Author: user

  • Durga Puja 2023: আজ দশমীতে সিঁদুর খেলা, সঙ্গে ধুনুচি নাচও! জানেন এসবের পৌরাণিক মাহাত্ম্য?

    Durga Puja 2023: আজ দশমীতে সিঁদুর খেলা, সঙ্গে ধুনুচি নাচও! জানেন এসবের পৌরাণিক মাহাত্ম্য?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দশমীতে সিঁদুর খেলার রীতি বহু প্রাচীন। বারোয়ারি মণ্ডপ হোক অথবা বাড়ির পুজো (Durga Puja 2023), শাড়ি পরে মাতৃ জাতিকে সিঁদুর খেলতে দেখা যায়। শুধুমাত্র বিবাহিত বা প্রচলিত ভাষায় সধবা মহিলারা নন, এখন অবিবাহিত মহিলাদেরও সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতে দেখা যায়। গালে সিঁদুর মেখে, হাতে প্রসাদের রেকাবি নিয়ে সেলফি তুলে তা সোশ্যাল মিডিয়াতে আপলোড করাটাও এখন রীতি হয়ে গিয়েছে।

    সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য ৪০০ বছরের পুরনো

    সিঁদুর খেলার (Durga Puja 2023) প্রচলন ঠিক কবে থেকে, তার সঠিক কোনও তথ্য-প্রমাণ নেই। ইতিহাসবিদ ও শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের কেউ কেউ বলেন, দুশো বছর আগে সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়েছিল। তখন বর্ধিষ্ণু জমিদার পরিবারগুলিতে দশমীর দিন প্রতিমা বিসর্জনের আগে বাড়ির মহিলারা একে অপরকে সিঁদুরে রাঙিয়ে স্বামী ও পরিবার পরিজনদের মঙ্গল কামনা করতেন। আবার অন্য একটি মত অনুযায়ী, সিঁদুর খেলার ঐতিহ্য ৪০০ বছরের পুরনো। অন্য কোনও কারণ নয়, শুধুমাত্র খেলার ছলেই এই প্রথার চল হয়। মায়ের বিসর্জনের দিন সকলের মনই ভারাক্রান্ত থাকে। তাই ওইদিন একটু আনন্দ-উল্লাসের জন্যই সিঁদুর খেলার প্রবর্তন হয়। সেই ঐতিহ্যই সমান ভাবে চলছে আজও।

    সিঁদুর খেলার পৌরাণিক গল্প

    পুরাণ মতে, সিঁদুর ব্রহ্মের (Durga Puja 2023) প্রতীক। বিবাহিত রমণীরা সেই ব্রহ্মস্বরূপ সিঁদুর সিঁথিতে ধারণ করে থাকেন স্বামী ও পরিবারের মঙ্গলকামনায়। শ্রীমদ্ভগবত অনুসারে, গোপিনীরা কাত্যায়নী ব্রত পালন করতেন। যমুনা নদীর তীরে মাতার মাটির মূর্তি স্থাপন করে, ধূপধুনো জ্বালিয়ে এই ব্রত পালিত হত। এরপর গোপীনিরা নাকি সিঁদুর খেলায় মেতে উঠতেন। একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে তাঁরা আসলে শ্রীকৃষ্ণের মঙ্গল কামনা করতেন বলেই কথিত রয়েছে। এই দিনে বিবাহিত মহিলারা প্রথমে মা দুর্গার উদ্দেশে সিঁদুর অর্পণ করেন। মহিলারা পান, মিষ্টি, সিঁদুর নিয়ে দেবীকে নিবেদন করেন। রীতি অনুযায়ী, মা দুর্গা যখন তার মাতৃগৃহ ছেড়ে শ্বশুর বাড়িতে যান, তখন তাকে সিঁদুর দিয়ে সাজাতে হয়। এরপর বিবাহিতারা একে অপরের গায়ে মুখে সিঁদুর লাগান এবং একে অপরকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান। কথিত আছে যে এই সিঁদুর লাগালে বিবাহিতরা সৌভাগ্যবতী হওয়ার বর পান। বাঙালি মহিলাদের মধ্যে সিঁদুর খেলার সাথে ধুনুচি নাচও দেখা যায়। মনে করা হয় মা দুর্গা ধুনুচি নাচে খুশি হন। প্রাচীনকালে লাল সিঁদুরকে ভারতীয় নারীরা বেছে নিয়েছিলেন তাঁদের অন্যতম প্রসাধনী হিসেবে। আর বিবাহিতা মহিলাদের কপালে সিঁদুর থাকার অর্থ হল তাঁরা সন্তান ধারণের উপযুক্ত। এই বিশ্বাস থেকেই লাল রঙের সিঁদুর পরার রীতি চলে আসছে মনে করা হয়‌।

