Author: user

  • West Bengal Road: উন্নয়ন সত্যিই যেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে! জমা জলে জাল ফেলে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা

    West Bengal Road: উন্নয়ন সত্যিই যেন রাস্তায় দাঁড়িয়ে! জমা জলে জাল ফেলে বিক্ষোভে গ্রামবাসীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বীরভূমের এক সময়ের বেতাজ বাদশা অনুব্রত মণ্ডল বলেছিলেন, উন্নয়ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে। তাঁর কথা যেন অক্ষরে অক্ষরে ফলে যাচ্ছে। দিকে দিকে বেহাল রাস্তা তাঁর সেই কথাকেই যেন কটাক্ষ করছে। সাধারণ মানুষ হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন, উন্নয়ন কাকে বলে। তাঁরা এও বুঝছেন, ভোট আসে ভোট যায়, শুধুই মেলে প্রতিশ্রুতি। গ্রামের যাতায়াতের একমাত্র রাস্তা বেহাল দশা নিয়েই পড়ে থাকে। হেলদোল নেই প্রশাসনের। পরিস্থিতি এমনই যে, ধৈর্যচ্যুত হয়ে চাঁদা তুলে রাস্তা (West Bengal Road) মেরামতির কাজে হাত লাগালেন গ্রামের মানুষ।

    নদিয়ার শান্তিপুর ব্লকের বাবলা পঞ্চায়েতের বিবেকানন্দ নগর দক্ষিণপাড়া এলাকার ঘটনা। এলাকার মানুষের দাবি, এই রাস্তা দিয়ে কয়েকশো পরিবার যাতায়াত করে, একটু বৃষ্টি হলেই জমে থাকে এক হাঁটু জল। জল শুকিয়ে যাওয়ার পরে গোটা রাস্তা কাদায় পরিণত হয়। এছাড়াও রাস্তার বেশ কিছু অংশ বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। বিগত দিনে একাধিকবার তাঁরা পঞ্চায়েত প্রধানকে জানিয়েছিলেন। কিন্তু রাস্তা ঠিক করার কাজে হাত লাগানো হয়নি। ছেলেমেয়েরা স্কুলে যেতে গেলে এক হাঁটু জল ডিঙিয়ে যেতে হয়। জল জমে থাকার কারণে মশার লার্ভা এবং বিষাক্ত পোকামাকড়ের উৎপত্তি হয়।  এলাকার মানুষের সিদ্ধান্ত, দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসনকে জানিয়েও যখন কোনও লাভ হয়নি, তখন নিজেরাই এই রাস্তা ঠিক করবেন। তাই এলাকার মানুষই চাঁদা তুলে রাস্তা মেরামতির কাজে হাত লাগিয়েছেন।

    টাকাই নেই, মেরামতি (West Bengal Road) হবে কী করে?

    যদিও এ প্রসঙ্গে ওই এলাকার পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, রাস্তাটির বেহাল অবস্থার কথা তিনি পঞ্চায়েতে জানিয়েছিলেন। অল্পদিনের মধ্যেই রাস্তাটি পাকাপোক্ত ভাবে করার আশ্বাস দিয়েছে পঞ্চায়েত। যদিও বাবলা পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রধান সুস্মিতা মুন্ডা বলেন, সবেমাত্র তিনি দায়িত্বভার হাতে নিয়েছেন। এখনও পর্যন্ত উন্নয়নের খাতে তাঁর কাছে টাকা এসে পৌঁছায়নি। তাই তিনি কাজ শুরু করতে পারছেন না। তবে খুব তাড়াতাড়ি তাঁর পঞ্চায়েতের যে সমস্ত রাস্তার (West Bengal Road) অবস্থা খুবই বেহাল রয়েছে, সেগুলির দ্রুত কাজ শুরু করবেন। তিনি এও বলেন, আগের পঞ্চায়েত প্রধান উন্নয়নের ক্ষেত্রে কী কাজ করেছে, তা আমার জানার দরকার নেই। আমি এই পঞ্চায়েতের কীভাবে উন্নয়ন করা যায়ে, সেই চেষ্টা করব।

    রাস্তার জন্য জীবনযাপন দুর্বিষহ

    রাস্তার বেহাল অবস্থার চিত্র দিকে দিকে। নদিয়ার হাঁসখালি থানার দক্ষিণপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভগবতীতলা ১৫৭ নম্বর বুথ এলাকার কথাই ধরা যাক। অল্প বৃষ্টিতেই এক হাঁটু জল জমে যায়। রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করতে রীতিমতো হিমশিম খেতে হয় এলাকাবাসীদের। পাশাপাশি এলাকার কেউ অসুস্থ হয়ে গেলে রোগীকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যেতে বেশি ভাড়া দিলেও ভাঙা রাস্তা দিয়ে কোনও টোটো, অটো কিংবা অ্যাম্বুলেন্সের চালক গাড়ি নিয়ে আসতে চায় না। বেহাল রাস্তার কারণে বর্ষাকালে স্কুল-কলেজে বা প্রাইভেট টিউশনিতে সময়মতো পৌঁছতে পারে না ওই এলাকার ছাত্রছাত্রীরা। দীর্ঘদিন ধরে যাতায়াত করার মূল রাস্তার (West Bengal Road) এই ভগ্নদশার কারণে একপ্রকার এলাকাবাসীদের জীবন যাপন করা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। অথচ এই রাস্তাটি কৃষ্ণগঞ্জ ও বাদকুল্লা যাওয়ার রাস্তা।

