Author: user

  • Durga Puja 2023: কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়িতে হোমের আগুন জ্বালানো হয় সূর্যের আলোতে!

    Durga Puja 2023: কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়িতে হোমের আগুন জ্বালানো হয় সূর্যের আলোতে!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রাচীন বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো অন্যতম। আনুমানিক ১৭১৭ সালে প্রথম এই পুজো শুরু হয়। স্বর্গীয় রাজা যাদবরাম রায় দেবী দুর্গার স্বপ্নাদেশে পুজো শুরু করেন। বর্তমানে পুজোর (Durga Puja 2023) বয়স ৩০০ বছরের বেশি।

    পুজোর বেশ কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য (Durga Puja 2023)

    রাজাও নেই, রাজত্বও নেই। তবুও বিগত তিন শতাব্দী ধরে ধর্মীয় সকল রীতিনীতি ও পরম্পরা মেনে আজও কিশোরনগর রাজবাড়িতে পুজো হয়ে আসছে। রাজকীয়তা বা জৌলুস কমলেও দিনে দিনে রাজবাড়ির পুজো ঘিরে বেড়েছে মানুষের টান ও ভালোবাসা। কিশোরনগর রাজবাড়ির পুজোর বেশ কিছু ব্যতিক্রমী বৈশিষ্ট্য আছে। যেমন, এখানে মায়ের ঘট পশ্চিমমুখী। এছাড়াও পুজোয় হোমের আগুন জ্বালানো হয় সূর্যের আলোতে, আতস কাচ ব্যবহার করে। যদি বৃষ্টির কারণে আতস কাচ কাজ না করে, তবে ব্যবহার করা হয় বিশেষ চকমকি পাথর। এক সময় এখানে মায়ের কাছে বলি দেওয়ার প্রথা থাকলেও এখন আর তা হয় না। পশু বলির পরিবর্তে আখ ও চালকুমড়ো বলি দেওয়া হয় (Durga Puja 2023) রীতি মেনে। এখানে মায়ের প্রসাদ হিসেবে কাজুবাদাম দিয়ে তৈরি এক বিশেষ ধরনের ভোগপ্রসাদ দেওয়া হয়।

    হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন (Durga Puja 2023)

    কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো শুরু হয় ষষ্ঠীর দিন ঘটোত্তলনের মধ্য দিয়ে। ঠাকুর এখানে এক চালার। মন্দির পাকা হলেও ঐতিহ্য মেনে মায়ের মন্দিরে মায়ের মাথার উপরে আজও রয়েছে খড়ের চালা। নিয়ম মেনেই মহাসপ্তমী, মহাঅষ্টমী, সন্ধিপুজো, মহানবমী এবং দশমীর পুজো ও বিসর্জন হয়। মহাষ্টমীর দিন অঞ্জলি দেওয়ার জন্য মানুষজন ভিড় করে রাজবাড়ির দালানে। নিয়ম মেনেই সন্ধিপুজো হয় একশোটি প্রদীপ জ্বালিয়ে। পুজোর (Durga Puja 2023) দিনগুলিতে হাজার হাজার মানুষ ভিড় করেন রাজবাড়ির পুজো দেখতে, পুষ্পাঞ্জলি দিতে, প্রসাদ খেতে। পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হাজার হাজার মানুষ ছাড়াও পাশের রাজ্য ওড়িশা থেকে বহু মানুষ আসেন কাঁথির কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজো দেখতে। রাজবাড়ির গড় বা ময়দানে নবমীর দিন বসে বিশাল আখের মেলা। ঠাকুর দেখে বাড়ি ফেরার সময় মানুষজন কিনে নিয়ে যান আখ। লক্ষ লক্ষ টাকার আখ বিক্রি হয় এই মেলায়। আজও এখানে পরম্পরা মেনে প্রতিমা কাঁধে চাপিয়েই বিসর্জন হয়। বিসর্জনের শোভাযাত্রায় সামিল হন কাঁথি শহরের শত শত মানুষ।

    মন্দির হয়ে ওঠে মিলনক্ষেত্র

    রাজকীয়তা বা জৌলুস কমলেও কিশোরনগর রাজবাড়ির পুজো (Durga Puja 2023) ঘিরে মানুষের আগ্রহ কিন্তু কমেনি। কর্মসূত্রে বা বৈবাহিক সূত্রে সারা দেশে বা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা রাজ বাড়ির সদস্যরা মিলিত হন পুজোর দিনগুলিতে। রাজবাড়ির সদস্যরা, তাঁদের বন্ধু-বান্ধব ও আত্মীয় স্বজনরা সকলে মিলিত হন পুজো উপলক্ষ্যে। কিশোরনগর রাজবাড়ির দুর্গাপুজোর মন্দির হয়ে ওঠে এক মিলনক্ষেত্র।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Navratri 2023: কাল থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি, কেন এবং কীভাবে পালন করা হয় জানেন?

