Author: user

  • Durga Puja 2023: একচালার প্রতিমায় দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুর আছে, নেই শুধু কার্তিক-গণেশ!

    Durga Puja 2023: একচালার প্রতিমায় দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুর আছে, নেই শুধু কার্তিক-গণেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তালিবপুরের চৌধুরীবাড়়ি। বনেদি পরিবার। সেই বাড়ির মেয়ে কল্যাণী। সারা বছর স্বামীর ঘরে থাকলেও পুজোর কটা দিন তাঁর জন্মভিটেয় কুলদেবতার কাছে না থাকলে তাঁর মন ভালো থাকে না। সেই ছোটবেলায় স্কুলশিক্ষক বাবা পাঁচকড়ি চৌধুরীর মুখে সে শুনেছিল বাড়ির দুর্গাপুজোর ইতিহাস। দিনক্ষণ আর তাঁর মনে নেই। তবে, প্রায় সাড়ে তিনশো বছর আগের কথা। তাঁদের পূর্বসূরি দুজন মহিলা এই পুজোর (Durga Puja 2023) সূচনা করেছিলেন। তাঁরা তন্ত্রসাধনা করতেন। একচালার প্রতিমা। দুর্গা, লক্ষ্মী, সরস্বতী, অসুর থাকলেও কার্তিক, গণেশ নেই। এই পুজোর সূচনাপর্ব থেকেই এই নিয়ম চলে আসছে। কার্তিক, গণেশ কেন নেই, তার ব্যাখ্যা সঠিকভাবে কেউ দিতে পারেননি।

    চট্টোপাধ্যায় থেকে চৌধুরী কীভাবে?

    এখন চৌধুরীবাড়ির পুজো বললেও আদতে তাঁদের পদবী ছিল চট্টোপাধ্যায়। এই পরিবারের সন্তান রূপচাঁদ চট্টোপাধ্যায় মুর্শিদাবাদের নবাবি দরবারে সুপ্রসিদ্ধ গায়ক ছিলেন। নবাবি আমলেই তিনি দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গান গেয়ে মানুষের মন জয় করেছিলেন। স্বাভাবিক কারণেই আর্থিকভাবে তিনি বেশ কিছুটা সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছিলেন। তাঁর আমলেই এই বাড়িতে দুর্গাপুজো অনেক জাঁকজমকভাবে হত। বহু দূরদূরান্ত থেকে মানুষ এই পুজোয় (Durga Puja 2023) অংশ নিতে আসতেন। সেই সময় অষ্টমী আর নবমীতে পুজোয় ছাগ বলি হত। পুজোর কদিন কয়েকশো মানুষের পাত পড়ত এই বাড়িতে। আর রূপচাঁদের মতো স্বনামধন্য গায়কের বাড়ি হওয়ায় পুজোর সময় ফি বছর গানের আসরও বসত। আশপাশের গ্রামের মানুষের ভিড়ে সেই আসর গমগম করত। তাঁর উত্তরসূরী ছিলেন পঞ্চানন্দ চট্টোপাধ্যায়। গায়ক হিসেবে তিনিও যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তাঁর প্রতিভার জন্যই চট্টোপাধ্যায় থেকে চৌধুরী উপাধি দেওয়া হয়। নবাবি আমলে পাওয়া সেই পদবীই এখনও এই পরিবারের সদস্যরা বহন করে চলেছেন। মন্দিরের উঁচু দালান, মাটির দেওয়াল, খড়ের চাল ফি বছর ঠিক করা হত। চৌধুরীবাড়়ির বর্তমান বংশধর স্কুল শিক্ষক জয়ন্ত চৌধুরীর কথায়, আমাদের প্রপিতামহ ইন্দ্রভূষণ চৌধুরীর সময় থেকেই ছাগ বলি বন্ধ হয়ে আখ, চালকুমড়ো বলি শুরু হয়।

    এখনও বলির শঙ্খচিল আকাশে ওড়ে

    শতাব্দী প্রাচীন ঐতিহ্য মেনেই এখনও ষষ্ঠীর দিন সকালে ধোপাপুকুরে গিয়ে ঘটে জল ভরা হয়। সেই ঘট মন্দিরে রেখে পুজো হয়। রাতে ষষ্ঠীর কল্পনা হয়। মহা সপ্তমীর দিন কলাবউকে বাড়ির ঠাকুরঘরে গঙ্গার জলে স্নান করানো হয়। এরপর মন্দিরের সামনেই উঠানে নিয়ে এসে এক কোণে কলা বউয়ের পুজো হয়। পরে, মন্দিরে মা দুর্গার ডানদিকে এক কোণে কলা বউকে রাখা হয়। প্রতিদিন মায়ের ভোগ হিসেবে প়ঞ্চব্যঞ্জন পদ ও মাছের ভোগ (Durga Puja 2023) নিবেদন করা হয়। আগের ছাগ বলি আর নেই। এখন সপ্তমী, অষ্টমীর দিন চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। আর মহাষ্টমীতে চাল কুমড়ো বলি দেওয়া হয়। তবে, যখন গ্রাম বাংলায় ঘড়ির চল ছিল না, তখন এই বলির আগে আকাশে নিয়ম করে শঙ্খচিল আর শিয়াল আসত। তারা আসার পরই নির্দিষ্ট একটি সময়ের পরই বলিদান হত। এখনও বলির শঙ্খচিল আকাশে ওড়ে। পরিবারের সকলের সঙ্গে কল্যাণী তাঁর দুই সন্তানকে তা দেখিয়েছেনও।

