Author: user

  • Raiganj: ‘ডাইনি’ অপবাদে আদিবাসী বধূকে বেধড়ক মার, বাড়িতে তাণ্ডব, পুলিশ কী করছে?

    Raiganj: ‘ডাইনি’ অপবাদে আদিবাসী বধূকে বেধড়ক মার, বাড়িতে তাণ্ডব, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রামের লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আর পিছনে রয়েছে ডাইনি। সেই ডাইনি অপবাদ দিয়ে এক আদিবাসী বধূকে বেধ়ড়ক মারধর করে ঘরছাড়া করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের (Raiganj) পশ্চিম মনোহরপুরের ঋষিপুর গ্রামে। বুধবার সন্ধেয় আতঙ্কিত ওই আদিবাসী দম্পতি নিরাপত্তার আর্জি জানিয়ে রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন। স্থানীয় মিঠুন হেমব্রম-সহ পাঁচ আত্মীয়ের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন আক্রান্ত আদিবাসী দম্পতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Raiganj)

    সপ্তমী থেকে রায়গঞ্জের (Raiganj) পশ্চিম মনোহরপুরের ঋষিপুর গ্রামে বিভিন্ন অসুখে একাধিক বাসিন্দা আক্রান্ত হয়ে ঘরবন্দি জীবন কাটাচ্ছেন। কেউ কেউ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ছুটছেন। এই অবস্থায় স্থানীয় গ্রামবাসীদের একাংশের ধারণা, গ্রামে ‘ডাইনি’ এসেছে’। তার জন্যই অসুস্থ হচ্ছে্ন গ্রামের বাসিন্দারা। তারপর দুদিন আগে এক অসুস্থ মহিলার চিকিৎসার জন্য এক ওঝা গ্রামে আসেন। মূলত তারপরই ঘটনার সূত্রপাত। শাশুড়িকে সঙ্গে নিয়ে বাড়িতে ছিলেন আদিবাসী বধূ। সেইসময় হঠাৎ হুড়মুড় করে তাঁর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ঘটনার সময় বধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। তবে, অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এদিনই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ।

    নির্যাতিতা বধূর কী বক্তব্য?

    নির্যাতিতা আদিবাসী বধূর বক্তব্য, দুষ্কৃতীরা যেভাবে বাড়িতে ঢুকে ঘরের দরজা ভাঙচুর করে, আমার হাতে, পিঠে আঘাত করে মেরে ফেলার হুমকি দেয়, তার পর থেকে আর ঘরে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। আমরা পুরোপুরি সুস্থ, অথচ আমাদের জন্য নাকি গ্রামের বিভিন্ন লোকজন অসুস্থ হয়ে পড়ছে। দুদিন আগে এক ওঝা এসে আমার বউদিকে বলেছে। তার পর থেকেই জ্যাঠার ছেলেমেয়েরা ও বউদি আমাদের ডাইনি বলে বাড়িতে ঢুকে হামলা চালাচ্ছে। খুন করার চক্রান্ত করছে। এই অবস্থায় নিজের বাড়িতে থাকতেই ভয় করছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি কর্মীকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগ উঠল তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার শান্তিপুরের (Shantipur) বড় জিয়াকুর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম অধীর সরকার। তিনি বিজেপির বুথ কমিটির সহ-সভাপতি ছিলেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?(Shantipur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার সন্ধ্যায় শান্তিপুর (Shantipur) ব্লকের আরবান্দি দু’নম্বর পঞ্চায়েত এলাকায় বেশ কিছু দুর্গা প্রতিমা নিয়ে শোভাযাত্রা বের হয়, আর সেখানেই অংশগ্রহণ করেছিলেন ওই বিজেপি কর্মী অধীরবাবু। শোভাযাত্রা শেষে তিনি বাড়ি ফিরছিলেন। তখনই বড় জিয়াকুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় হঠাৎই দুষ্কৃতীরা তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারধর করে, ঘটনাস্থলে লুটিয়ে পড়েন তিনি। শান্তিপুর থানার পুলিশ গিয়ে আহত বিজেপি কর্মীকে উদ্ধার করে শান্তিপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পরেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। হাসপাতালের ভিতরেই পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। পরবর্তীতে মৃত বিজেপি কর্মীকে হাসপাতাল থেকে উদ্ধার করে শান্তিপুর থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। এরপর রাতেই মৃতদেহ মর্গে পাঠানো নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ফের পুলিশের কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তারপর পরিস্থিতি উত্তেজিত হয়ে উঠলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় ধস্তাধস্তি। পরে, বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