    Navratri 2023: কাল থেকে শুরু হচ্ছে নবরাত্রি, কেন এবং কীভাবে পালন করা হয় জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশ্বিন এবং চৈত্র মাসের শুক্লা প্রতিপদ তিথি থেকে পরের ন’দিন অবধি মা দুর্গার নয়টি অবতারের পুজো নবরাত্রি (Navratri 2023) নামে পরিচিত। আরও সরল ভাষায় বলতে গেলে শরৎকালের নবরাত্রি মহালয়ার পরদিন থেকে শুরু হয়। ন’দিন ধরে মা দুর্গার ন’টি অবতারের পুজো দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রান্তে ধুমধাম করে হয়। প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র হিন্দু ধর্মাবলম্বী নয়, শিখ এবং জৈন সমাজের মধ্যেও নবরাত্রি পালনের রীতি দেখা যায়।

    এক নজরে দেখে নেওয়া যাক মা দুর্গার এই ন’টি অবতার কী কী—

     ‘শ্রী বরাহপুরাণে’ হরিহর ব্রহ্মা ঋষির দ্বারা রচিত দেবী কবচে লেখা রয়েছে-
    প্রথমং শৈলপুত্রী চ
     দ্বিতীয়ম্ ব্রহ্মচারিণী ।
    তৃতীয়ং চন্দ্রঘণ্টেতি কুষ্মাণ্ডেতি চতুর্থকম্ ।।
    পঞ্চমং স্কন্দমাতেতি,
     ষষ্ঠম্ কাত্যায়নীতি চ।
    সপ্তমং কালরাত্রীতি মহাগৌরীতি চাষ্টমং।।
    নবমং সিদ্ধিদাত্রী চ
     নবদুর্গা প্রকীর্তিতাঃ ।।

    মাতা শৈলপুত্রী: নবরাত্রির (Navratri 2023) প্রথম দিনে মাতা শৈলপুত্রীর পুজো করা হয়। দেবীর নামের অর্থ “পাহাড়ের কন্যা”। তাঁর ভক্তদের বিশ্বাস, মাতা শৈলপুত্রীর আশীর্বাদ স্বরূপ সুস্থ, রোগমুক্ত জীবন পাওয়া যায়। মাতার নৈবেদ্যতে খাঁটি ঘি অর্পণ করা হয়। এই দেবীর আরাধনায় মূলাধার চক্র শুদ্ধ হয়।

    মাতা ব্রহ্মচারিণী: নবরাত্রির দ্বিতীয় দিনে এই দেবীর পুজো হয়। ব্রহ্মচারিণী মাতাকে খুশি করতে ভক্তরা চিনি নিবেদন করে থাকেন। বিশ্বাস মতে, মাতা তাঁর ভক্তদের দীর্ঘায়ু প্রদান করেন। এই দেবীর উপাসনার দ্বারা সাধিস্তান চক্র শুদ্ধ হয় হয় বলে ভক্তরা মনে করে।

    মাতা চন্দ্রঘণ্টা: তৃতীয় দিনে মাতা চন্দ্রঘণ্টার প্রতি ভক্তি নিবেদন করা হয়। এই দেবীর বাহন বাঘ। উগ্র মূর্তি এই দেবীকে ক্ষীর ভোগ অর্পণ করেন ভক্তরা। ভক্তদের বিশ্বাস, দেবী সমস্ত অশুভ শক্তির বিনাশ করেন এবং যাবতীয় বাধা-বিঘ্ন দূর করেন।

    মাতা কুষ্মান্ডা: চতুর্থ দিনে মাতা কুষ্মান্ডার প্রতি ভক্তি নিবেদিত হয়‌। শাস্ত্র মতে, এই দেবী মহাবিশ্বের স্রষ্টা। তিনি তাঁর ভক্তদের জ্ঞানদানের দ্বারা বৌদ্ধিক বিকাশ ঘটান এবং কর্মক্ষেত্রে জটিলতা দূর করেন। দেবীকে মালপোয়া ভোগ অর্পণ করা হয়।

    মাতা স্কন্দমাতা: নবরাত্রির (Navratri 2023) পঞ্চম দিনে মাতা স্কন্দমাতার আরাধনা করেন ভক্তরা। ভগবান কার্তিককে কোলে নিয়ে উপবিষ্ট এই দেবীর আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা কলা নিবেদন করেন। দেবীর আশীর্বাদে ভক্তের জীবনে পরম সুখ ও শান্তি আসে বলে বিশ্বাস।

    মাতা কাত্যায়নী: ঋষি কাত্যায়নের কন্যা, শক্তির প্রতীক তথা যোদ্ধা দেবী কাত্যায়নী মাতার পুজো নবরাত্রির (Navratri 2023) ষষ্ঠ দিনে সম্পন্ন হয়। ভক্তদের তিনি শক্তি, ধর্ম ও জাগতিক সুখ প্রদান করেন বলে বিশ্বাস। তাঁকে ভক্তদের মধু নিবেদনের রীতি চালু রয়েছে।

    মাতা কালরাত্রি: সপ্তমী পুজো হয় এই দেবীর। দেবী ত্রিশূলধারী। মাতা কালরাত্রির আশীর্বাদে জীবনের সমস্ত কুপ্রভাব বিনষ্ট হয় বলে ভক্তদের ধারণা। মাতাকে গুড় নিবেদন করা হয়।

