Author: user

  • ICC World Cup 2023: ইডেন ম্যাচের টিকিট কেলেঙ্কারির জের, আজ রাজভবনে ‘জনতা ক্রিকেট স্টেডিয়াম’

    ICC World Cup 2023: ইডেন ম্যাচের টিকিট কেলেঙ্কারির জের, আজ রাজভবনে ‘জনতা ক্রিকেট স্টেডিয়াম’

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তিলোত্তমায় চড়ছে উন্মাদনার পারদ! আজ রবিবার ইডেনে মুখোমুখি হচ্ছে ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা (ICC World Cup 2023)। বিশ্বকাপের ফাইনালের আগে ফাইনাল বললেও খুব একটা ভুল হবে না। লিগ টেবিলের শীর্ষস্থান দখলের লড়াইয়ে মুখোমুখি হবে ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমি ফাইনালের টিকিট দুই দলের পাকা হয়ে গেলেও, প্রেস্টিজ ফাইটে একে অপরকে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ দুই দল। তবে অতীতে, ওডিআই বিশ্বকাপের মঞ্চে প্রোটিয়াদের সঙ্গে ভারতের সাক্ষাৎ খুব একটা ভালো হয়নি। কারণ ওডিআই (ICC World Cup 2023) বিশ্বকাপে মোট ৫ বার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। তার মধ্যে ভারতের জয় ২টি, দক্ষিণ আফ্রিকার জয় ৩টি। অন্যদিকে ইডেনের ম্যাচের আগে টিকিটের কালোবাজারির অভিযোগও সামনে এসেছে। এরই মধ্যে ফের রাজভবনে বসে খেলা দেখার ব্যবস্থা করলেন সিভি আনন্দ বোস। রাজভবনে খোলা হচ্ছে ‘জনতা স্টেডিয়াম’।

    রাজভবনে ম্যাচ দেখতে পারবেন সাধারণ মানুষ

    জানা গিয়েছে, দুপুর বারোটা থেকে দুটো পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য খোলা থাকবে রাজভবন। প্রথমে আগত ৫০০ জনকে বড় পর্দায় ক্রিকেট (ICC World Cup 2023) ম্যাচ দেখার সুযোগ দেওয়া হবে। তবে তার জন্য অনলাইনে একটি ফর্ম ফিলাপ করতে হবে বলে জানা গিয়েছে। ইডেনে এর আগেও অনেক এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচ হয়েছে, তবে রাজভবনের তরফে এমন উদ্যোগ এই প্রথম নেওয়া হল। দর্শকরা চাইলে আগে থেকে নামও নতিভুক্ত করতে পারবেন। তাঁদের জন্য একটি ইমেল আইডি (aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com) দেওয়া হয়েছে। ইমেল-এর মাধ্যমে আবেদন করতে হলে যে কোনও একটি পরিচয়পত্র আপনাকে দিতে হবে, আধার কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স। এছাড়া ঢোকার সময় সচিত্র পরিচয়পত্র দেখিয়ে রাজভবনে ঢুকতে পারবেন দর্শকরা। রাজভবনের এই উদ্যোগে খুশি ক্রিকেটপ্রেমী মহল। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূয়সী প্রশংসা শোনা যাচ্ছে তাঁদের মুখে।

    টিকিটের কালোবাজারিতে গ্রেফতার ২১

    অন্যদিকে, টিকিট কালোবাজারিতে এখনও পর্যন্ত ২১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে ১২৭টি টিকিট। ময়দান থানায় এ নিয়ে এফআইআর-ও দায়ের হয়েছে। সিএবির প্রতিনিধিদের পুলিশ তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করে। টিকিট বিক্রির অনলাইন সংস্থার আধিকারিকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০৫/১১/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ০৫/১১/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) আপনাদের যশ-কীর্তি বাড়বে।

    ২) চাকরিজীবীরা কোনও বিষয়ে নিজের বরিষ্ঠ আধিকারিকদের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না। 

    বৃষ

    ১) সরকারি চাকরিজীবীরা পদোন্নতি ও বেতনবৃদ্ধির সুসংবাদ পাবেন।

    ২) আধিকারিকদের সঙ্গে নিজের সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।

    মিথুন

    ১) মনের মধ্যে ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু নতুন চিন্তাভাবনা উৎপন্ন হতে পারে।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা শিক্ষক ও বরিষ্ঠদের সাহায্য লাভ করবেন।

    কর্কট

    ১) মন দিয়ে নিজের সমস্ত কাজ সম্পন্ন করবেন এই রাশির জাতক।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন করার চেষ্টা করবেন। 
      
