Author: user

  • Handloom Sarees: পুজোর মুখেও ওঁরা বিষণ্ণ, করুণ অবস্থা বেগমপুরের তাঁত শিল্পীদের

    Handloom Sarees: পুজোর মুখেও ওঁরা বিষণ্ণ, করুণ অবস্থা বেগমপুরের তাঁত শিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সামনেই শারদোৎসব। কাশফুলের সমাহার ইতিউতি জানান দিচ্ছে, আর বেশি দিন নেই। কয়েক সপ্তাহ পরেই বাংলার মানুষ মেতে উঠবে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবে। খুশিতে ভরে উঠবে কচিকাঁচা থেকে আবালবৃদ্ধবনিতা। নতুন নতুন জামাকাপড় পরে প্রতিমা দর্শনের অনাবিল আনন্দ। এটা গেল একটা দিক। এবার একটু অন্য দিকে খোঁজ নেওয়া যাক। নতুন নতুন পোশাক যাঁরা তৈরি করছেন, তাঁদের সবাই ভালো আছেন তো? বাংলার নারীর কাছে শাড়িই (Handloom Sarees) হচ্ছে একমাত্র পোশাক, যার প্রতি তাঁরা আজীবন দুর্বল। আর এই শাড়ির মধ্যে তাঁত একটি উজ্জ্বল নাম। কিন্তু দুঃখের বিষয়, হাজার বছরের পুরনো তাঁত শিল্প প্রায় উঠতে বসেছে। এই রাজ্যে নদিয়া ও  হুগলি জেলার তাঁত প্রায় জগৎবিখ্যাত ছিল এক সময়। বিশেষত হুগলির ধনিয়াখালি, আঁটপুর ও বেগমপুরের তাঁতের আলাদা কদর ছিল শাড়িপ্রেমীদের কাছে। কিন্তু এই আধুনিকতার যুগে আস্তে আস্তে বিলীন হয়ে যাচ্ছে ঐতিহ্যশালী তাঁত শিল্প। কেমন আছেন সেই সব তাঁত শিল্পীরা? যাদের এক সময় ইংরেজরাও দমাতে পারেনি ম্যাঞ্চেস্টারকে তুলতে গিয়ে।

    করুণ অবস্থা শিল্পীদের

    হুগলি জেলার প্রাচীন জনপদ বেগমপুর। শ্রীরামপুর মহকুমার চণ্ডীতলা থানার অধীনে এই প্রাচীন জায়গা তাঁত শিল্পের জন্য এক সময় সুবিখ্যাত ছিল। বিশেষ করে হালকা এবং উজ্জ্বল বলে এই বেগমপুরি তাঁতের (Handloom Sarees) বরাবরই একটা কদর রয়েছে। কিন্তু আগামী দিনে আদৌ এই বেগমপুরি শাড়ি থাকবে কিনা, তা নিয়ে একটা প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিয়েছে। বেগমপুরের তাঁতিপাড়ায় বেশ কয়েকটি বাড়িতে যেতেই উঠে এল শিল্পীদের করুণ অবস্থা। সামনেই দুর্গাপুজো। কিন্তু তাঁদের মুখে হাসি নেই। অধিকাংশ শিল্পী প্রবীণ। তাঁদের উত্তরসূরি কেউ আর তাঁত বোনে না। কারণ তাতে করে পেট ভরে না। তাই তাঁরা পার্শ্ববর্তী ডানকুনি শিল্পাঞ্চলে কলকারখানায় কাজ জোটাতে ব্যস্ত।

    বাস্তব অভিজ্ঞতা বড়ই করুণ

    আর করবেই বা কেন? বাস্তব অভিজ্ঞতা যে বড়ই করুণ। মহাজন কাঁচামাল দিয়ে যায়, বৃদ্ধ তাঁতি তাঁর সহধর্মিণীকে পাশে রেখে তাঁত বুনে যান। একটি ১২ হাত শাড়ি (Handloom Sarees) তৈরি করতে লাগে ২ দিন। মজুরি ১৫০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে ঘোরাফেরা করে। শেয়ার বাজারের মতো রেট ওঠানামা করে। দিনের অধিকাংশ সময় ব্যয় করে দৈনিক রোজগার ৮০ কি ৯০। এতে কি সংসার চলে? কিন্তু কে দেখবে? কে করবে এর সমাধান? শিল্পীদের একটাই দাবি, মজুরি বৃদ্ধি। কিন্তু সে তো অরণ্যে রোদন। এক সময় যে এলাকায় ৩৫ হাজার তাঁত চলত, রাস্তার দু’দিকের বাড়ি থেকে ভেসে আসা সুমধুর খটাখট আওয়াজে চারদিক গমগম করত, এখন মেরেকেটে ৫০০ তাঁত চলে কিনা সন্দেহ। তবুও ঘষে যাওয়া চশমা মুছে, তাঁরা বুনে চলেছেন, খটাখট খটাখট..।

    কী বললেন প্রবীণ শিল্পী?

