Author: user

  • Shantineketan: ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের’ স্বীকৃতি পেল বিশ্বকবির শান্তিনিকেতন, ঘোষণা ইউনেস্কোর

    Shantineketan: ‘ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের’ স্বীকৃতি পেল বিশ্বকবির শান্তিনিকেতন, ঘোষণা ইউনেস্কোর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বের বিভিন্ন স্থান, যার সাংস্কৃতিক-প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য সারা বিশ্বে বন্দিত হয়, ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পায় সেই সমস্ত জায়গা। এবার সেই তালিকায় জায়গা করে নিল শান্তিনিকেতন (Shantiniketan)। বিশ্বভারতীও খুশির আনন্দে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

     প্রতিনিধি দল ঘুরে যাওয়ার দুবছর পরই মিলল এই স্বীকৃতি (Shantiniketan)

     ২০২১ সালে ইসিওএমওএসের এক প্রতিনিধি দল এসেছিল শান্তিনিকেতনে। বিশ্বভারতীও ঘুরে দেখেছিল তারা। এই সফরের পর তারা একটি রিপোর্টও তৈরি করে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতেই  ইউনেস্কোর এই অন্তর্ভূক্তি বলে জানা গিয়েছে। স্বাভাবিকভাবে ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তালিকায় স্থান পাওয়ায় খুশির হাওয়া শান্তিনিকেতন তথা বীরভূম জেলাজুড়ে। শান্তিনিকেতনের সঙ্গে আপামর বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। কোনওদিন যিনি শান্তিনিকেতনে পা রাখেননি, সেই বাঙালিও শান্তিনিকেতন নামে মোহিত হন। মনে মনে কল্পনার রঙে নিজের মতো করেই এঁকে নেন বিশ্বকবির শান্তিনিকেতনের ছবিখানি। সেই শান্তিনিকেতনের এ সম্মান নিঃসন্দেহে প্রত্যেক বাঙালির কাছে গর্বের। রবিবারই শান্তিনিকেতনকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ ঘোষণা করেছে ইউনেস্কোর। এক্স হ্যান্ডেলে সে কথা ঘোষণা করেছে ইউনেস্কো। এই ঘোষণার পরই উৎসবের আবহ শান্তিনিকেতনে (Shantiniketan)। বিশ্বভারতীর এক পড়ুয়া বলেন, ইউনেস্কোর প্রতিনিধি দল শান্তিনিকেতন, বিশ্বভারতী ঘুরে গিয়েছেন তা শুনেছিলাম। কিন্তু, এবার সেই স্বীকৃতি মেলায় খুবই গর্বিত মনে হচ্ছে। এই আনন্দ উৎসবে শরিক হতে পেরে আমাদের খুব ভাল লাগছে।

    সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ছে

    রবিবার এই ঘোষণার পরই বিভিন্ন সোশ্যাল প্ল্যাটফর্মে শুভেচ্ছাবার্তা উপচে পড়ছে। এ রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের তরফে তাদের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছে ‘বাঙালির গর্বের মুহূর্ত।’ বিশ্বভারতীতে সোমবার আনন্দ উৎসব পালন হবে। সন্ধ্যা ৬টায় উপাসনা গৃহে তা পালিত হবে। জানা গিয়েছে, ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের উপদেষ্টা সংস্থা ইসিওএমওএস বিভাগে শান্তিনিকেতনের (Shantiniketan) নাম প্রস্তাব করে। কেন্দ্রীয় তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্ৰী জি কিষেণ রেড্ডি নিজেই সোশ্যাল মিডিয়ায় কিছুদিন আগে তা জানিয়েছিলেন। এবার স্বীকৃতির সিলমোহর পড়ল।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    PM Vishwakarma: “পিএম বিশ্বকর্মা কার্যকর না হলে রাজ্যবাসী তৃণমূলকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলবে” তোপ অশ্বিনী চৌবের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ‘প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) যোজনা রূপায়িত না করলে, পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’ দুর্গাপুরে সিআরপিএফ ক্যাম্পে পিএম বিশ্বকর্মা যোজনার ভার্চুয়াল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসে, রাজ্যের তৃণমূল সরকারকে এইভাবে তোপ দাগলেন কেন্দ্রীয় খাদ্য গণবন্টন, বন, আবহাওয়া ও পরিবেশ বিষয়ক রাষ্ট্রমন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। একই সঙ্গে “তৃণমূল নিজের কবর নিজের খুঁড়ছে” বলে সরকারকে আক্রমণ করলেন বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া।

    কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কী বললেন (PM Vishwakarma)?

