Author: user

  • Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    Mandarmani: মন্দারমণিতে অবশেষে যুবতী খুনের কিনারা, গ্রেফতার ২

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কয়েকদিন আগেই মন্দারমণির (Mandarmani) সমুদ্রের ধারে এক যুবতীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে, জানা যায় ওই যুবতীর নাম লাবনী দাস। তাঁর বাড়ি নদিয়ার তাহেরপুর। কিন্তু, তাঁকে খুন করা হল তা জানা যায়নি। এবার সেই খুনের ঘটনায় অবশেষে রহস্য ভেদ হল। জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর দিদির দেওর প্রলয় দাসই এই খুনের মূল চক্রী। ইতিমধ্যে পুলিশ এই খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছে। প্রলয়ের এক বন্ধু মনোজ গোস্বামী এই খুনে সাহায্য করেছিল। তাই পুলিশ তাকেও গ্রেফতার করেছে। প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েই মর্মান্তিক পরিণতি। জেলা পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, এই ঘটনায় আর কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    কেন ওই যুবতীকে খুন করা হল? (Mandarmani)

    পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, লাবনী দাস কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। তাঁর দিদির বিয়ে হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বারাকপুরে। পরিবারের পাশে আর্থিকভাবে দাঁড়াতে সোদপুরে একটি বিউটি পার্লারে কাজ করতে যেতেন লাবণী। সেই জন্য দিদির বাড়িতেও প্রায়শই যাতায়াত ছিল তাঁর। ওই যাতায়াতের ফলেই দিদির দেওর প্রলয় দাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবণী। কলকাতায় এক অ্যাপ ক্যাব সংস্থায় চালক হিসেবে কাজে যোগ দিয়েছিল প্রলয়। সেই কারণে দমদমে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকত সে। প্ৰায় প্রতি শুক্রবারই বিউটি পার্লারে কাজ শেখার নাম করে দমদমে প্রলয়ের সেই ভাড়া বাড়িতে যাতায়াত করতেন লাবণী। সেই সময় প্রলয়ের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন লাবনী। লাবনীর পাশাপাশি অন্য একটি মেয়ের সঙ্গে প্রলয় প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পেরে প্রথমে লাবনী বিয়ের জন্য চাপ দেন। পরে, তারসঙ্গে অশান্তি শুরু করে। পথের কাঁটা সরাতে মন্দারমণি (Mandarmani) এলাকায় তাপস জানা নামে এক বন্ধুর সাহায্য নেয় প্রলয়। এরপর লাবনীকে নিয়ে সোজা মন্দারমণি যান লাবনী। তারপর সেখানে শ্বাসরোধ করে লাবণীকে খুন করে বলে অভিযোগ। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য দেহ সমুদ্র সৈকতে ফেলে দেওয়া হয়। তাপস এই কাজে প্রলয়কে সাহায্য করেছিল। ঘটনার পর থেকে সে উধাও।

    কী বললেন মৃতার দিদি?

    এই বিষয়ে মৃতার দিদি বলেন, দেওরের সঙ্গে বোনের সম্পর্কের বিষয়টি আমরা জানতাম না। তবে, এভাবে বোনকে খুন করার বিষয়টি মেনে নিতে পারছি না। অভিযুক্তের কড়া শাস্তি দাবি করছি। দেওর ছাড়াও আমার বোনকে খুন করার পিছনে যারা রয়েছে তাদের প্রত্যেকের কঠোর শাস্তি দাবি জানাচ্ছি।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Murshidabad: বাংলার মুকুটে নতুন পালক, কিরীটীশ্বরী পেল ভারত সেরা গ্রাম পর্যটনের স্বীকৃতি

    Murshidabad: বাংলার মুকুটে নতুন পালক, কিরীটীশ্বরী পেল ভারত সেরা গ্রাম পর্যটনের স্বীকৃতি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: রাঢ় বাংলায় প্রাচীন তীর্থস্থান গুলির মধ্যে কিরীটীশ্বরী অন্যতম। ভারতের পর্যটক মন্ত্রকের তরফ থেকে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad) এই গ্রামকে পর্যটনের সেরার সেরা হিসাবে নির্বাচিত করা হয়েছে। তান্ত্রিক মতে দেবী দাক্ষায়ণী সতীর মুকুটের কণা অর্থাৎ কিরীট পতিত হয়েছিল মন্দির সংলগ্ন গ্রামের স্থানে। তাই  স্থানের নাম কিরীটীশ্বরী। তান্ত্রিক এই কিরীটেশ্বরীকে পূর্ণ পীঠস্থান বলা হয়ে থাকে। পাঠান, মোগল শাসনকালেও এই স্থানের খ্যাতি ছিল ভীষণ ভাবে। এবার কিরীটীশ্বরী পর্যটনের সেরার সেরা হওয়ায় বাঙালি এখন আনন্দিত।

    পর্যটনে সেরার সেরা কিরীটীশ্বরী (Murshidabad) 

    ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, ভারতের সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে নির্বাচিত করেছে। এই তথ্য ট্যুইট করে জানালেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, “এই নির্বাচনে ৩১ টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে প্রায় ৭৯৫ টি আবেদন এসেছিল, তার মধ্যে কিরীটেশ্বরীকে ভারত সরকারের পর্যটন মন্ত্রক সেরা পর্যটন গ্রাম হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।” সেই সঙ্গে তিনি রাজ্য বাসীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। সূত্রের মাধ্যমে আরও জানা গেছে, আগামী ২৭ শে সেপ্টেম্বর নিউ দিল্লি থেকে সরকারের পর্যটন মন্ত্রক, ভারতের সেরা পর্যটন গ্রামের পুরস্কার তুলে দেবেন। মুর্শিদাবাদের মানুষের কাছে এই সম্মান অত্যন্ত গৌরবের বলে মনে করা হচ্ছে।

    সতীপীঠ কিরীটীশ্বরী

    সতীর একান্ন পীঠের মধ্যে অত্যন্ত জাগ্রত পীঠ হল কিরীটীশ্বরী পীঠ (Murshidabad)। পৌষ মাসের প্রতি মঙ্গলবারে এই পীঠস্থানে মেলা বসে। সমাগম হয় প্রচুর ভক্ত। রাজ্যের তো বটেই সেই সঙ্গে অন্য রাজ্য থেকেও প্রচুর দর্শনার্থী আসেন । এই পীঠস্থানকে ঘিরে লৌকিক বিশ্বাস এমনটাই যে এখানে দেবী সতী দাক্ষায়ণী, দুর্গা, পার্বতী, ভৈরব, নামে পরিচিত। প্রত্যেকেই ভগবান শিবের পত্নী এবং সতীর শরীরের বিভিন্ন অংশ মাত্র। ভগবান বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রের দ্বারা সতীর দেহকে ছেদনের পর, যেখানে যেখানে শরীরীরের অংশ পতিত হয়, সেখানে সেখানে দেবীর সতীর পীঠস্থান নির্মিত হয়। এখনে দেবীর কিরীটী পতিত হয়, তাই কিরীটীশ্বরীপীঠ নামে পরিচিত।  

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Malda: এই কি উন্নততর প্রশাসন? তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে ৫ বছরেও মিলল না বার্থ সার্টিফিকেট

    Malda: এই কি উন্নততর প্রশাসন? তৃণমূল পঞ্চায়েত থেকে ৫ বছরেও মিলল না বার্থ সার্টিফিকেট

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেউ পাঁচ দিন, কেউ আবার পাঁচ বছর ধরে হন্য হয়ে ঘুরছেন। তবুও, মিলছে না জন্ম সার্টিফিকেট। পঞ্চায়েত কর্মচারীদের বিরুদ্ধে হয়রানি ও অনিয়মের অভিযোগ তুলে সরব হয়ে উঠলেন এলাকার ভুক্তভোগী অভিভাবকেরা। এমনই অভিযোগ উঠেছে মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন রেজিষ্টার কর্মচারীদের বিরুদ্ধে।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Malda)  

    অভিযোগ, মালদার (Malda) চাঁচল-১ নম্বর ব্লকের চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতে গত বোর্ডেও তৃণমূল ছিল। এখনও তৃণমূল রয়েছে। এই পঞ্চায়েত অফিসে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দফতরের কর্মচারীরা নিয়মিত দফতর খোলেন না। মাসের বেশিরভাগ সময় দফতর তালা লাগানো থাকে। দুপুর ১২ টা পেরিয়ে গেলেও দফতরের কর্মচারীদের দেখতে পাওয়া যায় না। নতুন জন্ম সার্টিফিকেট ও সংশোধনের জন্য বছরের পর বছর দফতরে হন্য হয়ে ঘুরতে হয়। তবুও, মেলেনা সার্টিফিকেট। জন্ম সার্টিফিকেট না থাকার কারণে আধার ও রেশন কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারচ্ছেন না অভিভাবকরা। দফতরের কর্মচারীরা বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বছরের পর বছর ধরে অভিভাবকদের ঘুরাচ্ছেন অভিযোগ। যদিও পঞ্চায়েত কর্মচারীরা তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। নুরগঞ্জ এলাকার মানেজা খাতুন নামে এক অভিভাবিকা অভিযোগ করে বলেন, জন্ম সার্টিফিকেটে ছেলের নাম সংশোধনের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরছি। তবুও, করে দিচ্ছেন না সংশোধন। তিনমাস পরে আসতে বলেছিলেন। আমি পাঁচ মাস পরে এসেছি। তবুও, ঘুরে যেতে হচ্ছে। ছেলের বয়স ১০ বছর হয়ে গেছে। আধার কার্ড ও রেশন কার্ড তৈরি করতে পারছি না। এমনকী ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। এই বিষয় নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ফোন না তোলায় তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

    পঞ্চায়েতের এক কর্মী কী বললেন?

