Author: user

  • BSF: অপরাধ ও পাচার রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর অস্ত্র মৌমাছি

    BSF: অপরাধ ও পাচার রুখতে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বিএসএফ-এর অস্ত্র মৌমাছি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে অপরাধ এবং যে কোনও ধরনের পাচার রুখতে বিএসএফের (BSF) অস্ত্র মৌমাছি। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে এবার তাই মৌমাছি প্রতিপালনের উদ্যোগ নিল বিএসএফ। বিএসএফ সূত্রে খবর, সীমান্তে মৌমাছি প্রতিপালনের মাধ্যমে অপরাধ যেমন কমবে, তেমনই স্থানীয়রা এখান থেকে রোজগারও পাবে। বিএসএফের ৩২তম ব্যাটেলিয়ান পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলায় এই উদ্যোগ নিয়েছে এবং এর ফলে সেখানকার স্থানীয় জনগণের মধ্যে ভালোই সাড়া পাওয়া যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিএসএফের শীর্ষ আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটারের সীমানা রয়েছে, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে ২,২১৭ কিলোমিটার। বিএসএফ-এর (BSF) এই প্রকল্পকে বাস্তবায়িত করতে হাত বাড়িয়েছে ভারত সরকারের আয়ুষ মন্ত্রকও।

    কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’

    ৩২তম বিএসএফের ব্যাটেলিয়নের শীর্ষ আধিকারিক সুজিত কুমারের মস্তিষ্কপ্রসূত এই মৌমাছি প্রতিপালন বলে জানা গিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ‘ভাইব্রান্ট ভিলেজ প্রোগ্রাম’-এর মাধ্যমে বিভিন্ন ঔষধি গাছ লাগানো হচ্ছে। যার ফলে সেই গাছগুলিতে ফুল ধরলে মৌমাছিরা সহজেই আকৃষ্ট হবে। গত ২ নভেম্বর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে মৌমাছি প্রতিপালনের জন্য কাঠের বাক্স বসানো হয় বিএসএফ-এর (BSF) তরফ থেকে। জানানো হয়েছে, এই মৌচাকগুলিতে স্থানীয় মানুষরা সহজেই ব্যবহার করতে পারবেন এবং এক্ষেত্রে তাঁদের এপিকালচারের মাধ্যমে রোজগারও হবে।

    অপরাধপ্রবণ ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত

    প্রসঙ্গত, ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত যে কোনও ধরনের অপরাধের ক্ষেত্রে মাঝেমধ্যে খবরে শিরোনামে আসে। গরু, সোনা, রুপো সমেত নেশাদ্রব্য সহ একাধিক বস্তু পাচারের অভিযোগ পাওয়া যায় ভারত-বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে। বিএসএফ জানাচ্ছে, যখনও কোনও অপরাধ ওখানে সংঘটিত করার জন্য কেউ প্রয়াস চালাবে, তখনই তাকে মৌমাছির আক্রমণের মুখে পড়তে হবে। যদিও এখনও পর্যন্ত কত সংখ্যায় মৌমাছি প্রতিপালন সেখানে করা হবে তা জানানো হয়নি। কাঠের বাক্সের মাধ্যমে এই মৌমাছি প্রতিপালন চলছে। আয়ুষ মন্ত্রকের তরফ থেকে এখনও পর্যন্ত সৎমূলী, তুলসী, একাঙ্গী, অশ্বগন্ধা, অ্যালোভেরা এই সমস্ত কিছু গাছও দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ। স্থানীয়দের সহায়তায় বিএসএফ (BSF) সেগুলিকে রোপনও করতে শুরু করেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী! কোথায় জানেন?

    Kali Puja 2023: কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী! কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মন্ত্র ছাড়াই শুধুমাত্র রীতি মেনে ৬১ বছর ধরে মা কালীর আরাধনা (Kali Puja 2023) চলছে আরামবাগের রতনপুরে। পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তথা পূজারী কালীশঙ্কর সাঁতরা। তিনি দাবি করেন, এখানে মন্ত্রপাঠ ছাড়াই পুজো হয়। ৯ বছর বয়স থেকে কালী মূর্তি তৈরি করে পুজো করছেন। দেবীকে স্মরণ করে মুখে যে কথা বা গান আসে, সেটাই মন্ত্র। কালী প্রতিমার বুকে পা দিয়ে পুজো করেন পূজারী। দেবীর কাছে ভক্তের মনোবাঞ্ছা পৌঁছে দিতে কাচের উপরে মাথা ঠোকেন। আরামবাগ-সহ জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বহু ভক্ত এখানে পুজো দেখতে আসেন। ভিড় সামলাতে রাখতে হয় পুলিশি ব্যবস্থা।

    কী এই পুজোর ইতিহাস? (Kali Puja 2023)

