Author: user

  • Durga Puja 2023: রাজ্যের সেরা পুজোকে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’ দেবেন রাজ্যপাল, জানাল রাজভবন

    Durga Puja 2023: রাজ্যের সেরা পুজোকে ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’ দেবেন রাজ্যপাল, জানাল রাজভবন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজোয় (Durga Puja 2023) সেরা মণ্ডপ, আলোকসজ্জা, প্রতিমা এই সমস্ত কিছুকে সামনে রেখে পুরস্কার প্রদান প্রথা রাজ্যেঅনেক পুরনো। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও তাতে অংশগ্রহণ করে। এবার বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের প্রাক্কালে এরকমই উদ্যোগ নিতে দেখা গেল রাজভবনকেও। সেরা পুজো প্যান্ডেলকে রাজ্যপাল দেবেন ‘বাঙালিয়ানা পুরস্কার’।

    রাজভবনের প্রেস বিবৃতি

    মহাপঞ্চমীর দিন বৃহস্পতিবারই রাজভবন থেকে এক প্রেস বিবৃতি জারি করা হয় এবং তাতে উল্লেখ করা হয়েছে বাঙালিয়ানা পুরস্কারের বিষয়ে। এই প্রেস বিবৃতি অনুযায়ী, বাছাই করা সেরা পুজো প্যান্ডেলকে ৫ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বিজয়া দশমীর (Durga Puja 2023) দিনই দেওয়া হবে এই পুরস্কার। এবার কোনটা সেরা প্যান্ডেল হবে তা নির্ণয় কে করবেন?  রাজভবনে তরফে প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে তা বাছবেন সাধারণ মানুষই। সরকারি অর্থ যে খরচ করা হবে না কোনভাবেই, ওই প্রেস বিবৃতিতে তাও স্পষ্ট। রাজভবনের তরফে একটি মেইল আইডিও দেওয়া হয়েছে। এই মেইল আইডি টি হল aamnesaamne.rajbhavankolkata@gmail.com. পুজো প্যান্ডেলগুলি এই মেইল আইডির মাধ্যমে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারবে।

    কী বলছেন রাজ্যপাল?

    প্রসঙ্গত, এবার পুজোতে প্রতিপদ থেকেই দুর্গাপুজো পরিদর্শনে বেরিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। চলতি সপ্তাহের রবিবারই দুটি মন্ডপে যান তিনি। রবিবার বিকেল নাগাদ রাজভবন থেকে বেরিয়ে  কুমোরটুলিও যেতে দেখা যায় বোসকে। সেখানে মৃৎশিল্পীদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলতে দেখা যায় সিভি আনন্দ বোসকে। রবিবার রাজ্যপালের হাতে মাটির তৈরি লক্ষ্মী এবং গণেশের মূর্তিও তুলে দেন কুমোরটুলির এক শিল্পী। দুর্গাপুজোয় এবার রাজ্য সরকারের পাশাপাশি রাজভবনও বিশেষ সম্মান প্রদান করেছে। জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানের পোশাকি নাম দেওয়া হয়েছে ‘মিশন কলাক্রান্তি’। এই সম্মানের সম্মানিত করা হয় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীকে। পুজোর (Durga Puja 2023) আবহে রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাজ্যপাল। তাঁর মন্তব্য, ‘‘রাজ্যের দুর্নীতি রক্তবীজের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। মা দুর্গা যেমন অসুর নিধন করেছিলেন, তেমনিই এই দুর্নীতিরও অবসান ঘটাতে হবে।’’

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: ‘চেয়ারপার্সন কাজ করতে দিচ্ছেন না’, সরব তৃণমূল কাউন্সিলার, খড়দাতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    Khardah: ‘চেয়ারপার্সন কাজ করতে দিচ্ছেন না’, সরব তৃণমূল কাউন্সিলার, খড়দাতে কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের খড়দাতে (Khardah) তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসে পড়ল। কয়েকদিন আগে কাউন্সিলার মধুরিতা গোস্বামীকে মেরে পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল প্রাক্তন কাউন্সিলারের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে প্রয়াত ও প্রাক্তন বিধায়ক কাজল সিনহার স্ত্রী চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য নন্দিতা সিনহা এবার সরাসরি কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুললেন পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকারের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে যথেষ্ট অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক দলের অন্দরে। তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠীকোন্দলে সরগরম খড়দা বিধানসভা এলাকা। খড়দা বিধানসভার প্রাক্তন বিধায়ক প্ৰয়াত কাজল সিনহার মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী নন্দিতা সিনহাকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খড়দা পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী মনোনীত করেন। ভোটে জয়ী হওয়ার পরই এবার চেয়ারপার্সনের সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকাশ্যে চলে আসায় দল চরম বিড়ম্বনায় পড়েছে।