    জন্ম সার্টিফিকেট এর দফতরের এক কর্মচারী মহম্মদ মুস্তাকিম বলেন, কোনও অভিভাবক জন্ম সার্টিফিকেটের জন্য পাঁচ বছর ধরে ঘুরেনি। অনলাইনে সংশোধন পোর্টালটি বন্ধ রয়েছে তাই হয়তো কয়েকদিন ঘুরতে হয়েছে। চালু হয়ে গেলে কাউকে আর ঘুরতে হবে না। আসলে দফতরের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Howrah: মোদি সরকারের উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার প্রাচীন কক শিল্প, উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা

    Howrah: মোদি সরকারের উদ্যোগে ঘুরে দাঁড়াবে বাংলার প্রাচীন কক শিল্প, উচ্ছ্বসিত ব্যবসায়ীরা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রাণ ফিরতে চলছে বাংলার প্রাচীন শাটল কক শিল্প। হাওড়ার উলুবেড়িয়ার (Howrah) ব্যবসায়ীদের আবেদনে বিশেষ সাড়া দিয়েছেন দেশের নরেন্দ্র মোদির সরকার। উল্লেখ্য করোনা কালে, ভারত সরকারের আত্মনির্ভর ভারত প্রকল্পে স্পষ্ট হয়েছে, দেশীয় উৎপাদনের প্রয়োজনীয়তা কতটা প্রয়োজন। লোকাল ফর ভোকাল অর্থাৎ আঞ্চলিক স্থানীয় উৎপাদন সামগ্রীকে প্রথম পছন্দ করার কথা বলেন নরেন্দ্র মোদি। নাম না করে বিদেশী চিনা দ্রব্য ক্রয় না করার কথা সরকার পক্ষ থেকে বার বার বলা হয়েছিল। সামজিক ও গণ মাধ্যমে সরাসরি চিনা দ্রব্য বয়কটের দাবিতে তোলপাড় হয় ওঠে। বিশেষ করে খেলার সামগ্রী এবং কালীপুজো বা দীপাবলীতে আলোক সজ্জার বিষয়ে চিনের পণ্য বয়কটের কথাও ওঠে। গত কয়েক বছরে দেশ আত্মনির্ভর হওয়ার লক্ষ্যে, বর্তমানে অনেকটাই সফল বলে মনে করছেন রাজনীতির একাংশের মানুষ। এই অবস্থায় বাংলার কক শিল্প নিয়ে কেন্দ্রের উদ্যোগের বিষয়ে সংসদে বিশেষ আলোচনা হয় বলে জানা গেছে। মিলেছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের বিশেষ ছাড়পত্র। শিল্পের সঙ্গে যুক্ত মানুষেরা আবার আশার আলো দেখতে পাচ্ছেন।

    কক শিল্পের প্রধান সমস্যা কী ছিল (Howrah)?

    জানা গেছে, বছর খানেক আগেই বাংলাদেশ থেকে হাঁসের পালক আসা বন্ধ হলে উলুবেড়িয়ার শাটল কক শিল্প অত্যন্ত সঙ্কটে পড়ে। উৎপাদনের জন্য কাঁচামালের অভাবের কথা অনেক দিন ধরেই এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত কারিগর, ব্যবসায়ীরা জানিয়ে আসছেন সরকারকে। অবশেষে ইঙ্গিত মিলেছে উদ্যোগের।

    মিলেছে সমস্যা সমাধানের ইঙ্গিত

    সূত্রের খবর, ১৯৭২ সালের বন্যপ্রাণ সুরক্ষা আইনে শাটল ককের পালকের জন্য বিশেষ ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রের বাণিজ্য এবং এবং শিল্প প্রতিমন্ত্রী অনুপ্রিয়া প্যাটেল উলুবেড়িয়া এলাকার সাংসদকে চিঠি দিয়ে সেই কথা জানিয়েছেন। কক শিল্পের জন্য এই খবর অত্যন্ত আনন্দের বলে জানিয়েছেন স্থানীয় শিল্পীরা। এলাকার (Howrah) সাংসদ সাজদা আহমেদ শিল্প নিয়ে ভীষণ উৎসাহ প্রকাশ করেছেন।

    ব্যবসায়ীদের বক্তব্য

    শাটল কক শিল্পের এক ব্যবসায়ী বলেন, “ পালকের জন্য বাংলাদেশ থেকে আসা আমদানিতে বেশ ছাড় দেওয়া হয়েছে। এই ছাড়ে আমাদের বেশ সুবিধা হবে। এর থেকে জিএসটি তুলে নিলে এই শিল্প আরও ঘুরে দাঁড়াবে। কেন্দ্র সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাই”।

