Author: user

  • Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    Dengue: প্রচারের ঢক্কানিনাদই সার! ভয়াবহ ডেঙ্গি প্রতিরোধে রাজ্য সরকার যেন কুম্ভকর্ণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বছরের প্রথম থেকেই ডেঙ্গি (Dengue) রুখতে নানা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করা হয়। কিন্তু প্রত্যেক বছরই পশ্চিমবঙ্গের ডেঙ্গি পরিস্থিতি ওই ধরনের কর্মসূচির কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বরং ঢক্কানিনাদ করে নানা কর্মসূচির যে আহ্বান কলকাতা পুরসভা ও রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর করেছিল, তা একেবারেই বাস্তবের মুখ দেখেনি, এমনই অভিযোগ করছে রাজ্য ও কেন্দ্রের বিভিন্ন দফতর। আর রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতিই এই অভিযোগের বাস্তব রূপ!

    কী অভিযোগ উঠেছে (Dengue)? 

    কলকাতা ও আশপাশের জেলা যেমন হাওড়া, হুগলি, উত্তর চব্বিশ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকায় মেট্রো রেল সম্প্রসারণের কাজ চলছে। যার জেরে বহু এলাকা ভাঙা হচ্ছে, ব্রিজ তৈরি হচ্ছে। নির্মীয়মাণ এলাকায় জল জমছে। রেলের তরফে বিভিন্ন জায়গা ঘিরে রাখা হয়েছে। সেখানেও জল জমার আশঙ্কা থাকছে। পাশপাশি মশার লার্ভাও দেখা যাচ্ছে। রেল মন্ত্রকের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পুরসভাকে পরিষ্কারের জন্য একাধিকবার আবেদন করলেও তারা কর্ণপাত করেনি। এমনকী স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। তারপরেও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ কিংবা অন্য কোনও সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। 
    রেল মন্ত্রকের পাশপাশি এমন অভিযোগ করছে রাজ্যের একাধিক কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়। যাদবপুর, কলকাতা সহ রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে জানানো হয়েছে, বারবার কলকাতা পুরসভার কাছে আবেদন করলেও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। গড়িমসি ভাব রয়েছে। কলকাতার একাধিক সরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষের অভিযোগ, সামান্য বৃষ্টি হলেও রাস্তায় জল জমে। বৃষ্টি কমলেও জল জমে থাকে। ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বারবার পুরসভার কাছে আবেদন করা হয়েছে। কিন্তু কোনও কাজ হয়নি। 
    বাদ নেই কলকাতার মেডিক্যাল কলেজগুলো। এনআরএস, আরজিকর, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের হস্টেল ডেঙ্গির (Dengue) আঁতুরঘর। মশা মারার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বারবার পুরসভা ও স্বাস্থ্য দফতরের কাছে আবেদন করলেও কোনও সক্রিয়তা দেখা যায়নি বলেই অভিযোগ। 
    কিন্তু সংশ্লিষ্ট মহল জানাচ্ছে, মশা নিধনের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করাই পুরসভার প্রধান দায়িত্ব। প্রয়োজনে পুরসভা সেই দফতরের থেকে খরচ নিয়ে নেবে। কিন্তু নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা, জল জমা আটকানোর কাজ পুরসভার। এই দায় ঠেলার জেরে ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

    রাজ্যে ডেঙ্গি (Dengue) পরিস্থিতি কেমন? 

    রাজ্যে ডেঙ্গির দাপট উর্ধ্বগামী। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যে ইতিমধ্যেই ৩৮ হাজারের বেশি মানুষ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। প্রত্যেক সপ্তাহে প্রায় চার হাজারের কাছাকাছি মানুষ নতুন করে ডেঙ্গি আক্রান্ত হচ্ছেন। অক্টোবর মাসে পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হবে বলেই আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্ট মহল। যদিও সরকারি হিসাবে সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত ডেঙ্গিতে মারা গিয়েছেন ৩ জন। কিন্তু বেসরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই পর্যন্ত ডেঙ্গি (Dengue) আক্রান্ত হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। পরিস্থিত আরও ভয়াবহ হবে বলেও আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।

    কী বলছেন পুরকর্তা এবং স্বাস্থ্যকর্তারা? 

