Author: user

  • Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেন অধিকাংশ কাউন্সিলার, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Bhatpara: বোর্ড মিটিংয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানালেন অধিকাংশ কাউন্সিলার, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে কাউন্সিলারদের একাংশ বিক্ষুব্ধ ছিলেন। এর আগে একাধিকবার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কাউন্সিলারদের একাংশ। এবার জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ উঠল ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান রেবা রাহার বিরুদ্ধে। যা নিয়ে ভাটপাড়া পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলাররা আড়াআড়িভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি জানাজানি হতে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bhatpara)

    বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করে সবার সম্মতি না নিয়ে ভাটপাড়া (Bhatpara) পুরসভার জমি সাহু একাডেমি নামে একটি সংগঠনকে এক টাকার বিনিময়ে  লিজে দেওয়ার অভিযোগ চেয়ারম্যান রেবা রাহার বিরুদ্ধে। নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধির চরিতার্থ করতে গোপনে আর্থিক লেনদেনর বিনিময়ে এই অবৈধ হস্তান্তর হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের ।এই কাটাপুকুর মাঠ ভাটপাড়া পুরসভার স্পোর্টস অ্যাকাডেমি তৈরির জন্য চিহ্নিত করা হয়েছিল,৮০ লক্ষ টাকা খরচ করে এই কমপ্লেক্সকে সাজিয়েছিলেন তৎকালীন ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান অর্জুন সিং। তাহলে কেন একটি বেসরকারি সংস্থার হাতে এই জমি তুলে দেওয়া হচ্ছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে চেয়ারম্যানকে চিঠি দেন কাউন্সিলার গোপাল রাউত, ভাইস চেয়ারম্যান দেব্যজ্যোতি ঘোষ, নূর এ আলম,অরুণ ব্রহ্ম, জিতু সাউ এর মত পুর প্রতিনিধিরা। এই জমির পরিমান প্রায় তিন একর, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ২০ কোটি টাকা, সেই জমি কেন এক টাকার বিনিময়ে তুলে দেওয়া হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ওই পুর প্রতিনিধিরা। স্কুল তৈরির জন্য সাহু একাডেমিকে আগেই সাত কাঠা জমি দেওয়া হয়েছিল। তাহলে পুরো জমি দেওয়ার অর্থ কী? যদিও এই বিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যানের প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    কী বললেন পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান?

    ভাটপাড়়া (Bhatpara) পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি ঘোষ বলেন, বোর্ড মিটিংয়ে কোনও আলোচনা না করেই এই জমি ওই সংস্থাকে কেন দেওয়া হল? এর পিছনে অন্য কোনও বিষয় রয়েছে। আমরা এই ঘটনার জন্য বোর্ড মিটিংয়ে আমরা সবাই প্রতিবাদ জানাই। বাধ্য হয়ে চেয়ারম্যান ওই সংস্থাকে জমি দেওয়ার সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sikkim Accident: মঙ্গলবারই শেষ কথা, সিকিমে দুর্ঘটনার পর খোঁজ নেই দুই ভাই সহ তিনজনের, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    Sikkim Accident: মঙ্গলবারই শেষ কথা, সিকিমে দুর্ঘটনার পর খোঁজ নেই দুই ভাই সহ তিনজনের, দুশ্চিন্তায় পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মোটরবাইক নিয়ে সিকিমে (Sikkim Accident) ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ রায়গঞ্জ শহরের একই পরিবারের দুই ভাই ও তাঁদের এক বন্ধু সহ তিন যুবক। বুধবার সিকিমে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানার পর উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তাঁদের পরিবার। নিখোঁজ যুবকের নাম স্বর্ণদীপ মজুমদার ও শ্রীকান্ত মজুমদার। তাদের বাড়ি রায়গঞ্জের উকিল পাড়া ও সেবকপল্লিতে। আর অন্যজনের নাম ঈশান। তাঁর বাড়ি রাঁচি।

    সিকিম ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ! (Sikkim Accident)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ৩০ শে সেপ্টেম্বর স্বর্ণদীপ মজুমদার তাঁর খুড়তুতো দাদা শ্রীকান্ত মজুমদার এবং ঝাড়খণ্ডের রাঁচির বাসিন্দা এক যুবক সিকিমের গুরুদংমার লেকের উদ্দেশ্যে বাইক নিয়ে রওনা দেন। মঙ্গলবার রাতে তাঁরা সিকিমের লাচুংয়ের একটি হোটেলে রাতে থাকেন। বুধবার ভোরে তাঁদের নিজেদের গন্তব্যস্থলে পৌঁছানোর জন্য রওনা দেওয়ার কথা টেলিফোনে পরিবারের লোকেদের জানিয়েছিলেন তাঁরা। মঙ্গলবার রাতে পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয় তাদের। বুধবার তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে তাঁদের পরিবারের লোকজনেরা। সিকিমে ভয়াবহ দুর্যোগ (Sikkim Accident) নিয়ে আশঙ্কায় নিঁখোজ দুই  পরিবারের লোকজন। রায়গঞ্জ থানার দ্বারস্থ হয়েছেন দুই পরিবারের লোকজনেরা। সিকিমের ভয়াবহ দুর্যোগের খবর জানতে পেরে পরিবারের লোক আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে তাঁদের। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, স্বর্ণদীপ মজুমদার ও তাঁর রাঁচির বন্ধু কলকাতায় আইটি সেক্টরে কর্মরত। আর শ্রীকান্ত মজুমদার কলকাতায় একটি বেসরকারি ব্যাংকে কর্মরত রয়েছেন।

    পরিবারের লোকজন কী বললেন?