    মাছ ধরার জাল নিয়ে বিক্ষোভ

    স্থানীয়দের অভিযোগ, রাস্তার বেহাল দশার কথা একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসনিক মহল ছাড়াও জেলা প্রশাসনের কাছে জানানোর পরেও আজ পর্যন্ত কোনও সুরাহা মেলেনি। যার কারণে এদিন বাধ্য হয়েই জল জমে থাকা রাস্তায় মাছ ধরার জাল নিয়ে এলাকাবাসীরা রাস্তায় নেমে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। বিক্ষোভে শামিল হন ওই এলাকার স্কুল-কলেজ পড়ুয়া থেকে শুরু করে বিভিন্ন বয়সী পুরুষ-মহিলা, এমনকি বয়স্ক মানুষরাও। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে রাস্তা মেরামতির ব্যবস্থা প্রশাসন না করলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে হাঁটতে তাঁরা বাধ্য হবেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নিজের বুথে এই রাস্তার (West Bengal Road) বেহাল দশা হলে অন্য জায়গায় কী হতে পারে!

    সেই আশ্বাস!

    এই প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা বর্তমান সদস্যা মুনমুন বিশ্বাস রাস্তাটির বেহাল দশার কথা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, রাস্তাটি মেরামতি করার জন্য পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই টেন্ডার প্রসেসিং হয়ে গিয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডার বেরোলেই মেরামতির কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বর্ষাকালে রাস্তায় জল জমে যাওয়ার সমস্যার সমাধানের জন্য ড্রেন তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে স্থানীয় প্রশাসনের। এছাড়াও পথশ্রী প্রকল্পের মধ্যেও রাস্তাটির (West Bengal Road) নাম নথিভুক্ত করা হয়েছে। এখন দেখা যাক, কবে রাস্তাটি সারানো হয়, কবে সাধারণ গ্রামের মানুষ দুঃখ-যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পায়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শান্তিপুরে স্ক্রাব-টাইফাসে আক্রান্তে কিশোর, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

    Shantipur: শান্তিপুরে স্ক্রাব-টাইফাসে আক্রান্তে কিশোর, জেলাজুড়ে আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নদিয়া জেলায় স্ক্রাব-টাইফাস রোগে আক্রান্ত হল এক কিশোর। জেলায় এই প্রথম এই ধরনের রোগে দেখা মিলল বলে দাবি চিকিৎসকদের। নদিয়ার শান্তিপুরের (Shantipur) কাঁসারিপাড়ার বাসিন্দা ১৪ বছরের  এক কিশোর আক্রান্ত হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এমনিতেই নদিয়া জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বা়ড়ছে। এরমধ্যে স্ক্রাব-টাইফাস রোগে আক্রান্তের হদিশ মেলায় রীতিমতো আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    কীভাবে জানা গেল? (Shantipur)

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কিছুদিন আগে ওই কিশোর জ্বরে আক্রান্ত হয়। সে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ে। জ্বর না ছাড়ায় পরিবারের লোকজন তাকে নিয়ে ডাক্তার দেখাতে গিয়েছিলেন। তাকে চিকিৎসা করেছিলেন শান্তিপুরের শিবাজী প্রসাদ কর নামে এক চিকিৎসক। পরবর্তীতে তিনি প্রাথমিকভাবে ভেবেছিলেন,হয়তো ডেঙ্গি হতে পারে। তৎক্ষণাৎ তার রক্ত পরীক্ষার জন্য তিনি নির্দেশ দেন। কিন্তু, রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখা যায় ডেঙ্গি তার হয়নি। কিন্তু, তার জ্বর ছাড়ছে না। সন্দেহ হওয়ায় তখন অন্য আরএক বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া হয়। আবার রক্ত পরীক্ষা করিয়ে দেখা যায় ওই কিশোর স্ক্রাবটাইফাস রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এরপরেই তাকে শান্তিপুরের (Shantipur) একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এমনিতেই জেলায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ৪ হাজার ৩০০ জন। জেলার মধ্যে রানাঘাটের দুই ব্লকে আক্রান্তের সংখ্যা সব থেকে বেশি। এই ব্লকে মৃত্যু পর্যন্ত হয়েছে। রানাঘাটের পাশে রয়েছে শান্তিপুর। সেখানেও অনেকে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছে। এরমধ্যে স্ক্রাব-টাইফাস রোগে আক্রান্তের হদিশ মেলায় জেলাজুড়ে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।

    কী বললেন চিকিৎসক?