    অভিযোগ মানতে নারাজ পুরকর্তারা। কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ বলেন, “আমরাই বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি করছি। জমা জল আছে কিনা দেখছি। প্রয়োজনে কর্মী নিয়ে গিয়ে মশার লার্ভা মারা হচ্ছে। কিন্তু অভিযোগ পেয়েও পুরসভা কাজ করেনি, এমন অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।” 
    স্বাস্থ্য কর্তারা জানাচ্ছেন, পুরসভার সঙ্গে সারা বছর যোগাযোগ রাখা হয়। নিকাশি ব্যবস্থা ঠিক রাখা কিংবা জল জমে থাকলে কোনও অসুবিধা হলে সেটা দেখার দায়িত্ব পুরসভার। তবে, ডেঙ্গি পরিস্থিতি (Dengue) নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতর সব সময়ই সক্রিয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Asian Games 2023: মেলায় বেলুন ফাটানো দিয়ে শুরু, রুপোজয়ী মেহুলির সাফল্যে গর্বিত পরিবার

    Asian Games 2023: মেলায় বেলুন ফাটানো দিয়ে শুরু, রুপোজয়ী মেহুলির সাফল্যে গর্বিত পরিবার

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ১৯ তম এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) ১০ মিটার এয়ার রাইফেল দলগত ইভেন্টে রুপো পেয়েছেন বাংলার মেয়ে মেহুলি ঘোষ। মেহুলি ছাড়াও ছিলেন ভিনরাজ্যের রমিতা জিন্দাল ও আশি চৌকসি। চিনে আয়োজিত এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম পদক এল শ্যুটিং থেকে। সেটাও বাংলার মেয়ের হাত ধরে। দলগতভাবে হলেও বাংলার মেয়ের জন্য গর্বিত গোটা রাজ্যবাসী। টিভির পর্দায় মেয়ের খেলা থেকে পদক পাওয়া দেখে হুগলির বাড়িতে বসে চোখ জুড়িয়েছেন মেহুলির পরিবারের লোকজন।

    মেহুলির কবে থেকে এয়ার রাইফেলে হাতেখড়ি?

    হুগলির বৈদ্যবাটির ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের কামারপাড়ার মেয়ে মেহুলি। ২০১৩ সালে মেহুলির এয়ার রাইফেলে হাতেখড়ি। ২০১৪ থেকে রাজ্যস্তরে স্কুল চ্যাম্পিয়নশিপে যোগ দেন তিনি। মাত্র তিন বছরের মধ্যে রাজ্য স্কুল প্রি-ন্যাশনালে একাধিক সাফল্যের পর ২০১৭ তে ন্যাশনালে ন’টি পদক মেহুলিকে ভাল শ্যুটিংয়ের জন্য প্রেরণা জুগিয়েছিল। সেই সময় অলিম্পিয়ান শ্যুটার জয়দীপ কর্মকারের অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করতেন মেহুলি। ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে তিনি সুযোগ পান। বর্তমানে হায়দরাবাদের গগন নারাং অ্যাকাডেমিতে অনুশীলন করেন তিনি। ২০২১ থেকে সেখানেই থাকেন। প্রতিদিন প্রায় আট ঘণ্টা অনুশীলন করেন। তাঁর বর্তমান কোচ বিবস্বান গঙ্গোপাধ্যায়।

    মেয়ের সাফল্য নিয়ে কী বললেন পরিবারের লোকজন?

    মেহুলির দিদা বলেন, ছোটবেলায় মেলায় গিয়ে বেলুন ফাটাত মেহুলি। আমার কাছে আবদার করেছিল রাইফেল কিনে দেওয়ার। প্রথমে একটা পুরানো এয়ার রাইফেল কিনে দিই। ওর বিষয়টি নিয়ে আগ্রহ দেখেই ওকে শ্যুটিং-এ ভর্তি করানো হয়। ও আরও অনেক বড় হোক, এটাই চাই। বাবা নিমাই ঘোষ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তিনি  বলেন, মেয়েটা ভালই ফল করছে। তবে, ও যে রকম খেলে, সেরকম শুরুর দিকটা ভাল হয়নি। তবে, ওর এই সাফল্যের জন্য খুব ভাল লাগছে। আর মা মিতালি ঘোষ বলেন, ব্যক্তিগত ইভেন্টে না পারলেও দলগত ইভেন্টে (Asian Games 2023) জয়ী হয়েছে। মেয়ের জন্য গর্ব হচ্ছে।

    পুজোর উদ্বোধনে মেহুলি!