    সিংহ 

    ১) জীবনসঙ্গীকে কোথাও বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যেতে পারেন এই রাশির জাতক।

    ২) কর্মক্ষেত্রে বরিষ্ঠ আধিকারিকরা আপনার কাজে বাধা সৃষ্টি করবেন। 

    কন্যা

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ কোনও শুভ অনুষ্ঠানে অংশগহণ করতে পারবেন।

    ২) ব্যবসায়ীরা চোখ বন্ধ করে অংশীদারকে বিশ্বাস করলে লোকসানের শিকার হতে পারেন। 

    তুলা 

    ১) নতুন প্রকল্পে কাজ শুরু করলে তা সম্পন্ন হবে।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ পাড়া প্রতিবেশীদের সঙ্গে বিবাদে জড়াবেন না। 

    বৃশ্চিক

    ১) পরিবারে শান্তি ফিরে আসবে।

    ২) ব্যবসায়ে সারাদিন ছোটখাটো লাভ অর্জন করতে পারবেন  

    ধনু

    ১) সমস্যায় জড়িয়ে থাকা কোনও পরিবারের সদস্যের জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে পারেন।

    ২) সাবধানে ব্যবসায়ে ঝুঁকি নিন। 

    মকর

    ১) ছেলে বা মেয়ের শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

    ২) যে কোনও কাজে জীবনসঙ্গীর পরামর্শ নিন।

    কুম্ভ

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ অসুস্থ হতে পারেন। খাওয়া-দাওয়ার যত্ন নিন।

    ২) ব্যবসায়ীরা লাভান্বিত হবেন। 

    মীন

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ বাড়িতে পূজার্চনা, যজ্ঞ ইত্যাদি অনুষ্ঠান আয়োজিত হতে পারে।

    ২) ব্যবসায়ে ঝুঁকি নিলে তার দ্বারা লাভান্বিত হবেন। 

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • RSS: রবিবার শুরু হচ্ছে সঙ্ঘের কার্যকারিণী বৈঠক, রামমন্দিরই প্রধান অ্যাজেন্ডা

    RSS: রবিবার শুরু হচ্ছে সঙ্ঘের কার্যকারিণী বৈঠক, রামমন্দিরই প্রধান অ্যাজেন্ডা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৫-৭ নভেম্বর গুজরাতের ভুজে। এর আগেই সঙ্ঘের তরফে জানানো হয়েছিল, বৈঠকে প্রধান ইস্যু হিসাবে থাকতে চলেছে রামমন্দির। প্রসঙ্গত, রামের বিগ্রহের প্রাণ প্রতিষ্ঠা হবে আগামী ২২ জানুয়ারি। সেদিন দেশের প্রতিটি ছোট বড় ধর্মস্থানে উৎসব করার কথা ইতিমধ্যে বিজয়া দশমীর ভাষণেই ঘোষণা করেছেন সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবত। দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে এই বৈঠক খুবই তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 

    সুনীল আম্বেকরের সাংবাদিক সম্মেলন

    রবিবার থেকে শুরু হতে চলা এই বৈঠকের আগের দিন সাংবাদিক সম্মেলন করলেন সঙ্ঘের (RSS) সর্বভারতীয় প্রচার প্রমুখ সুনীল আম্বেকর। আলোচনা করলেন বৈঠকের প্রধান অ্যাজেন্ডাগুলি নিয়ে। সুনীল আম্বেকর এদিন জানান, নাগপুরে চলতি বছরের বিজয়া দশমীর ভাষণে মোহন ভাগবত যে বিষয়গুলি তুলে ধরেছিলেন, সেগুলি নিয়েই আলোচনা হবে। এছাড়াও গত সেপ্টেম্বরে পুনেতে সঙ্ঘের সর্বভারতীয় সমন্বয় বৈঠকে যে বিষয়গুলি উঠে এসেছিল সেগুলিও বিশ্লেষণ করা হবে কার্যকারিণী বৈঠকে। প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের যাত্রাপথ শুরু হয়েছিল ১৯২৫ সাল থেকে। সেই হিসাবে ২০২৫ সালে ১০০ বছরে পদার্পণ করছে সঙ্ঘ। আগামী ৫-৭ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলা বৈঠকে সঙ্ঘের শততম বর্ষপূর্তির রূপরেখাও তৈরি করা হবে। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের (RSS) প্রশিক্ষণ শিবিরের বিষয়বস্তুতেও বদল আনা হতে পারে বলে জানিয়েছেন আম্বেকর।

