Author: user

  • Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই সরগরম বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলা, ফাঁসি চাইল পরিবার

    Jyotipriya Mallick: জ্যোতিপ্রিয় গ্রেফতার হতেই সরগরম বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলা, ফাঁসি চাইল পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) বিরুদ্ধে বরুণ বিশ্বাস হত্যা মামলার প্রতিবাদীরা আবার সরব হয়ে উঠলেন। তৃণমূলের এই মন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক হলেন মৃত বরুণ বিশ্বাসের বাবা এবং দাদা। তাঁদের দাবি, বরুণের হত্যার পিছনে আসল চক্রী হলেন তৃণমূলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ‘আমরা ওর ফাঁসি চাই’, সংবাদ মাধ্যমের সামনে ঠিক এভাবেই বিস্ফোরক হল পরিবার। ফলে উত্তর ২৪ পরগনার স্কুল শিক্ষক হত্যা মামলাকে ঘিরে আরও একবার সরগরম হয়ে উঠল রাজ্য রাজনীতি।

    মৃত বরুণ বিশ্বাসের পরিবারের বক্তব্য (Jyotipriya Mallick)

    হাবড়ার বিধায়ক তথা তৃণমূলের দাপুটে নেতা জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) ইডির হাতে গ্রেফতার হতেই সংবাদ মাধ্যমকে মৃত বরুণ বিশ্বাসের বাবা জগদীশ বিশ্বাস বলেন, “জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের ফাঁসি চাই। ওই আমার ছেলেকে খুন করেছে। আর এই কথা আমার মেয়ে বলেছিল বলে, আমার মেয়ের নামে মানহানির মামলা করে দিয়েছিল এই তৃণমূল নেতা। আমার একটাই শেষ ইচ্ছা, ওর যেন ফাঁসি হয়।” সেই সঙ্গে বরুণের দাদা অসিত বিশ্বাস বলেন, “কার্যত বরুণের মৃত্যুর কোনও তদন্ত হয়নি।” বরুণের মৃত্যু মামলায় সিবিআই তদন্তের কথাও বলেন তিনি। সিবিআই তদন্ত হলেই একমাত্র আসল দোষীদের চেনা যাবে। তিনি আরও দাবি করেন, “সঠিক তদন্ত হলেই স্পষ্ট হবে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের নাম।”

    খুন হয়েছিলেন ১১ বছর আগে

    বরুণের খুন হওয়ার পর ১১ বছর কেটে গেল। ছেলে বরুণ বিশ্বাসের মৃত্যুর পর থেকেই, শাসক দলের দুষ্কৃতীদের আতঙ্কে সুটিয়ার বাড়িতে থাকতে পারেন না পরিবারের লোকজন। অথচ, সেই ঘরের মধ্যে বরুণের স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। পরিবারের অভিযোগ, জ্যোতিপ্রিয়র (Jyotipriya Mallick) আশ্রিত দুষ্কৃতীরা পরিকল্পনা করে খুন করেছে বরুণকে। এমনকী যে বন্দুক দিয়ে বরুণকে খুন করা হয়েছে, সেই বন্দুকটা পর্যন্ত সরিয়ে ফেলেছে এই তৃণমূল নেতা। অপর দিকে বিজেপির নেত্রী অগ্নিমিত্রা পল বলেন, “আমরা চাই বরুণের হত্যাকারীরা ধরা পড়ুক। মামলার তদন্ত সিবিআই করুক।”

           

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে এসডিপিও অফিস ঘেরাও, জাতীয় সড়ক অবরোধে বিজেপি

    Shantipur: দলীয় কর্মী খুনের প্রতিবাদে এসডিপিও অফিস ঘেরাও, জাতীয় সড়ক অবরোধে বিজেপি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলার পুলিশ সুপার ভয়ে আসছেন না। অবিলম্বে শান্তিপুর (Shantipur) এবং তাহেরপুর থানার ওসিকে বদল করতে হবে। তারা তৃণমূলের দলদাসে পরিণত হয়েছে। বদল না করলে আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো। পাশাপাশি একজন এসডিপিও পাঁচ বছর ধরে একই জায়গায় কী করে দায়িত্বে থাকে, সেটাও পুলিশ সুপারকে জবাব দিতে হবে। শান্তিপুরে বিজেপি কর্মী খুনের ঘটনায় এসডিপিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখানোর সময় এমনই প্রতিক্রিয়া দিলেন রানাঘাট কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার। এদিন পুলিশ সুপার না আসায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা রানাঘাটে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করেন।

    কী ঘটেছিল? (Shantipur)

