Author: user

  • Roads of Bengal: রাস্তার ‘উন্নয়ন’ এমনই যে পুজোর মুখে আস্ত অটো রুটই বন্ধ হয়ে গেল

    Roads of Bengal: রাস্তার ‘উন্নয়ন’ এমনই যে পুজোর মুখে আস্ত অটো রুটই বন্ধ হয়ে গেল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনে দুর্গাপুজো। আর এই সময়েই অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে গেল চন্দননগর-রাজারবাথান রুটের অটো। এর জন্য একমাত্র ভিলেন হল বেহাল রাস্তা। চন্দননগর স্টেশন থেকে ১৩ টি অটো চলাচল করে রাজারবাথান পর্যন্ত। এই রাজারবাথান জায়গাটি হল চন্দননগর স্টেশন থেকে পশ্চিম দিকে দিল্লি রোডকে ভেদ করে সিঙ্গুরের দিকে। প্রায় ৯ কিমি দীর্ঘ রাস্তার মধ্যে দিল্লি রোড ছাড়িয়ে বাকি ৫ কিলোমিটারের অবস্থা খুব খারাপ (Roads of Bengal)। এলাকাটি সিঙ্গুর ব্লকের বৈঁচিপোতা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনে। ওই রাস্তার অবস্থা এতই খারাপ যে অটো রুটও বাধ্য হয়ে বন্ধ করে দিয়েছে। মহা সমস্যায় পড়েছেন অটোচালক থেকে ব্যবসায়ী, স্কুলের ছাত্রছাত্রী থেকে সাধারণ মানুষ।

    ডেপুটেশন নেওয়ারও কেউ নেই (Roads of Bengal)

    এ ব্যাপারে ওই অটোচালকরা বৈঁচিপোতা পঞ্চায়েত অফিসে যান ডেপুটেশন দিতে। কিন্তু সেখানে গিয়েও দেখা মেলেনি প্রধান বা উপপ্রধানের। দুজনের কেউ অফিসে আসেননি। এবিষয়ে ওই অটো রুটের সম্পাদক যীশু চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘদিন ধরে ওই রাস্তা খারাপ (Roads of Bengal)। যাতায়াতের অযোগ্য। গাড়ির চাকা খারাপ হয়ে যাচ্ছে। পাশ দিয়ে কেউ গেলে তার গায়ে কাদা ছিটকে লাগছে। আমরা গালমন্দ খাচ্ছি। তাই গাড়ি বন্ধ রেখে আমরা অটোচালকরা এসেছিলাম পঞ্চায়েতে। কিন্তু কোনও পদাধিকারীর দেখা মিলল না। উপপ্রধানকে ফোন করলে তিনি জানালেন, রাস্তা যতদিন না ঠিক হবে গাড়ি বন্ধ থাকবে। পুজোর মুখে কঠিন সমস্যায় অটোচালকরা। এখন কী করবে তারা, ভেবে পাচ্ছে না। বলতে হয় পেটের ভাত বন্ধ হয়ে গেল। এদের একটাই প্রশ্ন, আমরা কোথায় যাব। কী খাব।

    সেই আশ্বাস (Roads of Bengal)

    এ ব্যাপারে বৈচিপোঁতা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান নবকুমার বাগকে ফোনে ধরা হলে তিনি বলেন, রাস্তাটির টেন্ডার হয়ে গিয়েছে। মালপত্রও এসে গিয়েছে। কিন্তু প্রতিকূল আবহাওয়ার জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। রোদ উঠলেই আমরা কাজ (Roads of Bengal) শুরু করে দিতে বলেছি। জানি এলাকার মানুষের কষ্ট হচ্ছে। আরেকটু ধৈর্য্য ধরতে অনুরোধ করছি। খুব তাড়াতাড়ি রাস্তা তৈরি হয়ে যাবে। যতদিন না হচ্ছে, ততদিন অটো বন্ধ রাখতে বলেছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    North Bengal Disaster: সিকিমের বিপর্যয়ে তিস্তায় ভেসে আসছে একের পর এক মৃতদেহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গত কয়েকদিনের অতি ভারী বর্ষণে উত্তর সিকিম এবং উত্তরবঙ্গে (North Bengal Disaster) ব্যাপক বিপর্যয় নেমে এসেছে। মেঘভাঙা বৃষ্টি এবং হড়পা বানে বানভাসি হয়েছে তিস্তা নদী। জলের তোড়ে সিকিমে আরও এক হ্রদে ভাঙন দেখা দেওয়ায় পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকায়। তিস্তার জল কমতেই বেরিয়ে আসছে নানা হৃদয় বিদারক দৃশ্য।

    ময়নাগুড়িতে তিস্তায় ভেসে আসছে দেহ (North Bengal Disaster)