    পিএম বিশ্বকর্মা (PM Vishwakarma) প্রকল্প প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে বলেন, “এই যোজনায় ১৩ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। তাতে কামার, কুমোর, ছুঁতোর, মুচি, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের লক্ষাধিক পরিবার উপকৃত হবেন। রেজিস্ট্রেশন করার পর তাঁদের ৫ দিনের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। তাতে ৫০০ টাকা করে পারিশ্রমিক পাবেন। এছাড়াও প্রশিক্ষণ শেষে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। ১৫ হাজার টাকার নিজেদের পেশায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতির সুবিধা পাবেন। প্রশিক্ষণের পর নিজের ব্যবসার জন্য ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ৫ শতাংশ সহজ সুদে ঋণ নেওয়া যাবে বলে বলা হয়েছে। এমএসএমই বিভাগ এই প্রকল্পের দায়িত্বে রয়েছে।”

    তিনি আরও বলেন, “আগামী ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই প্রকল্প, আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পে মতো যদি রাজ্যে বাস্তবায়ন না হয়, তাহলে পশ্চিমবঙ্গবাসী রাজ্যের সরকারকে তুলে  বঙ্গোপসাগরে ছুড়ে ফেলে দেবে।’

    কী বললেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া?

    এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া বলেন,”এই প্রকল্প (PM Vishwakarma) হল ১০০ শতাংশ কেন্দ্রের অনুদান। রাজ্য সরকারের পঞ্চায়েত, পুরসভাগুলি উপভোক্তাদের শংসাপত্র যাচাই করে দেবে। তাতে বাধা দিলে অসহায় মানুষগুলো বঞ্চিত হবেন। এর বিরোধিতা করা মানে তৃণমূল নিজের কবর নিজেই খুঁড়বে।”

    বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পল বলেন,” যেভাবে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় রাজ্যের তৃণমূল সরকার স্বজনপোষণ করে প্রকৃত প্রাপকদের বঞ্চিত করেছে, আশঙ্কা করছি, সেরকমই এই প্রকল্পে রাজ্য সরকার গরিব অসহায় পরিবারগুলিকে বঞ্চিত করতে পারে। নিজের দলের লোকেদের এই সব সম্প্রদায়ের সাজিয়ে প্রকল্পের সুবিধা নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সেটা হলে পশ্চিমবঙ্গবাসী তৃণমূলকে ক্ষমা করবে না। লোকসভা ভোটেই তৃণমূলকে ছুড়ে ফেলে দেবে।”

    পিএম বিশ্বকর্মা প্রকল্পে কী ঘোষণা হল?

    রবিবার ১৭ সেপ্টম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদির জন্মদিন। পাশাপাশি একদিন পরেই বিশ্বকর্মা পুজো। দেশের নাপিত, ছুতোর, কামার, দরজি সহ ১৮ টি বংশ পরম্পরার শিল্প সম্প্রদায়ের পারিবারিক পেশার উন্নতিতে প্রধানমন্ত্রী বিশ্বকর্মা প্রকল্প (PM Vishwakarma) চালু করেছেন। এইদিন দ্বারিকা থেকে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এই রাজ্যে কোলকাতা, শিলিগুড়ি ছাড়াও দূর্গাপুরে এই প্রকল্পের ভার্চুয়াল মাধ্যমে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন দুর্গাপুরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী চৌবে। এছাড়াও ছিলেন সাংসদ সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, বিধায়ক লক্ষণ ঘড়ুই, অজয় পোদ্দার, দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, সিআরপিএফ আইজি বিদ্যৎ সেনগুপ্ত, ডিআইজি দেবব্রত ভট্টাচার্য  প্রমুখ।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Arambagh: আরামবাগে পঞ্চায়েত প্রধানের দাদাগিরি! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    Arambagh: আরামবাগে পঞ্চায়েত প্রধানের দাদাগিরি! বাড়ি ভাঙচুর, হামলা, তৃণমূলের কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর অনুগামীদের দাদাগিরি। রাতে একাধিক বাড়ি ভাঙচুর। রবিবার সকালে যুব তৃণমূল কর্মীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। পুরাতন মামলা প্রত্যাহার না করায় এহেন হামলার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের মারধর ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ স্থানীয় তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধান ও তাঁর দলবলের বিরুদ্ধে। যদিও পাল্টা প্রধানের এক অনুগামীকে মারধরের অভিযোগ। ঘটনায় আহত দুই তৃণমূল কর্মী। আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি। যুব তৃণমূল কর্মীর নাম সেখ জাকির হোসেন এবং প্রধান অনুগামী জখম কর্মীর নাম সেখ ইনসান আলি। বাড়ি আরামবাগের বলুন্ডি এলাকায়। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনায় তৃণমূলের কোন্দল একেবারে প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Arambagh)