    সারা দেশ থেকে প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন এই বৈঠকে

    সঙ্ঘ সূত্রে জানা গিয়েছে, অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের অংশ নেবেন সারাদেশের প্রতিটি রাজ্যের প্রতিনিধিরাই। সাংগঠনিক ৪৫টি প্রদেশ থেকেই প্রতিনিধিরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। প্রতিটি প্রদেশের সঙ্ঘচালক, কার্যবাহ ও প্রান্ত প্রচারক ছাড়াও সহ-সঙ্ঘচালক, সহ কার্যবাহ, সহ-প্রান্ত প্রচারকরা হাজির থাকবেন এই বৈঠকে। সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবত, সর কার্যবাহ শ্রী দত্তাত্রেয় হোসাবলের উপস্থিতিতে এই বৈঠক হবে। এছাড়াও সঙ্ঘের বিবিধ ক্ষেত্রের সংগঠন সম্পাদকরা এই বৈঠকে অংশ নেবেন। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতির সাপেক্ষে অখিল ভারতীয় কার্যকারিণী মণ্ডলের (RSS) বৈঠক  অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হতে চলেছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।  এই বৈঠকেই আগামী দিনে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ কোন পথে চলবে তার রূপরেখা নির্ণয় করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    Suvendu Adhikari: ‘করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে,’ বিস্ফোরক শুভেন্দু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: করোনাকালে রাজ্যে স্বাস্থ্য দফতরে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির পক্ষ থেকে  নন্দকুমারে ” বিজয়া সম্মিলনী”র আয়োজন করা হয়। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা আগেই জেলে গিয়েছে, এবার গিয়েছে খাদ্য। এদের মাথায় রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সব থেকে বড় চোর। তাঁকে গ্রেফতার করতে হবে। আসল চোরকে ধরতে হবে। এই চোরকে জেলে না পাঠানো পর্যন্ত আমাদের নিস্তার নেই। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন। সব তথ্য আমরা সংগ্রহ করছি। কোভিডের সময় কোটি কোটি টাকা মাস্ক সহ অন্যান্য জিনিসের টাকা লুট হয়েছে। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে। মৌসুমী বলে একজন ভাইপোর শ্যালিকার শ্বশুর পবন অরোরা মিলে কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি করেছে। এই পবন অরোরা সবুজ সাথি সাইকেল রাজ্যে সরবরাহ করেন। প্রতিটি সাইকেলে ৪০০ টাকা করে কমিশন খান। তাই. শুধু শিক্ষা, খাদ্য নয় স্বাস্থ্যকে জেলে ঢোকাতে হবে।

    কুণাল ঘোষকে নিয়ে কী বললেন শুভেন্দু? (Suvendu Adhikari)

    শিশিরের সম্পত্তি নিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের মন্তব্যের পরিপেক্ষিতে এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) বলেন, কে মন্তব্য করেছে? আমি ওর কথার উত্তর দিইনা। ও একটা নেড়ি। রাস্তায় ঘুরে বেড়ায়। ভাইপো এই সব বলার জন্য মাসে তিন লক্ষ টাকা দিয়ে থাকে। তাই এই সব বলছে। শিশির অধিকারী একজন লিজেন্ড। তাঁর বিরুদ্ধে যারা আঙ্গুল তুলবে তারা ধ্বংস হবে।

    বন দফতরে বালুর টাকা তোলা নিয়ে কী বললেন বিরোধী দলনেতা?