    বিজেপি নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    শান্তিপুর (Shantipur) পঞ্চায়েত সমিতির বিজেপির সহকারী সভাপতি চঞ্চল চক্রবর্তী বলেন, অধীর আমাদের দলের ভালো সংগঠক। স্থানীয় বুথ কমিটির সহ সভাপতি। এলাকায় নিজেদের আধিপত্য ফিরে পেতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করেছে। অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করতে হবে। নাহলে গোটা শান্তিপুর জুড়ে দফায় দফায় বিক্ষোভ করা হবে। কারণ, এভাবে দলীয় কর্মীদের খুন করে বিজেপিকে শেষ করা যাবে না। অন্যদিকে, বিজেপির আনা অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    Jadavpur University: যাদবপুরে পড়ুয়ার মৃত্যু, ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় চার্জশিট জমা পুলিশের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) প্রথম বর্ষের এক পড়ুয়ার মৃত্যুকে কেন্দ্র করে তোলপাড় হয় রাজ্য। অভিযোগ, র‌্যাগিং-এর নামে শারীরিক এবং মানসিকভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল ওই ছাত্রকে। এই ঘটনায় যৌন হেনস্তারও অভিযোগ সামনে আসে। এবার যাদবপুরকাণ্ডে (Jadavpur University) ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট জমা দিল কলকাতা পুলিশ। জানা গিয়েছে, আলিপুর আদালতে জমা দেওয়া ওই  চার্জশিটে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা, পক্সো এবং র‍্যাগিং-এর বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। পাশাপাশি তদন্তে যদি আরও কিছু উঠে আসে, তখন সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিট পেশের আবেদনও করা হয়েছে।

    কলকাতা পুলিশ জমা দিল চার্জশিট

    পুলিশের দেওয়া ওই চার্জশিট অনুযায়ী, হস্টেলে প্রথম দিন থেকেই প্রথম ওই পড়ুয়াকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল। যার জেরেই প্রথম বর্ষের (Jadavpur University) ওই ছাত্র আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। জানা গিয়েছে, পুজোর ছুটি চলায় বিচারকের কাছে এখনও পর্যন্ত চার্জশিট পৌঁছায়নি। নিয়ম অনুযায়ী, চার্জশিট হাতে পেয়ে প্রথমে বিচারক গ্রহণ করেন এবং পরে মামলার শুনানি শুরু হয়। ঘটনার ৬৯ দিনের মাথায় আলিপুরের বিশেষ পক্সো আদালতের বিচারক সুদীপ্ত ভট্টাচার্যের এজলাসে এই চার্জশিট  পেশ করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। যে সমস্ত অভিযোগ ধৃত ১২ জনের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে, তা প্রমাণিত হলে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন অথবা ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড হতে পারে।

    ২৫০ পাতার চার্জশিটে রয়েছে ৪০ জনের সাক্ষ্য

    চলতি বছরের অগাস্ট মাসে যাদবপুরে (Jadavpur University) হস্টেলের বারান্দা থেকে পড়ে যান প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়া। সেখান থেকে সম্পূর্ণ উলঙ্গ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে পরের দিন ভোরেই মৃত্যু হয়। এই ঘটনায় র‍্যাগিং-এর অভিযোগ ওঠে মেন হস্টেলের বর্তমান পড়ুয়া এবং প্রাক্তনদের বিরুদ্ধে। পরবর্তীকালে পুলিশ তদন্তে নেমে ১২ জনকে গ্রেফতার করে। ধৃত ১২ জনই আদালতের নির্দেশে এখনও জেলেই রয়েছেন অগাস্ট মাস থেকে। প্রত্যেক অভিযুক্তই বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন হস্টেলের আবাসিক ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। জানা গিয়েছে, ১২ জনের মধ্যে ৬ জন বর্তমান পড়ুয়া এবং ৬ জন প্রাক্তনী রয়েছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ৩০৫ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালতে জমা দেওয়া চার্জশিট ২৫০ পাতারও বেশি বলে জানা গিয়েছে। তাতে প্রায় ৪০ জন সাক্ষীর বয়ান রয়েছে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা, আমন্ত্রণ মোদিকে, ‘‘আমি ধন্য’’, ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