    তৃণমূল কাউন্সিলারের কী অভিযোগ? (Khardah)

    চেয়ারম্যান পরিষদের সদস্য নন্দিতা সিনহা বলেন, আমি পুরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার এবং চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল হিসাবে শিক্ষার দায়িত্বে আছি। মানুষের ভোটে আমি জয়ী হয়েছি। কিন্তু আমাকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না। মিড ডে মিলে কোনও কাজ বেরোলে সেই কাজ যদি আমি কাউকে দিই চেয়ারপার্সন তা মেনে নেন না। কোনও দফতরকেই ডিস্টার্ব করছেন না। কিন্তু, আমার সঙ্গে কেন এমন করছেন সেটা জানি না। চক্রান্ত করেই এটি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। আসলে চক্রান্ত করে রাজনীতির কেরিয়ারে আমাকে চেপে দেওয়া হচ্ছে। আমি কাজ করতে পারছি না। আমাকে কাজ করতেও দেওয়া হচ্ছে না।

    চেয়ারপার্সনের কী বক্তব্য?

    এ ব্যাপারে সংবাদ মাধ্যমে কোনও কথা বলতে চাননি খড়দা (Khardah) পুরসভার চেয়ারপার্সন নীলু সরকার। যা বলার দলের অভ্যন্তরে বলবেন বলে তিনি জানিয়েছেন। বিষয়টি বিধায়ক শোভন দেব চট্টোপাধ্যায়ের নজরে এসেছে বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। প্রসঙ্গত, খড়দা পুরসভার চেয়ারপার্সন এবং উল্টোদিকে কাউন্সিলরদের একটি গোষ্ঠী আড়াআড়িভাবে বিভক্ত।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা জয় সাহা বলেন, একজন দলের কাউন্সিলার, সরাসরি তারই দলের পুরপ্রধানের দিকে কাজ করতে না দেওয়ার অভিযোগ তুলছেন। কাজ করতে না দিলে এলাকার উন্নয়ন কী করে হবে? সারা পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূলের এখন একটাই কালচার। একা খাবো।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুজোর সময় রোল-চাউমিন! রাস্তার ধারে খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখেছেন?

    Durga Puja 2023: পুজোর সময় রোল-চাউমিন! রাস্তার ধারে খাওয়ার আগে একবার ভেবে দেখেছেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুজোর চারদিন সারা রাত জেগে ঠাকুর দেখবেন, খিদে পেলে রাস্তার ধারের দোকানই ভরসা। প্রত্যেক পুজো মণ্ডপের আশেপাশেই গজিয়ে উঠেছে ছোট ছোট ফুড স্টল। রাস্তার ধারের ফুটপাথে হাঁটার জায়গা নেই। চেয়ার টেবিল পেতে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে বিক্রি-বাটা। চলছে রসনাতৃপ্তি। কিন্তু সত্যই কি তৃপ্তি? কতটা ভাল এই খাবার, তার খোঁজ নিচ্ছে কে? ষষ্ঠী থেকে দশমী— এই পাঁচ দিন উৎসবের আনন্দে বহু মানুষেরই বাড়িতে রান্নার পাট কার্যত নেই। এই সময়ে অন্তত এক বেলা তো বটেই, অনেকে দুপুরে-রাতে, এমনকী কেউ কেউ প্রাতরাশও বাইরে সারেন। সেই জন্য রেস্তোরাঁ ও খাবারের দোকানগুলিতে বিক্রি যেমন কয়েক গুণ বাড়ে, তেমনই শুধু পুজোর জন্য পাড়ায় পাড়ায় বিভিন্ন বড় পুজো মণ্ডপকে ঘিরে বসে যায় খাবারের অস্থায়ী স্টল। সেই জন্য ভেজাল ও খারাপ খাবার বিক্রি করে যারা ব্যবসা করে, তাদের এই সময়ে রমরমা।

    শয়ে শয়ে দোকানে ঘুরে দেখা কি সম্ভব?