    মাতা মহাগৌরী: উজ্জ্বল সৌন্দর্যের প্রতীক এই দেবী অষ্টমীতে ভক্তদের দ্বারা আরাধিত হন। মাতা মহাগৌরীর একহাতে ত্রিশূল ও অপর হাতে ডমরু থাকে। তাঁর নৈবেদ্যতে নারকেল রাখার রীতি রয়েছে। বিশ্বাস রয়েছে, মাতার আশীর্বাদ স্বরূপ ভক্তদের ভালো বিবাহ হয়।

    মাতা সিদ্ধিদাত্রী: নবরাত্রির (Navratri 2023) শেষদিনে পুজো হয় এই দেবীর। তিনি ভক্তদের জীবনে সমস্ত অশুভ প্রভাব বিনষ্ট করেন এবং সাফল্য আনেন বলে ভক্তদের ধারণা। মাতা সিদ্ধিদাত্রীকে ভক্তরা তিল নিবেদন করে থাকেন।

    দেশের বিভিন্নপ্রান্তে নবরাত্রি

    নবরাত্রি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন নামে পরিচিত রয়েছে। যেমন নভরাত্রি, নঔরাত্রি, নবরাহত্রি, নবরাতম, নঔরাতম ইত্যাদি। আচার, অনুষ্ঠান, রীতি, প্রথা মেনে পালিত হওয়া নবরাত্রিতে ভক্তরা ন’দিন যাবৎ উপবাস রাখেন। তার সঙ্গে ইন্দ্রিয় সংযমের বিধিও পালন করা হয়। এসময় তামসিক খাবার যথা মাছ, মাংস, ডিম ভক্তরা খান না। ক্ষৌরকর্ম করেন না, প্রত্যহ ভোরবেলায় উঠে স্নান করে দেবীকে ভক্তরা নৈবেদ্য নিবেদন করেন। সনাতন সংস্কৃতির ধারক, বাহক ও পালক হল এই নবরাত্রি ব্রত।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    South 24 Parganas: পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ! বন্ধ করে দেওয়া হল নিকাশি ব্যবস্থা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী হওয়ার অপরাধ! প্রায় এক মাস ধরে নিকাশি ব্যবস্থা বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (South 24 Parganas) পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায়। এ যেন হাতে না মেরে জলে ডুবিয়ে মারার পরিকল্পনা। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    পরিবার ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দক্ষিণ ২৪ পরগনা (South 24 Parganas) জেলার পাথরপ্রতিমা ব্লকের পূর্ণচন্দ্রপুর শ্রী নারায়ণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের  শ্রীনারায়ণপুর ছয়েরঘেরি এলাকায় গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্নপূর্ণা হালদার নামে গৃহবধূ বিজেপির প্রার্থী হয়ে পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী হয়েছিলেন। যদিও পরে তিনি পরাজিত হন। গৃহবধূ এবং তাঁর পরিবারের লোকজনের অভিযোগ, বর্তমান শাসকদলের মদতে জল নিকাশি ব্যবস্থা হঠাৎ করে এক তৃণমূলের এক নেতা মাটি ফেলে বন্ধ করে দেন। তাঁদের দাবি জায়গাটি ছিল তাঁদের, দীর্ঘদিন মামলা করে তাঁরা জয়ী হন। যার ফলে তারা এই পথ দিয়ে আর জল যেতে দেবেন না। আর তার ফলেই প্রায় এক মাস ধরে জলের তলায় ওই বিজেপি প্রার্থীদের তিনটি পরিবার সহ+ বিরোধী রাজনৈতিক দলের আরও ১৯ টি পরিবার। বারবার পঞ্চায়েতকে জানিয়ে কোনও কাজ হয়নি। বাড়ির উঠান থেকে ঘরের মেঝেতে পর্যন্ত প্রায় এক হাঁটু জল, অনেক বাড়িতে ভেড়ি দিয়ে জল তুলতে হচ্ছে প্রতিদিন। এমনকী গরুর গোয়াল, মুরগির খোঁয়ার পর্যন্ত জলে ডুবে আছে। প্রতিদিন বাড়ির বয়স্ক মানুষ থেকে ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। জলে অসহায়ের মত দিন কাটাতে হচ্ছে তাঁদের।

    কী বললেন বিজেপি কর্মী?

    বিজেপি কর্মী অন্নপূর্ণা হালদার বলেন, পঞ্চায়েতে বিজেপি প্রার্থী হওয়া অপরাধ। তারজন্যই পরিকল্পিতভাবে তৃণমূল এই কাজ করেছে। প্রশাসনের কাছে দরবার করেও লাভ হচ্ছে না। এলাকায় যে ভাবে জল জমে রয়েছে তাতে ডেঙ্গির উপদ্রব হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ মৌলি বলেন, এই ধরনের অভিযোগ ঠিক নয়। কারণ, এই ধরনের নোংরা রাজনীতি তৃণমূল করে না। জল নিকাশি নিয়ে যে সমস্যা হয়েছে তা খতিয়ে দেখে সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Mukutmanipur: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়েই হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে বাঁকুড়া জেলার মুকুটমণিপুর