    Ram Mandir: ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে মূর্তি প্রতিষ্ঠা, আমন্ত্রণ মোদিকে, ‘‘আমি ধন্য’’, ট্যুইট প্রধানমন্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আগামী ২২ জানুয়ারি রামমন্দিরে (Ram Mandir) বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করা হবে। বুধবার ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমন্ত্রণ জানানো হল। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বাড়িতে ‘শ্রীরাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট’-এর সদস্যরা হাজির হন আমন্ত্রণপত্র নিয়ে। যা নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পোস্টও করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর

    রামমন্দিরের (Ram Mandir) বিগ্রহ প্রতিষ্ঠার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে অভিভূত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন, “জয় সিয়ারাম! আজ খুবই আবেগঘন দিন। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের আধিকারিক আমার বাসভবনে এসে আমার সঙ্গে দেখা করেন। তিনি অযোধ্যায় শ্রী রাম মন্দিরে (Ram Mandir) বিগ্রহ অধিষ্ঠানের অনুষ্ঠানে আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। আমি নিজেকে খুব আশীর্বাদধন্য মনে করছি। এটা আমার সারাজীবনের সৌভাগ্য যে, এই ঐতিহাসিক অনুষ্ঠানে আমি সাক্ষ্য থাকব।”

    প্রসঙ্গ রামমন্দির

    প্রসঙ্গত, গত ২১ অক্টোবর রামজন্মভূমি (Ram Mandir) প্রাঙ্গণ পরিদর্শন করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। ওই দিন তিনি নির্মাণকার্য তত্ত্বাবধান করেন। সেখানেই যোগী আদিত্যনাথ বলেন, ‘‘জানুয়ারি মাসে মন্দির নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। আমরা এই মন্দির নির্মাণের সবকিছু দীপাবলির আগেই শেষ করতে চেষ্টা করছি। দেশবাসীর জন্য গর্বের মুহূর্ত আসতে চলেছে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে।’’ ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করবেন বলেও জানান যোগী আদিত্যনাথ। প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ত্রিপুরা রাজ্যে ভোট প্রচারে গিয়ে অমিত শাহ ঘোষণা করেছিলেন, অযোধ্যার রামমন্দির (Ram Mandir) নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হবে ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারির মধ্যে। ২০১৯ সালের নভেম্বরে রামমন্দির নির্মাণের পক্ষে রায় দেয় সুপ্রিম কোর্ট। ২০২০ সালের ৫ অগাস্ট রামমন্দিরের ভূমি পুজো করেন প্রধানমন্ত্রী। এবার ২০২৪ সালে দরজা খুলে যাচ্ছে মন্দিরের।

    মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুরোধ মোদিকে

    জানুয়ারি মাসেই রামমন্দিরের (Ram Mandir) উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। অন্যদিকে ওই দিনই অযোধ্যাতে মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানাল মুসলিম পক্ষ। প্রসঙ্গত, অযোধ্যার ধন্নিপুরে তৈরি হবে ওই মসজিদ। রাম মন্দির থেকে মসজিদের দূরত্ব হবে ২০ কিলোমিটার। এ প্রসঙ্গে ভারতীয় মুসলিম লিগের সভাপতি মহম্মদ ইসমাইল আনসারি বলেন, ‘‘অযোধ্যায় একটি শুভ অনুষ্ঠান উপলক্ষে আসছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি। সেই কারণে ওই দিনই মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছি, এটাই আমাদের আন্তরিক ইচ্ছা।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ। 

  • Siachen Mobile Connectivity: বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে মিলবে মোবাইল পরিষেবা, সিয়াচেনে বসল টাওয়ার

    Siachen Mobile Connectivity: বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রে মিলবে মোবাইল পরিষেবা, সিয়াচেনে বসল টাওয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় মাইনাস ৪০ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে সিয়াচেনে (Siachen Mobile Connectivity) বেশ কয়েক বছর আগেও মোবাইল পরিষেবা কার্যত অসম্ভব মনে হত। মোদি জমানায় সেই অসম্ভবই সম্ভব হল। সিয়াচেনে বসল মোবাইল টাওয়ার। বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্র সিয়াচেনের কর্মরত জওয়ান এবং অফিসাররা মোবাইলের মাধ্যমে কথা বলতে পারবেন পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে এবং ভারতীয় সেনার বেস ক্যাম্পে। মোবাইল পরিষেবার (Siachen Mobile Connectivity) মাধ্যমে সীমান্তে সেনাবাহিনীর মধ্যে সমন্বয় এবং যোগাযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্রে এই পরিষেবা অপরিহার্য বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। চিন এবং পাকিস্তানের সঙ্গে সীমান্ত সংঘাত কমবেশি সারা বছর ধরেই লেগে থাকে। সেই আবহে সীমান্তের মোবাইল পরিষেবা চালু অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

    সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রথম মোবাইল টাওয়ার

    গত ৬ অক্টোবর সীমান্তে সিয়াচেনে মোবাইল ফোন পরিষেবা চালু করে ভারতীয় সেনা। জানা গিয়েছে, সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৫ হাজার ফুট উচ্চতায় প্রথম মোবাইল টাওয়ার (Siachen Mobile Connectivity) ও বেস ট্রান্সিভার স্টেশন (বিটিএস) বসিয়েছেন ভারতীয় জওয়ানরা। মোবাইল পরিষেবা চালুর ক্ষেত্রে ভারতীয় সেনাকে সাহায্য করেছে বিএসএনএল। জানা গিয়েছে, সিয়াচেনের এক অংশে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছিল ভারতীয় সেনা। শত্রুরা যাতে কোনওভাবেই সিয়াচেন দখল করতে না পারে, সেজন্যই এই ব্যবস্থা। সেই ল্যান্ডমাইনের স্থানকে পরিষ্কার করে মোবাইল ফোনের টাওয়ার বসানো হয়েছে। তবে মোবাইল টাওয়ার বসলেও সতর্কই থাকতে চাইছে ভারতীয় সেনা। কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে, মোবাইল ফোন হ্যাকও করতে পারে পাক ও  চিনা হ্যাকাররা।

    এক্স হ্যান্ডেলে সেনার পোস্ট 

    ইতিমধ্যে সামনে এসেছে ভারতীয় সেনার ফায়ার অ্যান্ড ফিউরি কোরের এক্স (সাবেক ট্যুইটার) হ্যান্ডেলের একটি পোস্ট। সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘৬ অক্টোবর বিএসএনএল-র সাহায্যে সিয়াচেনের যোদ্ধারা বিশ্বের সর্বোচ্চ যুদ্ধক্ষেত্রের ফরওয়ার্ড পোস্টে বিটিএস তৈরি করেছেন। এর জেরে সাড়ে ১৫ হাজার ফুটের বেশি উচ্চতায় মোতায়েন থাকা সৈনিকরা মোবাইল (Siachen Mobile Connectivity) ফোন পরিষেবা ব্যবহার করতে পারবেন।’’ 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ২৬/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ২৬/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) দিনের প্রথম অংশ অনাবশ্যক দৌড়ঝাঁপে কেটে যাবে। দুপুরের পর সঠিক পরিণাম পাবেন।

    ২) ঋণ নেওয়া বা অন্যান্য আর্থিক কাজের জন্যও আজকের দিনটি উপযুক্ত।

    বৃষ

    ১) চাকরিজীবীরা তাড়াহুড়োয় ভুল কাজ করে ফেলবেন।

    ২) অধিক পরিশ্রমের ফলে আর্থিক লাভ অর্জন করতে পারবেন।

    মিথুন

    ১) পরিকল্পনা মাঝপথে আটকে যেতে পারে।

    ২) দুপুরে কম আয়ের আশা। ব্যয় একই থাকবে।

    কর্কট

    ১) দুপুরের আগে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন করুন। তার পর সাফল্য লাভ না-ও করতে পারেন।

    ২) ছোটখাট গাফিলতির কারণে বড়সড় সমস্যা হতে পারে।

    সিংহ 

    ১) শারীরিক দিক দিয়ে সুস্থ থাকায় কর্মক্ষেত্রে লাভ হবে। প্রতিযোগিতা বেশি হওয়া সত্ত্বেও আপনার লাভের সম্ভাবনা কোনও অংশেই কমবে না।

    ২) সময়ের মধ্যে ও প্রয়োজনের চেয়ে বেশি অর্থ আগমন হবে। তবে ভুল বা ঋণ নেওয়ার কারণে বিবাদ বাধতে পারে। বন্ধু ও আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাবেন।

    কন্যা

    ১) পারিবারিক জটিলতার কারণে কর্মক্ষেত্রেও চিন্তিত থাকবেন।

    ২) মানসিক অস্থিরতার কারণে খোলাখুলি কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারবেন না।