    পাড়ার মেয়ে এশিয়ান গেমসে (Asian Games 2023) শ্যুটিং-এ ভারতের প্রতিনিধিত্ব করছেন। মান রেখেছেন তিনি। জিতেছেন রুপোর পদক। তাঁকে নিয়ে গর্বের শেষ নেই এলাকাবাসীর। তাই তাঁরা ঠিকই করে ফেলেছেন, পাড়ার পুজোর উদ্বোধন করবেন মেহুলি-ই। এক প্রতিবেশী বলেন, পাড়ার পুজো এ বার ২৫ বছরে পড়েছে। তার উদ্বোধন করবে মেহুলি-ই। ওই তো আমাদের তারকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ২৫/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (সোমবার, ২৫/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) অফিসে সমস্যার মুখোমুখি হবেন। এই সমস্যা দূর করার জন্য কারও পরামর্শ নিতে হবে।

    ২) পারিবারিক ব্যয় বাড়ায় মানসিক চাপ থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ অর্থ লগ্নি করবেন না।

    বৃষ

    ১) সন্ধ্যাবেলা পরিজনদের সঙ্গে কথাবার্তায় সময় কাটাবেন।

    ২) চাকরিজীবীরা সাবধানে কাজ করবেন।

    মিথুন

    ১) আত্মীয়ের জন্য টাকার ব্যবস্থা করবেন।

    ২) অংশীদারীর ব্যবসায় লাভান্বিত হবেন। কর্মক্ষেত্রে নিজের বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন, না-হলে বিবাদ হতে পারে।

    কর্কট

    ১) প্রেমীর সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের দেখা করাতে পারেন।

    ২) সন্ধ্যাবেলা মায়ের স্বাস্থ্যের বিষয়ে সতর্ক থাকুন। 

    সিংহ 

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ তর্ক এড়িয়ে যান। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) জীবনসঙ্গীর জন্য কোনও উপহার কিনতে পারেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায়ে কাউকে অংশীদার করার জন্য দিন ভালো।

    ২) পরিবারের কোনও সদস্যের কারণে চিন্তিত থাকতে পারেন।

    তুলা 

    ১) জীবনসঙ্গী রেগে যাবে, এমন পরিস্থিতিতে তাঁকে বোঝানোর চেষ্টা করুন ও বাইরে ঘোরাতে নিয়ে যান।

    ২) ভাই-বোনের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আলোচনা করবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) জীবনসঙ্গীর সহযোগিতা ও সান্নিধ্য লাভ করবেন।

    ২) সন্তানের জন্য কোনও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় ব্যয় করবেন।

    ধনু

    ১) প্রেম জীবনে নতুন প্রাণশক্তি থাকবে।

    ২) সন্তানের ভবিষ্যৎ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেবেন।

    মকর

    ১) সর্দি, কাশি, জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
     
    ২) ছাত্ররা কোনও কোর্সে ভরতির জন্য আবেদন করতে পারেন।

    কুম্ভ

    ১) কোনও বয়স্ক মহিলার সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে, যা আপনাকে সাফল্যের বিশেষ সুযোগ প্রদান করবে। 

    ২) সন্ধ্যা নাগাদ ধর্মীয় কাজে মনোনিবেশ করবেন।

    মীন

    ১) সন্ধ্যা নাগাদ কোনও ধর্মীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন।

    ২) ভাই-বোনের মধ্যে বিবাদ বাঁধলে, সে সময়ে নিজের বাণী নিয়ন্ত্রণে রাখুন।

     

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    Uttar Dinajpur: ফের আধারের বায়োমেট্রিক প্রতারণাচক্রের হদিশ, পুলিশ কী করছে?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাজ্যে একের পর এক ব্যাঙ্ক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে। গ্রাহকদের বায়োমেট্রিক তথ্য হাতিয়ে ব্যাঙ্ক  অ্যাকাউন্ট সাফ করে দিচ্ছে প্রতারকরা। গ্রাহকদের অজান্তেই তাঁদের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে প্রতারকরা। দিনের পর দিন এই ধরনের ঘটনা বেড়েই চলেছে। এরই মধ্যে আবার আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পেল উত্তর দিনাজপুরের (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর জেলার পুলিশ।

    আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ (Uttar Dinajpur)

    পুলিশ সূত্রে খবর, চা বাগান ঘেরা চোপড়ায় আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণার হাব তৈরি করেছে প্রতারকরা। শুধু তাই নয়, প্রতারণা চক্রের পান্ডারা আধুনিক অফিসে বসেই নিমেষে গ্রাহকদের লক্ষ লক্ষ টাকা গায়েব করে দিচ্ছে। কেউ কিছু বোঝার আগেই নিমেশে সর্বস্বান্ত হচ্ছিলেন অনেকে। হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ায় এলাকায় বেশ কয়েকজনের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। শুধু হাওড়া বা উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) জেলা নয় রাজ্যের একাধিক জেলায় এই ঘটনা ঘটেছে। এসব অপরাধের পিছনে এই চক্রের কোনও যোগ রয়েছে কি না তা পুলিশ জানার চেষ্টা করছে। তদন্তে নেমে আন্তঃ রাজ্য আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের খোঁজ পায়। ইতিমধ্যেই ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে ইসলামপুর সাইবার ক্রাইম থানা। উদ্ধার করা হয়েছে, প্রচুর ফিঙ্গারপ্রিন্ট ডেভলপিং কেমিক্যালস, ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার, জমির দলিলের আঙুলের ছাপের কাগজ,আধারের কপি। গ্রেফতার ৩ ব্যক্তিকে পুলিশি হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হয়। এরপর শনিবার আরও একটি আধার ব্যাঙ্ক প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয় আরও প্রয়োজনীয় গেজেটস, কেমিক্যালস,কম্পিউটার, দলিলের কপি। পুলিশ ওই চক্রের পান্ডাদের ধরতে পারেনি পুলিশ।

    জেলা পুলিশের আধিকারিক কী বললেন?