    ময়নাগুড়িতে (North Bengal Disaster) তিস্তা নদীর জল দুকূল ছাপিয়ে ভয়াবহ আকার নিলে গ্রামের পর গ্রাম ভাসিয়ে নিয়ে চলে গেছে। সেই সঙ্গে স্থানীয় মানুষের বাড়িঘর, চাষের জমি ইত্যদি ব্যাপক ধ্বংসের শিকার হয়। নদীর জলে ভেসে আসছে বেশ কিছু মৃতদেহ। এখানকার ব্লকের তিস্তার চর ধর্মপুরে হেলাপাকড়ি এলাকা থেকে ৮ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। আরও অনেক মৃতদেহ জলে আটকে রয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে। মৃতদেহগুলিকে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় সেনাবাহিনী যুদ্ধকালীন তৎপরতার সঙ্গে কাজ করছে বলে খবর পাওয়া গেছে। কোচবিহার এবং জলপাইগুড়ি মিলিয়ে ১৮টি মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এঁদের মধ্যে চারজন সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং দুজন সাধারণ নাগরিক। এই সংখ্যা যত সময় যাচ্ছে, বাড়ছে।

    সিকিমে ভাঙল আরও এক হ্রদ

    সূত্রের খবর, সিকিমের লাচেনের উপরে থাঙ্গু উপত্যকা থেকে ১২৩ কিমি উপরে সাকচু হ্রদের আশেপাশে ব্যাপক বিপর্যয় নেমেছে। হ্রদে দেখা দিয়েছে ভাঙন। আবহাওয়ার ব্যাপক পরিবর্তন লক্ষ্য করা গিয়েছে। সিকিম আবহাওয়া দফতরে স্যাটেলাইটে ছবি ধরা পড়ছে না বলে জানা গেছে। সন্ধ্যার পর পরিস্থিতি কী হতে পারে তা বলা মুশকিল। যদিও সরকারের পক্ষ থেকে কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। জলপাইগুড়ির তিস্তা নদী সংলগ্ন এলাকায় সতর্কতা জারি করা করেছে প্রশাসন। মহানন্দা অভয়ারণ্য সংলগ্ন তিস্তার ললটাং, গাজলডোবার (North Bengal Disaster) নিচু এলাকা থেকে অনেক মানুষকে দূরে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে চরম আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন দুর্গতরা। আগামী দিনগুলি যে কী হবে, তা ভেবেই পাচ্ছেন না কেউ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    Flood In Bengal: খাবার নেই, নেই পানীয় জল! তৃণমূল সাংসদ যেতেই ক্ষোভ উগরে দিলেন বানভাসিরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিম্নচাপের জেরে একটানা বৃষ্টিতে ডিভিসির ছাড়া জলে ভাসছে হুগলির আরামবাগ মহকুমার খানাকুল। মুণ্ডেশ্বরী, দামোদর, দ্বারকেশ্বর ও রূপনারায়ণের জল ঢুকে খানাকুলের ১ ও ২ ব্লকের ২৪টির মধ্যে ১০টি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। বহু মাটির বাড়ি জল ঢুকে পড়ে গেছে (Flood In Bengal)। বহু পাকা বাড়িতেও জল ঢুকে পড়েছে। এলাকায় পানীয় জলের কলগুলি বন্যার জলে ডুবে গিয়ে চরম সমস্যা দেখা দিয়েছে। হাজার হাজার একর চাষের জমির ফসল নষ্ট হয়ে গেছে। বহু মানুষ নিচু এলাকা ছেড়ে অন্যত্র উঁচু জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন, কেউ রয়েছেন বাড়ির ছাদে, কেউ আবার ত্রাণ শিবিরে। এখনও জল যেভাবে বাড়ছে, বড়সড় বন্যার আশঙ্কা করছেন খানাকুলের বন্যাদুর্গত মানুষ।

    ত্রাণ মিলছে না (Flood In Bengal)

    মানুষের অভিযোগ, গত তিনদিন ধরে তাঁরা জলযন্ত্রণায় ভুগছেন। অথচ প্রশাসনের দেখা নেই। এমনকি জনপ্রতিনিধিদেরও সেভাবে দেখা পাওয়া যায়নি। অনেকেই জলবন্দি হয়ে পড়েছেন বাড়ির মধ্যে। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত ত্রাণ পাচ্ছেন না। ফলে পানীয় জল ও বাচ্চাদের খাবারের অভাব দেখা দিয়েছে। এমনকি রাস্তাঘাট ডুবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় তাঁদের নৌকাই একমাত্র ভরসা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু সেক্ষেত্রে এলাকায় কোনও নৌকাও এসে পৌঁছায়নি প্রশাসনের পক্ষ থেকে। প্রশাসনকে বললেও কোনও কাজ হচ্ছে না। তাঁদের সঙ্গে কেউ যোগাযোগ করেনি। অসহায় ভাবে দিন কাটাচ্ছেন খানাকুলের বিভিন্ন এলাকার মানুষজন। জলযন্ত্রণায় (Flood In Bengal) ভুগছেন বানভাসি সাধারণ মানুষ।

    অপরূপাকে ঘিরে ক্ষোভ (Flood In Bengal)