    তুলা 

    ১) গরম মেজাজের কারণে ছোটখাট কথাকেও গম্ভীর ভাবে বিশ্লেষণ করবেন। যার ফলে সম্পর্কে তিক্ততা দেখা দেবে।

    ২) কর্মক্ষেত্রে সহকর্মীদের কর্মকৌশল পছন্দ করবেন না। কথাবার্তায় ভুল ধরার ফলে কাজে বিলম্ব হতে পারে।

    বৃশ্চিক

    ১) অসুস্থতার কারণে গাফিলতি করবেন, যার ফলে উচিত লাভ থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন।

    ২) পরোপকারের স্বভাব থাকলেও মনের মধ্যে স্বার্থ কাজ করবে। স্বার্থপূর্ণ কাজ আপনি বারণ করতে পারবেন না, আবার অপ্রয়োজনীয় কাজে আপনার কোনও রুচি থাকবে না।

    ধনু

    ১) কোনও বাধার কারণে আপনাদের সংকল্প পূরণ হবে না। তবে পরিশ্রম করতে পিছপা হবেন না।

    ২) গাফিলতি করলে ভবিষ্যতের লাভের সুযোগ হারিয়ে ফেলতে পারেন।

    মকর

    ১) আর্থিক দিক দিয়ে আজকের দিনে ওঠাপড়া থাকবে। তবে দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সহজে অর্থ সংস্থান করতে পারবেন।
     
    ২) দিনের মধ্যভাগে ব্যবসায়ীদের প্রকল্প পুরো হওয়ায় আর্থিক লাভ হবে।

    কুম্ভ

    ১) দিনের শুরু থেকেই লোকসানের আশঙ্কায় কাজ করতে ভয় পাবেন।

    ২) আজ কোনও বড়সড় সিদ্ধান্ত নেবেন না। তাড়াহুড়োয় লোকসান হতে পারে।

    মীন

    ১) সামাজিক ও ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে আপনার চিন্তাভাবনা সকলে পছন্দ করবে। অন্যেরা আপনার কথাকে অধিক গুরুত্ব দেবে।

    ২) পরিশ্রম অনুযায়ী লাভ কম হওয়ায় হতাশ হবেন। তবে কোনও না-কোনও ভাবে কাজ চালানোর মতো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Katwa: দশমীর পর নীলকন্ঠ পাখির সামনে সিঁথিতে সিঁদুর পরেন গ্রামের বধূরা, কোথায় জানেন?

    Katwa: দশমীর পর নীলকন্ঠ পাখির সামনে সিঁথিতে সিঁদুর পরেন গ্রামের বধূরা, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেবী পক্ষে সেই কৈলাশ থেকে মর্তে বাপের বাড়িতে এসেছিলেন মা দুর্গা। মর্তবাসী চারদিন ধরে জাঁকজমকভাবে তাঁর পুজোপাঠ করেছেন। দেবী ফিরে যাবেন কৈলাশে। এই বিশেষ দিনে যার দর্শন পাওয়া অত্যন্ত সৌভাগ্যের বলে মানা হয়ে থাকে, তা হল নীলকন্ঠ পাখি। পোষ্য সেই নীলকন্ঠ পাখিকে সঙ্গে করে নিয়ে এদিন পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার (Katwa) মুস্থূলী  ও ঘোড়ানাশ গ্রামের বাড়ি বাড়ি গিয়ে দর্শন করালেন বধূ বাণী রায়। ওই পাখির কপালে সিঁদুর পরিয়ে দিয়ে তারপর এই দুই গ্রামের গৃহস্থ পরিবারের বধূরা ও বাণীদেবী একে অপরের সিঁথিতে সিন্দুর পরিয়ে দিলেন। বাণী রায়ের দৌলতে এভাবেই বছরের পর বছর দশমীর পর নীলকন্ঠ পাখির দর্শন পেয়ে আসছেন মুস্থূলী  ও ঘোড়ানাশ গ্রামের বাসিন্দারা।