    পুজোর প্রতিষ্ঠাতা তথা পূজারী কালীশঙ্কর সাঁতরা জানান, পুজোর সমস্ত আচারই দৈব আদেশে পাওয়া। তিনি জানান, ৯ বছর থেকে কালী মূর্তি তৈরি করে পুজো করছেন। বর্গক্ষত্রিয় পরিবারের হওয়ায় তিনি কোনও মন্ত্রও জানেন না। মাকে স্মরণ করে মুখে যা আসবে, সেটাই মন্ত্র। যুবক বয়সে তিনি এক বার ১২ ফুট উচ্চতার কালীমূর্তি তৈরি করেন। রং করার সময় ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। অজ্ঞাত মহিলা কণ্ঠ তাঁকে জাগিয়ে রঙের কাজ শেষ করতে বলে। কিন্তু চক্ষুদানের সময়ে মূর্তির মুখের নাগাল পাচ্ছিলেন না। তখন দুঃখে মাথা ঠুকছিলেন। ফের সেই মহিলা কণ্ঠ তাঁকে চৌকিতে উঠে মূর্তির বুকে পা দিয়ে কাজ করতে নির্দেশ দেয়। সেই থেকেই তিনি প্রতিমার বুকে পা দিয়েই পুজো করেন। পুজোর মন্ত্র এবং ভক্তের আকুতি দেবীর কাছে পৌঁছাতে কাচের উপর মাথা ঠোকা, নাচও মায়ের আদেশেই বলে তিনি জানান। বছর কুড়ি হয়ে গেল কালীশঙ্কর আর মাটির প্রতিমা (Kali Puja 2023) গড়েন না। আরামবাগ শহর থেকে ১২ কিলোমিটার দক্ষিণে রতনপুরের মন্দিরে এখন স্থাপিত হয়েছে ৬ ফুট উচ্চতার পাথরের দক্ষিণাকালী মূর্তি। তবে মূর্তির বুকে পা দিয়ে পুজো করার প্রথা বদলায়নি।

    ভাত, খিচুড়ি, লুচি ভোগের ব্যবস্থা (Kali Puja 2023)

    স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু আগে একটি তালপাতার ছাউনি করে এই কালীপুজো শুরু হয়েছিল। ভক্তদের দানের অর্থে এখন সেই জায়গায় প্রায় চার বিঘা জমির উপরে তৈরি হয়েছে মন্দির। নিত্য পুজো হয়। প্রতি সপ্তাহে মঙ্গলবার এবং শনিবার ভক্তদের ভিড় বেশি হয়। তবে বিশেষ পুজো (Kali Puja 2023) ধূমধাম হয় কার্তিক মাসে। এখানে পাঁঠা বলি হয়। ভাত, খিচুড়ি, লুচি ভোগের ব্যবস্থা থাকে ভক্তদের জন্য। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে ইডি-র ডাকে ফের সিজিওতে কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যের একাধিক পুরসভার পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভাতেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে এই পুরসভায় শতাধিক কর্মী নিয়োগ হয়েছিল। আর এই নিয়োগের সময় চেয়ারম্যান ছিলেন গোপাল সাহা। তিনি এখনও পুরসভার চেয়ারম্যান রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবে নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নামও জড়িয়েছে। নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের গোপাল সাহাকে তলব করে ইডি (ED)। সোমবার সকালেই সিজিও কমপ্লেক্সে হাজির হন গোপালবাবু। বেশ কিছু নথি নিয়ে ইডি দফতরে ঢোকেন তিনি। তাঁর হাতে একটি ফাইল ছিল। কিছু নথি জমা দিতেই তিনি গিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।

    এর আগেও পুর চেয়ারম্যানকে তলব করেছিল ইডি (ED)

    নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বারাকপুর মহকুমায় বরানগর, হালিশহর, টিটাগড় পুরসভার সঙ্গে কামারহাটি পুরসভার নাম জড়ায়। দু দফায় কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীও চাকরি পেয়েছিলেন ‘বিতর্কিত’ প্যানেলে। সেপ্টেম্বর মাসে কামারহাটি পুরসভার কাছ থেকে বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (ED)। পুরসভার ৩৪ জন কর্মীকেও তলব করা হয়েছিল। তাদের কাছে তথ্য পাওয়ার পর পরই কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহার বাড়িতে ইডি হানা দিয়েছিল। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছিলেন ইডি আধিকারিকরা। সেই জের কাটতে না কাটতেই কয়েকদিন আগেই ইডি তলব করেছিল গোপাল সাহাকে। সেখানে হাজিরা দিয়েছিলেন তিনি। এবার ফের তাঁকে ইডি তলব করল। তবে, কামারহাটি বিধানসভার বিধায়ক মদন মিত্রের দক্ষিণেশ্বর এবং ভবানীপুরের বাড়িতে সিবিআই তল্লাশি হয়েছিল। এবার কামারহাটির পুরসভার চেয়ারম্যানকে ইডি ফের তলব করায় মহকুমা জুড়ে নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে।

    কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যানের কী বক্তব্য?