    সেই সঙ্গে উলুবেড়িয়া (Howrah) চেম্বার অফ কমার্সের সভাপতি তমাল ঘোষ বলেন, “এই শিল্প অত্যন্ত প্রাচীন শিল্প। পালাকের জোগান বেশি করে মিললে গোটা এলাকার অবস্থা বদলে যাবে। উলুবেড়িয়ার শিল্প আবারও একবার ঘুরে দাঁড়াবে”।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমাকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    Shantipur: শান্তিপুরে বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে বোমাকাণ্ডে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আশঙ্কা ছিল। এবার সেটাই সত্য প্রমাণিত হল। দুদিন আগেই নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতের গবার চর মাঝেরপাড়া এলাকায় বিজেপির জয়ী সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের বাড়িতে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। তৃণমূলের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি নেতৃত্ব। সেটাই সত্য প্রমাণিত হল। এবার সেই ঘটনায় স্থানীয় তৃণমূল নেতা কৃষ্ণপদ রাহাকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনা জানাজানি হতে আদতে শাসক দলেরই মুখ পুড়েছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছিল? (Shantipur)  

    নদিয়ার শান্তিপুর (Shantipur) বেলঘড়িয়া-২ নম্বর পঞ্চায়েতে ১৯টি আসন রয়েছে। এরমধ্যে ১২টি পেয়েছে তৃণমূল। আর বিজেপি ৭টি আসন দখল করে। গবার চর এলাকায় বিজেপির হয়ে পঞ্চায়েতে দাঁড়িয়েছিলেন গৌরাঙ্গবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে তৃণমূলের প্রার্থী ছিলেন বোমাকাণ্ডে ধৃত কৃষ্ণপদ রাহা। কিন্তু, বিজেপি প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন। আর তারপর থেকেই গৌরাঙ্গবাবুকে নানাভাবে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে কৃষ্ণপদ রাহার বিরুদ্ধে। অভিযোগ, ১৮ সেপ্টেম্বর সোমবার গভীর রাতে গৌরাঙ্গ বিশ্বাসের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বারান্দাতেই বিছানা করে ঘুমাচ্ছিলেন, তখনই একদল দুষ্কৃতী তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজি করে। যদিও একটি বোমা বিছানার উপরে পড়তেই গৌরাঙ্গবাবুর এক নাবালক ভাগ্নে এবং মা জখম হন। এছাড়াও বারান্দার পাশের একটি টিনের দরজা ভেঙেচুরে যায়।

    কী বললেন বিজেপির জয়ী সদস্য?

    বিজেপির জয়ী সদস্য গৌরাঙ্গ বিশ্বাস বলেন, নির্বাচনের আগে থেকেই তৃণমূল এসব করছে। এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে ওরা ফের আমার বাড়িতে বোমাবাজি করে। আগেও একথা বলেছি। পুলিশি তদন্তে আমার অভিযোগ প্রমাণিত হল। আসলে ওরা হেরে গিয়েছে তা মেনে নিতে পারছে না। তাই, এই ধরনের ঘটনা ঘটনাচ্ছে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    শান্তিপুরের (Shantipur) বেলঘড়িয়া অঞ্চলের তৃণমূল নেতা রবীন্দ্রনাথ রায় বলেন, পুলিশ ঘটনার তদন্ত করছে। কেউ অভিযোগ করে থাকলে শাস্তি পাবে। আইন আইনের পথে চলবে। এতে আমার কিছু বলার নেই।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • CBI: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব সিবিআইয়ের

    CBI: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব সিবিআইয়ের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে বরানগর পুরসভার ৩২ জন কর্মীকে তলব করল সিবিআই। ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের (CBI) পক্ষ থেকে এই পুরসভায় নোটিস ধরানো হয়েছে। স্বাভাবিকভাবেই নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই এই পুরসভায় নোটিস পাঠানোয় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। এর আগে বারাকপুর মহকুমার বরানগর ছাড়াও ৬টি পুরসভাকে সিবিআই নোটিস পাঠিয়েছিল। এমনকী কামারহাটি পুরসভার ৩৩জন কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিবিআই। নিয়োগ দুর্নীতির মূল পান্ডা অয়ন শীলের বান্ধবী শ্বেতা চক্রবর্তী কামারহাটি পুরসভায় চাকরি করেন। অয়ন শীলের সংস্থার প্যানেলে তাঁর চাকরি হয়েছিল বলে সূত্রে খবর। এর আগে তাকে ইডি জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। নিয়োগের ক্ষেত্রে এই পুরসভায় কী দুর্নীতি হয়েছে তা তদন্ত করছে সিবিআই। বরানগর পুরসভায় নতুন করে সিবিআই নোটিস দেওয়ায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।

    নোটিসে কী বলেছে সিবিআই? (CBI)