    রবিবার এই বিষয়ে উত্তর দিনাজপুর (Uttar Dinajpur) ইসলামপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কার্তিক চন্দ্র মণ্ডল বলেন, প্ৰথম দিনের প্রতারণা চক্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল চোপড়া থানার নারায়ণপুর এলাকায়। সেখান থেকে গ্রেফতার করা হয় ৩ জনকে। দ্বিতীয় অভিযান চালানো হয় চোপড়া থানার চুটিয়াখোড় গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু, কাউতকে গ্রেফতার করা যায়নি। সমস্ত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Durga Puja 2023: সাহাবাড়ির পুজোয় দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ!

    Durga Puja 2023: সাহাবাড়ির পুজোয় দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ!

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশের জামিরতা গ্রাম থেকে বনমালী সাহা চালের ব্যবসা করার জন্য আত্রেয়ী নদী ধরে মাঝে মাঝেই বালুরঘাট আসতেন। তখন বালুরঘাটের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগ ছিল নিবিড়। আত্রেয়ী তখন ছিল পূর্ণ যৌবনসম্পন্না কিন্তু কালের গতির সঙ্গেই যেমন তার চেহারা বদলেছে, তেমনি ১৮৪ বছর আগে বনমালী সাহার তৈরি জমিদারিও আজ প্রায় শেষের দিকে। একমাত্র বংশধর কালীকৃষ্ণ সাহা রায় কোনও রকমে টিকিয়ে রেখেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য (Durga Puja 2023)।

    দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) আজও নিয়ম-নীতি মেনেই

    ১৮৪ বছরের পারিবারিক দুর্গাপুজো আজও নিয়ম-নীতি এবং রেওয়াজ মেনেই পালন করার চেষ্টা করে সাহা পরিবার। চালের ব্যবসায়ী থেকে হঠাৎ করে এলাকায় জমিদারি লাভ করে বনমালী সাহা বালুরঘাট শহরেই তাঁর ব্যবসার কেন্দ্র গড়ে তোলেন। এরপর আত্রেয়ী দিয়ে বহু জল গড়িয়েছে, বদলেছে সময়। এখন আর জমিদারি নেই। কিন্তু দুর্গাপুজোর যে পারিবারিক রীতি-রেওয়াজ, সেক্ষেত্রে কোনও রকম ছেদ পড়েনি। পুজোর কিছু নিজস্ব বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে দেবী প্রতিমার গঠনেরও কিছু বিশেষ বৈশিষ্ট্য রয়েছে। কার্তিক-গণেশের যে দিকে থাকার কথা, সাহাবাড়ির পুজোতে (Durga Puja 2023) দেবীর ডান দিকে থাকেন কার্তিক, বাঁ দিকে থাকেন গণেশ। এ ছাড়াও পুজোর ভোগ নিবেদনের ক্ষেত্রেও বিশেষ রীতি মেনে চলে সাহা পরিবার। 

    গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন কেন?

    বনমালী সাহা যখন এই পুজো করতেন, তখন মৃৎশিল্পী অন্য দুর্গা প্রতিমার মতো সাহাবাড়ির দুর্গা প্রতিমা করেছিলেন। কিন্তু পর দিন সকালে সবার নজরে আসে, গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে। মৃৎশিল্পী পুনরায় তাঁদের স্থান পরিবর্তন করেন। কিন্তু পর দিন সকালে গণেশ ও কার্তিকের আবার স্থান পরিবর্তন হয়ে গেছে দেখে বনমালী সাহা রায় নির্দেশ দেন, এই ভাবেই মায়ের পুজো হবে। সেই থেকে একই নিয়মনিষ্ঠা সহকারে সাহাবাড়ির দুর্গাপুজো (Durga Puja 2023) হয়ে আসছে। এছাড়াও মন্থন ষষ্ঠীতে কাঠামো পুজোর মধ্য দিয়ে প্রতিমা তৈরি শুরু হয়। প্রতিমার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এবং মহালয়ার দিনই মায়ের চক্ষুদান হয় ও প্রতিমার রং সব শেষ করতে হয়। পাশাপাশি এই পুজোয় অন্নভোগ হয় না। এখানে পরমান্ন ভোগ হয়। পুজোর কয়েকদিন নিরামিশ খাবার হয়।

    ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বন্ধনের ছবি

    সাহাবাড়ির এই পুজোকে কেন্দ্র করে ভারত-বাংলাদেশের মৈত্রী বন্ধনের ছবি ফুটে ওঠে। পুজোর (Durga Puja 2023) কদিন এপার বাংলা, ওপার বাংলা মিলে যায় সাহা পরিবারের অঙ্গনে। আপাতত বালুরঘাটের সাহা পরিবারের সদস্যরা পথ চেয়ে সেই পাঁচদিনের জন্য। এই বিষয়ে কালীকৃষ্ণ সাহা বলেন, আমাদের এই পুজো এবার ১৮৪ বছরে পড়ল। আমাদের এই পুজোর বিশেষত্ব হল গণেশ ও কার্তিকের স্থান পরিবর্তন। প্রত্যেক বছরে যে নিয়মে পুজো করা হয়, এবারেও সেই নিয়ম অনুযায়ী পুজো করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    TMCP: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের হেনস্থার শিকার, স্বেচ্ছাবসর চেয়ে চিঠি অধ্যক্ষের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: শাসক দলের ছাত্র সংগঠনের (TMCP) কাছে হেনস্থা শিকার হয়ে চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নিতে চাইলেন যোগেশচন্দ্র কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়। ইতিমধ্যে পঙ্কজবাবু তাঁর এই ইচ্ছার কথা কলেজের পরিচালন সমিতির সভাপতির কাছে লিখিতভাবেও জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত প্রায়শই তাঁর ওপরে মানসিক চাপ সৃষ্টি,হেনস্থা ও কলেজে বহিরাগতদের তান্ডবের তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজবাবু। প্রসঙ্গত, সারা রাজ্য জুড়ে শিক্ষক নিগ্রহের ঘটনায় কমবেশি তৃণমূলের নেতারা জড়িত রয়েছেন। যখনই যেখানে এই ধরনের ঘটনা ঘটে শাসক দলের ছাত্র নেতাদের নাম উঠে আসে। তাই পঙ্কজ রায়ের অভিযোগ যে স্বাভাবিক এ কথা মেনে নিচ্ছে পর্যবেক্ষকদের একাংশ।

    আরও পড়ুন: ‘মমতা-সুজন-অধীর-অভিষেক-সেলিম’ এক ব্যানারে, হুগলিজুড়ে পোস্টারে চাঞ্চল্য

    কী বলছেন পঙ্কজ রায়?

    যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ এদিন বলেন, ‘‘দিনের পর দিন ছাত্র সংসদের নামে বহিরাগতরা (TMCP) যে তাণ্ডব চালাচ্ছেন, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। আমি আগেও বলেছি, আমি যদি কোনও দলের মুখপাত্র হই, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিষয়। কিন্তু কলেজ চত্বরে আমি একটি কাজও কোনও দলের হয়ে করেছি, এ কথা কেউ বলতে কিংবা প্রমাণ করতে পারবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। পদের লোভ আমার নেই। আমার আদর্শ বিক্রি করার জন্য নয়।’’ প্রসঙ্গত ৩৫ বছর ধরে অধ্যাপনার কাজের সঙ্গে যুক্ত পঙ্কজবাবু কিন্তু এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি বলেই জানিয়েছেন তিনি।

    কলেজে বহিরাগত তান্ডব

    এর পাশাপাশি বহিরাগত তাণ্ডবের (TMCP) তত্ত্ব তুলে ধরেছেন পঙ্কজ রায়। তিনি বলেন, ‘‘যে কোনও বিষয়ে বহিরাগতরা এসে হুজ্জতি করছে। যে ভাষায় প্রিন্সিপালের ঘরে ঢুকে তারা কথা বলছে, তা আমার পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। কেন বহিরাগতরা কলেজে ঢুকবে? এ প্রশ্নও তুলেছেন পঙ্কজ বাবু। এতে যে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করা হচ্ছে তাও জানান তিনি। নিজের শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে আর কোনওভাবেই এই মানসিক চাপ তিনি নিতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন অধ্যক্ষ।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Wildlife Sanctuary: নিবিড় অরণ্য আর ইছামতীর বুকে নৌ-বিহার, হাত বাড়ালেই “বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য”

    Wildlife Sanctuary: নিবিড় অরণ্য আর ইছামতীর বুকে নৌ-বিহার, হাত বাড়ালেই “বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য”

