Author: user

  • Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    Malda: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা! টাকা আদায়ে তৃণমূল নেতাকে বেধড়ক মার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে রাজ্যজুড়ে এখন তোলপাড়। অনেকে এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে জেলের ঘাঁনি টানছেন। অনেক তৃণমূল নেতা চাকরি দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা তুলে দিব্বি জেলের বাইরে হাওয়া খেয়ে বেড়াচ্ছেন। এবার সেই সব নেতাদের চিহ্নিত করে বেধড়ক পিটিয়ে পাওনা টাকা আদায়ের চেষ্টা করছেন চাকরিপ্রার্থীরা। মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা জেলা পরিষদের প্রাক্তন সদস্য স্বপন মিশ্রকে বেধড়ক পেটানোর ঘটনা সেকথায় প্রমাণ করেছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে ধীরে ধীরে জনরোষ তৈরি হচ্ছে। আগামীদিনে এই ধরনের ঘটনা আরও বাড়বে বলে বিরোধীদের দাবি।

    তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৪ সালে স্বপন মিশ্র মালদা (Malda) জেলা প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের চেয়ারম্যান পদে ছিলেন। সেই সময় তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছিল।  বহু মানুষ লক্ষ লক্ষ টাকা পাবেন। চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নাম করে টাকা তুলেছিলেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে প্রতারণার চার থেকে পাঁচটি অভিযোগ থানায় জমা পড়েছে। অভিযোগ, প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রায় কোটি টাকা প্রতারণা করেছেন তিনি। বহু মানুষ চাকরি পাননি। কিন্তু, তাদের টাকার ফেরতও দেননি। টাকা ফেরতের জন্য বহুবার  দরবার করেছেন। কিন্তু, কাজের কাজ কিছু হয়নি। অবশেষে তৃণমূল নেতার উপর চড়াও হয়ে টাকা আদায়ের জন্য চাপ দেন এক ব্যক্তি।

    ভাইরাল ভিডিওতে কী দেখা যাচ্ছে?

    ভাইরাল ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, একটি বাড়িতে ঘরের ভিতর চেয়ারে বসে রয়েছেন মালদা (Malda) প্রাথমিক বিদ্যালয় সংসদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান স্বপন মিশ্র। তাঁর কলার ধরে প্রশ্ন করছেন এক যুবক। একটাই প্রশ্ন, ‘সাড়ে পাঁচ লক্ষ টাকাটা কই? বল কবে টাকা ফেরত দিবি?’ মার খেয়ে কাতরাতে কাতরাতে তৃণমূল নেতা শুধু বলছেন, ‘এখন টাকা দিতে পারব না, সময় দিতে হবে।’ আর এই ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলাজুড়ে।

    কী বললেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব?

    জেলা তৃণমূল নেতা প্রসেনজিৎ দাস বলেন, ওই ব্যক্তি দলের এখন কোনও পদে নেই। আর দলের নাম ভাঙিয়ে যে দুর্নীতি করেছে তার দায় দল নেবে না। যারা প্রতরিত হয়েছে তাদের আইনের দ্বারস্থ হয়ে দোষী ব্যক্তির শাস্তির ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেব।

     

     দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    Dengue: বাংলাদেশে বাড়ছে ডেঙ্গি, সীমান্তে সক্রিয় কিট পাচারচক্র! কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সীমান্তে গরু পাচার, হেরোইন পাচার, সোনা পাচার হওয়ার খবর শোনা যায়। এবার ভারত-বাংলাদেশে উত্তর ২৪ পরগনা সীমান্ত এলাকায় ডেঙ্গি (Dengue) কিট পাচার চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। কারণ, পুলিশ বিএসএফের নজর এড়িয়ে ছোট জিনিস পাচার করা তুলনায় সহজ। তাই, সীমান্তে এই কিট পাচার চলছে। পুলিশ ও বিএসএফের হাতে কয়েকজন পাচারকারী গ্রেফতারও হয়েছে। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে কয়েক লক্ষ টাকার কিট। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই এই তথ্য সামনে এসেছে।

    কেন বাংলাদেশে পাচার করা হচ্ছে ডেঙ্গি কিট? (Dengue)