    Mukutmanipur: প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়েই হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে বাঁকুড়া জেলার মুকুটমণিপুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পৃথিবীর বুকে যদি এক টুকরো স্বর্গ বলে কোনও জায়গা থেকে থাকে, তবে নিঃসন্দেহে বলে দেওয়া যায় সেই জায়গাটির নাম “মুকুটমণিপুর” (Mukutmanipur)। পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার এক ছোট্ট, নির্জন পর্যটন কেন্দ্র এই মুকুটমণিপুর। শুধুমাত্র আপন প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দিয়েই এই মুকুটমণিপুর হৃদয় ছুঁয়ে যেতে পারে যে কোনও প্রকৃতি প্রেমিক পর্যটকের। একদিকে কংসাবতী বা কাঁসাই নদী, অপর দিকে ছোট ছোট পাহাড়ের সারি, অগভীর বনানী, নীল আকাশ—। আর কী চাই সৌন্দর্য পিপাসু পর্যটকের? আর যদি হয় পূর্ণিমা রাত, তাহলে তো আর কথাই নেই। চাঁদের রুপোলি আলোয় স্নান করা মুকুটমণিপুর তখন “কল্প লোকের গল্প গাথা”।

    পাহাড়-জঙ্গল ঘেরা অপূর্ব স্থান

    একই সঙ্গে দেখে নেওয়া যায় কাঁসাই নদীর ওপর প্রায় ১১ কিমি দীর্ঘ ও ৩৮ মিটার উঁচু বাঁধটি, ৪ কিমি দূরে অম্বিকা নগরে দেবি অম্বিকার প্রাচীন মন্দির। ইচ্ছে হলে আর হাতে সময় থাকলে ঘুরে আসুন প্রায় ৫৯ কিমি দূরে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম “সুতান”, প্রায় ৪০ কিমি দূরে ঘন অরণ্য পরিবৃত “রানি বাঁধ”, প্রায় ৪৩ কিমি দূরে পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা এক অপূর্ব সুন্দর স্থান “ঝিলিমিলি” প্রভৃতিও (Mukutmanipur)।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন?

    যাতায়াত–কলকাতার ধর্মতলার শহিদ মিনার বাসস্ট্যান্ড থেকে সরাসরি বাস যাচ্ছে মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur)। কলকাতা থেকে দূরত্ব প্রায় ২৪৪ কিমি। বাসে সময় লাগে প্রায় ৬-৭ ঘণ্টা। এছাড়া ট্রেনে বাঁকুড়া অথবা বিষ্ণুপুর এসে সেখান থেকে বাসে যাওয়া যায় মুকুটমণিপুর। দূরত্ব বাঁকুড়া ৫৬ এবং বিষ্ণুপুর ৮২ কিমি । প্রসঙ্গত জানিয়ে রাখি কলকাতা থেকে মুকুটমণিপুর গামী সব বাসই যাচ্ছে বাঁকুড়া জেলার দুটি অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বিষ্ণুপুর এবং জয়পুর ফরেস্টের ওপর দিয়ে ।
    থাকা-খাওয়া–মুকুটমণিপুরে বেশ কিছু হোটেল, লজ রয়েছে থাকা এবং খাওয়ার জন্য। আবার প্রয়োজন মনে করলে বাঁকুড়া, বিষ্ণুপুরে থেকেও ঘুরে নেওয়া যায় মুকুটমণিপুর (Mukutmanipur)।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: প্রশাসনিক প্রধান রূপে ২২ বছর পূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী পদে রেকর্ড তৈরির পথে নরেন্দ্র মোদি

    Narendra Modi: প্রশাসনিক প্রধান রূপে ২২ বছর পূর্ণ, প্রধানমন্ত্রী পদে রেকর্ড তৈরির পথে নরেন্দ্র মোদি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রশাসনিক প্রধানের দায়িত্ব পালনের ২২ বছর পূর্ণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi)। রাজনৈতিক ভাবে অত্যন্ত সফল এবং জনপ্রিয় নেতা হিসাবে কাজ করছেন তিনি। আজ থেকে ২২ বছর আগে ২০০১ সালের ৭ অক্টোবর, গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। প্রথম দিন শপথ নিয়েই বলেছিলেন, “জনগণের অংশগ্রহণ ছাড়া গণতন্ত্র সম্ভব নয়।” আবার ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর শপথ নিয়ে বলেছিলেন, “জনগণের মধ্যেই আমাদের শক্তি রয়েছে। দেশের প্রত্যেক নাগরিকদের মধ্যে দেশের শক্তি নিহিত রয়েছে।”

    গুজরাটে  তিনবার মুখ্যমন্ত্রী মোদি (Narendra Modi)

    ২০০২ সালের ফেব্রুয়ারির উপনির্বাচন থেকে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত কোনও নির্বাচনেই নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) পরাজিত হননি। মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি আরএসএস-এর কর্মী হিসাবে সামাজিক কাজে নিযুক্ত ছিলেন। ২০০৭ থেকে ২০১২ পর্যন্ত টানা তিন বার ভোটে জয়ী হয়ে গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। সাধারণ মানুষের বিপুল সমর্থন, তাঁর রাজনৈতিক জীবনের সফলতার পথকে ক্রমশ মসৃণ করেছে। গুজরাটের সামগ্রিক উন্নয়ন এবং সবরমতি নদী প্রকল্পের উপর বিশেষ ভাবে কাজ করেন মোদি। এছাড়াও তাঁর সময়কার খাদি উৎসব, কৃষি উৎসব, বিকাশ উৎসবের প্রকল্পগুলি গুজরাটের উন্নয়নকে আরও সাফল্যের দিকে নিয়ে গেছে।