    পুজোর মুখে শহরের বিভিন্ন মণ্ডপকে কেন্দ্র করে এ ভাবেই যত্রতত্র গজিয়ে ওঠে অসংখ্য খাবারের স্টল। বিশেষ করে, বড় বড় পুজোর আশপাশে, যেখানে সাধারণত ভিড় হয় বেশি। পুজোর সময় সেই সমস্ত জায়গায় খাবারের গুণগত মান ঠিক আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে ও তাদের সতর্ক করতে শহরের বিভিন্ন নাম করা হোটেল ও রেস্তোরাঁ ঘুরে দেখছেন ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। পুজো মণ্ডপের আশেপাশে হঠাৎ করে গজিয়ে ওঠা ফুড স্টলগুলিকেও সতর্ক করেছেন তিনি। পুজোর পাঁচ দিন কলকাতা পুরসভার ফুড সেফটি অফিসারেরা পরিদর্শন করবেন শহরের বিভিন্ন হোটেল রেস্তরাঁ এবং ফুড স্টলগুলি। খাবারের গুণগত মান ঠিক না থাকলেই কড়া শাস্তি, সতর্ক করার কথা বলেছেন ডেপুটি মেয়র। তবে, পুরকর্তার এই দাবি কতটা বাস্তবসম্মত, তা নিয়ে সন্দেহ আছে অনেকেরই। শয়ে শয়ে দোকানে ঘুরে দেখা কি সম্ভব? কতজন অফিসার এই কাজ করবেন? তার কোনও নির্দিষ্ট পরিকল্পনা আছে কি? এক্ষেত্রে কোনও সদুত্তর মেলেনি।

    আরও পড়ুন: কাল মহাষষ্ঠীতে দেবীর বোধন, জেনে নিন এর পৌরাণিক তাৎপর্য

    দায় সারছেন পুজো কর্তারাও

    পুজোয় সব চেয়ে বেশি বিক্রি হওয়ার মধ্যে আছে রোল এবং চাউমিন। বিভিন্ন অলিগলিতেও গজিয়ে ওঠে এই দু’টির দোকান। সেখানে এত বেশি পরিমাণে চাউমিন লাগে যে, দোকানিরা কোনও নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের বদলে পাইকারি হারে চাউমিন কেনেন। ফলে, সেই চাউমিন কতটা স্বাস্থ্যসম্মত ভাবে তৈরি হচ্ছে, প্রশ্ন থাকছে তা নিয়ে। পুজোকর্তারাও স্টলের ভাড়া নিয়ে দায় সেরেছেন। তাঁরা স্বীকার করছেন, তাঁদের পক্ষে স্টলের খাবারের মান যাচাই করা সম্ভব নয়। তাহলে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য? সেটা খাওয়ার আগে আপনাকেই ভাবতে হবে।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    Nitish Kumar: মোদি সরকারের ভূয়সী প্রশংসা নীতিশের, দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিহারের রাজনীতিতে কখনও বিজেপির হাত ধরেছেন নীতিশ (Nitish Kumar) তো কখনো বা আরজেডির। বর্তমানে আরজেডির সঙ্গে জোটে থাকা নীতিশের কি দূরত্ব বাড়ছে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সঙ্গে? কারণ বৃহস্পতিবার বিহারের মতিহারিতে এক অনুষ্ঠান মঞ্চে থেকে বিজেপির প্রশংসা করতে শোনা গেল বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে। তার সঙ্গে নিতীশের আরও বার্তা ভারতীয় জনতা পার্টির উদ্দেশে, যে তাঁর সঙ্গে এখনও বন্ধুত্ব শেষ হয়ে যায়নি বিজেপির। এনিয়ে জল্পনা ছড়িয়েছে সারা দেশজুড়ে। 

    মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ নীতিশ

    রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মূর পাশে বসে পূর্বতন ইউপিএ সরকারকে নিশানা শানিয়েছেন নীতিশ (Nitish Kumar)। এর পাশাপাশি বর্তমান মোদি সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘২০০৭ সালে মনমোহন সিং সরকার বিহারে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কথা ঘোষণা করেছিলেন। সরকারের কাছে আমি আবেদনও জানিয়েছিলাম। বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের জন্য। তবে সেসময় আমার কোনও আবেদনই মান্যতা পায়নি। ২০১৪ সালে মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর আবেদন মান্যতা পায়। ২০১৬ সালে মতিহারিতে কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের কাজ শুরু হয়।’’ এদিনের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে কয়েকজন শীর্ষস্থানীয় বিহারের বিজেপি নেতা উপস্থিত ছিলেন এবং তাঁদের উদ্দেশে নীতিশ বলেন যে যতদিন বেঁচে থাকবো সবার সম্পর্কে বজায় থাকবে। সবাই একসঙ্গে কাজও করব।

    দূরত্ব বাড়ছে ইন্ডিয়া জোটের সঙ্গে?