    নিখোঁজ শ্রীকান্তের বাবা কমল মজুমদার বলেন, গতবছরেও ছেলেরা বাইক নিয়ে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল। তবে, এ বছর ঘুরতে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাবে তা স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারিনি। সিকিমে ২৩ জন সেনা কর্মী নিখোঁজ হওয়ার পর থেকেই আমরা চরম দুশ্চিন্তার মধ্যে রয়েছি। নিখোঁজ স্বর্ণদীপের মা মিঠু মজুমদার বলেন, মঙ্গলবার রাতেই ছেলের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছে। এদিন সিকিমের দুর্ঘটনার (Sikkim Accident) কথা জানতে পেরে ছেলের সঙ্গে বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা করি। কিন্তু, আর যোগাযোগ করতে পারিনি। সব মিলিয়ে কতক্ষণে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হবে সেই আশায় দিন গুণছেন তাদের পরিবার।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • World Cup 2023: মাস্টার ব্লাস্টারকে মেগা সম্মান আইসিসির, বিশ্বকাপ জুড়ে চরম উন্মাদনা

    World Cup 2023: মাস্টার ব্লাস্টারকে মেগা সম্মান আইসিসির, বিশ্বকাপ জুড়ে চরম উন্মাদনা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আইসিসি, কিংবদন্তী ভারতীয় ক্রিকেটার সচিন তেন্ডুলকারকে বিশেষ সম্মান প্রদান করল। ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ (World Cup 2023) সালের খেলায় গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর হিসাবে নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। এবারের উদ্বোধনী ম্যাচ আমেদাবাদে অনুষ্ঠিত হবে। ম্যাচ শুরুর আগেই ট্রফি নিয়ে মাঠে ঢুকবেন স্বয়ং সচিন। প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান ঘোষণা করবেন তিনিই। তাই হাতে মাত্র আর কয়েকটা দিন বাকি। ক্রিকেট প্রেমীদের বিশ্বকাপ নিয়ে প্রবল উত্তেজনার সঞ্চার হয়েছে। বিশ্বজুড়ে সচিন ভক্তদের মধ্যে এই সম্মানকে ঘিরে এখন চরম উন্মাদনা।

    ওয়াক আউট করার সম্মান পাবেন সচিন(World Cup 2023)

    পুরুষদের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ (World Cup 2023) সালের ট্রফিতে ওয়াক আউট করার সম্মান পাবেন সচিন তেন্ডুলকারক। সারা বিশ্বে তেন্ডুলকারকে মাস্টার ব্লাস্টার বলা হয়। ভারতের প্রথম ম্যাচ শুরু ৮ অক্টোবর। চেন্নাইতে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে ভারত।

    সচিনের বক্তব্য

    এবার ভারতের ঘরের মাঠেই বিশ্বকাপ (World Cup 2023) ম্যাচ। আইসিসির বক্তব্যের সপক্ষে সচিন বলেন, “সেরা দলগুলি বিশ্বকাপ খেলবে। অনবদ্য ম্যাচ দেখার আশায় রয়েছি। নতুন প্রজন্মের কাছে এই বিশ্বকাপ ম্যাচের আনন্দ, অনুপ্রেরণার সঞ্চার করবে। এই বিশ্বকাপের খেলা দেখে, আশাকরি অনেক নতুন ছেলে-মেয়েরা খেলার প্রতি আকর্ষণ অনুভব করবেন। দেশের হয়ে তাঁরা সর্বোচ্চ স্তরে উঠে নিজেদের স্বপ্ন পূরণ করবে।”

    আইসিসির বক্তব্য

    আইসিসির বিপণন এবং যোগাযোগের মহাব্যবস্থাপক ক্লেয়ার ফারলং জানিয়েছেন, “এই বিশ্বকাপের (World Cup 2023) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সচিন তেন্ডুলকারকে গ্লোবাল অ্যাম্বাসাডর হিসাবে পেয়ে দারুণ ভাবে আনন্দিত আমরা।” সেই সঙ্গে আরও বলেন, “এই বিশ্বকাপ এবারে অবিস্মরণীয় অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে চলেছে।”