    প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরপর দুইবার নির্বাচিত

    গুজরাটে মুখ্যমন্ত্রী রূপে ব্যাপক সাফল্যের পর ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্বভার নেন। সেই সময় তাঁর শ্লোগান হয়, “সবকা সাথ সবকা বিকাশ”। সেই সঙ্গে দেশের নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য ‘বেটি পড়াও বেটি বাঁচাও’ প্রকল্পের সূচনা করেন। এছাড়াও, দেশের সীমান্ত সুরক্ষা, পররাষ্ট্রনীতি, আয়ুষ্মান ভারত স্বাস্থ্য বীমা, স্বচ্ছ ভারত মিশন, উজ্জ্বলা যোজনা, আত্মনির্ভর ভারত, লোকাল ফর ভোকাল, মেক-ইন ইন্ডিয়া, মন কী বাত ইত্যাদি প্রকল্প এবং উদ্যোগের সূচনা করেন। এই কর্মকাণ্ডে পশ্চিম ভারতের উন্নয়নের পাশপাশি পূর্ব ভারত এবং উত্তর-পূর্ব ভারতের যোগাযোগ ব্যবস্থার উপর উন্নয়নের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেন। দেশের ধর্মীয় স্থাপত্য, শিক্ষা, বিজ্ঞান, প্রযুক্তির উপর বিশেষ দৃষ্টি দিয়ে দেশের সার্বিক উন্নয়নের কাজে আত্মনিয়োগ করেছেন তিনি।  

    সারা বিশ্ব যখন অতিমারি করোনার দাপটে সংক্রমিত, সেই সময় সারা বিশ্বকে ভারতে তৈরি করোনার টিকা পাঠিয়ে, বিশ্ববাসীকে মারণ ব্যাধি থেকে বাঁচাতে অত্যন্ত গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন নরেন্দ্র মোদি। আজ দেশের শুধু প্রধানমন্ত্রী রূপে নন, সারা বিশ্বের বিশ্বনেতা হিসাবেও স্বীকৃতি পেয়েছেন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে আরও একবার নির্বাচিত হলে, দেশে পরপর তৃতীয় বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রেকর্ড গড়বেন নরেন্দ্র মোদি।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতে বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবডির অভাব! কোন খাবারে দ্রুত তৈরি হবে অ্যান্টিবডি?

    Dengue: ডেঙ্গিতে বিপদ বাড়াচ্ছে অ্যান্টিবডির অভাব! কোন খাবারে দ্রুত তৈরি হবে অ্যান্টিবডি?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির (Dengue) দাপট। প্রত্যেক দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জ্বর কমলেও দুর্বলতা সমস্যা তৈরি করছে। অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হলে তবেই বিপদ কমবে। তাই ডেঙ্গির পরে খাবারে বাড়তি নজরদারি জরুরি।

    কোন ধরনের খাবার অ্যান্টিবডি তৈরিতে সাহায্য করে? 

    পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির পরে পেটের সমস্যা দেখা দেয়। হজমের গোলমাল হয়। অন্ত্রের একাধিক সমস্যা হয়। এতে শারীরিক জটিলতা বাড়ে। তাই ডেঙ্গির পরে জল কিংবা তরল জাতীয় খাবারের দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দিনে কমপক্ষে ৪ লিটার জল খেতে হবে। পাশাপাশি স্ট্রু, স্যুপ জাতীয় খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া উচিত। তাতে একদিকে দেহে জলের পরিমাণ ঠিক থাকে, পাশাপাশি ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি কমে। আবার পেটের রোগ হয় না। ফলে দ্রুত সুস্থ (Dengue) হয়ে ওঠা যায়।

    নিয়মিত ফল খাওয়ার পরামর্শ (Dengue)

    ডেঙ্গির পরে কিউই, মাল্টা, আপেল, নাশপাতির মতো ফল নিয়মিত খাওয়া জরুরি। এতে শরীরে দ্রুত অ্যান্টিবডি তৈরি হয়। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, আপেল, নাশপাতির মতো ফলে ফাইবার, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট থাকে। এর ফলে ডেঙ্গি পরবর্তী সময়ে এই ফল বিশেষ উপকার করে। পাশাপাশি কিউই, মাল্টার মতো ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। এর ফলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি দ্রুত গড়ে ওঠে। পুষ্টিবিদদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) পরে নিয়মিত ডিম সেদ্ধ খাওয়া জরুরি। ডিমে একাধিক ভিটামিন থাকে। তাছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ হওয়ায় একদিকে যেমন দুর্বলতা কাটাতে সাহায্য করে, তেমনি শরীরে অ্যান্টিবডি গড়ে তুলতেও সাহায্য করে। 
    দই, বাদাম দুধের মতো খাবার নিয়মিত খাওয়া জরুরি বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ। ডেঙ্গির পরে মলত্যাগে সমস্যা হয়। পেটে যন্ত্রণা হয়। আবার অন্ত্রে নানান অসুবিধা হয়। কিন্তু টক দই, বাদাম দুধের মতো খাবার নিত্যদিনের মেনুতে থাকলে হজম ভালো হবে। অন্ত্রের ঝুঁকি কমবে। ফলে, দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠা যাবে বলেও মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ। নিয়মিত চিকেন স্ট্রু খাওয়া দরকার বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। কারণ, চিকেন সহজপাচ্য। তাছাড়া চিকেন প্রাণীজ প্রোটিনে ভরপুর। তাই ডেঙ্গির পরবর্তী জটিলতা কাটাতে খাবারের তালিকায় নিয়মিত চিকেন স্ট্রু রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