    এব্যাপারে চিকিৎসক শিবাজী প্রসাদ কর বলেন, স্ক্রাবটাইফাস একটি এমন রোগ যা একটি বিশেষ পরজীবী পতঙ্গের কামড়ানো থেকে হয়। তবে, নদিয়া জেলায় এই প্রথম স্ক্রাবটাইফাস রোগী তিনি দেখছেন। সচরাচর এই রোগ নদিয়া জেলায় চোখে পড়ে না। এই রোগ বিশেষত জঙ্গলমহলে এবং উত্তরবঙ্গের দিকে বেশি দেখা যায়। তবে, অতি দ্রুত রোগ নির্ণয় করা গিয়েছে এবং চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে ওই কিশোর। তবে, এই নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনও কারণ নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Kerala News: আমানত ফেরত দিতে ব্যর্থ, কেরলে সরকারি মদতে চলা সংস্থার লাইসেন্স বাতিল আরবিআই-এর

    Kerala News: আমানত ফেরত দিতে ব্যর্থ, কেরলে সরকারি মদতে চলা সংস্থার লাইসেন্স বাতিল আরবিআই-এর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেরালা ট্রান্সপোর্ট ডেভেলপমেন্ট ফাইনান্স কর্পোরেশন বা কেটিডিএফসি-এর লাইসেন্স বাতিল করল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সিপিএম শাসিত কেরালায় (Kerala News) এই সংস্থাটির নিয়ন্ত্রণ সম্পূর্ণভাবে রাজ্য সরকার করত বলে জানা গিয়েছে। লাইসেন্স বাতিলের বিষয়ে ইতিমধ্যে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের গভর্নর কেটিডিএফসির আধিকারিকদের জানিয়ে দিয়েছেন। প্রসঙ্গত কেটিডিএফসির অর্থনৈতিক লেনদেন প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা।

    রামকৃষ্ণ মিশনের ডিপোজিট ১৩০ কোটি

    পশ্চিমবঙ্গের রামকৃষ্ণ মিশন ১৩০ কোটি টাকার ফিক্সড ইনভেসমেন্ট করে কেটিডিএফসি-তে কিন্তু পরবর্তীকালে সেই টাকার রিটার্ন দিতে ব্যর্থ হয় কেরালার (Kerala News) এই অ-ব্যাঙ্কিং সংস্থা। এরপরই রামকৃষ্ণ মিশন কর্তৃপক্ষ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে অভিযোগ জানায়। পরবর্তীকালে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তদন্তে উঠে আসে কেটিডিএফসির দেউলিয়া হওয়ার তথ্য। চলতি মাসের ১৭ তারিখেই দেশব্যাপী অ-ব্যাঙ্কিং অর্থনৈতিক সংস্থাগুলির উপরে রিভিউ করে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। সেখানেই আরবিআই সন্ধান পায় কেটিডিএফসির বেআইনি কাজের।

    আরও পড়ুুন: ছিলেন নাইটক্লাবের বাউন্সার! ট্রুডোর বর্ণিল জীবন হার মানায় রুপোলি পর্দার জগতকেও

    কেরালা সরকার দায় এড়াতে কেন পারেনা?

    কেটিডিএফসির এই কাজের ফলে কেরালার সিপিএম সরকারের অধীনে থাকা সমস্ত কোঅপারেটিভ ব্যাঙ্কগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ এই ব্যাঙ্কগুলি সরকারকে গ্যারান্টার রেখে সাধারণ মানুষের কাছে টাকা নিত এবং তা কেটিডিএফসি-তে জমা করত। যদি সময়সীমা পেরোনোর পরেও আমানত ফেরত দিতে না পারে এই অ-ব্যাঙ্কিং সংস্থা তাহলে তার দায় বর্তায় কেরলের সিপিএম সরকারের ওপরে। আপাতত লাইসেন্স বাতিলের ফলে কেটিডিএফসির কোনও রকমের অর্থনৈতিক লেনদেন করতে পারবে না। অন্যদিকে কেরালা (Kerala News) স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (কেএসআরটিসি) কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে এই দেউলিয়া হয়ে যাওয়া সংস্থা থেকে। কীভাবে দেউলিয়া হল এই সংস্থা? সরকারে ভূমিকা ঠিক কী ছিল? কোন কোন মন্ত্রী এই সংস্থার সঙ্গে জড়িত তা খুব শীঘ্রই তদন্তে উঠে আসবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ২৮/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বৃহস্পতিবার, ২৮/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) পরিবারের সদস্যের সঙ্গে কোনও প্রিয় ব্যক্তির বাড়িতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে যাবেন।

    ২) সমাজের জন্য ভালো কিছু করবেন, যার ফলে আপনার জনপ্রিয়তা বাড়বে। 

    বৃষ

    ১) মা-বাবাকে মন্দিরে নিয়ে যাবেন, যার ফলে মনে আনন্দ জাগবে।

    ২) পারিবারিক সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের রায় আজ আসতে পারে, এই সিদ্ধান্ত আপনার পক্ষে থাকবে।  

    মিথুন

    ১)  শত্রুর সমালোচনায় কান দেবেন না। কারণ তাঁরা আপনার কিছু ক্ষতি করতে পারবে না।

    ২) ব্যবসায়ীদের মনে নতুন পরিকল্পনা আসবে।

    কর্কট

    ১) পরিবারে শুভ অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এর জন্য পরিবারের বয়স্কদের সান্নিধ্যের প্রয়োজন হবে।

    ২) বন্ধুদের সাহায্যে অসম্পূর্ণ কাজ পূর্ণ করতে পারেন।  

    সিংহ 

    ১) ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতায় রুচি বাড়বে। ছোট ব্যবসায়ীরা পছন্দমতো মুনাফা অর্জন করতে পারবেন।