    এখানকারই এক প্রবীণ শিল্পী বলছিলেন, শাড়ির বাজার খুবই খারাপ। সুতোর দাম বেড়ে গিয়ে কাপড়ের দাম বেড়েছে। কিন্তু লক ডাউনের আগে মজুরি যা পেয়েছি, এখন তা আরও কমে গেছে।  যে কাপড়টা ২৩০ টাকা মজুরি পেয়েছি, সেটা আজকে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা মজুরি। একটা কাপড় বুনতে ২ দিন করে সময় লাগে। সপ্তাহে ৪ টের বেশি বোনাই যায় না। আমাদের বয়স হয়ে গেছে। যারা একটু বেশি বোনে, তারাও ৫ টার বেশি পারে না। তাঁর আক্ষেপ, এখন আর নতুন করে কেউ তাঁত বোনে না। সব কারখানায় কাজ করতে চলে যাচ্ছে। তাঁত চালাতে পারছে না বলেই দলে দলে ডানকুনি বা দুর্গাপুর রোডে কাজে চলে যাচ্ছে। তাঁত শিল্প কি উঠে যাবে? ওই প্রবীণের সাফ জবাব, উঠে যাবে মানে? উঠে তো গেছে। 

    অকাল বিশ্বকর্মা

    এখানে তাঁতিদের (Handloom Sarees) এতই কর্মব্যস্ততা ছিল যে কারিগরি দেবতা বিশ্বকর্মা পুজোও তাঁরা পিছিয়ে শীতকালে করতেন। কারণ দুর্গাপুজোর ঠিক এক মাস আগে বিশ্বকর্মা পুজো তাঁরা ঠিকমতো করতে পারতেন না। তাই দুর্গাপুজোর পর বিশ্বকর্মা পুজোর আয়োজন করতেন। সেই থেকে এই বেগমপুর এলাকায় অকাল বিশ্বকর্মা পুজো হয়ে থাকে, যা এই বাংলায় কোথাও হয় না। সেই হুগলির ম্যাঞ্চেস্টারের সুদিন কি আবার কোনও দিন ফিরে আসবে কোনও সোনার কাঠির ছোঁয়ায়? সময় এর উত্তর দেবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Fraud: সাইবার প্রতারণার শিকার এবার খোদ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, কীভাবে?

    Fraud: সাইবার প্রতারণার শিকার এবার খোদ ব্যাঙ্কের ম্যানেজার, কীভাবে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সাইবার অপরাধীদের খপ্পড়ে সাধারণ মানুষের প্রতারিত (Fraud) হওয়ার ঘটনা প্রতিদিনই ঘটে চলেছে। এবার সাইবার অপরাধীদের কবলে খোদ ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার। সিম ক্লোন করে প্রায় ২ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ তুললেন ওই ম্যানেজার। তমলুক থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন তিনি। মহারাষ্ট্রের নাগপুরের বাসিন্দা ওই ম্যানেজারের নাম শচীনলক্ষ্মণ রাউত। তমলুকের পাদুমবসান এলাকার একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের তমলুক শাখায় রিলেশনশিপ ম্যানেজার পদে কর্মরত তিনি। প্রায় ৬ বছর ধরে তমলুকেই থাকেন।

    ঠিক কীভাবে প্রতারিত হওয়ার ঘটনা ঘটল? (Fraud)

    জানা গিয়েছে, গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিকেল পৌনে সতর্ক ৪টে নাগাদ ব্যাঙ্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তমলুক শাখার রিলেশনশিপ ম্যানেজার। হঠাৎ মোবাইলে তাঁর ফোন আসে। অপরপ্রান্ত থেকে শচীনলক্ষ্মণকে বলা হয়, খুব তাড়াতাড়ি তাঁর ক্রেডিট কার্ডের লিমিট শেষ হতে চলেছে। এমনকী, ক্রেডিট কার্ডে বার্ষিক চার্জও বলবৎ করা হচ্ছে বলে চমকে দেওয়ার চেষ্টা করে ফোনের ওপারে থাকা ব্যক্তি। যদিও তাতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেননি। শচীন ফোনটি কেটে দেন। তবে, ফোন কাটতেই পরপর দু’টি ওটিপি আসে শচীনের নম্বরে। অভিযোগ, মুহূর্তে শচীনের ক্রেডিট কার্ড থেকে মোট দু’দফায় ১ লক্ষ ৮৯ হাজার ৫০০ টাকা গায়েব হয়ে যায়। প্রতারিত (Fraud) হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

    কী বললেন প্রতারিত হওয়া ব্যাঙ্কের রিলেশনশিপ ম্যানেজার?