    পৌরাণিক মত অনুযায়ী, মানব শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে বিভিন্ন দেবতা বাস করেন। যেমন আমাদের কপালে থাকেন স্বয়ং ব্রহ্মা, তিনি আবার সৃষ্টির দেবতা। তাই ব্রহ্মাকে তুষ্ট করতেই কপালে লাল সিঁদুর পড়েন সকলে। শক্তির সাধক তান্ত্রিকরাও কপালে রক্তবর্ণ সিঁদুর ধারণ করে থাকেন। আসলে ব্রহ্মাকে তুষ্ট রাখার জন্যই এই ব্যবস্থা। এমনটাও হতে পারে স্বয়ং সৃষ্টি কর্তার প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণের জন্য হয়তো সিঁদুর খেলার (Durga Puja 2023) সূচনা হয়েছিল প্রাচীন ভারতে‌। যে সময়ই সিঁদুর খেলার প্রচলন হয়ে থাকুক, যে উদ্দেশ্যেই হয়ে থাকুক, দশমীতে একে অপরকে সিঁদুর মাখানোটা  এখন ছোটখাটো উৎসব বা অনুষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে, অত্যন্ত আনন্দের সাথে, বছরের পর বছর ধর্মের এই রীতি, এই ঐতিহ্য পালন করে চলে চলেছেন মাতৃজাতি।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ২২/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (রবিবার, ২২/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) বয়স্ক সদস্যের কারণে অর্থ লাভ হতে পারে।

    ২) আলস্য ত্যাগ করে কাজে মনোনিবেশ করলে তা সম্পন্ন করতে পারবেন।

    বৃষ

    ১) পারিবারিক কলহ মাথা চাড়া দিতে পারে। যা আপনাদের সমস্যা বাড়াবে। পরিবারের বয়স্ক সদস্যের সাহায্যে সেই কাজ শেষ করতে সফল হবেন।

    ২) বোনের বিয়ের ভালো প্রস্তাবে মঞ্জুরি দেবেন।

    মিথুন

    ১) সামাজিক ক্ষেত্রে যে চেষ্টা করবেন তার লাভ হবে ও জনসমর্থন অর্জন করতে পারবেন।

    ২) শ্বশুরবাড়ির সদস্যের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের সময়ে সতর্ক হন। না-হলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে।

    কর্কট

    ১) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিবাদ শেষ করার চেষ্টা করবেন।

    ২) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শে ব্যবসায়ে ঝুঁকি নিন। তা না-হলে সেই টাকা ডুবে যেতে পারে।
      
    সিংহ 

    ১) সন্ধ্যাবেলা মা-বাবার সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নিতে পারেন।

    ২) ব্যবসায়ীদের আর্থিক লাভ হতে পারে।

    কন্যা

    ১) ছোট ব্যবসায়ীরা প্রত্যাশা অনুযায়ী ফলাফল না-পাওয়ায় হতাশ হবেন।

    ২) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত জাতকরা কোনও বড় ডিল পেতে পারেন।

    তুলা 

    ১) ছাত্রদের পরীক্ষায় সাফল্যের জন্য কঠিন পরিশ্রম করতে হবে।

    ২) ভালো মনে লগ্নি করুন, এর ফলে ভবিষ্যতে লাভ অর্জন করতে পারবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) আজ ব্যস্ত থাকবেন। দৌড়ঝাপ বাড়বে।

    ২) স্বাস্থ্যের যত্ন নিন। আবহাওয়াজনিত রোগ দেখা দিতে পারে।

    ধনু

    ১) কোন কাজকে প্রাথমিক গুরুত্ব দেবেন, তা আপনাকে নির্বাচন করা উচিত।

    ২) পরিবারের সদস্যদের ব্যবহারের কারণে চিন্তিত থাকবেন।

    মকর

    ১) সরকারি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাতিল করলে তা দীর্ঘদিনের জন্য আটকে যেতে পারে।
     