    নীতিশ কুমারের (Nitish Kumar) এই মন্তব্যে জল্পনা শুরু হয়েছে। তবে কি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী ফের একবার পদ্ম শিবিরের হাত ধরতে চলেছেন? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার নাম নিয়েই প্রথম থেকে ক্ষুদ্ধ ছিলেন নীতিশ (Nitish Kumar)। তাঁকে অন্ধকারে রেখেই নাম ঠিক করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।  বিরোধী জোট করার ক্ষেত্রে প্রথমে তৎপর হয়েছিলেন নীতিশই এবং সেই মতো তিনি কলকাতাতে এসে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনাও সারেন নবান্নে। রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারনা যে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে নীতিশের নাম ঘোষণা না হওয়াতেও তিনি ক্ষুব্ধ হয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পার্থ থেকে কেষ্ট, তৃণমূলের ডজন খানেক নেতা-মন্ত্রীর পুজো কাটছে জেলে বসেই

    Durga Puja 2023: পার্থ থেকে কেষ্ট, তৃণমূলের ডজন খানেক নেতা-মন্ত্রীর পুজো কাটছে জেলে বসেই

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগ-দুর্নীতি থেকে গরু পাচার। রাজ্যের শাসক দলের একাধিক কেষ্ট-বিষ্টু বর্তমানে জেলবন্দি। চলতি বছরের দুর্গাপুজোটাও (Durga Puja 2023) তাঁদের জেলে বসেই কাটতে চলেছে। এই তালিকায় রয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, বীরভূমের দাপুটে জেলা সভাপতি, শাসক দলের বিধায়ক থেকে শিক্ষা দফতরের শীর্ষস্থানীয় কর্তারা।

    জেলে এবারও পুজো কাটবে পার্থ ও অর্পিতার

    জেলে বসে আরও একটা পুজো (Durga Puja 2023) কাটবে পার্থর। ২০২২ সালের তৃণমূলের শহিদ সমাবেশ একুশে জুলাইয়ের ঠিক পরের দিন তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে আচমকায় হানা দেয় ইডি। পরে ২৩ তারিখ সকালে গ্রেফতার করা হয় তৎকালীন তৃণমূলের মহাসচিবকে। সেই থেকেই পার্থ রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো বলে পরিচিত নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘের অন্যতম উদ্যোক্তা ছিলেন যে পার্থ, তাঁর এবারের দুর্গাপুজোটাও কাটছে জেলে বসেই। পার্থর সঙ্গে একই সময়ে গ্রেফতার হয়েছিলেন তাঁর ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তাঁদের জোড়া ফ্ল্যাট থেকে প্রায় পঞ্চাশ কোটি টাকা উদ্ধার করে ইডি, যা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছিল রাজ্য জুড়ে। অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের এটা দ্বিতীয় পুজো, যেটা তিনি জেলে বসেই কাটাবেন।

    শিক্ষা দফতরের অধিকর্তারাও জেলে

    পার্থ-অর্পিতা গ্রেফতার হতেই তদন্তের সূত্রে বেরিয়ে আসে শিক্ষা দফতরের একাধিক অধিকর্তার নাম। গ্রেফতার হন স্কুল সার্ভিস কমিশনের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান শান্তিপ্রসাদ সিনহা। ২০২২ সালের ১০ অগাস্ট গ্রেফতার হয়েছিলেন শান্তিপ্রসাদ। গতবারের মতো এবারেও তাঁর পুজো (Durga Puja 2023) কাটছে জেলে বসেই। শান্তিপ্রসাদের সঙ্গে রয়েছেন কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, অশোক সরকাররাও। গত বছরের সেপ্টেম্বরে এসএসসির প্রাক্তন চেয়ারম্যান সুবীরেশ ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। গতবারের মতো এবারও তাঁর দুর্গাপুজো কাটছে জেলে।

    অনুব্রত ও তাঁর কন্যার পুজো কাটবে কারাগারে

    ২০২২ সালের ১১ অগাস্ট নিজের বাড়ি থেকেই গ্রেফতার হন তৃণমূলের দাপুটে নেতা তথা বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। ২০২২ সালে তাঁর দুর্গাপুজো কেটেছিল আসানসোলের কারাগারের ভিতরেই। এবারেও তাঁর পুজো কাটছে দিল্লির তিহার জেলে। চলতি বছরের এপ্রিল মাসেই গ্রেফতার করা হয় গরুপাচার মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলে কন্যা সুকন্যাকেও। জেলে তাঁর এটা প্রথম দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)।