    এদিন  মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বন দফতরের আধিকারিকদের সাবধান করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, বালু জেলে যাওয়ার আগে পর্যন্ত বন দফতরের প্রতিটি রেঞ্জ থেকে ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হত। গত মাসেও এই টাকা দেওয়া হয়েছে। সব বন দফতরের আধিকারিকদের বলছি, এখনও সময় আছে বন্ধ করুন। না হলে খাপ খুলব। ডায়মন্ড হারবারে বিজেপির প্রার্থী দিয়ে ভাপোকে হারাবোই। পাশাপাশি  তমলুক ও কাঁথি লোকসভায় দেড় লক্ষের বেশি ভোটে জয়লাভ করবো কথা দিচ্ছি। আগামী ২৯ তারিখে কলকাতায় সমাবেশে জেলা থেকে বেশি সংখ্যক কর্মী সমর্থকদের যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    Mamata Banerjee: মমতা-অভিষেকের ছবি দেওয়া বিল ছাপিয়ে তোলাবাজি তৃণমূলের, জেলা জুড়ে শোরগোল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্নীতি নিয়ে তৃণমূলের এখন ল্যাজেগোবরে অবস্থা। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জেলের ঘাঁনি টানছেন। এরমধ্যেই তৃণমূলের কাটমানি খাওয়া আর তোলাবাজি করা নিয়ে সারা রাজ্যে চর্চা চলছে। এবার স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য নিজের দোকান বিক্রি করতে গিয়ে তৃণমূলের তোলাবাজির শিকার হলেন উৎপল বারিক নামে এক গরিব মানুষ। রীতিমতো মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে বিল ছাপিয়ে তোলাবাজির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা ব্লকের শিবরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩১ নম্বর বুথের রাধানগর গ্রামে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Mamata Banerjee)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাধানগর গ্রামের বাসিন্দা উৎপল বারিকের স্ত্রীর কঠিন অসুখের চিকিৎসার জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী কমিটি ও এলাকার মানুষের সহযোগিতায়  নিজের দোকান বিক্রি করেছিলেন। আর সেখানেই থাবা বসায় তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া ও পঞ্চায়েত সদস্যের ভাই পঞ্চানন পড়ুয়া। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিসহ পার্টির বিল ছাপিয়ে একরকম জোর করে ৭ হাজার টাকা তোলা চাওয়া হয় বলে অভিযোগ। ফলে, এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে ওই এলাকার তৃণমূল কর্মী আশরাফিল খানসহ গ্রামের মানুষ। তাঁদের বক্তব্য, এভাবে একজন দোকান বিক্রি করার জন্য কারও কাছে এভাবে তোলা নেওয়া যায়। উৎপলবাবু বলেন, ইচ্ছে না থাকলেও আমাকে টাকা দেওয়া হয়েছে।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    তৃণমূলের বুথ সভাপতি লক্ষ্মীকান্ত পড়ুয়া  বলেন, আমরা কোনও তোলাবাজি করিনি। আমাদের দলের এক সমর্থক পার্টি ফান্ডের জন্য ৭ হাজার টাকা আমাকে দিয়েছেন। আমি সেই টাকা নেওয়ার  পার্টির রসিদ দিয়েছি। রসিদে মমতা (Mamata Banerjee) -অভিষেকের ছবি রয়েছে। ফলে, কোথাও কোনও কারচুপি করা হয়নি। এতে অন্যায় কিছু নেই। তোলাবাজি করলে তো পুরো টাকাটি রসিদ না দিয়ে পকেটে রেখে দিতে পারতাম। সেটা করিনি। ফলে, কেউ আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে অপপ্রচার করছে।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপির মথুরাপুর সাংগঠনিক জেলার নেতা অরুনাভ দাস বলেন, পিসি-ভাইপোর ছবি দেওয়া চালান দিয়ে তোলা আদায়ের কৌশল অভিনব। তৃণমূল দলটাই তো কাটমানি, তোলাবাজিতে ভরে গিয়েছে। তাই, একজন অসহায় মানুষের কাছে থেকে তোলা আদায় করতে এদের হাত কাঁপে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nepal Earthquake: নেপালের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪, ভারতীয়দের জন্য চালু হেল্পলাইন নম্বর

    Nepal Earthquake: নেপালের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৫৪, ভারতীয়দের জন্য চালু হেল্পলাইন নম্বর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নেপালে (Nepal Earthquake) বিধ্বংসী ভূমিকম্পে তছনছ হয়ে গিয়েছে এলাকার পর এলাকা। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়েছে সেখানকার বাড়িঘরগুলি। জানা গিয়েছে, ভূমিকম্পের পর থেকে আফটার শক চলেছে আরও ১৫৯ বার। সেদেশে জাতীয় ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্রের মতে, নেপালের বিস্তীর্ণ অংশের মানুষজন এখনও আতঙ্কিত। নেপালের এমন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় সেদেশের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে ভারত সরকার। প্রধানমন্ত্রী মোদি ট্যুইট করে নেপালের স্বজনহারা পরিবারগুলিকে সমবদেনা জানিয়েছেন।

    আতঙ্কিত নেপাল, মৃত ১৫৪

    বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদন অনুযায়ী ভূমিকম্প এবং তারপরে আফটার শকের আতঙ্কে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছেন বহু মানুষ। অনেক মানুষ রয়েছেন যাঁরা নিজেদের বাড়িতে প্রবেশ করতেও ভয় পাচ্ছেন এবং খোলা জায়গাতে রাত কাটানোর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দিনের আলোতেও তাঁরা ঘরে ঢুকতে ভয় পাচ্ছেন (Nepal Earthquake)। সরকারি হিসাব বলছে এখনও পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫৪জন। হাসপাতালগুলিতে লম্বা লাইন দেখা যাচ্ছে রোগী আত্মীয়দের। তবে এখানেই শেষ নয়, মৃতের সংখ্যা যে আরও বাড়তে পারে সে নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করতে শোনা গিয়েছে প্রশাসনকে।