    নবমীর দিন আখ আর চাল কুমড়ো বলি

    এই চৌধুরীবাড়ির বর্তমান বংশধর সত্যব্রত চৌধুরী, দেবব্রত চৌধুরী, ধর্মব্রত চৌধুরী। ধর্মব্রত চৌধুরী এখন অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক। খুব ছোট থেকেই তিনি এই পুজো করে আসছেন। কোনও কামার নয়, চৌধুরী পরিবারের সদস্যের হাতেই মা বলিও গ্রহণ করেন। পুজো (Durga Puja 2023) শেষে বাড়িতে মায়ের ভোগ খাওয়ানো হয়। নবমীর দিন আখ আর চাল কুমড়ো বলি হয়। সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত সন্ধ্যায় লুচি, ক্ষীর, ছানা ভোগ নিবেদন করা হয়। দশমীর দিন খই, দই ভোগ নিবেদন করা হয়। পাড়ার ছেলেমেয়েরা সাত সকালে স্নান করে নতুন জামাকাপড় পরে মন্দিরে চলে আসেন। বেলপাতায় সরের কলমে কালি দিয়ে মা দুর্গার নাম লিখে পুষ্পাঞ্জলি দিয়ে মায়ের পায়ে তা নিবেদন করেন। বিকেলের দিকে ধোপা পুকুরে প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয়। একাদশীর দিনে বাপেরবাড়ি ছেড়ে যেতে কল্যাণীর চোখ ছল ছল করে।

    মা দুর্গার নিরঞ্জন হয় না

    তালিবপুর ডাঙাপাড়ায় মাটির দোতলা বাড়িতে পাঁচকড়ি চৌধুরীর ভরা সংসার। তাঁর চার সন্তান সত্যব্রত, কল্যাণী, দেবব্রত এবং ধর্মব্রত। তিন ভাই, বোন মিলেই এই পুজোর আয়োজন করতেন। পাঁচকড়ি চৌধুরী বহু বছর আগে গত হয়েছেন। রূপচাঁদের উত্তরসূরী হিসেবে কল্যাণীর পাশাপাশি সত্যব্রত, ধর্মব্রত ও তাঁর সন্তানরা এখনও নিয়মিত গান, বাজনার রেওয়াজ করেন। এখন আর খড়ের চালের মন্দির নেই। সেখানে মাথা তুলেছে ইট, সিমেন্টের কংক্রিটের মন্দির। দেবব্রত আর ধর্মব্রত এখন সেই পুরানো ঐতিহ্য মেনেই দুর্গাপুজো করে আসছে্ন। তবে, করোনাকালের সময় থেকেই চৌধুরীবাড়ির মা দুর্গার (Durga Puja 2023) আর নিরঞ্জন হয় না। পরিবারের বর্তমান বংশধর তথা অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ধর্মব্রত চৌধুরী বলেন, মায়ের আদেশ মেনেই আর নিরঞ্জন হয় না। এখন বছরের চারদিন নয়, সারা বছর ধরেই মায়ের পুজো হয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গ্রেফতার, এতদিন কী করছিল পুলিশ?

    Duttapukur: দত্তপুকুর বিস্ফোরণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত গ্রেফতার, এতদিন কী করছিল পুলিশ?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মাসখানেক আগে ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল এলাকা। তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে বিস্ফোরণে উড়ে যায় প্রায় আস্ত একটা বাড়ি। ছিন্নভিন্ন দেহাংশ ছিটকে গিয়ে পড়ে প্রায় ২০০ মিটার দূরে। কারও কারও হাত-পা উড়ে যায়। আগুনে ঝলসে যান বেশ কয়েকজন। অনেকেই সেদিন বলেছিলেন, কয়েক কিলোমিটার দূরে বারাসত পর্যন্ত শোনা গিয়েছিল বিস্ফোরণের শব্দ। দত্তপুকুর বিস্ফোরণ কাণ্ডে আগেই গ্রেফতার হয় মূল অভিযুক্ত। ২৮ দিন ধরে পালিয়ে বেড়ানোর পর অবশেষে বিস্ফোরণকান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত রমজান আলিকে পুলিশ গ্রেফতার করল। তাঁকে কদম্বগাছি থানা এলাকার একটি গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে।

    বিস্ফোরণকান্ডে এর আগে আর কে গ্রেফতার হয়েছে? (Duttapukur)

    দত্তপুকুরের (Duttapukur) মোচপোল গ্রামে বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রথম পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয় সফিকুল ইসলাম। বিস্ফোরণ ঘটা বাজি কারখানায় সফিকুলের অংশীদারিত্ব ছিল বলে জানা গিয়েছিল। ধৃত সফিকুল বাজি কারখানার মালিক কেরামত শেখের পার্টনার বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছিল। তবে কেরামতের  সন্ধান পাওয়া যায় নি। কেউ বলছে, বিস্ফোরণে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন কেরামত। আবার একাংশের দাবি ছিল বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে তার। প্রসঙ্গত, বিস্ফোরণস্থলে নীল ড্রামে মজুত ছিল প্রচুর পরিমাণে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট ও পটাসিয়াম ক্লোরাইড। বাজি কারখানার অদূরে হদিশ মিলেছিলো ল্যাবরেটরি। এই প্রেক্ষাপটে দত্তপুকুরে বিস্ফোরণে আরডিএক্স ব্যবহার হয়েছে বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ তুলেছিলেন এলাকায় গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি অভিযোগ উঠছিল পুলিশি নিষ্ক্রিয়তারও। স্থানীয়দের অভিযোগ, শুধু পুলিশের তোলা আর তৃণমূল নেতাদের কাটমানি খাওয়ার পরিমাণ বেড়ে গিয়েছিল। আগে কাটমানি ১০ হাজার হলে, এখন ২০ হাজার টাকা ছিল।  