    আইসিসির রাষ্ট্রদূতদের অল-স্টার-লাইনআপ

    বিশ্বকাপে (World Cup 2023) দর্শকদের অতরিক্ত উন্মাদনার জন্য এবং ভক্তদেরকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে, আইসিসি খ্যাতনামা খেলোয়াড়দের নিয়ে একটি লাইনাপ তৈরি করেছে। এই লাইনআপে থাকছেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ভিভিয়ান রিচার্ডস, দক্ষিণ আফ্রিকার এবিডি ভিলিয়ার্স, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান, অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চ, শ্রীলঙ্কার স্পিন তারকা মুথাইয়া মুরালীধরণ, নিউজিল্যান্ডের রস টেলর, ভারতের সুরেশ রায়না, মহিলা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মিতালি রাজ এবং পাকিস্তানের অল রাউন্ডার মহম্মদ হাফিজ। ফলে এই সবটা মিলিয়ে দর্শকদের মধ্যে তীব্র উচ্ছ্বাস যে চোখে পড়বে তা বলাই বাহুল্য।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Khardah: খড়দায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি, আতঙ্কে ব্যবসায়ী

    Khardah: খড়দায় তৃণমূল নেতার দাদাগিরি! জমি থেকে উচ্ছেদের হুমকি, আতঙ্কে ব্যবসায়ী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূল নেতার দাদাগিরিতে আতঙ্কে রয়েছেন এক হোটেল ব্যবসায়ী। কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে ওই হোটেল ব্যবসায়ীকে জমি থেকে উচ্ছেদ করতে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল নেতা শুকুর আলির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে খড়দা (Khardah) বিধানসভার রহড়া থানার বন্দিপুর এলাকায়। ইতিমধ্যেই সন্দীপ ঘোষ নামে ওই হোটেল ব্যবসায়ী তৃণমূল নেতা শুকুর আলির নামে অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ এখনও পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেয় নি। ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, অভিযোগ হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Khardah)

    খড়দার (Khardah) বন্দিপুর এলাকায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে সন্দীপ ঘোষের একটি হোটেল রয়েছে। হোটেলের পাশে তাঁদের পৈত্রিক জমি রয়েছে। অন্যান্য শরিকের সঙ্গে সেই জমি এখনও ভাগ হয়নি। অভিযোগ, সন্দীপবাবুর এক শরিক সেই জমি ওই তৃণমূল নেতাকে বিক্রি করে দেন। আর সেই জমি বিক্রি করাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত। কারণ, জমি এখনও ভাগই হয়নি। ফলে, ওই জমির কে কোন দিক নেবে তা এখনো ঠিক হয়নি। কী করে সেই জমি কাউকে না জানিয়ে বিক্রি করে দেওয়া হল তা নিয়ে হোটেল ব্যবসায়ীর শরিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। আর শুকুর আলি জমি কেনার পরেই সামনের রাস্তার দিকে জায়গায় দখল করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। আর সেটা নিয়েই হোটেল ব্যবসায়ীর সঙ্গে ঝামেলা।

    হোটেল ব্যবসায়ীর কী বক্তব্য?

    হোটেল ব্যবসায়ী সন্দীপ ঘোষ বলেন, শুকুর আলি তার স্ত্রীর নামেই এই জমি কিনেছেন। আমরা তাঁর কাছে সমাধানের জন্য গিয়েছিলাম। আমরা পারিবারিকের সমস্যার বিষয়টি সমাধান করে দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছিলাম। তিনি সমস্যার সমাধান না করে, উল্টে তিনি আমাদের জমি ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরমধ্যেই ওই তৃণমূল নেতার বেশ কয়েকজন অনুগামী জমি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলে যায়। না হলে পরিস্থিতি ভাল হবে না বলে হুমকি দিয়ে যায়। চরম আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। পুলিশ প্রশাসনের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। এখনও অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।   মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছি। খড়দার (Khardah) বিধায়ক শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি দরবার করেছি। তিনি সমস্ত রকমভাবে সাহায্য করেছেন। কিন্তু, এই তৃণমূল নেতার দাদাগিরি বন্ধ হয়নি। ফলে, চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছি।

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা কী বললেন?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা শুকুর আলি বলেন, আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। ওই ব্যক্তি মনগড়া কথা বলছেন। পুলিশি তদন্তে সঠিক বিষয় উঠে আসবে। জমি থেকে কাউকে উচ্ছেদ করার জন্য হুমকি দেওয়া হয়নি। তিনি মিথ্যা অভিযোগ করছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bhatar: মাওবাদীর নাম করে ভাতারে এক চিকিৎসকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি, আতঙ্ক

    Bhatar: মাওবাদীর নাম করে ভাতারে এক চিকিৎসকের কাছে ৫ লক্ষ টাকা তোলা চেয়ে হুমকি চিঠি, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাওবাদীর নাম করে এক চিকিৎসকের কাছে তোলা চাওয়ার অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রীতিমতো সক্রিয় একটি কার্তুজে গায়ে চিঠি জড়িয়ে মাওবাদী নাম দিয়ে ওই চিকিৎসককে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) গ্রামীণ হাসপাতালে। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    চিঠিতে ঠিক কী লেখা রয়েছে? (Bhatar)

    হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমানের ভাতার (Bhatar) গ্রামীণ  হাসপাতালের দন্ত চিকিৎসক অপর্ণা মুখোপাধ্যায়কে হুমকি চিঠি পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের আউটডোরে দরজা খুলে ঢুকে দেখেন দরজার সামনেই একটি সক্রিয় কার্তুজ জড়ানো চিঠি পড়ে আছে। চিঠি খুলে তিনি দেখেন, তাতে লাল কালি দিয়ে লেখা আছে, বুধবার পাঁচ লক্ষ টাকা দিতে হবে। না হলে গোটা পরিবারের প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। নীচে মাওবাদী লেখা রয়েছে। চিঠির নীচে প্রেরক হিসেবে তপন মাহাতর নাম লেখা আছে। বুধবারের মধ্যে পাঁচ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা বলা হলেও এদিন সেই টাকা নিতে কেউ আসেনি। তবুও, মাওবাদীদের নামে চিঠি ঘিরে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    চিকিৎসকের কী বক্তব্য?

    চিকিৎসক অপর্ণা মুখোপাধ্যায় বলেন, চিঠি পাওয়ার পরই ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককে বিষয়টি জানিয়েছি। পরে, ভাতার (Bhatar) থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। এভাবে আমাকে কেন চিঠি দেওয়া হল তা বুঝতে পারছি না। আমরা চাই, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

    কী বললেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক?

    জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক জয়রাম হেমব্রম বলেন,চিঠিটি দরজার নীচ দিয়ে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার ও জেলাশাসককে জানানো হয়েছে। কে বা কারা কেন এরকম করল তা জানতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    অভিযোগ পাওয়ার পরই ভাতার (Bhatar) থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। তবে, প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, ভয় দেখানোর জন্যই এই রকম মাওবাদী নাম দিয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে, কার্তুজটি সক্রিয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: মহিলা পরিচালিত পুজোর প্রতিমাও গড়ছেন মহিলা শিল্পী

    Durga Puja 2023: মহিলা পরিচালিত পুজোর প্রতিমাও গড়ছেন মহিলা শিল্পী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বয়সে নবীন হলেও হাওড়ায় বেশ কয়েক বছর ধরে নজর কেড়েছে চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘের মহিলা পরিচালিত দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। কিন্তু এবার আরও নজরকাড়া বিষয় হল, তাদের পুজোয় ঠাকুরও গড়ছেন এক মহিলা শিল্পী, নাম মধুমিতা রায়। ডায়মন্ড হারবারের মধুমিতা বিবাহ সূত্রে গত ৩৫ বছর হাওড়ার বেতাইতলার বাসিন্দা। স্বামীর সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে প্রতিমা গড়েন। চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘের পুজো মহিলা পরিচালিত বলে অধিকাংশ কাজ তিনি নিজের হাতেই করছেন। তাঁদের কাজে এখন পাশে পেয়েছেন জামাইকেও। মধুমিতা বলেন, আমার স্বামী ও জামাই ছাড়া শিল্পীরা আছেন। সংসারের অন্য সব কাজ করার মধ্যে যতটা সময় পাই, ঠাকুর গড়ার কাজ করি। ব্যবসাটাও পুরোটাই আমি সামলাই।

    প্রতিমার মুকুট ও সাজ দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচে (Durga Puja 2023)

    চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘে দীর্ঘদিন ধরে সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, গত বছর আমরা প্রথম থিম পুজো করি। তবে প্রতিমায় কোনও বদল হয়নি। এবারে অবশ্য ঐক্যের বার্তা দিতে আমরা প্রতিমার মুকুট ও সাজ করছি দক্ষিণ ভারতীয় ধাঁচে। সম্পাদক নারায়ণচন্দ্র শ্রীমানী বলেন, দুর্গাপুজো এখন বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে।দক্ষিণ ভারতের মমল্লাপুরমও এই তালিকায় বহু দিন ধরে রয়েছে। সেখানে যে দেবী দুর্গার মূর্তি রয়েছে, তাঁর সাজ দেখেই এমন ভাবনা। তবে আজকাল অনেক জায়গাতেই দক্ষিণী সাজ চোখে পড়ে। এবার আলাদা কোনও থিম না হলেও মহাদেবের বিশাল মূর্তি বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। মূর্তি তৈরির কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন ক্লাবের সদস্যরা। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এবারের ভাবনা জটাধারায়।

    সঙ্ঘের সহ-সম্পাদক বরুণ সামন্ত বলেন, গতবার আমাদের পুজো (Durga Puja 2023) উদ্বোধন করেছেন ভারত সেবাশ্রম সঙ্ঘের সন্ন্যাসী। এবারেও কোনও সন্ন্যাসী এই পুজো উদ্বোধন করবেন বলে স্বামী প্রণবানন্দ প্রতিষ্ঠিত আশ্রম থেকে জানানো হয়েছে। মণ্ডপে প্রতিমা আসে মহালয়ার সকালে। পুজোর উদ্বোধন হয় পঞ্চমীতে। তারপর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সেখানে নামী শিল্পীদের পাশাপাশি থাকেন স্থানীয় শিল্পীরাও।