    উল্লেখ্য, দু’দিন আগে শান্তিপুর থানার বড়জিয়াকুড়ে অধীর সরকার নামে এক বিজেপি কর্মী খুন হন। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাকে পিটিয়ে খুন করেছে। পাশাপাশি এই খুনের ঘটনা লঘু করে দেওয়ার জন্য শান্তিপুর (Shantipur) থানার পুলিশের অতি সক্রিয়তা লক্ষ্য করা গেছে বলে অভিযোগ ওঠে। সেই কারণেই এদিন নদীয়া রানাঘাটে এসডিপিও অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। বিজেপির বেশ কিছু বিধায়ক এবং সাংসদদের নেতৃত্বে চলে এই বিক্ষোভ কর্মসূচি।

    পুলিশের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ (Shantipur)

    সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, পুলিশ বিভিন্ন ভাবে চেষ্টা চালাচ্ছে যাতে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা ছাড়া পেয়ে যায়। কিন্তু আমরা সেটা হতে দেব না। খুন হওয়া বিজেপি কর্মী (Shantipur) অধীর চৌধুরীর ছেলে যে বয়ান দেবে, সেই ভিত্তিতেই অভিযোগ নিতে হবে পুলিশকে। পাশাপাশি তিনি বলেন, শান্তিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক এর আগেও দেখা গেছে বিভিন্ন সময় তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছেন। অন্যদিকে তাহেরপুর থানার যে ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক বর্তমানে রয়েছেন, তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন। শুধুমাত্র তৃণমূলের কথায় কাজ করার জন্য তাকে দায়িত্বে রাখা হয়েছে। আমরা অবিলম্বে এই দুই থানার ওসিকে বদলি করার দাবি জানাচ্ছি। অন্যদিকে এসডিপিও প্রবীর মণ্ডল কিভাবে পাঁচ বছর ধরে একই জায়গায় দায়িত্ব থাকেন, সেটাও আমরা বুঝে নেব পুলিশ সুপারের কাছ থেকে। তিনি বলেন, অবিলম্বে যদি আমাদের দাবিগুলো না মানা হয়, তাহলে আগামী দিনে সব স্তব্ধ করে দেব।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Uttar Dinajpur: তৃণমূল আছে তৃণমূলেই! গোষ্ঠী সংঘর্ষে ছুরিকাহত পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী

    Uttar Dinajpur: তৃণমূল আছে তৃণমূলেই! গোষ্ঠী সংঘর্ষে ছুরিকাহত পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত এলাকা। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলার ইসলামপুর ব্লকের কমলাগাঁও সুজালি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারগছ এলাকায়। সংঘর্ষে ছুরির আঘাতে আহত হয়েছেন তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী সহ আরও এক ব্যক্তি। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।

    কীভাবে সংঘর্ষ ঘটল (Uttar Dinajpur)?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই আব্দুল হক ও জাহিদুল রহমানের মধ্যে এলাকা (Uttar Dinajpur) দখল নিয়ে ঝামেলা চলছিল। উল্লেখ্য, উভয় পক্ষ তৃণমূলের সমর্থক। অভিযোগ, বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর বাড়িতে জোর করে টাকা আদায় করতে যায় জাহিদুল রহমান গোষ্ঠীর লোকজন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রীর উপর ছুরি নিয়ে তারা চড়াও হয় বলে অভিযোগ। এর জেরে দুই পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। ঘটনায় জখম হন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী আনজুমা খাতুন সহ আরও এক। জখমদের উদ্ধার করে দ্রুত ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। অন্যদিকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় ইসলামপুর থানার পুলিশ। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকা থমথমে রয়েছে।

    আহত তৃণমূল সমর্থকের বক্তব্য

    পঞ্চায়েত সদস্যর স্ত্রী আহত আনজুমা খাতুন বলেন, “মূলত চাঁদার জন্য বাড়িতে এসে চড়াও হয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। পুরো বাড়িকে (Uttar Dinajpur) চারপাশ থেকে ঘেরাও করে নেয় খসিবুল আর ফজিররা। কিন্তু আমি কারণ জিজ্ঞেস করলে, আচমকা ওরা আমার গলা টিপে ধরে এবং সেই সঙ্গে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। যারা মেরেছে তারা জাহিদুল রহমানের লোক। আর আমরা হলাম আব্দুল হকের লোক। আমার স্বামী এই সময়ে আজমীর শরিফে গেছেন। আর এই সুযোগে গুন্ডারা আক্রমণ করে।” এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কথা জিজ্ঞাসা করলে পঞ্চায়েত সদস্যের স্ত্রী মেনে নেন যে এই মারামারির ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষের ফলেই ঘটনা ঘটেছে।

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য

    স্থানীয় বাসিন্দা তাজিমূল বলেন, “এলাকায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলে এই ঘটনা ঘটেছে। যারা মারধর করেছে তারা নব্য তৃণমূল, আর যাকে মেরেছে তারা হল আদি তৃণমূল। অনেক দিন ধরেই বিবাদ চলছে দলের মধ্যে। আজ বাড়িতে (Uttar Dinajpur) ঢুকে ছুরি দিয়ে গলা কাটার চেষ্টা করা হয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ জানাবো।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Tarapith: আজ শুক্লা চতুর্দশী, তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি, জেনে নিন মাহাত্ম্য কথা