    বিস্ফোরণকান্ডের অভিযুক্তকে কতদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত?

    দত্তপুকুরে (Duttapukur) বাজি বিস্ফোরণে আগেই এফআইআর এর নাম ছিল এই রমজান আলির। রমজান আইএসএফের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করেছিল তৃণমূল কর্মী সমর্থকেরা। বিস্ফোরণের পর থেকেই এতদিন গা ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছিল সে। এতদিন পর  তাকে গ্রেফতার করে দত্তপুকুর থানার পুলিশ। এদিন ওই রমজান আলিকে বারাসত আদালতে তোলা হয়। পুলিশের তরফ থেকে ১৪ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হলে বারাসত জেলা আদালতের বিচারক ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Shantiniketan: শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, চাঞ্চল্য

    Shantiniketan: শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের হস্টেলে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু, চাঞ্চল্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে নার্সিং ছাত্রীর রহস্যমৃত্যু। সমগ্র ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করে বোলপুর থানায় তদন্তের দাবি জানালেন ছাত্রীর বাবা। অভিযোগ, ছাত্রীটি যখন অসুস্থ হয়, তার চিকিৎসার প্রেসক্রিপশন পরিবারকে দেওয়া হয়নি। ছাত্রীমৃত্যুর ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Shantiniketan)

    হুগলি জেলার পুরশুড়ার শ্যামপুরের বাসিন্দা চিন্ময় দত্ত। তাঁর মেয়ে স্নেহা দত্তকে (২০) নার্সিং পড়ানোর জন্য শান্তিনিকেতন নার্সিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেছিলেন। শান্তিনিকেতন (Shantiniketan) মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে থেকেই সে পড়াশোনা করত। ছাত্রীর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে ছাত্রী নিবাসে খাবার খাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হঠাৎ স্নেহার মুখ থেকে ফ্যানা বের হতে শুরু করে। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে বাড়িতে খবর দেওয়া হয়। মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। যদিও, ঘটনার পর থেকে শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কেউ কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। উল্লেখ্য, এই শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজের এক কর্মকর্তা মলয় পীঠ অনুব্রত মণ্ডল ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত। গরু পাচার মামলায় ইডি ও সিবিআইয়ের স্ক্যানারে রয়েছেন তিনি। ইতিমধ্যেই একাধিকবার কলকাতার নিজাম প্যালেস ও দিল্লিতে ডেকে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।

    কী বললেন ছাত্রীর পরিবারের লোকজন?

    এদিন বোলপুর থানায় বসে কান্নায় ভেঙে পড়েন ছাত্রীর বাবা চিন্ময় দত্ত। তিনি সমগ্র ঘটনার ভিডিওগ্রাফি করে তদন্তের দাবি করেছেন। চিন্ময়বাবু বলেন, আমার মেয়ে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্রী নিবাসে অসুস্থ হয়। অথচ তাকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়নি। যদি ভর্তি করা হয়ে থাকে, সেই প্রেসক্রিপশন আমাদের দেওয়া হয়নি। মেডিক্যাল কলেজে (Shantiniketan) ছাত্রীটিকে ভর্তি না করে বোলপুর মহকুমা হাসপাতালে কেন পাঠানো হল? তিনি আরও বলেন, আর কোনও মায়ের কোল যেন এভাবে শূন্য না হয়ে যায়। অনেক স্বপ্ন নিয়ে মেয়েকে পড়তে পাঠিয়েছিলাম। সব শেষ হয়ে গেল। আমি এই ঘটনার তদন্ত দাবি করছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Madan Mitra: মদনের হুঙ্কারই সার! দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তেই বাড়ি ভাঙচুর তৃণমূল কর্মীর

    Madan Mitra: মদনের হুঙ্কারই সার! দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার পড়তেই বাড়ি ভাঙচুর তৃণমূল কর্মীর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কামারহাটির সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দালাল চক্র নিয়ে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) সরব হয়েছিলেন। তারপরই হাসপাতাল জুড়ে দালালদের বিরুদ্ধে পোস্টার লাগিয়েছিলেন সামসেদ আলি। কামারহাটি পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের তুঁতবাগান এলাকার বাসিন্দা সামসেদ সাহেবের এটাই ছিল অপরাধ। আর সেই অপরাধের জন্যই তাঁর বাড়িতে তাণ্ডব চালালো দালাল চক্রের লোকজন। হামলা চালানোর পাশাপাশি সামসেদ সাহেবের পরিবারের লোকজনকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে?