    প্রধানমন্ত্রীর ট্যুইট 

    ইতিমধ্যে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের এই জাতীয় বিপর্যয়ের দিনে পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানকার প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য ইতিমধ্যে হেল্পলাইন চালু করা হয়েছে নম্বরটি হল, 977-9851316807  নিজের ‘এক্স’ হ্যান্ডেলে  তিনি লিখছেন, ‘‘নেপালে হওয়া ভূমিকম্পের কারণে প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি (Nepal Earthquake) নিয়ে গভীরভাবে শোকাহত। নেপালের জনগণের পাশে আছে ভারত। নেপালকে সম্ভাব্য সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত ভারত। স্বজনহারা পরিবারগুলির প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতরা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন, সেই কামনা করছি।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: ‘বীরভূম জেলায় জোড়া ফুল ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না’, ফের কেষ্ট ঢঙে হুঙ্কার কাজলের

    Birbhum: ‘বীরভূম জেলায় জোড়া ফুল ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না’, ফের কেষ্ট ঢঙে হুঙ্কার কাজলের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল গরু পাচার কাণ্ডে তিহারে রয়েছেন। জেলায় তাঁর অনুগামীরা কার্যত কোণঠাসা। কেষ্ট বিরোধী হিসেবে পরিচিত কাজল সেখ এখন জেলায় দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু, কেষ্ট কালচার থেকে এখনও বের হত পারল না জেলার নেতারা। জেলা থেকে ব্লক স্তর পর্যন্ত সকলের মুখে কেষ্টর ফাটা ক্যাসেট বাজছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। বীরভূমের বেতাজ বাদশার ডায়লগ ব্যবহার করেই কর্মীদের চাঙা করতে চাইছে এই জেলার শাসক দলের নেতারা। এমনই মত রাজনৈতিক মহলের। তাই, দলীয় সভায় বার বার কেষ্টর ঢঙে হুমকি দিচ্ছেন তৃণমূলের বীরভূম (Birbhum) জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল সেখ।

    ঠিক কী বলেছেন তৃণমূল নেতা? (Birbhum)

    শুক্রবার তারাপীঠে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনী অনুষ্ঠানে গিয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ হুমকি দিয়ে বলেন, ‘বীরভূম (Birbhum) জেলার বুকে জোড়া ফুল ছাড়া কিছু থাকবে না। দুই কেন্দ্রের সাংসদই হবেন তৃণমূলের। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে, পায়ে পা মিলিয়ে সেই কাজই করতে হবে আমাদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের কাজ আমরা করে যাব। যখনই ডাকবেন আমরা যাব। কিন্তু বীরভূম জেলার বুকে জোড়া ফুল ছাড়া অন্য কিছু থাকবে না। বীরভূম জেলার বুকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়া অন্য কেউ থাকবে না। বীরভূম জেলার আমরা সকলে একসঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চব্বিশের নির্বাচনে দুটি লোকসভা আসনে কম করে ২ লক্ষের বেশি ভোটে জিততে হবে।’ এর আগে বহুবার প্রকাশ্যে অনুব্রত বিরোধিতা করতে দেখা গিয়েছে কাজল সেখকে। সেই কাজলকে এখন কেষ্ট ঢঙে কথা বলতে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছেন। দুদিন আগেই রামপুরহাটে দলীয় সভায় তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সৈয়দ জিম্মি, বিরোধীদের হাত-পা কেটে ফেলার নিদান দিয়েছিলেন। এদিন আবার কাজল সেখ লোকসভা ভোটে জেলায় বিরোধী শূন্য করার হুঁশিয়ারি দেওয়ায় কেষ্ট হুঙ্কারের প্রতিচ্ছবি দেখতে পাচ্ছেন বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

     

  • Kali Puja 2023: কার্তিক মাসে ঘরে ঘরে কেন জ্বালানো হয় আকাশ প্রদীপ? জানুন মাহাত্ম্য