    Tarapith: আজ শুক্লা চতুর্দশী, তারাপীঠে তারা মায়ের আবির্ভাব তিথি, জেনে নিন মাহাত্ম্য কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ শুক্লা চতুর্দশী কথিত আছে, শুক্লা চতুর্দশী তিথিতেই মা তারার আবির্ভাব হয়েছিল। এই আবির্ভাব দিবসে, মা তারাকে পুজো দেওয়ার ব্যাপক ভিড় তারাপীঠে (Tarapith)। সেই সঙ্গে তারা মায়ের ভক্তদের মধ্যে এই নিয়ে তীব্র উচ্ছ্বাস। এই দিনে মায়ের মন্দিরে পুজো দিলে মনোবাঞ্ছা পূরণ হয় বলে লোকবিশ্বাস রয়েছে।

    শুক্লা চতুর্দশীর মাহাত্ম্য কথা (Tarapith)

    পুরাণে কথিত আছে, জয় দত্ত নামে এক বণিক দ্বারকা নদীর উপর দিয়ে নৌকায় চড়ে বাণিজ্য করতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় তিনি তারাপীঠে নোঙর করেছিলেন। কিন্তু সেখানে সাপের কামড়ে তাঁর পুত্রের মৃত্যু হয়। বণিকের ভৃত্যরা রান্না করার জন্য একটি কাটা শোল মাছ পাশের পুকুরে ধুতে নিয়ে যায়। পুকুরের জলের সংস্পর্শে আসতেই, কাটা শোল মাছটি হঠাৎ জীবিত হয়ে পুকুরের গভীরে চলে যায়। ভৃত্যরা এই অলৌকিক ঘটনার কথা বণিককে জানায় এবং বণিক সর্পদংশনে মৃত তাঁর পুত্রকে সেই পুকুরের জলে স্নান করাতে শুরু করেন। তখন মৃত পুত্র আচমকা জয় তারা, জয় তারা উচ্চারণ করতে করতে বেঁচে উঠেন। বণিক বুঝতে পারেন, এই পুকুরে কোনও ঐশ্বরিক শক্তি আছে। বর্তমানে এই পুকুরটি ‘জীবিত কুণ্ড’ নামে খ্যাত। সেই রাতেই বণিক স্বপ্নে দেখা পান মা তারার। দিনটি ছিল শুক্লা চতুর্দশী। স্বপ্নে মাকে পেয়ে, এই দিনটিতেই তারাপীঠে (Tarapith) মা তারার পুজো শুরু করেন বণিক জয় দত্ত।

    বিরাম মঞ্চে অধিষ্ঠিত তারা মা

    শুক্লা চতুর্দশীর এই দিনটিকে তাই প্রাচীনকাল থেকেই মা তারার আবির্ভাব দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। বছরের এই একটি দিনে মা তারাকে গর্ভগৃহ (Tarapith) থেকে বের করে নিয়ে এসে, মন্দিরের সামনে থাকা বিরাম মঞ্চে অধিষ্ঠিত করা হয়। ফলে দিনভর সেখানেই মা তারাকে পুজো দিতে পারেন পুণ্যার্থীরা। সন্ধ্যায় আরতির পর, ফের মা তারাকে মূল মন্দিরে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে আজকের দিনে মা তারাকে দুপুরে কোনও ভোগ নিবেদন করা হয় না। তাই এই দিনটিতে মা তারার সেবাইতরাও উপবাস পালন করে থাকেন। সন্ধ্যায় ভোগ নিবেদনের পর উপবাস ভঙ্গ করেন মা তারা এবং ভক্তরাও তারপরে প্রসাদ গ্রহণ করেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Anubrata Mondal: উলটপুরাণ, থানায় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন অনুব্রতর ভাই, পুলিশ ফিরেও তাকাচ্ছে না!

    Anubrata Mondal: উলটপুরাণ, থানায় রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাচ্ছেন অনুব্রতর ভাই, পুলিশ ফিরেও তাকাচ্ছে না!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দৃশ্যটা ভাবুন। বীরভূমের এক সময়ের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ভাই বোলপুর থানার মেঝেয় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে কাতরাচ্ছেন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাতর আর্জি জানাচ্ছেন। সামনেই বসে দুই পুলিশকর্মী। তাঁরা যেন শুনেও শুনছেন না। এমনই দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বোলপুর, যে বোলপুরে পুলিশ অফিসারদের দাঁড় করিয়ে ধমক দিতে দেখা গেছে অনুব্রতকে। যে বোলপুরে এক সময় গাছের পাতা নড়তে গেলেও নাকি অনুব্রত মণ্ডলের অনুমতি লাগত। যে বোলপুরে অনুব্রতই ছিলেন শেষ কথা।

    কী ঘটনা ঘটেছিল?