    গত দুদিন আগে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দক্ষিণ দমদমের এক রোগীকে আইসিইউতে ভর্তি করাকে কেন্দ্র করে দালাল চক্রের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ, ৬০০০ টাকা দাবি করে মুকিম খান, জামশেদ আলিরা। জামশেদ হাসপাতালের কর্মী। তাদের বিরুদ্ধে মূলত দালালচক্র চালানোর অভিযোগ উঠেছে। যদিও বিষয়টি পরে জানতে পেরে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) হস্তক্ষেপ করেন। ওই রোগীকে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তির ব্যবস্থা করেন। আইসিইউতে নিয়ে যাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয়। বিষয়টি জানতে পেরেই মদন মিত্র হাসপাতালে এসে প্রকাশ্যে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সরব হন। জামশেদ আলি, মুকিম খানের বিরুদ্ধে তিনি সরাসরি অভিযোগের আঙুল তোলেন। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানান। বিধায়ক ঘুরে যাওয়ার পর স্থানীয় তৃণমূল কর্মী সামসেদ আলি সহ অন্যান্য কয়েকজন কর্মী সাগর দত্ত হাসপাতালে জামশেদ আলির ছবি দিয়ে পোস্টার লাগান। জামশেদ আলিকে দালাল হিসেবে  চিহ্নিত করার জন্যই এই পোস্টারিং বলে দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে। দালাল চক্রের বিরুদ্ধে মিছিল করা হয়। রবিবার রাতে সামসেদ আলির বাড়িতে দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। বাইরে থেকে এলোপাথাড়ি ইট, পাথর ছুড়ে ভাঙচুর করে তারা। সামসেদ আলিকে বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য হুমকিও দেওয়া হয়। যদিও পরে এলাকার লোকজন জড়ো হতেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায়। সামসেদ আলির স্ত্রীর বক্তব্য, হাসপাতালে দালাল চক্রের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছিলেন, এটাই আমার স্বামীর অপরাধ। দুষ্কৃতীরা বাড়ি বয়ে এসে হামলা চালিয়েছে। আমার স্বামী বের হলে ওকে বোমা মেরে খুন করে দিত বলে আমাদের আশঙ্কা। আমরা অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবি জানাচ্ছি।

    কী বললেন তৃণমূল বিধায়ক? (Madan Mitra)

    তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra) বলেন, এনআরএস, এসএসকেএম হাসপাতালে দালাল চক্রের অভিযোগে পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করল। আমরা প্রকাশ্যে দালালদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি পুলিশের কাছে, তবু পুলিশ এই দালাল চক্রের পান্ডাদের ধরার ব্যাপারে কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। এই হাসপাতালে দালালি করেই প্রতিদিন ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা রোজগার করে দালালরা। এদের পিছনে কেউ রয়েছে। টাকা ভাগ বাঁটোয়ারা হয়। আমরা চাই, অবিলম্বে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হোক।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে গাছ কাটতেও কাটমানি! তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলল পার্টি অফিসে

    Arambagh: আরামবাগে গাছ কাটতেও কাটমানি! তৃণমূলের কোন্দলে তালা ঝুলল পার্টি অফিসে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জেরবার আরামবাগ (Arambagh) মহকুমা। এবার গাছ কাটা ও তার ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলেরই দুই গোষ্ঠীর। আর তার জেরেই  প্রায় ১০ দিন ধরে বন্ধ অঞ্চলের প্রধান দলীয় কার্যালয়। কার্যালয়ে ঝোলানো হল দু’দুটি তালা। আরামবাগের গোঘাটের হাজিপুরে তৃণমূলের অঞ্চল কার্যালয়ের এমন ঘটনায় রাজনৈতিক মহলে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, তৃণমূলের নতুন অঞ্চল কমিটি গঠন হওয়ার পর থেকেই দ্বন্দ্ব শুরু হয় আদি বনাম নব্য গোষ্ঠীর মধ্যে। আর ওই অঞ্চলে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্ব একেবারেই প্রকাশ্যে চলে আসে। আর সেই কারণেই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দুই গোষ্ঠীর কর্মীরা একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে। তৃণমূলের আদি গোষ্ঠীর অভিযোগ, এলাকায় ব্যক্তিগতভাবে কেউ গাছ কাটতে গেলেই অনুমতি লাগবে স্থানীয় অঞ্চল সভাপতি ও তাঁর দুই অনুগামীর। আর সেই অনুমতি পেতে দিতে হবে গাছ বিক্রির একটা অংশ। এমনই দাবি মতো টাকা দিতে পারেননি এলাকারই এক গাছ মালিক শুভেন্দু কুন্ডু। তিনি নিয়ম মত পঞ্চায়েতে ট্যাক্স দিতে চাইলেও তা নেওয়া হয়নি। তাই তার আর গাছ কাটা হয়নি। আদি গোষ্ঠীর লোকজন তার প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের উপর মিথ্যা মামলা দেওয়ার হুমকি হচ্ছে। বন্ধ করে দেওয়া হয় দলীয় কার্যালয়। যদিও তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন নতুন দ্বায়িত্ব পাওয়া তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি মীর আফসার আলি। তিনি পাল্টা অভিযোগ তোলেন দলের আদি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে। তিনি বলেন, আমরা কোনও তালা দিইনি। ওরা তালা দিয়েছে। গাছ কাটার জন্য কাটমানি চাওয়ার অভিযোগও ঠিক নয়।

    কোন্দল নিয়ে তৃণমূল নেতৃত্বের কী বক্তব্য?