    Kali Puja 2023: কার্তিক মাসে ঘরে ঘরে কেন জ্বালানো হয় আকাশ প্রদীপ? জানুন মাহাত্ম্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: লতা মঙ্গেশকরের কণ্ঠে ‘আকাশ প্রদীপ জ্বলে দূরের তারার পানে চেয়ে’ গানটি বাঙালির এক নস্টালজিয়া। এই ‘আকাশ প্রদীপ’ (Akash Pradip) কয়েক বছর  আগেও কার্তিক মাসে বাংলার ঘরে ঘরে জ্বলে উঠত। এখন অবশ্য আধুনিকতার ছোঁয়ায় লোকাচার যেন হারিয়ে যাচ্ছে। তবুও গ্রাম বাংলায় কার্তিক মাসের হালকা শীতের চাদর মোড়ানো সন্ধ্যায় সন্ধান পাওয়া যায় ‘আকাশ প্রদীপ’-এর।

    পুরাণ কী বলছে?

    পুরাণ মতে, দীর্ঘ চার মাসের যোগনিদ্রা শেষে, কার্তিক মাসে (Kartik Masa) জেগে ওঠেন ভগবান বিষ্ণু (Lord Vishnu)। তাঁকে প্রসন্ন রাখতে, ভক্তরা কার্তিক মাসের প্রথম দিন থেকে সংক্রান্তির দিন পর্যন্ত প্রতিদিন সন্ধ্যাবেলায় মাটির প্রদীপে ঘি বা তেল দিয়ে জ্বালিয়ে রাখেন। বাড়ির সব থেকে উঁচু স্থানে উত্তর অথবা পূর্ব দিকে মুখ করে রেখে এই প্রদীপ জ্বালানো হয়। লাঠির ডগায় ছাদের উপরেও এই প্রদীপ দিতে দেখা যায়। বর্তমান সময়ে প্রদীপের বদলে বৈদ্যুতিক বাতিও দেন অনেকে। বিশ্বাস, ভক্তদের আকাশ প্রদীপ (Akash Pradip) অর্পণে সন্তুষ্ট হয়ে ভগবান বিষ্ণু তাঁদের মনস্কামনা পূরণ করেন। সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে ভক্তদের জীবন। আরোগ্য ও আশীর্বাদ প্রদান করেন ভগবান বিষ্ণু।

    রয়েছে আরও বিশ্বাস…

    অন্য একটি বিশ্বাস মতে, আশ্বিন মাসের মহালয়ার দিন পূর্বপুরুষদের উদ্দেশে তর্পণ করা হয়। তার পরের একটি মাস তাঁরা আনন্দ উৎসবে সামিল হন এবং পরলোকের উদ্দেশে গমন করেন কালীপুজোর (Kali Puja 2023) অমাবস্যায়। এই প্রদীপ জ্বেলে আবাহন করা হয় পিতৃলোকে, প্রেতলোকে অবস্থান করা পূর্বপুরুষদেরও। যাতে তাঁরা আকাশ প্রদীপের আলোয় পথ চিনে আশীর্বাদ দিতে আসতে পারেন উত্তরসূরীদের।

    হিন্দু ধর্মে প্রদীপের তাৎপর্য

    প্রদীপ হিন্দু ধর্মের যে কোনও অনুষ্ঠানের সব থেকে অপরিহার্য এবং গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। ধর্মীয় আচার, রীতি সবকিছুই সম্পন্ন হয় প্রদীপের দ্বারা। ভগবান বিষ্ণুর বন্দনা করতে তাই বেছে নেওয়া হয়েছে আকাশ প্রদীপ (Akash Pradip)। ভগবান বিষ্ণুর উদ্দেশে সমর্পিত এই প্রদীপের ধরন আলাদা আলাদা হয় এবং তা ভক্তদের নানা মনোবাঞ্ছা পূরণের লক্ষ্যে জ্বালানো হয়। একনজরে আমরা দেখে নিই আকাশ প্রদীপের ধরনগুলি।

    ১. দ্বিমুখী প্রদীপ: ভগবানের অসীম কৃপা লাভ, আশীর্বাদ লাভ এবং দীর্ঘজীবনের অধিকারী হওয়া যায় দ্বিমুখী প্রদীপ জ্বালালে। এটাই ভক্তদের বিশ্বাস।

    ২. ত্রিমুখী প্রদীপ: লোকবিশ্বাস, এই প্রদীপ জ্বালালে শত্রুর কু-নজর থেকে ভগবান বিষ্ণু ভক্তদের রক্ষা করেন।