    বর্তমানে গরু পাচার মামলায় তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal) তিহার জেলে বন্দি৷ বৃহস্পতিবার তাঁর ভাই সুমিত মণ্ডলকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ, অনুব্রত মণ্ডলের নিচুপট্টির বাড়ি সংলগ্ন বোলপুরের বাড়িপুকুরের কাছে বিসর্জনের সময় তাঁকে মারধর করে এলাকার দুই যুবক। মেরে তাঁকে রক্তাক্ত করে দেওয়া হয়। সেই অবস্থায় রাতেই বোলপুর থানায় আসেন তিনি। কিন্তু, থানায় লিখিত অভিযোগ করা সত্ত্বেও তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়নি পুলিশ, এমনটাই অভিযোগ৷ অনুব্রতর মণ্ডলের ভাই সুমিতের অভিযোগ, “থানায় এসে সবটা জানানো সত্ত্বেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি৷ অনুব্রত মণ্ডলের ভাই বলেই আমাকে মারধর করা হয়েছে। আর যেহেতু আমার দাদা তিহারে বন্দি, তাই পুলিশ অসহযোগিতা করছে। আমি প্রচণ্ড অসুস্থতা বোধ করছি৷ এটা বলার পরেও পুলিশ আমাকে হাসপাতালে নিচ্ছে না।” এদিন, থানার মধ্যেই রক্তাক্ত অবস্থায় দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকতে দেখা যায় অনুব্রত মণ্ডলের ভাই সুমিত মণ্ডলকে৷ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য চিৎকার করতে দেখা যায় তাঁকে। তাও তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যায়নি বোলপুর থানার পুলিশ৷ এমনকি, কর্তব্যরত অফিসারকে দেখা যায় পোশাকহীন অবস্থায় ডিউটি করতে।

    মেরে মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার অভিযোগ

    অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mondal) ভাই সুমিত মণ্ডল বলেন, “বিসর্জনের সময় কামরুল আলি ও আকাশ কুণ্ডু আমাকে আক্রমণ করে। আমাকে মেরে মাথা ফাটিয়ে দেয়। আমার দাদা আজ তিহারে বন্দি তাই আমাকে মারধর করেছে৷ আর তাই পুলিশ আমাকে অসহযোগিতা করছে৷”

    কী বললেন অনুপম হাজরা?

    এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, “রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রীর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এক সময়ের খুব কাছের ভাই এবং দক্ষ সংগঠক ছিলেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mondal)। সেই অনুব্রত মণ্ডলের ভাই রক্তাক্ত অবস্থায় থানার মেঝেতে পড়ে রয়েছেন এবং পুলিশ তাঁকে কোনও রকম সাহায্য করছে না। তাঁর কাতর আর্তিকে এক কথায় অবজ্ঞা করছে। এখান থেকে শিক্ষনীয় বিষয় একটাই, যারা বোলপুরে বা রাজ্যের অন্যত্র তৃণমূল কংগ্রেসটা করছেন, তাঁরা একটু ভেবেচিন্তে করবেন। কারণ মমতা কখন যে আপনার ওপর থেকে হাতটা তুলে নেবে, আপনি ধরতেও পারবেন না। উনি থাকতে ভয়ও নেই, ভরসাও নেই। এই ঘটনায় তা প্রমাণ হয়ে গেল।”

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Jyotipriya Mallick: পার্থর ‘অপা’র পর জ্যোতিপ্রিয়র ‘দোতারা’! শান্তিনিকেতনে ৬ কোটির বাংলো?

    Jyotipriya Mallick: পার্থর ‘অপা’র পর জ্যোতিপ্রিয়র ‘দোতারা’! শান্তিনিকেতনে ৬ কোটির বাংলো?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে শিক্ষক-নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সেই সময় জানা গিয়েছিল শান্তিনিকেতনে তাঁর ‘অপা’ বাংলোর কথা। এবার রেশন এবং খাদ্যবণ্টন দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। উল্লেখ্য, তিনি আগে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন। এবার তাঁরও ঝাঁ চকচকে বিলাসবহুল জোড়া বাড়ির সন্ধান মিলেছে শান্তিনিকেতেনে। বাড়ির নাম ‘দোতারা’, যার আনুমানিক বাজারমূল্য ৬ কোটি টাকা বলে অনেকেই মনে করছেন। সূত্রের খবর, এই বাড়ি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের মেয়ের নামে। এত বড় বিলাসবহুল বাংলোবাড়ি কি রেশনের আটা-গম-চাল বিক্রি করে তৈরি করে করেছেন তিনি? এখন এটাই তদন্তের মূল বিষয় ইডির কাছে।

    ১০ থেকে ১২ কাঠা জমির উপর দোতারা বাড়ি (Jyotipriya Mallick)

