্রসঙ্গত, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকেও প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ জানানো হবে, তা আগেই জানানো হয়েছিল আয়োজকদের তরফে। এর পাশাপাশি হিন্দু ধর্মের অসংখ্য মঠ, মন্দির, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কর্ণধারদেরও সেদিনের অনুষ্ঠানে দেখা যাবে। এমনটাই দাবি উদ্যোক্তাদের। এবিষয়ে প্রদীপ্তানন্দ মহারাজ বলেন, ‘‘আমরা রাজ্যে সনাতন ধর্মের যত সংগঠন, আশ্রম, স‌ংস্থা রয়েছে সকলকেই যোগদানের আবেদন জানিয়েছি। সব রাজনৈতিক দলের সাংসদ, বিধায়কদেরও আমন্ত্রণ জানাব। সামনেই জগদ্ধাত্রী পুজো। সেটা মিটে গেলেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আমাদের পক্ষ থেকে আমন্ত্রণ জানাতে যাওয়া হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Supreme Court: ‘অপরাধী’ জনপ্রতিনিধিদের মামলা শুনতে বিশেষ বেঞ্চ গড়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    Supreme Court: ‘অপরাধী’ জনপ্রতিনিধিদের মামলা শুনতে বিশেষ বেঞ্চ গড়ার নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফৌজদারি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন, এমন সাংসদ-বিধায়কদের আজীবন নির্বাচনে লড়তে না দেওয়ার আর্জি নিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। তবে এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট কোনও নির্দেশ দিল না সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের তরফে এ নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা তৈরি করা সম্ভব নয় এবং এই ধরনের মামলাগুলিকে দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য দেশের হাইকোর্টগুলোকে সুপারিশ করা হয়েছে।

    কী বললেন প্রধান বিচারপতি?

    প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) শুনানি ছিল ফৌজদারি মামলায় যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেই সমস্ত রাজনীতিবিদদের নির্বাচনের লড়ার অধিকার যেন বাতিল হয়, এই নিয়ে মামলার। এ নিয়ে শুনানি হয় প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা, বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চে। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, “শীর্ষ আদালতের তরফে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন তৈরি করা সম্ভব নয়। বিষয়টি হাইকোর্ট দেখছে।”

    ২০১৬ জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয় সুপ্রিম কোর্টে

    ২০১৬ সালে জনৈক আইনজীবী অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায় সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) জনস্বার্থ মামলা করেন। তাঁর আর্জি ছিল, ফৌজদারি মামলায় যাঁরা দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সেই সমস্ত সাংসদ এবং বিধায়কদের নির্বাচনে প্রার্থী হওয়া থেকে আজীবন বিতাড়িত করা হোক। এক্ষেত্রে আইনজীবীর যুক্তি ছিল, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় দুই বছর বা তার বেশি সময়ে সাজাপ্রাপ্ত সাংসদ বা বিধায়করা ৬ বছর নির্বাচনে লড়াই করতে পারেন না। এই নির্বাসন যাতে আজীবন করা হয় সেই দাবি জানিয়েছিলেন অশ্বিনী কুমার উপাধ্যায়। শীর্ষ আদালতের তরফে এদিন হাইকোর্টগুলিকে বলা হয় সাংসদ এবং বিধায়কদের বিরুদ্ধে কত কেস চলছে এবং সেই মামলার বর্তমান অবস্থা কী রয়েছে, এ বিষয়ে ওয়েবসাইটে একটা আলাদা ট্যাব তৈরি করবে হাইকোর্ট। আবার, জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে যে ওঠা কোনও অভিযোগের দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য স্পেশাল বেঞ্চ গঠন করতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাইকোর্টগুলিকে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amdanga: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে গাছ কাটা, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতারা

    Amdanga: প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে চলছে গাছ কাটা, অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল নেতারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল মানে সাত খুন মাফ! দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ে আরাবুল ইসলাম সরকারি জমিতে তৃণমূলের পার্টি অফিস করছেন। এভাবে এলাকায় নিজের দাপট দেখান আরাবুল। প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এবার পড়শি জেলা উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) আমডাঙার সাধনপুর পঞ্চায়েতের গজবন্দ গ্রামের মাঠে সরকারি জমিতে থাকা একের পর বড় বড় গাছ কেটে চুরি হয়ে যাচ্ছে। স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই সরকারি গাছ চুরি হচ্ছে বলে অভিযোগ। যা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (North 24 Parganas)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামের মাঠে প্রায় ১৫ বিঘা জলাশয় বিশিষ্ট ঝিল রয়েছে। তার চারদিকে লাগানো রয়েছে বড় বড় গাছ। মূলত, জলাশয়ের শোভা বাড়ানোর জন্যই সরকারি এই গাছগুলিকে লাগানো হয়েছে। আর গাছগুলির পরিচর্যা করে থাকে আমডাঙা ব্লক প্রশাসন। আর সেই গাছ অবাধে চুরি হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, অ়ঞ্চলের কথায় গাছ কাটা হচ্ছে। অঞ্চলে তৃণমূল ক্ষমতায় রয়েছে। ফলে, তৃণমূল নেতাদের মদতেই এই গাছ কাটা চলছে। তাই, প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

    স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান কী বললেন?

    সরকারি গাছ কাটার বিষয়টি সামনে আসতেই পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে। গাছ কাটার দায় ঝেড়ে ফেলতে চাইছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান অলোক বাগ। বরং, তিনি বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিডিওকে জানানো হয়েছে।

    ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    আমডাঙার বিডিও নবকুমার দাস বলেন, বিষয়টি জানার পরই এই বিষয়ে আমি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। গাছ কাটা রুখতে আমরা যথার্থ চেষ্টা করব। সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। তাই, সরকারি গাছ কোনওভাবেই আমরা আর কাটতে দেব না। আর কারা গাছ কেটেছে তা খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    Anubrata Mondal: ৩০০ ভরি সোনার গয়নায় কালীমাকে সাজিয়েছিলেন কেষ্ট, এবার কী হবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এক সময় বীরভূম জেলার শেষ কথা ছিলেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। গরু পাচার কাণ্ডে তিনি এখন তিহার জেলে রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে কেষ্টহীন অবস্থায় এবারও পুজো হবে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয়ে। আর কেষ্ট ছাড়া এবার পুজোয় কেমন আড়ম্বর হবে, তা নিয়ে জেলার রাজনৈতিক মহলে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

    অনুব্রতর সময় পুজোর আয়োজন কেমন হত? (Anubrata Mondal)

    তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আশির দশকের শেষের দিকে কেষ্টর (Anubrata Mondal) হাত ধরে এই পুজো শুরু হয়। তবে, তখন খুব বেশি জাঁকজমক হত না। তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পুজোর আড়ম্বর ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। যদি দিন গিয়েছে, জেলা তথা রাজ্য রাজনীতিতে কেষ্টর জমি ততই শক্ত হয়েছে। আর ফি বছর মায়ের পুজোর জাঁকজমক তত বেড়েছে। ২০২০ সালে মাকে সোনার মুকুট, বাউটি, বাজুবন্ধন, কানের দুল, গলার হার, হাতের আংটি, কোমর বিছে মিলিয়ে প্রায় ৩০০ ভরির বেশি সোনার গয়নায় সাজানো হয়েছিল। গত বছর গরু পাচার মামলায় অনুব্রত সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই পরিস্থিতি বদলে যায়। এবারও আর পুজোতে তিনি থাকতে পারবেন না। ফলে, পুজোর সেই আড়ম্বরও এবার অনেকটাই ম্লান। দলীয় কার্যালয়ে থাকা মা কালীর বিপুল পরিমাণ গয়নাও তদন্তকারীদের নজরে রয়েছে বলে সূত্রের খবর। সেই গয়না দিয়েছিলেন যে ব্যবসায়ী, তাঁকেও আগে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূলের জেলার সহ-সভাপতি মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, কেষ্টদা (Anubrata Mondal) এবার পুজোয় থাকবেন আমরা সকলেই আশা করেছিলাম। কিন্তু, সেটা তো হল না। খারাপ লাগছে। নিয়ম মেনে পুজোর আয়োজন করা হবে। প্রশ্নে তাঁর জবাব, অন্তরের শ্রদ্ধাই বড় কথা, কতটা গয়না দেবীকে পরানো হল, বড় কথা নয়। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছর যেটুকু গয়না পরানো হয়েছিল, এ বছর তার থেকেও কম অলঙ্কারে সাজানো হবে কালীকে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share