    স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জাকির হোসেন নামে এক যুবক তৃণমূলের যুব গোষ্ঠীর কর্মী। পুরাতন একটি গন্ডগোলের ঘটনায়  জাকির সহ এলাকার বেশ কয়েকজন যুব তৃণমূল কর্মী স্থানীয় আরামবাগ (Arambagh) মায়াপুর ২ নং পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক সাঁতরার অনুগামীদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলা প্রত্যাহারের জন্য প্রায় হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রধান অনুগামীদের বিরুদ্ধে। মামলা প্রত্যাহার না করায় প্রধান অনুগামীরা শনিবার এলাকায় বেশ কয়েকজন তৃণমূল যুব কর্মীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি রবিবার সকালে সেখ জাকির হোসেনকে বাজারে একা পেয়ে প্রধানের অনুগামীরা বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। আক্রান্ত জাকির বলেন, প্রধান ও তাঁর অনুগামীরা এলাকায় দাদাগিরি চালাচ্ছে। থানায় অভিযোগ তোলা হয়নি বলে আমাদের যুব কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমাকে বেধড়ক মেরেছে।

    কী বললেন অভিযুক্ত পঞ্চায়েত প্রধান?

    পুরো ঘটনায় গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান অলোক সাঁতরার নেতৃত্বে তাঁর লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলে আক্রান্তরা। যদিও ঘটনায় অভিযোগ অস্বীকার করেছে আরামবাগের (Arambagh) মায়াপুর- ২ নং পঞ্চায়েতের প্রধান অলোক সাঁতরা। তিনি বলেন, এই ধরনের কোনও হামলা করা হয়নি। আমাদের নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। বরং আমাদের দলের কর্মী সেখ ইনসান আলিকে ওরা মারধর করেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    Nadia: রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো, বিক্রি নেই প্রতিমার, মাথায় হাত নদিয়ার মৃৎশিল্পীদের

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: এ রাজ্যে নেই শিল্প, গড়ে ওঠেনি নতুন কল কারখানা! মেলেনি বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির বরাদ, চরম আর্থিক সংকটে দিন কাটছে কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের ঐতিহ্য রয়েছে রাজ্য তথা গোটা দেশজুড়ে। মাটির পুতুল থেকে শুরু করে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে দেবদেবীর মূর্তি, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যায় কৃষ্ণনগরের মৃৎশিল্পীদের কাছ থেকে। বিভিন্ন পুজোর দিকেই তাকিয়ে থাকেন তাঁরা। পুজো এলেই কাজের বরাত পৌঁছে যায়। রাত পোহালেই বিশ্বকর্মা পুজো। মূলত বর্তমানে বিভিন্ন ঘরে ঘরেই ছোটখাটো বিশ্বকর্মার পুজো হয়ে থাকে। সেই প্রতিমাও বিক্রি নেই। মাথায় হাত মৃৎশিল্পীদের।

    একসময় বিশ্বকর্মা পুজোর আগে ব্যস্ত থাকতেন মৃৎশিল্পীরা

    অন্যদিকে,কয়েক দশক আগে নদিয়ার (Nadia) কল্যাণী শিল্পাঞ্চল জুড়ে বড় বড় কলকারখানা থেকে এবং শিল্পপতিদের থেকে বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতেন মৃৎশিল্পীরা। সেখান থেকে তাঁদের মোটা টাকা আয়ও হত। কিন্তু, আস্তে আস্তে গোটা রাজ্যের বড়, মাঝারি শিল্প থেকে শুরু করে ছোটখাটো শিল্প বন্ধ হয়ে গেছে। একাধিক কলকারখানা এখন জঙ্গল এবং আগাছা গ্রাস করে নিয়েছে। সেই কারণে বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার আর আসে না। সেই কারণেই কিছুটা হলেও সমস্যায় পড়েছেন তাঁরা।

    কী বললেন মৃৎশিল্পীরা? (Nadia)

    মৃৎশিল্পীদের মূলত ঠাকুর তৈরির ওপরে তাঁদের সংসার চলে। কিন্তু, বড় বড় ঠাকুর তৈরির অর্ডার না এলে কিভাবে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালাবেন তা নিয়েই চিন্তিত তাঁরা। নদিয়ার (Nadia) কৃষ্ণনগরে দীর্ঘদিনের মৃৎশিল্পী তারক পাল বলেন, প্রায় দশ বছর ধরে রাজ্যের বিভিন্ন কলকারখানা এবং শিল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আগে যে সমস্ত আমরা বড় বড় বিশ্বকর্মা ঠাকুর তৈরির অর্ডার পেতাম এখন তা আর আসে না। মূলত ছোট ছোট বাড়ির পুজোর ঠাকুর তৈরির উপরেই আমাদের নির্ভর করতে হয়। কিন্তু সেখানে লাভের অংশ নিতান্তই কম। সেই কারণে এই পেশায় যুক্ত থেকে সংসার চালানো খুব কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা চাই আগের মত যাতে গোটা রাজ্য জুড়ে শিল্প এবং কলকারখানা নতুন করে চালু হোক। তাহলে কিছু আর্থিক দিক থেকে সবল হব। আর এক মৃৎশিল্পী অরবিন্দ পাল বলেন, বর্তমানে যেভাবে জিনিসপত্রের দাম বেড়েছে সেখানে লাভের শতাংশ অনেকটা কমে গেছে। ঠাকুর তৈরির বিভিন্ন সরঞ্জাম এখন ডবল দাম দিয়ে কিনতে হয়। কিন্তু, সেই অর্থে আমরা ঠাকুরের দাম বাড়াতে পারিনি। যে কারণে আর্থিক দিক থেকে সমস্যায় পড়তে হয় আমাদের।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udaipur Sea Beach: নিউ দিঘার খুব কাছেই আর এক সমুদ্র সৈকতের হাতছানি, ঘুরে আসবেন নাকি?