    ২) কম লাভ সত্ত্বেও সন্তুষ্ট থাকবেন। দৈনন্দিন প্রয়োজনীয়তা পূরণে সফল হবেন।

    কুম্ভ

    ১) শত্রুর কারণে চিন্তিত থাকবেন। তবে সন্ধ্যা নাগাদ তাঁরা নিজেই ধ্বংস হবে।

    ২) অচেনা ব্যক্তির সঙ্গে সাবধানে লেনদেন করুন।

    মীন

    ১) জীবনসঙ্গীর অসুস্থতা আপনাকে চিন্তিত করবে। দৌড়ঝাপ ও অর্থ ব্যয় করবেন।

    ২) কর্মক্ষেত্রে আপনার পক্ষে পরিবর্তন হবে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Dacoits: মহাসপ্তমীর দিন কল্যাণীতে ভয়াবহ ডাকাতি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Dacoits: মহাসপ্তমীর দিন কল্যাণীতে ভয়াবহ ডাকাতি, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দিনের বেলায় প্রকাশ্যে নদিয়ার রানাঘাটে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের (Dacoits)  গুলিবৃষ্টি দেখেছিল রাজ্যবাসী। একইসঙ্গে পুরুলিয়া শহরে সোনার দোকানে কোটি টাকা লুট করেছিল দুষ্কৃতীরা। এরপরে খড়্গপুরে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই মহাসপ্তমীর দিন ভয়াবহ ডাকাতির ঘটনা ঘটল কল্যাণী পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাঁঠালতলা বাজারে। কল্যাণীর সোনার দোকানে নিরাপত্তারক্ষীর মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে, দড়ি দিয়ে বেঁধে  দুষ্কৃতীরা নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা, সোনা, রুপোর গয়না লুট করে পালায়। উৎসবের মরশুমে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে কল্যাণীবাসী। দোকানের মালিক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। শনিবার রাত পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।  পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Dacoits)  

    শনিবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ বেশ কয়েকজন প্রবীণ ব্যক্তি হাঁটতে বের হন। তাঁরা শুনতে পান নিরাপত্তারক্ষীরা চিৎকার করছেন। কল্যাণীর কাঁঠালতলা বাজারে একটি সোনার দোকান থেকে চিৎকার শুনে এগিয়ে যান। তাঁদের বাঁধনমুক্ত করা হয়। নিরাপত্তরক্ষীরা পুলিশকে বলেন, আনুমানিক ভোর রাত তিনটে নাগাদ আটজন দুষ্কৃতী (Dacoits) ওই গয়নার দোকানে আসে। মাথায় আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে আমাদের দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়। তারপর চলে দেদার লুটপাট। নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা এবং সোনা ও রুপোর গয়না লুটপাট করে দুষ্কৃতীরা। তারপর চলে যায় তারা। দুষ্কৃতীদের মুখ মুখোশে ঢাকা ছিল। তারা সকলেই হিন্দিভাষী। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দোকানের মালিক-সহ বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ী এবং স্থানীয়রা। কান্নায় ভেঙে পড়েন দোকান মালিক দীনবন্ধু দেবনাথ। খবর দেওয়া হয় কল্যাণী থানায়। শুরু হয় তদন্ত।

    সোনার দোকানের মালিকের কী বক্তব্য?

    সোনার দোকানের মালিক দীনবন্ধু দেবনাথ বলেন,আমার দোকানের লকারে রাখা ছিল নগদ সাড়ে তিন লক্ষ টাকা। লক্ষাধিক টাকার রুপো ও সোনার গয়নাও ছিল। ওই ডাকাতদল শাটার, লকার এবং শোকেস ভেঙে সব লুট করেছে। লণ্ডভণ্ড করা হয় গোটা দোকান। এই ঘটনায় আতঙ্কিত ওই বাজারের অন্যান্য ব্যবসায়ীরা। আমাদের দাবি, অবিলম্বে দুষ্কৃতীদের (Dacoits) গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • JP Nadda: ‘পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতির মতো শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেন শক্তি দেন’, মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা নাড্ডার

    JP Nadda: ‘পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতির মতো শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে যেন শক্তি দেন’, মা দুর্গার কাছে প্রার্থনা নাড্ডার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের পর, দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে রাজ্যে এলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। মহাসপ্তমীর সকালে তিনি হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের একটি পুজোতে যান। সেখানে তিনি দেবী দুর্গার আরতি করেন। বাংলার দুর্গাপুজো যে শুধু  ভারত নয়, সারা বিশ্বেও স্থান পেয়েছে, তার তিনি প্রশংসা করেন।

    কী বললেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি? (JP Nadda)

    এদিন হাওড়ায় জে পি নাড্ডা (JP Nadda) বলেন, “আমার সৌভাগ্য যে পশ্চিমবঙ্গের পূণ্যভূমিতে, সাংস্কৃতিক দৃষ্টি ও দিশা প্রদানকারী ভূমিতে আজ মা দুর্গার আশীর্বাদ নেওয়ার সুযোগ মিলেছে। আমি নিজেকে ভাগ্যবান বলে মনে করি। মায়ের অসীম কৃপা, তাই এমন পবিত্র ভূমিতে আসার সুযোগ পেলাম।”  শনিবার মহাসপ্তমীর সকালে হাওড়ার পুজো মণ্ডপে জে পি নাড্ডার সঙ্গে ছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, অগ্নিমিত্রা পল, রাহুল সিনহা প্রমুখ। এদিন একাধিক পুজো মণ্ডপে যান নাড্ডা। হাওড়া থেকে শোভাবাজার রাজবাড়িতে যান তিনি। সেখান থেকে সন্তোষ মিত্র স্কোয়ার, কলকাতার রামমন্দির। এদিন হাওড়ার অনুষ্ঠানমঞ্চ থেকে রাজ্যবাসীকে দুর্গাপুজোর শুভেচ্ছা জানান তিনি। তিনি বলেন “মা দুর্গাকে যখন আমরা স্মরণ করি, আমরা জানি পশ্চিমবাংলা মা দুর্গার আরাধনার জন্য, প্রার্থনার জন্য, পুজোর জন্য শুধু সারা দেশেই নয়, সারা পৃথিবীতেই আলাদা স্থান তৈরি করেছে। এরকম পূণ্যভূমিতে আসার সুযোগ পেয়ে বিশেষ কৃতজ্ঞ।” সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো মণ্ডপ ঘুরে দেখে নাড্ডা বললেন, “পরিবারতন্ত্র, দুর্নীতি, অনুপ্রবেশের মতো অসুরীয় শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দেবী দুর্গা যেন আমাদের শক্তি দেন, সেই প্রার্থনা করছি। এখানে রাম মন্দির আমাদের শক্তি দিচ্ছে। অযোধ্যায় যে রাম মন্দির হচ্ছে তা আপনারা এখানে করেছেন। আপনাদের ধন্যবাদ।”

    দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ ঘোষণা প্রসঙ্গে কী বললেন নাড্ডা? (JP Nadda)

    বাংলার দুর্গাপুজোকে ইউনেস্কোর হেরিটেজ ঘোষণার প্রসঙ্গও তুলে ধরেন জে পি নাড্ডা (JP Nadda)। তিনি বলেন, সারা দেশে দুর্গাপুজোর যে বহর, বাংলা তাতে আলাদা মাত্রা দিয়েছে। দুর্গতিনাশিনীর কাছে নাড্ডার প্রার্থনা, “মা দুর্গা শক্তিস্বরূপা। শক্তি সমাজের অসুর শক্তি ধ্বংস করে। বাংলার মানুষ দুনিয়া, দেশকে একদিকে যেমন এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা দেয়, সেই ভূমিতে যা অসুর শক্তি, তার শেষ হোক। ভালো শক্তিকে আরও বলবান করুক। সমাজের মঙ্গল হোক। আমাদের স্লোগান সবকা সাথ সবকা বিকাশকে সামনে রেখে এই রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাক।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Civic Volunteer: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার

    Civic Volunteer: ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি, গ্রেফতার সিভিক ভলান্টিয়ার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কিছুদিন আগেই এক কোটিপতি পুলিশ কর্মীর হদিশ পেতে গ্রেফতার করেছিল এসটিএফ। ওই পুলিশ কর্মী দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত বলে তদন্ত শুরু হয়েছে। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই এবার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের (Civic Volunteer) বিরুদ্ধে ব্যবসায়ীকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। শুধু তাই নয় ৫০ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে ভাঙড় থানার শাঁকশহর এলাকায়। ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ অভিযুক্ত সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম ফিরোজ মিদ্যা। তিনি কাশিপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Civic Volunteer)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত মঙ্গলবার ফিরোজ ও তাঁর লোকজন পুলিশের পরিচয় দিয়ে রহমত নামে এক ব্যবসায়ীকে ভাঙড় থানার বালিগাদ এলাকায় ডাকেন। রহমত সেখানে আসতেই ফিরোজে সহ অন্যরা তাঁর মুখ চাপা দিয়ে গাড়িতে তুলে নিউটাউনে নিয়ে যান। এরপরই ওই ব্যবসায়ীর বাড়িতে মুক্তিপণ চেয়ে ফোন করে তারা । অপহরণকারীরা প্রথমে ৫০ লক্ষ টাকাও দাবি করে। পরে দর কষাকষিতে তা ১০ লক্ষে নামে। এই দরাদরির মাঝেই ব্যবসায়ীর স্ত্রী রশিদা বিবি ভাঙড় থানায় অভিযোগ জানান। নানা সূত্র মারফত খবর পেয়ে নিউটাউন এলাকা থেকে রহমতকে উদ্ধার করা হয়। একইসঙ্গে  গ্রেফতারও করা হয় ফিরোজকে। যদিও পরে ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করা হয়। তবে এই ঘটনায় গ্রেফতার করা হয় ওই সিভিক কর্মীকে (Civic Volunteer)। বারুইপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেয়। ধৃত ওই ব্যক্তির নাম ফিরোজ মিদ্যা। তিনি কাশীপুর থানার সিভিক ভলান্টিয়ার । ভাঙড় থানার পুলিশ ধৃতকে জেরা করে নতুন কোনও তথ্যের খোঁজে।

    ধৃত সিভিকের বিরুদ্ধে আর কী কী অভিযোগ রয়েছে?