    রিলেশনশিপ ম্যানেজার শচীন বলেন, এটা অবাক করার বিষয়। আমি শুধু ফোনটা ধরেছি। প্রতারকদের কোনওরকম তথ্য শেয়ার না করলেও অত্যন্ত ধূর্ততার সঙ্গেই ওই আমার মোবাইলের সিম ক্লোন করে এই প্রতারণা (Fraud) করা হয়েছে। এই ঘটনায় শোরগোল শুরু হয়ে গিয়েছে তমলুকে।

    পুলিশ প্রশাসনের কী বক্তব্য?

    বিষয়টি নিয়ে উদ্যোগী হয়েছে পুলিশ প্রশাসন। তমলুকের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক সাকিব আহমেদ বলেন, অভিযোগ হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। তদন্তে কোনও তথ্য উঠে আসে, সেদিকেই নজর রয়েছে।

    পশ্চিম মেদিনীপুরে ৫ ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব

    ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের পাশাপাশি পশ্চিম মেদিনীপুরে চন্দ্রকোণা ১ ব্লকের আগর গ্রামে একটি চাষি পরিবারের পাঁচ ভাইয়ের অ্যাকাউন্ট থেকে কয়েক দফায় লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারকরা। প্রতারিতদের (Fraud) বক্তব্য, ৬ মাস আগে জমি রেজিস্ট্রি করেছিলাম। কাউকে কোনও তথ্য দিইনি। আচমকা মোবাইলে মেসেজ আসে। সেটি খুলে দেখি অ্যাকাউন্ট টাকা উধাও কেন এরকম ঘটল তা বুঝতে পারছি না।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: ‘‘হাথরসের মতো স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল!’’ কেন বললেন শুভেন্দু?

    Suvendu Adhikari: ‘‘হাথরসের মতো স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল!’’ কেন বললেন শুভেন্দু?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার চাষের খেত থেকে যুবতীর পোড়া ও গলার নলি কাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়়েছে ভারত- বাংলাদেশ সীমান্তের গুণরাজপুর গ্রামে। যুবতীর পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। এই ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। বিরোধী দলনেতা(Suvendu Adhikari) এই ঘটনা নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গলার নলি কাটা, বাঁধা রয়েছে হাত-পা। ওড়না দিয়ে বাঁধা হয়েছে মুখ। তখনও ধোঁয়া বেরোচ্ছে। মঙ্গলবার উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরের গোবিন্দপুর গ্রামে কাঁকরোল খেতের মধ্যে এভাবেই পড়েছিল অজ্ঞাতপরিচয় তরুণীর অর্ধদগ্ধ দেহ। ঘটনাস্থল থেকে মেরেকেটে ৪০০ মিটার দূরে বাংলাদেশ সীমান্ত। মঙ্গলবার সীমান্ত লাগোয়া এই গ্রামের ঘটনা ঘিরেই হুলস্থুল পড়ে যায় এলাকায়। স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, তরুণীর দেহের পাশেই পড়েছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরের ঠিকানা লেখা চশমার খাপ, উদ্ধার হয়েছে মোবাইল ফোনের ব্যাক কভার ও তাহলে কি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছিলেন এই তরুণী? তবে, প্রশ্নগুলি রয়েই গিয়েছে, তরুণী কি রাতের অন্ধকারে সীমান্ত পেরিয়ে এপারে এসেছিলেন? নাকি, এপার থেকে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বাংলাদেশে? তবে কি দালালদের খপ্পরে পড়েছিলেন তরুণী? সূত্র সন্ধানে বিএসএফ-এর সাহায্য নিচ্ছে স্বরূপনগর থানার পুলিশ। বিষয়টি জানার পরই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) সরব হয়েছেন।

    কী বললেন বিরোধী দলনেতা? (Suvendu Adhikari)

    উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগরে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে চাষের জমিতে মিলল গলার নলি কাটা, হাত-পা বাঁধা, অর্ধদগ্ধ দেহ। হাথরসে গেলে স্বরূপনগরে কেন টিম পাঠাচ্ছে না তৃণমূল? খোঁচা দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।  বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেছেন, ‘সরকার নেই। সবচেয়ে অপদার্থ পুলিশমন্ত্রী। আজকেও এরা হাথরসে টিম পাঠায়। স্বরূপনগরে টিম পাঠান। কীভাবে একটা মহিলাকে হাত-পা বেঁধে পোড়ানো হয়েছে।’ প্রসঙ্গত, উত্তরপ্রদেশের হাথরসে গণধর্ষণের শিকার হন দলিত পরিবারের বছর উনিশের এক তরুণী। পরে, দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। হাথরসকাণ্ডে নির্যাতিতার গ্রামে প্রতিনিধিদল পাঠায় তৃণমূল। স্বরুপনগরের ঘটনা তুলে ধরে তৃণমূলকে কার্যত কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে বিজেপি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: শান্তিপুরে ৪০০ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে দেবী কাত্যায়নীর!