    ৩. চতুর্মুখী প্রদীপ: সন্তানের দীর্ঘজীবন কামনা করে মা-বাবারা এই প্রদীপ জ্বালেন।

    কার্তিক মাসব্যাপী সন্ধ্যার সময় অনেক গৃহে তুলসীতলায় প্রদীপ জ্বালানোর রীতি রয়েছে‌। পুকুরে বা নদীতেও অনেক সময় প্রদীপ ভাসানো হয় ভগবানের আশীর্বাদ এবং কৃপা লাভের উদ্দেশ্যে। আকাশ প্রদীপ দেওয়ার মন্ত্রটি হলো-‘‘আকাশে সলক্ষ্মীক বিষ্ণোস্তোষার্থং দীয়মানে প্রদীপঃ শাকব তৎ।’’ আকাশে লক্ষ্মীর সঙ্গে অবস্থান করছেন যে বিষ্ণু, তাঁর উদ্দেশে দেওয়া হল এই প্রদীপ (Kali Puja 2023)।

    দেহের প্রতীক প্রদীপ

    ঘটের মতো প্রদীপকেও অনেক পণ্ডিত দেহেরই প্রতীক বলে মনে করেন। আকাশ প্রদীপও (Akash Pradip) নশ্বর শরীরের মতো ক্ষিতি, অপ, তেজ, মরুৎ ও ব্যোম-এই পঞ্চভূতে তৈরি। ক্ষিতি অর্থাৎ মাটি, কায়া তৈরি করে। অপ অর্থাৎ জলে আকার পায়। তেজ অর্থাৎ আগুন, আত্মার মতোই স্থিত হয় তার অন্তরে। মরুৎ অর্থাৎ হাওয়া আগুনকে জ্বলতে সাহায্য করে। আর ব্যোম অর্থাৎ অনন্ত শূন্য জেগে থাকে প্রদীপের গর্ভে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে রমরমিয়ে চলছে সারের কালোবাজারি, নাজেহাল কৃষক

    Dakshin Dinajpur: দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাজুড়ে রমরমিয়ে চলছে সারের কালোবাজারি, নাজেহাল কৃষক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) বন্ধ হয়নি সারের কালো বাজারি। ব্যবসায়ীদের সাসপেন্ড ও শোকজ করা হয়েছে। তাতেও দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাতে বন্ধ হয়নি বেআইনি কারবার। নাজেহাল কৃষকরা। আর এই ঘটনায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন।

    কৃষকরা কী বললেন? (Dakshin Dinajpur)

    হিলিতে কালোবাজারির অভিযোগে ফের এক সার ব্যবসায়ীকে শোকজ করতেই তুমুল হইচই পরিস্থিতি তৈরি হয় সীমান্ত শহরে। যদিও এই ঘটনাকে তেমন বাড়তি গুরুত্ব দিতে চায়নি জেলা কৃষি দফতর। এদিকে জমির ফসল ঘরে উঠতেই ফের জেলায় অতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে সারের কালোবাজারিদের দৌরাত্ম্য বলে অভিযোগ তুলেছেন কৃষকেরা। যা নিয়ে প্রশাসনিক উদাসীনতাকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের অভিযোগ, সার বিক্রেতাদের কালোবাজারি নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। চাষের মরশুম শুরু হতেই দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে সারের কালোবাজারি। যা নিয়ে প্রশাসনকে একপ্রকার বুড়ো আঙুল দেখিয়েই চলছে দেদার কারবার। কৃষকদের বক্তব্য, সরকারের বেধে দেওয়া নির্ধারিত দামের থেকে প্রতি প্যাকেটে প্রায় ৫০০ টাকা করে বেশি আদায় করছে অসাধু কারবারীরা। জেলাজুড়ে সর্বত্র এই অব্যবস্থা চললেও তেমন কোনো ভ্রুক্ষেপই নেই প্রশাসনের। মদন বিশ্বাস ও অসীম সরকার নামে দুই কৃষক বলেন, সারের কালোবাজারি কোথাও বন্ধ হয়নি। চাষের মরশুম শুরু হতেই তা লাগামহীন পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছেছে। যা নিয়ে প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি।আমরা কৃষকেরা চাই সারের এই কালোবাজারি বন্ধ হোক।