    পশুবলি দেওয়া হয় না

    চক্রবেড়িয়া অজানা সঙ্ঘের পুজো হয় নিষ্ঠার সঙ্গে। পুজো (Durga Puja 2023) চলাকালীন চণ্ডীপাঠ হয়। বলি হলেও এখানে পশুবলি দেওয়া হয় না। সন্ধিপুজোয় মণ্ডপ আলোকিত করা হয় তেলের আলোয়। আর চারদিন ধরে চলে আড্ডা। কারণ রান্নাবান্নার বালাই থাকে না। কুপন সিস্টেমে একেবারে বাঙালি খাওয়াদাওয়া। সপ্তমীতে মাছ, অষ্টমীতে লুচি, নবমীতে পাঁঠার মাংস, দশমীতে খিচুড়ি। সঙ্ঘের সিঁদুরখেলাও দেখার মতো। মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও দেখায় যায় সিঁদুর মেখে ঘুরতে।
    পুজোর প্রস্তুতি তুঙ্গে। তারই মধ্যে আগামী ৮ অক্টোবর ডেঙ্গি সচেতনতার জন্য সঙ্ঘ থেকে র‌্যালি বের হওয়ার কথা। তার ব্যানারও তৈরি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: মুর্শিদাবাদে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    Dengue: মুর্শিদাবাদে ফের ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু যুবকের, প্রশাসনের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়ার পর মুর্শিদাবাদ জেলায় ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ফের এক যুবকের মৃত্যু হল। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সুদাম ঘোষ (৩৩)। তাঁর বাড়ি নিমা গ্রামে। এর আগে সূতি-২ নম্বর ব্লকের খানাবাড়ি গ্রামের গৃহবধূ চামেলি বিবি (৩২) ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছিলেন। সেই জের কাটতে না কাটতে জেলায় ফের মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। ঠিকমতো নজরদারি করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ বিরোধীদের।

    ঠিক কী ঘটেছিল? (Dengue)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছিল, সুদাম ঘোষ গত ২৭ সেপ্টেম্বর তার কর্মস্থল কলকাতা থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন। তারপরেই তিনি জ্বরে আক্রান্ত হন। ২৯ শে সেপ্টেম্বর কান্দি মহকুমা হাসপাতালে রক্ত পরীক্ষা করার পর জানা যায় তিনি ডেঙ্গিতে আক্রান্ত। ওই দিনই তাঁকে কান্দি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ২ রা অক্টোবর কান্দি মহকুমা হাসপাতাল থেকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে যেন আক্রান্তের (Dengue) সংখ্যা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ২৬ জন ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগী ভর্তি রয়েছেন। সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ডেঙ্গিতে জেলায় আক্রান্ত ৫৩০০ জন এবং আর মৃত্যু হল দুজনের। যা যথেষ্ট উদ্বেগের বলে স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা মনে করছেন।

    প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন

    মুর্শিদাবাদ জেলা জুড়ে ডেঙ্গি (Dengue) প্রতিদিন বেড়ে চলেছে, প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দিচ্ছে না। কিন্তু রাস্তাঘাট, খাল -বিল, নর্দমা টানা বৃষ্টিতে ভরাট হয়ে গিয়েছে। যার ফলে জলবাহিত এবং মশাবাহিত রোগের উপদ্রব বেড়ে যাচ্ছে। ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের উদ্যোগ সেভাবে চোখে পড়ছে না সাধারণ মানুষের। রাস্তাঘাটের জমা জল পরিস্কার করার বিষয়ে পৌর প্রশাসন কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ। মুর্শিদাবাদ জেলার ডেঙ্গি নিয়ে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা  সূতি-২ নম্বর ব্লক, ভগবানগোলা ১ নম্বর ব্লক, লালগোলা ও জলঙ্গি। জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে সবরকম উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    North 24 Parganas: “আগে কাজ তারপর ভোট’ বেহাল রাস্তা নিয়ে তৃণমূলকে আক্রমণ বিজেপি সাংসদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “আগে কাজ তারপর ভোট’ দেড় কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেঁটে, রাস্তার বেহাল দশা পরিদর্শন করে মন্তব্য করলেন বনগাঁ লোকসভার (North 24 Parganas) বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় জাহাজ প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। তাঁর সংসদীয় ক্ষেত্র জামদা আদিবাসী পাড়ার এক রাস্তার অত্যন্ত খারাপ অবস্থার কথা তুলে ধরে, তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করলেন এই বিজেপি সাংসদ। পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেস থেকেও বিজেপিকে কটাক্ষের ঘটনায় ব্যাপক রাজনৈতিক শোরগোল পড়েছে এলাকায়। রাজ্যের পঞ্চায়েত-পুরসভাগুলিতে চলাচলের রাস্তা নিয়ে প্রশাসনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলছেন সাধারণ মানুষ। এছাড়াও এলাকার মানুষ নিজেরা চাঁদা তুলে রাস্তা সারাই করছেন, এমন ঘটনার কথাও সংবাদ মাধ্যমে উঠে এসেছে।   

    কী বললেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী (North 24 Parganas)?

    কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর (North 24 Parganas) এদিন এলাকার রাস্তা পরিদর্শন করতে গিয়ে বলেন, “আমি যদি রাস্তার অনুমোদন করে দিই, আপনাদের দায়িত্ব থাকবে পঞ্চায়েত থেকে সেই রাস্তা বের করে নিয়ে আসা। আপনারা কি পারবেন? আমি কোনও প্রতিশ্রুতি বুঝি না, আগে কাজ তারপর ভোট। কথার সঙ্গে কাজের মিল থাকতে হবে। আমি কাজের পক্ষপাতি। এলাকায় অত্যন্ত খারাপ রাস্তা। মানুষের সমস্যা কী তাই আমি জানতে চাই।”

    এলাকার মানুষের বক্তব্য

    বেহাল রাস্তার ফলে এলাকার (North 24 Parganas) মানুষের সমস্যা অত্যন্ত প্রবল। হাসপাতালে রোগী নিয়ে যাওয়া, ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে যাওয়া, ইত্যাদি ক্ষেত্রে গাড়ি চালানোর জন্য উপযুক্ত নয় এই রাস্তা। এই জামদা এলাকার এক স্থানীয় আশাকর্মী জয়ন্তী বসু বলেন, “অনেক গর্ভবতী নারীকে এই রাস্তায় দিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যেতে যেতেই রাস্তায় বেশ কয়েকটি বাচ্চা প্রসবের ঘটনা ঘটেছে। কারণ রাস্তা খুব খারাপ। চালাচলের যোগ্য নয় এই রাস্তা। প্রয়োজনীয় কোনও গাড়ি এখানে যাতায়াত করতে পারে না। তাছাড়া রাস্তা খারাপ বলে গাড়ি চালকেরা অধিক টাকা চায়। এলাকার বেহাল রাস্তা ঠিক করার ক্ষেত্রে প্রশাসনের নজর নেই।”

    তৃণমূলের বক্তব্য

    বনগাঁ এলাকার সাংগঠনিক জেলার (North 24 Parganas) তৃণমূলের কংগ্রেস সহ সভাপতি প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, “এলাকার সাংসদ ২০১৯ থেকে ২০১৩ পর্যন্ত চার বছর শো-কেসে ছিলেন। বনগাঁর কোনও মানুষ তাঁকে চোখে দেখেননি। এলাকার পঞ্চায়েতের কোনও মানুষ তাঁকে চেনে না। সামনে লোকসভার ভোট তাই এখন মাঠে নেমেছেন তিনি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • DVC: পুজোর আনন্দ ম্লান! ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা, কী করছে রাজ্য সরকার?

    DVC: পুজোর আনন্দ ম্লান! ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের সাত জেলা, কী করছে রাজ্য সরকার?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রবিবার থেকেই ডিভিসি-র (DVC) বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়া শুরু হয়েছিল। গত দুদিন ধরে সেই জল ছাড়ার পরিমাণ ক্রমশ বেড়েছে। আর তার দোসর নাগাড়ে বৃষ্টি। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে এই বৃষ্টি চলবে বলে জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। ফলে, পুজোর আগেই বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, হাওড়া, দুই মেদিনীপুর জেলায়। ফলে, দক্ষিণবঙ্গের এই সাতটি জেলার মানুষ চরম আতঙ্কে রয়েছেন। পুজোর আনন্দ একেবারে ম্নান হয়ে গিয়েছে। পুজোর মণ্ডপ তৈরির পরিবর্তে নিরাপদ আশ্রয়ে সরানো হচ্ছে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দাদের। রাজ্য সরকার ও প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।

    জলাধারগুলি থেকে কত পরিমাণ জলা ছাড়া হল? (DVC)

    দীর্ঘদিন রাজ্যে তৃণমূল ক্ষমতায় থাকার পরেও পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালে নিকাশি ব্যবস্থার স্থানীয় কোনও সমাধান করতে পারল না। ফলে, ডিভিসি-র (DVC) মাইথন এবং পাঞ্চেত জলাধারের ছাড়া জল আর বৃষ্টির কারণে ঘাটাল মহকুমার অনেক জায়গায় জল ঢুকে গিয়েছে। এমনিতেই পুজোর কারণে পাড়ায় পাড়ায় সব প্রস্তুতি চলছিল। এখন বন্যা হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন এলাকাবাসী। অতিবর্ষণে সবং ব্লকের ছয়-সাতটি অঞ্চল জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। ১১ নম্বর মহাড় অঞ্চলের কানুচক বুথে বেশ কয়েক’টি পরিবারকে তুলে এনে একটি স্কুলের ত্রাণ শিবিরে করে রাখা হয়েছে। একই অবস্থা দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বকখালি, বালিয়াড়া-সহ গঙ্গাসাগরের সমুদ্র সৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি। মঙ্গলবার বিকেল থেকে অবশ্য ডিভিসির জল ছাড়ার পরিমাণ কমিয়েছে। মাইথন জলাধার থেকে ২০ হাজার কিউসেক এবং পঞ্চায়েত জলাধার থেকে ৫৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। সব মিলিয়ে ৭৫ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