    বৃহস্পতিবার সেই বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যান আরামবাগের সাংসদ অপরূপা পোদ্দার। অভিযোগ, সেখানে গিয়ে এলাকাবাসীর ক্ষোভের মুখে পড়তে হয় সাংসদকে। দুপুরে খানাকুলের সুলুট গ্রামে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এলাকাবাসী তাঁদের বিভিন্ন দাবিদাওয়াকে সামনে রেখে ক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। যদিও বানভাসি মানুষদের ক্ষোভের মুখে পড়ে অপরূপা দাবি করেন, বাড়ির টাকা আনতেই দিল্লিতে গিয়েছিলেন তাঁরা। বিজেপি নেতারা দিল্লি গিয়ে বলে আসছে টাকা দিতে হবে না, দাবি সাংসদের। আর এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও অপরূপা বলেন, বিজেপি নেতারা ডিভিসিকে বলে জল ছাড়ছে। সে কারণেই খানাকুল ডুবছে (Flood In Bengal)। বিক্ষোভের দাবি উড়িয়ে অপরূপা পোদ্দার বলেন, “কোনও বিক্ষোভই নেই। বিজেপির বিধায়করা তো ভোটের সময় আসেন, মানুষের বিপদে তো আসেন না। আমরা সবসময় মানুষের পাশেই থাকি।

    সাংসদ তো আসেনই না, তোপ বিজেপির

    খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ বলেন, “আরামবাগের সাংসদ তো এলাকায় আসেনই না। খানাকুলের কী পরিস্থিতি উনি তো জানেনই না। উনি আসতেই মানুষ তাঁদের বহুদিনের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। ঠাকুরানিচক, ঘোষপুর, কিশোরপুর-১, কিশোরপুর-২ প্রভৃতি এলাকায় মানুষ ত্রাণ (Flood In Bengal) পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত প্রধানরা ফিরিয়ে দিচ্ছেন।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৬/১০/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ০৬/১০/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) এমন কোনও কাজ করবেন না, যা পূর্ণ হতে বিলম্ব হয়। কারণ এমন কোনও কাজই পুরো হবে না।

    ২) সন্তানের উন্নতি দেখে আনন্দিত হবেন। 

    বৃষ

    ১) বিদেশে বসবাসকারী আত্মীয়ের কাছ থেকে সুসংবাদ পেতে পারেন।

    ২) সম্পত্তি সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত হতে পারে। এর ফলে অধিক লাভ হবে।

    মিথুন

    ১) জীবনসঙ্গীর জন্য সময় বের করতে পারবেন।

    ২) মায়ের স্বাস্থ্যের যত্ন নিন।

    কর্কট

    ১) সন্তানের তরফে আনন্দদায়ক সংবাদ শুনতে পাবেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা কাজ সম্পন্ন হওয়ায় সন্তুষ্ট হবেন।

    সিংহ 

    ১) চাকরি বা ব্যবসায়ে কোনও তর্ক বাঁধলে বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন। না-হলে সম্পর্কে ফাটল ধরতে পারে।

    ২) সকলের মন জয় করতে সফল হবেন। এর ফলে লাভ হবে।

    কন্যা

    ১) রকারি চাকরিজীবীরা মহিলা বন্ধুর সাহায্যে অর্থ লাভ করতে পারেন।

    ২) আধিকারিকরা আপনার কাজের প্রশংসা করবে।

    তুলা 

    ১) ব্যবসা থেকে কম আর্থিক লাভ হওয়া সত্ত্বেও সন্তুষ্ট থাকবেন এবং দৈনন্দিন ব্যয় মেটাতে পারবেন।

    ২) আধিকারিকদের সঙ্গে চাকরিজীবীদের সম্পর্ক উন্নত হবে।

    বৃশ্চিক

    ১) বাবার সঙ্গে বিবাদ হতে পারে। তবে তাঁর কথা শোনা উচিত।

    ২) ছাত্ররা কোনও পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে চাইলে, তা আজ করতে পারেন।

    ধনু

    ১) কাউকে ভুলেও টাকা ধার দেবেন না। কারণ সেই টাকা ফিরে পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

    ২) সন্ধ্যাবেলা পাড়ায় কিছু ঘটলে আপনি তা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করুন।

    মকর

    ১) নিজের সমস্ত কাছ বাদ দিয়ে ধীরগতিতে চলতে থাকা ব্যবসাকে প্রাথমিক গুরুত্ব দিন। তখনই ব্যবসার গতি বাড়বে। এ ক্ষেত্রে ভাইয়ের পরামর্শের প্রয়োজন পড়বে।
     
    ২) চাকরিজীবীরা নিজের কাজে মনোনিবেশ করুন।

    কুম্ভ

    ১) সন্তানের কোনও শারীরিক সমস্যা হতে পারে। এর ফলে দৌড়ঝাপ করতে হবে।

    ২) অংশীদারীর ব্যবসা করলে লোকসান হতে পারে।

    মীন

    ১) সন্ধ্যাবেলা পরিবারের সদস্যদের সমস্যা শুনে সময় কাটাবেন।

    ২) বাড়িতে কোনও শুভ অনুষ্ঠান হতে পারে।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    Bomb Blast: মালদায় তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ, পুলিশ প্রশাসন কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল কর্মীর পরিত্যক্ত বাড়িতে আচমকা বোমা বিস্ফোরণে কেঁপে (Bomb Blast) ওঠে গোটা এলাকা। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটে মালদার কালিয়াচক এলাকায়। সার্জেন সেখ নামে তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে এই বিস্ফোরণ ঘটে। বিষয়টি জানাজানি হতে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অনুমান, বোমা বা বিস্ফোরক মজুত করা ছিল ওই বাড়িতে। সেটা থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bomb Blast)