    দশমীর দিনে দুটি নীলকন্ঠ পাখিকে ওড়ানো হয়

    এই ’নীলকন্ঠ পাখিকে নিয়ে হিন্দুদের ভক্তিভাব ও আবেগের অন্ত নেই। পাখিটির পোষাকি নাম ‘ইন্ডিয়ান রোলার’। আর বিজ্ঞানসম্মত নাম হল ‘কোরাসিয়াস বেনঘালেনসিস’। হিন্দুদের কাছে পাখিটির আদরের নাম নীলকন্ঠ। দুর্গাপুজোর সঙ্গে গভীর সম্পর্ক জড়িয়ে রয়েছে এই পাখির। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুয়ায়ী, নয় দিন মর্তে বাপের বাড়িতে কাটিয়ে দশমীর দিনে গণেশ, কার্তিক, লক্ষ্মী ও সরস্বতীকে সঙ্গে নিয়ে কৈলাশে ফিরে যান মা দুর্গা। দেবীর সেই আগমন বার্তা নাকি নীলকন্ঠ পাখি-ই কৈলাশে মহাদেবকে পৌঁছে দেয়। সেই বিশ্বাসে ভর করে দশমীর দিনে দুটি নীলকন্ঠ পাখিকে ওড়ানোর রীতি মানা হয়ে থাকে। প্রথমটি ওড়ানো হয় মন্দির থেকে দেবী দুর্গার যাত্রা শুরুর সময়। আর দ্বিতীয় নীলকন্ঠ পাখিটি ওড়ানো হয় দেবীর প্রতিমা বিসর্জনের পর। এও বলা হয়, রাবণবধের আগে এই নীলকন্ঠ পাখির দর্শন পেয়েছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। আবার অনেকের মতে ,নীলকন্ঠ পাখি-ই নাকি রামচন্দ্র ও তাঁর বাহিনীকে পথ দেখিয়ে নিয়ে গিয়েছিল। এইসব নানা বিশ্বাস ও প্রচলিত ধারণা থেকে নীলকন্ঠ পাখির দর্শন লাভ শুভ বলে মনে করেন  হিন্দুরা। কাটোয়ার (Katwa) এই গ্রামে বছরের পর বছর ধরে সেই রেওয়াজ চলে আসছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    কাটোয়া-২ (Katwa) নম্বর ব্লকের জগদানন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের অখড়া গ্রামে বাড়ি বাণী রায়ের। তিনি বলেন, ‘দশমীর দিন সকাল থেকে উপবাসে থেকে নতুন বস্ত্র পরে পরিবারের পোষ্য নীলকন্ঠ পাখিটিকে সঙ্গে নিয়ে বেরিয়ে পড়ি। এলাকার গৃহস্থের বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাড়ির বধূদের নীলকন্ঠ পাখি দর্শন করাই। কেন পাখিটিকে বিভিন্ন জনের বাড়ি বাড়ি নিয়ে দিয়ে দর্শন করান? তার উত্তরে বাণীদেবী বলেন, বংশপরম্পরায় আমাদের পরিবারের বধূরা দশমীর পর এলাকার গৃহস্থদের নীলকন্ঠ পাখির দর্শন করিয়ে যাচ্ছে। প্রতিটি পরিবারের মা, বাবা সহ সকলের শান্তি ও মঙ্গল কামনা এবং সংসারের কল্যাণের জন্য এদিন নীলকন্ঠ পাখি দেখাই। পাখি দেখানো শেষে দুপুরে বাড়ি ফিরে গিয়ে স্নান সেরে দুর্গা মাকে প্রণাম জানিয়ে তার পর মুখে অন্ন দিয়ে থাকি। আর মুস্থূলী ও ঘোড়ানাশ গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, দশমীর পর বাণীর মাধ্যমে জীবন্ত নীলকন্ঠ পাখির দর্শন পেয়ে আমরাও তৃপ্ত হই। এদিন সকাল থেকে বাণীর জন্য আমরা বাড়ির বউয়েরাও পথ চেয়ে বসে থাকেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Ration Case: তৃণমূল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি

    Ration Case: তৃণমূল মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির খোঁজ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাকিবুরের ১০০ কোটি টাকার সম্পত্তির পুরোটাই দুর্নীতির টাকায় হয়েছে বলে দাবি ইডির। পার্ক স্ট্রিট, নিউটাউন-রাজারহাট এলাকায় ফ্ল্যাট রয়েছে তাঁর। একাধিক জায়গায় আরও ৮ থেকে ৯ টি ফ্ল্যাটের খোঁজ পাওয়া গেছে। সেই সঙ্গে রয়েছে একাধিক হোটেল, পানশালা এবং চালকল। বেশ কিছু সংস্থায় তিনি শেয়ারে টাকা বিনিয়োগ করেছেন বলে জানা গেছে। রেশন দুর্নীতি কাণ্ডে ধৃত এই বাকিবুর এক তৃণমূল মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বলেও জানা গেছে। এখন প্রশ্ন হল, এতো অল্প সময়ের মধ্যে এই বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির মালিক হলেন কীভাবে তিনি? সবটাই কি উপার্জিত আয়, নাকি রেশন দুর্নীতির (Ration Case) টাকায়? তদন্তে আরও স্পষ্ট হবে।