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: উত্তর চব্বিশ পরগনার এই অভয়ারণ্য (Wildlife Sanctuary) বর্তমানে কথা সাহিত্যিক বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে নামাঙ্কিত হয়েছে “বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য”। ইছামতী নদীর ধারে প্রায় ৬৮ বর্গ কিলোমিটার অঞ্চল জুড়ে গড়ে ওঠা এই অভয়ারণ্যে রয়েছে বাঁশ, তুঁত, শিরীষ, অর্জুন, শিশু প্রভৃতি গাছের নিবিড় অরণ্য। এই অরণ্যে হরিণ, খরগোশ, বাঁদর প্রভৃতি অজস্র প্রাণীর দেখা মেলে। এছাড়া দেখা মেলে ময়ূর, কাটঠোকরা, শঙ্খচিল, নীলকন্ঠ, সানবার্ড সহ বিভিন্ন রং ও প্রজাতির পাখির।

    নদীবক্ষে নৌ-বিহার (Wildlife Sanctuary)

    একদম ইছামতী নদীর তীরেই এই অরণ্য (Wildlife Sanctuary) হওয়াতে ইচ্ছে করলেই কোনও মাঝি ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলে দু-এক ঘণ্টার জন্য নদীবক্ষে নৌ-বিহার করাও সম্ভব। এখানেই রয়েছে অমর কথাশিল্পী বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদি বাড়ি। এক কথায় যাঁদের হাতে ছুটি কম, বা কোনও না কোনও কারণে যাঁদের লম্বা ছুটি নিয়ে দূরের কোথাও লম্বা কোনও সফরে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না, তাঁরা একদিন বা দু’দিনের ছুটিতে অনায়াসেই ঘুরে আসতে পারেন এই কাছের “পারমাদন বা বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য’ থেকে।

    কোন পথে যাবেন (Wildlife Sanctuary)?

    এই অভয়ারণ্য যাওয়ার জন্য প্রথমে আসতে হবে বনগাঁ। শিয়ালদা থেকে ঘণ্টায় ঘণ্টায় ছাড়ছে বনগাঁ লোকাল। সময় লাগে মোটামুটি আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। বনগাঁ থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরে পারমাদন অভয়ারণ্য। আবার বনগাঁ থেকে দত্তফুলিয়ার বাসে সামান্য পথ নলদুংরি এসে সেখান থেকে ভ্যানরিকশয় যাওয়া যায় ৩ কিমি দূরের এই অভয়ারণ্যে (Wildlife Sanctuary)।

    ব্যবস্থা রয়েছে থাকারও (Wildlife Sanctuary)

    সকাল সকাল বেরিয়ে সারা দিন ঘুরে সন্ধ্যার মধ্যেই ফিরে আসা যায় কলকাতায়। আবার এখানে থাকতে চাইলে তার জন্য রয়েছে পঃ বঃ বন উন্নয়ন নিগমের বনবাংলো (Wildlife Sanctuary)। এদের অনলাইন বুকিংয়ের জন্য এই ওয়েবসাইটে যেতে পারেন www.wbfdv.net। সেখানেই এই সংক্রান্ত নানা তথ্য পেয়ে যাবেন।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    Howrah: হাওড়ায় ব্যাগ ভর্তি মানুষের কঙ্কাল মিলল পঞ্চায়েত অফিসের পাশে, আতঙ্ক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনা ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে হাওড়া (Howrah) জেলার শ্যামপুরের ডিহিমণ্ডল ঘাট এলাকায়। নদীর ধারে রয়েছে গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিস। সেখানেই ব্যাগের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল মানুষের কঙ্কাল। এই ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকাবাসী। পরে, খবর পেয়ে পুলিশ এসে কঙ্কাল উদ্ধার করে নিয়ে যায়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Howrah)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাওড়়ার (Howrah) শ্যামপুর ডিহিমন্ডল ঘাট ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস থেকে ঢিল ছোঁড়া দুরত্বে কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা। রাস্তার পাশে ব্যাগের মধ্যে মানুষের কঙ্কালগুলি দেখতে পান তাঁরা। এই খবর ছড়াতেই তীব্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। এর পর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসের সামনে কীভাবে ব্যাগের মধ্যে এল মানুষের কঙ্কাল। সেই প্রশ্ন উঠছে। কঙ্কালগুলি উদ্ধার করে ফরেন্সিক তদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে।

    স্থানীয় বাসিন্দারা কী বললেন?