    কালিয়াচক থানার নওদা যদুপুর গ্রামপঞ্চায়েতের শালিপুর সাতঘরিয়া গ্রামে তৃণমূল কর্মী সার্জেন সেখের বাড়ি। এলাকাবাসীর দাবি, এই সার্জেন শেখ এক সময় কংগ্রেস করতেন। পরে, তৃণমূলে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার সাত সকালে বিকট আওয়াছে কেঁপে ওঠে এলাকা । পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িতে কেউ থাকত না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, সার্জেন শেখ বা তাঁর পরিবারের কেউ এখানে থাকেন না। দীর্ঘদিন ধরেই বাড়িটি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। অভিযোগ, দুষ্কৃতীরা এখানে বোমা মজুত করছিল। তা থেকেই বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হতে পারে। যাঁর বাড়িতে বিস্ফোরণ, সেই সার্জেন সেখের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বক্তব্য, গ্রামের জনবহুল এলাকায় ওই বাড়িটি রয়েছে। ফলে, কে বা কারা রাতের অন্ধকারে ওই বাড়়িতে বোমা মজুত করল তা পুলিশের দেখা দরকার। কারণ, অবিলম্বে পুলিশ পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়়বে।

    তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    দলীয় কর্মীর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণ (Bomb Blast) হওয়ায় সার্জেনকে দলের কর্মী হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূল নেতৃত্ব। স্থানীয় এক তৃণমূল নেতা বলেন, এক সময় কংগ্রেস করত শুনেছি। পরে, দলবদল করেছিল বলে আমার জানা নেই। আসলে  এরা সমাজবিরোধী। মূলত নানা অপরাধ করে রাজনীতির ছত্রছায়ায় আসার চেষ্টা করত। তৃণমূল কর্মী বলে আমাদের জানা নেই।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, বাড়িটি পরিত্যক্ত। কীভাবে এখানে এমন ঘটনা ঘটল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, আগে থেকেই এখানে বিস্ফোরক রাখা ছিল। কালিয়াচক থানার পুলিশ জানিয়েছে, সার্জেন শেখের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে কালিয়াচক থানায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    ED: পুর-নিয়োগ দুর্নীতির তল্লাশিতে ১২ ঘণ্টা পার, আড়াই কোটির ফ্ল্যাটের হদিশ পেল ইডি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পুর-নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তোলপাড় বারাকপুর মহকুমা। বৃহস্পতিবার সাত সকালেই ইডি (ED) আধিকারিকরা বরানগর, কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান এবং টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যানের বা়ড়িতে হানা দেন। সকাল থেকে এদিন সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁদের বাড়িতে ইডির আধিকারিকরা জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি তল্লাশি চালান। ১২ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও সেই তল্লাশি চলছে। কামারহাটির চেয়ারম্যান গোপাল সাহা, বরানগর পুরসভার চেয়ারম্যান অপর্ণা মৌলিক, টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার এক কর্মী মীজানুর রহমানের বাড়ি সংলগ্ন এলাকায় তাই ব্যাপক উত্তেজনা।

    অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে পুরসভায় নিয়োগ, তদন্তে ইডি (ED)

    কামারহাটি পুরসভায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে প্রায় ৩০০ কর্মীর নিয়োগ হয়েছিল। অয়নের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তীর নিয়োগও এই পুরসভায় হয়। এর আগে অয়নের সংস্থার মাধ্যমে চাকরি হওয়া ৩৩ জন কর্মীকে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। বরানগর পুরসভায় অয়নের সংস্থার মাধ্যমে ২৮০ জনের নিয়োগ হয়েছিল। অনুব্রত ঘনিষ্ঠ পুর কর্মচারী ইউনিয়নের রাজ্য নেতা আশিস দে-র ছেলে বরানগর পুরসভায় নিয়োগপত্র পান। জানা গিয়েছে, চাকরি পাওয়ার পরও তিনি বীরভূমের বাড়িতেই থাকতেন। তৃণমূলের রাজ্য নেতার ছেলে বলে কারও তাঁকে ঘাঁটানোর সাহস ছিল না। এদিন ইডি হানা নিয়ে তৃণমূল নেতা আশিস দে-র বা তাঁর ছেলের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এই পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে এর আগে ইডি আধিকারিকরা ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পান। জানা গিয়েছে, এই বরানগর পুরসভায় কামারহাটির তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। একইভাবে কামারহাটি পুরসভায় বরানগরের তৃণমূল নেতাদের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের চাকরি হয়েছিল। এই নিয়োগে দুই পুরসভার চেয়ারম্যানদের ভূমিকা ইডি (ED) আধিকারিকরা খতিয়ে দেখছেন। একইসঙ্গে টিটাগড় পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রশান্ত চৌধুরী এবং কাঁচরাপাড়া পুরসভার কর্মী মীজানুর রহমানের নিয়োগ দুর্নীতিতে ভূমিকা খতিয়ে দেখতে ইডি দিনভর তল্লাশি চালায়। একজনের আড়াই কোটি টাকার ফ্ল্যাটের হদিশ পেয়েছে ইডি আধিকারিকরা। তবে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে ইডি আধিকারিকরা মুখ খুলতে চাননি। 