    জেলে বসে পুজো কাটাবেন শাসক দলের একাধিক নেতা-বিধায়ক

    গত বছর ঠিক পুজোর (Durga Puja 2023) পরেই ১১ অক্টোবর গ্রেফতার হয়েছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। এবারে প্রথম তাঁর দুর্গাপুজো জেলে বসেই কাটছে। প্রসঙ্গত মানিক ভট্টাচার্যের গোটা পরিবারকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁর স্ত্রীর জামিন হলেও পুত্র এখনও জেলে রয়েছেন। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে গ্রেফতার করা হয় তৃণমূলের যুবনেতা কুন্তল ঘোষকে। এবারে কুন্তলের দুর্গাপুজো কাটছে জেলে বসেই। কুন্তলের নাম প্রকাশ্যে এনেছিলেন বারাসতের তাপস মণ্ডল। একাধিক বেসরকারি বিএড কলেজের অন্যতম নিয়ন্ত্রণকর্তা তাপস চলতি বছরের ১৯ ফেব্রুয়ারি গ্রেফতার হন। চলতি বছরের ১১ মার্চ গ্রেফতার করা হয় হুগলির তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এবারে তাঁর প্রথম পুজো কাটছে জেলে। ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসে গ্রেফতার করা হয় মুর্শিদাবাদে বড়ঞার বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহাকে। জেলে জীবনকৃষ্ণের এটাই প্রথম দুর্গাপুজো। চলতি বছরের মে মাসের ৩০ তারিখে গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র কালীঘাটের কাকুকে। কালীঘাটের কাকুর পুজো এবার কাটছে কয়েদি হিসেবে হাসপাতালে।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Mahua Moitra: অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন! মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলফনামায় স্বীকার ব্যবসায়ীর

    Mahua Moitra: অর্থের বিনিময়ে প্রশ্ন! মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ হলফনামায় স্বীকার ব্যবসায়ীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অর্থের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন তোলার ইস্যুতে আরও চাপে তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। প্রসঙ্গত মহুয়া মৈত্রর বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে যে ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানির কাছে অর্থ ও উপহারের বিনিময়ে আদানি গোষ্ঠী, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে তিনি চাপে ফেলতে চেয়েছেন। ইতিমধ্যে হলফনামায় ব্যবসায়ী দর্শন হীরানন্দানি স্বীকার করেছেন যে তিনি মোদি সরকার এবং আদানি গোষ্ঠীকে অস্বস্তিতে ফেলার মত প্রশ্ন তোলার ক্ষেত্রে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mahua Moitra) দিয়ে প্রশ্ন করিয়েছেন সংসদে।

    বিজেপির অভিযোগ কার্যত স্বীকার শিল্পপতি হীরানন্দানির

    যে সমস্ত অভিযোগ বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে তুলেছেন মহুয়ার বিরুদ্ধে, তার কার্যত সবগুলোই মেনে নিয়েছেন তাঁর হলফনামা হীরানন্দানি। শিল্পপতির হলফনামায় উল্লেখ রয়েছে যে নানা কারণেই সাংসদের আবদার মেটানো হতো। বিলাসবহুল সামগ্রী কিনে দেওয়া হতো। দিল্লির সরকারি বাসভবন সংস্কার করে দেওয়া হতো। ছুটি কাটাতে বা বেড়ানোর খরচও দেওয়া হতো দেশের বিভিন্ন জায়গায় এমনকি বিদেশেও। হীরানন্দানি আরও জানিয়েছেন, মহুয়া মৈত্রর (Mahua Moitra) সঙ্গে তাঁর প্রথম পরিচয় ২০১৭ সালে। প্রসঙ্গত সে বছরে বেঙ্গল বিজনেস সামিট কলকাতায় অনুষ্ঠিত হয়। সেখানেই যোগ দিতে এসে মহুয়ার সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব হয়। এ সময় ব্যবসায়ী হীরানন্দানির মনে হয় যে মহুয়ার মাধ্যমেই তিনি অবিজেপি রাজ্যগুলিতে কাজের সুযোগ পেতে পারেন।

    হলফনামায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং শশী থারুরের নাম

    ওই ব্যবসায়ীর হলফনামায় কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী এবং শশী থারুরের কথাও উঠে এসেছে। দর্শন হিরানন্দানির কাছে অর্থে এবং উপহারের বিনিময়ে সংসদে প্রশ্ন করেছেন মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra), এই অভিযোগ তোলেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। গত রবিবার এ নিয়ে লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লার কাছে অভিযোগ পাঠান বিজেপি সাংসদ দুবে। মঙ্গলবারই ওম বিড়লা সংসদের এথিক্স কমিটিকে নির্দেশ দিয়েছেন যে অভিযোগ কতটা সত্য তা খতিয়ে দেখতে। এরই মাঝে দুবাই-কেন্দ্রিক ব্যবসায়ী হীরানন্দানির হলফনামা সামনে এসেছে গতকালই। মহুয়া মিত্রের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ যে ওই শিল্পপতিকে তিনি সংসদের লগ ইন আইডিও দিয়েছেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ২০/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ২০/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) সকলে আপনার সঙ্গে বন্ধুত্ব করার চেষ্টা করবেন।

    ২) দাম্পত্য জীবনে সমস্যা থাকলে, তা থেকে মুক্তি পাবেন।

    বৃষ

    ১) আয় মাথায় রেখে ব্যয় করুন, তা না-হলে ভবিষ্যতে সমস্যায় জড়াতে পারেন। সম্পত্তি কমে যেতে পারে।