    Udaipur Sea Beach: নিউ দিঘার খুব কাছেই আর এক সমুদ্র সৈকতের হাতছানি, ঘুরে আসবেন নাকি?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ আর ওড়িশার সীমান্তে নিউ দিঘার খুব কাছেই এক অপূর্ব সুন্দর, নির্জন, নিরালা সমুদ্র সৈকত এই উদয়পুর সি-বিচ (Udaipur Sea Beach)। মাথার ওপর সুনীল আকাশ, নিচে তটভূমিতে বিস্তীর্ণ সোনালি বালুকাবেলা। আর সামনে বঙ্গোপসাগরের নীল জলের উর্মিল হাতছানি। এই নিয়েই সংসার উদয়পুরের। সাগরের বেলাভূমিতে বসে থাকার সময় যখন জোয়ারের এক একটা ঢেউ এসে পায়ের সামনে আছড়ে পড়ে, তখন যে অসাধারণ অনুভূতি হয়, তা শুধু গল্পেই সম্ভব। সমস্ত বালুকাবেলা জুড়ে সারাটা দিন ধরে আপন মনে খেলা করে লাল কাঁকড়ার দল। দিনের শেষে সূর্য যখন ঢলে পড়ে পশ্চিম দিগন্তে, সাগরের জল হয়ে ওঠে রক্তিম, ঝাউ গাছের সারির ফাঁক দিয়ে সেই অস্তাচলগামী সূর্যের রাঙা আলোর আভায় উদ্ভাসিত উদয়পুর সি-বিচকে মনে হয় কল্পলোকের গল্পগাথা। সেই মনোরম দৃশ্য একমাত্র অনুভূতি দিয়েই উপলব্ধি করতে হয়, ভাষায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব।

    কীভাবে যাবেন, কোথায় থাকবেন (Udaipur Sea Beach)?

    উদয়পুর যাওয়ার সুবিধা হল নিউ দিঘা থেকে। নিউ দিঘা থেকে মাত্র ২ কিমি দূরে এই উদয়পুর। নিউ দিঘা থেকে যাওয়া যায় রিকশ, মোটর চালিত ভ্যান প্রভৃতিতে। সেরা উপায় হল নিউ দিঘা থেকে সকাল সকাল বেরিয়ে উদয়পুর ঘুরে নিয়ে বিকেল বিকেল নিউ দিঘা বা প্রয়োজনে ওল্ড দিঘা ফিরে এসে সেখানেই রাত্রিবাস করা। ওল্ড দিঘা এবং নিউ দিঘায় রয়েছে দ্য স্টেট ফিশারিজ ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিঃ-এর থাকার ব্যবস্থা। ওল্ড দিঘায় আছে পশ্চিমবঙ্গ পর্যটন উন্নয়ন নিগম বা WBTDC, বেনফিশ, দিঘা-শংকরপুর ডেভেলপমেন্ট অথরিটি বা  ডিএস ডিএ-র পর্যটক আবাস এবং অসংখ্য বেসরকারি হোটেল (Udaipur Sea Beach)।

    কীভাবে উপভোগ করবেন?

    উদয়পুর সি বিচে (Udaipur Sea Beach) সারাটা দিন এই লাল কাঁকড়ার পিছন পিছন ছুটে বেড়ানো, দূরে সাগরের বুকে জেলেদের মাছ ধরার নৌকো অথবা ট্রলার কিংবা পণ্যবাহী জাহাজের নিরন্তর ভেসে চলা আর ঝাউগাছের সারির মধ্য দিয়ে বাতাসের বয়ে চলার গান শুনতে শুনতে কখন যে সময় কেটে যায় বোঝাই যায় না। তবে উদয়পুর বিচটি অপেক্ষাকৃত শান্ত ও নির্জন। এখানে যেমন দিঘার মতো কোলাহল, জনস্রোত নেই। একই রকম ভাবে এখানে দোকান-পাট, বিশেষ করে খাওয়া-দোকানের সংখ্যাও অনেক কম। কাজেই এখানে ঘুরতে যাওয়ার সময় এই বিষয়টাও ভাবনার মধ্যে রাখা প্রয়োজন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    Narendra Modi: মোদির জন্মদিনে শুভেচ্ছা অভিষেক-রাহুলের, কেন চুপ মমতা-সোনিয়া?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রীর (Narendra Modi) ৭৪তম জন্মদিনে নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলের শুভেচ্ছা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে মোদির জন্মদিনের চুপ থেকেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সোনিয়া গান্ধী। সোনিয়া-মমতার এহেন আচরণ নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশিন উঠতে শুরু করে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে দেশের প্রধানমন্ত্রী তো সাংবাধিনাকি পদ, তাই বিজেপি নেতা নয় বরং প্রধানমন্ত্রী মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে তো শুভেচ্ছা জানানোই যেত! বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতবর্ষের সাংবিধানিক পদ হল প্রধানমন্ত্রী, তাঁর জন্মদিনে ন্যূনতম রাজনৈতিক সৌজন্যতাটুকুও দেখালেন না তৃণমূল সুপ্রিমো কিংবা কংগ্রেসের অন্তরআত্মা। বিভিন্ন মহলে এনিয়ে নিন্দাও শোনা গিয়েছে।