    এ রাজ্যে হু হু করে বাড়ছে ডেঙ্গি। নদিয়া জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪ হাজার। উত্তর ২৪ পরগনা জেলাতেও বহু মানুষ আক্রান্ত। এর পাশাপাশি বর্ষায় বাংলাদেশেও ডেঙ্গির (Dengue) প্রকোপ ছড়িয়েছে। সে কারণেই ও দেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার কিটের চাহিদা বেড়েছে। তা ছাড়া, পাচারকারীদের জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে ভারত থেকে বাংলাদেশে কিট নিয়ে যেতে পারলে লাভ অনেক বেশি।বিভিন্ন বেসরকারি ল্যাবরেটরি থেকে কিট কিনতে পাওয়া যায়। ওদেশে ডেঙ্গি পরীক্ষার খরচও অনেক বেশি। এখানে যদি ডেঙ্গি পরীক্ষার জন্য ১০০ টাকা খরচ হয়, বাংলাদেশে খরচ পড়ে ১ হাজার টাকা। তাই এই চক্র সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ডেঙ্গি কিটের মতো ছোট জিনিস পাচারে ঝুঁকি অনেক কম। সীমান্তে থাকা কাঁটাতারের ওপারে ডেঙ্গি কিটের ব্যাগ ছুঁড়ে ফেলতে হবে। কাজ ঠিকঠাক হলেই মিলবে টাকা। পরে, পাচারকারীরা এসে সেই ব্যাগ নিয়ে চলে যায়। ডেঙ্গি কিট পাচার চক্রের সদস্যেরা নানা টোপ দিয়ে গ্রামের চাষি, বেকার যুবকদের এ কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    সম্প্রতি পেট্টাপোল থানার পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, এক বাংলাদেশি পাচারকারী পেট্রাপোল সীমান্ত দিয়ে এ দেশ থেকে ডেঙ্গির (Dengue) কিট পাচার করার চেষ্টা করছে। ওই পাচারকারী আগেও এই কাজ করেছে। পুলিশ পেট্রাপোল সীমান্তে নজরদারি বাড়ায়। পাচারকারী সীমান্ত এলাকায় আসতেই তাকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। ধৃতের নাম মহম্মদ সোহেল রানা। বাড়ি বাংলাদেশের বেনাপোল থানার সাদিপুর এলাকায়। তার কাছ থেকে ৬৮ প্যাকেট ডেঙ্গির কিট আটক করা হয়। এক একটি প্যাকেটে ২৫টি করে কিট ছিল, যার মূল্য প্রায় ৪ লক্ষ টাকা। ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানিয়েছে, ২০২২ সালের নভেম্বর মাস থেকে ওই দুষ্কৃতী কয়েক বার ভারতে এসেছিল বৈধ পাসপোর্ট ও ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে। প্রতি বারই সে ডেঙ্গির কিট কলকাতা থেকে কিনে বাংলাদেশে পাচার করেছে। এ বারই প্রথম ধরা পড়ল। এর আগেও একজনের কাছে থেকে ৯ লক্ষ টাকার কিট বাজেয়াপ্ত করা হয়। বনগাঁর এসডিপিও অর্ক পাঁজা বলেন, সন্দেহজনক কাউকে দেখলে তল্লাশি করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: পুজোর মহাস্নানের তেল, অগরু, সুগন্ধি নিজে হাতে তৈরি করে কর্মসংস্থানের দিশা

    Durga Puja 2023: পুজোর মহাস্নানের তেল, অগরু, সুগন্ধি নিজে হাতে তৈরি করে কর্মসংস্থানের দিশা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দুর্গাপুজো ভারতবর্ষ এবং পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ খুবই নিষ্ঠা ও শ্রদ্ধার সঙ্গে দুর্গাপুজো করে থাকেন। দুর্গাপুজোতে বেশ কিছু উপকরণের ব্যবহার করা হয়। এই সমস্ত উপকরণ একমাত্র দশকর্মা ভান্ডারেই সাধারণত পাওয়া যায়। উপকরণগুলির মধ্যে রয়েছে তিলের তেল, মহাস্নানের তেল, মহাস্নানের জল, অগরু, বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধি তেল, মধু ইত্যাদি। এইসব উপকরণ ছাড়া কখনই দুর্গাপূজো (Durga Puja 2023) সম্পূর্ণ হয় না। পৌরাণিক নিয়মনীতি অনুযায়ী এই উপকরণগুলি ছাড়া দূর্গাপুজো অসম্পন্ন। আর এই সমস্ত উপকরণ নদিয়ার মাজদিয়ার বাসিন্দা সুনীল দাস নিজের হাতে তাঁর বাড়িতে তৈরি করেন। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। তাঁর বাবার কাছ থেকেই তিনি এই ধরনের উপকরণ তৈরির পদ্ধতি শিখেছেন বলে জানান।

    নিষ্ঠার সঙ্গে তৈরি করতে হয় (Durga Puja 2023)

    সুনীল দাসের মতে, এই উপকরণগুলি তৈরি করতে হয় নিষ্ঠার সঙ্গে। যেহেতু এগুলি পুজোতে (Durga Puja 2023) ব্যবহৃত হয়, তাই তৈরি করতে কিছু নিয়ম মানতে হয়। স্নান করে, কখনও উপোস করে বা নিরামিষ খেয়ে উপকরণগুলি তৈরি করতে বসতে হয়। কখনই অনিয়ম করে এই উপকরণগুলি তৈরি করার নিয়ম নেই বলে তিনি দাবি করেন। ২৫ বছর ধরে তিনি এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। আলতা সিঁদুর, কৌটো সিঁদুর, পাতা সিঁদুর, অগরু, তিন রকমের তেল, মহাস্নানের জল, গোলাপ জল ,আতর, বিভিন্ন সুগন্ধি সমস্ত কিছুই একা নিজের হাতে তৈরি করতে পারেন তিনি।

    সুযোগ কর্মসংস্থানের (Durga Puja 2023)