    স্থানীয় বাসিন্দাদের বক্তব্য, এদিন পঞ্চায়েতের কাছে ব্যাগটি পড়েছিল। প্রথমে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। দীর্ঘক্ষণ ব্যাগটি পড়ে থাকায় ভিতরে কী রয়েছে তা দেখতে গিয়ে সকলেই চমকে ওঠে। কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগ দেখতে এলাকায় ভিড় জমে যায়। এই ধরনের ঘটনা যথেষ্ট উদ্বেগের। কে বা কারা এই কাজ করল তা তদন্তে করে দেখা দরকার। কারণ, এটি মানুষের কঙ্কাল উদ্ধার হয়েছে। তাই, পুলিশ এই ঘটনার সঠিক তদন্ত করে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করুক।

    জেলা পুলিশের এক আধিকারিক?

    স্থানীয়দের থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে শ্যামপুর থানার পুলিশ। পুলিশ এসে উদ্ধার করে নিয়ে যায় কঙ্কাল। কিন্তু, কী ভাবে সেই কঙ্কাল এল তা নিয়ে যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে এই এলাকায়। হাওড়া (Howrah) জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, কঙ্কাল ভর্তি ব্যাগটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা আমাদের কাছে স্পষ্ট নয়। সমস্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শ্যামপুর থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    Birbhum: অতি বর্ষণে নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা! ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে ব্যাপক ধস, ব্যাহত যান চলাচল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে বীরভূমের (Birbhum) ব্রাহ্মণী নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলে নলহাটি দু নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকটি গ্রামে তৈরি হয়েছে বন্যার আশঙ্কা। অপর দিকে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়কে নেমেছে ধস, ভগ্নপ্রায় পুঠিমারী পল্টন ব্রিজ। ব্যাঘাত ঘটছে যানবাহন চলাচলে। সাধারণ মানুষ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের শিকার। 

    নলহাটিতে বন্যার আশঙ্কা (Birbhum)

    স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত আটটা নাগাদ নলহাটি ২ নম্বর ব্লকের শীতলগ্রাম পঞ্চায়েতের বারুনি ঘাটায় বৃষ্টির জলে বাঁধ ভেঙে জল ঢুকে পড়ে প্রসাদপুর গ্রামে। অন্যদিকে বৈধরা জলাধার থেকে গতকাল শনিবার বিকেলে ১৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। ফলে বর্তমানে নলহাটির দুই নম্বর ব্লকের মোট চারটি গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল রাত্রে খবর পেয়ে জেলাশাসক বিধান রায়, রামপুরহাট মহকুমা পুলিশ আধিকারিক, রামপুরহাট মহকুমা শাসক ঘটনাস্থল পরিদর্শনের জন্য যান। অধিক বৃষ্টিপাতের কারণে বহু এলাকা বর্তমানে জলমগ্ন।

    মুর্শিদাবাদে জাতীয় সড়কে ধস

    বীরভূমের (Birbhum) পাশাপাশি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের পুঠিমারী পল্টন ব্রিজের সড়কে লাগাতার বৃষ্টির ফলে ভয়াবহ ধস দেখা দিয়েছে। ডাকবাংলা থেকে পাকুর যাওয়ার একমাত্র রাস্তা ১০৬ নম্বর জাতীয় সড়ক। আর বৃষ্টির ফলে সড়কে ধস। বিঘ্নিত যান চলাচল। সমস্যায় পড়েছে বড় গাড়ি থেকে শুরু করে সব ধরনের যানবাহন। ধসকে ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। উল্লেখ্য ৩৪ নং জাতীয় সড়ক বেয়ে নতুন ডাকবাংলা থেকে ঝাড়খণ্ডের দিকে চলে গিয়েছে ১০৬ নং জাতীয় সড়ক। দীর্ঘদিন ধরে জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে থাকার পর, এক বছর আগেই রাস্তাটি সংস্কার হয়। কিন্তু বর্ষা আসলেই বারংবার ধসের কবলে পড়ে পল্টন ব্রিজের এই সড়ক। এই সড়ক দিয়ে দৈনন্দিন হাজার হাজার যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু ধসের কারণে রাস্তায় ছোট গাড়ি থেকে বড় গাড়ি কোনোটাই এখন সাহস নিয়ে পারাপার হতে পারছে না। সড়কের ১৫০ মিটার রাস্তায় ধসের কবলে এবং ৪ থেকে ৫ হাত গভীর গর্ত তৈরি হয়েছে। এদিকে পল্টন ব্রিজের রাস্তায় ধস নামার ফলে আশেপাশের প্রায় দশটি পরিবার আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।

    প্রশাসনের ভূমিকা

    বীরভূমের জেলাশাসককে (Birbhum) জানানোর মত সমস্যার বিষয়টি নিয়ে সামশেরগঞ্জের বিডিও সুজিতচন্দ্র লোধকে জানিয়েছেন এলাকার মানুষ। ইতিমধ্যেই জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছেন এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর কাজ শুরু করেছে। খুব দ্রুত সংস্কারের বন্দোবস্ত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: কালো টাকা সরাতে ১০ বছরে ২৬ বার বিদেশযাত্রা? কাকে নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর?