    আরও পড়ুন: ‘‘দেশের বিশ্বকর্মাদের খুঁজে বের করে, সাহায্য করতে হবে,’’ বললেন প্রধানমন্ত্রী

    এক্স হ্যান্ডেলে কী লিখলেন রাহুল- অভিষেক?

     অন্যদিকে রাহুল গান্ধী থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এক লাইনে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীজিকে (Narendra Modi) জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাই।

    অন্যদিকে রাহুল গান্ধীর এক্স হ্যান্ডেলে ওই একই কথা লেখা রয়েছে।

    শুভেচ্ছা জানিয়েছেন কেজরিওয়াল এবং শরদ পাওয়ার

    বিরোধী নেতাদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাতে দেখা গিয়েছে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। তিনি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সুস্বাস্থ্য কামনা করেছেন।

    অন্যদিকে মহারাষ্ট্রের এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারও নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    PM Modi: জন্মদিনে মোদির মঙ্গল কামনায় পুজো দিলেন শুভেন্দু, হাসপাতালে ফল বিতরণে সুকান্ত

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: আজ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিন। মোদি ৭৪ বছরে পদার্পণ করলেন। প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মোদির দীর্ঘায়ু এবং শুভ কামনা জানাতে রাজ্যের বিরোধী দলের দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী নিজের বিধানসভা কেন্দ্র নন্দীগ্রামের মন্দিরে পুজো দিলেন। অপর দিকে বালুরঘাটে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বুড়িমা কালীমায়ের মন্দিরে পুজো দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর জন্য জানালেন মঙ্গল কামনা। সারা দেশের মতো এই রাজ্যেও প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন অত্যন্ত উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পালন করা হল। 

    জানকীনাথ মন্দিরে পুজো দিলেন শুভেন্দু (PM Modi)

    বিশ্বনেতা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে শুভ কামনা জানিয়ে শুভেন্দু পুজো দিলেন নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের জানকীনাথ মন্দিরে। শুভেন্দু মোদির একটি ছবি নিয়ে মন্দিরে পুজো দিলেন। সেই সঙ্গে লাড্ডু প্রসাদ বিতরণ করলেন সকলের মধ্যে। জন্মদিনকে কেন্দ্র করে পাশেই একটি স্বাস্থ্য শিবিরের আয়োজন করা হয়। সেখানে চলে কর্মীদের রক্তদান শিবির। যাঁরা রক্তদান করেছেন, তাঁদের হাতে তুলে দিলেন গোলাপ ফুল। রীতিমতো ঢাকঢোল বাজিয়ে বিজেপি কর্মীদের মধ্যে জন্মদিনের আনন্দ এবং কুশল বিনিময় করলেন শুভেন্দু। বিজেপি কর্মীদের মধ্যে এই নিয়ে ব্যাপক উন্মাদনা লক্ষ্য করা গিয়েছে।

    বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিলেন সুকান্ত

    দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Modi) জন্মদিনে বালুরঘাটের বুড়িমা কালীমন্দিরে পুজো দিয়ে দীর্ঘায়ু কামনা করলেন রাজ্যের বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। রক্তজবা এবং মিষ্টি দিয়ে নিজের পরিবারকে সঙ্গে করে মায়ের মন্দিরে মোদির দীর্ঘায়ু কামনায় পুজো করলেন সুকান্ত। মোদির জন্ম দিনে শুভ কামনার সঙ্গে এই রাজ্যের জন্যও মঙ্গল কামনা করেন তিনি। 