    সুনীলবাবু বললেন, বর্তমানে এই উপকরণগুলির চাহিদা খুব। তিনি সময়মতো উপকরণগুলি তৈরি করে ফেলেন এবং সঠিক সময়ে বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিয়ে থাকেন। এছাড়াও বর্তমানে একাধিক পুজো হওয়ার ফলে তার উপকরণগুলির (Durga Puja 2023) চাহিদাও দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাঁর তৈরি উপকরণগুলি তিনি দিয়ে থাকেন রানাঘাট, কল্যাণী, চাকদা, কাঁচরাপাড়া, কৃষ্ণনগর ইত্যাদি এলাকায়। তবে তিনি সরকারের কাছে দাবি করেছেন কিছু আর্থিক সাহায্যের, যা দিয়ে তিনি একাধিক কর্মচারী নিয়োগ করে উপকরণগুলি আরও যাতে তাড়াতাড়ি ও নিষ্ঠাভাবে তৈরি করতে পারেন। যদি তা সম্ভব হয়, তাহলে তিনি আরও বেশ কয়েকজনের সংসারের ভার একাই নিয়ে নিতে পারবেন বলে দাবি তাঁর।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    Bongaon: বিজেপি করা অপরাধ! ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে খুন হলেন মা, অভিযুক্ত তৃণমূল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিজেপি করার অপরাধে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে। বিজেপি কর্মীর মাকে পিটিয়ে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনায় বনগাঁর (Bongaon) ঠাকুরনগরের মানিকহীরা গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতের নাম কানন রায়। তাঁর ছেলের নাম জয়ন্ত রায়। তিনি এলাকায় বিজেপি কর্মী হিসেবে পরিচিত। হামলাকারী তৃণমূল কর্মীর নাম সমীর মল্লিক। তিনি বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। এই ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Bongaon)  

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, জয়ন্তবাবুর পরিবারের সকলেই বিজেপি সমর্থক। আর এই বিজেপি দল করার অপরাধে প্রায়ই তাঁর বাড়ির উদ্দেশে গালিগালাজ করত সমীর মল্লিক নামে অভিযুক্ত তৃণমূল কর্মী। বুধবার সন্ধ্যাতেও গালিগালাজ করতে করতে যাচ্ছিলেন তিনি। জয়ন্তবাবু তার প্রতিবাদ করলে সমীর মল্লিক তাঁর ওপর চড়াও হন। বেধড়ক মারধর করতে থাকে। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে আসেন বৃদ্ধা মা ও বাবা। তাঁদেরও মারধর করেন সমীর। এমনকী জয়ন্তবাবুর স্ত্রীকেও মারধর করা হয়। জয়ন্তবাবুর মাকে বাঁশ দিয়ে বেধড়ক পেটানো হয় বলে অভিযোগ। গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় এলাকার মানুষ ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁরা বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায়ের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। যদিও ঘটনার পরই অভিযুক্ত হামলাকারীকে গ্রেফতার করেছে গাইঘাটা থানার পুলিশ।

    কী বললেন আক্রান্ত বিজেপি কর্মী?

    মৃতার ছেলে তথা বিজেপি কর্মী জয়ন্ত রায় বলেন, বিজেপি করাটা আমাদের অপরাধ। সমীর নামে এই তৃণমূল কর্মী এর আগেও আমাদের বহুবার গালিগালাজ করেছে। বুধবার আমি প্রতিবাদ করেছিলাম বলে ও এভাবে আমার বাড়ির সকলের উপর হামলা চালিয়েছে। আমার মাকে তো খুন করে দিল। আমরা অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এদিন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, যে বুথে এই ঘটনাটি ঘটেছে সেই বুথে সব থেকে বেশি ভোট পেয়েছিল বিজেপি। আজকে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি যেখানে একজন তৃণমূলের যুব নেতা নিজে দাঁড়িয়ে থেকে খুন করিয়ে দিল। আমরা অবিলম্বে  দাবি জানাচ্ছি। এই বাংলায় শাসন বলে কিছু নেই ক্রিমিনাল গুন্ডাদের রাজত্ব চলছে। নিরূপমের নেতৃত্বে ওই বিজেপি কর্মীর মা খুন হয়েছ। সবার আগে নিরুপমকে গ্রেফতার করা দরকার ছিল।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    বনগাঁ (Bongaon) সাংগঠনিক জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি নিরুপম রায় বলেন, কাল রাতে একটা ঘটনা ঘটেছে মানিকহীরা দেশপাড়ায়। সমীর মল্লিক নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মী এলাকার বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে মারামারিতে এক বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। সব মৃত্যুই বেদনার। পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। আইন আইনের পথে চলছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sukanta Majumdar: তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে ভাড়া খেটে কিছু লোকের রোজগার হবে! কটাক্ষ সুকান্তর

    Sukanta Majumdar: তৃণমূলের দিল্লি অভিযানে ভাড়া খেটে কিছু লোকের রোজগার হবে! কটাক্ষ সুকান্তর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অমৃত উদ্যান প্রকল্পে মাটি সংগ্রহ করতে বিজেপির রাজ্য সভাপতি ও সাংসদ সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) গেলেন মহাভারতের বাংলা অনুবাদক কাশীরাম দাসের বাড়িতে। প্রথমে কাশীরাম দাসের মূর্তিতে মাল্যদান করেন তিনি। এরপর কাটোয়ার কাশীরাম দাসের ভিটে থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। এদিন সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি।

    রাজভবনে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী

    রাজভবনে এবার থেকে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী থাকবে, রাজ্য পুলিশ থাকবে না। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপাল। রাজ্যপালের রাজভবন কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দেবে না রাজ্য পুলিশ পাহারা দেবে, তাতে রাজ্য সরকারের কোনও ভূমিকা নেই। রাজ্যপাল যেটা ঠিক করবেন, তাই হবে। রাজ্য সরকারের পুলিশের উপর সাধারণ মানুষ ভরসা করতে পারছে না। মুখ্যমন্ত্রী যেখানে ভরসা করতে পারছেন না, সেখানে রাজ্যপাল কী করে ভরসা করবেন। প্রসঙ্গত, রাজভবন এবার থেকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পাহারা দেবে, এমনটাই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।

    বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে পোস্টার

    আজ সকালে বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাটিতে বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ’র বিরুদ্ধে একটি পোস্টার পড়ে। যেখানে লেখা রয়েছে, অর্থের বিনিময়ে প্রার্থী বাছাই করা হয়েছে। এই সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, এই পোস্টার তৃণমূলের তরফ থেকেই মারা হয়েছে। তাছাড়া অন্য কেউ এই কাজ করবে না বলেই সুকান্তবাবুর মত। সুতরাং এই কাজ কে করেছে বা কারা করেছে, খোঁজ করার বিষয় নেই, এরকম হতেই পারে না।

    মিছিলে শুভেন্দু ও কংগ্রেসের কৌস্তুভ 

    গতকাল বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও কংগ্রেসের কৌস্তুভ বাগচী একসঙ্গে বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থীদের নিয়ে মিছিল করেন। সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ওই মিছিলটি ছিল অরাজনৈতিক। তাই মিছিলে হাঁটতেই পারেন। তৃণমূল ও সিপিএমের উচিত ওই মিছিলে হাঁটা। এই কথা বলতে গিয়ে তিনি কৌস্তুভ বাগচীকে বিক্ষুব্ধ কংগ্রেস নেতা বলাতে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন, তাহলে কৌস্তুভ বাগচী কি বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন? উত্তরে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, উনি বিজেপিতে আসবেন কিনা, সেটা ওনাকে ঠিক করতে হবে। আমরা ওনাকে বিজেপিতে নেব কিনা, এটা আমাদের ঠিক করতে হবে। আগে ওনাকে ভাবতে বলুন উনি বিজেপিতে আসবেন কিনা, তারপর আমরা ভাববো।

    তৃণমূলের দিল্লি অভিযান

    তৃণমূলের তরফ থেকে ১০ হাজার লোক নিয়ে দিল্লি অভিযান। কী বলবেন? সুকান্তবাবু (Sukanta Majumdar) বলেন, লোক ভাড়া করে পার ডে ৫০০ টাকা করে দিয়ে গোয়াতে লোক নিয়ে গেছে। এখন রেট বাড়িয়ে ৫০০ টাকার জায়গায় ৭০০ করবে। তাতে বিজেপির কোনও আপত্তি নেই। দিল্লিতে ভাড়ায় নিয়ে গিয়ে কিছু লোকের যদি রোজগার হয়, এতে আপনার আমার হিংসা করা উচিত নয়। রাজ্যে চাকরিও নেই, কোন কাজও নেই। কিছু লোকের রোজগার হবে, এতে আপত্তির কিছু নেই। লোকের দুটো ভাত জুটবে পেটে।

    বিচারপতি বদলি

    বিচারপতি অর্পণ চট্টোপাধ্যায়কে অবিলম্বে বদলি করার নির্দেশের ব্যাপারে তিনি (Sukanta Majumdar) বলেন, নিশ্চয়ই বিচারপতির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলি আদালত দেখেছেন। এর মধ্যে নিশ্চয়ই সত্যতা আছে। বিচার ব্যবস্থার হয়তো উনি নিরপেক্ষতা রাখতে পারেননি। আমাদের কিছু বলার নেই। আমরা একে স্বাগত জানাবো।

    এরপর সিঙ্গি গ্রামের আরও পাঁচটি বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করে কাটোয়ার কুড়ি নম্বর ওয়ার্ডের পাঁচটি বাড়ি থেকে মাটি সংগ্রহ করেন অমৃত উদ্যানের জন্য। বিকেল চারটে কাটোয়া সংলগ্ন পানুহাট মাঠে জনসভা করেন তিনি। 

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: দিনাজপুরের ঘোষ পরিবারে দশমীর সকালে ছোট্ট নৌকা বানিয়ে তার পুজো হয়!

    Durga Puja 2023: দিনাজপুরের ঘোষ পরিবারে দশমীর সকালে ছোট্ট নৌকা বানিয়ে তার পুজো হয়!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কথিত আছে, বর্ধমানের গ্রাম থেকে নদীপথে দিনাজপুরের পতিরামে এসে ব্যবসা শুরু করে ঘোষ পরিবার। নৌকা ও বজরা নিয়ে এই অঞ্চল থেকে ধান ও পাটের আমদানি-রফতানি ব্যবসায় ফুলেফেঁপে ওঠে তাদের পরিবার। ইংরেজির ১৮৯০ এর দশকে ব্রিটিশ সরকারের কাছ থেকে দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে জমিদারি অর্জন করে ঘোষ পরিবার। ১৯৩০ সালে পতিরামের বিশাল এলাকা জুড়ে জমিদার বাড়ি তৈরি করেন পরিবারের সদস্যরা। যে বাড়ি আজও দাঁড়িয়ে রয়েছে ইতিহাসকে সাক্ষী করে। অন্য জমিদারদের মতোই নিজেদের আভিজাত্য প্রকাশের জন্য শুরু হয় দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। সেই সময় জমিদারের লোকবল, অর্থবল দুই-ই ছিল। ফলে পুজোর মাস জুড়েই নানা আচার অনুষ্ঠান পালন করা হত। পুজোর পাঁচ দিন এলাকার মানুষ জমিদার বাড়িতেই মধ্যাহ্নভোজন সারতেন। রাতেও অতিথি-অভ্যাগতদের জন্য থাকত খাবারের আয়োজন। নানা রকমের যাত্রা, কবিকীর্তন, বাউল ও মনসামঙ্গল গানের আসর বসত জমিদার বাড়ির দালানে। এখন কালের গতিতে অর্থবল, লোকবল কমেছে। কমেছে পুজোর জৌলুস। এখন আর সেভাবে অর্থ খরচ করার মতো সামর্থ্য নেই। ফলে কাটছাঁট করতে হয়েছে পুজোর বাজেটে। পুজোর বাজেট ছোট হলেও আয়োজন বা যে রীতি রেওয়াজ, সেখানে কোনওরকম খামতি রাখতে চান না প্রতিরামের জমিদার পরিবারের বর্তমান সদস্যরা।