    সূত্রের খবর, শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে এই বিলাসবহুল জোড়া দোতলা বাড়ির খোঁজ পেয়েছে ইডি। দেড় কোটি টাকার বিনিময়ে মন্ত্রী এই বাড়ি কিনেছিলেন বলে জানা গিয়েছে। কিন্তু কেনার পর আরও বেশ কয়েক কোটি টাকা খরচ করে, বাড়িকে আরও চোখধাঁধানো করে তুলেছেন তিনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বাড়িতে শুধুমাত্র রং করতেই ৮৫ লাখ টাকা খরচ করেছেন মন্ত্রী। বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক পিছনেই, প্রায় ১০ থেকে ১২ কাঠা জমির উপর একটি বাড়ি নির্মিত হয়েছে এবং এই বাড়ির পিছনেই অপর বাড়িটি রয়েছে। সূত্রের খবর, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick) খুব একটা এই বাড়িতে না এলেও তাঁর মেয়ে প্রায়ই আসতেন। তবে বাড়িতে নিরাপত্তার কিছু কমতি নেই। নিরাপত্তারক্ষীর পাশাপাশি সিসিটিভিও নজরে এসেছে।

    মন্ত্রী তদন্তে অসহযোগিতা করেন বলে দাবি

    রেশন বণ্টন দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে গ্রেফতার হয়েছেন হাবড়া বিধানসভার বিধায়ক এবং তৃণমূলের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক (Jyotipriya Mallick)। সল্টলেকের বাড়িতে ম্যারাথন তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসবাদের পর তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি। উল্লেখ্য, মন্ত্রী তদন্তে অসহযোগিতা করেন বলে দাবি ইডির। অনেক প্রশ্নের উত্তর সঠিক ভাবে দেননি এবং দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে তাঁর বাড়ি থেকে। উল্লেখ্য, মন্ত্রীঘনিষ্ঠ বাকিবুর রহমানের ১০০ কোটি টাকার বেআইনি সম্পত্তির খোঁজ পেয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে যৌথ প্রয়াসে এত বড় দুর্নীতি হয়েছে কিনা, সেটাই তদন্ত করে দেখছেন অফিসাররা।        

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: “কান এসেছে, এরপর মাথাও আসবে”, জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর কী ইঙ্গিত দিলেন সুকান্ত?

    Jyotipriya Mallick: “কান এসেছে, এরপর মাথাও আসবে”, জ্যোতিপ্রিয়র গ্রেফতারির পর কী ইঙ্গিত দিলেন সুকান্ত?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শুক্রবার বালুরঘাটে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলনে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের (Jyotipriya Mallick) গ্রেফতারি নিয়ে ব্যাপক কটাক্ষ করলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “গ্রেফতার তো সময়ের অপেক্ষা ছিল। চোরেদের অনেক আগেই গ্রেফতার করা দরকার ছিল। যে বিপুল পরিমাণ সম্পত্তি বাকিবুরের কাছে পাওয়া গেছে, সম্পত্তি বলার থেকে রাজত্ব বলা ভালো, সেই সম্পত্তি বা রাজত্ব আদতে কার? কার সম্পত্তি বাকিবুরের নামে আছে, এর তদন্ত হওয়া প্রয়োজন। আমরা বহু চাল চুরির অভিযোগ পেয়েছি। বোঝাই যাচ্ছে যত চোর আরেস্ট হচ্ছে, চোরেদের ছটফটানিও ততই বাড়ছে। কান এসেছে, এরপর মাথাও আসবে।”

    এত সম্পত্তি কোথা থেকে? (Jyotipriya Mallick)

    বাড়ির খোঁজ পাওয়া প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তদন্ত হওয়া উচিত। আমরা বুঝতে পারছি না, জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকরা (Jyotipriya Mallick) কোন চাকরি বা কোন ব্যবসা করতেন যে এত টাকার সম্পত্তির মালিক এই কয়েক বছরে হয়ে গিয়েছেন। ছয় কোটি টাকার বাংলো তাঁর। আমার তো মনে হয় গরিব মানুষের ১০০ দিনের কাজের সব টাকা এদের অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে। এঁরাই চুরি করেছেন। সেই জন্য এই অবস্থা হয়ে আছে। এত টাকার সম্পত্তির মালিক, আর গরিব মানুষেরা টাকা পায় না।”

    কার্নিভাল নিয়ে কী বললেন?