    হাসপাতালে ফল বিতরণ করলেন সুকান্ত

    প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিনে মন্দিরে পুজো দিয়ে সুকান্ত মজুমদার, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের রোগীদের আরোগ্য কামনায় ফল বিতরণ করলেন। সেই সঙ্গে রোগীদের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন তিনি। রোগীদের বলেন, “যদি মনে হয় শিলিগুড়ি বা কলকাতায় নিয়ে যেতে হবে তাহলে অবশ্যই যেন জানান”। সবরকম সহযোগিতা করার আশ্বাস দেন সুকান্ত মজুমদার। এছাড়াও হাসপাতালে ডেঙ্গি আক্রান্ত রোগীরা কেমন আছেন, তা জানতে রোগীদের সঙ্গেও কথা বলেন। 

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Barrackpore: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন পাঁচ হাজার শ্রমিক

    Barrackpore: বিশ্বকর্মা পুজোর আগেই বন্ধ হয়ে গেল রিলায়েন্স জুটমিল, কর্মহীন পাঁচ হাজার শ্রমিক

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: বিশ্বকর্মা পুজো মানে এক সময় বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে সাজো সাজো রব ছিল। পুজোর কয়েকদিন আগে থেকেই কারখানার কর্মীরা আনন্দে মেতে উঠতেন। এখন একের পর এক কারখানা বন্ধের মুখে। বারাকপুর শিল্পাঞ্চল জুড়ে এখন হাতে গোনা কয়েকটি জুটমিল চালু রয়েছে। সোমবার বিশ্বকর্মা পুজো। তার আগের দিনই বন্ধ হয়ে গেল ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিল। এক লহমায় কর্মহীন হয়ে পড়লেন প্রায় পাঁচ হাজার শ্রমিক। মাস দু’য়েক আগে বন্ধ হয়ে যায় অন্নপূর্ণা জুটমিল। ফলত, একের পর এক কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মাথায় হাত শ্রমিকদের। তাই, বিশ্বকর্মা পুজো থাকলেও এই কর্মহারা শ্রমিকদের কাছে এখন তা অর্থহীন।

    কেন বন্ধ হল রিলায়েন্স জুটমিল?

    জানা গিয়েছে, বারাকপুরের (Barrackpore) ভাটপাড়া রিলায়েন্স জুটমিলে মিলের এক কর্মকর্তার সঙ্গে কয়েকদিন আগে এক শ্রমিকের ঝামেলা হয়েছিল। মিল কর্তৃপক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই শ্রমিককে পুলিশ গ্রেফতার করে। পরে, অন্য এক শ্রমিকের সঙ্গে এক মিল আধিকারিকের বচসা হয়। মিলের স্থায়ী কর্মীকে বসিয়ে রেখে ঠিকা কর্মী দিয়ে কাজ করানো হচ্ছিল। এনিয়ে দুজন শ্রমিক সরব হন। ফের গন্ডগোল বাধে। এরপরই আগাম কোনও কিছু না জানিয়ে এদিন মিল কর্তৃপক্ষ কারখানা বন্ধ করে দেয়। কাজের অর্ডার নেই, অজুহাত দেখিয়ে মিল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। যা ঠিক নয় বলে অভিযোগ করেছেন কর্মহীন হয়ে পড়া শ্রমিকরা।

    কী বললেন শ্রমিকরা? (Barrackpore)  

    এক সময় হাওড়ার পাশাপাশি এই বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চল ছিল রাজ্যের মধ্যে অন্যতম শিল্পনগরী। আজ সেই শিল্পনগরী যেন শ্মশানপুরীতে পরিণত হয়েছে। একের পর এক কারাখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গিয়েছে শ্রমিকদের সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আনন্দ। কমে গিয়েছে পুজোর জৌলুস। অন্যান্য সময় পুজোর আগের দিন শ্রমিকরা ব্যস্ত হয়ে পড়তেন আয়োজনে। শ্রমিক পরিবারের সদস্যরাও ঠাকুর আনা, বাজার করা, ভোগ তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকতেন। এখন সে সবই ম্লান হয়ে গিয়েছে। অনেক শ্রমিকই আর্থিক অনটনে দিন কাটাচ্ছেন। শ্রমিকদের কাছে পুজো তাই অর্থহীন। এক শ্রমিক বললেন, আজকের দিনে আমরা ব্যস্ত থাকতাম। অনেক সময় তো ছেলেমেয়েদের নতুন জামাও কিনে দিয়েছি। এই পুজোই আমাদের কাছে উৎসবের সমান ছিল। আর আজ কিছুই নেই। এবার কারখানাটাই বন্ধ হয়ে গেল। তাই পুজো হবে না। কীভাবে সংসার চালাবো তা বুঝতে পারছি না। এক শ্রমিক বলেন, শনিবার রাতেও আমরা কাজ করে বাড়ি গিয়েছি। আজ সকালে কাজে যোগ দিতে এসে দেখি কারখানা বন্ধ। কেন বন্ধ হল বুঝতে পারছি না। আমাদের দাবি, অবিলম্বে কারখানা চালু করতে হবে।

    জুটমিল বন্ধ নিয়ে কী বললেন সাংসদ?