    পারিবারিক মিলন উৎসব (Durga Puja 2023)

    পতিরামের জমিদার বাড়ির পুজো দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার ঐতিহ্যবাহী বনেদি বাড়ির পুজোগুলির মধ্যে অন্যতম। ইতিমধ্যেই প্রতিমা গড়ার কাজ শুরু হয়ে গেছে মন্দিরে। কেননা আর খুব একটা সময় নেই হাতে। তাই ব্যস্ততা শুরু। জন্মাষ্টমীর দিন থেকেই দুর্গাপ্রতিমার মূর্তি গড়ার কাজ শুরু হয়। ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) প্রায় সাত পুরুষ আগে শুরু হয়। সঠিক বয়স বলতে না পারলেও কম করে তা ২০০-২৫০ বছরের পুরনো৷ পুরনো রীতি রেওয়াজ মেনে এখনও পুজো হলেও নেই আগের মত জৌলুস। জমিদারবাড়ির উত্তরসূরিরা বিভিন্ন জায়গায় বসবাস করেন। বর্তমানে পতিরাম জমিদার বাড়িতে সাগর ঘোষ ও তাঁর স্ত্রী কল্পনা ঘোষ থাকেন। তবে পুজোর মধ্যে সকলে আবার একত্রিত হন। এই জমিদার বাড়ি পুজোকে কেন্দ্র করেই হয় পরিবারের মিলন উৎসব।

    ছোট্ট নৌকা বানিয়ে তার পুজো (Durga Puja 2023)

    অতীতে এই পুজোতে মহিষ, পাঁঠা, লাউ, আখ প্রভৃতি বলির প্রচলন থাকলেও সেই সব রীতি তুলে দিয়েছে এই জমিদার বাড়ির বর্তমান প্রজন্ম। এই পুজোতে বিভিন্ন খ্যাতনামা স্বাধীনতা সংগ্রামীর আনাগোনা ছিল বলেও জানা গেছে। অতীতের রীতি মেনেই এখনও নিষ্ঠার সাথে পুজো (Durga Puja 2023) চলছে এই জমিদার বাড়ির বর্তমান গৃহকর্তা সাগর কুমার ঘোষের হাত ধরে। যেহেতু ঘোষ পরিবারের ব্যবসা ছিল নদীকেন্দ্রিক এবং আমদানি-রফতানির, তাই এখনও নিয়ম মেনে পুজোর শেষ দিন অর্থাৎ দশমীর সকালে ছোট্ট নৌকা বানিয়ে তার পুজো হয়। এবং সেই নৌকা মাথায় করে মূল বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে সারা বছর সেই নৌকা বাড়ির ঠাকুর ঘরে রাখা থাকে। এখনও জেলার অন্যান্য পুজোতে অংশগ্রহণ করার পাশাপাশি জেলাবাসী পতিরাম ঘোষ বাড়ির দুর্গাপুজো একবার হলেও দেখতে আসেন।

    সাত পুরুষের পুরনো পুজো (Durga Puja 2023)

    এবিষয়ে জমিদার বাড়ির উত্তরসূরী সাগরকুমার ঘোষ বলেন, আমাদের এই পুজো (Durga Puja 2023) ৭ পুরুষ পুরনো পুজো। প্রতিমা বিসর্জনের দিন থেকে পরের বছর পুজোর প্রস্তুতি চলে। আমরা স্বামী স্ত্রী দুজনে এই বাড়িতে থাকি। আমরা দুজনে প্রস্তুতি করি। আমাদের পুজোতে আগে বলি ছিল। আমরা এখন বলি প্রথাটা উঠিয়ে দিয়েছি। আমাদের পুজোর বিশেষত্ব হল নৌকাকে ডিঙি করে সেই নৌকাতে পুজো হয়। দশমীর দিন সেই ডিঙিকে বিভিন্নভাবে সাজিয়ে মণ্ডপে পুজো করে পুজোর পর বাড়িতে যে বয়স্ক মানুষ থাকে, সে মাথায় করে বসত বাড়িতে আনে। এটাই আমাদের পুজোর বিশেষত্ব। পুজোর পাঁচদিন এলাকার সমস্ত মানুষ এখানে এসে আনন্দ করে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asansol: আসানসোলে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র! ধরলেন এলাকাবাসী, পুলিশ কী করছিল?