    বরানগর পুরসভায় ২০১৭ এবং ২০১৯ সালে দুদফায় অয়ন শীলের সংস্থার মাধ্যমে নিয়োগ হয়েছিল। মালদা এবং মুর্শিদাবাদ জেলার বেশ কয়েকজনের নাম নিয়োগের তালিকায় ছিল। এর আগে সিবিআই (CBI) সরাসরি পুরসভার কাছে কাদের নিয়োগ করা হয়েছিল তার তালিকা চেয়েছিল। বরানগর পুরসভার পক্ষ থেকেও সেই তথ্য সিবিআইকে জমা দিয়েছিল। জানা গিয়েছে, এই পুরসভায় অনুব্রত ঘনিষ্ঠ বীরভূমের এক তৃণমূল নেতার ছেলের চাকরি হয়। অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরেই তাঁর নিয়োগ হয়েছিল। তবে, এদিন সিবিআই যে নোটিস পাঠিয়েছে তাতে  মালদা, মুর্শিদাবাদের ৩২ জন কর্মীর নাম রয়েছে। পুরসভার পাশাপাশি ওই কর্মীদেরকেও নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে, ২১ থেকে ২৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কর্মীদের হাজিরা দিতে হবে। স্বাভাবিকভাবে সিবিআইয়ের নোটিস পেয়ে কর্মীদের রাতের ঘুম উধাও হয়ে গিয়েছে। পুরসভার কর্মকর্তারা কেউ এই নোটিস নিয়ে মুখ খুলতে চাননি।

    সিবিআই (CBI) নোটিস নিয়ে বিরোধীদের কী বক্তব্য?

    পুরনিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তৎপর হয়েছে সিবিআই (CBI)। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া অয়ন শীলের থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী পুরসভাগুলিতেও নিয়োগে বিস্তর দুর্নীতির অভিযোগ তোলে ইডি, সিবিআই। তার ভিত্তিতেই বিচারপতির পর্যবেক্ষণ ছিল, পুর-দুর্নীতিরও তদন্ত হওয়া উচিত এবং তা করুক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গত ২১ এপ্রিল পুরসভায় দুর্নীতির তদন্তভারও সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। সেই তদন্ত করছে ইডিও। বিরোধীদের বক্তব্য, বরানগর পুরসভায় বড়সড় দুর্নীতি হয়েছে। তৃণমূলের নেতাদের আত্মীয়রা অয়ন শীলের সংস্থার হাত ধরে নিয়োগপত্র পেয়েছেন। পাশাপাশি মোটা টাকার খেলা হয়েছে। আমাদের বিশ্বাস, সিবিআই তদন্ত করলে প্রকৃত সত্য উদঘাটন করবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    Calcutta High Court: ৫০ কোটি সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে তদন্তে ইডি-সিবিআই, বহাল বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি মামলায় বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের ইডি-সিবিয়াইয়ের নির্দেশকে বহাল রাখলেন ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তবে দিতে হবেনা সিআইডিকে জরিমানার পাঁচ লাখ টাকা। আলিপুরদুয়ারের ঋণদান সমিতিতে ৫০ কোটি টাকার আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। আর এই দুর্নীতির কাণ্ডে রাজ্য রাজনীতিতে তীব্র শোরগোল  পড়ে যায়। রাজ্য প্রশাসনের তদন্তকারী সংস্থা সিআইডির উপর আস্থা রাখতে পারলেন না কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court)। ফলে শাসক দলের বিরুদ্ধে বিরোধীরাও তদন্ত নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ  করল। 

    ডিভিশন বেঞ্চ কী রায় দিয়েছে(Calcutta High Court)?

    বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য নির্দেশ দিয়ে জানান, এই মামালায় সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকার জরিমানার দিতে হবে না। যদিও এই জরিমানার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। কিন্তু ডিভিশন বেঞ্চ দুর্নীতির তদন্ত বিষয়ে নির্দেশ দিয়ে বলেন, এই দুর্নীতির মামালায় ইডি-সিবিআই তদন্ত করবে। ফলে রাজ্য সরকারে তদন্তকারী সংস্থা সিআইডি আদালতে কার্যত ধাক্কা খেল বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    মামালার প্রেক্ষাপট

    প্রথমিক ভাবে আলিপুরদুয়ার সমবায় দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত শুরু করেছিল সিআইডি। কিন্তু তদন্ত নিয়ে খুব একটা সন্তুষ্ট হননি বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় (Calcutta High Court)। এরপর তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে সিআইডিকে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানার নির্দেশ দেন। দুর্নীতির বিষয়ে সিআইডিকে তীব্র ভৎসনাও করেন বিচারপতি। তিনি তদন্তকারী সংস্থার অফিসারদের বলেছিলেন যে আপনাদের নিয়ম অনুয়ায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করুন। পরবর্তীতে সিআইডি, হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের রায়ের বিরুদ্ধে আবেদন করে। সেই রায়ের ভিত্তিতে আজ ফের ডিভিশন বেঞ্চ জরিমানাকে বাদ দিয়ে আগের রায়কে বহাল রাখলেন বিচারপতির বেঞ্চ।  

    সূত্রে জানা গেছে, আলিপুরদুয়ারের মহিলা ঋণদান সমিতিতে ২১ হাজার ১৬৩ জন টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন। এই সমবায়ে মোট ৫০ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়। সমিতির সদস্যরা পরে জানতে পেরেছিলেন এই সমিতি উঠে গেছে। আর এরপরেই অভিযোগ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চে ঋণ সমিতির উপভোক্তারা মামলা করেন।

     

     দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

  • Amit Shah: ‘‘নয়া সংসদ ভবনে, বয়সটা মাথায় রেখে কাজ করুন’’, সৌগতকে ‘শাহী’-বাণ

    Amit Shah: ‘‘নয়া সংসদ ভবনে, বয়সটা মাথায় রেখে কাজ করুন’’, সৌগতকে ‘শাহী’-বাণ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আলোচনা চলছিল নয়া সংসদ ভবনে মহিলা বিল নিয়ে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বক্তব্যে মাঝখানে স্বভাবসিদ্ধভাবেই ব্যাঘাত ঘটাচ্ছিলেন নারদা কেলেঙ্কারিকে অভিযুক্ত সৌগত রায়। নানা কটুক্তি করে বিরক্ত করারও চেষ্টা করছিলেন। তা নিয়ে সৌগত রায়কে চাঁচাছোলা ভাষায় নিশানা করলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী (Amit Shah) বলেন, ‘‘নয়া সংসদ ভবনে তো বয়সটা মাথায় রেখে কাজ করুন।’’ প্রসঙ্গত, এটাই নতুন বা প্রথম কিছু নয় এর আগেও অমিত শাহের বক্তব্যে বাধাদানের অভিযোগ ওঠে সৌগত রায়ের বিরুদ্ধে কিন্তু তৃণমূলের সাংসদ নিজেকে শুধরানোর কোনও চেষ্টাই করেননি। ওয়াকিবহাল মহল বলছে, সংসদে বিতর্ক চলাকালীন ব্যাঘাত সৃষ্টি করাটা প্রায় অভ্যাসেই পরিণত করেছেন তৃণমূলের এই সাংসদ। 

    ঠিক কী ঘটেছিল?

    ঘটনার সূত্রপাত রাহুল গান্ধীর বক্তব্যকে কেন্দ্র করে। মহিলা সংরক্ষণ বিল নিয়ে আলোচনা চলাকালীন কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জাতি গণনার দাবি করা হয়। রাহুল গান্ধীকে এদিন অযৌক্তিক অভিযোগ করতেও শোনা যায় যে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা এবং সরকারের শীর্ষ স্তরে আমলাদের মধ্যে ওবিসি সমাজের নাকি প্রতিনিধি নেই। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই দেশের সব মোদিকে চোর বলেছিলেন রাহুল গান্ধী, মোদিসমাজও ওবিসি সম্প্রদায়ের তালিকাভুক্ত। এদিন সেই ওবিসিদের প্রতিনিধিত্ব নিয়ে সওয়াল করতে দেখা যায় রাহুল গান্ধীকে। এই প্রশ্নের জবাব দিতেই ওঠেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। তিনি বলেন যে কয়েকটি এনজিও ছোট ছোট চিরকুটে কিছু প্রশ্ন লিখে দেয় আর এরা এখানে সেগুলোকে তুলে ধরে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর এই বক্তব্যের সময়ে বাধা দিতে শোনা যায় সৌগত রায়কে। তখনই অমিত শাহ (Amit Shah) এমন মন্তব্য করেন সৌগত রায়ের উদ্দেশে।

    ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও এমন আচরণ করেছিলেন সৌগত

    ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাসের শীতকালীন অধিবেশনেও এমন অসংসদীয় আচরণ করেছিলেন সৌগ । যেখানে অমিত শাহের বক্তব্যে বারবার বাধা দান করছিলেন সৌগত রায়। সে সময় একটি বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখছিলেন অমিত শাহ (Amit Shah) এবং তৃণমূলের সাংসদ কটুক্তি করছিলেন বারবার। এতেই অমিত শাহ পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে শুরু করেন এবং বলেন, ‘‘দাদা আপনি বক্তৃতা দিতে চাইলে আমি বসে পড়ব। আপনি প্রবীণ সাংসদ, এই ধরনের আচরণ মোটেই আপনার কাছ থেকে আশা করা যায় না। এটা সংসদীয় রীতি-নীতির পরিপন্থী।’’ যদিও এরপরেও কোনওরকমের শোধরানোর চেষ্টাই সৌগত রায় করেননি। সেটা এদিনের ঘটনার ফের প্রকাশ্যে এল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: নবজোয়ারের পর আরামবাগে বহু পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের, ক্ষমতা দখল বিজেপির

    Arambagh: নবজোয়ারের পর আরামবাগে বহু পঞ্চায়েত হাতছাড়া তৃণমূলের, ক্ষমতা দখল বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নবজোয়ার কর্মসূচির পর আরামবাগ (Arambagh) মহকুমায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে নতুন করে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। আর গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে দুর্বল হয়ে পড়েছে তৃণমূল। তৃণমূলের দখলে থাকা পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে বিজেপি। একাধিক গ্রাম পঞ্চায়েতেও বিজেপি ঝান্ডা উড়েছে। পাশাপাশি তৃণমূল বোর্ড গড়লেও সেখানে পঞ্চায়েতের সদস্য সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলকে সমান টক্কর দিয়েছে বিজেপি। ফলে, আরামবাগে যুবরাজের নবজোয়ারের ফানুস অনেকটাই চুপসে গিয়েছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