    কৃষি দফতরের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    যদিও কৃষকদের তোলা এই অভিযোগ মানতে নারাজ জেলা কৃষি দফতর। পরিসংখ্যান তুলে ধরে তাদের দাবি, দক্ষিণ দিনাজপুরে (Dakshin Dinajpur) কালোবাজারির অভিযোগে ইতিমধ্যে ১১৫ জন সার ব্যবসায়ীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। শোকজ করা হয়েছে ২৫০ জন সার ব্যবসায়ীকে। শুধু তাই নয়, চাষের মরশুম শুরু হতেই বিভিন্ন এলাকায় কালোবাজারির বিরুদ্ধে নানা অভিযানও শুরু হয়েছে ইতিমধ্যে। সেই হিসাবেই হিলির এক সার ব্যবসায়ীকে শোকজ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর। কৃষি দফতরের ডেপুটি ডিরেক্টর প্রণব কুমার মুখোপাধ্যায় বলেন, সারের কালোবাজারি রুখতে আমরা বদ্ধপরিকর। এব্যাপারে নানা সচেতনতার পাশাপাশি কোনও অভিযোগ পেলেই অভিযুক্ত সার ব্যবসায়ীদের শোকজ ও সাসপেন্ড করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kali Puja 2023: রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ইতিহাস জানুন

    Kali Puja 2023: রানি রাসমণি প্রতিষ্ঠিত দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের ইতিহাস জানুন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের বিভিন্ন সময়ে অমাবস্যা তিথিতে কালীপুজো দেখা যায়। তবে কার্তিক মাসের দীপান্বিতা কালীপুজো (Kali Puja 2023) সবথেকে প্রসিদ্ধ। আয়োজন, জাঁকজমক, ধুমধাম সবদিক থেকেই বেশ জনপ্রিয় দ্বীপান্বিতা কালীপুজো।  জাগ্রত কালী মন্দিরগুলিতে কার্তিকী অমাবস্যায় ভক্তদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। কালী আরধনা বা কালী সাধনা বললেই উঠে আসে দক্ষিণেশ্বরের ভবতারিণী মন্দির। কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায় এখানেই রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব হয়েছিলেন। কথিত আছে, হুগলি নদীর তীরে অবস্থিত এই দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিষ্ঠা করেন রানি রাসমণি, সেটা ছিল ১৮৫৫ সালের ৩১ মে।

    দক্ষিণেশ্বর কালীমন্দিরের অধিষ্ঠাত্রীদেবী ‘ভবতারিণী’ 

    এখানে কালী মন্দিরের অধিষ্ঠাত্রী দেবী ভবতারিণী নামে প্রসিদ্ধ। জনশ্রুতি রয়েছে, রানি রাসমণি মা কালীর স্বপ্নাদেশ পেয়েই এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন এবং মন্দির প্রতিষ্ঠা কালে রানিকে সব থেকে বেশি সাহায্য করেছিলেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের দাদা রামকুমার চট্টোপাধ্যায়। পরবর্তীকালে রামকুমার চট্টোপাধ্যায় দক্ষিণেশ্বরের কালীমন্দিরের (Kali Puja 2023) প্রধান পুরোহিত হন। রামকুমারের হাত ধরেই কামারপুকুরের গদাধর চট্টোপাধ্যায়ের প্রবেশ ঘটে। দক্ষিণেশ্বরের মন্দিরের দায়িত্বভার গ্রহণ করার পরে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের আকর্ষণে এক মহাতীর্থে পরিণত হয় ভবতারিণী মন্দির।

    তরুণ নরেনের রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের সঙ্গে সাক্ষাৎ

    এখানেই আগমন ঘটে নরেন্দ্রনাথ দত্তের যিনি পরবর্তীকালে স্বামী বিবেকানন্দ হবেন। তরুণ নরেন্দ্রনাথ দত্ত সাংসারিক অনটনে ভুগছেন তখন। এমনই সময় রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব তাঁকে পাঠালেন ভবতারিণীর সামনে। অর্থ কষ্ট মেটানোর প্রার্থনা করতে বললেন রামকৃষ্ণ পরমহংসদেব। ভবতারিণীর সামনে নরেন্দ্রনাথ দত্ত চাইলেন বিবেক, বৈরাগ্য, জ্ঞান এবং ভক্তি। দক্ষিণেশ্বরে কালীমন্দির (Kali Puja 2023) চত্বরে একাধিক দেবদেবীর মন্দিরও রয়েছে। দ্বাদশ শিবমন্দির নামে পরিচিত রয়েছে বারটি আটচালার মন্দির। মন্দিরের উত্তর দিকে রয়েছে রাধাকান্ত মন্দির, দক্ষিণে রয়েছে নাটমন্দির। উত্তর-পশ্চিম কোণে রয়েছে রামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের বাসগৃহ। বছরের সারাবছর ধরেই ভক্তদের ভিড় লেগেই থাকে মন্দিরে। তবে কালীপুজো এবং কল্পতরু উৎসবে বিপুল জনসমাগম ঘটে এখানে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share