    সাংসদ অর্জুন সিং বলছেন, “বারাকপুর (Barrackpore) শিল্পাঞ্চলে কিছু কারখানা বাম আমলেই বন্ধ গিয়েছে। আর কিছু কারখানা চলতি সরকারের আমলে বন্ধ হয়েছে। তবে জুট শিল্পের ভবিষ্যত খুব খারাপ। জুট মিলগুলির মালিক পক্ষ ঠিকাকর্মী রাজ চালু করায় আজ পাটশিল্পও ধুঁকছে। এই ঠিকাদারি প্রথা শেষ না হলে জুট শিল্পটাই শেষ হয়ে যাবে। এই জুটমিলও এদিন সেই কারণেই বন্ধ হয়ে গেল।”

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    Heart Attack: কাজের চাপ আর অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই কি বাড়াচ্ছে তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ?

    তানিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় পাল

    ভারত জুড়ে বাড়ছে হৃদরোগ! হার্ট অ্যাটাকের পাশপাশি একাধিক হৃদরোগে (Heart Attack) আক্রান্ত হচ্ছেন তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ। উচ্চ রক্তচাপ, কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্যই হৃদরোগে আক্রান্ত হচ্ছেন ভারতীয়দের তরুণ প্রজন্মের বড় অংশ।

    কী বলছে সমীক্ষার রিপোর্ট? 

    ভারতে মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হৃদরোগ (Heart Attack)। সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিষয়ক জার্নালে উল্লেখ করা হয়েছে, মোট ভারতীয়র ৫০ শতাংশ ৫৫ বছরের আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হন। ৩০ বছরের উর্ধ্বে প্রায় ৪৭ শতাংশ ভারতীয় হৃদরোগে আক্রান্ত। মহিলাদের তুলনায় ভারতীয় পুরুষদের হৃদরোগের ঝুঁকি বেশি।

    তরুণ প্রজন্মের কেন বাড়ছে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, জীবন যাপনের ধরনের জন্য হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি বাড়ছে তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের। বিশেষত খাদ্যাভ্যাস এবং কাজের চাপ এই ঝুঁকি আরও বাড়াচ্ছে। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, উচ্চ রক্তচাপ এবং অনিয়ন্ত্রিত কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের মতো রোগ হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়। তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশের কাজের ডেড লাইনের চাপ বড্ড বেশি থাকে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ করতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে নানা সমস্যা তৈরি হয়। আর অধিকাংশের এই নির্দিষ্ট সময় আসলে খুবই সীমিত হয়। এছাড়াও আধুনিক কর্মজীবনে অনিশ্চয়তা আর প্রতিযোগিতা বেশি। ফলে, অধিকাংশই মানসিক চাপের মধ্যে থাকে। যা অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপের অন্যতম কারণ। দীর্ঘদিন এই চাপ হৃদরোগের ঝুঁকি আরও বাড়িয়ে দেয়। 
    মানসিক চাপের পাশপাশি অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হৃদরোগের অন্যতম কারণ বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল। চিকিৎসকদের একাংশ জানাচ্ছেন, তরুণ প্রজন্মের অধিকাংশ বিরিয়ানি, পিৎজার মতো অতিরিক্ত মশলাদার খাবারে অভ্যস্থ। অতিরিক্ত প্রোটিন আর ফ্যাট জাতীয় মশলাদার খাবার শরীরে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। পাশপাশি ডায়াবেটিস ডেকে আনে। আর এগুলো হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    কীভাবে হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমানো যাবে? 

    চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, চল্লিশ কিংবা পঞ্চাশের চৌকাঠ পেরিয়ে নয়। হৃদরোগের (Heart Attack) ঝুঁকি কমাতে কুড়ির শুরুতেই সতর্ক হতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যে হারে হৃদরোগের প্রকোপ বাড়ছে, তাতে আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই ঘরে ঘরে হৃদরোগ আক্রান্তদের দেখা যাবে। ফলে, হৃদরোগ কমবেশি সকলের পারিবারিক সমস্যা হয়ে দাঁড়াবে। আর যার জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি আরও বাড়বে। ফলে, কম বয়স থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যাতে ডায়াবেটিস, রক্তচাপ, কোলেস্টেরলের সমস্যা না হয়। খাওয়ার দিকে তাই বিশেষ নজর দিতে হবে। খাবারে নুন, মশলা ও তেলের পরিমাণ কমাতে হবে। তেলে ভাজা একেবারেই বন্ধ করতে হবে। পাশপাশি, মিষ্টি খাওয়ার ক্ষেত্রেও নিয়ন্ত্রণ জরুরি। বিশেষত প্রিজারভেটিভ খাবার যেমন বার্গার, হটডগ, পিৎজা যেগুলোতে অতিরিক্ত নুন ও মশলা দিয়ে প্রাণীজ প্রোটিনের স্বাদ ধরে রাখা হয়, সেগুলো খাদ্যতালিকা থেকে সম্পূর্ণ বাদ দিতে হবে। 
    পাশপাশি ভারতীয়দের মধ্যে যোগাভ্যাস গড়ে তোলা জরুরি। তরুণ প্রজন্মের ভারতীয়দের নিয়মিত যোগভ্যাসে অভ্যস্থ হতে হবে। এতে শরীর ও মন, দুই ভালো থাকবে। নিয়মিত হাঁটা, যোগাসন করার অভ্যাস হৃদরোগের ঝুঁকি কমাবে বলেই মনে করছেন চিকিৎসকদের একাংশ।