    গাছ কাটার অনুমতি যেখান থেকে পাওয়া যায় সেই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সৌরভ মণ্ডল বলেছেন, আমি এবিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না। আর আরামবাগের (Arambagh) গোঘাট ১ নং ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অরুণ কেওড়া বলছেন, আমাদের কোনও দ্বন্দ্বই নেই। চাবি  হারিয়ে গিয়েছে বলে বন্ধ কার্যালয়।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    এই ঘটনা সম্পর্কে আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূল যে তোলামূল সেটা বারবার প্রমাণ হয়েছে। সাধারণ মানুষ একটা গাছ কাটবে প্রশাসনের যা নিয়ম আছে সেই নিয়ম মেনে, সেখানেও তোলা দিতে হবে শাসকদলের নেতাদের। মানুষ যাবে কোথায়? সেই টাকাপয়সার ভাগ বাটোয়ারা কমবেশি হওয়ায় দ্বন্দ্ব। তবে, মানুষ বুঝতে পেরেছে এদের ভন্ডামি নাটক। ২০২৪ এ আরামবাগ মহকুমা থেকে তৃণমূল ধুয়েমুছে সাফ হয়ে যাবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Dakshin Dinajpur: প্রবল বর্ষণে টাঙ্গন-পুনর্ভবা-আত্রেয়ী নদীতে ব্যাপক প্লাবন, ঘরছাড়া বহু মানুষ

    Dakshin Dinajpur: প্রবল বর্ষণে টাঙ্গন-পুনর্ভবা-আত্রেয়ী নদীতে ব্যাপক প্লাবন, ঘরছাড়া বহু মানুষ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: টানা বৃষ্টির কারণে দক্ষিণ দিনাজপুরের (Dakshin Dinajpur) টাঙ্গন এবং পুনর্ভবা নদীর জল বিপদ সীমার উপরে বইছে। জেলা সেচ দফতর সূত্রে এই খবর জানা গেছে। টাঙ্গন নদীর জলে কুশমন্ডি এলাকার বেশ কিছু গ্রামের কয়েকশো মানুষ ঘর ছাড়া। জলে ভেঙে গেছে রাস্তা, বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ পরিষেবা। জলমগ্ন এলাকা থেকে মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়স্থলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলে জানা গেছে। অতি বর্ষণে সাধারণ জীবন বিপর্যস্ত। 

    প্লাবিত গঙ্গারামপুর (Dakshin Dinajpur)

    চারদিনের প্রবল বৃষ্টিতে গঙ্গারামপুর ব্লকের শুকদেবপুর গ্রামপঞ্চায়েতের হোসেনপুর এলাকায় বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হল কয়েকটি গ্রাম। ভেঙে গিয়েছে যাতায়াতের রাস্তা। বিচ্ছিন্ন হয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা। ঘটনাস্থলে ব্লক প্রশাসন ও গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গোটা জেলাজুড়ে ৬৬ টি শিবির খোলা হয়েছে। এই শিবিরগুলিতে প্রায় সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। পাশাপাশি সুকদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হোসেনপুরে বাঁধে ফাটল দেখা যায়। সোমবার সকালে সেই বাঁধ ভেঙে যায় ৷ এর পরই এলাকার বেশ কয়েকটি গ্রাম প্লাবিত হয়। এলাকায় জলে ডুবে গেছে ধানক্ষেত এবং সবজি চাষের জমি৷

    বন্ধ হাসপাতালের পরিষেবা

    অধিক বর্ষণের ফলে হরিরামপুর (Dakshin Dinajpur) গ্রামীণ হাসপাতাল জলমগ্ন হয়ে পড়ায় চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ। কিছু রোগীকে ছুটি দিয়ে বাকিদের গঙ্গারামপুর মহকুমা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হাসপাতালের বহু ওষুধ জলে ভেসে গেছে। হরিরামপুর হাইস্কুলে গতকাল সন্ধ্যা থেকে শুধুমাত্র জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থা চালু করেছে ব্লক স্বাস্থ্য দফতর।

    আত্রেয়ী নদীর জলে প্লাবিত এলাকা

    এদিকে বালুরঘাটের (Dakshin Dinajpur) আত্রেয়ী নদীর জলে বিভিন্ন নিচু এলাকায় ইতিমধ্যে জল ঢুকতে শুরু করেছে। শহরের আত্রেয়ী কলোনি এলাকায় এদিন সকাল থেকেই জল ঢুকতে শুরু করেছে। বাড়িঘর জলমগ্ন হওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন ওই এলাকার মানুষজন। পুরো বিষয়ের উপর নজর রাখা হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসন তরফ থেকে জানানো হয়েছে।

    স্থানীয় মানুষের বক্তব্য

    জলমগ্ন এলাকার স্থানীয় (Dakshin Dinajpur) এক ব্যক্তি বলেন, “গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে আমাদের সাবডিভিশনে কয়েকটি ব্লক জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে, এবং গঙ্গারামপুরের পুনর্ভবা নদীর বাঁধ ভেঙে বেশ কয়েকটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে যায়। আমরা খুবই কষ্টে রয়েছি। প্রশাসন থেকে আমাদেরকে আশ্রয় দেবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।”