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ভাঙড় থানার শাঁকশহর এলাকার বাসিন্দা রহমত মোল্লার সঙ্গে ব্যবসায়িক লেনদেন ছিল সিভিক (Civic Volunteer) ফিরোজের। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত সিভিক ভলান্টিয়ার পুলিশের স্টিকার লাগানো চারচাকা গাড়ি করে এলাকায় ঘুরে বেড়াতেন। এমনকী অভিযোগ, সম্প্রতি কলকাতা পুলিশের আওতায় ভাঙড় থানা আসার পরই সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়োগের জন্য ফর্ম পর্যন্ত ছাপান। যদিও এই সব অভিযোগ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kolkata Metro: ষষ্ঠীতেই রেকর্ড! বড় বড় পুজোকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো

    Kolkata Metro: ষষ্ঠীতেই রেকর্ড! বড় বড় পুজোকেও পিছনে ফেলে দিচ্ছে কলকাতা মেট্রো

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোর ষষ্ঠীর দিনে দর্শনার্থীদের সংখ্যা নিয়ে নজির গড়ল কলকাতা মেট্রো (Kolkata Metro) পরিষেবা। প্রায় আট লক্ষের গণ্ডি অতিক্রম করে নতুন রেকর্ড নির্মাণ করল কলকাতা মেট্রো। শুধু তাই নয়, ষষ্ঠীর আগে এই বছর তৃতীয়ার দিনই গত বছরের ষষ্ঠীর ভিড়কে অতিক্রম করে গিয়েছে বলে জানা গেছে। পুজোতে সড়ক পথে ব্যাপক যানজট হয়। আর তাই অল্প সময়ে পুজো পরিক্রমা করতে মেট্রোকে অধিক পছন্দ করেন দর্শনার্থীরা। অপর দিকে মেট্রোর এই ভিড়, কলকাতার বড় বড় পুজোকে পিছনে ফেলে দিচ্ছে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

    রাত বাড়লেই জনপ্লাবন (Kolkata Metro)

    দুর্গাপুজোর প্রতিমা, প্যান্ডেল এবং মণ্ডপ দর্শনে লোকে লোকারণ্য কলকাতা শহর। প্রত্যেক দিন প্রত্যেক দিনের রেকর্ডকে অতিক্রম করে যাচ্ছে জনপ্লাবনে। ভিড়ে পরিপূর্ণ সড়ক পথ পেরিয়ে মণ্ডপে মণ্ডপে গিয়ে ঠাকুর দেখা অত্যন্ত সময় সাপেক্ষ ব্যাপার। তাই মেট্রোকে (Kolkata Metro) ভরসা করছেন দর্শনার্থীরা। আর এর ফলে মেট্রোও জনালোকে পরিপূর্ণ হচ্ছে। সূত্রের খবর, দ্বিতীয়া থেকেই ভিড় বাড়ছে। তবে ক্রমেই তৃতীয়া, চতুর্থী হয়ে পঞ্চমীতে সব রেকর্ড ভেঙে যায়। মহাপঞ্চমীর দিনে রাতে, নর্থ-সাউথ মেট্রো করিডরে মোট মানুষ যাতায়াত করেন ৭ লক্ষ ৯২ হাজার ৬০ জন। কিন্তু মহাষষ্ঠীর দিনে এই ভিড় আরও একধাপ এগিয়ে গিয়ে দাঁড়ায় ৮ লক্ষের অধিক।

    গত বছর ষষ্ঠীর দিনে মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ভিড় হয়েছিল সাত লক্ষের বেশি। ২০২২ সালের ১ অক্টোবর মোট যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৭ লক্ষ ২৪ হাজার ৯০০ জন। এই বছর তৃতীয়ার দিন মেট্রোতে ভিড় হয় ৭ লক্ষ ৬ হাজার ৬৫৭ জন। রোজ মোট ট্রেন চলেছে ২৮৮ টি করে। দমদম থেকে সবথেকে বেশি ৮০ হাজার ৩৬২ জন যাত্রী মেট্রোতে চেপেছেন। এরপর এসপ্ল্যনেডে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ১৮৯ জন যাত্রী, কালীঘাট থেকে যাত্রীর সংখ্যা ছিল ৬৩ হাজার ৪৭ জন এবং শোভাবাজার সুতানুটিতে ছিল ৫০ হাজার ৩০১ জন যাত্রী। কলকাতায় ঠাকুর দেখতে আসা দর্শনার্থীদের জন্য মেট্রো রাতভর পরিষেবা দেবে বলে জানিয়েছে।

    পুজোতে মেট্রোর ভূমিকা

    পুজোতে দর্শনার্থীদের কথা মাথায় রেখে মেট্রো কলকাতা (Kolkata Metro) এবার নবমীর রাত পর্যন্ত পরিষেবা দেবে বলে জানিয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর পরিষেবা সপ্তমী, অষ্টমী, নবমী পর্যন্ত পাওয়া যাবে বলে জানা গেছে। এই ব্যাপক ভিড় সামাল দিতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে কলকাতা মেট্রো। ইতিমধ্যে সকল মেট্রো কর্মীদের ছুটি বাতিল ঘোষণা করছে মেট্রো। এছাড়াও পুজোর কেনাকাটা করার জন্য পুজোর আগে ১৫ অক্টোবর থেকে স্পেশাল মেট্রো চলছে বলে জানিয়েছে মেট্রো।   