    কামারহাটি পুরসভায় ভাইস চেয়ারম্যানকে জেরা করলেন ইডি (ED) আধিকারিকরা

    কামারহাটি পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান তুষার চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর চেম্বারে ঘন্টা দেড়েক জেরা করা হয়। তাঁর মোবাইলের কন্টাক্ট লিস্টে অয়ন নাম দেখেই সন্দেহের চোখে তাকান ইডি-র (ED) তদন্তকারীরা। জানতে চান, কে এই অয়ন? তুষারবাবু জানান, এটা অয়ন মিত্র। অয়ন শীল নয়। সল্টলেক স্টেডিয়াম সংলগ্ন এক রেস্তোরাঁর ম্যানেজার ছিলেন অয়ন মিত্র। এরপরে অয়ন শীল নিয়েও বেশ কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির তদন্তকারীরা। তারপরে তুষারকে পুরসভায় তাঁর নিজের ঘরে বসার অনুমতি দেওয়া হয়। এখনও এস্টাব্লিশমেন্ট ডিপার্টমেন্টে এবং পুরসভার অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার তমাল দত্তের বাড়িতে তল্লাশি চালাচ্ছে ইডি। ভাইস চেয়ারম্যান অভিযোগ, কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকায় কামারহাটি পুরসভায় ব্যাহত পরিষেবা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: রায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হবে শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে

    Durga Puja 2023: রায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা হবে শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শূন্যে পাঁচ রাউন্ড গুলি চালিয়ে রায় জমিদার বাড়ির দুর্গাপুজোর সূচনা করা হয়। ২২৩ বছর ধরে চলে আসা এই রেওয়াজ আজও অব্যাহত মালদা জেলার পূর্বপ্রান্তে হবিবপুর থানার সিঙ্গাবাদ তিলাসন এলাকায় সিঙ্গাবাদ জমিদার বাড়িতে (Durga Puja 2023)। ১৯৪৭ সালে দেশ বিভাজনের ফলে এই জমিদারির সিংহভাগ অংশ তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান, তথা বর্তমান বাংলাদেশে পড়লেও আজও ভারতীয় ভূখণ্ডে সীমান্তের কাঁটাতার থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে অবস্থিত বিশাল রায় জমিদার বাড়ি। সময়ের সাথে জমিদারি চলে গিয়েছে। সুবিশাল বাড়ির বিভিন্ন অংশ জুড়ে ধরেছে ফাটল। কিন্তু এখনও অক্ষুন্ন রয়েছে ঐতিহ্য।

    বিপ্লবীদের পরামর্শে দেবী দুর্গার আরাধনা (Durga Puja 2023)

    সুদূর উত্তরপ্রদেশ থেকে ডালের ব্যবসা করতে বাংলায় এসেছিলেন অবোধনারায়ণ রায়। মালদা জেলার হবিবপুর থানার সিঙ্গাবাদ স্টেশনে ট্রেনে করে এই ডাল নিয়ে আসতেন তিনি। এরপর নৌকাপথে সেই ডাল ঢাকা, রাজশাহী সহ কলকাতার খিদিরপুর বন্দরে বিক্রির উদ্দেশ্যে যেত। ব্যবসার সুবিধার জন্য এই এলাকায় ব্রিটিশ সরকারের কাজ থেকে তৎকালীন প্রায় তিন হাজার টাকায় জমিদারিত্ব ক্রয় করেন তিনি। এরপর এই এলাকায় শুরু করেন বসবাস। পরবর্তীতে তিনজন বিপ্লবীর পরামর্শে দেবী দুর্গার আরাধনা শুরু করেন। ২২৩ বছর ধরে এই পুজো হয়ে আসছে। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জমিদারির সিংহভাগ অংশ চলে যায় সীমান্তের কাঁটাতারের ওপারে অর্থাৎ বাংলাদেশে বাকি অংশ রয়ে যায় ভারতবর্ষে।

    ব্রিটিশ শাসকের আমল থেকেই জনপ্রিয় (Durga Puja 2023)