    কার্নিভাল দেখার জন্য রাজ্যপালের কাছে কোনও আমন্ত্রণপত্র যায়নি। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়  ও তাঁর দলবল এই রাজ্যটা চালাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এ রাজ্যটাকে তাঁর পৈতৃক সম্পত্তি বলে মনে করেন। স্বাভাবিকভাবে তাঁর ইচ্ছে, তাঁর জমিদারি যেভাবে খুশি তিনি চালাবেন। রাজ্যপাল কেন, বিরোধী দলের কারোর আমন্ত্রণ নেই। পুজো মানে মা দুর্গা মমতা ব্যানার্জির জন্য পশ্চিমবঙ্গে আসেন, আর মমতা ব্যানার্জির কাছ থেকে পারমিশন নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ থেকে চলে যান। কার্নিভালটা তিনি এইভাবেই তৈরি করেছেন। আগে তো আর দুর্গাপুজো হত না, মমতা ব্যানার্জি আসার পর দুর্গাপুজো হচ্ছে! উনি এইভাবে চালাতে চাইছেন। রাজ্যের মানুষ সমস্ত কিছু দেখছেন। সময় আসছে। রাজ্যের মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিতে জুতো দিয়ে বাড়ি মারবে।

    পাশাপাশি এদিন বালুরঘাট ব্লকের উত্তরবঙ্গের ঐতিহ্যবাহী বোল্লা মন্দিরে বোল্লা মায়ের কাঠামো পুজোতে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Kojagari Laxmi Puja: আজ লক্ষ্মীপুজো, জেনে নিন কেন এই পুজোকে ‘কোজাগরী’ বলা হয়

    Kojagari Laxmi Puja: আজ লক্ষ্মীপুজো, জেনে নিন কেন এই পুজোকে ‘কোজাগরী’ বলা হয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘‘এসো মা লক্ষ্মী বসো ঘরে, আমার এ ঘরে থাকো আলো করে’’-এই ছন্দেই বাঙালি ধনদেবীর আরাধনা করে থাকে। দেবীকে এই রীতিতে আবাহন করার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মী (Kojagari Laxmi Puja) পুজোর মাহাত্ম্য। শারদীয়া দুর্গাপুজোর অন্তে পূর্ণিমা তিথিতে পুজো হয় দেবী লক্ষ্মীর। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের কাছে তিনি ধন, ঐশ্বর্য, সমৃদ্ধি, সুখ, শান্তি প্রদানকারী দেবী। বাংলার গৃহস্থ থেকে সমাজের বণিক বা ব্যবসায়ী, প্রত্যেকের কাছেই সাদরে পূজিতা হন দেবী। প্রতিমা ছাড়া শুধুমাত্র ঘট এবং অন্যান্য প্রতীকের মাধ্যমেও অনেক গৃহে দেবীর উপাসনা হয়। দুর্গাপুজোর মণ্ডপগুলিতেও কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো নিশ্চয়ই আমাদের দৃষ্টি এড়ায় না। গ্রাম বাংলায় ধানের গোলা সমেত মাটির দেওয়ালের বাড়ি এখন আর সেভাবে দেখা যায় না। লক্ষ্মীপুজো (Kojagari Laxmi Puja) উপলক্ষে গোবরের গোলা এবং আলপনায় এই মাটির বাড়িগুলোই যেন সবথেকে বেশি প্রাণবন্ত হয়ে উঠত।

    ‘কোজাগরী’ কেন বলা হয়?

    এবার আসা যাক, ‘কোজাগরী’ শব্দের আক্ষরিক বিশ্লেষণে। কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি সংস্কৃত শব্দ ‘কো জাগতী’ থেকে। এর অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ বিশ্বাস মতে, কোজাগরী লক্ষ্মীপুজোর (Kojagari Laxmi Puja) দিনে ধন-সম্পদ-ঐশ্বর্য এর দেবী লক্ষ্মী স্বর্গ থেকে মর্ত্যে অবতীর্ণ হন এবং প্রতিটি ভক্তের বাড়ি গিয়ে সুখ, সমৃদ্ধি  প্রদান করেন। কথিত আছে, এ ক্ষেত্রে যে বাড়ির দরজা খোলা থাকে, একমাত্র সেই বাড়িতেই প্রবেশ করেন দেবী। কারও বাড়ির দরজা বন্ধ থাকলে, তাঁর বাড়িতে লক্ষ্মী প্রবেশ করেন না ও সেখান থেকে ফিরে চলে যান। এ কারণে লক্ষ্মীপুজোর রাতে জেগে থাকার রীতি প্রচলিত আছে। সারা রাত জেগে লক্ষ্মী আরাধনাই এই পুজোর বিশেষ বৈশিষ্ট্য। এখানেই ‘কোজাগরী’ শব্দ এই লক্ষ্মীপুজোর সঙ্গে সম্পর্কিত হয়ে ওঠে। বাংলার প্রতিটি ঘর শঙ্খধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে, প্রদীপের আলোতে সুসজ্জিত থাকে।

