Author: user

  • Jadavpur University: যাদবপুরে তৈরি হল র‌্যাগিং বিরোধী কমিটি, প্রথমদিনেই নির্দেশিকা জারি

    Jadavpur University: যাদবপুরে তৈরি হল র‌্যাগিং বিরোধী কমিটি, প্রথমদিনেই নির্দেশিকা জারি

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: যাদবপুরের (Jadavpur University) ছাত্র মৃত্যুর ঘটনার প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় পর অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটির পুনর্গঠন করা হল। জানা গিয়েছে, নতুন এই কমিটি তৈরি হয়েছে ৩৩ জনকে নিয়ে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য যেমন এই কমিটিতে রয়েছেন, তেমনই রয়েছেন কয়েকজন অধ্যাপক, পুলিশ আধিকারিক এবং বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের সদস্যরা। মঙ্গলবারই এই কমিটি গঠনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University) কর্তৃপক্ষ আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে। জানা গিয়েছে নতুন এই কমিটিতে ক্যাম্পাস বা হস্টেলে যে কোনও রকমের র‌্যাগিং এর অভিযোগ এলেই তা সঙ্গে সঙ্গে তদন্ত শুরু করবে।

    কারা রয়েছেন এই কমিটিতে?

    জানা গিয়েছে, কমিটিতে রয়েছেন উপাচার্য, সহ-উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, বিজ্ঞান, কলা এবং ইঞ্জিনিয়ারিং সহ সমস্ত বিভাগের ডিনরা। যাদবপুর থানা এবং দক্ষিণ বিধাননগর থানার আইসিও এই র‌্যাগিং বিরোধী কমিটিতে রয়েছেন। অন্যদিকে ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে, প্রতিটি ছাত্র সংগঠনগুলির একজন করে প্রতিনিধিকে রাখা হয়েছে র‌্যাগিং বিরোধী কমিটিতে। রয়েছেন অভিভাবকদেরও প্রতিনিধি সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধি এবং বেসরকারি সংস্থারও প্রতিনিধি (Jadavpur University)।

    র‌্যাগিং বিরোধী কমিটির নির্দেশিকা

    প্রসঙ্গত, র‌্যাগিং  বিরোধী কমিটিতে স্থান পেয়েছেন বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরাও। তার কারণ বেশ কয়েকদিন আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ বলেছিলেন, ‘‘অ্যান্টি র‌্যাগিং কমিটিতে কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে আমরা রাখতে চাই, কারণ তাতে সামাজিক বিভিন্ন দিক উঠে আসবে।’’ এছাড়াও ইউজিসি নিয়মেই রয়েছে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) ক্যাম্পাস যে থানার মধ্যে অন্তর্গত সেখানকার একজন করে পুলিশ অফিসারকেও কমিটিতে রাখতে হবে। এদিন নতুন কমিটি ঘোষণার পরপরই তাঁরা নতুন কিছু নির্দেশিকা জারি করেছেন। সেখানে বলা হয়েছে, প্রথম বর্ষের ছাত্র ভর্তি সময় বা হস্টেলে ইন্ট্রো নেওয়ার সময় যদি কেউ র‌্যাগিং এর সম্মুখীন হয়, তবে যাঁদের বিরুদ্ধে সেই অভিযোগ আসবে, তাঁদেরকে সেই বছরের পরীক্ষায় কোনওভাবেই বসতে দেওয়া হবে না। অর্থাৎ অভিযুক্তদের শিক্ষাবর্ষ নষ্ট করা হবে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • VC Meet: ব্রাত্যর ডাকে গরহাজির, ধর্মেন্দ্রর অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক উপাচার্য

    VC Meet: ব্রাত্যর ডাকে গরহাজির, ধর্মেন্দ্রর অনুষ্ঠানে উপস্থিত একাধিক উপাচার্য

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ডাকে হাজির রাজ্যের একাধিক উপাচার্য (VC Meet)। উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত রাজ্য রাজনীতিতে বেশ চর্চিত বিষয়। এরই মাঝে একাধিক উপাচার্যকে (VC Meet) দেখা গেল কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রীর ডাকে অনুষ্ঠানে হাজির হতে। বৃহস্পতিবারে কলকাতায় কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রী ধর্মেন্দ্রর প্রধানের সঙ্গে ওই অনুষ্ঠানে আসা উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রাররা একান্তে কথাও বলেন বলে জানা গিয়েছে। শুধু তাই নয় রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অবস্থা জানাতে লিখিত কিছু নোটও নিয়ে এসেছিলেন উপাচার্যরা (VC Meet), এমনটাই সূত্রের খবর।

    কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা হাজির ছিলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে 

    কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর ওই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (VC Meet) শান্তা দত্ত, বিএড বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমা বন্দ্যোপাধ্যায়, উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য রথীন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুশান্ত চক্রবর্তী। প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারদের নিয়ে একটি বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী। ৩১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ওই বৈঠকে ডাকা হলেও মাত্র ১২ জন তাতে উপস্থিত ছিলেন। অর্থাৎ ১৯ জন অনুপস্থিত। এই ঘটনায় চরম অস্বস্তিতে পড়ে যান রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি তথন রাজ্যপালের বিরুদ্ধে তোপ দাগতে শুরু করেন। রাজ্যপালের চাপে উপাচার্যরা তাঁর ডাকা বৈঠক এড়িয়ে যাচ্ছেন, এমনও কথা বলতে শোনা ব্রাত্য বসুকে।

    রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে গরহাজির

    কলকাতা, প্রেসিডেন্সি, রবীন্দ্রভারতী, বর্ধমান, গৌড়বঙ্গ সমেত একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রাররা আসেননি ওই  বৈঠকে। প্রসঙ্গত রাজ্য রাজ্যপালের সংঘাত চরমে উঠেছে। উপাচার্য নিয়োগকে কেন্দ্র করে এবং ইতিমধ্যে সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে ১২ জন প্রাক্তন উপাচার্য (VC Meet) আইনি নোটিশ পাঠিয়েছেন। এই আবহে রাজ্যে শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে প্রত্যাখ্যান করে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর বৈঠকে হাজির হওয়া বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন 
    ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ। এখন দেখার বিষয় হল উপাচার্য নিয়োগ ঘিরে রাজ্য-রাজ্যপাল এই সংঘাত কতদূর পৌঁছায়।

    আরও পড়ুুন: “ওরা সনাতন ধর্মকে মুছে দিতে চায়”, মধ্যপ্রদেশে প্রধানমন্ত্রীর নিশানায় ইন্ডি-জোট

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১৫/০৯/২০২৩)

    Daily Horoscope: জেনে নিন আপনার রাশিফল (শুক্রবার, ১৫/০৯/২০২৩)

    চাকরি থেকে ব্যবসা, বন্ধু থেকে ব্যক্তিগত জীবন, ভ্রমণ থেকে স্বাস্থ্য–কেমন কাটবে দিন?

    মেষ

    ১) রোজগারের ক্ষেত্রে যে চেষ্টা করছেন, তা ফলীভূত হবে।

    ২) আর্থিক পরিস্থিতি মজবুত হবে।

    বৃষ

    ১) আজ ব্যবসায়ে ঝুঁকি নিলে পরিবর্তে অনেক কিছু পেতে পারেন।

    ২) দাম্পত্য জীবনে আনন্দের আগমন হবে।   

    মিথুন

    ১) কোনও প্রিয় বস্তু হারিয়ে বা চুরি হয়ে গেলে তা আজ ফিরে পেতে পারেন।

    ২) অনাবশ্যক ব্য়য় এড়িয়ে যেতে হবে। তাই আয় মাথায় রেখে ব্যয় করুন।

    কর্কট

    ১) ছোট ব্যবসায়ীদের নগদ টাকার অভাব দেখা দেবে।

    ২) সন্তানকে ভালো কাজ করতে দেখে আনন্দিত হবেন।

    সিংহ 

    ১) ভেবেচিন্তে যাত্রায় বেরোন। কারণ হঠাৎই গাড়ি নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

    ২) বরিষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় আলোচনা করবেন।

    কন্যা

    ১) ব্যবসায় নতুন কিছু করতে ব্যস্ত থাকবেন। এতে সহকর্মীদের সহযোগিতা কামনা করবেন।

    ২) পুরনো ঋণ থেকে মুক্তি পেতে পারেন।

    তুলা 

    ১) বিদেশি আত্মীয়দের কাছ থেকে সুসংবাদ পাবেন। এ কারণে শীঘ্র যাত্রা করতে পারেন।

    ২) ছাত্রছাত্রীরা আর্থিক দিক দিয়ে প্রচেষ্টা করলে তাতে সফল হবেন।

    বৃশ্চিক

    ১) টাকা ধার নেওয়ার পরিকল্পনা করে থাকলে তা আজ সহজে পেয়ে যাবেন।

    ২) বিবাহযোগ্য জাতকরা বিয়ের ভালো প্রস্তাব পাবেন ও এতে পরিবারের সদস্যদের সহমতি থাকবে।