    Asansol: আসানসোলে ফের সক্রিয় গরু পাচার চক্র! ধরলেন এলাকাবাসী, পুলিশ কী করছিল?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গরু পাচার কাণ্ডে অনুব্রত মণ্ডল এখন তিহারে। সিবিআইয়ে কড়া নজরদারিতে গরু পাচার প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তাছাড়া এতদিন আসানসোল সিবিআই গরু পাচার মামলা চলছিল। এবার সেই মামলা আসানসোল (Asansol) সিবিআই আদালত থেকে মামলা দিল্লিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এবার ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে গরু পাচার চক্র। তবে, পুলিশ প্রশাসন গরু পাচার রুখতে কতটা সক্রিয় তা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও সাধারণ মানুষ এই বেআইনী কারবারের বিরুদ্ধে এককাট্টা। বুধবার রাতেই আসানসোলের জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই ট্রাক আটক হওয়ার ঘটনা সেকথা প্রমাণ করেছে। পুলিশ নয়, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচার হওয়া গাড়ি আটক করেন। ফলে, পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

    ঠিক কী ঘটেছে? (Asansol)

    বুধবার রাতেই আসানসোলের (Asansol) জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর এলাকা থেকে রানিগঞ্জের পাঞ্জাবি মোড় এলাকায় গরু বোঝাই একটি ট্রাক যাচ্ছিল। গাড়িটিকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। অভিযোগ, বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই গরু নিয়ে যাওয়ার জন্য বুধবার রাতে জাতীয় সড়কের উপর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা আটক করেন। উদ্ধার করা হয় ৩১টি গরু। এরমধ্যে ট্রাকে ১৮টি গরু এবং ১৩টি বাছুর ছিল। আপাতত স্থানীয় একটি গোশালায় গরুগুলিকে রাখা হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, ট্রাকটির নম্বর পশ্চিমবাংলার। তাই ঝাড়খণ্ড থেকে লরিটি ঢুকে কোথায় যাচ্ছিল তা স্পষ্ট নয়। ওই লরিতে যে ভাবে গাদাগাদি করে গরু নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল তাতে দু’টি বাছুর অচেতন হয়ে যায়। আরও বেশ কয়েকটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    পুলিশ জানিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারা গরু পাচারের অভিযোগে ট্রাকটি আটক করেন। পরে, সেই গাড়ি বাজেয়াপ্ত করা হয়। গরুগুলিকে নিরাপদ জায়গায় রাখা হয়েছে। কোথায় থেকে এই গরুগুলি নিয়ে আসা হচ্ছিল এবং কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই ট্রাকের চালক এবং খালাসি পালিয়ে যাওয়ায় কাগজপত্র হাতে আসেনি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: ‘বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর দীর্ঘজীবী হয়ে’, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ ধুতি ও উত্তরীয়

    Nadia: ‘বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর দীর্ঘজীবী হয়ে’, ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানাতে বিশেষ ধুতি ও উত্তরীয়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাঁর লেখায় বাঙালি বাংলা ভাষায় প্রথম পাঠ নেয়, যিনি শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে দিয়েছিলেন বিধবা বিবাহ, সেই পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানিয়ে তাঁর নামাঙ্কিত ধুতি ও উত্তরীয় তৈরি করছে শান্তিপুরের তন্তুবায় সরকারি সংস্থা সিপকো। পেরিয়ে গেল ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪ তম জন্মবার্ষিকী। বিদ্যাসাগর এবং শান্তিপুর ওতঃপ্রোতভাবে জড়িত। তার কারণ, এই শান্তিপুরের (Nadia) মাটিতে দাঁড়িয়েই নানা কর্মকাণ্ড করেছেন তিনি। শাসকের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে প্রথম বিধবা বিবাহ দিয়েছিলেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর।

    লক্ষ্মীমণির বিধবা কন্যা কালীমতি (Nadia)

    তিনি যখন শান্তিপুরে আসেন, সেটা ১৮৫৫ সালের ২২ শে অগাস্ট। এখানে কয়েকটি বিদ্যালয় তিনি প্রতিষ্ঠা করেন। শহর ছাড়িয়ে শান্তিপুর বেলগড়িয়া গ্রামেও মেয়েদের মডেল স্কুল স্থাপন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর। তাঁর চেষ্টাতেই বিধবা বিবাহের প্রচলন হয় গোঁড়া হিন্দু সমাজের সঙ্গে লড়াই করে। কলকাতার সুকিয়া স্ট্রিটে ১৮৫৬ সালের ৭ ই ডিসেম্বর মুর্শিদাবাদে কর্মরত জজপন্ডিত শ্রীশ চন্দ্র বিদ্যারত্নের সঙ্গে কালীমতি নামে যে বিধবা রমণীর পুনরায় বিবাহ হয়, তিনি শান্তিপুরের (Nadia) বাসিন্দা লক্ষ্মীমণির বিধবা কন্যা। এই বিবাহে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মশাই উপস্থিত ছিলেন। তাঁর প্রতি সম্মান জানাতে শান্তিপুরের তন্তুবায় সমাজ ধুতির পাড়ে লিখলেন “বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর চিরজীবী হয়ে”।

    ধুতির পাড়ে উঠে এল সেই ছবি (Nadia)