    এর আগেও ইডি-র (ED) ডাকে সিজিওতে গিয়েছিলেন গোপালবাবু। জেরার পর তিনি বলেছিলেন, ‘ওরা একটা তদন্তকারী সংস্থা। তদন্তের প্রয়োজনে আমাকে ডাকতেই পারে। আমাকে যখনই ডাকছে, যাচ্ছি। যা প্রশ্ন করছে, উত্তর দিচ্ছি। তাতে সময় লাগছে ঠিকই, কিন্তু ওরা ওদের কাজ করছে। আমরা সবরকমভাবে সহযোগিতা করছি।’

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: উলুবেড়িয়ার খলিসানিতে বুড়িমার পুজোর পরে শুরু হয় দীপান্বিতা কালীপুজো

    Kali Puja 2023: উলুবেড়িয়ার খলিসানিতে বুড়িমার পুজোর পরে শুরু হয় দীপান্বিতা কালীপুজো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ বলেন অন্তত সাড়ে তিনশো, কেউ বলেন চারশো পার হয়ে গেছে। উলুবেড়িয়ার খলিসানির বুড়িমার কালীপুজোর প্রতিষ্ঠা কবে, তার লিখিত কোনও নথি নেই। কেউ বলেন কালীপ্রসন্ন ভট্টাচার্য আবার কেউ বলেন কালীকুমার নামে স্থানীয় এক ব্রাহ্মণ এখানে প্রথম ঘটে ও পরে মূর্তিতে পুজো শুরু করেন। সেই ঘট আর মূর্তি কালের নিয়মে হারিয়ে গেছে। রয়ে গেছে পুজোর রীতি, মানে অনাড়ম্বর উপাসনা (Kali Puja 2023)।

    বুড়িমা আদতে কালী (Kali Puja 2023)

    কথিত আছে, দেবীকে স্বপ্নে দেখেন আমতার বাসিন্দা কালীপ্রসন্ন। সেইমতো তিনি খলিসানিতে এসে শ্মশানের মধ্যে বেলগাছের নিচে মাটির ঘট দেখতে পান। স্বপ্নে তেমনই দেখেছিলেন। ওই ঘটের জায়গাতেই পুজো শুরু করেন তিনি। মূর্তি থাকলেও মূল পুজো তাই ঘটেই হয়। এখানে বলির প্রথা এখনও রয়েছে, তবে কখনও নরবলি হয়েছে কিনা, সেকথা জানা যায় না।
    কালীপ্রসন্ন যখন এখানে ঘট প্রতিষ্ঠা করে পুজো শুরু করেন, তখন এটি ছিল শ্মশান। চারদিকে গাছ। ডাকাতের আস্তানা। তাই কালীপ্রসন্ন প্রতিষ্ঠিত দেবীর পুজো এক সময় ডাকাতদের পুজো হয়ে ওঠে। সময়ের সঙ্গে বন পাতলা হতে থাকে। ডাকাতরাও আর ডাকাত থাকে না। শুধু রয়ে যান দেবী। তাঁর মাহাত্ম্য গ্রাম ছাড়িয়ে দূরদূরান্তে ছড়িয়ে পড়ে। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী জাগ্রত। এখানে পুজো দিলে মনস্কামনা পূর্ণ হয়। রোগ-ব্যাধি সেরে যায়। মূল পুজো হয় কার্তিক ও পৌষ মাসে (Kali Puja 2023), আর নিত্যপুজো তো হয়ই।

    অনেকে আসেন মানত করতে (Kali Puja 2023)

    দীপান্বিতা অমাবস্যায় এই মন্দিরে সবচেয়ে বেশি ভক্ত সমাগম ঘটে। অনেকে আসেন মানত করতে। মনস্কামনা পূর্ণ হলে আবার আসেন পুজো দিতে। খলিসানির আশেপাশে এখন অনেক জায়গাতেই কালীপুজো হয়। তবে অন্য কোথাও পুজো দেওয়ার আগে ভক্তরা এই মন্দিরে আসেন পুজো দিতে। দেবী এখানে দক্ষিণাকালী। এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ১২ বছর অন্তর দেবীর বিগ্রহ পরিবর্তন করা হয়। নিরঞ্জন হয় মন্দির সংলগ্ন পুকুরে। তারপর মহালয়ায় তাতে নতুন করে প্রাণপ্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রাণপ্রতিষ্ঠার পরে এই প্রথম দীপান্বিতা অমাবস্যা, তাই এবারে অন্যবারের তুলনায় ভিড় (Kali Puja 2023) আরও বেশি হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    Winter Diseases: শ্বাসনালীর সংক্রমণে ভুগছে শিশুরা, হাসপাতালে শয্যাসঙ্কটে বাড়ছে উদ্বেগ 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    উত্তুরে হাওয়ার রেশ সবে শুরু হয়েছে। আর এর মধ্যেই দেখা দিচ্ছে বিপদ (Winter Diseases)। বিশেষত শিশুদের স্বাস্থ্য নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ। আর চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, পরিস্থিতি যথেষ্ট বিপজ্জনক। সাবধানতা বজায় না রাখলে বড় বিপদের আশঙ্কা রয়েছে।