     

    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না। এখানে বলা যে কোনও উপদেশ পালন করার আগে অবশ্যই কোনও চিকিৎসক বা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Udayan Guha: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল

    Udayan Guha: “এখন চাকরির সঙ্কট চলছে” মন্ত্রী উদয়ন গুহের মন্তব্যে তীব্র চাপে শাসক দল

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: ফের তৃণমূলের মন্ত্রীর মন্তব্যে অস্বস্তিতে শাসক দল। গত শনিবার উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন, “রাজ্যে প্রতারকদের ব্যাপক দৌরাত্ম্য চলছে, জেলায় জেলায় বেকার যুবক-যুবতীদের টাকা আত্মসাত করছে প্রতারকরা।” এই মন্তব্যে রাজ্যে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে। রাজ্যে কর্মসংস্থান নিয়ে বিরোধীরা বারবার শাসক দলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। সেই সঙ্গে চাকরি দেওয়ার নাম করে গ্রুপ ডি, এসএসসি, টেট, পুরসভা ইত্যাদি নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূলের একাধিক নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কের নাম এসেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে। এই অবস্থায় রাজ্যের মন্ত্রী চাকরি নেই, চাকরির প্রলোভন, প্রতারণা ইত্যাদি মন্তব্য করে শাসক দলকেই ফের কাঠগড়ায় তুললেন বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

    কী বললেন মন্ত্রী (Udayan Guha)?

    উত্তরবঙ্গের উন্নয়নমন্ত্রী উদয়ন গুহ (Udayan Guha) বলেন, “উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় বেকার যুবক-যুবতীরদের টাকা আত্মসাত করা হচ্ছে। রাজ্যে চাকরির সঙ্কট চলছে। অনেকেই অভাবের কারণে প্রলোভনে পা দিচ্ছেন। আমরা সরকারের তরফ থেকে সচেতনতা বৃদ্ধির চেষ্টা করছি। বিভিন্ন সমাবেশে আমরা বারবার বলি প্রলোভনে পা দেবেন না। যাঁরা টাকা দেন তাঁরা খারাপ আর যাঁরা টাকা নিচ্ছেন তাঁরাও ভীষণ খারাপ। তবে যাঁরা টাকা দিয়েছেন তাঁরা বোকামি করছেন।” মন্ত্রীর এই মন্তব্যে স্পষ্ট যে রাজ্যের চাকরির সুযোগ অনেক কম।

    রাজ্যে চাকরির সুযোগ কম

    রাজ্যে যে চাকরির সুযোগ নেই, একথা জানিয়ে বার বার কলকাতায় বেকারদের বিক্ষোভ কর্মসূচি হতে দেখা গেছে। রাজ্যের বিধানসভায় বিরোধীরা সরকার পক্ষকে দ্রুত শূন্যপদ পূরণের দাবি জানিয়েছেন। কখনও কখনও ওয়াক ওভার, আবার রাজ্যপালের দ্বারস্থ হয়েছেন বিরোধীরা। অপর দিকে দ্রুত স্কুলে শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণ করতে শাসক দলের বিরুদ্ধে কালীঘাট থেকে বিকাশ ভবন সর্বত্র আন্দোলন হচ্ছে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী থেকে স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান সহ একাধিক তৃণমূল বিধায়কের। আর এদিন তৃণমূলের উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রীর (Udayan Guha) মন্তব্যে সরকারের ব্যর্থতার কথাই আরও একবার স্পষ্ট হয়।

    উত্তরবঙ্গে প্রতারকদের চক্র

    মন্ত্রীর (Udayan Guha) মন্তব্যের পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ি, ধূপগুড়ি এলাকায় চাকরি দেওয়ার নাম করে বেশ কিছু বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। এই কোম্পানিগুলি সম্প্রতি বলে যে ১৮ হাজার টাকার বিনিময়ে কম্পিউটার শিখিয়ে চাকরি দেওয়া হবে। কিন্তু টাকা দিলেও অনেকেই চাকরি থেকে বঞ্চিত হন। এই বিষয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। ফলে চাকরির সুযোগ কম এবং দুর্নীতি প্রসঙ্গে ব্যাপক সরগরম রাজ্য রাজনীতি।     

      

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share