    আজ থেকে ১৬৭ বছর আগেকার সেই মুহূর্ত যেন মৃতপ্রায় শান্তিপুরের (Nadia) তাঁতশিল্পের পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন দেখাচ্ছে। হাতে বোনা ধুতির পাড়ে আবার উঠে এল সেই ছবি। শান্তিপুর শহরের একজন প্রবীণ তাঁতশিল্পীর হাতে এই মহার্ঘ্য ভাবনার ফসল ফলছে। শান্তিপুর হ্যান্ডলুম ইনোভেশন প্রডিউসার কোম্পানি লিমিটেডের অন্যতম সদস্য তথা ডিজাইন প্ল্যানার সৌরভ শীর জানান, বিধবা বিবাহ প্রবর্তন কালে শান্তিপুরের তন্তুবায় শিল্পীরা বিদ্যাসাগরকে যে উপহার দিয়েছিলেন, সেই ধুতি আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছিলাম। সেই মোতাবেক গত ছয় মাস ধরে এই ধুতি এবং উত্তরীয় তৈরির পরিকল্পনা করা হয় এবং পরবর্তীতে তা খাদির সুতোর ওপর বাস্তবে রূপ পায়, যেখানে লেখা রয়েছে “বেঁচে থাক বিদ্যাসাগর দীর্ঘজীবী হয়ে”। সংস্থা সূত্রে খবর এই ধুতিগুলি সম্পূর্ণ ভেষজ উপায়ে তৈরি করা হচ্ছে, ভেষজ রং ব্যবহার করা হয়েছে, ধোলাই করা হয়েছে রিটা ফল দিয়ে। জানা যায়, এই ধুতি এবং উত্তরীয় পরবর্তীকালে বিশ্ববাংলার মতো ব্র্যান্ডিংয়ের মোড়কে নিয়ে আসা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Sodepur: এ কী কাণ্ড! সোদপুরে একসঙ্গে ঝান্ডা হাতে আন্দোলনে সিপিএম-তৃণমূল, হতবাক এলাকাবাসী

    Sodepur: এ কী কাণ্ড! সোদপুরে একসঙ্গে ঝান্ডা হাতে আন্দোলনে সিপিএম-তৃণমূল, হতবাক এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: হুগলি জেলাজুড়ে ‘ইন্ডিয়া’ জোটের হোর্ডিং ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছিল। হোর্ডিংয়ে একসঙ্গে মমতা-অধীর, অভিষেক-সুজনের ছবি। তৃণমূল এবং সিপিএম নেতৃত্ব এই হোর্ডিংয়ের দায় নিতে অস্বীকার করেছেন। কারণ, রাজ্যে সিপিএমের মূল শত্রু তৃণমূল এবং বিজেপি। সেখানে তৃণমূলের শীর্ষ নেতা-নেত্রীর সঙ্গে দলের রাজ্য নেতাদের ছবি থাকায় সিপিএম নেতৃত্ব অস্বস্তিতে পড়ে হোর্ডিং ছিঁড়ে ফেলার নিদান দিয়েছে কর্মীদের। সেই ঘটনার জের মিটতে না মিটতে এবার বারাকপুরের সোদপুর (Sodepur) স্টেশনে রেল হকারদের উচ্ছেদের প্রতিবাদে রাজ্যের দুই যুযুধান প্রতিপক্ষ তৃণমূল ও সিপিএমের শ্রমিক সংগঠন রেলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে একসঙ্গে মিছিল করল। সোদপুর প্ল্যাটফর্মে তৃণমূল সিপিএমের একসঙ্গে ঝান্ডা নিয়ে এই প্রতিবাদের ঘটনা দেখে হতবাক নিত্যযাত্রী থেকে সকল রেলযাত্রী।

    কেন আন্দোলন? (Sodepur)

    তৃণমূল এবং সিপিএম দুই দলেরই শ্রমিক সংগঠনের কর্মী সমর্থকরা সোদপুরে (Sodepur) একসঙ্গে দলীয় ঝান্ডা এবং ব্যানার হাতে স্টেশন চত্বরে প্রতিবাদ মিছিল করেন। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নিচু তলায় সিপিএম এবং তৃণমূলকর্মীরা যে কাছাকাছি আসতে পারেন এই ঘটনাই চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল। ‘ইন্ডিয়া’ জোটে তৃণমূল থাকায় সিপিএম সমন্বয় কমিটিতে থাকল না, অথচ সোদপুর রেল স্টেশনের হকার ইউনিয়নের সিপিএম কর্মীরা তৃণমূলের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রেলের বিরুদ্ধে স্লোগান দিলেন, মিছিল করলেন। দুপক্ষই একসঙ্গে রেলের বিরুদ্ধে রীতিমতো জেহাদ ঘোষণা করলেন। প্রসঙ্গত, শিয়ালদা মেন লাইনের প্রত্যেকটি রেল স্টেশনে বহুবার হকার উচ্ছেদের নোটিশ দিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। কয়েকটি জায়গায় রেল পুলিশ অভিযানও চালিয়েছে। এছাড়াও পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদ করা যাবে না, এটা জানিয়ে লাগাতার স্টেশন গুলিতে আন্দোলনও চালিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলির শ্রমিক সংগঠন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে, সুষ্ঠু পুনর্বাসন ছাড়া উচ্ছেদ করা যাবে না। একই দাবিতে সোদপুর রেলস্টেশনে প্রতিবাদ মিছিল হয়। কিন্তু, সেই মিছিল রাজ্য রাজনীতির এক বিরল চিত্র দেখা যায়।

    কী বললেন সিপিএম নেতৃত্ব?