    কী ধরনের সমস্যা হচ্ছে? (Winter Diseases)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, শহরে আট থেকে আশি, সব বয়সীদের মধ্যেই কাশির সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দুর্গাপুজোর পর অনেকেই কাশি-সর্দিতে ভুগছেন। অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে জ্বর-সর্দিকে কাবু করলেও, কাশি ভোগান্তি বাড়াচ্ছে। অনেকের কয়েক সপ্তাহ ধরে কাশি হচ্ছে। বিশেষত শিশুদের ক্ষেত্রে বেশ জটিল সমস্যা দেখা দিচ্ছে। 
    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, এই সময় অধিকাংশ শিশু কাশির সমস্যায় ভুগছে। দেখা যাচ্ছে, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে কাশির সমস্যা হচ্ছে। দু’বছরের কম বয়সীদের জন্য এই সংক্রমণ বাড়তি বিপদ ডেকে আনছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, শ্বাসনালীতে সংক্রমণের জেরে শুধু কাশির সমস্যা হচ্ছে না। দেখা দিচ্ছে, শ্বাসকষ্ট। তাই দু’বছরের কম বয়সী শিশুদের একাধিক শারীরিক জটিলতা (Winter Diseases) তৈরি হচ্ছে।

    কেন পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, বছরের এই সময় ঋতু পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া হঠাৎ করেই বদলে যায়। গরম অনেকটাই কমে। তবে পুরোপুরি ঠান্ডা নয়। এর জেরে একাধিক ভাইরাস এই সময় অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে। ফলে সর্দি-কাশিতে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে (Winter Diseases)। শিশুদের ভাইরাসঘটিত সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই এই সময় শিশুদের মধ্যে জ্বর-সর্দি বেশি হচ্ছে। আর এই ভাইরাসের হাত ধরেই আসছে কাশি। তবে, শ্বাসনালীর সংক্রমণের জটিলতা তৈরির আরেক কারণ বায়ুদূষণ। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল। তাঁরা জানাচ্ছেন, এই আবহাওয়ার পরিবর্তনের পাশপাশি বাতাসে দূষণের মাত্রাবৃদ্ধি শ্বাসনালীর সংক্রমণের অন্যতম কারণ। বিশেষত কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ মারাত্মক ভাবে বাড়ছে। কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং কার্বন-মনো-অক্সাইডের পরিমাণ বাতাসে বাড়তে থাকার জেরেই শ্বাসনালীর সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। 
    তবে, কলকাতা ও তার আশপাশের এলাকায় শ্বাসনালীর সংক্রমণে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ার জেরে হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট দেখা দিয়েছে। অধিকাংশ বেসরকারি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানাচ্ছেন, পেডিয়াট্রিক বিভাগে ভর্তি থাকা অধিকাংশ শিশু শ্বাসনালীর সংক্রমণ নিয়ে আসছে। তাদের শ্বাসকষ্ট সহ একাধিক জটিলতা দেখা দিচ্ছে। কৃত্রিম অক্সিজেন দিতে হচ্ছে। শয্যাসঙ্কট দেখা দিচ্ছে। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। ফলে পরিস্থিতি মোকাবিলা কঠিন হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল।

    কী পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞ মহল? 

    বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, সতর্কতা বিপদ কমাতে পারে। তাঁদের পরামর্শ, এই আবহাওয়ায় শিশুদের একেবারেই এসি ঘরে রাখা যাবে না। আইসক্রিম কিংবা ঠান্ডা পানীয় দেওয়া চলবে না। আপার রেসপিরেটরি ট্র্যাকে যাতে কোনও সংক্রমণ না হয়, সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। সর্দি-কাশির সামান্য উপসর্গ দেখা দিলে বিশেষ সতর্কতা রাখতে হবে। প্রথম থেকেই চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলতে হবে। দু’বছরের কম বয়সীদের ক্ষেত্রে এই সময়ে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে। পরিবারের কেউ সর্দি-কাশিতে ভুগলে, তার থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলতে হবে। যাতে শিশু সংক্রমিত (Winter Diseases) না হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Scam: ‘‘জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশেই মন্ত্রীর সংস্থার ডিরেক্টর করা হয় মা ও স্ত্রীকে’’, দাবি প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কের

    Ration Scam: ‘‘জ্যোতিপ্রিয়র নির্দেশেই মন্ত্রীর সংস্থার ডিরেক্টর করা হয় মা ও স্ত্রীকে’’, দাবি প্রাক্তন আপ্ত-সহায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এবার চাঞ্চল্যকর তথ্য (Ration Scam) উঠে এল জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের বয়ানে। মূলত মন্ত্রীর নির্দেশেই তাঁর মা এবং স্ত্রীকে জ্যোতিপ্রিয়র সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছিল। এমনই বিবৃতি দিয়েছেন প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাস। তিনি জানিয়েছেন, মন্ত্রীর সংস্থার ডিরেক্টর করতে তাঁর মা এবং স্ত্রীকে প্রস্তাব দেন জ্যোতিপ্রিয়, যে অনুরোধ তিনি ফেলতে পারেননি। তবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত-সহায়কের পদ ছাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই তিনি তাঁর মা এবং স্ত্রীকেও সরিয়ে এনেছেন বলে দাবি অভিজিৎ দাসের। প্রসঙ্গত, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের প্রাক্তন আপ্ত-সহায়ক অভিজিৎ দাসের বাড়িতে তল্লাশি চালানোর সময় মেরুন ডায়েরির হদিশ পায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। এই ডায়েরি রেশন দুর্নীতির তদন্তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নথি হতে চলেছে বলেই মনে করা হচ্ছে। তবে তাঁর স্ত্রী এবং মা সংস্থার ডিরেক্টর পদে থাকলেও ওই সংস্থাগুলি (Ration Scam) থেকে কোনও টাকা পাননি বলেই দাবি অভিজিতের।

    সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া অভিজিৎ দাসের বিবৃতি

    প্রসঙ্গত, ২০১১ সালেই ক্ষমতায় আসে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বছর থেকে টানা ২০১৪ সাল পর্যন্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আপ্ত সহায়কের কাজ করতেন অভিজিৎ দাস। এদিন তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমার মা এবং স্ত্রীকে সংস্থার ডিরেক্টর করা হয়েছিল। মন্ত্রী যখন নির্দেশ দেন, তা তো পালন করতেই হবে। তাঁর অনুরোধও এক প্রকার নির্দেশই। আমি ইডিকে সবই জানিয়েছি। ওই সংস্থায় কী লেনদেন হয়েছিল, জানি না। ২০১৪ সালেই আমার মা এবং স্ত্রী সংস্থা (Ration Scam) থেকে সরে আসেন।’’

    কোন দুটি সংস্থার ডিরেক্টর ছিলেন অভিজিতের মা ও স্ত্রী?

    জানা গিয়েছে ‘হনুমান রিয়েলকর্ন প্রাইভেট লিমিটেড’ এবং ‘গ্রেসিয়াস ইনোভেটিভ প্রাইভেট লিমিটেড’ নামের দুটি সংস্থায় শেয়ারের মাধ্যমে টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছিল এবং এই দুটি সংস্থার (Ration Scam) ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিজিতের মা এবং স্ত্রী। এনিয়ে বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘কোনও সাধারণ ব্যক্তি বা আপ্ত সহায়কের পক্ষে এভাবে কাউকে সংস্থার ডিরেক্টর পদে বসানো সম্ভব নয়। এটা আসলে আরও একবার প্রমাণ করে দেয়, রাজ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি হয়েছে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dacoits: সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি

    Dacoits: সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে পূর্ব মেদিনীপুরে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুরুলিয়া, রানাঘাট এবং খড়্গপুরের পর ফের সোনার দোকানে ডাকাতি। এবার সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেঁধে রেখে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি (Dacoits)। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার চণ্ডীপুরের দিবাকরপুরে। দিনভর তল্লাশি করেও পুলিশ দুষ্কৃতীদের নাগাল পায়নি। ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তাঁরা বাজারে নিরাপত্তার দাবি তুলেছেন। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে। দুষ্কৃতীদের ধরতে জোরদার তল্লাশি শুরু হয়েছে। ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ খতিয়ে দেখে তল্লাশি চলছে।’

    ঠিক কী অভিযোগ? (Dacoits)

    রাত তিনটে নাগাদ চণ্ডীপুরের দিবাকরপুরে মা তারা জুয়েলার্স নামে একটি সোনার দোকানে ছ-সাত জন দুষ্কৃতী (Dacoits) হানা দেয়। দোকানের শাটার কেটে ভিতরে ঢুকে পড়ে দুষ্কৃতীরা। সেই সময় এলাকায় ডিউটি করছিলেন এক সিভিক ভলান্টিয়ার। তিনি দুষ্কৃতীদের গতিবিধি দেখে বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাঁকে বেঁধে রাখে। তারপর দুষ্কৃতীরা ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করে। অবাধে লুটপাট চালায়। দুষ্কৃতীদের মুখে কালো কাপড় বাঁধা ছিল। তাই তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। দোকান থেকে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না নিয়ে দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে চণ্ডীপুর থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে চণ্ডীপুর থানার পুলিশ। রবিবার সকাল হতেই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দোকানের মালিক। পুলিশকে তিনি দোকান থেকে লুট হওয়া টাকা ও সোনার গয়নার বিবরণ জানিয়েছেন।

    স্থানীয় ব্যবসায়ীদের কী বক্তব্য?

    ডাকাতির ঘটনায় সাধারণ ব্যবসায়ীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, সিভিক থাকার পরও ডাকাতির (Dacoits) ঘটনা ঘটল। ফলে, দুষ্কৃতীরা সব কিছু জেনেই ডাকাতি করতে এসেছিল। অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হলে এই এলাকায় এই ধরনের ঘটনা আরও ঘটবে। এবার থেকে আর শুধু সিভিক নয়, বাজারে রাতে উপযুক্ত পুলিশি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    Fraud: স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা! অভিযুক্ত এডিআই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিতে একাধিক তৃণমূল নেতা জেলের ঘানি টানছেন। এর মধ্যেই স্কুলে গ্রুপ ডি পদে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা (Fraud) করার অভিযোগ উঠল অতিরিক্ত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক বা এডিআইয়ের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত আধিকারিকের নাম বনমালী জানা। তাঁর বিরুদ্ধে ১০ লক্ষ টাকা প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Fraud)