    প্রশাসনের বক্তব্য

    এই বিষয়ে জেলাশাসক (Dakshin Dinajpur) বিজিন কৃষ্ণা বলেন, “দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় গঙ্গারামপুর মহকুমাতে সবচেয়ে বেশি বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে। জেলাতে মোট ৬৬ টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, তাতে সাড়ে চার হাজার লোক আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের খাবার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: ‘চক দে’! বাংলার মেয়ে তিতাসের হাত ধরে এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটে সোনা ভারতের 

    Asian Games 2023: ‘চক দে’! বাংলার মেয়ে তিতাসের হাত ধরে এশিয়ান গেমসে ক্রিকেটে সোনা ভারতের 

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলার মেয়ে তিতাসের তীরেই ঘায়েল শ্রীলঙ্কা। এশিয়ান গেমসে দ্বিতীয় সোনা জয় ভারতের। কমনওয়েলথে পারেনি তারা। কিন্তু এশিয়ান গেমসের মঞ্চে কোনওরকম ভুল করেনি ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দল। চুঁচুড়ার তিতাস সাধুর হাত ধরে সোনার স্বপ্ন সফল হল হরমনপ্রীতদের। এশিয়ান গেমসে সোনা জিতে ইতিহাস রচনা করল ভারতের মেয়েরা। সোশ্যাল সাইটে তাঁদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিসিসিআই সচিব জয় শাহ। 

    দুরন্ত তিতাস

    এদিন টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। মন্ধানা এবং জেমাইমা রডরিগেজের ব্যাটে ভর করে ২০ ওভারে সাত উইকেট হারিয়ে ১১৬ রান ওঠে। ব্যাট হাতে ৪৫ বলে ৪৬ করেন মন্ধানা এবং ৪০ বলে ৪২ করেন রডরিগেজ। বাংলার মেয়ে রিচা ঘোষ একটা ছয় মেরে ৯ রানে আউট হয়ে যান। ব্যর্থ হয়েছেন অধিনায়ক হরমনপ্রীতও। রিচা ব্যর্থ হলেও বাংলার আর এক মেয়ে কাঁপিয়ে দিয়েছেন। চার ওভার বল করে মাত্র ৬ রান দিয়ে তুলে নিয়েছেন ৩ উইকেট। শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডারকে একাই আউট করেন তিনি। সেই ধাক্কা সামলাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। চুঁচুড়ার মেয়ের দুরন্ত বোলিংয়েই নতিস্বীকার করেছেন শ্রীলঙ্কার মেয়েরা।

    দীপ্তি শর্মা, পূজা বস্ত্রকাররা ওভারপ্রতি ছয়ের উপর রান দিচ্ছিলেন। ম্যাচ নিয়ে যাচ্ছিল লঙ্কানরা।  প্রথম ওভারেই ১২ রান করেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু। ভারতীয় সমর্থকদের মনে চাপ বাড়ার আগেই অবশ্য তিতাস এসে রানের গতিতে ব্রেক লাগিয়ে দিলেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন হাসিনি পেরেরা (২২ বলে ২৫)। দ্বিতীয় সোনা জয়ের ফলে পদক তালিকায় উন্নতি হয়েছে ভারতের। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ২টি সোনা, ৩টি রুপো ও ৬টি ব্রোঞ্জ, অর্থাৎ মোট ১১টি পদক নিয়ে হংকংয়ের সঙ্গে যুগ্ম ভাবে পঞ্চম স্থানে রয়েছে ভারত। পদক তালিকার শীর্ষে চিন। ৩২টি সোনা, ১৩টি রুপো ও ৫টি ব্রোঞ্জ, অর্থাৎ মোট ৫০টি পদক জিতে ফেলেছে তারা।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

     

  • Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    Alipurduar: আলিপুরদুয়ারে ‘গুণধর’ কনস্টেবলের খোঁজ মিলল, কীর্তি জানলে চমকে উঠবেন

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মনোজিৎ বাগীশের কথা মনে আছে। ‘কোটিপতি কনস্টেবল’। রামপুরহাটে কর্মরত ছিলেন তিনি। রাজ্য দুর্নীতি দমন শাখার আধিকারিকরা ইতিমধ্যেই তাঁকে গ্রেফতার করেছেন। এই কনস্টেবলকে নিয়ে তোলপাড় গোটা রাজ্য। এই ঘটনার জের মিটতে না মিটতেই আরও এক গুণধর কনস্টেবলের হদিশ মিলেছে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar)। যদিও তদন্তের স্বার্থে পুলিশ ওই কনস্টেবলের নাম সামনে আনতে চাইছে না। ওই কনস্টেবলের দুর্নীতির কাণ্ডকারখানা দেখে চক্ষু চড়কগাছ জেলা পুলিশ কর্তাদের।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Alipurduar)

    রামপুরহাটের কনস্টেবলের কোটিপতি হওয়ার রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা। এরমধ্যেই নতুন করে আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) কনস্টেবলের কীর্তি সামনে আসায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুরদুয়ারে ওই পুলিশ কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়ারদের উপস্থিত দেখিয়ে সেই টাকা নিজের এবং আত্মীয়ের অ্যাকাউন্টে জমা করে বিপুল টাকা আত্মসাৎ করতেন বলে অভিযোগ। ৪-৫ বছর ধরে ওই কনস্টেবল রীতিমতো ছক কষে এই টাকা আত্মসাৎ করে চলেছেন বলে অভিযোগ। প্রাথমিকভাবে প্রায় ৯ লক্ষ টাকা প্রতারণার হিসেব পাওয়া গিয়েছে। আরও থাকতে পারে বলে পুলিশ আধিকারিকরা মনে করছেন। এভাবে একজন পুলিশ কর্মী সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতে পারেন, তা পুলিশ কর্তারা ভেবেই পাচ্ছেন না।

    কী বললেন জেলার পুলিশ সুপার?