    পুজোর আগে বন্যার আশঙ্কা

    পূর্ব মেদিনীপুরের একাধিক জায়গায় আবার বন্যার আতঙ্ক শুরু হয়েছে। ডিভিসির (DVC) ছাড়া জলে পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক এলাকা প্লাবিত। বিভিন্ন জলাধার থেকে জল ছাড়ায় কেলেঘাই, চণ্ডীয়া, হলদি, রূপনারায়ণ-সহ নদী তীরবর্তী এলাকাগুলিতে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের ময়না, ভগবানপুর, পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, খেজুরি-সহ বিস্তীর্ণ এলাকায় জমা জলের সমস্যা রয়েছে। ঝাড়খণ্ডের গালুডি ব্যারেজে জল ছাড়়ার কারণে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুর-১ এবং ২ ব্লক, সাঁকরাইল এবং নয়াগ্রাম ব্লক প্রশাসন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দাদের পুজোর আনন্দ উধাও হয়ে গিয়েছে। বন্যার আতঙ্ক তাড়া করে বেড়াচ্ছে। অনেকে ঘরের চারিদিকে জল থাকায় বের হতে পারছেন না। চরম নাকাল হতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

    হাওড়ার কোন কোন এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা?

    হাওড়়ার আমতা এবং উদয়নারায়ণপুরের পরিস্থিতি ইতিমধ্যেই আশঙ্কাজনক। দফায় দফায় বৃষ্টিতে মুণ্ডেশ্বরী, রূপনারায়ণ এবং দামোদরের জল বাড়ছে। আমতা-২ ব্লকের ভাটোরা এবং ঘোড়াবেড়িয়া চিতনান গ্রাম পঞ্চায়েতের বেশ কিছু গ্রামের মানুষজন বন্যার আতঙ্কে রয়েছেন। এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করেছে। দামোদর নদের জলস্তর বেড়ে যাওয়ায় উদয়নারায়ণপুরের হরালি, দাসপুর, সীতাপুর, সুলতানপুর, গজা, কুড়চি, হরিহরপুর, হোদল, রামপুর বালিচক, শিবপুর, বিনোদবাটি, জঙ্গলপাড়া, শিবানীপুর, পাঁচারুল-সহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

    সেতুর উপর দিয়ে বইয়ে জল

    ফুঁসছে বাঁকুড়ার দ্বারকেশ্বর। এই নদের উপর বাঁকুড়া শহর লাগোয়া মীনাপুর ও ভাদুল সেতুর উপর প্রায় চার ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবল বেগে জল বইছে। সেতুর উপর দিয়ে জল বইতে থাকায় মীনাপুর ও ভাদুল সেতু দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। শুধুমাত্র বাঁকুড়া জেলার ৯৭০ জন বাসিন্দাকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। বীরভূমের কাদরকুলা থেকে বাগসীনা যাওয়ার রাস্তা জলের তলায় গিয়েছে। আরও জল বৃদ্ধি হলে কীর্ণাহারের সঙ্গে লাভপুরের প্রায় ১৫টি গ্রামের  যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    Diabetes: স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে বাড়ছে ডায়াবেটিস! পড়াশোনায় কতখানি প্রভাব ফেলছে?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ডায়াবেটিস (Diabetes) আর বয়স্কদের রোগের তালিকায় আটকে নেই! তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে এই রোগ এখন শিশুদের মধ্যেও দেখা দিচ্ছে। বিশেষত ১২ বছর পেরলেই ডায়াবেটিসের প্রকোপ বাড়ছে! যার প্রভাব পড়ছে পড়াশোনা, খেলাধুলোয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, সচেতনতা না বাড়লে বিপদ বাড়বে! অভিভাবক থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সর্বত্র ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকা দরকার। না হলে বড় বিপদ হতে পারে!

    কাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বাবা-মায়ের ডায়াবেটিস থাকলে সন্তানের আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। তিরিশ পেরনোর আগেই অনেকে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হচ্ছেন। সন্তান জন্মের পর তাঁদের বাড়তি সতর্ক থাকা দরকার। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, যে সব শিশুর জন্মের সময় ওজন ৩.৫ কেজির বেশি থাকে, তাদের নিয়ে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কারণ, পরবর্তীতে তাদের স্থূলতা বাড়ার ঝুঁকি বেশি। ফলে, ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বাড়ে। পাশপাশি, যাদের জন্মের সময় ওজন ২.৫ কেজির কাছাকাছি থাকে, কিন্তু তিন-চার বছর বয়স থেকেই ওজন মারাত্মক বাড়তে থাকে, তাদের ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি হয় বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। 
    ডায়বেটিস বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দশ জন ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্তের মধ্যে আগে গড়ে ২-৩ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হত। কিন্তু গত দশ বছরে দেখা যাচ্ছে, প্রতি দশ জন ডায়াবেটিস রোগীর মধ্যে গড়ে ৫-৬ জন শিশু টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগী থাকছে। যা যথেষ্ট উদ্বেগের। এছাড়া ভারতে শিশুদের মধ্যে টাইপ ১ ডায়াবেটিসের প্রকোপও বাড়ছে।

    কেন স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে ডায়াবেটিস বাড়ছে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের বদলে ডায়াবেটিসের (Diabetes) ঝুঁকি বাড়ছে। ১২-১৪ বছর বয়সি ছেলেমেয়েদের শারীরিক কসরতের প্রবণতা কমে গিয়েছে। তারা অধিকাংশ সময়েই বসে থাকছে। কখনও পড়াশোনা, কখনও ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল নিয়ে বসে থাকছে। মাঠে খেলাধুলোর সময় একেবারেই কম। দিনের খুব কম সময় তারা শারীরিক কসরত করে। ফলে, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। তাছাড়া আধুনিক জীবনের খাদ্যাভ্যাস এই রোগের প্রকোপ বাড়ার অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, খুব কম বয়স থেকেই এখন নানান প্রসেসড খাবারে অভ্যস্ত। বার্গার, পিৎজা, হটডগের মতো খাবার স্থূলতা ডেকে আনে। তাছাড়া, ডোনাট, চকোলেট খাওয়ায় অভ্যস্ত অনেক শিশু। এগুলো ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়।

    ডায়াবেটিস কি পড়াশোনায় প্রভাব ফেলছে? 

    সম্প্রতি সুইডেনের একদল গবেষক স্কুল পড়ুয়াদের ডায়াবেটিস নিয়ে গবেষণা চালিয়েছেন। তাঁদের রিপোর্ট অনুযায়ী, ডায়াবেটিস আক্রান্ত স্কুল পড়ুয়াদের মস্তিষ্কের বিকাশে সমস্যা হয়। তাই তাদের অনেক সময়ই বুঝতে অসুবিধা হয়। ডায়াবেটিস (Diabetes) আক্রান্ত পড়ুয়ারা বেশি ক্লান্ত হয়ে পড়ে। ফলে, নিয়মিত স্কুল যেতে পারে না। অনুপস্থিতির হার বেশি হয়। এর প্রভাব তাদের পড়ার ক্ষেত্রেও পড়ে। পাশপাশি খেলাধুলোর প্রতি অনীহা তৈরি হয়।

    স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকরা কীভাবে সতর্ক হবেন?

    চিকিৎসকদের পরামর্শ, স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের বাড়তি সতর্কতা জরুরি। তবেই ডায়াবেটিসের মতো রোগ প্রতিরোধ সম্ভব। শিশুরোগ চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, সন্তানের ১২ বছর পেরিয়ে গেলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। বিশেষত যদি সন্তানের স্থূলতার সমস্যা দেখা যায় কিংবা বারবার জল খাওয়ার প্রবণতা বেড়ে যায়। পরিবারের কেউ ডায়াবেটিসে (Diabetes) আক্রান্ত থাকেন, তাহলে বছরে অন্তত একবার রক্ত পরীক্ষা করে নিশ্চিত করা জরুরি শিশু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিনা। 
    অতিরিক্ত তেলে ভাজা আর মশলা দেওয়া খাবার একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। শিশুদের ডায়েটে সে দিকে বাড়তি খেয়াল রাখা জরুরি। নিয়মিত ডোনাট, চকোলেট একেবারেই দেওয়া যাবে না। শিশুদের জলখাবারে নিয়মিত স্বাস্থ্যকর খাবার দিতে হবে। কর্নফ্লেক্স, দুধ, কিসমিস, কাজুর মতো ড্রাই ফ্রুট, আপেল, পেয়ারা, নাশপাতির মতো ফল খেতে হবে। ভাতের পরিমাণ না বাড়িয়ে ডাল, সব্জি, চিকেন, মাছের মতো খাবার বেশি খেতে হবে। তাহলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমবে। 
    স্কুল কর্তৃপক্ষকেও ডায়াবেটিস নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, যে হারে ডায়াবেটিস বাড়ছে, তাতে অধিকাংশ স্কুলে বহু পড়ুয়া এই রোগে আক্রান্ত থাকবে। তাদের সুস্থ রাখতে স্কুলে আলাদা ভাবে মেডিক্যাল স্টোর রাখতে হবে। রক্তে শর্করার মাত্রা মাপতে তাদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা রাখতে হবে বলেও জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share