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘মা কালীর অভিশাপ’, মহুয়াকে আক্রমণ করে কেন একথা বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘মা কালীর অভিশাপ’, মহুয়াকে আক্রমণ করে কেন একথা বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ষষ্ঠীতে নন্দীগ্রামে পুজো উদ্বোধনে এসে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) নিশানায় কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র। তৃণমূল সাংসদকে এথিক্স কমিটি ডাকার বিষয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু বলেন, ‘লোকসভার এথিক্স কমিটি দ্রুত কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করুক। আর্থিক দুর্নীতি নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। মা কালীর অভিশাপ পড়েছে।’ এর আগে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া বলেছিলেন, মা কালী মদ আর সিগারেট খায়। বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘প্রমাণ হয়ে গিয়েছে মা কালী বা সনাতনী দেব দেবীদের নিয়ে মন্তব্য করলে তার ফল পর জন্মে নয়, এই জন্মেই ভোগ করতে হয়।’ প্রসঙ্গত, লোকসভায় আদানি গোষ্ঠীকে নিয়ে প্রশ্ন তোলার অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে। ব্যবসায়ী হিরানন্দানির থেকে আর্থিক সুবিধা নেওয়ার অভিযোগে জাতীয় রাজনীতিতে বিদ্ধ মহুয়া। কৃষ্ণনগরের সাংসদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই অভিযোগ জমা পড়েছে লোকসভা স্পিকারের কাছে। সেই মহুয়া মৈত্রকে আক্রমণ করলেন বিরোধী দলনেতা।

    নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমণ বিরোধী দলনেতার (Suvendu Adhikari)

    নন্দীগ্রাম প্রসঙ্গ টেনে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, গ্রামের প্রান্তিক এলাকায় কেউ যায় না। আমি সেই সমস্ত এলাকায় যাচ্ছি। পুজোর উদ্বোধন করছি। এলাকার মানুষের সঙ্গে শারদীয়ার শুভেচ্ছা বিনিময় করছি। নন্দীগ্রামে ৪৮ টি পুজোর মধ্যে আমি ৪৭ টি উদ্বোধনের ডাক পেয়েছি। কিন্তু সব গুলো হয়তো যেতে পারব না তবে তাদের পাশে থাকব। ‘ভুলতে পারি নিজের নাম ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম। শাসকদলের এর মধ্যে এই মন্তব্য দুর্গা পুজোয় ঘুরে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।

    রেশন দুর্নীতি নিয়ে প্ৰাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে কী বললেন শুভেন্দু?

    বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, ‘ওকে বাতেলা মারতে হবে না। নোট বন্দির সময় ৪ কোটি টাকা বদলে ছিল তার জবাব দিক আগে। মেয়ের জন্মদিনে স্করপিও গাড়ি উপহার, এত টাকা কথায় ছিল। আগে ছেঁড়া প্যান্ট পরে ঘুরে বেড়াতো। এখন ও কয়েকশ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এখন এই সব বলে লাভ নেই।’ প্রসঙ্গত, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বৃহস্পতিবার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছিলেন, ‘রাজনীতির মধ্যে পরিবারকে টেনে নিয়ে আসে সেই রাজনীতিতে আমি বিশ্বাস করি না। আজ যে উপরে কাল সে নীচে।’ তাঁর এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই বিরোধী দলনেতার এই আক্রমণ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: পুজোর মধ্যেই নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, পুলিশ কী করছে?

    Murshidabad: পুজোর মধ্যেই নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে এলোপাথাড়ি গুলি করে খুন, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বোধনের রাতেই বিষাদের সুর। গ্রাপ পঞ্চায়েতের এক নির্দল প্রার্থীর স্বামীকে গুলি করে খুন করার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দির নতুনগ্রাম এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম পাওয়ার হোসেন(৩৫)। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Murshidabad)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, পাওয়ারের স্ত্রী নার্সিদা খাতুন এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) কান্দির নতুনগ্রামে নির্দল হয়ে ভোটে লড়েছিলেন। তবে শেষ পর্যন্ত ভোটে জিততে পারেননি। শুক্রবার রাতে নার্সিদার স্বামী পাওয়ারসাহেব পাড়ার একটি মাচায় বসেছিলেন। সেই সময়েই একদল দুষ্কৃতী এসে হামলা চালায় পাওয়ারের উপরে। পঞ্চায়েত প্রার্থীর স্বামীকে লক্ষ্য করে এলোপাথাড়ি গুলি চালিয়ে ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। হামলার পরই গুলিবিদ্ধ হয়ে লুটিয়ে পড়েন তিনি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর। সঙ্গে সঙ্গে খবর যায় পুলিশের কাছে। কান্দি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। যদিও কে বা কারা এই হামলা চালিয়েছে, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কান্দি মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে,ওই পরিবার কোনও একটি নির্দিষ্ট রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। অতীতে একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা ছিল। এরপর এবারের পঞ্চায়েত ভোটে নির্দল প্রার্থী হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।

    নির্দল প্রার্থীর কী বক্তব্য?