    ব্রিটিশ শাসকের আমল থেকে এই রায় জমদার বাড়ির পুজো বেশ জনপ্রিয়। হাজার হাজার মানুষ এই পুজোতে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি দেশ স্বাধীন হওয়ার পরও সীমান্তের ওপর থেকে মানুষ আসতেন এই পুজো দেখতে। কিন্তু বর্তমানে এখন সেই রকম পরিস্থিতি নেই। তবে রয়ে গেছে ঐতিহ্য। রয়েছে ইতিহাস। প্রাচীন এই জমিদার বাড়ির দেওয়ালে ফাটল ধরলেও এখনও দেওয়ালে রয়েছে বিশাল কুমিরের ছাল, যা পূর্বপুরুষরা শিকার করেছিলেন। এখনও এই পুজো (Durga Puja 2023) উপলক্ষে চারদিন থাকে পাত পেড়ে খাওয়ার ব্যবস্থা। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এই সীমান্তবর্তী গ্রামে এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে আসেন মানুষ।

    ইতিহাসের সাক্ষী

    এই জমিদারির বংশধর রাকেশকুমার রায় জানান, এই বছরও চিরাচরিত প্রথা মেনে সপ্তমীর দিন পুনর্ভবা নদী থেকে পুজোর (Durga Puja 2023) জন্য জল নিয়ে আসা হবে। সেই সময় পাঁচ রাউন্ড শূন্যে গুলি চালিয়ে এই পুজোর সূচনা হয়, এই বছরও তা হবে। এই পুজোতে ভোগ রান্না থেকে শুরু করে সমস্ত কিছু করেন উত্তরপ্রদেশের মৈথিল ব্রাহ্মণরা। দশমীর দিন এই তিলাসন গ্রামের পাশে পুনর্ভবা নদীতেই প্রতিমা বিসর্জন করা হয়। তিনি আরও জানান, তাঁর পূর্বপুরুষের আমন্ত্রণে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এই পুজোতে অংশগ্রহণ করতে সিঙ্গাবাদ স্টেশন পর্যন্ত এসেছিলেন। কিন্তু জাতীয় কংগ্রেসের এক জরুরি বৈঠকের সূচনা পেয়েই মাঝপথ থেকে ফিরে যেতে হয় তাঁকে। ইতিহাসের অনেক সাক্ষী এই পুজো আজও সমাদরে পালিত হয়ে আসছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CV Ananda Bose: দিল্লি থেকে সোজা রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে রাজ্যপাল, দেখা নেই মুখ্যমন্ত্রীরই!

    CV Ananda Bose: দিল্লি থেকে সোজা রাজ্যে বন্যা দুর্গতদের পাশে রাজ্যপাল, দেখা নেই মুখ্যমন্ত্রীরই!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সিকিমে বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গও। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শিলিগুড়ি, কোচবিহার, জলপাইগুড়ি। তিস্তা পাড়ের বাসিন্দারা হারিয়েছেন ভিটেমাটি। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর দরকার ছিল মুখ্যমন্ত্রীর। তিনি সে পথে হাঁটেননি। বরং, তাঁর দলের নেতানেত্রীরা এখন রাজভবন অভিযানের নামে রাজনীতি করতে ব্যস্ত। জলপাইগুড়ির দুর্গতদের দেখতে দিল্লি থেকে সরাসরি উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Ananda Bose)। উত্তরবঙ্গের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তিনি। তবে, রাজ্যপালের মতো রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গেলেও সেখানে রাজ্যের কোনও মন্ত্রী যাওয়া তো দূরের কথা জেলার পুলিশ সুপার এবং জেলাশাসককে দেখা যায়নি। স্থানীয় থানার পুলিশ কর্মীরা ছিলেন। বিপর্যয়ের সময় শাসক দলের মন্ত্রী থেকে আমলাদের এই ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    দুর্গতদের জন্য এক মাসের বেতন দান করলেন রাজ্যপাল (CV Ananda Bose)

    রাজ্যপাল (CV Ananda Bose) এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে সরাসরি হরপা বানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করতে যান। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা সেবক কালিঝোরা সংলগ্ন এলাকা পরিদর্শনে করেন। কালিঝোরায় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ‘ভৌগলিক অবস্থানগত কারণে এই  অঞ্চলে প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেকোনও সময় আসতে পারে। প্রকৃতির বিরুদ্ধে গেলে এ ধরনের বিপর্যয় ঘটবে। উদ্ধারকার্য চলছে। এখন  সমালোচনা করার সময় নয়।’ পরে, তিনি সোজা জলপাইগুড়ি জেলার উদ্দেশ্যে রওনা হন। তিনি আটমাইল এলাকায় ধস বিধ্বস্ত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন। রাজ্যপাল দুর্গতদের জন্য নিয়ে আসেন মিষ্টির প্যাকেট। সকলকে মিষ্টি বিতরণ করেন তিনি। রংধামালি ক্যাম্পে আশ্রিত দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। রাজ্যপালকে দেখে নিজেদের অবস্থার কথা জানান দুর্গতরা। দুর্গতদের এক হাজার টাকা করে অ্যাকাউন্টে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষ কোনও সাহায্য পাচ্ছেন না সে কথা রাজ্যপালের কাছে দুর্গতরা নালিশ জানান। একশো দিনের কাজ নিয়ে তাঁরা প্রশ্ন তোলেন। কেন একশো দিনের কাজ বন্ধ? কেনই বা তাঁরা টাকা পাচ্ছেন না, তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। রাজ্যপাল তাঁদের অভাব অভিযোগ শুনেছেন। দুই সরকারের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিবের কাছে বন্যা কবলিত এলাকার রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। বোসের কাছে রিপোর্টও পাঠিয়েছেন মুখ্যসচিব। সিকিমের রাজ্যপালের সঙ্গেও কথা বলেছেন বোস। ক্যাম্প থেকে বেরিয়ে রাজ্যপাল তিস্তার বাঁধ পরিদর্শন করেন। সেখানে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল জানিয়ে দেন, দুর্গতদের জন্য তিনি তাঁর এক মাসের বেতন দান করবেন।