    বিধানসভার পর থেকেই আরামবাগে (Arambagh) শুরু হয় বিজেপির জয়যাত্রা

    ২০১৬ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এই মহকুমা (Arambagh) শাসক দল তৃণমূলই সব জায়গায় ক্ষমতায় ছিল। গোটা মহকুমা একেবারেই  বিরোধীশূন্য হয়ে পড়ে। এরমধ্যেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচন ২০১৮ সালে এই মহকুমাতেই একমাত্র বিরোধী দল হিসাবে জায়গা করে নেয় বিজেপি। তারপর থেকেই ধীরে ধীরে বিজেপির উত্থান শুরু হয়।  ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে মাত্র ১ হাজার ২০০ ভোটে জয়লাভ করেন আরামবাগ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল সাংসদ শ্রীমতি অপূর্ব পোদ্দার। তারপর থেকেই আরামবাগে ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে বিজেপির সংগঠন। ২০২১সালে আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, আরামবাগ, পুরশুড়া, গোঘাট বিধানসভায় বিজেপি জয়লাভ করে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে আরামবাগে নবজোয়ার কর্মসূচিতে যোগ দেন যুবরাজ। আরামবাগের ভালিয়া এলাকায় একটি সভাও করেন। এই মঞ্চ থেকেই আরামবাগ মহাকুমার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের হাজারো প্রতিশ্রুতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এলাকায় বহু সমস্যার সমাধানের জন্য তিনি সাধারণ মানুষকে তৃণমূল কংগ্রেসকে ভোট দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু, তাতে খুব বেশি লাভ হয়নি। কারণ, যেখানে সুষ্ঠুভাবে ভোট হয়েছে বিজেপি ভাল ফল করেছে। এমনই দাবি বিজেপি নেতৃত্বের।

    আরামবাগে পঞ্চায়েত স্তরে কেমন ফল করেছে বিজেপি?

    ২০১৮ সালে এই মহকুমায় (Arambagh) পঞ্চায়েত স্তরে কোনও গ্রাম পঞ্চায়েত দখল তো দূরের কথা বিজেপির কোনও সদস্যই ছিল না। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই চিত্রটাই বদলে গিয়েছে। ২০২৩ সালে এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে শুধু পঞ্চায়েত সদস্য নয় একেবারে ত্রিস্তর বিজেপি শক্তিবৃদ্ধি করেছে বিজেপি। পঞ্চায়েত পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদে আরামবাগ মহকুমায় মোট ১৫টি গ্রাম পঞ্চায়েত, খানাকুল-২ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেছে। জেলা পরিষদের আরামবাগের খানাকুলে এই প্রথম দুটি আসন পেয়েছে বিজেপি।  খানাকুল-১ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গড়লেও ২৩টি আসনের মধ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা ১১টি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলার বিজেপির সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, তৃণমূলের যুবরাজ দুর্নীতির টাকায় গরু,কয়লা,বালি সহ অন্যান্য বেআইনি কারবারের টাকায় নবজোয়ার কর্মসূচি করেছিল। তার ফল জিরো হয়েছে। ফলেই তার জ্বলন্ত প্রমাণ। কারণ, এই মহকুমায় যেখানে মানুষ ভোট দিতে পেরেছে সেখানে বিজেপি জয়লাভ করেছে। আগামী লোকসভা নির্বাচনে শুধু আরামবাগ মহকুমা নয়, সারা রাজ্যে বিজেপির খুব ভালো ফল হবে।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    আরামবাগ (Arambagh) সাংগঠনিক জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি স্বপন নন্দী বলেন, নবজোয়ারের মাধ্যমে বিজেপির বিভিন্ন দুর্নীতি ও কারচুপি মানুষ বুঝতে পেরেছে। আমাদের যুবরাজ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় তা মানুষের কাছে তুলে ধরেছিল। বিজেপি কোনও ফ্যাক্টর নয়।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • North 24 Parganas: খোদ খাদ্যমন্ত্রীর জেলায় চলছে রেশনে কারচুপি! হুঁশ নেই প্রশাসনের, তীব্র আক্রমণ বিজেপির

    North 24 Parganas: খোদ খাদ্যমন্ত্রীর জেলায় চলছে রেশনে কারচুপি! হুঁশ নেই প্রশাসনের, তীব্র আক্রমণ বিজেপির

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি রাজ্যের রেশন দোকানের ডিলারদের বিরুদ্ধে রেশনে কারচুপি করার অভিযোগ উঠছে। অনেক রেশন ডিলার, গ্রাহকদের রেশন সামগ্রিক বদলে সামান্য কিছু টাকা দিয়ে, মূল সামগ্রী বাজারে চড়া দামে বিক্রি করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। রেশনের বদলে নগদ টাকা, ভাবাই যায় না! অবাস্তব লাগলেও বাস্তবে এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সদর শহর বারাসতে (North 24 Parganas)। এই কারচুপিকে চোরাকারবার বলে তীব্র আক্রমণ করেছে বিজেপি। স্বয়ং তৃণমূলের খাদ্যমন্ত্রীর জেলায় যদি এই ঘটনা ঘটে, বাকি রাজ্যজুড়ে কী চলছে! বলে আঙুল তুলেছে বিজেপি। উল্লেখ্য করোনা কালেও তৃণমূলের নেতারা রেশনের চাল চুরি করেছেন বলে বিরোধীরা অভিযোগ তুলেছিল।

    রেশন দোকানের মালিক কে (North 24 Parganas)?