    নির্দল প্রার্থী নার্সিদা খাতুন বলেন, সন্ধে সাতটার সময়েও আমার সঙ্গে স্বামীর ফোনে কথা হয়েছে। মাচায় বসে মিটিং করছিল। আধ ঘণ্টা পর ও ফোন করার কথা বলেছিল। তারপর আর ফোন এল না। পরে, প্রতিবেশীর কাছে ওকে খুন করার বিষয়টি জানতে পারলাম। কিন্তু, ওর সেরকম শত্রু ছিল না। পুলিশ প্রশাসনের কাছে আবেদন, আমার স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Gaganyaan Test Flight: পুজোয় খুশির খবর, ‘গগনযান’-এর পরীক্ষামূলক যানের সফল উৎক্ষেপণ

    Gaganyaan Test Flight: পুজোয় খুশির খবর, ‘গগনযান’-এর পরীক্ষামূলক যানের সফল উৎক্ষেপণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চন্দ্রযান ৩-এর সাফল্যের পর আরও একবার ইতিহাস গড়তে চলেছে ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। পুজোর আগে হল গগনযানের (Gaganyaan Test Flight) পরীক্ষা মূলক উৎক্ষেপণ। তবে উৎক্ষেপণের সময় কিছু ত্রুটি দেখা দিলেও, মহাকশচারীদের নিরাপদে পৃথিবীতে নিয়ে আসার সিস্টেমিক পরীক্ষা সফল ভাবে সম্পন্ন করল ইসরো। দেশে খুশির আবহ ইসরোর এই সাফল্যে। আগামী বছর ২০২৪ সালে শুরু হবে চূড়ান্ত গগনযান মিশন। আনুমানিক ৯০০ কোটি টাকা খরচ হবে এই অভিযানে।

    পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ 

    গগনযানের (Gaganyaan Test Flight) পরীক্ষামূলক ভাবে সফল উৎক্ষেপণ হল শনিবারে। তবে সকালে দু’বার থমকে গিয়েছিল পরীক্ষামূলক যাত্রা। এদিন সকাল ৮ টায় শ্রীহরিকোটা উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে গগনযান যাত্রা শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরে জানা যায়, নির্ধারিত সময় থেকে ৪৫ মিনিট পর উৎক্ষেপণ করা হবে। এরপরে এই উৎক্ষেপণ হয় ৮ টা ৪৫ মিনিটে। কিন্তু উৎক্ষেপণের ঠিক ৫ সেকেন্ড আগে, কাউণ্টডাউন ক্লকে ‘লাল হোল্ড’ শব্দ উঠে আসে। এরপর ইসরো সাময়িক ভাবে উৎক্ষেপণ স্থগিত রেখে, আবার সকাল ১০ টায় চূড়ান্ত উৎক্ষেপণ করে। মিশনের নাম রাখা হয়েছে টেস্ট ভেহিকেল অ্য়াবর্ট মিশন-১। এছাড়া এটিকে টেস্ট ভেহিকেল ডেভেলপমেন্ট ফ্লাইট (TV-D1) নামকরণে ডাকা হবে বলে জানা গেছে।

    গগনযান মিশন কী (Gaganyaan Test Flight)?

    গগনযান মিশনের জন্য চার বিমান বাহিনীর মহাকাশচারীকে নির্বাচন করা হয়েছে। অভিযানকে বাস্তবায়িত করতে শনিবার প্রথম টেস্ট ভেহিকেলের উৎক্ষেপণ করল ইসরো। পরীক্ষা করার সময় ত্রুটি দেখা দিলেও মহাকাশচারীদের নিরাপদে নিচে পৃথিবীতে নামিয়ে আনা গেছে। আর এটাই পরীক্ষামূলক সফলতা। ৪০০ কিমি কক্ষপথে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনার অঙ্গ হল এই পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ। গগনযানের উৎক্ষেপণ সফল হলে, দ্বিতীয় ধাপে ‘ব্যোমমিত্রা’ বলে একটি রোবট মহাকাশে পাঠাবে বলে জানিয়েছে ইসরো। সেই অভিযান সম্পূর্ণ হলে মানুষ পাঠানোর পরিকল্পনা শুরু হবে।