    তিস্তায় ভেসে এল ১৫টি দেহ, হতবাক এলাকাবাসী

    বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জলপাইগুড়ি জেলায় তিস্তার জলে ভেসে আসতে শুরু করেছে দেহ। জেলায় মোট ১৫ টি মৃতদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। ময়নাগুড়ি থানা এলাকা থেকে ১২ জন, মালবাজার থানা এলাকা থেকে ১ টি এবং ক্রান্তি ফাঁড়ি এলাকা থেকে ২ জনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। এদিন সকালে ময়নাগুড়ি দক্ষিণ ধর্মপুর এলাকার বাসিন্দারা তিস্তার চর এলাকায় নিজেদের কাজে গিয়ে মৃত দেহগুলি দেখতে পান। তারাই খবর দেন পুলিশে। ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ এসে দেহগুলি উদ্ধার করে। সেগুলিকে ময়না তদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এলাকার বাসিন্দা শ্যামল রায় বলেন, দেহগুলি দেখে তাদের অত্যন্ত খারাপ লাগছিল। এই মৃতদেহ গুলির মধ্যে কিছু দেহ সেনাবাহিনীর নিঁখোজ হওয়া জওয়ানদের রয়েছে। বাকীরা সাধারণ নাগরিক। এদিন মোতিয়ার চর এলাকা থেকে তিনটি  রকেট লঞ্চার উদ্ধার হয়। সেগুলিকে  তিস্তা নদীতেই পুঁতে দেওয়া হয়। তিস্তার ঘোলাটে জল গ্রাস করেছে সব কিছু।  চটি, জামাকাপড়, বাসনপত্র, রান্নার গ্যাসের অর্ধেক সিলিন্ডার। তিস্তা পাড়ের দু’পাড়ের বাসিন্দাদের জীবিকা মূলত নির্বাহ হয় চাষাবাদ আর চা বাগানে কাজ করে। সঙ্গে বাড়িতে থাকা পোষ্য গরু, ছাগল, হাঁস পালন করে। এখন সবই তিস্তার গ্রাসে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: উত্তরবঙ্গ ভাসছে, রাজভবন অভিযানে ব্যস্ত তৃণমূলের নেতারা, তোপ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যপাল উত্তরবঙ্গে থাকতে পারেন, রাজভবন তো নিয়ে চলে আসেননি। রাজভবন ওখানেই আছে। রাজভবনের সামনে গিয়ে চিৎকার চেঁচামেচি করবেন, চলে আসবেন। বৃহস্পতিবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূলের রাজভবন অভিযানকে তীব্র কটাক্ষ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। তিনি বলেন, দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তৃণমূলের সাংসদদের দেখা করার কথা বললেও তাঁদের দেখা করার সাহস হয়নি। রাজ্যপাল রাজভবনের ভেতরে থাকেন। তৃণমূল বাইরে রাস্তায় কী কীর্তন করল, তা তো আর রাজ্যপাল দেখতে যাবেন না, শুনতেও যাবেন না। উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি খারাপ। তৃণমূল হয়তো উত্তরবঙ্গকে গুরুত্ব দেয় না, তাই তৃণমূলের নেতারা আন্দোলন করছেন দক্ষিণবঙ্গে। কিন্তু, রাজ্যপাল যে সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে উত্তরবঙ্গে এসে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন, উত্তরবঙ্গের মানুষ হিসেবে আমরা সবাই ওনাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    পুর-নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির হানা নিয়ে সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে কর্পোরেশন এবং পুরসভাগুলিতে যে নিয়োগ হয়েছিল, সেই নিয়োগে চুরি করেছে তৃণমূল। টাকা দিয়ে চাকরি বিক্রি করেছে। রথীনবাবু চালাক লোক, প্রচুর সম্পত্তির মালিক। কিন্তু, মানুষকে বুঝতে দেন না। চুপচাপ থাকেন, খুব সহজ সাধারণ থাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু, ইডির চোখে এইভাবে ধূলো দেওয়া যাবে না। ইডি মাত্র ৬ জন অফিসার নিয়ে যেভাবে কাজ করছে, তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। আমার বিশ্বাস, ইডি এই চোরগুলোকে উপযুক্ত জায়গায় পৌঁছে দেবে।

    সিকিম বিপর্যয় নিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতির (Sukanta Majumdar) কী বক্তব্য?