    ধনু

    ১) শত্রু আপনাকে সমস্যায় ফেলার চেষ্টা করবে।

    ২) প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য অর্থ ব্যয় করতে পারেন।

    মকর

    ১) পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে যাত্রার ফলে সুখপূর্ণ ও লাভজনক সওদা পেতে পারেন।
     
    ২) সন্ধ্যাবেলা বন্ধুর সাহায্যের জন্য অগ্রসর হবেন।
       
    কুম্ভ

    ১) আইনি মামলায় লাভ হতে পারে।

    ২) সন্ধ্যাবেলা জীবনসঙ্গীর সঙ্গে কোথাও ঘুরতে যেতে পারেন।

    মীন

    ১) বাবার পথ প্রদর্শনে কোনও কাজ করে থাকলে তাতে অবশ্যই সফল হবেন।

    ২) শত্রুরা আপনায় বিরক্ত করতে পারেন।

     

     
    DISCLAIMER: এই প্রতিবেদনটি বিশেষজ্ঞদের মতামত অনুযায়ী লেখা। এর সঙ্গে মাধ্যম-এর কোনও সম্পর্ক নেই। মাধ্যম এর কোনও দায় নিচ্ছে না।

  • Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    Vishwakarma Puja: রাজ্য জুড়ে বিশ্বকর্মা পুজোর তোড়জোড়, জানুন দেবশিল্পীর পৌরাণিক কথা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: দেখতে দেখতে চলে এল বিশ্বকর্মা পুজো। মধ্যবিত্ত বাঙালির বিশ্বকর্মা পুজো (Vishwakarma Puja) মানে সকালে উঠেই সাইকেল বা মোটরবাইক ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করা। এরপর ফুল-চন্দন দিয়ে তা পুজো করা। যা কিছু যন্ত্র, তাই যেন আমাদের কাছে বিশ্বকর্মা। বড় বড় শিল্পকারখানা তো বটেই, পাশাপাশি ছোটখাট কল-কারখানাগুলোতে বা দোকানগুলোতেও হয় পুজো। দিনভর ঘুড়ি ওড়ানো, পরের দিন দুপুরে মাংসভাত। শুধু বাংলায় নয়, সারা দেশেই সাড়ম্বরে অনুষ্ঠিত হয় বিশ্বকর্মা পুজো। শ্রমজীবী মানুষের আপন দেবতা বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। বক্স বাজিয়ে, প্রতিমা সাজিয়ে, আলোর মালায় চলে দেবকূলের ইঞ্জিনিয়ারের আরাধনা। অন্যান্য বছর ১৭ সেপ্টেম্বর পুজো হলেও, চলতি বছরে ১৮ সেপ্টেম্বর বিশ্বকর্মা পুজো উদযাপিত হবে।

    দেবশিল্পীর পৌরাণিক কাহিনী 

    পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, সত্যযুগে স্বর্গ গড়েছিলেন স্বয়ং বিশ্বকর্মা। ভক্তদের বিশ্বাস, মর্ত্যলোকেও তাঁর অবদান কম নয়, পুরীর জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রার নির্মাণ করেন তিনি। আবার ত্রেতা যুগে ভগবান কৃষ্ণের সাম্রাজ্য দ্বারকা তাঁর হাতেই গড়া। হস্তিনাপুরও তাঁর হাতেই গড়া বলে পৌরাণিক মত রয়েছে। মহাদেবের ত্রিশূল হোক বা শ্রীহরির সুদর্শন চক্র, সবটাই তৈরি করেছিলেন বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja)। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, হনুমানের গদা, যমরাজের কালদণ্ড, কর্ণের কুণ্ডল এবং কুবেরের পুষ্পক বিমানও তৈরি করেছিলেন তিনি। দধীচির হাড় থেকে ইন্দ্রের জন্য বজ্র, রাবণের লঙ্কাপুরী ইনিই নির্মাণ করেছিলেন। রামসেতু তৈরির সময় ইনি নলবানরকে সৃষ্টি করেন বলে পৌরাণিক মত রয়েছে।

    বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) অনেক জন ছিলেন! 