    ইডির বক্তব্য (Ration Case)

    ইডি সূত্রে জানা গেছে, বাকিবুরের ৯০ টির বেশি সম্পত্তি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে রয়েছে। মোট ছয়টি সংস্থায় তাঁর শেয়ারের পরিমাণ হল ৫০ কোটি টাকারও বেশি। মামলার তদন্তে নেমে ১০০ কোটি টাকার বেশি সম্পত্তির খোঁজ পাওয়া গেছে বলে দাবি। তাঁর ১ হাজার ৬৩২ কাঠা জমির সন্ধান মিলল, যার বেশিরভাগটাই উত্তর ২৪ পরগনা এবং বহরমপুরে। সেই সঙ্গে রয়েছে বাড়ি, গাড়ি, ফ্ল্যাট, পানশালা, হোটেল, চালকল। আরও জানা গেছে, নিজের শ্যালক, স্ত্রীর নামের ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট থেকে কোটি কোটি টাকা লেনদেন (Ration Case) করেছেন বাকিবুর। অবশ্য শ্যালক এবং স্ত্রী এই কথা ইডির তদন্তের জেরায় জানিয়েছেন।

    রেশনের সামগ্রী খোলাবাজারে বিক্রি করতেন

    বাকিবুরের এই হঠাৎ সম্পত্তির উত্থানের কারণের পিছনে রেশন দুর্নীতির (Ration Case) কথা উঠে এসেছে। রেশনের খাদ্যসামগ্রীকে খোলা বাজারে বিক্রি করে, অবৈধ আয় করতেন তিনি। তাঁর কৈখালির ফ্ল্যাট থেকে ১০০ টির বেশি সরকারি সিলমোহর দেওয়া নথি উদ্ধার হয়েছে তদন্তে। তাঁকে ৫৩ ঘণ্টা টানা জিজ্ঞাসবাদ করে ইডির আধিকারিকরা এই তথ্য উদ্ধার করেন। এরপর তৃণমূল ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি আদালতে জানিয়েছে যে বাকিবুর মিল থেকে খাদ্যসামগ্রী অবৈধ ভাবে বিক্রি করতেন। আর তার সেই বিক্রির হিসাব লেখা রয়েছে খাতায়। কোথায় কত সামগ্রী যেত, কোন ডিসট্রিবিউটর বা ডিলারের কাছে মাল পাঠাতেন, তার হিসাবও আদলাতে জমা করেছে ইডি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    Durga Puja: দশমীর বিষাদের মধ্যেই পুজোর আনন্দে মেতে ওঠে গোটা গ্রাম, কোথায় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে একদিকে যখন সারা বাংলা জুড়ে দশভূজার বিদায়ে বিষাদের ছায়া, ঠিক উল্টো চিত্র ধরা পড়ল উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জের খাদিমপুর গ্রামে। দশমীতেই শুরু এখানকার দুর্গাপুজো (Durga Puja)। পুজোর আনন্দে মেতে ওঠেন খাদিমপুর গ্রামের আট থেকে আশি সকলেই। পুজোর চারদিন বসে মেলাও।

    দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা (Durga Puja)

    রায়গঞ্জ থানার ১৩ নম্বর কমলাবাড়ি-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাদিমপুর গ্রাম নতুন করে মেতে উঠেছে শারদীয়া পুজোর আনন্দে। তবে, কত বছরের পুরানো এই পুজো, তা কেউই বলতে পারে না। আনুমানিক পাঁচশো বছর ধরে এই একই নিয়মে দশমীর দিনেই শুরু হয় বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গার পুজো। দশমীর রাতে শুরু হওয়া পুজো চলবে তিনদিন। এখানে দেবী দশভূজার বদলে চতুর্ভূজা। চার হাতেই দেবীর অস্ত্র থাকলেও এখানে দেবীর পদতলে নেই মহিষাসুর। তবে অন্যান্য দুর্গামণ্ডপের মতো এখানেও দেবী কার্তিক, গণেশ, লক্ষ্মী, সরস্বতী নিয়ে রয়েছেন সপরিবারেই। স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, সরা বছর আমরা এই পুজোর জন্য অপেক্ষা করে থাকি। সবাই যখন মা দুর্গাকে (Durga Puja) নিরঞ্জন করে মুখ ভার করে ঘরে ফেরেন, আমরা তখন মায়ের পুজোকে ঘিরে আনন্দে মেতে উঠি।

    পুজো কমিটির কর্মকর্তা কী বললেন?