    Durga Puja 2023: শান্তিপুরে ৪০০ বছর ধরে নিষ্ঠার সঙ্গে পুজো হয়ে আসছে দেবী কাত্যায়নীর!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাঙালির অন্যতম শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023)। আর এই পুজোকে কেন্দ্র করেই বিভিন্ন বনেদি বাড়ি এবং বারোয়ারি মেতে ওঠে আনন্দে। বারোয়ারি বা ক্লাবের পুজোয় থাকে থিমের ছোঁয়া, সঙ্গে বিভিন্ন রকম জৌলুস। তবে বাংলার আপামর বনেদি বাড়ির পুজোগুলি বরাবরই নিষ্ঠা এবং বিশ্বাসের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবেই দেখা হয়। সেরকমই এক বনেদি বাড়ি হল নদিয়ার শান্তিপুরের বড় গোস্বামী বাড়ি, যেখানে আনুমানিক প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো দেবী কাত্যায়নীর পুজো চলে আসছে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে।

    দেবী কাত্যায়নী রূপে পূজিতা কেন?

    এখানে দেবী কাত্যায়নী রূপে পূজিতা হন। দেবীর মূর্তিতেও রয়েছে বিশেষ বৈশিষ্ট্য। অন্যান্য দুর্গাপ্রতিমা যেরকম আমরা দেখি, বা বনেদি বাড়ির দুর্গাপ্রতিমা যেরকম সাধারণত হয়ে থাকে, এখানের প্রতিমা কিন্তু সেরকম নয়। এখানে দেবীমূর্তির দুটি হাত বড়, অর্থাৎ এই দুটি হাত দিয়েই সংহারের কথা বোঝানো হয়েছে। কিন্তু বাকি আটটি হাত অনেকটাই ছোট। বড় গোস্বামী বাড়ির সদস্যদের মতে, এই পুজো আনুমানিক ৪০০ বছর ধরে নিয়মনিষ্ঠার সঙ্গে চলে আসছে। এই পুজোর ইতিহাস সম্বন্ধে তাঁরা জানান, একদিন তাঁদের ইষ্টদেব রাধারমণ হঠাৎ মন্দির থেকে অন্তর্ধান হয়ে যান।তারপর গৃহকর্ত্রীরা বাড়ির মন্দিরের উঠোনে বসে দেবী কাত্যায়নীর ব্রত পালন করতে থাকেন। এর তিন দিন পর বাড়ির যিনি জ্যেষ্ঠ কর্ত্রী, তাঁকে দেবী স্বপ্নাদেশে জানিয়ে দেন, রাধারমণের মূর্তি কোথায় রয়েছে। তার পরেই পাওয়া যায় তাঁদের ইষ্টদেব রাধারমণের মূর্তি। এর পর থেকেই দেবীর পুজো (Durga Puja 2023) শুরু হয় বড় গোস্বামী বাড়িতে।

    নিয়মনিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য (Durga Puja 2023)

    একেবারেই জৌলুসহীন এই পুজো, যেখানে সাবেকি মাতৃমূর্তি এবং নিয়মনিষ্ঠাই একমাত্র অবলম্বন। দেবীমূর্তির আরেকটি বিশেষ দিক লক্ষ্য করা যায়, এখানে দেবীর সন্তান কার্তিক এবং গণেশ বিপরীত স্থানে অবস্থান করেন। তবে নবপত্রিকা বসানো হয় সঠিক জায়গাতেই। অর্থাৎ কার্তিকের পাশে বসে নবপত্রিকা। কর্মক্ষেত্র কিংবা অন্যান্য কাজে বাড়ির যে সমস্ত সদস্যরা বাইরে থাকেন, তাঁরা পুজোর ওই চার দিন দেবী কাত্যায়নীর পুজোতে মেতে ওঠেন। আরও জানা যায়, নবমীতে দেশবাসী তথা রাজ্যবাসীর জন্য বিশেষ মঙ্গল কামনা করা হয়। পুজোতে এলাকার মানুষকে খাওয়ানো হয় ভোগ। তবে ভোগ রান্নাতেও রয়েছে আকর্ষণ। যে সমস্ত বিবাহিত মহিলা দীক্ষিত, তাঁরাই দেবী কাত্যায়নীর ভোগ রান্নার কাজে নিযুক্ত হন এবং যে মেয়েরা অবিবাহিত, তাঁরা দেবীর পুজোর (Durga Puja 2023) অন্যান্য কাজে নিযুক্ত থাকেন।

    কী বলছে নয়া প্রজন্ম?