    স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারিতের (Fraud) নাম রূপা পাঁজা সামন্ত। তাঁর বাড়ি উলুবেড়িয়ার হিরাগঞ্জ এলাকায়। তাঁর স্বামী অচিনকুমার সামন্ত উলুবেড়িয়ার একটি হাই স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাঁর সঙ্গে বনমালীর পরিচয় ছিল। ২০১৬ সালে তিনি স্কুলে গ্রুপ-ডি পদে চাকরির জন্য পরীক্ষা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে পরীক্ষার ফল বেরোয়। উত্তীর্ণদের তালিকায় তাঁর নাম ছিল না। স্ত্রীর চাকরির বিষয়ে বনমালীর সঙ্গে কথা বলতেই তিনি জেলা অতিরিক্ত বিদ্যালয় পরিদর্শকের ‘কোটা’য় চাকরি করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। ২০২১ সালের প্রথম দিকে ৫ লক্ষ টাকা দেন তাঁরা। কিন্তু, পুরো টাকা না দিলে নিয়োগপত্র পাওয়া যাবে না বলে বনমালী জানানোয় তাঁরা টাকা ধার করে ও গয়না বিক্রি করে বাকি টাকা জোগাড় করে দেন। ২০২১-এর শেষ দিকে কুলগাছিয়া শ্রীকৃষ্ণপুর চিত্তরঞ্জন হাইস্কুলে গ্রুপ-ডি পদে যোগ দেওয়ার জন্য তাঁকে সুপারিশপত্র দেন বনমালী। সেই চিঠি নিয়ে স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে যোগাযোগ করে লাভ হয়নি। এই ধরনের কোনও নির্দেশ বা চিঠি স্কুল কর্তৃপক্ষ পাননি বলে জানান ওই প্রধান শিক্ষক। প্রতারিত হওয়ার বিষয়টি বুঝতে পেরে ইতিমধ্যেই তিনি জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক, মহকুমা শাসক ও পুলিশে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

    প্রতারিতের কী বক্তব্য?

    প্রতারিত রূপাদেবী বলেন, সুপারিশপত্রে কাজ হচ্ছে না, বনমালীবাবুকে একথা জানালে তিনি নিজে গাড়ি করে সল্টলেকে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের অফিসে নিয়ে যান। সেখানে নিজে হাতে একটি আবেদনপত্র জমা দেন। পরে বারবার নিয়োগপত্র পাওয়ার আশ্বাস দেন। শেষে এবার পুজোর পরে নিয়োগপত্র পাব বলে জানিয়েছিলেন, কিন্তু পাইনি। প্রতারণার (Fraud) বিষয়টি জানতে পেরে এখন বনমালীবাবুর সঙ্গে যোগাযোগ করলে হুমকি শুনতে হচ্ছে। টাকা নেওয়ার কথাও তিনি অস্বীকার করছেন।

    অভিযুক্ত সরকারি আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বনমালীবাবুর বক্তব্য, ওই মহিলার স্বামীর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক ছিল, এই সুযোগ নিয়ে আমার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। চাকরি সংক্রান্ত ব্যাপারে কিছু জানা নেই। এই বিষয়ে কোনও কথা বলব না। জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক অজয় পাল অবশ্য বলেন, বনমালীবাবুর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। শীঘ্রই তাঁকে ডেকে জিজ্ঞাসা করা হবে। তদন্তও শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: সাতের দশকের ‘রবিনহুড’! ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর গল্প আজও ঘোরে মুখে মুখে

    Kali Puja 2023: সাতের দশকের ‘রবিনহুড’! ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর গল্প আজও ঘোরে মুখে মুখে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তাঁকে ঘিরেই তৈরি হয়েছিল ‘এমএলএ ফাটাকেষ্ট’ সিনেমা। এই ফিল্মে মিঠুন চক্রবর্তীর সংলাপ-‘‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’’ আজও সমানভাবে জনপ্রিয় হয়ে রয়েছে। জানেন, কে ছিলেন এই ‘ফাটাকেষ্ট’? এর উত্তর জানতে আমাদের যেতে হবে সাতের দশকে নকশাল আন্দোলনে উত্তাল কলকাতায়। প্রতিদিনই তখন হত্যালীলা চলছে, সারা রাজ্যের অলিগলি থেকে কলকাতার রাজপথে তখন রক্তের দাগ। কোথাও বৃষ্টির ফোঁটার মতো গুলিবর্ষণ হয়, তো কোথাও মুড়ি-মুড়কির মতো বোমাবাজি চলে। কলেজ স্ট্রিটের দেওয়ালে তখন নকশালদের দেওয়াল লিখন ‘ফাটাকেষ্টর মুণ্ডু চাই’। তৎকালীন সময় থেকেই জনশ্রুতি রয়েছে, ‘নকশালদের ছোড়া বোমা নাকি তাঁর পায়ের কাছে পড়েও ফাটেনি, ওই বোমা তিনি উল্টোদিকে শট মারেন ঠিক ফুটবলের ধাঁচে’। তিনি যে ফাটাকেষ্ট। বোমা নিয়ে ফুটবল খেলা তো তাঁরই সাজে।