    শিশুদের ক্ষেত্রে আরও বেশি যত্ন নেওয়া জরুরি

    শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, ডেঙ্গির (Dengue) পরে শিশুদের আরও বেশি দুর্বলতা দেখা দেয়। অ্যান্টিবডি তৈরিতেও সময় লাগে। তাই শিশুদের খাবারে বিশেষ নজরদারি জরুরি। নিয়মিত তাদের ফল আর সব্জি খাওয়ানো দরকার। পালং শাক, লাউয়ের মতো সবুজ সব্জি নিয়মিত খেলে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টের চাহিদা পূরণ হবে। পাশপাশি দুধ, টক দই নিয়মিত খাওয়া জরুরি। লেবুর রস, আপেলের পাশপাশি রোজ কলা খাওয়া দরকার। এতে শিশুদের ডেঙ্গি পরবর্তী শারীরিক জটিলতার ঝুঁকি কমে। শরীরে অ্যান্টিবডি দ্রুত তৈরি হয়।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Disaster: সিকিমে বিপর্যয়ের পর নিখোঁজ বালুরঘাটের সাত পরিযায়ী শ্রমিক, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ের (Sikkim Disaster) জেরে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে সাত জন পরিযায়ী শ্রমিকের কোনও খোঁজ নেই। তাঁদের বাড়ি বালুরঘাটের ডাঙ্গা বিজয়শ্রী এলাকায়। পরিবারের লোকজন আর তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করতে পারছেন না। ফলে, চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছেন পরিবারের লোকজন।

    কবে কাজে গিয়েছিলেন?

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট ব্লকের ডাঙ্গার পাল পাড়ার নিখোঁজ ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিকদের নাম মৃদু পাল, সুধু পাল, দুলাল পাল, বেলাই পাল, সামরা পাল, তজু পাল ও নবীন পাল। এছাড়াও বালুরঘাট ব্লকের ভাটপাড়া, চিঙ্গিসপুরের আরও চার শ্রমিক সিকিমের অন্যত্র কাজে গিয়েছেন। তাদের খোঁজ মিলেছে। জানা গিয়েছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর ওই সাত পরিযায়ী শ্রমিক কাজে যোগ দিতে যান। মূলত তাঁরা নির্মাণ শ্রমিকের কাজ করতে গিয়েছিলেন। ৪ অক্টোবর হড়পা বানে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে সিকিম (Sikkim Disaster)। ওই দিনের পর থেকে সকলের ফোন বন্ধ, যোগাযোগ হচ্ছে না বলেও পরিবারের সদস্যরা জানান। জানা গিয়েছে, বালুরঘাটের ডাঙ্গা গ্রামপঞ্চায়েতের ডাঙ্গা বিজশ্রী গ্রামের মৃদু পালের বাড়িতে স্ত্রী ও নাবালিকা কন্যা রয়েছে। পাশেই বাড়ি মৃদুর দাদা সুধু পালও তাঁর স্ত্রীকে রেখে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। সিকিমের ভয়াবহ বিপর্যয়ের ছবি মোবাইলে দেখেই শিউরে উঠছেন পরিবারের লোকজন।

    পরিযায়ী শ্রমিকদের পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নিখোঁজ শ্রমিক মৃদু পালের স্ত্রী কৌশল্যা পাল বলেন, কোন ঠিকাদারের সঙ্গে গিয়েছে, তা জানা নেই।  যেদিন থেকে সিকিমের বন্যার (Sikkim Disaster) খবর পেয়েছি, সেদিন থেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করছি। কিন্তু কিছুতেই যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না। আমরা খুব চিন্তায় রয়েছি। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা ষষ্ঠী পাহান বলেন, আমাদের গ্রামের মোট সাতজন এক ঠিকাদারের সঙ্গে সিকিমে কাজে গিয়েছিলেন। কারও খোঁজ পাচ্ছিনা। আমাদের গ্রামের সবাই চিন্তায় রয়েছে। উদ্বেগ কাটছে না।

    জেলাশাসকের কী বক্তব্য?

    দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণা বলেন, জেলার ২৫ জনের খবর পেয়েছি, যারা সিকিমে (Sikkim Disaster) কাজে গিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে বেশিরভাগের সঙ্গেই যোগাযোগ করা গিয়েছে। তাঁরা ভালো রয়েছেন। যাদের খোঁজ মেলেনি, তাঁদের খোঁজে তল্লাশি চলছে। পুরো পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birendra Krishna Bhadra: তাঁর কণ্ঠেই শোনা যাবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’, জানুন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জীবনকথা

    Birendra Krishna Bhadra: তাঁর কণ্ঠেই শোনা যাবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’, জানুন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জীবনকথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:  তাঁর কণ্ঠস্বরই বার্তা নিয়ে আসে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের। রেডিওতে এবারও ভোরবেলায় বেজে উঠবে “আশ্বিনের শারদপ্রাতে…. । বোঝা যায়, কৈলাস থেকে মায়ের আসার সময় হয়ে গিয়েছে। মূলত এই কণ্ঠস্বরই পুজোর আমেজ, গন্ধ, আনন্দ সব বয়ে আনে। তিনি বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র। মহালয়ার ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) স্তোত্র পাঠ ছাড়া যেন দুর্গাপুজো সম্পূর্ণই হয় না।

    বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের জন্ম ও বংশ পরিচয়

    ১৯০৫ সালের ৪ অগাস্ট উত্তর কলকাতায় আহিরীটোলায় জন্মগ্রহণ করেন বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র (Birendra Krishna Bhadra)। তাঁর পিতার নাম রায়বাহাদুর কালীকৃষ্ণ ভদ্র ও মা সরলাবালা দেবী। জানা যায়, ঠাকুমা যোগমায়া দেবীর কেনা ৭, রামধন মিত্র লেনে উঠে আসেন তাঁর পরিবারবর্গ। তাঁর পিতা কালীকৃষ্ণ ভদ্র ছিলেন বহুভাষাবিদ। তিনি ১৪টি ভাষা জানতেন বলেও শোনা যায়। বাংলা সাহিত্য জগতে তিনি হয়ে উঠেছিলেন এক পরিচিত ব্যক্তিত্ব। ১৯২৭ সালে তিনি “রায়বাহাদুর” খেতাব পান। বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র ১৯২৬ সালে ইন্টারমিডিয়েট ও ১৯২৮ সালে কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে স্নাতক হন।

    কর্মজীবনে প্রবেশ

    বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্র (Birendra Krishna Bhadra) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ভারতীয় বাঙালি বেতার সম্প্রচারক, নাট্যকার, অভিনেতা ও নাট্য পরিচালক। দীর্ঘদিন অল ইন্ডিয়া রেডিও-য় বেতার সম্প্রচারকের কাজ করেছেন। কলকাতার আকাশবাণীর অত্যন্ত সুপরিচিত মুখ তিনি। রেডিও ছিল তাঁর প্রাণ। তিনি একাধিক নাটক রচনা ও প্রযোজনাও করেন। এমনকি নিজে পরিচালনা ও অভিনয় করেছেন। ১৯৫৫ সালে ‘নিষিদ্ধ ফল’ নামে একটি চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্যও রচনা করেছিলেন তিনি।

    ‘মহিষাসুরমর্দিনী’

    তাঁর সর্বাধিক পরিচিত বেতার সম্প্রচার হল ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। এই অনুষ্ঠানটির গ্রন্থনা করেছিলেন বাণীকুমার ভট্টাচার্য এবং সঙ্গীত পরিচালনা করেছিলেন পঙ্কজকুমার মল্লিক। এই অনুষ্ঠানে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের ভাষ্য ও শ্লোকপাঠ প্রত্যেক বাঙালির মন ছুঁয়ে যায়। সেই ১৯৩১ সাল থেকে আজও প্রতি বছর ‘মহালয়া’-র দিন ভোর চারটের সময় কলকাতার আকাশবাণী থেকে এই অনুষ্ঠানটি সম্প্রচারিত হয়ে আসছে। অর্থাৎ ২০২৩ সালে ৯২ বছর পূর্তি হবে ‘মহিষাসুরমর্দিনী’-এর।

    ১৯৭৬ সালে উত্তমকুমারের কন্ঠে শোনা যায় মহিষাসুরমর্দিনী

    এত প্রতিভার পরেও তাঁর জীবনে খারাপ সময় আসেনি, এটা বলাটা বোধহয় ভুল হবে। সালটা ১৯৭৬। হঠাৎই, আকাশবাণী কর্তৃপক্ষের ইচ্ছায় চিরাচরিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের (Birendra Krishna Bhadra) পরিবর্তে বাংলার জনপ্রিয় অভিনেতা উত্তমকুমারকে দিয়ে অন্য একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচার করানোর কথা ঠিক হল। জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে উত্তমকুমারের ‘মহিষাসুরমর্দিনী’। সমালোচনার ঝড়, বিক্ষোভে পুনরায় সে বছর ষষ্ঠীর দিনই আবার বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের সেই চিরাচরিত ‘মহিষাসুরমর্দিনী’ সম্প্রচার করা হয়। তারপর থেকে  আকাশবাণী কখনও তাঁর কণ্ঠস্বর বদল করার কথা ভাবেনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    CBI: পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ফিরহাদ-মদনের বাড়িতে সিবিআই হানা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে দুদিন আগেই খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষের বাড়িতে ইডি হানা দেন। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের চেতলার বাড়িতে সাতসকালে সিবিআই (CBI)  হানা দেন। পাশাপাশি কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের বাড়়িতে সিবিআই হানা দেয়।