    তবে আধুনিক যুগে আধুনিক পুজোর (Durga Puja 2023) সঙ্গে বনেদিয়ানার মেলবন্ধন কতটা সামঞ্জস্যপূর্ণ বা একে কীভাবে দেখছে বড় গোস্বামী বাড়ির এযুগের সন্তানরা? এ প্রশ্ন করা হলে তাঁরা জানান, নিয়মনিষ্ঠা এবং ভক্তি, এসবই এই বাড়ির মূল উদ্দেশ্য। আর তাতেই দেবী কাত্যায়নীর পুজোতে তাঁরা অংশগ্রহণ করেন, মেতে ওঠেন আনন্দে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Murshidabad: ‘৮ ইঞ্চির বদলে রাস্তায় ৪ ইঞ্চির ঢালাই’, পূর্তের কাজ নিয়ে প্রশ্ন খোদ তৃণমূল বিধায়কের

    Murshidabad: ‘৮ ইঞ্চির বদলে রাস্তায় ৪ ইঞ্চির ঢালাই’, পূর্তের কাজ নিয়ে প্রশ্ন খোদ তৃণমূল বিধায়কের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এমনিতেই মেলা খেলায় কোটি কোটি টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। পুজো কমিটিগুলিকে ঢালাও টাকা দেওয়া হচ্ছে। এমনই অভিযোগ বিরোধীদের। আর পুজোর মুখে খানাখন্দে ভরে রয়েছে রাস্তাঘাট। নজর নেই সরকারের। আর যেখানে রাস্তা তৈরি হচ্ছে, সেখানে গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এমনই ঘটনার সাক্ষী থাকল মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জঙ্গিপুর এলাকা। হাসপাতালে যাওয়ার রাস্তা নিয়ে গুরুতর অভিযোগ করেছেন খোদ তৃণমূলের বিধায়ক জাকির হোসেন।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Murshidabad)

    কিছুদিন আগে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) নবগ্রামের বিধায়ক বাঁধ ভেঙে যাওয়া দেখতে গিয়ে ইঞ্জিনিয়ার এর সঙ্গে বাগবিতণ্ডায় শুরু হয়। সেই সময় বিধায়ক বলেছিলেন, কোনওরকম কাজের দুর্নীতি মানব না। প্রয়োজন হলে মানুষ গাছে বেঁধে রাখবে। এবার জঙ্গিপুর হাসপাতালে রাস্তার কাজ নিয়ে পূর্ত দফতরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন জঙ্গিপুরের বিধায়ক জাকির হোসেন। আচমকা জঙ্গিপুর হাসপাতালে ওই রাস্তা পরিদর্শনে যান তিনি। কংক্রিট রাস্তা হাত দিলেই ভেঙে যাচ্ছে, চাঙড় উঠে আসছে, বিধায়ককে এলাকার মানুষ তা দেখান। চোখের সামনে এসব দেখে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করেন। রাস্তার কাজের বেনিয়ম নিয়ম নিয়ে এলাকাবাসী তাঁকে নালিশ জানান। তাঁরা রাস্তা খুঁড়ে দেখান যেখানে ৪ ইঞ্চি ঢালাই করার কথা থাকলেও রাস্তার পাশে দেখা যাচ্ছে দুই ইঞ্চি ঢালাই।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক?

    তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেন বলেন, পূর্ত দফতর যে রাস্তা তৈরি করেছে তাতে সিডিউলে আছে ৮ ইঞ্চি পুরু রাস্তা তৈরি করার। কিন্তু, দেখা যাচ্ছে মাঝখানে ৪ ইঞ্চি পুরু রাস্তা তৈরি করেছে। রাস্তার দু’পাশের দুই ইঞ্চি করে রাস্তা হয়েছে। হাসপাতালের সুপারকে ঠিকাদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেন। শুধু তাই নয় তিনি আরও বলেন, আমি মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) জেলা প্রশাসনের কর্তাদের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে এবং পূর্ত দফতরের মন্ত্রীকে অভিযোগ করব। কোনওমতেই এই রাস্তা আমরা মেনে নেব না।

    কী বললেন পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার?

    পূর্ত দফতরের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার এই অভিযোগ মানতে নারাজ। তিনি বলেন, রাস্তা ঠিক হয়েছে, আমি এখনও এই অবস্থায় বলছি।  চেয়ারম্যান সাহেব দেখে গিয়েছেন, তিনি বলেছেন ঠিক আছে। বিধায়কের অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, তিনি তো অভিযোগ করতেই পারেন, তাঁরা আমাদের মাথার উপরে আছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।                                                                     

  • Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    Sri Lanka: ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা, বন্দরে নোঙর করতে দিল না চিনা জাহাজ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চিন ইস্যুতে ভারতের পাশেই শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka)। এবার নিজেদের বন্দরে একটি চিনা জাহাজকে ঢোকার অনুমতি দিল না শ্রীলঙ্কা। এর পাশাপাশি শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বিদেশমন্ত্রী আলি সবরি সোমবারই স্পষ্টভাষায় জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের নিরাপত্তার বিষয়টি তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ওয়াকিবহাল মহলের ধারনা, নিয়ম মেনে বন্ধু রাষ্ট্র ভারত এবং মার্কিন আন্ডার সেক্রেটারি সঙ্গে আলোচনা করেই ওই চিনা জাহাজকে নোঙর করতে দেওয়া হয়নি। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কার এই অবস্থান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