    খাদিমপুরের বাসিন্দা তথা পুজো কমিটির কর্মকর্তা নির্মল বর্মন বলেন, পুজোর পাশাপাশি পুজোকে ঘিরে বসে মেলা। আর এই বালাইচন্ডীরূপী দুর্গাপুজোই (Durga Puja) খাদিমপুর গ্রামের বাসিন্দাদের কাছে আসল পুজো। এই পুজোকে কেন্দ্র করে আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠেন বাসিন্দারা। পুরানো রীতি মেনে আজও খাদিমপুরের এই দুর্গাপুজোয় চলে আসছে বলি প্রথা। এখানকার  বালাইচন্ডীরূপী দেবী দুর্গা খুবই জাগ্রত মেনে বহু দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা আসেন খাদিমপুরে। শারদীয়া উৎসব যেখানে শেষ হয়ে বিষাদের সুর বেজে উঠেছে, আর তখনই রায়গঞ্জ শহর থেকে ১৩ কিলোমিটার দূরে খাদিমপুরে আগমনীর আগমনে আনন্দে মেতে উঠেছেন গোটা গ্রামের মানুষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর

    Dengue: ডেঙ্গিতে স্বামীর মৃত্যুর খবর শুনেই অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা স্ত্রীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ডেঙ্গিতে (Dengue) আক্রান্ত হয়ে স্বামীর মৃত্যু হয়েছে। সেই শোক সামলাতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন স্ত্রী। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে নদিয়ার হাঁসখালির বেনালি গ্রামে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম বিকাশ হালদার। তাঁর বয়স ছিল ৫৩ বছর। তিনি বগুলা হাসপাতালে স্বাস্থ্যকর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তাঁর স্ত্রীর নাম প্রীতি হালদার। তাঁকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে বগুলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার গভীর রাতে শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁর অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক বলে পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dengue)

    প্রায় এক সপ্তাহ ধরে জ্বরে ভুগছিলেন বিকাশবাবু। বগুলা হাসপাতালে তিনি কাজেও গিয়েছিলেন। তবে, এক সপ্তাহ পরেও সুস্থ হচ্ছিলেন না দেখে জ্বর এবং গলাব্যথার উপসর্গ নিয়ে বগুলা হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করানো হয় তাঁকে। জ্বর না কমায় রক্তের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায়, তাঁর ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। ডেঙ্গির চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুলা হাসপাতাল থেকে রানাঘাটের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রক্তে প্লেটলেট অস্বাভাবিক হারে কমতে থাকে। বহু চেষ্টার পরও প্লেটলেট বৃদ্ধি পায়নি। মঙ্গলবার বিকেলে চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় বিকাশবাবুর। শোকে ভেঙে পড়েন তাঁর স্ত্রী প্রীতি হালদার। স্বামীর মৃত্যু মেনে নিতে না পেরে অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রীতি। বিকাশের মৃত্যুর পর গ্রামের বাড়ি থেকে বগুলা হাসপাতালে তাঁর মৃতদেহ নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসক থেকে শুরু করে হাসপাতালের অন্যান্য কর্মীরা তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান। পরে শেষকৃত্যের জন্য বিকাশের দেহ হাসপাতাল থেকে সরাসরি স্থানীয় শ্মশানঘাটে নিয়ে যাওয়া হয়।

    মৃতের পরিবারের লোকজনের কী বক্তব্য?

    বিকাশবাবুর ভাই প্রসেনজিৎ হালদার বলেন, দাদা বেশ কয়েকদিন ধরে জ্বরে ভুগছিল। রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় যে তার ডেঙ্গি (Dengue) হয়েছে। অনেক চেষ্টা করেও তাকে বাঁচানো যায়নি। দাদার মৃতদেহ বাড়িতে পৌঁছতেই বউদি অ্যাসিড খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। দাদার মৃত্যুর পর বউদি এভাবে আত্মহত্যার চেষ্টা করবে, তা ভাবতেও পারিনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share