    বিশ্বকর্মার জন্ম নিয়ে নানা মত রয়েছে পুরাণে। শাস্ত্রবিদরা মনে করেন, এখন বিশ্বকর্মাকে একজন দেবতা হিসাবে ভাবা হলেও, আসলে বিশ্বকর্মা অনেক জন ছিলেন। নানা দেবতা নানা সময়ে বিশ্বকর্মার দায়িত্ব পালন করেছেন। মোট কথায় এটি কোনও দেবতার নাম নয়, এটি আসলে দেবতার মধ্যেকার একটি উপাধি বা পদ। কারুকার্যে পারদর্শী দেবতা হতেন বিশ্বকর্মা। বিশ্বকর্মা পুরাণ অনুসারে আদি নারায়ণ প্রথমে সৃষ্টি করেন ব্রহ্মার এবং তারপরেই বিশ্বকর্মার সৃষ্টি করেন। বরাহ পুরাণও বলছে, ভগবান ব্রহ্মা বিশ্বকর্মাকে সৃষ্টি করেছিলেন। পৌরাণিক কাহিনী অনুযায়ী, বিরাট বিশ্বকর্মা প্রথম, ধর্মবংশী বিশ্বকর্মা হলেন দ্বিতীয়, অঙ্গিরাবংশী বিশ্বকর্মা হলেন তৃতীয়, সুধন্ব বিশ্বকর্মা (Vishwakarma Puja) হলেন চতুর্থ। অসুরগুরু শুক্রাচার্যের নাতি ছিলেন ভৃগুবংশী বিশ্বকর্মা।

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Jhalda: ঝালদা পুরসভার উপ পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা, কেন জানেন?

    Jhalda: ঝালদা পুরসভার উপ পুরপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা, কেন জানেন?

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: অনাস্থা ভোটের শেষে দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পরে তৃণমূলের হাত থেকে পুরুলিয়ার ঝালদা (Jhalda) পুরসভার দখল পেয়েছিল কংগ্রেস। মামলা কলকাতা হাইকোর্ট ঘুরে সুপ্রিম কোর্টে গড়ালেও শেষ পর্যন্ত হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহের নির্দেশে পুরপ্রধানের দায়িত্ব পেয়েছিলেন শীলা চট্টোপাধ্যায়। আর পুরভোটের পরে আততায়ীদের গুলিতে নিহত কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি তপনের স্ত্রী পূর্ণিমা উপপুরপ্রধান হন। এবার সেই ঝালদা পুরসভার উপপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন পূর্ণিমা কান্দু। বৃহস্পতিবার তিনি নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গত বুধবার রাতে কংগ্রেসের প্রতীকে নির্বাচিত পাঁচ পুরপ্রতিনিধি যোগ দেন তৃণমূলে। সেই দলে নির্দল পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও রয়েছেন কংগ্রেস পুরপ্রতিনিধি বিজয় কান্দু, মিঠুন কান্দু (নিহত প্রাক্তন কাউন্সিলর তপন কান্দুর ভাইপো), পিন্টু চন্দ্র এবং সোমনাথ কর্মকার। তাঁদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন বাঘমুণ্ডির তৃণমূল বিধায়ক সুশান্ত মাহাত।

     ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে কী বললেন পূর্ণিমা? (Jhalda)

    পুরসভার (Jhalda) বিদায়ী উপপ্রধান পূর্ণিমা কান্দু বলেন, যে হেতু পুরসভায় তাঁর দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে, তাই নৈতিকতার কারণেই আর এই পদে থেকে যাওয়ার কোনও যৌক্তিকতা খুঁজে পাচ্ছেন না। তাই তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ইস্তফাপত্র জমা দিয়ে পূর্ণিমা বলেন, “নৈতিক কারণে পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।”পূর্ণিমা যে বৃহস্পতিবার ইস্তফা দেবেন তা আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বকে। বাঘমুন্ডির প্রাক্তন কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্ৰদেশ কংগ্রেস নেতা নেপাল মাহাতর সঙ্গে কথা বলেই পূর্ণিমা তাঁর ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।  জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার ঝালদা পুরভবনে এগজিকিউটিভ অফিসার বিধান পাণ্ডের কাছে ইস্তফাপত্র জমা দেন পূর্ণিমা। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগেই কংগ্রেসের পুরপ্রধান শীলা চট্টোপাধ্যায় সহ আরও চার কংগ্রেস কাউন্সিলারকে নিয়ে শিবির বদল করে তৃণমূলে যোগ দেন। তার জেরে কংগ্রেসের পুরবোর্ড সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারায়। এই অবস্থায় আর উপপুরপ্রধানের পদ আঁকড়ে ধরে থাকতে চাননি নিহত কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    South 24 Parganas: চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, মহিলার হাতে চড় খেলেন তৃণমূল নেতা

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগে তৃণমূল নেতাকে প্রকাশ্য দিবালকে চড় মারার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি  ঘটেছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফ্রেজারগঞ্জ পোস্টাল থানার কয়লাঘাটা এলাকায়। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম স্বপন দাস।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (South 24 Parganas)

    স্বপন দাস নামে ওই তৃণমূল নেতা দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) ফেজারগঞ্জের নূপুর হাজরা নামে এক মহিলার কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে টাকা নেন বলে অভিযোগ। আর সেই টাকা চাইতে গেলে তাকে বারে বারে হুমকি ও ভয় দেখানো হচ্ছিল। এরপরই প্রতারিত ওই মহিলা তৃণমূল নেতাকে সামনে পেয়ে ধরে ফেলেন। তাঁকে চড় মারেন, আর সেই ছবি এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তবে, ওই তৃণমূল নেতাও ওই মহিলাকে মারধর করেছে বলে অভিযোগ।

    কী বললেন অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা?

    অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা স্বপন দাস বলেন,গাড়ি কেনা-‌বেচা নিয়ে ওই মহিলার সঙ্গে টাকার লেনদেন হয়েছিল। আমি ওই ভদ্রমহিলার কাছে গাড়ি কিনেছিলাম। কিন্তু, তাঁর কাগজপত্র বৈধ ছিল না। তাই নিয়ে কেস চলছে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার (South 24 Parganas) কাকদ্বীপ আদালতে। আর যে সময়ের কথা বলা হচ্ছে সেই সময় আমি ডায়মন্ডহারবার জেলে ছিলাম। তাহলে তখন টাকা নিলাম কী করে? সবটাই মিথ্যা কথা।

    প্রতারিত মহিলার কী বক্তব্য?

    নূপুরদেবী বলেন, চাকরি দেওয়ার নাম করে আমার কাছ থেকে হাজার তিরিশ টাকা নিয়েছে। এখন আর তা ফেরত দিচ্ছে না। চাকরিও করে দেয়নি। আমি টাকা চাইতে গেলে আমায় মারধর করেছে। ওর স্ত্রী আমায় অপমান করছে। তাই যখন টাকা দেয়নি তখন আমি বলেছি মেরে পাওনা টাকা আদায় করব। স্বপন দাস বহু মানুষের কাছ থেকে চাকরি সহ সরকারি সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন। তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার কাছেও অভিযোগও জানিয়েছি। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

    কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?

    এই বিষয় নিয়ে সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা বলেন, যদি এমন কাজ করে থাকে, অবশ্যই শাস্তি পাবে। এখনও আমি বিষয়টি ভালো করে জানি না আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

    কী বললেন বিজেপি নেতৃত্ব?

    বিজেপি নেতা অনুপ সামন্ত বলেন, চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণা করেছে ওই তৃণমূল নেতা। তাই, প্রকাশ্যে ওই নেতার উপর চড়াও হলেন মহিলা। আগামীদিনে আবারও এই ঘটনা ঘটেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    Suvendu Adhikari: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর!” অভিষেককে তীব্র কটাক্ষ শুভেন্দুর

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: “খেটে মরছেন মজুর, আর খেজুর খাচ্ছেন হুজুর! ২০১১ সালের আগে ভাইপো কোথায় ছিল? পশ্চিমবঙ্গের সবাই জানে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত কে। যার স্ত্রীর নামে কয়লার টাকা ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ঢোকে।” বৃহস্পতিবার নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় এসে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে এভাবেই আক্রমণ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ‘আমার মাটি আমার দেশ’ কর্মসূচিকে সামনে রেখে গোটা দেশ জুড়ে মাটি সংগ্রহ করছে বিজেপি। এদিন নদিয়ার শান্তিপুর থানার ফুলিয়ায় কৃত্তিবাস ওঝার জন্মস্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয় বিজেপির তরফ থেকে। সেখানেই উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।

    ইডি-সিবিআইকে ধন্যবাদ

    প্রথমে তিনি কৃত্তিবাস ওঝার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। এরপর কৃত্তিবাস ওঝার জন্মভিটা পরিদর্শন করেন এবং সেখান থেকে মাটি সংগ্রহ করেন। এরপরেই কিছুক্ষণের জন্য মঞ্চে উঠে বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন (Suvendu Adhikari), কে ডি সিং-এর কাছ থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় টাকা নিয়ে মামলা দায়ের করেছিল। এরপরেও আমি প্রায় সাড়ে ৮২ হাজার ভোটে জয়লাভ করেছিলাম। যার স্ত্রীর ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে কয়েক লাখ টাকা ঢোকে, যার শালি ভারত ছেড়ে পালিয়ে থাকে এবং যার বাবা-মায়ের নামে লিভস এন্ড বাউন্ডস কোম্পানি রয়েছে। শুধু তাই নয়, যে কোম্পানির প্রথম সারির কর্মচারী এখন জেল খাটছেন, সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১১ সালের আগে কোথায় ছিলেন? আর পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে কীভাবে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। ইডি-সিবিআই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কাজ আমরা পারিনি, সেই কাজ বিচার ব্যবস্থা করে দেখাচ্ছে। আমরা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই।