    চিনা আবেদন খারিজ শ্রীলঙ্কার

    প্রসঙ্গত, ‘শি ইয়ান-৬’ নামে একটি জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরকে পোতাশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করার জন্য আবেদন জানিয়েছিল চিন। কিন্তু সেই আবেদনকে খারিজ করে শ্রীলঙ্কার  প্রশাসন। এ নিয়ে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে শ্রীলঙ্কার বিদেশ মন্ত্রী আলি সবরি বলেন, ‘‘বেশ কিছুটা সময় ধরেই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা চলছে। ভারত নিজের উদ্বেগের কথাও জানিয়েছে। কিন্তু আমরা একটা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর বা এসওপি তৈরি করেছি। ভারত-সহ আমাদের একাধিক বন্ধুরাষ্ট্রের সঙ্গে ওই এসওপি তৈরির সময় কথা বলা হয়। এই এসওপি মেনে ভেসেল নোঙর করলে আমাদের সমস্যা নেই। না মানলে সমস্যা রয়েছে।’’

    বন্ধু রাষ্ট্রের পাশেই শ্রীলঙ্কা

    আর্থিক সংকটে থাকাকালীন শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) প্রভূত সাহায্য করেছিল ভারত। সেসময় থেকেই কূটনৈতিক সম্পর্ক বেশ জোরালো হয় দুই দেশের। তাই স্বাভাবিবভাবেই দুর্দিনের বন্ধুকে ভোলেনি শ্রীলঙ্কা। চিনা জাহাজকে নোঙর করতে না দেওয়া তারই প্রতিফলন বলে মনে করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০২২ সালে ‘ইউয়ান ওয়াং ৫’নামের একটি চিনা গুপ্তচর জাহাজ শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka) বন্দরে নোঙর করেছিল। সেই সময় ভারতে তরফ থেকে কড়া বার্তা সামনে আসে বিদেশমন্ত্রীদের জয়শঙ্কর স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, ‘‘আমাদের আশপাশে যা ঘটছে, বিশেষত তার সঙ্গে যদি আমাদের নিরাপত্তার বিষয়টি জড়িয়ে থাকে তা হলে নিশ্চয়ই সেটা নিয়ে আমাদের মাথা ঘামাতে হবে।’’

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    Calcutta High Court: মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত দুর্নীতি? জবাব চাইলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতির অভিযোগে তোলপাড় রাজ্য। এরই মধ্যে সামনে এল মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ। এই ঘটনায় নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অভিযোগ যোগ্য়তা থাকা সত্ত্বেও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি রাজ্যের সরকারি মেডিক্যাল কলেজগুলোতে বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি করা হচ্ছে পড়ুয়াদের। মেডিক্যাল কলেজে ছাত্র ভর্তির দুর্নীতি সংক্রান্ত অভিযোগের মামলা গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। মঙ্গলবারই এই মামলার শুনানি ছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে (Calcutta High Court)। অতিসত্ত্বর রাজ্যের কাছে জবাব তলব করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি তিনি ডিরেক্টর অফ মেডিক্যাল এডুকেশন দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে আদালতে তলবও করেছেন। এদিনের শুনানিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান ভর্তি সংক্রান্ত এই মামলায় অনিয়ম প্রমাণিত হলে এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, ভর্তি সংক্রান্ত অনিয়মের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হন ইতিশা সোরেন নামে এক নিট পরীক্ষার্থী। 

    ঠিক কী অভিযোগ ছিল মামলাকারীর

    চলতি বছরের ৭ মে নিট পরীক্ষা হয় মেডিক্যালের। গত ১৩ জুলাই এ সংক্রান্ত ফল প্রকাশ হয়। সেখানে দেখা যায় পরীক্ষার্থী ইতিশা সোরেন মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছেন ২৮,৩১৯ নম্বরে। ইতিশা সোরেন একজন তপশিলি সমাজের পড়ুয়া। ইতিশা জানিয়েছেন, এরপরে দুবার তাঁকে কাউন্সেলিং-এ ডাকা হলেও কোনও সরকারি মেডিক্যাল কলেজে (Calcutta High Court) পড়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি তাঁকে বলা হয়েছে সংরক্ষিত সমস্ত আসন পূরণ হয়ে গিয়েছে। মামলাকারীর আইনজীবী এদিন হাইকোর্টে জানিয়েছেন, তপশিলি জনজাতি সমাজের নন এমন অনেককে সংরক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