    ২) নববিবাহিত দম্পতিরা ভালো সংবাদ শুনতে পাবেন।

    মিথুন

    ১) আজ কাউকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে তা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

    ২) ব্যবসায়ীদের মনে যে চিন্তাভাবনা আসবে, তা সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর করুন। তখনই লাভ ও সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।

    কর্কট

    ১) ব্যবসায় সমস্যার সম্মুখীন হলে, তা থেকে স্বস্তি পেতে পারেন।

    ২) প্রেম জীবনে নতুন শক্তি সঞ্চারিত হবে। সুসংবাদ পাবেন।

    সিংহ 

    ১) সন্তানের তরফে হতাশার মুখোমুখি হতে পারেন। তাই তাদের ওপর কড়া নজর রাখুন।

    ২) ব্যবসায় কারও পরামর্শে কোনও কাজ করবেন না।

    কন্যা

    ১) জীবনসঙ্গী নতুন কোনও ব্যবসা শুরুর পরিকল্পনা করতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ভাইয়ের পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে গেলে লাভ হবে।

    ২) সন্তানের তরফে সুসংবাদ পাবেন।

    তুলা 

    ১) পুরনো লেনদেন শোধ করতে সফল হবেন।

    ২) মাথাব্যথা, জ্বর হতে পারে। তাই এ সব থেকে সাবধান থাকুন।

    বৃশ্চিক

    ১) নিজের আমদানি মাথায় রেখে কাজ না-করলে আর্থিক সংকট মোকাবিলা করতে হবে। তাই ভবিষ্য়তের জন্য অর্থ সঞ্চিত করুন।

    ২) বিবাহযোগ্য জাতকরা বিয়ের প্রস্তাব পেতে পারেন। পরিবারের সদস্যরা তাতে মঞ্জুরি দেবেন।

    ধনু

    ১) বিদেশি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা আজ হতাশাজনক সংবাদ শুনতে পাবেন। সন্তানের উন্নতি দেখে মন প্রসন্ন হবে।

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ জীবনসঙ্গীর সঙ্গে শপিংয়ে যেতে পারেন।

    মকর

    ১) পরিবারের কোনও সদস্য হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ায় দৌড়ঝাঁপ করতে হবে। অর্থ ব্যয় হবে।
     
    ২) শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যের সঙ্গে বিবাদ চললে জীবনসঙ্গীর সাহায্যে তার সমাধান হবে।

    কুম্ভ

    ১) অভিজ্ঞ ব্যক্তির পরামর্শ নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত হবে।

    ২) ব্যবসায়ে নতুন শত্রু উৎপন্ন হতে পারে। এঁরা আপনার উন্নতি দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়বেন।

    মীন

    ১) খাওয়া-দাওয়ার যত্ন না-নিলে পেটের সমস্যা হতে পারে।

    ২) একাগ্রচিত্তে পরীক্ষার প্রস্তুতি নিন, তখনই সাফল্য লাভ করবেন।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Palestine: যুদ্ধের মাঝে ইজরায়েলের পর প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা মোদির

    Palestine: যুদ্ধের মাঝে ইজরায়েলের পর প্যালেস্তাইনের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা মোদির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ইজরায়েল-হামাস ( Palestine) যুদ্ধের মাঝে নেতানিয়াহুর পরে এবার প্যালেস্তাইনের প্রধানমন্ত্রী মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে বৃহস্পতিবার কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। যুদ্ধ পরিস্থিতিতে গাজার হাসপাতালে নিহত প্যালেস্তাইনের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সমবেদনাও জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী মোদি এরকম যুদ্ধ পরিস্থিতিতে প্যালেস্তাইনের সাধারণ নাগরিকদের জন্য সমস্ত রকম মানবিক সহযোগিতা করার আশ্বাসও দিয়েছেন।

    এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট প্রধানমন্ত্রীর 

    নিজের এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী লেখেন, ‘‘প্যালেস্তাইনের ( Palestine) প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের সঙ্গে কথা হয়েছে এবং সেখানকার সাধারণ নাগরিকদের প্রাণহানির ঘটনায় আমি সমবেদনা জানিয়েছি।’’

    ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ১৩ তম দিনে পা দিল

    প্রসঙ্গত এদিন সকালেই বিদেশ দফতরের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী ইজরায়েলের ওপর ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকালেই তিনি বলেন যে সমস্ত আন্তর্জাতিক মহলকে এক হতে  হবে সন্ত্রাসবাদকে মোকাবিলা করার জন্য।  গত সাত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধ ১৩ তম দিনে পা দিল। এখনও পর্যন্ত এই যুদ্ধে প্রায় ৩,৭০০ এর বেশি প্যালেস্তাইনের ( Palestine) সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন এবং ১,৪০০ এর বেশি ইজরায়েলের সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে খবর। অন্যদিকে এদিনই ইজরায়েলকে সমর্থন করতে তেল আভিভে পৌঁছলেন ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনক। নিজের সোশ্যাল হ্যান্ডেলে সুনক জানান, তিনি ইজরায়েলে (Israel-Hamas Conflict) রয়েছেন। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যেভাবে লড়াই চলছে, সেই যুদ্ধে ইজরায়েলের পাশে তিনি রয়েছেন বলে জানান ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী। সফরের আগে একটি বিবৃতি দিয়ে ব্রিটেনের ভারতীয় বংশোদ্ভূত প্রধানমন্ত্রী বলেন, “প্রতিটি সাধারণ নাগরিকের মৃত্যু যন্ত্রনার। হামাসের সন্ত্রাসবাদী হামলার ফলশ্রুতি এই এত মানুষের মৃত্যু।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    Body Weight: পুজোর আগে তড়িঘড়ি ওজন কমানো? খাবার বাদ দিলে বিপদ হবে না তো?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব শুরু হয়ে গিয়েছে। আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। এরপরে আনুষ্ঠানিক ভাবেই ঢাকে কাঠি পড়বে। কেতাদুরস্ত জামাকাপড় পরতে, আর নিজেকে সুন্দরভাবে সাজাতে অনেকেই দ্রুত ওজন কমিয়ে একেবারে ফিট (Body Weight) হতে চাইছেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যে ওজন কমানোর ইচ্ছে অন্য বিপদ বাড়াচ্ছে না তো?

    দ্রুত ওজন হ্রাস অন্য রোগের ঝুঁকি বাড়ায়? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন (Body Weight) কমলে তা অন্যান্য শারীরিক সমস্যা তৈরি করতে পারে। তাই দ্রুত রোগা হওয়ার ইচ্ছে যথেষ্ট বিপজ্জনক। তাঁরা জানাচ্ছেন, দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য অনেকেই খাবারে কাটছাঁট করেন। ভাত, রুটি খাওয়া একেবারেই বন্ধ করে দেন। প্রয়োজনীয় প্রোটিন খান না। আর এই সবের জেরেই শরীরে এনার্জির ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, রক্তচাপ কমে যায়। শরীর দুর্বল হয়ে যায়। এর ফলে রোগ প্রতিরোধ শক্তি কমে যায়। যে কোনো বড় শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। 
    এছাড়া দ্রুত ওজন কমলে ত্বকের সমস্যা দেখা দিতে পারে। ত্বক শুষ্ক হয়ে যেতে পারে। কারণ, দ্রুত ওজন কমালে শরীরে একাধিক হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়। যার প্রভাব পড়ে ত্বক ও চুলের উপরে। এমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। 
    পাশপাশি এক ধরনের মানসিক চাপ তৈরি হয়। ওজন সামান্য বেড়ে গেলেও তখন এক ধরনের অস্বস্তি তৈরি হয়। যা মানসিক স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক।

    কীভাবে নিয়ম মেনে ওজন কমবে? (Body Weight)

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, খুব দ্রুত ওজন কমানোর পরিকল্পনা করা উচিত নয়। তবে, পুজোর আগে কয়েকটি জিনিস মেনে চললেই শরীর সুস্থ থাকবে। ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। 
    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ভাত-রুটির মতো কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার খাবারের তালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দেওয়া চলবে না। কিন্তু খুবই অল্প পরিমাণে খেতে হবে। পেট ভরে খাবার খাওয়া জরুরি। তাই প্রচুর সবুজ সব্জি যেমন বাঁধাকপি, পালং শাক, গাজর, পেপে, লাউ খেতে হবে। এগুলো ভিটামিন, ফাইবার সমৃদ্ধ। ফলে, শরীরের নানান চাহিদা পূরণ করে। 
    প্রাণীজ প্রোটিন খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকা জরুরি। মটন একেবারেই চলবে না। কারণ মটনে থাকে অতিরিক্ত ফ্যাট। যা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দেয় না। ডিম, সোয়াবিন, মাছ, চিকেন খাওয়া যেতে পারে। এতে শরীরে প্রোটিনের চাহিদা মিটবে। 
    তবে, নিয়মিত ফল খেতে হবে। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, মাল্টা, কিউই, সবুজ আপেল, কলা, নাশপাতির মতো ফল খাওয়া দরকার। এতে শরীরে রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকে। অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকায় রোগ প্রতিরোধ শক্তি গড়ে ওঠে। প্রয়োজনীয় ভিটামিনের চাহিদা মেটায়। আর ওজন (Body Weight) বাড়তে দেয় না। 
    তবে, খাওয়ার দিকে নজর দেওয়ার পাশপাশি জরুরি নিয়মিত যোগাভ্যাস। কারণ শারীরিক কসরত নিয়মিত করলে তবেই ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে। শরীর সুস্থ থাকবে। তাই ওজন কমাতে তাড়াহুড়ো নয়। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ, পরিকল্পনা মাফিক নিয়মমাফিক জীবন যাপন ওজনে রাশ টানতে সাহায্য করবে।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    Dengue: উৎসবের মাঝে অব্যাহত ডেঙ্গির প্রকোপ! পুজোয় কি বাড়তে চলেছে ভোগান্তি? 