    কলেজ স্ট্রিটের ‘মসীহা’ ফাটাকেষ্ট

    এলাকার মসীহা বলুন অথবা রবিনহুড। অমিতাভ বচ্চন অভিনীত ‘শাহেনশা’ চরিত্র তাঁর সঙ্গে অনেকাংশে মেলে, এমনটাই বিশ্বাস ছিল তাঁর ফ্যানদের। কলেজ স্ট্রিটের রাস্তা ধরে এলাকার মেয়েরা ‘নাইট শো’ দেখে নিশ্চিন্তে রাতে একাকী ফিরতে পারতেন যখন দেখতেন, তাঁদের পাহারার জন্য ‘ফাটাকেষ্ট’ বারোয়ারি মন্দিরের মেঝেতে তোয়ালে বিছিয়ে রাত্রিযাপন করছেন।

    কালীমায়ের ভক্ত ফাটাকেষ্ট

    আসল নাম কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত। ‘নব যুবক সংঘ’-এর কালীপুজোর উদ্যোক্তা। নকশাল আমলে কলেজ স্ট্রিটে দুই মস্তানের সঙ্গে ব্যাপক ছুরির লড়াই হয় ‘কালীভক্ত’ কৃষ্ণচন্দ্র দত্তের। লড়াইয়ে জিতলেও শরীরে ব্যাপক ছুরিকাঘাতের কারণে ক্ষত সৃষ্টি হয় তাঁর। ভর্তি হন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে। সুস্থ হয়ে পাড়ায় ফিরলে তাঁর নাম হয় ‘ফাটাকেষ্ট’। কলেজ স্ট্রিটের এই ‘মসীহা’-র এমন অদ্ভূত নামকরণের কারণ তাঁর মুখমণ্ডল জুড়ে থাকা বসন্তের দাগ বলেও মনে করেন অনেকে। ছোটখাট চেহারা, সুঠাম দেহের অধিকারী ফাটাকেষ্টর কলেজ স্ট্রিটের কালীপুজো প্রসিদ্ধ হয়ে রয়েছে সেই ছয়ের দশক থেকেই। কালীমায়ের ভক্ত কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত ওরফে ফাটাকেষ্ট ‘তন মন ধন’ দিয়ে মায়ের আরাধনা করতেন। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থশঙ্কর রায় পুজোর উদ্বোধন করতেন। সারা এলাকা জুড়ে চোখ ধাঁধানো আলোকসজ্জা থাকত, বিভিন্ন থিম দ্বারা সাজানো হত মায়ের মণ্ডপ। বিশালকায় মায়ের মূর্তির দর্শন করতে কাতারে কাতারে মানুষজন আসতেন।

    প্রচলিত বিশ্বাস মতে, নব যুবক সঙ্ঘের কালীপুজোয় একবার এক মহিলার ভর হয় কালীমূর্তির সামনে। ওই মহিলা তখন বলতে থাকেন ‘‘ছোট গ্লাসের জলে আমার চেষ্টা মেটে না, আমাকে বড় গ্লাসে জল দিতে পারিস না তোরা?’’ তখন দেখা গেল মাতৃ প্রতিমার নৈবেদ্যতে রাখা জলের পাত্রটি সত্যিই ছোট। এই ঘটনার পরে বড় গ্লাসে দেবী কালীকে জলদানের রীতি রয়েছে ফাটাকেষ্টর কালীপুজোতে।

    সিনেজগতের হুজ-হু’দের চাঁদের হাট

    কালীপুজোর প্রাক মুহূর্তে একবার পরিচালক দুলাল গুহর ছবির কাজে কলকাতায় এসেছিলেন অমিতাভ বচ্চন, সদ্য মুক্তি পেয়েছিল ‘নমক হালাল’ সিনেমা। বাচ্চা থেকে বুড়ো অবধি তখন মোহাচ্ছন্ন নমক হালাল-এর সংলাপে। ফাটাকেষ্টর ঘনিষ্ঠ ছিলেন পরিচালক দুলাল গুহ। মূলত তাঁরই অনুরোধে সেবার নব যুবক সঙ্ঘের কালীপুজো উদ্বোধন করেন অমিতাভ বচ্চন। মঞ্চ বাঁধা হয় তাঁর জন্য। কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে তখন অমিতাভ বচ্চন বলছেন সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘নমক হালাল’ সিনেমার একের পর এক বিখ্যাত সংলাপ। শুধু তাই নয়। ফাটাকেষ্টর কালীপুজোতে তিনি মায়ের জন্য গড়িয়ে দিয়েছিলেন হীরের নাকছাবি। 

    ফাটাকেষ্টর পুজোয় হাজির অমিতাভ বচ্চন ও বিনোদ খান্না (ছবি-সংগৃহীত)