    দীর্ঘদিন ধরেই এমন অভিযোগ

    তবে এই অভিযোগ নতুন কিছু নয়। দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ, এনআরএস, আরজিকর, ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ সহ বেশিরভাগ কলেজগুলিতে সংরক্ষণের নিয়ম না মেনে ভর্তি নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল দীর্ঘদিন ধরেই। এ বিষয়ে সোমবারই ডিরেক্টর অব মেডিক্যাল এডুকেশন এর অধ্যাপক দেবাশিষ ভট্টাচার্যকে হাইকোর্টে তলব করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন আগামী দিনে যদি অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ হয় তাহলে যাঁরা বেনিয়মের মাধ্যমে ভর্তি হয়েছেন। সেই ছাত্র-ছাত্রীদের ভর্তি তো বাতিল করা হবে এর পাশাপাশি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ। 

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ২৭/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (বুধবার, ২৭/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) ব্যবসার কারণে দূরের যাত্রা করতে পারেন, এর দ্বারা লাভ হবে।

    ২) চাকরিজীবীরা ছোটখাটো পার্টটাইম কাজ খুঁজে থাকলে তাতে সফল হবেন।

    বৃষ

    ১) পরিবারের সুখ-সুবিধা বৃদ্ধি করতে পারে এমন জিনিসে অর্থ ব্যয় করতে হবে।

    ২) পরিবারের বরিষ্ঠ সদস্যের সাহায্যে সমস্যার সমাধান হবে।

    মিথুন

    ১) চাকরির জন্য আবেদন করে থাকলে সাফল্য লাভ করবেন।

    ২) টাকা-পয়সার বিষয়ে ভাগ্যের সঙ্গ পাবেন। অতিরিক্ত ব্যয় করবেন না।

    কর্কট

    ১) সরকারি চাকরিজীবীদের বদলি হতে পারে। তবে এর দ্বারা লাভান্বিত হবেন।

    ২) দীর্ঘদিন ধরে আটকে থাকা সরকারি কাজ পুরো করতে পারবেন। 

    সিংহ 

    ১) জীবনসঙ্গীর শারীরিক কষ্ট উপেক্ষা করবেন না।

    ২) চাকরি ও ব্যবসায় উন্নতি কামনা করে থাকলে আলস্য ত্যাগ করুন।

    কন্যা

    ১) আবহাওয়ার কারণে সর্দি-কাশির মতো সমস্যা হতে পারে।

    ২) মায়ের সঙ্গে তর্ক হলে নিজের বাণী মাধুর্য বজায় রাখুন।

    তুলা 

    ১) শ্বশুরবাড়ির তরফে সম্মান লাভ করবেন।

    ২) জীবনসঙ্গীকে বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যেতে পারেন।

    বৃশ্চিক

    ১) চাকরিজীবীরা বরিষ্ঠ আধিকারিকদের ক্ষোভের শিকার হবেন।

    ২) ব্যবসায়ীরা কোনও প্রকল্প শুরু করলে লাভান্বিত হবেন। 

    ধনু

    ১) সন্তানের প্রয়োজনীয়তা পূরণে অর্থ ব্যয় করবেন।

    ২) বন্ধুদের সঙ্গে সামাজিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    মকর

    ১)  সন্ধ্যা নাগাদ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে সময় কাটাবেন।
     
    ২) শ্বশুরবাড়ির তরফে আর্থিক লাভ হবে।

    কুম্ভ

    ১) আধিকারিকদের সাহায্যে সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদের সমাধান হবে।

    ২) সরকারি কাজ বাতিল করবেন না। 

    মীন

    ১) শ্বশুরবাড়ির কোনও সদস্যকে টাকা ধার দিয়ে থাকলে সেই টাকা ফিরে পেতে পারেন।

    ২) বাবার স্বাস্থ্যের কারণে চিন্তিত হতে পারেন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    Sukanta Majumdar: দক্ষিণ দিনাজপুরে প্লাবিত এলাকায় দুর্গতদের পাশে দাঁড়ালেন সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্লাবিত এলাকা পরিদর্শন করতে মঙ্গলবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বুনিয়াদপুর ও হরিরামপুর ব্লকের ৬ নম্বর বাগিচাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উখলি এলাকা পরিদর্শন করলেন বালুরঘাটের সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এদিন প্লাবিত এলাকায় জলের মধ্যে হেঁটে হেঁটে এলাকার দুর্গতদের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি দুর্গতদের সাহায্যেরও আশ্বাস দেন তিনি।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    টানা বৃষ্টির জেরে জল ঢুকে যাওয়ায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র বন্ধ ছিল। হাসপাতালের রোগীদের স্থানীয় একটি হাইস্কুলে স্থানান্তরিত করা হয়। বিষয়টি জানার পর সেখানে যান বিজেপি সাংসদ (Sukanta Majumdar)। গত চারদিনের অঝোরে বৃষ্টিতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায়। দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুর কুশমন্ডি ও গঙ্গারামপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের ১৯৫ মিলিমিটার রেকর্ড পরিমাণ বৃষ্টি হয়। জল ঢুকে যায় হরিরামপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র সহ জেলার বিভিন্ন ব্লকে। তড়িঘড়ি রোগীদের স্থানান্তরিত করা হয় স্থানীয় একটি হাইস্কুলের বিল্ডিংয়ে। এখন অবশ্য জল নেমে গেছে। মঙ্গলবার হরিরামপুরের সেই প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ঘুরে দেখেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মোট সাড়ে চার হাজার লোক ফ্লাড সেন্টারগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। এই বিষয়ে প্লাবিত এলাকার বাসিন্দারা বলেন, আমরা গত দুইদিন ধরে জলের মধ্যে থাকছি। আবার কিছু পরিবার অন্য কোথাও গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। প্রশাসন থেকে কোনও সুযোগ সুবিধা আমরা পাইনি। জলের স্রোতে আমাদের ঘর বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। বিজেপি সাংসদকে কাছে পেয়ে দুর্গতরা সাহায্য চান।