    ইসরোর বক্তব্য

    গগনযান অভিযানে ইসরো জানিয়েছে, “আপৎকালীন পরিস্থিতে মহাকাশচারীরা প্যারসুটের মাধ্যমে নেমে আসতে পারেন কিনা, তাই পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছিল। আর এই পরীক্ষা আজ সফল হয়েছে। পরিকল্পনা অনুসারে গগনযান (Gaganyaan Test Flight) থেকে বঙ্গোপসাগরে সফল ভাবে নেমে আসে প্যারাসুট।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DA Hike: কেন্দ্রের পর ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, ডিএ বাড়ল সরকারি কর্মীদের

    DA Hike: কেন্দ্রের পর ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক, ডিএ বাড়ল সরকারি কর্মীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রের পর ওড়িশায় ডিএ (DA Hike) বাড়ল সরকারি কর্মীদের। মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের এবং পেনশনভোগীদের ডিএ বৃদ্ধি করার কথা ঘোষণা করেছেন। আর এই ঘোষণার পর থেকেই পশ্চিমবঙ্গের সরকারি কর্মীদের জলন্ত আন্দোলনে যেন ঘি পড়ল। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা বহুদিন থেকেই, তাঁদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতার জন্য দাবি করে আসছেন। কিন্তু পাচ্ছেন না ডিএ। উল্লেখ্য, এই বছরেই কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে, হাজরা থেকে হরিশ মুখার্জি রোড হয়ে, মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ায় হাতে লণ্ঠন জ্বালিয়ে ব্যাপক আন্দোলন করেন সরকারি কর্মচারীরা। সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে চরম বিক্ষোভ করতে দেখা যায় তাঁদের।

    কেন্দ্র বৃদ্ধি করেছে ডিএ (DA Hike)

    সারা দেশে উৎসবের মরশুমে সরকারি কর্মীদের ডিএ (DA Hike) বৃদ্ধি করে বিশেষ উপহার দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এবারের ঘোষণাতে কেন্দ্র মোট ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে। এর ফলে কেন্দ্র সরকারি কর্মীদের মুখে হাসির জোয়ার। ঠিক কেন্দ্রের ঘোষণার পরে পরেই, ওড়িশার নবীন পট্টনায়েক সরকার নিজের রাজ্যের সরকারি কর্মীদের জন্য ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছে। ফলে সেই রাজ্যে ডিএ বৃদ্ধি পেয়ে দাঁড়াল ৪২ শতাংশ থেকে ৪৬ শতাংশে।

    রাজ্যের সরকারি কর্মীরা ক্ষুব্ধ

    কেন্দ্র এবং ওড়িশা সরকারের ডিএ (DA Hike) বৃদ্ধির ঘোষণায় এই রাজ্যের কর্মীদের আন্দোলন যেন আরও তেলেবেগুনে জ্বলে উঠল। নিজেদের প্রাপ্যের দাবিতে সকলেই ফুঁসে উঠলেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ডিএ বৃদ্ধি নিয়ে যদি সিদ্ধান্ত না নেন, তাহলে আগামীদিনে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। ইতিমধ্যেই কর্মচারীদের প্রাপ্য মহার্ঘ্য ভাতার মামলা, হাইকোর্ট থেকে সুপ্রিম কোর্টে পৌঁছেছে। কর্মীদের অভিযোগ, রাজ্যে খেলা-মেলার জন্য প্রচুর টাকা অপচয় হলেও ডিএ নিয়ে রাজ্য সরকার উদাসীন। তাই ডিএ নিয়ে কর্মচারীরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চরম হুঁশিয়ারি বলেন, “আগুন নিয়ে খেলবেন না।”

    কর্মচারী পরিষদের বক্তব্য

    এই ডিএ-র (DA Hike) বিষয়ে রাজ্যের সরকারি কর্মচারী পরিষদের সভাপতি দেবাশিস শীল বলেন, “এটা আমাদের প্রত্যাশা ছিল। এআইসিপিআই অনুযায়ী কেন্দ্র যখন ডিএ দেয়, তখন সমস্ত রাজ্যের মহার্ঘ ভাতা দেয়। ওড়িশা রাজ্যও অন্যতম। বাকি রাজ্যগুলিও একই ভাবে ভাতা প্রদান করবে। ইন্ডিয়া জোটের অধীন বাকি রাজ্যগুলিও একই ভাবে ডিএ পাবে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে কার্যকর হবে না। কারণ তিনি দেবেন না।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    ডিএ (DA Hike) প্রসঙ্গে রাজ্যের তৃণমূল মন্ত্রী মানস ভূঁইয়া বলেন, “কেন্দ্রের কাছে বিপুল পরিমাণে পাওনা টাকা জমে রয়েছে। রাজ্যের টাকা রাজ্য পাচ্ছে না, তাই বকেয়া দিতে সমস্যা হচ্ছে।” অপর দিকে কলকাতা ডিভিশেন বেঞ্চে ডিএ মামলায় জয়ী হয় রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। কিন্তু এই মামলা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট এখনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেয়নি, আগামী ৩ নভেম্বর হল এই মামলার পরবর্তী শুনানি।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share