    দেশ-বিদেশ খ্যাত অসংখ্য সেলেব্রিটি যুক্ত থেকেছেন ফাটাকেষ্টর কালীপুজোর উদ্বোধনে। এই তালিকায় যে যে নামগুলো ছিল একবার চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক। সিনেমা জগতের তারকা বিনোদ খান্না, শত্রুঘ্ন সিনহা থেকে সঙ্গীত জগতের হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, রাহুল দেব বর্মন, আশা ভোঁসলে, ক্রীড়া জগতের বিশ্ববিখ্যাত গোলকিপার লেভ ইয়াসিন-প্রতি বছর কালীপুজো উদ্বোধনে চাঁদের হাট বসতো নব যুবক সঙ্ঘে। প্রয়াণের আগের বছর অবধি ওই পুজোতে এসেছেন স্বয়ং উত্তম কুমার অবধি।

    ফাটাকেষ্টর পুজোয় মহানায়ক উত্তম কুমার (ছবি-সংগৃহীত)

    জগৎজোড়া খ্যাতির নেপথ্য কী?

    ১৯৯২ সালে প্রয়াত হন কৃষ্ণচন্দ্র দত্ত ওরফে ফাটাকেষ্ট। কয়েক বছর আগেও তাঁর কালীপুজোর উদ্বোধন করে গেছেন প্রয়াত প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়। উত্তর কলকাতায় সীতারাম ঘোষ স্ট্রিটের এই কালীপুজো আজও একটা ‘মিথ’। নবযুবক সঙ্ঘের কালী পুজোর জগৎজোড়া খ্যাতির নেপথ্যে ছিল কালী মায়ের ভক্ত, ছোটখাট চেহারার ওই দাপুটে মানুষটি। যাঁর কথায় নাকি এলাকার বাঘে-গরুতে একসঙ্গে জল খেত বলেই বিশ্বাস করেন ওই এলাকার বাসিন্দারা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • BSF: সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা! পাচারের আগেই ১০ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত

    BSF: সীমান্তে বিএসএফের তৎপরতা! পাচারের আগেই ১০ কোটি টাকার সোনার বিস্কুট বাজেয়াপ্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে সোনা পাচারচক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে, বিএসএফের কড়া নজরদারির কারণে বার বারই পাচারকারীরা ধরা পড়ছে। এবারও ৬ কেজি ৭০০ গ্রাম সোনার বিস্কুট সহ এক দুষ্কৃতীকে পাকড়াও করল বিএসএফ (BSF)। ধৃতের নাম আজর মণ্ডল। তার বাড়ি বাগদার রাজকোল এলাকায়। উত্তর ২৪ পরগনার বাগদা থানার রণঘাট এলাকা থেকে তাকে ধরা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (BSF)

    বিএসএফ (BSF) সূত্রে জানা গিয়েছে, পাচারকারী আজর একটি  বাইকে চেপে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের দিক থেকে রণঘাট এলাকায় আসছিল। তার কোমরে কাপড়ে বাঁধা ছিল সোনার বিস্কুট। বাগদায় এক ব্যক্তির কাছে সেগুলি তার পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব ছিল। বাগদার রণঘাট ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কর্তব্যরত জওয়ানরা আগেই খবর পেয়েছিলেন, ওই রাস্তা দিয়ে রাতে বিপুল অঙ্কের সোনা পাচার হবে। স্বাভাবিকভাবে রাস্তায় বাড়ানো হয় নজরদারি। ওই পাচারকারীকে নিরাপত্তা দিতে আরও একটি মোটরবাইকে একজন পিছু নিয়েছিল। রাত ১১টা নাগাদ ওই যুবক রণঘাটের রাস্তা দিয়ে বাগদা রোডের কাছে পৌঁছয়। তখন জওয়ানরা মোটরবাইকটি ঘিরে ফেলেন। ওই যুবক পালানোর চেষ্টা করছিল। রিভলভার বের করতেই সে ধরা দিতে বাধ্য হয়। তল্লাশি চালিয়ে তার কাছ থেকে সোনার বিস্কুটগুলি উদ্ধার করা হয়। তারপর তল্লাশি করতেই যুবকের কোমরে বাঁধা কাপড়ের বেল্ট থেকে ১৭টি সোনার বার উদ্ধার হয়। প্রসঙ্গত, বুধবার রাতেও পেট্রাপোল সীমান্তে খালি ট্রাক থেকে ছোট্ট মাপের ৬০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়। যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা। গ্রেফতার করা হয়েছিল ওই ট্রাকের চালককে। কিন্তু তাতেও সোনা পাচার কমছে না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রশ্ন উঠেছে সীমান্তবর্তী থানাগুলির ভূমিকা নিয়েও।

    বিএসএফের আধিকারিক কী বললেন?

    বিএসএফের (BSF) ৬৮ নম্বর ব্যাটালিয়নের এক আধিকারিক বলেন, ‘সোনা পাচারের সময় একজনকে ধরা হয়েছে। তার কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ সোনা উদ্ধার হয়েছে। উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের বাজারমূল্য প্রায় ১০ কোটি ৩২ লক্ষ টাকা। পাচারকারীর মোটরবাইকটি আটক করা হয়েছে।’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share