    ২) আপনার আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে। 

    কন্যা

    ১) চাকরিজীবীরা কোনও বিবাদে জড়াবেন না। তা না-হলে আধিকারিকদের রাগের শিকার হবেন।

    ২) শুভ ও মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    তুলা 

    ১)  প্রতিবেশীরা আপনার জন্য সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। তবে এতে ভুলেও জড়াবেন না।

    ২) শত্রুরা আপনার কোনও ক্ষতি করতে পারবে না।

    বৃশ্চিক

    ১)  ব্যবসায়ীরা একের পর এক লাভজনক সওদা পাবেন।

    ২) শ্বশুরবাড়ির তরফে সম্মানিত হবেন। 

    ধনু

    ১) পরিবারের সদস্যের জন্য টাকার ব্যবস্থা করতে হতে পারে।

    ২) প্রাইভেট চাকরি করেন যাঁরা, তাঁরা কোনও চাকরির খোঁজে থাকলে সাফল্য লাভ করতে পারেন।

    মকর

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ পরিবারে অতিথি আগমন হতে পারে। এতে অর্থ ব্যয় হবে।
     
    ২) জীবনসঙ্গীর সঙ্গে তর্কে জড়াতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) আবহাওয়ার প্রতিকূল প্রভাবের কারণে জ্বর, পেটে ব্যথা হতে পারে।

    ২) ব্যবসায়ে অংশীদারের সঙ্গে কোনও বিবাদ থাকলে তা সমাপ্ত হবে। 

    মীন

    ১) ব্যবসায়ে ভেবেচিন্তে কোনও চুক্তি চূড়ান্ত করুন।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের সঙ্গে তর্কে জড়াতে পারেন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • CBI: সিবিআই আধিকারিক সেজে দেড় কোটি টাকার প্রতারণা করল দম্পতি, তাজ্জব পুলিশ কর্তারা

    CBI: সিবিআই আধিকারিক সেজে দেড় কোটি টাকার প্রতারণা করল দম্পতি, তাজ্জব পুলিশ কর্তারা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাম সৌমেন মুখোপাধ্যায়। তাঁর স্ত্রীর নাম জয়শ্রী কর। তাদের বাড়ি বারাসত থানা এলাকায়। তাদের প্রতারণা কৌশল দেখে হতবাক বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের কর্তারা। কার্যত তারা পুলিশের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে ঠিক কী অভিযোগ? এই দম্পতির বিরুদ্ধে সিবিআই (CBI) আধিকারিক সেজে এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারিত ব্যবসায়ী প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে থানার দ্বারস্থ হন। অবশেষে অভিযুক্ত দম্পতিকে গ্রেফতার করা হয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (CBI)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দম্পতি মূলত ব্যবসায়ীদের টার্গেট করত। যে সব ব্যবসায়ী কিছুটা হলেও বেআইনি কারাবারের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে তাদেরকে তারা টার্গেট করত। এই তথ্য দেওয়ার জন্য তাদের এই চক্রে আর কেউ রয়েছে কি না তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে। জানা গিয়েছে, কয়েকদিন আগে সোদপুরের তারক রায় নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে অভিযুক্ত দম্পতি যায়। সেখানে গিয়ে সিবিআই (CBI) অফিসার পরিচয় দিয়ে তাঁর ব্যবসা সংক্রান্ত বিভিন্ন কাগজপত্র দেখতে চায়। স্বাভাবিকভাবে সিবিআই হানা দিয়েছে ভেবে তারকবাবু কিছুটা হলেও ঘাবড়ে যান। দম্পতির চালচলন দেখে ব্যবসায়ী ধরতেও পারেননি। ভুয়ো সিবিআই আধিকারিকদের কথা মেনে ব্যবসার কাগজপত্র তুলে দেন তারকবাবু। বেশ কিছুক্ষণ ধরে কাগজপত্র খতিয়ে দেখে ত্রুটি রয়েছে বলে আইনকানুনের ভয় দেখিয়ে তাঁর কাছে দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনার কয়েকদিন পরেই তারকবাবু বুঝতে পারেন তিনি প্রতারকদের খপ্পরে পড়েছেন। সেই সময় তিনি বারাসত দত্তপুকুর থানার দ্বারস্থ হন। দীর্ঘদিন ধরে এই চক্রের খোঁজ চালাচ্ছিল পুলিশ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে পুলিশ চরকডাঙ্গা এলাকায় অভিযান চালায়। সেখানে অভিযুক্ত সৌমেন মুখোপাধ্যায় ও তার স্ত্রী জয়শ্রী কর নামে দু’ই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে চক্রের বাকি সদস্যদের নাগাল পেতে চাইছে সাইবার ক্রাইম আধিকারিক।

    কী বললেন পুলিশ কমিশনারেটের এক কর্তা?

    বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, এক ব্যবসায়ীর কাছে থেকে অভিযোগ পেয়ে তদন্ত শুরু করা হয়। পরে, তাদের গ্রেফতার করা হয়। আর কোন কোন ব্যবসায়ীকে তারা এভাবে প্রতারিত করেছিল তা জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: ঘরে ফিরলেন রিচা, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হবে সোনার মেয়ের জন্মদিন পালন

    Asian Games 2023: ঘরে ফিরলেন রিচা, কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে হবে সোনার মেয়ের জন্মদিন পালন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ঘরে ফিরলেন সোনার মেয়ে রিচা। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনাজয়ী ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য রিচা ঘোষ। বুধবার শিলিগুড়িতে বাড়িতে ফিরে সংবর্ধনায় ভাসলেন তিনি। বাড়িতে ঢুকতেই মায়ের চুম্বনে আনন্দাশ্রু গড়িয়ে পড়ল রিচার গাল বেয়ে। এদিন বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তাঁর বাড়ি পর্যন্ত মানুষের ঢল নামে। কারও হাতে ফুল, কারও হাতে মিষ্টি। কেউ বা হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান রিচাকে। আর গর্বিত গর্ভধারিণী স্বপ্নাদেবী মেয়েকে প্রদীপ ও ফুল দিয়ে বরণ করে, মিষ্টি খাইয়ে ঘরে তুললেন। পুজোর আগে শিলিগুড়ি মেতে উঠেছে রিচাকে নিয়ে।

    বাড়ি ফিরে কী বললেন রিচা? (Asian Games 2023)

    রিচার বাবাও ভালো ক্রিকেটার ছিলেন। ছোট থেকে বাবার হাত ধরে তিনি মাঠে যেতেন। বাবার ব্যাটবল নিয়ে তাঁর খেলার হাতেখড়়ি। বাবার স্বপ্নপূরণ করছেন মেয়ে। বাড়িতে ঢুকেই রিচা এদিন বলেন, অনেকদিন পর বাড়িতে বাবা-মা’র সঙ্গে কাটাবো, ভাবতে ভালো লাগছে। এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনা জয় একটা বিশেষ স্মরণীয় মুহূর্ত। শেষ পর্যন্ত আমরা পরিকল্পনা মতো খেলে দেশকে সোনা এনে দিতে পেরেছি। ভালো লাগছে। এর আগে মহিলাদের অনূর্ধ্ব ১৯-র বিশ্বকাপ ক্রিকেটে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করেছি। তবে এই দুটো সাফল্যের মধ্য তুলনায় যেতে রাজি নই। প্রতিটি মুহূর্তই স্মরণীয় হয়ে থাকবে। বিশ্বকাপ ও মেয়েদের আইপিএলে ভালো খেলেও মাঝখানে বাংলাদেশ সফরে ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়তে হয়েছিল রিচাকে। এদিন সে প্রসঙ্গে রিচা বলেন, বাদ পড়াটা খেলারই অঙ্গ। তবে কোনও কোনও ক্ষেত্রে দল থেকে বাদ পড়াটা আগামী দিনে আরও ভালো খেলতে সাহায্য করে। ভুলত্রুটি শুধরে নিজেকে উন্নত করতে পেরেছি। দেশের হয়ে দীর্ঘদিন খেলা আমার লক্ষ্য।

    কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কেক কেটে হবে রিচার জন্মদিন পালন

    বৃহস্পতিবার রিচার জন্মদিন। কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে কেক কেটে রিচার জন্মদিন পালন করা হবে। সেই মতো সমস্ত উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। শিলিগুড়ির সব স্তরের মানুষ সেখানে হাজির থাকবেন। স্বাভাবিকভাবে চরম আনন্দিত রিচা। এভাবে সকলের সঙ্গে জন্মদিন তিনি পালন করেননি। তবে, এই আনন্দের মাঝেও নিজের  শহরে এখনও ক্রিকেটের জন্য আলাদা স্টেডিয়াম বা মাঠ না থাকাটা রিচাকে কুরে কুরে কুরে করে খাচ্ছে। এদিনও তিনি বলেন, স্টেডিয়াম বা মাঠ ক্রিকেটের জন্য থাকাটা জরুরি। এই শহর থেকে আমার আগে ঋদ্ধিমান সাহা ভারতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। তারপর আমি ভারতীয় দলে খেলছি। এখানে প্রতিভার অভাব নেই। আগামীদিনে সুযোগসুবিধা পেলে এখান থেকেও আরও অনেক ছেলেমেয়ে জাতীয় দলে খেলবে। তার জন্য চাই পরিকাঠামো।

    কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    রিচার বাবা মানবেন্দ্র ঘোষ বলেন, বিশ্বকাপ জয়ের পর খুশি হয়েছিলাম। তবে, এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) সোনা আমাদের বিশেষভাবে গর্বিত করেছে। মা স্বপ্না ঘোষ বলেন, আমার মেয়ে দেশকে গৌরবান্বিত করেছে, এর অনুভূতি আলাদা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বারাকপুরে এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ক্লোজ করা হল পুলিশ কর্মীকে

    Barrackpore: বারাকপুরে এক এএসআইয়ের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ, ক্লোজ করা হল পুলিশ কর্মীকে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মানুষের ভরসা পুলিশ। আর সেই পুলিশের সাহায্য চাইতে এসে উল্টে পুলিশের লালসার শিকার হলেন এক মহিলা। জানা গিয়েছে, সমস্যা সমাধানের আশায় পুলিশ প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এক মহিলা। অভিযোগ খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে প্রথমে সম্পর্ক গড়ে তোলেন বারাকপুরের (Barrackpore) বাসুদেবপুর থানার এক এএসআই সঞ্জীব সেন। পরে, ওই মহিলার সঙ্গে পুলিশ কর্মীর অনেকটাই ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ। এমনকী মহিলাকে শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা হয়। পরে, নির্যাতিতা থানার ওই পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে।

    ঠিক কী অভিযোগ?