    আলিপুরদুয়ারের (Alipurduar) পুলিশ সুপার ওয়াই রঘুবংশি বলেন, গত কয়েকদিন আগে সিভিক ভলান্টিয়ারদের মজুরি প্রদানের অসঙ্গতির বিষয়টি সামনে আসে। এরপরই এই ঘটনা নিয়ে অভ্যন্তরীণ তদন্ত করছি। তাতে দেখা গিয়েছে কিছু সিভিক ভলান্টিয়ার ডিউটিতে না এলেও তাদের যে প্রাপ্য ভাতা অন্য অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত ওই কনস্টেবল অনুপস্থিত সিভিক ভলান্টিয়াদের জাল বিলগুলিতে উপস্থিত দেখিয়ে সরকারি অর্থ তাঁর ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে বা তাঁর আত্মীয়দের অ্যাকাউন্টে অবৈধভাবে জমা করেছিলেন। পেমেন্ট সফটওয়্যারে অ্যাকাউন্টের বিবরণ পরিবর্তন করে তিনি এই প্রতারণা করেছেন। আইন মেনে যা যা করার করা হচ্ছে। কনস্টেবলের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। বিস্তারিত তদন্ত রিপোর্ট জমা হলেই ওই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব”, বার্তা শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পেনের সফরসঙ্গীদের জন্য কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন? জানতে চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম বাংলাকে পথ দেখাবে। নন্দীগ্রাম যেভাবে পথ দেখিয়েছে, তাতেই বাংলার মানুষের মুক্তি সম্ভব। সিপিএমকে একটা সময় পর্যন্ত সরানো অসম্ভব মনে হলেও কার্যত নন্দীগ্রামই পথ দেখিয়েছে। এভাবেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্যের শাসক দলের বিরুদ্ধে লোকসভা ভোটের আগে বার্তা দিলেন। রাজ্যে বিজেপির সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করতে কর্মীদের অনুপ্রেরণা জোগালেন বলে মনে করছেন রাজনীতির এক অংশের মানুষ।

    কী বললেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)?

    পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) বলেন, “৩৪ বছরের বাম শাসনের পতন ঘটেছিল নন্দীগ্রাম থেকে। ভবিষ্যতে তৃণমূলের অবসান ঘটবে এই গ্রাম বাংলা থেকেই। নন্দীগ্রামের মানুষ হয়তো মমতাকে ভোট দিলে কয়েকটা চাকরি পেতেন। কিন্তু নন্দীগ্রামের মানুষ বাংলার সঙ্গে ভারতের সুরক্ষার কথা ভেবে মমতাকে হারিয়েছেন। বাংলার মানুষ নন্দীগ্রামকে স্মরণ করলেই পরিত্রাণ পাবেন।”

    আর কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) এদিন আরও বলেন, “রাজ্যে বিরোধী দলনেতার কী ভূমিকা, তা আগে মানুষ জানতেন না। আগে মুখ্যমন্ত্রী বিরোধী দলনেতার নাম নিতেন না। এখন বাধ্য হয়ে নিতে হয়। ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল যেমন গাছে ওঠে না, ঠিক তেমনি মুখ্যমন্ত্রীও তাই করছেন। এই কাঁথি, তমলুক অঞ্চলের পঞ্চায়েতে যে সব কর্মীরা বিজেপির হয়ে জয়ী হয়েছেন, তাঁদের সকলকে আমি প্রশিক্ষণ দেবো। ”

    শিল্প প্রসঙ্গে কী বললেন?

    শুভেন্দু (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন, আগামী ১৫ ডিসেম্বর হলদিয়ার হেলিপ্যাড মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সমাবেশ হবে। কেন্দ্রে মহিলা সংরক্ষণ বিল পাশের জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে কটাক্ষ করেছেন তিনি। রাজ্যে কী কী  শিল্প এসেছে তার হিসাব জানাতে চান। সেই সঙ্গে তিনি এও বলেন, “রাজ্যে কোন কোন কারখানা বন্ধ হয়েছে, তার তালিকা দিয়ে দিতে পারব”। তিনি আরও প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীর বিদেশ সফরের খরচ কত? রাজ্যে নেই মহার্ঘ্য ভাতা! চলছে সরকারি কর্মচারীদের আন্দোলন। সফরসঙ্গীদের জন্য মমতা কত টাকা সরকারি কোষাগার থেকে খরচ করলেন, তাও জানতে চান শুভেন্দু।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Dengue: ডেঙ্গিতেও একের পর এক জেলায় ‘রেড জোন’, বারাসতে এক যুবকের মৃত্যু