    শুভেন্দুর চ্যালেঞ্জ

    বুধবারই ইডির প্রশ্নবাণের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে ইডির দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো। এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা (Suvendu Adhikari) বলেন, “কয়লা পাচার, গরু পাচার, এসএসসির নিয়োগ দুর্নীতি, সবেতেই তাঁকে একই প্রশ্ন করা হচ্ছে। লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের সিইও হিসেবে তিনি প্রমাণ করুন দুর্নীতির টাকা ওই কোম্পানিতে ঢোকেনি!”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Naseeruddin Shah: “এই ধরনের ছবি সমাজের জন্য ক্ষতিকর”, ‘গদর ২’ নিয়ে বিস্ফোরক নাসিরুদ্দিন শাহ

    Naseeruddin Shah: “এই ধরনের ছবি সমাজের জন্য ক্ষতিকর”, ‘গদর ২’ নিয়ে বিস্ফোরক নাসিরুদ্দিন শাহ

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: নাসিরুদ্দিন শাহ (Naseeruddin Shah) বলিউডের একজন প্রবীণ ও নামজাদা অভিনেতা। শুধুমাত্র অভিনেতা হিসাবে নয়, তাঁর ব্যক্তিত্বের জন্য বহুবার তিনি চর্চায় থেকেছেন। বরাবর তাঁর স্পষ্টবাদী মনোভাব তাঁকে চর্চায় রেখেছে। চলতি বছরে মুক্তিপ্রাপ্ত চলচ্চিত্র ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে যখন সাধারণের মধ্যে উত্তেজনা ছিল, তখন সম্পূর্ণ উল্টো সুর শোনা গিয়েছিল এই বর্ষীয়ান অভিনেতার গলা থেকে। এবার আবার তিনি মুখ খুললেন সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘গদর ২’ নিয়ে। চলতি বছরের অন্যতম জনপ্রিয় ছবির তকমা পেয়েছে এই ‘গদর ২’। গত ১১ অগাস্ট মুক্তি পেয়েছে অনিল শর্মা পরিচালিত এই ছবি। শুরুতেই ২৮৪ কোটি টাকার ব্যবসা করেছিল এই ছবি। কিন্তু এই ছবিকেই ‘ক্ষতিকর’ বলে আখ্যা দিলেন নাসিরউদ্দিন শাহ। 

    কেন এমন মন্তব্য (Naseeruddin Shah)?

    সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নাসিরউদ্দিন শাহ ‘গদর ২’ নিয়ে নেতিবাচক মন্তব্য করেন। তিনি (Naseeruddin Shah) বলেন, “এই ধরনের ছবি সমাজের জন্য ক্ষতিকর। আপনাকে কাল্পনিক শত্রু তৈরি করতেই হবে ছবির মাধ্যমে। পরিচালকরা বুঝতে পারছেন না যে, তাঁরা যেটা করছেন, তা কতটা ক্ষতিকারক, সমাজে কতটা এর প্রভাব পড়ে। আমি কেরালা স্টোরি এবং গদর ২ এর মতো ছবি সত্যি দেখিনি। তবে জানি, এই সিনেমায় কী দেখানো হয়েছে। এই ছবির বক্তব্য যে শুধু দেশকে ভালোবাসলেই চলবে না, তা ঢাকঢোল বাজিয়ে প্রচার করতে হবে।”

    কাশ্মীর ফাইলস নিয়ে কী বলেছিলেন?

    তিনি (Naseeruddin Shah) আরও বলেন, “কাশ্মীর ফাইলস-এর মতো ছবিটিও এত জনপ্রিয় যে অপরদিকে সুধীর মিশ্র, অনুভব সিনহা এবং হংসল মেহতা দ্বারা নির্মিত ছবিগুলি আজকাল আর কারও চোখেই পড়ে না। তাঁরা তাঁদের সময়ের সত্যতা তুলে ধরেছিলেন। তবে আমি চাই তাঁরা যেন হতাশ হয়ে না পড়েন এবং ছবি তৈরি চালিয়ে যান।’