    কী বললেন সুকান্ত? (Sukanta Majumdar)

    এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ভগবানের অশেষ কৃপা সোমবার থেকে আর বৃষ্টি হচ্ছে না। বৃষ্টি হলে  জেলাতে যে বন্যার পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করত। প্রত্যেক বছর ভারী বৃষ্টি হলে বন্যার সৃষ্টি হয়। কিন্তু, প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগে ভাগে বন্যা মোকাবিলার কোনও ব্যাবস্থা নেওয়া হয় না। সেই কারণে জেলার হরিরামপুর, বুনিয়াদপুর সহ বিভিন্ন ব্লকে বন্যার সৃষ্টি হয়। যার ফলে সমস্যায় পড়তে হয় এই সব ব্লকের বাসিন্দাদের। আমি খবর পেয়ে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করলাম। আমার যতটুকু সাধ্য আমি দুর্গতদের সাহায্যে করলাম।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    CBI: হাওড়ার দাশনগর, জগাছায় আচমকা সিবিআই হানা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা থানা এলাকার একাধিক জায়গায় তল্লাশি অভিযানে নামে সিবিআই (CBI)। সূত্রের খবর, দাশনগর থানার আলামোহন দাস রোডে কৌশিক মাজি এবং জগাছার পার্থ সেনের বাড়ি-ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালান তদন্তকারী আধিকারিকরা। ওই দুই ব্যক্তির বাড়ির পাশাপাশি অফিস, গোডাউনে একইসঙ্গে তল্লাশি অভিযান চালান কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার কর্তারা। যদিও তল্লাশির বিষয় নিয়ে আধিকারিকরা প্রকাশ্যে মুখ খোলেননি।

    কেন সিবিআই হানা? (CBI)

    প্রাথমিকের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার ওএমআর শিট কেলেঙ্কারির হদিশ পেতে নতুন করে তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। মঙ্গলবার হাওড়ার দাশনগর এবং জগাছা এলাকায় সিবিআই আচমকা হানা দেয়। মূলত, ‘এস বসু রায় অ্যান্ড কোম্পানি’ নামের একটি সংস্থার কর্তা কৌশিক মাজি এবং পার্থ সেন। পর্ষদের কাছ থেকে কীভাবে প্রাথমিকের নিয়োগ পরীক্ষায় ওএমআর শিট দেখে নম্বর দেওয়ার দায়িত্ব তাঁরা পেয়েছিলেন এই বিষয়ে কৌশিক মাজিকে আগেই জেরা করেছিলেন তদন্তকারীরা। জেরায় বিস্তর অসঙ্গতি থাকার কারণেই এই তল্লাশি বলে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রের খবর। পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে কীভাবে তাঁদের যোগাযোগ, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। জানা গিয়েছে, দুই কর্তার বাড়ি থেকে প্রাথমিক নিয়োগ মামলার একাধিক তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

    প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহেই পর পর টানা তিন দিন নিয়োগ মামলার শুনানিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ।  যদিও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার একটি সূত্রের দাবি, নিয়োগ মামলার দুর্নীতির নেপথ্যে উঠে এসেছে একাধিক নাম ও তথ্য। সেগুলি মিলিয়ে দেখা হচ্ছে। সেকারণেই তদন্ত প্রক্রিয়ায় কিছুটা বাড়তি সময় লাগছে। গত এক সপ্তাহ আগে নিয়োগ মামলার কেস ডায়েরি আদালতে জমা দেয় সিবিআই (CBI)। যা দেখে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি। এমনকী অভিযুক্তের সঙ্গে তদন্তকারীদের আঁতাত নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন বিচারপতি। বিচারপতির উষ্মা প্রকাশের পরই সিবিআই হানা নিয়েও জেলাজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share