    Dengue: ডেঙ্গিতেও একের পর এক জেলায় ‘রেড জোন’, বারাসতে এক যুবকের মৃত্যু

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কলকাতার পাশাপাশি জেলায় জেলায় দাপট বাড়াচ্ছে ডেঙ্গি। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, দক্ষিণ ২৪ পরগনার পর হুগলিতে চিহ্নিত হয়েছে ‘রেড জ়োন’। এর মধ্যে নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। স্বাস্থ্য দফতরের একটি সূত্র বলছে, সেই কারণে ডেঙ্গিতে (Dengue) মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে। ডেঙ্গির হাত প্রসারিত হয়েছে উত্তরেও। মালদহে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। পুজোর আগে এই ডেঙ্গি রাজ্যে ভয় ধরাচ্ছে। রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ডেঙ্গি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ বলে অভিযোগ বিরোধীদের। এরমধ্যেই রাজ্যে ডেঙ্গি আক্রান্ত আরও এক জনের মৃত্যু হল। বারাসত জেলা হাসপাতালে রবিবার সন্ধ্যায় মৃত্যু হয়েছে ডেঙ্গি পজেটিভ আরও এক যুবকের। মৃতের নাম সরিফুল ইসলাম( ২৪)। বেশ কিছু দিন ধরেই জ্বরে আক্রান্ত ছিলেন দেগঙ্গার চাঁপাতলার কুমরুলি গ্রামের সরিফুল। প্রথমে বাড়িতেই তাঁর চিকিৎসা করানো হয়। কিন্তু শেষ কয়েকদিনে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, তাঁকে যখন হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল, তখন একেবারেই শেষ মুহূর্তে। চিকিৎসা হয় বটে, তবে চিকিৎসায় সেভাবে সাড়া দেননি সরিফুল।  রবিবার সন্ধ্যায় বারাসত জেলা হাসপাতালে সরিফুলের মৃত্যু হয়েছে।

    দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)

    কলকাতার পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে দাপট দেখাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদে জেলায় সরকারি হিসাবে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২০০০ ছাড়িয়েছে। তবে, নতুন করে আক্রান্তের গ্রাফ নিম্নমুখী। জেলার অন্যতম ডেঙ্গি ‘হটস্পট’ লালগোলা, ভগবানগোলা এবং সূতি ব্লক। সরকারি হিসাব বলছে. নদিয়ায় চলতি বছরে দু’হাজারেরও বেশি ডেঙ্গি আক্রান্তের পরিসংখ্যান পাওয়া গিয়েছে। ডেঙ্গির ‘হটস্পট রানাঘাট এবং হরিণঘাটা ব্লকে ডেঙ্গি মোকাবিলার জন্য বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। উদ্বেগ বাড়ছে হুগলিতেও। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, সেখানে ডেঙ্গিতে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় তিন হাজার ছাড়িয়েছে। বলাগড়, পাণ্ডুয়া, চণ্ডীতলাকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রীরামপুর, উত্তরপাড়াকে ‘রেড জোন’ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনায় বারুইপুর মহকুমায় ইতিমধ্যেই ডেঙ্গি আক্রান্ত ৬৫৩। ক্যানিং মহকুমায় ডেঙ্গি আক্রান্ত ১২১ জন। উত্তর ২৪ পরগনাতেও ডেঙ্গি নিয়ে উদ্বেগ ক্রমেই বাড়ছে। বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, বাদুড়িয়া, দক্ষিণ দমদম, বিধাননগর, হাবড়ায় লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। দক্ষিণ দমদমে একজনের মৃত্যু হয়েছে। ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এই জেলায় প্রায় সাত হাজার। বাঁকুড়া জেলাতেও ঝোড়ো ব্যাটিং করছে ডেঙ্গি। ইতিমধ্যেই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত ৩৬৩ জন। জানুয়ারি থেকে গত সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়া পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭১১ জন।

    উত্তরবঙ্গে ডেঙ্গির কী অবস্থা?

    দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরবঙ্গ জুড়়ে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গি (Dengue)। ডেঙ্গি জ্বরে কাবু মালদা। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মালদা জেলার কালিয়াচকের ১ এবং ৩ নম্বর ব্লক, রতুয়া ২ নম্বর ব্লকে ডেঙ্গির প্রকোপ সব থেকে বেশি। পাশাপাশি, ইংরেজবাজার ও পুরাতন মালদা পুরসভার বিভিন্ন এলাকাতেও ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জানুয়ারি মাস থেকে এখনও পর্যন্ত ওই জেলায় ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় ১,০৩২ জন। গত এক মাসে জেলায় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১৮৭ জন। রাজ্য সরকারের দিকে এই নিয়ে আঙুল তুলেছে বিরোধী দল বিজেপি। ইংরেজবাজার পুরসভার বিরোধী দলনেতা অম্লান ভাদুড়ি বলেন, ডেঙ্গি মোকাবিলায় ব্যর্থ পুরসভা। ডেঙ্গি আক্রান্তের সঠিক পরিসংখ্যান গোপন করছে তারা। দার্জিলিং জেলায় এখনও পর্যন্ত ২০০ জন আক্রান্ত রয়েছে। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গতবার এই সময় ৭০০ জন আক্রান্ত ছিলেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বলেন, গতবারের তুলনায় কম হলেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে জ্বর নিয়ে ভর্তি থাকা ৪০ জনের রক্ত পরীক্ষা করা হয়েছে। রিপোর্ট আসেনি। উত্তরবঙ্গের অন্য জেলাগুলিতেও আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share