    শাসক বিরোধী একসঙ্গেই মিছিল করেছেন বলেই কার্যত স্বীকার করে নেয় উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সিটুর নেত্রী গার্গী চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই শ্রমিক সংগঠন একসঙ্গে প্রতিবাদ করে। যেভাবে রেলস্টেশন থেকে হকারদের উচ্ছেদ করে দেওয়া হচ্ছে তার প্রতিবাদে এবং হকাররা নিজেদের রুটি রুজির দাবিতে এক হয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে। তাই অনেক রকম ঝান্ডা থাকতে পারে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই প্রসঙ্গে বারাকপুর দমদম সাংগঠনিক জেলা আইএনটিটিইউসি সভাপতি সোমনাথ শ্যাম বলেন, সোদপুরে (Sodepur) প্রতিবাদ কর্মসূচি আমাদের পূর্ব ঘোষিত ছিল। সেই অনুযায়ী হকারদের স্বার্থে আইএনটিটিইউসি একাধিক দাবি নিয়ে মিছিল করেছে। অন্য রাজনৈতিক দলের শ্রমিক সংগঠনও একইদিনে একইস্থানে মিছিল করেছে। এখানে একসঙ্গে রাজনৈতিক কর্মসূচি করার কোন ব্যাপার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    Nadia: চ্যালেঞ্জ করতেই হাঁসুয়া নিয়ে আক্রমণ, বিএসএফের গুলিতে ঝাঁঝরা বাংলাদেশি চোরাচালানকারী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিএসএফের গুলিতে মৃত্যু হল বাংলাদেশি এক চোরাচালানকারীর। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার মধ্য রাতে নদিয়ার (Nadia) ভীমপুর থানার অন্তর্গত রাঙিয়াপোতা ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে। মৃতের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বয়স আনুমানিক ৪০ বছর। বিএসএফ রাতেই গুলিবিদ্ধ দেহটি কৃষ্ণনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বাধা পেয়েই গুলি (Nadia)

    সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একদল বাংলাদেশি এদেশে ভীমপুর থানার (Nadia) রানিয়াপোতা বিওপি’র অধীনস্থ এলাকা দিয়ে প্রবেশ করতে যাচ্ছিল। তখন ওই এলাকায় কর্মরত এক বিএসএফ কর্মী বাধা দিতে গেলে তাকে ঘিরে ফেলে এবং ধারালো হাসুয়া দিয়ে তার ওপর আক্রমণ চালাতে যায়। এরপর ওই বিএসএফ কর্মী গুলি চালাতে শুরু করে। পালাবার সময় গুলিতে জখম হয় একজন। পরে আরও বিএসএফ কর্মী ঘটনাস্থলে জমায়েত হয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি করার সময় একটি ঝোপের মধ্যে ওই ব্যক্তিকে পড়ে থাকতে দেখে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে বিএসএফ কর্মীরা এবং সেখানে তল্লাশি করার সময় উদ্ধার হয় এক বস্তা নিষিদ্ধ কাশির সিরাপ। তাকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় জেলা হাসপাতালে। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে জানান। গুলি তার পায়ে লাগে। তার পর মৃতদেহ পুলিশমর্গে রাখা হয় ময়নাতদন্ত জন্য। বিএসএফের পক্ষ থেকে ভীমপুর থানায় সীমান্ত দিয়ে নিষিদ্ধ মাদক পাচারকারী হিসেবে একটি মামলা রুজু করা হয়। ওই ব্যক্তির পরিচয় কী এবং সঙ্গে কারা কারা ছিল, সমস্তটা জানার চেষ্টা করছে ভীমপুর থানা পুলিশ।

    একের পর এক ঘটনা

    উল্লেখ্য, সীমান্তে অনুপ্রবেশের চেষ্টা বারবার রুখে দিয়েছে বিএসএফ। কয়েকদিন আগেও বিএসএফের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক পাচারকারীর। ঘটনাটি ঘটেছিল নদিয়ার কৃষ্ণগঞ্জ থানার নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকার (Nadia)। গভীর রাতে নোনাগঞ্জ বর্ডার এলাকায় এক পাচারকারী সীমান্তে থাকা কাঁটাতার কাটছিল। তখন বিএসএফের তরফ থেকে তাকে আটকানোর চেষ্টা করা হয়। অভিযোগ, ঠিক তখনই ওই পাচারকারী বিএসএফকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। এরপর বিএসএফের তরফ থেকেও তাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়। ওই পাচারকারীর গায়ে গুলি লেগে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তার। যদিও পরবর্তীকালে তাকে উদ্ধার করে কৃষ্ণগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।

    তারও আগে ধানতলা থানার (Nadia) দত্তপুলিয়ায় ফেন্সিং না থাকার সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ইছামতী নদীর ব্রিজের নিচ দিয়ে ভারত থেকে বাংলাদেশে ৬ থেকে ১০ টি গরু পাচার করার চেষ্টা করেছিল পাচারকারীরা। অভিযোগ, বিএসফের জওয়ানরা গরু পাচারকারীদের আটকাতে গেলে পাচারকারীরা বিএসএফকে লক্ষ্য করে পাথর ও বোমা ছোড়ে। পরে বিএসএফ কাউন্টার ফায়ার করলে বেশ কয়েকজন গরু পাচারকারী আহত হয়। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বাংলাদেশ পালিয়ে গেলেও ধরা পড়ে যায় এক গরু পাচারকারী। তাকে পরবর্তীকাল ধানতলা পুলিসের হাতে তুলে দেয় বিএসএফ।

    পিছনে বড় বড় গাং

    বিএসএফের পাচারকারীদের এটা কোনও প্রথম ঘটনা নয়। গরু পাচার থেকে শুরু করে সোনার বিস্কুট সহ একাধিক জিনিস কখনও বাংলাদেশ থেকে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে (Nadia), আবার কখনও ভারতের বর্ডার পার করে বাংলাদেশে পাচার হয়। বড় বড় গ্যাং কাজ করে এইসব পাচার চক্রের পিছনে। এর আগেও বিএসএফের তরফ থেকে পাচার চক্র রোধে একাধিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। পাশাপাশি নিরাপত্তা আরও বাড়িয়ে তোলার চেষ্টা চালানো হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share