    পুজোর বিভিন্ন রীতি

    প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, দুর্গাপুজোর পরে এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে যে ব্যক্তি জেগে পাশা খেলেন, দেবী লক্ষ্মী (Kojagari Laxmi Puja) তাঁকে ধনসম্পদ দান করেন। মূর্তি ছাড়াও নানান প্রতীকের মাধ্যমে দেবীকে কল্পনা করে পুজো করা হয়, এই বিশেষ পূর্ণিমার রাতে। গৃহস্থরা এই প্রতীকগুলির ভিন্ন ভিন্ন নামকরণও করেছেন, যেমন আড়ি লক্ষ্মী। এ ক্ষেত্রে ধান ভর্তি ঝুড়ির ওপর কাঠের লম্বা দুটি সিঁদুর কৌটো লালচেলিতে মুড়ে লক্ষ্মীর রূপ দেওয়া হয়। “বাণিজ্যে বসতে লক্ষ্মী”-বাণিজ্যের উপর মা লক্ষ্মীর কৃপা দৃষ্টি পেতে আবার কোন বণিক না চায়! তাই কলার পেটোর তৈরি নৌকা লক্ষ্মী আরাধনার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এগুলিকে সপ্ততরী বলা হয়। বাণিজ্যিক নৌকার প্রতীক এই সপ্ততরী। অনেকেই পুজোর সময় এই সপ্ততরীতে টাকা, শস্য, হরিতকি, কড়ি, হলুদ রাখেন।

    লক্ষ্মীপুজো করলে কী কী ফল মেলে?

    পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় লক্ষ্মীসরা আঁকা হয়। বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ভেদে এই সরায় অঙ্কিত পুতুলের সংখ্যাও বদল হয়ে যায়। কোথাও তিনটি, কোথাও পাঁচটি, কোথাও সাতটি পুতুল আঁকা হয়। এতে থাকে লক্ষ্মী, জয়া ও বিজয়া-সহ লক্ষ্মী, রাধাকৃষ্ণ, সপরিবার দুর্গা ইত্যাদি। সুরেশ্বরী সরা নামক এক প্রকারের সরা দেখা যায়, যেখানে মহিষাসুরমর্দিনী অর্থাৎ মা দুর্গা আঁকা থাকে। আর এই সরার নীচের দিকে থাকেন সবাহন লক্ষ্মী (Kojagari Laxmi Puja)। আবার কলার বের ও লক্ষ্মীর মুখ সমন্বিত পোড়া মাটির ঘটকেও লক্ষ্মী রূপে কল্পনা করে পুজো করা হয়। এই ঘটে চাল বা জল ভরে সেটিকে লক্ষ্মী কল্পনা করে পুজো করা হয়। অনেক জায়গায় গৃহস্থ কত্রীরা নিজেরাই এই পুজো করতে পারেন৷ শ্বেতপদ্ম ও শ্বেতচন্দন দ্বারা দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করা হয়। নৈবেদ্যতে ফলমূল তো রাখতেই হয়, বিশেষ ভাবে থাকে চিঁড়ে এবং নারকেল। আতপ চাল তো লাগেই। ঘরে ঘরে আলো জ্বেলে রাখা হয়। ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে যে ঘরে আলো জ্বলে সেখানেই মা লক্ষ্মী পা রাখেন। মা লক্ষ্মীর ঘটের সামনে কড়ি রাখা হয়। প্রতিটি দ্বারে আলপনা দেন গৃহস্থ কত্রীরা। লক্ষ্মী দেবীর ১০৮ নাম জপ করলে এবং কোজাগরী পূর্ণিমার দিন লক্ষ্মী পাঁচালি পড়লে সৌভাগ্যের উদয় হয় , গৃহে সুখ, শান্তি, ধন, সম্পত্তি আসে বলেই ভক্তদের বিশ্বাস রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: ২০২৪-এর মার্চের মধ্যে সমস্ত গ্রামে বসাতে হবে মোবাইল টাওয়ার, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    Narendra Modi: ২০২৪-এর মার্চের মধ্যে সমস্ত গ্রামে বসাতে হবে মোবাইল টাওয়ার, নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ২০১৪ সালে ক্ষমতার আসার পরপরই নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শুরু করেন ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচি। ডিজিটাল ইন্ডিয়া কর্মসূচিতে অনলাইনে লেনদেন এতটাই জনপ্রিয় হয় যে জি২০ সম্মেলনে ভারতে এসে জার্মানির মন্ত্রীও মোদির (Narendra Modi) ভূয়সী প্রশংসা করেন। এবার দেশের প্রত্যন্ত গ্রামগুলিতে ২০২৪ সালের মার্চ মাসের মধ্যে বসতে চলেছে মোবাইল টাওয়ার। মোদি সরকারের এই কর্মসূচি বাস্তবায়িত হলে ইন্টারনেট পরিষেবা ঠিকঠাক মতো মিলবে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রকল্পগুলির ভরপুর সুবিধা দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছানো আরও সহজ হবে। প্রসঙ্গত, দেশের কোনায় কোনায় মোবাইল পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য একটি বিশেষ পোর্টালও চালু করেছে মোদি সরকার। ‘গতিশক্তি সঞ্চার’ নামে ওই পোর্টালের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ভাবে মোবাইল টাওয়ার বসানোর অনুমোদন দেওয়া হয়।