    ’দ্য কেরালা স্টোরি’ নিয়ে কটাক্ষের সুর

    সাক্ষাৎকারে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’কেও তিনি বিতর্কিত ছবি বলেছেন। তিনি (Naseeruddin Shah) বলেন, “ভিড়’, ‘আফওয়া’, ‘ফরাজ’-এর মতো অসাধারণ ছবি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে। কিন্তু তা বক্স অফিসে একেবারে ব্যবসা করতে পারেনি। কোনও দর্শক সেই ছবি দেখতে যায়নি। আর এদিকে ‘দ্য কেরালা স্টোরি’ দেখার জন্য প্রেক্ষাগৃহে দর্শকের ভিড় উপচে পড়েছে। আমি ছবিটা দেখিনি আর দেখতেও চাই না। কারণ এর সম্পর্কে আমি  অনেক কিছু পড়ে ফেলেছি। আমরা সকলেই নাৎসি-অধ্যুষিত জার্মানির পথেই হাঁটতে শুরু করেছি।”

     

    দেশের খবর, দশের খবর, সব খবর, সবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের Facebook, Twitter এবং Google News পেজ।

  • Durgapur:  স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    Durgapur: স্টিল প্ল্যান্টে পাঁচিল দেওয়া নিয়ে রণক্ষেত্র দুর্গাপুর, পুলিশের লাঠিচার্জ, আন্দোলনে এলাকাবাসী

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক:পশ্চিম বর্ধমানের দুর্গাপুর (Durgapur) স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) উচ্ছেদ অভিযানের প্রাক্কালে বৃহস্পতিবার ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় তামলা বস্তি এলাকায়। পাঁচিল দেওয়ার কাজের শুভ সূচনা করতেই ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে বাধার মুখে পড়তে হয় এলাকাবাসীর। ডিএসপি’র জমিতে বসবাসকারীরা কাজ বন্ধ করে দেয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ডিএসপি’র সিআইএসএফ ও এলাকাবাসীর সঙ্গে বচসা থেকে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। সিআইএসএফের বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ওপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ ওঠে। ঘটনায় কয়েকজন এলাকাবাসী আহত হন। গান্ধী মোড় থেকে মায়া বাজার যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে দেয় এলাকাবাসী। রাস্তায় গাছের ডাল ও বাঁশ দিয়ে রাস্তা ঘিরে বিক্ষোভ চলতে থাকে। ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী পুনর্বাসনের দাবি করেন। ঘটনাস্থলে দুর্গাপুর থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

    ঠিক কী ঘটনা ঘটেছে? (Durgapur)

    স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর (Durgapur) ৩২ ও ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের তামলা বস্তি ও ফরিদপুর সহ পলাশডিহা এলাকায় ডিএসপি’র জমিতে প্রায় ১০ হাজারের বেশি বাসিন্দা বসবাস করেন। দীর্ঘদিন ধরে রুটিরুজি’র টানে বহু মানুষ বিহার, ঝাড়খণ্ড সহ এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে এসে বসবাস শুরু করেন। বর্তমানে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ কারখানার সম্প্রসারণের জন্য অবৈধ দখলদার উচ্ছেদের নোটিস জারি করে। প্রায় দেড় মাস আগে ওই সব এলাকায় নোটিস জারি করতেই বিক্ষোভ আন্দোলন শুরু হয়ে গিয়েছিল। ডিএসপি’র টাউন সার্ভিস বিল্ডিং ঘেরাও করে চলতে থাকে দফায় দফায় বিক্ষোভ। তৃণমূল, বিজেপি ও সিপিএম সহ প্রতিটি রাজনৈতিক দল ওই অবৈধ দখলদারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন। এলাকায় এলাকায় রাজনৈতিক নেতাদের পথসভা হতে থাকে। যদিও এলাকাবাসী রাজনৈতিক দলের শিকার হতে নারাজ। তাঁদের দাবি, আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনের ভোটবাক্সে ভোট ভরতে নেতারা এগিয়ে আসছেন। তাই নেতাদের ওপর ভরসা হারিয়ে নিজেরাই কমিটি গঠন করে আন্দোলন জারি রাখেন। এরই মধ্যে এদিন সকালে অ্যালো স্টিল প্ল্যান্টের পাশে ডিএসপি কর্তৃপক্ষ পাঁচিল দেওয়ার কাজ শুরুর জন্য ভূমি পুজো করতে গিয়ে বিপত্তি ঘটে। ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে আমজনতা। তাঁরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন শুরু করেন। ঘটনাস্থলে আসেন তৃণমূল নেতা বিশ্বনাথ পাড়িয়াল ও ধর্মেন্দ্র যাদব সহ একাধিক তৃণমূল নেতাকর্মীরা। বিক্ষোভকারীরা আন্দোলনে তৃণমূল নেতাকর্মীদের সামিল হতে প্রথম দিকে বাধা দেয়। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে চলতে থাকে বিক্ষোভ। শেষমেশ পুলিস প্রশাসন ও তৃণমূল নেতাদের আশ্বাসে প্রায় ৭ ঘণ্টা পর বিক্ষোভ উঠে যায়।