    ২০২২ সালে অক্টোবর মাসে বারাকপুরের (Barrackpore) বাসুদেবপুর থানা এলাকার এক ব্যক্তি নির্যাতিতার কাছে কিছু টাকা ধার করেছিলেন। সময় মত টাকা ফেরত না পেয়ে নির্যাতিতা পুলিশের দ্বারস্থ হন। সেই সময় পরিচয় হয় বাসুদেবপুর থানায় কর্মরত এএসআই সঞ্জীব সেনের সঙ্গে। পুলিশকর্মী সঞ্জীব সেন তাঁর কাছে কিছু টাকা দাবি করে বলে অভিযোগ। সেই পুলিশকর্মীকে বিভিন্ন সময় অনলাইন মারফত টাকা দেন ওই নির্যাতিতা। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তের প্রয়োজনে দুজনের মধ্যে দেখা হয়। আর সেই সুযোগে তাদের দুজনের সম্পর্ক গড়ায় বন্ধুত্বে। একে অপরের উপর বিশ্বাস করে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। সেই ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি ক্যামেরাবন্দি করে রাখে ওই পুলিশ কর্মী। আর সেই ছবি দেখিয়ে ব্ল্যাকমেল করে বলে অভিযোগ। এমনকী শারীরিকভাবে তাঁকে নির্যাতন করা হয় বলে অভিযোগ। নির্যাতনের কথা বিভিন্ন সময় থানাতে জানালেও মেলেনি সুরাহা। অবশেষে চলতি বছরের ২২ সেপ্টেম্বর বাসুদেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতা মহিলা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বাসুদেবপুর থানার পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করে। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় নির্যাতিতাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীর ভাই। এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছেন নির্যাতিততা মহিলা।

    কী বললেন বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেট-এর এক কর্তা?

    বারাকপুর (Barrackpore) পুলিশ কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, নির্যাতিতার অভিযোগ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত পুলিশ কর্মীকে ক্লোজ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: অধ্যক্ষকে দফতরে না পেয়ে মদনের হুমকি, সাগর দত্ত হাসপাতালে ফের পড়ল পোস্টার

    Madan Mitra: অধ্যক্ষকে দফতরে না পেয়ে মদনের হুমকি, সাগর দত্ত হাসপাতালে ফের পড়ল পোস্টার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালালচক্রের মূল পান্ডা জাবেদ আলির বুধবারও টিকি ছুঁতে পারেনি পুলিশ। তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্রের (Madan Mitra)  হুঙ্কারই যে সার তা এই ঘটনাতেই প্রমাণিত। এরইমধ্যে মদন মিত্র সোজা হাসপাতালে হাজির হন। অধ্যক্ষ পার্থপ্রতিম প্রধান নিজের দফতরে না দেখতে পেয়ে সেখানে বসেই ফোনে অধ্যক্ষকে রীতিমতো ধমক দেন তিনি।

    অধ্যক্ষকে কী বললেন মদন? (Madan Mitra)  

    অধ্যক্ষের উদ্দেশে মদন বলেন,আপনি বেরিয়ে গিয়েছেন কেন? মাসের শেষে তো তিন লক্ষ টাকা মাইনে পান। এখানে দালালরাজ চলছে। আপনি কেন সুয়োমোটো থানায় ডায়েরি করেননি? এখানেই থামেননি মদন। তাঁর কথায়, সব দালালরাজ আরজি কর, এনআরএসে হয়। ওখানে সব চুড়ি পরে বসে থাকে। এটা কামারহাটি। ঘেঁটি ধরে নাড়িয়ে দেব। সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন তো? রীতিমতো হুমকির সুরে একথা বলেন মদন। পাশাপাশি কামারহাটি পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল সাহা থেকে শুরু করে ভাইস চেয়ারম্যান, ৩০ জন কাউন্সিলরও মদনের সঙ্গে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেই সংখ্যার কথাও অধ্যক্ষকে জানিয়ে দেন তৃণমূল বিধায়ক। অন্যদিকে, অধ্যক্ষ বলেন, কোনও হুমকি দেননি তো। আসলে উনি যে আসবেন, তা আমার জানা ছিল না। জানলে হয়তো থেকে যেতাম। আসলে মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলাম। তাই, সবটা আমার শোনা হয়নি। তাছাড়া তাঁর সঙ্গে অনেকদিনের সম্পর্ক। তাই, পরে, কথা বলে মিটিয়ে নেব।