    উদ্যোগী খোদ প্রধানমন্ত্রী

    খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত বৃহস্পতিবারই পিএম-প্রগতি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই গ্রামাঞ্চলে মোবাইল টাওয়ার বসতে দেরি কেন হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। আধিকারিকরা তখন জমি সমস্যার কথা তুলে ধরেন। জানা গিয়েছে,  এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী (Narendra Modi) বাঁধ প্রকল্পেরও তুলনা টানেন এবং বলেন, ‘‘বাঁধ নির্মাণের ক্ষেত্রে অনেকেই জমি দিতে চান না। বাধা সৃষ্টি করেন। তবে মোবাইল টাওয়ার বসানোর ক্ষেত্রে এমন বাধা থাকে না।’’ তাহলে এত দেরি হচ্ছে কেন? এ নিয়ে আধিকারিকদের জবাবও তলব করেন প্রধানমন্ত্রী।

    প্রসঙ্গ বাঁধ ও সেচব্যবস্থা

    এর পাশাপাশি ওই বৈঠকে বাঁধ ও সেচব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার সময় মহারাষ্ট্র এবং ঝাড়খন্ডে সেই সংক্রান্ত প্রকল্পগুলির বিষয়ে জানতে চান প্রধানমন্ত্রী। জলসম্পদ মন্ত্রকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের সঙ্গে সমন্বয়ে রেখেই প্রকল্পগুলিকে শেষ করতে হবে।’’ বাঁধ নির্মাণের সঙ্গে খাল কাটার উপর জোর দেন নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। সেচ প্রকল্পের ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী এদিন পরামর্শ দেন যে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোতে পুনর্বাসন দিতে হবে এবং প্রকল্পের জন্য যাদের জমি যাচ্ছে তাঁদের সেই এলাকাও দেখাতে হবে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    Jyotipriya Mallick: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রেশন দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার করা হল রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে (Jyotipriya Mallick)। বৃহস্পতিবার প্রায় ২১ ঘণ্টা ধরে তাঁর বাড়িতে তল্লাশি চালায় ইডি। এরপরেই রাত ৩:২০ নাগাদ তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে যায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের আধিকারিকরা। প্রসঙ্গত, পুজোর আগে রেশন দুর্নীতি মামলায় বাকিবুর রহমান নামে এক রেশন ডিলার গ্রেফতার হন। তারপরে পুজো শেষ হতেই রেশন দুর্নীতির তদন্তে দ্বাদশীর দিন সাতসকালে মন্ত্রীর বাড়িতে পৌঁছায় ইডি। তাঁর সল্টলেকের দুটি বাড়িতে তল্লাশি চালাতে থাকেন কেন্দ্রীয় সংস্তার আধিকারিকরা। পরে বেনিয়াটোলে তাঁর পৈত্রিক বাড়িতেও উপস্থিত হন কেন্দ্রীয় সংস্থার অন্য একটি টিম। এর পাশাপাশি মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক অমিত দের বাড়িতেও তল্লাশি অভিযান চলে তবে মন্ত্রী আপ্তসহায়কের বাড়ি থেকে রাত বারোটা নাগাদই বেরিয়ে যান ইডি আধিকারিকরা।

    গ্রেফতারির ঘটনাক্রম

     রাত যত বাড়তে থাকে মন্ত্রীর (Jyotipriya Mallick) বাড়ির সামনে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সংখ্যাও বাড়তে থাকে। সূত্রের খবর , রাত ২টোর পর থেকেই গ্রেফতারির তোড়জোড় শুরু হয়। রাত ঠিক ২:৪৫ মিনিটে জ্যোতিপ্রিয় বাড়ির সামনে প্রস্তুত হয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাত ২:৫৫ মিনিট নাগাদ ইডির গাড়ি আসে মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয়র বাড়ির সামনে। রাত ৩:২০ নাগাদ মন্ত্রীকে বাড়ির ভিতর থেকে বের করা হয়। কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তায় তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সের দিকে নিয়ে যায় ইডি।

    শুক্রবারই আদালতে পেশ করা হবে মন্ত্রীকে 

    শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গত বছরের জুলাই মাসে তৎকালীন মমতা মন্ত্রিসভার সদস্য পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এবার ফের রাজ্যের আর এক মন্ত্রী কেন্দ্রীয় সংস্থার জালে। স্বাভাবিক ভাবেই এনিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিরোধী শিবির। জানা গিয়েছে শুক্রবারই আদালতে পেশ করা হবে জ্যোতিপ্রিয়কে। তার আগে বর্তমানে সিজিও কমপ্লেক্সে চলছে মন্ত্রীর জেরা পর্ব। নিয়োগ দুর্নীতি, গরু পাচার, কয়লা পাচারের মতো একাধিক অভিযোগে এর আগে বিদ্ধ হয়েছে রাজ্যের শাসক দল। এবার শাসক দলের রেশন বণ্টনের দুর্নীতিও সামনে এল। বছর ঘুরলেই রয়েছে লোকসভা ভোট তার আগে বেশ বেকায়দায় শাসক দল।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share