    বিক্ষোভকারী ও পুলিশ প্রশাসনের আধিকারিকের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারী রতন সিং বলেন, দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকায় মানুষজন বসবাস করে। আমাদের উচ্ছেদ করার আগে ডিএসপিকে পুনর্বাসন দিতে হবে। আসানসোল-দুর্গাপুর (Durgapur) পুলিশ কমিশনারেটের এসিপি সুমন কুমার জয়সওয়াল বলেন, ডিএসপি কর্তৃপক্ষ লোকাল প্রশাসনকে না জানিয়ে এদিন ভূমি পুজো করতে এসেছিল। সেখান থেকে গন্ডগোল হয়েছে। আমরা সামাল দিচ্ছি। ঘটনার তদন্তও হচ্ছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

  • Trinamool Clash: মালদায় জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    Trinamool Clash: মালদায় জেলা সভাপতির অপসারণের দাবিতে আন্দোলনে তৃণমূল কর্মীরা, কোন্দল প্রকাশ্যে

    মাধ্যম নিউজ ডেস্ক: জেলা পরিষদের পদ বণ্টন নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব (Trinamool Clash) প্রকাশ্যে চলে এল মালদায়। জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠন নিয়ে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিল দলের অন্দরেই। গোটা ঘটনায় অভিযোগের আঙুল উঠেছে তৃণমূল জেলা কংগ্রেস সভাপতি তথা বিধায়ক রহিম বক্সির বিরুদ্ধে। প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমে তাঁর অপসারণ চেয়ে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন দলেরই কর্মীদের একাংশ।

    ঠিক কী অভিযোগ? (Trinamool Clash)

    দলের একাংশের অভিযোগ, অভিজ্ঞ এবং জনপ্রিয় সদস্যদের বাদ দিয়ে পরিচিত এবং নবীন সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয়েছে জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি। মোটা টাকার বিনিময়ে স্থায়ী সমিতির সদস্যদের নিয়োগ করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠীর (Trinamool Clash)। এমনকী মালদা জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি নিজের ছেলেকে অস্থায়ী সমিতির সদস্য করেছেন বলেও অভিযোগ। ঘটনায় জেরে জেলার বিভিন্ন ব্লকের জেলা পরিষদের বিক্ষুব্ধ সদস্যরা জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন। সবচেয়ে বেশি বিক্ষোভ দেখান হরিশ্চন্দ্রপুরের তৃণমূল নেতা, কর্মী ও সমর্থকরা। রাস্তায় আগুন জ্বালিয়ে ও পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা। উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার মালদা জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের প্রক্রিয়া চলছিল। সেই সময়ই জেলা সভাপতি রহিম বক্সিকে ঘিরে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিক্ষুব্ধ সদস্যরা। তাঁদের অনেকেরই অভিযোগ ছিল স্বজনপোষণ ও মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিলিয়েছেন জেলা সভাপতি। দলের অন্দরে সেই ক্ষোভের কথা স্বীকারও করে নেন জেলা সভাপতি।

    কী বললেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি?

    তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সি বলেন, জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি গঠনের জন্য রাজ্য থেকে যে তালিকা পাঠানো হয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ করা হয়েছে। কোনও নির্দেশ অমান্য করা হয়নি। যাঁরা  বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন, তাঁরা দলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করছেন। এসব করার কোনও মানে হয় না।

    বিক্ষোভকারীদের কী বক্তব্য?

    বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি ও কর্মাধ্যক্ষ পদের জন্য জেলার প্রথম সারির নেতাদের না রেখে জেলা সভাপতি সদ্য রাজনীতিতে পা রাখা নিজের ছেলেকে কর্মাধ্যক্ষ করেছেন। পাশাপাশি মোটা টাকার বিনিময়ে পদ বিক্রি করা হয়েছে। এমনকী প্রতিমন্ত্রী তাজমুল হোসেনের বিধানসভা কেন্দ্র হরিশ্চন্দ্রপুর থেকে কাউকেই কর্মাধ্যক্ষ করা হয়নি। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের জেলা সভাপতি রহিম বক্সির অপসারণের দাবি জোরালো হয়। এই ঘটনায় দলের কোন্দল (Trinamool Clash) প্রকাশ্যে চলে এসেছে।

     

    দেশের খবরদশের খবরসব খবরসবার আগে পেতে ফলো করুন আমাদের FacebookTwitter এবং Google News পেজ।

LinkedIn
Share