    বারাসত (North 24 Parganas) পৌরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পুকুর এলাকায় ন্যায্যমূল্যের রেশন দোকান রয়েছে সুজয় কুমার রায়ের। দোকানে ঢোকার মুখে সাইনবোর্ডে তা জ্বলজ্বল করছে। এই সাইনবোর্ডের পাশে আরও একটি সাইনবোর্ড লক্ষ্য করা গিয়েছে। যেটি আবার অনিমা রানি দাস নামে এক রেশন ডিলারের। অভিযোগ, বকলমে সেটিও ওই রেশন দোকানকে চালাচ্ছেন সুজয় কুমার। যা সম্পূর্ণ বেআইনি বলেই অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী। নগদ টাকা দেওয়ার বিষয়টি নিয়েও সরব হয়েছেন এলাকার গ্রাহকরা। রেশনে কারচুপি ঠেকাতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের খাদ্য দফতর প্রতিটি রেশন দোকানে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু হয়েছে। অর্থাৎ, বায়োমেট্রিক ছাড়া কোনও গ্রাহকই এখন থেকে আর রেশন সামগ্রী নিতে পারবেন না। এছাড়াও ‘দুয়ারে রেশন’-ও চালু হয়েছে কিন্তু, তারপরও অভিযোগ রেশন ডিলারদের একাংশের বিরুদ্ধে। যা স্পষ্টত দেখা গেল বারাসতে এই রেশন দোকানে।

    কীভাবে চলছে এই কারবার

    যে রেশন সামগ্রী গ্রাহকদের হাতে তুলে দেওয়ার কথা, সেই সামগ্রী দোকানে মজুত করে রাখা হচ্ছে। আর তার বদলে সামান্য নগদ টাকা দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকদের। এমনই অভিযোগ উঠেছে রেশন ডিলার (North 24 Parganas) সুজয় কুমার রায়ের বিরুদ্ধে। আর যিনি, রেশন দোকানে বসে এই বেআইনি কারবার চালাচ্ছেন, তিনি আর কেউ নন, রেশন ডিলারের স্ত্রী সুজাতা রায়। তবে প্রথম নয়, দিনের পর দিন এই অনৈতিক কাজকর্ম অনেকদিন ধরে এলাকায় করছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন এলাকার মানুষ।

    কিভাবে এই কারবার চালাচ্ছেন রেশন ডিলারের স্ত্রী! জানা গিয়েছে, প্রথমে তিনি গ্রাহকের রেশন কার্ড জমা নিচ্ছেন। এরপর ক্যালকুলেটরে হিসাব করে নেওয়া হচ্ছে ওই গ্রাহকের রেশন সামগ্রীর পরিমাণ এবং বিক্রির মূল্য। সেই পরিমাপ মতো নগদ টাকা তুলে দেওয়া হচ্ছে গ্রাহকের হাতে। সবটাই চলছিল প্রকাশ্যে! ক্যামেরায় সেই ছবি ধরা পড়তেই সুর নরম করতে শুরু করে দেন রেশন ডিলারের স্ত্রী। পরে সংবাদমাধ্যমের চাপে বেআইনি কারবারের কথা স্বীকার করে নেন তিনি। এই ছবি প্রকাশ্যে আসতেই কিছুক্ষণের মধ্যে রেশন দোকান বন্ধ করে সেখান থেকে পালিয়ে যান সকলে।

    খাদ্যমন্ত্রীর বক্তব্য

    অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী রথীন ঘোষ (North 24 Parganas) বলেন, “ঘটনাটি আমার কানে এসেছে। তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তারপরেও বলব, সাধারণ মানুষকে আরও সচেতন হতে হবে। রেশনের বদলে কেন টাকা নিতে যাবেন! তার মানে তো অন্যায় কাজে তাঁরাও উৎসাহ জোগাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী যে উদ্দেশ্যে বিনামূল্যে রেশন ব্যবস্থা চালু করেছেন সেই উদ্দেশ্যই তো সফল হবে না। এটা আমাদের সকলের মাথায় রাখতে হবে।

    বিজেপির বক্তব্য

    অন্যদিকে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করেছে গেরুয়া শিবির। এই বিষয়ে স্থানীয় (North 24 Parganas) বিজেপির যুব মোর্চার জেলা নেতা দেবাশিষ সরকার বলেন, “সরষের মধ্যেই যদি ভূত থাকে তাহলে সেই ভূত তাড়াবেন কীভাবে? তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সমস্ত স্তরেই দুর্নীতির বাসা বেঁধেছে।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের , Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share