    হাসপাতালে দালালরাজের বিরুদ্ধে পড়ল পোস্টার

    হাসপাতালে দালালরাজের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়ল। এর আগে জাবেদ আলিদের ছবি দিয়ে পোস্টার পড়েছিল। এবার রোগীদের সচেতন করতে ফের পোস্টার পড়ল। পোস্টারে স্পষ্ট লেখা রয়েছে, ‘সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজের আগত রোগীর ও রোগীর আত্মীয় পরিজনদের জানানো যাচ্ছে যে, হাসপাতালের যেকোনও পরিষেবা পাওয়ার জন্য, কোনও ব্যাক্তিকে কোনও টাকা দেবেন না। প্রয়োজনে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের কথা বলা হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগে এক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তিকে কেন্দ্র করে হাসপাতালে দালালরাজের বিষয়টি সামনে এসেছিল। মদন মিত্র বলেছিলেন, হাসপাতালে দালালদের প্রতিদিনের আয় ৫০ হাজার থেকে এক লক্ষ টাকা। কলকাতা পুলিশ এসএসকেএম, এনআরএসে ধরেছে, কামারহাটিতে দালালরাজের বিরুদ্ধে যারা মিছিল করেছিল, তাদের বাড়ি ভেঙে দিয়েছে। বউ-বাচ্চাকে গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে। মদনের এই বক্তব্যের পরও পুলিশ দালালচক্রের মাথাকে ধরতে পারল না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: মা দুর্গা পরিচিত “পাতি মা” নামে, ধুমধাম করে চারদিন ধরে পুজো হয় শুধু মস্তক!

    Durga Puja 2023: মা দুর্গা পরিচিত “পাতি মা” নামে, ধুমধাম করে চারদিন ধরে পুজো হয় শুধু মস্তক!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এলাকার বাসিন্দারা তাঁকে “পাতি মা” বলেই ডাকেন। ধুমধাম করেই পুজো (Durga Puja 2023) হয়। কাঁকসা থানার গোপালপুরের পশ্চিম পাড়ায় মণ্ডল, দে আর দত্ত পরিবারের “পাতি মা”। পাতি মা সপরিবারে আসেন না। শুধু তাই নয়, তিনি শরীর নিয়েও আসেন না। তাঁর মস্তক পুজো হয় চারদিন ধরে। ২০০ বছরের বেশি সময় ধরেই চলে আসছে এই পাতি মা-এর পুজো।

    শুধু মস্তক পুজো নিয়ে ভিন্ন মত

    কিন্তু কেন এই মস্তক পুজো আর কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, তার কোনও তথ্য নেই। বর্তমান প্রজন্মের দুটি মত রয়েছে। একটি মতে, দেবী দুর্গা স্বপ্নাদেশ দিয়েছিলেন, প্রতিমা গড়া সম্পূর্ণ না হওয়া পর্যন্ত মন্দিরের দরজা খোলা যাবে না। কিন্তু ধৈর্য্য না রাখতে পেরে মন্দিরের দরজা খোলা হয় আর দেখা যায়, দেবীর মস্তক রয়েছে আর কিছুই নেই। তবে অন্য অংশের মতে, মাটির তৈরি মন্দির ছিল। মন্দিরে দেবীর প্রতিমা তৈরি সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। পুজো (Durga Puja 2023) দিন কয়েক বাকি। সেই সময় প্রবল বর্ষণে মন্দির ভেঙে যায় এবং দেবীর মস্তকটি শুধু রক্ষা পায়। কীভাবে পুজো হবে, এই চিন্তার পাশাপাশি পুজো না করলে অমঙ্গল হবে, এই আশঙ্কায় গোটা পরিবার চিন্তায় পড়ে যায়। তখনই পরিবারের কর্তাকে দেবী স্বপ্নাদেশ দেন মস্তক পুজো করতে এবং তিনি এভাবেই পুজো নেবেন। সেই থেকেই ২০০ বছরের বেশি সময় ধরে  চলে আসছে মণ্ডল, দত্ত এবং দে পরিবারের পাতি মা’র পুজো।

    কী বললেন উদ্যোক্তারা?

    এই পুজোরই এক উদ্যোক্তা উৎপল দত্ত বলেন, রানীসায়ের থেকে নবপত্রিকা নিয়ে আসা হয় এবং চারদিন ধরেই পুজো (Durga Puja 2023) চলে ধুমধাম করে। তবে পাতি মায়ের নিরঞ্জন রাতে হয় না, দশমীর দিন নবপত্রিকা নিরঞ্জনের সময় দেবীর মস্তক নিরঞ্জন হয়। তবে একই ভাবে মস্তক পুজো হয় দেবশালা পঞ্চায়েতের দেবশালার বক্সি পরিবারের এবং একই পঞ্চায়েতের পুরশায় শুধুমাত্র মস্তক পুজো হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    Dengue: হাসপাতালের শয্যাসঙ্কটে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে বাড়িতেই? কীভাবে কমবে বিপদ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    বর্ষার মরশুমে রাজ্য জুড়ে ডেঙ্গির দাপট! কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, নদিয়া, উত্তর চব্বিশ পরগনা সহ একাধিক জেলায় ক্রমশ বাড়ছে ডেঙ্গির আক্রমণ। আর তার জেরেই রাজ্যের সরকারি হাসপাতালে শয্যাসঙ্কট চরমে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই অভিযোগ উঠছে, ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের ভর্তির জায়গা নেই। এক হাসপাতাল থেকে আরেক হাসপাতাল ঘুরে বেড়াতে হচ্ছে। অনেক সময় মশারি টাঙিয়ে হাসপাতালের মেঝেতেই পড়ে থাকছেন ডেঙ্গি-আক্রান্ত। অনেক সময় আক্রান্তকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করাতে হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি আক্রান্ত বাড়িতে থাকলে কয়েকটি বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। না হলে পরিস্থিতি আশঙ্কাজনক হতে পারে!