    Suvendu Adhikari: কালো টাকা সরাতে ১০ বছরে ২৬ বার বিদেশযাত্রা? কাকে নিয়ে পোস্ট শুভেন্দুর?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari), যা নিয়ে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। কোনও এক রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা নিয়ে কটাক্ষ করতে দেখা গেল নন্দীগ্রামের বিধায়ককে। সেখানে শুভেন্দু লিখছেন, ‘‘একজন হাই ফ্লায়িং জনপ্রতিনিধি ১০ বছর পাবলিক লাইফে থাকার পরেও নিজের নির্বাচনী এলাকায় তৃণমূল স্তরের জনসাধারণের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হননি কিন্তু তিনি প্রায় বিদেশে উড়ে যাচ্ছেন। এমন বিদেশ যাত্রা ২০১১ সালের আগে হয়নি ২০১৪ সালের পর থেকেই স্বর্ণযুগ শুরু হয়েছে।’’ 

    হিসাব বহির্ভূত অর্থ স্থানান্তরিত করতে বিদেশযাত্রা!

    হিসাব বহির্ভূত অর্থ স্থানান্তরিত করতে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা বলেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এবং তিনি লিখছেন, ‘‘যখনই ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের মনে হয় হিসাব বহির্ভূত অর্থ এবার স্থানান্তরিত করতে হবে তখনই তিনি বিদেশ যাত্রা করেন।’’ এদিন নিজের বিষয়েও এক্স হ্যান্ডেলে লিখতে দেখা যায় নন্দীগ্রামে বিধায়ককে। তিনি  পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, ২০০৯ সাল থেকে সাংসদ থাকার কারণে ডিপ্লোম্যাটিক পাসপোর্ট রয়েছে তাঁর কাছে কিন্তু সেটা তিনি কখনও ব্যবহার করেননি। শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) আরও জানিয়েছেন যে তাঁর পাসপোর্টে ভিসা স্ট্যাম্প নেই। শুভেন্দুর মতে, তাঁর পোস্ট যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে ঘিরে তিনিও উদ্বিগ্ন রয়েছেন। শীঘ্রই তাঁকে নামিয়ে আনা হবে।

    কাকে উদ্দেশ্য করে পোস্ট শুভেন্দুর

    কাকে উদ্দেশ্য করে শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) এই পোস্ট করেছেন! সে নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। নিজের পোস্টে তিনি রীতিমতো তালিকাও দিয়েছেন যেখানে ২০১৫ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত বিদেশ যাত্রা বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে, শুভেন্দুর (Suvendu Adhikari) পোস্ট করা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের বিদেশ যাত্রা শুরু হয়েছে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল দিল্লি থেকে ব্যাঙ্কক যাত্রা মধ্য দিয়ে এবং তালিকা শেষ হয়েছে কলকাতা থেকে আমেরিকা যাত্রায় মধ্যে দিয়ে যা সম্পন্ন হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ সালে।  ওই তালিকা অনুযায়ী গন্তব্য স্থান যেমন লেখা হয়েছে, তেমনই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যে উদ্দেশ্য দেখিয়ে বিদেশ যাত্রা করেছেন সেটিও লেখা রয়েছে। যেমন ২০১৫ সালের তাঁর ব্যাঙ্কক যাত্রা ছুটি কাটাতে হয়েছে অন্যদিকে ২০২২ সালে সেপ্টেম্বর মাসে আমেরিকা যাত্রা চিকিৎসার কারণে হয়েছে। ওই তালিকা অনুযায়ী দেখা যাচ্ছে ২০১৫ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব যার মধ্যে তিনবার ব্যাঙ্কক এবং একবার আমেরিকা। ২০১৬ সালে ৩ বার বিদেশ যাত্রা করেছেন যার মধ্যে  দু’বার ব্যাঙ্কক এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০১৭ সালে ওই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন তার মধ্যে দুবার সিঙ্গাপুর একবার ব্রিটেন, একবার ব্যাঙ্কক। ২০১৮ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা, যার মধ্যে দুবার ব্রিটেন এবং দুবার সিঙ্গাপুর। ২০১৯ সালের চারবার বিদেশ যাত্রা করেছেন যার মধ্যে তিনবার দুবাই এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০২০ সালে দুবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে একবার দুবাই এবং একবার সিঙ্গাপুর। ২০২১ সালে একবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে সেটা মালদ্বীপ। ২০২২ সালে চারবার বিদেশ যাত্রা হয়েছে যার মধ্যে তিনবার দুবাই এবং একবার আমেরিকা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share