    সুকান্ত (Sukanta Majumdar) বলেন, সিকিমের পরিস্থিতি অত্যন্ত ভয়াবহ। যেভাবে তিস্তা ফুলেফেঁপে উঠেছে, তাতে আমরা চিন্তিত। আমি পার্টির তরফ থেকে সিকিমের পর্যবেক্ষক ছিলাম। সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি আমার সম্পূর্ণভাবে সহানুভূতি এবং সব রকম সমর্থন থাকল। আমাদের বিজেপি সিকিম ইউনিটের সভাপতি সহ বিভিন্ন কর্মীরা উদ্ধারকার্য থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজে লেগে রয়েছেন। দ্রুত ভালো হয়ে উঠুক সিকিমের পরিস্থিতি। তার জন্য আমরা ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি। কেন্দ্র সরকারের তরফ থেকে এনডিআরএফ থেকে শুরু করে সমস্ত সাহায্য সিকিমের মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া হয়েছে। সেখানকার মুখ্যমন্ত্রী সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

     তৃণমূলী হামলা নিয়ে থানায় অভিযোগ বিজেপির

    গতকাল রাতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কনভয়ে হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। এই নিয়ে হিলি থানায় অভিযোগ করতে চলেছে বিজেপি। এমনটাই জানান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMC Corruption: মোদি জমানায় রাজ্যের বরাদ্দ বেড়েছে কয়েক গুণ, তারপরেও দিল্লিতে দরবার!

    TMC Corruption: মোদি জমানায় রাজ্যের বরাদ্দ বেড়েছে কয়েক গুণ, তারপরেও দিল্লিতে দরবার!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বঞ্চনার অভিযোগ তুলে দিল্লিতে তৃণমূল (TMC Corruption) নাটকবাজি করছে, এমন অভিযোগ বারবার উঠেছে। বাস্তবেও দেখা যাচ্ছে, আসল তথ্য অন্য কথা বলছে। বিগত ইউপিএ জমানার থেকে এ রাজ্যে ফান্ডের পরিমাণ কয়েক গুণ বাড়িয়েছে মোদি সরকার। রিপোর্ট বলছে, রাজ্যের উন্নয়নের গতিকে ত্বরান্বিত করতে ২০১৪ থেকে ২০২২ সালের মধ্যে মোদি জমানায় পশ্চিমবঙ্গকে দেওয়া হয়েছে ৫.১৬ লক্ষ কোটি টাকা। ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ইউপিএ-২ সরকার রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করেছিল ৮৯ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। মনমোহন সরকারের থেকে মোদি জমানায় রাজ্যের উন্নয়ন খাতের বরাদ্দ যে অনেক বেশি, তা পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট। পরিসংখ্যান বলছে, বরাদ্দ অর্থের পরিমাণ ৪৭৪ শতাংশ বেড়েছে মোদি সরকারের আমলে। ওয়াকিবহাল মহলের প্রশ্ন, তাহলে কীসের ভিত্তিতে দিল্লিতে বাজার গরম (TMC Corruption) করতে গেলেন অভিষেক ও তাঁর দলবল?

    কেন্দ্রীয় সরকার টাকা দিতে দরাজ হস্ত

    কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, বরাদ্দের পরিমাণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে শাসক দলের (TMC Corruption) নেতাদের দুর্নীতি পরিমাণও। কেন্দ্রীয় টিমও বিভিন্ন সময় রাজ্যে এসে হদিশ পেয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের দুর্নীতির। ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় সরকার ঘোষণা করে যে আগামী তিন বছরে রাজ্যকে উন্নয়নের জন্য ১.৫ লক্ষ কোটি টাকা দেওয়া হবে। ওই ঘোষণায় এও বলা হয়, বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়নের জন্য অতিরিক্ত দু’ লাখ কোটি টাকা রাজ্য সরকার পাবে, যদি প্রকল্পের কাজে জমি অধিগ্রহণ এবং পরিকাঠামো রাজ্য দেখাতে পারে (TMC Corruption)।

    আরও পড়ুন: বহু কেন্দ্রীয় প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যর্থ রাজ্য, বঞ্চিত পরিযায়ী শ্রমিকরাও, বলছে রিপোর্ট

    সড়ক নির্মাণেও ঢেলে বরাদ্দ

    এরাজ্যে সড়ক নির্মাণে ঢেলে বরাদ্দ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। রিপোর্ট বলছে, ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে ১,৮৬৮ কিলোমিটার সড়কপথ নির্মাণের জন্য। ২০১৪ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই বিপুল অর্থ বরাদ্দ করেছে কেন্দ্র। চলতি বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি ৩,২৬২ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ করেছে ২০২২-২৩ আর্থিক বছরে, ‘স্কিম ফর স্পেশাল অ্যাসিস্ট্যান্ট টু স্টেটস ফর ক্যাপিটাল ইনভেস্টমেন্ট’ প্রকল্পে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share