    রাজ্যের ডেঙ্গি আক্রান্ত কত? 

    স্বাস্থ্য দফতরের রিপোর্ট অনুযায়ী, সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত এ বছরের ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ৩ জন মারা গিয়েছেন। যদিও বেসরকারি হিসাবে পরিসংখ্যান অনেকটাই আলাদা। বেসরকারি হিসাবে এ বছর ডেঙ্গি আক্রান্ত ৫৫ হাজার ছাড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত হয়ে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী মাসে আরও কয়েক হাজার মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হবেন। তাই হাসপাতালে শয্যার চাহিদা বাড়বে। কিন্তু আক্রান্তের অনুপাতে পরিষেবা দেওয়া কতখানি সম্ভব, সে নিয়েও সংশয় থাকছেই। তাই বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করানোর ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা জরুরি।

    বাড়িতে চিকিৎসায় (Dengue) কোন দিকে নজরদারি জরুরি? 

    চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, হাসপাতালে ভর্তি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে। তাই আগে থেকে সতর্ক থাকা জরুরি। তাই চিকিৎসকদের পরামর্শ, দ্রুত রোগ নির্ণয় করতে হবে। অনেকে জ্বর হলেও রক্ত পরীক্ষা করাতে দেরি করছেন। ফলে, রোগ নির্ণয় হচ্ছে না। চিকিৎসা শুরু হতেই অনেকটা সময় চলে যাচ্ছে। পরিস্থিতি আগে থেকেই জটিল হয়ে থাকছে। সেক্ষেত্রে হয়রানি বাড়ছে। বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করা আরও কঠিন হয়ে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে জ্বর হলেই রক্ত পরীক্ষা জরুরি। আবার অনেকের ডেঙ্গির (Dengue) সব উপসর্গ প্রকট হচ্ছে না। অর্থাৎ, উপসর্গহীন রোগীর সংখ্যাও অনেক। তাই সামান্য সর্দি-কাশির মতো সমস্যা কয়েক দিন ভোগান্তির কারণ হলেও রক্ত পরীক্ষার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।

    জল খাওয়ায় নজর

    ডেঙ্গি রিপোর্ট পজিটিভ হলে সবচেয়ে বেশি নজরদারি দিতে হবে জল খাওয়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, বডি ফ্লুইড অর্থাৎ শরীরে তরল পদার্থ যাতে কোনও ভাবেই না কমে, সেদিকে নজরদারি জরুরি। কারণ শরীরে তরল উপাদান কমলে মস্তিষ্ক, লিভার, কিডনি সহ একাধিক অঙ্গ বিকল হয়ে যেতে পারে। তাই জল খাওয়ার দিকে বিশেষ নজরদারি জরুরি। চিকিৎসকদের পরামর্শ, ডেঙ্গি আক্রান্ত নিয়মিত যে পরিমাণ জল খান, তার থেকে অন্তত ১ লিটার বেশি জল খাবেন। অর্থাৎ, কেউ যদি নিয়মিত ৩ লিটার জল খান, ডেঙ্গি আক্রান্ত হলে অন্তত ৪ লিটার খেতেই হবে। এর পাশপাশি ফলের রস, দুধ, স্ট্রু জাতীয় খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, এই সব খাবারে একদিকে শরীরের পুষ্টি হবে, আরেকদিকে শরীরে জলের চাহিদা পূরণ করবে।

    অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট

    ডেঙ্গি আক্রান্তকে অবশ্যই মশারি টাঙিয়ে রাখতে হবে। যাতে তার থেকে অন্যদের রোগ না ছড়ায়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ডেঙ্গি সংক্রমণ খুব দ্রুত হয়। তাই আক্রান্তকে আলাদা ঘরে রাখার বিষয়ে বিশেষ নজরদারি জরুরি। ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্তের নিয়ম করে অক্সিজেনের মাত্রা ও প্লেটলেট মাপা জরুরি। বাড়িতে থাকলেও নিয়মিত এই দুটি বিষয় মাপার বিষয়ে নজরদারি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ, তাহলে বড় বিপদ এড়ানো যাবে। হঠাৎ অক্সিজেনের মাত্রা কমে গেলে শ্বাসকষ্ট হবে, আবার প্লেটলেট কমলে নানান জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই এই দুই ঠিক রয়েছে কিনা, তা নজরদারি করা প্রয়োজন। 
    ডেঙ্গি আক্রান্তের শরীরের কোনও অংশ লাল হচ্ছে কিনা, রক্তপাত হচ্ছে কিনা, তা দেখা দরকার। কারণ, এগুলো পরিস্থিতি বিপজ্জনক হওয়ার লক্ষণ। তাই বাড়িতে ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত থাকলে এসব বিষয়ে নজরদারি জরুরি বলেই জানাচ্ছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ

LinkedIn
Share