    মেয়রের দুয়ারে সিবিআই (CBI)  

    সিবিআই সূত্রে খবর, রবিবার সাতসকালে প্রচুর সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিজাম প্যালেস থেকে বের হন কেন্দ্রীয় আধিকারিকেরা (CBI)। তাঁরা চেতলায় পুরমন্ত্রীর বাড়িতে ঢোকেন। বাইরে দাঁড়িয়ে বাড়ি ঘিরে রেখেছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর সশস্ত্র জওয়ানেরা। কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। খবর পেয়ে দলীয় কর্মীরা সেখানে ভিড়় জমাতে শুরু করেন। বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফিরহাদের কন্যা প্রিয়দর্শিনী হাকিম। তাঁকেও ভিতরে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দরজায় দাঁড়িয়ে দীর্ঘক্ষণ কেন্দ্রীয় বাহিনীর সঙ্গে কথা কাটাকাটি চলে প্রিয়দর্শিনীর। পরে, তাঁকে বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হয়। ফিরহাদের বাড়ির সামনে আসেন তাঁর আইনজীবী গোপাল হালদারও। তাঁকেও ঢুকতে বাধা দেয় কেন্দ্রীয় বাহিনী। আইনজীবী  বলেন, তাঁর প্রবেশাধিকার রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী পরে জানান, তাঁকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ফিরহাদের বাড়ির সামনে জমায়েত হওয়া অনুগামীরা। বাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। উঠছে কেন্দ্রীয় সরকার-বিরোধী স্লোগান। তাঁদের অভিযোগ, রাজনৈতিক কারণেই এই সিবিআই হানা।

    মদনের বাড়িতে সিবিআই (CBI)  

    অন্য দিকে, সিবিআইয়ের (CBI) একটি দল কামারহাটির বিধায়ক মদন মিত্রের ভবানীপুরের বাড়িতেও হানা দিয়েছে। তবে, তাঁকে কী কারণে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে তা স্পষ্ট নয়। কামারহাটি পুরসভায় কর্মী নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তাতে তাঁর কোনও ভূমিকা রয়েছে কি না তা সিবিআই আধিকারিকরা খতিয়ে দেখতে পারেন। বরানগর, কামারহাটির চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুদিন আগে ইডি হানা দিয়েছিল। এদিন মন্ত্রী ফিরহাদের পাশাপাশি আরও কয়েকটি পুরসভার চেয়ারম্যানের বাড়িতে গিয়েছে সিবিআই। হানা দেওয়া হয়েছে কাঁচরাপাড়া পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বাড়িতে। হালিশহরেও গিয়েছে সিবিআই।  

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Abhishek Banerjee: ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন অভিষেকের বাবা

    Abhishek Banerjee: ইডি দফতরে হাজিরা এড়ালেন অভিষেকের বাবা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। শনিবার তাঁর হাজিরা দেওয়ার কথা থাকলেও তিনি এদিন উপস্থিত হননি। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, অমিত বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন যে বিশেষ কাজ থাকায় তিনি হাজিরা দিতে পারছেন না। অন্যদিকে নিয়োগ দুর্নীতির তদন্তে শুক্রবার তলব করা হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। কিন্তু তিনিও শুক্রবার হাজিরা দেননি।

    ১২০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়

    কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) বাবা অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার বেশ কিছু নথি চেয়ে পাঠানো হয়েছিল। ইডি সূত্রে খবর, ১২০০ পাতার নথি পাঠিয়েছেন অমিত বন্দ্যোপাধ্যায়। আপাতত তাঁর সেই নথি খতিয়ে দেখবেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরের কর্তারা। পরবর্তীকালে ফের তাঁকে তলব করা হতে পারে বলে জানা গিয়েছে।

    অভিষেকের স্ত্রীকে তলব

    অন্যদিকে, এর আগেও অভিষেকের (Abhishek Banerjee) স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছিল ইডি। পরবর্তীকালে চলতি মাসের ১১ তারিখ তাঁকে ফের তলব করা হয়েছে। চলতি মাসের ৩ তারিখ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কেও তলব করা হয়েছিল। তিনি সেদিন হাজিরা দেননি। এরপর ফের ৯ অক্টোবর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করা হয়। তবে সেই তলবকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে গিয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মামলা বর্তমানে আদালতের বিচারাধীন।

    আদালতের নির্দেশে তদন্ত

    নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে ধৃত কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের যোগ সূত্রে উঠে আসে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্স প্রাইভেট লিমিটেড নামে একটি সংস্থার নাম। জানা যায়, এই সংস্থাটির সিইও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর হিসেবে নাম রয়েছে অভিষেকের (Abhishek Banerjee) বাবা-মা এবং স্ত্রী রুজিরা বন্দোপাধ্যায়ের। আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী ওই সংস্থার ডিরেক্টরদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশে তাই এই তলব।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share