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দরজায় হাজির। কিন্তু মশা নিয়ে ভোগান্তি কমেনি রাজ্যবাসীর। পুজোর সময় সেই ভোগান্তি আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন বঙ্গবাসী। কলকাতা হোক কিংবা জেলা, বর্ষা বিদায় নিলেও ডেঙ্গি বিদায় নিচ্ছে না। তাই প্রত্যেক দিন বাড়ছে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা। আর পুজোর মরশুমে সরকারি হাসপাতালে ভর্তি নিয়ে আরও নাজেহাল হচ্ছেন রাজ্যবাসী।

    কী বলছে স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট? (Dengue)

    স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে। গত এক সপ্তাহে আবার বেড়েছে সংক্রমণ। দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতেই ডেঙ্গি সংক্রমণ বাড়তি উদ্বেগ তৈরি করছে বলেও জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। স্বাস্থ্য দফতরের তথ্য অনুযায়ী, গোটা রাজ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলায়। এই জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ হাজার ছাড়িয়েছে। এরপরেই আছে কলকাতা। সেখানেও আক্রান্তের সংখ্যা ৯ হাজারের কাছাকাছি। ডেঙ্গি সংক্রমণে তৃতীয় স্থানে রয়েছে মুর্শিদাবাদ। সেখানে আক্রান্তের সংখ্যা ৮ হাজারের কমবেশি। গত দু’সপ্তাহে ডেঙ্গি সংক্রমণ ৬৮ শতাংশ বেড়েছে বলে জানাচ্ছেন স্বাস্থ্য কর্তাদের একাংশ। তাঁরা জানাচ্ছেন, গত বছরের তুলনায় এবছরে গ্রামাঞ্চলে ডেঙ্গি আরও বেশি দাপট দেখিয়েছে। পুজোর সময়েও ডেঙ্গির শক্তি অব্যাহত থাকবে বলেই আশঙ্কা করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

    পুজোয় বাড়তি কোন ভোগান্তির আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল? (Dengue)

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট অব্যাহত। পুজোর সপ্তাহেও ডেঙ্গি (Dengue) শক্তি প্রকাশ করবে বলেই আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। আর তার জেরেই রাজ্যবাসীর ভোগান্তি বাড়বে বলে আশঙ্কা সংশ্লিষ্ট মহলের। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের একাংশ জানাচ্ছেন, পুজোর মরশুমে প্রায় দু’সপ্তাহ স্বাস্থ্য দফতর থেকে সরকারি হাসপাতাল অঘোষিত ছুটির মেজাজে চলে যায়। এমনকি সম্প্রতি কয়েক বছর কয়েকটি সরকারি হাসপাতাল চত্বরেই চলে দুর্গাপুজো। এই পরিস্থিতিতে হয়রানির শিকার হন রোগী ও পরিজনেরা। ডেঙ্গি যে হারে বাড়ছে, তাতে হাসপাতালে ভর্তির চাপ বাড়বে। কিন্তু পুজোর সময় অধিকাংশ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীর ঘাটতি দেখা যায়। ফলে, ভর্তি নিয়ে টালবাহানা আরও বাড়বে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। রোগীকে নিয়ে এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতালে দৌড়নোর ভোগান্তি হতে পারে। 
    পাশাপাশি প্লেটলেটের আকাল আরও বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছে সংশ্লিষ্ট মহল। রক্তদান শিবির তেমন হয়নি। আবার প্লেটলেটের চাহিদাও মারাত্মক বাড়ছে। তাই এই সময়ে রক্তের সঙ্কট দেখা দিতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকেই।

    কী বলছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা? 

    জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, রাজ্যের ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতির আসল চিত্র সম্পর্কে প্রশাসন ওয়াকিবহাল। তাই বিশেষজ্ঞদের আর্জি, রাজ্যবাসী যাতে নির্বিঘ্নে পুজো উদযাপন করতে পারেন, সেটা নিশ্চিত করুক প্রশাসন। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নিশ্চিত করা, প্লেটলেটের জোগান বজায় রাখার মতো বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দিলেই ভোগান্তি কমবে। আর সেটার দায়িত্ব রাজ্য সরকারকেই নিতে হবে বলে জানাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share